নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাজাকারমুক্ত ব্লগ : ভুলেও ঢুকিস না!!!

অতীত খুড়ি, খুঁজে ফিরি স্বজাতির গুলিবিদ্ধ করোটি

অমি রহমান পিয়াল

বন্ধুত্বে উদার, শত্রুতায় নির্মম : কিছু করার নাই, রাশির দোষ ........................ জামাতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবির সম্পর্কে মহানবীর (দঃ) সতর্কবাণী : শেষ জমানায় কিছু প্রতারক সৃষ্টি হবে। তারা ধর্মের নামে দুনিয়া শিকার করবে। তারা মানুষের নিকট নিজেদের সাধুতা প্রকাশ ও মানুষকে প্রভাবিত করার জন্য ভেড়ার চামড়ার পোষাক পড়বে (মানুষের কল্যাণকারী সাজবে)। তাদের রসনা হবে চিনির চেয়ে মিষ্টি। কিন্তু তাদের হৃদয় হবে নেকড়ের হৃদয়ের মতো হিংস্র। (তিরমিজী)

অমি রহমান পিয়াল › বিস্তারিত পোস্টঃ

দ্বিতীয় বিপ্লব বা বাকশাল : শুনুন বঙ্গবন্ধূর মুখেই

২০ শে মার্চ, ২০১০ রাত ৩:১৮

বাংলাব্লগে আমার চার বছর পূরো করা পোস্টে প্রশ্নটা করেছিলেন স্বপ্নপূরণ নামে একজন ব্লগার। জানতে চেয়েছিলেন বাকশাল সম্পর্কে, অনুরোধ করেছিলেন এ নিয়ে লেখার। কয়দিন আগে একটি পোস্ট এলো গরম কফির। সেখানেও একই জিজ্ঞাসা। আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম এ নিয়ে লেখার। তাগিদটা অবশ্য আগে থেকেই ছিলো, বাকশাল কি এবং এ সম্পর্কে জানার। স্বাধীনতাবিরোধী জামাত শিবির ও তাদের পৃষ্ঠপোষকরা বরাবরই বঙ্গবন্ধুকে তাচ্ছিল্য করতে বাকশাল শব্দটা ব্যবহার করে। নিশ্চিত জানি তারা অনেক কিছুর মতোই শুধু শব্দটাই জানে, এর সম্পর্কে তারা কিচ্ছু জানে না। শুধু মুখস্ত বুলি আউরে যায়। দুঃখজনকভাবে এই জানার ঘাটতিটা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির মাঝেও প্রবল। এমনকি খোদ আওয়ামী লীগের অনেকেই দেখেছি এই বিষয়ে নূন্যতম জ্ঞান রাখেন না বলে বাকশালকে আওয়ামী লীগের বিষফোড়া এবং শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ঐতিহাসিক ভূল বলে মানেন। সত্যিই কি তাই?



গরম কফির পোস্টেই বলেছিলাম যে আমি সে সময়ের (স্বাধীনতার পরপর) বাংলাদেশের অর্থনীতি, রাজনৈতিক পরিস্থিতির ধারাটা বোঝার চেষ্টা করেছি, জানার চেষ্টা করেছি। শেখ মুজিব ঠিক কিসের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন সেটা অনুধাবনের চেষ্টা করেছি। শেষ মেষ যা দাঁড়ালো তাতে বাকশালের ওপর আলাদা একটা বইই লিখে ফেলার মতো উপকরণ আমার হাতে। পক্ষে বিপক্ষে, প্রচার-অপপ্রচার, দোষত্রুটি, মূল্যায়ন সব মিলিয়ে। তারপর মনে হলো এত কষ্ট করবো! ঘুরেফিরে এটা তো আওয়ামী ধ্বজাধারী মার্কা পোস্ট বলেই রায় দেবে ছাগুর দল। ধুসর গোধুলী চমৎকার একটি উদাহরণ দিয়ে একবার বলেছিলো যে কাফেররা নবীজীর সব কথা শুনতো আর শেষমেষ বলতো মোজেজা দেখাতে। আর তারপর তাদের আগের সিদ্ধান্তই বহাল- মোহাম্মদ তুমি দেখি মস্ত জাদুকর!



কিন্তু আমি তো ছাগুদের জন্য পোস্ট লিখি না। লিখি তাদের শিং ভাংতে, তাদের অপপ্রচারে, ম্যাতকারে যেন বিভ্রান্ত না হয় মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম। এ লেখাটা সে কাতারেরই। দুটো দুর্লভ উপাত্ত এই পোস্টে আমি ব্যবহার করেছি। বাকশাল সম্পর্কে আমি বা আপনি বলার চেয়ে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য নিঃসন্দেহে খোদ বঙ্গবন্ধুর বক্তব্য। আবীর আহাদ নামে একজন মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক বাকশাল কর্মসূচী ঘোষণার কিছুদিনের মধ্যে একটি সাক্ষাতকার নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর। এখানে সেই সাক্ষাতকারটির নির্বাচিত অংশবিশেষ তুলে দিলাম। পাশাপাশি রয়েছে একটি ভিডিও ফুটেজ। এটির ঐতিহাসিক গুরুত্বও রয়েছে। ১৯৭৫ সালের ২৬ মার্চ, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে দেওয়া বক্তৃতাটি জনসম্মুখে বঙ্গবন্ধুর শেষ বক্তৃতা। আর এখানেই তিনি বিশ্লেষণ করেছিলেন তার দ্বিতীয় বিপ্লবের পরিকল্পনার। নেট স্পিডের কারণে অনেকেই হয়তো টানা দেখতে পারবেন না, সেক্ষেত্রে অডিও টেপটি শোনার অনুরোধ রইলো। বক্তৃতাটির পুরো টেক্সটির পিডিএফ ভার্সানও আপলোড করেছি। সঙ্গে বাকশালের কমিটি গঠনের পর এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতাটিও। এই জিনিসগুলো মনযোগ দিয়ে পড়লে, বাকশাল কি ভয়ানক জুজু ছিলো সেই ভ্রান্তিটা অন্তত কাটবে পাঠকের। গালি দিবেন ভালো কথা, কাকে কেনো দিচ্ছেন, সেটা জানা থাকবে না কেনো!



তারপরও প্রাসঙ্গিক কিছু কথা না বললেই নয়। এতে বুঝতে সুবিধে হবে পাঠকের। মৃত্যুর আগপর্যন্ত এমনিতেই সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন বঙ্গবন্ধু, তাই আলাদা করে তার ক্ষমতা কুক্ষিগত করার দরকার ছিলো না। যে গণতন্ত্র হত্যার কথা বলে কুমিরের কান্না কাঁদে কেউ কেউ, তার জবাবটাও মুজিব সাক্ষাতকারে দিয়েছেন। তবে তাকে সপরিবারে হত্যার পেছনে এটাকে যতই অজুহাত হিসেবে দেখানো হোক, আসলে কেনো হত্যা করা হয়েছে সেটা তো এখন পরিষ্কার (যদিও মুজিব তাকে হত্যার আশঙ্কা জানিয়ে গেছেন এই সাক্ষাতকারে)। দেশকে আবার পাকিস্তান বানাতে, সেটা না পেরে ঢালাও ভাবে সেনাবাহিনী থেকে মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের গণ ফাঁসি আর স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিদের পুনর্বাসন। নৃশংস সেই হত্যাকাণ্ডকে জায়েজ করতে কতই গল্পই না বানালো খুনী আর নেপথ্যের কুশীলবরা। বাকশাল তারই একটি, আর এটাই সময় এ নিয়ে মিথ ভাঙার। স্বাধীনতা যদি বিপ্লব হয়, সেই বিপ্লবের ধারাবাহিকতায় এসেছিল বাকশাল। হঠাৎ করে নয়। প্রথম বিপ্লব, স্বাধীনতা, রাজনৈতিক মুক্তি। দ্বিতীয় বিপ্লব অর্থনৈতিক মুক্তি, সাধারণ মানুষের। চীন-রাশিয়া বাদ দিলাম, কিউবায় ফিদেল ক্যাস্ট্রো, ইরানে ইসলামী বিপ্লবের পর ইমাম খোমেনীও বিপ্লবের রেশ বজায় রাখতেই একদলীয় শাসন ব্যবস্থাই চালিয়ে গেছেন। এদের কাউকে নমস্য মানেন? তাহলে মুজিবের কি দোষ? শুরু থেকেই না করা? একটা ছোট্ট তথ্য দিয়ে মূল পোস্টে চলে যাচ্ছি। বাকশালে অবলুপ্ত দলগুলোর মধ্যে তালিকার প্রথম নামটি জানেন তো- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।



বাকশাল প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর একটি সাক্ষাতকার



বঙ্গবন্ধু, আপনার রাজনৈতিক চিন্তাধারার মূলনীতি বা লক্ষ্য কি?



আমার রাজনৈতিক চিন্তাচেতনা ধ্যান ও ধারণার উৎস বা মূলনীতিমালা হলো গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতা। এই চার মূলনীতিমালার সমন্বিত কার্যপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি শোষণহীন সমাজ তথা আমার দেশের দীনদুখী শোষিত বঞ্চিত শ্রমজীবি মেহনতী মানবগোষ্ঠীর মৌলিক মানবাধিকার ও তাদের সমষ্ঠিগত প্রকৃত ‘গণতান্ত্রিক একনায়কতান্ত্রিক’ শাসন প্রতিষ্ঠাকরণই আমার রাজনৈতিক চিন্তাধারার একমাত্র লক্ষ্য।



বঙ্গবন্ধু, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র কি একযোগে বা পাশাপাশি চলতে পারে?



যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা আমাদের দেশে প্রচলিত আছে তাকে সংখ্যালঘু ধনিক শোষকদের গণতন্ত্র বলাই শ্রেয়। এর সাথে সমাজতন্ত্রের বিরোধ দেখা দেয় বৈকি। তবে গণতন্ত্র চিনতে ও বুঝতে আমরা ভুল করি। কারণও অবশ্য আছে। আর তা হলো শোষক সমাজ গণতন্ত্র পূর্ণভাবে বিকাশলাভ করুক তা চায় না। এবং গণতন্ত্রকে কিভাবে নিজেদের ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার হাতিয়ারে পরিণত করা যায়- এখানে চলে তারই উদ্যোগ আয়োজন। এভাবেই প্রকৃত গণতন্ত্রকে ধামাচাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। সাধারণ অজ্ঞ জনগণই শুধু নয়- তথাকথিত শিক্ষিত সচেতন মানুষও প্রচলিত আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থায় গণতন্ত্রকে সঠিকভাবে বুঝতে অক্ষম। এরা ভাবে যে ভোটাভুটিই হলো গণতন্ত্র। একটু তলিয়ে দেখে না প্রাপ্তবয়স্ক মোট জনসংখ্যার কত পার্সেন্ট ভোট দিলো, কোন শ্রেনীর লোকেরা নির্বাচনী প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হলো, কারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলো, ক্ষমতাসীনরা কোন পদ্ধতিতে তাদের শাসন করছে, সাধারণ জনগণ কতোটুকু কি পাচ্ছে। সুতরাং আমি আমার অভিজ্ঞতার আলোকে বলছি- প্রচলিত গণতন্ত্রের বদৌলতে সমাজের মাত্র ৫% লোকের বা প্রভাবশালী ধনিকশ্রেনীর স্বৈরাচারী শাসন ও বল্গাহীন শোষণকার্য পরিচালনার পথই প্রশস্ত হচ্ছে। অর্থাৎ প্রচলিত গণতন্ত্রের মারপ্যাচে সমাজের নিম্নতম সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর শাসন ও প্রভাব প্রতিপত্তি, সর্বপ্রকার দূর্নীতি শোষন অবিচার অত্যাচার ও প্রতারণায় সমাজের সর্ববৃহত্তম অজ্ঞ দুর্বল মেহনতী কৃষক-শ্রমিক সাধারণ মানব গোষ্ঠীর (শতকরা প্রায় ৯৫ ভাগ) মৌলিক মানবাধিকার ও তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব হচ্ছে। তারা বঞ্চিত হচ্ছে।



