![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্বাস করুন আমি এই দেশেরই একজন একেবারেই সাধারণ মানুষ।কিন্তু তারপরও বারবার মনে চাচ্ছে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাই।মাথার সামনে যখন ৭১ আর ৫২ এর কথা আসে তখন নিজেকে শান্ত করি।আমার বাবা প্রায় সময় বলে বাহিরে যেয়ে উচ্চতর পড়াশোনা শেষ হলে যেন ওখানেই স্থির হয়ে যাই।কিন্তু আমি বারবার তাকে আমার অনাকাঙ্খা জানাই।আমি চাইনা এই দেশ ছেড়ে চলে যেতে,আমি এই দেশে থাকতে চাই।আমার বাড়ির পাশে আমি ময়লা রাস্তা দেখে প্রতিদিন হাঁটি।আমি আকাশ খুজে পাইনা,পাই ইন্টারনেট,ফোন,বিদ্যুৎ এর তার।একটু সামনে এগিয়ে মেইন রাস্তায় যখন হেটে যাই তখন আমি কালো ধোয়া,অগুনিত মানুষ,বুভুক্ষু পেটের আর্তনাদ শুনতে পাই।আমি আমার গন্থব্যের দিকে শুকনো মুখে তাকিয়ে এই জরাজীর্ণ দেহটাকে ঠেলে নিয়ে যাই একটি লোকাল বাসের দিকে।ওরিব্বাস!ওটা তো বাস নয়,ওটা যেন একটা ডাস্টবিন।সেখানে ময়লাগুলো আমরা,একজন আরেকজনের গায়ে গতরে ধাক্কা দিয়ে স্ট্যান্ড ধরে অসংখ্য যানবাহনের জটলা পেড়িয়ে ঝুলতে ঝুলতে একসময় হয়তো কাঙ্খিত স্থানে পৌছিয়ে যাই।নাহ আমার কোন অভিযোগ নেই তাতে।আমার দেশটা গরীব দেশ,কিন্তু মানুষের মনটা বড়।তাই জনসংখ্যাটা একটু বড়ই নাহয় হয়ে গেলো,তাতে কি?বিশ্বাস করেন তাতে আমার কষ্ট নেই।আমি সহ্য করে নেই,আমি ভেবে নেই এইটাই আমার দেশ,সোনার বাংলাদেশ।
আমি যখন সারাদিন খাটাখাটনি করে বাসায় এসে মায়ের কাছে একগ্লাস ঠান্ডা জল চাই আর মা বলেন লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণায় পানি ঠান্ডা হয়নি তখন আমি আর আমার ক্লান্ত পরিশ্রান্ত দেহটা একটু শুধু হাহাকার করে উঠে।আমি তবুও চুপ করে উত্তপ্ত মনের উত্তপ্ততা উত্তপ্ত বারিতেই প্রশমন করি।বাসায় এসে বেশিরভাগ দিন যখন অন্ধকার গুহায় গুমোট ঘরে প্রবেশ করে অদম্য রক্তপিপাসু মশার কামড় খাই তখনো,হ্যা তখনো আমি চুপ করে বসে থাকি।একটা প্রতিবাদ করিনা।মাঝে মাঝে শুধু হাঁক দিয়ে উঠি,এই দেশে আর থাকা যাবেনা।এরা দেশটা ধ্বংস করে দিলো।আমি বুঝতে পারি যে এর থেকে বেশি আর কিছুই বলার নাই।
গত কয়েকদিন ধরে আমি যখন অসভ্য লোডশেডিং এর শত যন্ত্রণায় নিজ কাজ সেরে রাতে ঘুমাতে যাই,তখন আবার সেই যন্ত্রণা।আবারো সেই অন্ধকার রাজ্যে পাখার ছনছন আওয়াজে ঘুমানোর ব্যর্থ চেষ্টা।আমি ক্লান্ত হই এবার,আমি বিরক্ত হই।আমি স্তব্ধ হয়ে যাই আর শুধু ভাবি আর ভাবি যার কোন সীমা নেই,পরিসীমা নেই।আমি ভাবি আমরা এই বাংলার মানুষেরা ৬০ ভাগ ভোট দিয়ে যাকে ক্ষমতায় আনলাম সে একী খেলা শুরু করলো??নাহ,আমার মত একজন সাধারণ ক্ষমতাহীন নাগরিক আর কী বলবে বলুন?আছে কি ভাই কিছু বলার?
