নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Onim

Onim › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার পর্ণবেলা

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪

পোস্টের শুরুতেই কিছু

কথা বলে নেয়া ভাল । অবশ্যই

এটা একটা ১৮ পোস্ট । এবং এই

পোস্টে যা আছে তা একটা বয়সে সবার

ক্ষেত্রেই ঘটে থাকে ।

সো ব্যাপারটা কেউ অন্যভাবে নেবেন

না

"

"

"

"

"

১ম অভিজ্ঞতা , ছোট পর্ণ কার্ড দেখাঃ

এখনও মনে আছে । সেই ক্লাশ সেভেনের

কথা । তখন বন্ধুদের

কাছে ছেলে মেয়ে সম্পর্ক নিয়ে কিছু

কিছু শুনি । কিন্তু যাই শুনি কিছুই

বিশ্বাস করতাম না । আমার মনে হত নাহ

এটা হতেই পারে না । মানুষ এত খারাপ

হতেই পারেনা । আর বন্ধুরা খেপে যেত

এই কথা শুনে । ওরা আমাকে বিশ্বাস

করিয়েই ছাড়বে । যেই ভাবা সেই কাজ ।

পরদিন এক বন্ধু(আমাদের ক্লাশের

সবচেয়ে দূরন্ত ও দুষ্ট ছেলে) নিয়ে এল

মোক্ষম সেই জিনিস ।

গুণে গুণে তিনটা কার্ড । আমরা সবাই

কিছুটা উত্তেজিত । কখন দেখব কখন

দেখব । আমাদের আর তর সইছে না ।

৪৫মিনিটের ক্লাশ যেন আর শেষ হতেই

চায় না । ক্লাশেও কারও মন বসে না ।

সবার তখন একটাই চিন্তা কি থাকবে ওই

কার্ডে । অবশেষে এল সেই মোক্ষম সময় ।

ক্লাশের পেছনের বেঞ্চে গিয়ে সবাই

বসলাম । এবং ভাগ্য আমাদের এতই ভাল

এই ক্লাশটা অফ । স্যার আসেনি ।

ছাত্ররা যেন গ্যাঞ্জাম না করে এই জন্য

ক্লাশ ক্যাপ্টেন সামনে দাঁড়িয়ে নাম

লিখতে শুরু করল । কিন্তু কিসের কি ।

আমরা তখন কার্ড দেখার চিন্তায়

বিভোর । এরপর তন্ময় বের করল সেই

জিনিস । আরে জিনিসও একখান ।

আগে কখনওই দেখি নাই ।

বাপরে সে কি স্ট্যাইল । ৭ জন পোলাপান

আমরা তিনটা কার্ড ।

টানাটানি হুড়োহুড়ি । তবুও দেখার স্বাদ

মেটেনা । এদিকে ক্লাশে এমন

গ্যাদারিং দেখে ক্লাশ ক্যাপ্টেন অনিক

এগিয়ে ঘটনা কি দেখতে । অতি ভদ্র

অনিক কার্ড দেখে দুই

হাতে মুখে দিয়ে বলে উঠল " হায় আল্লাহ

তোমরা এইসব কি দেখ "

ভয়াবহতম দ্বিতীয় ঘটনাঃ তখন ক্লাশ

এইটে উঠছি ।

যাকে বলে পুরোপুরি উন্মাদ আমরা ।

কার্ড ছাড়া চলছেই না । কয়েকবন্ধু

মিলে দরকার হলে কার্ড কিনতাম , তবুও

নতুন নতুন কার্ড দেখা চাইই চাই ।

এভাবে ২০ টার মত কার্ড জমিয়েছিলাম

। ঘুমানোর আগে কিছুক্ষণ দেখে বিছানার

নিচে রেখে ঘুমাতাম । ভালই কাটছিল

দিনগুলো । এরপর একদিন আব্বু

আমাকে বলল " তোষক

উঠিয়ে ছাদে যাওয়ার সময় তোমার

বিছানায় কিছু কার্ড পেয়েছিলাম ,

আমি সেগুলো ফেলে দিয়েছি ,

খুজে খুজে আবার হয়রান হইয়ো না "