প্রকৃত গণতন্ত্র বলতে আমি এমন একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে বুঝি, যে ব্যবস্থায় জনগনের বৃহ্ত্তর সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের বৃহত্তর কল্যাণের নিমিত্তে তাদের জন্য, তাদের দ্বারা এবং তাদের স্বশ্রেণীভুক্ত নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত সরকার প্রতিষ্ঠার ভেতর দিয়ে তাদেরই প্রকৃত শাসন ও আর্থসামাজিক মৌলিক অধিকার সংরক্ষিত হয়। কিন্তু এই ব্যবস্থা প্রচলিত গণতান্ত্রিক উপায়ে অর্জিত হতে পারে না। কারণ প্রচলিত গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে রাজনৈতিক ও আর্থ সামাজিক ক্ষেত্রে চলে অর্থ সম্পদের অবাধ ও মুক্ত প্রতিযোগিতা। এক্ষেত্রে দরিদ্র জনসাধারণের পক্ষে এ জাতীয় আর্থ প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হওয়া কোনো প্রকারেই সম্ভব না। একমাত্র সমাজতান্ত্রিক পদ্ধতিই এদেরকে রাজনৈতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনের কার্যকরী নিশ্চয়তা দিতে পারে-তাদের আর্থ সামাজিক মৌলিক মানবাধিকার ও তাদের প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। এজন্য আমি মনে করি প্রকৃত গণতন্ত্রের আরেক নাম সমাজতন্ত্র এবং সমাজতন্ত্রের মধ্যেই প্রকৃত গণতন্ত্র নিহিত। এজন্যেই আমি গণতান্ত্রিক উপায়ে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা বলেছি। আমি মনে করি প্রকৃত গণতন্ত্র এবং সমাজতন্ত্রের ভেতর কোনো বিরোধ নেই।



অনেকে বলেন ‘বাকশাল’ হলো একদলীয় বা আপনার স্বৈরতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠার একটি অপকৌশল- এ সম্পর্কে আপনি পরিষ্কার মতামত দিন।



সাম্রাজ্যবাদের অবশেষ পুঁজিবাদী সমাজসভ্যতা ও শোষক পরজীবিদের দৃষ্টিতে ‘বাকশাল’ তো একদলীয় শাসনব্যবস্থা হবেই। কারণ বাকশাল কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে আমি সাম্রাজ্যবাদের প্রতিনিধি বহুজাতিক পুঁজিবাদী শোষক, তাদের সংস্থা সমূহের লগ্নিকারবার এবং তাদের এদেশীয় সেবাদাস, এজেন্ট, উঠতি ধনিক গোষ্ঠীর একচেটিয়া শোষণ ও অবৈধ প্রভাবপ্রতিপত্তি-দুর্নীতি-প্রতারণার সকল বিষদাঁত ভেঙ্গে দেবার ব্যবস্থা করেছি। এজন্য তাদের আঁতে ঘাঁ লেগেছে, বাকশাল ও আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে বেড়াচ্ছে। সাম্রাজ্যবাদীশক্তি শাসকরা এদেশে গোপনে অর্থ যোগান দিয়ে তাদের সেবাদাস ও এজেন্টদের মাধ্যমে সমাজতান্ত্রিক কার্যক্রমকে বানচাল করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তারা বিভিন্ন পত্রপত্রিকা, সভাসমিতি এমনকি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে আমার সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। কল-কারখানা, অফিস-আদালত, শিল্প-প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন থানায় তাদের ভাড়াটে চরদের দিয়ে অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতা চালাচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ, লুটতরাজ, গণহত্যা, অসামাজিক কার্যকলাপ ও সাম্প্রদায়িক তৎপরতা চালাচ্ছে। প্রতিদিন তাদের ষড়যন্ত্রের খবরা-খবর আমার কানে আসছে।



প্রচলিত গনতান্ত্রিক বৈষম্য, শোষণ-দূর্নীতিভিত্তিক সমাজকে, দেউলিয়া আর্থসামাজিক ব্যবস্থা, জরাজীর্ণ প্রশাসন ও অবিচারমূলক বিচার ব্যবস্থাকে সমূলে উৎপাটিত করে একটি শোষণহীন, দূর্নীতিহীন, বৈষম্যহীন ও প্রকৃত গণতান্ত্রিক সাম্যবাদী সমাজ বিপ্লবের পথ রচনা করেছি। এই সমাজ বিপ্লবে যারা বিশ্বাসী নন, তারাই বাকশাল ব্যবস্থাকে একদলীয় স্বৈরশাসন ব্যবস্থা বলে অপপ্রচার করছেন। কিন্তু আমি এ সকল বিরুদ্ধবাদীদের বলি, এতোকাল তোমরা মুষ্ঠিমেয় লোক, আমার ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠ দুখী মেহনতী মানুষকে শাসন ও শোষণ করে আসছো। তোমাদের বল্গাহীন স্বাধীনতা ও সীমাহীন দূর্নীতির মধ্য দিয়ে ব্যক্তিসম্পদের পাহাড় গড়ে তোলার অবাধ ও মুক্ত প্রতিযোগিতার হোলিখেলায় আমার দুখীমানুষের সব আশা-আকাংখা-স্বপ্ন-সাধ ধুলায় মিশে গেছে। দুখী মানুষের ক্ষুধার জ্বালা ব্যথা বেদনা, হতাশা-ক্রন্দন তোমাদের পাষাণ হৃদয়কে একটুও গলাতে পারেনি। বাংলার যে স্বাধীনতা তোমরা ভোগ করছো, এই স্বাধীনতা, এই দেশ, এই মাটি ঐ আমার দুখী মেহনতী মানুষের সীমাহীন ত্যাগ-তিতিক্ষা, আন্দোলন সংগ্রাম এবং জীবন মৃত্যুর বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে তোমাদের অবদান কতটুকু আছে, নিজেদের বুকে একবার হাত দিয়ে চিন্তা করে দেখো। বরং অনেক ক্ষেত্রে স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছো। বিদেশী শাসক-শোষকদের সহায়তা করেছো। নিজের ঘরে থেকে ভাইয়ের ঘর পুড়িয়েছো, মানুষকে হত্যা করেছো। মা-বোনদের লাঞ্ছিত করেছো, আরো কি না করেছো! এসবই করেছো ব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধারের ঘৃন্য লক্ষ্যে।



আমার দেশের মাত্র ৫ পার্সেন্ট লোক ৯৫ পার্সেন্ট লোককে দাবিয়ে রাখছে, শাসন-শোষণ করছে। বাকশাল করে আমি ওই ৯৫ ভাগ মানুষের স্বাধীনতা, গণতান্ত্রিক শাসন ও অর্থনৈতিক মুক্তির ব্যবস্থা করেছি। এতকাল মাত্র ৫ ভাগ শাসন করেছে, এখন থেকে করবে ৯৫ ভাগ। ৯৫ ভাগ মানুষের সুখ-দুঃখের সাথে ৫ ভাগকে মিশতে হবে। আমি মেশাবোই। এজন্য বাকশাল করেছি। এই ৯৫ ভাগ মানুষকে সংঘবদ্ধ করেছি তাদের পেশার নামে, তাদের বৃহত্তর কল্যাণে, তাদের একক দল বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ বা বাকশালে। মূলত বাকশাল হচ্ছে বাঙালীর সর্বশ্রেণী সর্বস্তরের গণমানুষের একক জাতীয় প্লাটফর্ম, রাজনৈতিক সংস্থা, একদল নয়। এখানে স্বৈরশাসনেরও কোনো সুযোগ নেই। কারণ বাঙালী জনগোষ্ঠীর সম্মিলিত বা সমষ্ঠিগত শাসন ব্যবস্থায় কে কার উপর স্বৈরশাসন চালাবে? প্রত্যেক পেশার নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে শাসন পরিষদ গঠন করা হবে। কোনো পেশা বা শ্রেণী অন্য পেশার লোকদের ওপর খবরদারী করতে পারবে না। যে কেউ যিনি জনগনের সার্বিক কল্যাণের রাজনীতিতে তথা সমাজতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার রাজনীতিতে বিশ্বাসী, তিনি এই জাতীয় দলে ভিড়তে পারবেন।



যারা বাকশালকে একদলীয় ব্যবস্থা বলেন, তাদের স্মরণ করতে বলি, ইসলামে ক’টি দল ছিলো? ইসলামী ব্যবস্থায় একটি মাত্র দলের অস্তিত্ব ছিলো, আর তা হলো খেলাফত তথা খেলাফতে রাশেদীন। মার্কসবাদও একটি মাত্র দলের অনুমোদন দিয়েছে। চীন, রাশিয়া, কিউবা, ভিয়েতনাম কিংবা অন্যান্য ইসলামী রাষ্ট্রে কতটি করে দল আছে? এইসব ইসলামী রাষ্ট্রসমূহকে বাদ দাও, ওখানে মহানবীর ইসলাম নেই। বস্তুত প্রকৃত গণতন্ত্র বা সাম্যবাদী সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বার্থেই একটি একক জাতীয় রাজনৈতিক সংস্থা থাকা বাঞ্ছনীয়। একটি জাতীয় কল্যাণের অভিন্ন আদর্শে, ব্যাপক মানুষের সার্বিক মুক্তির লক্ষ্যে একটি মাত্র রাজনৈতিক সংস্থার পতাকাতলে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা ছাড়া গত্যন্তর নেই। কিন্তু বহুদলীয় তথাকথিত গণতান্ত্রিক প্রতিযোগিতায় কোনোভাবেই জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা সম্ভব নয়। সেখানে বহুদলে জনগণ বহুধা বিভক্ত হতে বাধ্য। আর বিচ্ছিন্ন, বিভক্ত, পরস্পর বিরোধী রাজনৈতিক দলের দ্বন্দ্বসংঘাত, হিংসা-বিদ্বেষ ও হানাহানির রাজনীতি দিয়ে জাতির বৃহত্তর কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কোনোভাবেই অর্জিত হতে পারে না। ইতিহাস সে সাক্ষ্য দেয় না। আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাও তাই বলে।



বঙ্গবন্ধূ, বাকশালের মূল লক্ষ্য বা এর কর্মসূচী সম্পর্কে কিছু বলুন



বাকশালের মূল লক্ষ্য তো আগেই বিশ্লেষণ করেছি। তবে এক কথায় আমি যা বুঝি তা হলো একটি শোষণহীন, দূর্নীতিমুক্ত সমাজ ও শোষিতের গণতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠাকরণ। বাকশাল কর্মসূচীকে আমি প্রধানত তিনটি ভাগে ভাগ করেছি। এক. রাজনৈতিক, দুই. আর্থসামাজিক, তিন. প্রশাসনিক ও বিচার ব্যবস্থা



এক. রাজনৈতিক ব্যবস্থাপনায় প্রত্যেক পেশাভিত্তিক লোকদের জাতীয় দল বাকশালে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যবস্থা রেখেছি। এবং পর্যায়ক্রমে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রত্যেকটি নির্বাচনী এলাকায় জাতীয় দলের একাধিক প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়া হবে। জনগণ তাদের মধ্যে থেকে একজনকে নির্বাচিত করবেন। প্রেসিডেন্ট জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবেন। জাতীয় দলের সদস্য যে কেউ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন। প্রেসিডেন্ট পদাধিকার বলে জাতীয় দলের চেয়ারম্যান হবেন। প্রেসিডেন্ট জাতীয় সংসদের আস্থাভাজন একজনকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করবেন। প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করে মন্ত্রীদের নিয়োগ করবেন। সংসদ সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশের অনাস্থায় প্রেসিডেন্টকে অপসারিত করতে পারবেন। মন্ত্রীসভা প্রেসিডেন্ট ও জাতীয় সংসদের কাছে দায়ী থাকবেন। স্থানীয় থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে সর্বস্তরের জনগণের প্রতিনিধিত্ব প্রত্যক্ষভাবে বজায় থাকবে।



দুই. আর্থসামাজিক ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে বাধ্যতামূলক বহুমূখী গ্রাম-সমবায় প্রকল্প। এর মাধ্যমে গ্রামীন আর্থব্যবস্থায় উন্নয়ন বা স্বনির্ভর-স্বাধীন গ্রামীন ব্যবস্থা, বিশেষ করে ভূমিসংস্কারের প্রয়োজনীয় ও কার্যকরী ব্যবস্থার মাধ্যমে ভূমিহীন কৃষকদের পুনর্বাসন তথা কৃষকদের হাতে জমি হস্তান্তর, উৎপাদন বৃদ্ধি ও সাম্যভিত্তিক বন্টন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ। ভারী শিল্পকারখানা, পরিত্যক্ত সম্পত্তি, বৈদেশিক বানিজ্য, ব্যাংক, বীমা, যোগাযোগ ব্যবস্থা ইত্যাদি জাতীয়করণ করে জনগণের যৌথ শেয়ার মূলধনে নতুন নতুন কৃষিজাত শিল্প ও অন্যান্য শিল্প কলকারখানা ও সংস্থা প্রতিষ্ঠা। সীমিত ব্যক্তিমালিকানাকে উৎসাহদানের ব্যবস্থা রয়েছে। তবে ব্যক্তিমালিকানাধীন সংস্থাসমূহ যাতে জনসাধারণ ও তাদের শ্রমিকদের শোষণ করতে না পারে তার ব্যবস্থা থাকবে।



