নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"আমি নজরুল জুয়েল, খেতে অনেক পছন্দ করি, মাঝে মাঝে টুকটাক লিখতে ভালোবাসি, বর্ষাকাল আমার অনেক পছন্দ, এবং কফির দারুণ ভক্ত...\"

অজানা তীর্থ

আমি যদি আমার সম্পর্কে অবগত হইতাম, তাহলে লিখতাম।

অজানা তীর্থ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স বা আবগীয় বুদ্ধিমত্তাঃ আপনার জীবনে সংযোজন করুন একটি নতুন মাত্রা

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৬:০০



পর্ব-১ একটু ভিন্নভাবে চিন্তা করুন।

দৃশ্য ১। "যারা HSC পরীক্ষা দিয়েছেন এবং বিদেশে উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী তারা আর দেরি না করে IELTS এর প্রস্তুতি শুরু করে দিন। জীবনের একটি সঠিক সিদ্ধান্ত আপনাকে পৌছে দিতে পারে সফলতার শীর্ষে। তাই বন্ধ সময়টাকে কাজে লাগিয়ে IELTS এর প্রিপারেশন টা নিয়ে রাখতে পারেন।"

দৃশ্য ২। "যারা HSC উর্ত্তীর্ণ হয়েছেন তাদের সকল কে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। পরবর্তী উচ্চশিক্ষায় আপনাকে স্বাগতম। স্কুল কলেজে আপনি বাংলা মাধ্যমে পড়ালেখা করার সুযোগ থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে বেশিরভাগ বিষয় ইংরেজি মাধ্যমে পড়তে হয়।

সবাই নিজের ভালোর প্রত্যাশী তবে আপনি কেন নয়? IELTS এর একাডেমিক পরীক্ষার একটি ভালো প্রস্তুতি এবং ভালো ফলাফল শুধু বিদেশে উচ্চ শিক্ষায় যাবার জন্য করতে হয় এটা একদম ভুল ধারণা। এই যেমন ধরুন, আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখা আরো ভালোভাবে জানা ও বুঝার জন্য দরকার। এছাড়াও আরো অতিরিক্ত কিছু সুবিদা রয়েছে যা আপনাকে নানান দিক থেকে এবং পরবর্তী কর্ম জীবনে একটি নতুন মাত্রা সংযোজন করবে।

১) আপনি আপনার ইংরেজি ভাষার দক্ষতার একটি উদ্দেশ্যমূলক মূল্যায়ন পাবেনঃ মনেকরুন, আপনাকে কেউ একজন জিজ্ঞাসা করলো আপনার ওজন কত? ধরুন, আপনি বললেন ৬০ কিলোগ্রাম, যা একটি মানদণ্ডের সাপেক্ষে ধরেছেন আর তা হলো এক কিলোগ্রাম। যা ওজনের একটি আন্তর্জাতিক মানের মানদণ্ড।

হতে পারে আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠীরা আপনাকে বলেছে যে, আপনি ভাল ইংরেজি বলতে পারেন, বা ক্লাসের পরীক্ষাগুলোতে সবসময় কুইজ ভাল করতে পারেন। মজার বিষয় হচ্ছে আপনি কি সত্যিই আপনার ইংরেজিতে দক্ষতার মান জানেন? আপনি যখন IELTS পরীক্ষা ভালো দিবেন, তখন আপনার ইংরেজীতে দক্ষতার মান বিশ্বব্যাপী মানের সাপেক্ষে পরিমাপ করতে পারবেন।

২) আপনি একটি সনদপত্র পাবেন যা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতঃ IELTS পরীক্ষা নেওয়ার মাধ্যমে আপনি একটি আপনার ইংরেজিতে দক্ষতা মূল্যায়নের সনদ পাবেন যা অনেক সংস্থা(পেশাদার সংস্থা, সরকারি-বেসরকা্রি সংস্থা), বিশ্ববিদ্যালয সহ বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার প্রতিষ্ঠান কর্তৃক স্বীকৃত।

