নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বহু যাযাবর লক্ষ্যবিহীন, আমার রয়েছে পণ\nরঙের খনি যেখানে দেখেছি, রাঙিয়ে নিয়েছি মন।

অপ্রত্যাশিত হিমু

অপ্রত্যাশিত হিমু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্রিটিশ রানির মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রিয় শোক পালনের মতো এমন কি করেছেন?

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:২৩

তিনি আমাদের রাষ্ট্রের জন্য এমন কি করেছেন যে তিন দিনের রাষ্ট্রিয় শোক পালন করতে হবে।তারা এই ভারতীয় উপমহাদেশকে শোষণ করে পৃথিবীর অন্যতম ধনী রাষ্ট্র থেকে দরিদ্র বানিয়ে দিয়েছে। যা এখনো চলমান।

ভারতবর্ষ থেকে লুট করা মণি-মাণিক্য-হীরা-জহরত পরিহিতা বর্তমান পৃথিবীর শেষ সম্রাজ্ঞী। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হিরা কোহিনূর, যা রানীর মুকুটে শোভা পেয়েছে, সেইটাও আমাদের মোগল সম্রাটদের।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের যখন ভারতীয়রাও ব্রিটিশদের হয়ে লড়ছে তখন সামরিক প্রয়োজনের অজুহাত দেখিয়ে ব্রিটিশরা ভারত বিশেষ করে বাংলা থেকে বিপুল পরিমাণ খাদ্যশস্য সরিয়ে নেয়।খাদ্যশস্যের অভাবে তখন বাংলায় যে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় তা ইতিহাসে তেতাল্লিশের মন্বন্তর নামে পরিচিত। সেই মন্বন্তরের প্রায় ৩০ থেকে ৪০ লাখ মানুষ মারা যায। তখন বাংলার জনসংখ্যা ছিল ছয় কোটির মতো। সেই হিসেবে প্রায় প্রতি ১৫ জনের ভেতর একজন মারা যায়। এটা অবিশ্বাস্য বড় রকমের একটা গণহত্যা।

ব্রিটিশরা আসার আগে মুসলিম শাসনামলে বাংলা মূলকে কখনো দুর্ভিক্ষ হয়নি। কেননা মুসলিম শাসকরা কোন মৌসুমে ফসল বেশি হলে সেটা জমিয়ে রাখতেন খরার সময় বিলি করার জন্য।কিন্তু ব্রিটিশরা আসার পর প্রতি দশকে একটা করে বড় দুর্ভিক্ষ হতো। কেননা তারা সব ফসল ব্রিটেনে পাচার করে দিত। এই বাড়তি ফসলের বদৌলতে তারা নিজেদের দেশে সফলভাবে শিল্প বিপ্লব ঘটিয়েছিল।

ব্রিটিশরা আসার আগে ভারতে কখনো হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা হয়নি। নিজেদের শাসন অব্যাহত রাখার প্রয়োজনে তারা কৌশলে হিন্দু মুসলমান বিভেদ সৃষ্টি করে। সেই বিষে ভারত বর্ষ এখনো জ্বলছে।

ব্রিটিশরা আসার আগে ভারতীয় উপমহাদেশ ছিল বিশ্বের সবচেয়ে ধনী জনপদ। পৃথিবীর এক চতুর্থাংশ জিডিপির অধিকারী ছিল ভারতীয়রা। ব্রিটিশদের ২০০ বছরের সীমাহীন শোষণে ভারতবর্ষ হয়ে যায় বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র জনপদ।

রানী এলিজাবেথ ছিলেন এই ভয়ানক ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের কর্ণধারদের প্রজন্ম। ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারিতে তার বাবা রাজা জর্জ মারা গেলে এলিজাবেথ কমনওয়েলথের প্রধান হন এবং সাতটি কমনওয়েলথভুক্ত দেশের রেজিমেন্টের প্রধান হন।১৯৫২ সালে তিনি হন কমনওয়েলথ ভুক্ত ১৫ টা দেশের রাণী। যদিও ব্রিটিশ শাসনামলের সাথে সরাসরি তার হস্তক্ষেপ নেই,বাট তার পূর্বপুরুষরা তো সরাসরি যুক্ত ছিলেন। যেহেতু তিনি রাণী, তাই তার মৃত্যুতে সারা দুনিয়া, মিডিয়া, সভ্য ইউরোপ তার জন্য মায়া কান্না করবে আর তার মহানত্ব ঘোষণা করবে এটাই স্বাভাবিক। ইতিহাস ভুলে গিয়ে বেকুব বাঙালীও হয়তো সেই মহাশোকে যোগ দেবে।

ব্রিটিশ রানীর জন্য আপনাদের এই কান্না দেখে মাষ্টার দা সুর্যসেন, প্রীতিলতা, তিতুমীর, , সুশীল দাশ, নবাব সিরাজউদ্দোলা, ক্ষুদিরামরা শোকাহত।

লেখার সোর্স: মোঃ সোহেল রানা
নির্বাহী সম্পাদক: প্রাইম বাংলা নিউজ

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৩৫

পোড়া বেগুন বলেছেন:
এটা রানীর মর্যাদা!

২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১:২৯

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: ব্রিটিশ চুইষা শ্যাষ কইরা যাওনের কালে পাক-ভারত লাগায় দিয়া গেছে! এখনও আমরা নিজেরাই নিজেদের ঘৃণা করি, আর ব্রিটিশগো পা চাটি! পলিটিক্স বুঝি এরেই কয়!

৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:১৪

নাহল তরকারি বলেছেন: ইংরেজি না শিখলে, লন্ডন আমেরিকা না যেতে পারলে জীবনটাই বৃথা।

৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৪৮

বিটপি বলেছেন: এত চ্যাতেন কেন? আমরা তো আর ওনারে রাণী মানিনা। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, কানাডা তো এখনো তাদেরকে রাজা রাণী মানে!

৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:০৮

রানার ব্লগ বলেছেন: বাংলাদেশ কমনওয়েলথ ভুক্ত দেশ। তাই কিছু কর্মকাণ্ড তাকে করতেই হয়। তার উপরে ব্রিটেন একটি পরাশক্তি! তেল না দিলে চলে?

৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৫৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এটা কূটনৈতিক শিষ্টাচার। বাংলাদেশের অনেক মানুষ বৃটেনে থাকে। বাংলাদেশকে সহায়তা দিচ্ছে। '৭১ বাংলাদেশের পক্ষে দাঁড়িয়েছে।

৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:১৭

নতুন বলেছেন: যদি ব্রিটিসরা ভারত দখল করে অন্যায় করে থাকে তবে মোগলরাও একই ভাবে ভারত দখলই করে ছিলো।

রাজা/রানীর প্রথা দরিদ্রদের শোষনের তরিকা মাত্র। সেই অর্থে সকল রাজা যারা অন্যের এলাকা দখল করেছে তারা অন্যায়ই করেছে। মানুষ কখনোই পরাধিন হতে চায় না।

এর এই শোক দেখানো একটা কূটনৈতিক শিষ্টাচার মাত্র। যেমনটা উপরে সাধু ভাই বলেছেন।

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এটা কূটনৈতিক শিষ্টাচার। বাংলাদেশের অনেক মানুষ বৃটেনে থাকে। বাংলাদেশকে সহায়তা দিচ্ছে। '৭১ বাংলাদেশের পক্ষে দাঁড়িয়েছে।

৮| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:২৯

জগতারন বলেছেন:
মোগলরা ভারত শাসনামলে তাহারা শুয়ার বৃটিশদের মতো আমাদের চুষে নি।
মোগলরাই ভারতবাসীদের নি:স্বার্থ সভ্যতা ও
ধর্মের বানীরনিকুঞ্জ শিখাইল ।

৯| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৫৮

জগতারন বলেছেন:

চাঁদ গাজী ও রাজিব নূর
ছাড়া এই "সামু" ব্লক আর আমার আগের মতো লাগে না ।
তাহারা আবার এইখানেই আসিলে খুব ভালো হইতো ।

১০| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:০৯

নতুন বলেছেন: জগতারন বলেছেন:
মোগলরা ভারত শাসনামলে তাহারা শুয়ার বৃটিশদের মতো আমাদের চুষে নি।
মোগলরাই ভারতবাসীদের নি:স্বার্থ সভ্যতা ও
ধর্মের বানীরনিকুঞ্জ শিখাইল ।


ভাই সকল শাসকরাই আরেক দেশে গিয়ে ঐ দেশের জনগন হত্যা করে, দখল করেছে, সব রাজা মহারাজারাই সাধারন মানুষের মাথা কেটে ফেলতে পারে এই ক্ষমতায় দেশ শাসন করেছে। কোন মানুষই পরাধিনতা চায় না।

তাই কোন সন্ত্রাসীকে ভালো আর এরেক সন্ত্রাসী খারাপ বলার কোন মানে হয় না। এরা সবাই একই ধান্ধায় অন্য দেশ দখল করে।

১১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:১১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এটা রাজনৈতিক শিষ্টাচার, যা উপরে সাধু ও নতুন ভাইও উল্লেখ করেছেন। তবে, আমাদের মধ্যে ঘৃণ্য ও অত্যন্ত অপ্রত্যাশিত কিছু ব্যক্তিগত অশিষ্টাচারও আছে। যে পাকিস্তানিরা ১৯৭১ সালে আমাদের পুড়ে ছারখার করেছিল, সেই পাকিস্তান ক্রিকেট খেলা শুরু করলে আমরা সবাই পাকিস্তানি হইয়া যাই। আর প্লাকার্ড হাতে নিয়া আফ্রিদিকে খুঁজি - আফ্রিদি, প্লিজ ম্যারি মি। এসব দেখে কোনোদিন কোনো খাঁটি বাংলাদেশী ঠিক থাকতে পারবে না। কিন্তু তা তো হচ্ছে। ফেইসবুকে এরা দলবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ টিমের কুৎসা করে আর পাকিস্তানকে হিরো বলে বুকে টানে। কীভাবে মানা যায় এসব? একটা গোষ্ঠি আবার খেলা আর রাজনীতি এক করা যাবে না বলে পাকিস্তানকে সাপোর্ট দিয়াই যায়। খেলা আর রাজনীতি আলাদা হয় কীভাবে? খেলার টিমে কি দেশের বাইরের প্লেয়াররা খেলে?

ব্রিটেন, আমেরিকা এখন বিশ্বশক্তি - এটা মাথায় রাখতে হবে। বিশ্ব রাজনীতির সাথে বাংলাদেশকেও তাল মিলাইয়া চলতে হবে। রানির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগদানের জন্য অনেক দেশ আমন্ত্রণই পায় নি, সেটা তাদের জন্য সম্মানজনক কিছু না।

আর এই মুহূর্তে যদি ব্রিটেন, আমেরিকার ভিসা ফ্রি কইরা দেওয়া হয়, তাইলে ব্রিটিশ বিরোধী বিপ্লবীরা কি ঘরে বসে থাকবেন? তারাও দৌড় মারবেন ঐসব দেশে আস্তানা গড়ার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.