নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"আমি নজরুল জুয়েল, খেতে অনেক পছন্দ করি, মাঝে মাঝে টুকটাক লিখতে ভালোবাসি, বর্ষাকাল আমার অনেক পছন্দ, এবং কফির দারুণ ভক্ত...\"

অজানা তীর্থ

আমি যদি আমার সম্পর্কে অবগত হইতাম, তাহলে লিখতাম।

অজানা তীর্থ › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই শীতে আপনার বিষণ্নতার(DEPRESSION) উপর আলোকপাত করুন।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৫৫



আপনি কি এই শীতকালে নিচের লক্ষণগুলো অনুভব করছেন? যদি উত্তর হ্যা হয় তবে বুঝে ফেলুন আপনার SAD আছে।

লক্ষণঃ ১) নিজেকে অসহায় এবং মূল্যহীন মনে হবে। ২) যে কাজ করতে উপভোগ করতেন তার উপর আগ্রহ হারাতে শুরু করবেন ৩) ঘুমাতে সমস্যা হবে ৪) খাওয়ার ইচ্ছা বা আপনার শরীরের ওজনের তারতম্য হবে ৫) অলসতা বা উদ্বেগ বোধ হবে ৬) সেক্সুয়াল এনার্জির অভাব বোধ ৭) অধিক খেতে ইচ্ছে করবে (বিশেষ করে উচ্চ-কার্বোহাইড্রেট এবং উচ্চ-ক্যালোরির আরামদায়ক খাবার) 8) সামাজিতা থেকে দূরে থাকা

এছাড়াও এটি আপনার একাগ্রতা এবং কাজের স্মৃতিশক্তির সমস্যা সহ মানুষিক ক্রিয়াকে হ্রাস করে- যেমন আপনি যা শিখেছেন তার তথ্য পুনরুদ্ধার করতে বা কথা বলার সময় সঠিক শব্দগুলি সন্ধান করতে সমস্যা করে।

আমাদের স্নায়ুকোষ হতে একধরনের রাসায়নিক বার্তা নিঃসৃত হয় যা এক স্নায়ুকোষ থেকে আরেক স্নায়ুকোষে সংকেত পরিবহন, সংকেত পরিবর্ধন বা সংকেত নিয়ন্ত্রণ করে। এই নিঃসৃত রাসায়নিক পদার্থকে নিউরোট্রান্সমিটার বলে।
আপনার মস্তিষ্ক দুই ধরনের নিউরোট্রান্সমিটার ১) মেলাটোনিন(MELATONIN) এবং ২) সেরোটোনিন(SEROTONIN) তৈরি করে যা দিবালোক দ্বারা প্রভাবিত হয়। এই দুইটি নিউরোট্রান্সমিটার আপনার ঘুম নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে – জাগ্রত চক্র, শক্তি এবং মেজাজ। সাধারণত যখন কম সময় দিবালোক থাকে তখন মস্তিষ্ক বেশি মেলাটোনিন উত্পাদন করে। আর যখন বেশি দিবালোক থাকে তখন মস্তিষ্ক বেশি সেরোটোনিন তৈরি করে।

ফলে শরৎ ও শীতের দীর্ঘ সময়ের অন্ধকার শরীরকে বেশি মেলাটোনিন এবং কম সেরোটোনিন উৎপাদনে প্রভাবিত করে। আর এই ভারসাম্যহীনতা আপনার মধ্যে বিষণ্নতার পরিস্থিতি তৈরি করে - যা সিজন্যাল এফেক্টিভ ডিজর্ডার (SEASONAL AFFECTIVE DISORDER, SAD) নামে পরিচিত।

কি করবেন?
· প্রতিদিন 30 মিনিটের জন্য হালকা আলো শোষণ করুন।
· সকাল ১০ টার আগে সূর্যের আলো উপভোগ করুন।
· আপনি চাইলে রাতের বেলাতে ব্যাডমিন্টন খেলতে পারেন কারণ তখন আলোর ব্যবহার করা হয়।
· আপনি চাইলে সামনে একটি লাইট রেখে বই পড়তে পারেন, ধ্যান করতে পারেন বা টিভি দেখেতে পারেন।