আমি সব সহ্য করে নিয়েছি।আমি জানি আমাকে প্রতিদিন ময়লা সড়ক দিয়ে হেঁটে যেতে হবে,চরম গরম বাজারে যেয়ে অন্নদ্রব্য কিনতে হবে,ঘর্মাক্ত শরীরে সারা দিনের ক্লান্তি শেষে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হবে একটি সি.এন.জির জন্য এবং তাকে গন্থব্যের নাম বলার সাথে সাথে চেয়ে বসবে এমন একটা ভাড়া(মাঝে মাঝে মনে হয় শয়তানি করে বলে) যা শুনে আপনার হাতটা চালকের গালে ছুটে যেতে চাইবে।আমি দেখতে পাই পেট্রল,ডিজেলের দাম বেড়েছে বলে সি.এন.জি বাসের ভাড়াও ৩৩% বেড়ে যায়।আমি দেখি পরিবার নিয়ে বিনোদন পার্কে বেড়াতে গেলে সহজ সরল মানুষের কাছে জোর করে অর্থ আদায় করা হয় এবং প্রতিবাদ করলে বলা হয় এটা তাদের অধিকার।কারণ তারা এই জায়গার ইজারা নিয়ে বহু অর্থ ব্যয় করেছে।একই অবস্থা সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে।কুলিরা এবার সাধারণ মানুষের যমদূত।টাকা দে নাহলে মাইর খা!সেলুকাস দেশে বাস করছি ভাই।কই আছি ভাই বলেন তো??নাহ এগুলো শুধু আমার অভিযোগ,সাথে কিঞ্চিত অভিমান বললে ভুল হবেনা।কিন্তু তাও আমার দেশকে আমি ভালোবাসি,কে না বাসে?তাই সব সহ্য করে নিলাম।
কিন্তু আমি সহ্য করতে পারলাম না যা,তাই এখন একটু শেয়ার করতে মন চায়।আমি ব্লগে একজনের মন্তব্য পড়ে জেনেছি সংসদ চালাতে প্রতি মিনিট ব্যয় হয় ১২০০০ টাকা।সেদিন দেখলাম আমাদের সবার প্রিয় চোখের মণি,গনতন্ত্রের আপোষহীন কন্যা শেখ হাসিনা টানা ৩০ মিনিট বা তারো বেশি সময় ধরে বিরোধী দলীয় নেত্রীর দোষক্রুটির বিশ্লেষণ করছেন।আমি হতভম্ব।আমি বিস্মিত।আমি ভাবি এটাই কি আমাদের দেশ না?এটাই তো আমাদের বাংলাদেশ যেখানে একটি দশ বছরের মেয়ে আত্নহত্যা করে ভাত না খেতে পাওয়ার অভিমানে।এই সেই দেশ যেখানে মা তার সদ্য জন্মানো শিশুটিকে মাত্র ২ হাজার টাকায় পেটের দায়ে বিক্রি করে দেয়।এই সেই দেশ যেখানে চার বছর থেকে শুরু করে নব্বই বছরের ক্ষুধার্ত ভিখিরীরা দুয়ারে দুয়ারে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়।আমাদের সোনার দেশের ডিজিটাল নেত্রী তখন ১২০০০/মিনিট হারে বিরোধীদলের কোন নেতাকে কোন হাসপাতালে ভর্তি করে মহান কাজ করেছিলেন তার ফিরিস্তি গান।সবাই আসেন একবার বলি জয় বাংলা!
আমি সহ্য করতে পারিনাই যখন ওই ৩০ মিনিট ভাষনে জানলাম আগের সরকার ২০০০০ কোটি টাকা খরচ করে দেশের কোনায় কোনায় খাম্বা বসিয়েছে,আর তার সুযোগ্য সন্তান খুনের মামলা ঢাকতে এক খুনীর পিতার নিকট ১০০ কোটি টাকা চাদা দাবী করে।আমি হতভম্ব হয়ে যাই যখন দেখি আমাদের দেশচালকেরা বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত,উচ্চ শ্রেণীর কর্পোরেট সাধুদের আমন্ত্রণ করে লক্ষ লক্ষ টাকা আপ্যায়ন ব্যয়ে খরচ করে।পায়জামা খোলা দেলোয়ার ৩৫ কেজি পোলাওর চাল আমাদের টাকায় কিনে খায়।বাসায় হাঁটার জন্য আমি একটা চপ্পল পড়ি,ওদের চেহারা যখন টিভিতে দেখি তখন আপনা আপনি হাতটা চপ্পলজোড়া খুলে আনে।আমি বুঝতে পারি কতটা বেদনা বুকে থাকলে বুশ ভাইকে জুতা মারে সাধারণ একজন সাংবাদিক।
একটু আবার লোডশেডিং এর কথা বলতে চাই।আমার বি.এস.সি লেভেলে থিসিস ছিলো লোড ফোরকাস্টিং নিয়ে।আমি আন্দাজ করতে পারি দেশে কতটুকু লোড এখন অথবা তার ২-৩ বছরের মধ্যে লাগতে পারে।আগের বছরের থেকে সেটা যে সরকারী হিসাব অনুযায়ী ১০০+ মেগাওয়াট এর বেশী না এটাও জানি।আমি এটা বুঝতে পারছিনা যে এই বাড়তি চাহিদার জন্য আগের তুলনায় দ্বিগুণ লোডশেডিং হওয়ার কারণ কি?হয়তো এই উত্তর আপনিও জানেন আমিও জানি।আমি শুধু এটাই চাই যে আপনার মনে প্রশ্ন আসুক,চিন্তা করুন ভাবুন।
আমরা মঈন সাহেবের শাসনামলে,এরশাদের আমলে গণতন্ত্রের দাবী জানিয়েছি।আমরা ভোট দিয়েছি খালেদা হাসিনাকে।বুকে হাত দিয়ে বলেন তো,এরা যা করছে সেটা কি গণতন্ত্র???স্বৈরাচার কেন নয় বলতে পারেন?
আমি সবার কাছে একটা জিনিস জানতে চাই,আমরা কি নপুংশক?আমরা কি কিছুই করতে পারিনা?আমরা কি এভাবেই ওই অমানুষ,লোভী,নরকের কীট নেতা নেত্রীর অত্যাচারের স্বীকার হয়ে এত কষ্ট করে অর্জিত হওয়া দেশটাকে ধ্বংস করে দেব??
