নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অর্ক

অহরিত

কিছু বলার নেই।

অহরিত › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই লেখাটি আপনাদের নজরে না এনে পারলাম না!!কেউ কি একবার জিজ্ঞেস করেছেন ১৬৮ আর্মি আর তাদের পরিবার কোথায় গেল??

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৪:১৮

কিছুক্ষণ আগে এই লিখাটি অন্য এক ব্লগে চোখে পড়লো।পড়ার সময় বেশ কষ্ট লেগেছে।দেশের এই অবস্থায় একজন অফিসার কি বলেছে তা আপনাদের হয়তো একবার শোনা দরকার।বড় কষ্টের সাথে লিখেছে সেই অফিসার।আমাকেও তাই খুব ছুঁয়ে গেছে লেখাটি।



"ফিনিক্স ভবণ ধ্বসে পড়ল, গার্মেন্টসে আগুন লাগলো, লোকজন পানির অভাবে বিদ্রোহ করল, সিডর হল ,বন্যা হল, ভোটার লিস্ট হলো ……রাত নেই, দিন নেই, ঘুম নেই, নিজের পকেট থেকে মোবাইল বিল দিয়ে কাজ করেছি। আমি অফিসার, ৫০০/১০০ টাকা মোবাইল বিল চাওয়া আমার জন্য লজ্জার ব্যাপার। মাস শেষে ব্যাঙ্কে ওডি লেগেই আছে, বাবার নীরব অভিযোগ, ভাই বোনের অভিযোগ, আর্মি অফিসার অথচ ফ্যামিলিকে কোন সাপোর্ট দিতে পারে না। বুঝিয়েছি, সবাই মেনেও নিয়েছে। শুধু বলেছে, সম্মানের সাথে চাকরি কর, টাকা পয়সাই সব কিছু না।



কিন্তু আজকে যখন বাড়ি থেকে ফোন পেলাম…সবার একটাই কথা, বাবা সাবধানে থাকিস, তোর চাকরির দরকার নাই। আমরা তোকে হারাতে চাই না। কয়দিন পর যে বেওয়ারিশ লাশ হয়ে তোকেও ফেলে রাখবে না তার তো কোন নিশ্চয়তা নেই। নিরব হয়ে থাকলাম, ভালো লাগছে না বলে ফোন টা রেখে দিলাম।



মেজর মোশারফ স্যার এর চেহারাটা চোখের সামনে ভাসতে লাগলো, কিছুদিন আগেই কুয়েত থেকে ঢাকায় গিয়েছেন। আর তারেক স্যারকে, পাঠানো গতকাল এর লাস্ট এসএমএস…my 13 years service went in vain bro, they r taking me in the gun pit…….pl pray for my family…………



মাজহার ভাই এর চেহারাটা ,লাস্ট রি-ইউনিওয়নে দেখা হায়দার ভাই এর চেহারাটা চোখের সামনে ভাসছে। যাকে দেখে আমি আক্ষেপ করতাম আর ইর্ষা ছিল, আমাকে কেন আল্লাহ হায়দার ভাই এর মত লম্বা বানায় নাই। তাইলেইতো উনার লং-জাম্পের রেকর্ডটা আমি ভাংতে পারতাম। এমন কোন খেলা নেই যেইটা ভাল খেলতেন না, মাজহার ভাই ,হায়দার ভাই, দুজনেই।



প্রতিটি মিডিয়াতে শুধু জওয়ানদের বিজয় গাথা আর টক-শো’তে আর্মির গোষ্ঠী উদ্ধারের সাথে সাথে কফির গরম চুমুকে দেশ যেনো উৎসবে মাতোয়ারা। আর আমরা সবাই মিলে টিভি সেটের সামনে প্রশ্ন করছি…১৬৮ জন অফিসার এর কি হলো, কেউ কেন তাদের লাশগুলোকে খুজে বের করার কোন কথা বলছে না? সবার কথা একটাই আমাদের জনগনের টাকায় পোষা আর্মি, এইটা দু;খজনক, এর বেশি কিছু না। তাদের ফ্যামিলির কি খবর? তাদের লাশগুলোর কি হলো? কারো কোন ভ্রুক্ষেপ নেই, করবে কেন?আমরা তো জনগনের দাস। মানুষ না, আমরা আর্মি, আমদের টাকাতো raw, cia, isr দেয়না, কাজেই আমাদেরকে যে যখন চাইবে নিজের কাজে টিস্যু পেপার এর মত যতেচ্ছ ব্যবহার করবে তারপর ছুড়ে ফেলদিবে যত্র তত্র।



ভুক্তভোগী আমদের বাবা, মা, আমদের সন্তান, বউ………তাতে কি আসে যায়?

গত দুই দিনে মিডিয়াতে গরম কফির চুমুকের সাথে তুমুল আড্ডা জমে ঊঠেছে। অপারেশন ডাল ভাত এর কাহিনী, তত্বাবধায়ক সরকারের কাহিনী কত কি! কেউ বলছে না ১৬৮ জন অফিসারকে তাদের পরিবারগুলাকে কিভাবে উদ্ধার করা যায়? লাবলু ভাই, শওকত ভাই- আপনাদের মাধ্যমে প্রশ্ন … আপনারা মিডিয়ার লোকেরা না এত মানবাধিকার আর দেশ প্রেমের কথা বলেন? আমরা কি এর বাইরে? মানলাম আমরা বাইরে? কিন্তু আমাদের পরিবারগুলোও কি বাইরে? সাংবাদিক গোলাম মোর্তজা থেকে শুরু করে সবার একই বয়ান………প্রধানমন্ত্রী’র কথা মত বিডিআর এর লোকজন আত্মসমঅর্পন করেছেন। কিন্তু সেনাবাহিনীর অবস্থান আর বিডিআর সদস্যদের কি হবে এই নিয়ে সবাই বেশ উৎসুক, কিন্তু ১৬৮ জনের লাশ কোথায়, তাদের পরিবারের কি হলো এ-নিয়ে কেউ একবারও বলে নি। অদ্ভুত এই জাতি! অকৃতজ্ঞ এই জাতি। আর তাই ৭১ এর যুদ্ধ অপরাধী থেকে শুরু করে ৭৫ এবং অদ্যাবধি ঘটে যাওয়া কোন অপরাধের কোন বিচার হয়নি আজো এবং কোন দিনও হবে না।



আমরাতো আর্মি। কসম খেয়েছি জল, স্থল অন্তরীক্ষে যেখানে যাইবার আদেশ হইবে সেইখানে যাইতে বাধ্য থাকিব……তাই আমাদেরকে দিয়ে হাল চাষ,গবাদি পালন, সবজি চাষ, ত্রাণ বিতরণ , দেশকে সঙ্ঘাত আর হাত থেকে রক্ষা করা, দোকানদারি করা, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রন, পানি বিতরণ, উদ্ধার অভিযান, বন্যা, খরা, সিডর আরও কত কি করতে হবে……তারপরো বলবেন আপনারা……আর্মি জনগনের টাকায় ফুলে ফেপে উঠছে। ওরা অমানুষ।



আসলেই আমরা অমানুষ নইলে আমাদেরকে যা বলবে তাই করব কেন? আর বিনিময়ে শুধু গালি, লাথি আর মৃত্যু…



কিন্তু আমার কথা হলো আপনারা সব সময় গোয়েন্দা সংস্থাকে জড়িয়ে আমাদের সবাইকে অপবাদ দেন। আমাদেরকে কি আপনারাই নিয়ে যাননা? আপনারাই কি সরকার বদলের সাথে সাথে আমাদের চাকরিতে রদবদল করেন না, আর আমাদের সিনিয়রদের প্রোমোশন এর আর জুজুর ভয় দেখিয়ে আপনারাই তথা আমলা বুদ্ধিজীবিরাইতো নিয়ন্ত্রন করেন? ১/১১ এর মত পরিস্থিতি কি শুধু আর্মির একক প্রচেষ্টায় হয়েছে? raw,CIA er টাকায় পালিত সাংবাদিক বুদ্ধিজীবি, পত্রিকার সম্পাদক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অর্থনিতিবিদ এদের কি ভুমিকা ছিলনা? এইটা একটা বাচ্চা কিংবা অবোধ শিশুও বুঝবে। আমরা তো অনেক অশিক্ষিত। তাই আমাদেরকে দিয়ে যা খুশি করিয়ে নেন আপনারা। কিন্তু শেষতক আমাদেরকেই গালি শুনতে হয়।



এইটা সত্য যে আমাদের মধ্য থেকে হাতে গোনা কিছু মানুষের অনেক ফায়দা হয়। আর ভুক্তভোগী আমাদের মত সাধারণরা যারা সেলফ মোটিভেটেড হয়ে কলুর বলদের মত খেটে যাই?



আজ দুদিন ধরে শুধু একটাই আলোচনা অপারেশন ডাল-ভাত আর আর্মি অফিসারদের দূর্নীতি। বিডি আর কি কোনভাবে আর্মির নিন্ত্রনাধীন? ওখানে অফিসাররা শুধু পোস্টেড হয়। আর স্বারাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের আদেশ নির্দেশ কিংবা খাদ্য মন্ত্রনালয়ের নিয়ন্ত্রন ছাড়া কি অপারেশন ডাল ভাত হয়েছে? সেখানে যদি দূর্নীতি হয়ে থাকে তার দায়ভার এককভাবে আর্মি অফিসারদের ঘাড়ে কেন বর্তাবে? আর দূর্নীতি হয়ে থাকলে তার মূল্য কি ১৬৮ জন অফিসার এর জীবন আর তদের পরিবারের বিনিময়ে পরিশোধ করতে হবে ?



কয়দিন আগে বিভিন্ন বুদ্ধিজীবিদের হুমকি আর প্রতিশোধ স্পৃহার বাস্তব প্রতিফলন দেখলাম। অনেকেই গত কদিন ধরে টক শোতে আর্মি অফিসারদের দেখে নিবে বলে যে হুমকি দিয়ছিল তার ভালই প্রতিফলন দেখিয়েছেন।



যদি অধিকার বঞ্ছিত আর অবিচারের ফসল হিসেবে বুদ্ধিজীবিরা এইটাকে বলে আর কমান্ড এর ব্যর্থতা বলে চালিয়ে দেন…আমার কোন ক্ষতি নেই। দেশ ও জাতিকে হয়ত অদূর ভবিষ্যতে এরকম আরো অনেক কিছু দেখতে হবে। আপনারা বিডিআর জওয়ানদের যেই স্তুতিকীর্তন গাইলেন……তা জেনেশুনেই সবাই গেয়েছেন। কেননা বুদ্ধিজীবি মহলের এতেই লাভ।



২০০১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী হলে বর্বর হামলা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মনে এতটুকু আচর কাটে না, বামদলের কর্মীদের মহিলা কর্মীর পেটে গুন্ডা ক্যাডারদের লাথিতে যখন মুখ দিয়ে রক্ত আসে তখন বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষকরা কিছু বলেন না, আর একটা সাধারণ কথা কাটাকাটি থেকে অনেক কিছুর জন্ম দেন আমাদের শিক্ষকরা, বুদ্ধিজিবিরা, আর চাকরি খোয়া যায় একজন সাধারন সৈনিক এর যার রোজগারে দশজন মানুশ বাঁচতো। কি সুন্দর আর বিচিত্র আমাদের দেশ প্রেম?একটু আগে টিভি চ্যানেল এ দেখলাম- প্রধানমন্ত্রী কেন সাধারন ক্ষমা ঘোষনা করার পর বিডিআর জওয়ানদের গ্রেফতার করছে পুলিশ, তাদের কেন হাত বাধা হচ্ছে এইসব……।অনেক মানবতার কথা? কিন্তু ১৩৭ জন এখনো লাশ হয়ে কোথায় পড়ে আছে কেউ একটি বারও বলছে না। কি চমৎকার আমাদের জাতির বিবেক, কি সুন্দর আমাদের মানবতা, এত কিছুর পরও আপনাদের নির্দেশেই সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়, আর আমরা ধৈর্য ধরে আমাদের আমদের সহকর্মীদের পচতে গলতে দেখি। নিরব হয়ে দাঁড়িয়ে থাকি।



আমরা যে আপনাদের খেলার গুটি, আমাদেরকে নিয়ে সবাই বাঘবন্দি খেলে। এই আমরাই সিডর এ যখন খেয়ে না খেয়ে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাবার পরেও আপনারা অনেক মিডিয়তে সমালোচনা করেন কেন এই করা হচ্ছে না কেন সেই করা হচ্ছে না!! সেই আমরাই আমাদের সহকর্মীদের লাশ উদ্ধার করতে পারি না, এই আমরাই ntv ভবনে ছুটে যাই, আপনাদের উদ্ধার করতে mask ছাড়াই suffocated room e নিজের জীবনের কথা ভুলে যাই, উদ্ধার করি আপনাদের। আর আজ এই টিভি চ্যানেলে বসে সাংবাদিক বুদ্ধিজীবি বলেন……এত সুন্দর করে সব কিছু নিয়ন্ত্রন করা হচ্ছে দেখে আমারতো সেলিব্রেট করতে ইচ্ছে করছে। আপনারা আমাদের লাশ নিয়ে মহা উৎসবে মেতে উঠুন,হোলি খেলা খেলুন। আমাদের যে এটাই প্রাপ্য।



এই দেশ নিয়ে আপনারা যতই কথার ফুলঝুড়ি ছড়িয়ে বলেননা কেন, আমাদের ভবিষ্যত এই, ভবিষ্যত সেই, কিন্তু আমি একজন অর্ধশিক্ষিত মানুষ হিসেবে বলে দিতে পারি-অন্ধকার।



সেই অন্ধকারের একদিন সবাইকে তলিয়ে যেতে হবে।



পুনশ্চঃ



লাবলু ভাই আর শওকত ভাই, প্লিজ ভুল বুঝবেননা, আপনাদের মাধ্যমে আমি শুধু আমাদের বিবেকবান লোকজনের কাছে কিছু প্রশ্ন করেছি। আমি জানি বড় ভাই হিসেবে আপনারা এই কথাগুলো পৌছে দিবেন তাদের কাছে। আমি জানি না এই লেখার জন্য আমার রুটি রোজগারের উপর মানে পেটে কোন লাথি পরবে কিনা? আর যারা যুক্তি দেন যে জাতিসঙ্ঘ মিশনে আমরা নাকি ডলার গুনি তাই কাজ করি, তাদের উদ্দেশ্যে বলছি শিলাজিতের স্বাধীনতা গানটা



তুমি ভাই বুঝবে কি হায়

ফুর ফুরে দিন কেটে যায়

বুঝাচ্ছ স্বাধীনতার মানে?

যে মানুষ দিনে রাতে

বুলেটে যে বুক পাতে

সেই বুঝেছে স্বাধীনতার মানে।

স্লিম জিমে ফেলে আসি ঘাম

ফরেন জিন্স কিনতে দিই দাম

স্বাধীন থাকা তোমার কাজের রুটিন।"

মন্তব্য ২৫২ টি রেটিং +১০১/-২৬

মন্তব্য (২৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৪:২৮

ছন্নছাড়ার পেন্সিল বলেছেন: এটাও রেখে দেন। প্রথম পাতায় থাকুক! আমি পড়তে পড়তে খেয়ালই করিনি, কখন চোখ ভিজে গেছে...

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৪:৪০

অহরিত বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই!

২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৪:৩২

নাখ লুমিশ নিমা বলেছেন: করছেন কী? এখনই তো আপ্নেরা আর্মির দালাল হিসাবে চিহ্নিত হবেন।
এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ। ভালো খারাপ যাই হোক আপনাকে যে কোন একদিক লইতে হইবো। বুঝছেন।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৪:৪৩

অহরিত বলেছেন: আমি ভাই এক দিক নিছি,মানবতার দিক।ওই দিক দেখলে আমি এটাও চিন্তা করি যে আমার বিডিআর ভাইয়েরা ভালো আছে কিনা,আবার এটাও ভাবি যে কিছু নওজোয়ান অস্ত্র হাতে তুলে অনেক সৎ ভালো অফিসারকেও কেন মারলো?১১জন নিরীহ মানুষ কেন মরলো??

৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৪:৩৫

অরণ্য আনাম বলেছেন: দেশ সেবার জন্য প্রতিঙ্গা বদ্ধ ছিলাম আর্মি অফিসার হবো....তখনই দেশের এগারোটি সন্তান প্রাণ হারায়..আমার মায়ের আকুতি, "বাবা তুই আর্মিতে যাস না"....

চেষ্টা তবুও করেছিলাম, কিন্তু মায়ের সেই আকুতি কী ফেলনা! কী পাবো?
চুপটি করে দেশসেবা। হয়তো কোন মিশনে মৃত্যু। তবুও জান দিতে চাই দেশের জন্য।

আর্মি অফিসারদের দুর্নীতি যখন কোন আর্মি অফিসারদের মুখে শুনি, তখন লজ্জা পাই। কিন্তু, আর্মি অফিসারদের আমি বেশ্ কাছ থেকে দেখেছি। তাদের নিষ্ঠা আর প্রতিশ্রুতির ফল।



আপনার লেখা গুলো মন ছুঁয়ে যাবার মত। আসল বাস্তবতা এখন অনেকের কাছেই ঘোলাটে...কবে কাটবে এই ঘোর???

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৪:৪৬

অহরিত বলেছেন: ভাইয়া আমার লিখা না,একজন অফিসার লিখেছেন।সবাই খারাপ না ভাইয়া।
বুকে হাত দিয়ে একজন বলুকতো কোন পেশায় দুর্নীতি নাই?
আর্মিতেও আছে,কিন্তু তাই বলে এভাবে এতোগুলা অফিসারকে,তাদের পরিবারকে এভাবে গুলি করে মারবে?

৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৪:৩৫

হাসান মাহমুদ আিরফ বলেছেন: অসাধরন।
স্যালুট আপনাকে।
গত ২দিন ধরে দেখে আসছি সেনাবাহিনীকে অনেক গালাগালি করা হচ্ছে।আসলে আমরা অকৃতজ্ঞ।গতকাল একজন আমাকে বলেছে 'আপনার প্রানপ্রিয় সেনাবাহিনী'।প্রতিউত্তরে বলেছিলাম সেনাবাহিনী আমার একার নয় পুরো জাতি।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৪:৪৭

অহরিত বলেছেন: ভাইয়া আমার লিখা না,একজন অফিসার লিখেছেন।

৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৪:৩৭

অরণ্য আনাম বলেছেন: দুঃখিত, দুবার ক্রিক হয়েছিল, একটি মুছে দেবেন।

"প্রতিজ্ঞা" হবে

৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৪:৪০

কাবিল কৈতর বলেছেন: ভাই সবাইকে এক কাতারে ফেলবেন না। আমরা আছি জনগণের মাঝে যারা আপনাদের দেশের গর্ব মনে করে। আপনাদের প্রতি শ্রদ্ধা যাদের অপরিসীম।

স্টিকি করা হোক।

৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৪:৪৩

হাসান মাহমুদ আিরফ বলেছেন: কাবিল কৈতর বলেছেন:স্টিকি করা হোক।

পোস্টটি স্টিকি করার দাবী রাখে।

৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৪:৪৩

তর্পন বলেছেন: স্টিকি করা হোক।

৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৪:৪৪

ছন্নছাড়ার পেন্সিল বলেছেন: এই পোস্টটি স্টিকি করা হউক।

১০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৪:৪৬

রিসাত বলেছেন: শুধু আর্মিদের লেখালেখিকে এতোটা গুরুত্ব দেয়ার কিছু নাই,,, cause they are the accused side

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৪:৫১

অহরিত বলেছেন: না ভাই এভাবে বলবেন না।আপনি ভাই কি দেখেননি বাবা হারানো সেই শিশুটির কান্না,দেখেননি একটিবার স্বামীহারা অল্প বয়সী তার বধূর কান্না।আপনি আমি কয়জন ভেত্রের খবর জানি।
আপনার কথা মত মানলাম তারা অপরাধী,কিন্তু ভাই হিসাব যে তাও মিলছেনা।একটু আবার দেখেন না খেয়াল করে কি বলতে চাচ্ছি!!
আমি বলতে চাই "সব হয়তো তাদের ভুল কিন্তু তাই বলে এভাবে এতোগুলা অফিসারকে,তাদের পরিবারকে এভাবে গুলি করে মারবে?"

১১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৪:৫৯

সাহোশি৬ বলেছেন: হে বন্ধু আমার, তোমার চিঠির জন্য ধন্যবাদ। তোমার চিঠি পড়ে আমার মনে অনেক প্রশ্ন জেগেছ.

"বাবার নীরব অভিযোগ, ভাই বোনের অভিযোগ, আর্মি অফিসার অথচ ফ্যামিলিকে কোন সাপোর্ট দিতে পারে না।"
-এটা একটা ফালতু অভিযোগ। আর্মি অফিসারের যা বেতন তাটে নিজেরই চলার কথা না, সাপোর্টের প্রশ্ন আসে কোত্থেকে? আর্মিতে যখন জয়েন করেছিলে তখন জানতে না আর্মি অফিসার কত বেতন পায়? এই অভিযোগ এখন ভিত্তিহীন।

"প্রতিটি মিডিয়াতে শুধু জওয়ানদের বিজয় গাথা আর টক-শো’তে আর্মির গোষ্ঠী উদ্ধারের সাথে সাথে কফির গরম চুমুকে দেশ যেনো উৎসবে মাতোয়ারা।"
-মিথ্যা কথা। পুরো দেশ বলছে (মিডিয়া সহ) এই হত্যাকান্ড মেনে নেয়া যায় না। প্রতিরক্ষা বাহিনীতে এ ধরনের হত্যাকান্ডের নজির প্রচুর আছে (৭৫-৮১, ৯০ এর মাঝামাঝি)। আর এ ধরনের হত্যা কেউ সমর্থন করছে না।

"গত দুই দিনে মিডিয়াতে গরম কফির চুমুকের সাথে তুমুল আড্ডা জমে ঊঠেছে। অপারেশন ডাল ভাত এর কাহিনী, তত্বাবধায়ক সরকারের কাহিনী কত কি! "
-কোনটাই কিন্তু মিথ্যা নয়।

"আসলেই আমরা অমানুষ নইলে আমাদেরকে যা বলবে তাই করব কেন? আর বিনিময়ে শুধু গালি, লাথি আর মৃত্যু…"
-জনগনের সাধ্যি নেই আর্মি অফিসারকে কিছু বলার, যা বলার আর্মিরই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলে। সুতরাং জন গনের কাছে এ ব্যাপারে কেঁদে কেটে লাভ নাই।

"আপনারাই কি সরকার বদলের সাথে সাথে আমাদের চাকরিতে রদবদল করেন না, আর আমাদের সিনিয়রদের প্রোমোশন এর আর জুজুর ভয় দেখিয়ে আপনারাই তথা আমলা বুদ্ধিজীবিরাইতো নিয়ন্ত্রন করেন?"
-রদবদল শুধু আর্মিতে না, সমস্ত সরকারী চাকরিতেই হয়। আর রাজনীতিবিদরা এ জন্য অবশ্যই দায়ী। রাজনীতিবিদদের গালি দিতে দিতে মিডিয়া এবং জনগন মুখে ফেনা তুলে ফেলল। অথচ ৭১ থেকে আজ পর্যন্ত অর্ধেকের বেশী সময় যে আর্মি দেশ শাসন করল তার কথা সামান্য তুলতেই এত নাকি কান্না কেন?

"আমরা তো অনেক অশিক্ষিত। তাই আমাদেরকে দিয়ে যা খুশি করিয়ে নেন আপনারা। কিন্তু শেষতক আমাদেরকেই গালি শুনতে হয়।"
- জী না, ভুল কথা। বাংলাদেশ আর্মি কোন দুগ্ধ পোষ্য শিশু নয় যে তাকে দিয়ে যা খুশি তাই করিয়ে নেয়া যাবে। এরা নিজেরটা বেশ ভালোই বোঝে। আর্মির ভিতরে কী র, আইএসআই এর চেলা চামুন্ডারা নাই? আর্মি যদি এতই সুবোধ হতো তাহলে ৭৫, ৮১, ২০০৭ বাংলাদেশে ঘটত না।

"বিডি আর কি কোনভাবে আর্মির নিন্ত্রনাধীন? ওখানে অফিসাররা শুধু পোস্টেড হয়।"
-একজন আর্মি পারসন হয়ে এটা তো ভালোই জানার কথা যে ার্মিরা বিডিআড়কে কিভাবে নিয়ন্ত্রন করে।

"সেখানে যদি দূর্নীতি হয়ে থাকে তার দায়ভার এককভাবে আর্মি অফিসারদের ঘাড়ে কেন বর্তাবে? "
- না শুধু আর্মির ঘাড়ে নয়, বরং যারা যারা জড়িত তাদের সবার ঘাড়ে বর্তাবে। অপরাধী সবাইকে বিচারে আনতে হবে (এতে আর্মি বাদ পড়ুক এটা আমরা চাই না)।

"কয়দিন আগে বিভিন্ন বুদ্ধিজীবিদের হুমকি আর প্রতিশোধ স্পৃহার বাস্তব প্রতিফলন দেখলাম। অনেকেই গত কদিন ধরে টক শোতে আর্মি অফিসারদের দেখে নিবে বলে যে হুমকি দিয়ছিল তার ভালই প্রতিফলন দেখিয়েছেন।"
-বাংলাদেশে বসে আর্মিকে হুমকি ধামকি দিয়েছে? বিশ্বাস করতে মন চাইছে না। দয়া করে ব্যাখ্যা করুন।

"২০০১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী হলে বর্বর হামলা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মনে এতটুকু আচর কাটে না, বামদলের কর্মীদের মহিলা কর্মীর পেটে গুন্ডা ক্যাডারদের লাথিতে যখন মুখ দিয়ে রক্ত আসে তখন বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষকরা কিছু বলেন না"
-কে বলেছে বলে না। ভিসি আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরীর কথা মনে নাই? ছাত্ীি হলে পুলিশ ঢুকাইল বলে ভিসিগিড়ি চলে গেল। ছাত্রলীগ বা ছাত্রদল যখনই কোন ছাত্রীকে লান্ছিত করেছে প্রতিবারই তো দেশ ফুসেছে। ছাত্রলীগের সেন্চুরিয়ান তো বিদেশে পালিয়ে বেচেছে। একতরফা কথা কেন বলেন?