প্রায় ৪-৬% মানুষের শীতের জন্য এমন হতে পারে। অন্য ১০-২০% মধ্যে এই লক্ষণটি হালকা মাত্রার থাকে। তবে পুরুষদের চেয়ে এটি মহিলাদের চারগুণ বেশি দেখা যায়। এটি সাধারণত 20 বছরের চেয়ে কম বয়সীদের মধ্যে শুরু হয় না। তবে ভয় পাবার কোনো কারণ নেই। আপনার বয়স বাড়ার সাথে সাথে এটি হবার সম্ভাবনা হ্রাস পায়। আপনি সাধারণ যত উত্তর মেরুর দিকে যাবেন তত এর প্রবণতা বেশি। আমাদের দেশের ভৌগলিক অবস্থান অনুযায়ী এটি হবার সম্ভাবনা অনেক কম।

যাই হোক সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন, নিয়মিত ব্যায়াম করুন, বাহিরে হাটাচলা করুন, মানুষের সাথে মিশুন, মানুষকে ভালোবাসুন।

তথ্যসূত্রঃ
১) Click This Link
২) Click This Link
৩) Click This Link.

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:১৪

শাহ আজিজ বলেছেন: ভাল । এইমাত্র আধা ঘণ্টার রোদ্দুর লাগিয়ে এলাম । ছাদে গেলেই আলোতে মনটা ভাল হয়ে যায় , সাথে ফুল্লেল বাগান , এক্সট্রা মেনটাল এনার্জি দেয় । ঘুমের ওষুধ নির্ভর হয়ে গেছি , উপায়হীন । বার্ধক্যের প্রথম প্রহরে অনেক বিষয় কাজে আসে না ।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:১০

অজানা তীর্থ বলেছেন: বাহ! আমার ছাদে কোনো গাছ নেই, একসময় আমি অনেক ফুলগাছ ছাদে লাগাতাম, তাও ছাদে যায়। “বার্ধক্যের প্রথম প্রহরে অনেক বিষয় কাজে আসে না।" ঠিক বলেছেন, অনেক বিষয় এসময় কাজে আসে না। বার্ধ্যের সাথে সাথে মানুষের শরীরের অনেক ফাংশনের অবনতি ঘটে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য, নিরন্তর শুভকামনা আপনার জন্য।

২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:২০

রুদ্র নাহিদ বলেছেন: অবাক করা বিষয় আমি এই সমস্যায় ভুগতেছি।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:১৫

অজানা তীর্থ বলেছেন: আপনি চাইলে জনাব, শাহ আজিজ সাহেবের মত রোজ আধা ঘণ্টার রোদ্দুর লাগিয়ে আসতে পারেন অথবা আলোর সামনে বসে বই পড়তে পারেন, চাইলে ব্যাডমিন্টন খেলতে পারেন এতে শীরীর এর ব্যায়াম ও হবে, মন ও ভালো থাকবে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য, আশা করছি আপনি খুব তাড়াতাড়ি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। নিরন্তর শুভকামনা আপনার জন্য।

৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৪৯

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আল্লাহর রহমতে ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ

সুন্দর পোস্ট

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:১৭

অজানা তীর্থ বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ। প্রতিটি মানুষ ভালো থাকুক সুস্থ থাকুক এটাই কামনা। অনেকদিন পর আপনার মন্তব্য পেয়ে আমার নিজের ও ভালো লাগলো আপু। নিরন্তর শুভকামনা আপনার জন্য।

৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:২৫

মেরুভাল্লুক বলেছেন: দীর্ঘ শীত, ডিপ্রেশন, অন্ধকার এবং সূর্যালোকের যে টোটকা টা আপনি দিলেন এইটা মেরূ অনভলের জন্য প্রযোজ্য, বাংলাদেশের মত বিষুব অঞ্চলের জন্য নয়। দেশের মানুষ বিভিন্ন রকমের সমস্যায় জর্জরিত। বিষন্নতায় ভুগার সময় এ দেশের মানুষের নাই। মেরু অঞ্চলের লোকেদের এইসব সমস্যা নাই তাই তারা বিষন্নতায় ভুগে

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:২৬

অজানা তীর্থ বলেছেন:
“বাংলাদেশের মত বিষুব অঞ্চলের জন্য নয়” হা হা হা… ভাই বাংলাদেশের মানুষতো আলাদা তাই তাদের এতে কিছু হয়না। “দেশের মানুষ বিভিন্ন রকমের সমস্যায় জর্জরিত। বিষন্নতায় ভুগার সময় এ দেশের মানুষের নাই।" সমস্যা থেকেই মানুষের বিষণ্ণতা শুরু হয়। আর যেহেতু বাংলাদেশের মানুষ অনেক সমস্যায় জর্জরিত তাই তাদের বিষণ্ণতাও আছে। মেরু অঞ্চলের লোকেদের এইসব সমস্যা নাই তাই তারা বিষন্নতায় ভুগে, হতে পারে নেই, আমার জানা নেই। তবে বিষয়টা আলো ভিত্তিক, অনেকের ই হয়, আমার নিজের ও হচ্ছে, আমার বন্ধুর হচ্ছে, রুদ্র নাহিদ ভাইয়ের হচ্ছে। আমাদের মত যাদের হচ্ছে তাদের জন্য আলো চাই। নিরন্তর শুভকামনা আপনার জন্য।

৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৫৬

উলডুমা কেরামত বলেছেন: লেখাটি পড়ে ভালো লাগলো।
আরেকটি জিনিস সবাইকে জানিয়ে রাখছি- "নিয়মিত মেডিটেশন এবং যোগ ব্যায়াম করলে আপনি শারিরীক ও মানসিকভাবে অনেক বেশি সুস্থ থাকবেন"।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৪

অজানা তীর্থ বলেছেন: সুন্দর একটি কথা বলছেন, নিয়মিত মেডিটেশন এবং যোগ ব্যায়াম করা সবার উচিৎ। এই ব্যাপারে একটি পোস্ট লিখতে যাচ্ছি কি করে ডিপ্রেশন দূর করা যায় এবং নিজের আত্মব্যবস্থাপনা করা যায়। আপনার মন্তব্যে আশা করছি ইনশাহাল্লাহ। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য আর আপনার প্রতি নিরন্তর শুভকামনা রইলো।

৬| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার এই পোষ্ট টি পড়ে চিন্তায় পড়ে গেলাম।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৬:২৯

অজানা তীর্থ বলেছেন: প্রায় চার থেকে ৪-৬% মানুষের শীতের জন্য এমন হতে পারে। অন্য দশ থেকে ১০-২০% মধ্যে এই লক্ষণটি হালকা মাত্রার থাকে। তবে পুরুষদের চেয়ে এটি মহিলাদের চারগুণ বেশি দেখা যায়। এটি সাধারণত 20 বছরের চেয়ে কম বয়সীদের মধ্যে শুরু হয় না। তবে ভয় পাবার কোনো কারণ নেই। আপনার বয়স বাড়ার সাথে সাথে এটি হবার সম্ভাবনা হ্রাস পায়। আপনি সাধারণ যত উত্তর মেরুর দিকে যাবেন তত এর প্রবণতা বেশি। আমাদের দেশের ভৌগলিক অবস্থান অনুযায়ী এটি হবার সম্ভাবনা অনেক কম।
যাই হোক সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন, নিয়মিত ব্যায়াম করুন, বাহিরে হাটাচলা করুন, মানুষের সাথে মিশুন, মানুষকে ভালোবাসুন।

৭| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৫:১৩

মেরুভাল্লুক বলেছেন: জনাব আপনি আমার কথা বুঝেননাই, এই ডিপ্রেশন যেখানে ছয়মাস দিন ছয়মাস রাত থাকে সেখানে হয়। ভিটামিন ডি এর অভাব এর একটা বড় কারন। শীতের সময় উত্তর গোলার্ধের দেশ গুলোতে আত্বহত্যার হার অসম্ভব রকমের বেড়ে যায়। সেই কারনে এইসব দেশে শীতের সময় বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়। বিবিন্ন রকমের কেম্পেইন চালানো হয় আত্বহত্যা আর ডিপ্রেশনের বিরুদ্ধে । এরা সূর্যের অভাবে কোন উদ্দাম উদ্দীপনা আর একাকিত্বের কারনে ডিপ্রেশনে ভুগে। বাড়ি গাড়ি টাকা পয়সা সবই আছে কিন্তু জীবনের কোন অর্থ নাই। বাংলাদেশের মানুষ তাদের মত এত নরমাল ব্যাপারে ডিপ্রেশড হয় না। তারা জীবন যুদ্ধ করতে করতেই জেরবার।
আপনি সুন্দর একটা পোস্ট দিয়েছেন। কিন্তু এটা দেশের মানুষের জন্য প্রযোজ্য নয়।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৬:৩৭

অজানা তীর্থ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, এইতো ফিডবেক না দিলে বুঝবো কি করে আমার কোথায় ভুল হচ্ছে :) । যাই হোক আমি ব্যপারটা ক্লিয়ার করেছি আর পুনরায় লিখে দিয়েছি। তবে আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে না হলেও, অনেকে আছেন যারা নিজেকে সারাদিন ঘরের ভিতর বন্ধী করে রাখে, আলো-বাতাসে যায়না তাদের ক্ষেত্রে এই ব্যপার কাজ করতে পারে। নিরন্তর শুভকামনা আপনার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.