![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ স্বপ্ন দেখে,জীবনকে গড়ে তোলতে চায় নিজের মতন করে।ঠিক এমন কিছু স্বপ্ন নিয়েই শুরু করছিলাম জীবনটা।কিন্ত ওই যে স্বপ্ন আর সাধ্যের মধ্যে যে ফারাক তা কমাতে পারি নি।বন্ধু-বৎসল আমি এখনো নিজের মনের মতো বন্ধু পাই নি।আবেগকে দমাতে পারি না, তাই কারো স্বার্থপরতা আমার কাছে অসহ্য লাগে!!তাই যখনি অনেক কষ্ট পাই,নিয়ে বসি নিজের লিখার খাতাটা।মনের সবটুকু দুঃখ উজার করে দেই তাতে।খুব মন খারাপ হলে কখনোই কাওকে পাই না,তাই হাটতে থাকি একা একা প্রিয় হলের ব্যালকনিতে।নিজের দেশ এর জন্য কিছু করার স্পৃহা আছে সবসময়।অলস সময়গুলো কাটে গান শুনে অথবা সিনেমা দেখে।আর জীবনের লক্ষ্য ,
বাবা,জানি না ভালো আছো নাকি?আমিও জানি না আমি ভালো আছি নাকি!? আমি আজ তোমাকে কিছু কথা বলতে চাই,জানি না কথাগুলো কখনো তোমার কাছে পোঁছাবে নাকি? বাবু,আমি না জানি না পিতৃস্নেহ কি? আমি না জানি না বাবা কিভাবে সন্তানকে আগলে রাখে?
কই বাবু,আমাকে তো তুমি বলোনি এভাবে?! আমি কি অপরাধ করেছিলাম যে তুমি আমাকে এভাবে সবকিছু থেকে বঞ্ছিত করলে?? আমি এতটা ভাগ্যহীন কেন? আমি কেন সবার থেকে আলাদা, আমি কি জানতাম যে আমি সারাজীবন এভাবে কষ্ট বয়ে বেড়াবো? যদি জানতাম তাহলে আমি আমি আমার জন্মদিনের দিন ইশ্বরকে বলতাম আমাকে মেরে ফেলতে!!
প্লিজ,আমাকে একবার বলবে, বাবা কি? বাবার স্নেহ কি? আমি জানি বাবু,তুমি খুব কষ্ট পাবে তাও বলি,আমি না তোমার চেহারা ভুলে গেছি!! শুধু ছবি দেখে কি আর ১২ বছর আগের চেহারা মনে করা যায়?!! মাত্র ১০ বছর বয়সে তুমি আমাকে একা করে চলে গেলে। আমাকে ভুলে গেলে, অথচ আমি কেন তোমাকে ভুলতে পারি না? তোমার কথা কেন বারবার আমার মনে পড়ে? কেন আমার কাছে হিংসা লাগে অন্য কারো বাবার গল্প শুনলে?!!
আমি জানি তুমি থাকলে এতদিনে আমার অনেক অপূর্ণ ইচ্ছাই পূরণ হয়ে যেত। আমার অনেক চাওয়াগুলো পাওয়া হয়ে যেত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি বলে তুমি হয়তো বুক ফুলিয়ে হাঁটতে!! সবাইকে হয়তো বলতে,”আমার ছেলে এইচ,এস,সি তে জেলায় প্রথম গোল্ডেন প্লাস পেয়েছে!!” আমার ছেলে এই করতে পেরেছে,ওই করতে পেরেছে!! বাবু,জানো আমি না অনেক কিছু পারি এখন। কি পারি নি জানো? তোমাকে আটকে রাখতে। আমি পারি নি আমার বাবার স্নেহকে ইশ্বর নামক কোন খ্যাপাটের কাছ থেকে কেড়ে নিতে?!! আমি কি করবো বলো? ১০ বছর বয়সে কি আর এত শক্তি লাভ করা যায়?!! আমি যদি জানতাম এইভাবে তুমি আমাকে ছেড়ে চলে যাবে,তাহলে সত্যি আমি ইশ্বরকে বলতাম যেন আমার আয়ুটা তোমাকে দেয় আর আমি যেন আবার তোমার ঘরেই জন্ম নিতে পারি!! সত্যি আমার একটুও কষ্ট হতো না!!! বিশ্বাস কর।
আমি জানি তুমিও জানতে না এভাবে চলে যাবে। তুমি অনেক সাহসী ছিলে। কিন্তু বাবু জানো একটা সত্যি কথা, আমরা না অনেক অসহায়,আমরা না ভালবাসতে পারি।মানুষকে কাছে টানতে পারি কিন্তু কাউকে চিরদিন ধরে রাখতে পারি না!!
