![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফেবু লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/propen লেখকের অনুমতি ব্যতীত এই ব্লগের কোন লেখা অন্য কোথাও ব্যবহার করবেন না।
প্রথমেই বলে রাখি, কোন প্রকার ব্যক্তিগত আক্রমন, অশালীন মন্তব্য গ্রহনযোগ্য নয়। প্রাসঙ্গিক আলোচনা কাম্য।
কোন ধর্ম সত্যি কোনটি মিথ্যা সেই তর্কে আমি যাবনা। আসিফ মহিউদ্দিনের একটি পোষ্টে আমার ২টি কমেন্ট তুলে ধরছি--
"যার যা বিশ্বাস তাকে সেটা নিয়েই থাকতে দেওয়া উচিৎ। মানুষের চিন্তাশক্তি অকিঞ্চিতকর নয়। সব ধর্ম এবং সাম্প্রতিক কালের নতুন ধর্ম "নাস্তিকতা" সবার কথা শুনেও কেউ যদি ভুডু ধর্মে বিশ্বাস স্থাপন করতে চায়, ইসলাম বা খ্রিস্ট বা নাস্তিকতা যে ধর্মেই বিশ্বাস করতে চায় তো সেটা তার ব্যপার, অন্যরা কেন বাকিদের বিশ্বাস কে আঘাত করবেন? যারা জেনে করে তারা জ্ঞানপাপী আর যারা না জেনে করে তারা মূর্খ।"
আসিফ মহিউদ্দিন উত্তরে বলেছিলেন--
ধরেন ভুডু ধর্মের নিয়ম হইতাছে অন্য ধর্মের মানুষরে কাইট্টা খায়া ফেলা। তখন কি তাদের বিশ্বাসে আঘাত করা একজন মানুষ হিসেবে আমার কর্তব্য না?
তেমনি ইসলামের নির্দেশ হইতাছে কাফের হত্যা করা, দেশে ইসলাম কায়েম করা।
মধ্যযুগীয় বর্বর ব্যাবস্থা, শরিয়তী আইন কায়েম করা।
তখন কি সেই বিশ্বাসরে আদর সোহাগ করা উচিত, না লাত্থি মারা উচিত?
আমার ২য় মন্তব্য--
"ইসলাম কখনো বলেনি ধরে ধরে কাফের হত্যা কর। ইসলাম বলেছে দাওয়াত পৌছে দিতে এবং যে যা ধর্ম পালন করছে তাকে শান্তিপূর্নভাবে তা পালন করতে দিতে যদি না সে তোমার কোনরূপ ক্ষতি করে। তবে ইসলাম বলেছে জিহাদ করতে সেইসব লোকদের বিরুদ্ধে যারা প্রকাশ্যে বা পরক্ষভাবে ইসলামের ক্ষতি করছে বা মুসলিমদের ধর্মপালনে বাধা দিচ্ছে। যদি তাদের শান্তিপূর্নভাবে প্রতিহত করা না যায় তবে তাদের অস্ত্র দিয়ে প্রতিহত করতে বলা হয়েছে।
যে পোস্টটির লিঙ্ক দিলেন, আয়াত গুলো পুরোটা পড়ুন এবং তার আগে পুরো কোরআন এবং তার শানে নূযুল পড়ুন।
টিভিতে একটা বিজ্ঞাপন দেখাত, একজন কর্মচারী তার বস কে ফোন করে বলছে - "স্যার আপনি একটা কুকুর।" পুরো বাক্যটি ছিল, স্যার আপনি একটা কুকুরের বাচ্চা কিনতে চেয়েছিলেন অথবা এই ধরনের কিছু একটা।
কোরআনের আয়াতগুলো মাঝখান থেকে তুলে আনলে তার অর্থ বিকৃত করা সম্ভব।
এবার আসুন শরীয়তের বিধানের কথায়, কোন বিধান টি আপনার কাছে মধ্যযুগীয় বর্বরতা মনে হয়েছে? দয়াকরে ফতোয়াবাজ দের এবং মুখোশধারী ধার্মিকদের বিধানের কথা বলবেন না।"
ইসলাম এর কোথায় কোথায় আপনাদের সমস্যা বলুন, শুনি।
১২ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:৩৬
রিপেনডিল বলেছেন: বন্ধুত্বের সংজ্ঞা কিভাবে দেবেন জানিনা তবে যে ব্যক্তি কারো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনরূপ ক্ষতি করে নি তার প্রতি সদাচারন করতে বলা হয়েছে। আপনার সাথে আমার মতের পার্থক্য থাকতেই পারে তাতে আপনি আমার বন্ধু হবেন কিনা জানিনা তবে আমার ক্ষতি যদি আপনি না করে থাকেন তবে শত্রু হবেন কেন?
২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:২৬
আমি মিথ্ বলেছেন: ওই লোকের কমেন্ট পড়ে খারাপ লাগলো.।
আসলে যে বুঝতে চায়না, তাকে বোঝানো সম্ভব না .।
আল্লাহ তাকে হেদায়েত দান করুক .।
৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:৩১
তারেক রহমান বলেছেন: ৫:৫১-৫২
হে মুমিণগণ! তোমরা ইহুদী ও খ্রীষ্টানদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ জালেমদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না।
বস্তুতঃ যাদের অন্তরে রোগ রয়েছে, তাদেরকে আপনি দেখবেন, দৌড়ে গিয়ে তাদেরই মধ্যে প্রবেশ করে। তারা বলেঃ আমরা আশঙ্কা করি, পাছে না আমরা কোন দুর্ঘটনায় পতিত হই। অতএব, সেদিন দুরে নয়, যেদিন আল্লাহ তা’আলা বিজয় প্রকাশ করবেন অথবা নিজের পক্ষ থেকে কোন নির্দেশ দেবেন-ফলে তারা স্বীয় গোপন মনোভাবের জন্যে অনুতপ্ত হবে।
১২ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:৪৩
রিপেনডিল বলেছেন: এই দুটি সম্প্রদায় অনেক ইসলাম ধর্মের শুরু থেকেই ইসলামের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ সব রকম ক্ষতি করে আসছে। তাই তাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করা হয়েছে। তার মানেই এই নয় সব ইহুদী বা খ্রিষ্টান ইসলামের অবমাননা করে। যে আমার ধর্ম কে শ্রদ্ধা করবে আমি অবশ্যই তাকে তার ভাল কাজের জন্য প্রশংসা করব। আর যে করবে এবং বারবার অপমানিত করবে সে যদি ভাল কথা দমিত না হয় তবে শানিত অস্ত্র হবে তার জবাব।
৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:৩৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @ তারেক রহমান..
হ্যা তা বলেছেন। তাতে কি অন্যায়টা হৈছে????
আপনি বলেনতো ১৭৫৭র পর ব্রিটিশ, ১৯৭১এর পর পাকিস্তানীরা কি কখনো আমাদের বন্ধু হতে পারে?
অবিশ্বাসীরা বারবার তাদের আচরণে যখন প্রতারণা আর মিথ্যাকে সুপ্রিতিষ্ঠিত করেছে তখন এই সিদ্ধান্ত এসেছে। তাতে কি মিন করতে চান?
৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:৪০
তারেক রহমান বলেছেন: বিদ্রহি ভাই, আপনার কাছে আমার পালটা প্রশ্ন,
ব্রিটিশ/পাকি একটি নিষ্পাপ শিশু কখনো আমাদের শত্রু হতে পারে?
ব্রিটিশ/পাকি সবাই কি আমাদের শত্রু?
১২ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:৫০
রিপেনডিল বলেছেন: নিষ্পাপ শিশু বিশেষনই বলে দিচ্ছে সে কোন শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের শত্রু হতে পারে না।
একই ভাবে নিষ্পাপ কোন ব্যক্তি কোনভাবেই ইসলামের শত্রু নয় সে যে গোত্রের বা যে ধর্মেরই হোক না কেন।
৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:৪১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @ লেখক ঘুরে আসতে পারেন... নাস্তিকদের বোধচক্র লাটিমের ঘুর্ণিপাক: অবোধ মিথ্যাচার নাকি জ্ঞানপাপীর পাপ মার্গারোহন !!!!
৭| ১২ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:৪৯
মেহদী১০ বলেছেন: দারুন লিখছেন
১২ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:৫৬
রিপেনডিল বলেছেন: ধন্যবাদ।
৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:০১
সন্যাসী বলেছেন: কোরানে কী আছে বা নেই তা পরে জানলেও চলবে। সত্যিকারের ইসলাম কি গাছে ধরে? নাকি পৃথিবীতেও পাওয়া যায়? পৃথিবীতে যে ইসলাম আমরা দেখছি সেটাই আমাদের আলোচনা এবং সমালোচনার বিষয়। যারা জিহাদী হয়, যারা ইসলামী বোমাবাজ হয় তারা পুরো কোরানকে গুরুত্ব দেয় না। কোরানের বিশেষ বিশেষ জিহাদী ও বিদ্বেষমূলক লাইনগুলোকেই গুরুত্ব দেয়। মাদ্রসা মসজিদেও এই বিশেষ লাইনগুলোকেই হাইলাইট করা হয়। বাস্তবের ইসলাম যা প্রাকটিস করে সেটা অবশ্যই সমালোচনার বিষয়। সুতরাং আপনার আদর্শ ইসলাম কোথায় আছে কি নেই তা অতটা গুরুত্ব বহন করে না।
আরেকটা কথা, কোরানে যতগুলি জিহাদী এবং বিদ্বেষমূলক লাইন রয়েছে তার বিপরীতে সৌহার্দমূলক লাইন কয়টি রয়েছে? সংখ্যায় কোনটি বেশি? জরিপ করেন, তারপর উত্তর দেন।
এখানে ঘুরে আসুন।
১২ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:২০
রিপেনডিল বলেছেন: কোন পক্ষে কথা বললেন ঠিক বুঝতে পারলাম না। যাহোক, ইসলামের নাম ভাঙ্গিয়ে যারা বোমাবাজ হয় তারা পুরো কোরআন কে গুরুত্ব দেয় না।
এটাই আসল কথা। তারা ইসলাম কে ভুল বুঝেছে এবং দুখেঃর বিষয় এমন মানুষের সংখ্যা কমছে না। কারন কেউ কোরআন বা এবং হাদীস বুঝে পড়ছে না।
৯| ১২ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:০২
বিগ মব বলেছেন: আসিফ মহিউদ্দিন একটা জ্ঞানপাপী। আপনার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার সম্ভবনা শতকরা ১০০ ভাগ। তার পরেও উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ।
১০| ১২ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:১০
পারভেজ আলম বলেছেন: ইসলাম অপছন্দ করা বা সহ্য না করার যদি প্রশঙ্গ আসে তাইলে বলার কিছু নাই। আমার কোন বিশেষ ধর্মের প্রতিই বারতি আগ্রহ অথবা রাগ ঘৃণা নাই। ধর্মগুলা নিজ নিজ সময়ে মানব কল্যানে সৃষ্ঠ এবং সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত অথবা সংশোধিত হয়। এর প্রতি আলাদা ভাবে ঘৃণা থাকার কোন কারণ নাই।
তবে আমি শরীয়ত দেখতে পারি না, এই জিনিস ঘৃণা করি। আপনের প্রশ্ন -
এবার আসুন শরীয়তের বিধানের কথায়, কোন বিধান টি আপনার কাছে মধ্যযুগীয় বর্বরতা মনে হয়েছে? দয়াকরে ফতোয়াবাজ দের এবং মুখোশধারী ধার্মিকদের বিধানের কথা বলবেন না।"
এমনিতে কাঁদা ছুড়তে ভালো লাগেনা। আপনে চাইলে রেফারেন্স সহকার ছুড়তে পারি। সেই সাথে আরেকটা প্রশ্ন করি। আপনে কি শরীয়তের বিধান মাইনা চলেন?
১২ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:২৫
রিপেনডিল বলেছেন: না সম্পূর্ন মেনে চলি না এবং সে জন্য আমি নিজের কাছে অনুতপ্ত। তবে আপনার এই প্রশ্ন টি প্রাসঙ্গিক নয়।আমার পোষ্টটি ইসলাম নিয়ে। তার খারাপ দিক গুলো নিয়ে আলোচনা করুন।
পোষ্টের শুরুতেই বলেছি কাদা ছোড়া গ্রহন যোগ্য নয়। আমার বক্তব্য হচ্ছে কোরআন বা হাদিসে বলা হয়েছে এমন কোন কথা তুলে ধরুন যেটি আপনি পছন্দ করেন না।
১১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:২২
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: পীরজাদা আসিফ মহীউদ্দিনের ব্যাপারে আমার মন্তব্য,
যুক্তি তর্ক বিষয়ে তার সাথে আলোচনা করা সুস্থ মস্তিস্কের লক্ষণ নয়।
তিনি হিযবুতি-তালগাছী টাইপ ব্লগার, যিনি অশালীন গালাগালি করে তালগাছ বগলদাবা করার করে নিয়ে যাবেন, বিনা ঘোষণাতেই
ছোটবেলা থেকেই লোকেরা তাকে নাকি খাড়া হয়ে সিজদাহ দিত...!
তার সাইকোলজিক্যাল কন্ডিশনের অবস্থা কিছুটা আচ করতে পেরেছেন আশা করি....।
সাংবাদিক পারভেজ সাহেবের সাথে কথা বলুন, তবে তিনি মূলত লেকচার বেশ দেন, তবুও মন্দের ভালো বলা চলে।
১২ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:২৮
রিপেনডিল বলেছেন: সামুরাই ভাই, শুরুতেই বলেছি ব্যক্তিগত আক্রমন গ্রহন যোগ্য নয়। আলোচনার জন্যই সবাই কে ডেকেছি। এবং ধরেই নিয়েছি কোন ফলাফল হবে না। তবে এই আলোচনা থেকে যারা ইসলাম সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারনা পোষন করছেন তারা তাদের ভুল বুঝতে পারবেন এটা আশা করছি।
১২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:৪৫
অনিরূদ্ধ বলেছেন:
সময় করে পড়বো, পর্যবেক্ষণে রাখলাম
১৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:৫২
তারেক রহমান বলেছেন: ভাই, আপনার আল্লাহ কি এতই দুর্বল যে তার নিজের লেখা কুরান বুঝতে মানুষের লেখা সানে নুজুল বুঝতে হইবে?
আপনার আল্লাহর লেই কুরান লেখার আগে বুঝার উচিত ছিল এই বিষয় খানা ভেবে লিখা , ,
আএ একটা কথা, অমুসলিম দের বন্ধু হিসাবে গ্রহন করতে মানা করা হয়েছে, আর আপনি বলেছেন যে অমুসলিম ইসলামের ক্ষতি করে না তাদের কথা আল্লাহ বলে নাই্ ,
""কোথায় আল্লাহ একথা কইছে যে যজ-অমুসলিম ইসলামের ক্ষতি করে না তারা ইসলামের বন্ধু বাশত্রু-নয় ?"
১২ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:০৫
রিপেনডিল বলেছেন: আল্লাহ দূর্বল নন তবে মানুষ দুর্বল। শানে নু্যুল মানুষের লেখা নয়, শানে নু্যুল মানে ঐ সুরাটির অবতীর্ন হওয়ার কারন।
ধরুন আপনি কোন কিছু উদ্ভাবন করলেন তার মানুষ্কে দেখালেন সেটি কিন্তু বললেন না কেন সেই জিনিসটি আপনি তৈরী করেছেন, কি তার কাজ। মানুষ তখন বুঝবে আপনার এই উদ্ভাবন কে?
আমাকে এটি দেখান যে কোথায় আল্লাহ বলেছেন, যে তোমার কোন ক্ষতি করেনি সে যে ধর্মেরই হোক না কেন তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারন কর?
১৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:০৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তারেক রহমান বলেছেন: বিদ্রহি ভাই, আপনার কাছে আমার পালটা প্রশ্ন,
ব্রিটিশ/পাকি একটি নিষ্পাপ শিশু কখনো আমাদের শত্রু হতে পারে?
ব্রিটিশ/পাকি সবাই কি আমাদের শত্রু?
আপনাকে কোরআনে কোথায় বলেছে নিষ্পাপ শিশুরা বিশ্বাসীদের শত্রু?
যতক্ষন তারা আমাদের স্বার্থহানীকর কাজে লিপ্ত ততক্ষন সবাই শত্রু, নয় কি? ব্রিটিশ হোক, পাকি বা স্বদেশী মীরজাফর যেই হোক না কেন!!
১৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:২৫
মশিউর মামা বলেছেন: তারেক ভাইয়ের আচানক অমুসলিম বন্ধু (বান্ধবী?) নিয়া এত আগ্রহের কারণ কি ?..................................................সন্দেহজনক |
১৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:৩৮
স্টাডি-ইটিই বলেছেন: ধরেন ভুডু ধর্মের কেউ আপনারে বলল যে যদি আপনি তার ধর্মে বিশ্বাস না করেন, তাদের ধর্মের নিয়ম কানুন মাইনা না চলেন, তারা যেভাবে পুজা করে সেভাবে পুজা না করেন, তাহলে তারা আপনার সাথে যুদ্ধ করব, আপনার সম্পদ যা আছে সব দখল কইরা নিব, তয় আপনি যদি তাদের ধর্মের কিছু নিয়ম কানুন মাইনা নেন, এবং তাগোরে চান্দা প্রদান করেন, আপনে যদি তাগোর সব কিছুর ব্যাপারে চুপচাপ মাইনা চলেন, এবং নিজে যদি চুপচাপ থাকেন। তইলে থাকতে পারবেন। তখন আপনে ভুডু ধর্মের লোকগুলানরে এবং যেই দেবতা এই আদেশ দিসে তারে কি মনে করবেন?
১২ ই এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫০
রিপেনডিল বলেছেন: সবসময় আমি বলব আল্লাহ ব্যতীত কোন স্রষ্টা নেই এবং অন্য ধর্মাবলম্বীরা ভুল পথে চলছে তবে সে যদি ইসলাম গ্রহন করতে অস্বীকার করে তবে সেটা তার ইচ্ছা কিন্তু সে যদি আমার উপরে এরূপ শর্তারোপ করে তবে অবশ্যই সে বর্বর এবং তাকে দমন করতে হবে।
ইসলাম কখন কারো উপর এরূপ শর্ত আরোপ করেনি। যদি কেউ ইসলামের নাম ভাঙ্গিয়ে এরূপ কাজ করে থাকে তবে সে তার নিজ কাজের জন্য দায়ী
১৭| ১২ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:২৭
জামিল আহমেদ জামি বলেছেন: ভাই, আমার বুদ্ধিশুদ্ধি নাস্তিকদের চাইতে অনেক কম তাই বেঁচে গেছি। কোন সহজ বিষয় প্যাঁচাইতে পারি না। নিরপেক্ষভাবে দেখতে গেলে বুঝলাম নাস্তিকরা প্রচন্ড বায়াসড।
তারা বলে ইসলামের এইটা ভুল, যখন সুন্দর করে বুঝায় দেওয়া হয় তখন বলে এই ব্যাখ্যা মানি না, নতুন ব্যাখ্যা আনলে চলবে না; যখন কোন কিছুই জবাব দেওয়ার উপায় থাকে না তখন বলে এত কঠিন করে লেখার কি দরকার ছিল? মানষের বোঝার মত করে তিনি কি লিখে পারতেন না?
নাস্তিকদের প্রতি আমার কোন অশ্রদ্ধা ছিল না আগে,.........
১৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:২৭
পারভেজ আলম বলেছেন: লেখক বলেছেন: না সম্পূর্ন মেনে চলি না এবং সে জন্য আমি নিজের কাছে অনুতপ্ত। তবে আপনার এই প্রশ্ন টি প্রাসঙ্গিক নয়।আমার পোষ্টটি ইসলাম নিয়ে। তার খারাপ দিক গুলো নিয়ে আলোচনা করুন।
আমার প্রশ্নটি প্রাশঙ্গিক। এই যে আপনি নিজেই যেই মতবাদ মেনে চলেন না সেইটির ওকালতি করছেন এইটা একধরণের সুবিধাবাদ। আমার সর্বশেষ পোস্টে আহমদ ছফা'র উদ্ধৃতি দিয়া এই নিয়া কিঞ্চিত আলোচনা করছিলাম। বাঙালি মুসলমান আধুনিকতারেও ছাড়তে পারেনা আবার শরীয়তের পক্ষেও ওকালতি করে। ফলে, আমিনীরা তাগো মাথায় কাঠাল ভাইঙা খায়, আর ইসলামোফোবিয়ার প্রচারকারীরা তাগো গায়ে জঙ্গীবাদের তকমা লাগাইয়া সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন চালাইতে পারে। আপনারা না পারেন ইসলামী শরীয়ত ফলো করতে (এই যুগে তা সম্ভবও না) আবার না পারেন আধুনিক আইন ব্যবস্থার প্রতি পুরাপুরি শ্রদ্ধা দেখাইতে। আমরা কিন্তু আধুনিক আইন ব্যবস্থার উপরে পূর্ণাঙ্গ শ্রদ্ধা রেখেই তা মানি এবং পরিবর্তন পরিমার্জনের চিন্তা করি।
--------------------------------------------------------------------------
আমার বক্তব্য হচ্ছে কোরআন বা হাদিসে বলা হয়েছে এমন কোন কথা তুলে ধরুন যেটি আপনি পছন্দ করেন না।
অনেক কিছুই তুলে ধরা যায়। তবে একসাথে সব প্রসঙ্গ না তুলে আমার সর্বশেষ পোস্টে করা একটা মন্তব্যের কপি পেস্ট দিচ্ছি। ঐ মন্তব্যে অবশ্য আমার আরেকটা পুরানা পোস্টের মন্তব্যের কপি পেস্ট আছে। নতুন করে কিছু লিখতে কষ্ট লাগছে বলে দুঃখিত।
আপনার এই মন্তব্য থেকে বুঝলাম যে ইসলামী শরীয়ত সম্বন্ধে আপনার তেমন কোন ধারণা নাই। নিজে যা ভালো মনে করেন সেইটাই আপনি ইসলাম মনে করেন। আপনি বলেছেন -
যুদ্ধে পরাজিত গোত্রের বেসামরিক নারী-শিশুদের দাস হিসেবে বন্দি করার আদেশ ইসলাম কখনোই দেয়নি। বরং ইসলাম বলেছে নারী ও শিশুদের যেন বিন্দুমাত্র ক্ষতি না হয় এবং ইসলাম নারীকে দিয়েছে সর্বোচ্চ সম্মান।
যুদ্ধে পরাজিতদের নারীদের দাস হিসাবে বন্দি করার আদেশ কোরআন এবং হাদিসে সুস্পষ্টভাবে দেয়া আছে। আমার একটা পুরনো পোস্ট ছিল "নৈতিকতার ভিত্তী এবং উৎস "। সেইখানে ইসলামী শরীয়ত যে এখনকার দিনে উপযুক্ত না এই নিয়া ব্লগার এক্সএর সাথে ব্যাপক বিতর্ক হইছি। ইসলামী শরীয়ত টাকায় কেনা দাসী এবং যুদ্ধ বন্দী দাসীদের সাথে সেক্স করাকে যায়েজ মনে করে, অনৈতিক মনে করে না। এক্স তর্ক করেছিল যে যুদ্ধবন্দীদের সাথে নিয়ম থাকলেও টাকায় কেনা দাসীর সাথে সেক্স করার অনুমতি ইসলাম দেয় নাই। তখন কোরআন হাদিস সহকারে রেফারেন্স দিয়েছিলাম। আপনাকে ঐ পোস্টের ৭০ নম্বর মন্তব্যের জবাব থেকে কিছু অংশ কপি পেস্ট দিচ্ছি।
সুরা আল-মুমিনুন মক্কায় অবতির্ণ হইছিল, হিজরতের আগে। এই সময় পর্যন্ত মোহাম্মদ কোন যুদ্ধে জড়ান নাই। সুতরাং যুদ্ধবন্দী দাসি বিষয়ে কোন আলোচনা থাকার কথাও না। কিন্তু দাসি জিনিসটা কিন্তু আরব কালচারে সেই সময়ও ছিল, দাস ব্যাবসা ছিল জানেন তো। এই দাসিদের সাথে যৌনতা নিয়া কোরআনে আল-মুমিনুন সুরায় প্রথম কোন বক্তব্য পাওয়া যায় সুরার ৫ এবং ৬ নম্বর আয়াতে। সেখানে বলা হইছে -
5 [Most certainly true believers] . . . guard their private parts scrupulously, 6 except with regard to their wives and those who are legally in their possession, for in that case they shall not be blameworthy.
অর্থাৎ, একজন মুমিন ব্যাক্তি শুধুমাত্র নিজের স্ত্রী এবং লিগালী অধিকারভুক্ত (দাসী বা উপস্ত্রী) ছাড়া আর কারো কাছে নিজের শরীর প্রদর্শন করতে পারবেন না। এই লিগালী অধিকারভুক্ত বলতে দাসী বা উপস্ত্রীদের কথাই যে বলা হইছে সেইটা যেমন এই আয়াত পরলে বোঝা যায়, তেমনি ইসলামী তফসিরকারীরাও দীর্ঘদিন যাবৎ তাই বইলা আসছেন। এর বিকল্প বোঝার কোন অবকাশ নাই। অর্থাৎ, যুদ্ধবন্দীদের শুধুমাত্র উপস্ত্রী বানানোর নিয়ম আছে এই দাবি সর্বৈব মিথ্যা। টাকা দিয়া দাসি সেই আমলে কেনা যাইতো, শুধুমাত্র যুদ্ধে পাওয়া যাইতো না। এইবার আসি ইসলামে যুদ্ধবন্দী নারীদের বিষয়ে কি বলা আছে। যুদ্ধবন্দী নারীদেরক উপস্ত্রী হিসাবে গ্রহণ করার ব্যাপারে ইসলামে যে নিয়ম আছে তাতে কি ঐ নারীর ব্যাক্তিগত ইচ্ছার কোন দাম ছিল? ছিল না। এমনকি সেই নারীর আগে কোন বিবাহ হয়ে থাকলেও বন্দী হওয়ার পর তার সেই বিবাহকে ভ্যালিড ধরা হতো না। সুরা নিসাতেই এই বিষয়ে বলা আছে যে
And forbidden to you are wedded wives of other people except those who have fallen in your hands (as prisoners of war) (4:24)
অর্থাৎ অন্য পুরুষের স্ত্রীদের সাথে যৌনতা নিষিদ্ধ হলেও যুদ্ধে পরাজিতদের স্ত্রীদের সাথে যৌনতা কোন সমস্যা না।
যেখানে সেই ৩০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে ভারতীয় আইনবেত্তা কৌটিল্য তার নীতি শাস্ত্র এবং তৎকালিন মগধ সাম্রাজ্যের সংবিধানে আইন দিয়ে গেছেন যে ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন নারীর সাথে যৌন সম্পর্ক গড়ে তোলা যাবে না সেইখানে যুদ্ধবন্দী নারীর ব্যাক্তিগত ইচ্ছার কোন দামই দেয় নাই ইসলামী নৈতিকতা। উলটো একজন যুদ্ধবন্দী নারীর সাথে সেক্স করাকে খুব স্বাভাবিক ভাবে নেয় ইসলামী শরিয়ত। আপনাকে এই বিষয়ে এবার একটা হাদিসের উদাহরণ দেই। বুখারী শরীফের হাদিস।
Narrated Buraida: The Prophet sent 'Ali to Khalid to bring the Khumus (of the booty) and I hated Ali, and 'Ali had taken a bath (after a sexual act with a slave-girl from the Khumus). I said to Khalid, "Don't you see this (i.e. Ali)?" When we reached the Prophet I mentioned that to him. He said, "O Buraida! Do you hate Ali?" I said, "Yes." He said, "Do you hate him, for he deserves more than that from the Khumlus." Volume 5, Book 59, Number 637
আমি সচরাচর এইসব নোঙড়া বিষয় এড়িয়ে যেতে পছন্দ করি। যেইসব মুসলিম ১৪০০ বছর আগের আইনে ফিরে যেতে চান না, এবং যুগোপযোগী নৈতিকতার সমর্থন করেন, তাদের সামনে কখনো আমি এইসব শরীয়াহ ভিত্তিক আইন নিয়ে টানা হ্যাচরা করি না। কিন্তু আপনি যেহেতু ১৪০০ বছর পুরনো সব নৈতিক ধ্যান ধারণা এখনো প্রয়োগের পক্ষপাতি, সুতরাং টানা হ্যাচরা করতে বাধ্য হলাম। এইবার আপনে আমারে পরিস্কার ভাষায় উত্তর দেন, আপনে কি যুদ্ধবন্দীদের সাথে বর্তমান যুগে উপরোক্ত হাদিসের মতো সেক্স করাকে সমর্থন করেন না করেন না? যদি না করেন, তাইলে আপনেও মানতে বাধ্য হলেন যে নৈতিকতা পালটায়, যুগে যুগে যুগের প্রয়োজনেই পালটায়। আর যদি সমর্থন করেন, তাহলে আমি আপনার নিশ্চিত শত্রু, আপনিও আমার। এইসব বর্বর প্রথার বিচার বিবেচনাহীন সমর্থকদের সাথে আলোচনার কোন অবকাশ আছে বলে আমি মনে করি না।
জবাবটা দিয়েছিলাম এক্স এর সাতেহ তর্কের প্রেক্ষিতে। আপনি যখন বলবেন যে ইসলাম এই সমর্থন করে এবং এই সমর্থন করে না তখন রেফারেন্স দেয়া ভালো। আপনি যদি শরিয়তী মুসলমান না হন, এবং কোরআন হাদিসের কট্টর অনুসরণের পক্ষে না হন, তাইলে আপনের ইসলামের সাথে আমার কোন সমস্যা নাই। ওপরে উল্লেখিত আয়াতের মতো কোরআন হাদিসে এমন অনেক আইন আছে যা আমাদের যুগে এবং বাঙালি সমাজে বর্বরতা ছাড়া অন্যকিছু মনে হবে না।
চুরির অপরাধে হাত কাটলে চুরি কমবে কি না জানিনা, তবে প্রতিবন্দী ভিক্ষুকের সংখ্যা যে অনেক বারবে তাতে কোন সন্দেহ নাই। প্রকৃত ন্যায় বিচারের সমাজে কর্মসংস্থান এমন পর্যায়ে পৌছবে যে কেউ চুরি করবেনা, যদি না কেউ মানসিক রোগী হয়, আর মানসিক রোগীর হাত কাটাটা নিশ্চয় বর্বরতা ছাড়া অন্যকিছু গণ করবেন না। সামান্য চুরির জন্য হাত কাটার চেয়ে জেল জরিমানাই কি অপেক্ষাকৃত নৈতিক না?
ব্যাভিচারীর যেই সংজ্ঞা ইসলাম দেয়, আমাদের সময়ে তা গ্রহণযোগ্য না। ইসলামী শরীয়ত অনুসারে পুরুষ ৪টা পর্যন্ত বিয়ে করতে পারে, যত খুশী দাসী রাখতে পারে, এসব ব্যাভিচার গণ্য হয় না। অন্যদিকে দুইজন অবিবাহিত নারী পুরুষ যৌন মিলনে লিপ্ত হলে তাদের পাথর ছুড়ে হত্যা করার বিধান আপনার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়?
জিজিয়া করের প্রেক্ষাপট কি আপনিই বলুন। সঠিক ইতিহাসটাই আমাদের দিন।
১২ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৮:৪৭
রিপেনডিল বলেছেন: আপনি কি ধুমপায়ী? যদি ধুমপায়ী হন তবে আপনি কি বাংলাদেশের প্রকাশ্য ধুমপান আইন সমর্থন করেন? যদি না করেন তাহলে আপনি রাষ্ট্রেদ্রোহী আর যদি করেন তবে আপনি নিজেই যা মানেন না তার সাফাই গাইবেন কেন?
আপনি কি মিথ্যা বলেছেন কখনো? মিথ্যা বলা সমর্থন করেন? নিজে মিথ্যা বলে কিভাবে মিথ্যা বলা কে খারাপ কাজ বলবেন?
জিজিয়া করের ব্যপারে ২৬ নং কমেন্ট টি দেখুন।
ইসলাম ৪ বিবাহের অনুমতি দিয়েছে তখনি যখন পূর্ববর্তী স্ত্রীদের অনুমতি থাকবে এবং প্রত্যেকের হক সমান ভাবে আদায় করার ক্ষমতা তার থাকবে। এটি একটি সুন্নত। এটি আইন নয়। এবং এটি বর্তমান সময়োপযোগী নয় কারন জনসংখ্যা বর্তমান সময়ের একটি বড় সমস্যা।
ইসলাম দাস প্রথা কে সমর্থন করে না। নবী নিজে এবং খলিফাগন অনেক দাস কিনে তাদের মুক্ত করে দিয়েছেন। যুদ্ধবন্দিদের সাথে যৌন সঙ্গমের ব্যাপারে আমার তেমন জানা নেই তবে আমি আপনাকে এই প্রশ্নের উত্তর দেব জেনে নিয়ে।
চুরির জন্য জেল জরিমানা নৈতিক কিন্তু এই নৈতিক আইন চুরি বন্ধ করতে পেরেছে? ২৭ নং কমেন্ট দেখুন।
১৯| ১২ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:৫১
জামিল আহমেদ জামি বলেছেন: পারভেজ আলম বলেছেন: জিজিয়া করের প্রেক্ষাপট কি আপনিই বলুন। সঠিক ইতিহাসটাই আমাদের দিন।
আমারো জানতে ইচ্ছা করে। শুনেছিলাম যাকাত সরকারীভাবে আদায় করা হত মুমিনদের কাছ থেকে, যা ছিল বাধ্যতামূলক। অমুলিমদের কাছ থেকে অনুরূপভাবে জিজিয়া কর নেওয়া হত, (সমান অধিকার টাইপ কিছু নাকি? )।/ সঠিক তথ্য জানতে চাই।
২০| ১২ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:৫২
মশিউর মামা বলেছেন: @ পারভেজ ভাই , দুইজন অবিবাহিত মানুষের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কের শাস্তি বেত্রাঘাত, পাথর ছুড়ে হত্যা নয় | বিবাহিতদের এই অপরাধের শাস্তি হত্যা | রেফারেন্স চাইলে এই মুহুর্তে দিতে পারবনা কিন্তু আমি জানি |
বিবাহিতদের এই শাস্তি বর্তমান প্রেক্ষাপটে হয়ত অমানবিক | কিন্তু আমি মনে করি এই রকম কঠোর শাস্তি হওয়া দরকার আছে | কারণ কোনো বিবাহিত এই রকম অনৈতিক সম্পর্কে জড়ালে সে কয়েকটি পরিবার এবং অনেকগুলি মানুষের জীবন দুর্বিসহ করে তোলে |
২১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:৫৭
দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: মহাশয়, আপনি মনে করেন যে সহি ইসলাম নামক কিছু একটার অস্তিত্ব আছে যেটি কিনা মানুষের ভালো ছাড়া মন্দ করে না।
অরএব আপনিই বলুন যে এই ধারণা আপনার কিভাবে জন্মাইল? ইসলামের ভাল করার ক্ষমতা যদি আপনি নিজ অভিজ্ঞতায় জানেন তবে সেই সহি ইসলাম এবং তাহার দ্বারা প্রাপ্ত ফল আপনার জানানো উচিত।
ইসলামের বানীর শত শত অনুবাদ এবং ব্যাখ্যার মধ্যে আপনি যেগুলি সহি বলিয়া মনে করেন সেগুলি আমাদের সম্মুখে আনিয়া দিন। সেইগুলি মানিয়া চলিলে অতীতে কি ফল হইয়াছে এবং ভবিষ্যতে কি হইতে পারে তাহার বিচার বিশ্লেষন করিয়া দেখান। তবেই তো যাহারা ঈমান হারাইয়াছে তাহারা হারানো ঈমান ফিরিয়া পাইবে।
আপনি এক অদৃশ্য আল্লাহের দান বলিয়া এক অদৃশ্য "সহি ইসলাম" আছে বলিয়া দাবী করিলেই সেই অজ্ঞাত "সহি ইসলাম" এর উপর ঈমান আনা কি সম্ভব?
আপনি আপনার "সহি ইসলাম" কে নির্দিষ্টভাবে স্থির করুন। তাহার পর সেই "সহি ইসলাম" এর বাহিরে যে সমস্ত মুসলিম "ঝুটা ইসলাম" এর উপর ঈমান রাখিয়া দুনিয়াকে জাহান্নাম বানাইতেছে তাহাদের সহিত জিহাদ করুন। সেই জিহাদ এ আল্লাহ নিশ্চয় আপনাকে বিজয়ী করিবেন। তাহার পর নাস্তিকদের সহিত আলোচনা করিলে ফল পাইবার আশা আছে।
আশা রাখি যেইদিন ওসামা বিন লাদেন, পারভেজ মুশারাফ, আয়াতুল্লা খোমেনী এবং জনাব গোলাম আজম দের ইসলামকে কোরাণ, হাদিশ, তাফসির ও শানে-নুজুল দেখাইয়া ঝুঠা প্রমাণ করিতে পারিবেন সেইদিন নাস্তিকের সামনে আপনার বিজয়ী "সহি ইসলাম" লইয়া আলোচনায় নিশ্চয় ফল পাইবেন। আর সেইখানে যদি হারিয়া যান তবে কেবল এইটুকুই বলিবার থাকিবেঃ-
"ইসলামই ইসলামকে ঝুঠা প্রমাণ করিয়া দেয়।"
১২ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৮:০২
রিপেনডিল বলেছেন: আমি আগেই বলেছি আমার তর্ক ইসলাম সত্য না মিথ্যা সেই বিষয়ে নয়। আমি ধর্ম প্রচার করতেও এখানে আসি নি। আমি বলতে চেয়েছি ইসলাম মানেই হল কোরআন এবং হাদীস। এই দুটিতে আপনি যদি কোন ভুল পেয়ে থাকেন তবে সেটি আলোচনা করুন। আপনি ইসলাম মানবেন নাকি মানবেন না সেটা আপনার ব্যপার তবে যারা ইসলাম কে বিশ্বাস করছে তাদের কেন অপমানিত করবেন যদি না তাদের কেউ আপনার প্রত্যক্ষ না পরোক্ষ কোন ক্ষতি করে থাকে।
২২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:৫৯
মশিউর মামা বলেছেন: জিজিয়া করের ক্ষেত্রে - কোনো মুসলিম রাষ্ট্রে বসবাসকারী সকল মুসলমানদের জন্য রাষ্ট্র আক্রান্ত হলে যুদ্ধ অংশগ্রহন বাধ্যতামূলক | কিন্তু অমুসলিমদের ক্ষেত্রে তা ঐচ্ছিক | এর পরিবর্তে তারা যে কর প্রদান করতে হয় তাই জিজিয়া কর |
২৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০১
জামিল আহমেদ জামি বলেছেন: পারভেজ আলম বলেছেন: চুরির অপরাধে হাত কাটলে চুরি কমবে কি না জানিনা, তবে প্রতিবন্দী ভিক্ষুকের সংখ্যা যে অনেক বারবে তাতে কোন সন্দেহ নাই। প্রকৃত ন্যায় বিচারের সমাজে কর্মসংস্থান এমন পর্যায়ে পৌছবে যে কেউ চুরি করবেনা, যদি না কেউ মানসিক রোগী হয়, আর মানসিক রোগীর হাত কাটাটা নিশ্চয় বর্বরতা ছাড়া অন্যকিছু গণ করবেন না। সামান্য চুরির জন্য হাত কাটার চেয়ে জেল জরিমানাই কি অপেক্ষাকৃত নৈতিক না?
শুধু এই আইন করলে তো হবে না। প্রথমে কর্মসংস্থান করতে হবে যেমন যাকাত, এটা পরীক্ষিত এবং প্রমাণিত; তারপর অভাব না থাকা সত্ত্বেও কেউ চুরি করলে তার জন্য কঠিন শাস্তি।
নাহলে পুকুরচোরদের পোয়াবারো। শেয়ার বাজার থেকে সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষের পেটে লাথি মেরে নিজেদের টাকার বস্তা যারা আরো মোটা করছে আর আরামসে ঘুরে বেড়াচ্ছে তাদের কি শাস্তি দেওয়া যায় এটা সেসব ভুক্তভোগীদের জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছা হয়.........
২৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৮:৩৬
মিথ্যাবাদী বলেছেন: ১২ নং এর উত্তরে লেখক বলেছেন: না সম্পূর্ন মেনে চলি না এবং সে জন্য আমি নিজের কাছে অনুতপ্ত। তবে আপনার এই প্রশ্ন টি প্রাসঙ্গিক নয়।আমার পোষ্টটি ইসলাম নিয়ে। তার খারাপ দিক গুলো নিয়ে আলোচনা করুন।
২৫ নং এর উত্তরে লেখক বলেছেন: আমি আগেই বলেছি আমার তর্ক ইসলাম সত্য না মিথ্যা সেই বিষয়ে নয়। আমি ধর্ম প্রচার করতেও এখানে আসি নি। আমি বলতে চেয়েছি ইসলাম মানেই হল কোরআন এবং হাদীস। এই দুটিতে আপনি যদি কোন ভুল পেয়ে থাকেন তবে সেটি আলোচনা করুন।
===================
ইসলামের খারাপদিক দেখাব নাকি কোরান হাদিসের ভুল? ইসলামের খারাপদিক তো অনেকেই তুলে ধরেছেন, কোরান হাদিসের ভুলও। আপনার অবস্থানই তো পরিস্কার নয়।
আর নিজেই যখন ইসলামের শরিয়ত মানেন না তখন কোরানে কী ভুল-সঠিক থাকল তাই নিয়ে এত মাথা ঘামানো কেন? নিজের সুবিধাবাদী অবস্থানটা পরিস্কার করার জন্য ধন্যবাদ।
১২ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৮:৫২
রিপেনডিল বলেছেন: কমেন্ট গুলো আবার খেয়াল করুন।
আপনি কি ধুমপায়ী? যদি ধুমপায়ী হন তবে আপনি কি বাংলাদেশের প্রকাশ্য ধুমপান আইন সমর্থন করেন? যদি না করেন তাহলে আপনি রাষ্ট্রেদ্রোহী আর যদি করেন তবে আপনি নিজেই যা মানেন না তার সাফাই গাইবেন কেন?
আপনি কি মিথ্যা বলেছেন কখনো? মিথ্যা বলা সমর্থন করেন? নিজে মিথ্যা বলে কিভাবে মিথ্যা বলা কে খারাপ কাজ বলবেন?
২৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৮:৫০
তারেক রহমান বলেছেন: শানে নু্যুল মানুষের লেখা নয়, শানে নু্যুল মানে ঐ সুরাটির অবতীর্ন হওয়ার কারন
কই পাইলেন ভাই সানে নুজুল মানুষের লেখা নয়? তয় কেডায় লেখছে??????????
১২ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৮:৫৫
রিপেনডিল বলেছেন: আপনি আমার কথার অর্থ বুঝতে পারেন নি অথবা বুঝেও না বোঝার ভান করছেন। শানে নু্যুল মানে ইতিহাস। মানুষের লেখা অবশ্যই তবে কল্পনা প্রসূত নয়। আমি এটিই বোঝাতে চেয়েছি।
২৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৯:০১
সন্যাসী বলেছেন: তার মানে আপনার আর গোলাম আজমদের মধ্যে পার্থক্য খুব কম। গোলাম আজমরা মাদ্রাসা শিক্ষার পক্ষে কিন্তু তার ছেলেরা বিদেশে গিয়ে উচ্চ শিক্ষা নিয়েছে। আর আপনি ইসলাম প্রাকটিস করেন না কিন্তু মানুষকে ইসলাম প্রাকটিসে উতসাহ দেন। যদিও তা ১৪০০ বছর আগের এক পূরান রদ্দি মাল বাস্তবতার প্রেক্ষিতে যা আসলে পরিপূর্ণ পালন করা সম্ভব নয়।
১২ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৯:১৪
রিপেনডিল বলেছেন: এই যুক্তিতে আপনার সাথেও গোলাম আজমের কোন পার্থক্য নেই, কেননা আপনি পরিপূর্ন শুদ্ধ মানুষ নন তবু শুদ্ধতার কথা বলেন।
আমার এই পোষ্টটি আবার ভাল করে পড়ুন আমি এখানে ইসলাম প্রচার বা ইসলাম ধর্ম সবাই পালন করুন এমন কোন কথা বলিনি, আমি বলেছি যে যা বিশ্বাস করে তাকে তা করতে দিন যদি না সে আপনার কোন ক্ষতি করে থাকে। আমি বলেছি ইসলাম এর কি কি ভুল আপনার চোখে পড়েছে সেটি আলোচনা করুন।
২৭| ১২ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৯:০৮
হোরাস্ বলেছেন: আপনার জ্ঞাতার্থে ....
