নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অর্ক

অহরিত

কিছু বলার নেই।

অহরিত › বিস্তারিত পোস্টঃ

এম.আই.এস.টি তে আমার শিক্ষাজীবনঃ কিছু স্মৃতিকথা

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:৫২

এ ব্যাপারে লিখার আগে কিছু প্রারম্ভের অবতারণা দরকার।শুরু করি H.Sc দিয়ে।এইচ.এস.সি পরীক্ষার পর হল থেকে বের হয়ে omeca,sunrise,primate..... হেনতেন বহু বহু লিফলেট নিয়ে বাসায় যেতাম।কিন্তু সবগুলাই কেমন যেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর মত লাগতো।আর ঠিক করতেও পারছিলামনা কি করবো।ইঞ্জিনিয়ারিং নাকি মেডিকেল??

আমার মা অবশ্য দুই রকম বিষয়ের দুই কোচিং সেন্টারেই ভর্তি করায় দেন।কিন্তু পরীক্ষা শেষে আমি দুই জায়গায় দুইদিন যেয়ে সালাম দিয়ে চলে আসলাম।কেন যেন কিছুই মাথায় ঢুকছিলোনা।কিছুই পড়িনি H.Sc ফলাফলের আগ পর্যন্ত।

যাই হোক, ফলাফল একসময় হাতে পেলাম।সর্বোচ্চ গ্রেড নিয়েই পাশ করলাম।কিন্তু তারপরেও সামনের দিনের ভর্তি পরীক্ষাগুলোর গুরুত্ব বুঝতে পারছিলামনা।তবুও বাংলাদেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েট এর জন্য চেষ্টা করবো বলে ঠিক করলাম এবং ১৫-২০ দিনের ফাকিঁবাজী পড়াশোনায় যা হয় তাই হলো।টিকতে না পেরে তখন হাতে বি.আই.টি.,আই.ইউ.টি,এম.আই.এস.টি আর ঢাকা ভার্সিটি ছিল(মেডিকেল ভয় লাগতো)।আমার তখন মনে হচ্ছিলো কোথাও হবেনা।আমার বাকি তিন-চারজন বন্ধুর একজন শুধু বুয়েটে হলো।বাকিরা সবাই তখন বুঝতে পারলাম পড়াশোনা না করার ফল কি!সবাই আমরা বিমর্ষ ভগ্ন হৃ্দয়ে বিভিন্ন জায়গায় ভর্তির প্রস্তুতি নেয়া শুরু করলাম।হ্যা,এইবার আমি বাছাধন পড়াশোনা শুরু করলাম।খুয়েট,রুয়েট,এম.আই.এস.টি পরীক্ষা দিলাম বেশ প্রস্তুতি নিয়েই,যদিও সেটা খুব একটা ভাল কখনোই বলা যাবেনা।বি.আই.টি গুলোতে পরীক্ষা দেয়ার পর মনে হচ্ছিলো এখানেও বোধহয় হবেনা।আত্মবিশ্বাস শূণ্যের কোঠায় থাকলে যা হয় আর কি!

যাই হোক আল্লাহ তা'লার অশেষ রহমতে দুই বি.আই.টি তেই হলো এবং খুব ভালোভাবে।তখন মনে হলো,বাহ! এত সহজে চান্স পেয়ে গেলাম।বেশ ভাল লাগছিলো এবং ওই অনুভূতি বুঝিয়ে বলা যাবেনা।অন্ততঃ কোথাও তো ভর্তি হতে পারবো।

এরপর আসল কথায় ফিরে আসি।এম.আই.এস.টি তে প্রথম যেদিন যাওয়া হয় আমি অবাক হয়ে এর অসাধারণ ক্যাম্পাস দেখছিলাম।দুইপাশে গাছের সারি,মাঝপথে ছোট্ট একটা হৃদ আর হৃদের উপর একটা সরু সেতু,আমি তখন মনে মনে একটাই প্রার্থনা করছিলাম যেন এখানে চান্স পেয়ে যাই।পরে আমার বন্ধুর কাছে শুনলাম মাত্র ১০০ জনের মত ভর্তি নেয়া হবে এবং আমি অবশ্যই এত উন্নত ক্যাটাগরীর ছাত্র নই যে তার মধ্যে স্থান পাবো।যাই হোক গ্রেড ছিল তাই ভর্তি পরীক্ষা দিতে অন্তত চান্স পেলাম।পরীক্ষা দিলাম এবং এর কিছুদিন পর খুয়েটের ফলাফল দিলো।আগেই ভেবেছিলাম এম.আই.এস.টি তে পাবোনা তাই খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম এবং ভর্তি হয়ে আসলাম।এখানে একটি ব্যাপারে না বললেই নয়।খুয়েট জায়গাটা প্রকৃ্তির বড় কাছের,বড় আপন।বিশাল সবুজ মাঠ,খুলনার সহজ-সরল মানুষ আমার বেশ লেগেছিল।

ঢাকা আসার কিছুদিন পর জানলাম এম.আই.এস.টি তে চান্স পাইছি,যদিও একটু পেছনের দিকে।হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম।এরপর বহু বিজ্ঞজনের কাছে বহু পরামর্শ পেলাম কি করবো,কি না করবো।আমার এই দুঃসময়ের সাথী যে বন্ধুটি ছিলো তার সাথে পরামর্শ করলাম এ ব্যাপারে।সবশেষে ঠিক হলো,আর নয় ভাবনা,ঢাকা ছেড়ে যাবোনা।পরে ঢাকা ভার্সিটিতে বিশেষ কারনে পরীক্ষা পিছিয়ে যায় এবং আমি এম.আই.এস.টি তে ভর্তি হয়ে গেলাম।মনে পড়ে ঢাকা ভার্সিটিতে মার্চ মাসে পরীক্ষা হয়েছিল এবং আমি তখন এম.আই.এস.টি তে ক্লাস করছি এক মাস ধরে।তবুও ফর্ম কিনেছিলাম বলে পরীক্ষাও দিলাম।সংগত কারণেই আশানুরূপ দিতে পারিনি তবুও সি.এস.ই পেয়েছিলাম।তাই এম.আই.এস.টি ত্যাগ করার প্রশ্নই আসেনি।

এম.আই.এস.টি তে আমাদের মূল সমস্যা কি তা আমরা যারা এখানে পড়ছি তারা সবাই জানি।সমস্যাটা হলো "নাম"......আমার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি একেবারেই নতুন।আমি তড়িৎ প্রকৌশলে মাত্র তৃতীয় ব্যাচ।ভর্তি হওয়ার পর মানুষকে এম.আই.এস.টি কি??সরকারী না বেসরকারী??এইসব প্রশ্নের উত্তর দিতে অনেক খারাপ লাগত এবং এখনো বিশেষতঃ যারা অনেকদিন দেশের বাহিরে আছেন তারা এই সরকারী প্রকৌশল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ব্যাপারে ঠিকমতো জানেন না।অনেকবার অনেক অপ্রস্তুত ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়েছে।মনে হতো তখন,এত ভাল ফলাফল নিয়ে আমরা এইখানে পড়ছি অথচ......আমার মনে হ্য় এর জন্য আমাদের প্রশাসন অনেকাংশে দায়ী।মিলিটারি নিয়ম অনুযায়ী আমরা কখনো প্রচারমূলক কোন কর্মকান্ডে অংশ নিতে পারবোনা(এখনো মনে পড়ে এক ভাইয়াকে হেডস্যার বেশ ঝাড়ি দিছিলেন বৈশাখ উৎসব নিয়ে পত্রিকায় প্রতিবেদন লিখার জন্য)।Job Fair,IT Fair ছাড়া আমরা খুব কমই উৎসব আমেজ পেয়েছি।মোটকথা হলো আমরা বেশ বন্দি জীবন যাপন করে এম.আই.এস.টি তে পড়াশোনা করি,যেখানে প্রথম কথা হলো নিয়ম এবং শৃ্ঙখলা।দেশের অন্য পাবলিক ভার্সিটিগুলো যেভাবে স্বাধীনতা ভোগ করে আমরা তার কিছুই পাইনা।এই কঠিন বি.এস.সি জীবন মাত্র কয়েকদিন হলো শেষ হয়েছে।কত কত স্মৃতি মনে পড়ছে।আস্তে আস্তে লিখতে চাই...।তবে আজ এই পর্যন্তই।



[আমি লেখক নই।লিখার অসাধারণ গুণের কিছুই আমার নাই।:| তবুও এই দুঃসাহসী পদক্ষেপ নিয়েছি।আমার লেখায় কারো মনে কোন কষ্ট দেয়া হলে আমি নিতান্তই দুঃখিত।]

মন্তব্য ৭৯ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৭৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:৫৯

ভাইরাস! বলেছেন: যে প্রতিষ্টানের কথা বললেন সেটার নাম আগে শুনি নাই। এটা কি প্রাইভেট কোনো ইউনিভার্সিটি?