কার্ড নিয়ে বিচ্চিন্ন কয়েকটা মজার

ঘটনাঃ তখনও কার্ডই আমাদের

কাছে সেরা পর্ণ । যার কাছেই

একটা কার্ড আছে সেই মুটামুটি সকলের

কাছে কাংখিত মানুষ । কিন্তু

এভাবে সকলের

কাছে চেয়ে চেয়ে দেখতে আর ভাল

লাগছে না । এবার আমার এক বন্ধু প্ল্যান

করল ও নিজেই কয়েকটা কার্ড কিনবে ।

আর পুরো শহরে বুড়ো চাচার দোকান

ছাড়া আর কোথাও কার্ড পাওয়া যায়

কিনা কেউই জানি না । তো একদিন স্কুল

ছুটির পর আমি আর আমার বন্ধু গেলাম

সেই দোকানে । একটা সিনেমা হলের

পাশেই ছিল দোকানটা । আর ওইসময়ের

সিনেমার কথা কি বলব । এক টিকিটে দুই

মুভি । তাই ওই এলাকায় গেলেই

কিছুটা ভয় লাগত । কেউ

যদি দেখে ফেলে । বুকটা দুরু দুরু করছে ।

দুরু দুরু বুক নিয়ে ঢুকলাম দোকানে ।

হাতে নিয়ে কার্ড পছন্দ

করছি(আসলে দেখতেছি ,

সবগুলো তো কেনা সম্ভব না) । হঠাত স্কুল

পুড়ুয়া আমাদের বয়সি দুইটা মেয়ে এল ।

ইস লজ্জায় আমরা শেষ । যাই হোক

মেয়ে দুটো দোকানে ঢোকার পর

বুড়ো চাচা আমাদের

বেরিয়ে যেতে বললেন । রাগ

যা লেগেছিল না । শালা মেয়েদের

এখনও লুল হয়ে যায় । আমরা দোকানের

বাইরে দাঁড়িয়ে আছি । মেয়ে দুটো কার্ড

দেখছে । হঠাত একটা মেয়ে বলে উঠল

"দেখ এই মেয়েটা বুবস

আমারটা থেকে কয়েকগুণ বড় হবে , বলেই

খিল খিল হাসি "

আরেকদিনের ঘটনা । এবার পরীক্ষার

হলে । পরীক্ষার দিন আমাদের

পাশে ক্লাশ নাইনের সিট পরেছে । বড়

ভাইরা পরীক্ষা দিচ্ছে । হঠাত আমাদের

স্কুলের সবচেয়ে লুল মার্কা স্যার

সাইদুর স্যারের চোখ পড়ল এক বড়

ভাইয়ের মানিব্যাগের দিকে ।

ব্যাগটা ফুলে প্রায় ঢোল । স্যার

ব্যাগটা চেয়ে নিজের কাছে নিয়ে আপন

মনে সব কাজ টাকা বের

করে দেখতে লাগল । এর

মধ্যে বেড়িয়ে পড়ল সেই জিনিস ।

স্যারের চোখ তো আর সরে না ।

গুণে গুণে ৫২ টা কার্ড স্যার অনেক সময়

নিয়ে দেখলেন আর হাসলেন । বড় ভাই

তো লজ্জায় মাথা নিচু করে আছে ।

বেচারা কিছু লিখতেও পারছে না ।

অবশ্য স্যার ভাল মত

কার্ডগুলো ব্যাগে ভরে আবার ফেরত দিল

। আর দেয়ার সময় বলল " এত বড় হইছছ

এখনও কার্ড দেখস কেন "

এটাও আমাদের ক্লাশরুমের ঘটনা ।

আমরা ছিলাম মর্নিং শিফট । তাই

ডে শফটের ছাত্রদের অনেক কর্মকান্ডই

আমাদের ক্লাশে থেকে যেত ।

প্রতিদিনের মত সেদিনই

যথারীতি বসেছি ক্লাশের মাঝখানের

বেঞ্চে । বন্ধু মামুন হঠাত করেই

বেঞ্চের নিচে পেয়ে গেল একটা কার্ড ।

সবাই সেটা দেখার জন্য হুড়োহুড়ি শুরু

করল । কার্ড ঘুরতে লাগল এক হাত

থেকে আরেক হাতে । কিন্তু

সবচেয়ে দূর্ভাগা ছিল সজীব ।

বেচারা যেই কার্ড

হাতে নিয়ে দেখতে লাগল । হঠাত

স্যারের হুঙ্কার । তোর হাতে কি ?

পড়বি তো একেবারে মালির হাতে ।

স্যার ছিলেন আমাদের আরবী স্যার ।

কার্ডটা হাতে নিয়েই স্যারের হুঙ্কার

"নালায়েক , জানোয়ার ক্লাশের

মধ্যে এসব কি " বলেই পেটাতে লাগল

বেচারাকে

মন্তব্য ২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১৫

অতুল মিত্র বলেছেন:
মনে পরে গেল পুরোন সেই দিনের কথা ।

আমি ডাইরেক্ট ইন্টারনেটে দেখি। এক সময় HD কালেকশন করতাম।

যাই হোক , এগুলা ছাই পাশ আর কত ?

২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০০

Onim বলেছেন: dhur egular boyos to ekhon par hoye gese

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.