তিন. প্রশাসনিক কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন মন্ত্রনালয়, কর্পোরেশন ও বিভাগগুলোর পুনর্বিন্যাস ও পুনর্গঠন তথা মাথাভারী প্রশাসনের উচ্ছেদ সাধন। প্রশাসনিক ক্ষেত্রে জেলা গভর্নর ও থানা প্রশাসনিক প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে দেশের সকল মহকুমাকে জেলায় উন্নীত করা হয়েছে। প্রশাসনিক জটিলতা ও দীর্ঘসূত্রিতার কারণে ইউনিয়ন পরিষদ, মহকুমা ও বিভাগীয় প্রশাসনকে তুলে দেয়া হচ্ছে। জেলা ও থানাগুলো জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা পরিচালিত হবে। গ্রাম সমবায় পরিষদ সদস্যদের ভোটে থানা পরিষদ গঠিত হবে। তবে থানা পরিষদের প্রশাসক/চেয়ারম্যান ও জেলা গভর্ণর জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবেন। থানা প্রশাসক/চেয়ারম্যানরা ও জেলা গভর্ণররা জনগণ, স্ব স্ব পরিষদ ও প্রেসিডেন্টের কাছে দায়ী থাকবেন। গ্রাম সমবায় পরিষদ থানা পরিষদের কাছে, থানা পরিষদ জেলা পরিষদের কাছে দায়ী থাকবে। গ্রাম সমবায় পরিষদ, থানা পরিষদ, জেলা পরিষদ- এরপরই থাকবে জাতীয় সরকার। এভাবে প্রতিটি ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক প্রশাসনিক কাঠামোর মধ্যে জাতীয় সরকারের প্রশাসনিক ক্ষমতাকে বিপুলভাবে বিকেন্দ্রিকরণ করে প্রশাসনকে জনগণের দ্বারপ্রান্তে পৌছে দেওয়ার ব্যবস্থা নিয়েছি। প্রশাসনিক আমলাতন্ত্র, স্টিলফ্রেম গতানুগতিক বা টাইপড চরিত্রকে ভেঙ্গে গুড়ো করে দেবার ব্যবস্থা নিয়েছি। সরকারী কর্মচারীরা এখন থেকে জনগণের সেবক।



বিচার বিভাগের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টকে রাজধানীতে বহাল রেখে হাইকোর্ট বিভাগকে আটটি আঞ্চলিক বিভাগে বিকেন্দ্রিকরণের ব্যবস্থা নিয়েছি। তবে সুপ্রিমকোর্টের অধিবেশন বছরে অন্তত একবার করে প্রতিটি আঞ্চলিক বিভাগে (হাইকোর্ট) বসবে। জেলা আদালতসমূহ বহাল থাকবে। প্রতিটি থানাতে থাকবে একাধিক বিশেষ ট্রাইবুনাল। প্রত্যেকটি আদালতে যে কোনো মামলা ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে মিমাংসা করতে হবে। গ্রামে থাকবে একাধিক শালিস বোর্ড। শালিস বোর্ড গঠিত হবে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে। শালিস বোর্ড চেয়ারম্যান থাকবেন সরকার নিয়োজিত বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটরা। এভাবে সুষ্ঠু, ন্যায় ও দ্রুততর গণমুখী বিচারকার্য সম্পন্ন করার লক্ষ্যে বিচার বিভাগের ক্ষমতাকে বিকেন্দ্রিকরণ করা হয়েছে।



বঙ্গবন্ধু, অনেকে বলেন, আপনি নাকি কোনো একটি পরাশক্তির চাপের মুখে বা তাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বাকশাল কর্মসূচী দিয়েছেন এবং এ ব্যবস্থা নাকি সাময়িক কালের জন্য করেছেন- এ বিষয়ে আপনি অনুগ্রহ করে কিছু বলবেন কি?




কারো প্রেশার বা প্রভাবের নিকট আত্মসমর্পন বা মাথা নত করার অভ্যাস বা মানসিকতা আমার নেই। এ কথা যারা বলেন, তারাও তা ভালো করেই জানেন। তবে অপপ্রচার করে বেড়াবার বিরুদ্ধে কোনো আইন নেই, তাই উনারা এ কাজে আদাজল খেয়ে নেমেছেন। করুন অপপ্রচার। আমি স্বজ্ঞানে বিচার বিশ্লেষণ করে, আমার অভিজ্ঞতার আলোকে, আমার দীনদুখী মেহনতী মানুষের আশা-আকাঙ্খা বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে আমি বাকশাল কর্মসূচী দিয়েছি। আমি যা বলি, তাই করে ছাড়ি। যেখানে একবার হাত দেই সেখান থেকে হাত উঠাই না। বলেছিলাম এদেশকে মুক্ত করে ছাড়বো, মুক্ত করেছি। বলেছি শোষণহীন দুর্নীতিমুক্ত সমাজতান্ত্রিক বাংলা গড়বো, তাই করে ছাড়বো, ইনশাল্লাহ। কোনো কিন্তুটিন্তু নাই, কোনো আপোষ নাই।



বঙ্গবন্ধু, বাকশাল বিরোধীমহল অর্থাৎ ঐ ৫% সংখ্যায় অতি নগণ্য হলেও তাদের হাতেই রয়েছে বিপুল সম্পদ। তাদের সাথে রয়েছে আন্তর্জাতিক সাম্রাজ্যবাদ ও পুঁজিবাদী শক্তির যোগসাজশ। তাদের পেইড এজেন্টরাই রয়েছে প্রশাসনিক ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষমতার কেন্দ্রে। তাদের কায়েমী স্বার্থের উপর আপনি আঘাত হানতে যাচ্ছেন, এই অবস্থায় তারা চোখ মেলে, মুখ গুজে বসে থাকবে বলে আপনি মনে করেন? তারা তাদের অবস্থান নিরাপদ ও সংহত করার জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে না?




আমি জানি তারা বসে নাই। ষড়যন্ত্র চলছে। প্রতিদিনই ষড়যন্ত্রের উড়ো খবর আমার কাছে আসে। সাম্রাজ্যবাদ ও তার পদলেহীরা এসব ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। গোপন পথে অঢেল অর্থ এ কাজে লাগাবার জন্য বাংলাদেশে আসছে। সুকৌশলে আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। অন্তর্ঘাতমূলক কার্যকলাপ চলছে। অপপ্রচার চলছে। আমি জাতির বৃহত্তর কল্যাণে এ পথে নেমেছি। জনগণ সমর্থন দিচ্ছে। তাই ষড়যন্ত্র করে, বাধার সৃষ্টি করে, হুমকি দিয়ে আমাকে নিবৃত্ত করা যাবে না। আমার কাজ আমি করে যাবোই।



হয়তো শেষ পর্যন্ত ওরা আমাকে মেরে ফেলতে পারে। পরোয়া করি না। ও মৃত্যু আমার জীবনে অনেকবার এসেছে। একসিডেন্টলি আজো আমি বেঁচে আছি। অবশ্যই আমাকে মরতে হবে। তাই মৃত্যু ভয় আমার নেই। জনগন যদি বোঝে আমার আইডিয়া ভালো, তাহলে তারা তা গ্রহণ করবে। আমার কর্মসূচী বাস্তবায়ন করবে। আমার একটা বড় স্বান্তনা আছে, যুদ্ধের সময় আমি জনগনের সাথে থাকতে পারিনি। জনগণ আমারই আদেশ ও নির্দেশে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে। আজকের এই শোষণমুক্ত সমাজতন্ত্র বা অর্থনৈতিক মুক্তির বিপ্লবে আমি যদি নাও থাকি, তাহলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমার বাঙালীরা যে কোনো মূল্যে আমার রেখে যাওয়া আদর্শ ও লক্ষ্য একদিন বাংলার বুকে বাস্তবায়িত করে ছাড়বে ইনশাল্লাহ।



শেষ কথা : বঙ্গবন্ধুর এই আশা পূরণ হওয়ার নয়। সমাজতন্ত্র এখন ইতিহাসের পাঠ্যক্রমে চলে গেছে, আর বাঙালী এই তন্ত্রের উপযুক্তও নয়। আমি গরীব পছন্দ করি, কারণ গরীব থাকলে আমার নিজেকে ধনী মনে হয়। দয়াভিক্ষা করতে পারি। আমি ৫ ভাগ সুবিধাবাদীর দলে থাকতে চাই। বাকশাল স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে অনিবার্য ছিলো, আমার কাছে মনে হয়েছে যুগান্তকারী পদক্ষেপ। না হলে, বঙ্গবন্ধুকে মরতে হতো না।



সম্পূরক :

২৬ মার্চ, ১৯৭৫ বঙ্গবন্ধুর ভাষণ, এই বক্তৃতাতেই বাকশালের রূপরেখা জানিয়েছিলেন তিনি



বক্তৃতার বিস্তারিত : মোবাইলে তুলে পিডিএফ বানিয়েছি, তবুও পড়তে সমস্যা হবে না



বাকশাল কমিটিতে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ

মন্তব্য ৯৯ টি রেটিং +৮০/-১৭

মন্তব্য (৯৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মার্চ, ২০১০ রাত ৩:২৭

এরশাদ বাদশা বলেছেন: অর্ধেক পড়েছি। পুরোটা পড়বো, মনোযোগ দিয়ে। লিংকগুলোতেও যাবো। এবং ভিড্যুটাও দেখবো। কারণ, অনেকের মতো আমিও বাকশাল শব্দটা শুনেই চলেছি। আদতে এর কতোটুকু সত্য জানিনা। জানতে হবে। পোস্ট শোকেইসড। ধন্যবাদ।

২০ শে মার্চ, ২০১০ রাত ৩:৫৬

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: ঠিকাছে ভিডিওটা ফ্লাশে আনলাম, তাও ৪০ মেগা, বাংলাদেশের স্পিড আর লোড শেডিং, দেখি আল্লাহ ভরসা

২| ২০ শে মার্চ, ২০১০ রাত ৩:৩৪

কঠিনলজিক বলেছেন: অনেক কস্ট করে সুন্দর লেখা।
কিছু বিষয়ে দ্বিমত আছে আমার সাইডে রেফারেন্স গুলো ভ্যারিফাই কইরা জানাবো।

২০ শে মার্চ, ২০১০ রাত ৩:৫৭

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: নিশ্চয়ই, এখানে আমার ব্যক্তিগত মতামত খুবই কম, বেশীরভাগই বঙ্গবন্ধূর নিজস্ব বক্তব্য। তারপরও কোনো বিষয়ে জানার থাকলে বলবেন, আমি রেফারেন্স সহই কথা বলবো

৩| ২০ শে মার্চ, ২০১০ রাত ৩:৩৭

রাহা বলেছেন: ........যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা আমাদের দেশে প্রচলিত আছে তাকে সংখ্যালঘু ধনিক শোষকদের গণতন্ত্র বলাই শ্রেয়। ........... আজ এতো বছর পরে ও কি আমাদের এই গণতন্ত্রের কোন পরিবর্কন হয়েছে ??
........সাম্রাজ্যবাদের অবশেষ পুঁজিবাদী সমাজসভ্যতা ও শোষক পরজীবিদের দৃষ্টিতে ‘বাকশাল’ তো একদলীয় শাসনব্যবস্থা হবেই। কারণ বাকশাল কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে আমি সাম্রাজ্যবাদের প্রতিনিধি বহুজাতিক পুঁজিবাদী শোষক, তাদের সংস্থা সমূহের লগ্নিকারবার এবং তাদের এদেশীয় সেবাদাস, এজেন্ট, উঠতি ধনিক গোষ্ঠীর একচেটিয়া শোষণ ও অবৈধ প্রভাবপ্রতিপত্তি-দুর্নীতি-প্রতারণার সকল বিষদাঁত ভেঙ্গে দেবার ব্যবস্থা করেছি। এজন্য তাদের আঁতে ঘাঁ লেগেছে, বাকশাল ও আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে বেড়াচ্ছে।.....

২০ শে মার্চ, ২০১০ রাত ৩:৫৮

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: সেটাই

৪| ২০ শে মার্চ, ২০১০ রাত ৩:৩৮

অািম বাবু বলেছেন: বাকশালে অবলুপ্ত দলগুলোর মধ্যে তালিকার প্রথম নামটি জানেন তো- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। [/su

মজা পাইলাম। প্লাস দিমু নাকি মাইনাস দিমু চিন্তা কইরা লই।

২০ শে মার্চ, ২০১০ ভোর ৪:০১

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: হ, এইডা খুব স্মার্টের মতো মন্তব্য হইছে। আগে হইলে কইতাম পাচটা রাজাকারের নাম ক, কিন্তু আমার ব্লগে এই প্রথম দেখলাম আপনারে। ভালো আছেন ভাই?