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:২৮

অহরিত বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ........বললাম না।পরিচিতি সমস্যা-বিরাট সমস্যা।


যাই হোক ভাই,এটা সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।এম.আই.এস.টি এর Elaboration হলো "মিলিটারি ইন্সটিটিউট অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি"

২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:০২

মেঘলা মানুষ বলেছেন: "এখনো মনে পড়ে এক ভাইয়াকে হেডস্যার বেশ ঝাড়ি দিছিলেন বৈশাখ উৎসব নিয়ে পত্রিকায় প্রতিবেদন লিখার জন্য)"

---- আপনার হেডস্যার বিদ্বান, কিন্তু ভাল না :X( ভাইয়াকে ঝাড়ি দেয়ার কি আছে? এইটা ঠিক না।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:২৯

অহরিত বলেছেন: মিলিটারী নিয়ম...

৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:১৬

জিহাদ বলেছেন: আপনার নিকটা মজার :)

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:৩০

অহরিত বলেছেন: ঠিক !

৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:৫৯

লংকার রাজা বলেছেন: প্রথমে দেখে হঠাৎ মনে হল এম,আই,টি দেখলাম,দু একটা হার্ট বিটও মনে হয় মিস করলাম তখন।খেয়াল করে দেখি এম,আই,এস,টি........যাক বাবা তাইলেতো আপনি ঘরের ছেলে।লিখতে থাকুন মন প্রাণ উজাড় করে,সমস্ত আবেগ অনুভূতি দিয়ে..........লিখে ফেলুন তা,যা এতদিন কাউকে বলা হয় নি।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৪৮

অহরিত বলেছেন: এম.আই.টি আমার স্বপ্নের ইউনিভার্সিটি।আশা করি কোন একদিন অন্ততঃ এম.আই.টি দেখে আসতে পারবো...দয়া করবেন।

৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:২৩

অদ্ভুত কাজী বলেছেন: ভাই আপনাদের ইউনিভার্সিটি র ত মনে হয় uniform আছে???ব্যাপার তা মজার ইউনিভার্সিটি লাইফেও uniform ।
হা হা হা ।আমার পরিচিত এক ছোট ভাই আপনাদের ওখানে পড়ে ।তাই শুনছিলাম ।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৪৬

অহরিত বলেছেন: ভাই কথা সত্য।আমরা মনে হয় দুনিয়াতে একমাত্র ইউনিভার্সিটি যারা uniform পরে।এটা খুব বিরক্তিকর,কিন্তু অভ্যাস হয়ে যায়।

তবে ভাল অনেক ব্যাপার আছে সেগুলোও Unique।এইসব মিলেই আসলে বেশ একটা ভালই জীবন গেছে।

৬| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:২৮

অচেনা সৈকত বলেছেন: ড়ৎশড় মানে কি?এটাও কি মিলিটারী নিয়ম মেনে নেয়া নিক?

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৫৪

অহরিত বলেছেন: স্যার আমি আমার আগের লিখায় এই ব্যাপারে বলেছিলাম।কিন্তু আপনি এইভাবে জিজ্ঞেস করলেন দেখে একটু অবাক হলাম।
যাই হোক Nick এমন হওয়ার কারণ,আমি যখন এই আইডি খুলি তখন জানতামনা কি করে বাংলা লিখতে হয়।
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ,স্যার।

৭| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৩০

ওপেল বলেছেন: আপনার ভাষায় আশানুরূপ না হওয়ায় সিএসসি পেয়েছেন,আশানুরূপ হলে কোন সাবজ়েক্ট পেতেন গো!!

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:০৩

অহরিত বলেছেন: ভাল হলে তো মনে হয় জেনেটিক্যাল পেতাম।প্রস্তুতি ছাড়া পরীক্ষা দিয়ে অবশ্যই এর থেকে বেশি আশা করা যায়না।আর ভাইসাহেব আমি সিএসসি না সি.এস.ই বলেছিলাম।

আমার মনে হয় আমার ওই কথাটা আপনার পছন্দ হয়নাই।আমি এই জন্য দুঃখিত।আসলে সত্যি কথা বললে,মনে হয় আমি সি.এস.ই পড়ার মত অত্টা মেধাবী নই।তাই তড়িৎ নিয়ে পড়েছি।

৮| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:২৩

দিশাহারা ওমর সোলাইমান বলেছেন:
হুম। দরিদ্র দেশের কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে দশতলা বিল্ডিং।
একেকটা ফ্লোরে লাউন্জের নামে অর্ধেক জায়গা খালি রাইখাও এদের মন ভরে না।

নতুন ইউনি খুইলা আরো বিল্ডিং বানাইতাছে।
দেইখা মনে হয় কোন দুনিয়ায় আছি।


তবে স্টুডেন্টগো দেখলে আসলেই মায়া লাগে। প্রাইভেট ইউনির ক্যান্টিনের মত একটা খাওনের যায়গাও নাই। ডমিনাসের ক্যাফেটেরি য়ায় দশ মিনিটের আড্ডা!!!


০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৫৩

অহরিত বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
"দরিদ্র দেশের কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে দশতলা বিল্ডিং।
একেকটা ফ্লোরে লাউন্জের নামে অর্ধেক জায়গা খালি রাইখাও এদের মন ভরে না।"--এইভাবে কখনো ভেবে দেখিনি।আমাদের এই দরিদ্র দেশে অনেক কিছুই অপব্যায়।তবে আমরা কিন্তু একটু অন্যভাবে ভাবতে পারি।এটা সত্যি এম.আই.এস.টি এর জন্য সরকারের বেশ টাকাই ব্যায় হচ্ছে।কিন্তু এদেশে যখন বাহিরের ইউনির ভিজিটররা আসে তখন আমরা যদি দরিদ্র দেশের দরিদ্র অবস্থা দেখাই সেটা কতটা ঠিক হবে বলুন তো??
দশতলা বিল্ডিংগুলা ভাই আমাদের ল্যাব আর ক্লাসরুম এর জন্য।আর লাউন্জের কথা বললে একটু দেশের অন্য সরকারী ইউনি গুলা দেখে আসেন।আমাদেরটা মনে হয়না এমন কোন আহামরি কিছু করেছে।আর আপনার কথা হতে বুঝতে পারছি,আপনি বলতে চান দেশ গরীব,তাই উচু তলার ভাল ইউনির দরকার নাই।ইউনি বানানো বন্ধ।হাস্যকর দিশাহারা কথা।দেশের ভাল চান বলে দাবি করলে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা আরো উন্নত করার কথা বলাই ভাল....
আর অন্য সরকারী ইউনির বিল্ডিং গুলাও কোটি টাকারই।এবং সেখানে আমার মত দরিদ্র মানুষই পড়ে যেমন এখানে পড়ে।নতুন হচ্ছে বলে হয়ত আপনার ঝ্কমক লাগতে পারে,এর বেশি কিছুই নয়।

"স্টুডেন্টগো দেখলে আসলেই মায়া লাগে। প্রাইভেট ইউনির ক্যান্টিনের মত একটা খাওনের যায়গাও নাই। ডমিনাসের ক্যাফেটেরি য়ায় দশ মিনিটের আড্ডা!!!"---এমন দিশাহারা কথা শুনে অবাক হয়েছি।একটি বেসরকারি খাবারের দোকান "ডমিনাস এবং Warid" Contract নিয়েছিল কেন্টিন এবং কেন্টিনের খাবার বানাবার জন্য।কিন্তু সেটা আমাদের ইউনির ।ডমিনাসের নয়।কোথাও ডমিনাস লিখাও নাই।
আর ভাই প্রাইভেট এর সাথে তু্লনা করছেন কেন বুঝলামনা।বড়ই হাস্যকর।আর সবচেয়ে বড় কথা হল ক্যান্টিন তো আমাদের একটা না দুটো।এম.আই.এস.টি এর মত নতুন একটা ইউনির অনেক অনেক সমস্যা আছে,কিন্তু আমাদের মত সরকারি জায়গায় এমন পরিপাটি আর সুন্দর কেন্টিন খুব কমই আছে।
এবং ইউনি তো ভাই পড়াশোনার জন্য আসে,ক্যান্টিন এর জন্য আসেনা।