আমরা আমাদের অভিযোগ লিখবো ব্লগে পত্রিকায়,আলোচনার ঝড় তুলবো প্রতি কাপ চায়ে।আমরা নিরুপায় হয়ে এদের বিলাসীতা দেখবো আর ট্যাক্স দিয়ে দিয়ে এদের আভিজাত্য আর স্ট্যাটাস বাড়িয়ে চলবো এই কি আমাদের কাজ?আমি নিজেকে প্রশ্ন করে এভাবে এত মিথ্যাচার দেখে কি করে চুপ হয়ে বসে থাকি?কেন আমাদের কিছুই বলার নাই?আমরা কি তবে আমাদের বিবেক,বিচারবোধ সব বিসর্জন দিয়ে ফেলেছি???
গত কিছুদিন ধরে না রাতে না দুপুরে একটুও ঘুমাতে পারছিনা।ক্লান্ত হয়ে গেছি এদেশের রাজনীতি দেখে।দেশ যখন অন্ধকারে ডুবে আছে তখন এরা উচ্ছেদ কর্মে ব্যস্ত।আমি জানি আমার কিছুই করার ক্ষমতা নেই।থাকলে বিশ্বাস করেন নিজের চটিজোড়া খুলে দুই নেত্রীর আর তাদের অসাধু অনুসারীদের গালে ছাপ ফেলে আসতাম।কিন্তু ওইযে অসহায় সাধারণ বাংগাল আমরা।কিচ্ছু করতে পারবো না।প্রিয় নেতারা তাদের ছেলে মেয়ে বিদেশে পড়তে পাঠাবে,সরকারী কর্মকর্তা এক বছরে ৩৫ হাজার কোটি টাকা(প্রথম আলো অনুযায়ী) শুধু ঘুষ খাবে,মন্ত্রীর ছেলে ২৩০০ টাকা বেতনের ট্রাফিক পুলিশকে জনসমক্ষে পিটিয়ে হত্যা করবে,অর্ধভুক জনগোষ্টীর কাতর চোখ অবহেলা করে বড় বড় শপিং মল বানানোর প্রতিযোগিতা চলবে,যে নেতা একটি বাসে আগুন ধরিয়ে জলজ্যান্ত মানুষ পুড়িয়ে মারবে তাকে গদিতে আদর করে বসানো হবে,আলবদর প্রধান মন্ত্রী হয়ে গাড়িতে পতাকা নিয়ে ঘুরে বেড়াবে.....আর আমরা তাকিয়ে দেখবো......
ভাই ছোট্ট একটা প্রশ্ন এতো কিছু দেখে বুকে একটু আগুন জ্বলেনা,কিছু করতে ইচ্ছা হয়না??পারিনা আমরা একটুখানি দেশটাকে সুন্দর করতে????পারিনা ওই অবংশধারীদের কানে ধরে গদি থেকে নামিয়ে জিজ্ঞেস করতে “"কার টাকায় খায়া ফুর্তি করো আন্টি"?”
কেউ আমার লেখা পড়ে রাগ করবেন না।জানিনা বুঝবেন কিনা আমার মনের কথাগুলো।অনেকদিন ধরে বলতে ইচ্ছা করছিলো অনেক কিছু।নির্ঘুম হয়ে প্লাস্টিকের পাখায় গরম বাতাস খেতে খেতে এইসব কথা মনে আসে,কিন্তু বলা হয়নি।আজ বললাম।আমি জানি সবাই একই দুর্ভোগের শিকার।অনেকেই তাদের যন্ত্রণা জানিয়েছেন।আমিও তাই একগাদা প্রশ্ন করে গেলাম সবাইকে।আবারো কেউ লিখা পড়ে দুঃখিত হলে,তার থেকে দ্বিগুণ দুঃখিত হবো জানিয়ে রাখলাম।
শুধু একটি প্রশ্ন এত অন্যায় অনাচার দেখে আমরা কি এখনো বেঁচে আছি আর থাকলে সেটা কি মানুষের মত???
২০ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৪:৫৯
অহরিত বলেছেন: আর কোথায় পালাবো বলেন?কি লজ্জা আজকে আমাদের নিজের দেশ থেকে পালানোর কথা ভাবতে হয়।
জানিনা কেউ দেশটাকে ঠিক করতে পারবে কিনা?নাকি শুধু আক্ষেপ করেই কাটবে এই পোকামাকড়রুপী জীবন!
২| ২০ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৪:৫৮
রিসাত বলেছেন: আমাদের সময়ের কোন মূল্য নাই, আজকেও রাত ৩টার সময় কারেন্ট গেলো আর আসলো ৪টায়, কী সিনসিয়্যার ভাবেন!
রাস্তায় জ্যামের কথা নাই বললাম,, ১০টা প্রাইভেট কার ১১ জন মানুষ যাবে তাদের জন্য ১০টা বাসের ৫-৬ শত যাত্রীর ২০-৩০ মিনিট সময় নষ্ট হবে,,
রিকশা সিএনজি এইসব খুচরাটাইপ গুন্ডারা আমাদের লাইফ অতিষ্ট করে যাবে,,, আমরা সহ্য করে যাবো,,, নেতা নেত্রী সংসদে একে অন্যের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা না করা এবং নিজেদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর ক্ষেত্রে একমত হবেন,,, রোজ নতুন নতুন নাটক হবে সিনেমা হবে কমেডি হবে ট্রাজেডি হবে,,, আমরা ডীপ ডাউন আন্ডারগ্রাউন্ডে থাকবো ,,,
একজন উঠবে আর চারজনে টাইনা নিচে নামাবে,,, আমরা চায়া চায়া দেখবো,,, কারণ আমরা হইতেছি রাষ্ট্রের ডমেষ্টিক এনিমল,,, বুঝাইতে পারলাম কিনা?:-<
২০ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৫:০২
অহরিত বলেছেন: কি মজার ব্যাপার দেখেন আপনার আমার আর আগের মন্তব্যকারী সবার একই কথা...আমরা সবাই জানি এটা মানুষের জীবন না!হয়তো গোবেচারা পশু,নাহলে কোন কীট!
