![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মনটা বড়ো বর্ণচোরা। সে নানা রকম বর্ণ ধারণ করতে খুব পটু। এই রঙ হলুদ,নীল, বেগুনী কিংবা আকাশী নয়, অদৃশ্য কিছু হাজার রকম রঙের ছুড়াছুড়ি এ মনে। কিছু আনন্দ যেমন মনকে ভাসিয়ে তুলে হাজার রঙের সমুদ্রে আবার দুঃখবোধও তেমন করে সেই আনন্দের সমুদ্রকে ছোট করে করে নিয়ে আসে পুকুরের কাছে। বিষণ্ণতা আরো কঠিন অবস্থা। যেই বিষণ্ণতা ভাঙাতে কারো ঢিল ছোড়া চাই। কিন্তু প্রতিটি মুহূর্তকে আলাদা আলাদা করে চেনা যায়। কোয়ান্টাম মেকানিকস এ এমন একটা ব্যপার আছে, পানির ধারাকে সরু করতে করতে এমন এক সময় আসে যখন তাতে আর পানির কোন ধারা থাকে না, ফোটায় পরিণত হয়; আলোর ব্যাপারটাও এমন, উৎস থেকে প্রবাহ সরু করতে করতে এমন অবস্থায় আসে যখন আলোকে আর প্রবাহের ছকে ফেলা যায় না, তখন কণায় পরিণত হয়, যাকে ফোটন বলে এবং তখন এদেরকে গুণা যায়, একটা আলো, দুইটা আলো এভাবে। বিষণ্ণতায় সময় গুলোকে এভাবে আলাদা আলাদা ভাবে গুণা যায়। প্রতিটি সময়ের একক গুলোর বিস্তৃতি এতোই বিশাল যে প্রত্যেকটির মাঝে আরও অদ্ভুত সব ব্যাপার থাকে। প্রতিটি মুহূর্তেই অদ্ভুত সব চিন্তা রাজি তোমাকে হুল ফুটিয়ে যাবে, তুমি হয়তবা চিৎকার করবে মনে মনে, কিন্তু তোমার এই চিৎকার কেও বুঝবে না। তুমি হয়তবা প্রত্যাশায় থাকবে, তোমার সেই ছোট্ট পুকুরে ঢিল ছুড়ে প্রবাহের সৃষ্টি করবে, কিন্তু তা কখনোই হবে না, আরো কঠিন হতাশা সৃষ্টি হতে থাকবে। এ এক অদ্ভুত ব্যাপার। যেমন আইনস্টাইন ভর করে বসে আছে আনন্দময় সময়গুলোর ঘাড়ে, বিশাল সময়ে বিস্তৃত সমুদ্রে তোমার নৌকা মুহূর্তেই অচিন্তনীয় দ্রুততার সাথে পার করিয়ে নিয়ে যায়, ঠিক বুঝেই উঠা যায় না, সময়ের প্রসারণ তখন উল্টো থাকে, অনেক বিশাল সময় কেমন করে এতো ছোট হয়ে যায় সেটাই আশ্চর্য। এ এক কঠিন ধাঁধাঁ।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৩৮
মধ্যবিত্তের ছেলে বলেছেন:
ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৩৬
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: খুব সুন্দর প্রকাশ! খুব ভাল লেগেছে!