![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফেবু লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/propen লেখকের অনুমতি ব্যতীত এই ব্লগের কোন লেখা অন্য কোথাও ব্যবহার করবেন না।
পাশ করা কসাই হয়েছি বেশ কিছুদিন আগে, এখন কোপাকুপি চলছে দিনে রাতে। সারাদিন সারারাত অসুস্থ মানুষের পাশে থেকে থেকে খাটি কসাই এর মত আবেগহীন হয়ে যাচ্ছি মনে হয়। তাই আজকাল "পুলিশ স্যারে পিটাইসে ডাক্তার হারামজাদা কই" এই জাতীয় মন্তব্যে বিচলিত হই না।
যাহোক, এটি কোন ক্যাচাল পোস্ট নয়, জবাবদিহিতামূলক পোস্ট বলতে পারেন। দেশের নানা প্রান্তে নানারকম মানুষের ডাক্তারদের কাছ থেকে যত সেবাই নিয়ে থাকুক না কেন, নানা রকম ক্ষোভ জিজ্ঞাসা আছে। ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতার বিবরন নয়, আপনাদের দৃষ্টিকোন থেকে আমাদের দেশের চিকিৎসাসেবা সংক্রান্ত যে দিকগুলো নিয়ে আপনাদের ক্ষোভ কিংবা সন্দেহ আছে সে বিষয়ে প্রশ্ন করতে পারেন। নিজের এবং আশে পাশের টোকানো অভিজ্ঞতা থেকে উত্তর দেবার চেষ্টা করব। কসাই হলেও মানুষ বটে, সুতরাং আসুন সমাধানের পথ খুজি
প্রাথমিক একটি প্রশ্নের জবাব দিচ্ছি। ডাক্তার বিষয়ক ক্ষোভের একটি মূল কারন টেস্ট। কি দেয়া হচ্ছে, কেন দেয়া হচ্ছে ইত্যাদি নানা রকম প্রশ্ন থাকেই। চায়ের দোকানে এক আড্ডায় এক লোক বলছিল, তার এক আত্মীয়র পায়ে ঘা হইসে দেখে এক ডাক্তার ডায়াবেটিস পরীক্ষা করতে দিসে, এই রকম অদ্ভুত ঘটনায় তারা হেসেই খুন। তার বক্তব্যের শেষ কথাটা ছিলো... "ডাক্তার শালারা তো মানুষ না, কসাই একেকটা।"
যাহোক পায়ে ঘা হলে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা কি যুক্তিযুক্ত? হ্যা অবশ্যই, বলা যায় অবশ্যম্ভাবি। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে দুটি ব্যাপার হয়
এক, তার রক্ত ব্যাক্টেরিয়ার বৃদ্ধির জন্য খুব ভাল মিডিয়ামে পরিনত হয়,
দুই, পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি বলে এক অবস্থার সৃষ্টি হয় যাতে হাত ও পায়ের বোধ কমে যায়, ফলে পায়ে আঘাত পেলে বা ঘা হলে অনেকেই সময়মত টের পায় না। ফলাফল হিসেবে এইসব ঘা দীর্ঘদিনের ক্ষত তৈরী করে এবং পচন ও ধরতে পারে। এই কারনেই পায়ে ঘা হলে ডায়াবেটিস আছে কিনা সেটা পরীক্ষা করা জরুরি।
আরো প্রশ্নের অপেক্ষায় রইলাম।
০১ লা নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১১
রিপেনডিল বলেছেন: @শাকালাকা বুম, খুব ভালো প্রশ্ন করেছেন। আসলে সামান্য ঠান্ডা জ্বর ব্যাপারটা বেশিরভাগ সময়েই ভাইরাল হয় এবং ঋতু পরিবর্তন, এলার্জি ইত্যাদি বিভিন্ন কারনে প্রায়ই হয়ে থাকে। ব্যাপারটা যদি ভাইরাল হয় তাহলে চিন্তার কিছু নেই। ভাইরাল ফিভার আর ঠান্ডা কাশি ওষুধ খেলেও ৫-৭দিন না খেলেও তাই। এটা এমনিতেই ভালো হয়। কিন্তু ব্যাপারটা আসলেই ভাইরাল কিনা সেটা একটা প্রশ্ন। এক্ষেত্রে দুই কারনে ডাক্তারেরা এন্টিবায়োটিক দেন। প্রথমত আপনি ডাক্তারের কাছে গেলে অবশ্যই কিছু না কিছু ওষুধ আশা করবেন, এটি কমন এক্সপেক্টেশন। তাই ডাক্তারের কাছে গেলেন অথচ ওষুধ দিল না এটা অনেকেই ভালো চোখে দেখেন না! দ্বিতীয় এবং যুক্তিযুক্ত কারন হল ব্যাপারটি ভাইরাল বা ব্যাক্টেরিয়াল (ব্যাক্টেরিয়াল হলে ক্ষতি এবং ভোগান্তির সম্ভাবনা বেশি থাকে, নিউমোনিয়া বা অন্যান্য আরো ঝামেলা তৈরী করতে পারে) তা জানার জন্য রক্তের কিছু পরীক্ষা করে দেখতে হয়। কিন্তু "সামান্য সর্দি জ্বরে" টেস্ট দেয়া শুরু করলে অনেকে আবার তেলে বেগুনে জ্বলে উঠতে পারে। তাই সাবধানতা বশত এন্টিবায়োটিক দেয়া হয় যাতে ব্যাপারটা যদি ব্যাক্টেরিয়াল হয় তা যেন সেরে যায়। এছাড়াও ভাইরাল সর্দি জ্বর এর থেকে সেকেন্ডারি ব্যাক্টেরিয়াল ইনফেকশন হতে পারে তাই আগে থেকে এন্টিবায়োটিক দেয়া যেতে পারে সাবধানতা বশত।
সবশেষে আসল কথা হল, সর্দি জ্বর যদি হয় তাহলে অন্তত ৫ দিন অপেক্ষা করেন, আগেই ডাক্তারের কাছে যাবার প্রয়োজন নেই। এই ৫ দিন জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল তিন বেলা সাথে গ্যাস্ট্রিক আলসারের অসুধ (অমিপ্রাজল বা প্যান্টোপ্রাজল) আর ঠান্ডার জন্য ডেসলর, অ্যালাট্রল, ফেক্সো, রুপেক্স এই জাতীয় ওষুধ তিনবেলা খেলে আরাম বোধ করবেন। ১ সপ্তাহ এর বেশি এই সমস্যা থেকে গেলে তখন CBC এই রক্ত পরীক্ষাটি করিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।
২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:১২
আমি ইহতিব বলেছেন: এতো অল্পতেই শেষ হয়ে গেলো?
আমার একটা করুন অভিজ্ঞতা শেয়ার করি আপনার সাথে দেখি আপনি এর কি জবাব দেন। আমার মেয়ের বয়স যখন এক মাস, তখন তার হাল্কা জন্ডিস ধরা পড়ে, খিলগাঁও এর খিদমাহ হসপিটালের এক শিশু ডাক্তারকে দেখালাম, উনি রক্তের অনেকগুলো টেস্ট দিলো, যার মধ্যে একটি ছিলো হিমোগ্লোবিনের ইলেক্ট্রোফেরেসিস টেস্ট, এই টেস্ট ১ বছরের কম বয়সের শিশুদের করালে কোন উপকারী ফল পাওয়া যায়না, যা পরে জানতে পারি আমার গাইনি ডঃ এর কাছে। আমার ঐ এক মাস বয়সের বাচ্চার শরীর থেকে রক্ত নিতে গিয়ে তার শরীরে কতবার যে সুঁই ফুটাতে হয়েছে তার হিসাব নেই, ঐটুকু ছোট শরীরে রক্তনালী খুঁজে পওয়া যাচ্ছিলোনা বলে একবার হাতে একবার পায়ে এভাবে কতবার চেষ্টা করে ১ঘন্টারও বেশী সময় পর কাংখিত মাত্রার রক্ত পাওয়া যায়। এই পুরো সময়টা আমি আমার মেয়েটা আর ওর বাবা তিনজন একসাথে কেঁদেছি, ওর বাবাকে আমার জীবনে প্রথম ঐদিনই কাঁদতে দেখি। এখন এই ডাক্তারকে আপনি কি বলবেন, মানুষ না কসাই? যে কিনা কিছু টাকার ভাগ পেতে আমার ১মাস বয়সের বাচ্চাটাকে এতো কষ্ট দিলো।
০৩ রা নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৫
রিপেনডিল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার প্রশ্নের জন্য। আসলে ডাক্তারদের সবচেয়ে বড় শত্রু ডাক্তারেরাই। আপনি একজন শিশু বিশেষজ্ঞের কাছে দেখিয়েছেন আবার একজন গাইনী ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করেছেন এখন আপনি নিজেই বলুন শিশুদের ব্যাপারে কার ভাল জানার কথা, শিশু ডাক্তারের নাকি গাইনী ডাক্তারের? ঐ গাইনী ডাক্তার কেন একথা বলেছে আমার জানা নেই আসুন জেনেই আসল ঘটনা কি--
বাচ্চাদের ক্ষেত্রে জন্ডিস হলে একটি ব্যাপার মাথায় রাখা হয় সেটা হল হিমোগ্লোবিন এর সমস্যা, এর মধ্যে আছে সিকল সেল এনিমিয়া, হিমোগ্লোবিনোপ্যাথিস, থ্যালাসেমিয়া ইত্যাদি। এগুলো খুব খারাপ রোগ, সারাজীবন ব্লাড ট্রান্সফিউশন করতে হয়, পুরোপুরি ভাল হয় না। তাই বাচ্চার এই সমস্যা আছে কিনা জানার জন্য হিমোগ্লোবিন ইলেক্ট্রোফোরেসিস টেস্ট দেয়া যেতে পারে।
ইউএসএ সহ পৃথিবীর অনেকে দেশে এই পরীক্ষাটি রুটিন হিসেবে সব সদ্যজাত শিশুদের করা হয় যেন আগে থেকেই রোগ ধরা পড়ে এবং ব্যবস্থা নেয়া যায়।
তথ্যসূত্রঃ Click This Link
