![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক ছোট্ট ছেলে সারাজীবন এভাবেই ছোট থাকতে চাই! এখন থেকেই ছোট ছোট স্বপ্ন নিয়ে আমার ছোট্ট বুকটা বেঁধেছিলাম কিন্তু স্বপ্ন দেখলেইযে তা বাস্তব হবে এমনতো কোনো কথা নেই..!!! স্বপ্ন পুরনের সুযোগ আল্লাহতো আমাকে নাও দিতে পারে..!!! হুমম.... আমার জীবনটা এমনই... শুধু স্বপ্নই দেখতে শিখেছি,পুরন করতে নই.! দুনিয়াইতো আর দুঃখি মানুষের অভাব নাই! আমিও হয়তো তাদেরই একজন! এরপরও ভালোই আছি.. .. কারণ কিছু ভালো বন্ধু এখনও আমার পাশে আছে.! ওদের জন্যই সব দুঃখ ভুলে এখনও প্রাণ খুলে হাসতে পারি! স্বপ্ন দেখি সুখী মানুষ হওয়া
বই: #সংবিৎ
লেখক: Jakaria Masud.
শারঈ সম্পাদক : শাইখ মুফতি Harun Izhar (হাফিযাহুল্লাহ)
পৃষ্ঠা: ২১৬
প্রকাশনী: সমর্পণ প্রকাশন।
প্রচ্ছদ মূল্য: ৩০০ টাকা।
বই সম্পর্কে রিভিউ লেখার সৌভাগ্য হবে সেটা আমার মত অধম কখনো কল্পনা না করাটাই স্বাভাবিক। যেহেতু প্রিয় লেখক, প্রিয় ভাইয়ার প্রথম লেখা বই 'সংবিৎ', তাই লেখকের প্রতি তিব্র ভালবাসা ও আমার ঠুনকো আবেগ এবং যথার্থ বিবেচনা করেই রিভিউটি লিখলাম।
#সংবিৎ #ও_আমার_জীবণ: তখন সবে ৩য় শ্রেণীতে আমি। যত্তদূর মনে পড়ে, আমার মা একদিন ভোরে ঘুমথেকে ডেকে মাদ্রাসায় পাঠালেন। মসজিদের ঈমাম প্রতিদিন ফজর এর সালাত শেষে, এলাকার ছোট ও মাঝারি ছেলে মেয়েদের আরবি শেখাতেন। আমি ও খুব সাচ্ছন্দে যেতাম শিখতে। প্রথম দিন আমাকে দেখে ঈমাম সাহেব তার সামনের ছোট্ট একটি বেঞ্চে আমাকে খুব আদরের সাথে বসতে বলেন। মাথায় টুপি, পরনে একটি পাঞ্জাবি ছিলো আমার। একই এলাকার সবাই, তাই পরিচিত পরিবেশে খুব অল্পেই মানিয়ে নিয়েছিলাম নিজেকে। ঈমাম সাহেব সেদিন আমাকে প্রশ্ন করেছিলেন, তুমি সালাত আদায় করতে পারো তো ? আমি লজ্জায় মাথা নাড়িয়ে বললাম, তবে শিখিয়ে দিন, কিভাবে সালাত আদায় করতে হয়। ঈমাম সাহেব খুব আগ্রহের সাথে প্রথম দিনে আমাকে নামাজের জন্যে প্রয়োজনিয় সবকিছু সম্পর্কে ধারনা দিলেন। পূর্বে অবশ্য আমার বাবা ও মায়ের কাছে অনেকটা শিখে ফেলেছিলাম সালাত আদায়ের নিয়ম-কানুণগুলো। তাই খুব দ্রুতই রপ্ত করেছিলাম, কিভাবে সঠিক নিয়মে সালাত আদায় করতে হয়। আর ঐদিন যোহর থেকেই সালাত আদায় করা শুরু করি। তারপড় থেকে ২০১৩ এর রমজান পর্যন্ত নামাজ কাজা হয়নি আমার। আর