৩) আপনার ইংরেজিতে দক্ষতা আরো দৃঢ় করতে পারবেনঃ অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা শুধু নির্দিষ্ট দক্ষতার পক্ষে থাকে। যেমন কেউ ভালো বলতে পারে, কেউ ভালো লিখতে পারে। কিন্তু আপনি যখন IELTS পরীক্ষা দিবেন, তখন আপনাকে চারটি দক্ষতার উপর (শ্রবণ, পড়া, লেখা এবং বলা) ভিত্তি করে পরীক্ষা মূল্যায়ন করা হয়। আর আপনি যদি পরীক্ষাতে ভাল করতে চান তবে আপনাকে সে চারটি দক্ষতার সব অনুশীলন করতে হবে।

৪) ইংরেজিতে আপনার এখনও যা জানার প্রয়োজন সেগুলোতে আরও ভাল জ্ঞান অর্জন করবেনঃ আপনি যদি IELTS একাডেমিক পরীক্ষা দেন, তবে আপনি ইংরেজি ভাষায় স্নাতক বা স্নাতকোত্তর অধ্যয়নের জন্য প্রয়োজনীয় ভাষার সাথে আরও ভালোভাবে পরিচিত হতে পারবেন। যেমনঃ অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু ইংলিশে দক্ষতা বৃদ্ধি করার জন্য ইংলিশ (শ্রবণ, বলা এবং লেখা), ইংলিশ পড়া এবং ব্যবসা ইংলিশ নামের এই তিনটি বিষয় পড়ানো হয়। তাছাড়া আপনার মৌলিক বিষয়গুলোতে যে ভাষা ব্যবহার হচ্ছে(টেকনিক্যাল শব্দ ব্যতীত) তাও আপনি অল্পসময়ে বুঝতে পারবেন।

৫) আপনি আরও কঠোর অধ্যয়ন করতে অনুপ্রাণিত হবেনঃ আমার জীবনের গল্প বলি, আমি নিজেও বাংলা মিডিয়ামের শিক্ষার্থী ছিলাম। উত্তরার একটি কোচিং সেন্টারে পড়ানোর সময় আমার সহকর্মী বলেছিল, আমার চাইতে অনেক বড় বড় শিক্ষক ও ইংরেজি তে পড়াতে গিয়ে হিমশিম খায়। ব্যাপারটি তাৎক্ষনিক ভাবে আমার কাছে খারাপ লাগা এবং আমার দূর্বলতা মনে হলেও আমি স্যার কে বললাম আমি পারবো। আমাকে একটি সুযোগ দিন।

তারপর আমি উত্তরার যে কোনো একটি IELTS এর কোচিং এ ভর্তি হয় এবং একাডেমিক লেভেলের B1 পর্যন্ত সম্পন্ন করি। এছড়াও আমি গুগলে বিভিন্ন IELTS এর সাইটে গিয়ে পড়তে থাকি। এছাড়াও আমি যে বিষিয় পড়াবো তার উপরে অনেক ইংলিশ বই পড়তে থাকি (টেকনিক্যাল শব্দগুলো বুঝার জন্য) যার ফলাফল আমি পেয়েছিলাম আমার স্টুডেন্ট এর সংখ্যার মাত্রা দেখে। প্রথম দিকে আমার স্টুডেন্টদের কথা বুঝতে এবং লেকচার শীট লিখতে একটু সমস্যা হলেও পরবর্তীতে তা কাটিয়ে উঠতে পারি।

আচ্ছা এইবার আসি ভার্সিটির কথায়, আমি আমার ভার্সিটি জীবনেও এইরকম অনেক শিক্ষার্থী কে পেয়েছি যারা আমাকে বলতো তারা বাংলা মিডিয়াম থেকে এসেছে, আমিও প্রতিউত্তরে বলি আমি নিজেও বাংলা মিডিয়ামে ছিলাম।

