নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিংকর্তব্যবিমূঢ়

যখন যেখানে যেমন তেমন

অলস_আমি

আমি খুবই সাধারন ১ জন মানুষ। ভালোবাসি পড়তে, মানুষকে চেনার, বুঝার চেস্টা করতে। জানিনা পারি কিনা। প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে যদিও পড়াশোনা করি তবে প্রকৌশলী বলতে যা বুঝায় তা হতে পারব কিনা জানিনা।

অলস_আমি › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার যোগ্যতা।

২১ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৪:০১

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার যোগ্যতা কি? ছোট থাকতে জানতাম ইন্টারমিডিয়েট এ ভাল রেজাল্ট, ভর্তি পরীক্ষায় ভাল কপাল থাকলে তবেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া যায়। যা হোক,আমার দুইটাই খুব বেশি পরিমানে না থাকলেও কিছুটা ছিল, তাই বুয়েট এ না হলেও রুয়েট এ পড়ার সুযোগ পেয়েছিলাম।



চান্স পেয়ে আমি তো খুব খুশি, যাই হোক ইঞ্জিনিয়ার হব, দেশের সেরা কিছু ছেলেদের সাথে পড়ার সুযোগ পাব। একে একে তিন বছর পার করে দিয়ে এই ফোর্থ ইয়ার এ এসে মনে হচ্ছে, আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার উপযুক্ত আমি নই/ খালি উপরের দুইটা যোগ্যতা থাকলেই হবে না। সাথে আরও কিছু থাকতে হবে।



তখন প্রথম সেমিস্টার এ পড়ি, ফিজিক্স ল্যাব হয়। ল্যাব হওয়ার কথা ২ সপ্তাহে ১দিন কিন্তু স্যারেরা প্রতি সপ্তাহেই নেন। প্রথম ৪/৫ সপ্তাহ পর কিছু ছেলের মাথায় আসল এটা ঘোর অন্যায়! স্যাররা কেন বেশি করে পড়াবেন! তাই,আমাদের হয় আন্দোলন করা উচিৎ, নাহলে ক্লাস বর্জন করা উচিৎ। আমি তো ততটা বুঝি না, আমি বললাম, “ ক্লাস নিচ্ছে, ক্ষতি কি, আমরা এখানে শিখতেই এসেছি, স্যারেরা যদি শিখান, তাহলে তো ভালই।” একথা বলার পর গোটা ক্লাসের প্রতিক্রিয়ায় মনে হল আমি কি যে পাপের কথা বলে ফেলেছি! আমিও তখন আমার বিশ্বাসে অটল, তাই কোনো মতেই সিগনেচার করি নি। ফলে গোটা ক্লাস আমাকে বয়কট করল। যা হোক, তার কিছুদিন পর ফিজিক্স ল্যাব ২ সপ্তাহে ১ বার করে শুরু হওয়ায় এবং কোনো এক কারনে আমি বয়কট থেকে মুক্তি পেলাম। তখন মনে হত, নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে বুঝি পোলাপানের এই অবস্থা।



এখন বিশ্বকাপের জন্য সারা ভার্সিটি জুড়ে জুনিয়র রা আন্দোলন শুরু করেছে বন্ধ করার। ফোর্থ ইয়ার এর ছেলেরা আন্দোলন এ নামে নাই, কিন্তু তারাও চায় ছুটি হোক। অথচ আমাদের আর ২ সপ্তাহ ক্লাসের পর পরীক্ষা হওয়ার কথা। এবং রেগুলার টাইমে পরীক্ষা হলে রোজার আগেই পরীক্ষা শেষ হয়ে যাবে(রুয়েট গোটা রোজা ছুটি থাকে)। কিন্তু এখন ২ সপ্তাহের ছুটি মানেই পরীক্ষা পিছিয়ে যাবে রোজার পর পর্যন্ত। তারমানে আমরা নূন্যতম ২ মাস পিছিয়ে যাব। এটা জুনিয়রদের মাথা ব্যাথার কারন না হতে পারে কিন্তু আমরা যারা ৭ম সেমিস্টার এ আছি তাদের মাথায় না ঢোকার কারন কি বুঝলাম না। আজকে দরখাস্ত দিতে চেয়েছিলাম যে অন্তত ৪র্থ ইয়ারের ক্লাস নেয়া হোক। তা পোলাপানের কথা বার্তায় বুঝলাম এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে আবার সেই ফিজিক্স ল্যাবের মত কাহিনি হবে।



তাই চুপ করে আছি,আর ভাবতেছি, বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার জন্য মনে হয় আরেকটি যোগ্যতা লাগে, সেটা হল কমনসেন্সের বিসর্জন দেয়া। আবার ভাবছি, আমিই যখন সবার মতের বিরুদ্ধে, তখন মনে হয় আমার মাঝেই কোনো সমস্যা আছে।



পুনশ্চঃ অনেকে হয়ত ভাবতে পারেন আমি দুনিয়াদারি রেখে খালি পড়াশোনা করার দলে, তা কিন্তু নয়। বিশ্বকাপের খেলা আমিও দেখি। তাও বেছে বেছে নয়, প্রতিটা খেলা দেখতেই যাই, ভাল খেলা হলে দেখি, না হলে উঠে আসি।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৪:০৭

স্পেলবাইন্ডার বলেছেন: খেলার জন্য কেন বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি দিতে হবে আমার মাথায় ঢোকে না।
দরকার হলে ক্লাস রুটিন পরিবর্তন করুক, খেলা নিয়ে যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেই ব্যবস্থা নিক। এমন না যে বাংলাদেশ বিশ্বকাপ ফুটবল খেলছে। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সময় তো মনে হয় বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি দেয়া হয় না। তাহলে ফুটবল বিশ্বকাপে ছুটি দিতে হবে কেন?