এবার আসুন ফুটো করার ব্যাপারে। কাজটি একজন নার্স বা ল্যাবটরী টেকনিশিয়ানের করার কথা। ডাক্তারের করার কথা নয় অথচ আপনি দোষ দিচ্ছেন ডাক্তারকেই। ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ভেইন খুজে পাওয়াটা মাঝে মাঝেই সমস্যার ব্যাপার, এজন্য খুব এক্সপার্ট লোকের প্রয়োজন হয়, তাও অনেক সময় কয়েকবার চেষ্টা করতে হতে পারে, বাচ্চার স্বার্থেই এটুকু সহ্য করে নিতে হবে। আপনার বাচ্চাকে হিমোগ্লোবিন ইলেক্ট্রোফোরেসিস টেস্ট না দিয়ে অন্য কোণ ব্লাড টেস্ট যেমন সিবিসি (শরীরে ইনফেকশন আছে কিনা), ভাইরাল মার্কার (হেপাটাইটিস ভাইরাস আছে কিনা), সেরাম বিলিরুবিন (জন্ডিসের মাত্রা কত) ইত্যাদি দিলেও ঐ একই ভাবে ফুটো করে রক্ত নিতে হত। বড়দের ক্ষেত্রে আমরা অসুখ নিয়ে যেভাবে হেলাফেলা করি বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সেটা করা উচিত নয় কারন খুব অল্পতেই তাদের সারাজীবনের ক্ষতি হয়ে যায়। তাই বাচ্চার স্বার্থেই এটুকু সহ্য করার ক্ষমতা থাকতে হবে এবং এ ধরনের পরিস্থিতি তে বাচ্চার বাবা মা সামনে না থেকে দ্বায়িত্বশীল অন্য কারো উপস্থিত থাকা উচিত যিনি পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবেন। শুভকামনা রইল আপনার এবং আপনার বাচ্চার জন্য।
৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১২ রাত ৮:১৪
নাহিয়ান বিন হোসেন বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট। কিছু ক্ষেত্রে অবশ্যই কিছু ডাক্তারের সমস্যা আছে। কিন্তু তার জন্য ডাক্তারদের চোদ্দ গুষ্টী উদ্ধার করে ফেলতে হবে, এ ধরনের মানসিকতা জঘন্য। মনে রাখা উচিৎ সব জায়গাতেই ভালো খারাপ মানুষ আছে। আর দরিদ্র একটা দেশ হিসেবে চিকিৎসার মত অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি মৌলিক সেবার ক্ষেত্রে সমস্যাগুলো সমাধানে সরকারের সবচেয়ে বেশি আন্তরিক হওয়া দরকার। তাহলে আমাদের দেশের এই চিরন্তন ডাক্তার-রোগী যুদ্ধ অনেকখানি কমবে।
০৩ রা নভেম্বর, ২০১২ রাত ৮:১৭
রিপেনডিল বলেছেন: @নাহিয়ান ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। সমস্যা সব ক্ষেত্রেই আছে তবে সেটা সমাধানের জন্য সরকারের দিকে তাকিয়ে বসে থাকার কোন অর্থ নেই। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ আর সমঝোতার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।
৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১:৪৮
কোডনেম ৬৬৬ বলেছেন: কিছু কিছু পেশা পূর্ণ আত্মত্যাগ দাবি করে। যেমন চিকিৎসা সেবা, শিক্ষকতা। একজন ইঞ্জিনিয়ার অসৎ হলে কেউ মারা যাবে না যদিও দেশের আর্থিক ক্ষতি হবে। কিন্তু ডাক্তার অসৎ হলে অনেক জীবন এবং পরিবার ধ্বংস হবে। আমি যেটা বুঝাতে চাচ্ছি সেই আত্মত্যাগের মানসিকতা থাকলে তবেই চিকিৎসা পেশায় আসা উচিত। আমাদের দেশ গরিব দেশ। চিকিৎসকদের প্রাপ্য সম্মান এবং সম্মানী কোনটাই দেওয়া হয় না। নতুন ডাক্তারদের মধ্যে শুরুতে চমৎকার সেবার মানসিকতা থাকলেও এসব কারণে এক সময় ডেডিকেশন কমে যায় বলে মনে হয়।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:৫৩
রিপেনডিল বলেছেন: আপনার আশা ঠিক আছে, তবে ইঞ্জিনিয়ার অসৎ হলে আর্থিক ক্ষতি ছাড়া অন্য কিছু হবে না এটা সত্য না। একটি ত্রুটিপূর্ন সেতু নির্মান করা হলে সেটা ধ্বসে গিয়ে অনেক মানুষের জীবন সংহার করতে পারে। একই ভাবে যেকোন ত্রুটিপূর্ন মেশিনারিস না সিস্টেম মানুষের জীবনের জন্য হুমকি হতে পারে অবশ্যই। তাই আত্নত্যাগী হতে হবে সবাইকে। ডেডিকেশন কমে যাবার মূল কারন হচ্ছে পাস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ কমে যাওয়া। আমরা যেদিন একে অপরকে উপযূক্ত সম্মান দেওয়া শিখব সেদিন এই সমস্যার সমাধান হবে।
৫| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:২১
আহমাদ জাদীদ বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম ।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৪১
রিপেনডিল বলেছেন: ধন্যবাদ
৬| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৪৯
দখিনা বাতাস বলেছেন: আমার আম্মার ডায়বেটিস, হাইপারটেনশন, আর ক্রনিক কিডনি ডিজস। কিডনির জন্য আয়রন ট্যাবলেট ফিওফল, ফুসিড, ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট, ,ইপ্রেক্স ইনজেকশন সপ্তাহে ১টা দিতে হয়। কয়েকদিন আগে পেটব্যাথা আর বমি বমি ভাবের জন্য নিয়ে গেলাম বারডেম। তারা ২ দিন রেখে সুগার, ক্রিয়েটিনিন ( এইবার টেস্ট এ, ২'৩) এইসব নানান টেস্ট করে ছেড়ে দিল।
বারডেম থেকে ডায়েট প্ল্যান দিল, ঐ খানে দেখি লিখে দিয়েছে, রোগিকে দুপুড়ে আর রাত্রে ১ কাপ ডাল, দুপুরে ভাত ২৪০ গ্রাম, এইসব। (ছাপানো ফর্ম না কিন্তু, কলম দিয়ে আলাদা করে লেখা)
এখন জানতে চাই, ক্রনিক কিডনি ডিজিসের রোগীকে কি ডাল খাওয়াবো? ২৪০ গ্রাম ভাত কি এক বেলায় খাওয়াবো সকালে ২০ আর রাত্রে ২০ ইউনিট মিক্সটার্ড ৩০ ইনসুলিন নেওয়া ডায়বেটিসের রোগিকে?
উল্লেখ্য, রোগিকে গত সেপ্টম্বরে কলকাতায় নিয়ে দেখানোর পরে ভারতের ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন+ ডায়েট এখনোও ফলো করছি। বারডেম থেকেও ভারতের ডাক্তারের ঔষধ গুলো খেতে বলছে তার সাথে ডায়েট প্ল্যানের ঐ ২ বেলা এক কাপ ডাল, আর দুপুড়ে ২৪০ গ্রাম চালের ভাত।
রোগির গত এখ বছরের ক্রিয়েটিনিন রেকর্ড,
21th march,12 - 2.2
25th april,12 -3.6
9th may, 12 - 3.3
3rd JUNE,12 - 3.3
16th JULY,12 - 2.8
29th august,12 -2.9
24th sept,12 -2.95 ( CMRI, INDIA test)
30th oct,12 -2.2
০৯ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৪০
রিপেনডিল বলেছেন: প্রথমে আসি ক্রনিক কিডনি ডিজিজ এর কথায়। এটি আসলে অপরবর্তনযোগ্য একটি রোগ, একবার হয়ে গেলে আর সারানো যায় না, কড়া নিয়মে থাকতে হয়। এই ধরনের রোগীদের খাওয়ার ব্যাপারে খুব বেশি সাবধান থাকতে হয়, প্রোটিন এবং ফলমূল একেবারেই নিষিদ্ধ করা হয়। তবে প্রোটিন একেবারে বাদ দিলেও সমস্যা তাই চাহিদা পূরনে ভেষজ প্রোটিন ডাল কিছু মাত্রায় রাখা যেতে পারে। বমি ভাবটা কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে খুবই কমন, আর পেট ব্যাথাও থাকতে পারে, সাথে যদি ডায়াবেটিস থাকে সেক্ষেত্রেও পেট ব্যাথা হতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে ফ্রুসিড ব্যাবহারের কারনে অনেক সময় হাইপারগ্লাইসেমিয়া হয়ে নানা রকম সমস্যা তৈরী করতে পারে।
তবে ডায়েট প্লানের ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারছি না, আমি এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ নই। আমার পরামর্শ হল আপনি একজন কিডনী বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন এবং ডায়েট প্লান এর ব্যাপারে পুনরায় বারডেমে যোগাযোগ করুন। অযথা ইন্ডিয়া ছোটাছুটি করার দরকার নেই, ডায়াবেটিস এর জন্য বাংলাদেশের বারডেম ইন্ডিয়ার চেয়ে অনেক বেশি সফল।
৭| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৫৩
দখিনা বাতাস বলেছেন: diet plan er 240gm vath ar 2 bela daal ek cup- eta niye BIRDEM er duty doctor k jiggesh koresilam, uni bole HA, HA diet plan follow koren, kono oshubidha nei.