বাবু,আজ না অনেক ইচ্ছা করছে তোমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে,আমার দুঃখগুলো শুধু তুমিই পারো দুর করে দিতে। তুমি থাকলে আমি সত্যি তুমাকে একটু হলেও আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা করতাম। আমি না অভাগা,আমাকে না কেউ ভালোবাসে না,কেঊ কাছে টেনে নেয় না। আমার মা বাদে।তুমি কি করেছ জানো? আমার মা কে তুমি জীবনে সবচেয়ে কঠিন শাস্তি দিয়ে গেছো!
বাবু,জানো তোমার স্মৃতিগুলো আমার কাছে না অনেক ঘোলাটে হয়ে গেছে!! তাও মনে পড়ে আমার ৭ তম জন্মদিনে কি কারনে যেন তুমি আসো নি। পরে আমাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদেছিলে। জানো, আমারও সেইদিন কান্না এসেছিল। আমার কি মনে হয় জানো, আমি সেইদিন বুঝতে পেরেছিলাম তুমি আমাকে অনেক বেশি ভালোবাসো। কিন্তু তা হবে কেন?!! তুমি তো আর কিছু করো নি!! ইশ্বর নাকি ভালো মানুষদেরকে নিজের কাছে রেখে দেন।তাই হয়তোবা তোমাকেও রেখে দিল। বাবু,আমি না তোমার মত ভালো মানুষ হয়ে তোমার সাথে থাকতে চাই!!! প্লিজ,না করো না,আমাকে তোমার সাথে রাখবে তো?
আমার না মাথার ছাতা না,আমার মাথাটাই তুমি কেটে নিয়ে গেছো!! আমি জানি না বাবাকে কিভাবে সম্মান করতে হয়?আমাকে ক্ষমা করে দিও! জীবনে তুমি কখনো আমাকে নাম ধরে ডাকো নি,সবসময় বাবু বলে ডাকতে। আর তোমার অফিসের কর্মচারীরা এই নিয়ে মজা করে বলতো,”বাবু,আপনাকে আমরা বাবু ডাকি,আপনার ছেলেও আপনাকে বাবু বলে ডাকে!!” তুমি হাসতে। বাবু,কতদিন তোমাকে বাবু বলে ডাকতে পারি না, কতদিন তোমাকে বলতে পারি না,” বাবু,আমি তোমাকে ভালোবাসি।“ আর কখনো বলতেও পারব না!!
প্লিজ,বাবু আমাকে একবার বলে দাও তুমি আমাকে এখনো এখনো ভালোবাসো,আকাশের তারা হয়ে সারারাত আমাকে পাহারা দাও,আমি যেখানেই যাই,আমার ছায়ার সাথে এসে তুমি আমাকে এগিয়ে দিয়ে যাও। বাবু,জানো আমি না জীবনেও আমার সন্তানকে ভালবাসতে পারবো না কারণ আমি জানি না কিভাবে সন্তানকে ভালবাসতে হয়!! আমি জানি না বাবারা কেমন করে মিশে সন্তানদের সাথে।আমি কত... কি বলবো??... অসহায়?? না,বাবু আমি অনেক ভাগ্যবান যে তোমার মতো বাবা পেয়েছিলাম। আমি আরো ভাগ্যবান আমার মাকে পেয়ে। আমি যেন আমার মাকে কখনো কষ্ট না দেই সেইদিকে খেয়াল রেখো। যদি ভুলেও এই কাজ করি আমাকে নরকে পাঠিয়ে দিও।
যেখানেই তোমার আত্মা আছে শান্তিতে থাকুক।
( আমি কে তোমাকে বলতে হবে?? জানি এখনো আমাকে ভুলো নি!!!)