এমনই কি আমাদের সারা জীবন থাকতে হবে?একটু মানুষ হবো কবে বলুন তো?
৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৫:০১
অলস ছেলে বলেছেন: এই মৃত্যু উপত্যকাই আমার দেশ। এক নির্বোধ পরিণতির দিকে ছুটে চলা ভূখন্ড আমার দেশ।
২০ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৫:০৩
অহরিত বলেছেন: সত্য কথা...আমাদের কিচ্ছু করার নাই।
আমরা বড়ই অসহায় তাই না??
৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৫:০৫
অহরিত বলেছেন: ভয়ে ভয়ে এখন ঘুমাতে যাচ্ছি।কখন আবার কারেন্ট চলে যায় আর ১ ঘন্টার জন্য ঘুম অনিশ্চিত হয়ে পড়ে কে জানে।সবাইকে শুভ(!?!)রাত্রি।ভালো থাকবেন।
৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৫:০৮
শয়তান বলেছেন: পরিবর্তন আনতে চাইছেন কাদের জন্য ?? প্রত্যেকেই আমরা এখন কোন না কোন ভাবে অসৎ ।
২০ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১০:৩০
অহরিত বলেছেন: এই কথাও ঠিক।কিন্তু আমরা তো এমনটা ছিলাম না।যারা আমাদের আজকে আমাদের অসৎ বানিয়েছে,বাংলাদেশকে এমন অকার্যকর রাষ্ট্রতে পরিণত করেছে তাদের পরিবর্তন চাই।
অসৎ তো আমরা এক দিনে হইনাই।আবার জন্ম থেকেও অসৎ নই কেউ।তাই সময় লাগবে পরিবর্তন হতে।
৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৫:১১
রিসাত বলেছেন: মানুষ হওয়ার কোন চাঞ্চ নাই ভায়া, এইটা চেইন রিএকশন টাইপ একটা সিস্টেম,,, যেই ধ্বংসের কেবল শুরু আছে,,,,
যে দিকে তাকাবেন দেখবেন ব্যাক্তিগত কোন্দল,,, আমাদের কোন ভাবেই একটা জাতি বলা যায় না,,,
আমাদের কালচার কনজিউমড
আমাদের কনশায়েন্স হেল্পলেস
আমাদের লাইফ হেল
শুভরাত্রি,,,
২০ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১০:৩০
অহরিত বলেছেন: সত্য বলেছেন।
৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৫:১১
শয়তান বলেছেন:
পানি ও বিদ্যুৎ সংকট মোকাবিলায় সরকারের নতুন চিন্তা
উঁচু ভবনে জলাধার ও সৌর বিদ্যুৎ প্যানেল স্থাপন বাধ্যতামূলক
বিদ্যুৎ ও পানি সংকট মোকাবেলায় নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এখন থেকে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের যে কোন স্থানে সরকারি বা বেসরকারি মালিকানায় বহুতল ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে নিজস্ব সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল স্থাপন এবং বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের জন্য উপযুক্ত জলাধার নির্মাণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সম্প্রতি এক সরকারি পরিপত্রে এ সিদ্ধান্তের কথা সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়।
আরও পড়ুন
২০ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১০:৩২
অহরিত বলেছেন: সরকার তো কতই লোকদেখানো সিদ্ধান্ত নেয়।কতগুলো পূরণ হয় বলেনতো?
৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৫:২৫
হিটলারের সাগরেদ বলেছেন: আমরা হলাম গিনিপিগ। এরকম চিন্তা করাটাও এখানে অপরাধ যে আপনি পালাবেন।
৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৬:৪০
ঋভু অনিকেত বলেছেন: ড়ৎশড় এর জন্য আমার লেখা ``গণতন্ত্র চাইনা''কবিতার কিছু অংশ
............................