৫| ২০ শে মার্চ, ২০১০ রাত ৩:৪২

অচেনাসময় বলেছেন: জটিল ++

২০ শে মার্চ, ২০১০ ভোর ৪:০২

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: ধন্যবাদ

৬| ২০ শে মার্চ, ২০১০ রাত ৩:৪৫

রাহিদুল সামান্না রকি বলেছেন: একটা প্লাস দিলাম। ভাল করে পড়তে পারনি । আর একবার পড়ে কিছু থাকবে । অনেক দিনের খোচা খোচির বিপরীতে পোস্টা কামে লাগব। ধন্যবাদ

২০ শে মার্চ, ২০১০ ভোর ৪:০৪

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: ধন্যবাদ, ধারণ করতে পারলে নিশ্চয়ই কাজে লাগাতে পারবেন

৭| ২০ শে মার্চ, ২০১০ রাত ৩:৫১

স্বপ্নখামারী বলেছেন: আমার মাথা ঘুরতেছে। কাকে বিশ্বাস করবো আর কাকে না। আমার এক খালুর মুখে, যিনি বঙ্গবন্ধু কে অপছন্দ করেন, শুনেছি- রক্ষীবাহিনীর কিছু কথা... নির্বিচার হত্যা ইত্যাদি। ব্যাংক ডাকাতি এবং তার ছেলেদের অনেক অপকর্মের কথাও কানে এসেছে। এমনটাও শুনেছি, মুক্তিযুদ্ধের সময় বিদ্রোহী বাংলাদেশী সেনাসদস্যদের বিচারের জন্য গঠিত ট্রাইবুনালের একমাত্র বাংলাদেশী সদস্য ছিলেন এরশাদ। স্বাধীনতার পরের দশ বছর নিয়ে যতই ঘেটেছি, ধোঁয়া ছাড়া কিছু পাইনি। মুক্তিযোদ্ধা সেনাসদস্যদের গণফাঁসির মানে কি? ঘোষক লাশ আর কবর নিয়ে অনেক কাদা ছুড়ছি আমরা। কিন্তু এগুলো সযত্নে এড়িয়ে যায় সবাই। কেন?

২০ শে মার্চ, ২০১০ ভোর ৪:০৬

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: ভাই আমারও মাথা ঘুরায়, আপনি যেটা বললেন আমি মুক্তিযুদ্ধের এমন কিছু দলিলপত্র পাইছি যে আমাদের অনেক রোলমডেলের রোলই পাল্টায়া যাবে। কিন্তু সযত্নে এড়ানো মনে হয় আমার পক্ষে সম্ভব হবে না। তারপরও একটা কথা বলি, আমার বাবাও হয়তো আমাকে ভুল শেখাতে পারেন, এমনটা হতেই পারে, কিন্তু আমি আমার নিজস্ব প্রজ্ঞা ও মেধা দিয়ে সত্যমিথ্যা যাচাই করি, খালা খালুর কথায় না

৮| ২০ শে মার্চ, ২০১০ ভোর ৪:০৪

রিপাজ ভাই বলেছেন: পুরোটা পড়তে পারি নাই। পরে পড়ব।
তার পর কোনো প্রশ্ন থাকলে জিগাইবো। এখন থাক।

২০ শে মার্চ, ২০১০ ভোর ৪:০৭

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: ঠিকাছে, প্রবস নাই

৯| ২০ শে মার্চ, ২০১০ ভোর ৪:০৯

স্তব্ধতা' বলেছেন: পুরোটা পড়ার সময় পেলামনা।আপাতত প্রিয়তে, পরে পড়ে মন্তব্য করার আশা রাখি।অনেক ধন্যবাদ পোষ্টটির জন্য।

২০ শে মার্চ, ২০১০ ভোর ৪:৩৬

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

১০| ২০ শে মার্চ, ২০১০ ভোর ৪:১২

াহো বলেছেন: ধন্যবাদ

২০ শে মার্চ, ২০১০ ভোর ৪:৩৭

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: আপনাকেও

১১| ২০ শে মার্চ, ২০১০ ভোর ৪:১২

আমি এবং আঁধার বলেছেন: প্রিয়তে

২০ শে মার্চ, ২০১০ ভোর ৪:৩৮

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: ধন্যবাদ

১২| ২০ শে মার্চ, ২০১০ ভোর ৪:২০

রাজসোহান বলেছেন: পুরা মাথা ঘুরতেছে এত মনোযোগ দিয়ে সামুতে আর কোন পোস্টই পরি নাই

প্লাস

২০ শে মার্চ, ২০১০ ভোর ৪:৩৯

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: আচ্ছা, কিন্তু বুঝলা কিছু?

১৩| ২০ শে মার্চ, ২০১০ ভোর ৪:২২

মইন বলেছেন: পড়তে পাড়তাছিনা ঘুমের ঠেলায়।
সকালে উঠে পড়বো।
সরাসরি শোকেসে।

--------------------------------------
দুটি প্রশ্ন ছিলো:
বলা হয়ে থাকে, ১৯৭২-১৯৭৫ সালের মাঝে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ৪০ হাজার জাসদ সদস্যকে হত্যা করা হয়। এটি কি পুরোপুরিই মিথ্যা?
বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে যে দুর্ভিক্ষ হয়, সে সময় অনেক সাহায্য এসেছে বিদেশ থেকে। কিন্তু তা পৌছুতে পারেনি সাধারণ মানুষের কাছে। ফলশ্রুতিতে অর্ধাহার-অনাহারে মরেছে মানুষ। এটিই বা কতটুকু সত্য-মিথ্যের মিশেল?
--------------------------------------
তর্কের খাতিরে প্রশ্ন নয়, জানার জন্য প্রশ্ন। জানলেই দূর হবে অনেক অন্ধকার।

২০ শে মার্চ, ২০১০ ভোর ৪:৪৪

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: ঘুমান। জানার জন্য প্রশ্নটার উত্তর বলি:

জাসদের এত সদস্য মোটেও মারা যায়নি, এটা অতিরঞ্জিত, বরং জিয়ার সময় বেশী মারা গেছে, সে ব্যাপারে ডকুমেন্ট রয়েছে। একটা দাবি আরেকটা ডকুমেন্টেড। দাবিটা অপপ্রচারের অংশ আর ডকুমেন্টটা সাক্ষ্য

বিদেশ থেকে অনেক সাহায্য আসেনিরে ভাই। আপনি পুরো লিংকগুলো পড়বেন। বরং কিউবার কাছে পাট বিক্রি করায় পুরা জাহাজ ভরা চাল ফিরিয়ে নিয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাছাড়া একটু খোজ নিলেই জানবেন সদ্য শেষ হওয়া বিশ্ব মন্দার মতো একটা বড় মন্দা ওই '৭৪-৭৫ সালে গোটা বিশ্বকে আক্রান্ত করেছিলো। বাংলাদেশের সাহায্যেও তার প্রভাব পড়েছিলো। তবে সাহায্যের মধ্যে লুটপাট, চুরি, দূর্ণীতির কথা বঙ্গবন্ধু নিজেই স্বীকার করেছেন তার বক্তৃতায়।

১৪| ২০ শে মার্চ, ২০১০ ভোর ৪:২৪

মোরশেদুল আজাদ পলাশ বলেছেন: অনেক লম্বা।তবে আমার মত যারা বাকশাল সম্পর্কে পুরো জানেনা তাদের অনেক কাজে লাগবে।

ভন্ড গবেষকরা বাকশাল সম্পর্কে মানুষকে অনেক কম বিভ্রান্ত করতে পারবে।

++++সহ প্রিয়তে।

২০ শে মার্চ, ২০১০ ভোর ৪:৪৫

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভিডিও ফুটেজটা দিলে আশা করি আরো পোক্ত হবে পোস্টটা

১৫| ২০ শে মার্চ, ২০১০ ভোর ৪:৪৪

হায়রে দুনিয়া বলেছেন: ভাষন পড়ে একটা জিনিস লক্ষ করলাম যে বঙ্গবন্ধু তখনো ভুট্টোকে 'ভুট্টো সাহেব' সম্বোধন করছিলেন। হায়রে ভুট্টো, যে ছিল ওনার জানের দুশমন বললেও কম বলা হয়।

বঙ্গবন্ধু-ভুট্টোর সম্পর্ক আর বঙ্গবন্ধু-জিয়ার সম্পর্ক তুলনা করলে বঙ্গবন্ধু-জিয়াকে আপন মার পেটের ভাই মনে হবে। অথচ আওয়ামি লিগ বা বিএনপি কখনো 'সাহেব' বলে ডাকার সম্মানটুকুও দেয় না। এই ছোট্ট জিনিসটা থেকেই মহান নেতা আর ফালতু নেতার পার্থক্য বুঝা যায়।

যাই হোক, এইটার কি পার্ট টু আসছে? আপনি খুব দুর্লভ কিছু ডকুমেন্ট পোস্ট করেছেন কিন্তু এই বিষয়ে আপনার নিজের মতামত, বাকি অন্য লোকদের মতামত জানার আগ্রহ ছিল। বঙ্গবন্ধু বিরোধী বা নিরপেক্ষরা বলতেই পারে যে এটা ত শুধুই বঙ্গবন্ধুর বক্তব্য, উনি বাকশালকে জাস্টিফাই করার চেষ্টা করেছেন। উনি জিনিসটা শুরু করেছেন, উনি ত জাস্টিফাই করবেনই। কিন্তু পুরা দেশ জিনিসটা কিভাবে নিল সেটাও দেখতে হবে।

অনেকে বলেন, বাকশাল খুব ভাল আইডিয়া। কিন্তু এটা এসেছিল খুব খারাপ সময়ে। ৭৪-৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু এবং আওয়ামি লিগের জনঅপ্রিয়তা এতই বেশি ছিল যে এটা সফল হতেই পারত না কারন মানুষের কাছে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা খুব কমে গিয়েছিল।

আরেকটা কথা, বাকশাল সম্বন্ধে বলা হয়, যে বঙ্গবন্ধু ৪টা রেখে বাকি সব দৈনিক বন্ধ করে দেন। ওইকালে দৈনিক ছিল কয়টা আসলে? এখন যত বড় দৈনিক দেখি তার মধ্যে সংবাদ, সংগ্রাম (বড় দৈনিক বলা যাবে???) আর ইত্তেফাক ছাড়া বাকিগুলি ত গত ১৫-২০ বছরে শুরু হইছে।

সবশেষে আপনার পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। আর যদি কিছু নাও দেন, এইটুকুর মুল্যও অসীম।

২০ শে মার্চ, ২০১০ ভোর ৪:৫০

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: আসলে যে কয়টা লিংক দিছি, সেগুলো পড়লে আমার মনে হয় না আমার কিছু যোগ করার দরকার আছে। এরপর যা দেওয়া যায়, তা নেহাতই থিওরি, বাকশাল হইলে কি ভালো হইতো বা কি খারাপ হইতো। আমার উদ্দেশ্য ছিলো একটাই, লুকজন মানে ছাগু পার্টি চান্স পাইলেই বাকশাল নিয়া এক লাইন ছাড়ে বুইঝা না বুইঝা, সেইটা সম্পর্কে লোকজনরে জানানো। বাকশাল ইফেক্টিভ হওয়ার চান্সই তো পায় নাই। আর পত্রিকার ব্যাপারে উনার চমৎকার কিছু বয়ান আছে লিংকে। মজা পাইবেন।

১৬| ২০ শে মার্চ, ২০১০ ভোর ৪:৪৭

রাজসোহান বলেছেন: কিছু বুঝছি আবার বুঝিও নাই কিন্তু আমার মনে হইছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এর এই যুগান্তকারী পদক্ষেপ সময় উপযোগছিলো না মানুষ বুঝতে পারে নাই।

দেখেন অলরেডী একজন ম্যাৎকার শুরু করছে প্রথম পাতায় ;) ;)

২০ শে মার্চ, ২০১০ ভোর ৪:৫৩

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: তার মানে জায়গামতো লাগছে ;)

১৭| ২০ শে মার্চ, ২০১০ ভোর ৪:৫২

কাঠের খাঁচা বলেছেন: মাঝের কিছু লাইন বাদে পুরোটাই পড়সি।

বাকশাল খালি শুনেই গেছি, আজকে এর অর্থ বুঝলাম।

ছুপা ওরাকল পোস্ট দিসে দেখলাম। হালায় কি কয় দেইখা আসি।

২০ শে মার্চ, ২০১০ ভোর ৬:০৬

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: দেইখা আসেন, মজাই হওয়ার কথা

১৮| ২০ শে মার্চ, ২০১০ ভোর ৪:৫৩

আট আনা বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম। আগে পড়ি, পরে কমেন্ট করবো।