ঐ বছর রমজানে ৩টি রোজা রেখেছিলাম। ৪র্থ শ্রেণীতে আল্লাহর রহমতে যা ৩০টি তে রুপান্তর করলাম। এরপর, ২০১২ সাল পর্যন্ত একটানা পূনাঙ্গ রোজা রেখেছি। ২০১৩ সালে এক দ্বীনি ভাই এর স্ত্রী কে রক্ত দিতে গিয়ে দু'টি রোজা রাখতে পারিনি। আর সেই থেকে শয়তান আমার ঘাড়ে চাপা শুরু করে। ২০১৩ এর শেষে সালাত একেবারে ছেড়ে দেই। পরবর্ততে শুধুই রমজানে সালাত আদায় করতাম। রোজা রাখতাম খুবই কম। কারণ ছিলো পারিবারিক দিক থেকে অশান্তি, ssc তে জিপিয়ে ৫ পেয়েও সরকারি পলিটেকনিক এ সুযোগ না পাওয়ার তিব্র হতাশা, আর ফেইজবুক ও বিভিন্ন ব্লগ ব্রাউজ করে, কিছু মুক্তমনা লেখকদের অনুসর করা। এইভাবে শয়তানের ধোকায় অন্ধকারে ছিলাম ২০১৩ এর শেষ থেকে, ২০১৭ রমজানের দু মাস পূর্ব পর্যন্ত। একদিন আমার বাল্যবন্ধুর সাথে একটি কবির লাইন নিয়ে অনেক যুক্তিতর্ক হয়। ঐদিন বন্ধু আমাকে বুঝিয়ে দিলো আমি নাস্তিকতার দলে নাম লিখিয়ে ফেলেছি মনের অগচরেই। আর ঐদিন রাতেই আল্লাহ আমাকে সত্যের আলো দেখান। হেদায়েত দান করেন। আর ততদিনে আরিফ আজাদ ভাইএর লেখা 'প্যারাডেক্সিক্যাল সাজিদ' প্রকাশ পেয়েছিল। বইটা পরদিন বন্ধু আমাকে পড়ার জন্যে দিলো। বইটি পড়ে নিজের প্রতি তিব্র ঘৃনা জন্মাল। আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইলাম, ক্ষমা প্রর্থাণা করলাম। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ আমাকে পছন্দ করলেন। ফেইজবুকে দ্বীনি ভাইদের লেখা পড়া ও দ্বীনি পথে চলা শুরু হলো আমার। তখন পরিচয় হয় জাকারিয়া মাসুদ ভাইয়ার সাথে। আমি ফিজিক্স, মেথমেটিক্স ও রসায়নের খুব ভাল ছাত্র বলে জাকারিয়া মাসুদ ভাই এর বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা আমার কাছে ভাললাগা শুরু করে। আর এই ভাললাগা থেকেই জাকারিয়া মাসুদ ভাইয়ার ফারিস সিরিজের প্রথম বই 'সংবিৎ' এর সাথে আমার ভালবাসার বন্ধন তৈরি হয়। (আমার সম্পর্কে সংক্ষেপে লিখতে চেয়েছিলাম কিন্তু একটু বড় হয়ে গেলো বলে ক্ষমা চাইছি।)
এবার বই সর্ম্পকে:
#সংবিৎ #এর_Forent_Page: যেদিন প্রথম জাকারিয়া মাসুদ ভাইয়ার ID-তে 'সংবিৎ' এর কাভার ফটো দেখলাম, ঐদিনই আবার নূতন করে বইটির প্রেমে পড়ে গেলাম। খুবই চমৎকার লেগেছে কাভার পেজটি। তাই ঐদিন থেকেই প্রফাইল পিক হিসাবে সেট করে দিলাম।
©somewhere in net ltd.