"একটা সাধারণ কথা কাটাকাটি থেকে অনেক কিছুর জন্ম দেন আমাদের শিক্ষকরা, বুদ্ধিজিবিরা, আর চাকরি খোয়া যায় একজন সাধারন সৈনিক এর যার রোজগারে দশজন মানুশ বাঁচতো।"
-একদম মিথ্যা কথা। এতবড় মিথ্যা বলাই কি আর্মি শিখায় নাকি? আর্মির সিপাহীটা ছাত্রকে মেরেছিল। তারপর, আগস্ট ২০০৭ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খালি হয়ে যাবার পরও ঢাকা শহরের প্রতিটা মেসে গিয়ে গিয়ে আর্মি ছাট্রদেরকে পিটিয়েছে। এ ঘটনায় শিক্ষকদেরকে আর্মিরা যেভাবে ধরে নিয়ে গেছে তাতেই প্রমানিত হয় যে এই আর্মি আসলে পাকি আর্মিরই ভুত। যে ছাত্রের সাথে আর্মির সিপাহীটার ঝগড়া হয়েছিল, সে কোথায় জানেন? দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।

"আমরা যে আপনাদের খেলার গুটি, আমাদেরকে নিয়ে সবাই বাঘবন্দি খেলে। "
-আমি তো আগেই বলেছি বাংলাদেশ আর্মি কোন দুগ্ধপোষ্য শিশু না যে টাদেরকে নিয়ে যার ইচ্ছা সেই খেলতে পারবে।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৫:১৭

অহরিত বলেছেন: যা লিখেছেন তা পড়তে পারিনি সব।প্রথমেই বুঝে ফেলেছি আপনি ব্যাক্তিগতভাবে আর্মি পছন্দ করেন না।আমি যে করি তাও কিন্তু নয়।কিন্তু সমস্যা হলো,আপনি দূর আমেরিকা থেকে বলছেন।আর্মি ছোটখাটো কিছু তো করেছে,আপনি দেশ ত্যাগ করে বিদেশের মাটিতে গিয়ে কি করেছেন দেশের জন্য একটু বলবেন কি?
আমি রাগিব স্যার নামে একজন চমৎকার মানুষকে চিনি যার জন্য বাংলা উইকির মুখ আমরা দেখতে পেলাম,ভাবতে অবাক লাগে যখন সেই মানুষটি বারবার বলেন "দেশ আমাকে অনেক কিছু দিছে,আমি দেশের মানুষের কাছে ঋণী "।আরো ভাল লাগে যখন বলেন তিনি আসছেন,দেশের ছেলে দেশে ফিরে আসছেন।আপনি কি করলেন এমন জনাব?
আপনি ওই অফিসারের আবেগ দিয়ে লিখা চিঠিটায় খুঁজে খুঁজে এতগুলো ভুল বের করলেন,কিন্তু একটাবার আপনি বলে যেতে পারলেন না "যা লিখছে সব ভুয়া,কিন্তু ওই ছেলেটির কান্না যার বাবা হারিয়েছে ওটা ভুয়া না।দুঃখ জানাই"।একটিবার আপনার মনে হলোনা ওই অফিসার যে তার কাছের মানুষকে হারিয়েছে তাকে একটু সহানুভূতি জানানো।

আপনার যুক্তিকে সম্মান জানাই ভাইয়া।কি সেলুকাস আমাদের আবেগ।এখানে নিজের বিশ্বাস,রাগ যুক্তি আগে আসে,অথচ আহত মনের ক্ষতে একটু প্রলেপ দেয়া কতই না কষ্টকর!
আমার কথায় কিছু মনে নিবেন না।সবার ভাবনা তো এক নয়।ভালো থাকবেন ভাইয়া।

১২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৫:০০

কাবিল কৈতর বলেছেন: @রিসাত, ২ পক্ষের কথা শুনুন। তারপর কথা বলুন। এক চোখে দুনিয়া দেখবেন না। গণতন্ত্রে বিশ্বাসী হলে আপনার ২ দিকের কথাই শুনতে হবে।

১৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৫:০১

সোনার বাংলা বলেছেন:

লেখাটা পড়ে খুব খারাপ লাগলো...

উনি সত্যে বলেছেন।

এ জাতির বুদ্ধিজীবি নামের হিংস্র জানোয়ারেরা যে মুখোশের আড়ালে হাজার তন্ত্রের
বাদ্য বাজায় ইহাতে কোন সন্দেহ নাই। তবে বিডিআর বিদ্রোহের সাথে আমাদের
দেশী রাজনীতি ও জড়িত আছে। তা প্রমান হবে না হয়তো তবে আছে....

আমাদের বুদ্ধিজীবিরা বুদ্ধি ফেরি করে অথচ সরকার কে ঠিকমতো টেক্স পর্যন্ত দেয়
না ফাঁকিবাজি করে। আবার তারা এসে নীতি বিলায়। এ গুলারে মাইরা নর্দমার মধ্যে
পেলে দেয়া দরকার। এরাই নষ্টের মুল। তারা কেন বিডিআর আর্মির মধ্যে বিভেদে
মজা লুটে? কোন ধরনের বিবেক? অথচ সবাই দেশের সন্তান। দেশে অনেক স্বঘোষিত বিবেকের ছড়াছড়ি। এদের মাংস হাড় গুড় বিদেশে রপ্তনি করে যদি কোন লাভ হয়
এ ছাড়া জাতীর আর কোন লাভ হবে না।

জাতির বিবেক পন্দির মাইনকা চিপায় তরল হারাইচে।

১৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৫:০১

অলস ছেলে বলেছেন: গত দুইদিন থেকেই দেখছি, আমরা বড় দ্রুত রং বদলাই, সবসময়ই। এবং মিডিয়া ও উপরের মহল যেভাবে আমাদের নাচাতে চায়, আমরা সেভাবেই নাচি।
উনি কঠিন সত্য একটা কথা বলেছেন, আমি আমার মন দিয়ে বিশ্বাস করি, সংক্ষিপ্ত ও খুবই অল্প অভিজ্ঞতা দিয়ে এটাকেই সত্য বলে মানি, আমাদের এই দেশের ভবিষ্যত অন্ধকার। আর কিছুই হওয়ার নেই।
আমার এই পোষ্ট টা হয়তো দেখেছেন, Click This Link প্রাসঙ্গিক মনে হচ্ছে আপনার এই পোষ্টের সাথে।

১৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৫:০১

দেশী পোলা বলেছেন: এটা দেখুন,

১৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৫:০৩

ফারহান দাউদ বলেছেন: সাহোশি৬,অন্যখানে একমত হলেও পাকি আর্মির ভূত এইটার সাথে একমত হইলাম না। আর্মিকে বেসামরিক কর্মকাণ্ড রাজনীতি ব্যবসায় টেনে আনছে রাজনীতিবিদরা,দুর্নীতি আর কালো টাকাও তারা চিনাইসে,যার দায় এখন সবার উপরই বর্তায়।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৫:২১

অহরিত বলেছেন: ভাইয়া আপনার সাথে একমত।আপনার মন্তব্যে পেয়ে ভালো লেগেছে।

ভাইয়া আমি আর আপনি কিন্তু এক স্কুলের ছিলাম।মেহরাব ভাই থেকে জেনেছি।আপনি ভালো থাকবেন অনেক ভাইয়া আর ছোট ভাইয়ের জন্য দোয়া রাখবেন।

১৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৫:০৪

কাবিল কৈতর বলেছেন: আমি এখনও বুঝি না যে ২০০৭ এর বিকল্প কি ছিল?

১৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৫:০৮

সাহোশি৬ বলেছেন: @ ফারহান দাউদ: "আর্মিকে বেসামরিক কর্মকাণ্ড রাজনীতি ব্যবসায় টেনে আনছে রাজনীতিবিদরা,দুর্নীতি আর কালো টাকাও তারা চিনাইসে,যার দায় এখন সবার উপরই বর্তায়"
-অবশ্যই সবার উপরে বর্তায়। রাজনীতিবিদরা তো গালি কাচ্ছেই, সেই ১৯৭১ থেকে শুরু হয়েছে রাজনীতিবিদদের গালি দেয়া এখনো চলছে এবং চলতেই থাকবে (৩য় বিশ্বের মানুষকে সুখী করা এত সহজ না)। রাজনীতিবিদদের সাথে আর্মিও দায়ী। তাহলে শুধু রাজনীতিবিদরা একা কেন গালি খাবে, আর্মিদেরও খেতে হবে। মজালুটার সময় আর্মিরা ঠিকই মজা লুটবে আর গালি খাবে শুধু রাজনীতিবিদরা তা কেন?

১৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৫:১৩

ছন্নছাড়ার পেন্সিল বলেছেন: @ফারহান, একটা মানুষকে খুব সহজেই 'পাকি আর্মির ভূত' বলে দিলা। যাকে চিন না, জানো না, সে এখানকার ব্লগারও না। এই তুমি প্রায়ই বলো যে ট্যাগিং খারাপ! তোমাকে কে কবে ট্যাগ করেছে সেটা নিয়ে কথা বলো! (?)
-----
মানুষটা তোমার আমার মতোই চাকরি করে। আজকে গতকালকে তার কিছু বন্ধু, সহকর্মী মারা গেছেন। তাঁদের যে বয়েস, পদবি, তাতে যে উপর লেভেলের দূর্নীতি সেগুলো করার কোনই সুযোগ থাকে না এটা বুঝো। চিন্তা করো, বুয়েটের কেউ মারা গেলে আমরা কতোটা বিচলিত হতাম, মনের মধ্যে কতটা ঝড় বইতো। আর এখানে কোন দূর্ঘটনা ঘটে নাই। বন্দুকের মুখে গুলি করে মেরে ফেলা হয়েছে এবং ড্রেনের পানিতে ভাসায়ে দেয়া হয়েছে।

সেই মানুষটার প্রতি শোক প্রকাশে কোনো দূর্নীতিবাজকে উদাহরণ টেনে আনাটা কী এটোই জরুরি?

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৫:২৫

অহরিত বলেছেন: পাকি আর্মির ভূত কথাটা ফারহান ভাই না সাহোশি৬ ভাই বলেছেন।ফারহান ভাই শুধু কথাটিকে উনার থেকে টেনে নিয়েছেন।

২০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৫:১৭

বেঁচে আছি বলেছেন: @সাহোশি৬: একমত। আর্মিকে কোন অবস্থা্য় বেসামরিক কাজে লাগানো ঠিক নয়। আর্মিদেরকেও জবাবদিহিতার আওতায় আনা দরকার। সাধারণ মানুষের সাথে কিভাবে ব্যবহার করতে হয় তাও শিখানো দরকার।

২১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৫:২০

রাজর্ষী বলেছেন: কোন যুক্তিতর্কেই আসলে স্বজন হারানোর বেদনা ঢাকে না।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৫:২৬

অহরিত বলেছেন: একমত ভাই।

২২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৫:২৬

আতিকুল হক বলেছেন: মেনে নিলাম, আর্মিতে যারা আছে তারা মানুষ না। কিন্তু একটা বাচ্চা যখন বের হয়ে কাদছিলো আমার আব্বু কই। আব্বু-আম্মুকে ছাড়া যাবো না। কারো কি মনে হয় না, পোশাকের ভেতরে যে লোকটা ছিল তারও একটা পরিবার আছে। এখন মরে যাওয়া মানুষগুলোর পরিবারের পাশে সর্বোচ্চ মমতা নিয়ে দাড়ানো দরকার।

একজন যত বড় পাপীই হোক তাকে মেরে ড্রেনে ফেলে দেওয়াকে যারা জাস্টিফায়েড মনে করেন, তারা মানুষ হতে পারে না। তারা সুযোগের অভাবে মানুষের মুখোশে ভেতরের জানোয়ারটাকে লুকিয়ে রাখেন।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৫:৩০

অহরিত বলেছেন: বাহ! ভাইয়া কি চমৎকার বলেছেন।এটাই তো বারবার বলতে চাচ্ছি।একটু বলেনতো ভাইয়া সবাই শুধু ওরা কি করেছে এটা নিয়ে তর্ক করছে কেন?কেন কেউ একবার এটা দেখছেনা যে,ওদের আর ওদের পরিবারের কি করুণ পরিণতি হয়েছে!

২৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৫:২৯

আতিকুল হক বলেছেন: দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথাটা সত্যি। অন্ধকার ছাড়া কিছুই দেখি না আমি।

আর্মি কিছু করতে পারে এই নিয়ে যতটা মায়া দেখা গেছে, যারা মরে গেছে তাদের প্রতি তার ছিটেফোটা সহানুভুতিও কিছু লোকের ছিল না।

২৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৫:৩৬

ছন্নছাড়ার পেন্সিল বলেছেন: সাহোশি৬ লিখেছেন দেখেছি। ওনার মন্তব্যের জবাবটি আপনি দিবেন বলে কিছু বলিনি। তবে ফারহানকে আমি আগে থেকে চিনি, সাহোশি৬-এর ট্যাগিং টেনে এনে বলাটা ভালো লাগলো না। যাহোক, আমরা আসলেই মৃত অফিসারগুলোর প্রতি মোটেই সদয় নই, তাদের পরিবার এবং শিশুদের প্রতিও আমাদের দয়ামায়া নাই...

আমরা এই ব্লগেই দূর্নীতি, দূর্নীতি করে চিৎকার করবো আর ট্র্যাফিক কন্ট্রোল করাবো আর্মিকে দিয়ে! @ লেখক

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:৫৯

অহরিত বলেছেন: কথা ঠিক ভাইয়া।

২৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৫:৩৯

শফিউল আলম ইমন বলেছেন: বরাবরের মতোই বাঙালি দুপক্ষে বিভক্ত। কোনটা ঠিক আর কোনটা ঠিকনা সেটাই আমরা চিন্তা করি না। শুধু কোন এক পক্ষকে ধরে গালি দেওয়া শুরু করি। আর্মিরা দুর্নীতিবাজ সেটাতে কারো কোন সন্দেহ নাই। জওয়ানদের দাবীগুলোও নৈতিক ছিল। সবগুলো দাবীই আমার কাছে সমর্থনযোগ্য মনে হয়েছে। কিন্তু এভাবে অফিসার মেরে লাশ নর্দমায় ফেলে দেয়া এটা তো মেনে নেয়ার মত না। এটা তো ফ্রান্কেস্টাইন হয়ে গেলো। যারা নিহত হয়েছেন তাদের সবাই যে দুর্নিতীবাজ সেটাও আমরা বলতে পারিনা। উপরের কর্মকর্তারা দুর্নিতী করেছেন ঠিক। আর্মিদের মধ্যে নিচের লেভেলের অনেকেই জওয়ানদের মতই নিম্ন মধ্যবিত্ত কিংবা নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে জয়েন করেছেন। তাদের অনেক দুর্নিতী করার সুযোগ কিন্তু থাকে না। একজন মঈন ইউ আহমেদ এর জন্য সবাইকে দায়ী করাটা কতটুকু যুক্তিযুক্ত সেটা ভাবার বিষয়।
এটা নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে সরকারের সমাধান করা উচিত। বিসিএস এর মাধ্যেমেই উর্দ্ধতন কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া উচিত। আজকে যেটা শুরু হয়েছে এটা খুব তাড়াতাড়ি সব মিটে যাবে এমনটা মনে হচ্ছে না। বিডিআর এর কন্ট্রোল আমার মনে হয় বিডিআর এর হাতে থাকলেই ভালো। যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারের প্রতি অবশ্যই সবার সমবেদনা থাকা উচিত।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:০২

অহরিত বলেছেন: বুঝিনা এভাবে এতজন মানুষ মারা গেলো,অথচ তবুও কিছু মানুষ ওদের দোষক্রুটি ধরতে ব্যস্ত।

২৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৫:৪৬

রাফা বলেছেন: সব আর্মি অফিসার কিংবা সব সৈনিকই খারাপ নয়।কিন্তু কিছু উন্নাসিক আর্মি অফিসার জনগণের ট্যাক্সের টাকায় প্রতি পালিত হয়ে ; এই সাধারণ মানুষকেই যখন ব্লাডি সিভিলিয়ান বলে গালি দেয় তখন কি কোন প্রেসনোট আসে ?আর্মিরা সব জবাব দিহিতার উর্ধ্বে বলেই স্বাধীনতার স্থপতির হত্যার বিচার, আইন করে বন্ধ রাখা হয়।পৃথিবীতে এরকম দৃষ্টান্ত কি আছে ?রাতের অন্ধকারে শুধূ রাজনিতী করার অপরাধে চোখে কালো কাপড় বেধে নিয়ে যাওয়ার পর : আর হদিস পাওয়া যায় না অনেকের তখন কোথায় থাকে আপনাদের মানবতা ?

২৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৫:৫০

আমি ও আমরা বলেছেন: আপনার লিখায় একটা প্রশ্ন আছে, যেটা ভাবায় এবং চোখে পানি ঝরায়।

২৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৬:০৫

অচেনা সৈকত বলেছেন: গত দুদিন ধরেই এ ব্লগের লেখা আর কমেন্ট পড়তে পড়তে স্তম্ভিত হয়ে যাচ্ছি। ক্ষোভে-দু:খে ব্লগ লেখা ছেড়ে দেবার চিন্তাও করেছি। কতখানি অমানুষ হলে ১৪৬ জন আর্মি অফিসারের হত্যা ও এই অরাজকতা সমর্থন করতে পারে মানুষ!!! অফিাসারদের শিশু পুত্রের কান্নাও যাদের হৃদয়ে মায়া জাগায়না তাদের আমি সর্বান্তকরণে ঘৃণা করি। জানি, এ কথা বলায় আমি আর্মির দালাল বলে চিহ্নিত হব, কিন্তু তাতে কিছু যায় আসে না আর। এই ব্লগে না লিখলেও চলবে আমার।কেন কেউ একটা জিনিষ বুঝছে না, বিডিআর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে, তাদের বেতন ভাতার দায়িত্ব কি করে আর্মির হবে? অদ্ভুত এ দেশের পাবলিক সেন্টিমেন্ট। বিডিআর কবে জনতার বন্ধু ছিল? যারা রাজনীতি করেছেন তারা জানেন কতখানি পাশবিক হতে পারে বিডিআর আন্দোলন দমনে। হায় দেশ, আর হায় আবেগের বেসাতি করা কতিপয় ব্লগার। কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করি, এমন পরিণতিই যেন হয় তাদের নিকটজনদের। তারপর দেখব, আবেগী ভন্ডামীর স্হানটা কোথায়।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:২৭

অহরিত বলেছেন: স্যার আপনি যেমন খোলা চোখে দেখেন সবাই তা দেখতে পারেনা।অনেকে নিজের নিজের পক্ষ নিয়ে ঝগড়া করাকেই সবচেয়ে যুক্তিযুক্ত মনে করে,ভুল শুদ্ধের ধার ধারেনা।আপনাকে পেয়ে বেশ ভালো লাগছে স্যার।

২৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৬:১১

সাহোশি৬ বলেছেন: @ লেখক: মূল চিঠিটা পড়ে আমার প্রচুর প্রশ্ন জমে ছিল সেগুলোই করেছি। আপনার চিঠিটায় এবং আমার উত্তরের লেখায়, দুটোতেই আবেগ প্রচুর, কিন্তু সবাই তো ভাই আবেগপ্রবণ না। কেউ কেউ যুক্তিও নিয়ে আসবে।

"আপনি ব্যাক্তিগতভাবে আর্মি পছন্দ করেন না।"
- আমার লেখার কোথাও বলি নি আমি আর্মি পছন্দ করি না। আমি আর্মিকে আর দশটা সাধারন বাংলাদেশীর মতোই দেী। তারা যদি ভুল করে তাহলে সাদারন মানুষের মতো তাদেরও বিচার হওয়া দরকার।

"আপনি দেশ ত্যাগ করে বিদেশের মাটিতে গিয়ে কি করেছেন দেশের জন্য একটু বলবেন কি?"
- আমি মনে-প্রানে বিশ্বাস করি এই প্রশ্নটা আপনি আবেগের বশর্বর্তী হয়ে করে ফেলেছেন। কোন প্রবাসীকে দয়া করে এই প্রশ্নটি আর করেন না (এ ব্যাথা স্বজন হারানোর ব্যাথার চেয়েও কষ্টকর। স্বজন হারিয়েও তো মানুষ তার নিজের বন্ধু-পরিবেশের মধ্যেই থাকে আর আমরা?)

""যা লিখছে সব ভুয়া,কিন্তু ওই ছেলেটির কান্না যার বাবা হারিয়েছে ওটা ভুয়া না।দুঃখ জানাই"

- আমি বহুবার বলেছি আবারো বলছি প্রতিটা হত্যার বিচার হতে হবে। আমাদের দেশে হত্যার বিচার হয় না বলেই আজ এ অবস্থা।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:২৪

অহরিত বলেছেন: আপনাকে কিছু বলার নাই।

৩০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৬:২৩

অচেনা সৈকত বলেছেন: সাহোশি৬@ আমি আপনাকে একটা ছোট প্রশ্ন করব। আপনি কয়েকদিন ধরেই সেনাবাহিনীর ব্যাপারে কিছু অভিযোগ জানাচ্ছেন। ক্যু-এর ব্যাপারে বলি, সেনাবাহিনীর সব অফিসার ক্যু সাপোর্ট করেন এটা হতেই পারে না। শক্ত চেইন অফ কমান্ড এর কারণে সবাই এটা মানতে বাধ্য হন। একজন সিভিলিয়ান ও একজন আর্মি পারসোনেলের মধ্যে এটাই পার্থক্য। যেটা আপনি-আমি করতে পারি সেটা তারা পারে না।এটা কি আপনি বিশ্বাস করেন?

৩১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৬:৩১

রাজনীতি বলেছেন: খুব ভাল বলেছেন। আপনার কথাও সঠিক।

৩২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৬:৪৮

সাহোশি৬ বলেছেন: @অচেনা সৈকত: হ্যা করি। আপনি যা বলেছেন তা ঠিক। আপনি মনে হয় আমার কথাই ধরতে পারেন নি। আমরা রাজনীতিবিদদের গালি দেই, আমলাদের গালি দেই, মাঝে মাঝে রাজনীতি করেন এমন শিক্ষকদেরও গালি দেই। কিন্তু ভেবে দেখেন, সব রাজনীতিবিদ, সব আমলা, সব রাজনীতি করেন এমন শিক্ষক খারাপ নন। আমরা যখন একটা গোষ্ঠীর দিকে আংগুল তুলি তখন কিন্তু পুরো গোষ্ঠীটিকে বোঝানো হয়, একজন দুইজন ইনডিভিজুয়ালকে নয়। কিছু রাজনীতিবিদ যেমন খারাপ, কিছু আমলা যেমন খারাপ, কিছু সেনাও তেমনি। তাহলে রাজনীতিবিদদের গালি দিতে পারলে, আমলাদের গালি দিতে পারলে, সেনাবাহিনীকে কেন দেয়া যাবে না? তারাও আমাদের মতোই মানুষ, তারা কেন সমালোচনার উর্ধ্বে থাকবে?

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:২৯

অহরিত বলেছেন: যখন আপনার খুব নিকটজব মারা যাবে আর আশেপাশের মানুষ কবে কোথায় সে কোন অন্যায় করছে এগুলো নিয়ে সমালোচনা শুরু করবে তখন বলতে ইচ্ছা করে,একটু মানবিক হোন।

৩৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৬:৪৯

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: পরিস্থিতি শান্ত হবার পর এই দেড় শতাধিক খুনের একটা একটা করে প্রত্যেকটার সুষ্ঠু বিচার করতে হবে। কিজন্য এরকম একটা রিভল্ট ঘটেছিলো টার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে।
প্লাস, যে বিডিআর সদস্যদের ধরা হয়েছে, আত্মসমর্পনে নেয়া হয়েছে, তাদের যাতে লোকচক্ষুর আড়ালে নির্বিচারে হত্যা করে কোন অন্যায় প্রতিশোধ নেয়া না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

মূল সংকট কেটে গেছে, তবে এই যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নাই।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:৩০

অহরিত বলেছেন: একমত

৩৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৬:৫০

বাফড়া বলেছেন: আমার চোখে পানি আসে নাই স্যাড-লি... ট্যাক্সের টাকায় ইউনিফর্ম পইরা মান্জা মাইরা ঘুরার সময় খেয়াল থাকেনা, আর এখন নাঁকি কান্না আসতাছে... আর্মির ভাব নেয়া প্রচুর দেখছি... তাদের ভালোমতই জানা আছে... খাওয়ার সময় খেয়াল থাকেনা, অহন আসছেন বিবৃতি দিতে!!!

সিডরের সময় ত্রাণ বিতরন কইরা সারা বছর যে বইসা বইসা খাওয়া হইছে সেইটা খেয়াল নাই মনে হয়!!

আর আর্মি যে অহন ঢুইকা ঢুইকা বিডিআার গুলারে মারব সেইটা তো আর বলার অপেক্ষা রাখেনা!!!

যাউগ্গা , আমি আর্মি অফিসারদের হত্যাকান্ডরে জাস্টিফাই করতাছি না, খালি এইটা বলার চেষ্টা করতাছি যে বিডিআরের সাথে কোন অন্যায় হয়া থাকলে উনারা সেইটাও যেন ক্লারিফাই কইরা দেন!!

৩৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৬:৫২

সাহোশি৬ বলেছেন: @ জ্বিনের বাদশা : একমত। প্রতিটা হত্যার বিচার হতে হবে। আমাদের দেশে হত্যার বিচার হয় না বলেই আজ এ অবস্থা।

৩৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৬:৫৭

মেহেদী ইকবাল রমি বলেছেন: মানুষের বিবেক আর মানবিকতা গেছে হারিয়ে রে ভাই। নাহলে এই লেখার বিপরীতে কিকরে কমেন্ট হয়। পোস্টটি স্টিকি করার জন্য কতৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

৩৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৬:৫৮

মজিদ বিশ্বাস বলেছেন: মর্মস্পর্শি লেখা। আর্মি, বিডিআর সবাই আমাদের প্রিয়।

৩৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৭:২৯

দিশাহারা ওমর সোলাইমান বলেছেন: সরি , বাট কান্নার ভান কর্তে পারলাম না। চরম দুরনীতিবাজ আমাদের এই বাহিনী।

পুরানো দেয়াল রং করা থেকে ট্যাংক কেনা সব কাজেই সরকারী টাকা লোপাট কর্তে এই বাহিনী ওস্তাদ।

চোরের দশ দিন, গৃহস্তের একদিন।
শুধু বিডিআর না। আর্মি সিপাহীদের শোষন করে পেটমোটা হওয়া এই সব তথাকথিত অফিসাররা পাপ্য সম্মানের ভাগিদার কিনা তা যাচাই করার সময় আইসা গেছে।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:৩২

অহরিত বলেছেন: ভাই আপনি এখনোও দিশেহারা কমেন্ট করেন দেখে অবাক হইনাই।কোন জায়গায় কি কমেন্ট করতে হয় তা যদি জানতেন!!