কার্তিকের মঙ্গা পীড়িত
অনাহারী উত্তর জনপদের কৃষক
বুঝেনা গণতন্ত্র,
চায়না দেশনেত্রী বঙ্গকন্যা,
চায় অন্ন, চায় শিক্ষা
চায় স্বাধীন দেশে স্বাধীনভাবে
বাঁচার অধিকার;
চায় একজন মাহাথির
দেশের উন্নয়নকে, দেশের সমৃদ্ধিকে
যিনি পৌঁছে দেবেন
পেট্রোনাস টুইন টাওয়ারের শীর্ষে।
২০ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১০:৪১
অহরিত বলেছেন: বর্তমান পরিস্থিতিতে আদর্শ কবিতা।আপনাকে ধন্যবাদ।
১০| ২০ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৬:৪৪
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: দুর্দান্ত লিখেছেন। কোন স্যারের আন্ডারে থিসিস লিখেছিলেন? বিদেশে আছি প্রতি মুহূর্তে দেশে ফেরার টান নিয়ে, বাবা - মা চান না যদিও আমি দেশে ফিরি। বিদ্যুত, পানি, যানজটের তাজা দুঃস্বপ্ন এখনও মুছে যায়নি। তারপরেও দেশে ফেরার গান গাই।
কিন্তু দুর্দশার এসব সীমাহীন মাত্রা পড়লে মনে হয় পৃথিবীতে সুস্থভাবে বাচার মত ঠায় হবেনা আমার! ধ্বংস স্বদেশ আর উদ্বাস্তু জীবনের মাঝে দাড়িয়ে মানুষ স্থিতিশীলভাবে বাচার স্বপ্ন দেখতে পারেনা। ভিন দেশি সংস্কৃতির সাথে আপোষ করে বাচার ঘোর বিরোধী আমি। আত্ম পরিচয়হীন চীনারা টাকা আর সম্পদের জন্য হয়ত দেশ কাল ধর্ম সংস্কৃতি সব কিছু বিসর্জন দিয়ে মিশে যাবে বিজাতীয়দের সাথে। দেশে ফিরে শ্রম দিতে চাই, সুস্থভাবে বাচার মত সেই আগের দিনের নুন্যতম আলো বাতাস ফিরে পেতে চাই। ক্ষমতাসীনরা যখন বিশ্বাস হারিয়েছেন, আমাদের কোন এক অলৌকিক মহানুভব স্রষ্টা আছেন যার কাছে ভিক্ষা চাইতে পারি অদৃষ্টের দিকে তাকিয়ে।
২০ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১০:৪০
অহরিত বলেছেন: এখন সেই ভিক্ষা চেয়েই বসে আছি।আজকে দেশ যে চরম বিপর্যস্ততার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সেটা দেশে না এলে বুঝবেন না।আমি জানিনা আপনি টিকতে পারবেন কিনা।আমি নিজে খুব হতাশ বর্তমান পরিস্থিতিতে।ক্ষমতাশালীদের নির্লজ্জ,লোভী সত্ত্বা আমাকে বারবার ভাবায় এই দেশ থেকে পালিয়ে যেতে।তারপরও টিকে আছি,জানিনা কতদিন পারবো!
স্যার আমাকে তুমি করে বলবেন।আমি আপনার ছাত্রের মতই।আর থিসিস করেছিলাম শ্রদ্ধেয় ডঃ কামরুল আহসান স্যারের কাছে।
১১| ২০ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৬:৪৯
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: লেখাটা ভালো লাগছে। কিন্তু এই ভালো লাগাতে যদি সবকিছু পরিবর্তন হয়ে যেতো!
বিদ্যুতের সমস্যাটা খুব তাড়াতাড়ি সমাধান হওয়া উচিত।
ভালো থাকুন।
(অ.ট.: কোথায় আছেন?)
২০ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১০:৪৩
অহরিত বলেছেন: আমি মিরপুরে আছি ভাই।অনেকের মত ১২ ঘন্টা লোডশেডিং না হলেও দিনে ৮/৯ ঘন্টা থাকেনা।
সমাধান সবাই চাই।কিন্তু আগের সরকার এর জন্য ২০ হাজার কোটি টাকা খেয়েছেন,এই সরকার হয়তো একে পাল্লা দিয়ে আরো বেশি খাবে।কিন্তু কাজের কাজ হবেনা,কিচ্ছু হবেনা।
১২| ২০ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৭:৪৮
সততার আলো বলেছেন: আমগো চামড়া গন্ডারের চামড়া হইয়া গেছেগা। এই জন্য আমরা নিজেরাই নিজেদের শাষনভার সন্ত্রাসী, দুর্নিতীবাজ আর ফ্যাসিবাদী দের হাতে তুলে দেই বারবার।
দয়া করে সবাই সচেতন হউন। -জনস্বার্থে সততার আলো।
১৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৯:০৪
জুল ভার্ন বলেছেন: সত্যি জানিনা আমরা কোন দেশে বাস করছি। জানিনা সরকার আসলে কি করতে চায়! আমরা সাধারন মানুষ বোধ হয় নেতা নেতৃদের গবেষনাগারের নিরীহ গিনিপীগ............বুঝিনা আমার শেষ পরিনতি কি হবে?
আমাদের যাবতীয় কমন সমস্যাগুলো আপনি নিখুত ভাবে চমতকার করে উপ্সথাপন করেছেন-সেজন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
২০ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১০:৪৭
অহরিত বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
সরকার কি চায় এটা এখনো বুঝলেন না ভাই?ওরা নিজের উদর পুর্তি করতে চায় আমাদের রক্ত দিয়ে।ওরা আমাদের মেরে নিজেরা রাজকীয় জীবন যাপন করতে চায়।আমরা গিনিপিগ হয়েই আছি,একবার খালেদা আর একবার হাসিনার।
প্রতিবাদ করার সময় হয়েছে,কিন্তু বুকে আগুন দেখিনা কেন কারো?তাহলে ওরা কি আমাদের আগুনটাও নিভিয়ে দিয়েছে?
১৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১১:০৯
রিয়াজুল ইসলাম বলেছেন: আমরা মানুষ যেমন আমাদের লিডার ও তেমন, ভোট তো ঘুরে ফিরে ওদেরকে দেই.....................না ভোট তো সব স্হানেই জামানত হারিয়েছে..........।
২০ শে এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৭
অহরিত বলেছেন: এই ব্যাপারটায় আমারো অবাক লেগেছে...এত কম না ভোট কিভাবে পড়লো??
১৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ২:৩৮
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: উহু, ভুল করলেন। আমি পাশ করেছি খুব বেশি দিন হয়নি। বয়সের তফাট টাও বেশি হবেনা আমি নিশ্চিত।আমার আসল পরিচয়টাও আমি উহ্য রাখতে চাই ও রাখতে সাচ্ছন্দ্যবোধ করি। ব্লগে সম্পর্কটা ভাইয়ের হতে পারে বড় জোর, এর বেশি নয়। রাগিব ভাইদের ব্যাচের বড় ভাইরা আমাদের ক্লাশ নিয়েছেন, সে অর্থে শিক্ষক বটে। কিন্তু বাইরে উনারা বড় ভাইয়ের মতই, এটা মেনে চলাটা দুপক্ষের জন্যই স্বস্তিদায়ক। বেনামের কাউকে আমি 'তুমি' সম্বোধন করেও স্বস্তি পাইনা। ভাল থাকবেন।
২১ শে এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৫৪
অহরিত বলেছেন: হা হা...ঠিক আছে আপনি যা চাইবেন।আপনার লিখাগুলো পড়ি আর খুব ভালো লাগে.........বিশেষ করে আলী স্যারের।
ভালো থাকবেন।
১৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ২:১৭
সবুজ বলেছেন:
কোন সমাধান হল?
২৪ শে এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৫:২২
অহরিত বলেছেন: নাহ!
সেটা কি হয় বা হওয়ার মত?
দেশটার নাম যে ভাই বাংলাদেশ।
১৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১১:৪৪
শান্তির দেবদূত বলেছেন: লেখটা আগেই পড়েছিলাম .... কিন্তু কমেন্ট করতে গিয়েও করিনি ... আসলে কিইবা বলবো বলেন ! ... আমাদের মত আপাময় সাধারন মানুষগুলোর কষ্টগুলো একরকম ..... আসলে আমাদের দেশের কোথায় যে সমস্যা আল্লায় জানে
২৫ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১০:৫১
অহরিত বলেছেন: দেব ভাই আসল সমস্যা আমাদের মধ্যেই লুকিয়ে আছে বুঝলেন।আমরা ভাই সব সহ্যের জাতি হয়ে গেছি।কালকে ভাই ভোর ৪ টায় কারেন্ট গেছে,প্রতিদিন এমন সময়েই যায়।কিছুই করার থাকেনা আর।পালায় যাইতে ইচ্ছা করে আজকাল।
ভাবীকে নিয়ে ওনেক ভালো থাকেন।দেশের ঘুটঘুটে অন্ধকার আপনাদের অভিমানী ভালোবাসাকে বিন্দুমাত্র স্পর্শ না করুক এই কামনা করি।
১৮| ০৪ ঠা মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৪১
কানা বাবা বলেছেন:
এই বেশ ভালো আছি...
০৪ ঠা মে, ২০০৯ রাত ১১:০৫
অহরিত বলেছেন: বাহ!
কোন সে জাদু ভাই যা আপনাকে ভালো রেখেছে?
১৯| ০৪ ঠা মে, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৫৪
আই লাভ ব্লগিং বলেছেন: অসাধারণ লেখা! প্রিয়তে রাখলাম।
০৪ ঠা মে, ২০০৯ রাত ১১:০১
অহরিত বলেছেন: ধন্যবাদ।ভালো থাকবেন।
২০| ০৪ ঠা মে, ২০০৯ রাত ১১:১৬
আমড়া কাঠের ঢেকি বলেছেন: আমি জানি আমার কিছুই করার ক্ষমতা নেই।থাকলে বিশ্বাস করেন নিজের চটিজোড়া খুলে দুই নেত্রীর আর তাদের অসাধু অনুসারীদের গালে ছাপ ফেলে আসতাম
অসাধারণ।
কি আর করবেন ভাইয়া। এসব নিয়েই বেচে থাকতে হবে। হাজার হোক... মাতৃভূমি। যদি যানও বাইরে কোথাও, ফিরে আসার চেষ্টা করবেন। ভালো মানুষের খুব দরকার এদেশে।
০৬ ই মে, ২০০৯ রাত ১২:৫৫
অহরিত বলেছেন: বাহিরে যেতে পারবো কিনা জানিনা,তবে যদি যাই ফিরে আসবো...আসতেই হবে।দেশের মানুষের টাকায় পড়ছি।অকৃ্তজ্ঞের মত দেশের বাহিরে থাকতে পারবো না।
২১| ১২ ই মে, ২০০৯ বিকাল ৩:০৪
রুদ্রাক্ষ বলেছেন: দেশের অগুনতি মানুষ যদি আপনার মত ভাবত? দেশের গুটি কয়েক বাজনীতিবিদ (তথাকথিত রাজনীতিবিদ) যদি আপনার মত ভাবত????
১২ ই মে, ২০০৯ বিকাল ৩:১৫
অহরিত বলেছেন: হায় যদি ভাবতো??
২২| ২৩ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১১:২৫
জনৈক আরাফাত বলেছেন: অবশ্যি ভালো লিখেছেন।
বুয়েটের নাকি আপনি?
দু'বছরেই সবাই তো বিদেশ চলে গেলো আমার ক্লাস মেট রা।
আমার যেতে মন চায়না
অটঃ নিক নেমের অর্থ কি?
২৪ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১:১৪
অহরিত বলেছেন: আমি এম.আই.এস.টি এর।বিদেশে সবাই চলে যায়।এই দেশে ইঞ্জিঃ পাশ করে চাকরি করে শান্তি নাই।
নিক নেমের অর্থ নাই।যখন নিকনেমটা লিখি বাংলা টাইপ করতে জানতাম না।
২৩| ২৪ শে জুলাই, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:২৩
সমীরণ পাল বলেছেন: ভাই অনেক দিনের না বলা কথা গুলো বলে দিলেন। অনেক ধন্যবাদ। মাঝে মাঝে মনে হয়, এই দেশে আরেকটা মুক্তিযুদ্ধ দরকার। কিন্তু ভয় হয়, যুদ্ধের পরে যে সব কিছু স্বাভাবিক হবে সেই গ্যারান্টি কে দেবে।বিশ্বাস করার মানুষ খুজে পাওয়াটা কঠিন। সৎ একজন লিডার খুজে পাবো কোথায়??