৮| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:০০
পাপী ব্রহ্মচারী বলেছেন: অনেক ডাক্তার আছেন যাদের দেখা পেতে ২/৩ মাস আগে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করতে হয়, একজন ডাক্তার একসাথে শত-শত কেইস ডিল করে কেমন করে?
দেশে এত ডাক্তার থাকতে কেন এখনও চিকিৎসা সেবা নিম্নবিত্ত মানুষদের সাধ্যের বাইরে?
০৯ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৯:২৮
রিপেনডিল বলেছেন: দেশে এত ডাক্তার কোথায় পেলেন, আমাদের দেশে ডাক্তার অনুপাতে রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার! ২-৩ মাস আগে অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিতে হয় কারন আমাদের একটা মেন্টালিটি হচ্ছে যেকোন অসুখে বড় ডাক্তার খোজা। এমনকি সর্দি কাশি হলেও আমরা প্রফেসর খুজি। স্বাভাবিক নিয়মে আমরা যদি প্রথমে একজন এমবিবিএস ডাক্তারের কাছে যাই তাহলেই বেশিরভাগ রোগ ধরা এবং তার চিকিতসা হয়ে যায়। কম্পিকেটেড কেসগুলো বড় ডাক্তারের কাছে রেফার করলে তাদের চাপটাও কমে, রোগ বুঝতেও সুবিধা হয়। আমাদের দেশের ডাক্তারদের কি পরিমান পরিশ্রম করতে হয় সেটা না দেখলে বিশ্বাস করবেন না। সরকারি হাসপাতালগুলোতে শত শত নয় হাজার হাজার রোগী সামলাতে হয় কয়েকজন ডাক্তারকে, তাই শত শত কেস ডিল করা কোন সমস্যা হবার কথা নয় তবে যেটুকু সময় দেয়া দরকার তা চাইলেও দেয়া যায় না।
চিকিৎসাসেবা নিম্নবিত্ত মানুষের বাইরে কথাটা কিছুটা সত্য তবে পুরোপুরি নয়। সরকারি মেডিকেলগুলোতে খুব ভাল চিকিতসা হয় তবে ওষুধ সরবরাহ ও অন্যান্য সেবা সব সময় পর্যাপ্ত থাকেনা বলে অনেক সময় এখানেও বেশ কিছু খরচ হয়ে যায়।
৯| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:১৫
শরীফ মহিউদ্দীন বলেছেন: অনেকদিন আগে এই বিষয়ে একটা লেখা দিয়েছিলাম, আপনার আজকের উদ্যোগটা খুবি ভালো লাগলো। বেষ্ট অফ লাক কলিগ। Click This Link
০৯ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১১:১১
রিপেনডিল বলেছেন: লেখাটা তো পেলাম না। অনেক ধন্যবাদ
১০| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৪৮
রুদ্রাক্ষী বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার প্রচেস্ঠা..................। আমি আছি আপনার সাথে ব্রো।
১১ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৫৯
রিপেনডিল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
১১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১০:১১
দখিনা বাতাস বলেছেন: শখ করেতো আর ভারত যাইনা। এইবার আগের কথা কিছু বলি, বারডেমের একজন কিডনী ডাক্তার আম্মাকে দেখে বললো, এই গত রোজার মাসে, আপনি রোজা রাখেন কেন? কিডনির অবস্হা খুব খারাপ, আজকেই হাসপাতালে ভর্তি হয়ে যান, একটা ইনজেকশন দিয়ে অভজারভশনে রাখতে হবে। আমরা আর ভর্তি করাইনি, তার ৩ দিন পরেই কিডনি রিসার্চ ইনস্টিটিউটর প্রাক্তন পরিচালককে দেখালাম, উনি কিছু টেস্ট করে বললেন, কোন সমস্যা নেই। কিছু তো দেখছিনা। রোজা শুরু করতে পারেন। এইসব দেখে নিয়ে গেলাম ভারত।
ঐখানে সব কিছু টেস্ট করে বাংলাদেশের ডাক্তারদের দেওয়া ১১টা অষুধ বাদ দিয়ে ওরা দিল মাত্র ৫টা। বাংলাদেশের বারডেমের ডাক্তারকে আমার সামনেই আম্মা বলেছিল, রাত্রে ঠিকমত ঘুম হয়না, তারা দিলো লোনাপাম। ঐটা একবছরের মত খাওয়ার পরেও ঘুম হতনা। ভারতের ওরা সবই বাদ দিল।
তাদের দেওয়া ঐ ৫টা অষুধ আর ওদের করা ডিটেইলস ডায়েট প্ল্যান, যা দেখলে অবাক হতে হয়। এই দিয়ে আম্মার রাতের ঘুমের সমস্যা, মাসের পর মাস পায়ে পানি জমে থাকা, ক্রিয়েটিন লেভেল নিচে নামা, ইনসুলিন ২৮ ইউনিট থেকে একবারে ২০ ইউনিট এ আসা সবই হলো মাত্র একমাসে। এখন আপনিই বলুন, আমরা রোগিরা কি করবো? ভারতে ভাল চিকিৎসা করতে গেলে দখলাম ভালই টাকা লাগে। যদিও সবার কাছে শুনতাম সস্তা নাকি। এইটাই আমার প্রথম ভারত যাওয়া চিকিৎসার জন্য।
আমার কাছে যা মনে হল, বাংলাদেশের ডাক্তাররা একটু মনোযোগ দিয়ে রোগি দেখলেই আমাদের এতা টাকা খরচ আর কষ্ট হতোনা।
আর আমার নিজের কথা বলি, বাংলাদেশের ৪ জন ডাক্তারকে দেখানো, তারা সবাই মিলে আমাকে ২০১০ এর শেষ থেকে ভারত যাওয়ার আগ পর্যন্ত হাইপারটেনশনের জন্য কোনসময় লোসান, কোন সময় বিসলল, শেষে আমডোকাল খাওয়ালো ২০১২ সেপ্টেমবরের ভারত যাওয়ার আগে পর্যন্ত। ভারতে যাওয়ার পরে তারা সব দেখে দিল খালি ব্যায়াম, তাও দিনে ৪০মিনিট হাটা। এখন আমার প্রেশারও হাই হয়না(সপ্তাহে ২বার চেক করাই), কোন ওষুধ ও খাইনা।
আমার কথা হোল, টাকাতো আমরা দিতে চাই, ফি যতই নেক, কারন দেশের বাইরে গেলে তার বেশি খরচ হয়, তার সাতে বাড়তি কষ্ট। কিন্তু বাংলাদেশের ডাক্তারটা কি একটু মনোযোগ দিয়ে কি আমাদের দেখতে পারেনা? এমনতো না যে তাকে আমরা ফি দিইনা। যেই জিনিসটা আমরা বাইরে গেলে পাই, ঐটা কেন দেশে পাইনা?