২০ শে মার্চ, ২০১০ ভোর ৬:০৯

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: ঠিকাছে

১৯| ২০ শে মার্চ, ২০১০ ভোর ৪:৫৬

সাগর রহমান বলেছেন: হেটস অফ বস। পোষ্ট প্রিয়তে । ++
আবার পড়তে হবে।

২০ শে মার্চ, ২০১০ ভোর ৬:১০

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: আচ্ছা

২০| ২০ শে মার্চ, ২০১০ ভোর ৫:১৭

নাজমুল হক রাসেল বলেছেন: আমার এক গৃহশিক্ষক ছিলেন। পাড় কমুনিস্ট বলা যায়। ১৯৭২-৭৮ এ ঢাকায় থাকার অভিজ্ঞতা তিনি আমার সাথে খুব সংক্ষেপে এভাবে শেয়ার করতেন [এখানে শুধু বাকশাল এর ব্যাপারটি বলছি কারন অন্যগুলো প্রসাংগিক না]:

- জাসদ গনবাহীনির উতপাত, বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র এর ম্যাতকার, দেশব্যাপি ব্যাপক দুর্নিতী, চরম্পন্থি দলগুলোর শ্রেনীসত্রু খতম ইত্যাদি সবকিছু মিলিয়ে এমন কাহিল দশা হয়েছিল যে বাকশাল ব্যাতিরেকে ওই মুহুর্তে আর কোন উপায় ছিল না। কিন্তু সিস্টেম টা কায করতো কিনা সে ব্যাপারে উনি [শিক্ষক] ব্যপক সন্দিহান ছিলেন

২০ শে মার্চ, ২০১০ ভোর ৬:২০

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: সিস্টেমটা কাজ করতো কিনা এইটা আসলেই, কারণ তখন শীতল যুদ্ধের আরেকটা ফ্রন্ট খুলতো এই খানে। বিষয়টা যে খুব উপভোগ্য হইতো না, এইটা কোল্ড ওয়ার এসপিওনাজ ও অ্যানার্কি সম্পর্কে পইড়া উপলব্ধি করছি। তবে আপনার গৃহশিক্ষকের সংজ্ঞা কাছাকাছি, তবে এটা বাকশালকে এগিয়ে এনেছিলো, বাকশাল কোনো তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া কিন্তু নয়, ছিলো না। মজার ব্যাপার হলো প্রতিপক্ষ সব সমাজতন্ত্রী, আর মুজিবও খেললেন সমাজতন্ত্রের কার্ড।

২১| ২০ শে মার্চ, ২০১০ ভোর ৬:০২

দ্যা ডক্টর বলেছেন: শুধু +

২০ শে মার্চ, ২০১০ ভোর ৬:২২

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: ধন্যবাদ

২২| ২০ শে মার্চ, ২০১০ ভোর ৬:১৭

দি ফিউরিয়াস ওয়ান বলেছেন: প্রথমেই, তথ্যবহুল লেখাটার জন্য প্লাস।

অনেক কথা মাথায় আসছে, একে একে বলি।

গণমানুষের দূর্ভোগ কমানোর জন্যই, আর ভেঙ্গে পড়া একটা সিস্টেম নতুন করে, দক্ষ করে সাজানোটাই উদ্দেশ্য ছিল, সন্দেহ নাই। তবে প্রথমেই মাথায় যেটা আসে, সেটা হল, এর বিশাল সাইজ। এত বড় মাপের ঢেলে-সাজানো কার্যক্রম শেষ করার মত সামর্থ বাংলাদেশের তখন ছিল কিনা, এটা একটা প্রশ্ন।

পরবর্তীতে যেটা প্রশ্ন জাগে, সারাজীবন গণতান্ত্রিক মুজিব ঐ সময়ে কেন সমাজতন্ত্রের দিকে এত বেশী ঝুঁকে পড়লেন। এই সাক্ষাতকারেই বামপন্থীদের ট্রেডমার্ক শব্দ গুলো আর স্ট্র‌্যাটেজিগুলো একেবারে স্পষ্ট ফুটে উঠছে। এটার একটা উত্তর হতে পারে যে তখনকার সময়ে এই সিস্টেমটাকে দেশ গড়ার একটা ভাল উপায় বলেই ধরা হত, যেটা এখন হয়ত আর কেউ ধরেনা। তবে তখন প্রশ্ন আসে, মুজিবকে এই পথ দেখিয়ে দিয়েছেন কারা কারা? এই পুরা সিস্টেম তৈরী করা তো বেশ পরিশ্রমসাধ্য কাজ, জানতে ইচ্ছা করে, কারা কারা এই সিস্টেম ডেভেলপ করার পেছনে ছিলেন।

আর বাকশাল সিস্টেমের অনেক ফাঁক ফোকর তো ছিলই, সেটা হয়ত আরেকখানে আলোচনা করা যাবে। আপনি বাকশালের পেছনে শেখ মুজিবের চিন্তাটাই এখানে ফোকাস করতে চাইছেন, অন্য কিছু না, এটুকু বুঝতে পারছি।

আর মুজিবের ভাষণটার জন্য ধন্যবাদ :) ভাষণটা শুনে আনন্দ পেয়েছি :)

২০ শে মার্চ, ২০১০ ভোর ৬:২৮

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: আয়তনের কথা যেটা বললেন, সেটা আসলে সেল সিস্টেমেই সামাল দেওয়ার কথা ভাবছিলেন মুজিব। প্রতিটা মহকুমা জেলা হয়ে যাবে, জেলা ভিত্তিক একটা শাসন ব্যবস্থা যার কেন্দ্র থাকবে একটাই। ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ আর কি।

মুজিব সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির কথা বলেছেন, নট জাস্ট সমাজতন্ত্র। মজার ব্যাপার সে সময় তার প্রতিপক্ষ নানা মাপের নানা ধাচের সমাজতন্ত্রীরাই, জাসদ, ভাসানী, সর্বহারা, তোয়াহা, হক আরো অনেকে।

বাকশালের থিওরিতে মুজিবকে অনেকখানি সাহায্য করেছেন জানা যায় খন্দকার মোহাম্মদ ইলিয়াস (সাহিত্যিক)। এছাড়া ন্যাপের মোজাফফর আহমদদেরও অবদান ছিলো, তবে বঙ্গবন্ধু যে মাপের মানুষ, তার সবকিছুতেই ছিল ইম্প্রোভাইজেশন। ওইটাই তার ম্যানারিজম আসলে

২৩| ২০ শে মার্চ, ২০১০ ভোর ৬:৫৮

ফকির ইলিয়াস বলেছেন: স্যালুট কমরেড ।

আপনি খুব দরকারী একটা কাজ করেছেন।
অনেক মূর্খরা যে প্রশ্নটি বার বার করে, তারা
কনোযোগ দিয়ে পড়বে আশাকরি ।

বিনীত শুভেচ্ছা আবারও ।

২০ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:৪৭

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

২৪| ২০ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ৭:০৪

ঢাকাইয়া টোকাই বলেছেন: শেখ মুজিবুর রহমান কে কি দেশের ভালোর জন্য হত্যা করা হয়েছিল?

২০ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ২:১১

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: এক কথায় বললে গোলাম আযমরে ফিরাইয়া আনার জন্য হত্যা করা হইছিলো

২৫| ২০ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ৭:৫৮

নীজর্ন বলেছেন: শুকেসে রাখলাম। পরীখা শেষে আমার পয়েন্ট গুলো তুলে ধরব আশা করি। আপনার পোস্টে অনেকগোলো বিষয় ইচ্ছে করে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে বলে মনে হল। পরে কথা হবে আশা করি।

২০ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:৪৮

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: আহারে, শেখ মুজিব তো মইরা গেছে, নাইলে পয়েন্টগুলা এড়াইয়া যাওয়ার জন্য তারে ধরা যাইতো

২৬| ২০ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ৯:১০

বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত বলেছেন: নো ধানাই পানাই, এই বার কিন্তু বাকশাল চালু হয়েই গেল......!!!

২০ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:৫০

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: নাহ, সেই জাতীয় ঐক্য হওয়ার প্রশ্নই উঠে না, তার আগে চাই আরেকটা বিপ্লব, ইতিহাস শুদ্ধির। সব কয়টা রাজাকার আর তার অনুসারীগো খতমের বিপ্লব। তারপর দেখা যাক কি কায়েম হয়

২৭| ২০ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ৯:২৩

রাজর্ষী বলেছেন: বাকশাল কায়েম করা যুগোযোগী ছিলো এটা আমি বিশ্বাস করি। তবে আমার মনে হয় দেরী করে ফেলেছিলেন বংগবন্ধু। উনি বাম থেকে একটু ডানে হেলে তারপর একেবারে বামে চলে আসেন কিন্তু ঐ ডানে হেলাটাই কাল হয়েছিলো।

আপ্নার পোস্টের মাধ্যমে যথারীতি অনেক ধারনা পরিষ্কার হলো।

২০ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:৫৯

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: দারুণ বলছেন, ডানে হেলাটার কারণও কিন্তু বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতায় আছে

২৮| ২০ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ১০:২৮

নুরুজ্জামান মানিক বলেছেন: +প্রিয়তে

২০ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ২:০২

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: ধন্যবাদ

২৯| ২০ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৪:১১

নুরুজ্জামান মানিক বলেছেন: মুজিবামলের সমালোচনায় অনেকে সে সময়কে বাকশালি শাসনামল হিসেবে চিহ্নিত করেন । এটা ঐতিহাসিকভাবে ভুল কেননা বাকশাল (ভাল কি মন্দ সেটা আলাদা তর্ক ) প্রয়োগ / কায়েমের আগেই শেখ মুজিবকে হত্যা করা হয় ।

২০ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১১:১০

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: দারুণ গুরুত্বপূর্ণ একটা কথা বলছেন, অনেক ধন্যবাদ, মূর্খরা ওইটাই করে

৩০| ২০ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৪:৩৮

ফারুক চৌধু্রী বলেছেন: ধন্যবাদ বস , শিং ভাঙ্গা কার্যক্রম চলতে থাকুক ----

২০ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১১:১১

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

৩১| ২০ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৫:৫৯

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: আপনার লেখাটা ভোরেই পড়েছিলাম। যথারীতি তথ্যবহুল।
লিঙ্কগুলো থেকে ডকুমেন্টারীগুলো এখনো নামাতে পারি নি।
ওরাকলের পোষ্টটাও পড়লাম। মওদুদ আহমেদের Era of Sheikh Mujibor Rahman বইটা ছিল; খুঁজে পাচ্ছি না। খুঁজে পেলেই কয়েকটি প্রশ্ন ছিল। গুছিয়ে নিয়ে করব।
:)

২০ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১১:২৩

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: না বইটা পড়া হয়নি। মওদুদের কথায় একটা ঘটনা মনে পড়লো। ব্রিটিশ এমপি স্টোনহাউজের সঙ্গে মিলে বেশ বড় একটা আর্থিক কেলেঙ্কারির দায়ে মওদুদকে জেলে পোরার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুজিব, পরে কবি জসীমউদ্দিন (মওদুদের শ্বশুর) মুজিবকে নির্দেশ পাল্টাতে অনুরোধ করে মেয়ে জামাইকে বাচান

৩২| ২০ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১১:০৪

কাক ফ্রাই বলেছেন:
প্রথমেই বলে নেই এটা আমার প্রথম মন্তব্য । আজই প্রথম মন্তব্য করার সুযোগ পেয়েছি । আমার নিজেকে এজন্য সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে এরকম একটি তথ্য বহূল সাহসী এবং সময় উপযোগী পোস্টে প্রথম মন্তব্য দিয়ে আমার যাত্রা শুরু হলো বলে। আমার প্রথম মন্তব্য , ভোট , এবং শোকেজে নেয়া সবই এই পোস্ট থেকে শুরু হলো। আপনাকে সেলুট ।

২০ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১১:২৪

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: নামটা জটিল :) স্যালুট আপনাকেও

৩৩| ২০ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১১:০৯

কাক ফ্রাই বলেছেন:
আমি গণিতের ছাত্র কিন্তু ইতিহাসের প্রতি আজন্ম কৌতুহল! কৌতুহল বসতো যখনই বাকশাল সম্পর্কে জানতে চেস্টা করি একটা দেয়ালে ধাক্কা খাই । কেউ তথ্য বহূল রেফারেন্স সহ কিচ্ছু বলতে পারেনা , কেই আতংকো ছড়ায় কেউবা উদাস তাকিয়ে থাকে কোথাও কোন ডকুমেন্ট`স নেই বল্লেই চলে । এমন কোন বই পেলাম না পাবলিক লাইব্রেরিতে যেখানে এ সম্পর্কে বিস্তারিতো কিছু পাওয়া যায় ইন্টারনেটেও খোজার চেস্টা করলাম হয়তো আমার সীমাবদ্ধতার কারনে পেলামনা। আপনার লেখা আমার জানার চেস্টা কে সাহায্য করলো কিন্তু সাইড এফেক্ট হিসাবে জানার আগ্রহকে আরও বাড়িয়ে দিলো । আপনার কাছে আবদার থাকলো এ বিষয়ে আরও কিছু মুল্যয়ন এবং রেফারেন্স দিয়ে আরও কিছু পোস্ট চাই ।