আপনার Nick এর সাথে কথাবার্তা বেশ মিলে গেছে।আপনার দিশেহারা অবস্থা দেখেই বরং আমার মায়া লাগছে।

৯| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:২৬

দিশাহারা ওমর সোলাইমান বলেছেন:
একটা কথা না বল্লেই না। এমআইএসটির মত সুন্দর পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস আমার চোখে আর পড়ে নাই।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১:২৩

অহরিত বলেছেন: আমি যতদুর জানি আই.ইউ.টি এর ক্যাম্পাস অনেক অনেক সুন্দর।আফসোস দেখা হয়নাই।খুয়েট তো আগেই বলছি কেমন লেগেছিল।সত্যি বললে আমার কাছে দেশের সব সরকারি ইউনির ক্যাম্পাস সুন্দর।একটু শুধু যত্ন দরকার।দেশটাই তো সুন্দর,মানুষগুলো আরেকটু সুন্দর হলেই হয়।

(একটু ভাবের কথা বললাম বলে দুঃখিত)

১০| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:২৯

শিবলী বলেছেন: খুব ভালভাবেই চিনি একে
এখন তো
বাপ হয়ে গেল ;) !!!

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১:২৬

অহরিত বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ ...... আমাদের জন্য ভালই হয়েছে।

১১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৩১

শিবলী বলেছেন: হলে ২৫ টাকায় নেট লাইন সারা মাস.........
মিয়া আপনেরা রাজার হালে আছেন

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১:১৬

অহরিত বলেছেন: ভাই ২৫ টাকাও দেয়না...গত ১.৫ থেকে ২ বছর ধরে এই সুবিধা দেয়া হচ্ছে।কিন্তু এখনো টাকা চাওয়া হয়নাই।আমরা তো এখন বের হয়ে গেলাম,কিন্তু বিল চাওয়া হয়নাই।
আসলে লাইন দেয়া হয়েছে এম.আই.এস.টি এর মূল সার্ভার থেকে,এইজন্য হয়তো টাকা চায়নাই।

১২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৩৯

অচেনা সৈকত বলেছেন: আপনার আগের লেখাটা পড়ি নি।সরি ফর দ্যাট।শুধু মজা করেই জানতে চেয়েছি।অন্যভাবে নেবেন না দয়া করে। আর আমাকে স্যার না বলে ভাইয়া বললেই ভাল হয়। 'স্যার' খুব বিব্রতকর শোনায়।ভাল থাকুন।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১:১০

অহরিত বলেছেন: স্যার আপনি আমার ইউনির না হলেও যেখানে পড়াচ্ছিলেন সেখানে আমি Thesis করেছি,আমার সবচেয়ে প্রিয় স্যারেরা যাদের মত আদর্শবান শিক্ষক আমি আর কখনো পাব কিনা জানিনা সবাই ওখানে এবং আমি গর্ব বোধ করি এমন মহান শিক্ষকদের কাছে কিছু শিখতে পেরেছি বলে। আমি কি করে আপনাকে স্যার ছাড়া অন্য কিছু ডাকি বলেন?আমি তবুও চেষ্টা করব।না পারলে আমাকে ক্ষমা করবেন।

আর দয়া করে আমাকে ছোট করবেন না।তুমি করে বলেন স্যার।আমি আপনার কাছে Sorry বলছি কোন ভুল হয়ে থাকলে।
আপনিও স্যার ভাল থাকুন।আল্লাহ তা'লার কাছে প্রার্থনা করি যেন আপনার মত মেধাবীরা দেশের জন্য অনেক সম্মান বয়ে আনেন।

১৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১:২২

দিশাহারা ওমর সোলাইমান বলেছেন:
আপনাদের দশতালা বিল্ডিং টা অপ্রয়োজনীয় তা বলি নাই।
একটা ইউনির জন্য বিল্ডিং অপ্রয়োজনীয় সেইটা কোনো পাগলেও বলবে না। আমার কাছে মনে হইছে এমআইএসটির কর্মকর্তারা ছাত্রদের চেয়ে নিজেদের দিকে মনোজোগ দেয়। আমারে একটা তথ্য যানান। হল বাদে ছাত্রদের কোনো কমন রুম আছে কি?

আপনি বোধহয় দেখছেন, পাশে আরেকটা সেইম বিল্ডিং হইতাছে। এবং যতদুর জানি তার পাশে পনি ভরাট কইরা আরও দুইটা হইবে। মোট চারটা ১০তালা দিয়া শেষ হবে।

১০ এমবি ব্যান্ড উইথ দিয়া আপনারা নেট চালান। আর যেই খানে ১ এমবি দিয়া আইএসপি চলে। একেকটা বিআইটি কত পায়? আর ছাত্ররা এই দশ এমবি এর কতটুকু ইউস করে? দুপুর আড়াইটার পর কোনো ছাত্রই কম্পু ল্যাবে তে থাকতে পারে না।

আপনাগো ইন্সটিটিউটের খরচের দশ ভাগের একভাগ টাকা কোনো সাবেক বিআইটি গুলারে দিলেও এরা দশ গুন সফলতা পাইতো।

আর পড়া শোনার মানের কথা নাইবা কইলাম। যতদুর জানি ভালো শিক্ষকের হার দিন দিন কমতাছে। আগে আছিলো ঢাকা ইউনির আন্ডারে। ব্ন্দুকের নলের আগা দিয়া কয়দিন আগে বিওপি উদ্বোধন হইলো। এখন থাইকা বিইউপির আন্ডারে।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ২:৫৭

অহরিত বলেছেন: "আমারে একটা তথ্য যানান। হল বাদে ছাত্রদের কোনো কমন রুম আছে কি? " জি ভাই আছে।আমাদের Chemistry lab এর পাশের বিল্ডিং এর নিচতলায় একটি কমন রুম আছে।

বিল্ডিং এর ব্যাপারটা জানি,কেন আপনি কি চাচ্ছেন সেটা না হোক?একটা ইউনির চারটা ১০তালা বিল্ডিং থাকলে কি গুনাহ হয়ে যাবে?