২১ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৪:৩২

অলস_আমি বলেছেন: আমাদের যে রুটিন, তাতে পরিবর্তনেরও কোনো দরকার নাই। প্রতিটা খেলাই তো দেখছি, আবার ক্লাস ও করি, পরীক্ষাও দেই।

২| ২১ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৪:১০

প্যাঁচনাই বলেছেন: তাই চুপ করে আছি,আর ভাবতেছি, বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার জন্য মনে হয় আরেকটি যোগ্যতা লাগে, সেটা হল কমনসেন্সের বিসর্জন দেয়া। আবার ভাবছি, আমিই যখন সবার মতের বিরুদ্ধে, তখন মনে হয় আমার মাঝেই কোনো সমস্যা আছে ।


আপনিই ঠিক আছেন ।। খেলা দেখার জন্য ছুটি দরকার হয় না আর যেহেতু খেলাগুলো রাতে ।। আর এতে পড়ালেখায়ও সমস্যা হয় না ।। লেখাপড়ার সাথে বিনোদনও দরকার আছে ।।

২১ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৪:৩৪

অলস_আমি বলেছেন: ধন্যবাদ। খেলা তো সবই দেখি, কাল ব্রাজিলের খেলায় ব্যপক মজাও করছি। ছুটির দরকার কি বুঝলাম না।

৩| ২১ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৪:২৯

প্যাঁচনাই বলেছেন: ১টা মুছে দিয়েন ।। সামুর বাগের কারনে ২ বার আসছে ।।

৪| ২১ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৪:৩৪

""ফয়সল অভি "" বলেছেন: এই পোলাপাইনগুলোকে ধরে নিয় বিভিন্ন সেশনজট ওয়ালা পবালিক বিশ্ববিদ্যালয়ের্ বিভিন্ন বিভাগে কয়েকবছর ঝিমানোর সিস্টেম করে দিলে বুঝতো সেশনজটে শিক্ষার্থীরা কি পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত হয় ।

৫| ২১ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৪:৪০

মুকুট বলেছেন: সমস্যাটা দিনদিন ইন্জিঃ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে প্রকট হয়ে পড়েছে। আমাদের সময়ে সেশন জটের জন্য রুয়েটে ৬মাস পর ক্লাস শুরু করেছিলাম। তবে আমাদের সিরিজে সব ডিপাঃ ক্যাডার পোলাপান থাকলেও আল্লাহর রহমতে, লম্বা ছুটির ফাঁদে পড়ি নি, কিন্তু রুয়েটের অবস্থা ০২সিরিজের পর থেকে খারাপ হয়ে গেছে, এরপর শিক্ষকদের দলাদলির কথা বাদই দিলাম। এসকেসি, এখন কেমন ইনকাম করছে? আগে বিম্পি করতো, এখন লীগ হয়ে ভিসি। মানুষ কিভাবে এমন গিরগিটি হতে পারে, জ্যান্ত প্রমাণ আমাদের এসকেসি ;)

২১ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৫:০২

অলস_আমি বলেছেন: ভাইয়া কোন সিরিজ? এসকেসি ভালই চালাচ্ছে। আগে যে বিএনপি করত জানতাম না তো। লীগ এবার আসার পর তো বিএনপি পন্থী সব স্যার ই বিপদে পড়ে গেছেন।

৬| ২১ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৪:৪৫

এবিসি বলেছেন: পোলাপাইনের যে কবে বুদ্ধিসুদ্ধি হইব?

৭| ২১ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৪:৫২

বাংলা'র নবাব বলেছেন:
স্পেলবাইন্ডার বলেছেন: খেলার জন্য কেন বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি দিতে হবে আমার মাথায় ঢোকে না।
দরকার হলে ক্লাস রুটিন পরিবর্তন করুক, খেলা নিয়ে যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেই ব্যবস্থা নিক। এমন না যে বাংলাদেশ বিশ্বকাপ ফুটবল খেলছে। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সময় তো মনে হয় বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি দেয়া হয় না। তাহলে ফুটবল বিশ্বকাপে ছুটি দিতে হবে কেন?


আমারও এই মত।
বিনোদনের দরকার আছে। তাই বলে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে কেন ?

৮| ২১ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৫:১৬

মুকুট বলেছেন: ০০ সিরিজ। তোমাদের ডালিম স্যার এর ব্যাচ।

৯| ২১ শে জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৬

আই.কিউ. বলেছেন: থাক ভাই একা কিছু করতে যায়েন না, কারণ 'যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলরে' এই কথা এখন আর চলে না।

২১ শে জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৫

অলস_আমি বলেছেন: সে শিক্ষা প্রথম বর্ষে হয়ে গেছে ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.