০৯ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১১:১০
রিপেনডিল বলেছেন: ক্রনিক কিডনি ডিজিজ এর ক্ষেত্রে রোজা রাখার ব্যাপারে দু ধরনের স্টাডি আছে।
একটাতে বলা হয়েছে কোন সমস্যা নাই, কিডনি ভালো থাকে, আরেকটাতে বলা হয়েছে রোজা রাখলে কিছু সমস্যা হতে পারে, বিশেষ করে ডায়াবেটিক কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে। রোজা রাখা যেতে পারে তবে ক্লোজ অবজারভেশন, ইনপুট আউটপুট মনিটরিং এসব পর্যবেক্ষনে রাখতে হবে।
Click This Link
http://www.ncbi.nlm.nih.gov/pubmed/17679744
আর হাইপারটেশন এর ব্যাপারে বলি, এটি এমন একটি রোগ যার ব্যাপারে আমরা এখনো প্রায় অন্ধকারে আছি। তবে এই রোগের চিকিতসার সবার প্রথম কথা হল লাইফস্টাইল পরিবর্তন অর্থাৎ ব্যায়াম, খাদ্যাভ্যাস এসব নিয়ন্ত্রন। আর ড্রাগ তো কিছু আছেই, কারো লাগে কারো লাগে না, কারো একাধিক লাগে, কারো সারাজীবন লাগে, কারো কাজ হয় না, ইত্যাদি। তবে আমাদের দেশের মানুষের মানসিকতা হচ্ছে একটু আলাদা। কোন ডাক্তার যদি তার রোগীকে কোন ওষুধ না দিয়ে শুধু লাইফস্টাইল পরিবর্তনের কথা বলে তাহলে সে আর রোগী পাবেনা!! আবার একই রোগী দেখা যাচ্ছ বিদেশে যেয়ে এই পরামর্শ নিয়ে আসলে ঠিকই পালন করবে। আমার মনে হয় আপনি সপ্তাহে দুবার না করে অন্তত প্রতি দুইদিন পর পর সকালে আর রাতে প্রেসার টা মনিটর করুন।
ভারতীয় দের ব্যাপারে একটা কথা বলি, তারা ডাক্তারি যাই জানুক, মার্কেটিং কিন্তু খুব ভালো জানে। নিজের প্রত্যাক্ষ অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, ওখানে গেলেই তারা বাংলাদেশের সব কিছু বাতিল করে দেবে, সব টেস্ট, ওষুধ, চিকিৎসা সব বাদ, বলবে ভুল দিয়েছে, ভুল ডায়াগনসিস হয়েছে ইত্যাদি। তখন স্বাভাবিকভাবে রোগীর মন ঘুরে যাবে এবং সে আরো রোগী রেফার করবে ইন্ডিয়ায়, অথচ ওরা যা বলে তা সবসময় সত্য নয়। ভারতীয়দের একটা সুবিধা হল তাদের টেকনিকাল সাপোর্ট খুব ভালো, এবং ওষুধ ও অনেক ভালো মানের।
আমাদেরদের সবচেয়ে বড় সমস্যা আমাদের রোগী অনেক বেশি, ডাক্তার অনেক কম, তাই চাইলেও সময় দিতে পারি না, আর টেকনিকাল সাপোর্ট ও এত কম যে প্রায় অন্ধের মত চিকিৎসা করতে হয়। ওষুধের মানও দিন দিন খারাপ হচ্ছে। এমতানবস্থায় আমার মনে হয় যদি সামর্থ থাকে তাহলে ভাল টেকনিকাল সাপোর্ট এর সাহায্য নেয়াই শ্রেয় আর না হলে দেশেই বিশেষায়িত হাসপাতাল্গুলোতে ধৈর্্য্য ধরে চিকিৎসা নিতে হবে, আর বিরক্ত কিংবা অস্থির না হয়ে ডাক্তারের কাছে সব বিষয়ে বার বার প্রশ্ন করতে হবে। আপনার সুস্থতা কামনা করি।
১২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৫৯
দখিনা বাতাস বলেছেন: ভারতে বাংলাদেশের দেওয়া ১১টা অষুধ থেকে লোনাপান, গ্যালভাস, এমিস্ট্যাট, নিওবিন এই টাইপ ৬টা বাদ দিয়ে বাংলাদেশের ৪টা আর হরমোনের জন্য নতুন একটা, আর ইপ্রেক্স ইনজেকশন। আপনি যে বললেন, সব বাদ দিয়ে দেয়, ঠিক না মনে হয় কথাটা। উল্টা এইবার বারডেমে যাওয়ার পরে দেখলাম ডাক্তার এসে নতুন অষুধ লিখলো, কিনে এনে দেখি, একই অষুধ খালি কোম্পানি আলাদা, ট্রেড নেম আলাদা। যেমন গ্যাসের জন্য ছিল প্যানটোনিক্স, সে দিলো প্যানটিড, আ্যটোভা ছিল, ঐটার জায়গায় লিখলো, টিজিনর, ফেমিযিন টিআর জায়গায় ফেরোজিট। এই সবের মানে কি?
আরো কি করছে জানেন? সকাল বেলা ডাক্তার নিজে বসে বসে লিখলো আম্মা কি কি অষুধ খায়, ঐ খানে বললাম সব, আরো বললাম ইপ্রেক্স ইনজেকশনটা সপ্তাহে ১টা দিচ্ছি, গতকাল সকালে এই সপ্তাহেরটা দিয়েছি। উনি সব লিখে নিল। বিকাল বেলা সিস্টার এসে বলে রোগিকে একটা ইনজেকশন দিতে হবে, এই নাম, কিনে আনেন এখন গিয়ে। আমার ভাই ছিল তখন, আমাকে ফোন দিয়ে বলে বিকালে যেন হাসপাতালে যাওয়ার সময় ইনজেকশন কিনে নিয়ে যাই। তারা লিখে দিলে রিকরমেন ৫০০০ ইউনিট। যাই হোক, আমি আর কিনে নেইনি, দেইনি ইনজেকশন, পরদিন ডাক্তার রাউন্ডে আসার পরে আমি বলালাম সব। তারা দেখি একজন আরেকজনের দিকে মুখ চাওয়া চাওয়ি করে। পরে তারাতারি করে একজন বলল, ঠিক আছে ঠিক আছে ইপ্রেক্স ই চলুক। রিকরমেন দরকার নেই।
আর যেটা বললেন - [sb]কোন ডাক্তার যদি তার রোগীকে কোন ওষুধ না দিয়ে শুধু লাইফস্টাইল পরিবর্তনের কথা বলে তাহলে সে আর রোগী পাবেনা!! এই খানেই মনে হয় আমাদের ডাক্তারদের সমস্যাটা। আমার ছোট খালুর হার্টে একটা ব্লক। বাংলাদেশে বলল রিং, বাইপাস ,একেকজন একেক কথা। না পেড়ে বেচারা টাকা খরচ করে গেল কলকাতা, ওরা বলল, এতকিছু না করে লাইফ স্টাইল চেন্জ করে ফেলেন, আর যেন ব্লক না হয় ঐ ব্যবস্হা করেন। রোগি পাওয়ার জন্য আমাদের ডাক্তাররা আমাদের নিয়ে খেলে গরু ছাগলের মত। তখনই মনে হয়, এই গুলা ডাক্তার না, কসাই।
আর সমস্যার কথা বলতে ইচ্ছা করছে না ভাই। এইগুলা বললাম একবারে নিজের রিসেন্ট অভিগ্গতার কথা। নিজের আত্নীয়সজন আর বন্ধুদের মাঝে এমন আরো অনেক গুলা ঘটনা আছে, যারা কিনা পরে ভারত, সিন্গাপুরে গিয়ে ভালো হয়ে এসেছে। সবকয়টা ঘটনাই ছিলো, বাংলাদেশের ভুল চিকিৎসা। এমন না যে, বাংলাদেশে ঐ চিকিৎসা সেবা ছিলোনা তাই বাইরে গেছে, ভালমতই ছিল বাংলাদেশে কিন্তু তাদের বাইরে যেতে হয়েছিল বাংলাদেশে ভুলের কারনে।
১০ ই নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪২
রিপেনডিল বলেছেন: ইপ্রেক্স এর রিকরমন দুইটা একই ড্রাগ। রিকরমন রোশ কম্পানির, ওষুধের গুনগত মান বিচারে রোশ এর অনেক খ্যাতি আছে আন্তর্জাতিক ভাবে, রোশের ওষুধের দাম ও বেশি হয়। হয়ত আপনের আর্থিক সামর্থের বিবেচনায় তারা রিকরমন দেয়ার চিন্তা করেছিল। সব ওষুধ বাদ দিয়ে দেয় এটা একটা কথার কথা ছিল। মোটামুটিভাবে অনেক কিছুই বাদ দিয়ে দেয় এটা বলার জন্য বললাম, আমার নিজের মায়ের ক্ষেত্রেও এই ধরনের এক্সপেরিয়েন্স আছে, আমি ডাক্তার বলেই ব্যাপারটা ধরতে পেরেছিল যে ওরা যা বলছে তার পিছনে কিছুটা মার্কেটিং উদ্দেশ্য আছে। আর ওষুধ দু'একটা কমানো বা বাড়ানো এটা কিন্তু ভুল চিকিতসার প্রমান না। ট্রিটমেন্ট এর নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌছাতে এক এক ডাক্তার এক এক পথ অনুসরন করেন, অনেক ভাই পৌছানো যায়। কেউ হয়ত বেশি ড্রাগ লিখবেন, কেউ কম লিখবেন, কেউ অবজারভেশন এ রাখবেন, কেউ ট্রায়াল ড্রাগ দিবেন কাজগুলো এভাবে হয়। বাংলাদেশে ওষুধ না লিখলে রোগি আসবে না এটা কিন্তু রোগীদের মেন্টালিটির কারনেই হয়। কেউ নিজের দূর্নাম করতে চায় না, ব্যাপারটা সুনাম অর্জন, অর্থ নয়।
এবার বলি একই ওষুধ ভিন্ন কম্পানির কথায়। যদি সে খুব বাজে কোন কম্পানির ওষুধ না লিখে থাকে তাহলে ব্রান্ড চেঞ্জ করতে সমস্যা কোথায়? কিছু কিছু হাসপাতালে কিছু কোম্পানির প্রফারেন্স থাকে, যেমন মিটফোর্ডে বেক্সিমকোর প্রেফারেন্স বেশি, স্কয়ারের কম কারন বেক্সিমকো প্রতি সপ্তাহে একাডেমিক সেমিনার এর ব্যাবস্থা করে আর স্কয়ার প্রায় আসেই না। ব্যাক্তিগত প্রেফারেন্স ও থাকতে পারে। সবসময় যে তার পিছনে উদ্দেশ্য থাকে সেটাও না।
হার্টে ব্লক যদি ডেফিনিটলি থেকেই থাকে সেক্ষেত্রে আমার মনে হয় স্টেন্টিং করে ফেলাই ভালো। ছোট ব্লকের ক্ষেত্রে কনজারভেটিভ থেরাপি আর লাইফস্টাইল চেঞ্জ করে অবজারভেশন এ রাখা যেতে পারে, এতে অনেক সময় কাজ হয়, অনেক সময় হয় না। যেহেতু অনিশ্চয়তা আছে তাই অনেকে সরাসরি স্টেন্টিং এর পক্ষে।
Click This Link
এটাই বলছি যে এক একজন ডাক্তারের ট্রিটমেন্ট পদ্ধতি এক এক রকম, কারোটাই ভুল নয় (যদি না সে বিপরীত বা ক্ষতিকর কিছু দিয়ে থাকে)। আর আবারো বলি ডাক্তারের শত্রু ডাক্তারেরাই, আমরা ইন্টার্নীর সময় শপথ গ্রহন করি যে কোন অবস্থাতেই আমরা আমাদের সহকর্মী কারো অসম্মান হয় এমন কথা বলব, বলাটা অপরাধ। সেই অপরাধই মানুষ করে ব্যাবসায়িক উদ্দেশ্যে। সরাসরি ক্ষতি করেছে এবং অন্য কোন ডাক্তারকে মামলার প্রেক্ষিতে ডেকে আনা হয়েছে মাতামত এর জন্য একমাত্র এমন অবস্থাতেই একজন ডাক্তার ভুল চিকিৎসা করেছেন এই রায় দেয়াটা গ্রহনযোগ্য।
যাহোক, আপনার হয়রানী দেখে দুঃখ পেলাম, তবে আশা করি আমার ব্যাখ্যাটা বুঝতে পেরেছেন।
১৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:২৫
মদন বলেছেন: আমার দেখায় শতকরা ৯০% ডাক্তার এমআর দের থেকে ঔষুধ নেন, বা তাদেরকে দেয়া হয়, এবং অনেক ডাক্তার এমআরদের থেকে দামী ঔষুধ চেয়ে নেন যেনো বেশি দামে বিক্রি করা যায়। একজন সাধারন এমবিবিএস ডাক্তার মাসে প্রায় ১০০০০ টাকার ওষুধ বিক্রি করে থাকে।
বড় ডাক্তারদের অবস্থাতো আরো বড়। গাড়ি, বাসা/অফিসের প্রয়োজনীয় উপকরন হতে শুরু করে হজ্ব করা পর্যন্ত ঔষুধ কোম্পানী থেকে নিচ্ছেন।
১০ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৮:২৩
রিপেনডিল বলেছেন: @মদন, এমআরদের থেকে ওষুধ নেয়া বাংলাদেশের কোন আইনে অবৈধ তা বলবেন কি? তারা তাদের প্রোডাক্ট সম্পর্কে ডাক্তারদের জানাতেই স্যাম্পল অষুধ দিয়ে থাকে। আর এমবিবিএস ডাক্তার মাসে ১০০০০ টাকার ওষুধ বিক্রি করে এই তথ্য কোথায় পেলেন? আন্দাজে বলছেন নাকি প্রমাণ আছে?