অবিশ্বাসী কেউ ইসলামের সমালোচনা করলে মুসলমান ভাই-ব্রেদেরণদের উত্তেজিত হওয়ার কোন যৌক্তিক কারণ নাই।
২৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১০:০৪
মিথ্যাবাদী বলেছেন: লেখকের একটি বিষয় পরিস্কার হয়েছে তা হল- ইসলাম সে নিজে প্রাকটিস করুক বা না করুক ইসলাম একটি উৎকৃষ্ট ধর্ম। এটাই তার কথার মূল সুর।
কিন্তু আমরা কখন একটি জিনিসকে ভাল/উৎকৃষ্ট বলব? যখন সেটা যে ভাল তা পরীক্ষিত, তাইতো? ইসলাম কি পরীক্ষিত উৎকৃষ্ট? ধরে নিলাম, কোরান হাদিস খুব উৎকৃষ্ট। কিন্তু যদি কোরান হাদিস পড়ে বেশিরভাগ পাঠকই ঠিকমত না বুঝে এবং অনেকেই ভুল বুঝে সন্ত্রাসী-বোমাবাজ হয় তাহলে কি বলা যাবে কোরান-হাদিস খুব উৎকৃষ্ট গ্রন্থ?
আমরা বলি কচু খেলে গলা চুলকায়। কিন্তু সব কচু খেলেই কি গলা চুলকায়? না। তবে বেশিরভাগ কচুরই সাধারণ ধর্ম গলা চুলকানো। ইসলাম এবং কোরান হাদিসের বর্তমান অবস্থাও তাই। কিছু চুলকানো আয়াত-হাদিস দিয়েই ইসলামের বর্তমান এই কচু-টাইপ অবস্থা।
গ্রামের আরেকটা জনবহুল প্রবাদ: "এক বালতি গরুর দুধকে নষ্ট করার জন্য এক ফোটা চনা (গরুর মুত)ই যথেষ্ট।"
১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১০:৪৩
রিপেনডিল বলেছেন: কোরআন হাদীস পড়ে বেশির ভাগ মানুষ না বুঝে, বুঝে না কারন বেশীর ভাগ মানুষ কোরআন হাদীস বুঝে পড়ে না, শুধু তিলাওয়াত করে।
আপনি নিজে বুঝে পড়েছেন?কোরআন বলেছে খারাপ মানুষকে ধ্বংস কর। আপনি সেটাকে বানিয়ে ফেললেন কোরআন বলেছে মানুষকে ধ্বংস কর।
আমাদের দেশে যারা কোরআনের ভুল ব্যাখ্যার স্বীকার হচ্ছে তারা নিজেরা কোরআন পড়েনি, কিছু মানুষ তাদের কে কোরআন কিছু কর্তিত আয়াত মুখস্ত করিয়েছে। এবং এজন্য মানুষের নিরক্ষরতাও দায়ী। খেয়াল করে দেখবেন জংগীবাদী দের বেশির ভাগই অশিক্ষিত। এবং একজন অশিক্ষিত মানুষ্কে খুব সহজেই উষ্কে দেয়া যায়। বাংলাদেশ ইসলাম প্রধান রাষ্ট্র বলে এখানে ইসলাম কে ব্যবহার করা হচ্ছে, ইন্ডিয়াতে হিন্দু ধর্মকে ব্যবহার করে ফায়দা লুটেছে ব্রাহ্মন রা।এখন দোষ কাকে দেবেন? ধর্ম কে, নিরক্ষরতা কে নাকি মানুষকে ?
২৯| ১২ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১০:১১
তারেক রহমান বলেছেন: ভাই, আপনি কি কনফিউসড?
কমেন্ট নম্বর ১৭ এর জবাবে বলেছেন
শানে নু্যুল মানুষের লেখা নয়
আবার কমেন্ট নম্বর ৩০ এর জবাবে বলেছেন
" শানে নু্যুল মানে ইতিহাস। মানুষের লেখা অবশ্যই তবে কল্পনা প্রসূত নয়"(আমি কবে কইলাম কল্পনা পসুত?)
প্লিজ, আপনি ডিসাইড করেন কোনটা সত্যি , নাকি এখন আবার বলবেন আপনার কথাকে আমি বিক্রিত করেছি?
আর পূর্ববর্তি কমেন্ট গুলুতে যুক্তির ধারের কাছ দিয়েও গেলেন না, খালি বলছেন আমরা ভুল ব্যাক্ষ্যা দিচ্ছি কিন্তু আপনি রেফারেন্স বলতে কিছুই দিচ্ছেন না, আবার কেউ রেফারেন্স দিলে বলছেন সে কিছুই বূঝে না,
১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১০:৫০
রিপেনডিল বলেছেন: বিচার মানিনা তালগাছ আমার। তালগাছবাদী নাস্তিকদের এটিই বড় সমস্যা, যুক্তির ব্যখ্যা দিলে তারা সেটা বুঝে না
হুমায়ুন আহমেদ একটি গল্প লিখেছে আর হুমায়ুন আহমেন একটি ইতিহাস সম্পাদনা করেছেন, পার্থক্য বোঝেন? বুঝলে এই ব্যপারে আর প্রশ্ন করবেন না কারন উত্তর আমি আগেই দিয়েছি।
আমি প্রতিটি কমেন্টের উত্তর দিয়েছি সেগুলো ধরে ধরে আলোচনা করুন, অনির্দিষ্ট কথা বলবেন না।
৩০| ১২ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১০:২৯
ভালোবাসা মেঘ বলেছেন: Click This Link
৩১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১০:৪৭
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: লেখককেঃ
আপনি কিছু ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
যেমনঃ “কুরানে লিখিত কথাকে বুঝতে শানে নাজুল বা ব্যখ্যা দিয়ে বুঝতে হবে”
তবে কিছু বিষয়ে ভালো যুক্তিও দেখিয়েছেন।
আপনি পারভেজ আলম সাহেবকে বলুন, আপনি একজন মুমীন। প্রকৃত মুসলমান হওয়া অনেক কঠিন এবং আপনি তার চেস্ঠা করছেন।
মুমীন তিনিই, যিনি বিশ্বাস করেন (কোন যুক্তি ও লজিক ছাড়াই) যে, আল্লাহ আছেন এবং তার বিধান সত্য। আর মুসলমান তিনিই যিনি, বিধানগুলো মেনে চলেন।
কুরআনে, প্রথমে মুমীন হতে বলা হয়েছে, তারপর প্রকৃত মুসলমান হতে বলা হয়েছে। কেউ ইসলামের পূরো বিধান মেনে না চললে তার অর্থ এটা হতে পারেনা সে আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। মহান সৃষ্টিকর্তা তার অপার মহীমায় ক্ষমা করার ক্ষমতা রাখেন। কিন্তু প্রথম শর্তটি (মুমীন হবার) তো আপনি মেনে চলছেন..।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১০:৫৯
রিপেনডিল বলেছেন: সহমত
৩২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১০:৫৭
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: আসিফ মহীউদ্দিন বলেছেনঃ
.... এখন আমি যদি বলি, মুহাম্মদ একজন নরঘাতক ছিল, ধর্ষক ছিল, শিশূকামী ছিল, আপনি বলবেন, ওগুলা মিথ্যা ইতিহাস, ইহুদী নাসারাদের কৌশল।
১. সম্রাট আকবর, নেপোলিয়ন সহ সকল শাসক এবং বাংলাদেশর আদালতের বিচারক যারা মৃত্যুদন্ড দেন কেন নরঘাতক নয় ব্যাখা করুন।
২. মুহম্মদ (সাঃ) কাকে ধর্ষণ করেছেন রেফারেন্স দিন।
৩. আপনার দাদা, পরদাদা (যারা বৃটিশ আমলে বাল্য বিবাহা করেছেন) কেন শিশুকামী নয় ব্যাখ্যা করুন। নতুবা স্বীকার করুন আপনি শিশুকামীর বংশধর।
৩৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:০২
দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: লেখক ইচ্ছাকৃতভাবে কাজের লোক আর দাস, দুটোকে ঘুলিয়ে দিতে চাইছেন দেখেই তাঁর মূল উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ হয়। তবু লেখকের জন্য পরিষ্কার করে জানাই যে মহম্মদ মানুষ কেনা বেচা সমর্থন করতেন। আপনি করেন কিনা জানতে চাই।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:০২
রিপেনডিল বলেছেন: মুহাম্মাদ (সঃ) মানুষ কেনা বেচা সমর্থন করতে এ ব্যাপারে রেফারেন্স দিন।
৩৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:০৬
দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: আরো ভাল করেই জিগাইঃ-
মহম্মদ তাঁর দাস দের বেতন পাওয়ার, মালিক বদলানোর, কাজ ছেড়ে দেওয়ার অধিকার সমর্থন করতেন কিনা জানতে চাই। যেগুলো এখন "বাড়িতে কাজের লোকেরা" পেয়ে থাকে।
মহম্মদ দাসীদের বিছানায় তুলতেন কিনা এবং তোলার অধিকার অন্যদেরও দিয়েছেন কিনা জানতে চাই। এই অধিকার আপনি "বাসায় কাজের লোক" মহিলা হলে সমর্থন করেন কিনা জানতে চাই।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:০৫
রিপেনডিল বলেছেন: প্রথম অংশের উত্তর সমর্থন করতেন। তিনি নিজে বিলাল নামক একজন দাস কে ক্রয় করে মুক্ত করেছিলেন।
দাসীদের বিছানায় তুলতেন এ ব্যাপারে রেফারেন্স দিন।
৩৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:১৯
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: @আলবার্ট_আইনস্টাইনঃ
ইসলাম একটি বিধান। আপনি
১. হয় মানতে পারেন
২. অস্বীকার করতে পারেন।
দুটোই আপনার অধিকার। তবে আপনি যদি অস্বীকার করেন তবে, আমরা মুসলিমরা আপনাকে বোঝানোর চেস্ঠা (দাওয়াত) দিতে পারি কারণ, আমরা যারা মানি তাদেরকে শরীয়ত সেই শিক্ষাই দিয়েছে।
তবে আপনাকে বাধ্য করাটা আমাদের দায়িত্ব নয়।
যেখানে কোরআনে স্পস্ট বলা হয়েছে, "বলুন, তোমাদের দ্বীন তোমাদের জন্য আর আমাদের দ্বীন আমাদের জন্য" ... সেখানে আপনাকে বাধ্য করা হবে কোন যুক্তিতে?
কোরআনের ৬,৬৬৬ টা আয়াতে আপনার স্ববিরোধিতা থাকতে পারে, এবং সেজন্য আপনি সীমালংঘনকারী হতে পারেন। আপনি যেই গ্রন্থে বিশ্বাস রাখেন না সেটি নিয়ে আলোচনা হতে পারেনা, এবং যেটির ব্যাখ্যাও আপনার মনমত হবেনা। আপনাকে প্রথমত, যুক্তিছাড়াই ৭টি বিষয়ে বিশ্বাস রাখতে হবে, তাহলেই কোরআনের ব্যাখ্যা আপনার মনমত হবে।
ধর্মের প্রথম শর্ত ঈমান (বিশ্শ্বাস)। যারা অবিশ্বাসী তাদের জন্য তো কোরআন নয় ভাই। তাহলে কোরআন নিয়ে ঘাটাঘাটি করেন কেন? ভুল ধরতে?
৩৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:২৮
দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: কর্নেল সামুরাই@
আপনি ক্লিয়ার করে বলুন তো কোরান পড়ার পরে বিশ্বাস করব? নাকি আগে সব সত্যি বলে বিশ্বাস করে নিয়ে তার পরে পড়ব?
যদি বলেন আগে বিশ্বাস করে নিয়ে তার পরে পড়তে হবে (যারা অবিশ্বাসী তাদের জন্য তো কোরআন নয় ভাই। ) তবে প্রশ্ন হল কেবল কোরাণ কেন? আজ আমি নাস্তিক, কোনো ধর্মগ্রন্থেই বিশ্বাস করি না। এটাও নিশ্চিত বলতে পারি জন্মানোর সময় আপনিও তেমন কোনো বিশ্বাস নিয়ে পয়দা হন নি। তাহলে কোরান এর উপর টান হবে কেন? বেদ, গীতা, বাইবেল কিম্বা মায়া, ইনকা, জেন্দ-আবেস্তা এগুলোও ত ধর্মগ্রন্থ। এরাও আগে বিশ্বাস করে তারপর পড়তে বলে। আপনিই ভেবেচিন্তে বলুন যে আমি যদি সবগুলোতেই বিশ্বাস করে পড়ে ফেলি তার পর কি হবে? এদের মধ্যে কোনটা সত্যি আর কোনটা ভুল তার বিচার কি আমি বিশ্বাস দিয়ে করতে পারব?
৩৭| ১২ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:৩৬
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: ১. বাংলাদেশের আদালতের ব্যাখ্যাটি দিন। ১৯৭১ সালে আমরা পাকিস্হানি সেনাদের হত্যা করেছিলাম। সেটা কি নরহত্যা ছিল? যদি হয় কবে, এই হত্যাকান্ডটির মুক্তিযোদ্ধাদের বাহবাহ দেয়া হবে নাকি সেটি তাদের ত্রুটি বলে গণ্য হবে??
২. আগে রেপারেন্সে সংজ্ঞা নির্ধারণ করতে হবে। ড. ইউনুস যদি বলেন, আপনার মরহুম দাদা একজন ধর্ষক ছিলেন, সেটি কি রেফারেন্স হবে?
আপনি চাইবেন প্রমাণ। কেউ কিছু বললেই সেটা রেফারেন্স হয়না, দরকার পরে প্রমাণের। প্রমাণসহ পারলে হাজির করবেন, আলোচনা করা হবে। তবে, সম্মানিত ব্যাক্তির বিরুদ্ধে ভুল দোষ আরোপাত নিজের ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়ায়।
৩. আপনার কাছে (আজকের সমাজের সাপেক্ষে) মনে হচ্ছে, বাল্যবিবাহ একটি অপরাধ। আপনার দাদাদের আমলে কি সেটি মনে করা হত? এরজন্য কোনো শাস্তির বিধান ছিল?
৩৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:৫০
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: দু-পেয়ে গাধঃ
১. হযরত মুহম্মদ (সাঃ) আগে কলিমা পড়িয়েছেন (বিশ্বাস স্থাপনের হলফনামা) তারপর কোরআন দিয়েছিলেন। কাইকে কোরআন দিয়ে বিশ্বাস স্থাপন করাননি। আপনি যদি বিশ্বাসই না রাখেন, আল্লাহ আছে, তার বাণী আসে কোথা থেকে?
২. আপনি বিশ্বাস স্থাপন করেই, বাইবেল গিতা, সব পড়ুন (মোডিফাই না হওয়া ভার্সন)। বাইবেল, গিতায় পরবর্তী কোনো মেসেন্জারের কথা বলা হয়েছে এবং তার বানী মেনে চলতে বলা হয়েছে, সেই কথা অনুসারে কোরআনে আসুন। কোরআনে বলা হয়েছে, এটিই সর্বশেষ কিতাব, সুতরাং আপনার আর এগুনোর সুযোগ নেই।
তবে এই কথাটি বিশ্বাস না করলে, হাজারটা এন্টিলজিক তৈরী করা সম্ভব।
৩৯| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:০৯
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: আলবার্ট_আইনস্টাইন
ইসলাম রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার সাথে জড়িত সত্য। তবে সেই ব্যবস্থা মেনে চলবে মুসলমানরা। যারা হিন্দু তাদের মন্দির ভেঙ্গে ফেলাটা বা তাদের উপর জুলুম করবে ইত্যাদি... ইসলামী শাসনের অন্তর্ভুক্ত নয়। জঙ্গিবাদ ইসলাম সমর্থীত কোনো প্রক্রিয়া নয়, ইসলাম যুদ্ধ সমর্থন করে এবং সেই যুদ্ধেরও কিছু সুনির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে (যেমনঃ শিশু-বৃদ্ধ হত্যা করা যাবেনা, গাছ কাটা যাবেনা, যারা আত্মসমর্পন করবে তাদের হত্যা করা যাবেনা.. ইত্যাদি ইত্যাদি)
এখন আপনি যদি ইসলামী শাসনের বিরুদ্ধে হন তবে আপনি অবশ্যই এর বিরুদ্ধে অংশগ্রহণ করবেন (যেমনটা যুগে যুগে হয়ে আসছে)।
অন্যদিকে ইসলামী শাসন পন্থিরাও আপনাকে প্রতিহত করবে।
ফলাফল একটি যুদ্ধ, যেখানে হয় আপনি তাদের হত্যা করে আপনার শাসন প্রতিস্ঠা করবেন, নয়তো তারা আপনাদের হ্ত্যা করে তাদের শাসন প্রতিষ্ঠা রাখবে।
... বর্তমানে ইসলাম অনেক ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে এবং ক্ষমতা লোভীরা ইসলামকে স্বার্থে ব্যবহার করছে। আপনাকে প্রকৃত ইসলামী শাসন জানকে হবে। নতুবা বিতর্কের জন্ম দেবে ও ইসলাম কলুষিত হবে, যেমনটা হয়েছে আজকের সমাজে।
৪০| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:৫৭
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: দেখেন, মহানবী (সা) এর জীবনী "শ্বাশ্বত" এমন তথ্য আমি কোরআনে কোথাও পাই নাই। আপনি পাইলে রেফারেন্স দেন।
ভালো মানুষের সংগা আপনার আছে এক, গারো মারমা উপজাতির কাছে এক, ইউরোপীয়ানদের কাছে এক।
ভাইবোনের সেক্স আমাদের কাছে অনৈতিক হলেও কোন সমাজ ও যুগ সাপেক্ষে নৈতিক হতে পারে।
বিশ্বাসীরা, তাদের সাপেক্ষে মহানবী (সা) কে সর্বযুগের সর্বশ্রেস্ঠ মানুষ বিবেচনা করতে পারে, আবার আপনার সাপেক্ষে তিনি চরম খারাপ মানুষ হতে পারেন। মহানবী (সা) নিজেকে শ্বাশ্বত দাবী করলে সেটি নিয়ে আলোচনা করা যেত,
কিন্তু যেটি নিজেকে "শ্বাশ্বত" দাবী করে সেই কোরআনের আলোচনায় যাই।
কোরআন নিজেকে শ্বাশ্বত (সর্বকালের) বলে ঘোষণা করে। ১৪০০ বছর পরও আমরা এর প্রতিটি কথা মানার চেস্ঠা করি, এবং করা হবে। আর যদি কোন নতুন সমস্যা পাওয়া যায় তবে কোরআনের নির্দেশ মত, কিয়াস-ইজমার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। ফলে, নতুন পদ্ধতিও শ্বাশ্বত বানীর নির্দেশ মতই করা হল।
আপনি শ্বাশ্বত কথাটা সবখানেই লাগায়া ফালাইতেচেন কেন বুঝতেছি না। "ইসলামী জীবন ব্যবস্থা শ্বাশ্বত" এটা কোথায় পেলেন? ইসলামী জীবন ব্যবস্থা শ্বাশ্বত গ্রন্থ কেন্দ্রিক। গ্রন্থে যেরকম নির্দেশ দেয়া আছে ব্যবস্থা তেমন হবে। আমাদের দেশে দাসী প্রথা নাই তাই বউ কেন্দ্রিক বিধান পালন করি, কেউ যদি দাসী পায় সে সেইমত বিধান পালন করবে।
মোটকথা, সকল যুগের বিধানের ব্যবস্থা (শ্বাশ্বত) সেখানে দেয়া আছে সবসময়েরে প্রেক্ষিতে। আপনার যেটি প্রযোজ্য আপনি নেবেন।
এখানে কনফিউশন কোথায় বুঝতেছি না।
৪১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:০৪
সাইফ বাঙ্গালী বলেছেন: পর্যবেক্ষন করছি
৪২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:১০
দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: কর্নেল সামুরাই@
মোডিফাই না হওয়া ভার্সন বলতে কি বোঝান সেইটাই তো সমস্যা। কিভাবে বুঝব যে মোডিফাই হয়েছে কিনা? মহম্মদের মারা যাওয়ার পর যে কোরাণের একাধিক ভার্সন লেখা হয়েছিল এবং তার থেকে একটি রেখে বাকিগুলি নষ্ট করে দেওয়া হয় এটা কি অস্বীকার করেন?
গীতা বা বাইবেল আরো আগের। সেগুলির ব্যাপারে কোনো নিরপেক্ষ তথ্যই নাই। আপনার যেই ভার্সনটা রিয়েল মনে হবে আর এক জনের সেটা নাও হতে পারে। কাজেই যতগুলি ভার্সন থাকবে ততগুলি ভার্সনের "সহি ইসলাম" তৈরী হতে পারে।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:৪০
রিপেনডিল বলেছেন: কোরআনের যেসব বিকৃত ভার্সন তৈরী হচ্ছিল সেগুলো কে ধ্বংস করা হয়েছে উসমান (রাঃ) এর আমলে। আল্লাহ নিজে বলেছেন কোরানের হেফাজত তিনি নিজে করবেন। এখন পর্যন্ত সারা পৃথিবীতে সর্বজন গৃহীত কোরানের একটি ভার্সনই বিদ্যমান।
৪৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:১০
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: তালগাছি মনোভাবটা এখনো ছাড়তে পারেন নাই দেখি
একটু পর পর আমি জিত্তা গেছিরে তুমি ভাগো টাইপ লেবুনচুষ টাইপ মন্তব্য ছাড়বা কবে?
সবাই খালি রেফারেন্স কয়া কয়া মুখেও চামড়া তুল্লা ফেললো, কিন্তু রেফারেন্স কই?
দাঁড়িপাল্লা
প্রকৃত ইসলামী শাসন কোরআন থেইকা দেইখা লন :-<
আর আপনার রেপারেন্স নিয়া আসেন..
একই প্যাচাল বারবার পাড়তে পাড়তে বিরক্ত হয়া গেছি। ঘুরায় ফিরায় একই কথা বারবার...
৪৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:১৫
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: দাঁড়িপাল্লা
আগে রেফারেন্স দে রে ভাই... কুরআনে অমুক বলা আছে, তমুক বলা আছে,
হারিকেন না সার্চ লাইট দিয়া খুইজা আগে কও কোন আয়াত নিয়া কথা কইতাছো।... (কাইল নাস্তিক মুহাদ্দিস গো রেফারেন্স দেখতে আমু । আপাতত ঘুমাই। :-<
)
৪৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:১৬
দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: আমার প্রশ্নগুলার উত্তর কই? লেখক তো নাই দেখি। অন্য কেউ কি দেবেন উত্তর?
১) যে মহম্মদ মানুষ কেনা বেচা সমর্থন করতেন কিনা।? আপনি করেন কিনা জানতে চাই।
২) মহম্মদ তাঁর দাস দের বেতন পাওয়ার, মালিক বদলানোর, কাজ ছেড়ে দেওয়ার অধিকার সমর্থন করতেন কিনা জানতে চাই। যেগুলো এখন "বাড়িতে কাজের লোকেরা" পেয়ে থাকে। আপনি এই অধিকারগুলি সমর্থন করেন কি?
৩) মহম্মদ দাসীদের বিছানায় তুলতেন কিনা এবং তোলার অধিকার অন্যদেরও দিয়েছেন কিনা জানতে চাই। এই অধিকার আপনি "বাসায় কাজের লোক" মহিলা হলে সমর্থন করেন কিনা জানতে চাই।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:৪২
রিপেনডিল বলেছেন: উপরে উত্তর দিয়েছি দেখে আসুন
৪৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:২৬
পারভেজ আলম বলেছেন: আসিফ ভাই@ ওনারা যদি মনে করেনই যে, হাদিসে যাই থাকুক না কেন শরীয়ত কোন শ্বাসত বিষয় না, তাইলে তো আর বিতর্কের কোন দরকার দেখি না। আমরাও মনে করি, ইসলামী শরীয়ত সর্বকালের জন্য শ্বাসত কোন বিষয় না। শরীয়ত না মাইনাও অনেকে নিজেরে মুসলমান দাবি করে। কে নিজেরে কোন ধর্মের দাবি করবে এইটা তার নিজস্ব ব্যাপার। মধ্যযুগীয় শরিয়তী আইন লগে নিয়া আমাদের সাথে ফাইট না দিতে আইলে তো কোন সমস্যা নাই।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:৫৩
রিপেনডিল বলেছেন: আমি আমার অবস্থান পরিষ্কার করছি। আমি মুমিন (অর্থাৎ আমি বিশ্বাসী) এবং পরিপূর্ন মুসলমান (অর্থাৎ কোরআন এবং হাদীস অনুসারে সকল কাজ করে যে) হওয়ার চেষ্টায় আছি।
কোরআন এবং হাদীস শ্বাস্বত এবং যুগের চাহিদা অনুসারে যদি নতুন কোন বিধানের প্রয়োজন হয় তবে কোরআন এবং হাদীসের আলোকে ইজমা এবং কিয়াসের মাধ্যমে নতুন বিধান তৈরী করা যাবে। এই ক্ষেত্রে শরিয়তের বিধান পরিবর্তনশীল।
৪৭| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:৪৬
পারভেজ আলম বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি কি ধুমপায়ী? যদি ধুমপায়ী হন তবে আপনি কি বাংলাদেশের প্রকাশ্য ধুমপান আইন সমর্থন করেন? যদি না করেন তাহলে আপনি রাষ্ট্রেদ্রোহী আর যদি করেন তবে আপনি নিজেই যা মানেন না তার সাফাই গাইবেন কেন?
আপনি কি মিথ্যা বলেছেন কখনো? মিথ্যা বলা সমর্থন করেন? নিজে মিথ্যা বলে কিভাবে মিথ্যা বলা কে খারাপ কাজ বলবেন?
একেবারেই ভুল উদাহরণ দিলেন। কোন আইন বা আদর্শের অনুসরণ করা মানে এই না যে কেউ তা শতভাগ করতে পারে, মানুষের আইন যেই পারফেকশনের মানদন্ড তৈরি করে সেই পারফেকশন শতভাগ সমাজে উপস্থিত থাকেনা বইলাই আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলা কার্যকর থাকে।
আলোচনার খাতিরে ধরা যাক যে আমি ধুমপায়ী এবং প্রকাশ্যে ধুমপানের মাধ্যমে প্রচলিত আইনের প্রতি অশ্রদ্ধা জ্ঞাপন করি। এর মানে এই না যে আমি আধুনিক সেকুলার আইনের বিরোধী। কারণ, আমার জীবন যাপন, শিক্ষা ব্যবস্থা, আইন আদালত, নীতি নৈতিকতা ইত্যাদি আধুনিক এবং সেকুলার ধারার, হয়তো শতভাগ পারফেক্ট না। আর সেকুলার আইনের প্রতি আইনের প্রতি আনুগত্যের কারণেই আমি প্রচন্ড রকম শরীয়ত বিরোধী। আপনি যদি শরীয়তী আইনের সমর্থক হন, অনুগত হন, শতভাগ পালন করতে না পারলেও আপনাদের ভাষায় মানব লিখিত সেকুলার আইনের এবং আধুনি জীবন যাপনের প্রচন্ড বিরোধী হওয়ার কথা আপনার। কিন্তু বাস্তবে আপনার আমার দেখা হলে দেখবেন, সমকালীন মানুষ হওয়ায় আপনার আর আমার মাঝে জীবন যাপনের খুব বেশী তফাৎ নাই, নৈতিকতায়ও খুব বেশী হয় তো নাই। আপনি এবং আমি দুইজনেই বহু বিবাহ এবং দাসীর সাথে যৌনতা সমর্থন করি না, এইটা উপরের আলোচনাতেই পরিস্কার হইছে। আপনি শরিয়তী আইন সম্বন্ধে তেমন কিছু না জেনেও তার প্রতি একধরণের আনুগত্য ধরে রেখেছেন, যা আপনার মধ্যে এক ধরণের বাঙালি মুসলমানের গরমিল জাতীয় কমপ্লেক্সের সৃষ্ঠি করেছে, যা থেইকা আমি অনেকটাই মুক্ত, এই হলো পার্থক্য।
--------------------------------------------------------------------------
লেখক বলেছেনঃ ইসলাম ৪ বিবাহের অনুমতি দিয়েছে তখনি যখন পূর্ববর্তী স্ত্রীদের অনুমতি থাকবে এবং প্রত্যেকের হক সমান ভাবে আদায় করার ক্ষমতা তার থাকবে। এটি একটি সুন্নত। এটি আইন নয়। এবং এটি বর্তমান সময়োপযোগী নয় কারন জনসংখ্যা বর্তমান সময়ের একটি বড় সমস্যা।
এই তো, লাইনে চলে এসেছেন। বর্তমান সময়োপযোগী নয়, এইটা উল্লেখ করেছেন। অর্থাৎ ইসলাম চার বিবাহের অনুমতি দিলেও আমাদের সময়ে আমাদের দেশে এইটা গ্রহণযোগ্য না। শরীয়ত অনুমতি দিলেও আমরা অনুমতি দিতে বাধ্য না। শরীয়ত নারী পুরুষের সম্পত্তি ভাগের যেই বিধান দিয়েছে সেইটাও আমরা মানতে বাধ্য না। আমাদের আইন আমাদের সময়োপযোগী হতে হবে। কিছুক্ষন আগে আপনি শরীয়তী আইনের প্রতি যেই আকুন্ঠ সমর্থন দিচ্ছিলেন এখন কিন্তু তা থেকে আপনি সরে এসেছেন।
চুরির জন্য জেল জরিমানা নৈতিক কিন্তু এই নৈতিক আইন চুরি বন্ধ করতে পেরেছে?
যেসব দেশে চুরির জন্য হাত কাটা হয় সেসব দেশে কি চুরি বন্ধ হয়েছে?
যুদ্ধবন্দীদের সাথে যৌনতা এবং দাসপ্রথা বিষয়ে সুন্নি ইসলামে সহিহ স্বিকৃত হাদিসের রেফারেন্স আমি এবং আইনস্টাইন দিয়েছে। এই হাদিসগুলা না মাইনাও আপনে মুসলমান থাকতে পারেন। অনেকেই এইসব হাদিস না মাইনাও মুসলমান আছে। কিন্তু আপনি শরীয়তের দোহাই দিয়া এইসব হাদি সমর্থন করলে ভিন্ন কথা। সেইক্ষেত্রে আপনি পরিস্কারভাবেই আমাদের কাছে মধ্যযুগীয় বর্বরতার সমর্থক হিসাবে চিহ্নিত হবেন।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:০৫
রিপেনডিল বলেছেন: শরীয়তের ফরজগুলোর ব্যপারে প্রশ্ন তুলুন। মহানবী ৪ বিবাহ করেছিলেন, কেন করেছিলেন সেই প্রেক্ষাপট চিন্তা করুন এবং এই যুগে যদি এমন পরিস্থিতি চলে আসে এবং কেউ মহানবীর এই আদর্শ অনুসরন করে তবে আমি তাকে সমর্থন করব। শরীয়ত বহুবিবাহ কে ফরজ করে নি। এটি একটি অপশন, যদি উপযুক্ত কারন এবং প্রেক্ষাপট সৃষ্টি হয় তবে আপনি চাইলে সেটী করতে পারেন, না করলেও সেটা আপনার ইচ্ছা।
যে চোরের হাত কাটা হয়েছে সেই চোর অন্তত আর চুরি করবে না তবে এই দেশে যে চোর একবার চুরি করে জেলে গেছে সে আবারো চুরি করছে।
আমি বর্তমান সমাজ ব্যবস্থার সেই সব আইনের সমর্থন করি যেগুলো শরীয়ত ও সমর্থন করে এবং সেই সব আইনের বিরোধীতা করি যেগুলো শরীয়ত বিরোধী, যেমন মদ্যপান।
৪৮| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:৫৪
পারভেজ আলম বলেছেন: মশিউর মামা@ ধন্যবাদ ভুল ধরিয়ে দেয়ার জন্য। তবে অবিবাহিতদের যৌনতার জন্য বেত্রাঘাত করাটাও কিন্তু আমাদের সময়ে গ্রহণযোগ্য না, বাঙালি সমাজে কোনকালেই না।
আর যিজিয়া কর বিষয়ে আপনি যা বলেছেন তা সমালোচনার মুখে এপলজিস্টিক উত্তর, এই উত্তর আমি আগেও শুনেছি এবং এটা এক ধরণের মিথ্যাচার। মিথ্যাটাকে এইখানে খুব ট্যাকনিকালি উপস্থাপন করার চেষ্টা করা হয়েছে, তাও সত্য লুকানো যায় নাই। আপনার কথা যদি মানি তাইলে বলতে হবে যে ইসলামী রাষ্ট্র বহিঃশত্রুর হাতে আক্রান্ত না হইলে অমুসলিম নাগরিকের যিজিয়া কর দিতে হইত না, যা বাস্তবে শতভাগ মিথ্যা। বাস্তব বিষয়টা এমন, অমুসলিম নাগরিক যদি মুসলিম সেনাবাহিনীতে যোগ দিত অথবা মুসলমানদের পক্ষে যুদ্ধে যোগ দিত তাইলে যিজিয়া কর মওকুফ করা হইতো। যিজিয়া অথবা মৃত্যু, এই বিধানের পক্ষে যদি শরিয়তী রেফারেন্স চান তো দিতে পারি।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:০৮
রিপেনডিল বলেছেন: ইসলামী সমাজ ব্যবস্থায় মুসলমানগন যাকাত দানের মাধ্যমে ভুমিকা রাখে, যাকাত শুধু মুসলমানদের জন্যই ফরয। এখন এই শাসন ব্যবস্থায় যদি বিধর্মীদের জন্য অনুরূপ কর প্রদানের ব্যবস্থা না থাকে তবে সেটী হবে পক্ষপাতিত্ব।
৪৯| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ২:২০
দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: ইসলামের প্রকৃত বিধানগুলো খেয়াল করলে দেখবেন সেগুলো সব যুগের জন্যই উপযুগী। এবং ইসলামে ইজমা এবং কিয়াস নামে ২টি ব্যপার হয়েছে। যুগের প্রয়োজনে যদি কোন বিধান কোরআন বা হাদিসে সুস্পষ্টভাবে পাওয়া না যায় তবে সমাজের কয়েকজন গুনী ব্যক্তি মিলে উপযোগী বিধান প্রয়োগ করতে পারেন।
===============
সমাজের এই গুণী ব্যক্তিদের কি যোগ্যতা থাকা দরকার সে বিষয়ে জানতে চাই। সেই গুণী ব্যক্তিরা কি যেকোনো ধর্মের হতে পারেন? নারী পা পুরুষ দুইই হতে পারেন? অনাথ বা জারজ কিম্বা মোল্লার পুত যা খুশি হতে পারেন?
১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:১১
রিপেনডিল বলেছেন: ইজমা এবং কিয়াস কোরান এবং হাদিসের আলোকে দেয়া হয় সুতরাং সেই গুনী ব্যক্তিদের মুসলিম হতে হবে। অতঃপর সে অনাথ, নারী বা পুরষ যাই হোক না কেন, সে যদি জ্ঞানী হয় তবে তার কথা গ্রহনযোগ্য।
৫০| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:১৮
রিপেনডিল বলেছেন: ব্যক্তিগত আক্রমনমূলক কমেন্টগুলো মুছে ফেলা হল।
৫১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:৩১
পারভেজ আলম বলেছেন: বারবার ফরজ ফরজ করতাছেন কেন? নৈতিক আইন কি শুধু কি করতে হবে তা, না কি তোমার কি কি করার অনুমতি আছে তাও? তোমার মদ্যপানের অনুমতি নাই, এইটা যেমন ইসলামের আইন তেমনি তোমার চারটা বিয়া করার অনুমতি আছে এইটাও ইসলামের আইন। যেহেতু অনুমতি আছেই তাইলে কেউ যদি করতে চায় এবং তার যদি ৪ বিবাহ করার মতোন অর্থ এবং সময় থাকে তাইলে আপনে ইসলামী শরীয়তের মাধ্যমে তার এই অনুমতি কোন প্রকারের ইজমা কিয়াসের মাধ্যমে রোহিত করবেন ব্যাখ্যা করেন? ফিকহ শাস্ত্র সম্বন্ধে আমার কিঞ্চিত পড়াশোনা আছে, আমি জানি এইটা কারা করতে পারবে এবং করলে কোন কোন মুসলিম আইন সম্প্রদায় আবার এইটা মানবেও না। ফিকহ শাস্ত্র এবং ইজমা কিয়াস সম্বন্ধে আপনের খুব একটা ধারণা নাই বলেই মনে হয়, তাও যেহেতু বারবার বলছেন তো আপনেই উত্তর দেন।
কোরআন এবং হাদীস শ্বাস্বত এবং যুগের চাহিদা অনুসারে যদি নতুন কোন বিধানের প্রয়োজন হয় তবে কোরআন এবং হাদীসের আলোকে ইজমা এবং কিয়াসের মাধ্যমে নতুন বিধান তৈরী করা যাবে। এই ক্ষেত্রে শরিয়তের বিধান পরিবর্তনশীল।
ঠিক আছে। আপনে তাইলে যুদ্ধবন্দী দাসীর বিষয়ে ইজতেহাদ (ইজমা অথবা কিয়াস অথবা দুইটাই) কইরা নতুন রায় দেন। উপরে আমার এক মন্তব্যে বুরাইদা বর্ণীত বুখারী শরীফের একটা হাদিস দিছিলাম, যেই হাদিসে আছে যে আলী যুদ্ধবন্দী এক নারীরে গণিমতের মাল গণয় কইরা ভোগ করছে এবং মোহাম্মদের কাছে বুরাইদা অভিযোগ দেয়ার পর মোহাম্মদ আলীর পক্ষে সমর্থন দিছে। পাকিস্তানীরা একাত্তরে এই গণিমতের মাল থিওরিতে বাংলাদেশের বহু নারীরে যুদ্ধবন্দী বানায়া ধর্ষন করছে। এখন কোরআন এবং হাদিসে যেহেতু যুদ্ধবন্দী নারীদের গণিমতের মাল হিসেবে ভোগ করার অনুমতি দেয়া আছে, সুতরাং এই বিষয়ে বর্তমান দুনিয়ায় আপনের কাছে ইজতেহাদ সহকারে নতুন ব্যাখ্যা দাবি করছি। আমরা কি সুরা নিসার ঐ আয়াত এবং বুখারির ঐ হাদিস খানা বর্তমান সময়ের জন্য বাতিল গণ্য করবো?
৫২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:৩৬
পারভেজ আলম বলেছেন: ভালো কথা। ইজমা কিয়াসের প্রয়োগ মুসলিম আইনশাস্ত্রে কবে থেইকা মোটামুটি বন্ধ হইয়া গেছে জানেন? ফিকহ শাস্ত্রে নিজস্ব বিচার বুদ্ধি প্রয়োগ কত সালে রোহীত হইছিল জানেন?
৫৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:১১
পারভেজ আলম বলেছেন: কর্নেল সামুরাই বলেছেনঃ কোরআনের ৬,৬৬৬ টা আয়াতে আপনার স্ববিরোধিতা থাকতে পারে, এবং সেজন্য আপনি সীমালংঘনকারী হতে পারেন।
হায়রে কর্নেল, কোরআনের আয়াত সংখ্যা কত তাও জানেন না? মুসলমান না হইতে পারেন, মুমিন হইলেও তো এইটা জানার কথা।
৫৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:২২
দু-পেয়ে গাধ বলেছেন:
১) লেখক বলেছেন: মুহাম্মাদ (সঃ) মানুষ কেনা বেচা সমর্থন করতে এ ব্যাপারে রেফারেন্স দিন।
২) লেখক বলেছেন: প্রথম অংশের উত্তর সমর্থন করতেন। তিনি নিজে বিলাল নামক একজন দাস কে ক্রয় করে মুক্ত করেছিলেন।
============
মহম্মদ যে নিজেই একটি দাস কিনেছিলেন তার রেফারেন্স আপনিই দিলেন। যিনি মানুষ বিক্রি করার বিরোধী তিনি কিভাবে মানুষ কিনলেন?
মহম্মদের আগে, সমকালে এবং পরে এই ব্যবসা চালু ছিল। আপনি কি দেখাতে পারবেন যে উনি এটার বিরোধিতা করেছেন?
যিনি "যুদ্ধে কখনো সন্ধি না করে জয়লাভ পর্যন্ত যুদ্ধ করার" উপদেশ দেন তিনি দাস ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কি আইন দিয়েছিলেন জানালে ভালো হয়।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:৩৬
রিপেনডিল বলেছেন: তিনি বেলাল (রাঃ) কে ক্রয় করেছিলেন মুক্ত করার জন্য, এই কথাটি কি আপনার চোখে পড়েনি?
৫৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:৩৮
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: আসিফ মহিউদ্দীন বলেছেনঃ (কমেন্ট 53)
১. ... বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় কোন মুক্তিযোদ্ধা যদি পাকিস্তানী কোন পরিবারের উপরে অত্যাচার করে থাকে, কোন পাকিস্তানীকে হত্যা করে তার বিধবা স্ত্রীর সাথে ছহবত করে থাকে, কোন পাকিস্তানী নারীকে ধর্ষন করে থাকে বা যৌনদাসী বানায়, সেটা অবশ্যই অপরাধ বলে বিবেচিত হবে। সে মুক্তিযোদ্ধা হোক আর যেই হোক, মানবতার দৃষ্টিতে এমন জঘন্য কাজ কেউ করে থাকলে অবশ্যই তার শাস্তি পেতে হবে।...
-----------------------------------------------
প্রশ্ন ১: পাকিস্তানী সেনার বিধবা ও অসহায় স্ত্রীকে কোন মুক্তিযোদ্ধা যদি বিয়ে করে তাকে খাদ্য, আশ্রয় ও নিরাপত্তা প্রদান করে থাকে সেটি তার দোষ হবে না মহৎগুনের পরিচয় হবে?
আপনি “ধর্ষণ” কথাটার মানে কি বোঝেন ভালোভাবে বলেন। ইসলাম বিবাহ বহির্ভূত কোনো যৌণ সম্পর্ককে সমর্থন করেনা। (এমনকি বেহেশতে হুর পরিদের সাথে আগে বিয়ে দেবার কথা বলা হয়েছে যদিও তারা যৌন দাসী)
২. আপনি রেফারেন্স দেখান বিয়ে বহির্ভূত ধর্ষণের ঘটনা কোন যুদ্ধে ঘটেছে সাহাবাদের দ্বারা?
৩. মুহম্মদ (সা) বিয়ে বহির্ভূত কার সাথে যৌন সম্পর্ক করেছে রেফারেন্স দিন।
দিতে না পারলে “ধর্ষণ” কাকে বলে শিখে আসেন... বাচ্চা-কচ্চা টাইপ কথাবার্তা কম লাইক করি।
২. মুহাম্মদের জীবন অনুসরন করে কেউ যদি ৫৪ বছর বয়সে ৬ বছরের বালিকা বিয়ে করার বায়না ধরে, (এবং শরিয়ত এর অনুমতিও দেয়), তাহলে এটা কার দোষ?
------------------------------------------------
বেসিক কমনসেন্স থাকলে আপনি জানবেন, বয়সন্ধিকালের আগে কোনো মেয়ের সাথে যৌণসম্পর্ক স্থাপন সম্ভব নয়।
কোনো মেয়ে যদি যৌনজীবণ পালনে সক্ষম হয়, তার পিতা ও নিজের আপত্তি না থাকে ৫৪ বয়স্ক কাউকে বিয়ে করার (বরং গৌরবের সাথে গ্রহণ করে)... তাইলে আপনার সমস্যা কোথায় সেটা বুঝতে মনেহয় পাবনা থেকে আমার ৩ মাসের ট্রেনিং নিয়া আসা লাগবে।
৫৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:৪৪
দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: ''আর কোরআনের মাধ্যমে তিনি তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারি করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহ তা’ আলার আয়াতসমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রুপ হতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা অন্য প্রসঙ্গে চলে যায়, তা না হলে তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ দোযখের মাঝে মুনাফেক ও কাফেরদেরকে একই জায়গায় সমবেত করবেন। '' সূরা আন-নিসা:১৪০]
=========
এইটা যদি কোরানে সত্যিই থেকে থাকে, (আছে কিনা লেখক যাচাই করে নিতে পারেন) তাহলে আমরা অন্তত একটি আশমানী আদেশ পেলাম যেটি লেখক নিজেই ভুল বলে মনে করেন।
১) তিনি অবিশ্বাসীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছেন কোরানের নিষেধ থাকা সত্বেও। অর্থাৎ তিনি কোরানের এই নির্দেশ সঠিক বলে বিশ্বাস করেন না।
২) তিনি এই আলোচনাকে ফলাফলশুন্য বলে ধরে নিয়েছেন যেখানে কোরান মনে করে এই আলোচনার ফলাফল হিসাবে নিশ্চিতভাবেই বিশ্বাসীদের বিশ্বাস নষ্ট হয়ে যাবে।
এটা আমার ধারণা মাত্র। লেখক এর কাছে প্রশ্ন হলঃ-
১) কোরানের মাধ্যমে এমন আদেশ দেওয়া হয়েছে কিনা?
২) সেই আদেশকে তিনি ভুল বলে মনে করেন কিনা?