আমি সত্যিই চাই আমার দেশের জন্য কিছু করতে। দেশের খেয়ে, দেশের পরে বাইরের কাজ করতে ভালো লাগে না।
তাই ভাবি যে, দেশের বাইরে গিয়ে কাজ করে যদি দেশে কিছূ টাকা পাঠাতে পারি সেটাও ভালো। জ়ানিনা কি হবে এই দেশের। শুধু অপেক্ষা করছি আমার সোনার দেশ টাকে দেখার জন্য। আর প্রস্তুত হয়ে আছি আরেকটা মুক্তিযুদ্ধের জন্য।
২৪ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১০:৩২
অহরিত বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
২৪| ২২ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:২০
ফেরারী... বলেছেন: ভাই,
ভালো লিখেছেন। আমরা আসলে 'মানুষ' প্রজাতীর মধ্যে পড়িনা তা না হলে এত কিছুর মধ্যে বেচে থাকা আসলেই অসম্ভব।
২২ শে আগস্ট, ২০০৯ ভোর ৪:১৪
অহরিত বলেছেন: আসলেও আমরা মনে হয়না আর মানুষ আছি।
২৫| ২২ শে আগস্ট, ২০০৯ ভোর ৫:০৮
বিলাশ বিডি বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন!
আমাদের দেশটা আসলেই একটা দুঃসময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এটা চিরকাল এমনই থাকবে এরকম ভাবার কোনো কারণ নেই। আমি জানি এই অসহনীয় অবস্থা থেকে বের হওয়া প্রায় অসম্ভব, কিন্তু এভাবে তো আর পনের/ষোল কোটি মানুষের জীবন নিয়ে হাল ছেড়ে দেওয়া যায়না।
আমাদের নিজের চেষ্টায় এর থেকে বের হয়ে আসতে হবে। আজকে আপনি লিখেছেন, কাল আরেকজন লিখবে, এরপর আরেকজন এসে কিছু একটা করবে, এভাবে দেশের জন্য কাজ করার মানুষের সংখ্যা বাড়তেই থাকবে। আমি অনেক মানুষকে চিনি যারা দেশের জন্য নানাভাবে কাজ করছেন।
অতএব, হতাশ হওয়ার কিছু নেই, পরিবর্তন একদিন আসবেই। হতাশ হওয়ার অর্থ হচ্ছে হয় দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া, অথবা এই সীমাহীন যন্ত্রণার জীবনকে মেনে নেওয়া। কোনোটিই গ্রহনযোগ্য হতে পারেনা।
আশাবাদী হয়ে কাজ করে যাওয়াই একমাত্র পথ!
২২ শে আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:২১
অহরিত বলেছেন: প্রথম কথা হলো,আমি যে আপনার আইডিয়ালের ছোট ভাই আপনি কি ভুলে গেছেন?আমাকে অনুগ্রহ পূর্বক আপনি সম্বোধনে লজ্জা দিবেননা।
আমিও আপনার মত অপেক্ষায় আছি একটি পরিবর্তনের জন্য।কিন্তু আমি জানিনা দিন দিন এদেশে যেভাবে লোভ,কপটতা আর দূর্নীতি বেড়ে যাচ্ছে তাতে কিভাবে দেশের ভালো হবে।কিভাবে ওই সব লোভীদের বেড়াজাল থেকে খাটি মানুষের দল বেড়িয়ে আসবে।তবুও আশা করি।ভাবতে থাকি একদিন খালেদা হাসিনা আর তাদের বংশধরদের থেকে আমরা নিস্তার পাবো,একজন মাহাথির মোহাম্মদ আসবে।
ধন্যবাদ ভাইয়া।ভালো থাকবেন।
২৬| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৫:০৩
শয়তান বলেছেন: প্রয়োজনীয় সময়ের ঠেলা কমেন্ট
১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:২৩
অহরিত বলেছেন: হা হা...পোস্টটা রিপোস্ট করা জরুরী বলে মনে হচ্ছে।
২৭| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৫:২৯
ইন্তাজ ভাই বলেছেন: আমরা মঈন সাহেবের শাসনামলে,এরশাদের আমলে গণতন্ত্রের দাবী জানিয়েছি।আমরা ভোট দিয়েছি খালেদা হাসিনাকে।বুকে হাত দিয়ে বলেন তো,এরা যা করছে সেটা কি গণতন্ত্র???স্বৈরাচার কেন নয় বলতে পারেন
আমিও এই কথাটা চিন্তা করি আমাদের দেশটাকি আসলেই কোন গণতান্ত্রিক সরকার চালায়? আর যদি গণতান্ত্রিক কোন সরকার থাকত এবং আমাদের ভোটের থোয়াক্কা করত তাহলে মনে হয় আমাদের সাথে কোন সরকারই এরকম অনাচার করতনা। আমরা এত অবহেলিত থাকতামনা।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:২৬
অহরিত বলেছেন: আমাদের দেশ পচে যাচ্ছে,দিন দিন আরো বেশি বেশি পচে যাচ্ছে।আমরা সেই পচনের দুর্গন্ধ পাচ্ছি,কিন্তু দু সরে যেতে পারছিনা,পারবোওনা।আমরা অবহেলিত ছিলাম,আছি এবং থাকবো।
২৮| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০৫
আজমান আন্দালিব বলেছেন: আমরা কি মানুষের মতো বেঁচে আছি? কি করে এত অন্যায় সহ্য করছি বলুন তো?
