নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঢাকা শহরের প্রধান রাস্তা গুলোতে ব্যাটারি চালিত ইজি বাইক দেখা যায় না খুব একটা । তবে প্রধান সড়ক বাদ দিয়ে গলির ভেতরের রাস্তা গুলোতে ইজিবাইক চলে । মগবাজার মোড় থেকে গাবতলার দিকে যেতে নিয়মিত ইজিবাইক চলে । ফার্মগেট থেকে হলিক্রস স্কুলের সামনে দিয়ে তেজকুনি পাড়ার দিকে যেতে ইজিবাইক চলে । কিন্তু ঢাকার বাইরের শহর গুলোতে তিন চাকার ইজিবাইক ছাড়া সম্ভবত আর কিছু চলে না । আমার হোম টাউনে এখন ইজি বাইক ছাড়া আর কিছু চলে না । রিক্সা অল্প কিছু আছে তাও কেবল রাতের বেলা চলে । অন্য সব সময় ইজিবাইক চলে । করোনার আগে কক্সবাজার গিয়েছিলাম । সেখানেও কেবল ইজিবাইকই দেখেছিলাম । আজকে হাইকোর্ট সেসব বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে । আনুমানিক ৪০ লাখ ব্যাটারি চলিত অটো রিক্সা চলে দেশে । মানে চলতো । তার মানে হচ্ছে দেশে ৪০ লাখ মানুষের আয়ের উপায় অবৈধ হল আজ থেকে । দেশে নতুন করে আরও ৪০ লাখ বেকার যুক্ত হল ।
রিক্সার সাথে কেবল ব্যাটারি যুক্ত করে একধরনের যান চলে ঢাকার রাস্তায় । যদিও সেটা একদম অবৈধ তবুও চলে । এই ব্যাটারি চালিত রিক্সা খুবই ভয়ংকর একটা যান । এই রিক্সা গুলোর কন্ট্রোল একেবারে বাজে । এরা যে কি ভয়ংকর ভাবে ঢাকার রাস্তায় চলাচল করে সেটা বলার ভাষা নেই । এই রিক্সা কোন ভাবেই রাস্তায় চলতে দেওয়া উচিৎ নয় । নিচে ছবি দিচ্ছি দেখুন ।
সামান্য একটু গতি নিয়ে ঘুরতে গেলেই এই রিক্সা উল্টে যায় । এটা অবশ্য বন্ধ করা দরকার । এটা সম্পূর্ন অবৈধ ভাবে সাধারণ কারখানাতে তৈরি হয় । রিক্সার নিচে মটর, ব্যাটারি সেট করে এই রিক্সা গুলো বানানো হয় । এগুলো রাস্তাতে বড় বিপদজনক ভাবে চলে । যারা এই রিক্সাতে উঠেছেন তারা জানেন । এটা নিয়ে আসলে কোন কথা নেই । এটা অবশ্যই বন্ধ হওয়া দরকার ।
তবে ইজিবাইক নিয়ে হয়তো আবার দ্বিতীয়বার কথা বলার সুযোগ আছে । এটা হচ্ছে ব্যাটারি চালিত ইজি বাইকের ছবি।
গ্রামে গেলে আমি নিয়মিত এই ইজিবাইকেই চড়ি । এটা ছাড়া অবশ্য আর কোন বিকল্প নেই । তবে এটাতে চলড়ে এতোটাও অনিরাপদ মনে হয় না । এই ইজিবাইকের ব্রেক আর কন্ট্রোলও বেশ ভাল । উপরের রিক্সার মত বেপোরোয়া নয় মোটেও । এক সাথে সর্বোচ্চ আট জন উঠা যায় গাড়িতে । গাড়িটা বেশ দ্রুত চলে ।
