নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এক অভিশপ্ত অপদেবতা,একশ হাত দূরে থাকুন।

অভিশপ্ত অপদেবতা

অভিশপ্ত অপদেবতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

নির্বাচনী ইশতেহার - ২০১৮

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৪৮

আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারঃ
‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ স্লোগানে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে শীর্ষক আওয়ামী লীগের ইশতেহার ঘোষণা শুরু হয়।

এতে ২১টি বিশেষ অঙ্গীকার করা হয়েছে। এসব অঙ্গীকারের মধ্যে দুটি বিষয়ের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি- আমার গ্রাম-আমার শহর; যেখানে প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে। দ্বিতীয়টি হচ্ছে, তারুণ্যের শক্তি-বাংলাদেশের সমৃদ্ধি।

ইশতেহারে অন্য যে ১৯টি বিষয় প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো—দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ; নারীর ক্ষমতায়ন; লিঙ্গ সমতা ও শিশু কল্যাণ; পুষ্টিসম্মত ও নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা; সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ নির্মূল; মেগা প্রজেক্টসমূহের দ্রুত ও মানসম্মত বাস্তবায়ন; গণতন্ত্র ও আইনের শাসন সুদৃঢ় করা; সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি; দারিদ্র্য নির্মূল; সকল স্তরে শিক্ষার মান বৃদ্ধি; সকল স্তরে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবার নিশ্চয়তা; বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিরাপত্তার নিশ্চয়তা; সার্বিক উন্নয়নে তথ্যপ্রযুক্তির অধিকতর ব্যবহার; আধুনিক কৃষি ব্যবস্থা; দক্ষ ও সেবামুখী জনপ্রশাসন; ব্লু-ইকোনমি, তথা সমুদ্র সম্পদ উন্নয়ন; নিরাপদ সড়কের নিশ্চয়তা; প্রবাসী কল্যাণ কর্মসূচি এবং টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন।

বিএনপির নির্বাচনী ইশতেহারঃ

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিসহ তরুণ প্রজন্মকে অগ্রাধিকার দেওয়ার পাশাপাশি গণতন্ত্র ও আইনের শাসন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণসহ ১৯ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। ‘এগিয়ে যাবো একসাথে, ভোট দেবো ধানের শীষে’- স্লোগানকে সামনে রেখে ‘ভিশন ২০৩০’-এর আলোকে ইশতেহারটি তৈরি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর গুলশানে হোটেল লেকশোরে ইশতেহার ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দলের চেয়ারপারসন কারাবন্দি খালেদা জিয়ার পক্ষে তিনি ইশতেহার পাঠ করেন। বিএনপির ইশতেহারে গুরুত্বারোপ করা ১৯ দফার অন্যান্য বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে- ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ, অর্থনীতি, মুক্তিযোদ্ধা, যুব নারী ও শিশু, শিক্ষা ও কর্মসংস্থান, জ্বালানি, তথ্য ও প্রযুক্তি, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি, বৈদেশিক ও প্রবাসী কল্যাণ, কৃষি ও শিল্প, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা, প্রতিরক্ষা ও পুলিশ, আবাসন, পেনশন ফান্ড ও রেশনিং ফান্ড প্রতিষ্ঠা, পরিবেশ, পররাষ্ট্র এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর গুরুত্বারোপ।

ঐক্যফ্রন্ট এর নির্বাচনী ইশতেহারঃ
বাংলাদেশের আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ১৪টি প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইশতেহার প্রকাশ করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। সোমবার সকালে রাজধানীর পূর্বাণী হোটেলে ৩৫ দফা ইশতেহার ঘোষণা করা হয়। ইশতেহার পাঠ করেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।

ঐক্যফ্রন্টের এই ইশতেহারে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য ও পরপর দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী পদে না থাকার প্রতিশ্রুতি ছাড়াও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা, প্রশাসনিক সংস্কার ও বিকেন্দ্রীকরণ, মৌলিক অধিকার রক্ষায় বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল, পিএসসি এবং জেএসসি পরীক্ষা বাতিল, চাকরিতে প্রবেশের সময়সীমা বাড়ানো, নারীর নিরাপত্তা এবং ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। প্রতিহিংসার রাজনীতি দূরীকরণ, নাগরিকের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, দুর্নীতি দমন ও সুশাসনসহ ১৪টি বিষয়ে আমূল পরিবর্তন আনার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। নির্বাচিত হতে পারলে পাঁচ বছরের শাসনকালে যেসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা যাবে, সেগুলোর ওপর জোর দিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট।

ইশতেহারে উল্লেখযোগ্য প্রতিশ্রুতিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ব্যাংকিং সেক্টরে লুটপাটে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে, দুর্নীতি দমন কমিশনকে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া হবে, এই সরকারের আমলের দুর্নীতি তদন্ত করে তার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে, স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করা হবে, রিমান্ডের নামে পুলিশি হেফাজতে যেকোনো শারীরিক নির্যাতন বন্ধ করা হবে, সাদা পোশাকে কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না, মিথ্যা মামলায় অভিযুক্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে এবং মিথ্যা মামলায় সহায়তকারী পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে, কর্মক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতের সকল ক্ষেত্রে নারীর ওপর বাচিক কিংবা শারীরিক যৌন হয়রানির ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স দেখানো হবে, নির্বাচন কমিশনকে পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা দেওয়াসহ অন্যান্য পদক্ষেপ দেওয়ার মাধ্যমে মুক্তভাবে মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগের অধিকার নিশ্চিত করা হবে, সংসদে উচ্চকক্ষ সৃষ্টি করা হবে, সবার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ৭০ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন আনা হবে।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ঘোষিত ইশতেহারে ‘কর্মসংস্থান ও শিক্ষা’ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে পুলিশ ও সামরিকবাহিনী ছাড়া সরকারী চাকরিতে প্রবেশের জন্যে কোনো বয়স সীমা থাকবে না।

এতে বলা হয়, সরকারী চাকরিতে শুধুমাত্র অনগ্রসর জনগোষ্ঠী এবং প্রতিবন্ধীদের জন্যে কোটা ছাড়া আর কোনো কোটা থাকবে না।

৩০ বছরের ওপরে শিক্ষিত বেকারের জন্যে বেকার ভাতা চালু করার উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রীয় সক্ষমতা পরীক্ষা করে বাস্তবায়ন করার জন্যে একটি কমিশন গঠন করা হবে।

দেশে কাজ করা ওয়ার্ক পারমিটবিহীন অবৈধ সব বিদেশী নাগরিকের চাকরি করা বন্ধ করা হবে। শিক্ষিত বয়োবৃদ্ধদের জন্যে ন্যূনতম ভাতা রেখে অবৈতনিক খণ্ডকালীন কর্মসংস্থান করা হবে।

গার্মেন্ট শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি হবে ১২ হাজার টাকা। প্রথম বছরে গ্যাস, বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে না। প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা হবে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৩৯

মাহমুদুল হাসান (সুমন)। বলেছেন: নৌকা মার্কায় ভোট দিন :)

++

২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৪:৫১

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: বাংলাদেশের জয় হোক।

৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:



আওয়ামী লীগ একা ইডিয়ট নয়, তারা ভাবে ১৮ কোটী সবাই ইডিয়ট।

৪| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: ইশতেহারে সবাই এগিয়ে থাকতে চায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.