১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:৪৩
রিপেনডিল বলেছেন: ইসলামের উপর বারবার আক্রমনাত্নক ও বিদ্রূপমূলক কথাবার্তার শান্তিপূর্ন সমাধান টানার লক্ষ্যে এটি আমার প্রথম প্রচেষ্টা, এটাকে আপনি এক ধরনের জিহাদ বলতে পারেন। ইসলাম জিহাদের আদেশ দিয়েছে।
৫৭| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:৫৩
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: দু-পেয়ে গাধ (৬৪ নং কমেন্ট)
হুম! লজিক্যালী সেটি একটি সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
আপনি সবগুলোই আনমডিফাই ধরে পড়ুন।
ডা. জাকির নায়েক যখন বর্তমান বাইবেল ও গীতার পেক্ষাপটে তাদের গ্রন্থ সাপেক্ষে ইসলামের পক্ষে যুক্তি দেখাতে পারছেন সুতরাং বর্তমান বাইবেল থেকেও প্রমাণ সম্ভব।
আপনি চাইলে আমি ইউটিউব থেকে তার লেকচারটি আপলোড করে দিতে পারি যেখানে বাইবেল ও গীতার চ্যাপ্টার ও আয়াত নং সহ রেফারেন্স রয়েছে মুহম্মদ (সা) এর পক্ষে।
৫৮| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:০১
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: আসিফ মহিউদ্দীন (৬৮ নং কমেন্ট)
আপনার তিনটি আয়াতের রেফারেন্সে “শ্বাশ্বত” কথাটা কোথায় পাইলেন?
আপনে কি “শ্বাশ্বত” মানে বুঝেন? নাকি বাংলা ভাষাও ঠিকমত বুঝেন না।
মুহম্মদ (সা) এর জীবনী কপি-পেস্ট করে চলা বাধ্যতামূলক (তিনি খেজুর গাছের বিছানায় শুতেন, আমাদেরও শুতে হবে, ৪০ বা ৬ বছরের মেয়েকে বিয়ে করতে হবে... এমন রেফারেন্স কি আপনার পীর দাদা-চারারা দিয়ে গেছেন?)
নিজে যা বলেন, তার অর্থই বোধহয় আপনার নিজের কাছেই বোধগম্য নয়।
৫৯| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:০৯
জামিল আহমেদ জামি বলেছেন: সঙ্গদোষে লোহা ভাসে...............
উত্তম নিশ্চিন্তে চলে অধমের সাথে,
তিনিই মধ্যম যিনি চলেন তফাতে.......................
৬০| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:১০
পারভেজ আলম বলেছেন: কর্ণেল সামুরাই@ জাকির নায়েকের এই জিনিসগুলা খুব মজার। আপনের যদি বেদ, বাইবেল, উপনিষদ, পুরাণ এইসব ঘাটার সময় থাকে তাইলে খুব মজা পাইবেন। বেশকিছুদিন আগে একবার এস এম রায়হান মোহাম্মদ সম্বন্ধে ভবিষ্যতবাণী নিয়া ওল্ড এবং নিউ টেস্টামেন্টএর কিছু আয়াত তুইলা দিছিলেন। ঐখানে সবগুলা আয়াতেরই পুরাপুরি ভিন্ন ব্যাখ্যা আছে। আমি সবগুলা না ধইরা শুধু সোলায়মান কিতাবের একটা আয়াতই ধরছিলাম, যেই আয়াতটা মূলত এক প্রেমিকার তার প্রেমিকের উদ্দেশ্যে আবৃতি করা। সোলায়মান কিতাবটা ইহুদিগো বিয়ার অনুষ্ঠানে এখনো আবৃতি হয়। মজার কথা হইল যে জাকির নায়েক এবং তার আগেও অনেকে এই পুরা কিতাবের কিছু আয়াত কোট কইরা তাতে মোহাম্মদের ভবিষ্যতবাণী হিসাবে চিহ্নিত করে। আসলে জাকির নায়েক নিজেই কখনো ঐ কিতাব পড়ছে কিনা সন্দেহ আছে, তবে তিনি যেইখান থেইকা শিখছেন তারা হয়তো পড়ছে। ঐ কিতাবটা খুবি আদী রসাত্বক। পুরা কিতাব পড়লে ঐ আয়াতের সঠিক অর্থ যে কেউ বুঝবে।
আবার ধরেণ, জাকির নায়েক ভবিষ্য পূরাণের কল্কির অবতার এর সাথে মোহাম্মদের মিল নিয়া কথা বলেন। এইটা প্রায় দেড়শো বছর আগে থেইকা চলছে। গোলাম মোসস্তফার রচিত মোহাম্মদের জীবনি (নাম খেয়াল নাই)তে জাকির নায়েকের অনেক আগেই এই জিনিস প্রচার পাইছে। আসল কাহিনী শুরু করছিল শ দেড়েক বছর আগের কিছু হিন্দু পুরোহিত। বিষয়টা খুব সম্ভবত মুসলমানগোরে বোকা বানানের জন্য করা হইছিল। কারণ ভবিষ্য পুরণের কল্কির অবতার একটা নেগেটিভ চরিত্র। আর ভবিষ্য পুরানের আয়াতগুলা খুব সম্ভবত মুসলমানরা এই দেশে আসার পর লেখা হইছিল, মোহাম্মদরে নেগেটিভলি উপস্থাপনের জন্য। মুসলমানরা জাকির নায়েকের কথা শুইনাই আনন্দে নাচে, নিজেরা জ়ীবনে ভবিষ্য পুরান পইড়াও দেখেনা।
এই ব্লগে একেবারে আমার শুরুর দিকে একজনের সাথে এই নিয়া তর্ক হইছিল। সে বেদ এবন উপনিশদের অনেক আয়াত তুইলা ধরছিল। আমি বেশ কয়েকটাই মূল যায়গা থেইকা তুইলা আইনা দেখাইছিলাম যে এর কিছু আয়াত মিত্র, কিছু ইন্দ্র এমন না না হিন্দু দেবতা বা বীরের উদ্দেশ্যে রচিত। এইরকম বিভিন্ন জায়গা থেইকা কোট মাইরা যেই হাস্যকর জিনিসের অবতারণা করা হইছে তার গভিরে ঢোকেন, মজা পাইবেন বেশ।
৬১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:১৪
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: পারভেজ আলম বলেছেন (৬৯ নং কমেন্ট): আসিফ ভাই@ ওনারা যদি মনে করেনই যে, হাদিসে যাই থাকুক না কেন শরীয়ত কোন শ্বাসত বিষয় না, তাইলে তো আর বিতর্কের কোন দরকার দেখি না
-----------------------------------------------------
একবার বলেছি শরীয়ত শ্বাশ্বত নয়, এটি শ্বাশ্বত গ্রন্থ কেন্দ্রিক।
কোরআনের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক এমন কিছু ব্যতিত যুগ ও কালের প্রয়োজনে ইজমা ও কিয়াসের মাধ্যমে এর নতুন বিধিমালা প্রনয়ন সম্ভব। কিন্তু যেই আদেশগুলো সরাসরি দেয়া হয়েছে তা বাতীল করা সস্ভব নয় (যেমনঃ রোজা ও যাকাত প্রখা বাতিরকরণ)।
শরীয়ত শ্বাশ্বত হলে, বর্তমানে মোবাইল ব্যবহার জায়েজ নাকি নাজায়েজ সেটা নিয়ে ক্যাচাল লাগতো, পর্ণদেখা জায়েজ নাকি নাজায়েজ সেটা নিয়েও ক্যাচাল হত।
৬২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:১৮
অ্যামাটার বলেছেন: কর্ণেল রক্স!
৬৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:২০
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: দু-পেয়ে গাধ (৮২ নং কমেন্ট)
আমার ধারণা লেখক আপনাদের সাথে কোরআন অবমাননার আলোচনায় বসেননি, বরং তিনি অবমাননার প্রতিরোধ করার চেস্ঠা করেছেন।
আর কোরআন ও হাদীস যেকোনো মন্দ কাজকে কথা দ্বারা, হাত দ্বারা ও অন্তর দ্বারা প্রতিহত করাকে উৎসাহ প্রদান করেন।
সুতরাং তার কোনে দোষ দেখছিনা।
৬৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:২৭
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: [সময়ের অভাবে আপতত অফলানে যাচ্ছি। ফিরে এস ধারাহিকভাবে সকল মন্তব্য নিয়ে আলোচনা করা হবে।
নব্য ও অতিউৎসাহী নাস্তিককেরা (যারা কমেন্ট করতে দেরি হলেই, ব্যাটা ডরাইছে, ভাগছে... আমরা জিতছি.. ইয়াহু! কয়া ঝাপাইতে থাকে.. তাদের সদ্য প্রসূত তালগাছের বিচি দিয়া গেলাম! .... জগতের সকল তালগাছ তাদেরই হোক!
... আলোচনা কামী নাস্তিকেরা আলোচনাৎকরতে থাকুন। আমার হাতে সময় কম থাকে তাই ইত্তরদিতে দেরী হতে পারে। সেজন্য আগেই দুঃখ প্রকাশ করে যাচ্ছি]
৬৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:১৮
জেমসবন্ড বলেছেন:
....লেখকের ধৈর্য্যর প্রশংসা না করে পারছিনা । আসলে আমরা মুসলমানদের ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞতা, ঠিক মত পালন না করা , তার উপর শয়তানের প্রবলভাবে মুসলমানদের পিছনে লেগে থাকা এবং ইহুদী-নাসারাদের ষড়যন্ত্রতো আছেই যা আজকে মুসলমানদের আজকে চরম খারাপ অবস্হায় নিয়ে গেছে ।
..........কুরআন নিয়ে কোন বিতর্ক নেই । মহানবী সত্যিকারভাবেই উত্তম চরিত্রের অধিকারী ছিলেন - যা এমনকি তখনকার আরবগণ ও পরবর্তীকালে অনেক অমুসলিম মনীষীগণও স্বীকার করে গেছেন ।
আসুন আমরা সবাই ইসলাম সম্পর্কে আরো ভালোভাবে জানি, প্রচার করি এবং তা বাস্তবায়ন করি । ইসলামকে আমরা আমাদের জীবনের থেকেও সবথেকে বেশী ভালোবাসি এবং মোল্লাদের হাত থেকে ইসলাম কে রক্ষা করে আমরা ইসলামকে সুন্দরভাবে উপস্হাপন করি ।
মহান আল্লাহপাক বলেছেন - কুরআনের প্রথম সূরার প্রথম আয়াত- যাবতীয় প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ পাকের যিনি সকল জগতের পালন কর্তা। যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু ।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:৫৪
রিপেনডিল বলেছেন: সহমত।
৬৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩৭
দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: লেখক@
আপনার পিছলামি অতি সুন্দর চলছে। একটা দাস কে কিনে নিয়ে মুক্ত করাকে যদি আপনি দাস ব্যবসার বিরোধিতা বলে প্রচার করতে চান তবে মানুষকে একটু বেশিই বোকা ভেবে বসে আছেন। বিরোধীদের যুক্তিকে "আংশিক আয়াত" তুলে অপব্যাক্ষ্যা করার তকমা লাগাবেন আর দাস ব্যবসার মাঝ থেকে "আংশিক" (মানে একটা দুটো) দাসকে মুক্তি দেওয়ার জন্য মহম্মদ মহান হবেন, একেই বলে কুযুক্তি।
আপনাকে প্রশ্ন করলাম মহম্মদ দাস দের মুক্তির পক্ষে কি করেছিলেন? তার জবাবে আপনি তাঁর জীবনের "আংশিক" মানে একটি দাস মুক্তি দেওয়ার গল্প শোনালেন। আশা করি কোরান আর হাদিশ এর পুরোটা না পড়ে মাঠে নামেন নি। তবে এমন আংশিক উত্তর দিয়ে পিছলানি (যেটাকে শুরুতে নিজেই খারাপ কাজ বলেছেন) দেন কেন?
আপনার জন্য না হলেও বাকি পাঠকদের বুঝবার জন্য বলি
শুয়োর না খাওয়া্র আদেশ সব মুসলিমের জন্য।
দাস না রাখার কোনো আদেশ আছে কিনা জানতে চাই আপনার কাছে। আমার জানামতে দাসদের কিভাবে রাখতে হবে সেটা নিয়ে অনেক কথা আছে। কিন্তু "আংশিক" কিছু তুলে দিলে আপনি রাগ করবেন বলে আপনাকে পুরো কোরাণ আর হাদিশ দিলাম। পড়ে দেখে নিজের পছন্দমত "আংশিক" কিছু দেখিয়েও যদি প্রমাণ করতে পারেন যে "দাস রাখা ইসলামে হারাম করা হয়েছে" তবে একটু জ্ঞান বাড়ত।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১০:২৪
রিপেনডিল বলেছেন: ৯৫ নং কমেন্ট পড়ুন। খিলাফতের সময়ে এমন কি মহানবীর জীবদ্দশায় উসমান (রাঃ) (তিনি অনেক ধনী ব্যক্তি ছিলেন) অনেক দাস ক্রয় করে তাদের মুক্ত করে দিয়েছেন নবীর আদর্শ অনুসারেই।
মহানবী দাসমুক্তির ব্যপারে মানুষকে উতসাহিত করেছেন---
Narrated Abu Huraira: The Prophet said, "Whoever frees a Muslim slave, Allah will save all the parts of his body from the (Hell) Fire as he has freed the body-parts of the slave." Said bin Marjana said that he narrated that Hadith to 'Ali bin Al-Husain and he freed his slave for whom 'Abdullah bin Ja'far had offered him ten thousand Dirhams or one-thousand Dinars.
Sahih Bukhari 3:46:693
পারিশ্রমিকের বিনিময়ে কেউ যদি আপনার কাজ করে দেয় সেটিকে আপনি দাস প্রথা হিসেবে দেখবেন? দাস প্রথার দাস বা দাসীদের কোন অধিকার ছিল না। তারা তাদের মুনিবের সব কথা পালনে বাধ্য ছিল এবং তার জন্য কোন পারিশ্রমিক তারা পেত না।
দাস দের সাথে কিরুপ আচরন করতে হবে সে ব্যপারে হাদিস দেখুন।
Narrated Al-Ma'rur: At Ar-Rabadha I met Abu Dhar who was wearing a cloak, and his slave, too, was wearing a similar one. I asked about the reason for it. He replied, "I abused a person by calling his mother with bad names." The Prophet said to me, 'O Abu Dhar! Did you abuse him by calling his mother with bad names You still have some characteristics of ignorance. Your slaves are your brothers and Allah has put them under your command. So whoever has a brother under his command should feed him of what he eats and dress him of what he wears. Do not ask them (slaves) to do things beyond their capacity (power) and if you do so, then help them.' "
Sahih Bukhari 1:2:29
যদি বলেন এগুলো দাস প্রথা তবে বলব আধুনিক সমাজ এখনো দাস প্রথা ছাড়েনি কারন আপনার আমার বাসাতেই কাজের বুয়া, ছেলে বা মেয়ে কাজ করে বিনিময়ে পারিশ্রমিক পায় এবং তাদের সাথে আমরা মানবিক ব্যবহার করি না যেমনটি নবী (সঃ) করতেন।
৬৭| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫১
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: দাঁড়িপাল্লা বলেছেন (৭১ নং কমেন্ট): @কর্ণেল সামুরাই/ তাহলে কি বলতে চাচ্ছেন আপনার দৌড়টা আপাতত কোরান পর্যন্ত?
কোরানের কিছু আপত্তিকর আয়াতের লিস্টি কিন্তু অনেক আগেই আমি ধরাইয়া দিছি। সেগুলা কিন্তু এড়াই গেছেন।
--------------------------------------------------------
১. হুম! ইসলাম ধর্ম ব্যাখায় কোরআন, খ্রিস্টান ধর্ম ব্যাখ্যায় বাইবেলে পর্যন্ত দৌড় সীমাবদ্ধ থাকবে এটাই কী স্বাভাবিক না? যারা ধর্মের ব্যাখায় কার্ল মার্কসকে টেনে আনে আমি তাদের দলে নই।
("আসলে আমি নাস্তিকদের কোন কিছু বোঝানোর" দলের লোকও নই। তালগাছটা ওদেরই থাক। আমি শুধু তাদের কথাগুলোকে বিম্লেষণ করতে পছন্দ করি।)
২. কোরআনের কোন আয়াতে সমস্যা আছে এইখানে লিখুন। অন্য লিংকে গিয়ে আলোচনা আমার পছন্দ নয়।
৬৮| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১১
শেলী বলেছেন: দাস সিষ্টেম ছিল তখনকার আরবে খুব প্রচলিত। একমাত্র ইসলাম আসার পর প্রথমে এতে মানবিকতার প্রবর্তন হয়। দাসদের মানুষ বলে ভাবাটা ইসলামই শিখিয়েছে। জায়েদের সাথে রাসুলের ব্যব হারটা দেখুন। ঐ সময় যেসব অপরাধের জন্য দাসমুক্তিকেই অপরাধ মোচনের উপায় বলত সেইসব খুব সাধারন অপরাধ ছিল। ঠিকমত সেটা পালন করা গেল দাসপ্রথা এমনিতে বিলুপ্ত হয়ে যাবার কথা ছিল। কিন্তু মদ খাওয়া নিষেধ করার মত দাসপ্রথা নিষেধ করা সম্ভব ছিলনা,মানুষের মন সেটা মানার জন্য প্রস্তুত ছিলনা। আমরা উপমহাদেশের মানুষ বলে সেক্স করাটাকে অপরাধ মনে করি। যুদ্বের সময় যুদ্ববন্দীদের আটকে রাখা সবসময় গ্রহনযোগ্য। আর তাদের চাহিদাগুলি পূরন করা একটা মানবিক দাবী। সেক্স একটা মানবিক দাবী। এমন না যে এটা করবে সে কোনো দায়িত্ব নেবেনা। সেই দাসীর সব দায়িত্ব তার মনিবের। তার সন্তানকে পরিচিতি দিতে সে বাধ্য। এখন প্রশ্ন হল তার স্ত্রী যদি সেটা মেনে নিতে না পারে, তাহলে তার সে অধিকার আছে পুরোপুরিভাবে।
আমি যতটা জানি, সাহাবীরা কেউ নিজের ইচ্ছামত দাসী নিতে পারতেননা। সবাইকে হাজির করে বলে দেয়া হত অমুককে অমুক নিবে ।তখন সে তাকে নিতে বাধ্য হত। কিন্তু এখন এসব কথা উঠছে কেন? দাসীদের ত বাসা থেকে ধরা হতনা। তাদেরকে যুদ্বের ময়দান থেকে ধরা হত। যুদ্বে হারলে কি পরিনতি হতে পারে তা তারা জেনেই যুদ্বে যেত। হারুপার্টির বাসা থেকে ধরলেও না হয় কথা ছিল। মুক্তিযুদ্বের সময় যেভাবে করা হয়েছে এরকম অন্যায় ইসলাম কোনোদিন সাপোর্ট করা হয়নি। সেই মেয়েগুলি যুদ্বেও যায়নি,তারা অস হায় ছিল।
৬৯| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩১
ওঙ্কার বলেছেন: 'বিশ্বাসকে বিদ্রুপ করার অধিকার নাই কারো'.... এইটা কি ফতোয়া দিলেন নাকি ভাইছাব?
শোনেন.. 'বিশ্বাস' হইলো একটা ধুনফুন, আপনে, মানে বিশ্বাসের ব্যাপারীগো আবিষ্কৃত বুলশিট। কেউ যদি ব্যক্তিগত পর্যায়ে বিশ্বাস করে, সে ওইটা নিয়া লুডু খেলতে পারে, নিজের ঘরের চিপায় বইসা, অথবা মনের ঘুপচিতে নিয়া ঘুরতে পারে এই রোগ।
কিন্তু পাবলিক ডমেইন, মানে যেইখানে হরেক কিসিমের পাবলিক ঘুরাফেরা করে, সেইখানে জিহাদ মারাইতে গেলে তো পিটনা খায়া সোজা হয়া যাইতে হবে, ঠিক?
দুর্বল মানুষের বিশ্বাস থাকবেই, তার কোমড়ের জোর জ্ঞান ও দক্ষতার নয়। সবকিছু কোনো একটা অস্তিত্বের কায় কারবার, এই ধরনের দুর্বলতা তার মাঝে থাকতেই পারে।
আর কিছু ধান্দাবাজ আছে, যারা এই বিশ্বাসকে নিয়া প্যাকেজ বানায়, তার লগে এক ছটাক ছৌদি বালছাল কালছার মিশায়া 'ইছলাম' নামে বোন্দা বানায়া তারপরে হাজির হয়, হক মাওলা বইলা মাইনষেরে গিলায়। (অন্যান্য ধর্মও একই আকাম করে)
কোনো দরকার নাই এই বোন্দার ব্যবসা হইতে দেওনের।
মানুষ এক ধরনের ভেজিটেবল হিসেবে গইড়া ওঠে এইসব আবজাব গিল্যা গিল্যা।
মনের শান্তি হয়তো পায়, কিন্তু পৃথিবীতে, বা বাস্তব জীবনে চুড়ান্ত অপদার্থ রূপে বড়ো হয়। গোঁজামিল দিতে দিতে তার কিছু আর বাকি থাকে না।
পোকা হইয়া ফসল নষ্ট হইলো কেন?
...তিনি ব্যাজার হইসেন তোমার উপ্রে,
ক্যান ব্যাজার হইসেন?
... নিচ্চয় তুমি খারাপ কাম করছো, মোল্লায় দাড়িত হাত বুলাইতে বুলাইতে কয়। মোল্লা মুসুল্লী খাওয়াও গো মিঞা, মিলাদ দ্যাও। তারপরে মাতব্বরের কাছে গিয়া দাদনের লাইগা হাত পাতো।
বাচ্চা মরলো পানিতে ডুইবা, ও আল্লা, আমি কি দুষ করসি?
...নিচ্চয় তুমি পাঁচোক্ত নামাজ পড়ো নাই। বেশি কইরা নামাজ পড়বা।
ইত্যাকার ইত্যকার। নিরাপত্তা, বাচ্চার উপ্রে চোখ রাখা, কীটনাশক জাতীয় সতর্কতা ইত্যকার জাতীয় 'লজিক্যাল' চিন্তা কারো মাথায় ঢুকতে দেয় না।
ধর্ম, মানুষরে স্বাধীন চিন্তা করতে দেয় না, প্রশ্ন করতে দেয় না। প্রশ্ন করার জন্য মগজে যে কোষ সৃষ্টি দরকার, তাও হতে দেয় না।
ছোটকালে শিশু যখন প্রশ্ন করে, এইটা হইলো ক্যান, ওইটা ইরাম ক্যান!
আগের জেনারেশনের ভেজিটেবল বাপমা উত্তর দিতে না পাইরা সহজ বুদ্দি বাইর করে। ধমক দিয়া কয়, এতোকিসু জানতে নাই, আল্লা/ভগবানে বিশ্বাস রাখো, তিনি করসেন এইসব।
তবে দিন পাল্টায়তাসে..
কয়দিন আগে জাপানে সুনামি/ভুমিকম্পের কারন নির্ণয়ে কিছু আবাল খ্রীস্টান খালি কইসিলো 'গড-লেস' দেইখা জাপানের ইেই অবস্থা...
খালি কয়া সারছে.. পুরা দুনিয়া তাগোরে এমন মাইর দিসে... মাইরের চোটে এক বলদীনি খ্রীস্টানের দেখলাম ইউটিউব একাউন্টই বন্ধ কইরা দিতে বাধ্য হইসে।
নতুন জেন্রেশন যতো বেশি বিজ্ঞান আর যুক্তি জানবো, ধর্মের রূপকথা ততো বেশি ফাঁপা মনে হইবো।
তবে ভেজিটেবল বাপ মায়ের কারনে, অথবা সামাজিক দৈনতার ফসল হিসেবে জেমসবন্ড, কর্নেল ইত্যাকার মালের প্রডাকশন হইতেই থাকবো।
আশার কথা হইলো এরা আমগোর বিনোদনের বিনা টিকিটের শো হিসেবেই পরিগনিত হইতে থাকবো।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১০:০৩
রিপেনডিল বলেছেন: আপনিও এখানে আপনার নাস্তিক্যবাদী (আসলে আপনারা কেউ নাস্তিক নন, আপনারা ইসলাম বিরোধী, এন্টিক্রাইস্টদের মত) বিশ্বাসের বুলি কপচাচ্ছেন। সুতরাং আপনার কথা মতই আপনার বিশ্বাস নিয়ে আপনি ঘরের চিপায় লুডু খেলুন, এই পোষ্ট আপনার জন্য নয়।
৭০| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩২
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: পারভেজ আলম বলেছেন (৭৯ নং কমেন্ট)
হায়রে কর্নেল, কোরআনের আয়াত সংখ্যা কত তাও জানেন না? মুসলমান না হইতে পারেন, মুমিন হইলেও তো এইটা জানার কথা।
--------------------------------------------------------------
ধীরে ধীরে ভালো মাথার নাস্তিকেরাও বলদ হয়া যাইতেছে
আপনার মতে কোরআনের আয়াত ৬৩৪৬ তো?
ঠিক আছে, আপনি যা জানেন তাই ঠিক!
(আপাতত বাকী ৩২০টা আয়াত আমার পকেটে লুকায়া রাখলাম, নাস্তিক মুফাসসির, মুহাদ্দিস ও আল্লামহ গণের কোরআন নিয়া লম্ফঝম্প আর তেনাদের মহাজ্ঞান দেখে... অনেক আগেই আমি পুলকিত হইছি)
৭১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫২
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: পারভেজ আলম (৮৬ নং কমেন্ট)
জাকির নায়েকের বিশ্লেষণ, কুরআন ও মুহম্মদ (সা) এর কথা সত্য নাকি মিথ্যা, বেদ, বাইবেল নির্ভুল, কোন আয়তের সাথে কোনটি সাংঘর্ষিক....
সেসব নিয়ে আলোচনার শুরুতে আমি দুইটি কথা বলি-
১. আপনি যদি বিশ্বাসী হোন তবে মানুন।
২. বিশ্বাসী না হলে মানার কোন কারণ দেখিনা।
(দুপেয়ে গাধাকে রেফারেন্স নেবার জন্য (কোন গ্রন্থের কত নং আয়াত) তার লেকচারের কথা বলেছিলাম, জাকির নায়েকের বিশ্লেষণ তিনি ইচ্ছা করলে মানতেও পারেন, ইচ্ছা করতে এন্টিলজিকও তৈরী করতে পারেন)
আমি শুধু তাকে উপাদানগুলো দিতে চাই, তার যদি মনেহয় কথা সত্য তিনি ভাববেন, তার যদি মনেহয় কথা ভোগাস তিনি উল্টা কথা বলবেন।
আমি ব্যক্তিগতভাবে কাউকে কখনোই গছায় দেইনা এটি সত্য, এটা মানো।
আমরা মুমীনরা শুধূ দায়িত্ববোধ থেকে ইসলাম বিরোধী অশ্লীল কথোপোকথনের বিরুদ্ধে ব্লগে লিখি, যাতে আমরা নিজেদের কাছে স্পস্ট থাকতে পারি, এবং যদি আপনাদের ধারণা ভুল হয় এবং মৃত্যুর পর পুনর্জীবিত হতে হয়, তাহলে যেন উত্তর দিতে পারি আমি দাওয়াত দিয়েছিলাম ও নিষেধ করেছিলাম, সুতরাং আমার কোন দায়বদ্ধতা নাই।
আপনাদের কোন কিছু বিশ্বাস করানোর প্রচেস্ঠা কোন কালেই আমার ছিলনা এবং হবেও না। আমি সূরা কাফিরুনের আয়াতে বিশ্বাসী যেখানে বলা হয়েছে, "বলুন! তোমাদের দ্বীন তোমাদের এবং আমাদের দ্বীন আমাদের।"
৭২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৭
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: ৮৮ @ অ্যামাটারঃ বহুদিন পরে দেখা হে! আশা করছি ভালোই আছেন।
৭৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৮:০৭
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: আমি শেলীর ব্যাখ্যার সাথে একমত নই।
ইসলাম বিবাহ বহির্ভূত সেক্স সমর্থন করেনা। দাসীদের জন্য বিধান রয়েছে এবং সেই বিধানের পরই সেক্স করা সম্ভব।
১৯৭১ সালের পাকিদের মত বাড়িতে হানাদিয়ে সেক্সকরার মত
যুদ্ধের ময়দানে সাহাবাদের সেক্স করার কথা যারা বলছেন তারা রেফারেন্স দেন।
৭৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:০৭
দু-পেয়ে গাধ বলেছেন:
লেখক বলেছেন: কোরআনের যেসব বিকৃত ভার্সন তৈরী হচ্ছিল সেগুলো কে ধ্বংস করা হয়েছে উসমান (রাঃ) এর আমলে। আল্লাহ নিজে বলেছেন কোরানের হেফাজত তিনি নিজে করবেন। এখন পর্যন্ত সারা পৃথিবীতে সর্বজন গৃহীত কোরানের একটি ভার্সনই বিদ্যমান।
========
আপনার যুক্তি দেখে টাস্কিত হলাম। বাকি ভার্সন গুলি না দেখেই যেভাবে সেগুলিকে বিকৃত বলে ফতোয়া দিলেন তাতে আপনার বক্তব্য পরিষ্কার হল। বাকি সব ভার্সন ধ্বংস করে ফেলাটাই যে "সর্বজন গৃহীত" হবার সোজা উপায় এটা সবাই জানে। কিন্তু প্রশ্ন হল যে এই সর্বজন বলতে আপনি গোটাকয় "হজরৎ" এবং তাদের আশেপাশে থাকা হুজুরদের বোঝেন। আপনার এই সুন্দর আইন যদি কোনো আধুনিক দেশে চালু হয় তবে কোয়ান্টাম মেকানিক্স থেকে বিবর্তনবাদ পর্যন্ত সব কিছুরই প্রথমে একাধিক ভার্সন বের হবে এবং তার পরে হুজুরেরা যেটি "বিকৃত" বলে মনে করবেন সেটি নষ্ট করে ফেলা হবে। যার ফল হিসাবে বাকি থেকে যাবে একমাত্র মাহফুজশান্ত ভাই এর ভার্সন।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৮:১৪
রিপেনডিল বলেছেন: এখন পর্যন্ত কোন বিকৃত কোরআনের ভার্সন আমার চোখে পড়ে নি। সারা পৃথিবীতে কোরআনের একটি ভার্সনই বিদ্যমান যদি না আপনি এখন নতুন করে বিকৃত করা শুরু করেন।
যখন কোরআনের অস্তিত্ব রক্ষায় উসমান (রাঃ) কাজ করেছেন তখন তিনি নিজে খলিফা ছিলেন, একটি ইসলামিক রাষ্ট্রই তখন বিদ্যমান ছিল এবং মহানবী নিজে যেসব মানুষকে কোরআন মুখস্ত করিয়েছেন তাদের সাহায্যে কোরআনের একটি ভার্সন সম্পাদিত হয় এবং ছড়িয়ে দেয়া হয়, অন্য কোন অঞ্চলে যে সব ব্যতিক্রম ছিল সেগুলো ধ্বংস করে দেয়া হয়।
৭৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:১০
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: সবাই এত দাসী দাসী করতেছে দেখে লেখককে সহায়তা করতে এগিয়ে এলাম।
[link|http://www.ourholyquran.com/index.php?option=com_content&view=article&id=192:24-surah-an-nur-revealed-in-madina-ayat-number-68&catid=35:bangla-version&Itemid=1| দাসী প্রথার ব্যাপারে কোরআনে স্পস্ট বলা হয়েছে - [সূরাঃ আন নিসা, আয়াতঃ ২৫]]
“আর তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি স্বাধীন মুসলমান নারীকে বিয়ে করার সামর্থ্য রাখে না, সে তোমাদের অধিকারভুক্ত মুসলিম ক্রীতদাসীদেরকে বিয়ে করবে। আল্লাহ তোমাদের ঈমান সম্পর্কে ভালোভাবে জ্ঞাত রয়েছেন। তোমরা পরস্পর এক, অতএব, তাদেরকে তাদের মালিকের অনুমতিক্রমে বিয়ে কর এবং নিয়ম অনুযায়ী তাদেরকে মোহরানা প্রদান কর এমতাবস্থায় যে, তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবে-ব্যভিচারিণী কিংবা উপ-পতি গ্রহণকারিণী হবে না।”
কোরআনে স্পস্ট বিয়ে করার নির্দেশ রয়েছে, ব্যভিচারের নয়। কোরআন বিশারদ নাস্তিকেরা আওয়াজ দেন।
দাসদাসীর প্রতি সদয় ব্যবহারের নির্দেশ দিয়ে কুরআনে বলা হয়েছে-
[link|http://www.ourholyquran.com/index.php?option=com_content&view=article&id=192:24-surah-an-nur-revealed-in-madina-ayat-number-68&catid=35:bangla-version&Itemid=1|[সূরাঃ আন নিসা আয়াতঃ ৩৬]]
পিতা-মাতার সাথে সৎ ও সদয় ব্যবহার কর এবং নিকটাত্নীয়, এতীম-মিসকীন, প্রতিবেশী, অসহায় মুসাফির এবং নিজের দাস-দাসীর প্রতিও
[link|http://www.ourholyquran.com/index.php?option=com_content&view=article&id=192:24-surah-an-nur-revealed-in-madina-ayat-number-68&catid=35:bangla-version&Itemid=1|[সূরাঃ আন নূর আয়াতঃ ৩৩]]
তোমাদের দাসীরা নিজেদের পবিত্রতা রক্ষা করতে চাইলে তোমরা পার্থিব জীবনের সম্পদের লালসায় তাদেরকে ব্যভিচারে বাধ্য কারো না।
[link|http://www.ourholyquran.com/index.php?option=com_content&view=article&id=192:24-surah-an-nur-revealed-in-madina-ayat-number-68&catid=35:bangla-version&Itemid=1|[সূরাঃ আন নূর আয়াতঃ ৩২-৩৩]]
তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহহীন, তাদের বিবাহ সম্পাদন করে দাও এবং তোমাদের দাস ও দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্মপরায়ন, তাদেরও। যারা বিবাহে সামর্থ নয়, তারা যেন সংযম অবলম্বন করে যে পর্যন্ত না আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেন।
তোমাদের অধিকারভুক্তদের মধ্যে যারা মুক্তির জন্য লিখিত চুক্তি করতে চায়, তাদের সাথে তোমরা লিখিত চুক্তি কর যদি জান যে, তাদের মধ্যে কল্যাণ আছে। আল্লাহ তোমাদেরকে যে, অর্থ-কড়ি দিয়েছেন, তা থেকে তাদেরকে দান কর।
----------------
নাস্তিক মুফাসসির ও হাক্কানী আলেমরা দাসীদের বিরুদ্ধে ইসলামের বর্বোরোচিত কিচ্ছা ও ফতোয়া দিয়া বেড়াইলেও.. কোরআনের আয়াত সুস্পস্টভাবে তাদের অধিকারের কথা বলে।
এরা কী দেখে আর কী পড়ে, কিছুই বুঝিনা।
৭৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:২০
দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: Narrated Abu Huraira: The Prophet said, "Whoever frees a Muslim slave, Allah will save all the parts of his body from the (Hell) Fire as he has freed the body-parts of the slave.
সমস্যাটা এই মুসলিম নিয়েই। এ ব্যাপারে আরো আয়াত দিয়েই দিলাম।
Sura (8:55) - Surely the vilest of animals in Allah's sight are those who disbelieve (অর্থাৎ অবিশ্বাসীরা নিকৃষ্ট পশুর তুল্য)
Sura (...48:29) - Muhammad is the messenger of Allah. And those with him are hard (ruthless) against the disbelievers and merciful among themselves (মুহম্মদ ও তাঁর অনুসারীরা নিজেদের মধ্যে সদয় ও ভদ্র ব্যবহার করবেন এবং অবিশ্বাসীদের প্রতি কঠোর হবেন।)
দুটো জিনিস এক জায়গায় রাখুনঃ-
১) মানুষ সেরা জীব
২) অবিশ্বাসীরা পশুর তুল্য
এর থেকেই আমার ধারণা হয়েছে যে কোরান মানুষ বলতে কেবল মুসলিম বোঝে। আপনার এইটা পড়ে কি মনে হয় জানাবেন।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৮:২৩
রিপেনডিল বলেছেন: যে মানুষ নিজের মনুষত্বকে বর্জন করে সে যে ধর্মেরই হোক না কেন সে নিকৃষ্ট পশুর অধম।
আল্লাহ সব মানুষকে সমান বুদ্ধিবৃত্তি দিয়ে পাঠিয়েছেন এবং জীবন যাপনের তরিকা প্রেরন করেছেন। এখন কিছু মানুষ যদি তাদের সৃষ্টিকর্তা কে অস্বীকার করে তবে তার আর পশুর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই কেননা পশুরা তাদের স্রষ্টার ব্যপারে চিন্তা করতে সক্ষম নয়।অবিশ্বাসীরা তাদের সৃষ্টিকর্তা কে বিশ্বাস করে না এটি যঘন্যতম অপরাধ।তার সামনে বিশ্বাসের সব উপকরন থাকা সত্ত্বেও সে অস্বীকার করেছে।
তবে যদি কেউ ভাল কাজ করে থাকে তার কর্মফল সে পাবে।
৭৭| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:৩৩
দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: কর্নেল সামুরাই@
মালিকের অনুমতি ছাড়া যদি দাসদাসীরা বিয়ে করতে না পারে সেটা সেই কালের পক্ষে বিরাট মানবতা হতে পারে। কিন্তু এখন স্বাধীন মানুষকে দাস বানানোর অধিকার দিলে এবং তাদের বিয়ে করার জন্য মালিকের অনুমতির প্রয়োজন হলে সেটাকে ভদ্রলোকের কাজ বলতে আপত্তি আছে।
আপনি এটুকু বলতে পারেন যে এই নিয়মগুলো আগের নিয়মের চেয়ে ভাল ছিল। কিন্তু এর চাইতে ভাল আর কিছু হয় না (মানে এর চেয়ে আলাদ কিছু করা মানেই খারাপ কিছু করা) এমন দাবী করা কি উচিত হবে?
৭৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:২২
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: আসিফ মহিউদ্দীন বলেছেন:
আর আপনি এবং কর্নেল সামুরাই ইসলামের আমপারা পর্যন্ত পড়া মানুষ, এবং চরমভাবে পিছলাচ্ছেন।
....
--------------------------------------------------------------
পীরজাদার কাছে আমরা চিরকালই আমপাড়াতেই পড়ে রইলাম!
... জগতের সকল জ্ঞান তারই হোক!
... আপনার প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর আমি দিয়েছি, কিন্তু আপনাকে করা প্রশ্নের বিপরীতে প্রশ্নের উত্তর এখনো পাইনি।
তবুও আপনার মত শতাব্দীসেরা কালজয়ী মহাজ্ঞানী পিছলানোর কথা বললে,
গাধা, মাথামোটা, মুর্খ ও কমবখত এই আমাদের একটু চিন্তায় পড়তে হয় জনাব...
৭৯| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:৩৪
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: আসিফ মহীউদ্দিনঃ
(...........!!)
দাসদাসীর প্রতি সদয় ব্যবহারের নির্দেশ দিয়ে কুরআনে বলা হয়েছে...
আপনে যতগুলো আয়াত কইতাছেন সেগুলা সব রেফারেন্স দিছি ”সদয় ব্যবহার” টাইটেলে।
স্পস্ট ভাষায় লেখা থাকার পরও আপনে বুঝলেন অন্য। তার তিড়িং-বিড়িং কইরা ড্যান্স শুরু কর্লেন
(লিংকও দেয়া ছিল কমেন্টে যেখানে শানে নুযুল গুলাও আছে)।
আপনে যে কমেন্ট কী পড়েন, আর কী বোঝেন, তা জানতে আপনার মুরিদ হইতে হইবেক! চ্রম বিনোদন
৮০| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:৪২
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: মহাজ্ঞানী আসিফ মহীউদ্দিন মুনেয় ভাবতাছে,
তোমাদের দাসীরা নিজেদের পবিত্রতা রক্ষা করতে চাইলে তোমরা পার্থিব জীবনের সম্পদের লালসায় তাদেরকে ব্যভিচারে বাধ্য কারো না।.....
আয়ায়টি আমি কমবখত লেখছি “মনীব নিজে দাসীরে ব্যাভিচারে না করার ব্যাপার” এবং মহামতী পীরজাদা আনন্দে লাফাইতে লাফাইতে “তাহার শানে নুযুল শোনাইতেছে!”
...
..... হায়রে, সামুতে এগুলারে রেজিস্ট্রেশন করতে দিছে কিডা? ১৮ বয়সের আগে রেজিস্ট্রেশন করা যায় কি??
৮১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:০২
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: দাসী প্রথার ব্যাপারে কোরআনে স্পস্ট বলা হয়েছে -
[সূরাঃ আন নিসা, আয়াতঃ ২৫] ......
........... তাদেরকে তাদের মালিকের অনুমতিক্রমে বিয়ে কর এবং নিয়ম অনুযায়ী তাদেরকে মোহরানা প্রদান কর এমতাবস্থায় যে, তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবে-ব্যভিচারিণী কিংবা উপ-পতি গ্রহণকারিণী হবে না।”
কোরআনে স্পস্ট বিয়ে করার নির্দেশ রয়েছে, ব্যভিচারের নয়। কোরআন বিশারদ নাস্তিকেরা আওয়াজ দেন।
দাসদাসীর প্রতি সদয় ব্যবহারের নির্দেশ দিয়ে কুরআনে বলা হয়েছে-
পিতা-মাতার সাথে সৎ ও সদয় ব্যবহার কর এবং নিকটাত্নীয়, এতীম-মিসকীন, প্রতিবেশী, অসহায় মুসাফির এবং নিজের দাস-দাসীর প্রতিও।
তোমাদের দাসীরা নিজেদের পবিত্রতা রক্ষা করতে চাইলে তোমরা পার্থিব জীবনের সম্পদের লালসায় তাদেরকে ব্যভিচারে বাধ্য কারো না।
........ আল্লাহ তোমাদেরকে যে, অর্থ-কড়ি দিয়েছেন, তা থেকে তাদেরকে দান কর।
(আমার কমেন্টটা এটাই আছে উপ্রে চশমা লাগায়া দেখেন।
এখন কিলাশ নাইন টেনের সিন কম্প্রিহেনশন পড়ার নলেজ থিকা (আশা করি পাশ করেছিলেন) বলেন তো,
১. কোন আয়াতে দাসী প্রথার ব্যাপারে বলা হয়েছে?
২. কোন আয়াতে দাসদাসীর প্রতি সদয় ব্যবহারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে?
ওরে সাংবাদিক সাহেব, এদের কিছু শেখান...।
হাসতে আসিনি, আলোচনা করতে এসেছি।
৮২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:৪২
দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: কর্নেল সামুরাই@
গীতা মহাভারত রামায়ণ আমি সংস্কৃত ভাষাতেই পড়েছি। সেগুলোর কাহিনীর মধ্যেও বহু গোঁজামিল আছে। আপনার যদি জাকির নায়েকের উপর ভরসা থাকে তবে তাকে আর আমাকে সামনা সামনি বসিয়ে দিতে পারেন। তার ঐসব টাকা কামানোর জন্য ভাড়াটে লেখক দিয়ে লেখানো লেকচারের হাঁড়ি হাটে ভেঙে দিতে সুযোগ পেলে আমি আনন্দ সহকারে যেতে রাজি।
গীতা মহাভারত নিয়ে আপাততঃ ক্যাচাল করিনা কারণ সেগুলোর পিছনে ছুটবার মতন লোক কম আছে। যদি কোনোদিন কেউ হিন্দুরাষ্ট্রের দাবী তুলে গীতা মহাভারতের আমলের নিয়ম চালু করতে চায় সেদিন অবশ্যই তার বিরুদ্ধে কথা বলব।
৮৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১০:০৮
পারভেজ আলম বলেছেন: কর্নেল সামুরাই@ আপনে যেই আয়াত থেইকা দাসিদের সাথে বিবাহ বহির্ভুত যৌনতা অবৈধ বলতাছেন সেই আয়াতটা মোটেও মালিক দাসির সম্পর্ক নিয়া না, বরং আপনি স্বাধীন নারী বিবাহ করতে অক্ষম হইলে অন্য কারো দাসী বিবাহ করার বিষয় নিয়া। দাসিদের বলা হতো উপস্ত্রী। ইসলামে উপস্ত্রী জায়েজ আছে এইটা কোরআন হাদিসে যেমন সুষ্পষ্ট তেমনি স্পষ্ট তাফসিরে এবং ইতিহাসে। আমি উপরে সুরা আল মুমিনুন এর যেই আয়াতটা তুইলা দিছিলাম তা আবারো তুইলা দিলাম নিচে, খেয়াল করেন -
5 [Most certainly true believers] . . . guard their private parts scrupulously, 6 except with regard to their wives and those who are legally in their possession, for in that case they shall not be blameworthy.