"১০ এমবি ব্যান্ড উইথ দিয়া আপনারা নেট চালান। আর যেই খানে ১ এমবি দিয়া আইএসপি চলে। একেকটা বিআইটি কত পায়? আর ছাত্ররা এই দশ এমবি এর কতটুকু ইউস করে?" ১০ না হয়ে মনে হয় ১০০ হবে।যাই হোক উত্তর হলো,এই সার্ভার ক্যান্টঃ এর নিজস্ব।এম.আই.এস.টি এর ইন্টারনেট User কম।তাই গতি বেশি পাবে এটাই কি স্বাভাবিক নয়??তাছাড়া Internet facility শহরে তুলনামূলক বেশি দেওয়া সম্ভব শহরের বাহিরে থেকে,এটা কেন তা আশা করি জানেন।তাছাড়াও আপনি বুয়েটের হলগুলোতে গেলে ভাল ভাবে বুঝবেন ব্যাপারটা।আমার জানামতে সেখানে সুবিধাটা আমাদের থেকে বেশি অথবা সমান।
"আপনাগো ইন্সটিটিউটের খরচের দশ ভাগের একভাগ টাকা কোনো সাবেক বিআইটি গুলারে দিলেও এরা দশ গুন সফলতা পাইতো। "--এহেন দিশেহারা কথার মানে বুঝতে পারলাম না।আপনি যদি ছাত্র Quality এর কথা বলেন,তাহলে যদিও অন্যায় হয় বলা তবুও বলছি,আমার অনেক বন্ধু ৩.৯,৪.২ গ্রেড পেয়ে আপনার বিআইটি তে পড়ে।কিন্তু আমাদের এখানে ৫.০ না থাকলে ভর্তি পরীক্ষার জন্যও বসতে পারেনা।ভাই এখানে কেউ মুর্খ না।ওলট-পালট তথ্য দিয়ে আপনি যেভাবে দিশেহারা হয়ে কথা বলছেন,আপনাকে এমন ভাবতে বাধ্য করবেন না।
"আর পড়া শোনার মানের কথা নাইবা কইলাম। যতদুর জানি ভালো শিক্ষকের হার দিন দিন কমতাছে"---আরেকটি ওলট-পালট তথ্য।ভাই ভাল খারাপ কি জানিনা আমাদের এখানে নিজস্ব শিক্ষক অনেক কম অন্যান্য সরকারি ইউনির তুলনায়-এটা বলার মত সৎ সাহস আমার আছে।কিন্তু দিন দিন কমছে এটা খুব মিথ্যা কথা।আমাদের একটা করে ব্যাচ বের হচ্ছে,আর সেখান থেকে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে নতুন শিক্ষক।সংখ্যাটা তাই বাড়ছে।শিক্ষকের অভাবটা পূরণ করছেন বুয়েটের সম্মানিত শিক্ষকেরা।এই দুই category এর বাহিরে আর কোন শিক্ষক আছে বলে জানা নাই।ভাল শিক্ষকের হার কিভাবে কমছে একটু বুঝায় বলেন?একটি নতুন ইউনি এর নিজস্ব শিক্ষক সমস্যা থাকবে এটাই তো স্বাভাবিক।তারপরেও আমাদের ছাত্রদের Quality কেমন এটা বুঝা যায় যখন দেখি আহসানুল্লাহ থেকে স্ট্যামফোর্ড প্রায় অনেক বেসরকারি গুলোতে এখান থেকে পাশ করা ছেলেরা পড়ায়।
"আমার কাছে মনে হইছে এমআইএসটির কর্মকর্তারা ছাত্রদের চেয়ে নিজেদের দিকে মনোজোগ দেয়। "
"আগে আছিলো ঢাকা ইউনির আন্ডারে। ব্ন্দুকের নলের আগা দিয়া কয়দিন আগে বিওপি উদ্বোধন হইলো। এখন থাইকা বিইউপির আন্ডারে। "----এইসকল দিশেহারা কথার কি জবাব দিবো জানিনা।আপনার নিক এর স্বার্থকতা প্রমাণ করলো মনে হয়।আপনার উদ্দেশ্য যদি হয় আমার ইউনিকে কটাক্ষ করা তবে আমি নিজেই আপনাকে কিছু পয়েন্ট বলছি -
১।নিজস্ব শিক্ষক সমস্যা
২।প্রশাসনিক জটিলতা
৩।ইউনিফর্ম সমস্যা
৪।পরাধীন জীবন(অনেক বেশি নিয়ম কানুন)
৫।দুই একটা ল্যাব এখনো হয়নি।(আমি আমার এম.আই.এস.টি জীবনে দুটি ল্যাব পাইনি।এই দুটি ল্যাব বাংলাদেশে বুয়েট ছাড়া আর কোথাও নেই।তাই বুয়েটে যেয়ে করতে হয়েছে।তবে এই বছর থেকে ল্যাব ১টি আর করতে হবেনা,আমাদের এইখানেই করা হয়েছে নতুন করে)...
এমন আরো অনেক সমস্যা।আমি কখনো এইসব সমস্যা অস্বীকার করিনা।সত্যি বলার মত সৎ সাহস আমার আছে আগেই বলেছি।কিন্তু আপনি তো দিশেহারা হয়ে কমেন্ট করছেন আর ভুল তথ্য দিচ্ছেন।আপনার নিকট অনুরোধ পারলে সঠিক তথ্য জেনে আসুন এরপর মন্তব্য করুন।নয়তো আপনার দিশেহারা কথার উত্তর আর দিতে পারছিনা বলে দুঃখিত।আপনার অবগতির জন্য এও বলছি এটা কোন কে বড় কে ছোট তা বলার জন্য নয়।এটা শুধুই আমার কিছু জীবন সম্পর্কি্ত ঘটনা।
(বি.আই.টি আমার কাছে অনেক সম্মানিত স্থান।খুয়েটে ডঃ আব্দুর রহিম মোল্লা স্যারেরা মত মানুষেরা পড়ান।উনার মত সৎ শিক্ষক এই দেশে খুব কম এসেছে বলে আমি মনে করি।আমি গর্বিত,স্যারের ক্ল্যাস করতে পেরেছি বলে।যে তুলনামূলক কথা আমি বলেছি সেটা ঘটনা সাপেক্ষে বলতে হয়েছে।এর জন্য কেউ যদি দুঃখ পেয়ে থাকেন আমি ক্ষমাপ্রার্থি।আমি শুধু নিজের অভিজ্ঞতা থেকে সত্যিটাই বলতে চেয়েছি।)

১৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১:২৬

দিশাহারা ওমর সোলাইমান বলেছেন:
কিন্তু এদেশে যখন বাহিরের ইউনির ভিজিটররা আসে তখন আমরা যদি দরিদ্র দেশের দরিদ্র অবস্থা দেখাই সেটা কতটা ঠিক হবে বলুন তো??
------------------

এই কথাটা পারফেক্ট বলছেন। হ বিদাশী ভিজিটর আসলে সিকিউরিটির নামে ইউনি ছুটি দিয়া ছাত্রশুন্য কইরা তারপর নিরিবিলিতে তাদের আপ্যায়নের ব্যাপারটা আমার মাথায় ঢুকে নাই।

সবখানে দেখি বিশেষ কেউ ইউনিতে আসলে ছাত্র-ছাত্রীরা তারে অভিবাদন জানায়। এইখানে দেখলাম উল্টা। অতিথী যাতে কোনো ছাত্রর চেহারা নাদেখতে পারে সেই ব্যাবস্থা করা হয়।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৩:১৪

অহরিত বলেছেন: "ইউনি ছুটি দিয়া ছাত্রশুন্য"--আরেকটি দিশেহারা কথা।

"সবখানে দেখি বিশেষ কেউ ইউনিতে আসলে ছাত্র-ছাত্রীরা তারে অভিবাদন জানায়। এইখানে দেখলাম উল্টা। অতিথী যাতে কোনো ছাত্রর চেহারা নাদেখতে পারে সেই ব্যাবস্থা করা হয়।"
এইটাও একটাও মিথ্যা তথ্য।অন্য কোন দেশের মিলিটারী কেউ আসলে তারা স্টাফ কলেজে আসে।এম.আই.এস.টি তে নয়।অথবা মিলিটারী সম্পর্কিত কাজে আসেন।সেক্ষেত্রে তাদের নিরাপত্তার জন্য আমাদের অন্য রাস্তা দিয়ে যেতে হয় যদি উনারা ইউনি টাইম ক্লোজ এর সময় আসেন।কিন্তু শিক্ষাজনিত কাজে আসলে তারা আমাদের সাথে দেখা করেন এবং কথাবার্তাও বলেন(ইউনি এর ওয়েব পেজ এ ২০০৮ এর ফটো দেখতে পারেন)।

১৫| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১:২৮

মেঘলা মানুষ বলেছেন: সব ঠিক আছে।

কিন্তু ঐযে বললেন," মিলিটারী নিয়ম...
" (আমার আগের কমেন্টের জবাবে)
এই জিনিসটা আমার অ্যাবনরমাল লাগে। ছাত্ররা অনুষ্ঠান করছে --- এইটা তো আর কনফিডেনসিয়াল না। এইটা প্রকাশ করায় একজনকে বকা দেয়া ঠিক না। নিয়ম ভালো, কিন্তু "আজাইরা" নিয়ম ভালো না যেইটার কোন উপকারিতা নাই।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৩:১৮

অহরিত বলেছেন: একমত।আমারো ভাল লাগেনা।কিন্তু এইসব ব্যাপারে অভ্যস্ত হয়ে গেছি আস্তে আস্তে...
আসলে সব জায়গাতেই সমস্যা আছে,নেই এমন কোন জায়গা তো নাই দেশে।এই সমস্যাগুলো কেন যে থাকেনা বুঝিনা।
আপনাকে আবারো ধন্যবাদ।

১৬| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১:৩০

দিশাহারা ওমর সোলাইমান বলেছেন:
আর ক্যান্টিনের কথা টা আমি অবগ্গার জন্য বলি নাই। আপনাদের ইউনিতে একটা ভালো ক্যান্টিন-আড্ডা দেবার মত জায়গা নাই। যদিও ক্যান্টিনে আড্ডা দিয়া কেউ রবীন্দ্রনাথ হয় না। তারপরও আমি মনে করি এমআইএসটির ছাত্রদের এই আড্ডা থাইকা বন্চিত করা হইতাছে।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৩:২১

অহরিত বলেছেন: হাস্যকর কথাবার্তা কেন বলছেন বারবার।আড্ডা দেবার জায়গা ভালোই আছে !!! আপনি আসেন একদিন ভাই,আপনার সাথে আড্ডা দেয়া হয়ে যাবে।

১৭| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ২:৩৬

বড় হুজুর বলেছেন: ভালো লিখেছেন। দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী নিজেদের জন্য ইউনিভার্সিটি খুলেছে, এটা খুবই ভালো উদ্যোগ। খুয়েট কি?

