নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভেসে আসি সমুদ্রের ঢেউয়ে,বালুচর চুষে নেয় আমারে।

অধীতি

আপনারেই চিনার তরে,পরিচয় দেই কি করে??

অধীতি › বিস্তারিত পোস্টঃ

অদ্ভুতুরে

২৯ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:০৮

খাজকাটা জানালার প্রান্ত ঘেষে একজন প্রবীণ।রেলের টিকেট দিয়ে যাচ্ছে।সাদা চুলের সাথে মোটা ডাটের চশমা।পুষ্ট কাচ থেকে বোঝাই যাচ্ছে, জীবন চশমার উপর নির্ভরশীল।

আধ বয়সী মানুষেরা পরিজনের উদ্দেশ্যে টিকেট কাটার লাইনে দাড়িয়ে।বাদাম ওয়ালা চুলোর আগুনে লাকড়ি দিতে ব্যস্ত।ছেড়া প্যন্ট,ধুলোমাখা শরীর,আর অবসন্ন দেহ নিয়ে সাহেবদের ভারী পকেটের দিকে তাকিয়ে ফুটপাতে আশ্রিতের দল।

মধ্যবয়সী এক মহিলার হাতের নীচে দাড়ানো বছর দশেকের একটা ছেলে।জীবনে প্রথম ট্রেন দেখবে সে।
দূর থেকে একটা আলো এগিয়ে আসছে স্টেশনের দিকে।সাহেবরা ব্যাগ গোছাতে ব্যস্ত।

অবসন্ন দেহগুলো সচল হয়ে উঠছে সাহেবদের অসতর্কটাকে কেন্দ্র করে।বস্তির ভেতর দিয়ে এগিয়ে আসছে রেল।প্রতিদিনকার জীবনে এরা অসতর্ক নিজেদের ভবিষ্যতের ব্যপারে।কিন্তু রেলের পদতলে কেউ মাথা দেয় না।

সতর্ক কেউ একজন প্রেমের ভাঙ্গনে আত্মহুতি দিবে,এমন সময় কারো হাতের স্পর্শে ভয়াতুর ভাবে চিৎকার করে উঠল বাচাও! বাচাও!!
মৃত্যুর সময়ও ওদের আমরা ভয় পাই,আর ওরা কেবলই দু'মুঠো অন্ন খুঁজে।

বেলা বারোটা। খাঁ খাঁ রোদের ঝিলিক ইস্পাতের রেল লাইনের উপরে। আমি আনমনে হাটছি।একটা দাঁড়কাক ডেকেই যাচ্ছে।রেলগাড়ি স্টেশন থেকে ছেড়ে যাচ্ছে।কারো এলিয়ে পড়া কেশ অতি পরিচিত।

রেলের জানালায় বাতাস, তার কেশ উড়ছে,সানসিল্কের ঘ্রাণটা এখনো পাচ্ছি,কাকটা উড়ে গেছে, কেশ গুলো ঝাপসা হতে হতে দৃষ্টির বাহিরে,অথচ গতকালও এমনটি হবার কথা ছিলনা।

ঝকঝকঝক ট্রেন চলছে.....

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.