বউ এবং লিগালী পসেজড এই দুইটারে আলাদা গণ্য করা হইছে, না হইলে শুধু বউ লেখলেই হইত। আপনার কাছে যদি বাঙলা মাআরেফুল কোরআন থাকে তো খুইলা দেইখেন, স্পষ্ট ভাষায় দাসী লেখা আছে। আরব দেশে স্ত্রী এবং উপস্ত্রীর ধারণা অনেক আগে থেইকাই প্রতিষ্ঠিত। বাংলাদেশে ইসলাম আসার পরে বাঙলাদেশেও উচ্চশ্রেণীর মুসলমানে এই চল হয়, তবে মূলত মেয়ে বিয়ে দেয়ার সময় মেয়ের পরিবারই মেয়ের সাথে জামাইরে দাসী উপহার দিত। আজ থেইকা শ খানেক বছর আগের বাঙালি মুসলিম উচ্চবিত্তে এই নিয়মের চল ছিল।
আর হাদিস থেইকা যদি রেফারেন্স চান অনেক দিতে পারি। যেহেতু কোরআন নিয়াই খালি তর্ক করতাছেন, তাই এক জিনিস দুইবার পোস্ট করলাম, আপনেরা দেইখাও দেখেন না পইড়াও বুঝতে চান না।
৮৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১০:১৯
পারভেজ আলম বলেছেন: কর্নেল সামুরাই@ আপনে যেই আয়াত থেইকা দাসিদের সাথে বিবাহ বহির্ভুত যৌনতা অবৈধ বলতাছেন সেই আয়াতটা মোটেও মালিক দাসির সম্পর্ক নিয়া না, বরং আপনি স্বাধীন নারী বিবাহ করতে অক্ষম হইলে অন্য কারো দাসী বিবাহ করার বিষয় নিয়া। দাসিদের বলা হতো উপস্ত্রী। ইসলামে উপস্ত্রী জায়েজ আছে এইটা কোরআন হাদিসে যেমন সুষ্পষ্ট তেমনি স্পষ্ট তাফসিরে এবং ইতিহাসে। আমি উপরে সুরা আল মুমিনুন এর যেই আয়াতটা তুইলা দিছিলাম তা আবারো তুইলা দিলাম নিচে, খেয়াল করেন -
5 [Most certainly true believers] . . . guard their private parts scrupulously, 6 except with regard to their wives and those who are legally in their possession, for in that case they shall not be blameworthy.
বউ এবং লিগালী পসেজড এই দুইটারে আলাদা গণ্য করা হইছে, না হইলে শুধু বউ লেখলেই হইত। আপনার কাছে যদি বাঙলা মাআরেফুল কোরআন থাকে তো খুইলা দেইখেন, স্পষ্ট ভাষায় দাসী লেখা আছে। আরব দেশে স্ত্রী এবং উপস্ত্রীর ধারণা অনেক আগে থেইকাই প্রতিষ্ঠিত। বাংলাদেশে ইসলাম আসার পরে বাঙলাদেশেও উচ্চশ্রেণীর মুসলমানে এই চল হয়, তবে মূলত মেয়ে বিয়ে দেয়ার সময় মেয়ের পরিবারই মেয়ের সাথে জামাইরে দাসী উপহার দিত। আজ থেইকা শ খানেক বছর আগের বাঙালি মুসলিম উচ্চবিত্তে এই নিয়মের চল ছিল।
আর হাদিস থেইকা যদি রেফারেন্স চান অনেক দিতে পারি। যেহেতু কোরআন নিয়াই খালি তর্ক করতাছেন, তাই এক জিনিস দুইবার পোস্ট করলাম, আপনেরা দেইখাও দেখেন না পইড়াও বুঝতে চান না।
৮৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:১১
দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: আইনস্টাইন@
দাস প্রথা উচ্ছেদ করার অধিকার মানুষের আছে কিনা সেইটা নিয়েই তো প্রশ্ন। আল্লার দূত ছাড়া কারো পক্ষে আল্লার দেওয়া নিয়মে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। এবং আল্লার দূত হিসাবে মহম্মদই শেষ। কাজেই তিনি যখন দাস প্রথা 'হারাম' করেন নাই তখন তা চিরিকাল 'হালাল' থাকবে।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৮:৩৭
রিপেনডিল বলেছেন: যেসব বিষয়ে কুরআনে সরাসরি নিষেধ করা হয়েছে বা আদেশ দেয়া হয়েছে সে সব বিষয় ব্যতিত যুগের প্রয়োজনে ইজমা এবং কিয়াসের মাধ্যমে নতুন নিয়মের প্রচলন সম্ভব।
রেফারেন্স দিন কোরআনের কোথায় বলা হয়েছে দাসপ্রথা হালাল অথবা দাস প্রথা বিলুপ্ত করা যাবে না।
৮৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:৪৭
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: যারা ইসলাম দাস বানানোর কলকারখানা বলছেন,
রেফারেন্স চাই কোরআনের কোথায় দাস বানানোর কৌশল শেখানো হয়েছে?
বরং দাসদের মুক্তিদান ও তাদের প্রতি সদয় ব্যবহারেই উসলাম উৎসাহ প্রদান করেছে- যেমনঃ (কাফফারা হিসাবে দাসমুক্তির কথা বলা হয়েছে)
[সূরা আল মায়েদাহ, আয়াতঃ ৮৯]
... অতএব, এর কাফফরা এই যে, দশজন দরিদ্রকে খাদ্য প্রদান করবে; মধ্যম শ্রেনীর খাদ্য যা তোমরা স্বীয় পরিবারকে দিয়ে থাক। অথবা, তাদেরকে বস্তু প্রদান করবে অথবা, একজন ক্রীতদাস কিংবা দাসী মুক্ত করে দিবে।
[আন নূর আয়াতঃ ৩২-৩৩]
তোমাদের অধিকারভুক্তদের মধ্যে যারা মুক্তির জন্য লিখিত চুক্তি করতে চায়, তাদের সাথে তোমরা লিখিত চুক্তি কর যদি জান যে, তাদের মধ্যে কল্যাণ আছে। আল্লাহ তোমাদেরকে যে, অর্থ-কড়ি দিয়েছেন, তা থেকে তাদেরকে দান কর।
৮৭| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:০৩
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: দু-পেয়ে গাধ (১০৭ নং কমেন্ট)
যদি আপনি বিশ্বাস করেন, সৃস্টিকর্তা রয়েছে, তাহলে আপনাকে মানতে হবে তিনি পরাক্রমশালী।
তিনি যদি অবিশ্বাসীদের পশুর সাথে তুলনা করেন, তবে সেই ক্ষমতা ও অধিকার দুটোই তার থাকে।
১. কেউ যদি বড় হবার পর পিতা-মাতার অবদান অস্বীকার করে এবং বলে “তোরা আমার বাপ-মা না। তোদের কোনো অবদান আমার জীবনে নাই, তোরা ভাগ” .... তাকে যেভাবে নরপশু বলা যাবে,
- পরমরুণাময়ের খাদ্য, বাতাস ও সকল সৃষ্টি ভোগ করারপরও কেউ তাকে অস্বীকার করলে, তাকে নরপশু বলে সম্মোধন কারাকে আমি অযোক্তিক মনে করছিনা।
-------------------------
আপনি যদি প্রকৃত অবিশ্বাসী হোন এবং ভেবে নেন কোরআন, হাদীস ভুয়া কবে এত ভাবনা কিসের? কোন কথাতেই তো কিছু এসে যাবার কথা নয়।
৮৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:২০
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: @আসিফ মহিউদ্দীনঃ
মহাবীর মহিউদ্দিনের এই "গেল্লুম গেল্লুম" থাকুম না.. কথা কমুনা.. আমি গেলাম, তোরা গাধা-ছাগল-পাঠা. তুই মিচা কইস .... ভাবখানা প্রতি পোস্টেই দেখি.. কাহিনী কি?
আমার আমপাড়া নাবালক, আমারা চিপায়
উঠতে বসতে আমরা চপাং চপাং কইরা গদাম খাইতেছি মহাবীরের নূরানী পদখানা দ্বারা..
তিনি জ্ঞানে সামু, মুক্তচিন্তার জীবন্ত কিংবদন্তি... স্মরণকালের সেরা পীরজাদ..
”তারপরও গেলাম গেলাম করেন, ভুল-ভাল বকেন (বোধহয় স্লিপ ওয়াকটা ব্লগেই সেরে নেন)”
তিনি গেরে আমরা আমপাড়া কমবখ্তরা তার কাছ থিকা এলেম হাসিলের সুযোগ হারাবো তা কি তিনি বোঝেন না?
আমাদের জ্ঞানভান্ডার পূরণ করতে আপনার অবস্থানের জন্য তীব্র মিনতি প্রকাশ করছি
৮৯| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:৩৬
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: আলবার্ট আইনস্টাইনঃ
আপনার রেফারেন্সের হাদিসগুলোতে-
দাস বানানোর কৌশল কোথায় আছে, একটু বলেন তো?
হাদিসগুলো পড়ছেন তো, নাকি শুধু মাউস কপি-পেস্ট কমান্ড?
আমার মনে হইতাছে আমি ইংরেজীতে খুব বেকুব টাইপ!
কারণ তেনার হাদীস রেফারেন্স বার বার পইড়াও বুঝতে পারলাম না দাস বানানোর কৌশলটা আসলে কি ছিল। কেউ আমারে ইংরেজী শেখান
(আমি দাশ-দাশীর উপর কোনো রেফারেন্স নয়, ইসলা, কিভাবে দাশ বানানোর কৌশল শেখায় তার উপর রেফারেন্স চেয়েছি)
আর দ্বিতীয়ত, আমি কোরআনের আয়াত চেয়েছিলাম দাস বানানোর স্বপক্ষে।
আলোচনার সময় টু-দা পয়েন্ট ও স্পেসিফিক উত্তর দেবেন। আজাইরা কথা কম লাইক রি। পুলাপাইন ও অতি উৎসাহিও কম লাইক করি।
৯০| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:১২
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: দাশ বিশেষজ্ঞ ও ইতিহাস বিদেরা আওয়াজ দেন-
১. ইসলাম দাস প্রথার প্রচলন করে নাকি প্রচলিত দাস প্রথাকে মানবীকতার মোড়কে মুড়িয়ে দাশদের পশু থেকে মানুষের কাতারে নিয়ে আসে?
২. দাশদের মুক্তিকে উৎসাহ দিতে কোন কোন গ্রন্থে উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে?
৯১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:১৬
পারভেজ আলম বলেছেন: কোরআনএ দাস বানানোর কৌশল থাকবে কেন? দাস ব্যাবসা এবং যুদ্ধের মাধ্যমে দাস বানানো আরব দেশে কোরআন আবির্ভাবের আগে থেইকাই প্রচলিত ছিল। কোরআনএ এই দাসদের সাথে কেমন আচরণ করতে হবে তা বলা আছে। দাস ব্যাবসা নিষিদ্ধ করা হয় নাই, এইটাই হইল আলোচ্য বিষয়। অর্থাৎ, কোরআনের আয়াতরে সর্বকালের জন্য সয়ম্ভু ধরলে দাস ব্যাবসায় কোন সমস্যা নাই, কারণ কোরআন এইটা নিষিদ্ধ করে নাই।
কিছু সহজ জিনিস নিয়া এইখানে হুদাই পেচাপেচি হইতাছে। রিপেনডিল, কর্নেল সামুরাই, আসিফ মহিউদ্দিন, অথবা আমি পারভেজ আলম এই জমানার মানুষ। আমরা সবাই বোধকরি দাসপ্রথা, বহু বিবাহ, যৌনদাসী ইত্যাদি কনসেপ্টের বিপক্ষে। আরবের মুসলমানদের মধ্যে এই জিনিস প্রচলিত ছিল এইটা যেমন ঐতিহাসিক সত্য তেমনি আদি ইসলাম এই বিষয়গুলা বন্ধ করে নাই, তাও সাক্ষ প্রমান সহকারে সত্য। নাস্তিকরা যেইখানে চেষ্টা করতাছে ইসলামী শরীয়ারে বর্তমান যুগের নৈতিকতা দিয়া মূল্যায়ন করতে, আস্তিকরাও তাই। ১৪০০ বছর আগের বর্বর দুনিয়ার নিয়ম কানুন এখন খাটবেনা, এইটা পাগলেও বোঝে। নীতি নৈতিকতা যুগ এবং স্থানের পরিবর্তনের সাথে সাথে পালটে যায়, এইটা যদি কর্নেল সামুরাই বা রিপেনডিল অস্বীকার করে, তাইলে কিছু করার নাই, এইটাই বাস্তব। আর যদি বাস্তবতা না মানতে পারেন, তাইলে আমি রিপেনডিল এবং সামুরাইএর কাছে আহবান জানাই বাংলাদেশে শরীয়া আইন প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা কইরা দেখতে।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৮:৪৬
রিপেনডিল বলেছেন: যুগোপযোগী বিধানের জন্য ইজমা এবং কিয়াস রয়েছে আগেই বলেছি এবং যেসব বিষয় ইসলাম সরাসরি নিষেধ করেছে বা আদেশ দিয়েছে সেসব বিষয় ব্যতিত যেকোন মানবিক নীতির প্রনয়ন সম্ভব। ততকালীন মুসলিম আরব সমাজে দাস-দাসী রাখার রেওয়াজ ছিল এবং ইসলামই সর্বপ্রথম তাদের প্রতি সদাচারনের নির্দেশ দিয়েছে। এই যুগে আমরা মনে করি দাস দাসী রাখা অমানবিক, ঐক্যমতের ভিত্তিতে এ ব্যপারে যুগোপযুগী বিধান প্রনয়ন সম্ভব।
৯২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:১৭
দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: কর্নেল সামুরাই@
মনে হচ্ছে আপনি এই পোস্টে আলোচনা চালানোর উপযুক্ত মানসিকতা নিয়া আসেন নাই। লেখক এখানে "নাস্তিক" দের সাথে আলোচনা করার জন্য এসেছেন (বিশ্বাসীদের সাথে নয়) বলে টাইটেলে লিখেছেন। আর একবার সেটা পড়ে দেখলে ভালো হয়। অবশ্য আপনি কোরাণ আর হাদিশ ছাড়া আর কিছুতে বিশ্বাস রাখেন না সেইটা আবার প্রমাণ হল। লেখকের দেওয়া টাইটেলটাও আপনি বিশ্বাস করতে পারেন নি।
নাস্তিকদের সাথে আলোচনা করা আপনার সাধ্যের বাইরে। আপনি চান আল্লাকে ও তাঁর দূত কে অভ্রান্ত বলে সিদ্ধান্ত করে নিয়ে তার পর আলোচনা করতে। কাজেই আপনার অফ যাওয়াই ভালো।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৮:৪৯
রিপেনডিল বলেছেন: কোরআন এবং হাদীসের সাথে আমার পোষ্টের টাইটেলের কি কনফ্লিক্ট হল? আমি নাস্তিকদের আমন্ত্রন জানিয়েছি ইসলামের কি কি বিষয় তাদের অপছন্দ সেটা নিয়ে আলোচনা করতে এবং আমার সপক্ষে যদি কেঊ বলেন আমি অবশ্যই তাকে স্বাগত জানাই, বিপক্ষে যদি কেউ বলেন তাকেও স্বাগতম।
৯৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:২৪
পারভেজ আলম বলেছেন: রিপেনডিলের কাছে আমি আমার ৭৭ নম্বর মন্তব্যের সন্তোষজনক জবাব আশা করছি। আমি এইখানে ঝগড়া করতে আসি নাই। শরীয়া আইন নিয়া যৌক্তিক আলোচনা করতে আসছি। ইজতিহাদ প্রয়োগ এবং ফিকহ শাস্ত্র নিয়া সিরিয়াস আলোচনা করতে চাই। আজাইরা ঝগড়া চাই না। ইজতিহাদ প্রয়োগের মাধ্যমে ইসলামি শরীয়তের আধুনিকায়ন করা যায় কি না এইটা আমার একটা আগ্রহের বিষয়।
ইজতিহাদ প্রয়োগ বন্ধ করছিল ছিহাহ সিত্তাপন্থী কট্টর সুন্নিরা। একিসাথে ছিহাহ সিত্তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন এবং ইজতিহাদ প্রয়োগ কিভাবে একসাথে করা যায় এই বিষয়এ গুরুত্বপূর্ণ গবেষনা বা আলোচনা গত ৮০০ বছরে হইছে কি না আমার জানা নাই। রিপেনডিল, আসেন শুরু করি।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৮:৫৮
রিপেনডিল বলেছেন: যুগোপযোগী বিধানের জন্য ইজমা এবং কিয়াস রয়েছে আগেই বলেছি এবং যেসব বিষয় ইসলাম সরাসরি নিষেধ করেছে বা আদেশ দিয়েছে সেসব বিষয় ব্যতিত যেকোন মানবিক নীতির প্রনয়ন সম্ভব। ততকালীন মুসলিম আরব সমাজে দাস-দাসী রাখার রেওয়াজ ছিল এবং ইসলামই সর্বপ্রথম তাদের প্রতি সদাচারনের নির্দেশ। দিয়েছে। এই যুগে আমরা মনে করি দাস দাসী রাখা অমানবিক, ঐক্যমতের ভিত্তিতে এ ব্যপারে যুগোপযুগী বিধান প্রনয়ন সম্ভব বলে আমি মনে করি।
আমি নিজেকে ইজমা এবং কিয়াস অনুসারে বিধান প্রনয়নের যোগ্য মনে করছি না কারন আমি ততটা জ্ঞানী নয়। তবে এখানে আলোচনা চলতে পারে।
এই প্রথম আমি আপনার মন্তব্য কে সাধুবাদ জানাই যে আপনি শরিয়াহ নীতি আধুনিকায়নের উপরে আলোচনা করতে রাজি হয়েছেন। তবে গোড়ার কথা হচ্ছে যাকে আপনি বিশ্বাসই করছেন না তার যুগোপযুগী আবরন প্রয়োগ করাতে আপনার লাভ কি?
আমার আর একটি প্রশ্ন, আপনি--
নাস্তিক? নাকি ইসলাম বিরোধী? সৃষ্ট কর্তা কে বিশ্বাস করেন আপনার মত করে নাকি বিশ্বাসই করেন না?
৯৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:২৮
দু-পেয়ে গাধ বলেছেন:
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: দু-পেয়ে গাধ (১০৭ নং কমেন্ট)
যদি আপনি বিশ্বাস করেন, সৃস্টিকর্তা রয়েছে, তাহলে আপনাকে মানতে হবে তিনি পরাক্রমশালী।
তিনি যদি অবিশ্বাসীদের পশুর সাথে তুলনা করেন, তবে সেই ক্ষমতা ও অধিকার দুটোই তার থাকে।
১. কেউ যদি বড় হবার পর পিতা-মাতার অবদান অস্বীকার করে এবং বলে “তোরা আমার বাপ-মা না। তোদের কোনো অবদান আমার জীবনে নাই, তোরা ভাগ” .... তাকে যেভাবে নরপশু বলা যাবে,
- পরমরুণাময়ের খাদ্য, বাতাস ও সকল সৃষ্টি ভোগ করারপরও কেউ তাকে অস্বীকার করলে, তাকে নরপশু বলে সম্মোধন কারাকে আমি অযোক্তিক মনে করছিনা।
-------------------------
আপনি যদি প্রকৃত অবিশ্বাসী হোন এবং ভেবে নেন কোরআন, হাদীস ভুয়া কবে এত ভাবনা কিসের? কোন কথাতেই তো কিছু এসে যাবার কথা নয়।
===================
অবশ্যই আমি কোরাণ-হাদিশ কে পরম সত্য বলে মনে করি না। এবং এর কোনোটাই আল্লার কাছ থেকে আসা বলেও মনে করি না। লেখক এখানে প্রশ্ন তুলেছেন কোন নিয়মগুলা অ-মানবিক মনে হয় তাই নিয়ে। এই মনে হওয়াটা যাদের আছে তারা অবিশ্বাসীই হবে কারণ বিশ্বাসীরা তাদের বিশ্বাসকে কখনো খারাপ বলে বিশ্বাস করে না। কিন্তু আপনি চাইছেন যে কোরানকে যারা অভ্রান্ত আল্লার দেওয়া অভ্রান্ত নিয়ম বলে বিশ্বাস করে একমাত্র তারাই এটা নিয়ে আলোচনা করার যোগ্য।
"কোনো নিয়মের ভুলভ্রান্তি বের করার অধিকার একমাত্র তারই থাকবে যে নিয়মটা অভ্রান্ত আল্লার দেওয়া বলে বিশ্বাস করে" এই ধরনের যুক্তি একমাত্র পাগলের পক্ষেই দেওয়া সম্ভব। আমার এই কথাটা যেকোনো মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের কাছে প্রশ্ন করে যাচাই করে নিতে পারেন।
৯৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:৪২
পারভেজ আলম বলেছেন: "কোনো নিয়মের ভুলভ্রান্তি বের করার অধিকার একমাত্র তারই থাকবে যে নিয়মটা অভ্রান্ত আল্লার দেওয়া বলে বিশ্বাস করে"
হা: হা:, অভ্রান্ত মনে করলে আবার ভুলভ্রান্তি বের করতে যাবে কেন????
৯৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:০১
দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: পারভেজ@ঐটাই ত তামাশা।
আগে প্রতিজ্ঞা করতে হবে যে "যাহা পড়িব বিশ্বাস করিব" তার পরে কোরান হাদিশ পড়া যাবে। (সামুরাই বলেছেন।)
এই পদ্ধতিতে যদি কারোর হাতে 'তন্ত্রবিদ্যা'র বই তুলে দেওয়া হয় (যাতে নরবলি ফরজ নয়, কিন্তু হারামও নয়) তবে কার সাধ্যি তাকে নরবলি দিতে মানা করে। যে মানা করতে যাবে ব্যাটা তাকেই ধরে বলি দেবে।
৯৭| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:১৪
পারভেজ আলম বলেছেন: আগে প্রতিজ্ঞা করতে হবে যে "যাহা পড়িব বিশ্বাস করিব" তার পরে কোরান হাদিশ পড়া যাবে। (সামুরাই বলেছেন।)
শুধু পড়া যাবে তাও বলেন নাই, বলছে বিশ্বাস না করলে না কি ভুল ধরা যাবে না। এইটা এমন যুক্তি যেই যুক্তি নিজেই নিজেরে খাইয়া ফালায়।
এনিওয়ে, এই বিষয়ে সামান্য কথা বলি। আমরা যারা মুসলমানের ঘরে জন্ম নিয়া পরে বিশ্বাস হারাইছি, আমরা তো আসলে বিশ্বাস নিয়াই পড়া শুরু করছিলাম এবং পড়তে পড়তেই বিশ্বাস হারাইছি। সামুরাই এমন ভাবে কথা বলছেন যেন আমরা ভিনগ্রহ থেইকা আসছি। এবং আমরা যে বিশ্বাস হারাইছি তার পেছনেও বড় ভুমিকা রাখছে আপনাদের মতো মানুষেরা। আদতে, আপনি বা রিপেনডিল ইসলাম বিষয়ে কোন বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি না। নিজের যা বুঝেন তাই দিয়া আমাদের এলিয়েনেটেড করতে চান। আমরা যখন প্রথম প্রথম কোরআন হাদিস নিয়া প্রশ্ন করা শুরু করি তখন আপনাদের মতো লোকেরাই কোন সঠিক উত্তর দিতে তো পারেই না উলটাপালটা বকে, এবং এই দাবি করে যে মুমিন হইলে বিশ্বাস করতে হবে, এইসব নিয়া প্রশ্ন করা যাবেনা। এবং তখনই আমরা বিশ্বাস বিসর্জন দেই। বেশীরভাগ মুসলমানের ঘরে জন্ম নেয়া নাস্তিকদের ইতিহাস অনেকটা এইরকমই।
৯৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:৩১
পারভেজ আলম বলেছেন: ধীরে ধীরে ভালো মাথার নাস্তিকেরাও বলদ হয়া যাইতেছে
আপনার মতে কোরআনের আয়াত ৬৩৪৬ তো? /
ঠিক আছে, আপনি যা জানেন তাই ঠিক!
আপনের এই মন্তব্যটা আগে দেখি নাই। প্রথমত, আমি বলদামি করলে ধরায়া দেন, অনুরোধ থাকলো। দ্বিতীয়ত, কোরআনে আয়াত সংখ্যা কত সেই বিষয়ে আপনার ধারণা পরিস্কার করেন। একবার কইবেন ৬৬৬৬ আবার আমি ভুল ধরলে কইবেন ৬৩৪৬, মাইনা নিলাম, আবার সেইসাথে পিছলাইবেন, তা তো হবে না। আপনে নাকি আজাইরা কথা পছন্দ করেন না। সুতরাং, পয়েন্টে আলোচনা করনে।
৬৬৬৬টা আয়াতএর সংখ্যা একটা প্রচলিত ধারণা। হয়তো কোন কালে ৬৬৬৬ আয়াত সংখ্যার কোরআনএর একটা ভার্সন ছিল। আধুনিক কোরআনে অবশ্য এত আয়াত নাই। কোরআনের সেই ভার্সনটা এখনো আছে কি না তা জানি না। ওসমান সংগৃহিত কোরআনের আয়াত সংখ্যা কত এইটা কি আপনে জানেন? আমি জানিনা। তবে ওসমানএর কোরআন আর আধুনিক কোরআনের মধ্যে বেশকিছু যায়গায় পার্থক্য আছে, এইটা একবার পড়ছিলাম, দুই কোরআনের বিভিন্ন পাতার ছবি সহকারে।
ওহ, ভালো কথা। সবাইরে শুভ নববর্ষ। আমার শরীর ভালো না। সারাদিন বাসায় আছি।
৯৯| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:৪১
দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: পারভেজ@
সমস্যাটা সেইখানেই। যতদিন আগে বিশ্বাস করে তারপর পড়ার নিয়ম চলেছে ততোদিন কেউ কোনো ভুল দেখতে পায়নাই। আগে বিশ্বাস করবে তবেই পড়বে এতে ভুল পাওয়ার সম্ভাবনা শুন্য। এবং ভুল পেয়েছি বলা মাত্রই তার প্রতিজ্ঞাভঙ্গের পাপে ফেঁসে যাওয়া নিশ্চিত।
ভুল তারাই পেতে পারে যারা নির্ভূল বলে বিশ্বাস করে না। কেউ ভূল পেয়েছে মানেই সে নির্ভূল বলে বিশ্বাস হারিয়েছে।
কিন্তু তাদের বক্তব্য শুনতে আল্লাহ নিষেধ করেছেন।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৯:১৫
রিপেনডিল বলেছেন: আগে বিশ্বাস করবে তবেই পড়বে আমি এটি কে সমর্থন করছি না। তবে যে ব্যক্তি শুরু থেকেই বিশ্বাস করছে যে সৃষ্টি কর্তা নেই তার এই কোরআন পড়ার কোন অর্থ হয়না। যদি আপনি বিশ্বাস করেন সৃষ্টি কর্তা আছেন তবে এটি পড়ুন এবং চিন্তা করুন।
আপনারা যতগুলো আয়াত বা হাদীস দেখিয়েছেন তার কোনটিতে আপনার ভুল বের করেন নি, সমালোচনা করেছেন যে এই যুগে এই প্রথার বা এই আইন চলবে কিনা বা কিভাবে এমন অমানবিক আইনের প্রচলন সম্ভব।
উপরের কিছু কমেন্টে আমি উত্তর দিয়েছি, ইজমা কিয়াসের কথা বলেছি। এবার কোন কোন আইন অমানবিক সে ব্যাপারে আলোচনা করুন।
ইসলাম নারীর মর্যাদা ক্ষুন্ন করে নি বরং করেছি মহিমান্বিত। ইসলাম বলেছে মায়ের পদতলে সন্তানের বেহেস্ত, ইসলাম বলেছে আল্লাহ এবং রাসুলের পরেই তোমার পিতা মাতার সম্মান কর এবং এক্ষেত্রে মাতার স্থান তিন বার এবং পিতার একবার। ইসলাম বলেছে পর্দা রক্ষা করে নারী পুরুষের সাথে সব ধরনের কাজ করতে পারবে যদি তার সামর্থ থাকে।
১০০| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:৪৮
দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: পারভেজ@
সমস্যাটা সেইখানেই। যতদিন আগে বিশ্বাস করে তারপর পড়ার নিয়ম চলেছে ততোদিন কেউ কোনো ভুল দেখতে পায়নাই। আগে বিশ্বাস করবে তবেই পড়বে এতে ভুল পাওয়ার সম্ভাবনা শুন্য। এবং ভুল পেয়েছি বলা মাত্রই তার প্রতিজ্ঞাভঙ্গের পাপে ফেঁসে যাওয়া নিশ্চিত।
ভুল তারাই পেতে পারে যারা নির্ভূল বলে বিশ্বাস করে না। কেউ ভূল পেয়েছে মানেই সে নির্ভূল বলে বিশ্বাস হারিয়েছে।
কিন্তু ১) তাদের বক্তব্য শুনতে আল্লাহ নিষেধ করেছেন।
২) তাদের নিকৃষ্ট পশু বলে ট্যাগিং করেছেন
৩) তাদের প্রতি কঠোর আচরন করার জন্য বান্দাদের নির্দেশ দিয়েছেন।
এমনটাই কোরাণে আছে। এবং আমার মতে এইটাই ইসলাম এর সবচেয়ে বড় অ-মানবিক দিক। আধুনিক সমাজে এই মানসিকতাকে একটি মানসিক ব্যাধি হিসাবেই ধরা হয়।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৯:১৯
রিপেনডিল বলেছেন: তাদের বক্তব্য শুনতে নিষেধ করেছেন কারন তারা ইসলামের কুতসা রটানো ছাড়া আর কিছু করে না। তাদের বেশীরভাগই যৌক্তিক আলোচনায় আসেনা বা আসলেও তারা বিশ্বাস করে না।
যে তোমাকে সৃষ্টি করেছেন তাকে যদি তুমি অস্বীকার কর তবে তার অধিকার আছে তোমাকে পশু বলার।
ইসলাম তাদের প্রতি কঠোর হবার নির্দেশ দিয়েছে যারা ইসলামের প্রকাশ্য শত্রু।
১০১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:৪০
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: দুপুয়ে গাধ (কমেন্ট নং ১৩৭):
আপনার দুটো কথাই সত্যা।
১. নাস্তিকদের সাথে কোন ফলপ্রসূ আলোচনার না আমার কোনো ইচ্ছা আছে এবং না হবে। আমি শুধূ ডিফেস করতে পছন্দ করি। অবিশ্বাসী ও বিশ্বাসীদের আলোচনা ফলপ্রসূ হবে এটা ভাবাটি কি চরম রকমের নির্বোধিতা নয়?
২. আমি এই পোষ্টের টপিক নয় বরং আসিফ মহিউদ্দীনকে প্রশ্ন করেছিলাম মুহদ্দস (সা) কে কেন ধর্ষক, নরহন্তক বলা হবে? এই পোস্টের টপিকে আলোচনা করবেন রিপেনডিল।
৩. নাস্তিকের সাথে আলোচনা আমার সাধ্যের মধ্যে না থাকলে আমার কিছু করার নেই। না আমি তাদের মত ভাবি, না তারা আমার মত ভাবে।
১০২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:০৪
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: দুপেয়ে গাধ (১৪০ নং কমেন্ট)
আপনার কথার মর্মোধ্যারের জন্য ৩ মাস পাবনা থেকে ট্রেনিং এর দরকার হতে পার। অভ্রান্ত, ভ্রান্ত!
আমি বুঝতে পেরেছি আমি হয়তো নব্য নাস্তিক অথবা সংশয়বাদী।
নাহলে আপনি জানতেন এই প্রশ্নগুলোর জবাব বহু আগেই দেয়া হয়েছে।
আমি একবার বলেছি, শেষ বারের মত আবারও বলছি
হয় আপনাকে-
১. বিশ্বাস করতে হবে
২. বিশ্বাস করবেন না।
আপনাকে বিশ্বাস করাতে বাধ্য করেছে কে?
১. আপনার যদি মনেহয় লজিক দিয়ে ইসলামের কোনো কিছুই ব্যাখ্যা সম্ভব নয় আপনি সেটিকে গুডবাই টাটা বলুন।
২. যদি আপনার মনেহয় লজিক্যাল কিছু আছে তবে থাকুন।
একই কোরআন পড়ে আমার মনেহয়েছে সত্য, আপনার মনেহয়েছে মিথ্যা।
আপনার কাছে যদি হুমায়ূন আযাদের কথা সত্য মনেহয় তবে সেটা মানুন, আবার ইচ্ছা হলে না মুমুন, সব আপনার ইচ্ছা।
আসলে আমার মূল কথা হচ্ছে-
আপনার মনে যা চায়, যেই ভাবনা আসে আপনি তাই করুন। না আমি কখনো আপনার মনে বিশ্বান ঢুকাতে পারি না আপনি আমার মনে অবিশ্বাস ঢুকাতে পারবেন।
আমি জীবনে ২ বার বিশ্বাস স্থাপন করেছি-
১. জন্মসূত্রে
২. বড় হয়ে সবকিছু বিশ্লেষণ ও যাচাই-বাছাই করার পর পুনরায়।
আমি বুঝে, শুনে এবং সবকিছু জেনে বিশ্বাসী, ইসলামের মূল তত্ববাদী। আপনি বিশ্বাসী কি না, বা বিশ্বাসী হবেন কি না সেটা নিয়ে আসলে আমার কোনো মাথা ব্যাথা নেই।
[অফলাইনে যাচ্ছি ফিরে এস ধারাবাহিকভাবে সকলের সাথে আলোচনা হবে]
১০৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২২
দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: কর্নেল সামুরাই@
আপনি চাইলে পাবনায় ট্রেনিং নিয়ে আসতে পারেন। সেটা আপনার মনে হওয়ার উপর নির্ভর করবে। কিন্তু বিশ্বাস করা বা না করাটা আপনাদের মতন বিশ্বাসীদের জন্য থাকতে দিলেই ভাল করবেন। যুক্তিবাদীরা নিজের খুশীমতো বিশ্বাস বা অবিশ্বাস করে না। তারা যেটা যুক্তিতে উতরায় সেটাই গ্রহণ করে (বিশ্বাস নয়)। আপনার কথা থেকে পরিষ্কার বোঝা যায় যে আপনি যুক্তি শব্দটার মানে বোঝেন না।
শুধু যে যুক্তি কথাটার মানে বোঝেন না তাই নয়। পোস্ট এর মধ্যে পরিষ্কারভাবে ব্যক্তি-আক্রমণ বাদ দিয়ে আলোচনার কথা থাকলেও আপনার প্রথম মন্তব্য থেকেই আপনি ব্যক্তি আক্রমণ শুরু করে প্রমাণ করেছেন যে "আলোচনা" শব্দটার কি অর্থ সেটাও আপনি বোঝেন না। এর পরে এই পোস্টে যতজন আপনার সঙ্গে একমত নয় তাদের প্রত্যেকের উপর আপনার ব্যক্তিগত ব্যঙ্গমূলক মন্তব্য আছে। এমনকি আপনি পরিষ্কার বলেছেন যে অবিশ্বাসীদের নিকৃষ্ট পশু বলাকেও আপনি সমর্থন করেন। যেন কথাটা ঈশ্বর বলেছেন বলে আপনার কাছে বিরাট কিছু প্রমাণ আছে। সমস্যা হল সেটা আপনি নিজেও বোঝেন কিনা সেটা বোঝার মতন জ্ঞান আমার নেই। আমি এখনো পাবনা থেকে ট্রেনিং নিয়ে উঠতে পারিনি।
শেষ কথা হল আপনাকে কেউ অবিশ্বাস করার জন্য জোর করেছে বলেও আমার মনে হয় না। আমরা আমাদের কথা বলব, আপনার যদি বুঝতে অসুবিধা হয় তবে হয় নিজের বুঝবার ক্ষমতা বাড়াবেন অথবা বুঝবেন না। দুনিয়ার বেশির ভাগ বিশ্বাসী লোকেই যদি ১৪০০ বছরেও "সহজ" করে দেওয়া কোরাণ বুঝে উঠতে না পেরে থাকে (কথাটা আমার নয়, যারা ছহি ইসলাম নিয়ে কথা বলেন তাদের) তবে বিশ্বাস করে পড়লেই বোঝা যাবে এই কথাটা বিশ্বাস করা 'লজিক' এর পক্ষে একটু শক্ত হয়ে যায় কিনা সেটা কোনো 'লজিক বিশেষজ্ঞকেই প্রশ্ন করবেন। আমার কথার চেয়ে সেটাই বেশি দামী হবে মনে হয়।
১০৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৯
দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: কর্নেল সামুরাই@
কারেন্ট চলে যাওয়ার ফলে শেষ করতে পারিনি। তবে আমার মনে হয় আপনার পাবনার ট্রেনিং এর সত্যিই দরকার আছে। এটি আমার অনুমান মাত্র, সিদ্ধান্ত নেবার মতন জ্ঞান বা অধিকার আমার নেই। তবে সাইকোলোজি সামান্য পড়ে এটুকু জেনেছি যে যদি কারো যুক্তিসঙ্গত চিন্তা (Rational thinking) এর চেয়ে আরোপিত ধারণার উপর বেশি আস্থা থাকে তবে সেটি আধুনিক মনোবিজ্ঞান সুস্থতার লক্ষণ বলে মনে করে না। আপনি যদি পাবনা গিয়ে একবার চেক-আপ করান তাতে লাভই হবে বলে মনে করি।
১০৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩২
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: মহামতি আসিফ মহিউদ্দিনঃ
আমি প্রথমেই একবার বলেছি, ধর্মকে বিশ্লেষণে যারা কার্লমার্কসকে টেনে আনে আমি তাদের দলে নই। (আপনি কি সেই বাক্যটি দেখেন নি )
ঈমাণ ও যুক্তি দুটি পরষ্পর বিরোধী ব্যাপার, এবং ঈমাণের জন্য কোন মুমীন যুক্তির উপর নির্ভরশীল নয় এই কথাটা স্পস্ট অক্ষরে অনেক আগে বলার পরও আপনি এখন বুঝলেন??
সেই কথাটা আমি স্বীকার করে নিয়েছি, সেই কথাটা আপনি প্রমাণ করার চেস্ঠা করছেন?
১০৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৫
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: আলবার্ট_আইনস্টাইন (১৩৯ নং কমেন্ট)
৩. নবীর জীবনযাপন পদ্ধতি যদি সর্বকালের সকল মুস্লিমেরর জন্য আদর্শ হয়, তবে দাসপ্রথাও তাদের জন্য আদর্শ কী না? না হলে এই ব্যাতিক্রমের কারন কী?
------------------------------------------------------------------------
(আমার মনেহয়, আপনার পড়াশোনা কিন্চিৎ বেশী! দাশ প্রথা মুসলমানদের জন্য আদর্শ...! :-&
মুসলমানদের আদর্শ কি কি সেটা আগে জেনে আসেন, তার আগেও জেনে আসেন "আদর্শ" শব্দটার মানে কি!
অতিউৎসাহে আপনি এক জিনিষ বলতে গিয়ে বলে ফেলছেন অন্য জিনিষ, এজন্যই অতিউৎসাহীদের আমি কম লাইক করি।
২. দাস প্রথা নিষিদ্ধ (হারাম) করে কোরানে কোন আয়াত নেই, বা কোন হাদিস নেই। আপনি এটা অস্বীকার করেন কী না?
-----------------------------------------------------------------------
কুরআনে দাশদের মুক্তিদিতে উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে, নতুন দাশ বানানোর কোনো সিস্টেম শেখানো হয়নি। যেটি সদুর প্রসারি ভুমিকা রেখেছে। এভাবে দাশদের মুক্তি দিতে দিতে একসময় দাশপ্রথার বিলুপ্তি ঘটেছে।
আপনারা সাদা চামড়াদের দাশ প্রথা নিয়ে কেন আলোচনায় আসছেন না??
আরব, পাশ্চাত্য সবখানেই দাশ প্রথা ছিল, বরং পাশ্চাত্যের দাশপ্রথার কাহিনী তো আরো লোমহর্ষক! এলার্জিটা আরবে কেন? সেখানে দাশদের মুক্তি দানে উৎসাহ দেয়া হয়েছে বলে?
১. আমি জানি আপনার নবীর নিজস্ব দাস ছিল, এবং তার সৈন্যরা যুদ্ধবন্দিদের (নারীসহ) দাস হিসেবে গনীমতের মালের সাথে ভাগ পেত। আপনি এটা অস্বীকার করেন কী না?
না করিনা। যুদ্ধ বলতে আপনি যদি বোঝেন কিত কিত খেলা, তবে আমার কিছু করার নেই
ইাতহাসের কোন যুদ্ধে যুদ্ধের পর বিজয়ী সেই রাজ্যে ও সম্পদে অধিকার কায়েম না করে এমনি চলে গেছে?
মোঘল, ইংরেজ, ফারাও... কে কে? নাকি মুসলমানরাই এই প্রথার জন্মদাতা?
যুদ্ধ কি হা ডু ডু খেলা?
১০৭| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৮:০৬
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: আসিফ মহিউদ্দিন (কমেন্ট ১৫৫)
আমি তো প্রথমেই বলেছি আমি লেখতের পোষ্টের বিষয়ে আলোচনা করছিনা, আমার আলোচনা শুরু হয়েছিল আপনি কেন মুহম্মদ (সা) কে ধর্ষক, হরহন্তক বলেছেন, আপনার কথার ও অন্যন্য ব্লগারের প্রসঙ্গ ধরে আলোচনা মোড় নিয়েছে। আমি মূল প্রসঙ্গে পিরে আসবো আবারো।
আপনার চোখে সমস্যা ও পড়ার সমস্যার ব্যাপারে প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেলাম!
"কোনো নিয়মের ভুলভ্রান্তি বের করার অধিকার একমাত্র তারই থাকবে যে নিয়মটা অভ্রান্ত আল্লার দেওয়া বলে বিশ্বাস করে"
কথাটা বলেছে দু-পেয়ে গাধ!
হায়রে!! হাসতে হাসতে আজ শেষ হয়া যাবে, পীরজাদার কান্ড কীর্তি দেইখা!
হাঃ হাঃ হাঃ ... আল্লাহ বাচাও!!
১০৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৮:৪২
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: দু-পেয়ে গাধ (১৫২ নং কমেন্ট)
তবে সাইকোলোজি সামান্য পড়ে এটুকু জেনেছি যে যদি কারো যুক্তিসঙ্গত চিন্তা (Rational thinking) এর চেয়ে আরোপিত ধারণার উপর বেশি আস্থা থাকে তবে সেটি আধুনিক মনোবিজ্ঞান সুস্থতার লক্ষণ বলে মনে করে না।
--------------------------------------------------------------------
ভালো মত প্যাচ লাগানো সম্ভব শুধু এই একটি কমেন্ট থেকেই।
(সার্জন নিক থাকাকালিন আমার প্রবর্তিত যক্তিটি পুনস্থাপন করি)
১. কার বীর্যে আপনার জন্ম? কোনো পরীক্ষা ছাড়াই আপনি আরোপিত ধারণায় কেন বিশ্বাসী? বিশ্বাসী হলে সেটি আপনার মানসিক অসুস্থতা কিনা?
আবার,
আপনি যদি নিজে পরীক্ষা করে বা ইন্দ্রিয় গ্রাহ্য কোন উদাহরণ টানার চেষ্ঠায় থাকেন তবে অগ্রীম বলে রাখি আমি আপনাকে প্রশ্ন করবো-
২. বিজ্ঞানের বেশিরভাগ থিউরী (যেমনঃ ব্লাকহোল) আপনি দেখেননি, পরীক্ষাও করেননি, বিজ্ঞানীরা করেছেন আপনি আস্থা রেখেছেন। সুতরাং ইন্দ্রিয়গাহ্য বা পরীক্ষা নির্ভর টাইপ সোজাসাপ্টা দিকে না যাওয়ার জন্য আগেভাগেই বলে রাখলাম।
১০৯| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৮:৫৭
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: @আইনস্টাইন, আপনি প্রশ্ন করেছিলেণ
২. দাস প্রথা নিষিদ্ধ (হারাম) করে কোরানে কোন আয়াত নেই, বা কোন হাদিস নেই। আপনি এটা অস্বীকার করেন কী না?
আমি উত্তর দিয়েছিঃ না করিনা
অথচ আপনি বুঝলেন: করি!
বাংলা ভাষায় নলেজ কার কম? (যদি বলেন কর্ণেলের, ঠিক আছে নিজেকে কমবখত ভাবা শুরু কর্লাম, তালগাছটা আপনার! )
পাখি খাঁচায় বন্দী করে মুক্ত করে দেয়া অনেক মহানুভবতার লক্ষণ
আমি অনেক আগে থেকেই একটা প্রশ্ন করে উত্তর পাইতেছিনা,
পাখিকে খাচায় বন্দিকে উৎসাহ মূলক আয়াত কোরআনে কোথায় আছে দেখান। (আমার ১৩২ ও ১৫৭ নং কমেন্ট আবার পড়ুন )
....নবীর জীবন অক্ষরে অক্ষরে অনুসারী মোমিন-মুসলমান্দের জন্য আদর্শ কি না....
(আমার ৮৪ নং কমেন্ট এ কিছু দেখেননি?
... মুহম্মদ (সা) এর জীবনী কপি-পেস্ট করে চলা বাধ্যতামূলক (তিনি খেজুর গাছের বিছানায় শুতেন, আমাদেরও শুতে হবে, ৪০ বা ৬ বছরের মেয়েকে বিয়ে করতে হবে... এমন রেফারেন্স কি আপনার পীর দাদা-চারারা দিয়ে গেছেন...
[আপনি কী সবগুলো কমেন্টগুলো ভালো মত পড়ছেন, নাকি এমনি এমনি কথা বলছেন?