১৮| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ ভোর ৫:২০

।। নাইম মাহমুদ ।। বলেছেন: "এম.আই.এস.টি তে আমাদের মূল সমস্যা কি তা আমরা যারা এখানে পড়ছি তারা সবাই জানি।সমস্যাটা হলো "নাম"......আমার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি একেবারেই নতুন।আমি তড়িৎ প্রকৌশলে মাত্র তৃতীয় ব্যাচ।ভর্তি হওয়ার পর মানুষকে এম.আই.এস.টি কি??সরকারী না বেসরকারী??এইসব প্রশ্নের উত্তর দিতে অনেক খারাপ লাগত এবং এখনো বিশেষতঃ যারা অনেকদিন দেশের বাহিরে আছেন তারা এই সরকারী প্রকৌশল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ব্যাপারে ঠিকমতো জানেন না "

অর্ক, এম.আই.এস.টি র নাম এখন অনেকেই জানে। নাম নিয়ে চিন্তা কোরো না। আমি বাইরে আসার পর দেখলাম এইখানের প্রফেসর এবং অনেক বাঙালি এম.আই.এস.টি খুব ভাল ভাবেই চিনে। অতএব যারা দেশে বোসে এম.আই.এস.টি চিনে না এটা তাদেরই discredit. যারা academia' র সাথে জড়িত তারা এম.আই.এস.টি'র quality সম্পর্কে অবগত।

বাকিদের জানার জন্য একটা information দেই। এম.আই.এস.টি থেকে পাশ করে আমরা অনেকেই নামকরা বিভিন্ন private university' র teacher হয়েছিলাম। এর মধ্যে আছে Ahsanullah University, Stamford University etc. অন্যান্য university' র কথা না হয় বাদই দিলাম। এইসব university এত পুরানো হওয়া সত্বেও আজ পর্যন্ত কোন private university' র student এম.আই.এস.টি' র teacher হতে পারে নাই।(কোন দিন পারবে বলে মনেও হয় না। কারণ এম.আই.এস.টি বুয়েট এর মত নিজেদের student দের উপর আস্থা রাখে এবং নিজেদের student দের কেই teacher বানায়) কিন্তু এম.আই.এস.টি' র বয়স অত্যন্ত কম হও্য়ার পরেও এইখান কার student রা ঠিকই পাশ করার পরে তাদের প্রতিভার সাক্ষর রাখতে পারছে।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:১৫

অহরিত বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।আসলে ভাইয়া আমিও মাঝে মাঝে বুঝিনা এম.আই.এস.টি না চিন্তে পারার কারণ কি!
আর এইটা আমাদের গর্ব যে আপনার মত অনেক সিনিয়র ভাইয়া একটি নতুন ইউনি থেকে বের হয়ে অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছেন।
আবারো আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া।

১৯| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ ভোর ৫:২৯

।। নাইম মাহমুদ ।। বলেছেন: আমি প্রথম ব্লগার কে বলছি, আপনি হয়ত অনেক দিন academia ' র সাথে জড়িত না। এর জন্যেই এম.আই.এস.টি' র নাম শুনেন নাই। বুয়েট এর একজন প্রফেসর কে গিয়ে জিগ্গেস করেন। তাহলে জানতে পারবেন এম.আই.এস.টি কেমন।

২০| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৪০

দিশাহারা ওমর সোলাইমান বলেছেন:
হ্যা সে জন্যই এই কদিন আগে বার্মার সামরিক জান্তা এবং বানিজ্য উপদেষ্টা (আলাদা দিনে) আগমন উপলক্ষে ইউনি ছাত্র শুন্য ছিলো।

জিপিএ ৫ পেয়ে ভর্তি হওয়া এবং পাশ করার পর আহসান উল্লাহতে শিক্ষক হওয়াই সাফল্যের লক্ষন না।

আপনারা খুব একটা নতুন ইন্সটিটিউট নন। ২০০০ সাল থেকেই কয়েকটা ব্যাচ শুরু হয়েছিলো।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১:৩২

অহরিত বলেছেন: "২০০০ সাল থেকেই কয়েকটা ব্যাচ শুরু হয়েছিলো।"
দিশাহারা আবার আরেকটি ভুল তথ্য।২০০০ নয় ২০০২।

"জিপিএ ৫ পেয়ে ভর্তি হওয়া এবং পাশ করার পর আহসান উল্লাহতে শিক্ষক হওয়াই সাফল্যের লক্ষন না"

সাফল্যের লক্ষন----এজাতীয় কথা কেউ বলছেনা।আপনি ছাত্র মানের কথা বলেছেন,আপনাকে শুধু বলে দিলাম কোথায় ভাল রেসাল্ট করা ছাত্র/ছাত্রী পড়ে।

"হ্যা সে জন্যই এই কদিন আগে বার্মার সামরিক জান্তা এবং বানিজ্য উপদেষ্টা (আলাদা দিনে) আগমন উপলক্ষে ইউনি ছাত্র শুন্য ছিলো"

ভাই এইসব ভুয়া তথ্য কেন দিচ্ছেন জানিনা।বার্মার সামরিক জান্তা আসার জন্য ইউনি ছাত্রশূন্য হয়নাই।আমি সেদিন নিজে ক্লাস করেছি এবং আমাদের ক্লাস শেষ হওয়ার পর উনারা এসেছিলেন।উনার নিরাপত্তার জন্য আমরা অন্য gate দিয়ে বের হয়েছিলাম।
আপনার ভুয়া কথাবার্তার কারন জানতে পারলে ভাল হত।কি বুঝাতে চাচ্ছেন জানিনা।কথা বলার আগে একটু রেফারেন্স দিলে ভাল হবে।আজাইরা আজেবাজে কথা বলে মুর্খ।আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে আপনি এইখানে পড়ার সুযোগ পান নাই(খুব স্বাভাবিক ব্যাপার।অনেকেই পায়না) বা কেউ এখানকার আপনাকে কিছু বলছে।নাহলে এমন উলটপালট কথা কেন বলছেন জানিনা।

২১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৪৬

দিশাহারা ওমর সোলাইমান বলেছেন:
নাইম সাহেবের বলেছেন:
আমি বাইরে আসার পর দেখলাম এইখানের প্রফেসর এবং অনেক বাঙালি এম.আই.এস.টি খুব ভাল ভাবেই চিনে। অতএব যারা দেশে বোসে এম.আই.এস.টি চিনে না এটা তাদেরই discredit.

--------------------------

ঠিক বলেছেন। লোকজন কেন এমআইএসটি চেনে না তার উপযুক্ত শাস্তি দাবী কর্ছি।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ২:০৪

অহরিত বলেছেন: দিশাহারা কথার আর কি জবাব দেব??মাথা কি বেশি গরম হয়ে গেল??যুক্তি দিয়ে কথা বলেন ভাই?