২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:৪৪
শব্দ শুভ বলেছেন: মনটা খারাপ হয়ে গেল
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৬
অনবদ্য অনিন্দ্য বলেছেন:
৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:৫০
ব্লগী তানীম বলেছেন: বাবা - তোমাকে ভালবাসি।
অভিমান করে বলা কথাগুলো দারুন লাগলো ..
ভালো থাকুন।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৭
অনবদ্য অনিন্দ্য বলেছেন: ধন্যবাদ। আমি যে আপনার মত বলতেও পারি না,বাবা তোমায় ভালোবাসি।!!
ভালো থাকবেন
৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:৫৪
কু বলেছেন: দোয়া রইলো আপনার পিতার জন্য
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৮
অনবদ্য অনিন্দ্য বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন
৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:৫৮
লোকালোক বলেছেন:
অতৃপ্ত ভালবাসা
আমিও আমার বাবাকে মনে করি। এত গভীর অনুভুতি গুলো'র সারা আসলে পানি।
আপনার লেখাটা পড়ে মনে হলো অনুভুতির আরও দরজা আছে...
ধন্যবাদ।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৮:০৩
অনবদ্য অনিন্দ্য বলেছেন: ঠিক বলেছেন,আসলেই আমাদের অনুভুতিগুলোর সারা আসলে পানি। যখন মনে হয় চোখের পানিও পারে না আমাদের ভালোবাসার মানুষকে অনুভুতি দিয়ে তৃপ্ত করতে তখন প্রকৃতির কাছেই না হয় হার মানলাম!!!
ধন্যবাদ আপনাকেও।অনেক অনেক ভালো থাকবেন
৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:৫৪
স্বপ্নময়ী_আমি বলেছেন:
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৮:০৪
অনবদ্য অনিন্দ্য বলেছেন:
৭| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:১৯
আবিদ ফয়সাল বলেছেন: বাবু,জানো আমি না জীবনেও আমার সন্তানকে ভালবাসতে পারবো না কারণ আমি জানি না কিভাবে সন্তানকে ভালবাসতে হয়!! আমি জানি না বাবারা কেমন করে মিশে সন্তানদের সাথে।
বাবার কথা মনে করিয়ে দিয়ে আমাকে ও কাঁদালেন !!!
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:২৮
অনবদ্য অনিন্দ্য বলেছেন: দুঃখিত ,আবিদ ফয়সাল। জানেন আমার মাআ আজ আমার লিখাটা পড়ে একটু আগে কাঁদছিল!! আমার নিজেরও অনেক খারাপ লাগছে। ভালো থাকবেন।
৮| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৮:০৫
অদৃশ্য সত্তার বাক্যালাপ বলেছেন: খুব কান্না পাচ্ছে,ভাল থাকবেন,বাবুর জন্য দোয়া রইল,আর মাকে দেখে রাখতে চেষ্টা করবেন।
০১ লা মার্চ, ২০১১ রাত ১:২৯
অনবদ্য অনিন্দ্য বলেছেন: ধন্যবাদ, অদৃশ্য সত্তার বাক্যালাপ। ভালো আছেন তো আপনি?? আমার জন্য দোয়া করবেন যেন মাকে কোনদিন কষ্ট না দেই। অন্তত মায়ের মুখে সবসময় যেন হাসি দেখতে পাই। ভালো থাকবেন।
৯| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৮:১১
ফাইরুজ বলেছেন: মন খারাপ করে দেয়া লেখা ।খুব কষ্ট হচ্ছে
০১ লা মার্চ, ২০১১ রাত ১:৩১
অনবদ্য অনিন্দ্য বলেছেন: আমি জানি না এই কষ্ট থেকে মুক্তির উপায় কি??!! আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:৪৩
শব্দ শুভ বলেছেন: মনটা