গাড়ি বাসা অফিসের উপকরন হজ্ব করা ইত্যাদি বড় কিছু সুবিধা সবাই নেন না, যারা নেন তারা হয়ত ঐ কম্পানির কাছে কিছুদিন দায়বদ্ধ হয়ে যান, কম্পানি যদি খারাপ না হয়, ওষুধের গুনগত মান ও দাম যদি সামঞ্জস্যপুর্ন হয় এবং ডাক্তার যদি অপ্রয়োনীয় কিছু না লেখেন সেক্ষেত্রে সমস্যাটা কোথায় বলবেন কি?
১৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০১২ সকাল ৭:৪১
পাপী ব্রহ্মচারী বলেছেন: আপনি ফ্যাক্টগুলো র্যাশনালাইজ করছেন।
ডাক্তারদের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ তাদের দীর্ঘদিনের কর্মকান্ডের ফল।
১১ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৫৭
রিপেনডিল বলেছেন: @পাপী ব্রহ্মচারী শুরুতেই স্বীকার করে নিয়েছি আমরা কসাই, এবার বলুন আপনার ক্ষোভ আমাদের কোন কোন কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে? এক এক করে বললে ব্যাখ্যা করতে সুবিধা হবে।
১৫| ১১ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১০:০৫
রুদ্রাক্ষী বলেছেন: আমার দেখায় শতকরা ৯০% ডাক্তার এমআর দের থেকে ঔষুধ নেন, বা তাদেরকে দেয়া হয়, এবং অনেক ডাক্তার এমআরদের থেকে দামী ঔষুধ চেয়ে নেন যেনো বেশি দামে বিক্রি করা যায়। একজন সাধারন এমবিবিএস ডাক্তার মাসে প্রায় ১০০০০ টাকার ওষুধ বিক্রি করে থাকে।
@ মদন- আপনার কথার তীব্র প্রতিবাদ জানাছ্ছি। আমাদের যে ওষুধ দেয়া হয় তা ফিজিশিয়ান স্যাম্পল যা কোম্পানী বিক্রির জন্য তৈরী করেনা .............। আর এম আর দের কাছ থেকে দামী ওষুধ চেয়ে নিয়ে কি দোকানে বসে বিক্রি করবো???????????? আর যদি কেউ বিক্রি করেও তাহলে বেশী দামে কিভাবে বিক্রি হবে???????
আর কোন আউটডোর এ বসলে হতে পারে বইএস এম এম ই্উ বা ডি এম সি তে তাহলে ফিজিশিয়ান স্যাম্পল পাওয়া যায় কিন্তু তা বেচে ১০ হাজার টাকা পাওয়া যাবে এটা উদ্ভট ধারনা কারন ও বলে দেই -এই ওষুধ গুলো ডোজ করে দেয়া হয়না যেমন ধরেন এজিথ্রমাইসিন এর ৫-৭ দিন ডোজ। এম আর ভিজিটের সময় আমাকে ১ টা দিবে...........। তা আমি যদি বিক্রি করতএও চঐ তাহলে আপনে কি আমার কাছ থেকে ১ টা ১ তা করে কিনবেন???????????
আর যদি এমন হয়েও থাকে তবে ডাক্তার দের কম্পানী রা ওষুধ দিয়ে ভিজিট করবে এটা এ পেশার প্রটোকল এ জন্য কি কোন ডাক্তারের সার্ভিসের সাথে তুলনা কেন?
১৪ ই নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৯
রিপেনডিল বলেছেন: দেশের সবাই ভাই "হুজুগে পাগল" আর "শুনে মুসল্মান" তাই গুজব বাতাসের আগে ছড়ায়।
১৬| ১১ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১১:২৫
পাপী ব্রহ্মচারী বলেছেন: ব্যাক্তিস্বার্থ চরিতার্থে স্বাস্থখাতের বাণিজ্যিকরণে ব্যাবসায়ীদের পৃষ্টপোশকতা করা - অন্তত সর্বোচ্চ মর্যাদার পেশাজীবিদের কাছ থেকে এটা কাম্য নয়।
১১ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৫৬
রিপেনডিল বলেছেন: @পাপী ব্রহ্মচারী, আরেকটু স্পেসিফিক বললে ভালো হয়, উদাহরন দিয়ে বলুন প্লিজ। কি ধরনের বানিজ্যিকিকরন এবং কি ধরনের ব্যবসায়ীদের পৃষ্ঠপোষকতা?
১৭| ১২ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১২:০৭
পাপী ব্রহ্মচারী বলেছেন: কি ধরনের বানিজ্যিকিকরন?!? অবাক করলেন!
১২ ই নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২০
রিপেনডিল বলেছেন: @পাপী ব্রহ্মচারী, আপনি চাইলেই বলতে পারেন বাংলাদেশ কোন দেশ হইল, সব চোর বাটপার এর দল, বলতেই পারেন, কিন্তু সেই বলায় কিছু আসে যায় না, সেই বলায় বাংলাদেশের সবাই চোর বাটপার হয়ে যাবে না, তারপরেও দেশে ভালো মানুষ থাকবে, ভালো কাজ হবে, উন্নয়ন ঘটবে, সুখী দেশের তালিকায় নাম লেখাবে। সেজন্যি বলছি স্পেসিফিক্যালি বলুন তাহলে আলোচনা করতে সুবিধা হবে।
১৮| ১২ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৩৬
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
প্রিয়,
আমি আমার পরিচিত ডাক্তার ছাড়া কাউকে এখন পর্যন্ত আমার সমস্যার সবগুলো বলতেই পারিনি! দেখা গেল আমি ২/৩টা সমস্যায় ভুগছি বাট ডাক্তার একটা শুনেই প্রেসক্রিপশন লেখা শুরু করলেন বা বললেন কথা সংক্ষেপে বলুন! এটা কতটা যৌক্তিক?
আবার মাথার চুল পড়া, ব্রন, যৌন বিষয়ক সমস্যাগুলোকে ডাক্তার কখনই সেভাবে কেয়ার করে বলে আমার মনে হয় না...
ঘটনা-১
আমার মাথার সুন্দর চুল এখন নাই বললেই চলে তবে একজন ইন্টার্ন এর পরামর্শে পড়াটা বন্ধ। কিন্তু আজ থেকে ৬ বছর আগেই আমি একজন প্রফেসরের কাছে ৫০০টাকা দিয়ে দেখাতে গিয়েছিলাম।
তিনি আমাকে বললেন এটা কোন সমস্যা না। দিনে ৭০/৮০টা চুল পড়া কিচ্ছু না। যখন আমার মাথার চুল ক্রমশ: কমতে লাগল আবার গেলাম। তখন তিনি বললেন এটা পারিবারিক সমস্যা। আমি বললাম আমার পরিবারে কারও এই সমস্য নাই... তিনি খানিকটা রেগে বললেন তুমি হুজুর মানুষ চুল দিয়া কী কর? সিনেমায় নামবা নাকি? এর আমি খানিকটা রেগে বললাম আপনি আপনার এ্যাডে লিখে রাখবেন হুজুরদের চুল পড়া রোগের চিকিৎসা আমি করিনা। তখন তিনি আমাকে যে সব চিকিৎসা দিলেন সেটা আমার জন্য অসাধ্য। লেজার, ট্রুগেইন, আরো আরো...