অন্য দিকে পড়াশোনা বন্ধ করা খুব সহজ, যদি আপনার কাছে সুস্পষ্ট লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য না থাকে। IELTS পরীক্ষার একটি ভালো প্রস্তুতি আপনাকে কঠোর অধ্যয়ন এবং ইংরেজি দক্ষতা উন্নত করার অনুপ্রেরণা দেয়। আপনি যখন কোনো বিষয় পড়তে গিয়ে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হবেন তখন আপনার সে বিষয় পড়তে ভালো লাগবেনা, আপনার পরীক্ষার ফলাফল আশা অনুরূপ হবেনা যার কারণে আপনি হতশাতে ভুগবেন। আপনি আপনার এই দূর্বলতাকে যখন আপনার মানুষিক শক্তি হিসবে রূপ দিবেন তখন দেখবেন আপনার পড়তে ভালো লাগছে, যা পড়ছেন তা বুঝতেছেন। এর ফলে আপনার একটি স্পষ্ট লক্ষ্য থাকবে।

আর তাই বন্ধ সময়টাকে চাইলে একটু কার্যকর ভাবে কাজে লাগিয়ে IELTS এর প্রিপারেশন টা নিয়ে রাখতে পারেন।

উদ্দেশ্য ও ফলাফলঃ

দৃশ্য১। ব্যবসা করা, নিজের দেশের শিক্ষার প্রতি খারাপ দিক তুলে ধরে বিদেশে যাওয়াতে অনুপ্রাণিত করা। ফলে শিক্ষার্থীর ভিতরে প্রচ্ছন্ন প্রতিভাকে জাগ্রত হয়না, নিজের দেশের শিক্ষার ব্যবস্থার প্রতি বিরূপ ধারণা সৃষ্টি হওয়া। অনেক সময় IELTS এ ভালো ফলাফল থাকা স্বত্বেও নানান কারণে ভিসা বাতিল হয়, এতে শিক্ষার্থীর ভিতরে তীব্র হতাশার সৃষ্টি হয় যা থেকে সে মানুষিক ভাবে বিষণ্ন হয়ে উঠে।

দৃশ্য২। শিক্ষামূলক, নিজের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি আগ্রহ বাড়ানো। ফলে শিক্ষার্থী নিজের দুর্বলতাকে মানুষিক শক্তিতে রূপান্তের মাধ্যমে ভিতরে প্রচ্ছন্ন প্রতিভাকে জাগ্রত করতে শিখে। উচ্চ শিক্ষাজীবনে ভালো ফলাফল নিশ্চিত করার উদ্দেশ্য থাকে এবং নিজের দেশে ক্যারিয়ার গড়ার মানুষিকতা সৃষ্টি হয়।

ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স যে কয়টি ব্যপার নিয়ে ডিল করে তার মধ্যে একটি হলো আত্মসচেতনতা বৃদ্ধি করা। কী কী বিষয়ে আপনি আত্মসচেতন হতে পারেন? সেটি নির্ভর করে আপনি আপনার জীবন কে কিভাবে সাজাতে চান। এর মধ্যে যে কয়েকটি ব্যাপার নিশ্চিত ভাবে আত্মসচেতনতায় অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভবঃ

1) আবেগীয় আবেগ (Emotional part of emotions) 2) যৌক্তিক চিন্তা (Logics)
3) মূল্যবোধ (Values) 4) শৃঙ্খলা (Discipline) 5) জীবনের লক্ষ্য (Vision and aim in life)
6) সম্পদ (Resources) 7) সক্ষমতা, দুর্বলতা, সুযোগ এবং বাধা (Strength, Weakness, Opportunity and Threats; SWOT)
8) সময় ব্যবস্থাপনা (Time Management) 9) আবেগীয় ব্যাংকিং (Emotional Banking)
10) সম্পর্কের সমীকরণ (Equation of relationship) 11) জ্ঞান (Knowledge) 12) দক্ষতা (Skills)
13) দৃষ্টিভঙ্গি (Attitude) 14) অভ্যাস (Habit)
এছাড়াও আরো অনেক কিছুর ব্যাপারে আপনি চাইলে সচেতন হতে পারেন