৩৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৭:৫১

হেকমত বলেছেন: দিেশেহারা ওমর সোলাইমানের সাথে সহমত

৪০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৮:২৬

মোসতফা মনির সৌরভ বলেছেন: জ্বিনের বাদশা,বাফড়া আর দিশাহারা ওমর সোলাইমান এর সাথে একমত

৪১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:২৩

রাগ ইমন বলেছেন: কয়েকটা পয়েন্ট তুলে ধরি।

১। প্রথম পয়েন্ট ঃ এই পোস্টটাকে অবশ্যই স্টিকি করা দরকার ।

কারন,
ক) আর্মির মানুষ জনের আবেগ ও অবস্থা বোঝা
খ) সৎ অফিসার যারা নিজেরা সজ্ঞানে অন্যায় করেননি তারাও ঘটনার শিকার হয়েছেন, এইটা বোঝা
গ) আর্মিও আসলে শেষ পর্যন্ত কি ভাবে দুর্নীতিবাজ ও বিদেশীদের টাকা খেয়ে ক্ষমতালোভী রাজনীতিবিদ , প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপরের দিকের অফিসার, সিভিলিয়ান বুদ্ধিজীবী ও বিশেষ করে " সরকারী আমলা"দের হাতে ব্যবহৃত হয় সেইটা একটু চক্ষু খুলে দেখা

উল্লেখ্য , টিভিতে দেওয়া এক আর্মি জওয়ানের বক্তব্য মনে করিয়ে দিতে চাই যিনি বি ডি আরের বিরুদ্ধে এ্যাকশন সম্পর্কে বলতে গিয়ে উল্লেখ করেন " আমি কাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবো? আমরা নিজেরাও তো উপরের অফিসারদের অত্যাচারের শিকার" ।

২। দ্বিতীয়ত ঃ আপনার ঔপনিবেশিক মনোভাবের পরিবর্তন দরকার

আর্মির কাজ শুধু লেফট রাইট করা , গুলি ছোড়া আর যুদ্ধ করা -- এই তথাকথিত আভিজাত্যবোধ কি ভাবে আর্মি এবং তাদের পরিবারকে ঘিরে রেখেছে সেইটার প্রমান এই পোস্ট । এই মনোভাবের জনক প্রথমে রাজতন্ত্রের রক্ষাকারী অত্যাচারী "যোদ্ধা" দলের যারা প্রজার রক্ত শোষন করা সম্পদ রাজাকে সাপ্লাই দিতো , তার একটা বড় অংশ ভোগ করতো আর সাধারন প্রজাদের ইতর শ্রেনী ভাবতো । তারা ছিলো "এলিট"।

এই একই মনোভাব দেখিয়েছে বৃটিশ কোম্পানি ইস্ট ইন্ডিয়ার যোদ্ধা কর্মকর্তারা আর তারপর পশ্চিম পাকিস্তানী উর্ধ্বতন অফিসারেরা । আর এখন দেখাচ্ছে বাংলাদেশী অফিসারেরা । রাজার যোদ্ধাদলসহ অন্যান্যরা না হয় জন্মসূত্রেই বাংলাদেশের গণমানুষের বিরুদ্ধে প্রভুত্ব করা দল । কিন্তু আপনারা এই একই আচরন , একই মানসিকতা ধারন করেন কেন?

তারা না হয় আমাদের চাকরই মনে করতো । তাই আমাদের উপকার করা তাদের আঁতে লাগে , জাত যায় বলে গণ্য হত । আপনার জাত যাবে কেন? যাদের টাকা লুট করে , শোষন করে আর ৭১ এর পর বেতন ভাতা হিসেবে নিয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রিভিলিজড লাইফ লিড করেছেন , তাদের জন্য কাজ করতে বললে নিজেকে চাকর মনে হয় ?

আরে বাহ!

নিজেদের কি উর্দিপরা নবাব মনে করেন?

নবাবী সুবিধা আপনাদের দেওয়া হয় ঠিকই , সেইটা হয়ত নিজের লেভেলের জওয়ানেরা ভোগ করতে পারে না , কারন তারাও তো আবার বড় অফিসারদের চাকর ( এই সিস্টেমটাও বৃটিশের অবদান , কারন তখন নিচের জোয়ানরা হত এই দেশী ) তাই বলে , এই নবাবী মন মানসিকতা দেখে কেন চোখের জল ফেলতে হবে ভাই বলেন তো ?

যুদ্ধের সময়ে যুদ্ধ করা যদি সেনাবাহিনীর কাজ হয়ে থাকে, তাহলে , শান্তির সময়ে দেশ গঠনে ও দেশের যে কোন কাজে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব গ্রহনে প্রস্তুত থাকা উচিত - সেইটা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রনই হোক আর দোকানদারিই হোক। " মুদিগিরি করতে হলে " সেনাবাহিনীর মোরাল নষ্ট হওয়া উচিত না , বরং ভাবা উচিত " আমরা সবই পারি। দোকানদারিও করতে পারি , যুদ্ধও করতে পারি।"


" হাল চাষ,গবাদি পালন, সবজি চাষ, ত্রাণ বিতরণ , দেশকে সঙ্ঘাত আর হাত থেকে রক্ষা করা, দোকানদারি করা, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রন, পানি বিতরণ, উদ্ধার অভিযান, বন্যা, খরা, সিডর আরও কত কি করতে হবে…" ---- এইটা নিয়া আপনার আক্ষেপ দেখে আপনারে করুনা করবো না ঘৃণা , বুঝতেছি না । কেন রে ভাই ? এইগুলা করা কি অস্ত্র চালানোর চেয়ে কম সম্মানজনক ? এই গুলা কি এলিট ফোর্সের কাজ না , ইতর লোকের দায় ও দায়িত্ব ?

নিজের লেখার এই অংশটা পড়েন । ঠিক এই নাক উঁচু ভাবটার জন্যই আজকে আর্মি কোন সহানুভূতি পাচ্ছে না ।

৩। তৃতীয় পয়েন্ট ঃ পোস্ট বনাম মন্তব্যের অনেক অংশ বোঝা যাচ্ছে , আর্মি এবং সাধারন জনগণকে মুখমুখি শত্রু বানানোর যে চেষ্টাটা গোলাম আজমের পোলা আর তার বন্ধুবান্ধবদের বহুদিনের ষড়যন্ত্র , সেইটা শেষ পর্যন্ত সফল হতে চলেছে । এই জনগণ বনাম আর্মি বড় ভয়াবহ ইঙ্গিত দেয় । এর আগেই মানুষ বিরোধিতা করেছে । মার্শাল ল এর , আর্মিকে ব্যবহার করে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলকারী এরশাদ , জিয়া, মঈন ইত্যাদি ব্যক্তির বিরোধিতা করেছে । সরাসরি গোটা আর্মির বিরুদ্ধে দাঁড়ায়নি । দেশরক্ষা বাহিনীকে সম্মান করেই এসেছে , এই বাহিনী আমাদের ভীষন বড় একটা গর্বেরও জায়গা । ক্ষোভ ছিলো , শত্রুতা ছিলো না ।

এইবার , সরাসরি শত্রুতা তৈরী করা হলো । যার ফলে বাংলাদেশের নিরাপত্তা একদিকে চরম ভাবে বিপন্ন । আরেক দিকে দেশে একটা গৃহ যুদ্ধ বাধানোর অপচেষ্টা প্রায় সফল হয় হয় অবস্থা চইলে এসেছে । বাংলাদেশের মানুষ আসলেই শান্তিকামী এবং অনেক বেশি রাজনীতি ও ষড়যন্ত্র সচেতন বলেই বার বার এই অপচেষ্টা ঠেকিয়ে দিচ্ছে --- কিন্তু কতবার ? ভয় লাগে , একবার না একবার রিভোল্ট করতেই পারে ।

৪। চতুর্থ পয়েন্ট ঃ আর্মি বনাম সিভিল পিপলস এর রেষারেষি , অবিশ্বাস , মারামারি কাটাকাটিতে আসলে শেষ পর্যন্ত কারা লাভবান হয় ?


কখনোই বাংলাদেশের সাধারন জনগন না। এই সিভিল ওয়ারের চরম ক্ষতিগ্রস্ত বরং আমরা । নিজেরা নিজেরা খুন হবো । এই চরম টাল মাটাল অবস্থার সুযোগ নিয়ে সত্যিকারের দেশ প্রেমিক অফিসারদের হত্যা করা হবে । ( উদাহরন - জিয়া হত্যা বিচারের নামে ১৩০০ মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের ফ্রেম করে ফাসিতে ঝোলানো) । কিছু দেশপ্রেমিক সিভিলিয়ান হত্যা হবে । ( চার নেতা , কিবিরিয়া , বুদ্ধিজীবী হত্যার মত) । সব শেষে আমরা একটা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দুর্বল বাংলাদেশ পাব যেই দেশ বিদেশী শক্তির জন্য একটু নতজানু চাকর হবে । ফাকতালে , যত সাধারন মানুষ মরে লোক জনে কমে যাবে , প্রদের জন্য ততই লাভ।

মানে , বাংলাদেশে আজকে যাই ঘটুক , কিছু মহলের কোনই ক্ষতি নাই । আমরা যুদ্ধ না করলে তাদের ব্যবসা ও পুঁজি রক্ষা হয় । যুদ্ধ করে মরলেও তাদের স্বার্থ রক্ষা হয় ।


এই নির্মম সত্য গুলো কি বুঝবেন আপনি ? আপনার চোখের জল কি দৃষ্টিকে এতটাই ঝাপ্সা করে দিয়েছে যা আপনি দেখতেই পাচ্ছেন না , কি করে আমরা সবাই দিন কে দিন কিছু মহলের স্বার্থ স্বার্থ খেলার পুতুল হয়ে উঠেছি ? আর সুতোয় বাঁধা পুতুলের মতই গুলি ছুড়ছি , কিন্তু নিজেদের দিকে । বার বার , নিজেদের দিকে ।

আর অট্টহাসি হেসে খেলারাম রক্তগঙ্গা বইয়ে দিয়ে তামাশা দেখছে ।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:৪২

অহরিত বলেছেন: অনেক কিছু লিখেছেন।এতোকিছু পড়তে পারিনি।
প্রথম কথা এই লিখাটা আমি লিখিনাই।একজন অফিসার লিখেছে অন্য এক ব্লগে।আবেগের বশে আপনি হয়তো এই জায়গাটা দেখতে পান নাই।এই জন্য খুব বিরক্ত লাগছে।খুব বেশি বিরক্ত।
আর যা বলেছেন তাতে আমার স্বল্প জ্ঞানে অনেক কিছু হয়তো বলা যায় কিন্তু বলবোনা।ইচ্ছা নাই।
আপনার কেউ মারা গেলে অনুরোধ করি আপনাকে,সময় ক্ষেপণ করবেন না।একদিন যেতে না যেতেই তার ভুল ক্রুটি যা ছিলো টেনে হিচড়ে বের করবেন।

৪২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:৩৬

মোসতফা মনির সৌরভ বলেছেন: @ রাগ ইমন,

আর্মিও আসলে শেষ পর্যন্ত কি ভাবে দুর্নীতিবাজ ও বিদেশীদের টাকা খেয়ে ক্ষমতালোভী রাজনীতিবিদ , প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপরের দিকের অফিসার, সিভিলিয়ান বুদ্ধিজীবী ও বিশেষ করে " সরকারী আমলা"দের হাতে ব্যবহৃত হয় সেইটা একটু চক্ষু খুলে দেখা

- আর্মি কারও দ্বারা ব্যবহৃত হচ্ছে,নাকি নিজেরাই নিজেদের ব্যবহার করছে সেটাও ব্যাপার। এই অংশটুকু পড়ে মনে হল - আর্মির নিজের বিবেক বুদ্ধি বলতে কিছু নেই, সবাই তাকে ব্যবহার করছে। আসল ঘটনা উল্টো।

আর্মি ভেতরের দুর্নীতিগুলো বাইরের কেউ এসে করেনি।তারা নিজেরাই করেছে। সুতরাং তারা ব্যবহৃত হচ্ছে তাদের নিজেদের অফিসারদের দ্বারাই।

৪৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:৫২

পথিক!!!!!!! বলেছেন: সেইকথাই তো সবার ...
সমতা নেই
যারা প্রকৃত ভাল ( এবং এই সংখ্যাটিই বেশী) তারা নিদারুন কষ্টে ভোগে এই পোড়াদেশে
আর যারা অন্যায়ে গা ভাসায় তারা উন্নতির জোয়ারে ভাসে এবং সেই সব গুটিকয়েক এর জন্যই পুরো গোষ্ঠির বদনাম হয়
এটা সব বাহিনী..সব বিভাগ এই দেশের জন্য সত্য।

ভালরা কষ্ট পায় ....মূল কারন রাষ্ট্রের উদাসিনতা.....সিস্টেম লস....নুন্যতম সুযোগ সুবিধা প্রদানে রাষ্ট্রের ব্যর্থতা।

আপনার লেখাটা উপযোগী হয়েছে ।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৩

অহরিত বলেছেন: ধন্যবাদ

৪৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:৫৩

পথিক!!!!!!! বলেছেন: এই লেখাটা ষ্টিকি করা হোক।

৪৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১০:৪০

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: হায় আমাদের বিবেক , হায় !!!
১৩৭ টা আর্মি অফিসারকে বর্বরভাবে হত্যা করা জায়েজ করতে কত হাজার অজুহাত । নারী-শিশুদের বেলায়ও কি চমৎকার আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি !!!!

হায়রে , নিজের সবচেয়ে আপনজনটি নির্মমভাবে খুন না হলে কিছুই আমাদের ছুঁতে পারে না ।


হায় !!

০১ লা মার্চ, ২০০৯ রাত ১২:৫৬

অহরিত বলেছেন: হায় ভাইয়া হায়!!

৪৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১০:৪৩

অচেনা সৈকত বলেছেন: ধন্যবাদ মেহরাব শাহরিয়ার।

৪৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১০:৪৭

সুদীপ্ত বলেছেন: লেখার সাথে পুরোপুরি একমত নই। তবে সুষ্ঠু আলোচনার জন্য স্টিকি করার দাবি জানাই।

৪৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১০:৫১

তিতাস একটি নদীর নাম বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে অনেকের মতো আমারও চোখ ভিজে যায়। আমি বিভিন্ন জায়গায় কিরকম মন্তব্য করেছি দেখুন।

Titas Ekti Nadir Naam wrote
sara desher manush jimmi hoye ache. manusher majhe atonko cholche. jara bideshe ache...sob kaj bad diye sarakkhon net er samne bose ache. kal sararat amader moto hajaro manush ghumaini.
aj ki hobe bola jassena ei thomthome, ei atonkoer poribesh ami kokhonoi somorthon kori na.

army officer atojon mara gelo. amar to mone hoi army onek beshi dhoirjo dhoreche.

"আপনি দেশ ত্যাগ করে বিদেশের মাটিতে গিয়ে কি করেছেন দেশের জন্য একটু বলবেন কি?"


কিন্তু এ আপনি কি বল্লেন!! প্রবাসীদের অবদানের কথা ভুলে যান? আমার দেশ কি রেমিটেন্স ছাড়া চলে? আমার তো মনে হয়েছে সাধারন মানুষ যেমন আরমির বিরূদ্ধে বলে, আপনিও প্রবাসীদের।

সাহোশি৬ বলেছেন: - আমি মনে-প্রানে বিশ্বাস করি এই প্রশ্নটা আপনি আবেগের বশর্বর্তী হয়ে করে ফেলেছেন। কোন প্রবাসীকে দয়া করে এই প্রশ্নটি আর করেন না (এ ব্যাথা স্বজন হারানোর ব্যাথার চেয়েও কষ্টকর। স্বজন হারিয়েও তো মানুষ তার নিজের বন্ধু-পরিবেশের মধ্যেই থাকে আর আমরা?)

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৮

অহরিত বলেছেন: তিতাস ভাইয়া,মন্তব্যটা কিন্তু জেনেরালাইজ করে বলিনি।শুধু উনার জন্য বলেছি।আমি কিন্তু একটু পরে রাগিব স্যারের উদাহরণ ও দিয়েছি।
আর বিরুদ্ধবাদীতার কথা বলতেছেন,এইটা একবারে ভুল কথা ভাইয়া।আমি নিজেও মিস্ত্রীবিদ্যা শিখেছি সরকারী একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।আমাকেও হয়তো একদিন দেশের টাকায় বিদেশে যেতে হ্বে,কিন্তু মনে প্রানে বারবার এই প্রার্থনা করি যেন রাগিব স্যারের মত করে ভাবতে পারি,দেশে ফিরে দেশের জন্য কিছু করতে পারি।বলেন তো ভাইয়া ওটাতেই কি দেশের বড় উপকার হবেনা??

৪৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১০:৫২

রেজওয়ান শুভ বলেছেন: আপনার কেমন লাগতো যদি দিনের পর দিন অকারনে লাত্থিগুতা খেতেন , অমানুষিক পরিশ্রম করার পর ও কষ্টের টাকাটা চোখের সামনে দিয়ে অন্য কেউ নিয়ে যেত , টাকার অভাবে নিজের বাচ্চাটার স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যেত , বছরের একটা দিন বাচ্চা গুলির মুখে ভালো-মন্দ তুলে দিতে না পারতেন , মাসের পর মাস কস্ট করার পর একদিন বিশ্রামের জন্য চাইলে অমানুষিক নির্যাতন পেতেন , কেমন লাগতো ??

আর্মিরা দেশের জন্য জীবন দেয় , আর বিডিআর রা ??

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:৫২

অহরিত বলেছেন: শুভ ভাই,কি বলতে চাইলাম আর সবাই কি বলছে।কিছুই বলার নাই।
যারা ভুল করেছেন তারা দোষী।কিন্তু যারা না করে মারা গেলো?আর যাদের পরিবার মারা গেলো তাদের কি হবে বলেন তো ভাই?
মজার ব্যাপার জানেন কোন অফিসার যারা বাহিরে বের হয়েছেন তারা কেউ বিডিআর এর ব্যাপারে আজেবাজে কথা বলেছেন বলে চোখে পড়েনি।আমরা দূর থেকেই শুধু ওদের গুষ্টি উদ্ধার করেই চলেছি।

৫০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:০৪

আতিকুল হক বলেছেন: দূর্নীতির আখরা হয়ে গেছে মানলাম। কিন্তু বিদ্যুতের খাম্বায় দূর্নীতির মুল দায় বিদ্যুৎ মন্ত্রনালয়ের সচিবের নয়, কার সেটা আপনারা সবাই জানেন। সামরিক বাহিনীর দূর্নীতিতে তাদের কোন দায় নাই, মুল দায় আর্মির, কিছু বলার নাই। একটা কথা মনে রাখবেন, নিয়মের বেড়াজালে এইসব দূর্নীতির খবর যেমন আপনাদের কানে যেমন কম পৌছায়, এইসব বাহিনীদের কর্মকর্তাদের সব জানার পরেও প্রতিবাদ করার সুযোগ থাকে আরো কম। অতএব, ইচ্ছামত গালি দিন, মৃত্যুতে উৎসব করেন।

যারা বিডিআরের ঘটনায় মারা গেলেন, তারা আর্মির অফিসার ছিলেন অথবা আর্মি অফিসারের স্বজন এই অপরাধে ঢালাও হত্যার স্বীকার হলেন। ভেতরের কি অবস্হা আমরা জানি না। কিন্তু অনেক হত্যা এবং গুমের ঘটনা ঘটেছে। বাংলাভিশনে শুনছিলাম একজন উদ্ধারকর্মী বলছিলেন, বাসা গুলোর অবস্হা নারকীয়। একটা স্বাধীন দেশে এমন হতে পারে সেটা অবিশ্বাস্য। শতাধিক অফিসার নিখোজ, কিন্তু লাশ পাওয়া গেল ১১ টি। যারা এমন হত্যা এবং গুম করেছেন তাদের বিচার না হওয়াটা আরেকটা বড় মাপের অপরাধ।

বিডিআর হওয়ার কারনেই কেউ ঢালাও হত্যার স্বীকার হোক তা অবশ্যই চাই না, কিন্তু এই জঘন্য হত্যাকান্ডের বিচার হবে না এটা মেনে নেয়া যায় না। এটা যদি না হয়, আমি নিশ্চিত এমন ঘটনা আমরা বারবার ঘটতে দেখবো। কাল এই শিশুটির জায়গায়, আপনার সন্তান বলবে, আমার আব্বু-আম্মুকে ছাড়া যাব না।

৫১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:০৮

মুকুট বলেছেন: কতিপয় সদস্যের জন্য সেনাবাহিনীও বিতর্কিত হয়ে পড়েছে, আপনাদেরই উচিত এই ভাবমূর্তি পূনরুদ্ধার করা। শুভকামনা!

৫২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:২২

নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
লগ ইন করার পর দেখি- আমি নাকি রেটিং দিয়ে ফেলেছি!!!!
মাইনাস দিতে পারলাম না.....


একজন আর্মি অফিসার প্রচণ্ড আবেগ নিয়ে লিখছে বলেই সবাই এটাকে স্টিকি করার আহবান জানাচ্ছে????

অবশ্যই- আর্মি অফিসাররা যে নৃশংসার মুখোমুখি হয়েছে- তার সুষ্ঠু তদন্ত দরকার- বিচার প্রক্রিয়ায় এনে শাস্তির বিধানও হতে পারে, নিহত সহকর্মীর জন্য আবেগ থাকাটাই কাম্য- এসমস্ত কিছুই আসতে পারে- আসাটাই স্বাভাবিক।

তবে- বাড়তি জিনিসগুলো আসলেই মিথ্যাচারে ভরপুর।

এবং অন্য শয়তানদের গল্প ফেদে আরেক শয়তানকে মহান করে তোলার পদ্ধতিকে আমার কাছে সবসময়ই শঠতা মনে হয়। কোন সরকারী গুণ্ডা কি করেছে এসব ফিরিস্তি এখানে অপ্রয়োজনীয়। জনগণের রেসপন্স যদি জানতে চান- ঐ গুণ্ডাদের গুণ্ডা হিসাবেই ঘৃণা করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার কথা এসেছে। এবং বলেছেন- অন্য বিষয়ে আন্দোলন করা হয় না!!!! ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়- বুয়েট- জাহাঙ্গীরনগর থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যাবতীয় আন্দোলন লড়াই সংগ্রাম ছাত্রছাত্রীরা করেছে কিন্তু আপনার কথিত নিশ্চুপ থাকার বিষয়গুলোতেই। শামসুর নাহার হলের ঘটনায়- সনি হত্যার বিচার চেয়ে- ধর্ষকদের বিচার চেয়ে- শিক্ষার নানা দাবিতে। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের বুকে ঢুকে একজন ছাত্রকে লাথি মারার ঘটনা আপনার কাছে কোন ঘটনাই নয়- সেটা আড়াল করে কি সুন্দর চাকরিচ্যুত এক আর্মির করুন কাহিনী গেয়ে গেলেন!!!!



অবশ্যই- বিডিআর এ আর্মি অফিসারদের নিহত হওয়ার ঘটনায় মর্মাহত, তাদের পরিবারবর্গের প্রতি সহমর্মিতা জানাই- এমন একটি ঘটনা ঘটে যাওয়া পেছনের কারণ গুলো অনুসন্ধান করার দাবি জানাই- প্রকৃত অপরাধীর বিচারও দাবি করি-; কিন্তু তার মানে এই নয় যে- এই ঘটনায় নিহত আর্মি অফিসারদের প্রতি ইমোশনকে কেন্দ্র করে কেউ আমাদের আর্মির প্রতি দৃষ্টিভঙ্গী পাল্টে ফেলবে!! তার মানে এই নয় যে- আমরা এই দেশে আর্মির ভূমিকা গুলো ভুলে যাবো! তার মানে এই নয় যে- এদেশে আর্মি কতগুলো ক্যু করেছে- কতবার অন্যায় ভাবে ক্ষমতা দখল করেছে!! তার মানে এই নয় যে ভুলে যাবো- সাধারণ জনগণের উপর আর্মির অন্যায় অত্যাচারের কাহিনী। ভুলে যাবো- চলেশ রিসিলদের কাহিনী। ভুলে যাবো- পাহাড়ী অঞ্চলে আদিবাসীদের উপর দিনের পর দিন আর্মির করে যাওয়া নির্যাতনের কাহিনী।


আরেকটি কথা- আর্মির এই সব কাহিনীর কথা যখন বলি, তখন অনেকে বলেন- সব আর্মিকেই এর জন্য দায়ি করা যায় কি না???
মনে রাখতে হবে- আর্মির নামে এসব যখন বলা হয়- তখন একটা ইনস্টিটিউশনের কথা বলা হচ্ছে। সেখানে দুএকজন কে কত ভালো- সৎ সেসব অপ্রয়োজনীয়।

যাহোক বেশী কিছু বলার নেই- সাহোশি৬ কে অসংখ্য ধন্যবাদ। পুরো পোস্টে তার কমেন্টই যথাযথ।


৫৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:৩৮

রাগ ইমন বলেছেন: নাস্তিক মনে হয় একটু ভুল বুঝলেন ।

আলোচনার জন্য স্টিকি করতে বলা হচ্ছে । সবাই এই পোস্টের সাথে একমত বলে নয় । অন্তত আমার তাই মনে হয়েছে । স্টিকি করা মানে কোন দুর্লভ সম্মান নয়, স্রেফ আলোচনার সুযোগ তৈরী করা ।

মানুষকে আপনার নিজের ক্ষোভটা জানাতে চাইলেন , অপরদিকের মানুষ গুলোর ক্ষোভের কথাটা শুনবেন না ?

৫৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:৪৪

নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
আমি আসলে ২৯ টা (কমেন্টের সময় ২৬) প্লাস দেখে এবং অনেক কমেন্ট দেখে- ঐ টি বলেছিলাম।

আপনি সহ দু একজন সম্ভবত দ্বিমত সহই স্টিকি করার দাবি করেছেন।
@রাগ ইমন

৫৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:৪৯

নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:

আর সবচেয়ে বেশী বিরক্তি তৈরী হয়েছে- এই পোস্ট লেখকের জবাব দেখে- সাহোশি৬ এর প্রথম কমেন্টের জবাব দেখুন। এই লোকের কি আলোচনা করার কোন যোগ্যতা বা সামর্থ্য আছে????

কোন প্রশ্ন আসলেই- দ্বিমত তুললেই, যদি ব্যক্তিগত প্রশ্ন চলে আসে- আপনি কি করছেন- আপনার দ্বারা কি হয়েছে..... ইত্যাদি বৃত্তান্ত যখন মুখ্য হয় তখন- সেই লোকরে আলোচনা সভা থেকে বের করে দেয়াই দরকার। কেননা- এই লোকরে ঝগড়া সভা, চুলোচুলি- লাঠালাঠিতে বেশী মানায়....