ঘটনা-২ আমার ছাত্র ৮ম এর ছাত্র... নিয়ে গেলাম সমস্যা ব্রণ। সহযোগী অধ্যাপক। বললেন এটা কোন সমস্যা না। বাট সে বলতেছে স্যার আমার প্রতিটা ব্রণে প্রচন্য ব্যাথা হয়। কে শুনে কার কথা! তিনি একটা ক্রিম দিলেন। কিচ্ছু হয়নি। এর পর আমার এক বন্ধুর পরামর্শে ছেলেটা আরোগ্য হলো। সেই বন্ধুটা তখন মাত্র ইন্টার্ন শেষ করেছিল...
ঘটনা-৩
এক বন্ধু বিয়ের চার মাস পর থেকে আর স্ত্রীর কাছে যেতে পারে না। সমস্যা তার ফিলিংস আসেনা। নিয়ে গেলাম। ডাক্তারের কাছে। অধ্যাপক নামক তিনি আটমাস চিকিৎসা করলেন বাট লোকের কোন ফায়দা হয়নি। তার পর পরিচিত এক মেডিসিন এর কাছে। সব বল্লাম। তিনি মুচকি হেসে বললেন উনি আমার স্যার! কিছু বলতে পারলাম না। তিনি একমাসেই সমস্যার সমাধান দিলেন। বন্ধুটার এখন দুইটা বাচ্ছা!
ভাই কেন এমন হয়?
১২ ই নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৩
রিপেনডিল বলেছেন: প্রথমত, সব সমস্যা বলতে আসলে কি বোঝায়। আমি অনেক রোগীকে যখন জিজ্ঞেস করি কি সমস্যা বলুন, তারা শুরু করে, স্যার আমি গরীব মানুষ, মা নাই, বাপ নাই, ছেলে অমুক করে, ভাঙ্গা ঘরে থাকি, ছোটকালে ফুটবল খেলতাম, সারাজীবনে সিগারেট খাইনাই, মাঝে মাঝে পান খাই, ১৫ বছর আগে একদিন বৃষ্টিতে ভিজে জ্বর আসলো...... ইত্যাদি। চেম্বারে কিংবা হাসপাতালের আউটডোরে রোগী দেখার ক্ষেত্রে যে্যটা হয় লাইনে মানুষ থাকে ৫০-১০০ কিংবা তারও বেশি, কোন রোগীর জন্য ৫ মিনিট বেশি সময় ব্যায় করলে অপেক্ষমান রোগীরা অধৈর্য হয়ে চিল্লা ফাল্লা শুরু করে, অনেক সময় অপ্রীতিকর ঘটনা পর্যন্ত ঘটে। তাই আমাদেরকে এত সমস্যার মধ্যে আসল কিছু ব্যাপার আলাদা করে রাখতে হয়। মাথাব্যাথা, গা ব্যাথা, চুল পড়া, ব্রন, ম্যাজ ম্যাজ করে, খাইতে পারি না, পায়খানা হয় না ইত্যাদি অনেক রকম কথার মাঝে আমাদের মূল একটা দুটো ব্যাপার আলাদা করে রোগের দিকে আগাতে হয়। যেসব সমস্যার কথা বললাম এগুলো সব মানুষেরই কম বেশি থাকে, তাই স্পেসিফিক কোনটা সমস্যা যার কারনে এখন ডাক্তারের কাছে আসা হল সেটা বলাই শ্রেয়। আর দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ ডাক্তার যারা তারা রোগীর একটা দুটো উপসর্গ এবং রোগীর বাহ্যিক চেহারা, আচরন, কথা, শরীরের গড়ন ইত্যাদি দেখেই দ্রুত রোগ নির্নয় করে ফেলতে পারেন। তারপরেও আমরা বলি ডাক্তার রা চাইলেও একজন রোগীকে যতটুকু দিতে চান তা দিতে পারেন না। এমনিতেই রোগীর চাপ অনেক অনেক অনেক বেশি, প্রফেসর দের উপরে তো চাপ আরো অনেক বেশি, তারা তাই সময়ও দিতে পারেন অনেক কম। এক্ষেত্রে আমার পরামর্শ হচ্ছে যেকোন সমস্যায় আগে একজন এমবিবিএস ডাক্তারের পরামর্শ নিন, তিনি কোথাও রেফার করলে সেখানে যান আর যদি ইমার্জেন্সী কেস হয় তাহলে হাসপাতালে নিয়ে যান, দেশের সরকারি হাসপাতাল্গুলো বিশেষ করে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল্গুলোতে সরকারি কারনে একটু হয়রানি বেসি হলেও চিকিৎসা সর্বোচ্চ মানের সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।
ঘটনা-১, চুল পড়া সমস্যার জন্য কিসের ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন? খুশকির কারনে অনেক সময় চুল পড়ে, মাথায় ফাঙ্গাল ইনফেকশন হলে পড়ে আর " 'পারিবারিক" কারন তো আছেই, কিছু ওষুধের কারনেও পড়ে। এ ব্যাপারে ভালো পরামর্শ দিতে পারবেন একজন চর্ম রোগ বিশেষজ্ঞ। আর পারিবারিক কোন রোগের কথা বলা হলে ব্যাপারটা শুধু বাবা মায়ের উপরে যায় না, চাচা খালা নানা নানী দাদা দাদী কিংবা আরো পূর্বপুরুষ কারো এই সমস্যা থাকতে পারে, সেখান থেকে বাহক হয়ে আপনার কাছে আসতে পারে।
ঘটনা-২ একটা নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত ব্রণ ওঠা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার, কারো এই সময়টা বেশি কারো কম। ব্রণ অনেক বড় বড় এবং ব্যাথা হলে বুঝতে হবে ইনফেকশন হচ্ছে সেক্ষেত্রে এজিথ্রোমাইসিন ট্যাব্লেট মুখে খেতে হয় এবং ব্রনে এজিথ্রোমাইসিন এর লোশন লাগাতে হয়। এছাড়াও আরো অন্যান্য অনেক চিকিৎসা আছে ব্রণের। তবে একটা ব্যাপার থেকে সাবধান, বড় বড় ক্লিনিক, কিংবা কসমেটিক ক্লিনিক যেসব যায়গায় লেজার এর উপরে প্রায়োরিটি দেয় বেশি সেখানে দেখালেই কোন কোন না অযুহাতে লেজার করার কথা বলবে, এখানে ডাক্তাররা দায়বদ্ধ থাকে এসব ক্লিনিক এর কাছে। আর আবারো বলছি বড় ডাক্তার এর কাছে আগেই যাবেন না, আগে ছোট ডাক্তারের পরামর্শ নিন তারপর তার রেফার অনুযায়ী বড় ডাক্তারের কাছে যান।
ঘটনা-৩, এই সমস্যার জন্য কোন ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন? এ ধরনের সমস্যার সবচেয়ে বড় ওষুধ হল কাউন্সিলিং বা পরামর্শ, আশ্বস্তকরন, অষুধে খুব কমই কাজ হয়। বিয়ের প্রথম দিকে অনেক কারনেই এই সমস্যা হতে পারে, আস্তে আস্তে ব্যাপারটা সহজ হয়ে আসলে সমস্যা কেটে যায়, তাই এসব সমস্যায় নিকটজনেরাই সবচেয়ে ভাল ট্রিটমেন্ট দিতে পারেন। অনেক সময় বড় ডাক্তারের এই সমস্যা নিয়ে গেলে আরো নার্ভাসনেস চলে আসে, তখন সমস্যা আরো প্রলম্বিত হয়। আশা করি বুঝতে পেড়েছেন।
১৯| ১২ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৫৯
শিশুমন বলেছেন: আত্মিক সমর্থন রইলো,
বস মানুষ আপনি,অনেকক্ষন মাথা ঠান্ডা রাখতে পারছেন।আমি হলে পাল্টা গালি দেয়া শুরু করতাম।সেবামূলক ব্যবসায় বলতে ব্লগের মানুষেরা কেবল মোবাইল অপারেটর বুঝে আর ডাক্তার বলতে বুঝে প্রীস্ট।
+
১২ ই নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৪
রিপেনডিল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
২০| ১২ ই নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৪৭
দখিনা বাতাস বলেছেন: @শিশুমন,
গালাগালি করতে মন চাইতেছে কেন? একটু ব্যাখ্যা করবেন নাকি ভাই? বলেন একটু শুনি, তারপর দেখি গালি কয়টা দিতে পারেন আর কয়টা শুনতে পারেন।
১২ ই নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৫
রিপেনডিল বলেছেন: @দখিনা বাতাস, আমার মনে হয় প্রাসঙ্গিক আলোচনায় থাকাটাই ভালো, অকারনে মেজাজ খারাপ করলে কোন সমাধান হয় না।
২১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১:০৫
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
ভাই আমি প্রতিটা সমস্য নিয়ে সেই বিষয়ের স্পেশালিস্টদের কাছেই গেছলাম...
আর আমি আউটডোরে নয় গেসলাম চেম্বারে... আপ্নার সব কথাই পজেটিভলি বুঝলাম... বাট ডাক্তারদের রোগীদের বা তার এটেন্ডেন্স যে কিনা ডাক্তারের সাথে সর্বোচ্চ এটিকেট দেখানোর পরও তুচ্চজ্ঞান করেন সেটা আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারিনা....
একজন কর কর্মকর্তার রেফারেন্স পেয়ে যতটা মনোযোগী হন স্বয়ং প্রেফসরকেও ততটা গুরুত্ব দেন না...
ভাই আমার কাছে গ্রামের অনেক রোগী আসে ডাক্তার দেখাতে... আমার সুখের বা পজেটিভ অভিজ্ঞতাখুব কম... বাজে অভিজ্ঞতা অনেক বেশি... পারত পক্ষে আমি এখন আর পূর্ব পরিচয় নাই এমন ডাক্তারের কাছে যাইনা...