২২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৫৩

দিশাহারা ওমর সোলাইমান বলেছেন:
১০ না হয়ে মনে হয় ১০০ হবে। যাই হোক উত্তর হলো,এই সার্ভার ক্যান্টঃ এর নিজস্ব।
-------------------
১০ এমবি ইউস হয়। ১০০ না। সার্ভার নিজস্ব হইলে তা কেমনে উত্তর হইলো বুজলাম না।


---------------------------------------------------
ঢাকা ইউনি গিয়া দেইখা আসেন বাংলাদেশের সত্যিকারের মেধাবী ছাত্রের দল কি ভাবে আছে। তাগো হলের অবস্থা।

তাগো মানবেতর ছাত্র জীবনের সাথে প্রতারনা কইরা সরকারী টাকায় আপনাগো দশতালা আলিশান বিল্ডিং করা নির্লজ্জ সামরিক বাহিনীর পক্ষেই সম্ভব।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ২:০২

অহরিত বলেছেন: "তাগো মানবেতর ছাত্র জীবনের সাথে প্রতারনা কইরা সরকারী টাকায় আপনাগো দশতালা আলিশান বিল্ডিং করা নির্লজ্জ সামরিক বাহিনীর পক্ষেই সম্ভব"
দিশাহারা ফালতু কথা।সেনাবাহিনী আমার না,আমি সেনাবাহিনী এর গড়ে তোলা একটি প্রতিষ্ঠানে আছি মাত্র।ঢাকা ভার্সিটি আমাদের গর্ব।কিন্তু সেখানকার প্রশাসন কিভাবে চলছে এটা ভাবলে অনেক খারাপ লাগে।আমি বিশ্বাস করি ঢাবি এখনো বাইরের মানুষ অনেক বেশি চিনে দেশের অন্য ইউনি থেকে।আজ ছাত্রদের যে মানবেতর দশা এর জন্য আপনি প্রশাসন কে দায়ি করেন।আমি বা সেনাবাহিনী তো ঢাবি এর বার্ষিক বাজেট কমায় দেয়নাই।নাকি আপনি দাবি করেন আমরা মিলে ঢাবি এর টাকা মেরে দিচ্ছি??
মানবেতর ছাত্র জীবন বলতে যদি আপনি হল জীবন বলতে চান,আপনার বিশেষ অবগতির জন্য বলছি আমাদের হল নতুন তাই দেখতে সুন্দর লাগে হয়ত।কিন্তু এখনো হল সরকারীকরণ না হওয়ায় কর্মচারি এর বেতন,Maintenance
এইসবের জন্য আমাদের টাকা দিতে হয়(৮০০/১৬০০)।তাই কিছু ভাল সুবিধা আমরা পাই।আপনি না জেনে মূর্খের মত কথা বলছেন।সব জেনে তারপর কথা বলতে আসেন।
"১০ এমবি ইউস হয়। ১০০ না। সার্ভার নিজস্ব হইলে তা কেমনে উত্তর হইলো বুজলাম না।"আমি সি.এস.ই নিয়ে পড়তে পারিনি।হল এও থাকিনা।তাই এই ব্যাপারে সঠিক জানিনা।১০/১০০ এর ব্যাপারে নিশ্চিত বলতে পারবোনা তাই।সার্ভার নিজের থাকতে পারেনা নাকি ভাই?এইটা কেমন দিশেহারা কথা???
"ঢাকা ইউনি গিয়া দেইখা আসেন বাংলাদেশের সত্যিকারের মেধাবী ছাত্রের দল কি ভাবে আছে।"আপনি তো ভাই দেখি এখন ঢাকা ইউনি এর পিছে লাগছেন।ওইখানেও পড়তে পারেননাই নাকি??এবং সত্যিকারের মেধাবী দিয়ে কি বুঝালেন বুঝ্লামনা।আমরা কি তাহলে মিথ্যাকারের মেধাবী নাকি?এম.আই.এস.টি এই বছর ২০০০+(যারা প্রত্যেকে ৫.০ গ্রেড নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে) পরীক্ষা দিয়ে ২০৩ জন যারা টিকলো তারা কি তাহলে ভুয়া মেধাবী?

২৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:২৮

হাসিব বলেছেন: মাদ্রাসাওয়ালাগো পরে হাটুরা ইনভার্সিটি বানাইতেছে এইটা খুবি ভালো কথা ।
নাইম্রে বর্ষসেরা জোকার হিসাবে নমিনেতেদ করা হৌখ ।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ২:০৯

অহরিত বলেছেন: বানান ভুলে ভরা আপনার কমেন্ট দেখে মনে হচ্ছে প্রতি বছর আপনি "বর্ষসেরা জোকার" হিসেবে নমিনেটেড না নির্বাচিত হোন।
আর মাদ্রাসাওয়ালা ইউনি বানাইছে এমন শুনিনাই এখনো।একটু নামটা বলেন শুনি সেটা আবার কোনটা...

২৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ২:১৪

অচেনা সৈকত বলেছেন: খামোখা একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পেছনে লাগা কি উচিত হচ্ছে? সেনাবাহিনী বাংলাদেশের সবচেয়ে সুবিধাভোগী শ্রেণী। এমআইএসটি অথবা আর্মি মেডিক্যালের বাৎসরিক বাজেট আমি জানি না। তবে সেটা অনেক পাবলিক ইউনির থেকে বেশী হলে অবাক হব না। কিন্তু সেজন্য তো আর এই ব্লগার দায়ী নন। উনি কেন আক্রমনের শিকার?

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ২:৪৮

অহরিত বলেছেন: " সেনাবাহিনী বাংলাদেশের সবচেয়ে সুবিধাভোগী শ্রেণী"--স্যার এই মন্তব্য এর ব্যাপারে একমত।এটা আমারো ভাল লাগেনা।
"এমআইএসটি অথবা আর্মি মেডিক্যালের বাৎসরিক বাজেট আমি জানি না।তবে সেটা অনেক পাবলিক ইউনির থেকে বেশী হলে অবাক হব না" তবে স্যার এ ব্যাপারটা আমার সঠিক জানা নাই।আমাদের এই বাজেট Section এর যিনি দায়িত্বে ছিলেন উনি যে বাজেট আমরা পাই বলেছিলেন তা অনেক কম আপনাদের বা ঢাবি এর তুলনায়(যেহেতু ছাত্র সংখ্যাও অনেক কম)।সরকার খুব বেশি এখনো টাকা দিচ্ছেনা বিধায় আমাদের এখনো মোট ৩০-৫০ হাজার টাকা(থিসিস,বই, এইচ.এস.সি এর স্কলারশিপ বাদ রেখে ) দিতে হয় আট টার্মে।পূর্ণ অনুদান পাওয়া এখনো আমরা শুরু করিনি।
"সেজন্য তো আর এই ব্লগার দায়ী নন। উনি কেন আক্রমনের শিকার? "
স্যার এম.আই.এস.টি ভর্তি হওয়ার পর থেকে এমন অনেক আজেবাজে কথা শুনে শুনে অভ্যস্ত।আমি আমার সাফল্য অর্জন করলেই তো হয়।একদিন মানুষই বলবে কোনটা কেমন।দয়া করবেন স্যার যেন ভাল কিছু করতে পারি।

২৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ২:৩০

অহরিত বলেছেন: অপ্রাসংগিক মন্তব্য মুছে ফেলেছি।দিশাহারা ভাই দয়া করে যুক্তি দিয়ে এই বিষয়ে কথা বলতে চাইলে বলেন।নাহলে আপনার ভিত্তিহীন কথার জবাব দিতে ভাল লাগছেনা।এরপর কিছু বলতে চাইলে সঠিক জেনে এসে কথা বলেন।
আশা করি আপনি যথেষ্ট শিক্ষিত এটুকু বুঝার মত যে এখানে কেউ ইউনি নিয়ে তুলনা করছেনা।আমি আমার স্মৃতি নিয়ে কথা বলছি।আপনার ভিত্তিহীন,দিশাহারা কথা অন্য কাউকে বলেন,এখানে নয়।নাহলে আপনাকে ব্লক করতে কার্পন্য করবোনা।
আপনার হিংসামূলক এবং অন্য ইউনি নিয়ে আজেবাজে কথা(একটু খেয়াল করুন কোন ইউনির কি অবস্থা এই ব্যাপারে এমন একটি কথাও আমি বলিনি।আর কার কি দূর্বলতা এটা বলার খুব দরকার ছিলনা এমন একটি আত্মকথামূলক পোস্টে।) বলায় এমন মন্তব্য করলাম।নাহলে নিশ্চিত থাকেন আপনি আমি একই দেশে জন্ম নেয়া দুই ভাই ছাড়া আর কিছুই নই।

২৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ২:৩১

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: এগিয়ে থাকতে চাইলে ঢাকায় থাকো কথাটা বহু বার শোনা হয়েছে। সত্য হলেও ঢাকায় পড়া আর মফস্বলে পড়া ছেলের জানা শোনার পরিধির তফাৎ টা প্রকট থাকে। দেশের বাইরে যেতে চাইলে পাবলিকের আশ্রয় নেয়া ভাল পুরনো গ্রাজুয়েটরা তাদের প্রতিষ্ঠানের খ্যাতি করে দেয় পৃথিবীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। তারপরেও ভাল টোফেল স্কোর, ক্লাশে শীর্ষ অবস্থান আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিষয়টি বিদেশে আমলে আনবেনা। দেশে থাকতে চাইলে পাবলিকের কদর বেশি আজও। তবে কর্পোরেটদের অবস্থান পোক্ত হয়ে ওঠায় প্রাইভেটে তড়িৎকৌশল পাশ কিন্তু ব্যবসা প্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারীরা আজ অপ্রতিদন্দ্বী। শুভ কামনা।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৩:০৩

অহরিত বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মূল্যবান কমেন্ট এর জন্য।
"ভাল টোফেল স্কোর, ক্লাশে শীর্ষ অবস্থান আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিষয়টি বিদেশে আমলে আনবেনা"--খুবই সত্যি কথা।আমার কিছু ভাল ভাল বন্ধু এখন প্রাইভেটে পড়ছে।আমি বিশ্বাস করি এদের অনেকেই ইনশা'ল্লাহ অনেক ভাল কিছু করবে জীবনে।যেমন গুগলে কর্মরত জাহিদ সবুর প্রাইভেটে পড়তেন।এমন উদাহরণ আরো অনেক।আমি বা আমার মত যারা অন্যরা পাবলিক এ আছি তাদের কয়জন এতো ভাল জায়গায় যেতে পারবে?
আপনাকেও অনেক শুভ কামনা ভাইয়া।

২৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৩:৩৬

আতিকুল হক বলেছেন: এম আই এস টি অবশ্যই সব প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির চেয়ে ভালো হবে। কারন এর যতটা শক্তিশালি অবকাঠামো আছে তা প্রাইভেট ইউনিতে কল্পনাই করা যায় না। আমার ইভালুয়েশন হচ্ছে এটা সহজেই একটা এভারেজ ইউনিভার্সিটি হবে, কিন্তু খুব ভালো কখনোই হবে না। কারন মিলিটারি এডমিনিস্ট্রেশনের কিছু অন্তর্নিহিত দূর্বলতা আছে।

একটা নতুন ইউনি হলো অবশ্যই ভালো কথা। কিন্তু ক্যাডেট কলেজের যেমন পক্ষ-বিপক্ষ আছে এম আই এস টি'র ব্যাপারেও তাই উঠতে পারে।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:১৭

অহরিত বলেছেন: কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ।
"আমার ইভালুয়েশন হচ্ছে এটা সহজেই একটা এভারেজ ইউনিভার্সিটি হবে, কিন্তু খুব ভালো কখনোই হবে না"
আমি এ ব্যাপারটায় পুরোপুরি একমত নই।আমি জানিনা ভবিষ্যতে কি হবে!কিন্তু বর্তমানে যারা H.Sc পাশ করে বের হচ্ছে তারা বুয়েট না হলে(বা ভাল বিষয় না পেলে) আই.ইউ.টি কিংবা এম.আই.এস.টি তে ভর্তি হচ্ছে আমার দেখা অনুযায়ী।নাহলে আমার সময় যখন মাত্র ৪.৫ হলে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারত এখন ৫ গ্রেড নিয়েও তা পারেনা।তবে এটা অবশ্যই আমার দেখা অনুযায়ী।তার মধ্যে এখানে নতুন এবং দেশে প্রথম কোথাও Aeronautical Engineering খোলা হয়েছে।তাই হয়ত এটা অনেক উন্নতি করবে।এর আরেকটা কারন এখুনি বলছি।
আপনি বলেছেন " মিলিটারি এডমিনিস্ট্রেশনের কিছু অন্তর্নিহিত দূর্বলতা আছে।" খুবই একমত কিন্তু ব্যাপার হল আমাদের এখানে কিন্তু অনেক সিভিল স্যার ও আছেন Permanent হিসেবে।যেদিন আমাদের অনেক ব্যাচ বের হবে,সেদিন এডমিনিস্ট্রেশনে সিভিলিয়ান এর আধিক্য থাকবে।নতুন বলে এহেন এডমিনিস্ট্রেটিভ সমস্যা হচ্ছে।

২৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সকাল ৯:৪৫

দিশাহারা ওমর সোলাইমান বলেছেন:
এম.আই.এস.টি এই বছর ২০০০+(যারা প্রত্যেকে ৫.০ গ্রেড নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে) পরীক্ষা দিয়ে ২০৩ জন যারা টিকলো তারা কি তাহলে ভুয়া মেধাবী?
-----------------------------------
আবারও বলছি ৫ গ্রেড নিয়ে ভর্তি হইলেই ইউনি মানসম্মত হয় না।



দিশাহারা আবার আরেকটি ভুল তথ্য।২০০০ নয় ২০০২।
------------------------------------
২০০০ সাল থেকে সিএসই, আর ১৯৯৮ থেকে সিভিল শুরু হইছে।গিয়া জিগ্গাস কইরা আইসেন।


০৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৩৪

অহরিত বলেছেন: "আবারও বলছি ৫ গ্রেড নিয়ে ভর্তি হইলেই ইউনি মানসম্মত হয় না। "
আপনি আবার এক কথা বলেন নাই।এইবার আপনি মানের কথা বললেন আর আগে সাফল্যের কথা বলছেন।
যাই হোক এই কথা আমি কখনোই বলিনাই ভাই যে আমাদেরটা অনেক মানসম্মত।আপনি সত্যিকার মেধাবী এর কথা বললেন আর আমি আমাদের এইখানে কারা ভর্তি হতে পারে তাদের একটা ছোট্ট পরিচয় দিলাম।ভাই আমাদের দেশে কয়টা মানসম্মত ইউনি আছে বলেন দেখি?একটা ইউনি দেখান যেখানে কোন সমস্যা নাই।কারো কম কারো বেশি।আপনি বি.আই.টি এর সাথে তুলনা করলেন এখানেই আপত্তি।আমি শু্ধু এটাই বলতে চাইলাম,কোথায় ভাল ফলাফল অধিকারিরা বেশি যায়।
"২০০০ সাল থেকে সিএসই, আর ১৯৯৮ থেকে সিভিল শুরু হইছে।গিয়া জিগ্গাস কইরা আইসেন।"
ভাই আপনি গ্রেট ম্যান।এমন দিশাহারা তথ্য কোথায় পান?১৯৯৮ সালে যে বিভাগ শুরু হয়েছিল ওটায় কোন সাধারণ ছাত্র পড়তোনা।সব ছিল মিলিটারি।আসল ভর্তি শুরু হয় ২০০২ থেকে।তখন থেকে সিভিলিয়ান ছাত্র নেয়া শুরু হয়।এর জন্য আমার না আপনি পারলে আমাদের ওয়েবসাইট দেখে আসেন।সঠিক তথ্য পেয়ে যাবেন।দিশাহারা তথ্য দিয়েন না।

২৯| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:০২

।। নাইম মাহমুদ ।। বলেছেন: আসলে আমার মনে হয় না এইভাবে ব্লগের মাধ্যমে তুমি এম.আই.এস.টি'র নাম মানুষ কে জানাতে পারবে। আর আমি এটাও বুঝলাম না তুমি কেন শুধু শুধু fight করে যাচ্ছো? এম.আই.এস.টি'র নাম প্রতিষ্ঠা করার জন্য fight করার কিছু নাই।

আজকে যারা নেগেটিভ কথা বলে যাচ্ছে এম.আই.এস.টি'র নামে ঠিক দশ/পনের বছর পরে তারাই তাদের ভাই/বোন/ছেলে/মেয়ে কে এম.আই.এস.টি তে ভর্তির জন্য পাগলে'র মত চেষ্টা করবে। হয়ত চান্স না পাওয়া তে হতাশ হয়ে তখন private university 'তে ভর্তি করবে।

আমি জানি আমার এই লেখা পরে আবার কেউ কেউ আমাকে "বর্ষসেরা জোকার" উপাধি দিতে চাবে। কিন্তু দশ/পনের বছর পরে আপনার ভাই/বোন/ছেলে/মেয়ে যখন অনেক চেষ্টা করেও এম.আই.এস.টি তে ভর্তি করাতে পারবেন না, please তখন আবার মন খারাপ করবেন না যেন।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৩:৩২

অহরিত বলেছেন: আসলে ভাইয়া আমার মনে হয়েছিল এমআইএসটি জীবন নিয়ে কিছু লিখি।দিশাহারা ভাইয়ের মত কেউ এমন আত্নহারা কমেন্ট করবে তা ভাবিনাই।এমন মিথ্যা কথা কি করে প্রতিবাদ না করি বলেন??

