নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি অ্যাডভোকেট মোঃ রাকিবুল ইসলাম (রুবেল)। মনের আনন্দে লিখি, সেগুলির কিছু কিছু প্রকাশ করি।

অনন্ত৪২

পাগলের প্রলাপ লিখে প্রকাশ করি

অনন্ত৪২ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাঙ্গা মগ ও ভালোবাসার বর্ষণ

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১১


কোনো কিছু লিখতে গেলে অধিকাংশ সময় কল্পনা চলে আসে, নাটকীয়তার আশ্রয়ও নিতে হয় মাঝে মাঝে। কিন্তু যেটা বাস্তব, নিজ চোখে দেখা সেটা লেখার সময় হাত কেপে ওঠে বার বার ভয় হয় আমি ঠিকভাবে গুছিয়ে লিখতে পারছি তো? শব্দচয়ন ঠিক আছে তো? যা দেখেছি বা যা বলার চেষ্টা করছি তা সবাই ঠিক সেভাবে বুঝলো তো?

কুষ্টিয়া সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস।একুশে বইমেলা থেকে রহিমা আপু উনার বই "মুক্ত আকাশ কত দূর" পাঠিয়েছেন সেটা আনতেই গিয়েছিলাম। আমি এ পর্যন্ত কুরিয়ার সার্ভিসের অফিসে যতবার গিয়েছি বই আনতেই গিয়েছি। দিন ক্ষণের হিসেবে আমি বড় কাচা। খুব কাছের মানুষের জন্মদিনও বেমালুম ভুলে যায়। এমনও পরিস্থিতিতে পড়েছি যার জন্মদিন সেই ফোন করে উল্টো আমাকে জানিয়েছে।

কাল পহেলা ফাল্গুন। তারপরের দিন ১৪ ফেব্রুয়ারি 'বিশ্ব ভালোবাসা' দিবস। আমার কোনো ধারণা ছিল না দূর থেকেও একটা প্রেমিক/প্রেমিকা লম্বা লাইনে দাড়িয়ে প্রিয়জনের জন্য ভালোবাসা দিবসের উপহার পাঠায়। সবার হাতে প্রিয়জনের জন্য প্যাকেট ভর্তি ভালোবাসা কেউ পাঠাচ্ছে, কেউ নিচ্ছে। তাদের চোখগুলি তখন চকচক করছে। আকাশের চাদ পেলে ঠিক যতটা মানুষ খুশি হয়!

ঢাকা থেকে এক মেয়ের প্রেমিক তার জন্য সিরামিকের মগ পাঠিয়েছে। না কোনো সাধারণ মগ না, মগে দুজনের একটি অন্তরঙ্গ ছবি লাগানো আছে। বেশ চমৎকার দেখতে তা ভাঙ্গা অংশগুলি দেখেও বোঝা যায়। কুরিয়ার সার্ভিস সিরামিক বা কাচের কোনো জিনিস যেগুলি ভঙ্গুর নিতে চান না তবু ১৪ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষ্যে এই রমরমা ব্যবসা ছেড়ে দেন নি। যে যা দিচ্ছে তাই নিচ্ছে।

মেয়েটি তার প্রিয়জনের পাঠানো প্যাকেট ভর্তি ভালোবাসা বাসায় ফিরে দেখবে সে ধৈর্য্যও নেই। সবার সামনেই কুরিয়ারের প্যাকেট ছিড়ে ফেললো। একটা লাল গোলাপ বেড়িয়ে এলো। আসতে একটু দেরি হলেও গোলাপটি একেবারেই ঘ্রান বা সজীবতা হারায় নি। এবার একটি ছোট্ট চারকোণা বক্স, র্যাপিং পেপার দিয়ে মুড়ানো। মেয়েটি আস্তে আস্তে খুললো র্যাপিং পেপার খুললো। একটি মগের বক্স। প্যাকেটের মুখ খুলতেই মেয়েটির আকাশে সমস্ত মেঘ এসে জমা হলো। চার টুকরা মগ, নিজেদের যে ছবিটা মগে আকা সেটি দুই টুকরা হয়েছে। নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারলো না মেয়েটি কেদে দিলো। পাশে দাড়িয়ে থাকা মেয়েটির বান্ধবী বার বার বলছে বাহিরে চল। আমি পাশে দাড়িয়ে লক্ষ্য করছি। মেয়েটি চোখ মুছতে মুছতে বের হলো। আমারও ততক্ষণে কাজ শেষ। পিছন পিছন বের হলাম।

অফিসের পাশে এসে দাড়িয়ে মেয়েটি ব্যাগ থেকে ফোন বের করলো কাকে যেন ফোন করছে। কিন্তু ফোন ধরছে না গুণে গুণে পাচবার ফোনে চেষ্টা করতে দেখলাম। আমি তারপর আর ওখানে দাড়ায় নি রুমে ফেরার জন্য হাটা শুরু করলাম।

আমি ভালোবাসার জন্য দিন ক্ষণে বিশ্বাসী না আবার একটা দিনের পাগলামী যদি প্রেমিক/প্রেমিকাকে আনন্দ দেয় সেটার বিপক্ষেও নয়। একটি সিরামিকের মগ কারো চোখের জল ফেলাতে পারে যদি সেটা নিশ্চয়ই কম সৌভাগ্যের বিষয় না। কত উপহার যাচ্ছে না কোনোক্রমেই উপহার বলা ঠিক হচ্ছে না। যে ভালোবাসা পাঠাচ্ছে একে অন্যকে তা পরিমাপ করার ক্ষমতা আমার মতো ক্ষুদ্র মানুষের নেই।

প্রেমের বন্ধনে পৃথিবীটা সুন্দর হোক। প্রিয়জনের কাছে অকৃত্রিম ভালোবাসা পৌছাক। সবাই ভালো থাকুক, প্রেমময় একটি সুন্দর পৃথিবীর স্বপ্ন দেখুক। ১৪ তে নয় শুধু প্রতিটা মূহুর্ত প্রিয়জনের জন্য আপন হোক, ভালোবাসায় কারো চোখে সুখের বৃষ্টি নামুক। প্রেম সাগরে মানুষ আত্মার সন্ধান পাক। সবাইকে আগাম ভালোবাসার শুভেচ্ছা জানালাম <3 <3

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:১২

নিলু বলেছেন: ভালই তো , লিখতে থাকুন

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:০৬

অনন্ত৪২ বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ

২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৫৫

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: প্রেমময় হোক দুনিয়া| আপনি ভাল লিখেছেন

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:০৯

অনন্ত৪২ বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.