৫৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:৫০

অমাবশ্যার চাঁদ বলেছেন: পোস্টটিকে স্টিকি করার অনুরোধ করছি

৫৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:৫৭

ভুডুল বলেছেন: + স্টিকি করা হোক।

এতগুলো মানুষ মেরে ফেলে নিজের বেতন বাড়ানোর মানসিকতা যাদের থাকে তারা কি মানুষ?
কিছু কিছু সুবিধাভোগী আছে যারা বলে আর্মি আরাম আয়েশ করে জনগনের টাকায় চলে, অত্যাচার করে, ক্ষমতার দাপট দেখায় এটসেটরা এটসেটরা..... তারা কি সুযোগ পাইলে আর্মি অফিসার হইতে চাননা?
প্রতিবছর ক্যডেট কলেজগুলোতে কতশত ছাত্র ভর্তি হবার জন্য মুখিয়ে থাকে, এটা সবারই জানা।
এখন আসছে বড় বড় কথা বলতে।
আর্মি অফিসার আবেগ নিয়া লিখছে দেইখা সেইটায় দোষের হইয়া গ্যাছে!!!
যারা হীনমন্যতায় ভোগে কেবল তারাই আর্মির দোষ খুঁইজা বের করতে চায়-এটাই স্পষ্ট এখন।

৫৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:৫৮

কাজ করে খাই বলেছেন: স্টিকি করার কি আছে?

৫৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:০২

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আমরা ব্লাডি সিভিলিয়ানরা আর কী করতে পারি ? কেবল সহমর্মিতা জানানো ছাড়া ?

৬০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:০৩

অরণ্য আনাম বলেছেন: পোষ্টটি স্টিকি করা হয়েছে দেখে ভাল লাগছে ..অবিনন্দন আপনাকে

ধন্যবাদ মডুদের

৬১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:০৪

ভুডুল বলেছেন: দুইটা লাশ পইড়া থাকতে দেখা গেছে দেইখা আমরা বলি, একজন মানুষ মারা গেছে আর একটা আর্মি মারা গেছে!! হায়রে মানুষ!!

বাংলাদেশে কয় পার্সেন্ট লোক ধনী?
গৃহযুদ্ধ লাগুক তখন বুঝবেন যে যাদের আমরা গরীব গরীব জনতা বইলা , অবিচার করা হইতেছে বইলা কাইন্দা চোখের পানি ফেইলা সাগর বানায়া ফেলতাছি, ঠিক তারাই কতটা লুটপাট করে আপনারে বড়লোক মনে কইরা। যারা বড় হতে পারেনা তারা যখন হীনমন্যতায় ভোগে তখনই কেবল দাবী আদায়ের জন্য মানুষ মারতে দ্বীধা করেনা।

৬২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:০৬

আলাউদ্দীন মিলন বলেছেন: অন্যায় হয়েছে। বিডিআর জাওয়ান রা মারাত্মক ক্ষমাহীন অপরাধ করেছে।

কিন্তু,

-সরকার কি এই দায় এড়াতে পারে?

-সরকার দায় এড়িয়ে যাচ্ছে। নিশ্চুপ ভাবেই দায় এড়িয়ে যাচ্ছে।

-২ বছর দেশ পরিচালনার নেপথ্যে জেনারেল মইন উ আহমেদ এর ভূমিকা নিয়ে কথা বলা কি অন্যায় হবে ? ক্ষমতায় বসার ইচ্ছেটা তার যথেষ্ট ছিল।

-স্বরাস্ট্র মন্ত্রীর ভুল গুলো কি কারোই চোখে পরছে না ? তিনি কি এই দায়িত্বের যোগ্য ?


ট্রেন দূর্ঘটনা দেখেছেন কেউ ?
সিগনাল ভুল হলে দ্রুতগামী ট্রেন বাস, মানুষ ইত্যাদী মেরে ফেলে,
চাইলেও ট্রেন চালক কিছুই করতে পারে না।

BDR , ARMY এরা comand এ চলে, দেখতে এরা মানুষের মত হলেও engine দ্বারাই পরিচালিত হ্য়।

চিলে কান নিয়েছে বলে চিলার পেছনে যাচ্ছি, দোষ কার ? চিলের ? আমাদের ? নাকি, যে কথাটা ছড়াল তার ?

দেশ স্বাধীন , সেটা শুধুই মানচিত্র। আপনি , আমি স্বাধীন না।

ভুলটা সরকারের বেশী, এরা আজ আছে কাল থাকবেনা। এরা আমাদের জন্যে রাজনীতি করে না।
আর Media ? তারাও আমাদের আপন না।

ARMY, BDR, Civil আমরা তো থাকবো সবসময়, আমরা যে আপন। ভাই এর হাতে ভাই খুন হয়েছে, আমরা কি লড়াই করব না মিটিয়ে দেব তাদের বিদ্বেষ । ফায়দা ৩য় পক্ষের।

আমাদের ভাইদের আমরা থামাই.
সশস্ত্র বিদ্রোহ কখনো ভাল কিছু আনে না
যারা দায়ী তাদের বিচার করি।

ওদের দোষ দেবেন না, ওরা ভুল পথে পরিচালিত।

সবার জন্যে প্রাথ'না করি, দু ফোটা চোখের জল ফেলি। নিজেরা এক হই।


-------
সবুজ ভাই
ইটালী, রোম।


আমার পেজটি অজানা কারনে ১ বছর বন্ধ তাই আমার এক ভাই এর লগইন থেকে মেসেজ দিচ্ছি।

৬৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:০৮

দ্বিতীয়নাম বলেছেন: যার যায় সেই বুঝে, বাকীগুলি শেষ পর্যন্ত নিরর্থক আতলামীতে পর্যবসিত হয়।
+

৬৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:০৮

অচেনা সৈকত বলেছেন: অদ্ভুত মেন্টালিটি আমাদের!!! একদিনেই চিত্র পালটে যায় এ দেশে। যাই হোক, অবশেষে যে পোস্টটা স্টিকি করা হল সেজন্য মডারেটরদের ধন্যবাদ।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৯

অহরিত বলেছেন: স্যার আমি ক্লান্ত হয়ে পড়েছি কিছু মন্তব্য দেখে।নিজেকে জিজ্ঞেস করছি ,একজন অফিসারের কথা লিখে দিয়ে কি খুব ভুল করলাম?এতো বড় ভুল কি করলাম যে আমাকে লাঠিবাজ বলে উপাধি দেয়া হলো।
কেন আপনার মত সবাই ভাবতে পারছেনা জানিনা।আমি এখন নিতান্তই ক্লান্ত হয়ে পড়েছি।

৬৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:০৮

মেঘবালক অর্ভনীড় বলেছেন: সবার মনে ও প্রাণে শান্তি ফিরে আসুক

৬৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:১২

জেরী বলেছেন: কিছু বলার ভাষা নেই

৬৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:১৩

তাইলে শোনেন বলেছেন: ব্লাডি আর্মি।

মৃত সবার জন্যে সমবেদনা।মৃত্যু কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য না।একজন আর্মি অফিসার থেকে শুরু করে একজন রিকশাওলা,কারো না।

তবে মাঝখানের ঘটনা বাদে আগে এবং পরে সবসময় বালের আর্মির জন্যে সকালবেলার বাসি মু্ত্র।

৬৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:১৩

আবদুল্লাহ মামুন বলেছেন: আমাদেরও চোখ ভিজে উঠছে এই পোষ্ট পড়ে।
আমরা দেখতে চাই না আমাদের সৈন্যরা আমাদের সৈন্যদের মারছে।

৬৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:২০

ডিজুষ আঙক্ষেল বলেছেন: আমরা ব্লাডি সিভিলিয়ানরা আর কী করতে পারি ? কেবল সহমর্মিতা জানানো ছাড়া ?

৭০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:২৮

ইয়ামিন বলেছেন: জানিনা কি লিখব। বিডিআর এর প্রতি আমার যে একটা সিম্পেখি জন্মেছিলো তা ধ্বংস হয়ে গেছে। কেননা তারা তাদের দাবি পূরণে পুরোপুরি সশস্ত্র হয়েছে। পুরো ১০০+ জন মানুষকে তারা হত্যা করেছে। হত্যা করার মাধ্যমে তারা তাদের দাবি যদি আদায় করে নিতে পারে তবে উগ্রবাদি জঙ্গীদের আর এদের মধ্যে পার্থক্যটা রইলো কোথায়? জঙ্গীরাও তো অস্ত্র দিয়ে তাদের দাবিকে প্রতিস্ঠিত করতে চায়, কিন্তু বিবেকবান মানুষ কেউ কি সেটা সাপোর্ট করতে পারে? তাদের দাবিগুলো যে কতখানি যৌক্তিক তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু তারা যেটা করল তা কি কোন সভ্য জাতির জন্য মেনে নেয়ার মতন? যদি ১৬৮ জনকে মেরে তারা সুস্ঠু বিচার থেকেও বেচে যায় তবে শুধু বলতে হয়, "God mercy us..and our soul!!"

আমি সকল হত্যার বিচার চাইছি, চাইব.....!!

৭১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:২৯

জানপরী বলেছেন: সেনা এবং বিডিআর উভয় দেশ এং জাতির সম্পদ। আমরা যাকেই হারাব দেশ ও জাতির সম্পদ নষ্ট হবে। আর মানুষ হিসাবে, কারো মৃত্যু এভাবে হোক তা আমরা চাই না।

৭২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:৩১

রেজওয়ান শুভ বলেছেন: ডিজুষ আঙক্ষেল বলেছেন: আমরা ব্লাডি সিভিলিয়ানরা আর কী করতে পারি ? কেবল সহমর্মিতা জানানো ছাড়া ?

আরেকটা কাজ করতে পারি , যখনই কোনো বেজন্মা আমাদের ব্লাডি সিভিলিয়ান বলবে তখন জুতা খুলে মুখের উপর মেরে দিতে পারি , যেন আর কোনদিন সাহস না পায় ;)

৭৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৩

সীমান্ত আহমেদ বলেছেন: কিছু বলার ইছ্ছা নাই।

নিজের সবচেয়ে আপনজনটি নির্মমভাবে খুন না হলে কিছুই আমাদের ছুঁতে পারে না ।

মেহরাবের এই মন্তব্যেই সব কিছু বলা আছে।

৭৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৮

অঞ্জন সানি বলেছেন: আমি গতকাল বি ডি আর দের পক্ষে কথা বলেছিলাম । কিন্তু আজকে টিভি নিউজে অনেক কিছু দেখে মনে হলো বি ডি আর রা যা করেছে সেটা আসলেই আতিরিক্ত এবং পূর্ব পরিকল্পিত.....................তদন্ত করা উচিত এবং বি ডি আর দের শাস্তি হওয়া উচিত........।...।

৭৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৯

সাহোশি৬ বলেছেন: @নাস্তিকের ধর্মকথা: আপনাকেও ধন্যবাদ।

৭৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:৪০

দস্যু বনহুর বলেছেন: ১৪৬ জন আর্মি অফিসারের হত্যা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। কতখানি অবিবেচনাপ্রসুত অর্বাচীন চিন্তা হতে পারে এই নৃশংসতা? একটা জিনিষ বুঝিনা সামরিক বাহিনীতে শুধু মাথামোটাদের নেয়া হয় কেন, নিয়োগ সংক্রান্ত ব্যাপারে নতুন ভাবনার সময় এসেছে।

এটা কোন বিপ্লব ছিল না, পরিকল্পিত গনহত্যা। যারা এই গনহত্যার সাথে জড়িত তাদের কঠোর শাস্তি দাবী করছি। আর যারা এখন আর্মির বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ তোলে বিডিআর এর এই বর্বরতা ও নৃশংসতাকে সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছেন তাদের পরিবার আত্মীয়পরিজন সবাইকে বিডিআর দিয়ে ুন্দানো হোক।

৭৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:৪১

মুহম্মদ জায়েদুল আলম বলেছেন: রাজনৈতিকদের ব্যার্থতা।তাই আজ একজন আর্মি অফিসারকে হয়তো এভাবে লিখতে হয়। একজন বিডিআর জওয়ানকে তার অধিকারের জন্য চিৎকার করতে হয়, যুদ্ধকরে স্বাধীন হওয়া একটা দেশে ৩৭ বছরের মাথায় নিজেরা নিজেদের সাথে লড়ে ১/১১ তৈরী করি।

যুক্তরাষ্ট্রে ৯/১১ ঘটিয়েছে দেশের বাইরের শক্তি। ভারতে ২৬/১১ ঘটিয়েছে দেশের বাইরের শক্তি। আর আমরা? ১/১১ ঘটিয়েছে দেশের প্রধান দুইটি রাজনৈতিক দল।

৭৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:৪১

সাইকাস বলেছেন: বুকটা ফেটে যাচ্ছে।
দেশের এত বড় ক্ষতি কিভাবে পূরণ হবে?
পরিবারগুলোর কি হবে?

৭৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৩

অ্যামাটার বলেছেন: আর্মির কুমিরের কান্নার সাথে একমত নই, তবে ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক। যারা নিহত হয়েছেন, তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। দেশেরও অপূরনীয় একটা ক্ষতি হয়ে গেল নি:সন্দেহে।

৮০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৫

শেরিফ আল সায়ার বলেছেন: দোষতো আমাদেরই। আমরা কোনো কিছুর দায়দায়িত্ব নিতে চাই না। কোনো কাজের দরকার হলে অন্যকে উপদেশ কিংবা বুদ্ধি দিতে পারি। কিন্তু মাঠে গিয়ে কাজ করতে পারি না। উল্টো কাজ যারা করে তাদের দোষ খুজে বেড়াই।

বি.ডি.আর কে সরকার ক্ষমা করতে পারে। কিন্তু নিহত আর্মি পরিবারগুলো ক্ষমা করবে না। জনগণ বি.ডি.আরদের চাপা ক্ষোভকে এপ্রিশিয়েট করতে পারে কিন্তু নিহত পরিবারের কান্না সেই এপ্রিসিয়েটকে ধিক্কার জানাবে। জানোয়ারের মতো গুলি করে মেরে ড্রেনে ফেলে দেয়ার মতো জঘন্য কাজ যারা করে তাদের আর যাই হোক ক্ষমা করা যায় না। সরাষ্ট্র মন্ত্রী বারবার বলছেন, ওরা আমার ছেলে। এই খুনিদের উনি কিছুতেই তার সন্তান বানাতে পারেন না।
সাহস নিয়ে বিদ্রোহ যদি করেই থাকে। তবে বিদ্রোহের পর পালানোর মতো এই কাপুরুষদের আমি ঘিন্না জানাই।
আমি ঘিন্না জানাই যারা এই জঘন্য কাজগুলোর সাথে জড়িত থেকেছে।

৮১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৫

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: মানবতাকে এতো খন্ডিত করে দেখাটাই একটা অপরাধ। এতোগুলো মানুষের লাশ হওয়ার ঘটনাটি যেন খেলতে খেলতে হয়েছে। নিজের বিষয়ে বলার সময় আগাপাশতলা সামনে হাজির করবেন আর মুল বিষয়য়ের সময় শুধু কিছু মানিবক আবেগবোধকে ব্যবহার করবেন এটা অবশ্যই অপরাধ।

বাহিনীরভাগে নিজেকে আলাদা করে মানবিক সহানভুতি কিভাবে আশা করেন। যে কোন মানুষের গায়ের প্রথম পোশাকটাই হচ্ছে সে মানুষ-তারপর সে হয়তো পেশাজীবি। এবং যে কোন মৃত্যু মানেই মানুষের মৃত্যু -তাকে কোন বাহীনি কর্মীর মৃত্যু হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টায় উদ্দেশ্যমুখীনতা থাকে। কবে কোথায় বিদ্রোহ হয়েছে-রক্ত ছাড়া। শুধু ওই কয়েকজন বাহিনীর সদস্যের আপনজনকেই প্রকৃত অর্থে মানুষভাবাটা এখন সংস্কৃতি-এই সংস্কৃতি ক্ষমতা চর্চার কারণে তৈরি হয় এবং এটাও খুব পরিষ্কার যে সেনাবাহিনীর ক্ষমতার কাছেই থাকে সবসময়। আপনি দাবী করতে চাইছেন সে মানুষ-কিন্তু কোথাকার মানুষ তার পরিচয়ে সমগ্রকে তুলে ধরছেন না। যাও তুলেছেন সে একান্তই নিজের পক্ষে। এই নিজকে তুলে ধরতে গিয়ে আড়াল করছেন অনেককেই।

গুলি খাওয়া লাশ-কোন সমাজের পাপেরই ফসল-সে পাপ যেই করুক। নিজেকে সেই সমাজ থেকে আলাদা করতে চান কেন। এক অদৃশ্য বন্দুকের নল সবার দিকেই তাক করা-যে মরে তারটা প্রমাণিত হয়-বাকিরা প্রহেলিকায় থাকে-এটাই এখনকার রাষ্ট্র। সেই রাষ্ট্রে প্রকৃত অর্থেই অনেকের হাতে বন্দুক থাকে। শাক দিয়ে তা ঢাকা যাবে না।

৮২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৫

তাইলে শোনেন বলেছেন: ব্লাডি আর্মি।

মৃত সবার জন্যে সমবেদনা।মৃত্যু কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য না।একজন আর্মি অফিসার থেকে শুরু করে একজন রিকশাওলা,কারো না।

তবে মাঝখানের ঘটনা বাদে আগে এবং পরে সবসময় বালের আর্মির জন্যে সকালবেলার বাসি মু্ত্র।

৮৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৭

জেমসবন্ড বলেছেন:

১. প্রথম কথা মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা তা সে যেই হউক....আর্মি , বিডিআর আর সাধারণ জনগণ । বিচার বর্হিভূত অন্যায় হত্যা কোনভাবেই সমর্থণ যোগ্য নয় ।

২. দ্বিতীয় কথা ...বিডিআরের যে অভিযোগ তা খাতিয়ে দেখা দরকার যদিও তারা বর্তমানে জনসমর্থন হারিয়েছে । কিন্তু ..বার বার যেন এ ঘটনার পুনারাবৃত্তি না ঘটে তার জন্য বিডিআরের অভাব অভিযোগ দূর করতে হবে ।

৩. তৃতীয় কথা.....সেনাবাহিনীর লোকদের মাঝে সবাই খারাপ না..আমার বাবা-ও আর্মি অফিসার ছিলেন ..আমার এক দুঃসম্পর্কের দাদা ও আর্মি অফিসার ছিলেন..তার ছেলেও আর্মি অফিসার ........আমি বড় হয়েছি বিভিন্ন ক্যান্টনমেন্টে..সুতরাং আমি যতটুকু জানি যে সেনাবাহিনীতে অনেক চৈাকস , সৎ এবং ভালো অফিসার আছে.......তারা সত্যিকার অর্থে দেশের সম্পদ........বাংলাদেশের মত একটা দেশে তারা আসলেই সম্পদ.......অন্যান্য অনেক দেশেই দেখুন ......সে তুলনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী.........অনেক শ্রদ্ধা পাবার যোগ্য........কিন্তু গুটি কয়েক সেনা অফিসার আছে........এরা প্রকৃত-ই খারাপ....তারা হয় ..চরম খারাপ....দেখা যায় শুধুমাত্র তাদের কারণে পুরো সেনা-বাহিনী কলংকিত হচ্ছে...

.......এই যে গুটিকয়েক সেনা অফিসারের জন্য ঢালাওভাবে সবাইকে দোষারোপ করা অন্যায়..এবং তা কোনভাবেই সমর্থন যোগ্য নয় ।......

...........৭৫..৮২..তে যা ঘটেছে...তার জন্য পুরো সেনা-বাহিনীকে দোষ দেয়া যাবেনা....বাংলাদেশ স্বাধীন করার অধিকাংশ কৃতিত্ব কিন্তু এই সেনা বাহিনীর....তারা বর্তমানে জাতিসংঘের সবচেয়ে বেশী পরিমাণে যাচ্ছে অন্য দেশের তুলনায়....তাদের দক্ষতা ও সুনামের কারণে-ই.........

.......................এ মূহুর্তে দরকার সুষঠূ ন্যায় বিচার, নিরপেক্ষভাবে এবং যাবতীয় অব্যাবস্হাপনা গুলো দূর করা ।....

..........................সব কথার শেষ কথা বিডিআর, আর্মি , সিভিলিয়ান সব আমরা ভাই.......দেশের জন্য , জাতির জন্য আমরা সবাই এক.....মারামারি - বিশৃংখলা দূর্নীতি কোন কিছু ই মেনে নেওয়া যায় না ।

...................................আল্লাহ আমাদের সবার মধ্যে জ্ঞান, প্রজ্ঞা এবং ভ্রাতৃত্ববোধ জাগিয়ে তুলুন ।

৮৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৯

পারভেজ বলেছেন: বিদ্রোহ, বিনাবিচারে গনহত্যা, প্রতিশোধমুলক আচরণ- গণতান্ত্রিক দেশে এটা কখনোই প্রত্যাশিত নয়। বিডিআর যখন বিদ্রোহ শুরু করে, তাদের কাছে সেটা তখন যুদ্ধের সমান। যুদ্ধবন্দী হিসাবেই তাদের জিম্মিদের সাথে আচরণ করা উচিত ছিল। কিন্তু এই নির্বিচার হত্যাকান্ড হয়ে গেলো এটা কার ব্যর্থতা?
যদি গুটি কয়েক জওয়ান বিদ্রোহ করে নিশ্চুপ হয়ে থাকতো, তাহলে নিঃসন্দেহে তাদের স্থান হতো কোয়াটার্র গার্ড এ- অর্থাৎ কোর্টমার্শাল বা মৃত্যু দন্ড। বিদ্রোহ একবার শুরু করে সেটা থামানোর প্রক্রিয়া ছিলোনা- এর কারণ হতে পারে, ঐ সময় নেতৃত্বে কেউ ছিলনা। তখন ব্যক্তিগত আক্রোশের বশে অনেক হত্যাকান্ড হয়েছে বলে মনে করি।
যেটা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই - তা হলো সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের অমার্জনীয় ব্যর্থতা, অথবা তারাও বিডিআর জোয়ানদের এই মনোভাব কে তুচ্ছ- তাচ্ছিল্য চোখে দেখেছে।
একটা কথা বোঝা উচিত, কমান্ডে যারা থাকে তাদের দায়বদ্ধতা অনেক বেশী। সাধারণ জওয়ান সে বিডিআর হোক বা আর্মি হোক, খুব বেশী যে দূর্নীতি বা ক্ষমতা দেখানোর সুযোগ পায় তা নয়। তাই গুটি কয়েক ক্ষমতাধারীদের অপরাধের কারণেই জবাবদিহীর মুখে পরে যায় সম্পূর্ণ গোষ্ঠীর গ্রহনযোগ্যতা।
পোস্টের লেখায় অনেক গুলি সত্যি দৃশ্য তুলে ধরা হয়েছে।
এই হত্যাকান্ড মেনে নেবার মতো নয়।
আমি মনে করি আমাদের রাজনীতিবিদদের সীমাহীন দূর্নীতি, যথেচ্ছাচারিতা, পরিবারতন্ত্রের কারণেই আজকের এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
তবে বিডিআর সংকটে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আমাদের সামরিক বাহিনী এখন পর্যন্ত যথেস্ট প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়েছেন।
আবার বলছি "এখন পর্যন্ত"!!

৮৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৭

ক্যামেরাম্যান বলেছেন: আমি সশস্ত্র বাহিনীর ভক্ত না কোনদিনই। এদেরকে মাথায় নিয়ে নাচার প্রবৃত্তি হয় না কখনও। যারা দেশের রাষ্ট্রপতিকে হত্যা করতে পারে, তাদের সম্পর্কে ধারণাটা কখনই উচু হতে পারে না।

তারপরও ... । তারপরও, এইসব বাহিনীর প্রয়োজনীয়তাকে ফুঃ দিয়ে উড়িয়ে দেবার কথাও ভাবতে পারি না কখনও। আর তাই মনে করি সশস্ত্র বাহিনীর মূল সম্পদ হলো এর শৃংখলা। এটা যে বা যারাই ভঙ্গ করবে, তারা শুধূ সেই বাহিনীকেই দূর্বল করছে না, পূরো দেশ আর জাতিকে ঠেলে দিচ্ছে অনিশ্চয়তার দিকে। আমাদের বিডিআর জোয়ানরা এই অপকর্মটিই করেছে। দূর্নীতি, অত্যাচার আর হত্যাকান্ডের বিচার হবে পরে, আগে বিচার হতে হবে এটার। তারা শুধূ কয়েকজন ব্যক্তিকে জিম্মি করে নাই, জিম্মি করেছিল পূরো দেশ আর দেশের মানুষকে। যে অস্ত্র দিয়ে দেশ আর দেশের মানুষকে হেফাজত করার কথা, সেটা সে তাক করছে এই দেশেরই মানুষের দিকে।

এর বিচার হতে হবে সর্বাগ্রে।

৮৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৮

হুমায়ুন কবির হাকিম বলেছেন: বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানী সৈনিকেরও কিন্তু এরকম আবেগঘন লেখা থাকতে পারে......কাজেই আমি কোন সহানুভূতি দেখাতে পারছি না.....স্যরি, ট্রাই সামহ্যোয়ার এলস......

৮৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৯

জামাল ভাস্কর বলেছেন: একটা অসমর্থিত আর অপ্রমাণিত তথ্য সমৃদ্ধ পোস্ট কিভাবে স্টিকি হয়!?

আজিব দুনিয়া!

৮৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:০০

রিসাত বলেছেন: আর্মিদের কারও কাছে জবাবদিহিতা করতে হয় না,,, উনারা বিডিআরের পদে এসে বিডিআরের সদস্যদের হিউমিলিয়েট করতেন,,,

উনাদের বিরুদ্ধে কমপ্লেইন করার বা ব্যাবস্থা নেয়ার কোন উপায় ছিলো না,,, বিডিআরদের মানবিক দিকটা বিবেচনা করা উচিৎ,,,

একটা ব্যাপার লক্ষ্য করেন,,, বিডিআরদের সবাই এই আন্দোলনে একাত্মতা ঘোষণা করেছিলো,,, সবাই মিলে একটা ভুল উনারা কেনো করতে যাবেন????

উনাদের কি চাকুরি ফেমেলি এদের মায়া নাই???