৩০| ১৭ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৯:৩৯

নাজিম উদদীন বলেছেন: এমআইএসটি কি এবার জানলাম।

১৮ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১২:৩৫

অহরিত বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১২:৪৮

ফারহান দাউদ বলেছেন: দিশাহারা গাধাটার সমস্যা হইলো,নিজের বাড়ির ঠিক নাই অন্যের ঘর নিয়া টানাটানি করে। রাস্তার বখাইটা পোলা নিজে কোনদিন কি পড়সে নিজেই জানে না,এই লাইগা অন্যরে নিয়া কথা কইতে বাধে না। সবার কথায় কান দিতে নাই ভাইডি,খামোকা টাইম নষ্ট না কইরা এইসব গরু-ছাগলরে ইগনোর করা বুদ্ধিমানের কাজ,নর্দমায় নামলে নিজের হাত-পা নোংরা হয়।

২০ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৪:৫৬

অহরিত বলেছেন: কথা সত্য বলছেন ভাই।ধন্যবাদ ভাইয়া।

৩২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১:৫০

ধ্রুবমেঘ বলেছেন: লেখক'কে বেহুদা আক্রমণ করাটা খুব খারাপ লাগলো। এম,আই,এস,টি তে কখনো যাওয়া হয় নাই। ক্যাম্পাস বেশ সুন্দর শুনেছি। সিভিলিয়ান'রা কী সবসময় ঢুকতে পারে?

যেতে হবে একবার।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৩৯

অহরিত বলেছেন: হা হা!
দুবছর আগের ঘটনা, তখন কেন নিজের ইউনি নিয়ে নেগেটিভ কিছু বললেই এগিয়ে যেতাম যুদ্ধ করতে।এখন আর তেমন ইচ্ছা হয়না।চাকরী জীবনে এসে একটা জিনিস ভালোই শিখেছি।তা হলো ইউনি কোন ফ্যাক্ট করেনা বেশিরভাগ সময়।আর কে কি বললো তা দিয়ে কারো কিছু যায় আসেনা।

সিভিলিয়ানরা সবসময় ঢুকতে পারবে ভাই।এখানে ছাত্র ছাত্রী বেশিরভাগই সিভিলিয়ান।কিছু মিলিটারী স্টুডেন্ট আমাদের সাথে থাকেন এই আর কি!

৩৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:১০

আসমান বলেছেন: ভাইয়া আমিও কিন্তু এম আই এস টি এর স্টুডেন্ট। আপনার ব্লগ টা দেখে ভাল লাগ্লো :)

৩৪| ১৫ ই জুন, ২০১১ রাত ১০:৫৫

রিয়েল ডেমোন বলেছেন: আপনার সবগুলো লেখা আস্তে আস্তে পড়ছি। ভালো লাগছে। আর নিয়মিত লেখেন না বিধায় রাগ হচ্ছে। নিয়মিত লিখে যান ভাইয়া। ভালো কিছু গল্প চাই :) আপনার কাছে এক্সপেক্টেশন অনেক :)

১৫ ই জুন, ২০১১ রাত ১১:৩৫

অহরিত বলেছেন: প্রিয় ব্লগার ধন্যবাদ। সময় করতে পারিনা খুব বেশি।সারাদিন অফিসের ধকল শেষে কিছু টাইপ করার মত এনার্জী থাকেনা।তবুও চেষ্টা করি কিছু লিখতে।

৩৫| ১৫ ই জুন, ২০১১ রাত ১১:৫৫

পুবের পাহাড় বলেছেন: আমার এক বন্ধু MIST তে Aeronautical Engineering পড়ছে.. ওর মুখে MIST এর গল্প শুনতে খুব ভাল লাগে! এখন MIST, IUT, KUET এই প্রতিষ্ঠানগুলো বুয়েট থেকে কোন অংশে পিছিয়ে নেই...

১৬ ই জুন, ২০১১ রাত ১০:০৯

অহরিত বলেছেন: পিছিয়ে আছে শুধু মানুষের চিন্তাধারা...

প্রিয় ব্লগার ধন্যবাদ।

৩৬| ১৬ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:১৮

শান্তি প্রিয় মানুষ বলেছেন: ভাই,খুয়েট (KHUET) না....কুয়েট (KUET)

আমাদের কারো উচিত না এই সব বিষয় নিয়ে তর্ক করা । ভালো খারাপ সব জায়গাতেই আছে । আমি কুয়েটে পড়েছি, So অন্য Institution কে খারাপ বলব অথবা সব সময় পিছনে লেগে থাকব সেটা খুব খারাপ।

আমি আশা করি নতুন আরও ৫ টা Engineering University হোক । আমরা সবাই ভালো করবো । এটাই আমাদের প্রত্যাশা ।

আমি যতদুর দেখেছি আমাদের দেশের ছেলেরা দেশের বাইরে গিয়ে সবাই ভালো করে । আমাদের উন্নতি করার জন্য ভালো Research করা দরকার । আমাদের দেশে Research এর জন্য কোনো Invest হয়না । আমাদের University গুলোতে যদি সরকার ভালোভাবে Research এর জন্য Invest করত তাহলে আমাদের University গুলোর মান আরো ভালো হত।

আসুন আমরা এই সব বিষয় নিয়ে কথা বলি । আজেবাজে তর্ক না করি ।

১৬ ই জুন, ২০১১ রাত ১০:০৯

অহরিত বলেছেন: প্রিয় ব্লগার সুন্দর কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ।

৩৭| ১৫ ই জুন, ২০১২ দুপুর ১২:২৩

জানালার বাইরে বলেছেন: এএফএমসি তে। এমআইএসটির সিস্টার ;)

১৫ ই জুন, ২০১২ রাত ৯:৫৩

অহরিত বলেছেন: :)

৩৮| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৩৬

রিতুন ক্লিস বলেছেন: শুনেছিলাম সেনাসদস্যদের সন্তান এখানে ভর্তি হতে একটু বাড়তি সুযোগ পায়, আসলেই কি পায়?

৩৯| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৩৭

রিতুন ক্লিস বলেছেন: শুনেছিলাম সেনাসদস্যদের সন্তান এখানে ভর্তি হতে একটু বাড়তি সুযোগ পায়, আসলেই কি পায়?

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৩:০৯

অহরিত বলেছেন: মিলিটারী সন্তানদের জন্য ছোট্ট একটা কোটা আছে।এইটুকু সুবিধাই পায়।

৪০| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৯:০৫

সুদীপ্ত কর বলেছেন: এমআইএসটির পরিবেশটা চমৎকার। ফর্ম কিনেছিলাম। পরীক্ষার আগের দিন মনে হলো এত নিয়মকানুন মেনে চলা আমাকে দিয়ে হবেনা তাই আর পরীক্ষা দেইনি /:)

আপনি আছেন কেমন? গল্প চাই নতুন।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১২:০৯

অহরিত বলেছেন: অনেক নিয়মকানুন, কিন্তু এতো অবাধ হাওয়া আর কোথায় পাবো!

সময় পাচ্ছিনা, কিছু একটা লিখার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছি।তা মনে আসছে হাতে আসছেনা।বানিয়ে লেখার আবার অভ্যাস নেই।

৪১| ০৩ রা মে, ২০১৩ বিকাল ৪:১৪

রিতুন ক্লিস বলেছেন: আমি এখন এই ছোট্ট ভার্সিটিটার ছাত্র :)

৪২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৬

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: সিট মাত্র ১০০ টা??????!!!!!!!!!!!!!

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪২

অহরিত বলেছেন: এখন আরো বেশি।কত বলতে পারছিনা সঠিকভাবে।

৪৩| ১০ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:২০

আমি তুমি আমরা বলেছেন: আপনার স্মৃতিকথার প্রথম পর্বটা পড়লাম। পরের আর একটা পর্ব লিখেছেন দেখলাম, ওটাও পড়ার ইচ্ছা আছে।

এরপর কি আর কোন পর্ব লিখেছিলেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.