নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রিপেনডিলের ব্লগ

কাঁচাপাকা রাস্তার ঠিক মাঝামাঝি, সাইকেলে বসে ছিল নৌকার মাঝি।

রিপেনডিল

ফেবু লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/propen লেখকের অনুমতি ব্যতীত এই ব্লগের কোন লেখা অন্য কোথাও ব্যবহার করবেন না।

রিপেনডিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুই পোয়া পানির গল্প এবং আমাদের "বাংলা"দেশ

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫

বাংলাদেশ, বাংলাভাষা, পূর্ববাংলা, 'বাংলা, বিহার উড়িষ্যা', সোনার বাংলা ....... অংকের নিয়মে এই শব্দগুলো থেকে কমন নিলে কি থাকে দেখেন তো? উত্তর আসবে বাংলা। স্বাধীনতারও অনেক অনেক আগে থেকেই এই অঞ্চলের মানুষ একটা জিনিস দিয়েই আলাদা ভাবে পরিচিত হত সেটা হল বাংলা ভাষা। আমরা এখন "বাংলা"দেশী হয়েছি, চলুন তবে একজন বাংলাদেশীর গল্প শোনাই।



গল্পটা আমার একজন সিনিয়র কলিগ ডাক্তার এর মুখে শোনা।



ঘটনা ২০১২ সালের। রোগী ডায়রিয়া আক্রান্ত একটি বাচ্চা, তার মা তাকে নিয়ে এসেছে শিশু বিশেষজ্ঞের কাছে। ডাক্তার বাচ্চার পানিশুন্যতার পরিমান দেখে মা কে বললেন আপনার বাচ্চাকে খাওয়ার স্যালাইন খাওয়াতে থাকেন, সরাসরি রক্তে স্যালাইন দেবার প্রয়োজন নেই। বাজারে ওরস্যালাইন নামে পাওয়া যাবে, প্যাকেটের গায়ে নিয়মাবলী লেখা আছে কিভাবে বানাতে হবে সেভাবে বানিয়ে ১৫-২০ মিনিট পর পর চামুচে করে একটু করে খাওয়াবেন। খুশি মনে বাচ্চা নিয়ে চলে গেল রোগীর মা।



পরদিন আবার ফোন আসল ঐ শিশু বিশেষজ্ঞের কাছে। রোগীর মা ফোন দিয়েছে, কান্নায় ভেঙ্গে পড়ছে, তার বাচ্চার নাকি অবস্থা খারাপ দ্রুত বাসায় যেয়ে দেখে আসতে হবে। তো ঐ চিকিতসক গেলেন দেখতে, যেয়ে দেখেন বাচ্চার পানিশূন্যতা ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। ডাক্তার বাচ্চার মা কে জিজ্ঞেস করলেন বাচ্চাকে স্যালাইন খাওয়ান নি? বাচ্চার মা নিরুত্তর। কয়েকবার জিজ্ঞেস করার পর সে উত্তর দিল, স্যালাইন বানানোর নিয়ম সে বুঝতে পারে নি। কারন প্যাকেটের গায়ে লেখা ছিল এক প্যাকেট স্যালাইন দু পোয়া পানিতে গুলাতে হবে, সে বুঝতে পারে নি দুই পোয়া কি এবং ব্যাপারটি সে কাউকে জিজ্ঞেস করতে পারেনি তার অজ্ঞতা ধরা পড়ে যাবার ভয়ে! তাই প্রায় ২৪ ঘন্টা সে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত বাচ্চাকে স্যালাইন খাওয়ায় নি! চিকিৎসক খোজ নিয়ে জানতে পারলেন বাচ্চার মা একজন এয়ার হোস্টেস, তিনি ছোটবেলা থেকেই ইংরেজী মাধ্যম স্কুলে পড়াশুনা করেছেন আর এয়ারহোস্টেস হবার কারনে দেশের ভেতেরে বাইরে যাওয়া আসার মধ্যেই থেকেছেন। তো এই হল আমাদের বাংলাদেশের অবস্থা।



আমরা পোয়া, ছটাক, তোলা ইত্যাদি জানিনা, জানি সিসি এমএল লিটার। আমরা জানিনা "প্রতিবেদন" কি? আমার জনৈকা সহপাঠীকে কি এক প্রসঙ্গে প্রতিবেদন কি বোঝাতে গেলে সে প্রশ্ন করে বসে প্রতিবেদন মানে কি? আমি তখন বললাম রিপোর্ট! অর্থাৎ আমরা বাংলা শিখছি ইংরেজী শব্দ দিয়ে, বাংলা শব্দের মানে খুজছি ইংরেজী শব্দে!



খুব বেশি অবাক হব না যদি কোন দিন নতুন প্রজন্মের কেউ প্রশ্ন করে বসে, "হোয়াট ইজ বাংলা?! আই ডোন্ট আন্ডারস্ট্যান্ড!"

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩০

এস এইচ খান বলেছেন: :( :( :(

২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৯

কালোপরী বলেছেন: :(

৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৯

ফারজানা শিরিন বলেছেন: B:-) B:-) B:-)

৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০২

তিক্তভাষী বলেছেন: এই নাকি অবস্থা? :(

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৩

রিপেনডিল বলেছেন: অবস্থা আরো অনেক ভয়াবহ, এটা তো খুব ছোট্ট একটি উদাহরন। আপনার আশেপাশে তাকালে এমন আরো অনেক কিছুই খুজে পাবেন।

৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২০

তারান্নুম বলেছেন: :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.