এজন্যই আমি নবীন নাস্তিকদের কম লাইক করি, একই কথা বার বার বলা লাগে, পারভেজ আলম সাহেবের কাছে ছবক নিন, তিনি ইশারাও বুঝতে পারেন, কথাও বলা লাগেনা ]
১১০| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৯:০৮
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: @পারভেজ আলম (১৪৪ নং কমেন্ট)
কপিপেস্টে গেলাম না। উইকিপিডিয়ার লিংক দিলাম।
আপাতত এই পোষ্টে বিস্তারিত বর্ণনায় গেলাম না, কে কিভাবে।
Click This Link
১১১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৯:১৩
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: লিংকটি অ্যাড হচ্চে না কেন?
পারভেজ সাহেবের লিংক এটি (ব্রাউজারে কপি পেস্ট করুন)
bn.wikipedia.org/wiki/কুরআন
১১২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৯:১৬
দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: কর্নেল সামুরাই@
আপনার ১) নং প্রশ্নের উত্তরে জানাই যে এটি আমি জানার প্রয়োজন মনে করি না। (যেমন আল্লাহ কুরাণে আরবের তলায় জমে থাকা তেলের কথা বলা প্রয়োজন মনে করেন নাই। যদিও আজ মুসলিম জগতের মূল শক্তি এই তেল।) কারণ এতে দুনিয়ার কারোর কিচ্ছু এসে যায় না। আমার জন্মের সঙ্গে দুনিয়ার কোনো কিছুরই কোনো সম্পর্ক নেই, যেটুকু সম্পর্ক আছে তা আমার কাজকর্মের সঙ্গে। যদি কোনোদিন জানাটা প্রয়োজন হয় তবে জেনে নেওয়া সম্ভব। যেহেতু আমি প্রয়োজনীয় জিনিস ছেড়ে সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয় কথা জানার চেষ্টা করি না তাই এটি মানসিক সুস্থতার লক্ষন বলেই মনে করি। আমার জন্ম ক্যামনে হয়েছে তা নিয়ে ধার্মিকদের মাথাব্যথা আছে বটে। সেই মাথাব্যথার পিছনে উপযুক্ত কারণ দেখাতে পারলে আমি পরীক্ষা করে দেখে আপনাকে জানাতে পারি।
২) বিজ্ঞানীদের থিউরিকে আমি থিউরি হিসাবে বিশ্বাস করি। পরম সত্য বলে বিশ্বাস করি না। যেদিন এর চাইতেও গ্রহণযোগ্য কোনো থিউরি যুক্তির পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হবে সেদিন ব্ল্যাক হোল বাতিল হয়ে যাবে। কারণ বিজ্ঞানের থিউরি সর্বদাই প্রমাণিত সত্যের পথ ছেড়ে দেয়। কিন্তু আপনার থিউরিটি কি এবার দেখা যাকঃ-
ক) আপনার মতে একজন সৃষ্টিকর্তা থাকবেই।
যদিও আপনি কোনো নিশ্চিত প্রমাণ ছাড়াই এটি "পরম সত্য" দাবী করেন, থিউরি নয়। তবু যেহেতু এই পোস্ট এর আলোচনা সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের উপর নয় তাই ধরে নিলাম আছে। (একাধিক কেন থাকতে পারেনা সেই প্রশ্নও বাদ থাক।)
খ) সেই সৃষ্টিকর্তা সর্বজ্ঞ ও সর্বশক্তিমান।
এটিও থিউরি মাত্র। যেহেতু এখানে সৃষ্টিকর্তার জ্ঞান নিয়ে আলোচনা নয় তাই ধরে নিলাম সত্য।
গ) কোরান সেই সৃষ্টিকর্তার রচিত। এবং এখন পর্যন্ত সেরা নিয়ম। এটিই শেষ এবং এর চেয়ে ভাল কিছু সম্ভব নয়।/su]
এইটাও থিউরি মাত্র। আমি এইটা মেনে নিতে পারলাম না কারণ সর্বজ্ঞের দেওয়া কোরান এর মধ্যে ভুল থাকতে পারে না। কিন্তু আমি কোরান এর মধ্যে ভুল দেখেছি। অনেক এমন নিয়ম দেখেছি যার চেয়ে ভাল নিয়ম মানুষের পক্ষেই করা সম্ভব। কাজেই আপনাকে হয় প্রমাণ দিতে হবে যে আমি যেগুলিকে বর্তমান অবস্থায় খারাপ বলে বা ভুল বলে দেখছি সেগুলি আদতে ভুল নয় বা তার চাইতে ভাল নিয়ম করা সম্ভব নয়। বা ছিলনা।
এটি বিশ্বাস দিয়ে প্রমাণ হতে পারে না। আপনাকে তথ্য দিয়ে যুক্তি দিয়েই প্রমাণ করতে হবে। যদি মনে করেন যুক্তি দিয়ে আলোচনা করা উচিত নয় তবে অফ দেবেন। সেক্ষেত্রে আপনার থিউরি একটি থিউরি হয়ে চিরকাল থেকে যাবে। যেমন এতদিন আছে। আর যদি হেরে যান তবে আপনার থিউরি বাতিল হবে।
যদি জিতে যান তবে আপনার থিউরি সত্য বলে প্রমাণিত হবে।
আশা করি থিউরি আর সত্যের মধ্যে তফাত বোঝাতে পেরেছি। যদি না পেরে থাকি বলবেন। আবার চেষ্টা করব।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৯:৩১
রিপেনডিল বলেছেন: কোরআনে সরাসরি নির্দেশ এসেছে এমন কিছু নিয়মের কথা বলুন যার থেকে ভাল নিয়ম আপনি দিতে পারবেন এবং কেন ভাল সেটি ব্যাখ্যা করুন।
১১৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৯:১৮
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: @আলবার্ট_আইনস্টাইনঃ
আপনি সঠিক কথা বলেছেন। আমার ৬১ ও ৮৭ নং কমেন্টে এ বিসয়ে আগেই বলেছি, আপনে পড়ে নিন।
সরাসরি প্রবর্তিত নিয়ম ব্যতিত নতুন যেকোনো নিয়ম ইজমা ও কিয়াসের দ্বারা যুগের প্রয়োজনে তৈরী ইসলাম সমর্থন করে।
১১৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৯:২৯
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: আসিফ মহিউদ্দিনের কাছে যেসব প্রশ্নের উত্তর শোনার অপেক্ষায় রয়েছি-
১. নরহন্তকের সংজ্ঞা কি? এবং মহানবী (সা) নরহন্তক হলে ১৯৭১ সালের আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা কেন নরহন্তক হবে না।
২. ধর্ষনের সংজ্ঞা কি এবং মহানবী (সা) এর ধর্ষণের ইতিহাস যথাযথ যুক্তি ও প্রমাণ সহ।
[বাকিগুলো একে একে আসবো। আপাতত অফলাইনে যাচ্ছি। এসে ধারাবাহিকভাবে সবার কমেন্ট আলোচনা করা হবে]
১১৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৯:৫৯
দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: এতক্ষণ অনেক তো দিয়েছে অনেকে। এইগুলাই শেষ করুন। এর পরে আমি আসব। নাহলে একসাথে সবাই মিলে শুরু করলে ঘুলিয়ে যাবে।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১০:৩৪
রিপেনডিল বলেছেন: উপরে অনেক সওয়াল জবাব চলেছে, পুরোটা দেখে আসুন, আশা করি উত্তর পেয়ে যাবেন আর যেটি পান নি পুনরায় উল্লেখ করুন।
১১৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১০:২৩
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আমি আলোচনায় যোগ দিতে চাচ্ছি যদিও আমার সময় খুবই কম। দেরি করে মন্তব্য করলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১০:৩৫
রিপেনডিল বলেছেন: স্বাগতম আপনাকে।
১১৭| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:০৪
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আসিফ মহীউদ্দিন বলেছেনঃ
.... এখন আমি যদি বলি, মুহাম্মদ একজন নরঘাতক ছিল, ধর্ষক ছিল, শিশূকামী ছিল, আপনি বলবেন, ওগুলা মিথ্যা ইতিহাস, ইহুদী নাসারাদের কৌশল।
২। মুহাম্মদ প্রচুর পরিমানে ধর্ষন করেছেন, রেফারেন্স দিলেই বলবেন ওগুলো ইহুদী নাসারাদের বানানো হাদিস। তার উপরে রিপর্ট করবেন, স্ক্রিন শট তুলে কান্নাকাটি শুরু করবেন, যেই অভ্যাস আপনার আছে। আগে বলুন ওসব ছোটলোকি আর করবেন না, তারপরে দিচ্ছি।
-----------------------------------------------------------------------------------
প্রথমতঃ ধর্ষণ বলতে আসলে কি বুঝায় তা আপনি জানেন কিনা আমার সন্দেহ আছে। যদি কারও অনিচ্ছায় জোড় পূর্বক তার সাথে যৌনকর্ম করা হয় সেটাই হল ধর্ষণ। কারো সম্মতিক্রমে যৌনকর্ম করলে সেটা ধর্ষণ না।এখন আপনি পারলে ইহুদী নাসারাদের বানানো হাদিসই নিয়ে আসেন এবং দেখান যে মুহাম্মদ (সঃ ) ধর্ষণ করেছেন। আশা করি এটুকু বুঝেন যে বিবাহ বহির্ভুত যৌনক্রিয়া ইসলামে নিষিদ্ধ শুধুমাত্র আইনসম্মত দাসী ছাড়া। এটার মানে এই যে আপনি যদি পাশের বাসার ভাবির সাথে তার সম্মতিক্রমে সেক্স করেন তাহলে সেটা অবৈধ হবে কিন্তু দাসীর সাথে তার সম্মতিক্রমে সেক্স করলে সেটা বৈধ। এটার মানে এই না যে দাসীকে ধর্ষণ করা যাবে।
আপনার প্রতি চ্যালেঞ্জ রইল মুহাম্মদ (সঃ ) কর্তৃক ধর্ষণের রেফারেন্স দিন। যদি না দিতে পারেন তাহলে আপনি একটা চরম মিথ্যাবাদী।
৩২ নং কমেন্টে আইনস্টাইন যে রেফারেন্স দিয়েছেন তা প্রমাণ করতে পারেনা যে সেগুলো ধর্ষণ ছিল। আপনি হয়তো বলবেন তা এটাও প্রমান করতে পারেনা যে সেগুলো ধর্ষণ ছিলনা। আমি বলব পারে। কারণ নবিজী (সঃ ) দাস দাসীদের প্রতি সদয় আচরণের কতা বলেছেন। আর ধর্ষণ করা মোটেই সদয়াচরণ নয় তা তো নিশ্চই জানেন। এমনকি দাস দাসীরা আমাদের ভাই বোনের মত এটাই তিনি আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন। আপনিই বলুন নিজের বোনকে কিভাবে কেউ ধর্ষণ করতে পারে?
Saheeh Bukhari
Volume 1, Book 2, Number 29
Narrated Al-Ma'rur: At Ar-Rabadha I met Abu Dhar who was wearing a cloak, and his slave, too, was wearing a similar one. I asked about the reason for it. He replied, "I abused a person by calling his mother with bad names." The Prophet said to me, 'O Abu Dhar! Did you abuse him by calling his mother with bad names You still have some characteristics of ignorance. Your slaves are your brothers and Allah has put them under your command. So whoever has a brother under his command should feed him of what he eats and dress him of what he wears. Do not ask them (slaves) to do things beyond their capacity (power) and if you do so, then help them.
১১৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:২২
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আসিফ মহিউদ্দীন বলেছেন:
মুহাম্মদ সেই নারীকে নিয়ে বিছানায় তুলেছিল, যেখানে মাত্র দুই দিন আগেই সেই নারী তার স্বামী এবং পিতাকে হারিয়েছে।
এটাকে কি আপনার ধর্ষন মনে হচ্ছে না? আপনি কি দাবী করবেন, সেই নারী যার স্বামী এবং পিতাকে মুহাম্মদের সৈন্যরা হত্যা করলো, সেই নারী নাচতে নাচতে মুহাম্মদের কোলে গিয়ে তার সাথে ছহবত করলো?
-----------------------------------------------------------------------------------
যুদ্ধবন্দী নারীদের দাসী বানানোর পর নির্দিষ্ট পরিমাণ সময়ের পরই শুধু তাদের সাথে সহবাস বৈধ ছিল। বন্দি করার সাথে সাথেই তা করা যেতনা।
এবার নাচতে নাচতে কোলে আসার ব্যাপারে বলিঃ আপনার কিছুটা ইতিহাস জানার প্রয়োজন।
John McClintock said:
Women who followed their father and husbands to the war put on their finest dresses and ornaments previous to an engagement, in the hope of finding favor in the eyes of their captors in case of a defeat.(John McClintock, James Strong, "Cyclopædia of Biblical, Theological, and Ecclesiastical Literature" [Harper & Brothers, 1894], p. 782)
Matthew B. Schwartz said:
The Book of Deuteronomy prescribes its own rules for the treatment of women captured in war [ Deut 21:10-14 ] . Women have always followed armies to do the soldiers' laundry, to nurse the sick and wounded, and to serve as prostitutes
They would often dress in such a way as to attract the soldiers who won the battle. The Bible recognizes the realities of the battle situation in its rules on how to treat female captives, though commentators disagree on some of the details.
The biblical Israelite went to battle as a messenger of God. Yet he could also, of course, be caught up in the raging tide of blood and violence. The Western mind associates prowess, whether military or athletic, with sexual success.
The pretty girls crowd around the hero who scores the winning touchdown, not around the players of the losing team. And it is certainly true in war: the winning hero "attracts" the women.(Matthew B. Schwartz, Kalman J. Kaplan, "The Fruit of Her Hands: The Psychology of Biblical Women" [Wm. B. Eerdmans Publishing, 2007] , pp. 146-147)
দেখুন ইতিহাস সাক্ষী দেয় যে যুদ্ধে জয়ী বীরের কাছে যুদ্ধবন্দী সুন্দরীরা নাচতে নাচতে যেতে আপত্তি করতনা।
১১৯| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:২৯
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আসিফ মহিউদ্দীন বলেছেনঃ
ছিঃ ছিঃ, একবার বলছেন দাস দাসীরা আপনাদের ভাই বোনের মত, আপনাদের নবী সেই শিক্ষাই দিয়েছেন, আবার বলছেন তাদের সাথে যৌনতা জায়েজ, কি কদর্য আপনাদের চিন্তা ভাবনা। আপনাদের ইসলামিস্টদের হাতে তো নিজের ভাই বোনও সেইফ না।
কতটা কুৎসিত চিন্তা ভাবনা হলে এই ধরনের দুই মুখী কথা বলা সম্ভব!!!
------------------------------------------------------------------------------------
কিছুটা সন্দেহ ছিল যে আপনি এই রকম কিছু বলতে পারেন। কিন্তু ভাবলাম আপনি হয়তো এতটা ছেলেমানুষি প্রশ্ন করবেন না। তাই এই ব্যাপারে কিছুটা লিখেও মুছে দিয়েছিলাম।
শুনুন সহোদর বোন ছাড়াও অন্য অনেক রকম বোন আছে। খালাতো মামাতো চাচাতো ফুপাতো। এদের সাথে বিয়ে তো শুধু ইসলামেই না অন্য অনেক জায়গাতেই জায়েজ। নিজেকে আর নামায়েন না ভাই। এইটুকু যুক্তি আপনার কাছে আশা করেছিলাম।
১২০| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:৩১
তানভীর চৌধুরী পিয়েল বলেছেন: তালগাছওয়ালাদের ধরা খাওয়ার মাইলফলক হয়ে থাকবে এ পোস্ট। প্রতি মূহুর্তেই ব্যাকাপ নিচ্ছি।
১২১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:৩২
মি: জবরদস্ত বলেছেন: @আসিফ মহিউদ্দীন এরপরে একে একে থাকবে নবীর ডাকাতি, নরহত্যা, অবিশ্বাসীদের প্রতি নবীর ব্যাবহার নিয়ে আলোচনা।
ভাইজান রেফারেন্স কই? তথ্য প্রমাণ সহকারে আলোচনা করেন, জানতে বড় মুঞ্চায়। হুদা আলোচনা ভাল্লাগেনা।
@মেহেদী পরাগ এমনকি দাস দাসীরা আমাদের ভাই বোনের মত এটাই তিনি আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন
দাসীর সাথে তার সম্মতিক্রমে সেক্স করলে সেটা বৈধ।
ভাইজান এইটা কী কইলেন?
১২২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:৩৫
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: আসিফ মহিউদ্দিনঃ
আপনি যেই টার্মগুলো ব্যবহার করেন, করার আগে তার মর্মার্থগুলো জেনে নেবেন আজ থেকে।
পারভেজ আলম কে “সাক্ষি” রেখে.. কথাটাকে সাক্ষী কি জিনিষ সেটা আগে জানুন তারপর দেখুন কথাটার মর্মার্থ ঠিক থাকে কিনা।
নাস্তিকদের মধ্যে দু’জনকে ব্যক্তিগতভাবে আমি মুক্তচিন্তার বাহক মনে করি। হোরাস এবং পারভেজ আলম কে। ব্লগের বেশীরভাগ নাস্তিক আরেফুরের উত্তরাধিকারী যারা কখনোই মুক্তচিন্তার অধিকারী নয়।
হোরাস এবং পারভেজ আলম কে পছন্দ করার একটি কারণ তাদের সাথে আমার শুধু একটি মিল রয়েছে, সেটি হল খুব ঠান্ডা মাথা। বাকী সবদিকে আমরা বিপরীত মেরুর।
ব্লগের অধিকাংশ আস্তিক এবং নাস্তিক ভাবনা চিন্তা ছাড়াই কথা বলা শুরু করেন, তাদের এক কথার সাথে অন্য কথার মিল থাকেনা, খুব সহজে প্যাচ দেয়া যায়, আমি তাদের কে পছন্দের তালিকায় রাখি যারা পরিকল্পনা মত এবং গুছিয়ে কথা বাড়ায়, এবং কথা বলার আগে জেনে রাখে তার কথার বিপরীতে কোন কথা বলা হবে।
[আসলে ব্লগীয় এই বিতর্কের জন্য আমি বিশ্বাসীদের দোষ বেশী দেই। অধিকাংশ বিশ্বাসীরাই জানেনা ইসলাম কী বলে এবং তারা কী বিশ্বাস করে। সেনসিটিভ বলে কোরআন হাদীসের অবমাননা তারা সহ্য করতে না পেরে কথা বলতে এসে প্যাচে পড়ে যায়, অবশ্য এই প্যাচ থেকেই তারা জানার চেস্ঠা করবে সেই কামনা করি।]
আসিফ মহিউদ্দিন আপনি নিজেও আরেফুরের একজন উত্তরসূরী। তাই আপনার মুক্তচিন্তা ধর্ষণ, সহবৎ,দাসী, ইসলাম আর মুহম্মদ (সা) এর আশেপাশেই ঘুরাফেরা করে। আপনি মুক্তচিন্তা নয়, বিষ ঝাড়তে আসেন ইসলামের উপর, যেই বিষের বীজ আপনার সাহিত্যিক মাতা আপনার ভেতরে বপন করে দিয়েছিল শৈশবে।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:৫৮
রিপেনডিল বলেছেন: প্রাসঙ্গিক আলোচনা করুন। ব্যক্তিগৎ আক্রমন থেকে বিরত থাকুন।
১২৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:৪৫
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: @তানভীর চৌধুরী পিয়েলঃ
ব্যাকআপের একটা কপি আমাকেও দিয়েন।
আমি তালগাছীদের খুব স্নেহ করি কি না!
১২৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:৪৫
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আসিফ মহিউদ্দীন বলেছেন:
মেহেদী পরাগ, আপনার কথা শুনে বুঝতে পারলাম, আজকে যদি হিন্দুরা/খ্রীষ্টানরা/ আমেরিকা/ইসরাইল বাংলাদেশ আক্রমন করে, এবং আপনাকে হত্যা করে, তখন আপনার মা এবং বোনেরা নাচতে নাচতে সেই বীর হিন্দু/খ্রীষ্টান/ আমেরিকা/ইসরাইল এর সৈন্যদের কোলে উঠে তাদের সাথে ছহবত করবে।
জনাব, আপনার মা এবং বোন এটা করতে পারে, তাদের সম্পর্কে আমার কোন ধারণা নাই, কিন্তু সব নারীই এটা করবে কি?
---------------------------------------------------------------------------------
আপনি সাধারণত নিজেকে জ্ঞ্যানি বলে জাহির করে অন্যদের কে তুচ্ছ করেন । কিন্তু আপনি ক্রমাগত অবুঝের মত কথা বলে যাচ্ছেন। আমি ইতিহাসের কথা বলেছি এই জন্য যে আপনি নাচতে নাচতে সহবতে যাবার ব্যাপারটা চরম অস্বাভাবিক বলে ধারণা করেন যা আদৌ অস্বাভাবিক নয় বরং সেই আমলে তা খুবই স্বাভাবিক ছিল। আমি আপনার যুক্তি খন্ডন করেছি মাত্র। এর মানে এই না যে এখনকার যুগেও কেউ নাচতে নাচতে কোলে গিয়ে বসবে। কিন্তু আপনি যুক্তিতে হেরে গিয়ে আমাকে দূর্গন্ধযুক্ত বলে আলোচনা কারতে চাচ্ছেন না। এখন তো আমিই বলতে পারি যে সৎ আলোচনার সৎসাহস আপনার নাই। খালি বড় বড় বুলি ছাড়তে পারেন। যুক্তিতে হেরে গেলেই গালাগালি করেন। ধিক আপনাকে। নিজে দুইমুখি হয়ে অন্যকে দোষারোপ।
১২৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:৪৫
মি: জবরদস্ত বলেছেন: @আসিফ মহিউদ্দীন : কে কি কইল হেইটা দিয়া আপ্নের কি? আপ্নে আলোচনা শুরু করেন।
১২৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:৪৮
রিপেনডিল বলেছেন: আসিফ মহিউদ্দিন , কর্নেল সামুরাই এবং অন্য সবাই কে বলছি, ব্যক্তিগত আক্রমন এবং অপ্রাসঙ্গিক তুলনা বর্জন করে প্রাসঙ্গিক আলোচনা করুন।
যে যেটা বলেছে সেটি কোট করে পর্যালোচনা করুন, যা বলেনি অযথা কাল্পনিক বা অশ্লীল তুলনা অথবা ব্যক্তিগত আক্রমন থেকে বিরত থাকুন। এ ধরনের কিছু কমেন্ট মুছে দিলাম। কিছু কমেন্ট মুছে দেই নি কারন সেগুলোতে উপরোক্ত আলোচনার সাপেক্ষে প্রশ্ন বা উত্তর দেয়া হয়েছে।
১২৭| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:৫৪
মি: জবরদস্ত বলেছেন: আমারটা কাটা অইতেছে ক্যান? আমি কী কাউরে ব্যক্তিগত আক্রমন করেছি? আপচুচু!!!!
১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:০৪
রিপেনডিল বলেছেন: অপ্রাসঙ্গিক পোস্ট দিয়ে এই পেইজটি বড় করতে চাচ্ছি না। তাই মুছে দিলাম, আশা করি বুঝতে পারছেন।
১২৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:৫৫
মেহেদী পরাগ বলেছেন: @ মি: জবরদস্ত বলেছেনঃ @মেহেদী পরাগ এমনকি দাস দাসীরা আমাদের ভাই বোনের মত এটাই তিনি আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন
দাসীর সাথে তার সম্মতিক্রমে সেক্স করলে সেটা বৈধ।
ভাইজান এইটা কী কইলেন?
-------------------------------------------------------------------
১৭৫ নং কমেন্ট দেখুন।
১২৯| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:৫৬
মি: জবরদস্ত বলেছেন: আলোচনা পিছাই পড়তেছে। ভাইয়েরা আলোচনা শুরু করেন।
১৩০| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:৫৮
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: লেখককে (রিপেনডিল): আপনি সম্ভবত আমার একটি কমেন্ট মুছে ফেলেছেন, আই এবং আইকিউ পরীক্ষা বিষয়ক।
আমি প্রত্যেকটি কথা ভেবে বলি এবং ভালো ভাবেই জানি আমি কী বলছি এবং কেন বলছি। আমার সব বক্তব্যই পরিকল্পনা মাফিক ও সুচিন্তিত। মন্তব্যটি ফিরিয়ে আনুন।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:০২
রিপেনডিল বলেছেন: মন্তব্যটি আমার কাছে অপ্রাসঙ্গিক মনে হয়েছে, কারন পূর্ববর্তী কোন আলোচনার সাথে এর সম্পর্ক ছিল না। ব্যক্তিগত আক্রমন বর্জন করে দয়া করে আলোচনায় ফিরে আসুন, আপনাকে অনুরোধ করছি, আসিফ ভাই কেও।
১৩১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:০১
মি: জবরদস্ত বলেছেন: আপনিই বলুন নিজের বোনকে কিভাবে কেউ ধর্ষণ করতে পারে? (১৭০)
নিজের বোন বলতে আপ্নে কারে বুঝাইছেন? খালাতো, মামাতো বোনরে?
১৩২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:০৫
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আসিফ মহিউদ্দীন বলেছেন:
@ পোস্ট লেখক, আলোচনার জন্য ডেকে এনে এইভাবে পিছলানো খুব নিম্নমানের কাজ হয়ে গেল। আপনি আমার সকল কথাই পিছলিয়ে গেছেন।
-----------------------------------------------------------------------------------
অথচ সবাই দেখেন আসিফ মহিউদ্দীন নিজেই আমার কমেন্টগুলোতে কিভাবে পিছলামো করছে। দুইমুখো আর কাকে বলে !!!!
১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:১৫
রিপেনডিল বলেছেন: ব্যক্তিগত আক্রমন বর্জন করুন। প্রাসঙ্গিক আলোচনা কাম্য।
১৩৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:১৬
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: "কোনো নিয়মের ভুলভ্রান্তি বের করার অধিকার একমাত্র তারই থাকবে যে নিয়মটা অভ্রান্ত আল্লার দেওয়া বলে বিশ্বাস করে"
.... কথাটা আমি বলেছি দু-পেয়ে গাধ নয়, আপনি আগে সেটা প্রমাণ করবেন।
অন্তত আজকের পোষ্ট থেকে এই শিক্ষাটা না দিয়ে আপনাকে ছাড়বেনা, কে কি বলেছে আর আর কোন কথার অর্খ কি।
আপনার প্রমাণের জন্য অধির আগ্রহে বসে থাকলাম।
আপনাকে পাই টু পাই, প্রতিটা শব্দের অর্থ ব্যাখা করিয়ে তারপর ছাড়বো।
(আমার প্রথম কমেন্টটা আলোচনাকেন্দ্রিক নয়, ব্যক্তিসতর্কতামূলক, দ্বিতীয়টি লেখকের সমালোচনা ও তাকে সাহায্যমূলক। তৃতীয় কমেন্ট থেকে আমি আলোচনায় প্রবেশ করেছি। আপনার মত না দেখে না শুনে কিছু লেখা আমার অভ্যাস নয়। তবে আপনার এসব ব্যাপারনিয়ে নাচানাচি দেখতে ভালো লাগে
)
১৩৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:২২
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আসিফ মহিউদ্দীন বলেছেন:
জনাব, আপনার মা এবং বোন এটা করতে পারে, তাদের সম্পর্কে আমার কোন ধারণা নাই, কিন্তু সব নারীই এটা করবে কি?
--------------------------------------------------------------------------------
আপনার মা কে নিয়ে কর্নেল সামান্য কিছু বলাতেই তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলেন আর নিজে কেমন আচরণ করছেন তা নিজের চোখে ধরা পড়েনা। যাই হোক আমি আপনার মতো গালবাজ নই। সুস্থ আলোচনায় ফিরে আসি।
বোল্ড করা লাইনে আমি আপনার সাথে পুরোপুরি একমত। সব নারী এটা করবেনা। কিছু কিছু নারী করবে। কিন্তু এতে কি প্রমাণ হয় যে মুসলিমরা দাসীদের ধর্ষণ করত? এটাইতো হওয়া স্বাভাবিক যে যৌন বিষয়ে রাজি না হওয়া দাসীদের অন্যত্র কোথাও কম মূল্যে বিক্রী করে দেয়া হত বা অধিক মূল্যে যৌন বিষয়ে রাজী দাসী কেনা হত।
যেটাই হোকনা কেন আমার মূল কথা দুটোঃ
১) এটা সম্ভব ছিল যে দাসীদের সাথে তাদের ইচ্ছানুক্রমে সেক্স করা যেত।
২) দাসীদের কোন ক্ষতি করা মুসলিমদের জন্য নিষেধ ছিল। (রেপ করা নিশ্চই ক্ষতিকর)
১৩৫| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:২২
মি: জবরদস্ত বলেছেন: @আসিফ মহিউদ্দীন : এইটাতো তার বৈধ বিবাহের লিস্টি। এইখানে তর্কের কিছু নাই।
এছাড়াই মুহাম্মদ বেশ কিছু মু'তা বিবাহ করেছেন(মু'তা বিবাহ হচ্ছে অর্থের বিনিময়ে সাময়িক বিয়ে, এক সপ্তাহ বা এক দিনের জন্য, যেটাকে আধুনিক কালের পতিতাবৃত্তি বললে ভুল হবে না-কি মজা, একদিনের জন্য বিয়ে কর, মৌজ মাস্তি কর, রাত গেয়ি বাত গেয়ি)
মুহাম্মদের পত্নী, উপপত্নী, খন্ডকালীন পত্নী(এক রাতের বা এক সপ্তাহের), দাসী(যুদ্ধ থেকে প্রাপ্ত এবং কেনা এবং খাদিজা থেকে প্রাপ্ত) এর মোট সংখ্যা ছিল ২২ জন। এটার রেফারেন্সও বিভিন্ন হাদিস থেকে পাওয়া যায়।
এইগুলার রেফারেন্স দেন প্লিজ। জানতে মুঞ্চায়। আগেই বলেছি, হুদা কথায় মজা নাই।
১৩৬| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:২৮
মি: জবরদস্ত বলেছেন: @মেহেদী পরাগ ১৯২ কমেন্টের উত্তর দেন প্লিজ।
১৩৭| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:৩১
কর্ন বলেছেন: অসাধারন একটা পোষ্ট পরে দুই রাতে গেয়ানী হয়ে গেলাম
১৩৮| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:৩৩
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আসিফ মহিউদ্দীন বলেছেনঃ
সুস্থ আলোচনার ইচ্ছা থাকলে যেকোন সময় ডাকবেন, হাজির হবো।
------------------------------
ভাই আমিতো সুস্থ আলোচনাই করছি। আপনি আপনার কথা রাখুন। বড় গলায় ধর্ষণ ধর্ষন করলেন কিন্তু এখনো ধর্ষণের রেফারেন্স আনতে পারলেন না। কি মিথ্যা !!! কি মিথ্যা !!!
১৩৯| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:৩৬
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: (রিপেনডিল: ব্যক্তি আক্রমণের জন্য কমেন্ট মোছার কোনো দরকার দেখছিনা। প্রত্যক্ষ ব্যক্তি আক্রমণ সিনিয়রদের দ্বারা কখনো হয়না। মারপ্যাচ দিয়ে হয়তো করা হয় যার প্রতিটিই হয় প্রাসাঙ্গিক। হুট করে কেউ কাউকে, “তুই ছাগল তুই গাধা, ভাগ” ইত্যাদি বললে সেটা না হয় ডিলিট করা যেতে পারে তবে, আমরা যা বলি তার কোন পূর্ব সূত্রতা থাকে, যেটাকে কেউ অপ্রাসাঙ্গিক আক্রমণ বলতে পারবেনা। এটা বিতর্কের অংশের মধ্যেই বিবেচনা করি)
আশা করছি কমেন্ট মুছবেন না। শুধুমাত্র অশ্লীল ও সরাসরি আক্রমণমূলক মন্তব্য মুছতে পারেন।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:৪২
রিপেনডিল বলেছেন: যৌনতার সাথে অপর পক্ষের পরিবারের কাঊকে যুক্ত করে উদাহরন দেয়া সেটি যত ঘুরিয়েই বলা হোক না কেন, আমি শোভন মনে করি না।
তাছাড়া আমার উদ্দেশ্য এই পোষ্টে আমরা যারা অংশগ্রহন করছি তারা ছাড়াও আরো অনেকে পড়ছেন এবং অনেক কিছু জানার চেষ্টা করছেন। অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্যে পোষ্ট বড় হতে থাকলে আমরা আলোচনা থেকে দূরে সরে যাব, বিরক্তি চলে আসবে।
আশা করি অনুরোধ রাখবেন।
১৪০| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:৪০
মেহেদী পরাগ বলেছেন: মি: জবরদস্ত বলেছেন: @মেহেদী পরাগ ১৯২ কমেন্টের উত্তর দেন প্লিজ। নিজের বোন বলতে আপ্নে কারে বুঝাইছেন? খালাতো, মামাতো বোনরে?
------------------------------------------------------------
জ্বী ভাই তা-ই বুঝাইছি। নিজের খালাতো বোন , আপনার খালাতো বোন না, নিজের সহোদর বোন ও না।
১৪১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:৪৯
কর্ন বলেছেন: হায়রে ক্ষমা চাওয়ার মতো উদারতাও একজন নাস্তিক কে প্রথমে দেখাতে হলো
১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:৫১
রিপেনডিল বলেছেন: উদারতা প্রতিটি মানুষের ধর্ম, জাগিয়ে তোলার জন্য চেতনার প্রয়োজন। আমি মনে করি এখানের সবারই তা আছে।
১৪২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:৫২
মি: জবরদস্ত বলেছেন: @মেহেদী পরাগ জ্বী ভাই তা-ই বুঝাইছি। নিজের খালাতো বোন , আপনার খালাতো বোন না, নিজের সহোদর বোন ও না।
ভাইজান বুঝলাম, একটু বুঝাইয়া কন। আমার গিয়ান ইট্টু শর্ট আছে।
আপনিই বলুন নিজের বোনকে কিভাবে কেউ ধর্ষণ করতে পারে?
তাইলে কি পররে বোনরে ধর্ষন করা যাইব। ভাইজান গোস্যা অইয়েন না। আমি বোকাসুকা মানুষ।
@আসিফ মহিউদ্দীন ১৯৮ কমেন্ট পড়েন নাই? তড়াতড়ি জবাব দেন।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:৫৯
রিপেনডিল বলেছেন: আমার মনে হয় তিনি বোঝাতে চেয়েছেন মানবিক আচরন যেন আত্নীয়ের মত হয়। ধরুন আমি আপনাকে বললাম আপনি আপনার চাকরের সাথে ভাইয়ের মত ব্যবহার করুন। আপনি বুঝলেন আমি আপনাকে আপনার সম্পত্তির ভাগ ঐ চাকরকে ভাই হিসাবে দিতে বলেছি।
ব্যপারটা কিন্তু এমন হয়ে গেল।
১৪৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:৫৭
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: আসিফ মহিউদ্দিনের মাতৃভক্তি দেখে ভালো লাগলো।
মায়ের প্রতি তার যে মমতা ও আবেগ জড়িত, মুহম্মদ (সা) এর প্রতি কোনো মুসলিমের তার চেয়েও বেশী আবেগ থাকতে পারে।
সুতরাং, আপনার উল্টা পাল্টা বক্তব্যে তারা কেমন বোধ করবেন, সেটা নিয়ে অন্তত কিছুটা ভাবার সুযোগ পেলেন।
আপনি কোন বিরূঢ় কথা নয়, আপনি বলেছিলেন তিনি বলতেন, ধর্মের এসব মুহম্মদের বানানো। আপনার সেই বক্তব্যে মহম্মদের পাশে (স) কথাটাও ছিলনা। আপনি যখন নাস্তিক ছিলেন না তখন তিনি এসব বলেছেন। তাই আমি স্বাভাবিক নিয়মেই বলেছি, আপনার আজকের এই বিষ, কোন মুক্তচিন্তা নয়, বরং আপনার শৈশবের বোনা একটি বীজের বহিঃপ্রকাশ।
আপনি মুক্তচিন্তার অধিকারী হলে ধর্ষণ, দাসী আর মুহম্মদ (সা) কে নিয়ে বিষ ঢালতেই পড়ে থাকতেন না।
আসিফ মহিউদ্দিনঃ ৯ বছর বয়সী মেয়ের ভিতরে যখন সেটি প্রবেশ করবে, সেটা কতটা যন্ত্রণাদায়ক হবে, নিজের কন্য সন্তান যেদিন হবে, সেদিন বুঝতে পারবেন।
প্রশ্নে আসে: ১. মেয়ের বাবা নিশ্চই অমত করেছিল?
২. কন্যার নিজের অন্তত অমত করার কথা। সেই অমতের রেফারেন্স দিন।
ব্যাথ্যা নিয়ে হ্যাস্যকর ক্যাচালে আইসেন না। যে করে তার কোনো কম্প্লেইন নাই আর আপনি ১৪০০ বছর পর আজ বাংলাং বসে ব্যাথা অনুভব করতেছেন?
তাহলে ইংরেজ আমলের আপনার দাদী-পরদাদী, নানী সবার জন্যই ব্যাথা অনুভব করতে থাকুন!
.. কোন কথা আপনি কোন দিকে নিয়ে গেলেন!!
আরেকটা কথাঃ
১. আমার মত হাদীস কোরআন জানা লোক আপনার সামনে মাথা নিচু করে তালিম নেয়
২. মেডিকেলের স্টুডেন্টরা আপনার পাশে বসারও সুযোগ পায় না..
এইসব বেইচ্যা অন্যখানে হাসাইতে পারলেও আমি পুলাপাইন টাইপ কথা কম লাইক করি। ... তবুও হাসতে মনচায়
-----------------------------------------------
আপনি ব্যাখ্যা করতে থাকুন
কোনো নিয়মের ভুলভ্রান্তি বের করার অধিকার একমাত্র তারই থাকবে যে নিয়মটা অভ্রান্ত আল্লার দেওয়া বলে বিশ্বাস করে"
কথাটা আমি বলছি। তার আগে আপনেরে ছাড়তেছি না।
১৪৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:৫৮
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আসিফ মহিউদ্দীন বলেছেন:
যেখানে মদ খেতে নিষেধ করে এক দিনে আয়াত নাজিল করা যায়, চিরদিন মদ্যপায়ী আরবেরা একদিনে মদ ত্যাগ করে, মদের বন্যা বয়ে যায়, সেখানে দাস দাসী মুক্ত করার ব্যাপারে আয়াত নাজিল হতে কি কার্পন্য। মিন মিন করে মহান করুনাময় আল্লাহ তালাহ বলছেন বেশ্যাবৃত্তিতে পাঠিও না, মারধোর করো না।
-------------------------------------------------------------------------------
আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে আপনি নিজেও না জেনে অনেক কথা বলেন। অথচ অন্য ব্লগারদের এই ব্যাপারে পরামর্শ দেন যে জেনে এসে তর্ক করতে। আমি আপনাকে সেই পরামর্শ দিবনা। বরং আমিই কিছু জ্ঞ্যান দেই আপনাকে।
মদ খেতে নিষেধ করে একদিনে আয়াত নাজিল করা হয়নাই। বরং এটা তিন ধাপে নিষেধ করা হয়েছে। কারণ একটাই , আপনার ভাষায় চিরদিন মদ্যপায়ী আরবেরা আসলে একদিনে মদ ত্যাগ করতে পারতনা। এটা খুব কঠিন অভ্যাস ছিল। তার চেয়েও কঠিন ভাবে একেবারে রুটের সাথে মিশে ছিল দাস প্রথা। এটা একদিনে নির্মূল করা সম্ভব ছিলনা। কিন্তু দাস প্রথা নির্মূলের সূচনা হয় ইসলামের মাধ্যমেই। আপনিকি পারবেন স্বল্প সময়ের ব্যাবধানে বাংলাদেশ থেকে দূর্নীতি উঠিয়ে নিতে? আপনি শুধু পারবেন দূর্নীতি নির্মূলের প্রসেস টা চালু করতে। দাসের ব্যাপারে সেই প্রসেস চালু করে ইসলাম পুরোপুরি সফল।
১৪৫| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:০১
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: ধন্যবাদ আসিফ মহিউদ্দিন।
কোনো নিয়মের ভুলভ্রান্তি বের করার অধিকার একমাত্র তারই থাকবে যে নিয়মটা অভ্রান্ত আল্লার দেওয়া বলে বিশ্বাস করে"
এটা আমার বক্তব্য নয়। সমাধান পাওয়া গেল।
১৪৬| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:১২
মি: জবরদস্ত বলেছেন: @লেখক: পরাগ ভাইজান বলেছেন নিজের বোন। আর আমরা নিজের বোন বলতে মায়ের পেটের বোনরে বুঝি।
কী জানি ভাই! আমি গাধ মানব! আপ্নেরা মনে লয় নিজের বোন বলতে সবধরণের বোনরে বুঝান।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:১৬
রিপেনডিল বলেছেন: আপনার মন্তব্যের উত্তর উপরে দিয়েছি।
১৪৭| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:১৩
মেহেদী পরাগ বলেছেন: মি: জবরদস্ত বলেছেনঃ
আপনিই বলুন নিজের বোনকে কিভাবে কেউ ধর্ষণ করতে পারে?
তাইলে কি পররে বোনরে ধর্ষন করা যাইব। ভাইজান গোস্যা অইয়েন না। আমি বোকাসুকা মানুষ।
-----------------------------------------------------------------
ভাই আপনি কেন প্যাঁচাইতেছেন জানিনা। তবু আমি বিরক্ত হবনা। আপনাকে স্বাগতম।
আমি কোথাও বলিনাই পরের বোনকে ধর্ষণ করা যাবে। ইসলামে ধর্ষণকে চরম ভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু সকল মুসলমানই ইসলামের সকল নিষেধ মানতে পারেনা। যেমন মদ খায় অনেকেই। এখন ধরেন চরম চরিত্রহীন একটা মানুষ এর কথা যে ধর্ষণ করতে আগ্রহী, সেও কিন্তু নিজের বোনকে ধর্ষণ করবেনা। আশা করি বুঝাতে পেরেছি।
১৪৮| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:২৬
মেহেদী পরাগ বলেছেন: মি: জবরদস্ত বলেছেন: @লেখক: পরাগ ভাইজান বলেছেন নিজের বোন। আর আমরা নিজের বোন বলতে মায়ের পেটের বোনরে বুঝি।কী জানি ভাই! আমি গাধ মানব! আপ্নেরা মনে লয় নিজের বোন বলতে সবধরণের বোনরে বুঝান।
--------------------------------------------------------------------------------
আইচ্ছা ঠিকাছে নিজের বইন মানে মায়ের পেটের বইন। এখন আপনি যদি মনে প্রাণে কোন মেয়েকে নিজের বোন বলে বিশ্বাস করেন তাতে কি সে আপনার মায়ের পেটের বোন হয়ে যাবে? হবেনা। আপনার সুবিধার্থে আমি স্বীকার করলাম যে আমার লিখাটাতে ভাষাগত কিছুটা ত্রুটি ছিল। নতুন কথাটা হবে ঃ আপনিই বলুন নিজের চাচাতো/মামাতো বোনকে কিভাবে কেউ ধর্ষণ করতে পারে?
১৪৯| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:৩৪
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: প্রথমত আমি আপনার মাকে নিয়ে কোনো খারাপ মন্তব্য করিনি। তিনি একজন ভালো কাব, এবং সুযোগ পেলে নামকরা সাহিত্যিক হতে পারতেন সেটা আমি জানি। তাকে আমার সালাম পৌছে দেবেন, এবং তার প্রসঙ্গ আপনার ব্যক্তিগত অনুভূতিতে আঘাত হানলে আমি তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।
১৫০| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ২:০৬
মি: জবরদস্ত বলেছেন: @আসিফ মহিউদ্দীন হাদিসটা থেকে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, আবু বকর এই বিয়ে দিতে রাজি ছিলেন না। মুহাম্মদের চাপাচাপিতেই তিনি বিয়ে দিতে বাধ্য হন
ভাইজান আপ্নে ইতু বুদ্ধিমান, কিন্তুক এইটা কি কইলেন? নবী আবু বকরের কথার পিঠে যুক্তি দেখাইছে, তারে বুঝাইছে রক্তের সম্পর্কের ভাই ছাড়া অন্য দূর সম্পর্কের ভাইয়ের মেয়েরে বিবাহ করা যায়। চাপাচাপি আপ্নে কই পাইলেন।
আপ্নেরা আস্তিক নাস্তিকরা তর্কে জেতার জইন্য বেহুদা কথা কন। ভাল্লাগেনা!!
১৫১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ২:৩২
মি: জবরদস্ত বলেছেন: @মেহেদী পরাগ বিবাহ বহির্ভুত যৌনক্রিয়া ইসলামে নিষিদ্ধ শুধুমাত্র আইনসম্মত দাসী ছাড়া। এটার মানে এই যে আপনি যদি পাশের বাসার ভাবির সাথে তার সম্মতিক্রমে সেক্স করেন তাহলে সেটা অবৈধ হবে কিন্তু দাসীর সাথে তার সম্মতিক্রমে সেক্স করলে সেটা বৈধ। (কমেন্ট ১৭০)
ভাইজান আইন সম্মত দাসী কী? বিবাহ না করিয়া শুধুমাত্র টাকা দিয়া কেনা কিংবা অন্য বৈধ উপায়ে প্রাপ্ত (তৎকালীন সময়ে) দাসীর সাথে সেক্স করা কোন যুক্তিতে বৈধ ছিল? একটু বুঝাইয়া কন। ইশ!! আমি সহজে কিস্যু বুঝিনা। কিনু যে আমার বুদ্ধি ইতু কম অইল!
