নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আখ্যাত

আমি একজন মন্দ মানুষ বলেই নিজেকে জানি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার উদারতা।

আখ্যাত › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলা একাডেমি + সরকারের কাছে ১+১ টি আবেদন

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৫৪


ভূমিকাঃ
ক্যালেন্ডারের প্রথম পাতা পুরাতন হতে মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি। আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আমাদের কাছে পৌঁছে যাবে ফেব্রুয়ারী। ফেব্রুয়ারী মানেই বইয়ের ঘ্রাণ, বইয়ের মেলা। বই মেলার সব কয়খান বইই যে ভাল, তা কিন্তু নয়। সবগুলো বইই যে পাঠ কারার উপযোগী, তা কিন্তু নয়। জিহাদী বই থেকে সাবধানে থাকবেন। হ্যাঁ, থাকতে পারে। কর্তৃপক্ষের চোখে ধূলা দিয়ে, চুপি চুপি অনুপ্রবেশ করে, কিছু কিছু জেহাদী বই, কোন কোন স্টলের তাকের ভিতর ঘাপটি মেরে বসে থাকতে পারে। নিরাপদ দূরত্বে থাকবেন।

সংজ্ঞাঃ
জিহাদী বই কাকে বলে? বাংলা একাডেমির ব্যবহারিক বাংলা অভিধান (৪৭৮পৃ.) এর মতে, জিহাদ হল-
1. ধর্মযুদ্ধ
2. ধর্ম রক্ষার জন্য লড়াই
3. বিধর্মীদের বিরুদ্ধে ধর্মযুদ্ধ
4. অসত্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম; সত্য ও ন্যায়ের প্রতিষ্ঠার জন্য ধনপ্রাণ দিয়ে সকল প্রকার সংগ্রাম..... ইত্যাদি ইত্যাদি। সুতরাং জিহাদী বইয়ের সংজ্ঞা দাঁড়ায়-
o যে বইয়ে ধর্মযুদ্ধের কাহিনী থাকে
o যে বইয়ে ধর্ম রক্ষার প্রেরণা থাকে
o যে বইয়ে অন্যায়, অসত্য ও অধর্মের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করার শিক্ষা থাকে
o যে বইয়ে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন ও সম্পদ দিয়ে আপ্রাণ চেষ্টা করার জন্য আহ্বান জনানো হয়

উপরের যে কোন একটি সংজ্ঞাকে আমলে নিয়ে জিহাদী বইয়ের তালিকা করা হলে, তালিকার শুরুতে থাকবে মৌলবাদীদের পছন্দের বই “কুরআন”।

আবেদন-১
সদা পরিবর্তনশীল পৃথিবীতে নতুন নতুন শব্দের জন্ম হয় প্রতিদিন। সেই শব্দগুলিকে সংজ্ঞায়িত করার দায়িত্ব ভাষা একাডেমির। জিহাদীবই আমাদের দৈনন্দিন ব্যবহার্য একটি পরিভাষা। এর সঠিক সংজ্ঞাটি কে দেবে? অভিধানের আগামী সংস্করণে জিহাদীবই এর সঠিক সংজ্ঞাটি চাই।
আবেদন-২
জিহাদী বইয়ের আপডেট তালিকাটি সরকারের হাতে অবশ্যই থাকার কথা। জিহাদী বইয়ের তালিকাটি আমাদের সামনে প্রকাশ করুন। বইমেলার বটতলায় টাঙিয়েও দেয়া যায় তালিকাটি।

উপসংহারঃ
বই পড়া ভাল, তবে জিহাদী বই নয়। আবেদন দু’টিকে আমলে না নিলে তরুণ প্রজন্মকে জিহাদী বইয়ের গ্রাস থেকে রক্ষা করা যাবে না। জিহাদী বইয়ের যাদুস্পর্শ পেলে জঙ্গীবাদের অন্ধকারে হারিয়ে যাবে আমাদের সোনার ছেলেরা।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: জিহাদী বই পড়লে ক্ষতি কি?
জিহাদী বই পড়লেই কেউ জঙ্গী হয়ে যাবে এটা আমি বিশ্বাস করি না।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৪১

আখ্যাত বলেছেন: জিহাদী বই পড়লেই কেউ জঙ্গী হয়ে যাবে, কেউ হয়ে যাবেনা।
কিন্তু যদি হয়ে যায়?
তাই না পড়াটাই নিরাপদ।
কিন্তু চিনব কি করে, কোনটি জিহাদীবই? বাংলা একডেমী এব্যাপারে নীরব থাকলে চলবে না।

২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৫৯

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: ফালতু বিষয়ে অনর্থক প্যাচাল।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৩৪

আখ্যাত বলেছেন:
আপনি আপনার কমেন্টাধিকার প্রয়োগ করলেন
ধন্যবাদ

৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:১২

নাহিদ০৯ বলেছেন: এত বোকা পাঠক এর জঙ্গী হয়ে মরে যাওয়া ভালো। যে ভালো মন্দ এর বিচার করতে পারেনা সে কিসের পাঠক।।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫১

আখ্যাত বলেছেন: :
একমত। তবে আমাদের বেশি বেশি জিহাদী বই তেলাওয়াত করা উচিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.