বিডিআরদের যোগ্যতা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তোলেন,,, দেশে আর আদৌ কোনো সমস্যা বিডিআর তৈরী করেছিলো তা খতিয়ে দেখেন,,,

এবং বিডিআরের সেই জোয়ানগুলা বাদ দিয়ে সীমান্তে আর্মি পাঠিয়ে দেখেন,,, তাইলেই আর্মিদের যোগ্যতা বুঝতে পারবেন,,,

বিডিআররা আর্মি দের ভয়ে সীজ ফায়ার করেনি,,, তারা অনবরত ফাঁকা গুলি ফায়ার করেছিলো,,,

এটা কেবল আর্মিদের ভয়ে,,, বিডিআরদের প্রধান দাবী ছিলো সেনাবাহিনী মোতায়েন না করা,,,

আর বিডিআররা দেশদ্রোহী হলে প্রধান মন্ত্রীর ভাষণের পরও বিদ্রোহ জারি রাখতো,,,

ঐখানে প্রত্যেকটা লোক অত্যাধিক রকমের দেশ প্রেমিক,,, উনারা সীমান্তে দিনের পর দিন রাতের পর রাত খেয়ে না খেয়ে ছুটি না নিয়ে,,, আত্মীয় পরিজন দূরে ফেলে রেখে বিএসএফের গুলির মুখে থাকেন,,,

বিডিআরের শীর্ষ ঐ আর্মি অফিসাররা ন্যুনতম মায়া দেখাতেন না,,, আপনি আপনার পিতার কাছে নিজের একটা আবদারের কথা বললে উনার সামর্থ্যে না কুলোলে স্বান্তনা মুলক হলেও কিছু বলতেন,,, কিন্তু ঐ অফিসাররা তা করতেন না,,,

স্বজাতি না হওয়ায় বিডিআরদের কষ্ট বোঝা ঐসব আর্মি অফিসারদের পক্ষে সম্ভবপর ছিলো না,,,

সো প্লিজ সবার কাছে আমার আকুতি সবাই একতরফাভাবে আর্মির পক্ষ নিবেন না,,,

৮৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:০১

সাঁঝবাতি'র রুপকথা বলেছেন: প্রতিটা হত্যার বিচার হতে হবে। আমাদের দেশে হত্যার বিচার হয় না বলেই আজ এ অবস্থা।


বিডি আর দের পরিবার নাই?তাদের ছেলে মেয়ে নাই, বউ নাই? যে বিডি আর রা মরলেন তাদের কথা তো এই পোষ্ট এ কেউ বললেন না?

৯০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:০৫

হমপগ্র বলেছেন: সাঁঝবাতি'র রুপকথা বলেছেন: প্রতিটা হত্যার বিচার হতে হবে। আমাদের দেশে হত্যার বিচার হয় না বলেই আজ এ অবস্থা।


বিডি আর দের পরিবার নাই?তাদের ছেলে মেয়ে নাই, বউ নাই? যে বিডি আর রা মরলেন তাদের কথা তো এই পোষ্ট এ কেউ বললেন না?

৯১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:০৭

হুমায়ুন কবির হাকিম বলেছেন: কেউ কি পারেন আঠালো এই পোষ্টটিতে পানি ঢেলে আঠা ছাড়িয়ে দিতে???? এই আঠা যে আর্মির পা চাটা কুত্তার মতোই, ধরলে আর ছাড়ে না......

৯২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:১১

বিবর্তনবাদী বলেছেন: আজ দুদিন ধরে শুধু একটাই আলোচনা অপারেশন ডাল-ভাত আর আর্মি অফিসারদের দূর্নীতি। বিডি আর কি কোনভাবে আর্মির নিন্ত্রনাধীন? ওখানে অফিসাররা শুধু পোস্টেড হয়। আর স্বারাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের আদেশ নির্দেশ কিংবা খাদ্য মন্ত্রনালয়ের নিয়ন্ত্রন ছাড়া কি অপারেশন ডাল ভাত হয়েছে? সেখানে যদি দূর্নীতি হয়ে থাকে তার দায়ভার এককভাবে আর্মি অফিসারদের ঘাড়ে কেন বর্তাবে? আর দূর্নীতি হয়ে থাকলে তার মূল্য কি ১৬৮ জন অফিসার এর জীবন আর তদের পরিবারের বিনিময়ে পরিশোধ করতে হবে ?
================================

বিগত দুই বছর দেশে পরোক্ষ ভাবে আর্মির শাসন চলেছে। তারা শিক্ষক, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, সরকারি চাকরিজীবি সহ কাকে না ধরেছে দুর্নীতির জন্য। আর তাদেরকে পরিচালিত করা অপারেশন ডাল-ভাতের দুর্নীতির খবর তারা জানে না।??? আপনি কি এটা বিশ্বাস করতে বলেন?

৪৫ টাকায় কেন তেল ১২০ টাকায় বিক্রি যদি আর্মির হাতেই হয়ে থাকে, তবে এর জন্য দায়ী কে???? আর্মি কি নয়। আর্মির কর্মকান্ডের দায়ভার আর্মিকেই নিতে হবে।

৯৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:১৪

বিবর্তনবাদী বলেছেন: আমি বলতে চাই, এই ধরণের আর্মি ধুয়ে আমরা কি পানি খাব। তারা যদিও শপথ নিচ্ছে আত্মত্যাগের কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে তাদের আত্মত্যাদের অপশন কোথায়??? তাদের দুধ কলা দিয়ে পোষা হচ্ছে, কারন কেউ বাংলাদেশ আক্রমন করলে আমরা নিশ্চিন্তে থাকব, আর তারা আমাদের বাচাবে। এটা কতটা বাস্তব সম্মত। আমাদের আর্মীর কি সেই ক্ষমতা আছে যে, তারা কোন পরাশক্তির সাথে লড়তে পারে? যেটা তারা করতে পারে, কেউ বাংলাদেশ আক্রমন করলে সাধারন মানুষকে গেরিলা যুদ্ধের জন্য ট্রেনিং দেওয়া। তার জন্য এত অর্থ কেন আমরা ঢালব অফিসারদের আরাম আয়েশের জন্য???

বিডিআর জোয়ানদের দাবি গুলো কি তাদের কমান্ডাররা এতদিন শুনেছিলেন? আপনি আমি কি জানতাম তাদের দাবীর কথা? আজ জানি!! কেন?? অন্য কোন উপায়ে আমাদের এগুলো জানানো সম্ভব ছিল?

অমরণ অনশন, মানববন্ধন, কালো ব্যাজ এই সব ফাপা কাজ দিয়ে দাবি আদায় হয় না। তার পর প্রতিপক্ষ যদি থাকে আর্মি।

৯৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:১৫

বিবর্তনবাদী বলেছেন: জামাল ভাস্কর wrote: একটা অসমর্থিত আর অপ্রমাণিত তথ্য সমৃদ্ধ পোস্ট কিভাবে স্টিকি হয়!?

আজিব দুনিয়া!

৯৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:১৯

বিবর্তনবাদী বলেছেন: অভিজাত আর্মিকে এসব বলে লাভ নাই। আর আমাদের কথার কোন দামও তাদের কাছে নাই। দেশতো তাদেরই।

আমাদেরকে ব্লাডি সিভিলিয়ান বইলা একটা গালি দিয়ে আলোচনার ইতি টানতে পারেন

৯৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:১৯

ওমর হাসান আল জাহিদ বলেছেন: লেখাটি পুরোপুরি আবেগনির্ভর। আমাদেরও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অনেক যৌক্তিক সমালোচনা আছে। আর এটি অস্বীকার করার উপায় নেই যে সেনাবাহিনীর উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা আসলেই নিজেদের আর মানুষ ভাবেন না। তারা ভাবেন তারা মানুষের চেয়েও ঊর্ধ্বে কিছু।

৯৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:২৪

পথিক মানিক বলেছেন: সাঁঝবাতি'র রুপকথা @ হ ঠিক কথা। কইলে সবার কথাই কইতে হইবো। আর কিছু করতে হইলে সবার জন্যই করতে হইবো। কি এক ঘটনায় কত মায়ের বুক খালি হইল....সন্তান হারাইল পিতা....স্ত্রী হারালো স্বামী।

বিচার অবশ্যই হওয়া উচিৎ। অসৎ আর্মি অফিসারগো । যাদের জন্য আজকের এই নির্মম ইতিহাস।

৯৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:২৮

বিবর্তনবাদী বলেছেন: এই পোস্টে একটা মন্তব্য করছিলাম। এইখানেও রাইখা গেলাম।


তোমার বাবা মা ডাক্তার তাই দুইটা রোগের কথা বলি।

প্রথমটা প্লেগ। এটা হলে অনেক লোক দ্রুত মরে যায়। অনেক লাশ থাকে, ভয় থাকে। দেখলে বা ভাবলেই ভয় লাগে। তাই প্লেগকে সবাই ভয় পায়।


দ্বিতীয়টা, ডায়বেটিস। ডায়বেটিস হলে আমরা দেখি রুগির সুগার লেভেল বেশি। ক্লান্ত লাগে, কেটে কুটে গেলে সহজে সারে না। আপাত দৃষ্টিতে ডায়বেটিস রোগীর কষ্ট দেখা যায় না, কিন্তু সে তিলে তিলে মরে। পৃথিবীতে কোন রোগে মানব মৃত্যুর দ্বিতীয় কারন এই ডায়বেটিস। যার সামগ্রিক রূপ প্লেগের চাইতে অনেক ভয়াবহ।

প্লেগ হচ্ছে বিগত দুইদিনে ঘটনা। আর ডায়বেটিস হচ্ছে বিডিআরকে করা কয়েক যুগের নিপিড়ন। আশা করি ঝড়কন্যা বুঝতে পারছ আমি কি বললাম।

৯৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:৩২

এরশাদ বাদশা বলেছেন: যারা সমালোচনা করে, একবারও চিন্তা করেনা, বাংলাদেশ আর্মি এই দেশের জন্য কতো সম্মান বয়ে এনেছে। বিশ্বের দরবারে এই গরীব দেশকে মাথা উঁচু করে দাঁড় করিয়েছে। আর্ত মানবতার সেবায় বাংলাদেশ আর্মি সবার আগে ছুটে গিয়েছে। অবশ্যই আর্মির সব অফিসার ধোয়া তুলসী পাতা নয়। এতোবড়ো একটা সামরিক বাহিনীতে দূর্নীতির রাহুগ্রাস থাকবেই। কিন্তু তাদের সমষ্টিগত অবদানের তুলনায় সেটা ধর্তব্যে আনার কোন যুক্তি দেখিনা।

ডালভাত-পান্তাভাত বুঝিনা। ডালভাতের পিছনে যে ব্যক্তি শাকিল আহমেদ; একশোবার মানি, তার দ্বারা অনর্থ হয়েছে। কিন্তু কি দোষ করলো, তার পরিবার?? কি দোষ করলো তার কাজের মেয়েটি। কি দূর্নীতি হয়েছিলো তার ছোট্ট ছেলেটির দ্বারা??

কেন তাদের সবাইকে এতো নির্মমভাবে হত্যা করা হলো??

এখনো পর্যন্ত ম্যানহোল থেকে অফিসারদের লাশ তোলা হচ্ছে। এখনো অন্ততপক্ষে সেই লাশেরই সন্ধানে এ গেইট থেকে ও গেইট ঘুরে বেড়াচ্ছে তাদের স্বজনেরা।

দাবি আদায়ের জন্য এ কোন হোলিখেলা? রক্তগঙ্গা বইয়ে দিয়ে কোন স্বার্থ হাসিল করতে চাইলো এরা?

যা হলো, তা ভালো হলোনা....যা হলো তার নেপথ্যে থাকা সবকটার ফায়ারিং স্কোয়াড চাই...

১০০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:৩৮

রিসাত বলেছেন: প্রতিটা হত্যার বিচার করার কথা তোলা সহজ কিন্তু করা সম্ভব নয়,,, এতে স্রেফ নিরপরাধ কিছু বিডিআর মরার সম্ভাবণাই বেশি,,,

সম্ভব হলে সবকটা হত্যার বিচার করা হৌক,,,

কিন্তু সেটা কীভাবে সম্ভব???????????

১০১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:৩৮

ওমর হাসান আল জাহিদ বলেছেন: @এরশাদ বাদশা

ভাই, জনাব শাকিলের চেয়ে তার স্ত্রীর ভূমিকা ছিল আরো খারাপ। সেটি নিশ্চয়ই শুনেছেন। অন্যদের পরিবারের তেমন কিছু হয় নি। তবে আমি অবশ্যই এই হত্যাকান্ড সমর্থন করিনা। আর আবার বিডিআর জওয়ানদের বক্তব্য অত্যন্ত যৌক্তিক এবং এই বিদ্রোহ তাদের দীর্ঘদিনের ক্ষোভ।

আমাদের সেনাবাহিনীর ইতিহাস মোটেই ভাল নয়। ইদানীং তারা একটু ভাল ভূমিকা রাখছে। তারপরও তারা যেভাবে দেশের অর্থনীতির সাথে জড়িয়ে যাচ্ছে, তা অদূর ভবিষ্যতে অর্থনীতি ধ্বংসের জন্য যথেষ্ট।

১০২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:৩৯

রিসাত বলেছেন: পনের হাজার বিডিআর ধরে নেন সবাই দোষী,,, সবাইকেই ফায়ারিং স্কোয়াডে দেয়া হৌক,,,
---------------------------------------------------------------------------------
বলেন এই প্রস্তাব কে কে সমর্থন করেন???

১০৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:৪১

মাইবম সাধন বলেছেন: হুম! দারুণ লেগেছে..

১০৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:৪৩

রাগিব বলেছেন: সব খুনের বিচার চাই। খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

সেনাবাহিনীর উপরে যতোই ক্ষোভ থাকুক, গুলি করে মানুষকে মারাটা সমর্থন কোনো মানুষ করতে পারে না। বিডিআর-এর যতোই ক্ষোভ থাকুক, শ খানেক মানুষ মেরে ফেলার কোনো যুক্তিই তাদের নেই। দেশের সাধারণ মানুষের চেয়ে বিডিআরেরা বেশি কষ্টে নাই ... সাধারণ মানুষ কি কোথাও খুনের নেশায় মত্ত্ব হয়েছে।

আর এর পরেও যারা খুনিদের পক্ষে কুযুক্তি অজুহাত দেখাবেন, তারা সম্ভবত পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর ২৫শে মার্চের গণহত্যারও সমর্থক। সেই খুনি পাকিস্তানী সেনা, আর আজকের ২৫শে ফেব্রুয়ারির খুনি বিডিআরদের মধ্যে পার্থক্য সামান্যই।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:৫৬

অহরিত বলেছেন: স্যার আপনাকে দেখে অনেক ভালো লেগেছে।আপনি অনেক গুছিয়ে কিছু চমৎকার কথা বলেছেন।এই পোস্ট দেয়ার পর থেকে কত আজেবাজে কথা শুনলাম।ভাবছিলাম কিছু আর বলবোনা।কিন্তু আপনাকে আমার মত ভাবতে দেখে সাহস পেলাম।এখন মনে হচ্ছে,নাহ আমার ভাবনা বোধ অন্যায় হচ্ছেনা।
স্যার ব্লগ লিখেছি মায়েদের নিয়ে,শহীদদের নিয়ে আর নতুন লিখেছি মারা যাওয়া কিছু মানুষের আর তাদের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে।দেখলেন তো স্যার কত আজেবাজে মন্তব্য হজম করতে হলো......এইটাই কি স্যার আমাদের ব্লগের ধর্ম?কারো সাথে কথা মিলেনি তাই লাঠিবাজ হওয়াই কি স্যার আমার শেষ পরিণতি?

১০৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:৪৩

রিসাত বলেছেন: আর যদি সমর্থন করেন কেউ তায়লে আমার কিছু বলার নাই,,, কিন্তু যদি নির্বিচারে বা আন্দাজে বা অস্পষ্ট উপায়ে বিচারের কারণে যদি আমাদের আরও কিছু নাগরিকের মৃত্যু হয় তাহলে সেই ক্ষেত্রে আমার কিছু বলার আছে,,

এই লোক গুলা আমাদের সদর দরজার দারোয়ান,, উনারা আমাদের পরিবারের আব্রু রক্ষা করে থাকেন,,, উনারা অর্ধশিক্ষিত হতে পারেন,,, আমরা কেন উনাদের পক্ষ নিবো না???

১০৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:৪৬

রিসাত বলেছেন: হ্যা রাগিব আপনি ৭১এর কথাও ভাবেন,,, ভেবে বলেন আমাদের বিডিআররা কী কী পাপ সেই সময় করেছিলো???

১০৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:৪৬

জামাল ভাস্কর বলেছেন: তথ্যসূত্র ছাড়া একটা পোস্ট আরো খানিক্ষণ থাকলো...

১০৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:৪৭

অচেনা সৈকত বলেছেন: রাগিব ভাই@ সাহসী মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১০৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:৪৮

এরশাদ বাদশা বলেছেন: @ জাহিদ ভাই; লাশের মিছিল দেখে নিজেকে ঠিক রাখা দুরহ হয়ে পড়ে। বিডিআরের এই হত্যাযজ্ঞ কি মঙ্গল বয়ে আনবে তাদের জন্য?
আর্মি আর বিডিআরের মধ্যে যে দ্বন্ধ তৈরী হয়ে গেলো, কতোদিনে তার অবসান হবে?

সত্যিই কি অন্যকোন উপায় ছিলোনা?

১১০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:৫০

রিসাত বলেছেন: ভাই ২১৭ বছর ধরে বিডিআর মূর্খ সদস্য নিয়ে হলেও ডিসিপ্লিনড একটা ডিপার্টমেন্ট,,,

তাদের রেকর্ডকে এতো সহজে ম্লান মনে হয় কেনো আপনাদের কাছে???

১১১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:৫০

রাগিব বলেছেন: উল্লেখ্য, বঞ্চনা নিয়ে বিডিআরদের অভিযোগ, ক্ষোভ প্রকাশে আমি সমর্থন করি অনায়াসে, কিন্তু গত ২ দিনের মানুষ খুন করার কোনো অধিকার, যুক্তি, কিছুই নাই। দেশের সাধারণ মানুষেরা আরো অনেক দুঃখ কষ্টে জীবন কাটাচ্ছে। টাকা পয়সার বখরা নিয়ে বচসা হতে পারে বিডিআর সেনাবাহিনীতে, তাই বলে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর মতো নির্বিচারে গণহত্যা করা কখনোই সমর্থনযোগ্য না। ১৯৭৫ সালে সেনাবাহিনীর সদস্যরা একই কাজ করেছিলো -- হত্যা করেছিলো সেনাবাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের। দেশের ইতিহাসের সেই কালো অধ্যায়ের পুনরাবৃত্তি চাই না। সব খুনীর বিচার চাই। সাধারণ জওয়ানদের বিদ্রোহের ক্ষমা করা যেতে পারে, কিন্তু যারা সক্রিয়ভাবে খুন করেছে, তাদের কোর্ট মার্শাল আবশ্যক।

১১২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:৫১

এরশাদ বাদশা বলেছেন: @পুরোপুরি সহমত রাগিব ভাইয়ের সাথে। এরপর আর কিছু বলার থাকেনা।

১১৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:৫৪

রেজওয়ান শুভ বলেছেন: হুমায়ুন কবির হাকিম বলেছেন: বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানী সৈনিকেরও কিন্তু এরকম আবেগঘন লেখা থাকতে পারে......কাজেই আমি কোন সহানুভূতি দেখাতে পারছি না.....স্যরি, ট্রাই সামহ্যোয়ার এলস......

১১৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:৫৫

রিসাত বলেছেন: উল্লেখ্য, বঞ্চনা নিয়ে বিডিআরদের অভিযোগ, ক্ষোভ প্রকাশে আমি সমর্থন করি অনায়াসে, কিন্তু গত ২ দিনের মানুষ খুন করার কোনো অধিকার, যুক্তি, কিছুই নাই।
-------------------------------------------------------------------------------

@ রাগিব,,, এইভাবে ছাড়া আর কোনভাবেই ক্ষোভ প্রকাশের উপায় ছিলো না,,, আপনি স্বয়ং আর্মি অফিসারদের এই প্রশ্নটা করে দেখেন,,,

কর্ণেল কামরুজ্জামানের ইতস্তত করা সাক্ষাতকারের সেই ফুটেজটা আরেকবার দেখেন মনোযোগ দিয়ে,,, হয়তো ঘটনার কিছু আঁচ করতে পারবেন,,,

উনার বক্তব্যে অসামঞ্জস্য আছে,,,

১১৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:৫৫

'লেনিন' বলেছেন: এটা অর্ধশিক্ষিত জওয়ানদের দিয়ে কোনো স্বার্থ হাসিলের চক্রান্ত। সব খুঁজে দেখা উচিৎ।

এর অবসান হবেনা যদি না পূর্বের সব অপকর্মের বিচার না হয়।

১. যুদ্ধাপরাধী
২. রাষ্ট্রপ্রধান, সেনা কর্মকর্তা হত্যা
৩. বিশিষ্ট নাগরিক ও নেতাদের হত্যা
৪. ধর্মকে জড়িয়ে জঙ্গীবাদী বিশৃঙ্ক্ষলা

আমাদের জাতিগত মননের স্খলন না ঘটলে এতো বড় অপরাধকে কী করে সমর্থন করি আমরা?

কী করে এখনো ভাবি সেনাবাহিনী সব বিডিআর কে মেরে খতম করে দেবে? আমাদের কি চেতনার বিনাশ ঘটেছে?

সমবেদনা সব স্বজন হারানোদের প্রতি। ধন্যবাদ সেনাবাহিনীকে তাদের ধৈর্যের জন্য।

এই বিশৃঙ্খলার অবসান দরকার।

আমাদের অন্তত এটা স্বীকার করতে কি কোনো সমস্যা আছে যে বিডিআর সৈনিকরা গুয়ান্তানামোর বন্দিদের মতো নিপীড়িত ছিলো না যে এমন ঘৃণ্য রক্তপাত ঘটাতে হবে। এর মধ্যে কোন ধরণের হিরোইজম আছে?

১১৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:৫৬

রাগিব বলেছেন: @রিসাত - ৭১ এ বিডিআর এর সদস্যরা বীরত্বের সাথে পাক হানাদারদের মোকাবেলা করেছিলো। আর ২০০৯ এ তারা সেই পাক হানাদারদের শিক্ষাই গ্রহন করেছে।

(আপনার যে যুক্তি, সেই যুক্তি কিন্তু সব সময়েই খুনীরা দিয়ে থাকে ... ৭৫ এ শেখ মুজিবর রহমানকে খুন করা সেনা অফিসারেরাও একই কথা বলতো, ৮১তে জিয়ার খুনীরাও একই কথা বলতো।)

সেনাবাহিনীর ক্লিন হার্ট, র‌্যাবের ক্রসফায়ারকে যে মুখে নিন্দা করি, সেই মুখেই বিডিআরদের হত্যাকান্ডকে ঘৃণা করি। কালকের ঘটনার পরে হয়তো পাবলিকের পেটে পাড়া দেয়া টাকার বখরা বিডিআরের জওয়ানেরা কিছু বেশি পাবে, কিন্তু ১৬০টি পরিবার, এবং দেশের অধিকাংশ মানুষ বিডিআরের ৭১ এর বীর ভূমিকার কথার বদলে ২০০৯ এর কথাই বেশি মনে রাখবে।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:০১

অহরিত বলেছেন: একমত স্যার।

১১৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:৫৯

সচেতন বলেছেন: অনেক কিছু শিখলাম আর জানলাম। খুবই প্রয়োজন ছিল এমন একটা লেখা। বিচার চাই, বিচার চাই, বিচার চাই। ৭১ থেকে শুরু করে এই সময়ের সকল অপরাধের বিচার চাই।

১১৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:৫৯

হ।স।ন বলেছেন: জলপাইদের আমলনামা বিচার করলে আপনার অফিসারের বর্ণিত কাজ গুলা গরু মাইরা জুতা দান থেইকা বেশি কিছু না।

১১৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:০০

রিসাত বলেছেন: "দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিলো"

প্রত্যেকটা জোয়ান গতপরশু টিভি সাক্ষাতকারে এই কথা বলেছিলো,,, তাদের অভিযোগের গুরুত্ব খতিয়ে দেখা হৌক,,,

১২০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:০০

আতিকুল হক বলেছেন: সাধারন ক্ষমার গন্ডি এটাই হওয়া উচিত যে, কেবল বিডিআর পরিচয়ের জন্যই কাউকে নিগৃহীত হতে হবে না। তবে সত্যিকার অপরাধী যারা, তাদের খুজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। কারন নইলে এমন হত্যাকেই লাইসেন্স দেয়া হয়। যারা আজ আর্মি মরেছে বলে সমর্থন দিচ্ছেন তাদের বলি, কাল যদি পুলিশ এই কাজ করে এবং কোন পাবলিক প্লেস দখল করে কয়েকশ মানুষ মেরে দাবি আদায়ের চেষ্টা করে তারা কেন ক্ষমা পাবেনা। পুলিশের সংখ্যা তো বিডিআরের চেয়ে অনেক বেশি আর তারা কি বন্চিত নয়। চেইন অব কমান্ড রিস্টোর করার জন্য বিচার হতেই হবে। খুব ভালো করে বোঝা দরকার দাবি আদায়ের (তা যত যৌক্তিকই হোক) তা আদায়ের অন্যায় পথকে না বলার সময় এসেছে। তা বিডিআরই করুক বা রাজনৈতিক দলই করুক।

১২১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:০১

রাগিব বলেছেন: @রিসাত --"@ রাগিব,,, এইভাবে ছাড়া আর কোনভাবেই ক্ষোভ প্রকাশের উপায় ছিলো না,,"


আগেই বলেছি, ৭৫ এর খুনীরাও একই কথাই বলতো, ৮১ এর খুনীরাও তাই, আর পাক বাহিনীর টিক্কা খান, ইয়াহিয়া, নিয়াজী, জার্মানীর হিটলার -- সব খুনীদের খুব পুরানো একটা অজুহাত -- এটাই।

যে রিকশাওয়ালাটি বিডিআরের গুলিতে মরেছে, তার চেয়ে কি বিডিআরেরা বেশি কষ্টে ছিলো? রাস্তার যে পথচারী ওষুধ কিনতে গিয়ে গুলি খেলো, তার চাইতে সোনার চাঁদ বিডিআরেরা বেশি ক্ষুব্ধ ছিলো? টাকার বখরা কম পেলেই গোলাগুলি শুরু করতে হবে? মৃত সেই রিকশাওয়ালাটি কি ভরপেট খেয়ে মনের আনন্দে ক্ষোভ ছাড়াই জীবন চালাতো?