১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:০৪
রিপেনডিল বলেছেন: উপরের সবগুলো কমেন্ট পড়লে আপনার বোঝার কথা আইনসম্মত দাসী বলে কি বোঝানো হচ্ছে। ততকালীন সময়ে দাস-দাসী সংগ্রহ করা হত যুদ্ধ বন্দিদের থেকে এবং এরূপ কোন দাসীর সাথে তার সম্মতিক্রমে যৌনক্রিয়া বৈধ ছিল। তবে ইসলাম দাস প্রথা কে উতসাহিত করে নি বরং নিরুতসাতিত করার জন্য বার বার দাস্মুক্তির কথা বলেছে।
১৫২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ২:৪২
মি: জবরদস্ত বলেছেন: @দাঁড়িপাল্লা আমার মনে লয় নিয়মটা এখনো আছে, তয় আমি নিচ্চিত না।
তিনি ঐ বিয়াটা কেন করতে চাইছিলেন?
৫৩ নং কমেন্টের জবাবে লেখক বলেছেন: মহানবী (সঃ) ১৩ টি বিয়ে করেছিলেন, প্রতিটি বিবাহের প্রেক্ষাপট পড়ুন।http://www.rongmohol.com/topic9902.html
আমি ভাই গাধা মানব, এইখানে আমি কোন তর্কে নাই। আমারে চাইপ্পা ধরলে আমি কিন্ত কাইন্দা দিমু!!
১৫৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ২:৫৬
মি: জবরদস্ত বলেছেন: @আসিফ মহিউদ্দীন একটু বুদ্ধি খাটিয়ে চিন্তা করে দেখেন, সে সময়ে আবু বকরের অবস্থাটাও চিন্তা করে দেখেন।
কী জানি ভাই! আমিতো আর অন্তর্যামী না। তয় আবু বকর এইটা নিয়া মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কোন আপচুচ করেছে বলেও শুনি নাই।
১৫৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৩:১১
মি: জবরদস্ত বলেছেন: ভাইজান এত প্যাঁচ!! মাথাটা খারাপ হয়ে গেছে। মানলাম আস্তিকরা ১৩ টা বিয়ার প্রেক্ষাপট কানার মত বিশ্বাস কইরা মাইন্যা নিছে। আপনে মানেন না, বলছেন প্রেক্ষাপট মিছা- সেই মিছা পরমাণের দায়িত্বও আপনের। পরমাণ করেন।
জানতে খুব মুঞ্চায়।
১৫৫| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ ভোর ৪:০০
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আসিফ মহিউদ্দীন বলেছেন:
তিনি বললেন- তোমরা এরূপ কর আর না কর, কিছুই এসে যায় না। যে আত্মা জন্মানোর তা জন্মাবেই, পুনরুত্থানের দিন পর্যন্ত।
-----------------------------------------------------------------------------------
দিনে দুপুরে ডাকাতির মতো মিথ্যা কথা বললেন। ছি ছি ঃ । ৩২ নং কমেন্টে আইনস্টাইন এই হাদীসটা দিয়েছেন পড়ে দেখেন। নাকি আপনার ইংরেজী নলেজ কম? নবিজী বরং বলেছেন তোমাদের জন্য এরুপ না করাই শ্রেয় কারণ আল্লাহ যাদেরকে দুনিয়াতে পাঠাবেন বলে ঠিক করে রেখেছেন তোমরা এইসব কাজ করে তা ঠেকাতে পারবেনা।
---------------------------------------------------------------------------------
আসিফ মহিউদ্দীন বলেছেন:
অর্থাৎ গর্ভবতী হয়ে পরলে সমস্যা, তাই যথাসময়ে আজল করলেই সেই নারীকে দীর্ঘদিন ধরে রসিয়ে রসিয়ে ধর্ষন করা যায়।
----------------------------------------------------------------------------
হায়রে মূর্খতা আর কাকে বলে !!! নবি বরং আজল করার চেয়ে আজল না করাকেই শ্রেয় বলেছেন কারণ গর্ভবতী হলে তার সন্তান হবে এবং পর্যায়ক্রমে সন্তানসহ সে দাসত্ব থেকে মুক্তি পাবে।
১৫৬| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ ভোর ৪:৩৮
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আসিফ মহিউদ্দীন বলেছেন:
এমনকি, যুদ্ধবন্দিনীদের স্বামী যদি জীবিতও থাকে, তাহলেও তাদের সাথে সেক্স করার অনুমতি দেয়া হয়েছেঃ
----------------------------------------------------------------------------------
আপনি যেভাবে বললেন মূল ব্যাপারটা এরকম না। আপনার কথা শুনে যে কেউ বিভ্রান্ত হবে যে যুদ্ধবন্দিনীদের গণ ধর্ষণের আনুমতি ইসলামে দেয়া হয়েছে। আসলে একজন বন্দিণির মালিক একজনই হবে এবং মালিক কখনোই তাকে ধর্ষণ করতে পারবেনা। শুধুমাত্র বন্দিনীর ইচ্ছাক্রমেই তার সাথে যৌন সম্পর্ক যায়েজ করা হয়েছে। এটা ভালভাবে বুঝাতে হলে আরও অনেক কথা লিখতে হবে। কাল এসে ইনশাল্লাহ এই ব্যাপারটা ব্যাক্ষ্যা করব।
১৫৭| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ ভোর ৪:৪৫
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আলবার্ট_আইনস্টাইন বলেছেন:
৩২ নাম্বার কমেন্টের হাদিসটার বিষয়েঃ নবী সেক্স করতে নিষেধ করেন নাই, বরং পুল আউট করতে নিষেধ করেছেন।
-----------------------------------------------------------------------------------
সহমত। অথচ আসিফ মহিউদ্দীন এর বিপরীতটাই বলেছেন। প্রকাশ্য মিথ্যাবাদী !!!
১৫৮| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ ভোর ৪:৫২
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আলবার্ট_আইনস্টাইন বলেছেন:
তাই যেসকল দাসীকে সয্যাসঙ্গী করা হতো, তাদের ইচ্ছা আছে কি নেই, তা যাচাই করাটা বাধ্যতামূলক ছিল না, পুরোপুরি মনিবের ইচ্ছাধীন বিষয় ছিল। কোরানের কোন আয়াত বা হাদিস পাওয়া যায় না যেখানে দাসীদের মত জানতে চাইতে বলা হয়েছে।
-----------------------------------------------------------------------------------
কোরানের কোন আয়াত বা হাদিস থেকে এটাও পাওয়া যায়না যেখানে দাসীদের অমতে তাদেরকে সয্যাসঙ্গী করার সার্টিফিকেট দেয়া হয়েছে। সুতরাং আমাদের পরোক্ষ পথ ধরে এগুতে হবে , সেটা কি? কোরান এবং হাদিসে বহুবার বলা হয়েছে দাসীদের প্রতি সদয় আচরণ করার জন্য। তাদের অমতে সেক্স করা বা ধর্ষণ করা কি কোন সদয় আচরণ?
১৫৯| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ ভোর ৫:১২
মেহেদী পরাগ বলেছেন: যাক , অবশেষে মহামতি আসিফ মহিউদ্দীন সামান্য একটু সূতা পেয়ে আমার কমেন্টের জবাব দিতে এসেছেন। আসলে হাদিস দুটি একই কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন রাবী কর্তৃক বর্ণীত। একজনের বর্ণনায় পাওয়া গেল ইট ডাজ নট ম্যাটার। কথাটা ঠিক কারণ সেক্স করার বৈধতা যখন দেয়া হয়েছে তখন বীর্্য কোথায় পড়ল তা তেমন কোন ব্যাপার হবার কথা না। আরেকজনের বর্ণনাতে আরেকটু বেশী তথ্য পাওয়া গেল, বীর্য বাইরে না ফেলা বেটার।
এখন আপনি বরং চোখের ঠুলি খুলে দেখুন, আপনি যে ব্যাক্ষ্যা দিয়েছেন তা কি আদৌ ঠিক?
কোথা থেকে যে আসেন আপনারা তর্ক করতে!! যুক্তি খন্ডন না করতে পেরে তো পলায়ন করলেন। সাহস থাকলে ১৯৭ এবং ২০৯ নং কমেন্টের বিপক্ষে যুক্তি দেখান। আপনি যথেষ্ট দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছেন । যুক্তি তে না পারলে এখান থেকে বিতাড়িত হউন।
১৬০| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ ভোর ৫:২০
মেহেদী পরাগ বলেছেন: ১৮১ নং কমেন্টের ব্যাপারেও আসিফ মহিউদ্দীন এর বক্তব্য জানতে চাই।
১৬১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ ভোর ৫:৩০
শাববির বলেছেন: @আসিফ মহিউদ্দীন
ইংরেজি হাদিস দেখি ভাল ই পারেন।
আপনার ইংরেজি হাদিস বই এর মূদ্রন সাল, পাবলিশার, অনুবাদক এর নাম বলুন
আপনি কি আরবি পারেন না? মুস্তাশরেকিনরা ত ইসলামের ভূল ধরার জন্য আরবি শিখেছিল।
১৬২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ ভোর ৫:৫৮
শাববির বলেছেন: আমি ভাই আরবি টা পুরা পড়ে ছি।
আপনার ইংরেজি হাদিস বই এর মূদ্রন সাল, পাবলিশার, অনুবাদক এর নাম বলুন।
না বললে বুজব আপনি মিথ্যাবাদি।
১৬৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ ভোর ৬:৩১
কঠিনলজিক বলেছেন: এই ব্লগে বহুবার (কমপক্ষে দশবার ) নিচের বিষয় গুলো পোস্ট বা মন্তব্য আকারে দিয়েছি । কেউ যদি বোঝার ভুল বা না জেনে বিরোধীতা করে তা হলে একবার সঠিক ব্যাখ্যা সামনে আসলে দ্বীতিয় বার সেটা নিয়ে ঘাটা ঘাটি করে না । তবে ব্লগের এই তালগাছবাদী পিছলাকূলশিরোমনী ধর্মবিরোধী গুলোর উদ্দেশ্য অন্য কিছু ।
এই পোস্টের সাধারণ পাঠক দের উদ্দেশ্যেই আবার কপি পেস্ট করি ।
===============================
O you who have believed, do not take the Jews and the Christians as allies.(protectors, helpers) They are [in fact] allies of one another. And whoever is an ally to them among you - then indeed, he is [one] of them. Indeed, Allah guides not the wrongdoing people"
http://quran.com/5/5
allies. শব্দের অর্থ "ব্যাক্তিগত" বন্ধুত্ব নয়।
এখানে (বিধর্মীদের) বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করো না ।
এখানে ব্যাক্তিগত বন্ধুত্ব উদ্দেশ্য নয় । এটা রাস্ট্রের বন্ধুত্বের সম্পর্ক কে বুঝানো হয়েছে।
এখানে যারা আরো গভিরে এর অর্থ জানতে চান বা রেফারেন্স জানতে চান
মূল আয়াতে মূল আরবী শব্দ (আওলিয়া) যার অর্থ চলিত বাংলায় "বন্ধু" অনুবাদ করা হয়েছে । সেই শব্দের মূল অর্থ দেখুন ।
ব্যাক্তিগত বন্ধুত্ব নিরুৎসাহীত করার জন্য আরবী শব্দ (হাবিব/সাদিক ব্যাক্তিগত বন্ধুত্ব বোঝায়) এর কোন ব্যাবহার সম্পুর্ণ ক্বোরআন বা হাদিসে
একবারের জন্য ব্যাবহার হয়েছে এমন কোন রেফেরেন্স নাই।
==========================================
And those who guard their chastity (i.e. private parts, from illegal sexual acts) (http://quran.com/23/5)
Except from their wives or (the captives and slaves) that their right hands possess, for then, they are free from blame ।
অবুঝরা বলতে চা্য় এখনানে কাজের মেয়ে বা দাসী আর ক্রীতদাস সবার সাথেই "যৌন সম্পর্ক" কে ইসলাম বৈধতা দিয়ে থাকে ।
ক্রীতদাস কাকে বলে এটা যার জানা নাই তাকে ক্রীতদাসী/দাসী/সেবিকা আর কাজের মেয়ের পার্থক্য বোঝানোর চেস্টা "গু" মাছি কে "মৌ মাছি" বানানোর চেস্টা সমার্থক ।
ক্রীতদাসীর সাথে "যৌন" সম্পর্ক ১৯০০ সাল পর্যন্ত সামাজিক "স্বীকৃত"
যৌন সম্পর্ক ছিল । যেমন আজকের স্বামী/স্ত্রী সম্পর্ক। এর প্রয়োজন এবং যৌক্তিকতা অনস্বীকার্য।
পার্থক্য হলো ইসলাম সর্ব প্রথম "ক্রীতদাসী" কে যৌন সম্পর্কের প্রশ্নে "সন্মান" দেয় । ইসলাম ই সর্ব প্রথম একই "ক্রীতদাসী " র সাথে পিতা/পুত্র বা দুই ভাই এর যৌন সম্পর্ক কে "হারাম" করে ।
ইসলাম "ক্রীতদাসী" র সন্তান কে "সন্তান" এর মর্যাদা দেয়।
একমাত্র ইসলাম ই ক্রীতদাসী কে "ত্যাজ্য" সম্পত্বি র "অংশিদারিত্ব দেয় ।
ইসলাম ক্রীতদাসী র সাথে যৌন সম্পর্ক কে "আবিস্কার" করে নাই। এবং ইসলাম এটা কে বৈধ করেছে বিনিময়ে এই সম্পর্কের "কমিটমেন্ট" এবং স্বীকৃতি দিয়েছে।
এক মাত্র ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম বা শাষন /সমাজ ব্যাবস্হা "ক্রীতদাস/ক্রীতদাসী" কে "ভোট" "সাক্ষ" "সম্পদের মালিকানা" "অংশিদারিত্ব" "যৌন নিরাপত্বা" দেয় নাই।
=============================================
"বিয়ের বয়স" বা Age of consent কাল এবং স্হান ভেদে ১০০ বছর আগেও ১০-১৩ বছর যে সামাজিক ভাবে স্বীকৃত বয়স ছিল তা তারা জানবেই বা কি করে ?
এরকম পরিবারবিহীন জন্ম গ্রহন করা সন্তান দের "নলেজ বৃদ্ধি"র জন্য রেফারেন্স
In the twelfth century Gratian, who was the influential founder of Canon law in medieval Europe, accepted age of puberty for marriage to be between 12 and 14 but acknowledged consent to be meaningful if the children were older than seven
Click This Link
১৬৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১০:৫০
দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: কঠিনলজিক@
আপনার লজিক যে যুক্তিবাদীদের পক্ষেই যায় সেইটা পুরো আলোচনাটা পড়লেই বুঝবেন। আপনার কথা হল ক্রীতদাসীর সাথে "যৌন" সম্পর্ক ১৯০০ সাল পর্যন্ত সামাজিক "স্বীকৃত"
যৌন সম্পর্ক ছিল । যেমন আজকের স্বামী/স্ত্রী সম্পর্ক। এর প্রয়োজন এবং যৌক্তিকতা অনস্বীকার্য।
আমাদের কথা হল এই ক্রীতদাস প্রথা ইসলাম কোনো কালেই অবৈধ করে নাই। দাস দের সাথে সদয় ব্যবহার করাকে কোনোভাবে দাস প্রথা বন্ধ করার চেয়ে ভাল নিয়ম বলা যায় কিনা সেইটাই প্রশ্ন।
আশা করি উত্তর দেবেন।
লেখক@
আপনার মতে দাসীদের জোর করে বিছানায় তোলা ইসলামে বারণ আছে। আপনার দাসীকে আপনি যদি নিজের বাড়িতে নিজের ঘরে বিছানায় তোলেন তবে সেইটা যে জোর করে করা হইছে তা প্রমাণ করার জন্য সাক্ষী জোগাড় করার দায় সেই দাসীর।
যদি তাকে বিছানায় তোলার সময় সাক্ষী উপস্থিত না থাকে তবে সে জোর করা হইছে বলে প্রমাণ করতে পারবে না। ধরে নেওয়া হবে জোর করা হয় নাই।
কথাটা কি আপনি অস্বীকার করেন?
১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:৫৮
রিপেনডিল বলেছেন: সেক্ষেত্রে আপনি কিভাবে বলবেন যে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষন করা হয়েছে?
আধা গ্লাস পানির ক্ষেত্রে কেউ কেউ আর্ধেক পানি দেখেন আর কেউ কেউ অর্ধেক খালি দেখেন। আমি পুরোটাকেই দেখার চেষ্টা করছি। ইসলাম সেই সময়ে যেসব ব্যাপারে সরাসরি আদেশ দেয় নি, এবং সেসব বিষয় সরাসরি কোরআন বা হাদীসের বিরোধীতা করেনা এরূপ কোন বিষয়ে যদি আজকের যুগে আধুনিক নীতিমালা প্রনয়নের প্রয়োজন হয় তবে ইজমা ও কিয়াসের মাধ্যমে তা সম্ভব।
১৬৫| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১০:৫৪
দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: উপরে একজন বলেছেন গর্ভবতী হলে দাসীরা মুক্তি পেতে পারে। এইটা কি সত্য?
তাই যদি হয় তবে বিছানায় যাওয়ার জন্য লোভ দেখানো হল কিনা জানাবেন।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:০৩
রিপেনডিল বলেছেন: গর্ভবতী হওয়া ছাড়াও দাসীরা মুক্তি পেতে পারে। মুক্তির জন্য গর্ভবতী হওয়াটাই একমাত্র উপায় নয়। বরং গর্ভবতী হলে যে সন্তান ভুমিষ্ট হবে তাকে সন্তানের মর্যাদা দিয়ে তার অধিকার আদায় করতে হবে এবং সম্পত্তির অংশে সামিল করতে হবে। এদিক দিয়ে চিন্তা করলে দাসীর সাথে সঙ্গম নিরুতসাহীত করা হয়েছে বলে ধরে নেয়া যায়।
১৬৬| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:৩৭
মি: জবরদস্ত বলেছেন: @লেখক: ভাইজান আমি জানি বিবাহ ব্যাতিত কারও সাথে যৌনক্রিয়া করা ইসলামের দৃষ্টিতে অবৈধ।
ততকালীন সময়ে দাস-দাসী সংগ্রহ করা হত যুদ্ধ বন্দিদের থেকে এবং এরূপ কোন দাসীর সাথে তার সম্মতিক্রমে যৌনক্রিয়া বৈধ ছিল।
তা ভাইজান সেইটা কখন অবৈধ করা হয় আমারে ইট্টু জানাইবেন।
@আসিফ মহিউদ্দীন আমার ২২৬ নং কমেন্টের উত্তর দেন। তিনি যদি না থাকেন তার পুতিনিধি যারা আছেন তারা উত্তর দেন। নইলে কিন্তুক ধইর নিমু আপ্নেরাও আমার মত গাধা মানব।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:০৭
রিপেনডিল বলেছেন: ইসলাম সরাসরি দাসীদের সাথে সঙ্গম নিষিদ্ধ করে নি। তবে দাস-দাসীদের মুক্তির ব্যাপারে বিভিন্ন আইন প্রনয়ন করে তাদের মুক্তির ব্যাপারে উতসাহীত করা হয়েছে যেন এভাবে এক সময় দাস-দাসী প্রথা বিলুপ্ত হয় এবং তারা সামাজিক মর্যাদা পায়।
বর্তমান যুগের চাহিদা অনুসারে এই প্রথা নিষিদ্ধ করা সম্ভব।
১৬৭| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:৪১
মি: জবরদস্ত বলেছেন: তাহলে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে যে সকল বীরাঙ্গনা তাদের সম্ভ্রম পাকিদের কাছে হারিয়েছিল, পাকিরা যাদের দিনের পর দিন ধর্ষন করেছিল, সেখানেও নিশ্চয়ই বাংলার মা বোনেরা পাকি সেনাদের বীরত্ত্ব দেখে মুগ্ধ হয়ে পাকিদের বিছানায় উঠেছিল। তাই না? (২৩৯)
পরাগ ভাইজান, উত্তর দেন। ন পিছলামি!
১৬৮| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:০৩
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: কঠিন লজিক রে ঝাঝা (২৪১ নং কমেন্ট) !
খুব স্পেসিফিক এবং টু দি পয়েন্ট উত্তর হয়েছে
১৬৯| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:০৪
মি: জবরদস্ত বলেছেন: লেখক, আস্তিক, নাস্তিক- সাবাই কি জুম্মার নামাজে চলে গেছেন? নাকি আমারে পাত্তা দিতেছেন না। আমার কমেন্ট গুলার জবাব দেন। আমি কিন্তুক বইসা আছি।
আপচুচ!! কারও কাছে আমার মুল্যু নাই!!
১৭০| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:৩৪
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: আসিফ মহিউদ্দিন (১৬৯ নং কমেন্ট)
ছাড়াও আধুনিক মানবাধিকার আইনগুলো যদি একবার পড়েন, দেখবেন, শিশু( অপ্রাপ্ত বয়স্ক) ছেলে বা মেয়ের সাথে যৌনতা সর্বত্রই ধর্ষনের আওতায় পরে। মুহাম্মদের বয়স ছিল ৫৪, আয়শার বয়স ছিল মাত্র ৬, এবং ৯ বছরেই তাদের যৌন সঙ্গম হয়।
--------------------------------------------------------------------
আপনি আধূনিক আইন দিয়ে ১৪০০ বছর আগের জমানার ঘটনাকে ধর্ষণ বলে প্রমাণ করার চেষ্ঠা করতেছেন? হা হা হা .. টাসকিত খাইলাম!
যারা মুহম্মদ (সা) কে এত কামাসক্ত ভাবেন তারা আওয়াজ দেন-
১. কোনো কামাসক্ত পুরুষ কি রকম মেয়ে চায়? যুবতি নাকি বৃদ্ধা?
মুহম্মদ (সা) এর স্ত্রী খাদিজার বয়স ছিল কত ছিল? ১৮??
২. মানুষ যৌবনে কাম উৎসাহী থাকে নাকি বৃদ্ধ বয়সে? (আমরা কামাসক্ত নাকি আমাদের দাদা-নানারা?)
যেই আয়েশাকে (রা) নিয়ে এত কথা তাকে নিশ্চই মুহম্মদ (সা) ২৫ বছর বয়সে বিয়ে করেছিলেন, যখন তিনি ভরা যৌবনে ছিলেন?
৩. ভার্জিন মেয়ে নাকি ননভার্জিন কোনটা কামাসক্তে কাছে বেশী আকর্ষণীয়?
মুহম্মদ (সা) এর যৌবনের প্রতিটি স্ত্রী নিশ্চই ভার্জিন ছিলেন??
স্পেসিফিক উত্তর আশা করি ইতিহাসবিদ দের কাছ থেকে।
১৭১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:৩৯
মি: জবরদস্ত বলেছেন: [sb]@দু-পেয়ে গাধ আমাদের কথা হল এই ক্রীতদাস প্রথা ইসলাম কোনো কালেই অবৈধ করে নাই। দাস দের সাথে সদয় ব্যবহার করাকে কোনোভাবে দাস প্রথা বন্ধ করার চেয়ে ভাল নিয়ম বলা যায় কিনা সেইটাই প্রশ্ন।আশা করি উত্তর দেবেন।
ভাইজান, কেউ যদি টাকা দিয়া বা অন্যকোন মূল্যে দাস ক্রয় কইরা তারে ব্যবহার করে আপ্নের অসুবিধা কী? সে তো মূল্যু দিয়া ঐ দাসের শ্রম কিনছে। কথা হইল তাদের লগে যাতে ভালু ব্যহার কর হয়। এইখানে দাস প্রথা বন্ধ করা নিয়া কথা কন ক্যান?
ভাইজান আমি কিন্তুক তর্কে নাই, গাইল দিয়েন না। আমি গাইল খুব ডরাই।
১৭২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:৪৭
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: আসিফ মহিউদ্দীন (২১৩ নং কমেন্ট)
সহী বুখারী, ভলুম-৭, বই- ৬২, হাদিস নং-১৮
উরসা থেকে বর্নিত- নবী আবু বকরকে তার মেয়ে আয়েশাকে বিয়ে করার ইচ্ছের কথা জানালেন। আবু বকর বললেন- আমি তোমার ভাই , এটা কিভাবে সম্ভব?
: এখান থেকে প্রমাণিত হয় আবু বক্কর রাজি ছিলেন না?
আমি প্রাকটিক্যাল উদাহরণ দিতে পছন্দ করি-
ধরুন হার্টথ্রব নায়িকা ও বিশ্বসুন্দরী ক্যাটরিনা আমাকে বিয়ের প্রস্তার পাঠালেন, এবং শুনে টাসকিত খেয়ে বললাম,
এটা কী সম্ভব?! সে তো খ্রিস্টান!
(এর অর্থ কি বোঝায় ক্যাটরিনাকে বিয়ে করতে আমার আপত্তি রয়েছে? )
কেউ যদি মাছআলা দেয়, সমস্যা নেই খ্রিস্টার বিয়ে করা জায়েজ, এবং আমি বিয়ে করে ফেলি,
তবে দশ বছর পর আপনি যদি লিখেন, ক্যাটরিনাকে বিয়েতে কর্ণেলের আপত্তি ছিল (!)... সেটা কেমন শোনায়?
.. শিশুতোষ??
[জুমুআ'র নামাযের পর বাকী আলোচনা চলিবে]
১৭৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:২৩
মি: জবরদস্ত বলেছেন: @কর্ণেল সামুরাই আমি প্রাকটিক্যাল উদাহরণ দিতে পছন্দ করি-
ধরুন হার্টথ্রব নায়িকা ও বিশ্বসুন্দরী ক্যাটরিনা আমাকে বিয়ের প্রস্তার পাঠালেন, এবং শুনে টাসকিত খেয়ে বললাম,
এটা কী সম্ভব?! সে তো খ্রিস্টান!
আপ্নের উদাহরণে কিঞ্চিত সমুস্যা আছে। ক্যাটরিনা কাইফ কিন্তুক মুসলমান।
আর মাছআলা হইল, খ্রিস্টানরা কিতাবিয়া, (অর্থাৎ কিতাবের অনুসারি) আপ্নে খ্রিস্টান মহিলা বিবাহ করতে পারবেন। আপনার বিবাহ বৈধ। এই ব্যাপারে কুরআনে উনুমতি রয়েছে। আপ্নের মুসলিম স্ত্রী বিবাহের পর যদি খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করে তার পরও আপ্নের বিবাহ বৈধ থাকবে। একই ব্যাপার ইহুদিদের ক্ষেত্রেও।
তয় আপ্নে হিন্দু মহিলারে বিবাহ করতে পারেন না। কারন, হিন্দুরা কিতাবিয়া না- মূর্তি পূজক। তয় বিবাহ যদি করেই ফেলেন সেইটা অবৈধ হবেনা, ফাসিদ বা অনিয়মিত বিবাহ হবে। সহবাস না হওয়া পর্যন্ত ফাসিদ বিবাহ আইনের দৃষ্টিতে কার্যকর হয়না। এইরুপ বিবাহে সন্তান-সন্ততি বৈধ হবে এবং পিতা মাতার সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হবে, তয় স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হবে না।
অপ্রাসঙ্গিক আলোচনার জইন্য ক্ষেমা চাই।
১৭৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:০৩
দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: মি: জবরদস্ত বলেছেন: @দু-পেয়ে গাধ আমাদের কথা হল এই ক্রীতদাস প্রথা ইসলাম কোনো কালেই অবৈধ করে নাই। দাস দের সাথে সদয় ব্যবহার করাকে কোনোভাবে দাস প্রথা বন্ধ করার চেয়ে ভাল নিয়ম বলা যায় কিনা সেইটাই প্রশ্ন।আশা করি উত্তর দেবেন।
ভাইজান, কেউ যদি টাকা দিয়া বা অন্যকোন মূল্যে দাস ক্রয় কইরা তারে ব্যবহার করে আপ্নের অসুবিধা কী? সে তো মূল্যু দিয়া ঐ দাসের শ্রম কিনছে। কথা হইল তাদের লগে যাতে ভালু ব্যহার কর হয়। এইখানে দাস প্রথা বন্ধ করা নিয়া কথা কন ক্যান?
ভাইজান আমি কিন্তুক তর্কে নাই, গাইল দিয়েন না। আমি গাইল খুব ডরাই।
====================
দাস কেনাবেচা করা আর শ্রম কেনা কি আপনি এক জিনিস বলে মনে করেন নাকি? একটু খুলে বলুন দেখি আপনি আপনার ছেলেকে চাকরি করতে পাঠানো , আর তাকে বিক্রি করতে পাঠানো এক বলে ভাবেন কিনা?
১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:৩৩
রিপেনডিল বলেছেন: আপনার বাসায় যে ছেলে কাজ করে তাকেও তার বাবা শ্রম বিক্রি করার জন্য পাঠিয়েছে। বর্বর দাস প্রথার সাথে আধুনিক চাকরীর পার্থক্য হল দাস প্রথায় দাসের মূল্য দেয়া হত না, কিনে নেয়ার পর সব কাজ করতে সে বাধ্য ছিল, মানবিক কোন অধিকার তাদের ছিল না। ইসলাম সর্বপ্রথম দাস এই সুযোগ দেয়।
১৭৫| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:০৪
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: মি: জবরদস্ত:
আমি কোন লজিকে কথা কইতাছি তা কী বুঝছেন?
খ্রিম্টান নয় (আহলে কিতাবী, যারা ঐ কিতাবকে মেনে চলে, তাদেরকে বিয়ে করা জায়েজ, কিন্তু এই মাসালার সাথে আমার লজিকের সম্পর্ক কি? )
ব্রাদার, "আমি ভাত খাই" উদাহরণের পর কেউ যদি ভাত রান্ধন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা শুরু করে, তবে আমি কিন্চিৎ বিরক্ত হই।
[তবে আপনি যদি তথ্যটি জানানোর সুবাদে বলে থাকেন, তবে সাধুবাদ জানাই, এবং বিনয়ের সাথে বলে রাখি, আমি যেসব বিষয়ে কথা বলি তার সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকার পর বলি, বিবাহ মাসআলা আমার জানা না থাকার কোনো কারণ নেই। ধন্যবাদ]
১৭৬| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:০৭
দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: কর্নেল সামুরাই@
আপনার বক্তব্য হল
১) কোনো কিতাবে ভুল আছে কিনা সেটা বলার অধিকার তারই আছে যে ঐ কিতাব পড়েছে। এটা একমাত্র আপনিই বলেন না। সকলেই এটাই বলে।
২) আপনি বলেছেন কোরান পড়তে গেলে আগে বিশ্বাস করতে হবে যে সেটি নির্ভূল আল্লাহর কাছ থেকে এসেছে। এটাও আপনার একার কথা নয়। আপনি নিজেই লিখেছেন যে নবীও এই নিয়মেই চলতেন।
“হযরত মুহম্মদ (সাঃ) আগে কলিমা পড়িয়েছেন (বিশ্বাস স্থাপনের হলফনামা) তারপর কোরআন দিয়েছিলেন। কাইকে কোরআন দিয়ে বিশ্বাস স্থাপন করাননি।“
যার অর্থ দাঁড়ায় কোরাণ এর ভুল বের করতে গেলে পড়তেই হবে এবং পড়তে হলে আগে সেটি নির্ভূল বলে বিশ্বাস করতেই হবে।
আপনি এখন বলছেন এমন কথা আপনি বলেন নি।
======================
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: "কোনো নিয়মের ভুলভ্রান্তি বের করার অধিকার একমাত্র তারই থাকবে যে নিয়মটা অভ্রান্ত আল্লার দেওয়া বলে বিশ্বাস করে"
.... কথাটা আমি বলেছি দু-পেয়ে গাধ নয়, আপনি আগে সেটা প্রমাণ করবেন।
======================
আপনার কথার অর্থ যদি অন্য কিছু হয়ে থাকে তবে সেটি খুলে বলার জন্য আবেদন রইল।
আপনার সঙ্গে ‘আলোচনায়’ আমি যে অসীম আনন্দ অনুভব করেছি তার তুলনা আমি অন্য কিছুর সঙ্গে করতে চাই না। তাছাড়া আপনার কাছে যে ‘বেকুব নাস্তিক’দের অনেক কিছু শেখার আছে তা আমি স্বীকার করি। তাই আপনার সাথে ‘আলোচনা’ চালানোর কোনো সুযোগই আমি ছাড়তে রাজি নই। তার আগে অবশ্যই আগে আপনার যে কথাটির অর্থ বুঝিনি সেটি বুঝে নিতে চাই।
১৭৭| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:১৯
দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: লেখক@
আপনি রেফারেন্স চেয়েই চলেছেন। আপনি কি ধরনের রেফারেন্স চান তা নিয়ে আমার কিছু জানার আছে।
আপনি কোরান হাদিশ ইজমা কিয়াস এবং তাফসির এইগুলিই কি রেফারেন্স হিসাবে ধরেন? নাকি কেবল কোরান আর হাদিশ? হাদিশ এর মধ্যে কি কেবল মহম্মদ এর কথাগুলিই রেফারেন্স ধরবেন? নাকি অন্যদেরও। অনুবাদ এবং ব্যাখ্যা হিসাবে কি কঠিনলজিক এর দেওয়া রেফারেন্স অনুসারে কথা হবে নাকি কর্নেল সামুরাই এর?
আপনি কার লেখা বই রেফারেন্স হিসাবে ধরেন না এবং সেই না-ধরার পিছনে কি কারণ আছে সেটাও তো জানা দরকার। নাকি আপনার ইচ্ছেমতন কিছু মানবেন আর কিছু মানবেন না বলে পিছলাবেন?
১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:৪০
রিপেনডিল বলেছেন: হাদীস এর অর্থ হল নবীর বানী অথবা তিনি যা যা করেছেন সেসবের বর্ননা (প্রত্যক্ষকারী কোন সাহাবী কর্তৃক)।
কোরআন বা হাদীসের ব্যখ্যা এক এক জন এক এক ভাবে দিতে পারে, বিস্বাসীরা একভাবে দেবে, অবিশ্বাসীরা অন্যভাবে আবার বিশ্বাসীরা ও নিজেদের মধ্যে বিরোধীতার কারনে অনেক মতবাদের সৃষ্টি হবে তাই আমি আমেনী বা গোলাম আজম বা লাদেনের ফতোয়াকে রেফারেন্স বলে মানতে রাজি নই, যেটি সর্বজনগৃহীত সেগুলোই রেফারেন্স হিসাবে গন্য।
এধরনের কিছু রেফারেন্স আমি গ্রহন করেছি এবং সে বিষয়ে মন্তব্য করেছি উপরের কমেন্টগুলো থেকে দেখে নিন।
১৭৮| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:৩২
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: (দু-পেয়ে গাধ বলেছেনঃ ২৪২ নং কমেন্ট)
এই ক্রীতদাস প্রথা ইসলাম কোনো কালেই অবৈধ করে নাই
আচ্ছা একটি প্রশ্নের জবাব দেন-
রাজধানীতে প্রতিনিয়িত কাজের ছেলে-মেয়েদের উপর অমাণবিক নির্যাতনের খবর আসে।
১. সরকার বাসায় কাজের লোক রাখাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করছে না কেন?
২. আপনি কোনটা সমর্থন করেন, কাজের লোক রাখার প্রথা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হোক? নাকি, কাজের লোকদের সাথে মানবিক ব্যবহারের আইন চালু হোক?
দাশপ্রথা সরাসরি নিষিদ্ধ করা, আর দাশদের সাথে ভালো ব্যবহারের প্রথা, দুটোর মধ্যে কোনটি বেশি সদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখতে সক্ষম তা ভাবুন আমার উপরের প্রশ্নদুটো থেকে। মুক্তচিন্তার অধিকারী হলে বুঝবেন, নয়তো বোঝানো আমার কম্ম নয়।
১৭৯| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:৩৮
মি: জবরদস্ত বলেছেন: @কর্ণেল সামুরাই ভাই আমি আপনার মত এত জ্ঞানী নই। ইসলাম সম্পর্কে আমার জ্ঞান খুবই কম। আপনার কমেন্টগুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে আপনি অনেক কিছুই জানেন।
ব্রাদার, "আমি ভাত খাই" উদাহরণের পর কেউ যদি ভাত রান্ধন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা শুরু করে, তবে আমি কিন্চিৎ বিরক্ত হই।
এবং
বিনয়ের সাথে বলে রাখি, আমি যেসব বিষয়ে কথা বলি তার সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকার পর বলি, বিবাহ মাসআলা আমার জানা না থাকার কোনো কারণ নেই।
এই কথাগুলো পড়ে বুঝা যাচ্ছে, বিবাহ সম্পর্কে মাছআলা বলায় আপনার মত জ্ঞানী ব্যক্তির আঁতে ঘা লেগেছে। আপনার মনে হয়েছে, আমি সর্ব জ্ঞানী, এই ব্যাটা আবার আমাকে জ্ঞান দেয় কি?
ভাই আপনাকে ঐ কিন্চিৎ বিরক্ত করার জন্য আমি দুঃখিত। আপনাকে আমি জ্ঞান দিই নি, সেই যোগ্যতাও আমার নেই- বিবাহ সম্পর্কে আলোচনা করতে ইচ্ছে হয়েছে তাই করেছি এবং অপ্রসঙ্গিক আলোচনার জন্য শেষে ক্ষমাও চেয়েছি।
আমি এখানে শিখাতে আসিনি, শিখতে এসেছি। জানাতে আসিনি জানতে এসেছি। কারণ আমার জ্ঞানের পরিধি আমার জানা আছে।
আলোচন চালিয়ে যান। আপনার জন্য শুভকামনা।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:৪২
রিপেনডিল বলেছেন: আলোচনায় থাকুন, প্রাসঙ্গিক আলোচনা গ্রহনযোগ্য।
১৮০| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:৪৯
দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: মেহেদী পরাগ বলেছেন: আসিফ মহিউদ্দীন বলেছেন:
মুহাম্মদ সেই নারীকে নিয়ে বিছানায় তুলেছিল, যেখানে মাত্র দুই দিন আগেই সেই নারী তার স্বামী এবং পিতাকে হারিয়েছে।
এটাকে কি আপনার ধর্ষন মনে হচ্ছে না? আপনি কি দাবী করবেন, সেই নারী যার স্বামী এবং পিতাকে মুহাম্মদের সৈন্যরা হত্যা করলো, সেই নারী নাচতে নাচতে মুহাম্মদের কোলে গিয়ে তার সাথে ছহবত করলো?
-----------------------------------------------------------------------------------
যুদ্ধবন্দী নারীদের দাসী বানানোর পর নির্দিষ্ট পরিমাণ সময়ের পরই শুধু তাদের সাথে সহবাস বৈধ ছিল। বন্দি করার সাথে সাথেই তা করা যেতনা।
এবার নাচতে নাচতে কোলে আসার ব্যাপারে বলিঃ আপনার কিছুটা ইতিহাস জানার প্রয়োজন।
John McClintock said:
Women who followed their father and husbands to the war put on their finest dresses and ornaments previous to an engagement, in the hope of finding favor in the eyes of their captors in case of a defeat.(John McClintock, James Strong, "Cyclopædia of Biblical, Theological, and Ecclesiastical Literature" [Harper & Brothers, 1894], p. 782)
Matthew B. Schwartz said:
The Book of Deuteronomy prescribes its own rules for the treatment of women captured in war [ Deut 21:10-14 ] . Women have always followed armies to do the soldiers' laundry, to nurse the sick and wounded, and to serve as prostitutes
They would often dress in such a way as to attract the soldiers who won the battle. The Bible recognizes the realities of the battle situation in its rules on how to treat female captives, though commentators disagree on some of the details.
The biblical Israelite went to battle as a messenger of God. Yet he could also, of course, be caught up in the raging tide of blood and violence. The Western mind associates prowess, whether military or athletic, with sexual success.
The pretty girls crowd around the hero who scores the winning touchdown, not around the players of the losing team. And it is certainly true in war: the winning hero "attracts" the women.(Matthew B. Schwartz, Kalman J. Kaplan, "The Fruit of Her Hands: The Psychology of Biblical Women" [Wm. B. Eerdmans Publishing, 2007] , pp. 146-147)
দেখুন ইতিহাস সাক্ষী দেয় যে যুদ্ধে জয়ী বীরের কাছে যুদ্ধবন্দী সুন্দরীরা নাচতে নাচতে যেতে আপত্তি করতনা।
========================
মেহেদী পরাগ এর কথা থেকেই পরিষ্কার যে মহম্মদ যেসব বড় বড় বাত মেরেছিল মেয়েদের শরীরের পর্দা নিয়ে এবং পুরুষের চোখের পর্দা করা নিয়ে সেইসব কিছুই কেবল ফাঁকা বুলি মাত্র। যুদ্ধে বন্দী হওয়া যেসব পর্দাহীন মেয়েরা 'নাচতে নাচতে' শত্রুদের কোলে উঠত তাদের মোটেই খারাপ বলে ত্যাগ করার আদেশ দেওয়া হয়নাই।
মেহেদী মশাই এর কাছে আর একটি প্রশ্ন আছে। উনি ইতিহাস থেকে দেখালেন যে 'অবিশ্বাসীদের' মেয়েরা যুদ্ধে যেত সেজেগুজে। সেইটা কি তারা নিজ ইচ্ছায় যেত? নাকি তাদের দলের মরদদের ইচ্ছায় যেতে বাধ্য হত?
কল্পনা করতেই খারাপ লাগে যে আল্লার বান্দাদের শত্রুরা (অর্থাৎ যাদের কোরানে পশুর তুল্য বলা হয়েছে তারা) যুদ্ধক্ষেত্রে ফুর্তি করার জন্য সাজুগুজু করা মেয়ে নিয়ে আসত আর নবীর বান্দারা (মানে সর্বশ্রেষ্ঠ উম্মত রা) তাদের ধরে এনে ভাগাভাগি করে নিত।
কেমন করে তারা বাছাই করত সেইসব দাসীদের? পরদার আড়াল থেকে? যখন তাদের অন্য কোথাও বিক্রি করা হত তখন খদ্দেররা পরদার পিছ থেকে মাল দেখে কিনে নিত?
১৮১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:৫১
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: (দু-পেয়ে গাধ ২৫৪ নং কমেন্ট)
আপনার পড়াশোনায় বড় রকমের সমস্যা আছে।
আপনি বলেছেন,
"হযরত মুহম্মদ (সাঃ) আগে কলিমা পড়িয়েছেন (বিশ্বাস স্থাপনের হলফনামা) তারপর কোরআন দিয়েছিলেন। কাইকে কোরআন দিয়ে বিশ্বাস স্থাপন করাননি।"
যার অর্থ দাঁড়ায় কোরাণ এর ভুল বের করতে গেলে পড়তেই হবে এবং পড়তে হলে আগে সেটি নির্ভূল বলে বিশ্বাস করতেই হবে।
------------------------------------------------------
আপনার কাছে এর অর্থ মনেহয়েছেঃ মুহম্মদ (সা) কোরআন এনেছেন ভুল বের করার জন্য!
মানে মুমীন রা কোরআনের প্রুফ রিডার!
উদোর পিন্দি বুধোর ঘাড়ে চাপাতে দেখেছি অনেক নাস্তিককে তবে ব্লগীয় জীবনে কখনো এরকম আজিব বিশ্লেষণের হিকমাহ্ কেউ দেখাননি!
যাই হোক! আপনাকে নাচাতে চাচ্ছিনা, সেখানে বুদ্ধিমান, আসিফ মহিউদ্দিন অনেক আগেই বুঝতে পেরেছিলেন আমি তাকে কিভাবে পাকড়াও করবো এই বিষয় নিয়ে, এবং বিষয়টা নিয়ে এগোন নি।
জেনে রাখুনঃ কোরআন একটি জীবন ব্যবস্থা (সংবিধান)। ভুল-ভাল খোজার জন্য এটি অবতীর্ণ হয়নি। আপনি ইচ্ছে হলে এই সংবিধান মানবেন, নয়তো মানবেন না।
১৮২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:০৪
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: মি: জবরদস্ত
নাহ ব্রাদার! আমি যথেষ্ট বিনয়ের সাথেই আপনাকে কথাগুলো বলেছি, এবং লক্ষ করুন, কোন রকম কটুক্তি (সেটা স্বভাবতই আমার কমেন্টে থাকে) আপনার কমেন্টে ছিলনা।
আসলে, প্রাসাঙ্গিক আলোচনার অন্য মোড় স্বভাবতই কিছুটা বিরক্তির সৃষ্টি করে। আমি বিনীতভাবে জানিয়েছে, মাসআলাটি আমার জানা। আমি যদি বলতাম, "এই সামান্য বিষয় নিতে জানাকে এসেছেন?" তাহলে আপনি কম্প্লেইন করতে পারতেন, কিন্তু আমি কমেন্টে লিখেছি "বিবাহ মাসআলা আমার জানা না থাকার কোনো কারণ নেই" যেটি বিনয়ের বহি:প্রকাশ।
.... শেষে একটি ধন্যবাদ ও যোগ ছিল, যেটি আমি খুব কমই প্রকাশ করি।
আমাদের কারোই শেখার কোনো শেষ নেই। আমরা সবাই জ্ঞান সমুদ্রের সামান্য আমপাড়া পড়ুড়া স্টুডেন্ট।
আপনার বক্তব্যটি আসিফ মহিউদ্দিনের জন্য সত্য হতে পারে কারণ তিনি প্রায়ম বলে থাকেন, আমাদের মত নলেজওয়ালারা তার সামনে মাথা নিচু করে দিক্ষা নেয়, এবং অনেকেই তাদের আড্ডায় বসায় যোগ্যতাও অর্জন করে না!