দু’টো দৃশ্য তুলনা হিসেবে ব্যবহার করেছি যাতে করে একজন শিক্ষার্থী তার জীবনে একটি সঠিক সিদ্ধান্তের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারে। সঠিক যৌক্তিক চিন্তা ও দৃষ্টি ভঙ্গির পরিবর্তনের অভাবে একজন শিক্ষার্থী যেন একটি দৃষ্টি কোণ থেকে চিন্তা না করে।

আত্মব্যবস্থাপনা কী এবং কেন?
ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স যে কয়টি ব্যপার নিয়ে ডিল করে তার মধ্যে একটি হলো আত্মব্যবস্থাপনা।

আত্মব্যবস্থাপনা হলো লক্ষ্যগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ক্ষমতা, যা করা উচিৎ তা সিদ্ধান্ত নেওয়ার এবং প্রয়োজনীয় কাজগুলো সম্পন্ন করার জন্য দায়বদ্ধবতা। এই দক্ষতা আপনাকে আপনার উৎপাদনশীলতা সর্বাধিক করে তোলার, আপনার কর্মক্ষেত্রের কর্মক্ষমতা উন্নত করতে এবং দক্ষতার সঙ্গে পেশাদার লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করে। আত্মব্যবস্থাপনার দক্ষতা হলো এমন দক্ষতা, যা আপনার চিন্তাভাবনা,অনুভূতি এবং কার্যকলাপে নিয়ন্ত্রণ করার কৌশল রপ্ত করতে শেখায়। আপনার যদি শক্তিশালী আত্মব্যবস্থাপনার দক্ষতা থাকে তবে আপনি স্বাধীনভাবে লক্ষ্য নির্ধারণ করতে এবং সেগুলো অর্জনের উদ্যেগ নিতে সক্ষম হবেন।

আত্মব্যবস্থাপনা আপনাকে নিশ্চিতভাবে নিচের পাঁচটি সুবিদা দেয়ঃ
১) এটি আপনাকে আপনার লক্ষ্যের যাত্রার সুস্পষ্ট চিত্র দেয়। যার ফলে আপনি জানেন আপনি কোথায় যাচ্ছেন। যার ফলে আপনার মানুষিক চাপ, উদ্বেগ এবং শঙ্কা অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে থাকে।

২) আপনি আপনার ফলাফলকে মূল্য দিতে পারেন। একটি নীতি বা আদর্শকে ভিত্তি করে তা মূল্যায়ন করতে পারছেন।

৩) বাস্তব পরিস্থিতিতে আপনার আবেগ এবং অনুভূতি কীভাবে পরিচালনা করবেন আপনি তা শিখে ফেলেছেন। এটি আসল কাজের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে কাজ করে দারুণ ভাবে।

৪) মানুষিক ভাবে আপনি যেহেতু প্রস্তুত, ফলে আপনার সিদ্ধন্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া সহজ হয়ে যায়। আপনি জানেন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কখন কী করতে হবে।

৫) এটির অন্যতম একটি উপাদান হলো নেতৃত্ব। সব উপাদান ব্যর্থ যদি সেখানে সঠিক ও সুষ্টূ নেতৃত্ব অনুপস্থিত থাকে। এই দক্ষতার মধ্য দিয়ে আপনি নিজেকেও পরিচারলিত করতে পারবেন অধিক সহজ ভাবে।

যা আমরা পর্ব১ দৃশ্য ২ এর মধ্যে দেখতে পায়।

পর্ব-২। আশাবাদী থাকুনঃ নিজের দেশে থেকেও বিশ্বসেরা হওয়া যায়

“বহুদিন ধরে বহু ক্রোশ দূরে
বহু ব্যয় করি বহু দেশ ঘুরে,
দেখিতে গিয়াছি পর্বতমালা
দেখিতে গিয়াছি সিন্ধু,
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া
ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া,
একটি ধানের শীষের উপর একটি শিশির বিন্দু l”
-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

বর্তমান যুগ বিশ্বায়নের যুগ, সবকিছুই আপনার হাতের মুঠে। আপনার ভিতরে যা কিছু লুকায়িত তা থেকে সর্বোত্তমটি খুঁজে বের করুন, নিজের দেশে থেকেও অনেক ভালো কিছু করা যায়। দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক করার চেষ্টা করুন। আপনি কেন বিদেশের উপর নির্ভর করে আপনার ভালোটা খুঁজতে ব্যস্ত হচ্ছেন?

ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের অনেক শিক্ষার্থীই ভালো ফলাফল করে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে। স্কুলসেরা, দেশসেরা মেধাবী শিক্ষার্থীরা তো আছেই, কেউ কেউ বিশ্বসেরা নম্বরও পাচ্ছে বাংলাদেশ থেকে।

দৃশ্য১। ২০১৭ সালের ও লেভেল পরীক্ষায় ইংরেজি ভাষা বিষয়ে পুরো ১০০ তে ১০০ পেয়েছে শায়েজা নাওয়ার ওয়ালিদ! এটাই যে ও লেভেলের বিশ্বসেরা নম্বর, সেটা নিশ্চয়ই আলাদা করে বলার প্রয়োজন নেই। সানবিমস স্কুলের এই প্রাক্তন ছাত্রী ছিলেন।

পর্ব-৩। নিজের গণ্ডির বাহিরেও চিন্তা করুন

শিক্ষা দুই প্রকারেরঃ ১) প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ২) প্রকৃতগত শিক্ষা

একটু খেয়াল করলে দেখবেন, অনেকে আছে নিজের পাঠ্যপস্তুকের বাহিরে নতুন কিছু জানতেও চাইনা, পড়তে চাইনা। আপনার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা আপনাকে শিক্ষার ভিত্তি ও স্বীকৃতি দিবে। কিন্তু এর বাহিরেও অনেক কিছু বাস্তব জীবনের জন্য জানার দরকার হয় এবং আমরা কর্মজীবনে বাধাপ্রাপ্ত হবার পর তা একপ্রকার জোর করে শিখি।

প্রকৃতগত শিক্ষা কে বলা হয়ে থাকে “আজীবনব্যাপী শিক্ষার্জন কার্যক্রম(Lifelong Learning Program,LLP)" এবং এটি আপনাকে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন জ্ঞান্ম দক্ষতা ও দৃষ্টিভঙ্গি শিখাবে। LLP এর ব্যবস্থাপনা আপনার নিজের হাতে। আপনার ইচ্ছাশক্তি ও আত্মবিশ্বাস এর সফলতার উৎস। ব্যাক্তিগত উৎকর্ষতা সাধনে স্ব-উদ্যোগে ও স্ব-প্রণোদনায় শিক্ষা অর্জনকে বলে আজীবনব্যাপী শিক্ষার্জন কার্যক্রম (LLP)।

দৃশ্য১। উত্তরার সাউথ ব্রিজ স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র সাজিদ। সাউথ ব্রিজ স্কুলে জুনিয়রদের চোখেমুখে সমীহ জাগানোর জন্য ‘আবদুল্লাহ ভাই’ নামটাই যথেষ্ট। শুধু এ কারণেই নয় যে ‘ও লেভেল’ পরীক্ষায় সে ১১টি বিষয়ের সবকটিতে ‘এ স্টার’ পেয়েছে। খেলাধুলা, বিতর্ক, সাংগঠনিক কার্যক্রম কিংবা নেতৃত্ব—সব দিক দিয়েই আবদুল্লাহ ‘এ স্টার’ পাওয়ার মতো ছাত্র। স্কুলের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় মশাল থাকে তার হাতে। বিতর্ক দলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করতে গেলেও আপনি আবদুল্লাহ আল সাজিদকে পাবেন।

ও লেভেলে গণিত, রসায়নের পাশাপাশি অর্থনীতি, হিসাববিজ্ঞান বিষয়গুলোও সে নিয়েছিল। কেন? এতগুলো তো না নিলেও চলত।
সাজিদ বলে, ‘কিন্তু তাতে যে অনেক কিছু অজানা থেকে যেত!’