আপামর জনসাধারণ অনেক অনেক কষ্টে জীবন যাপন করে চলেছে, মশার মতো করে তারা মানুষ মারতে উদ্যত হচ্ছে না। দেশের কোটি কোটি মানুষের চাইতে বিডিআরের জলপাইয়েরা বেশি কষ্টে গোস্বায় গুলি চালানোর লাইসেন্স পেয়ে বসবে, সেটা আশা করা যায় না, মানাও যায় না।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:০৪

অহরিত বলেছেন: স্যার আমার আর কিছু বলা লাগবেনা।আপনি যা বলেছেন তাই যথেষ্ট।এইজন্য ধন্যবাদ।

১২২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:০২

ইউনুস খান বলেছেন: সীমান্ত পাহাড়ার দেওয়ার সময় আমরা দুইভাই পাশেই ছিলাম। দুইভাই মানে আমি এবং আমার আরেক বিডিআর ভাই। হঠাৎ করে কিছু বুঝে উঠার আগেই একদিন বিসিএফ এর সদস্যরা ঐ রাতে ধরে নিয়ে যায়। আমাদেরকে বুঝানো হয় র' এর হয়ে কাজ করার জন্য। আমরা রাজি না হলে আমাদেরকে নির্যাতন করা হয়। অমানসিক নির্যাতন।
একদিন সুযোগ বুঝে আমরা পালিয়ে আসতে চাইলে আমার ভাইটি ধরা পরে যায়। আমি জীবনটা নিয়ে পালিয়ে আসা ছাড়া কিছুই করতে পারলামনা ভাইটির জন্য। দুইদিন পর আমার ভাইয়ের লাশ পাওয়া গেলো সীমান্তবর্তী এক ধানক্ষেতে। চোখে-মুখে বিভস্র অত্যাচারের চিহ্ন।
তাওতো লাশটা পাওয়া গেলো। অনেক সময় আমার কোন ভাইকে মেরে সে লাশটি টেনে-হিছড়ে হায়েনারা নিয়ে যায়। পতাকা বৈঠক করার পরও নিশ্চিত হওয়া যায়না লাশটি কি আমরা আমার মায়ের কাছে ফিরত দিতে পারবো কিনা?
শুধু আমার এই ভাই নয় বা শুধু আমি নয় আমার প্রতিটা ভাই প্রতিটা মুহুর্ত্তে মৃত্যুর আশংকায় থাকি। এই বুঝি রাতের আধারে কোন হায়েনা ঝাপিয়ে পড়ে সীমান্তের ওপারের ভয়ংকর সুন্দর বন থেকে। সবসময় আতংকে থাকি এই বুঝি কোন চর আমাদেরকে ভুলিয়ে নিয়ে যায় মৃত্যুর উপতক্যায়। অথবা কোন চোরাই কারবারীর লালসার বলি হতে হয় আমাদেরকে।

এইভাবে প্রতিনিয়ত মৃত্যুর প্রহর গুনে গুনে আমাদের দিন কাটে, রাত কাটে। ঐ দিকে নির্ঘুম রাতে যে মা সপ্ন দেখে তার ছেলে বাড়িতে আসবে, ছোট মেয়েটির জন্য আলতা আনবে, নুপূর আনবে.... সে আর আসবেনা কিনা তা কেউ বলতে পারেনা। আমার প্রিয় এক বন্ধু প্রায়ই আমাকে ফোন করে বলে- পত্রিকায় তো প্রায়ই দেখি অমুক সীমান্ত একজন তমুক সীমান্তে একজন বিডিআর মারা গেলো। বন্ধু তুই সাবধানে থাকিস।

আদরের ছোট বোনটি অথবা আদরের ছোট ভাইটি যখন চিঠি লিখে অথবা ফোন করে আহলাদির সুরে বলে উঠে ভাইয়া এবার আসলে কিন্তু অনেকদিন থাকতে হবে। আমি তাদের ভালোবাসায় হাসি, কিন্তু সেই অনেকদিন আর থাকা হয়না। প্রতিটা মুহুর্ত্তেই সতর্ক চোখে ভেসে আসে অরক্ষিত সীমান্তের কথা, আমার মা-মাটি মাতৃভূমির কথা।

আপনাদেরকে যে ভাইটির মৃত্যু সংবাদ দিয়েছিলাম, সে ভাইটির ফ্যামিলির দূরবস্থা নিজের চোখে না দেখলে কেউই বিশ্বাস করতে পারবেননা। বিধবা মা, ঘরে যুবতী বোন সামনে দেখে ছোট ভাইটি ঠিক থাকতে পারেনা। ছুটে যায় সদর দপ্তরে। ভাইয়ের মৃত্যু পরিবর্তি যা পাওয়ার কথা তার জন্য হন্য হয়ে ছুটে যায় এক টেবিল থেকে অন্য টেবিলে। অবশেষে যা নিয়ে ফিরে যায় তা যা পাওয়ার তার কত পার্সেন্ট সেটা বা নাইবা জানলেন। বাকি টাকা কোথায় গেলো সেইটা বলার মতো সৎসাহসইবা আমি কোথায় পাবো?

আমাকে আমার এক বন্ধু প্রায়ই বলতো তোর বোনের জামাই যদি সবসময় তোদের ঘরের ব্যাপারে নাক গলাই তুই কি সহ্য করবি? আমি চুপ করে থাকি। আমাদেরকে মানতে হয়। যখন আমরা আমাদের ন্যায্য পাওনাটুকুও চাই তখন সইতে হয় অনেক অপমান। অথচ তাদের টাকার, গাড়ি-বাড়ি কিছুরই অভাব হয়না। তাদের সন্তানরা পড়ে অনেক বড় প্রতিষ্টানে। অথচ আমি আমার ফ্যামিলির দু মুঠো অন্ন জোগাতেই হিমশিম খাই।

আমরা দেশের যে কোন পরিস্থিতিতে ঝাপিয়ে পড়ি। অপারেশন ডাল-ভাত, নির্বাচনী কার্যক্রম, ভোটার লিস্ট, ঝড় - সাইক্লোনে এগুলোতেও আমরা সবার আগেই থাকি। একটু খোঁজ করে দেখুন আমাদেরকে সবসময় ব্যবহার করা হয়।

অথচ আমাদের ছোট ছোট দাবিগুলো পূরণ করতে চাইলে আমাদেরকে শুনতে হয় কমিশন, ননকমিশনের প্রার্থক্য। সইতে হয় অপমান।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:০৬

অহরিত বলেছেন: ভাইয়ের জন্য সমবেদনা জানাচ্ছি।

১২৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:০৩

রিসাত বলেছেন: লেনিন ভাই হিরোইজম নাই,,, কিন্তু ধরে নেন এটা উনাদের এক ধরণের আবেগ,,,

খুনগুলির বিচার হৌক তা আমিও দাবী করি,,, কিন্তু সেইটা করা আদৌ সম্ভব না

১২৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:০৯

অচেনা সৈকত বলেছেন: সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে খেলার অধিকার বিডিআরের জওয়ানদের কে দিয়েছে? রাজধানীর কেন্দ্রে পূর্বপরিকল্পিত এই 'হুলিগানিজম' আরো গভীর কিছুর অর্থ বহন করলেও অবাক হব না। কাদের উস্কানিতেই বা সারা দেশে বিডিআরের এই অপ-তৎপরতা? সুষ্ঠু তদন্ত হলে অনেক কিছুই বেড়িয়ে আসবে, দেশের স্বার্থে যা সাধারণ মানুষের জানাটা কর্তব্য।

১২৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:১০

চাণক্য বলেছেন: নির্বোধেরা, পদ্ধতি যাই হোক না কেন, বিজয়ীর পদ্ধতিই সঠিক পদ্ধতি। এইখানে কোন নীতিবাক্যের মূল নাই।

১২৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:১০

অচেনা সৈকত বলেছেন: রাগিব ভাই এর সাথে একমত।

১২৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:১৪

এরশাদ বাদশা বলেছেন: রিসাত বলেছেন: লেনিন ভাই হিরোইজম নাই,,, কিন্তু ধরে নেন এটা উনাদের এক ধরণের আবেগ,,,


আবেগের বহিঃপ্রকাশ যদি খুন আর রক্তের মাধ্যমে হয়; তাহলে বলবো এই পচন ধরা আবেগের দৃষ্টান্তমুলক বিচার হউক।
মৃতদের স্বজনদের আহাজারি যতোই দেখছি..বারবার কেঁপে উঠছি।

১২৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:১৭

রিসাত বলেছেন: চাণক্য বলেছেন: এইখানে কোন নীতিবাক্যের মূল নাই।

-----------------------------------------------------------------------------
একমত!!

১২৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:১৮

শিরোনাম বলেছেন: @অচেনা সৈকত বলেছেন:রাজধানীর কেন্দ্রে পূর্বপরিকল্পিত এই 'হুলিগানিজম' আরো গভীর কিছুর অর্থ বহন করলেও অবাক হব না। কাদের উস্কানিতেই বা সারা দেশে বিডিআরের এই অপ-তৎপরতা?

ভাই আপনার অভিমতটা জানতে চাচ্ছি?

আপনার কি মনে হয়?

১৩০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:২০

শিরোনাম বলেছেন: @রাগিব ভাই
বাংলাদেশে উইকির এডমিন। সেইজন্য আপনাকে আমরা সবাই শ্রদ্ধা করি। কিন্তু অর্বাচিনের মতো করা আপনার যুক্তিগুলো দেখে হাসি পাচ্ছে।

১৩১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:২২

অগ্নিকন্যা বলেছেন: হাসান মাহমুদ আিরফ বলেছেন: অসাধরন।
স্যালুট আপনাকে।
গত ২দিন ধরে দেখে আসছি সেনাবাহিনীকে অনেক গালাগালি করা হচ্ছে।আসলে আমরা অকৃতজ্ঞ।গতকাল একজন আমাকে বলেছে 'আপনার প্রানপ্রিয় সেনাবাহিনী'।প্রতিউত্তরে বলেছিলাম সেনাবাহিনী আমার একার নয় পুরো জাতি।

Apnar shathe ekmot

১৩২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:২৩

এরশাদ বাদশা বলেছেন: স্বর্নালংকার ও লুটপাট হওয়া মালামাল সমেত দুই বিডিআরকে পালানোর সময় আটক করেছে পুলিশ- চ্যানেল আইয়ের খবর এই মাত্র

১৩৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:২৩

শিরোনাম বলেছেন: ফিনিক্স ভবণ ধ্বসে পড়ল, গার্মেন্টসে আগুন লাগলো, লোকজন পানির অভাবে বিদ্রোহ করল, সিডর হল ,বন্যা হল, ভোটার লিস্ট হলো ……রাত নেই, দিন নেই, ঘুম নেই, নিজের পকেট থেকে মোবাইল বিল দিয়ে কাজ করেছি। আমি অফিসার, ৫০০/১০০ টাকা মোবাইল বিল চাওয়া আমার জন্য লজ্জার ব্যাপার। মাস শেষে ব্যাঙ্কে ওডি লেগেই আছে, বাবার নীরব অভিযোগ, ভাই বোনের অভিযোগ, আর্মি অফিসার অথচ ফ্যামিলিকে কোন সাপোর্ট দিতে পারে না। বুঝিয়েছি, সবাই মেনেও নিয়েছে। শুধু বলেছে, সম্মানের সাথে চাকরি কর, টাকা পয়সাই সব কিছু না।


বাস্তবে এমন কিছু হয়েছে কিনা আমি জানিনা। আজ পর্যন্ত আমি এমন কোন আর্মি অফিসার দেখেনি যে কিনা ফ্যামিলিকে সাপোর্ট দিতে পারেনা।

একজন আর্মি অফিসারের মাসে ৫০০/১০০ টাকা বিল নিজ পকেট থেকে চলে গেছে আবার না চাইতে পারার হাহাকার তখনি বুঝা যায় এটা একটা গাজাখুঁড়ি নাটকের প্লট। আজকাল রিক্সাওয়ালারাও মাসে ৫০০/১০০ মোবাইল বিল দেয়।

১৩৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:২৬

অচেনা সৈকত বলেছেন: অর্ক@ অপ্রিয় সত্য কথা আমরা কেউই শুনতে পছন্দ করি না। এখন পর্যন্ত তুমি, আমি বা রাগিব ভাই সবাই যা বলছি সেটা সত্যি হলেও অনেকেই শুনবে না। এতে হাল ছেড়ো না। ৭৫ থেকে যে অন্যায় হত্যাকান্ডগুলো হয়েছে সেগুলোর কোনটিরই বিচার হয় নি বলে এই বর্বরতাকে সবাই স্বাভাবিকভাবে নিচ্ছে। আমি ক্যাডেট নই, আর্মি অফিসারও নই, আর্মির ভাষায় হয়ত বা একজন 'ব্লাডি সিভিলিয়ান'। তারপরও মেনে নিতে পারছি না এই নৃশংস হত্যাযজ্ঞ। অথচ দেখো অতি বামপন্হিরা সেনাবাহিনীতেও এর পুনরাবৃত্তি চাচ্ছেন। এ ধরনের একটা পোস্ট আমি নিজেই কাল পড়েছি। নিজের ইগো বজায় রাখতে অনেকে দেশে অরাজকতা চাইতেও দ্বিধা করেন না। আমরা সংখ্যায় অল্প হতে পারি, তবে সত্য প্রকাশে দ্বিধা নেই। সব বিডিআর জওয়ান বিদ্রোহ করতে চান নি, যারা চান নি তাদেরও গুলি করা হয়েছে। এই বিদ্রোহ কোনভাবেই স্বত:স্ফূর্ত নয়-নীলনকশার বিদ্রোহ। এর পর আর কি বলার থাকতে পারে?

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৫১

অহরিত বলেছেন: স্যার আমিও ক্যাডেট নই,অফিসারও নই।আপনি ব্লাডি সিভিলিয়ান গালিটি দেয় বলে শুনেছেনই শুধু হয়তো কিন্তু আমাকে খেতেও হয়েছে একবার অনেকের সাথে।মজার ব্যাপার হলো যে দিয়েছিলো তাকে এর জন্য শাস্তি পেতে হয়েছিল বলে মনে আছে।অফিসাররা যে কতটা সুবিধাভোগী তা আমি কাছ থেকে দেখা সুবাদে বেশ ভাল ভাবেই জানি।কিন্তু সবাই এমন যদি কেউ বলেন তাহলে হায় কি আর বলার থাকে!
বুয়েটের রিদয় ভাইয়ের সময় যখন সাহায্যের দরকার হয় তখন আমার ক্লাস মেট এক আর্মি ভাইয়াই ক্লাসের সামনে দাড়িয়ে এ ব্যাপারে কথা বলেন,আমাকে বলার সুযোগ করে দেন।বন্যার সময় যখন সাহায্যের দরকার হয় তখন সবচেয়ে বেশী সহযোগিতা তাদের থেকেই পেয়েছি।তাদের নির্দিষ্ট দিনের বেতন থেকে তারা দিতো,আবার আমরা টাকা তোলার সময়ও যা পারতো সহযোগিতা করতো।
আমি জানি অনেক অফিসার আছেন যারা ভালো নয়,কিন্তু সবাইকে এক কাতারে নিয়ে তাদের এই মর্মান্তিক হত্যাকে অনেকে সাধুবাদ জানাচ্ছে দেখে আমি হতভম্ব।আমি নিজেও তো অনেক দেখেছি তাদের অন্যায়,কিন্তু তাই বলে এমন অমানবিক ভাবে ভাবতে কিভাবে পারি???

১৩৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:২৭

অচেনা সৈকত বলেছেন: শিরোনাম @ আমার কোন অভিমত নেই। সবার মত আমিও সত্য জানতে চাই।

১৩৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:২৭

মহাজাগতিক বলেছেন: অত্যন্ত আবেগময় পোস্ট। পোস্টটির আবেগ আমি ঠিক ধরতে পারি। সমবেদনা জানাই। কিন্তু একটু স্থির মস্তিকে ভাবুন তো.. মিডিয়া, জনগণ, বুদ্ধিজিবী কারা, কবে, কোথায় সমর্থন করল যে, ১৬৮ জন আর্মি অফিসার হত্যা বা নির্যাতন ও তাদের পরিবারকে নির্যাতন করা সঠিক কাজ হয়েছে??????

কখন, কে বা কারা এ ঘটনা সমর্থন করল? এ ঘটনা মেনে নেয়া যায় এমন কথা মিডিয়াতে কখন প্রচার হল? আদৌ হয়েছে কি?

মিডিয়াতে বিডিআরদের প্রতি সহানুভূতিমূলক কথাবার্তা হয়েছিল ঘটনার শুরুর দিকে যখন কেউ জানতে পারেনি আসলে বিডিয়ার জোয়ানরা কতটা অদূরদর্শী কাজ করেছে, ১৬৮ জন সেনা অফিসারকে হত্যা বা নির্যাতন করেছে।

যখন জানা গেল সঠিক ঘটনা কেমন তখন সবাই বুঝতে পেরেছে যে কোন পদক্ষেপ কিভাবে নেয়া উচিত।
একইভাবে আপনিও যখন আসল ঘটনা ও ঘটনার ভয়াবহতা, ঘটনার সূদূর প্রসারী প্রভাব, বিদ্রোহী জোয়ানদের হঠকারীতা সম্পর্ে জানলেন কেবল তখনই তো এই পোস্ট টি দিতে পারলেন, নয় কি?

যা-ই হোক আপনার আবেগের সাথে আমি সম্পূর্ণভাবে একাত্ম।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৫৩

অহরিত বলেছেন: জাগতিক ভাইয়া আমি শুধু লিখাটি তুলে ধরেছি,নিজ হাতে লিখিনি।লিখেছেন অন্য এক ব্লগে একজন অফিসার ভাই।

১৩৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:২৮

মোহাম্মদ আরজু বলেছেন: জামাল ভাস্কর বলেছেন: একটা অসমর্থিত আর অপ্রমাণিত তথ্য সমৃদ্ধ পোস্ট কিভাবে স্টিকি হয়!?
আজিব দুনিয়া
@ জামাল ভাস্কর
----------------

কার লেখা, কোন ব্লগে ছাপা হইছে কোন হদিস নাই।
তাও যা লিখছে সবই অসত্য তথ্যে ভরপুর। ফালতু যুক্তিতে ঠাসা।

যে কোন মৃত্যুই দু:খজনক। কিন্তু এইখানে শুধু মৃত্যুর প্রশ্ন না।
প্রশ্ন বিডিআর বিদ্রোহের নানা উপাদান-অনুষঙ্গের সাথে জড়িয়ে গেছে।
সুতরাং এইসব পুতুপুতু আবেগে আঠা লাগানো জিনিসের কাম কি বুঝলাম না।

সিপাইগোরে যারা সামরিক বাহীনির লোক মনে করে না সেইরকম উদ্ধত আর প্রায়োমানুষ সেনা অফিসাররা মারা পড়ছে দীর্ঘদিনের জমা থাকা ক্ষোভের বুলেটে।
আর এখন এই আঠালো পোস্ট দেইখা মনে হইতাছে এইখানে অফিসারদের সহকর্মী আর আত্মীয়দের দরবার বসানো হইছে। হাহুতাশ করার জন্য।

অথচ সিপাইরা এখন সংখ্যার হিসাবেই নাই। সেনাদের রাত্রির বুলেটের সাথে কত সিপাই সংখ্যা হয়া গেছে সেই হিসাব যেমন মূল ধারার মিডিয়াতে নাই। আবার এইখানেও সেইসব নন স্টিকি।

কেউ কেউ বলতাছে আলোচনা করার জন্য ঠিক আছে এইটা।
পোস্টদাতার মন্তব্যের জবাব দেইখা মনে হয়না তিনি আলোচনা বোঝেন!

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:০২

অহরিত বলেছেন: আরজু ভাই,আলোচনা বুঝি।তাই আপনাকে প্রথমে ধন্যবাদ দেব আমার এখানে মন্তব্য করার জন্য।
লিখাটি ক্যাডেট কলেজ ব্লগে লিখা হয়েছে।সেখানে একজন অফিসার এ লিখাটি লিখেছেন।
আপনার কাছে যখন তার সহকর্মী হারানোর বেদনা পুতুপুতু আবেগ মনে হয় তখন আর কিবা বলার থাকতে পারে!
যাই হোক ধন্যবাদ এখানে মন্তব্য করার জন্য এবং আপনার চমৎকার কিছু পোস্টের জন্য।

১৩৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৩১

শিরোনাম বলেছেন: অথচ কিছুদিন আগে যখন ডিজি শাকিলের বউ বিমান বন্দরে টাকা সহ ধরা পড়লো তখন রাগিবেরা জানতে চাইলোনা উনারা এতো টাকা কোথায় পাই?
একজন ডিজি শাকিল যখন ব্যাবহারের জন্য ১১ টি গাড়ি ব্যবহার করে তখনি বুঝা যায় প্রকৃত আর্মিদের অবস্থা।
আজকে যে ঘটনার প্রেক্ষিতে এতো সব আলোচনা হইতেছে তার সমস্ত দায়ভার ডিজি শাকিলের।

@রাগিব
আপনি একটি কলেজের ডিপার্টমেন্ট হেড। এখন এই ডিপার্টমেন্টের ছাত্ররা কিছু দাবি-দাওয়া নিয়ে আপনার কাছে গেলো। আপনি কি করবেন না শুনেই ওদের চলে যেতে বলবেন?
ডিপার্টমেন্টের সাথে অন্য ডিপার্টমেন্টের তুলনা করে বলে দিবেন এই গুলো বলার অধিকার শুধু ঐ ডিপার্টমেন্টেরই আছে?
নাকি বলে দিবেন শাস্তি রুমে নিয়ে যাওয়ার জন্য.................

নাকি আপনি শুনে সেগুলোকে উপরের মহলে জানানোর ব্যবস্থা করবেন বলে সবাইকে আশ্বস্ত করবেন?

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:৪২

অহরিত বলেছেন: প্রিয় ব্লগার ভাই,রাগিব স্যার কি বলেছেন একটু আবার দেখেন।উনি কিন্তু বলেছেন বিডিআর এর দাবীগুলো ঠিক আছে এবং অবশ্যই ন্যায় সঙ্গত।তবে যে সাধারণ মানুষগুলো মারা গেছে তাদের কথা চিন্তা করতে বলা হয়েছে।যে ভুল করেছে তাকে শাস্তি পেতে হবে,কিন্তু তাই বলে এমন বর্বর ভাবে মানুষ মেরে?
সামরিক বাহিনীতে অনেক অন্যায় কাজ হচ্ছে,কিন্তু সবাই তো করছেনা।যে অফিসাররা মারা গেছে সবাই কি এক রকম?
জোয়ানরা যেমন সমস্যায় ছিলো,যে সাধারণ মানুষ মারা গিয়েছেন সেও ছিলো।তাদের এভাবে বিদ্রোহ করা তবে কোন যুক্তিতে সমর্থন করা যায় বলুন।
আপনার কথা অনুযায়ী ধরে নিলাম সব অফিসার খারাপ।তারা বিডিআর এর সাথে অন্যায় করেছে।কিন্তু তাই বলে এভাবে হত্যা করে নর্দমায় ভাসিয়ে দেবে?এটা কোন ধরনের দাবি আদায়ের উপায় বলেনতো?

১৩৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৩১

'লেনিন' বলেছেন: রিসাত অনুরোধ করবো কূট তর্ক না করতে। নিজের বিবেককে প্রশ্ন করুন। বিডিআর এর এধরণের খুনের কোনো প্রয়োজন ছিলো কীনা?

বিদ্রোহ কালে কালে ঘটেছে। আমি বিদ্রোহের বিপক্ষে নই। আমার নিজের নামই এক বিদ্রোহীর নামে। কিন্তু বিদ্রোহ আর মাস্তানি, খুন, রাহাজানি, বলাৎকার এক জিনিস নয়!

বিপ্লবের জন্য আদর্শ থাকে, বিপ্লবের বহিপ্রকাশ নিরীহদের গণহত্যা নয়। সারাদেশকে সারাবিশ্বে কলঙ্ক লেপন নয়। জনজীবনে অচলাবস্থা নয়।

আপনারা কোন ভিত্তিতে জলপাইদের এতো ঘৃণা করেন? বলে দিন না সেপাইরা সবাইকে শেষ করে দিক! সবে তো শুরু!

১৪০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৩১

কালপুরুষ বলেছেন: জনাব সাইফের এই লেখাটি তার ব্লগে যেয়ে পড়লাম। খুব কষ্ট লাগলো পড়ে। নিহত সেনা সদস্যদের পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা রইলো।

১৪১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৩২

মদন বলেছেন: প্রতিটি মৃত্যুই কষ্টের। অনেক পরিবার আছে যেখানে এক ভাই আর্মি, আরেক ভাই বিডিআর। দুজনেই দেশের কাজে নিয়োজিত। গত দুদিনের ঘটনা মুলত দুভাইয়ের লড়াই। সেখানে একজনের মৃত্যুতে আমি বা আমরা খুশি হই কিভাবে। আবার যে ভাই ভুল করেছে তাকেও কি শাস্তি হিসেবে মেরে ফেলবো? আমরা আমি জাতি হিসেবে খুবই বিভক্ত। কখনই এক হয়ে দেশের কাজ করতে পারিনা। দেশকে সবার উপরে স্থান দিতে পারিনা। আর পারিনা বলেই কিছু সেনা কমান্ডারের ভুলের খেসারত নিরীহ সেনাঅফিসার এবং তার পরিবারের উপর দিয়ে গেল।

নিহত প্রতিটি রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। নিহতের পরিবারকে আল্লাহ ধৈর্য্য ধরার শক্তি দিন। আমাদের মাঝে দেশপ্রেম এবং ভ্রাতুত্ববোধ বৃদ্ধি করুন।

১৪২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৩৩

রিসাত বলেছেন: চাণক্য বলেছেন: নির্বোধেরা, পদ্ধতি যাই হোক না কেন, বিজয়ীর পদ্ধতিই সঠিক পদ্ধতি। এইখানে কোন নীতিবাক্যের মূল্য নাই।

১৪৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৩৩

রাগিব বলেছেন: @শিরোনাম

কারো শ্রদ্ধা অশ্রদ্ধা কোনো কিছুতেই আর কিছু যায় আসে না। প্রাণ খুলে আমাকে যা খুশি বলুন, অসুবিধা নেই কিন্তু মানুষ খুন করার লাইসেন্সটা কাউকে দিয়ে বসবেন না।

আমরা যদি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাইতে পারি, বিচার ছাড়া মানুষ মারার তীব্র প্রতিবাদ করতে পারি, বুয়েটে সনি হত্যার বিচারের দাবীতে আন্দোলন করতে পারি, তাহলে বিডিআরের খুনীদের বিচার চাইবার অধিকার আমার অবশ্যই আছে। তাতে আপনার হাসি আসুক বা না আসুক, কিছুই যায় আসে না।

১৪৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৩৩

শিরোনাম বলেছেন: @অচেনা সৈকত আপনি নাকি বুয়েটের টিচার।

খুবই ভালো যদি এটা হোন।

আবেগ নয় বাস্তবতার আলোকে কথা বলুন। এখানে ১৩৮ প্রশ্নের জবাব দিন।
আর না হলে প্যানপ্যানানি বন্ধ করে দিন।

১৪৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৪০

অচেনা সৈকত বলেছেন: শিরোনাম @ এনার্কিস্টদের ব্যক্তিগতভাবে অপছন্দ করি। কাজেই আপনার সাথে কথা হতে পারে না। এখন তো বুয়েটের টিচার হিসেবেও আক্রমণ করবেন।

১৪৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৪০

মাহবুব সুমন বলেছেন: একটা অসমর্থিত আর অপ্রমাণিত তথ্য সমৃদ্ধ পোস্ট কিভাবে স্টিকি হয়!?