এই ইজি বাইকের সব খারাপ দিক হচ্ছে একটা ইজিবাইকের পেছনে প্রতিমাসে প্রায় তিন থেকে চার হাজার টাকার বিদ্যুৎ পুড়ে। আমি এটা জানি কারণ আমার গ্রামের বাড়ির ঠিক পাশেই একটা অটোচার্যের গ্যারেজ ছিল । আমাদের এলাকার বিদ্যুতের একটা বড় অংশ চলে যায় এই অটোচার্জের পেছনে । যেখানে আমাদের বিদ্যুতের স্বল্পতা রয়েছে, সেই দিক থেকে হিসাব করলে এই অটো রিক্সা বন্ধ হয়ে একদিক দিয়ে ভালই হয়েছে ।
তবে ভাল দিকও আছে. যেমন অটো বা ইজিবাইক আসার পরে প্রচুর মানুষের কর্ম সংস্থান হয়েছে । আমার নিজের গ্রামের বেশ কয়েকজন অটো চালায় । এখন তারা বেকার হয়ে যাবে । এছাড়া এই ইজিবাইকের কারণে সাধারন জগনের চলাচল অনেক বেশি সহজ আর সাশ্রয়ী হয়ে গেছে । যেমন আমাদের বাসা থেকে নিউমার্কেটে যতে রিক্সায় ৪০-৫০ টাকা লাগে সেখানে মাত্র ১০ টাকায় আমরা নিউমার্কেটে যেতে পারি । স্বল্প দুরুত্বে ইজিবাইকের থেকে সহজ আর সাশ্রয়ী যান আর হয় না । সবাই রিক্সা চালাতে পারবে না । চাইলেও রিক্সার যোগান বৃদ্ধি পাবে না । ইজিবাইক চলাচল বন্ধ হলে মানুষের চলাচলে কষ্ট হয়ে যাবে ।
একবার মনে আছে আমি আর আমার বন্ধুরা মিলে ইজিবাইক ভাড়া করে মুজিব নগরে গিয়েছিলাম । সব মিলিয়ে মাত্র ৫০০ টাকা খরচ হয়েছিলো । একজন ইজিবাইক চালক সারাদিন চালিয়ে গড়ে ৬০০/৭০০ টাকার মতই আয় করে । এর ভেতরে ১০০/১২০ টাকা যায় চার্য দিতে । এই ইজিবাইকের আরেকটা দিক হচ্ছে প্রায় বছর বছর ইজিবাইকের ব্যাটারি বদলাতে হয় । এখানে একটা বড় ধাক্কা রয়েছে । প্রায় ৪০/৫০ হাজার লাগে । তবুও সব মিলিয়ে একটা সংসার চলে যায় মোটামুটি ভাবে ।
তবে আমার মনে হয় যে নির্দেশ থাকা স্বত্ত্বেও ইজিবাইক বন্ধ হবে না । আগে ইজিবাইক চলাচলে কোন বাঁধা ছিল না কিন্তু এখন আছে । এখন বাইক চলবে ঠিকই তবে সেটা চলতে গিয়ে ইজিবাইক চালকদের আলাদা ভাবে টাকা দিতে হবে । কাদের কে দিতে হবে সেটা আশা করি বলে দিতে হবে না । যে কারণে বন্ধ হয়েছিলো সেটা তো বন্ধ হবেই না বরং গরীব চালকদের উপরে একটা বাড়তি চাপ এসে পড়বে ।
শেষ কথা হচ্ছে এই যে ৪০ লাখ মানুষের আয় রোজগারের পথটাকে অবৈধ করে দেওয়া হল। এখন এরা করবে কী?
সরকারের কি কোন দায় নেই?
দেশে এতো বড় বড় ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে সেখানে কি গবেষণা করে এই ইজিবাইক গুলোর মান আরও উন্নত করা যায় না? আরও নিরাপদ করে রাস্তায় নামানো যায় না? একটু চেষ্টা করলেই যায় । সরকার একটু উদ্দ্যোগ নিলেই সেটা পারে । কিন্তু কথা হচ্ছে সরকার নিবে কি?
এই বেকার চালকেরা এখন কোথায় যাবে?