যাক আপ্নার প্রতি বিশ্বাস আছে আপনি কাউকে অযথা হয়রানি করবেন না..অকারনে অপমান করবেন না...
১৩ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৪৩
রিপেনডিল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, অনেক ডাক্তারের ব্যাবহারে আমরাও অনেক সময় হতাশ হই, আমাদের কিছু স্যারেরা আমাদের কাছ থেকেও ভিজিট নেন, তাই বলে সবাই এমন নয়, আমাদের দেশের চিকিৎসাসেবা অনেকটা মাছ বাজারে মাছ কেনার মত, ধৈর্য ধরে নিয়ম মেনে কাজ করলে দু পক্ষই লাভবান হবে, তাই হতাশ হবেন না, ছোট্ট গরিব দেশে ১৬ কোটি মানুষ না থেকে ৬ কোটি থাকলে হয়ত এতটা সমস্যা হত না। আমরা ডাক্তারেরা শোধরানোর চেষ্টাতো করবই সেই সাথে আশা করব রোগীরাও যেন ধৈর্য্য ধরেন এবং অল্পতেই হতাশ না হন, আর আজেবাজে দালালদের খপ্পরে না পড়েন।
২২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৮:১১
মদন বলেছেন: @রুদ্রাক্ষী
আপনি যেমন আপনার অবস্থান থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, আমিও তেমনি আমার পয়েন্ট থেকে তীব্রভাবেই আগের অবস্থানে আছি
এমআর রা ঔষধ দেয় আর ডাক্তাররা এইডা বেচে। ঔষধ হয় স্যাম্পল কিন্ত ডাক্তাররা বেচে টাকা কামায়। যদি গরীব রুগীকে দিতো, কথা ছিলোনা। বিক্রি করে টাকা নেয়া বড়ই কষ্টদায়ক। আমি বলছি না যে সবাই এমন করে। কিন্তু যারা করে তাদের সংখ্যা এতোই বেশি যে যারা এই কাজ করে না তাদের আর চোখেই পড়ে না।
এমআর এবং ঔষধ কোম্পানী থেকে সুবিধাভোগী বড় ডাক্তারের সংখ্যাও বড়ই বেশি। সেদিন শুনে অবাক হলাম এলাকার (রাজশাহীর) একজন নামকরা ডাক্তার বড় ডাক্তার তিনি "কৌটা কোম্পানী" থেকে মাসিক চুক্তিতে টাকা নিয়ে তাদের ঔষধ প্রেস্ক্রাইব করেন।
আবারো বলছি, আপনাদের প্রফেশনের দোষ ধরছি মানেই এই না আপনাদের বিপক্ষে বলছি, আবার যারা দোষ করছে তাদের জন্য পুরো ডাক্তার সমাজকে দোষী করছি। তবে এটাও ঠিক অন্য প্রফেশনের দোষ দেখিয়ে আবার ডাক্তারদের দোষ জায়েজ করবেন না।
পৃথিবীর বুকে মানুষের সবচেয়ে প্রিয় জিনিস হলো তার জীবন। এই জীবনকে মানুষ বিশ্বাস করে একজন ডাক্তারের কাছে ছেড়ে দেয়। সেখানে যদি মানুষ অসততা দেখায় তখন বড়ই বড়ই কষ্ট লাগে।
১৪ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৪৫
রিপেনডিল বলেছেন: @মদন ডাক্তাররা ওষুধ বেচে টাকা কামায়, ভাই ডাক্তারদের এখনো এত বড় দূর্দিন আসে নাই, তবে ইন্টার্নী এবং অনারারী (অনাহারী) আমলে নামমাত্র বেতন কিংবা বিনা বেতনে কাজ করার সময় কেউ কেউ এসব স্যাম্পল বিক্রি করে থাকতে পারে, আর গরীব রোগীদের দেয়া হয় না এটা সম্পূর্ন মিথ্যা, সরকারী হাসপাতালে দেখেছি আলাদা আলমারী থাকে ওষুধ রাখার এবং সেখান থেকে এসব স্যাম্পল গরীব রোগীদের দেয়া হয়, দেশব্যাপী "মেডিসিন ক্লাব" এসব ওষুধ সংগ্রহ করে এবং গরীব রোগীদের হেলথ ক্যাম্প এবং অন্যান্য কার্যক্রম এর মাধ্যমে ওষুধ দেয়, প্রাইভেট প্র্যাকটিসে অনেকেই এসব ওষুধ গরীব রোগীদের দেন এবং এসব ওষুধের একটা বড় অংশ নিজেদের এবং আত্নীয়স্বজন, বন্ধু, জুনিয়র, এদের কাজেও দেয়া হয়। সবশেষ অংশটি বিক্রির জন্য যেতে পারে, এটা হয় কারন কিছু স্যাম্পল কালেক্টর থাকে, তারা নিজে এসে ৫০% দামে এসব ওষুধ নিতে আসে, জুনিয়র লেভেলের কেউ কেউ কিংবা উচ্চ পর্যায়ে অনেকে বোঝা সরাতেও দিয়ে দেন।
নামকরা বড় ডাক্তার যিনি "কৌটা কম্পানি"র ওষুধ লেখেন, ডাক্তারের অবশ্যই স্বাধীনতা আছে তিনি কোন কম্পানির ওষুধ লেখবেন তার উপর, তবে সে জন্য সরাসরি টাকা নেয়াটা অবশ্যই অন্যায় এবং আমার জানা মতে খুব বেশি ডাক্তার এটা করেন না। আর বাজে কম্পানির ওষুধ লিখে কেউ রোগী হারানোর রিস্কটাও সহজে নিতে চাইবে না। বলছি না আপনি সব ডাক্তারকে খারাপ বলছেন তবে এপ্নি একজন এর উদাহরন দিয়ে মাল্টিপ্লাই করে অনেকজন বানাচ্ছেন, এই ব্যাপারটা ঠিক নয়। আমাদের সবার মেন্টালিটি হল নেগেটিভটাকে ফলাও করে প্রচার করা আর পজিটিভটা ঢেকে রাখা, দূর্নাম টা তাই প্রকট হয়ে চোখে পড়ে আর সুনাম অগোচরে থেকে যায়।
২৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:৪০
মদন বলেছেন: ভাই কিছু মনে করবেন না। হয়তো আপনাদের প্রশংসা না করে সমালোচনা করছি বলে ভালো লাগছে না। কিন্তু এই ব্লগে কয়েক হাজার সাধারন সদস্য আছে তাদের কাছে জিজ্ঞেস করে দেখুন তারা ডাক্তারদের উপর সন্তুষ্ট কি না।
ভালো ডাক্তারের সংখ্যা এতোই সীমিত যে তাদের নাম কেউ জানেই না।
সরকারী হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগে পুওর ফান্ড নামক ফান্ডের কথা আমার জানা আছে যেখানে এমআরদের দেয়া ঔষধই নয়, ডাক্তারদের পকেট থেকে দেয়া টাকায় কেনা ঔষধও থাকে। বাড়ি থেকে গরীব রোগির জন্য খাবার নিয়ে যাওয়া ডাক্তারও দেখেছি আবার হার্টবিট কমে যাওয়া মৃতপথযাত্রীকে রোগিকে ফেলে ডেস্কে গিয়ে কাজে বসে যাওয়া ডাক্তারও দেখেছি।
বলছি না আপনি সব ডাক্তারকে খারাপ বলছেন তবে এপ্নি একজন এর উদাহরন দিয়ে মাল্টিপ্লাই করে অনেকজন বানাচ্ছেন, এই ব্যাপারটা ঠিক নয়। একজন নয় ভাই, শত শত ডাক্তারের উদাহরন দেয়া যাবে। আর শুধু এতোটুকু বলছি শুধু শুনে নয় একেবারে কাছে থেকে অনেক কিছু দেখার শোনার জানার অভিজ্ঞতা হয়েছে বলেই এ কথা বলছি, হয়তো মানতে কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা এটাই।
এবিষয়ে আর কথা না বলাই ভালো। আপনার বিশ্বাস আপনার কাছে থাকুক আর আমার জানা অভিজ্ঞতা আমার কাছেই থাকুক। আমার কথা মেনে নিলে দেশের সব ডাক্তারকে আপনি ভালো করতে পারবেন না, আবার আপনার কথা মেনে নিলে সব ডাক্তারের সুনাম সবাই করবে না।
কাজেই শুধু বিতর্কে লাভ নেই।
সবাই ভালো থাকুন।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১১:১৭
রিপেনডিল বলেছেন: দেখুন আমি কিন্তু ডাক্তারদের সুনাম গাওয়ার জন্য এই পোস্ট খুলি নি, আপনি শতশত খারাপ ডাক্তারের উদাহরন দিলে আমি হাজার হাজার ভালো ডাক্তারের উদাহরন দিতে পারব। আপনি যতটা না ডাক্তার এবং রোগী দেখেছেন আমি তারচেয়ে অনেক বেশি দেখেছি একথা নিশ্চয়ই স্বীকার করবেন। আর আপনি নিশ্চয়ই শতশত ডাক্তার দেখান নি। এখন কথা হচ্ছে অনেক ডাক্তার যদি আন্তরিকভাবে কাজ করেই থাকেন তাহলে রোগীর সন্তুষ্টি কেন হচ্ছে না? এর একটাই কারন তা হল ভুল বোঝাবুঝি, ঠিকঠাক নিয়ম না মানা, ধৈর্য্যের অভাব, অবিশ্বাস ইত্যাদি কারনে ডাক্তারেরাও চিকিৎসা করে আনন্দ পান না, রোগীরাও চিকিৎসা নিয়ে আনন্দ পান না। তাই দুপক্ষেও শান্ত থেকে নিয়ম মানতে হবে। আর বেশিরভাগ ডাক্তার খারাপ হলে দেশে ১৬ কোটি মানুষ থাকত না। কিছুদিন আগে ইকোনমিক্স পত্রিকা রিপোর্ট করেছে এদেশে গড় আয়ু ভারত পাকিস্তান থেকে বেশি, শিশু ও মাত্তৃমৃত্যুর হার এই দুই দেশ থেকে অনেক কম, ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া সম্পূর্ন সফল, চিকিৎসা সফলতার হার বেশি। কিন্তু সমস্যা একটাই অনেক অনেক মানুষ আর অনেক কম ডাক্তার, তারো কম কারিগরী ও অন্যান্য চিকিৎসাসেবা, তাই ধৈর্য্য ধরতে হবে, ডাক্তারকে গালি দিলে আপনার রোগ ভালো হবে না, মনে মনে হয়র শান্তি পাবেন, রোগ ভালো হতে হতে বিশ্বাস রেখেই শান্ত ভাবে নির্দেশনা অনুসরন করতে হবে।
২৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১০:০১
?জকির! বলেছেন: আপনার উত্তর গুলো অনেক সুন্দর। এত ঠান্ডা মাথায় উত্তর দিতে কাউকে দেখি নি। সব গুলো পড়িনি, আবার এসে পড়ে যাবো।
আমার কোন অভিযোগ নেই। ভালো হলে ভালো বলি। খারাপ হলে খারাপ বলব। আর কিছু না।
অল্প কয়েকদিন বেচে থাকব, অভিযোগ করতে করতে সময় গুলো নষ্ট করতে চাই না। তার চেয়ে যেভাবে পরিবেশ চালায় সেভাবেই চলি। আর সেভাবে চলে গেলেই হবে
১৯ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ১২:০৯
রিপেনডিল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আসলে পরস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ থাকলেই কোন ভুলবোঝাবুঝি আর দ্বন্দের সৃষ্টি হয় না। শুভ কামনা রইল।
২৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৩২
র্বষারানী বলেছেন: অসম্ভব ভালো লাগল আপনার পোস্ট এবং কমেন্ট পড়ে, চালিয়ে যান...একশ জন না বুঝুক অন্তত ত্রিশ জন তো আমাদের বুঝবে...