আজিব দুনিয়া!

১৪৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৪০

রাগিব বলেছেন: @শিরোনাম

"@রাগিব
আপনি একটি কলেজের ডিপার্টমেন্ট হেড। এখন এই ডিপার্টমেন্টের ছাত্ররা কিছু দাবি-দাওয়া নিয়ে আপনার কাছে গেলো। আপনি কি করবেন না শুনেই ওদের চলে যেতে বলবেন?
ডিপার্টমেন্টের সাথে অন্য ডিপার্টমেন্টের তুলনা করে বলে দিবেন এই গুলো বলার অধিকার শুধু ঐ ডিপার্টমেন্টেরই আছে?
নাকি বলে দিবেন শাস্তি রুমে নিয়ে যাওয়ার জন্য.................
"

আচ্ছা, প্রশ্নটা আপনাকেই বলি, এর পরের ধাপটি কি হবে আমাকে গুলি করে মেরে ফেলা? তার পর আমার পরিবারকে জিম্মি করে রাখা, মেরে ফেলা? এর জবাব যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে বলবো, পাকিস্তানী যেসব জেনারেলেরা অপারেশন সার্চলাইটে বাঙালি হত্যার আদেশ দিয়েছিলো, তাদের মন মানসিকতার সাথে আপনার বিশেষ পার্থক্য নেই। "পিঠ দেয়ালে ঠেকা"র দাবী বাংলা ভাই / এরশাদ শিকদারেও করতে পারে, হাতে বন্দুক থাকলেই সেটা দিয়ে গুলি ছোড়ার জন্য হাত নিশপিশ করতে পারে। পাক সরকারও হয়তো ৫২ সালে একই দাবীই করেছিলো। খুনী ও তার সমর্থকদের খোঁড়া যুক্তির অভাব কোনো কালেই হয়নি।

১৪৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৪১

'লেনিন' বলেছেন: রাফা বলেছেন : 'রাজনিতী করার অপরাধে চোখে কালো কাপড় বেধে নিয়ে যাওয়ার পর : আর হদিস পাওয়া যায় না অনেকের তখন কোথায় থাকে আপনাদের মানবতা ? '

ভুলে যাবেন না এটি ঘটে যখন রাজনীতিবিদরাই আর্মিকে ব্যবহার করে।

@মোহাম্মদ আরজু: গুজবের কথা বলছেন যে .. রাতের অন্ধকারে মেরে ফেলা হয়েছে সেপাইদের।

চিন্তা করে দেখুন সে ধরণের হত্যা কেবল তখনই সম্ভব যখন কেউ পেছনের কলকাঠির সূত্রকে ঢাঁকতে চাইবে। কয়েকশো সেপাইকে মেরে ফেলে কোনো লাভ হবে? কারো? যৌক্তিক চিন্তা সেটি?

যারা ভাবছেন নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করে ফেলা হবে সেসব সৈনিকদের যারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। যদি তাই ঘটে তাহলে সেনাবাহিনীতেও সাধারণ সেপাই আছে। তারা বিদ্রোহ করতে পারে। সুতরাং যা বলবেন পেছনের কার্য-কারণ-সম্ভাবনা চিন্তা করে। আবেগ, গুজব এসবে অকারণে বিশ্বাস করার কিছু নেই।

১৪৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৪৪

দ্বিতীয়নাম বলেছেন: ৭১এর পুরা ৯ মাসে বাঙালী সেনা অফিসার শহীদ হয়েছিল ৫৫ জন, আর এইবার ১০০এর উপরে। মজার পরিসংখ্যান - তাই না?

১৫০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৪৪

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: @ মোহাম্মদ আরজু ,
নৃশংস হত্যাকান্ড নিয়ে লেখা পোস্টে কিভাবে আবেগহীন ভাবে ফানি করে লিখতে হয় , বলবেন কি ?

যিনি পোস্ট টা দিয়েছেন , তিনি আলোচনা করার জন্য দেননি । আলোচনা করার দায়িত্ব অন্যদের । আপনি সেজন্য পোস্টদাতাকে আক্রমণ করতে পারেন না ।

প্রি-ডিটারমাইন্ড সাপোর্ট নিয়ে আলোচনা করা যায় না । জাজমেন্ট দিয়েই দিচ্ছেন কার দোষ । এর বাইরে সবগুলো কেবল খন্ডানোর চেষ্টাই করছেন

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:৫১

অহরিত বলেছেন: আমিও ভাইয়া এই কথাই জিজ্ঞেস করতে চেয়েছি?
আসলে উনারা যা বুঝেন তা নিয়েই কথা বলবেন।কে মারা গেলো আর কার নিরাপরাধ ১২ বছরের শিশুকে হত্যা করা হয়েছে তাতে তাদের কিইবা যায় আসে?
সবার জন্যই বলতে চাই,বিডিআরের প্রতি কেউ বিষেদাগার করেনাই।কেউ এটাও বলছেনা আর্মিরা তুলসী ধোয়া পাতা।আমরা সবাই কথা বলছি তাদের এমন অমানবিক হত্যা নিয়ে,দাবী আদায়ে এমন ভুল পথে যাওয়া নিয়ে।আর সব চেয়ে প্রধান বিষয় যারা নিরাপরাধ অথচ হত্যার শিকার তাদের প্রতি একটু সহানুভূতি দেখানো।

১৫১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৪৪

তিথী ও টাটা বলেছেন: আপনার কথগুলো যুক্তসংগত কিন্তু ব্যাকগ্রউন্ডটাও আমাদের চিন্তা করে দেখতে হবে। ১৬৮ জনের দায়িত্ব কার?? আমার মনে হয় এর উত্তর আপনাদের বসদের জিগ্জেক করা দরকার,তাই না ?? আপনাদের নিরাপত্তার দায়িত্বটি কার/কাদের হাতে ছিল? গোয়েন্দারা ব্যর্থ্ হল কেন?? এত বড় একটা ম্যাসাকার হয়ে যেতে পারে আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্হা কিছুই জানতে পারল না,এটা কি বিশ্বাস করা যায়?? এটা তো এখন পরিস্কার যে এ ঘটনাটা একটা পরিকল্পিত,তাই কারা জড়িত এখানে??
তাই এ ১৬৮জন আর্মির দায়িত্ব যাদের ব্যর্থতার জন্য হয়েছে সবার আগে তাদের বিচার হওয়া দরকার নয় কি??

আপনাদের সবার জন্য সহমর্মিতা

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:৫৩

অহরিত বলেছেন: না না লিখাটা আমার নয় ভাই।অন্য এক ব্লগে লিখা এক অফিসারের।

১৫২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৪৬

শিরোনাম বলেছেন: @রাগিব

আপনি এই ইস্যুকে যুদ্ধাপরাধের সাথে মিলাতে পারেন না।

এইখানে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর এক ভাই আরেক ভাইকে গুলি করেছে, মেরেছে?

কেন মেরেছে?

এইটা হলো ডিজি শাকিল, উর্ধ্বস্তন কর্মকর্তাদের সীমাহীন দুর্ণীতির পরিণতি।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বছরে চারমাসও কাজ করেনা। অথচ নিজেদেরকে মনে করে তারাই সর্বেসর্বা। সমস্ত সুযোগ-সুবিধা তারা একাই ভোগ করতে চাই।
যে কোন লেবেলের আর্মির অফিসাররা যে সকল সুবিধা ভোগ করে তা অন্য কোন সরকারী কর্মচারীও করে কিনা আমার জানা নাই।

তাদের সন্তানরা পড়াশোনা করে এমন সব ইউনিতে, কলেজে, স্কুলে যে এই টাকা কোথা থেকে আসে কনফিউজড না হয়ে পারিনা।

অথচ বিডিআরদের কে দেখুন........... দিনের পর দিন তারা সীমান্ত পাহাড়া দিচ্ছে। অন্য যে কোন বাহিনীর চেয়ে সবচেয়ে বেশী মৃত্যু আশংকায়ও থাকে তারা। ঠিক মতো ছুটি পায়না। অথচ তাদের পাওনা টাকা গুলোও দেওয়া হয়না ঠিকমতো।
তারা দাবি আদায় করতে গেলে কমিশন ননকমিশনের প্রার্থক্য শিকিয়ে দেওয়া হয়।

কেন? মি. রাগিব এবং অচেনা সৈকত? ইবাইস লেনিন? বাদশা?

কেন ?

কেন ?

কেন শুধু আপনারা শুধুমাত্র বিডিআরদের বিচার চাচ্ছেন? কেন বলতেছেন না যে সকল আর্মিদের সীমাহীন দুর্ণীতির জন্য আজকে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি তাদেরও বিচার হোক? এবং সেটা মনে হয় আগে হওয়া উচিত।

১৫৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৪৭

রিসাত বলেছেন: রাগিব এইখানে খুনের লাইসেন্সের প্রশ্ন আসছে কেন??

অত্যাচারিত একটা গ্রুপ বিদ্রোহে ফেটে পড়েছে,,, আর খুনের লাইসেন্সতো আর্মিদের দেওয়াই আছে,,,

১৫৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৪৮

চাণক্য বলেছেন: বিশ্ববিদ্যালয়ের সুশীল শিক্ষক রাগিবের সহিত এহেন আলোচনা বৃথা।

তাইতো তাহারা ১৫,০০০ নিপিড়িত বিডিআর এর বিদ্রোহকে এক বাংলাভাই, এরশাদ শিকদার বা পাক-হানাদারদিগের সহিত তুলনা করিয়া সুশীলতা ছাড়িতেছে।

বালক, পাকবাহিনী যাহা করিয়াছিল তাহার জন্য দায়ী তাহার অফিসার গন। ৫২ তেও গুলি ছুড়বার হুকুম জারি করিয়াছিল অফিসারই। আর আজিকের যে বিদ্রোহ তাহাও বিরুদ্ধে সেই অফিসারের।

ইহা দুইটি শ্রেনীর দ্বন্দ। তাহাকে সুশীলতা দিয়া ঢাকিবার চেষ্টা অর্থহীন।

১৫৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৪৯

প্রজ্ঞা তাসনুভা রূবাইয়াৎ বলেছেন: প্রতিটা মুদ্রার দুই পিঠ আছে...প্রতিটা গল্পের আরেকটা দিক আছে...চাঁদের যে আলোকিত দিকটা আছে, তার পেছনেও একটা অন্ধকার দিক আছে...

এগুলো প্রতি মুহুর্তে আমরা ভুলে যাই......কখনো আমরা নিরপেক্ষ হতে পারি না.........যে কোনো একদিকে হেলেই যাই.........

যারা নিরপেক্ষ থাকতে চায়, তাদের আমরা টেনে-হিচড়ে নিজেদের দলে নিয়ে আসতে চাই...না আসলে অপমান করি............।

কেন বলুন তো?????????.........আমরা মানুষ বলে?......আমরা সবচেয়ে বেশি বোঝা 'প্রাণী' জাতি বলে????

১৫৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৫০

চাণক্য বলেছেন: সুবিধাভোগী মধ্যবিত্ত সর্বত্রই সুশীল নাটক মঞ্চস্থ করিয়া থাকে।

১৫৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৫০

রিসাত বলেছেন: এইটা স্রেফ একটা আকস্মিক দুর্ঘটনা,,,,,,, বিদ্রোহ!!! এইটাকে বিদ্রোহ বলা হয়েছে,,, মিউটিনি,,,

আপনার এক ভাই আপনার আরেকভাই কে গুলি করেছে,,, এখন কি বিচারের নামে অন্যভাইটাকেও মারতে চান???

১৫৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৫১

শিরোনাম বলেছেন: @অচেনা সৈকত ধন্যবাদ প্যানপ্যানানি বন্ধ করতে রাজি হতে।

আপনাকে যেদিন আমি প্রথম বলতে শুনেছিলাম আপনি বুয়েটের টিচার। ভালো লেগেছিলো এই জন্য যে একজন বুয়েটের মতো প্রতিষ্টানের টিচারের সাথে আমি ব্লগ করছি বা উনারাও আমাদের সাথে আছি।
সত্যি অন্যরকম ভালো লেগেছিলো।

কিন্তু যখন আপনাকে আমি আইডল করে আপনার মন্তব্য পড়ি, পোস্ট পড়ি তখন আমাকে হতাশ হতে হয়।

আমি কনফিউজড হয় তবে বুয়েট নিয়ে নয় ;)

১৫৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৫২

ভন্ডপির বলেছেন: নাস্তিকের ধর্মকথার সাথে একমত।

সস্তা আবেগের মায়াজালে জড়িয়ে পড়াই আমাদের রীতি।

১৬০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৫৩

রিসাত বলেছেন: the highest post of BDR from BDR is HABILTHER and now mr. ragib please go to your wikipedian website and see what a HABILTHER can do//// i think this time you will get the point clear

১৬১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৫৫

শামস শামীম বলেছেন: এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা। তবে প্রধানমন্ত্রীর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর বিডিআর জোয়ানদের প্রতি সেনাদের প্রতিশোধপরায়ন না হওয়াই আমাদের জন্য মঙ্গলকর।

অস্ত্র সমর্পনের পর পিলখানার ভেতরের সবগুলো বাতি অফ করে দেওয়া হলো কেন? ১৬০০০হাজার বিডিআর জোয়ানদের খবর কি? যাদের চোখমুখ বেধে নেওয়া হয়েছিল তারা আদৌ বেচে আছে কি?

১৬২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৫৬

শাহাদাত হোসেন মজুমদার বলেছেন: রাগিব @:
একত্তরে অর্থনৈতিক বৈষম্যের কারনে আর্মী অফিসার ও সাধারন মানুষের বিদ্রোহ ও যুদ্ধ লাগানোটাকে আপনি কিভাবে মুল্যায়ন করেন।হিসোবো তারাও তো ডিসিপ্লিন ভেংগেছিলো।

১৬৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৫৭

রিসাত বলেছেন: sorry correction,, not habildaar AD*

১৬৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৫৮

শিরোনাম বলেছেন: @রাগিব আপনি ১৪৭ নং এ আমার ১৩৮ এর জবাবে যা বলতে চেয়েছেন সেখানে প্রথমে আপনি আমার আসল লাইনটি বাদ দিয়েদিয়েছেন। যেটা হয়ে গেলেই মনে হয় এই ঘটনারই সূত্রপাতই হতোনা।

জওয়ানরা যখন দাবি-দাবা নিয়ে ডিজির কাছে গিয়েছিলো তখন উনি না শুনে বরং খুবই খারাপ আচরণ করেছে জওয়ানদের সাথে। তাছার ঐ দিনের আগেরদিন যখন জওয়ানরা প্রধানমন্ত্রীকে সামনে পেয়ে উনাদের দাবিদাওয়া পেশ করার প্রস্তুতি নিয়েছিলো তখন এই শাকিল ওদের মুখ আটকে রাখে।
যা নিয়ে কিছুটা নিজেদের মাঝে উত্তেজনাও ছড়ায়। ঘৃণা, ক্ষোভও ছড়িয়ে দেয়। ফলে পরেরদিন যখন ডিজি শাকিল চিৎকার করে দাবি নিয়ে আসা জওয়ানদের ওয়াটার গার্ডে ঢুকাতে বলে তখন জওয়ানরা বের হয়ে ফিরতে এসে ডিজিকে আ্যাটার্ক করে। ডিজির সাথে থাকা কিছু অফিসার এবং দেহরক্ষী যখন পাল্টা গুলো ছুঁড়ে তখন সংঘর্ষের ব্যাপকতা ছড়িয়ে পড়ে।

১৬৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:০১

রিসাত বলেছেন: this is just a consequence,,,, of an age old oppression,,,(bangla ashtese na)

১৬৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:০২

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: রিসাত বলেছেন: আপনার এক ভাই আপনার আরেকভাই কে গুলি করেছে,,, এখন কি বিচারের নামে অন্যভাইটাকেও মারতে চান???


কি চমৎকার বলে ফেললেন রিসাত । মুগ্ধতার আবেশে আবিষ্ট হয়ে গেলাম ।

ঠিকই বলেছেন , ভাই যদি ভাইকে মারে তাকে ভালবাসায় বুকে টেনে নেয়া উচিত । আরেকটা ভাইয়া কমিয়ে ফেলার মত নির্বোধ কেন হব ?

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৫:৩১

অহরিত বলেছেন: মেহরাব ভাইয়া,উনারা অনেক ভালো বোঝেন।যুক্তি তর্ক আমরা করলে সেটা পুতুপুতু আবেগ ছাড়া তাদের আর কিছুই নয়।

১৬৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:০৪

কায়েস মাহমুদ বলেছেন:

রাগিব ভাইয়ের সাথে সম্পূর্ন সহমত।

তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম ১০ জন সেনা অফিসারকে হত্যা করা হল, শাকিল আর তার দূর্নিতিবাজ বউ সহ,তাদের দূর্নিতীর কারনে


কিন্তু ১৫০ জনের ও বেশী অফিসারকে বিচার ছাড়াই নির্বিচারে হত্যা করাকে সমর্থন করতে পারছিনা।

১৬৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:০৭

বর্তমানবাংলা বলেছেন: অসাধরন।

১৬৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:০৮

বর্তমানবাংলা বলেছেন: রাগিব ভাইয়ের সাথে সম্পূর্ন সহমত।

তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম ১০ জন সেনা অফিসারকে হত্যা করা হল, শাকিল আর তার দূর্নিতিবাজ বউ সহ,তাদের দূর্নিতীর কারনে


কিন্তু ১৫০ জনের ও বেশী অফিসারকে বিচার ছাড়াই নির্বিচারে হত্যা করাকে সমর্থন করতে পারছিনা।

১৭০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:১১

অচেনা সৈকত বলেছেন: শিরোনাম@ এনার্কিস্টদের কৌশলই হল মিথ্যা প্রচার। সেটাই আপনি করছেন। দরবারে আর্মস নিয়ে যাবার কোন সুযোগ নেই অফিসারদের। আপনি এত বড় মিথ্যাটা কেন বললেন এখানে? বিডিআর জওয়ানরাই বাইরে থেকে অস্ত্র এনে গুলি চালিয়েছে। পুরো ব্যাপারটা পরিকল্পিত। আপনি পুরনো কারো স্পেয়ার নিক। বলুন তো কোন উদ্দেশ্যে অপপ্রচার চালাচ্ছেন? ইত্তেফাকে এ আভাসও দেয়া হয়েছে অফিসারদের পরিবারের উপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে যেটা নিয়ে তারা বিশদ বলতে রাজি হন নি। নিজে পড়েছি আজকেই। সাহস থাকে নিজের পরিচয়ে আসুন।

১৭১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:১৩

রিসাত বলেছেন: ঠিক মেহবার আপনার কাউন্টার পয়েন্টের কথা জাতি আজীবণ মনে রাখবে,,, এমন একটা সংকট মুহুর্তে আপনি কতো সুন্দর একটা কাউন্টার পয়েন্ট নিয়া আসলেন!!!

করেন বিচার করেন,,, সবকয়টারে ফায়ারিং স্কোয়াডে দাঁড় করান,,,

যারা মরেছেন উনারা যে নিষ্পাপ ছিলেন এইটা বিবিসি সহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে আসছে,,,

স্বাগতম ভাই,,,, দারুন পয়েন্ট,,, আসেন আমরা উল্লাস করি,,,

কথা দিয়া অস্ত্র সমর্পন এবং আত্মসমর্পন করাইছেন এখন আবার সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাতকারও দিতেছেন,,,

কেনো বুঝেন না???

আল্লাহর কসম ঐ একজন বিডিআর মরলেও আমার কিছু যায় আসে না,,, আর্মি মরলেও ঠিক তাই,,,

আসেন বিচার করেন,,, হাসিনার হুমকি অরা মূর্খ দেইখা বুঝতে পারে নাই,,, এর শাস্তি উনাদের পাওয়া উচিৎ,,,

১৭২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:১৫

মহাজাগতিক বলেছেন: লেখক বলেছেন: জাগতিক ভাইয়া আমি শুধু লিখাটি তুলে ধরেছি,নিজ হাতে লিখিনি।লিখেছেন অন্য এক ব্লগে একজন অফিসার ভাই।
=====

তার মানে, আপনি কোনো মন্তব্যের উত্তর দিবেন না কিম্বা পোস্টের বক্তব্যের ব্যাপারে আপনি কোনো দায়িত্ব নেবেন না।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৫:৩৪

অহরিত বলেছেন: দিচ্ছি,যেগুলো আমার দেয়া উচিত সেগুলোর দিচ্ছি।আমার মানবতা যতটুকু আমাকে বলে ঠিক সেগুলোর দিচ্ছি।
দায়িত্বের কথা বলেন?!ওটা না থাকলে এভাবে লিখাটি তুলে ধরতাম না।

১৭৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:১৮

রিসাত বলেছেন: Amar ekjon bhai BDR e achen,,, unare amar 24 year er life e kokhono kach theika dekhi nai,,, oi morle amar emon kii ba ashe jai???

moruk,,,

ami shudhu ei poste comment korte ashesi karon eita sohanuvuti post,,, bicharer age army shohanuvuti chaia post dise,,, tai koita kotha boila gelam,,,

manusher chokhe dhula deya eto shohoj na,,, ajke amar vai o moruk,,, tarpor deshe shanti ashbe,, shobai valo thakbe,,,

kintu hasinar shei protisrutir kothao amader mone thakbe

১৭৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:১৮

সারওয়ার ইবনে কায়সার বলেছেন: অচেনা সৈকত বলেছেন: গত দুদিন ধরেই এ ব্লগের লেখা আর কমেন্ট পড়তে পড়তে স্তম্ভিত হয়ে যাচ্ছি। ক্ষোভে-দু:খে ব্লগ লেখা ছেড়ে দেবার চিন্তাও করেছি। কতখানি অমানুষ হলে ১৪৬ জন আর্মি অফিসারের হত্যা ও এই অরাজকতা সমর্থন করতে পারে মানুষ!!! অফিাসারদের শিশু পুত্রের কান্নাও যাদের হৃদয়ে মায়া জাগায়না তাদের আমি সর্বান্তকরণে ঘৃণা করি। জানি, এ কথা বলায় আমি আর্মির দালাল বলে চিহ্নিত হব, কিন্তু তাতে কিছু যায় আসে না আর। এই ব্লগে না লিখলেও চলবে আমার।কেন কেউ একটা জিনিষ বুঝছে না, বিডিআর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে, তাদের বেতন ভাতার দায়িত্ব কি করে আর্মির হবে? অদ্ভুত এ দেশের পাবলিক সেন্টিমেন্ট। বিডিআর কবে জনতার বন্ধু ছিল? যারা রাজনীতি করেছেন তারা জানেন কতখানি পাশবিক হতে পারে বিডিআর আন্দোলন দমনে। হায় দেশ, আর হায় আবেগের বেসাতি করা কতিপয় ব্লগার। কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করি, এমন পরিণতিই যেন হয় তাদের নিকটজনদের। তারপর দেখব, আবেগী ভন্ডামীর স্হানটা কোথায়।""""

এটা আমার নিজের মনের কথা..................।
এ জাতির আমি কোন আশা দেখিনা।
চমৎকার পোস্টের জন্য ধন্যবাদ

১৭৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:২১

আত্মভোলা বলেছেন: @ রিসাত,
ভাই আপনি দয়াকরে থামেন। এরকম নির্বোধের পোস্ট পড়তে আর ভালো লাগছে না। এখন থেকে মনে হচ্ছে একটা রিভালবার সাথে রাখতে হবে। বস কথা না শুনলে তাকে হত্যা করে ত্রাস সৃষ্টি করে সাধারণ ক্ষমা পেতে হবে। দোয়া করি আপনার অধঃস্তন যেন এরকম আদর্শের হয়।

১৭৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:২৪

সারওয়ার ইবনে কায়সার বলেছেন: দরবার হলে বাৎসরিক ঐ অনুষ্ঠানে কারো অস্ত্র নিয়ে যাওয়ার নিয়ম নাই........
কোন অফিসারের ও নাই।
যারা বলছেন াফিসার রা প্রথমে গুলি চালিয়েছে তআরা মিথ্যা বলছে....সম্পূর্ন মিথ্যা

১৭৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:২৭

রিসাত বলেছেন: আত্মাভোলা পিস্তল দিয়ে ব্রাশ ফায়ার করা যায় না,,,

১৭৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:২৮

সালমা শহীদ বলেছেন: মিডিয়া হল ও যুগের দাজ্জাল। আর বুদ্ধিজীবিরা হল বিকৃত (বিক্রিত) মস্তিস্কের মানুষ। এরা সবাই নিপাত যাক। সত্যের জয় হোক। এ দালালরা হল দেশের প্রধান সমস্যা।

১৭৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:৩০

দ্বিতীয়নাম বলেছেন: তেনারা হইলো প্রলোতারিয়েত, স্পার্টাকাস, হেরা বুর্জোয়াগো মাইরা হিরো হইছে ব্লগে।

১৮০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:৩১

ডেমিয়েন থর্ন বলেছেন: হয়ত আর্মি অনেক দুর্নীতি করেছে, বিডি আর এর ভাই রা হয়ত অনেক অত্যাচার এর শিকার হয়েছেন, তারপর ও এভাবে মানুষ হত্যাকে অন্ততঃ আমি সমর্থন করতে পারি না।

যে সব আর্মি অফিসার দের মারা হয়েছে তারা রক্ত মাংসের মানুষ ছিলেন, রোবট ছিলেন না।

১৮১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:৩১

আবদুল ওয়াহিদ বলেছেন:

কথায় কথায় ১৯৭১ টানবেন না।

তাহলে ১৯৭১ কে অন্যভাবে দেখতে হবে।

কথায় কথায় ১৯৭১ নিয়ে আসার মতো ড্রামা না করার অনুরোধ করছি।
এসব আবেগের ঠেলায় আমরা কত নিচে এনে গেছি.....

