উত্তরের ঘরটা না-হয় আপনার জন্যেই ফাঁকা রইল।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:১৬

ছবি: নেট।

ক্লাস ও পরীক্ষার ব্যস্ততায় দুপুরে যে খাইনি, সে কথা ভুলেই গিয়েছিলাম। সন্ধেবেলায় পেটের আন্দোলন শুনে বুঝলাম, দুপুরে খাওয়া হয়নি৷ পেট বিদ্রোহ করেছে। সাথে সাথে বিদ্রোহ করেছে চোখ ও মাথা। চোখে সরষে ফুল দেখছিলাম। আর মাথা ঘুরাচ্ছিল। খাওয়ার জন্যে যে বাইরে বের হবো, সে শক্তিটাও যেন ক্ষণিকের জন্যে হারিয়ে ফেলেছিলাম। বুঝিয়ে শরীরকে রাজি করালাম কোনোমতে।
.
রাস্তায় বেরিয়ে একটি প্রশ্ন আমার অন্তরকে নাড়া দিল। শুধু একবেলা খাইনি বলে পথচলার শক্তিটাও হারিয়ে ফেলেছি। চোখে-মুখে সরষে ফুল দেখছি। আর সাহাবিরা! তাঁরা তো একটু খেজুর আর এক পেয়ালা পানি খেয়ে দিনের পর দিন কাটিয়েছেন। কখনো-বা গাছের পাতা খেয়ে থেকেছেন। পাতা খেতে খেতে চোয়ালে ঘা হয়ে গেছে। পায়খানা হয়ে গেছে বকরির পায়খানার মতো। কিন্তু তারা তো দমে যাননি। চোখে সরষে ফুল দেখেননি। বরং যুদ্ধের ময়দানে অবতীর্ণ হয়ে একেকজন বীরের মতো লড়াই করেছেন। শত্রুর ব্যূহ ভেদ করে বীরদর্পে সামনে এগিয়ে গেছেন। এমনভাবে লড়াই করেছেন, যেন প্রত্যেকেই একেকটা ব্যাটালিয়ান।
.
এত শক্তি তাঁরা কোথায় পেয়েছেন? যেখানে আমরা একবেলা না খেলে কাহিল হয়ে যাই, সেখানে তারা দিনের পর দিন সাওম রেখে কীভাবে লড়াই করেছেন? তাঁরা তো শুকনো রুটি, একটু যব আর এক গ্লাস পানি খেয়েই ময়দানে লড়েছেন, না কি? তবে কেন চোখে সরষে ফুল দেখেননি, রণে ভঙ্গ দেননি, দুর্বল হয়ে যাননি? শত্রুবাহিনীর মতো তাঁদের তো ভারী অস্ত্রসস্ত্রও ছিল না! ছিল না সৈনিকের ছড়াছড়ি! তবে কীসের বলে তাঁরা কালিমার পতাকা সুদূর আরব থেকে আফ্রিকা পর্যন্ত ছড়িয়ে দিয়েছেন? কীসের জন্যে রোমান-পারস্যের মতো দাপুটে সাম্রাজ্যগুলোও তাঁদের সামনে মাথা নত করেছে, রুস্তমের মতো বীর লেজ গুটিয়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে?
-------------------------------------------------
.
উত্তরের ঘরটা না-হয় আপনার জন্যেই ফাঁকা রইল।

see facebook post: https://web.facebook.com/JakariaMasudOfficial/posts/571160346672297

০ টি +০/-০