![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পুরুষ হয়ে জন্মেছি। এবার মানুষ হয়ে মরতে চাই। সেই সাধনা আর একটু ভালো থাকবার, ভালো রাখবার চেষ্টাতেই বেঁচে আছি। আর মনে আছে আজন্ম ভালোবাসার ক্ষুধা...
নদীটির নাম অঞ্জনা,
নামটা তো তার মন্দ না!
বুক জুড়ে তার ছলাৎ ছলাৎ
উথাল-পাথাল ঢেউ।
নেই তো নিয়ম, নেই তো রীতি,
ক্ষণে ক্ষণে তার নৃত্যগীতি।
নদীর বুকে রকমারি
পাল তোলা যত নৌকার সারি।
এক পাড়ে তার সবুজ গালিচা,
অন্য পাড়ে চর।
এক পাড়ে সে নিত্য আপন,
অন্য পাড়ে পর।
একদিকেতে গড়ে দিয়ে
ভাঙছে অপর দিকে,
থামছে না তবু কভু সে,
যাচ্ছে বেঁকে বেঁকে।
এই নদীরই এক পাড়েতে
মিন্টু শেখের বাড়ি।
ধনসম্পদের দিক দিয়ে তার
আছে কাড়ি কাড়ি।
প্রাসাদসম বাড়ি যে তার
রাজার মতো চলা,
দুলে দুলে ধনকুবেরের
মতো কথা বলা।
বাড়ি ভরা দাসদাসী তার
টাকায় কেনা সুখ,
উল্লাসে তাই সারাটা দিন
নেই তো মনে দুখ।
সেই নদীরই অপর পাড়ে
গফুর মিঞার বাড়ি।
কামলা খাটায় ভাই তার
জুড়ি মেলা ভারী।
খড়কুটোরই ছোট্ট ঘরে
কোনমতে থাকা,
হাত দুটোকে ভরসা করে
স্বপ্ন চোখে আঁকা।
হায়রে নদী,
জানিস না তুই কিছু।
এক পাড়েতে ভাগ্যদেবীর
সদয় মনোভাব।
অন্য পাড়ে দূর্ভাগ্য
ছাড়ছে না তো পিছু।
নদী কহে সব শুনিয়া,
“দাঁড়াও ভাই। আগে লই হাসিয়া।
এই তো ভাই নিয়তির খেলা
মোর হাত তাতে কি বা?
একদিকেতে দিচ্ছে সে
নিচ্ছে অন্য দিকে,
মনে রেখো, যা বললাম আজি।
নইলে জীবনটা হতো ফিকে।”
©somewhere in net ltd.