সোনার বাংলাদেশে জন্মে সোনার মানুষের মতো বেঁচে থাকার কথা আমাদের। কিন্তু আমরা বেঁচে আছি না থাকার মতো করে।
এর জন্য দায়ী বাংলাদেশের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী রাজনীতিকরা।
মাস্তান রাজনীতিকরা গুটিকয় চামচা পরিবেষ্টিত হয়ে আমাদের নিরন্তর শোষণ করে যাচ্ছে।
...অনেক কিছু লেখা যেতো। এটা নিয়ে আরও বড় পোস্ট দেওয়া যেতো। কিন্তু এখানেই আমি ঘৃণ্য রাজনীতির বিরুদ্ধে ঘৃণা জানিয়ে গেলাম। আমার সোনার দেশটাকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে পারে বিশ্ব মাঝে এমন একজন নেতার আগমনের অপেক্ষায় প্রহর গুণছি।
সত্যিই আমাদের একজন মাহাথির মোহাম্মদ প্রয়োজন এবং খুবই জরুরী।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:২৭
অহরিত বলেছেন: প্রয়োজন এবং খুবই জরুরী।
২৯| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৫:০৩
অস্থির পোলাপাইন বলেছেন: পুরা মনের প্রতিটা কথা তুলে ধরেছেন আপনি..। শালার এই গণতন্ত???? মঈন-এরশাদ বহুত ভালা ছিল এর থাইক্কা...। আমি তো আমার চাচারে কে গালি দেই যে হুদা-হুদি দেশটারে স্বাধীণ করছিলেন ।
ভাই রক্ত গরম হয়া যায় শালাগো কাজ দেখলে, ভাই আছি আপনার লগে শুধু কইয়েন যে হাসিনা-খালেদা-নিজামীরে মারতে যামু। দরকার পরলে এস.এস.এফ এর গুলি খাইয়া শহীদ হইয়া যামু সমস্যা নাই ৭১ এ পারছি ২০১০ এও পারমু। শালার শূওর গুলা ন্যাম ফ্ল্যাট এ প্রতি রুমে এসি লাগায় থাকে, করেন্ট গেলে জেনারেটর চালু হয় ওরা আপনার আমার কষ্ট জীবনেও বুঝবে না একটাই উপায় সবগুলারে মাইরা ফালানো।
মাঝে-মাঝে মনে হয় এই যে দেশের জন্য এত স্পিরিট....লাভ কি????..।
তখন আবার দেশ ছাইরা ভাগতে মন চায়..।
২০ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:০৭
অহরিত বলেছেন: কষ্টটা কি জানেন?
আমরা সব দেখছি,শুনছি,অনুভব করছি, কিন্তু কিসের যেন বেড়াজালে আবদ্ধ।নিজেকে মাঝে মাঝে খাঁচার পশু মনে হয়।ওরা আমাদেরকে ঢিল মারছে, গুতিয়ে যাচ্ছে।আমরা শুধু ব্যথায় কাতরাতে পারি।খাঁচা ভেঙ্গে বের হতে পারিনা।
নিজেকেই ধিক! শত ধিক।
৩০| ২২ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৫:০১
হাম্বা বলেছেন: আমার দেশটা গরীব দেশ,কিন্তু মানুষের মনটা বড়।তাই জনসংখ্যাটা একটু বড়ই নাহয় হয়ে গেলো,তাতে কি
মাঝে মাঝে শুধু হাঁক দিয়ে উঠি,এই দেশে আর থাকা যাবেনা।এরা দেশটা ধ্বংস করে দিলো।আমি বুঝতে পারি যে এর থেকে বেশি আর কিছুই বলার নাই।
কুলিরা এবার সাধারণ মানুষের যমদূত।টাকা দে নাহলে মাইর খা!
বাসায় হাঁটার জন্য আমি একটা চপ্পল পড়ি,ওদের চেহারা যখন টিভিতে দেখি তখন আপনা আপনি হাতটা চপ্পলজোড়া খুলে আনে।আমি বুঝতে পারি কতটা বেদনা বুকে থাকলে বুশ ভাইকে জুতা মারে সাধারণ একজন সাংবাদিক।
আগের বছরের থেকে সেটা যে সরকারী হিসাব অনুযায়ী ১০০+ মেগাওয়াট এর বেশী না এটাও জানি।আমি এটা বুঝতে পারছিনা যে এই বাড়তি চাহিদার জন্য আগের তুলনায় দ্বিগুণ লোডশেডিং হওয়ার কারণ কি?হয়তো এই উত্তর আপনিও জানেন আমিও জানি। (ভাইগো আমি কিন্তু কিছু কই নাই, আমি ভয় পাই)
শুধু একটি প্রশ্ন এত অন্যায় অনাচার দেখে আমরা কি এখনো বেঁচে আছি আর থাকলে সেটা কি মানুষের মত???
(দেখেনত কিভাবে বেচে আছি, আমি কিন্তু ঠিকই তা স্বীকার করছি)
২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:৩০
অহরিত বলেছেন: হা হা...কি করে যেন বেচে আছি!
৩১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:২১
আবিরে রাঙ্গানো বলেছেন: আমরা কীট পতঙ্গ
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:৫৭
অহরিত বলেছেন: সত্য।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৪:৫৫
ট্র্যানজিস্টার বলেছেন: পালিয়ে যান। আমরা যারা বাংলাদেশে থাকি তারা মানুষ না, পোকামাকড়। মানুষ হোন, এই কামনা করি।
লেখা চমৎকার, প্লাস।