নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন দেখতে, জীবন লেখতে.।

তবু ফিরে যায়, বাঁচার আশায় ডানা ঝাপটায় পাখি...তুমি-আমি লড়ি বাঁচার আশায় বিনিদ্র জাগে আঁখি.....

অন্যনায়ক

পরে দিমুনে !!!

অন্যনায়ক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আলী ও নিনো: আজারবাইজানের আর্তনাদ

০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৩

শীতের শর্বরীর বরফঠাণ্ডা করে তোলে অনুভূতি। ভোঁতা স্নায়ুতে টক্কর খায় স্মৃতির ঝগড়াটে প্রেম। কত অল্পে সংকীর্ণ হই আমরা। ব্যাথা দেই প্রিয়জনের মনে। অল্প আলোয় স্বল্প হয় উদারতা। তবু কি ভালোবাসা মরে যায় ! বেহায়া দিল ক্রমশ বিরহের করতাল নিয়ে বাউল হয় খিল ধরা মস্তিষ্কে।



এরমাঝে হাজির কুরবান সাঈদ, যিনি রক্তস্নাত কলমে লিখেছেন আজারবাইজানের আর্তনাদ। তারই বিখ্যাত উপন্যাস অবলম্বনে ছায়াছবি ‘আলী এন্ড নিনো’। প্রাচীন ল্যাটিন প্রবাদে আছে ‘হ্যাবেন্ত সুয়া ফাতা লিবেল্লী’ অর্থাৎ প্রত্যেক বইয়ের নিজস্ব নিয়তি আছে। প্রায়শই মনে হয় ‘আলী-নিনো’র জন্যই যেন প্রবাদের সৃষ্টি।


একটা অস্থির সময়ের পাংশুটে পটভূমি। সেই ১৯১৪ সাল; প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রাক্কালে। যখন শতাধিক জাতির দিকপাল ছিলেন রাশিয়ার সম্রাট। আজারবাইজানের পাহাড়, ঘোলাটে আকাশ, ভেড়ার পাল বিস্তীর্ণ ময়দান ছাপিয়ে যেখানে চোখে পড়ে এক জর্জিয় খ্রিস্টান তরুণী নিনো কিপিয়ানির সাথে স্থানীয় মুসলিম যুবকে আলীর অনুরাগ। যে অনুরাগের কোন বর্ণনা হয় না। শুধু মুগ্ধ হতে হয় আর সেই মুগ্ধতাকে স্তব্ধ করে নিরেট বাধা।



প্রেমের মেহফিলে সবাই সমান। তবু সেখানে আজনবী হয়ে ধরা দেয় ধর্ম দেয়াল। সময়ও সর্বগ্রাসী... শুরু হয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা। যেখানে যুদ্ধের ছোবলে রিক্ত মহাদেশ। সেখানে প্রেম এক মরিচীকা ওয়েসিস। তবু আলী যুদ্ধ করে যায়। দেশ মোড়ল প্রতিবেশীর পদতলে। সেখানে স্বাধীনতা সবচেয়ে প্রিয় আভা। ২৪ বছর বয়সে যুদ্ধে প্রাণ হারান আলি খান। আজারবাইজান স্বাধীনতা হারিয়ে করায়ত্ত হয় সোভিয়েত ইউনিয়নের। উনবিংশ শতাব্দীর শেষ দশকে আজারবাইজান ফিরে পায় অপহৃত আজাদী। কিন্ত সন্তান নিয়ে ফ্রান্সের পাঁরিতে পালানো নিনো আর কোনদিন বাকুতে ফেরেননি।


তবু অমর হয়েছে প্রেম। যুদ্ধ, দেয়াল, শাস্ত্রাচার, বাধা আর যুদ্ধের বেড়াজালে বেহায়া হয়েছে স্বত্ত্বা। তাই শত উৎকণ্ঠাও ধূলিস্যাৎ হয় নিগূড় চুম্বনে। বরফ রাত আঁতাত জমায় আফসোসের সাথে। আলি-নিনো দম্পতির রসায়নে বিমুগ্ধ হয় কংকরময় মন। সত্যানুরাগ একদিন ডানা মেলে। তাই হয়ত জর্জিয়ার বাতুমি-তে ২৬ ফুট দৈর্ঘ্যের ম্যুরাল হয়ে বেঁচে আছেন আলি আর নিনো।



২০১৬তে যার সেলুলয়েডিয় রূপ দিয়েছেন আমার মিতা পরিচালক আসিফ কাপাডিয়া। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এই পরিচালক বলশেভিক অঞ্চলের বরফের মতই শৈত্যশুভ্রের মতো চিত্রনাট্য ধরে এগিয়েছেন। রাজনৈতিক পটভূমির সাথে প্রেমের গল্পের মিশেলে সেলুলয়েডের আঁচড় কেটেছেন নিবিড় মনে।

বিঃদ্রঃ ভালো প্রিন্ট দেখুন। মোহনীয় সিনেমাটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হোন।

IMDB: 7.2/10
Release Year: 2017

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: আলী ও নিনো বইটি নিয়ে আমি একটি পোষ্ট দিয়েছিলাম অনেক আগে।

২| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন রিভিউ!

মুগ্ধতা আকাশ ছুঁয়ে গেল।

আলি আর নিনো পাঠ আর দেখার আগ্রহ দুটোই চরম হলো।

ট্রেইলার দেখতে গিয়ে ডাচ ভাষার একটা লিংক পেলাম ফুল মুভির!!! ২ ঘন্টা ডিউরেশন!

++++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.