নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\'ভালবাসি বলে দুঃখ দেই দুঃখ দেই বলে ভালবাসি!\n... অনুক্ত কামরুল

অনুক্ত কামরুল

আমি খুব সাদামাঠা একজন সংবাদকর্মী! থাকি সিলেটে! কবিতা খুব ভালবাসি, ব্যস!

অনুক্ত কামরুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পের মত: পর্ব-১

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:২১

সেই পাঠশালা থেকে শুনে আসছি। বাবা ভারতে গিয়ে বসবাস করেছেন চৌদ্দ বছর। মায়ের সাথে বিয়েটা ভারতের আসামেই হয় সেই সময়ে। বড় ভাইয়ের জন্ম ভারতে। তারপর একদিন হঠাৎ করে বাবা মাকে নিয়ে বাংলাদেশে পাড়ি জমান। সময়টা ৭৮ সালের দিকে। তখন এদেশটা একটা দুঃসময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমাদের পরিবারেরও একই অবস্থা। বাবা ভারতে যাওয়ার আগে অর্থাৎ স্বাধীণতা পূৃব পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের সব জায়গা জমি যৎসামান্য টাকায় আত্মীয় স্বজনদের কাছে বিক্রয় করে গেছেন। অবশ্য বাবা ভিন্ন কথাই বলেছেন আমাদের কাছে। যেসব আত্মীয়দের কাছ থেকে সামান্য টাকা ঋণ নিয়েছিলেন, তারা পরে সুবিধামত আমাদের জমির মালিকানা নিজেদের নামে নিয়েনিছেন! কারণ তারা মনে করেছিলো বাবা হয়তো আর কখনো বাংলায় ফিরবেন না। এমন করে সব জমি বাবার হাত ছাড়া হয়ে যায়! যখন ফিরে এলেন, তখন পুরাতন ভিটি মাটি ছাড়া সব আবাদি জমির মালিকানা অন্যদের নামে চলে গেছে। বড় অসহায় হয়ে পড়লেন। নিজেদের গ্রাম ছেড়ে সুনাই নদীর পাড়ে প্রত্যন্ত একটি অন্য উপজেলায় গিয়ে বাড়ি করলেন। গ্রামটার নাম শান্তি! সেখানেই আমার বড় বোন, মেজভাই আর ইমিডিয়েট বড় বোনের জন্ম হয়। মা প্রথমদিকে তারঁ একমাত্র ছেলের দিকে চেয়ে সব কষ্ট সহ্য করে গেছেন। হয়তো নববধু হিসেবে তিনি এমন কঠিন পরিস্থিতি আশা করেননি। শুনেছি, মা নিজে মাটি কেটে বাড়ির ভিটা তৈরিতে বাবাকে সাহায্য করেছেন। শুধু সন্তানের সুখের দিকে চেয়ে। ' শান্তি'র আশায় নিজের ভাই বোন আত্মীয় স্বজন ভারতে রেখে দিব্য মুখবুজে সয়ে গেছেন পাহাড় সম দুখ। এমন করে কেটে যায় নয়টি বছর। বাবা মোটামোটি পরিবার চালিয়ে যাচ্ছেন ভালই। তখন আমাদের পরিবারে সদস্য সংখ্যা দুই ভাই দুই বোন, মা-বাবা, দাদি আর বড় চাচা। বড় চাচার কোন ছেলে মেয়ে নেই। তিনি একবার বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু চাচিমা তাকে ফেলে চলে যান। কারণটা নাকি তিনি পুরুষ হয়ে উঠতে পারেননি!

ঠিক আমার জন্মের আগ মূহুর্তে মা-বাবার মাঝে সমস্যা দেখা দেয়। অভাব অনটনের সংসারে যেমনটা হয় আরকি। বিষয়টা দুই দেশে থাকা দুটি পরিবারের মধ্যে চূড়ান্ত বিবেদ তৈরি করে। আমার বড় মামা আসাম থেকে বাংলায় আসেন। সময়টা ৮৬ সালের মাঝামাঝি হবে। তখনও আমার জন্ম হয়নি। আমি তখন মায়ের গর্ভে। অনেক চেষ্টা করে সমস্যার সমাধান হয়নি। মামা আমাদের ভাই-বোনদের রেখে মাকে নিয়ে ভারতে চলে যান! বাবা কিন্তু মাকে তালাক দেননি! মা সেখানে আটকা পড়েন। এদিকে বাংলায় রেখে যাওয়া সন্তানদের চিন্তায় দিন দিন মা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এই সময়টাতেই '৮৬ সালের ২ ডিসেম্বর আসামের লংকা থানার উদালি তিনআলি গ্রামে আমার জন্ম হয়। জন্ম সূত্রে তখন আমি ভারতের নাগরিক! বড় ভাইয়ের সাথে আমার বয়সের পার্থক্য তখন ১১ বছর! আমার জন্মের খবর বাংলাদেশে বাবার কাছে পৌঁছায়! ও হ্যাঁ আমার বাবার নানা বাড়িও কিন্তু ভারতের আসামে। মানে আমার দাদি ভারতীয় ছিলেন। মোদ্দাকথা পূর্ব সম্পর্কের জেরে মা-বাবা পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়েছিলো। আমার জন্মের পর মা বাবার অভিমান ভাঙ্গতে চারটি বছর কেটে যায়। এরই মাঝে বাবা আরো দুটি বিয়ে করেন। বাবার সাথে প্রথম সৎমায়ের সংসার ছিলো পাঁচ মাসের। দ্বিতৃীয় সৎমায়ের সাথে দুই বছরের মত সংসার করেন। দ্বিতৃীয় সৎ মায়ের ঘরে আমার একটা বোন আছে। ওর জন্মের ছ'মাস পর বাবা সৎ মাকে রহস্যজনক কারণে তালাক দিয়ে দেন!! এবং আমার ভাই বোনদেরকে সাথে নিয়ে আবার আসামে পাড়ি জমান! (চলবে)

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৩৩

মিথ্যা প্রেমের গল্প বলেছেন: :(

২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৪৪

অনুক্ত কামরুল বলেছেন: অনুক্ত

৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৪৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: সহানুভূতি নিচ্ছি জানবেন ।

৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৫৫

অনুক্ত কামরুল বলেছেন: হু! ছাড়া শব্দ পাচ্ছি না!!

৫| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:১৫

shopno bihin বলেছেন: মায়ের জন্য সমবেদনা ...দীর্ঘজীবি হও মা ...

৬| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৪

অনুক্ত কামরুল বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.