১৯ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১০
রিপেনডিল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
২৬| ২০ শে নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৩৪
িরািমষ বলেছেন: সুন্দর পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
একজন সাবেক এম আর হিসেবে জানি , স্যাম্পল না নিলে বা দিলে নতুন প্রোডাক্ট সম্পর্কে কিভাবে ডাক্তার জানবে ? কেননা স্যাম্পলের সাথে সাথে তথ্য ও দেয়া হয় । স্যাম্পল ডাক্তার বিক্রি করবে না দান করবে তা তার বিষয় । তবে কিছু ডাক্তার আছে য়ারা ওষধ কমাপানির থেকে চুক্তি ভুক্ত হয়।সান্তাহার এর মত জায়গায় ১৪ জন চুক্তি ভুক্ত ডাক্তার আছে ১ যেটাতে আমি ছিলাম ।
তবে আশার কথা , তরুন ডাক্তাররা বেশিরভাগ এসকল অভিযোগ থেকে অনেকটা মুক্ত ।
আর সব পেশাতেই ভাল খারাপ আছে ,থাকবেও ।
২১ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৩৮
রিপেনডিল বলেছেন: নির্দিষ্ট চুক্তিভুক্ত হওয়া অবশ্যই নিন্দনীয়, তবে সংখ্যাটা কমে আসছে, আর নতুন ডাক্তারদের পোস্ট এর মান অনুযায়ী বেতন ও সম্মান এর নিশ্চয়তা এবং অনারারী ডাক্তারদের নির্দিষ্ট অনারিয়াম এর আওয়াভুক্ত করলে এ ধরনের সমস্যা আরো অনেকাংশে কমে যাবে।
২৭| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ১:৫৭
মনে নাই বলেছেন: @মদন, আপনি যে ১০,০০০ টাকার কথা বললেন সেটার আদৌ কোন ভিত্তি আছে বলে মনে হয়না।
@লেখক: আপনার জবাবগুলো বেশ ভালো লেগেছে, দোয়া করি দেশের সকল ডাক্তাররা যেন আপনার মত সেবার ব্রত নিয়ে এগিয়ে আসে।
আমার পরিচিত একই পরিবারের ২ জন গাইনী ডাক্তার আছেন, একজন সপ্তাহে একদিন তার কর্মস্থলে যান, বাকীসময় সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। খুব একটা বিপদে না পড়লে কারোর উপকার করেন না, আত্নীয়-স্বজন কেউ তার কাছে গেলে অন্য কোন ডাক্তারের রেফারেন্স দিয়ে বিদায় করে দেন।
আরেকজন, দাতা হাতেম, সপ্তাহে ৭ দিনের বেশী ডিউটি করেন, বেশী ভালো বলে কলিগরা নিয়মিত ছুটি উপভোগ করলেও উনি ছুটি পান না। প্রাইভেট প্রাকটিসের সময় ১০ জনের মধ্যে ৬ জন ফ্রি দেখেন, ফ্রি ওয়ালাদের ঔষধ কেনার টাকা নাই বলে ফ্রি স্যাম্পল, নিজের যাকাতের টাকা, ফ্রি ডেলিভারী কেইস, প্রাইভেট চ্যাম্বারের বিশেষ সুবিধা নিয়ে চিকিতসা দেন। আত্নীয়-স্বজন বা পরিচিত কেউ আসলে পুরাটাই হাসিমুখে ফ্রি। আশ্চর্যের ব্যাপার কি জানেন- তার কোন অভাব নাই, মানুষের ভালোবাসায় আর্থিকভাবেও অনেক স্বচ্ছল।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ৮:২২
রিপেনডিল বলেছেন: এ ধরনের উদাহরন অনেক আছে। তবে আমার মনে হয় মেয়ে ডাক্তারদের ক্ষেত্রে ডাক্তার ছেলে ছাড়া বিয়ে করা উচিত না। অন্য পেশার হলে সাধারনত ডিউটি এর প্রেসার বুঝতে পারে না, সংসারে ঝামেলা বাড়ে। কর্মস্থলে কাজ করার সুস্থ পরিবেশ এবং সবার মন মানসিকতা ভালো থাকলে সেবা এমনিতেই চলে আসে, আমরা এক পেশার লোক অন্য পেশার কাউকে সম্মান দিতে জানিনা বিশেষ করে সাংবাদিকেরা, কাজটা করলে সব পক্ষই লাভবান হত।
২৮| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৪৭
আদৃতা হাসান বলেছেন: আপনার উদ্যোগটা ভাল লাগলো।
আমার ও একটা প্রশ্ন ছিলো। এখন যে গনহারে সি-সেকশন করা হয় এর কারন কি বলতে পারেন। আশেপাশে যতজনকে দেখলাম, নরমাল ডেলিভারি হবার সময়ও কাউকে দেয়া হয়না, আগে থেকেই ডেট ঠিক করা থাকে। জটিলতা হবার আশংকা থাকলে সি-সেকশন করা ঠিক আছে, কিন্তু ৯৯% দেখি সব কিছু স্বাভাবিক, তারপরেও করা হয়। হ্য়তো বলবেন আমি তো আর ডাক্তার না, সব ঠিক আছে আমি কি করে বুঝলাম। কিছুটা হলেও তো বোঝা যায় এক্ষেত্রে।
সবচেয়ে খারাপ লাগে যখন এমন পরিবার দেখি যাদের জন্য এই টাকাটা খরচ করা অনেক কষ্ট, তারপরেও বাধ্য হয়েই করতে হয়।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫১
রিপেনডিল বলেছেন: স্বীকার করছি এই খাতে এখনো অনেক সমস্যা আছে। তবে এই কাজটা ক্লিনিকগুলোতে বেশি হয়। সরকারি হাসপাতালে গেলে দেখবেন বেশিরভাগ নরমাল ডেলিভারি হচ্ছে। আর ক্লিনিকে যাবার সামর্থ্য যাদের থাকে সে সব ফ্যামিলির ক্ষেত্রে অন্য কোন শারীরিক সমস্যা না থাকলেও অনেকে ব্যাথা এড়াতে কিংবা কসমেটিক পারপাসে অথবা বাচ্চার জন্মকালীন ঝুকি এড়াতে এই সিদ্ধান্ত নেন রোগী নিজেই অথবা রোগীর পরিবার। যাদের আর্থিক সমস্যা আছে তাই তাদের অবশ্যই সরকারি হাসপাতাল কিংবা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়া উচিত, বাংলাদেশে অন্য সব সেক্ট্রর এর তুলনায় মা ও শিশু চিকিৎসা ক্ষেত্রে কাজ হয় অনেক অনেক বেশি, তাই আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলো এর তুলনায় শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার অনেক অনেক কম, এই ব্যাপারে আমাদের আন্তর্জাতিক পুরষ্কার ও আছে।
২৯| ২৯ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:২৫
দিগন্ত রবি বলেছেন: Thank you via, I have read all.
০৯ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:১৮
রিপেনডিল বলেছেন: ওয়েলকাম
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১:০১
শাকালাকা বুম বলেছেন: amar ekta ques!!
onek Dr k e dekhi kichu ekta hole e samnno tanda,jore antibiotik diye dei...........keno?