২০ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১১:২৫

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: লিঙ্কগুলা ভালো মতে পড়লে আমার মনে হয় না নতুন কিছু জানার থাকবে আপনার

৩৪| ২০ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১১:৪৮

নস্টালজিক বলেছেন: গুড ওয়ান।।
প্রিয় তে রাখলাম।।
আরাম করে পড়বো।।

২১ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১২:২৬

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: থ্যাঙ্কস

৩৫| ২১ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১২:২৮

কে এম তানভীর আহম্মেদ বলেছেন: লেখা সম্পূর্ণ পড়লাম, লিংকগুলো দেখা ও পড়া হয়নি, প্রিয়তে রাখলাম, পরে দেখে নেব। +

২১ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১:৫৬

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: আচ্ছা, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে

৩৬| ২১ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১:২১

সালমান সিদ্দিকী বলেছেন:

যারা বাকশাল বাকশাল বলে চিল্লায় ২০০১ সালে তারা যে কতটা গণতন্ত্র প্রেমিক ছিল তা নিজের চোখে দেখেছি সমস্যা বাকশাল না এদের মূল চুল্‌কানি বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এখন দেখি অনেক ছাগু বঙ্গবন্ধুর মুসলমানী হয়েছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন করে

২১ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১:৫৫

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: আপনি তাদের সমস্যার গোড়াটা ধরতে পারছেন

৩৭| ২১ শে মার্চ, ২০১০ রাত ২:৪০

গরম কফি বলেছেন:
ধন্যবাদ এধরনের একটা পোস্ট দেয়ার জন্য । যারা বোকার মতো বাকশাল নিয়ে বিভ্যান্তি কর প্রচারোনা চালায় তাদের জন্য উচিত মুগুর হল এই পোস্ট।

২১ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৩:৪২

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: তারও বেশী আসলে যারা এসব প্রচারণায় বিভ্রান্ত, তাদের চোখ খোলার জন্য

৩৮| ২১ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ১০:১৪

মেঘ রঙ মেয়ে বলেছেন: খুব গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। অনেক ধন্যবাদ স্বশিক্ষিত করবার জন্য। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনে আরো একবার উপলোব্ধি করলাম কত বড় মাপের একজন নেতা কে হারিয়েছি..

সংসদের স্বার্থপর, বাকসর্বস্ব রাজনীতিবিদ দের এরকম ভাষণ প্র্রতিদিন সকালে একবার শোনা বাধ্যতামূলক করা উচিত।দ্যাখ, কিভাবে দেশকে ভালোবাসতে হয়, দেশের মানুষের কথা ভাবতে হয়

২১ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৩:৪৪

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, একদম মনের কথাগুলো বলেছেন

৩৯| ২১ শে মার্চ, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩৩

সুবিদ্ বলেছেন: পুরোটা পড়বো আর কিছু সময় পরে.........

তবে আপনি যেটা বললেন, "দুঃখজনকভাবে এই জানার ঘাটতিটা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির মাঝেও প্রবল।"---------চরম সত্য........কিন্তু এর চেয়েও ভয়ানক হলো জানতে না চাওয়ার আর প্রশ্নগুলোকে মোকাবিলা না করে কার্পেটের নিচে গুঁজে রাখার আত্মঘাতি প্রবনতা

২১ শে মার্চ, ২০১০ রাত ৮:৪৬

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: কিন্তু এর চেয়েও ভয়ানক হলো জানতে না চাওয়ার আর প্রশ্নগুলোকে মোকাবিলা না করে কার্পেটের নিচে গুঁজে রাখার আত্মঘাতি প্রবনতা

ঠিক এই কথাগুলিই লিখতে চেয়েছিলাম, অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে

৪০| ২১ শে মার্চ, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৫

নির্বিকার বলেছেন: "আমার ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠ দুখী মেহনতী মানুষকে শাসন ও শোষণ করে আসছো।"
"আমার দুখীমানুষের"
"আমার বাঙালি আজ মানুষ"

দেশি বিদেশি অনেক নেতার ভাষনই শুনলাম এই জীবনে। কিন্তু এইভাবে "আমার" বলার মত নেতা ওয়ান পিস। অর্ডার দিয়া গেসে সব "তোমরা এইটা করবা... " টাইপ। ৪০বছর আগের সেই ভাষনগুলো শুনলে এখনও রক্ত গরম হইয়া যায়।

২১ শে মার্চ, ২০১০ রাত ৮:৪৯

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: তাহলে বঙ্গবন্ধুর মুক্তির পর পরের সাংবাদিক সম্মেলনটির কথা বলি। লন্ডনে। এই লোকটা মুক্তির পর পরই যে দেশ নিয়ে ভাবা শুরু করেছিলেন তার অসাধারণ প্রামাণ্য এটি (কয়েকদিনের মধ্যেই ফুটেজটা আপলোড করবো) । উনি লন্ডনের মাটিতে বসে ব্রিটিশদের উদ্দেশ্যে বলছেন : আমার দেশটায় এখন কিছু নেই। আমার দরকার সাহায্য। তোমরা আমাদের দেশ থেকে অনেক নিয়েছো, দুশো বছরের ওপর শাসন করেছো আমাদের, এবার ফিরিয়ে দেওয়ার পালা। ভাবুন একবার! এ কথা সত্যিই বেশ জোর গলাতেই বলছেন বঙ্গবন্ধু!!

৪১| ২১ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১০:০৬

সুবিদ্ বলেছেন: পড়লাম......

অনেক ছোটবেলায় ২৬মার্চ ১৯৭৫-এর ভাষনটা পড়েছিলাম......আমি ব্যক্তি মুজিবকে সবসময় ঊর্দ্ধে রাখতে চাই এই বিতর্ক থেকে যে, উনি দেশটার খারাপ চাইছিলেন বা শাসক হিসেবে ব্যর্থ ছিলেন.....

আমি কথা হলো, একজন শেখ মুজিবকে ব্যর্থ শাসক না বলে, উনি কেন ব্যর্থ (যদিও আমাদের শাসকগোষ্ঠীর লিস্টিতে সফল শাসক খুঁজে পাওয়া যাবেনা) হলেন, তা খোঁজা জরুরি......আরেকটা হলো সাড়ে তিন বছরের ব্যর্থতা থেকে কি শিক্ষা নিয়েছি আমরা??? যেহারে তার সমালোচনা করি আমরা!!!!!!!!!!!

কাছাকাছি বিষয়ে আমার লেখা দুইটায় পারলে একটু ঢুঁ দিয়েন

Click This Link

Click This Link

২২ শে মার্চ, ২০১০ রাত ৮:১৪

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: দুটো লেখাই পড়লাম, খুবই ভালো লাগলো

৪২| ২২ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১০:৪৭

অন্ধকার বলেছেন: জাসদের ব্যানারে সর্বহারা করা আর জাসদ করা এই দুই মিলিয়ে অনেক মেধাবী মুখই তখন ঝরেছে। সংখ্যাটি ৩০ - ৪০ হাজার যাই হোক, তা নিয়ে বিভ্রান্তি থাকতেই পারে। কিন্তু প্রাণ বিসর্জন তো হয়েছে কম না।

২৩ শে মার্চ, ২০১০ রাত ৩:৩৫

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: এ নিয়ে দ্বিমত নাই

৪৩| ২৩ শে মার্চ, ২০১০ রাত ৩:০৪

মনির হাসান বলেছেন: বিকালে অর্ধেক পড়ছিলাম ... এখন শেষ করলাম । অনেক ... অনেক কিছু জানলাম ...

২০১০ সালে বসে পয়ত্রিশ বছর আগের বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের জায়গাটা অনুভব করার চেষ্টা করলাম ... অসাধারণ ।

বাকশাল ব্যাবস্থা টেকনিক্যালি দুঃসাধ্য ... অন্তত ২০১০এ আমাদের তাই মনে হওয়া স্বাভাবিক ... কিন্তু ৭৫ এর সমসাময়িক বিশ্ব এবং যুদ্ধপরবর্তি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট বিচার করলে এর থেকে উন্নততর কোন বিকল্প সম্ভবত ছিল না ।

বাকশাল ব্যাবস্থার ধারনা এই প্রথম জানলাম ... তারপরও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের রোমান্টিসিমে আমি এখনো ভুগি ।


আর একটা ব্যাপার ... ভাষনের ছয় মাসের মাথায় তাকে সপরিবারে হত্যা করা হয় ... এই ছয়মাসে কি বাকশাল ব্যাবস্থা ফুল ফেজে শুরু হয়েছিল ? দৈনিক পত্রিকা আর রাজনৈতিক দল গুলো নিষিদ্ধ হয়েছিল ... ছাগু গুষ্টি এই এক গান নিয়া যেই হারে ম্যাতকার করে তাতে তো মনে হয় ... বাকশাল মানেই খালি এই দুইটারে নিষিদ্ধ করা ...

২৩ শে মার্চ, ২০১০ রাত ৩:৩৬

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: না আগস্টেই শুরু হওয়ার কথা ছিলো। বক্তৃতায় দেখবা আছে কথাটা, ট্রেনিঙয়ের।

৪৪| ২৬ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১১:৪৭

এ. এস. এম. রাহাত খান বলেছেন: প্রিয়তে...

দাদা gmail chk koren দয়াকরে

৪৫| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ৭:১৪

কানু বলেছেন: আপ্নে বলে পলাইছেন?

৪৬| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ৮:১২

সাকীব বলেছেন: সাক্ষাতকারটা কোথায় প্রকাশিত হয়েছিল, এবং আপনি যদি কোন পুনঃপ্রকাশিত সূত্র থেকে নিয়ে থাকেন সেটা কি, জানাবেন কী?

বক্তৃতাটা পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। অসাধারন। শেইখ মুজিবুর রাহমানের মত সুবক্তা এদেশে বেশী জন্মায়নি।

৪৭| ০১ লা এপ্রিল, ২০১০ রাত ২:৪৬

হামোম প্রমোদ বলেছেন: many many thanks.

৪৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০৫

রেজওয়ান করিম বলেছেন: ধন্যবাদ, ভালো লাগলো

৪৯| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:৩৩

আমি স্যাম বলেছেন: এই ব্লগে কি কোনো প্রকাশক নেই??? অ.র.পি ভাইয়ের লেখাগুলো বই আকারে প্রকাশ করে সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়া যায়না????

আরকটি অনবদ্য লেখা।।।।

৫০| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:৪১

বিপরীত স্রোত বলেছেন:
এখানে কমেনট মেরে লাভ নাই উত্তর পাবেন না অমি ভাই সামু ছাড়ছে ওনার সাথে ইণটার একশন করতে চাইলে এখানে যান

৫১| ২০ শে মে, ২০১০ বিকাল ৩:৩৭

একদমঠিক বলেছেন: এই পোস্ট থেকে অনেক কিছুতো জানা হোলো/

৫২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:০১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
অসাধারণ একটি পোস্ট! ধন্যবাদ এবং প্লাস না দিলে কৃপণতা করা হবে।

৫৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:৫৯

সংকলক বলেছেন: বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর শেখ মুজিব আবির্ভূত হন একজন স্বৈরাচারি ফ্যাসীবাদী নেতা রূপে। শুধু বাংলাদেশের ইতিহাসেই নয়,শুধু সমগ্র উপমহাদেশের ইতিহাসে তিনিই প্রথম নেতা যিনি একদলীয় শাসনের ঘোষণা দেন। এমন স্বৈরাচারি পদ্ধতির প্রতিষ্ঠা পাকিস্তানে যেমন কোন কালে হয়নি; ভারত, শ্রীলংকা ও নেপালেও হয়নি। সোভিয়েত রাশিয়া, পূর্ব ই্উরোপী দেশগুলি ও চীনের ন্যায় বাংলাদেশেও নিরঙ্কুশ ক্ষমতার অধিকারি একদলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করেন। শেখ মুজিরেব হাতে সর্বময় ক্ষমতা তুলে দেওয়ার স্বার্থেই ১৯৭৫ সালের ২৫শে জানুযারিতে শাসনতন্ত্রে আনা হয় সংশোধনী। মাত্র ১১ মিনিটের মধ্যে ২৯৪জন পার্লামেন্ট সদস্যের ভোটে “পার্লামেন্টারী কেবিনেট ফরম” রূপান্তরিত হয় প্রেসিডেন্সিয়াল ফরমে । শেখ মুজিব হন ৫ বৎসরের জন্য-অর্থাৎ ১৯৮০ সাল অবধি-নিরঙ্কুশ ক্ষমতার অধিকারি প্রেসিডেন্ট এবং সে সাথে একদলীয় রাজনীতির সর্বেসর্বা। প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনের জন্য শেখ মুজিব জনতার আদালতে তথা ভোটে যাওয়ার প্রয়োজনও বোধ করেননি। প্রতিষ্ঠা করেন, দেশের একমাত্র রাজনৈতিক দল বাকশাল। তালা ঝুলিয়ে দেন অন্যান্য দলের দফতরগুলিতে। ফরমান জারি করেন, ১৯৭৫ সালের ২৫শে মে’র মধ্যে সকল সংসদ সদস্যকে বাকশালে যোগ দান করতে হবে নইলে বাতিল ঘোষিত হবে তাদের সংসদ সদস্যপদ। তার দলীয় সদ্স্যরা তাকে আজীবন প্রেসিডেন্ট করার পাকা বন্দোবস্তও করছিল। ১৯৭৫এর ১৫ আগষ্ট মারা না গিলে সে রেকর্ডও যে তিনি প্রতিষ্ঠা করতেন তা নিয়েও কোন সন্দেহের অবকাশ নেই। তার দলীয় নেতা ও কর্মীরা মাঠে ময়দানে এক নেতা-একদেশেরর ধারণা জোরেশোরে প্রচার করছিল। যে দলের কর্মীরা শেখ মুজিবকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী রূপে প্রবল বিশ্বাস রাখে তারা সে সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালীকে আজীবনের জন্য যে প্রেসিডেন্ট করতে চাইবে তাতেই বা বিস্ময়ের কি আছে?