১৮৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:০৬
দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: জেনে রাখুনঃ কোরআন একটি জীবন ব্যবস্থা (সংবিধান)। ভুল-ভাল খোজার জন্য এটি অবতীর্ণ হয়নি। আপনি ইচ্ছে হলে এই সংবিধান মানবেন, নয়তো মানবেন না।
=========
এই ব্যবস্থা কাদের জন্য মাননীয় কর্নেল? মানুষের জন্য নাকি আপনার মতন কিছু অতিমানব বা মহামানব দের জন্য? মানুষের জন্য করা নিয়মে মানুষ ভুল আছে কিনা দেখতে পারবে না এইটা আপনার কাছে বিরাট ভাল নিয়ম লাগবেই। কারণ আপনার মতন মহামানবেরা সব সময়েই সাধারণ মানুষকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের আরো উঁচুতে তুলে আরামে থাকার ব্যবস্থা পাকা করতে ভালোবাসেন। সেই জন্যই কখনো সাধারণ মানুষকে ভোটার হিসাবে, সৈন্য হিসাবে, জেহাদী হিসাবে ব্যবহার করার জন্য তাদের যা খুশি তাই বুঝিয়ে চলেন। আর কোনোভাবে যদি নিজের আমামের গদি বিপন্ন হয় তখনই ধর্মরক্ষার জিকির তুলে যুদ্ধ ঘোষণা করেন।
আপনি এতক্ষন আসিফ মহীউদ্দীনের বাপ মা তুলে কথাবার্তা বলে চলেছিলেন। যখনই সে তালগাছ আপনাকে ছেড়ে দিয়ে গেল আপনি তার বুদ্ধির প্রশংসায় উথলে উঠে আমার সামনে তার উদাহরণ পেশ করে বসলেন। যুক্তি কথাটার অর্থ বুঝলে আপনার মাথায় ঢুকত যে আপনার সাথে আলোচনা করা মানে কেবল মা-বাপ তুলে আক্রমণ আর তার জবাব দিয়ে সময় নষ্ট করা।
তবুও আপনার সঙ্গে আলোচনা চালানোতে আমার কোনো আপত্তি নাই। কারণ "যুক্তিসঙ্গত আলোচনা" বস্তুটা কি, এবং সেটা কিভাবে করতে হয় সেটা আপনার শেখার অধিকার আছে।
১৮৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:২৫
দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: কর্নেল সামুরাই@
আপনার প্রথম মন্তব্য থেকে শুরু করে "তালগাছ" "পাবনা" "পুলাপান" "জন্মের ঠিক আছে কিনা", "আপনার মা আপনার মনে বিষ ঢুকিয়েছেন" ইত্যাদি বাক্যের পরিমাণ কিছু বেশি বলেই মনে হচ্ছে। এবং এই প্রতিটি কথাই এই পোস্ট এ আপনিই প্রথম আমদানি করেছেন। আপনার কথাবার্তা থেকে কেউ যদি বিশ্বাসীদের নিকৃষ্ট পশু বলে মনে করে তবে অন্য বিশ্বাসীরা তার প্রতিবাদ করবেন বলেই মনে হয়। এবং এইটাই স্বাভাবিক।
আপনার যুক্তির নমুনা দেখুনঃ-
আপনি বলেনঃ- কোরান আপনি না চাইলে মানবেন না। কি এসে যায়!
কোরান নিজে বলেঃ- যারা বিশ্বাস করে না তারা নিকৃষ্ট পশুতুল্য। নবী ও তার অনুসারীদের উচিত তাদের প্রতি কঠোর ব্যবহার করা।
আপনার কথার সাথে মেলে না। আপনার কথায় আমি যদি মনে করি ইসলামী দেশে আমার বিশ্বাস অবিশ্বাস নিয়ে কারো কিছু এসে যায় না তবে সেটা ভুলই হবে। এইটাই আপনার আবিষ্কৃত পিছলামী কায়দা। যেকোনো ভাবে মিথ্যা প্রচারের মাধ্যমে সবাইকে বোঝানো যে ইসলামী রাষ্ট্রে সবার সমান অধিকার। কিন্তু একবার ইসলাম ক্ষমতা পেলেই যদি মুসলিম ছাড়া অন্যদের প্রতি "কঠোর ব্যবহার" শুরু করা হয় তখন তাকে অন্যায় বলতে গেলে কল্লা ফেলে দেওয়া হবেই।
সোজা কথায় অন্য ধর্মের প্রতি কঠোর ব্যবহার করাটা আদৌ অন্যায় কিছু থাকব না। যদি কেউ এমন করে তাতে আল্লাহ আখিরাতে যাই করুন দেশের আদালতে তার শাস্তি হবেনা।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:৩৭
রিপেনডিল বলেছেন: নবী এবং তার অনুসারীদের উচিৎ তাদের প্রতি কঠোর ব্যবহার করা এ ব্যাপারে পূর্নাঙ্গ আয়াতটি চাই।
ইসলাম কোথায় বলেছে অবিশ্বাসীদের দেখা মাত্রই কল্লা ফেলে দিতে হবে, কোথায় বলেছে যে তোমার উপর যুলুম করে নি তুমি তার উপর যুলুম কর।
বরং কুরআন বলেছে--
লা কুম দ্বীন উকুম ওয়ালিয়া দ্বীন (তোমার ধর্ম তোমার, আমার ধর্ম আমার)।
১৮৫| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:২৯
দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: লেখক@
পোস্ট খুব লম্বা হয়ে গেছে। লোড হতে চাইছে না। তাই এবার আমার পক্ষে অফ যাওয়া ছাড়া আর পথ দেখছি না।
মাঝে মাঝে আসব। যদি সম্ভব হয় কিছু লিখেও যাব।
১৮৬| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:২১
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: (প্রিয় দুপেয়ে গাধ)
আপনি আমর ২৫৬ নং কমেন্টের জবাব না দিয়ে তো চলে যেতে পারেন না!
আর,
"তালগাছ" "পাবনা" "পুলাপান" "জন্মের ঠিক আছে কিনা" শব্দগুলোর সাথে নিকৃষ্ট কীটের সম্পর্ক থাকলে ধর্ষণ, সহবৎ ইত্যাদি শব্দের সাথে কার সম্পর্ক রয়েছে তার ব্যাখ্যা দিতেও আপনি বাধ্য।
কার বাপ-মাকে নিয়ে আমি কটুক্তি করলাম সে বিষয়েও আপনাকে পরিষ্কার ব্যাখ্যা দিতে হবে (অবশ্য আপনি প্রথমে আসিফ মহিউদ্দিনের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে নিন, এ বিষয়ে আলোচনায় যাবেন কি না)
যুক্তি প্রমাণ ও স্ক্রিণশট সহ সকল তথ্যই আমি কাল রেডি রেখেছিলাম আমার বক্তব্যের স্বপক্ষে। তিনি মহিউদ্দিন যদি এগুতে চাইতেন, তবে আমি সুস্পস্টভাবে প্রমাণ করে দিতাম, আমার বক্তব্য সত্য।
নাস্তিকেরা কাছে যেহেতু স্পর্সকাতর বলে কিছু নেই, লজিক্যালি সবকিছুর আলোচনা সমালোচনা করা যেতে পারে, আপনি চাইলে আমি এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনায় যেতে আগ্রহী আছি।
কাল আসিফ মহিউদ্দিনের অনুরোধ ও তার ব্যক্তিগত অনুভূতিকে সম্মান দেখিয়ে এ বিষয়ে আলোচনা এগুনো হয়নি।
আপনি উপরের আন্ডারলাইন করা ৩টি বিষয়ে সুরাহা না করে যেতে পারেন না। বিতর্কের ক্ষেত্রে সেটা বড়ই অশোভন!
১৮৭| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:০৬
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: @ রিপেনডিল (২৬৩ নং কমেন্ট)
তিনি দু-পেয়ে গাধ মনের মাধুরি মিশিয়ে যেই আয়াতটির ট্রান্সলেশন করেছেন তার বাংলা তর্জমাগুলো দেখুন-
[সূরা আল ফাতহ, আয়াতঃ ২৯]
মুহাম্মদ আল্লাহর রসূল এবং তাঁর সহচরগণ কাফেরদের প্রতি কঠোর, নিজেদের মধ্যে পরস্পর সহানুভূতিশীল। আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় আপনি তাদেরকে রুকু ও সেজদারত দেখবেন। [বর্তমান কাল, বর্ণনা মূলক বাক্য]
আর তেনার ট্রান্সলেশনঃ মুহম্মদ ও তাঁর অনুসারীরা নিজেদের মধ্যে সদয় ও ভদ্র ব্যবহার করবেন এবং অবিশ্বাসীদের প্রতি কঠোর হবেন
[ভবিষ্যত কাল, আদেশমূলক বাক্য]
দেখুন, বাক্যের অর্থের আমূল পরিবর্তন করে তারা কিভাবে তর্কে আসে!
[সূরা আল-আনফাল, আয়াত: ৫৫]
সমস্ত জীবের মাঝে আল্লাহর নিকট তারাই সবচেয়ে নিকৃষ্ট, যারা অস্বীকারকারী হয়েছে অতঃপর আর ঈমান আনেনি।
আর তার ট্রান্সলেশনঃ
"অবিশ্বাসীরা নিকৃষ্ট পশুর তুল্য"
আমি জানি দু-পেয়ে গাধ একজন মহাজ্ঞানী ট্রান্সলেটর। এনার একধাপ বেশি বোঝার প্রতিভা অনেক আগেই আমি হাতে নাতে কট করেছিলাম।
.... বাকি অংশটুকু পরে এস লিখবো। আপাতত অফলাইনে যাচ্ছি।
১৮৮| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৭
দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: আইনস্টাইন@
লেখক এর কাছে আগেই জানতে চেয়েছিলাম উনি কোন অনুবাদ আর ব্যাখ্যাকে রেফারেন্স হিসাবে ধরবেন।
এক একটা পয়েন্ট আসবে আর আলাদা আলাদা জায়গার থেকে পছন্দের অনুবাদ তুলে এনে কথা বলা হবে এইটা কোনো আলোচনার পদ্ধতি হতে পারে না। কারণ অনুবাদের আর ব্যাখ্যার তফাত থেকেই মুসলিমেরা নিজেদের মধ্যে কাজিয়া করে চলেছে। কিন্তু লেখক আলোচনার আগে কোন অনুবাদ ভুল বলে মনে করেন সে নিয়ে কোনো কথাই বলেন নাই। পরে যখন কোনো রেফারেন্স দেওয়া হইছে তখন সেইটা ভুল বলে পিছলামি দেওয়া হইছে। এইভাবেই চলতে থাকলে লেখকের বা কর্নেলের নিজের করা অনুবাদ আর ব্যাখ্যা ছাড়া সবকিছুই ভুল বলে বাতিল করা সম্ভব। কারণ তাঁরা মোটেই এই "ভুল" বলে বাতিল করার পিছনে কোনো ব্যাখ্যা দেবেন না। তাঁরা বিশ্বাস করবেন যে তাঁদের পছন্দেরটা ঠিক আর বাকি সব ভুল। যেই কাজটা তালিবান থেকে ইরান অবধি সবাই প্রতিদিন করে চলেছে। আমি ছাড়া সবাই ভুল, সবাই খারাপ এইটাই এনাদের দাবী। যারা এর প্রতিবাদ করবে তারাই পাবনার পাগল কিম্বা মিথ্যাবাদী।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১০:৩৮
রিপেনডিল বলেছেন: অনুবাদ আর ব্যখ্যার পার্থক্য বোঝেন? ব্যখ্যা এক এক জন এক এক ভাবে দেবে তাতেই মত পার্থক্য সৃষ্টি হবে তাই কারো ব্যখ্যাকে রেফারেন্স হিসাবে নেওয়ার চেয়ে সরাসরি অনুবাদকেই রেফারেন্স হিসাবে গ্রহনযোগ্য কারন অনুবাদ বিভিন্ন রকম হতে পারে না। কমেন্টগুলো ভাল করে পড়ে তারপর উত্তর দিন, অর্ধেক পড়ে নিজের মত বাকিটুকু দাড় করিয়ে নেবেন না।
১৮৯| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৭
কুহক' বলেছেন: আপনাদের এই তর্কে আরও শিওর হলাম
নবীজি তিরোধানের পর কেন সমস্ত বিশ্বের কোরআন পুড়িয়ে ফেলা হয়ে তা আবার লিপিবন্ধ করা হয় আর তাতে কেন ৬৬৬৬ টা আয়াত নেই।
আপাতত প্রিয়তে রাখলাম পরে আবারো পড়বো।
১৯০| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৫
মাই নেম ইজ খান বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট। দারুণ তাত্ত্বিক আর গবেষণামূলক আলোচনা। তবে যেই সকল বিজ্ঞ ব্লগার ভাইগণ মহান আল্লাহকেই বিশ্বাস করেন না, নবী সা. কে মানেন না তাদের সাথে প্রথম আলোচনা হিসেবে ইসলামের ভুল ও কুরআন-হাদীসের অসঙ্গতি সাব্যস্ত করাটা আমার কাছে যথোপযুক্ত বলে মনে হচ্ছে না।
এখানে আরেকটি বিষয় যা সমস্যা করছে তা হলো, যারা কুরআন এবং হাদীস থেকে উদ্ধৃতি দিচ্ছেন তারা আরবীর পরিবর্তে বাংলা বা ইংরেজি উদ্ধৃতি দিচ্ছেন। ফলে একজনের অর্থের সাথে আরেকজনের অর্থের কম্প্যায়ার করা যাচ্ছে না। উদ্ধৃতি গুলো মূল আরবী হলো ভালো হতো।
আমার কাছে আরবী আছে। প্রয়োজন হলে দিতে পারি। ধন্যবাদ।
১৯১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৪
মি: জবরদস্ত বলেছেন: আলোচনা ঝিমিয়ে পড়েছে। আসিফ ভাইক আর পরাগ ভাই পলাতক। আপনারাও আসেন। আলোচনা আরো জমবে।
১৯২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৫
১১স্টার বলেছেন: ইসলাম নিয়ে বাড়াবাড়ি ঝগড়া না করাই ভালো। আর আপনি নিজে জানেন আসিফ মহিউদ্দিন একজন নাস্তিক তার সাথে যতো আলোচনা করবেন রেজাল্ট শুন্য। শুন্য রেজাল্ট এর জন্য কেন আলোচনা সমালোচনা ঝগড়া করব।
নাস্তিক দের উচিৎ কোন ধর্মকে কটাক্ষ করে বক্তব্য না দেওয়া আস্তিক দের উচিৎ ঐ সকল পোস্ট এড়াইয়া চলা। ভাই আপনাকে কোন প্রকার উপদেশ দেবার যোগ্যতা আমার নাই। এধরনের পোস্টে নাস্তিকরা উৎসাহিত হয়। কেউ যদি নাস্তিকদের পোস্টে কোন মন্তব্য না করে তাহলে দেখবেন তাদের পোস্ট কমে যাবে অযথা মানুষকে বিভ্রান্তিতে ফেলতে পারবেনা।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১০:৪২
রিপেনডিল বলেছেন: মানুষ যেন বিভ্রান্ত না হয় সে জন্যই এই চেষ্টা। ইসলাম কে অন্ধভাবে অপমানিত করার চেষ্টা যদি যুক্তিপূর্ন কিছু আলোচনার মাধ্যমে প্রশমিত করা যায় সেটি কি ভাল নয়?
১৯৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৯
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: দু-পেয়ে গাধ,
তর্জমা যেখান থেকেই পড়েন, সমস্যা নাই, করণ বাংলা, ইংরেজী আ উর্দূ সবখানেই মানে একই। কিন্তু আপনি- (১০৭ নং কমেন্ট এ)
Sura (...48:29) - Muhammad is the messenger of Allah. And those with him are hard (ruthless) against the disbelievers and merciful among themselves
এর অনুবাদঃ
মুহম্মদ ও তাঁর অনুসারীরা নিজেদের মধ্যে সদয় ও ভদ্র ব্যবহার করবেন এবং অবিশ্বাসীদের প্রতি কঠোর হবেন।
(আমি নিশ্চিক এটা আপনার নিজস্ব কর্ম, কারণ কোন তর্জমাতেই এমনটা বলা হবে না।)
বাক্যে is, are (বর্তমান কাল) থাকার পরেও তার বাংলা ফিউচার টেন্সে (হবেন, করবেন) কিভাবে হয় আমাকে বোঝান।
আমি সম্ভবত ইংরেজী ভালো বুঝিনা, টেন্সে মনেহয় আমার জানার সমস্যা আছে! ইংরেজী বিশেষজ্ঞগণ কী বলেন??
১৯৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৬
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: @কুহকঃ
আজিব তো!
কুরআনে ৬৬৬৬ টা আয়াতই আছে,
bn.wikipedia.org/wiki/কুরআন (ব্রাউজারে কপিপেস্ট করেন)
৬,৬৬৬ টা আয়াতে বিসমিল্লাসহ আরে অনেককিছু ধরে হিসাব করা হয়। উইকি থেকে দেখে নিন। লিংক দিয়ে দিয়েছি।
১৯৫| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪০
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: @মাই নেম ইজ খান
ভাই আরবি দিলে বুঝবে কে??
আমি ক্লিয়ার করে রাখি আমি যেই অনুবাদগুলো দিচ্ছি সেগুলো বিখ্যাত মারেফুল কোরআনের। যেটি সৌদি বাদশাহ ফাহাদের পৃষ্ঠপোষকতায় আরব থেকে সরবরাহ করা হয়।
১৯৬| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪২
মাই নেম ইজ খান বলেছেন: @ কর্ণেল সামুরাই
আপনার উল্লেখিত আয়াতটি হলো এটি
مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ وَالَّذِينَ مَعَهُ أَشِدَّاءُ عَلَى الْكُفَّارِ رُحَمَاءُ بَيْنَهُمْ تَرَاهُمْ رُكَّعًا سُجَّدًا يَبْتَغُونَ فَضْلًا مِنَ اللَّهِ وَرِضْوَانًا سِيمَاهُمْ فِي وُجُوهِهِمْ مِنْ أَثَرِ السُّجُودِ ذَلِكَ مَثَلُهُمْ فِي التَّوْرَاةِ وَمَثَلُهُمْ فِي الْإِنْجِيلِ كَزَرْعٍ أَخْرَجَ شَطْأَهُ فَآَزَرَهُ فَاسْتَغْلَظَ فَاسْتَوَى عَلَى سُوقِهِ يُعْجِبُ الزُّرَّاعَ لِيَغِيظَ بِهِمُ الْكُفَّارَ وَعَدَ اللَّهُ الَّذِينَ آَمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ مِنْهُمْ مَغْفِرَةً وَأَجْرًا عَظِيمًا (29)
অর্থ: মুহাম্মদ আল্লাহর রসূল এবং তাঁর সহচরগণ কাফেরদের প্রতি কঠোর, নিজেদের মধ্যে পরস্পর সহানুভূতিশীল। আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় আপনি তাদেরকে রুকু ও সেজদারত দেখবেন।.... সূরা আল ফাতহ, আয়াতঃ ২৯
আর উপরের আয়াতটি হলো
) إِنَّ شَرَّ الدَّوَابِّ عِنْدَ اللَّهِ الَّذِينَ كَفَرُوا فَهُمْ لا يُؤْمِنُونَ (55)
অর্থ: সমস্ত জীবের মাঝে আল্লাহর নিকট তারাই সবচেয়ে নিকৃষ্ট, যারা অস্বীকারকারী হয়েছে অতঃপর আর ঈমান আনেনি।" [সূরা আল-আনফাল, আয়াত: ৫৫]
আয়াতের হুবহু অর্থের ক্ষেত্রে সামুরাই ভাইয়ের অর্থটিই অধিক যুক্তিসঙ্গত। যারা আরবী জানেন তারা সহজেই পবিত্র কুরআনের মূল শব্দ ও বাক্যের সাথে অর্থ মিলিয়ে নিতে পারবেন।
আর যারা একটি জিনিষ নিশ্চিত ভেবে নিয়ে তার পক্ষে কুরআনের আয়াত সংযুক্ত করতে চান তারা শুধু উপরের ঐ দুই আয়াত নয়, অনেক ক্ষেত্রেই তা করতে পারেন। তবে এটা অনুচিত। উদ্ধৃতির ক্ষেত্রে মূল বক্তব্য অক্ষত রাখা দরকার। ধন্যবাদ।
১৯৭| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৮:০৬
মেহেদী পরাগ বলেছেন: মি: জবরদস্ত বলেছেন: আসিফ মহিউদ্দীন বলেছেনঃ তাহলে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে যে সকল বীরাঙ্গনা তাদের সম্ভ্রম পাকিদের কাছে হারিয়েছিল, পাকিরা যাদের দিনের পর দিন ধর্ষন করেছিল, সেখানেও নিশ্চয়ই বাংলার মা বোনেরা পাকি সেনাদের বীরত্ত্ব দেখে মুগ্ধ হয়ে পাকিদের বিছানায় উঠেছিল। তাই না? (২৩৯)
পরাগ ভাইজান, উত্তর দেন। ন পিছলামি!
-----------------------------------------------------------------------------------
অক্কে কুনু পিছলামি না। আমি কুনু দিন পিছলামি করিও নাই।
শুনেন তাহলে, আসিফ মহিউদ্দীন বারবার বলছিলেন যে- যে সব নারীরা মাত্র কিছুদিন আগে যুদ্ধে তাদের স্বামী বা আপনজন হারিয়েছেন তারা কোন ভাবেই স্বেচ্ছায় যুদ্ধজয়ীদের সাথে বিছানায় যেতে পারে না। তাদের জোড় করে বিছানায় নেয়া হত। অথচ উনি জোড় করে বিছানায় নেয়ার ব্যাপারে কোন প্রমাণ দেখাতে পারলেন না। প্রমাণ হিসেবে তিনি তার চিন্তাশক্তি ব্যাবহার করে বলেছেন যে স্বেচ্ছায় কোন মেয়ে এই কাজ করতে পারে না।
আমি তার এই গোয়ার্তুমি ভাঙ্গানোর চেষ্টা করেছি মাত্র। আমি শুধু দেখালাম রাসুল এর অনেক আগের জামানা থেকেই এই রকম আচার চালু ছিল। মেয়েরা স্বেচ্ছায় বিছানায় যেত।
আমি আসিফের সাথে একমত যে এই যুগে , এমনকি মুক্তিযুদ্ধের সময়ও স্বেচ্ছায় কোন নারী এমন কাজ করবেনা। কিন্তু কথা তো সেটা না, আজকের বা মুক্তিযুদ্ধের সময়ের ব্যাপারে কে কথা বলছে? এখানে তো আসিফ পিছলালেন। আসিফ এই যুগের মন মানসিকতা নিয়ে বলছিলেন যে সেই যুগে স্বেচ্ছায় কোন মেয়ে বিছানায় যেতে পারেনা। আমি দেখালাম সেই যুগে এটা খুবই সাধারণ ঘটনা ছিল। তার মানে এই না এই যুগে সেটা সাধারন ঘটনা। এখন কেউ যদি আমার দেখানো প্রমাণ থেকে এই কথা বের করার চেষ্টা করে যে পাকিদের কোলে বাংলার মেয়েরা স্বেচ্ছায় ঊঠেছে তাহলে বুঝে নিতে হবে যে তার মাথায় ঘিলু কিঞ্চিৎ কম আছে।
আমার দেখানো উদাহরণ এবং জোড় করে বিছানায় নেয়ার ব্যাপারে আসিফের প্রমাণ দেখানোর ব্যার্থতা এটাই প্রমাণ করে যে আসিফের দাবি ভুল এবং আসিফ যুক্তিতে আমার সাথে না পেরে মুক্তিযুদ্ধের ঘটনার সাথে বনি ইসরাইলের যুগের ঘটনা মিলিয়ে পিছলামির চূড়ান্ত নমুনা দেখিয়েছেন।
১৯৮| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৮:৩১
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: মাই নেম ইজ খানঃ
ধর্মপ্রাণদের আরবী ভাষার প্রতি শ্রদ্ধাশীলতার জন্য আমি ব্লগে আরবী লেখাকে উৎসাহিত করিনা। আরবী আমার কাছেও রয়েছে, কিন্তু এজন্যই ব্যবহার করা হয়না। আপনারও ব্যবহার না করাই শ্রেয়।
১৯৯| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৯:০৬
মাই নেম ইজ খান বলেছেন: @ কর্ণেল সামুরাই
আমি আপনার এই বক্তব্যের সাথে পূর্ণ একমত হতে পারছি না। কারণ -আমরা যারা কিছু আরবী জানি- উদ্ধৃতির ক্ষেত্রে মূল আরবী না থাকলে অনেক সময় আমার নিজের কাছেও অর্থের ব্যাপারে কনফিউশান তৈরী হয়। আর একটি ভাষাকে শ্রদ্ধার অর্থ তো এই হতে পারে না যে, তাকে সব সময় এড়িয়ে চলবো।
স্যরি। আসুন আমরা মূল আলোচনায় ফেরত যাই। ধন্যবাদ।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১০:৪৮
রিপেনডিল বলেছেন: এখানে বেশির ভাগ মানুষই আরবির অর্থ জানেন না, আর নাস্তিকদের কথা না হয় বাদই দিলাম, সে হিসাবে আরবি দিয়ে খুব একটা লাভ হবে না, বরং যে ভাষা আমরা জানি এবং বুঝি সে ভাষাতেই রেফারেন্স দেয়া ভাল।
২০০| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৯:১৬
মি: জবরদস্ত বলেছেন: @আসিফ মহিউদ্দীন আমার ২২৬ নং কমেন্টের উত্তর দেন। তিনি যদি না থাকেন তার পুতিনিধি যারা আছেন তারা উত্তর দেন। আসিফ ভাইজান পিছলাইয়া পলাইছেন। আইনস্টাইন আর গাধা, আপনেরা কই গেলেন? পারলে ২২৬ নং কমেন্টের উত্তর দেন। জানতে খুব মুঞ্চায়। না দিতে পারলে স্বীকার যান, পারব না, তর্কে হাইরা গেছি (আমার লগে না- আস্তিক গ লগে)। নইলে কিন্তুক ধইরা নিমু আপ্নেরাও আমার মত গাধা মানব।
২০১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৯:৪২
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: আলবার্ট_আইনস্টাইন বলেছেনঃ
....রিপেন্ডিল এবং কর্নেল এর আলোচনা থেকে এটা বুঝতে পারলাম, তারা এই বিষয়ে একমত যে, ঐসকল বিষয় ঐ যুগে কার্যকর হলেও বর্তমান যুগে অচল। তাই ধর্মে এই পরিবর্তনগুলো তারা মেনে নিতে ইচ্ছুক....
--------------------------------------------------
বর্তমান যুগে ও দেশের পেক্ষাপটে দাশ-প্রথা নেই। যেই প্রথার অস্তিত্বই নেই সেটাকে বর্তমান যুগের সাপেক্ষে অচল বা সচল হবারও প্রশ্ন আসেনা। সুতরাং পরিবর্তন করবো কোন আইন?
যেমন ধরুনঃ মঙ্গলগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব নেই। সেখানে জাটকা নিধন আইন কিভাবে পরিবর্তন করা সম্ভব?
আলবার্ট_আইনস্টাইন বলেছেনঃ
..... আমার প্রশ্ন হলো- ইসলামে যুগে যুগে এই যে বিভিন্ন সংস্কার সাধিত হয়েছে দাস-প্রথা বাতিল করা বা এরকম আরো কিছু সেগুলো কি সর্বজন স্বীকৃত কোন দলিলে লিপিবদ্ধ আছে? আমাদের সংবিধানে কোন সংস্কার আনলে তো আমরা তা লিপিবদ্ধ করি। কোরান-হাদিস থেকে বাতিল অনুশাসনগুলো মুছে দিয়ে বা অন্তত নোট আকারে সংযোজন করে কি কনফিউশন দূর করা যায় না? আমার কথাটি ভেবে দেখবেন। কারণ কোরান-হাদিস পড়ে উদ্বুদ্ধ হয়েই অনেকে জিহাদী হয়, বেসামরিক লোকের প্রাণহানী ঘটায়...
-----------------------------------------------
ইসলাম দাশ বানানোর কৌশল যেহেতু শেখায় না, এবং দাশ প্রথার ব্যাপারে আলাদা কোন আইন ইসলামে নেই, সুতরাং আপনি বাতিল করবেন কোন আইন? ভবিষ্যতে যদি কেউ দাশের মালিক হয়ে যান কোনভাবে, তবে কোরআনের নির্দেশমত, দাশের সাথে চুক্তি করে তাকে মুক্তি দিয়ে দেবে! ..সহজ ব্যাপার।
আপনার যদি মনেহয় কোরআনের কোন একটি আয়াত বাতিলের দাবী রাখে তবে সেটি উল্লেখ করুন, আলোচনা করা হবে।
২০২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৯:৪৭
মেহেদী পরাগ বলেছেন: দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: মেহেদী পরাগ এর কথা থেকেই পরিষ্কার যে মহম্মদ যেসব বড় বড় বাত মেরেছিল মেয়েদের শরীরের পর্দা নিয়ে এবং পুরুষের চোখের পর্দা করা নিয়ে সেইসব কিছুই কেবল ফাঁকা বুলি মাত্র। যুদ্ধে বন্দী হওয়া যেসব পর্দাহীন মেয়েরা 'নাচতে নাচতে' শত্রুদের কোলে উঠত তাদের মোটেই খারাপ বলে ত্যাগ করার আদেশ দেওয়া হয়নাই।
মেহেদী মশাই এর কাছে আর একটি প্রশ্ন আছে। উনি ইতিহাস থেকে দেখালেন যে 'অবিশ্বাসীদের' মেয়েরা যুদ্ধে যেত সেজেগুজে। সেইটা কি তারা নিজ ইচ্ছায় যেত? নাকি তাদের দলের মরদদের ইচ্ছায় যেতে বাধ্য হত?
--------------------------------------------------------------------
একথা অনেক বারই বলা হয়েছে যে দাস প্রথা যে একটা সামাজিক ব্যাধি তা ইসলামই সর্বপ্রথম ইঙ্গিত করেছে। এর নির্মূলের কাজও ইসলামই সূচনা করে। এ প্রথা এত গভীর ভাবে সমাজে মিশে ছিল যে তা স্বল্প সময়ের ব্যাবধানে তিরোধান করা সম্ভব ছিলনা। যুদ্ধের একটা সাধারণ নিয়ম হলো যুদ্ধবন্দী করা। অনেক মুসলিমও শত্রুপক্ষের হাতে যুদ্ধবন্দী হয়েছে। মুসলিমরা যুদ্ধবন্দী করত এর পালটা জবাব হিসেবেই। এখন যেহেতু ইসলামের মূল লক্ষ্য ছিল দাসপ্রথা নির্মূল করা তাই যুদ্ধবন্দী নারীদের সাথে সেক্স করা বৈধ করা হয়েছিল। আপাত দৃষ্টিতে আপনার মনে হচ্ছে সেক্স করা বৈধ করলে দাস প্রথা নির্মুল হবে কিভাবে? এটা আপনার মনে হবে কারণ আপনি একচোখা দৃষ্টি দিয়ে শুধু এটাই ভাবছেন যে সেক্স করা বৈধ মানে বন্দিনীদের গণধর্ষণে সমর্থন। আসলে তো তা নয়। বন্দিনীদের ধর্ষণ করা নিষেধ ছিল এবং তাদেরকে এমন সব অধিকার দেয়া হয়েছিল যা অচিন্তনীয়।
তর্কের খাতিরে আপনার যুক্তি মেনে নিয়ে ধরলাম বন্দিনীদের ছেড়ে দেয়া হতো আরো ভাল কাজ। তা হলে যে সেটা কি পরিণতি আনত দেখতে হলে জানুন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাস। জার্মান এবং ইংলিশ বন্দিণিদের ছেড়ে দেয়া হয়েছিল এবং খাদ্যের অভাবে প্রত্যেকেই তারা দেহ ব্যাবসা করতে বাধ্য হয়েছিল । এখন আপনিই বলুন ইসলাম কি এর চেয়ে অনেক ভাল উপায় দেখায়নি? এমনতো না যে সেক্স করার অনুমতি দিয়ে ধর্ষনের অনুমতি দেয়া হয়েছিল। যেসব বন্দিনী সেক্স করতে রাজি হতনা তাদেরকে জোড় করা নিষেধ ছিল এবং অন্যান্য অচিন্তনীয় অধিকার তারা ভোগ করত। জেনেভা কনভেনশনও তো ইসলামী রীতির কাছে নস্যি!
এখন আপনার দাবী অনুযায়ী দাসীদের সাথে সেক্স করা অবৈধ করে যদি বাকি সব অধিকার বলবৎ রাখা হত তাহলে কি হত ভেবে দেখেছেন? অনেক দাসী অনৈতিক সম্পর্কে জড়াতে চাইত কারণ বাকিটা জীবন তারা আরবদেশে থাকবে, তাদেরওতো দেহ মনের চাওয়া পাওয়া আছে তাইনা? যারা চাইতনা তাদের কথা আলাদা, তাদেরকেতো জোড় করা হতনা কিন্তু যারা চাইত তাদের অধিকারের কথা ভাবতে হবেনা? এবার হয়তো আপনি দাবী করে বসবেন যে দাসীদেরকে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো উচিৎ ছিল। আহা মামা বাড়ির আবদার!! এই দাসীরাই তো মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছিল, এটা কি হাডুডু খেলা?
পর্দার ব্যাপারে যা বললেন তা শিশুতোষ মনে হল। প্রকৃতপক্ষে যীশুর আগের যুগের বীরাংগনা সাজুগুজু করা মেয়েদের কথা আমার দেয়া রেফারেন্সে উল্লেখ করা হয়েছিল। মুসলিমদের যুগেও যদি নারীরা সেজে গুজে যুদ্ধ করতে আসত তবে তা মুসলিমদের ইচ্ছানুযায়ী না। এই ব্যাপারে মুসল্মানদের কোন হাত নেই। যখন তারা মুসলিমদের অধিনে এসেছিল তখন তাদের প্রতিও পর্দা প্রথা জারি করা হয়েছিল।
আপনার শেষ প্রশ্নের ব্যাপারেঃ যতটুকু জানি মেয়েরা নিজ ইচ্ছাতেই যুদ্ধে যেত। বাধ্যতামূলক ছিলনা। আর সাজগোজের ব্যাপারটা ছিল ট্র্যাডিশনাল।
২০৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৯:৫৩
মেহেদী পরাগ বলেছেন: কর্ণেলের ২৮৫ নং কমেন্টে প্লাস।
২০৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৯:৫৬
মাই নেম ইজ খান বলেছেন: সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে এই পোষ্টে আমার কিছু জানা বিষয় শেয়ার করতে চাচ্ছি।
এই একটি পোষ্টে অনেক গুলো বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ায় আমার কাছে মনে হচ্ছে -জঙ্গিবাদ, জিহাদ, মহানবী সা. এর বহু বিবাহ, চোরের হাত কাটা, ব্যাভিচারের শাস্তি, দাসী-বাদী প্রথা ইত্যাদি অনেক গুলো বিষয় একসাথে তাল-গোল পাকিয়ে যাচ্ছে।
প্রথমে ইসলামে দাস প্রথা নিয়ে আমার কিছু জানা বিষয় শেয়ার করতে চাচ্ছি।
আসিফ মহিউদ্দীন+আলবার্ট_আইনস্টাইন বলেছেন+ দু পেয়ে গাধা প্রমুখ নাস্তিক ভাইদের প্রশ্ন হচ্ছে : ইসলাম দাস প্রথা বহাল রেখে অন্যায় করেছে।
আমার বক্তব্য হচ্ছে, -ইসলাম পূর্ব জাহেলী সমাজে দাসী-বাদীদের সাথে কি রূপ আচরণ করা হতো আর ইসলাম এসে এ ব্যাপারে দাসী-বাদীদের সাথে কিরুপ আচরণে মুসলমানদেরকে অভ্যস্ত করেছে- এই দুইটি বিষয়ের পাশাপাশি বিশ্লেষণে আমাদের নাস্তিক ভাইরা সম্ভবত: খুব অস্বস্তি বোধ করেন। এই দিকটাতে তারা সহজে আসতে চান না। কারণ এখানে এলেই দেখা যাবে যে, একমাত্র ইসলামই এমন এক দীন বা জীবন ব্যবস্থা যা দাসী-বাদীদেরকে পশুত্বের মতো নির্যাতন-নিপীড়ণ, কষ্ট ও লাঞ্চনাকর জীবন-যাপন থেকে মুক্ত করে মানুষের মতো বাঁচার সুযোগ করে দিয়েছে। অন্য কোন ধর্ম বা আদর্শ যার সামান্যও করতে পারে নি।
এই বিষয়ে আলোচনায় না গিয়ে তারা আসলে এবিষয়টিতে মৌন সমর্থন দিয়ে থাকেন (যা ছাড়া তাদের অন্য কোন গত্যান্তরও নেই)। এরপর তাদের আপত্তি আসে যেখানে তা হলো,
-ইসলাম তাহলে দাস প্রথা বাতিল করলো না কেন?
আমার ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতা বলে- এক্ষেত্রে দু'টি বিষয় লক্ষণীয়:
১) দাস প্রথা বহাল থাকা টা যুদ্ধবন্দীদের জন্য বেশী উপকারী না দাস প্রথা বাতিল করা?
২) দাস প্রথা কি ইসলামের সেই সকল বিধানের অন্তর্ভুক্ত যা ইজমা-কিয়াসের দ্বারা রহিত করা যাবে না?
প্রথম বিষয় অর্থাৎ : -দাস প্রথা বহাল থাকা টা যুদ্ধবন্দীদের জন্য বেশী উপকারী না দাস প্রথা বাতিল করা?
এটা বোঝার জন্য আসুন আমরা একটু ভেবে দেখি যে দাস প্রথা যদি ইসলাম বাতিল করতো তাহলে তখন কি হতো?
আমরা জানি যে, যুদ্ধের ঘটনা কোন আনন্দময় ফুটবল-ক্রিকেট খেলা নয় -যেখানে বিজয়ী এবং বিজীত উভয় দলই খেলা শেষে সহি-সালামতে নিজ নিজ ঘরে ফিরতে পারে। বরং যুদ্ধ হলো বিবদমান দু'টি পক্ষের মধ্যে ক্ষোভ-ঘৃণা আর রাগের চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত হওয়ার নাম। এজন্য যুদ্ধের ময়দানে প্রতি পক্ষের উপর দয়া-মায়া বলে কিছু থাকে না।
এখন এমন একটি যুদ্ধে যেই দলটি অনেক কষ্টে বিজয়ী হয় তাদের মনে প্রতিপক্ষকে চূড়ান্তভাবে নির্মূল করে দেয়ার আগ্রহটাই বেশি সক্রিয় থাকে। যার কারণে দেখা যায় মুসলিমদের উপর বিজয়ী অনেক যুদ্ধেই অমুসলিমরা যুদ্ধশেষে গণহত্যার ভয়াবহ তান্ডবলীলা চালিয়ে ছিলো -আজও চালাচ্ছে। যার জ্বলন্ত উদাহরণ স্পেন-ফিলিস্তিন-ইরাক-আফগানিস্তান ইত্যাদি।
মুসলিম সৈন্যরাও মানুষ। তাদের মধ্যেও মানবিক রাগ ক্রোধ আছে। এখন যদি তাদের সামনে দাস প্রথা বাতিল করা হতো তাহলে যুদ্ধের পর পরাজিত অমুসলিমদের জীবিত থাকাটাই হয়তো দুস্কর হয়ে যেতো স্বাভাবিক কারণেই। কারণ অমুসলিমদের বাচিয়ে রেখে কি হবে? বিজয়ীদের তো কোন লাভ হচ্ছেনা পরাজিতদের দ্বারা। ফলে তাদের মৃত্যু হতো প্রায় নিশ্চিত।
পক্ষান্তরে যখন তাদেরকে বলা হলো, দাস প্রথা আছে। তখন স্বাভাবিকভাবেই তারা অহেতুক অমুসলিম হত্যা এড়িয়ে চলতে লাগলো। ফলে প্রাণহাণীও ব্যাপকভাবে হ্রাস পেলো। মুসলিমদের শাসনামলে (৬২২-১৯২৪) অমুসলিমদের হত্যার সংখ্যা শুনলে আপনারা নি:শন্দেহে আশ্চর্য হয়ে যাবেন। যে এতো কম ছিলো!
বর্তমান এক ইরাক-আফগান যুদ্ধের একশতভাগের একভাগ লোকও সেই ১৩০০ বছরে নিহত হয়নি।
দ্বিতিয়ত: দাস প্রথা বাতিল করলে যদি অমুসলিমরা বেঁচেও থাকতো তদুপরি তাদের সহায়-সম্বলহীন, আত্মীয়-পরিজন ছাড়া নি:স্বঙ্গ জীবন মৃত্যুর চেয়েও কষ্টকর হতো।
সবচেয়ে বেশি সমস্যা হতো মহিলা ও নারী বন্দীদের জীবনে। যাদের নিয়ে আপনারা (নাস্তিকরা) এখন বেশি চিন্তা করছেন। শেষ পর্যন্ত অধিকাংশ মহিলাকেই বাধ্য হয়ে পতিতাবৃত্তিতে নেমে আসতে হতো অন্ন-বাসস্থানের ব্যবস্থা করার জন্যই।
= অথচ এই সকল সমস্যা যেনো না হয় সেজন্যই হয়তো ইসলাম দাস প্রথা বাতিল করেনি। কেননা দাস প্রথার মাধ্যমে অধিনস্তদের দায়-দায়িত্ব ইসলাম মুসলিম মনিবদের উপর অর্পন করেছে। মনিবের ঘরে দাস-দাসী তার আহার এবং বাসস্থানের নিশ্চয়তা পেয়েছে। এরপর ইসলাম তাদেরকে আযাদ করার উপর মুসলমানদেরকে উদ্বুদ্ধ করেছে। ফলে তারা স্বাধীনও হতে পেরেছে।
আর যদি কোন মনিব তার দাসীর সাথে যৌন সম্পর্ক করে তাহলে ইসলাম তাকে অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু নিজের প্রয়োজন সেরে ভেগে পড়ার সুযোগ দেয়নি। বরং দাসীর গর্ভে সন্তান হলে তাকে নিজের সন্তানের মতোই সম্পদের মালিকানা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে অধিকার দিয়েছে ইসলাম। আর যেই দাসীর গর্ভে মনিবের সন্তান হবে সেই দাসীকেও নাম দিয়েছে -উম্মে ওয়ালাদ বা বাচ্চার মা। এবং এমন দাসীকে বিক্রি করাও নিষিদ্ধ করেছে ইসলাম।
অর্থাৎ একে বৈবাহিক সম্পর্কের কাছাকাছি একটি সম্পর্কের স্বীকৃতি দিয়ে এর সুরক্ষা নিশ্চিত করেছে ইসলাম। এভাবে ইসলাম দাস প্রথা বহাল রাখার ফলে মূলত: যুদ্ধবন্দী ও অমুসলিমরাই বেশি লাভবান হয়েছে। নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বেচে গেছে, নিশ্চিত ও নিরাপদ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পেরেছে এবং এক সময় আজাদ তথা স্বাধীনও হয়েছে।
এখানে আরেকটি বিষয় লক্ষ্যনীয়: আচ্ছা ইসলাম যদি দাস প্রথা বাতিল করতো আর অমুসলিমরা যদি বাতিল না করে বহাল রাখতো তাহলে কি হতো?
তখন মুসলিমরা বন্দী হতো, নির্যাতিত হতো, তাদেরকে আর বন্দী-বিনিময়ের মাধ্যমে ফিরিয়েও আনা যেতো না। পক্ষান্তরে কাফিররা পরাজিত হলেও ফিরে যেতো এবং আবার ইসলামের বিপক্ষে অস্ত্র নিয়ে মুসলিম নিধন শুরু করতো।
এবার আসুন আমরা দ্বিতীয় বিষয়টির দিকে দৃষ্টি দেই। আর তা হলো:
"দাস প্রথা কি ইসলামের সেই সকল বিধানের অন্তর্ভুক্ত যা ইজমা-কিয়াসের দ্বারা রহিত করা যাবে না?"