এ লেভেল পেরিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার ইচ্ছে তাঁর। ইচ্ছের পেছনে একটা জুতসই যুক্তিও আছে, ‘সবাই বলে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়া ছেলেমেয়েরা কেউ দেশে থাকে না। এই ধারণাটা ভাঙতে হবে।’

দৃশ্য২। সাফকাত ওয়াহিদ স্কলাস্টিকা স্কুলের সাবেক এই ছাত্র ২০১৭ সালের ও লেভেল পরীক্ষায় অর্থনীতিতে সারা বিশ্বে সর্বোচ্চ নম্বর, ৯৯ পেয়েছে সে।

কী করে পেয়েছে?
সাফকাতের মুখ থেকে শুনুন “আমাদের স্কুলে অনেকগুলো ক্লাব আছে। সারা বছরই নানা ধরনের কার্যক্রম হয় ক্লাবগুলোতে। এসব কার্যক্রম সরাসরি আমাদের পড়ালেখার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়, কিন্তু ক্লাবের কাজই আমাদের ভিত তৈরি করে দেয়। আমি যেমন ইয়ং এন্ট্রাপ্রেনিওর অ্যান্ড ইকনোমিস্ট ফোরামের সঙ্গে আছি। কিছুদিন আগে স্কুলে আয়োজন করা হলো স্কলাস্টিকা বিজনেস সামিট। এখানে আমরা বিভিন্ন ব্যবসার ধারণা দিয়েছি, অর্থনীতির বিভিন্ন বিষয় শিখেছি। আবার আমাদের স্কুলের একটা অনলাইন ম্যাগাজিন আছে। নাম “দ্যা স্ট্যালিয়ান”। ছাত্রছাত্রীরাই এই ম্যাগাজিনে লেখে। অর্থনীতিবিষয়ক বিভিন্ন লেখাগুলো আমি লিখি। এসব করতে করতেই আসলে বিষয়টার প্রতি ভয় দূর হয়ে গেছে”
নজরুল ইসলাম (৯ জানুয়ারী ২০২১)

তথ্যসূত্রঃ
১। https://www.rokomari.com/book/author/76862

২। Click This Link.

৩। Click This Link





মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৬:৫৭

সোহানী বলেছেন: শিরোনাম ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স এর সাথে আইএলটিএস এর সম্পর্কটা ব্যাখ্যা করবেন কি?

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:১৭

অজানা তীর্থ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য।
ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স যে কয়টি ব্যপার নিয়ে ডিল করে তার মধ্যে একটি হলো আত্মসচেতনতা বৃদ্ধি করা। কী কী বিষয়ে আপনি আত্মসচেতন হতে পারেন? সেটি নির্ভর করে আপনি আপনার জীবন কে কিভাবে সাজাতে চান। এর মধ্যে যে কয়েকটি ব্যাপার নিশ্চিত ভাবে আত্মসচেতনতায় অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভবঃ

1) আবেগীয় আবেগ (Emotional part of emotions) 2) যৌক্তিক চিন্তা (Logics)
3) মূল্যবোধ (Values) 4) শৃঙ্খলা (Discipline) 5) জীবনের লক্ষ্য (Vision and aim in life)
6) সম্পদ (Resources) 7) সক্ষমতা, দুর্বলতা, সুযোগ এবং বাধা (Strength, Weakness, Opportunity and Threats; SWOT)
8) সময় ব্যবস্থাপনা (Time Management) 9) আবেগীয় ব্যাংকিং (Emotional Banking)
10) সম্পর্কের সমীকরণ (Equation of relationship) 11) জ্ঞান (Knowledge) 12) দক্ষতা (Skills)
13) দৃষ্টিভঙ্গি (Attitude) 14) অভ্যাস (Habit)
এছাড়াও আরো অনেক কিছুর ব্যাপারে আপনি চাইলে সচেতন হতে পারেন।