দেশে কি গণতন্ত্র চর্চা বাড়াবে, গণতন্ত্র মৃত্যুবরণ করেছিল দলটির নিজের মধ্যেই। আওয়ামী লীগের কোন নেতাই সেদিন শেখ মুজিবের একদলীয় স্বৈরাচারি রাজনীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেনি। নেতা ও কর্মীগণ পরিণত হয়েছিল বিবেকহীন চাটুকারে। গণতন্ত্রের নামে একটি দল কি ভাবে একদলীয় ফ্যাসীবাদের দিকে ধাবিত হতে পারে তারই নমুনা পেশ করে আওয়ামী লীগ। মুজিব পরিণত হয় বাংলাদেশের হিটলারে। সেদিন একমাত্র জেনারেল ওসমানী ও ব্যারিষ্টার মঈনুল হোসেন -এ দুই ব্যক্তি তার একদলীয় বাকশালী নীতির বিরোধীতা করে পদত্যাগ করেছিলেন। লক্ষণীয় হল, এ দু’জনের কেউই আওয়ামী লীগের প্রথম সারির নেতা ছিলেন না। অথচ যারা ছিল আওয়ামী লীগের নিজ ঘরানার পুরনো নেতা ও কর্মী, গণতন্ত্র নিয়ে যাদের ছিল প্রচন্ড গলাবাজি -তারা সেদিন কোন রূপ নৈতিক মেরুদন্ডের প্রমাণ রাখতে পারেননি। সংসদের ২৯৪জন সদস্যের মাঝে দুইজন বাদে আর কোন ব্যক্তিই সেদিন প্রতিবাদ করেনি। মনের ক্ষোভে দল থেকে পদত্যাগও করিনি। অথচ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি সামান্যতম অঙ্গিকার থাকলে কোন ব্যক্তি কি এমন একদলীয় শাসনকে সমর্থণ করতে পারে? কারণ এটি তো ছিল বহুদলীয় গণতন্ত্রকে কবরে পাঠানোর মত অপরাধ। অথচ সেদিন আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ও নেতা-কর্মীগণ স্বৈর-শাসনের শুধু সমর্থণই করেনি, সেটির পক্ষে প্রচন্ড ওকালতিও করেছে। সেটি নিয়ে সামান্যতম অনুশোচনা দূরে থাক, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের আজও তা নিয়ে প্রচন্ড অহংকার। গণতান্ত্রিক চেতনা-বিবর্জিত মেরুদন্ডহীন কর্মী ও নেতা উৎপাদনে এ দলটি যে কতটা সফল কারখানায় পরিণত হয়েছিল, সেটির প্রমানিত সেদিন হয়েছিল। এমন মেরুদন্ডহীন নেতা-কর্মীরাই সেদিন দলে দলে এবং উৎসব-ভরে আত্মসমর্পণ করেছিল শেখ মুজিবের একদলীয় স্বৈর-শাসনের কাছে। ছলে-বলে-কৌশলে ক্ষমতা দখল ও ক্ষমতায় থাকায় ছাড়া এ দলটির আর যে কোন মহত্তর লক্ষ নেই এবং স্বপ্নও নেই সেটি তারা সেদিন প্রমাণ করেছিল। গণতন্ত্রের বুলি পরিণত হয়েছিল ক্ষমতায় উঠার সিঁড়ি রূপে। নিজেরা ক্ষমতায় যাওয়ার সাথে সাথে সে সিঁড়িটাই দূঁরে ছুড়ে ফেলেছে। স্মরণযোগ্য, পাকিস্তানের ২৩ বছরের ইতিহাসে কোনদিন এমন ফ্যাসীবাদের প্রবর্তন ঘটেনি। এমনকি জেনারেল আইউব ও জেনারেল ইয়াহিয়ার ন্যায় জেনারেলগণও গণতন্ত্রের এতবড় শত্রুতে পরিণত হয়নি। তাদের আমলেও বহুদলীয় রাজনীতি ছিল, বহু বিরোধী দলীয় পত্রিকাও ছিল। অথচ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ৪ বছরের মধ্যেই বহুদলীয় রাজনীতির কবর রচিত হল এবং সেটি আওয়ামী লীগ ও তার নেতা শেখ মুজিবের হাতে। দেশ পরিনত হয়েছিল পুলিশী রাষ্ট্রে। সেদিন নিষিদ্ধ হয়েছিল সকল বিরোধী পত্রিকা। প্রকাশনের অধিকার পেয়েছিল একমাত্র সে সব পত্রিকাই যে গুলি মুজিব-বন্দনাকে নিজেদের ব্রত রূপে গ্রহণ করেছিল। পাকিস্তানী শাসক জেনারেল ইয়াহিয়া খান আওয়ামী লীগ ও তার নেতা শেখ মুজিবকে যে গণতান্ত্রিক অধিকার দিয়েছিল সেটি শেখ মুজিব ও তার দল অতি নিষ্ঠুর ভাবে কেড়ে নিল বাংলাদেশীদের থেকে । একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে বস্তুতঃ তিনি গণতন্ত্রকে সেদিন কবরস্থানে পাঠিয়েছিলেন। দেখা যাক, মুজিব সম্বন্ধে এ নিয়ে তার অতি কাছের লোকেরা কি বলেন।

“১১ই জানুয়ারি (১৯৭২) টেলিফোন বাজিয়া উঠিল। রিসিভার তুলিয়া একটি পরিচিত কিন্তু অত্যন্ত অপ্রত্যাশিত কন্ঠস্বর শুনিতে পাইলাম। কন্ঠস্বরটি গণপ্রজাতন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের। কলেজ জীবন হইতে বন্ধূ; ..টেলিফোনে তাজউদ্দিন কুশলাদি জিজ্ঞাসার পর আমাকে বলেন, “শেখ সাহেবকে প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন করিবার সিদ্ধান্ত লইয়াছি এবং প্রস্তাবও করিয়াছি। কারণ তিনি যে কোন পদেই বহাল থাকুন না কেন, তাঁহার ইচ্ছা-অনিচ্ছাতেই রাষ্ট্রীয় প্রশাসন পরিচালিত হইবে। শেখ শাহেবের মানসিক গড়ন তুমিও জান; আমিও জানি। তিনি সর্বাত্মক নিয়ন্ত্রণে অভ্যস্থ্। অতএব ক্ষণিকের ভূল সিদ্ধান্তের জন্য পার্লামেন্টারী কেবিনেট পদ্ধতির প্রশাসন প্রহসনে পরিণত হইবে। তিনি প্রেসিডেন্ট পদে আসীন থাকিলে নিয়মান্ত্রিক নাম-মাত্র দায়িত্ব পালন না করিয়া মনের অজান্তে কার্যতঃ ইহাকে প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির প্রশাসনে পরিণত করিবেন। এই দিকে প্রেসিডেন্ট পদে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীকে নির্বাচনের কথা ভাবিতেছি। তোমার মত কি?” তদুত্তরে তাঁহাকে বলি, “তোমার সিদ্ধান্ত সঠিক। নামমাত্র প্রেসিডেন্টের ভূমিকা পালন শেখ সাহেবের শুধু চরিত্র বিরুদ্ধ হইবে না; বরং উহা হইবে অভিনয় বিশেষ। কেননা, ক্ষমতার লোভ তাঁহার সহজাত।” তাজউদ্দিন টেলিফোনের অপর প্রান্তে সশব্দে হাসিয়া উঠিলেন। বলিলেন, “আমি জানিতাম, মৌলিক প্রশ্নে তোমার আমার মধ্যে মতভেদ হইবে না।” -(অলি আহাদ)। উল্লেখ্য, জনাব অলি আহাদ ছিলেন পঞ্চাশের দশকে পূর্ব-পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। সে সময় শেখ মুজিব ছিলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক।

নিরংকুশ ক্ষমতা দখলই ছিল শেখ মুজিবের প্রধান খায়েশ -তা নিয়ে এমন কি তাজউদ্দিন আহমদেরও কোন সন্দেহ ছিল না। ক্ষমতার নেশায় তিনি কখনও প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, কখনও প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। কখনও বা জরুরী আইন জারী করে জনগণের সকল নাগরিক অধিকার কেড়ে নিয়েছেন এবং সকল ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছেন। শেষের দিকে এসে সকল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে নিষিদ্ধ করেন। হরণ করেন বাক স্বাধীনতা। একমাত্র সামরিক ক্ষমতা বলে অপসারণ ছাড়া রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের আর কোন পথই তিনি খোলা রাখেননি। অবশেষে সে পথেই তাকে বিদায় নিতে হয়েছিল। এই হল তার রাজনৈতিক জীবন। কথা হল, তাঁর এ ক্ষমতালোভী ও স্বৈরাচারি রাজনৈতিক জীবন কি কোন সভ্য দেশের ও সভ্য মানুষের জন্য মডেল হতে পারে? অথচ বাংলাদেশের আওয়ামী-বাকশালী মহল তার সে রাজনীতি নিয়েই গর্বিত। তাদের দৃষ্টিতে শেখ মুজিব সর্ব কালের শ্রেষ্ঠ বাঙালী। তার সে রাজনীতির মডেল তারা পুনরায় বাস্তবায়ন করতে চায়। তবে যুগে যুগে স্বৈরাচারি শাসকদের সমর্থক চাটুকার মোসাহেবদের আচরণ অবিকল এমনটিই ছিল। এজন্য সেসব স্বৈরাচারি শাসকদের অতি মানব বা মহামানব হওয়ার প্রয়োজন পড়েনি। যুগে যুগে দস্যু চরিত্রের বহু নৃশংস মানুষও এসব চাটুকরদের থেকে শ্রদ্ধ| পেয়েছে, এমনকি পুজাও পেয়েছে। দুর্বৃত্ত ফিরাউনকে তো তার তাঁবেদার প্রজারা ভগবান মনে করতো। খোদার আসনে বসিয়ে তাকে শুধু আনুগত্য ও রাজস্বই দিত না, প্রাণও দিত। তারাই তার স্মৃতিকে স্মরণীয় করতে বছরের পর বছর ধরে বহু অর্থ ব্যয়ে ও বহু প্রাণের বিণিময়ে পিরামিড নির্মাণ করেছিল। আর এরাই হযরত মূসা (আঃ)কে মনে করতো দুর্বৃত্ত। হযরত মূসা (আঃ)র হত্যায় ফিরাউনের নেতৃত্বে তারা সাগর পর্যন্ত ধেয়ে গিয়েছিল। অবশেষে মহান আল্লাহপাক এ দুর্বৃত্ত ফিরাউন ও তার সাথীদের সমূদ্রে ডুবিয়ে হত্যা করেছিলেন। হিটলারকেও তার ভক্তরা সর্বকালের শ্রেষ্ঠ জার্মান মনে করতে। তার হুকুমে তারা লাখে লাখে প্রাণ দিয়েছে। মানুষ যখন আল্লাহতে অজ্ঞ ও ঈমানশূণ্য হয়, তখন তার আচরণ যে কতটা বিস্ময়কর ভাবে নীচে নামতে পারে সে উদাহরণ তো ইতিহাসে প্রচুর। মানুষ কেন, মানবেতর শাপ-শকুন-গরু-বাছুড়কেও এসব জাহেলেরা তখন দেবতার আসনে বসায়। শাপ-শকুন-গরু-বাছুড়ের তুলনায় ফিরাউন, হিটলারেরা তো অনেক শক্তিধর ছিল। তারা বড় বড় যুদ্ধ জয় করেছে, লক্ষ লক্ষ মানুষের হত্যায় প্রচন্ড সামর্থ দেখিয়েছে এবং বড় বড় রাষ্ট্রও নির্মাণ করেছে। তাই যারা আজ শেখ মুজিবকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বা|ঙালী বলে, তাদের আচরণেও বিস্ময়ের কিছু আছে কি?