কুরআন ও সুন্নাহর কোথাও আমি এমনটি পাই নি যে, দাস প্রথা অবশ্য অবশ্য পালনীয় বিধান। কোনমতেই এটি রহিত করা যাবে না। বরং কুরআন ও হাদীসে যা আছে তা হলো, দাস আসলে তার সাথে কিরূপ ব্যবহার করতে হবে তা। (এখানে লক্ষণীয় কুরআন এবং হাদীসের শক্তিশালী তাকিদ বাক্য আমর জাতীয় শব্দের দ্বারা ইসলামের অবশ্য অবশ্য পালনীয় বিধান সাব্যস্ত হয়)
যদি আমার নাস্তিকভাইরা এমন কোন আয়াত বা হাদীস পান তাহলে আমাকে জানাবেন আশা করি।
এর দ্বারা বুঝা যাচ্ছে যে, এই বিধানটি ইজমা ও কিয়াসের আলোকে পুন:বিবেচনা যোগ্য। এজন্য বর্তমানে অনেক ইসলামী স্কলারগণ দাস প্রথা রহিত হওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন।
ইসলামী সরকার ব্যবস্থা থাকলে খলীফা মজলিসে শূরার পরামর্শক্রমে এধরণের সাধারণ বিষয় রহিত করতে পারেন।
শেষ কথা:
নারীদের দাসত্বের প্রসঙ্গ টেনে যারা এর দ্বারা ইসলাম বিরোধীতার পঞ্চমুখ হয়ে যান, তারা কিন্তু একবারও পাশ্চাত্যের বর্তমান নগ্নতা ও নারী নির্যাতন, ফ্রি সেক্স ও সহশিক্ষার মাধ্যমে নারী সমাজকে পুরুষের ভোগের সামগ্রীতে পরিণত করার বিপক্ষে একটু টু শব্দও করেন না। বরং একে আরো আধুনিকতা বলে নিজেরাও নারীদেরদে ভোগবাদে মত্ত্ব হয়ে পরেন। এটাকে নারীদের জন্য আধুনিক দাসত্ব বলা হলেও কম হবে।
এর দ্বারা এটাই বুঝা যায় যে, তারা আসলে নারীদের স্বাধীনতা ও সুন্দর জীবন কামনার পরিবর্তে ইসলামের সমালোচনাতেই বেশি আনন্দ পান।
২০৫| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১০:০৩
প্রদীপ মিত্র বলেছেন: আচ্ছা এইখানে অনেক জ্ঞানীমানুষজন আছেন দেখা যায়... তাই ছোটমুখে একখান প্রশ্ন করে বসি ... আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগ নিয়ে এত কথা যে শোনা যায়, সেই যুগে কি হতো আর না হতো সে সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য ঐতিহাসিক প্রমাণ কি কি আছে বা জানা গেছে সে সম্পর্কে কেউ যদি কিছু শেয়ার করতেন ...
২০৬| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১০:২২
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: @ আলবার্ট_আইনস্টাইন
কুরআনে কেন দাশ প্রথা সরাসরি রহিত করা হয়নি তার ব্যাখ্যায় ২৫৬ নং কমেন্টে প্রশ্ন রেখেছিলাম কিন্তু উত্তর পাইনি। আবার দিচ্ছি-
রাজধানীতে প্রতিনিয়িত কাজের ছেলে-মেয়েদের উপর অমাণবিক নির্যাতনের খবর আসে।
১. সরকার বাসায় কাজের লোক রাখাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করছে না কেন?
২. আপনি কোনটা সমর্থন করেন, কাজের লোক রাখার প্রথা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হোক? নাকি, কাজের লোকদের সাথে মানবিক ব্যবহারের আইন চালু হোক?
দাশপ্রথা সরাসরি নিষিদ্ধ করা, আর দাশদের সাথে ভালো ব্যবহারের প্রথা, দুটোর মধ্যে কোনটি বেশি সদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখতে সক্ষম তা ভাবুন আমার উপরের প্রশ্নদুটো থেকে।
২০৭| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১০:৪০
মাই নেম ইজ খান বলেছেন: পবিত্র কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে সারা বিশ্বের সকলের জন্য। মানুষকে মানুষের গোলামী থেকে মুক্ত করে এক আল্লাহর দিকে নিয়ে যাবার জন্য। ইরশাদ হয়েছে:
الر كِتَابٌ أَنْزَلْنَاهُ إِلَيْكَ لِتُخْرِجَ النَّاسَ مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ بِإِذْنِ رَبِّهِمْ إِلَى صِرَاطِ الْعَزِيزِ الْحَمِيدِ (1)
অর্থ: আলিফ, লাম, র। আমি আপনার উপর এই কিতাব অবতীর্ণ করেছি এর মাধ্যমে সারা বিশ্ববাসীকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে মুক্ত করে আনার জন্য।" সূরা ইবরাহীম : আয়াত ০১)
অর্থাৎ কুরআন এসেছে পুরো মানবজাতির সকলের জন্য।
আর পবিত্র কুরআনে বর্ণিত আয়াত দুই ধরণের, ১) পূর্ববর্তী সম্প্রদায়ের ঘটনা, মহান আল্লাহর সৃষ্টিকূল ও আল্লাহকে বিশ্বাসের যৌক্তিক কারণ সম্পর্কিত। কুরআনের এই ধরণের আয়াত সারা বিশ্ববাসী সকল আস্তিক-নাস্তিক, বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী সবার জন্য সমানভাবে প্রয়োজনীয় এবং এধরণের আয়াতই কুরআনে বেশি। বলতে গেলে প্রায় মাত্র পাঁচশ থেকে সাড়ে পাঁচশ আয়াত ছাড়া বাকী সকল আয়াতই এসম্পর্কিত।
২) আহকাম ও বিধি-বিধান সম্পর্কিত আয়াত সমূহ। এই ধরণের আয়াত খুবই কম মাত্র পাঁচশ থেকে সাড়ে পাঁচশ। আর এগুলো হলো ঈমান আনয়নকারী মুসলিমরা কিভাবে তাদের জীবন যাপনের প্রত্যাহিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে তার মৌলিক নীতিমালা নিয়ে। এর বিস্তারিত বিবরণ দেয়া হয়েছে মহানবী সা. এর হাদীস এর মাধ্যমে।
এজন্যই এই পোষ্টে আমি আমার প্রথম কমেন্টে বলেছিলাম -যেই সকল বিজ্ঞ ব্লগার ভাইগণ মহান আল্লাহকেই বিশ্বাস করেন না, নবী সা. কে মানেন না তাদের সাথে প্রথম আলোচনার বিষয় হিসেবে ইসলামের ভুল ও কুরআন-হাদীসের অসঙ্গতি সাব্যস্ত করাটা আমার কাছে যথোপযুক্ত বলে মনে হচ্ছে না। বরং এক্ষেত্রে প্রথম আলোচনার বিষয় হওয়া উচিত -আল্লাহর অস্তিত্ব ও তার উপর বিশ্বাসের যৌক্তিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক প্রমাণ।
আশা করি এই পোষ্টে এটি না হলেও আলাদা একটি পোষ্টে এর উপর আলোচনা হবে। এর এই বিষয়টির আলোচনা আগে হলে, মহান আল্লাহর অস্তিত্ব যৌক্তিক এবং বুদ্ধিবৃত্তিকভাবেও গ্রহণযোগ্য সাব্যস্ত হলে তখন তার বিধানাবলী নিয়ে আলোচনা করা ফলপ্রসু হতে পারে। আর এ ছাড়া কেবলমাত্র ভুল ধরার মানসিকতা নিয়ে কুরআনের গবেষণা অবিশ্বাসীদের সংখ্যাই বাড়াবে। যেমন পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে,
يُضِلُّ بِهِ كَثِيرًا وَيَهْدِي بِهِ كَثِيرًا وَمَا يُضِلُّ بِهِ إِلا الْفَاسِقِينَ (26)
অর্থ : "এই কুরআন দ্বারা অনেকেই সুপথ প্রাপ্ত হয় আবার অনেকেই পথভ্রষ্ঠ হয়। আর এর দ্বারা ফাসিক (তথা বক্রতা নিয়ে পর্যালোচনাকারী) ব্যাতীত আর কেউ পথভ্রষ্ঠ হয় না।" (সূরা বাকারা, আয়াত ২৬)
তাই আসুন! আমরা সকলে উদার মন নিয়ে দোষ তালাশের জন্য নয়, বরং সত্য উদ্ঘাটনের জন্য কুরআন পড়ি, পর্যালোচনা করি।
২০৮| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১০:৫৭
মাই নেম ইজ খান বলেছেন: @ আলবার্ট আইনষ্টাইন
ভাই কে আপনাকে তাড়া করলো?
২০৯| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:১৭
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: আইস্টাইনঃ
কাজের লোক এবং দাশ একই জিনিষ বলে আমার প্রশ্নে বলা হয়নি।
আমি শুধু প্রশ্ন করেছি,
১. সরকার বাসায় কাজের লোক রাখাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করছে না কেন?
২. আপনি কোনটা সমর্থন করেন, কাজের লোক রাখার প্রথা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হোক? নাকি, কাজের লোকদের সাথে মানবিক ব্যবহারের আইন চালু হোক?
আপনি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ব্যাখ্যা দিন।
২১০| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:২২
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: রিপেসডিনঃ
দু-পেয়ে গাধ কি পোষ্ট আসছেন নাকি আসছেন না?
আমার প্রশ্নের উত্তরগুলো এখনো পাইনি। আশা করছি উত্তর যোগার করে তিনি দ্রুত ফিরে আসবেন।
আইনস্টাইনকেঃ কোরআনের কোন কোন আয়াত কে রদ করতে হবে বলে আপনি মনে করেন তার রেফারেন্সও এখনো পাই নি।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:৩২
রিপেনডিল বলেছেন: দু-পেয়ে গাধ নতুন পোস্ট খুলেছেন, এখানে দেখুন--
Click This Link
২১১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:৩৩
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: @ আতরআলীঃ
আমি মাওলানা নই, এবং কেউ মাওলানা হলে তার সাথে দাড়ির কোনো সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করি না। সম্পর্কটা তার বিদ্যার সাথে জড়িত। আর দাড়ির সম্পর্ক সুন্নতের সাথে জড়িত।
বহু আগে আমি ইসলামের সুন্দর্য ব্যাখ্যার মাধ্যমে ব্লগে লেখা শুরু করে, নাস্তিকদের তীব্র বিরোধ ও উপহাস ঠাট্টার মাধ্যমে বুঝতে পারি এখানে ইসলামকে নিয়ে লেখার পরিবেশ নেই, এবং বিশ্বাসীরা কোণঠাসা।
তাই আমি চেস্ঠা করি ইসলামের সুন্দর্য তারা যতই ঢাকুক,
অন্তত যে মিথ্যা কুৎসাগুলো তারা ছড়ায় তার প্রতিরোধ, যেন বিশ্বাসীরা তাদের কথায় বিভ্রান্ত না হয়।
আশা করছি আমার উদ্দেশ্য সম্পর্কে আপনাকে পরিষ্কার ধারণা দিতে পেরেছি।
২১২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:৫১
রিপেনডিল বলেছেন: অপ্রাসঙ্গিক কিছু মন্তব্য মুছে দেয়া হল।
২১৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:৫২
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: পারভেজ আলম, আসিফ মহিউদ্দিন, হোরাস্, আলবার্ট_আইনস্টাইন, দু-পেয়ে গাধ, তারেক রহমান সহ অনেকেই ছিলেন আলোচনায়। বর্তমানে শুধু আলবার্ট_আইনস্টাইন কেই পাওয়া যাচ্ছে।
(ভেবে নিচ্ছি তারা ব্যস্ত এবং শীঘ্রই ফিরে আসবেন)
আমার মনেহয় আরো নাস্তিকদের আমন্ত্রণ জানানো যেতে পারে। আমার অতীত অভিজ্ঞতা বলে, তারা এককভাবে কখনো আলোচনায় আসেন না, দলবল সবাই থাকলে মজা পান, নতুবা চুপ করে থাকেন।
বিশ্বাসীরা (ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় আমি নিজে) অনেক পোষ্টে একা তাদের ১০-১২ জনের সাথে দিনের পর দিন আলোচনা চালিয়েছি। কিন্তু তারা গ্রুপ ছাড়া এককভাবে কখনো কোন আলোচনায় উৎসাহ পাননা, সেটি ভাববার বিষয়।
[আপাতত অফলাইন হচ্ছি, তেনারা এসে কমেন্ট করে আলোচনাকে বেগবান করতে থাকবে সেই আশায় রইলাম]
২১৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:০৪
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: হা হা হা... দু-পেয়ে গাধের পোস্ট দেকে এলাম!
বেচারাকে যে পরিমাণ গাধামির প্রমাণ এই পোস্টে রেখে গিয়েছে, ওকে ভালোমত ধরা সম্ভব ওর পোস্টে। সব নাস্তিকেরা দেখছি ওখানে!
এখানে কি তারা আর উৎসাহ পাচ্চে না?
ভাবছি ওর পোস্টে গিয়ে ওকে পাকড়াও করবো কি না!
২১৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:০৯
আলো-ছায়া বলেছেন: সামুরাই ভাই সবাই এখানে
Click This Link
২১৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:৪১
নাম বলবো না বলেছেন: আলোচনাতো ভালোই আগাচ্ছিলো, মনে হচ্ছিল নাস্তিক গ্রুপের লোকজনের ঘোষনা দিয়ে আত্নসমর্পন করাটাই বাকী আছে কেবল, কিন্তু মোটামুটি সবাই(একজন ছাড়া) একপ্রকার পালিয়ে বাচলেন, এখন দেখি একেকজন আলাদা আলাদা পোষ্ট দিয়ে আলোচনাকে বিভিন্ন দিকে নিয়ে গিয়ে একটা হ-জ-ব-র-ল অবস্থায় নিয়ে যাচ্ছে।
২১৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৩:৩০
মেহেদী পরাগ বলেছেন: একটা জিনিস খেয়াল করেছেন? এই পোস্টে অংশগ্রহণকারী সুপরিচিত কিছু নাস্তিক সবজায়গায় সবসময় এই মিথ্যা দাবী করে যে তারা সুস্থ আলোচনায় বিশ্বাসী, কিন্তু আস্তিকরা তালগাছবাদী হয়ে যুক্তি তর্কে হেরে গিয়ে নাস্তিকদের গালাগালি করে।
তাদের এই মিথ্যা দাবীর বিপক্ষে এই পোস্টটাই প্রমাণ হিসেবে থাকবে। দু পেয়ে গাধা কর্নেল সামুরাই এর অনেক প্রশ্নের জবাব না দিয়ে পলাতক। আসিফ মহিউদ্দীন তো আমার যুক্তিগুলো খন্ডন না করতে পেরে আমাকে গালি দিয়ে পালাল। কর্ণেল ভাই তাহলে ঠিক কথাই বলেছেন যে আসিফ এর মত থার্ডক্লাস নাস্তিকরা পারভেজ আলমের মত সুস্থ মানসিকতার নাস্তিকদের ধারে কাছেও নাই।
২১৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১০:৫২
রিপেনডিল বলেছেন: আপনার কথাটা একটু পরিবর্তন করে বলছি, দেখুন ঠিক আছে কিনা----
আপনি তাদের ঘৃনা করেন যারা ১৪০০ বছর আগের আইনকানুনের যুগোপযোগী প্রবর্ধন না করে বর্বরতাসহ আধুনিক সমাজের উপর চাপিয়ে দিতে চায়। আপনি তাদের ঘৃনা করেন যারা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র জন্মসুত্রে বিশ্বাসীদের ব্যবহার করে বর্বরতা চালায়।
যেহেতু শরীয়া আইন পরিবর্তনশীল সেহেতু ইসলাম বা শরীয়া আইনের উপর আপনার কোন বিদ্বেষ নেই। যেহেতু এই পোষ্টে ইসলামের নেতিবাচক দিকগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং আমরা তার যথেষ্ট ব্যখ্যা দিয়েছি সেহেতু ইসলামের প্রতি কটাক্ষমূলক মন্তব্য আপনারা করবেন না বা এধরনের কোন পোষ্টে (ইসলামকে কটাক্ষ করা) আপনারা যারা মুক্ত চিন্তার অধিকারী তারা অংশ নেবেন না।
সমালোচনার জন্য এই পোষ্ট তো সব সময় উন্মূক্ত থাকলোই। আপনি যেহেতু বলেছেন কোন মতবাদই (যেহেতু আপনার কাছে ইসলাম একটি মতবাদ মাত্র) সঠিক নয় সেহেতু বর্তমান সমাজের প্রচলিত মতবাদ এবং আইন নিয়েও সমালোচনা চলতে পারে।
পরিশেষে আপনি যেহেতু স্বীকার করছেন ইসলামে ভাল দিক আছে এবং এই পোষ্টে খারাপ দিক গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে সেহেতু ইসলামের ভাল দিকগুলো নিয়েও (যেগুলো এখনো বর্তমান সমাজে প্রচলিত হয়নি) আলোচনা চলতে পারে।
আমি কি এই আশা করতে পারি?
২১৯| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:৩৫
নাম বলা যাবে না বলেছেন: আলবার্ট_আইনস্টাইন @ আপনি আধুনিক সমাজ বলতে কোন সমাজ কে বুঝাতে চেয়েছেন? সেই সমাজে কি কোন ধরনের ভূল নাই?
যদি থাকে তাহলে সেটা ইসলাম থেকে বেশি না কম?
২২০| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:৪২
রিপেনডিল বলেছেন: মদীনা সনদের কিছু অংশ তুলে ধরছি। দেখুন ইসলাম পক্ষপাতীত্ব করে না এবং যুদ্ধবন্দীদের মুক্তির ব্যাপারে আদেশ দেয়।
আমার পূর্ববর্তী কথায় কিছুটা ভুল ছিল। কথাটি থেকে মনে হচ্ছে তখন দাস মুক্ত করা হত না। ধরে ধরে বন্দি করে দাস দাসী বানানো হত।
এবার আসুন মদীনার সনদের কথায়। অনর্থক যুদ্ধ বিগ্রহ বন্ধ করতে মহানবী (সঃ) মুসলমান এবং অন্যান্যদের মধ্যে একটি চুক্তি করেন যাতে ৪৭ টি ধারা ছিল। তার কয়েকটি আমি তুলে ধরছি-------
১) সনদপত্রে স্বাক্ষরকারী সম্প্রদায়সমূহ ইসলামী রাষ্ট্রের অধীনে একটি সাধারণ জাতি গঠন করবে।
২.হযরত মুহাম্মদ (স) ইসলামী রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান থাকবেন।
৩) কোন সম্প্রদায় গোপনে কুরাইশদের সাথে কোন প্রকার সন্ধি করতে পারবে না কিংবা মদীনা বা মদীনাবাসীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে কুরাইশদের কোনরুপ সাহায্য-সহযোগীতা করতে পারবে না।
৪) মুসলিম, খ্রীস্টান, ইহুদী, পৌত্তলিক ও অন্যান্য সম্প্রদায় ধর্মীয় ব্যাপারে পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করবে। কেউ কারো ধর্মীয় কাজে কোন রকম হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।
৫) মদিনার উপর যে কোন বহিরাক্রমণ কে রাষ্ট্রের জন্য বিপদ বলে গণ্য করতে হবে। এবং সেই আক্রমণ কে প্রতিরোধ করার জন্য সকল সম্প্রদায়কে এক জোট হয়ে অগ্রসর হতে হবে।
৬) রাষ্ট্রের প্রতি নাগরিকের অধিকার ও নিরাপত্তা রক্ষার ব্যবস্থা থাকবে।
৭) অসহায় ও দূর্বলকে সর্বাবস্থায় সাহায্য ও রক্ষা করতে হবে।
৮) সকল প্রকার রক্তক্ষয়, হত্যা ও বলাৎকার নিষিদ্ধ করতে হবে এবং মদীনাকে পবিত্র নগরী বলে ঘোষণা করা হবে।
৯) কোন লোক ব্যক্তিগত অপরাধ করলে তা ব্যক্তিগত অপরাধ হিসেবেই বিচার করা হবে। তজ্জন্য অপরাধীর সম্প্রদায় কে দায়ী করা যাবে না।
১০) মুসলমান, ইহুদী ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের লোকেরা পরষ্পর বন্ধুসুলভ আচরণ করবে।
১১) রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিরোধ নিষ্পত্তির অধিকার থাকবে রাষ্ট্রপ্রধানের এবং তিনি হবেন সর্বোচ্চ বিচারালয়ের সর্বোচ্চ বিচারক।
১২) মুহাম্মদ (সাঃ) এর অনুমতি ব্যতীত মদীনাবাসীগণ কারও বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারবে না।
১৩) মুসলমানদের কেউ যদি অন্যায় কিংবা বিশ্বাসঘাতকতা করে তবে সবাই মিলে তার বিরুদ্ধে যথোচিত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। নিজ সন্তান বা আত্নীয় হলেও এ ব্যাপারে তাকে ক্ষমা করা যাবে না।
১৪) In case of war with any body they will redeem their prisoners with kindness and justice common among Believers. (Not according to pre-Islamic nations where the rich and the poor were treated differently).
১৫) Those Jews who follow the Believers will be helped and will be treated with equality. (Social, legal and economic equality is promised to all loyal citizens of the State).
১৬) No Jew will be wronged for being a Jew.
১৭) Conditions of peace and war and the accompanying ease or hardships must be fair and equitable to all citizens alike.
১৮) Those in alliance with the Jews will be given the same treatment as the Jews.
১৯) Allah approves this Document.
২২১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:৪৫
নাম বলা যাবে না বলেছেন: আলবার্ট_আইনস্টাইন @ আপনি কিন্তু আমার প্রথম প্রশ্নের উত্তর দেন নাই ।
প্রশ্নটি ছিল। আপনি আধুনিক সমাজ বলতে কোন সমাজ কে বুঝাতে চেয়েছেন?
২২২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:৫২
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: আমার মনেহয় বাকীরা আর আসেবেন না, তারা রণে ভংগ দিয়েছেন, আইনস্টাইন ছাড়া।
একটি সফল প্রতিরোধ সৃস্টি জন্য এবং অর্থবহ ও জ্ঞানগর্ভ আলোচনার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।
বিশেষত, রিপেনডিল, নাম বলা যাবে না, মেহেদী পরাগ, মাই নেম ইজ খান এর বক্তব্য, যুক্তি ও নাস্তানাবুদের কৌশল প্রসংশার দাবী রাখে। আইনস্টাইনের মুক্তচিন্তার বহি:প্রকাশও প্রশংসার দাবীদার। মিঃ জবরদস্ত সরাসরি অংশগ্রহণ না করেও কৌশলে প্রতিরোধের ভুমিকায় ছিলেন যা প্রসংশনীয়।
আলোচনা চালানো হবে। বাকিরা যদি আবারো ফিরে আসে তবে, আলোচনা আরো বেগবান হতো বলে মনে করছি।
২২৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:২৩
মাই নেম ইজ খান বলেছেন: প্রিয় ব্লগার আলবার্ট আইন ষ্টাইন-
আমি কিন্তু আমার মন্তব্যের বিপরীতে আপনাদের থেকে জবাব আশা করছিলাম। আশা করি আমাকে নিরাশ করবেন না।
২২৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:৩৮
মাই নেম ইজ খান বলেছেন: আমার ব্যক্তিগত অভিমত ইসলাম দাস প্রথা বহাল রেখে বিশ্ব মানবের কল্যাণ করেছে। পক্ষান্তরে আব্রাহাম লিঙ্কন আর পাশ্চাত্য জগত এই দাস প্রথা বাতিলের মাধ্যমে বিশ্ব-মানবতার বিরুদ্ধে যেই বিশাল অন্যায় করেছে, তার ক্ষমা হবে না।
কারণ-
দাস প্রথা বাতিলের কারণে বর্তমান যুদ্ধ-বিগ্রহ সমূহে বিপরীত পক্ষকে সমূলে নিধন বেড়ে গেছে। কারণ এখন যুদ্ধের পর বন্দী থাকাটাই সমস্যা। তাদের পানা-আহারের ব্যবস্থা করতে হবে। আবার এক সময় ছেড়ে দিতে হবে। তার চেয়ে তাদেরকে সমূলে হত্যা করারই বর্তমান সাম্রাজ্যবাদীদের জন্য সহজ। তাই তো আজকের ইরাক-আফগানিস্তান ইত্যকার এক একটি যুদ্ধেই লক্ষ-লক্ষ মানুষ নিহত হচ্ছে। আজ যদি দাস প্রথা থাকতো, তাহলে এতো মানুষ মারা যেতো না। কারণ তাদেরকে কাজে লাগানো যাবে ভেবে, জীবিত রাখতো। যেমনটি রাসূল সা. ও তার পরবর্তী যুগে হতো।
যার ফলে আমরা দেখতে পাই যে, মহানবী সা· তাঁর দশ বছরের সামরিক জীবনে প্রায় ৩০ লাখ বর্গ কিলোমিটার এলাকা ইসলামী সালতানাতের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। অথচ এই বিশাল এলাকা জয় করতে সকল যুদ্ধে মুসলমানরা সর্বমোট ২৫১ জন কাফির সৈন্য হত্যা করেছেন। আর মুসলমানদের মধ্যে শাহাদাত বরণ করেছেন সর্বোচ্চ ১২০ জন।
পৃথিবীর শুরু থেকে নিয়ে আজ পর্যন্ত ঘটে যাওয়া অনৈসলামিক যুদ্ধ-বিগ্রহের ইতিহাস তন্ন তন্ন করে খঁুজলেও এত বিশাল এলাকা বিজয়ের জন্য এত কম সংখ্যক প্রাণহাণীর অন্য কোন নযীর খুঁজে পাওয়া যাবে না।
নাস্তিক ভাইদের কাছে আমার প্রশ্ন:
"দাস প্রথা বাতিল করার কারণেই আজ বিশ্ব জুড়ে যুদ্ধ-বিগ্রহে লক্ষ লক্ষ মানুষ গণহত্যার শিকার হচ্ছে।"- এর বিপক্ষে কোন যুক্তি থাকলে প্রমাণ করুন পারলে প্রমাণ করুন, না হলে স্বীকার করুন দাস প্রথা বহাল রেখে ইসলাম মানবতার পক্ষে কাজ করেছে।
২২৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:৩৩
মি: জবরদস্ত বলেছেন: @কর্ণেল সামুরাই ভাই আপনার ভূমিকাটাই এখানে সবচেয়ে বেশি প্রশাংসার দাবি রাখে। আমিও স্বীকার করছি, আমি এখানে কৌশলে অবস্হান নিয়েছিলাম, এছাড়া আমার কিছু করাও ছিলনা। আলোচনা করার মত জ্ঞান আমার একেবারেই নেই। আলোচনার শুরুতে নাস্তিকদের (মূলত ইসলাম বিদ্বেষী) ব্ক্তব্য দেখে খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। আমার মনে হয়েছিল একমাত্র লেখক ছাড়া তাদের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার কেউ নেই। আপনি যখন আলোচনা শুরু করলেন তখন বুকে সাহস পাই। তারপর একেএকে মেহেদী পরাগ ভাই, মাই নেম ইজ খান ভাই আলোচনায় অংশগ্রহণ করে শক্তি আরো বৃদ্ধি করেন। লেখক সহ আপনাদের সবাইকে আমার তরফ থেকে অভিনন্দন।
আপনাদের জন্য শুভকামনা।
নাস্তিক্যবাদ নিপাত যাক।
আল্লাহ হাফিজ।
২২৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:১৭
মাই নেম ইজ খান বলেছেন: @ আলবার্ট আইনষ্টাইন- আপনি বলেছেন-
আপনার ইতিহাস জ্ঞান দেইখা পুলকিত হইলাম। আধুনিক স্ট্যান্ডার্ড অনুসারে দাসপ্রথা যেমন নিষিদ্ধ, গনহত্যাও নিষিদ্ধ।-
আচ্ছা ভাই, আপনার "আধুনিক ষ্ট্যান্ডার্ড"রে সাগড়ে চুবাইয়া আমেরিকা যখন ইরাকে লক্ষ লক্ষ মানুষ হত্যা করে, আফগানিস্তানে এক একটি স্কুল-হাসপাতালে বোমা মেরে হাজার হাজার নারী-শিশুদেরকে তখন আপনাদের আধুনিকতার ষ্ট্যান্ডার্ড আর বিশ্ব মানবতার দরদীরা কোথায় থাকে? এই ধরণের ছেলে খেলা আধুনিক ষ্ট্যান্ডার্ড মানদন্ড দেখে পাগলেরও মুচকি মুচকি হাসতে মন চায়।
এরপর বললেন-
যেই বাহিনী নীতি লংঘন কইরা গণহত্যা চালাইতে পারে, তারা নীতি লংঘন কইরা মানুষকে দাস বানাইতে পারবো না সেইটা কেম্নে ভাবলেন?
আরে ভাই আপনার অভিজ্ঞতার বহর দেখে আমি হাসবো না কাঁদবো তাই তো এখন বুঝতে পারছি না। আরে ভাই যুদ্ধের সময় মেরে শেষ করে দেয়া আর যুদ্ধ শেষ হলে বছরের পর বছর দাস বানিয়ে রাখা কি এক জিনিষ?
যুদ্ধের সময় হত্যা করার পেছনে অনেক যুক্তি দেখানো সহজ। যেমন ফ্রেন্ডলি অ্যাটাক, ভুলে মারছে, সন্দেহজনক ছিলো.... ইত্যাদি ইত্যাদি।
কিন্তু দাস বানিয়ে যখন বছরের পর বছর রাখবেন তখন কি অজুহাত দিবেন যদি দাস যেহেতু দাস প্রথা বাতিল
দুইটা আকাশ-পাতাল বিষয়রে একসাথে তুলনা করা সম্ভবত: আপনাদের মতো বুদ্ধিমানদের জন্য শোভা পায়। আমাদের মতো অর্ধ মুর্খদের জন্য নয়।
২২৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:২৬
Abdullah Arif Muslim বলেছেন: আলবার্ট_আইনস্টাইন বলেছেন: আমি আধুনিক সমাজ বলতে বর্তমান যুগের সমাজকে বুঝিয়েছি।
=> আরে ভাইজান। আজকে যেটা আধুনিক সমাজ, ৫০ বছর পরে কি সেটা আধুনিক থাকবে। যদি এই গ্যারান্টি দিতে পারেন তাহলে ভিন্ন কথা।
২২৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:৫৭
মশিউর মামা বলেছেন: @আলবার্ট_আইনস্টাইন আপনের ৩২০ নম্বর মন্তব্যে প্রশ্নের উত্তরে - মাই নেম ইজ খান তার মন্তব্যের প্রথমেই বলছে যে এইটা তার বাক্তিগত মত | আব্রাহাম লিঙ্কন যে দাসপ্রথা বাতিল করছেন সেখানে রাজনীতির যথেষ্ট প্রভাব ছিল - তত্কালীন রিপাবলিকান পার্টি আর দক্ষিনের স্টেট গুলির মধ্যে বিরোধ যার বর্ণনা এইখানে অপ্রাসঙ্গিক | আর আমেরিকার দাসেরা যুদ্ধবন্দী ছিলনা , ছিল জাহাজ ভইরা আফ্রিকা থেইকা নিয়া আসা |
আধুনিক যুগে যুদ্ধবন্দীদের দেখাশোনা করার জন্য রেডক্রস বা জাতিসংঘ ভুমিকা রাখতে পারে , মিডিয়া একটা ভুমিকা রাখে | সেই যুগে আপনে কোথায় পাবেন এইসব | তত্কালীন সময়ে খাদ্যের অভাব ছিল প্রচন্ড | মানুষ নিজেই খাদ্যের অভাবে থাকত | মহানবী আর তার সাহাবীদের বহুদিন উপাস থাকতে হইছে আর আপনে আশা করেন তারা যুদ্ধবন্দীদের বসাইয়া বসাইয়া খাওয়াবে | তাদের সামনে ছিল দুইটা রাস্তা - হয় আমার জন্য কাজ কর তার বদলে খাদ্য পাবা আর পাবা সেসময়ের মানদন্ডে মানবিক আচরণ | আর না হয় মরন | আপনের কাছে কোনটা এখন মানবিক বইলা মনে হইতেছে - মরণ না দাস হিসেবে বেছে থাকা যেখানে ভবিষ্যতে মুক্ত হবার সুযোগ থাকলো |
যুদ্ধবন্দীরা অর্থের বিনিময়ে মুক্ত হবার সুযোগ ছিল | বদর যুদ্ধে অনেক যুদ্ধবন্দী শুধুমাত্র নিরক্ষর মুসলমানদের লেখাপড়া শিখায়্য়া মুক্তি পাইছিল |
আর পাকিস্তানি যুদ্ধবন্দীদের কথা বলছেন ? যুদ্ধের শেষদিকে তারা মুক্তিবাহিনী থেইকা ভারতীয়দের হাতে বন্দী হইতে আগ্রহী ছিল বেশি কারণ তারা জানত মুক্তিবাহিনীর হাতে পড়লে তাগো ইন্নালিল্ল্হাহ হইয়া যাইব | ভারত কিন্তু তাগোরে বাংলাদেশে রাখে নাই | লগে কইরা ভারত নিয়া গেছে | নইলে পাকিস্তানিগো সমর্থন করনের লাইগা আমরা গোলাম আজমের ফাঁসি চাই, আর তাগরে যে কি করতাম কে জানে |
তয় আপনে মনে হয় ভাই বেশি মানবতাবাদী , আপনে মনে হয় তাগোরে বন্দী কইরা রাখতেন আর তিন বেলা পেট ভইরা খাওন দিতেন আর অবসর সময় তাগো লগে ইন্টারনেশনাল ব্রিজ খেলতেন |
ধন্যবাদ |
২২৯| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:০৭
নাম বলা যাবে না বলেছেন: আলবার্ট_আইনস্টাইন বলেছেন: @ নাম বলা যাবে নাঃ আমি আধুনিক সমাজ বলতে বর্তমান যুগের সমাজকে বুঝিয়েছি। আপনি আধুনিক সমাজ ব্যবস্থায় ভুলের সংখ্যা কম বলেছেন। ইসলামের মধ্যে বেশি দাবি করেছেন। প্রমান সরূপ দাস প্রথার কথা বলেছেন।
জবাব দাস প্রথা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে অর্থাৎ দাস প্রথা ছিল জাহেলী যুগের একটি প্রথা। যেটা ইসলাম আবিস্কার করেনি বরং ইসলাম শুরু থেকেই দাস দের মুক্ত করার ব্যাপারে উৎসাহ দিয়ে আসতেছে। যেটা আমাদের নবী ও সাহাবাদের আমল দ্বারা প্রমাণিত।
আমি এখন আমাদের আধুনিক সমাজে কি কি সমস্যা তার কিছু উল্লেখ করতেছি।
এই আধুনিক সমাজে, নারী নেত্রির কাজের মেয়েটি নির্যাতিতা হয়।
সারা মাস খেটে স্কুল শিক্ষক বেতন পায়না। দুমাস যেতেই মহাসড়কের আস্তর ফেটে যায়।
মিছে মামলার ফাদে পড়ে বেকসুর ব্যক্তি হাজত খেটে মরে।
বিদেশী এন জিওরা এসে গরীবদের লুটপাট কর।
কৃষকের ছেলে মন্ত্রি হয়েই বিরাট অট্রালিকা তৈরী করতে পারে।
ভি আই পি দের বহর ঘন্টার পর ঘন্টা জনতার পথ থামিয়ে রাখে।
যে সমাজে খুন, ধর্ষন, ইভ টিজিং নিত্য দিনের ঘটনা আপনি কি এই আধুনিক সমাজে ভূলের সংখ্যা কম দেখতেছেন?
ইসলামের দু একটি বিধান যে গুলি আপনার মত দু এক জনের দৃষ্টিতে ভূল সে গুলি থেকে?
বড়ই আশ্চর্য মানুষ আপনে?
২৩০| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:১১
মশিউর মামা বলেছেন: @আলবার্ট_আইনস্টাইন আমার এত বড় মন্তব্য থেইকা আপনে খালি এই খুইজা পাইলেন, ভালো ভালো |
জগতের সকল তালগাছ আপনেগো হউক | সকল গাছে বড় বড় তাল ধরুক |
আমিন আমিন |
ধন্যবাদ |
২৩১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:৩৫
নাম বলা যাবে না বলেছেন: আলবার্ট_আইনস্টাই@ মেয়েদের কর্মক্ষেত্রে নিয়োগ বন্ধ হয়ে যায়।
নারীদের স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয় যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়।
এ গুলি তো ইসলামের নির্দেশ নয়।
মেয়েদের পূর্ণ নিরপত্তার সহিত যে কোন কর্মক্ষেত্রে যেতে বারণ করেনা। তবে তাতে ইসলামি কোন বিধান যে গুলি মেয়েদের নিরাপত্তার জন্য করা হয়েছে, সে গুলির প্রতি অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে। তা না হলে তো মেয়েদের কর্মস্থল নাম দিয়ে রাজধানির হোটেল গুলির মত তাদের দিয়ে স্বার্থবাজ পুরুষেরা দেহ ব্যবসা করাবে। যেগুলি আপনার আধুনিক সমাজে অহরহ হচ্ছে।
বামিয়ানের হাজার বছরের পুরানো বৌদ্ধমূর্তি ধ্বংস হয়। আচ্ছা আপনি কি কোন ধর্মে বিশ্বাসি?
যদি বিশ্বাসি হন তাহলে কোন ধর্মে ? প্রসঙ্গত বলে রাখি আমি ইসলাম ধর্মের বিশ্বাসি। তার পর আপনার সাথে আলোচনা হবে।
২৩২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:৪৯
নাম বলা যাবে না বলেছেন: আলবার্ট_আইনস্টাইন @ পরিচয় দিতে আলোচনার প্রয়োজন হয়না। এক কথায় পরিচয় দিয়ে দিলেই হয়।
প্রাক্টিক্যাল ইসলাম কি জিনিস সেটাই দেখালাম আপনাকে। প্রাক্টিক্যাল দেখেই সব কিছুর বাস্তব বুঝা যায়না যারা প্রাক্টিক্যাল খারাপ করে তাদের দোষ।
যেমন ভাবে আপনার আধুনিক সমাজে খুন, ধর্ষন, ইভটিজিং, পতিতাবৃতি এ গুলুই কি আধুনিক সমাজের মডেল। প্রত্রিকার পাতা খুললে তো শুধু এ গুলুই দেখা যায়।
সুতরাং শুধু শুধু প্রাক্টিক্যাল ইসলাম বলে নিজের খারাপ মতলব প্রকাশ করে লাভ কি বলুন!
২৩৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:৫২
মশিউর মামা বলেছেন: @ আলবার্ট_আইনস্টাইন, ৩৩২ নম্বর কমেন্টে আপনের প্রশ্নের জবাবে-
১.মেয়েদের কর্মক্ষেত্রে নিয়োগ বন্ধ হয়ে যায়।
২.নারীদের স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয় যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়।
কোন মুসলিম দেশে বর্তমানে এইটা বন্ধ দয়া করে জানাবেন |
৩. ধর্ষণ প্রমাণ করার জন্য ৪ জন পুরুষ সাক্ষীর প্রয়োজন হয়, নাহলে ব্যাভিচারের দায়ে নিজের জীবন দিতে হয়।
বর্তমানে প্রচলিত DNA টেস্ট কেন এইক্ষেত্রে করা যাবেনা এইটা আমার মাথায় আসেনা | ইসলাম নতুন প্রযুক্তির সাহায্য নিতে কি নিষেধ করছে |
৪. বামিয়ানের হাজার বছরের পুরানো বৌদ্ধমূর্তি ধ্বংস হয়।
OIC সহ সকল মুসলিম দেশ এই ঘটনা না বন্ধের চেষ্টা করছে | বিশেষত তালিবানদের স্বীকৃতিদানকারী পাকিস্তান, সৌদিআরব ও আরব আমিরাত এই কাম না করার জন্য তালিবানগো বলছিল | তালিবানরা শোনেনাই | ফল তারা ভোগ করছে | এই কারণেই ধর্মে ধর্ম নিয়া বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করা হইছে | তারা বাড়াবাড়ি করছে পরিনামে গদাম খাইছে |
৫.যুদ্ধে বিধবা হওয়া নারীরা কাজে যোগ দিতে না পেরে সন্তানসহ না খেয়ে মরে |
তাগো দেখভাল করার জন্য ইসলামে বায়তুল মাল নামক একটা ফান্ড আছে যদি সত্যিই ইসলামী আইন অনুযায়ে দেশ চলে |
৬.দেশ বাল কায়েদার স্বর্গভুমি হয়ে ওঠে।
এই বাল কায়েদাগো কারা জন্ম দেয় তাগো কথা কইলেন না | না আমরিকার নাম নিতে ভয় পান |
২৩৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:৫২
নাম বলা যাবে না বলেছেন: আলবার্ট_আইনস্টাইন @ কত নাম্বার মন্তব্যে আপনার পরিচয়টা পাওয়া যাবে। কষ্ট করে বললে নিজেই দেখতাম। একজন জ্ঞানি মানুষের ধর্মীয় পরিচয়টা কি?
২৩৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:৫৬
মশিউর মামা বলেছেন: ভাই রিপেনডিল, দয়া কইরা নতুন একটা পেজ খুলেন |এইটা লোড হইতে বহু সময় লাগতেছে |
২৩৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:১৬
নাম বলা যাবে না বলেছেন: আলবার্ট_আইনস্টাই@ আপনি কোন ধর্ম অনুসরণ করেন তা কিন্তু এখনো বলেন নি? যাই হোক আসরের নামাযের সময় হয়েছে। সুতরাং নামাজ পড়তে গেলাম। আর আজকে ব্লগে অনেক সময় দিয়ে বুঝলাম। আপনার চাকরিই হচ্ছে ব্লগে মুসলমান এবং ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো। আগে শুধু শুনতাম যে বিভিন্ন অমুসলিম দেরকে (মুসলিম নাম দিয়ে, বা অন্য নাম দিয়ে) ইহুদী খৃষ্টানরা চাকরি দিয়ে রাখে। আর আজ তার বাস্তব প্রমান পেলাম তা না হলে আপনার অন্য কোন কাজ নাই? ব্লগে সময় দেয়া ভাল, তার মানে নিজের সবটুকু সময় কি ভাবে দেয়া সম্ভব? আপনাকে ধন্যবাদ চাকরি সঠিক ভাবে পালন করার জন্য। অবশেষে কোরআনের একটি আয়াত বলি ।
يُضِلُّ بِهِ كَثِيراً وَيَهْدِي بِهِ كَثِيراً وَمَا يُضِلُّ بِهِ إِلاَّ الْفَاسِقِي
এ দ্বারা আল্লাহ তা’আলা অনেককে বিপথগামী করেন, আবার অনেককে সঠিক পথও প্রদর্শন করেন। তিনি অনুরূপ উপমা দ্বারা অসৎ ব্যক্তিবর্গ ভিন্ন কাকেও বিপথগামী করেন না।
কোরআনের বিধান দ্বারা আল্লাহ কাউকে হেদায়াত দান করেন। কাউকে পথভ্রষ্ট করেন। যদি আপনাদের মত কিছু লোক না থাকত তাহলে তো এই আয়াতের ব্যাপারে কনফিওশন তৈরি হত। আপনাদের মত লোককে দেখে আবারও অন্তরে দৃঢ় হল । কোরআন সত্য, সত্য ইসলাম ধর্ম। ধন্য বাদ আল্লাহ হাফেজ।
২৩৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২২
রিপেনডিল বলেছেন: পোষ্টের ২য় পর্ব খোলা হল---
Click This Link
২৩৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪০
কর্ণেল সামুরাই বলেছেন: দাসপ্রথা কি যুদ্ধে গনহত্যা বন্ধে সাহায্য করে, নাকি দাসের লোভে নতুন যুদ্ধকে উৎসাহিত করে? আপনার অবস্থান কী?
দেখুন, ইসলাম ধর্মযুদ্ধকে সমর্থন করে, কোন সম্পদের জন্য যুদ্ধকে নয়।
ইসলামে যুদ্ধের কিছু নিয়ম রয়েছে, কেউ ইচ্ছা করলেই নিজ খুশিতে কোন রাস্ট্রকে আক্রমণ করতে পারেনা, সে যতই শক্তিশালী হোক।
তাই দাশের লোভে যুদ্ধ হয়েছে এমন বাক্য ইসলামী নীতির পরিপন্থি।
সবগুলো যুদ্ধই হয়েছিল ইসলাম কায়েম করতে, তাদের অধিকার আদায় করতে।
গণহত্যা ও যুদ্ধের সাথে দাশ পাবার লোভ তৎকালিন যুদ্ধক্ষেত্রগুলোতে ছিলনা। এবং বর্তমানে কেউ যদি মুসলমানদের অধিকারের জন্য নয়, কেবল দাশ বানানোর লক্ষ নিয়ে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়, তবে সেটিকে ইসলামী নীতির অন্তর্ভূক্ত হবেনা বলে আমি মনে করি।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:২৪
তারেক রহমান বলেছেন: হারানো মানুষ, আপনার পোষ্ট পরে ভাল লাগল,তবে
কুরানে লিখিত কথাকে বুঝতে শানে নাজুল বা ব্যখ্যা দিয়ে বুঝতে হবে ক্যান? কুরানে জা লিখা আছা সরাসরি তা বুঝলে আপনার প্রবলেম কই?
আপনার পেয়ারা নবীর কোরানে সরাসরি বলা আছে অমুসলিমরা কখনো মুসলিমদের বন্ধু হতে পারে না ,
রেফারেন্স চাইলে দিতে পারি,