আপনি যদি পর্ব-১ একটু ভিন্নভাবে চিন্তা করুন। দৃশ্য ১। খেয়াল করেন এটি একটি বিজ্ঞপ্তির অংশ ছিল।
১) এই বিজ্ঞাপনের কারণে একজন শিক্ষার্থী দেশে কিছু করার ছিন্তা করবেনা, সে অন্যের উপর নির্ভর হয়ে পরবে।
২) নিজের জীবনের সঠিক কোনো সিদ্ধান্ত সে নিতে পারবেনা, কারণ সেখানে সরাসরি লেখা আছে “আপনি কি বিদেশে উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী?” যা একজন শিক্ষার্থীর আবেগের সাথে জড়িত।
৩) যারা বিজ্ঞাপনটি দিয়েছে তাদের জন্য আমাদের সমাজে আজকে মানুষ IELTS শুধু মাত্র বিদেশ যাবার উদ্দেশ্যে করে আর তাদের নিজের ব্যবসা যেন চলে সেই জন্য।

এইবার আপনি পর্ব-১, দৃশ্য ২।
১) একটি সচেতনতা মূলক দৃশ্য ছিল।
২) এটি মূলত বিজ্ঞাপনের যে উদ্দেশ্য দেয়া হয়েছে তার বাহিরেও আমার দেশে একজন শিক্ষার্থী কেন IELTS করবে তার কারণ ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
৩) যাতে করে একজন শিক্ষার্থী শুধু বিদেশ যাবার জন্যে IELTS করবেনা, সে চাইলে নিজের দেশের উচ্চতর পড়ালেখার ক্ষেত্রেও IELTS এর সুবিদা ভোগ করতে পারে।
৪) এই দৃশ্যটি একটি শিক্ষার্থীর জীবনের লক্ষ্য যে ভিন্নমাত্রায় নেয়া যায় তা চিন্তা করতে সক্ষম হবে। তার মধ্যে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আসবে। যা মূলত প্রথম দৃশ্যের ক্ষেত্রে ছিল SWOT।

আশা করি উত্তর পেয়েছেন। এর পরও আপনার যদি কোন কিছুতে বুঝতে অসুবিদা হয় আমাকে একদম খোলামেলা জিজ্ঞাসা করবেন। আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।

২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৭:২০

বিডি আইডল বলেছেন: লেখক যা লিখেছেন পোষ্টে এর সাথে ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স এর দূরতম কোন সম্পর্কে নেই

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:৩৮

অজানা তীর্থ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য। সমস্যার কারণ আবিষ্কার যে কোনো সমস্যার সমাধানের মূল চাবিকাঠি। আপনি যদি আমার লেখায় কোনো সমস্যা খুঁজে পেয়ে থাকেন তবে তার সমাধান ও আছে। আপনার সাথে আমার মতামতের ভিন্নতা থাকতা পারে, আর আমি আপনার মতামত কে সম্মান করি। নিরন্তর শুভকামনা।

৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:০২

বিডি আইডল বলেছেন: লেখা নিয়ে সমস্যা না...সমস্যা লেখার টাইটেল নিয়ে। EQ এর সাথে এই পোষ্টে আইএলটিএস করতে বলার কোন রিলেশন নাই

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:২৬

অজানা তীর্থ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার প্রতি উত্তরের জন্য। আমি খুব খুশি হয়েছি। সোহানী আপুর প্রতি উত্তর টি একটু পড়লে আপনার ব্যপারটি মনে হয় ক্লিয়ার হবে। আমি IELTS করতে বলছিনা। দু’টো দৃশ্য তুলনা হিসেবে ব্যবহার করেছি যাতে করে একজন শিক্ষার্থী তার জীবনে একটি সঠিক সিদ্ধান্তের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারে, সে যেন একটি দৃষ্টি কোণ থেকে চিন্তা না করে জনাব।

৪| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার শিক্ষনীয় পোষ্ট।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৩১

অজানা তীর্থ বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা, আপনার মন্তব্যের জন্য। নিরন্তর শুভকামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.