১৮২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:৩৪

শৈলজ বলেছেন: ১৬৮ জন আর্মি অফিসার এবং তাদের পরিবার কোথায় লেখাটিত বাস্তবতা যেভাবে ফুটে উঠেছে তা মনেক নাড়া দিয়েছ কিন্তু আমরা কি ভেবেছি কেন এই নির্মমতা, এর পিছনের কারণগুলো কি কি? আমি কোন পক্ষ নিয়ে কথা বলছি না, না আরমি না বিডিআর। আমার মনে হয় এর পিছনের কারন হলো বৈষম্য, ঘৃনা, অবহেলা আ র্মযাদাহীনতা। এই ঘৃনা,বৈষম্য দূর করতে পারলে আর দেখতে হবেনা এই আহাজারি। আসুন ভাবি কি ভাবে বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্টা করা যায়।

১৮৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:৩৪

আত্মভোলা বলেছেন: @রিসাত,
আমি কখনো ব্রাশফায়ার এর কথা বলি নাই। আপনি যে কতটা "বুঝদার" একজ়ন তা আগেই বুঝছি আর এখন হাতেনাতে প্রমাণ পেলাম।

১৮৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:৩৬

ভন্ডপির বলেছেন: @অচেনা সৈকত : "এনার্কিস্ট" বলতে কি বুঝাচ্ছেন? শব্দটার মানে জানেন ভাল করে? না জানলে দেখে নিন।

http://en.wikipedia.org/wiki/Anarchism

১৮৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:৩৯

দ্বিতীয়নাম বলেছেন: হেঁ, হেঁ সরাই দিছে

১৮৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:৩৯

রাগিব বলেছেন: রিসাত, #১৬০তে কি বললেন বোঝা গেলোনা, কথাটা বাংলাতে বলুন, ইংরেজি বাক্যটির অর্থ কী স্পষ্ট হলো না।

#১৬২ শাহাদত মজুমদার - ৭১ সালে বাঙালী বীর সেনানীরা কাপুরুষের মতো আগে গুলি করে বিহারী পাকিস্তানীদের মারতে শুরু করেনি। পাকিস্তানী বাহিনীর আক্রমণের পরেই তার জবাব দেয়ার প্রশ্ন এসেছিলো। দয়া করে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ২০০৯ এর খুনীদের এক করে দেখবেন না।

#শিরোনাম ১৬৪- একজনের অপরাধ করার জন্য অন্যজনের অপরাধ জায়েজ হয়ে যায় না। সেনাবাহিনীর কেউ দুর্নীতি করলে তার শাস্তির জন্য আপনার আগে আমিই দাবী তুলবো। কিন্তু পৃথিবীর কোনো দেশেই (পাকিস্তান বাদে) মানুষকে এভাবে গুলি করে মারাটাকে জায়েজ বলা হয় না। দেশের কোটি কোটি মানুষের প্রত্যেকেই কোনো না কোনো কারণে ক্ষুব্ধ -- এখন যদি একজন আম জনতা রাস্তায় নেমে পথচারী, রিকশাচালক, ছাত্র, আপনি - তার যাদের উপরে ক্ষোভ সবাইকে গুলি করে, তা কি যুক্তিযুক্ত হবে? ওরকমটা তালেবানী আফগানিস্তানে হতে পারে, কোনো সভ্য দেশে হয় না।

@চাণক্য - আমি কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নই। ধন্যবাদ।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৫:৪০

অহরিত বলেছেন: স্যার আমি দুঃখিত।আমার একটি লিখার জন্য,আপনাকে এমন কথা শুনতে হলো।আজকে অনেকটা ভালো ধারণা পেলাম ব্লগ কি!

১৮৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:৪৩

দ্বিতীয়নাম বলেছেন: বুর্জোয়া রাগিবের সাথে সহমত।

১৮৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:৪৬

রিসাত বলেছেন: আরো ২০টা লাশ পাওয়া গেছে,,, ভাই আমি হত্যাকারীদের সাপোর্টে না,,:(:(

কিন্তু ১৬০ জনের সবাইকে মারতেও ১৫ হাজার বিডিআর লাগার কথা না:(:(

@ রাগিব ভীষণ স্যরি,,, আমি খবর দেখতে গেলাম,,, আমার কমেন্টগুলা পড়েন,, আমি আর্মিদের হত্যা সাপোর্ট করি এটা বোঝাতে চাই নি,,, বোঝাতে চেয়েছি বিচার করা অনেক কঠিন,,,

১৮৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:৫০

রিসাত বলেছেন: ১৬০ বলা হচ্ছে বিডিআরদের সর্বোচ্চপদ যেটাতে বিডিআর থেকেই নিয়োগ দেয়া হয় তাদের পাওয়ার খুব বেশি না,,,

বিডিআরদের এই বিদ্রোহ আগে পরে হতোই হতো,,, তবে এতোটা রক্তক্ষয়ী হয়েছে আমার এখন অন্যকিছু মনে হচ্ছে,,,

@রাগিব আমি তদন্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করছি,,, আমিও বিচার চাই,,, এমন হত্যাকান্ড মেনে নেয়া যায় না

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৫:৪৬

অহরিত বলেছেন: এইতো দেখুন,আপনি এখন আমি বা রাগিব স্যার যা বলেছি তাদের কথাটি ধরতে পেরেছেন।মেনে নিতে পারা যায়না ভাই।আপনি এখন খবর দেখলেন,আর আমি আগে খবর দেখেছি,জেনেছি আর তারপর এই পোস্ট দিয়েছি।
বুকে হাত দিয়ে বলেনতো এখন যে স্বামীহারা বউ,বাবাহারা সন্তানেরা হাহাকার করছে তা কি কখোনোই ঠিক?এভাবে মানুষ মেরে আন্দোলন করা কি যুক্তিযুক্ত?মেনে নিতে পারেন????

১৯০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:৫৮

রেজওয়ান শুভ বলেছেন: বিডিআর এর দাবী যুক্তিযুক্ত , কিন্তু তাই বলে নির্বিচারে হত্যা করবে কেন ? ১২ বছরের মেয়েটির কি অপরাধ ছিলো ?

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৫:৪৮

অহরিত বলেছেন: ভাই এটাই তো বারবার বলতে চাচ্ছিলাম।তাও ভালো আপনি এখন আমার কথাটি বুঝতে পেরেছেন।

১৯১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:৫৮

শামায়েল বলেছেন: @আলাউদ্দীন মিলন আপনার কমেন্টে প্লাস।

১৯২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৫:৩০

পি মুন্সী বলেছেন: লেখক অর্ক,
যেকান মৃত্যই প্রচন্ড ভারী।
বিশেষত তাঁর স্ত্রী সন্তান পরিবার পরিজনের কাছে। আরও বিশেষত স্ত্রী সন্তানদের কাছে - ওটা এমন এক একাকী কষ্ট যা অন্য কেউ শেয়ার করলেও কিছুই লাঘব হয় না।
মানবিক দুঃখ কষ্টের মধ্যে কোন সামরিক বেসামরিক ভাগ নাই। প্রিয়জনের শূণ্যতাবোধ সবার কাছেই একরকম। এই উপলব্দি থেকেই আপনি সম্ভবত বেসামরিক সমাজে আপনার সেনাজনের ব্যাথা, কষ্ট নিয়ে শেয়ার করতে এসেছেন। আপনাকে স্বাগতম। আমি নিশ্চিত মানবিক দুঃখ কষ্টের এই বোঝা ব্লগসমাজের সবাই সহানুভূতি সহমর্মীতার সাথে মানবিকগুণের কারণে অনুভব ও বহন করবেই। আজকের পরিস্হিতি এটাই একটা ইতিবাচক দিক যে এটা সামরিক পরিবারগুলোকে বেসামরিক সমাজের সাথে এক কাতারে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। আমরা সবাই যে বাংলাদেশের জনগোষ্ঠির একই মানবিক সমাজের অন্তর্ভুক্ত সেই সত্য সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে।


যে কোন রাজনৈতিক আন্দোলন দমাতে, অবৈধ ক্ষমতা দখল করতে গিয়ে বারবার সাধারণ মানুষ কিন্তু তাদের নিকটজন হারিয়ে অথবা নির্যাতিত হয়ে একই শোকের সাগর উপহার পেয়ে এসেছে। এবার সম্ভবত সেনা পরিবারের পালা।
কিন্তু আপনি অর্ক, সমস্যা হলো, আপনার লেখায় সেনা-অভিজাততন্ত্র, কৌলিন্য বজায় রেখেই জনগণের সহানুভুতি কামনা করে এই পোষ্ট টা দিয়েছেন। সমাজের সবার এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সবার জন্য প্রযোজ্য এমন কোন ব্যবস্হা তৈরির পক্ষে জনমত তৈরি করা আপনার উদ্দেশ্য - এমন কিছু আপনি বলেননি। আপনি কেবল এই খারাপ সময়ে আর্মির ভাগটা বুঝে নিতে চাইছেন। ফলে আর্মির বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের উপর নির্মমতা, নির্যাতন, অমানবিক আচরণের জন্য সমাজের যেসব অভিযোগ আছে - এই সহানুভুতির কাম্যের সময়ও আমরা সেসব প্রতিক্রিয়া দিয়ে এই পোষ্ট ভরে উঠতে দেখছি।

আসলে সিদ্ধান্ত আপনাকেই নিতে হবে আপনি কোনটা চান - সমাজে সেনা-অভিজাততন্ত্র, কৌলিন্য বজায় থাকুক না সমাজের সবার জন্য প্রযোজ্য রাষ্ট্রীয়-সামাজিক নিয়মকানুন তৈরির পক্ষে কথা বলবেন। জনমত তৈরি করবেন, চিন্তাভাবনার সূত্রপাত করবেন।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৫:৫৪

অহরিত বলেছেন: লিখাটা আমার না।
লিখাটা একজন অফিসারের সহকর্মী হারানোর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া,যিনি লিখেছেন তাতে তার সহানুভূতি আদায়ের ব্যাপার ছিলনা।এমন একটি জায়গায় লিখাটা ছিলো যেখানে সবাই তার মতো সমব্যাথী।নিজেকে জাস্টিফাই করার উদ্দেশ্যে লিখেননি।
তবে ভাই আপনি অহেতুক তর্ককারীদের মত কথা না বলে খুব সুন্দর ভাষায় অনেকগুলো কথা বলেছেন।এইজন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।ভালো থাকবেন।

১৯৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৫:৪৪

চাণক্য বলেছেন: সব নির্বোধ ভাই ভাই জপিতেছে। কে ভাই? কাহার ভাই?

আর্মি অফিসারগন কি সেনাদের ভাইয়ের মর্যাদা দেয়? তবে কেন এই ভাই ভাই নাটক করিতেছে ব্লগার গন?

১৯৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৫:৫৯

রাশেদ বলেছেন: লেখাটা আগেই পড়ছিলাম। যে বিডিআররা দায়ী আর যারা মূল পরিকল্পনাকারী তাদের ফাঁসীতে ঝুলানো দরকার। কিন্তু আমাদের দেশে যা হয়, নিরীহ বিডিআর যারা ঝোঁকের মাথায় যোগ দিছিলো হয়তো, তারাই শুধু মারা পড়বে বা অলরেডি মারা গেছে।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৪৭

অহরিত বলেছেন: ঠিক বলেছেন।কিছুক্ষণ আগে জানলাম এক অফিসারের জিহবা কাটা লাশ পাওয়া গেছে,কারো চোখ উপড়ানো।
রাশেদ ভাই,একটু বলেন তো এইটা কোথাকার নিয়ম...

১৯৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০৫

সাইফ শিশির বলেছেন: ''কেউ কি একবার জিজ্ঞেস করেছেন ১৬৮ আর্মি আর তাদের পরিবার কোথায় গেল?? ''

এই জিজ্ঞাসা আমার গত দুইদিন ধরে। যেমন জিজ্ঞাসা সাধারন ক্ষমা ঘোষনার পরও 'ধৃত' বিডিআর অনির্দিষ্ট সংখ্যক সিপাহীরা কোথায় গেল?

সত্যিই এই মূল্যবান জীবনগুলো এবং এই ১৬৮ পরিবারের ক্ষতি যা, তা পূরন হবার নয়। টিভিতে তাদের পরিবার পরিজনদের মুখে যে শুন্যতা দেখেছি তাতে নিজের অজান্তেই চোখ জলে ভিজে উঠেছে। নিহত কর্মকর্তাদের স্ত্রী কন্যা পূত্রদের চমৎকার পোশাকে আশাকে সুন্দর স্বাস্থ্য চেহারায় মন্ত্রী আর পুলিশের গাড়িতে যেভাবে শুন্যতার দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখেছি তা অবর্ননীয়। তারা অভিজাতন্ত্রের সান্ত্রী। তাদের ওইভাবে দেখেই কষ্ট লেগেছে। সমাজের ওই পর্যায়ের লোকজনকে আমরা এই অসহায়ভাবে দেখতে চাইনা। অভ্যাসে অভ্যাসে এইটা আমাদের জন্মগত হয়ে গেছে। কিন্তু সত্যি বলছি- আনিয়োগ বঞ্চিত বিডিআর সিপাই আর এখন যাদের জীবন সেনাদের বন্দুকের নলের আগায় তাদের কথা, দুর গায়ে থাকা তাদের স্ত্রী পুত্রের কন্যার একবারও মনে পড়ে নাই আমার টিভির সামনে বসে। এটাই স্বাভাবিক। এটাই এই কৃষক শ্রমিক পরিবার থেকে উঠে আসা মাইনে পোষা সিপাইদের জীবন। সীমান্তে। ব্যারাকে। এবং অবস্থার প্রতিবাদে যেহেতু তারা সহিংস ভয়ংকর হইছে সুতরাং এই হাপিস হয়ে যাওয়াই তাদের উচিত। এতে অবাক হওয়ার কিছু নাই।


@চানক্য
পোস্টে এবং মন্তব্যে যারা ভাই ভাই করছে তাদের সমস্যা পি মুন্সি বুঝতে পেরেই বলেছেন- ''সমস্যা হলো, আপনার লেখায় সেনা-অভিজাততন্ত্র, কৌলিন্য বজায় রেখেই জনগণের সহানুভুতি কামনা করে এই পোষ্ট টা দিয়েছেন।'' এবং নিহত অফিসার অভিজাতদের 'ভাইরা' সেভাবেই সহানুভুতি কামনা করছেন।

@ রাগিব ভাই
বাংলা উইকিতে আর এই বিডিআর বিদ্রোহ নিয়া কোনো কন্টেটের ওপর ভরসা করা যায়না। যেইভাবে ভাইজান চার হাত পায়ে 'খুনী' সিপাইদের বিরুদ্ধে খাড়া, তাতে করে এরা যে পাক হানাদারদের মতোই ট্রিটমেন্ট পাবে উইকিতে সেটা বোঝা যাচ্ছে।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৪৭

অহরিত বলেছেন: ভাই খবর দেখেন যেয়ে।সিপাহীরা সব আটক আছে আর কোথায় আছে সব দেখানো হচ্ছে।মন্ত্রী কি বলেছেন তাও দেখাচ্ছে।

১৯৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০৯

হুমায়ুন কবির হাকিম বলেছেন: আর্মিদের সৎ বললে আমি মানবো না......কারণ তারা সুযোগের অভাবে সৎ.......চাকরি থেকে অবসর নেয়ার সাথে সাথেই অথবা কোন কোন ক্ষেত্রে অবসর নেয়ার আগেই তারা নির্বাচনে নেমে পড়েন......প্রশ্ন হলো এই এত টাকা তারা কোথায় পান?????

আমরা ব্লাডি সিভিলিয়ান কোনদিনই আর্মির অসততার কথা বলতে পারবো না......তাদের ধরার কেউ নেই......বিডিআর কে আর্মির প্যারালাল করে তৈরি করা হোক যাতে তারা কৈফিয়ত চাইতে পারে.....বিডিআর এর শক্তি বাড়ানো হোক.......

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৪৮

অহরিত বলেছেন: বাহ! কি চমৎকার বলেছেন।

১৯৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:২২

রাগিব বলেছেন: "@ রাগিব ভাই
বাংলা উইকিতে আর এই বিডিআর বিদ্রোহ নিয়া কোনো কন্টেটের ওপর ভরসা করা যায়না। যেইভাবে ভাইজান চার হাত পায়ে 'খুনী' সিপাইদের বিরুদ্ধে খাড়া, তাতে করে এরা যে পাক হানাদারদের মতোই ট্রিটমেন্ট পাবে উইকিতে সেটা বোঝা যাচ্ছে।"


@সাইফ শিশির - আপনার "বোঝা"র জন্য অনেক ধন্যবাদ।

কোনো কিছুর উপরেই আপনাকে বিশ্বাস করতে কেউ কখনো বাধ্য করবে না। আর খুনীদের সপক্ষে হাজারো জয়গান গেয়ে যান ... পৃথিবীর ইতিহাসে সেটা নতুন ঘটনা হবে না।

তবে, রক্তের দাগ সহজে মুছে না।

১৯৮| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:৫৮

'লেনিন' বলেছেন: শিরোনামহীন বলেছেন : "কেন? মি. রাগিব এবং অচেনা সৈকত? ইবাইস লেনিন? বাদশা?"

নিশ্চয়ই এতোক্ষণে উত্তর পেয়ে গেছেন। আমার কিছুই বলার নেই।

তবে এটুকুই বলবো আপনি অতিশয় নিকৃষ্ট রুচির ব্যক্তি আক্রমণমনস্ক। যুক্তির ধার আপনি ধারেন না।

আমি আপামর জনসাধারণের পক্ষে,
আমি খেটে খাওয়া দিন-মজুরের পক্ষে,
বিডিআর এর নিগৃহিত সেপাইদের দাবীরও পক্ষে
তাদের না-পাওয়ার সাথে আমার কোনো মতদ্বৈততা নেই। এই পোস্টের মূল চিঠিটি আমি এখনো পড়িনি। আমারই কাছের জন অনেকে আর্মিতে আছেন(আমি তাদের দ্বারা সুবিধাপুষ্ট নই)। তাই চিঠির লেখক একজন লেফটেন্যান্ট বা ক্যাপ্টেন পর্যায়ের হলে অনেক কথাই সত্যি বলেছেন বুঝতে কষ্ট হচ্ছে না। ......আবারও বলছি চিঠি পড়িনি আপনাদের দ্বিমতগুলো পড়েছি(আর সেখান থেকেই ধারণাটি হলো)। আর্মিদের নিকৃষ্ট ব্যবহারগুলোর প্রতি আমারও বিরূপ মনোভাব আছে। কিন্তু সেটি প্রকাশের জন্য এসময়টি বেছে নিতে আমি রাজী নই। দেড় শতাধিক প্রাণ দেবার পর তাদের প্রতি আর কতো ঘৃণা আমি জানাবো? আমি কী মানুষ নই?

এই পোস্টে আমার মন্তব্য আর্মির প্রতি সমবেদনা জানানোর জন্য নয়, বরং ঘৃণ্য বর্বর একটি কালো দিবসের প্রতি সবার দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর জন্য।

আমার ব্যক্তি পরিচয় তুলে ধরে আমাকে হেয় বা খাটো করার চেষ্টা বা আমাকে ক্ষুদ্র করার প্রচেষ্টটি দেখলাম। আমি সত্যিই অনেক ক্ষুদ্র অনেক সামান্য এমনকি কারো সাথে তুলনা করার চিন্তা করাও ধৃষ্টতা। কিন্তু আপনার 'শিরোনামহীন' জাতীয় নামহীন পরিচয়ে অন্যের পেছনে লাগার মানসিকতাকে ধিক্কার! আমি এটা জেনেও বলছি আপনি আমার তুলনায় অনেক সম্মানিত বিভিন্ন বিষয়ে একজন যোগ্য লোক হতে পারেন। কিন্তু অন্তকরণটা বড় একটি ব্যাপার, আমি অন্তত আপনার চেয়ে সেদিক দিয়ে কিছুটা আত্মতৃপ্তি পাবো।

১৯৯| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:২৬

'লেনিন' বলেছেন: হুমায়ুন কবির হাকিম বলেছেন:
.বিডিআর কে আর্মির প্যারালাল করে তৈরি করা হোক যাতে তারা কৈফিয়ত চাইতে পারে.....বিডিআর এর শক্তি বাড়ানো হোক.......

অনেকটা রক্ষী বাহিনীর মতো? লাল বাহিনীর মতো? এমন কোনো কারণে এই ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ড ঘটেনি তো?

একটি দুটি... তিনটি-চারটি প্রাণ গেলে বা বিডিআর এর সদস্যদের সংযম বিপ্লবী চেতনা ও আদর্শ দেখলে আমার তাদের প্রতি সমর্থন অক্ষুন্ন থাকতো। সমর্থন চলে গেছে যখন বুঝতে পেরেছি সেদিনই যে অসংখ্য অফিসারকে মেরে ফেলা হয়েছে। এমন মানসিকতার বিডিআর দিয়ে কী করে দেশ রক্ষা হবে! লুঠ করে যারা ভাগছিলো তারা পাহারা দেবে সীমান্ত? যদিও বলবেন বড় চোর আর ছিচকে চোর এর কথা... তবুও ... কোন সময়ে আছি আমরা?

তবে, বিডিআর এর ক্ষোভের কারণগুলোকে আমি কোনোভাবেই অশ্রদ্ধা করছি না। নিশ্চয়ই তারা প্ররোচিত এমন ঘৃণ্য কিছু ঘটাতে। খুব বেশি হলে শ'দুয়েক সেপাই মূল অপরাধী। কিংবা মাত্র বিশ-ত্রিশ হলেও অবাক হবো না।


২০০| ১৪ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ৩:২৪

নিহন বলেছেন: কছুই বলতে পারলামনা ।
দেশে এই অভাব পূরনও হবেনা ।

ভালো থাকুন ।

২০১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১০:১৬

বায়লোজি বলে আমি নাকি ছেলে!! বলেছেন: ১৬৮ আর্মি অফিসার নিয়া য়েত প্রেম-ভালবাসা।
আর ২০০১ সালের পর থেকে বিডিআরের নথি মোতাবেক সীমান্তে যে ৭০০ জওয়ান নিহত হয় তাদের খবর কে রাখছে?

নিহত ৬৮ সচ্ছল অফিসারের ফেমিলিকে কত কত অনুদান দেওয়া হল। অথচ জওয়ানদের আডাই-তিন হাজার টাকায় যাদের সংসার চলত,সেই সকল নিহত জওয়ানদের পরিবারের খোজ কে রাখছে?
আজকে অফিসারদের ফ্ল্যাট দিচ্ছেন,নগদ অনুদান দিচ্ছেন য়েগুলাও য়েকদিন ইতিহাস হবে। ইতিহাস কাওকে ক্ষমা করে নাই।
শেখ মুজিব,জিয়াউর রহমান,........................

৩০ শে এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:২৫

অহরিত বলেছেন: ৬৮ বা ১৬৮ কোনটিই নয়।মারা গেছেন ৫৭ জন অফিসার।

যে ৭০০ জন বিডিআর সদস্য মারা গেছেন তাদের তো অফিসার মেরে আসছে,তাই না?তবে সেই ৭০০ জনের জন্য যদি আপনি একা একা দুঃখ বোধ করেন বলে মনে করেন তাহলে ভুল করেন।এই ব্লগে যারা আসেন,লিখেন সবাই দুঃখ পেয়েছিলো এবং পায়।

একটু জেনে বুঝে কথা বলবেন।কিছু লিখে দিলেই বা মন্তব্য করলেই তো হয়না।পড়ুন,জানুন,শিখুন।

উল্লেখ্য আপনার সাথে আর্মি বিডিআর নিয়ে কথা চালাচালির প্রয়োজন বোধ করছিনা।মতের পার্থক্যে তর্ক আসতেই পারে এবং এটাই ব্লগের ধর্ম তবে সেটা অপটু বা আবেগী বা আর্মি বিডিআর সম্পর্কে এত ভাল(??) জানেন এমন কারো সাথে নয়।আপনার মন্তব্য সমূহ দেখে আপনার ব্যাপারে ভালো জ্ঞান লাভ করেছি আপনার ব্যাপারে।আর এগোতে চাচ্ছিনা।ভালো থাকবেন।আমার কথায় দুঃখিত হলে আমিও দুঃখিত হবো বলে জানিয়ে রাখলাম।

২০২| ২২ শে জুন, ২০০৯ রাত ১১:২৭

আবু সালেহ বলেছেন:
লিখাটা অনেক আগেই লিখেছেন....আমার চোখে পড়লো আজ.....................


আমার কথা হচ্ছে সেখানে কেনই বা আর্মি অফিসার মরবে আর কেনই বা সীমান্ত পাহারায় যারা অনড় তারাই বা কেন ধ্বংস হবে....

কারা এর নেপথ্যে.................

২৫ শে জুন, ২০০৯ বিকাল ৪:৩৭

অহরিত বলেছেন: হায়! যদি জানতাম‍!

২০৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:৩৬

সামিউর বলেছেন: ভাইয়া একটা অনুরোধ করবো। বিডিয়ার গণহত্যায় ( বিদ্রোহ না ) নিহত প্রত্যেক অফিসারের বায়োডটা দিতে পারবেন ? কর্ম জীবন হলেই চলবে। আর পুরো ঘটনা টা নিয়ে একটা পর্যালোচনা মূলক পোস্ট দিন সময় পেলে। মানুষ যাতে এই নৃশংসতা কোনো দিন ভুলে না যায়।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:৫৫

অহরিত বলেছেন: কর্মব্যস্ত জীবনে একটু সময় বের করা বড় দুঃসাধ্য।সাথে এও দুঃখের সাথে জানাতে চাই যে,সেই অফিসারদের বায়োডাটা আমার কাছে নেই।তবে পুরনো সেই সময়ের খবরের কাগজ ঘাটলেই আপনি যথেষ্ট তথ্য পেয়ে যাবেন বলে আশাবাদী।

২০৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ২:১৯

মোঃ আমিন বলেছেন: প্রথম পাতায় একসেস না পাওয়া ছায়ানীড়ের কমেন্টসটা তুলে দিলাম- kichu likha ache na- ja porle buker modyo kemon kore -oshombhob koshto r balo laga ekta onubuti...... sherokom likhar hat!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

২০৫| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৩:০৫

র হাসান বলেছেন: ভালো পোষ্ট! প্লাস!!


Bangladesh travel info for tourists and expats

২০৬| ২৬ শে মার্চ, ২০১১ সকাল ৮:২৯

শায়েরী বলেছেন: খারাপ লাগে

২০৭| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ২:১৮

মুসাফির রনি বলেছেন: হায়রে অভাগা জাতি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.