দেখা যাক, কীরূপ ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়ে শেখ মুজিবের নিজের ধারণা। একাত্তরে ৯ মাস যুদ্ধচলা অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট নজরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী জনাব তাজউদ্দিনের মুজিব নগর সরকার ছিল ভারতের আশ্রীত সরকার। এমন সরকারের কোন মেরুদন্ড থাকে না। জনাব তাজউদ্দিন ও তার মন্ত্রীদের প্রতিদিনের থাকা, খাওয়া-দাওয়া ও ভরন-পোষনের সমুদয় ব্যয় বহন করত দিল্লীর ইন্দিরা গান্ধী সরকার। খাঁচার পাখির নিজে শিকার ধরার সামর্থ থাকে না, মনিব যা দেয় তাই খেতে হয়। মনিব মন জোগাতে তখন তার শেখানো বুলিও তখন গাইতে হয়। তাজউদ্দিন সরকারের অবস্থাও তাই ছিল। ফলে তাকে দিয়ে ভারত সরকারও খুশী মত চুক্তিও সই করিয়ে নেয়। কোন স্বাধীন দেশ এমন চুক্তি কখনও স্বাক্ষর করে না। তাজউদ্দিনের স্বাক্ষরিত তাই ৭ দফা চুক্তিনামাটি হল নিম্নরূপঃ

১। ভারতীয় সমরবিদদের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশে আধা সামরিক বাহিনী গঠন করা হইবে। গুরুত্বের দিক হইতে এবং অস্ত্রশস্ত্রে ও সংখ্যায় এই বাহিনী বাংলাদেশের মূল সামরিক বাহিনী হইতে বড় ও তাৎপর্যপূর্ণ হইবে। (পরবর্তীকালে এই চুক্তির আলোকে রক্ষী বাহিনী গড়া হয়)।

২। ভারত হইতে সমরোপকরণ অস্ত্রশস্ত্র ক্রয় করিতে হইবে এবং ভারতীয় সমরবিদদের পরামর্শানুযায়ী তাহা করিতে হইবে।

৩। ভারতীয় পরামর্শেই বাংলাদেশের বহিঃবাণিজ্য কর্মসূচী নির্ধারণ করিতে হইবে।

৪। বাংলাদেশের বাৎসরিক ও পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ভারতীয় পরিকল্পনার সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হইতে হইবে।

৫। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি ভারতীয় পররাষ্ট্রনীতির অনুরূপ হইতে হইবে।

৬। ভারত-বাংলাদেশ চুক্তিগুলি ভারতীয় সম্মতি ব্যতীত বাতিল করা যাইবে না।

৭।ডিসেম্বর পাক-ভারত যুদ্ধের পূর্বে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী ভারত যে কোন সময় যে কান সংখ্যায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করিতে পারিবে।

উপরে বর্ণিত চুক্তিগুলিতে মুজিব নগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন স্বাক্ষর করেন। কিন্তু তাজউদ্দিনের বদলে যখন শেখ মুজিব ক্ষমতা হাতে নিন তখনও কি ভারতের প্রতি এ নতজানু নীতিতে সামান্য পরিবর্তন এসেছিল? আসেনি। তাজউদ্দিন যে দাসখতে স্বাক্ষর করেছিলেন সেগুলো শেখ মুজিবও মেনে নেন। "১৯৭২ সালের ১৯ মার্চ ঢাকার বুকে বঙ্গভবনে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবর রহমান স্বাক্ষরিত ২৫ সাল বন্ধুত্ব সহযোগিতা ও শান্তিচুক্তিতে সেগুলি সন্নিবেশিত করা হয়।" -(অলি আহাদ) পাকিস্তান আমলে শেখ মুজিব বাংলার মানুষের বহু অর্থনৈতিক কল্যানের বড় বড় কথা বলেছেন। কিন্তু বাস্তবে তিনি ও তার দল কি করেছে সেটি দেখা যাক। প্রতিটি দেশের দেশপ্রেমিক সরকার শুধু দেশবাসীকে বিদেশী শক্তির সামরিক আগ্রাসন থেকেই রক্ষা করে না, রক্ষা করে সর্বপ্রকার অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক হামলা থেকেও। প্রতিদেশের প্রতিটি দেশপ্রেমিক সরকারই এমন একটি অঙ্গিকার নিয়েই সেদেশে কঠোর ভাবে দিবারাত্র সীমান্ত পাহারা দেয়, যাতে বিদেশী পণ্যের সয়লাবে নিজ দেশের পণ্যগুলো বাজার না হারায়। একাজটি যাতে সুচারু ভাবে হয় সে জন্য প্রতিটি দেশপ্রেমিক সরকারই বিপুল অর্থ ভাবে সীমান্ত রক্ষি বাহিনী গড়ে তোলে। এক্ষেত্রে আপোষ চলে না। সামরিক প্রতিরক্ষার চেয়ে অর্থনৈতিক প্রতিরক্ষার বিষয়টি কোন দেশের জন্যই কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বহীন ছিল না বাংলাদেশের জন্যও। কারণ, নিজদেশের পণ্য বাজার হারালে সে পণ্যের উৎপাদনকারি শ্রমিকগণ তখন বেকার হয়। এজন্যই প্রতিদেশের দেশ-প্রেমিক সরকার শুধু নিজদেশে নয়, বিপুল উদ্যোগে বিদেশেও বাজার খুঁজে। একাজে ব্যর্থ হলে ভিখারি হওয়া ছাড়া আর কোন রাস্তাই থাকে না। মুজিব আমলে বাংলাদেশের ভাগ্যে সেটিই জুটেছিল। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজে মুজিবের কোন রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও অঙ্গিকার ছিল না। ফলে সেদিন বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম রাষ্ট্র বাংলাদেশ বিশ্বজুড়ে পরিচিতি পেয়েছিল "তলাহীন ভিক্ষার ঝুলি" রূপে। মুজির আমলের এটিই ছিল সবচেয়ে বড় অর্জন। আগামী হাজার হাজার বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষকে এ বদনামের বোঝা ও কলংক বইতে হবে। অথচ দেশটির অতীত ইতিহাসে এ পরিচয় কোনকালেই ছিল না। বরং বাংলার মসলিন শিল্প তখন বাজার পেয়েছে নানা দেশের নানা জনপদে।

ভারত শুরু থেকেই চাচ্ছিল, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভূগোল বিলুপ্ত করা যদি সম্ভব না হয়, অন্ততঃ অর্থনৈতিক সীমান্ত লোপ পাক। যাতে ভারতীয় পণ্য বাংলাদেশের বাজারে অবাধে প্রবেশাধিকার পায়। এটি ছিল ভারতীয় বিদেশ নীতির গুরুত্বপূর্ণ স্ট্রাটেজী। আর এ লক্ষ্যে ভারতকে বেশী দিন অপেক্ষা করতে হয়নি। পাকিস্তান থেকে শেখ মুজিবের ফেরে আসার তিন মাসের মধ্যে ভারত তার থেকে সে অধিকার আদায় করে নেয়। রাজনৈতিক, সামরিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থ সংরক্ষণে একটি দেশের দেশপ্রেমিক সরকারের যে প্রবল রাজনৈতিক অঙ্গিকার থাকে, সেটি শেখ মুজিব ও তার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের ছিল না। প্রতিদেশের ভারত ১৯৭২ সালের ২৭ই মার্চ মুজিব সরকারের সাথে সীমান্তের ২০ মাইল অবাধ বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদন করে। আর এ চুক্তি মোতাবেক ভারতীয় পণ্যের জন্য সমগ্র সীমান্ত খুলে দেন। ফলে ভারত অনায়াসেই পায় বৃহৎ বাজার। ভারত পূর্ব পাকিস্তানেরও প্রতিবেশী ছিল। কিন্তু অখন্ড পাকিস্তান তার ২৩ বছরে একটি দিনের জন্যও ভারতীয় পণ্যের জন্য সীমান্ত খুলে দেয়নি। প্রতি বছর শত শত কোটি টাকা খরচ করে বরং সীমান্ত পাহারা দিয়েছে যাতে নিজ দেশের পণ্য বিদেশী হামলার মুখে না পড়ে। ফলে সে আমলে ভারতের চেয়ে দ্রুত গতিতে বেড়েছে শিল্পোন্নায়ন। বেড়েছিল কুঠির শিল্প। তখন বিড়ি তৈরী করেই লক্ষ লক্ষ মানুষ জীবিকা নির্বাহ করত। ব্যাপক ভাবে বেড়েছিল তাঁতশিল্প। অথচ মুজিব সে নিরাপত্তা দিতে পারেনি দেশের সে ক্ষুদ্র শিল্পকে। ফলে দ্রুত ধ্বস নেমেছে দেশের অর্থনীতি। দেশের কলকারখানা বন্ধ হয়েছে এবং ধ্বংস হয়েছে কুটির শিল্প। শুধু ভারতীয় পণ্যের জন্য বাজার করে দেওয়ার লক্ষ্যে। ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষ তখন বেকার হয়েছে। নেমে এসেছে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ। আর এতে প্রাণ হারিয়েছে বহু লক্ষ। মুজিব শুধু নিজের গদীর স্বার্থে দেশের সাধারণ মানুষের জন্য এমন ভয়ানক মৃত্যু ও বিপদ ডেকে আনে।

৫৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৩:৪২

ডিগবাজি বলেছেন: বংগবন্ধু কেমন শাসক ছিল তা আমি জানিনা। তবে আগেকার খারাপ লোক ও বর্তমানের ভাল লোকের চেয়ে ভালো ছিল বলে আমার মনে হয়। একজন সর্বময় ক্ষমতার অধিকারীর বেশি খারাপ হবার চান্স আমি দেখিনা তবে তার চেলা চামুন্ডা যারা আজ বেচে আছে তারা যে নিকৃষ্ট তা নির্দিধায় বলা যায়। তবে সেই বঙ্গবন্ধু আর আজকের বংগবন্ধুর আদর্শধারিরা সম্পুর্ন আলাদা বঙ্গবন্ধু ছিলেন তিনি যিনি দেশ বাচাবার জন্য পাকিস্থানে ও আই সি সম্মেলনে গিয়েছিলেন ভারতকে সৈন্য সরাবার হুঙ্কার দিয়েছিলেন কিন্তু আজ কি হচ্ছে দেশের স্বার্থ মানে যেন পাকিস্থানের গালি দেয়া আর ইন্ডিয়ার দাসত্ব করা । দেশ প্রেমের নামে জনগণকে ভোদাই বানানো।

৫৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫২

উদাসীফাহিম বলেছেন: ছাগুদের নিয়ে লিখা পোষ্ট গুলোর অনেকটি পড়েছি। ভাল লাগে। কিন্তু বাকশালের মত স্বৈরাচারি ব্যবস্তার পক্ষে যদি সাফাই গায় তাইলে বুঝুতে হবে মতলব ভাল নয়। বাকশাল যদি ভাল, তাইলে হিতলার ও ভাল, মুসোলিনিও ভাল। আপনাদের বুঝতে শেখ মুজিব বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নেতা ছিলেন। কিন্তু উনি নবি, ফেরেশতা বা দেবতা ছিলেননা, যে উনি ভুল করতে পারেন না, মানুষ মাত্রই ভুল হয়, তবে আপ্নারা যদি উনাকে দেবদুত মনে আমার কথা নেই,পুজো করুন।
নিজেকে শুশিলতার ভাব ধরবেন আর স্বৈরাচারি সিদ্ধান্তের পক্ষে লিখবেন আর বুঝাবেন নিজে ভাল করছেন তা ঠিক নয়।
এখন পর্যন্ত যতটি লিখা পড়েছি তা সব আওয়ামিলিগের পক্ষের। এমনকি যে গুলোর জবাব লিগ অ দিতে পারেনা তাদের লজ্জা হয় আপনি সেগুলো ভুল্ভাল যুক্তি দিয়ে জায়েজ করে দেন। ভাল আরাফাত, আপনি, মোজা দেশ অ জাতির সম্পদ

৫৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৭

রাজ দন্ড বলেছেন: না হোবার কোনো কারোন নাই হাজার বছরে বঙ্গবন্ধু সফল টার চিন্তা হয় তো বেসি এডভান্স কিন্তু আমরা ও তো একটু একটু করে আগাছি
হবে জয় বাংলা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.