News link
pic source 01
pic source 2
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪৫
অপু তানভীর বলেছেন: রিক্সার সাথে মটর আর ব্যাটারি লাগিয়ে যে অটোটা বানানো হয় সেটা সত্যিই অবৈধ । কিন্তু নিচের যে ইজিবাইজ রয়েছে সেটা তো রীতিমত ফ্যাক্টরিতে তৈরি । দেশে যেমন তৈরি হয় তেমনি বিদেশ থেকে বিশেষ করে চায়না থেকে এই যান আমদানী করা হয়েছে । তাহলে সেটা কিভাবে আমদামী করা হল ?
আমাদের জেলাতে এখন ইজিবাইকের বিকল্প রিক্সা নেই বললেই চলে । এমদমই নেই । আজকে বন্ধ হয়ে গেলে কাল থেকে মানুষ কিভাবে যাতায়াত করবে সেটার কোন নিশ্চয়তা নেই । সত্যিই নেই ।
৪০ লক্ষ মানুষের আয় রোজগার এভাবে একদিনে অবৈধ করে দেওয়ার আগে কিছুতো চিন্তা করতে হবে !
২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:১৪
তানীম আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: সবাই ব্যক্তিগত গাড়িতে চড়বে ।
আমরা মধ্য আয়ের দেশ, সবার অন্তত একটা সাইকেল বা মোটর সাইকেল থাকবেনা?
নইলে হাটুন।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪৯
অপু তানভীর বলেছেন: হ্যা সেটা ঠিকই বলেছেন । আমরা এখন বড় লোক হয়ে যাচ্ছি দিন দিন । পাবলিক যান বাহনের দরকার নেই। সবাই নিজের নিজের গাড়িতে চড়বে ।
৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:২৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
পোষ্টে যুক্তিপুর্ণ কথামালার সমাহার ঘটেছে ।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৫০
অপু তানভীর বলেছেন: কিন্তু ঐ সমস্ত মানুষের কপালে কি ঘটবা কে জানে ! এই দেশে যুক্তির কথা তো মানুষ খুব একটা শোনে না ।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ডঃ এম এ আলী ভাই !
৪| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০৬
রংবাজপোলা বলেছেন: ্যা বেআইনি টা অনেক লোকে করলেও বেআইনি।
বাংলাদেশে "চুরি" করে ফুল টাইম ্জব করে এমন লোক অনেক। তাই বলে কি ওদের বেকার করা ্যাবেনা বলে কি বেআইনি নই?
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৫২
অপু তানভীর বলেছেন: সেটা বেআইনি সেটা সবাই করলেও বেআইনি । কিন্তু যখন একটা বেআইনকে দিনের পর দিন চলতে দেওয়া হয় মানুষকে সেই বেআইনের সাথে অভ্যস্ত করে ফেলা হয় তখন এই দায় কর্তৃপক্ষ কোন ভাবেই এড়াতে পারে না ।
৫| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২৮
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সমগ্র বিশ্বেই ব্যাটারিচালিত যানবাহনকে প্রমট করা হচ্ছে, উন্নত করতে ফান্ডিং দিচ্ছে। ট্যাক্স কম বা ফ্রী করা হচ্ছে।
আমেরিকাতেও ব্যাটারিচালিত রিক্সা দেখা যায়, ডাউনটাউনে, টুরিষ্ট এলাকায়, স্টেডিয়ামে খেলা চলাকালে।
বাংলাদেশে ব্যাটারি চালিত থ্রি হুইলার সমস্যা বড়লোকদের জন্য, যাদের ব্যক্তিগত গাড়ি আছে।
তারা চায় রাস্তায় কোন রিক্সা বা ইজি বাইক না থাকুক। যাতে আরামে চলতে পারে।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৫৬
অপু তানভীর বলেছেন: আমাদের দেশে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইজের একটা মাত্র সমস্যা হচ্ছে আমাদের বিদ্যুৎ পর্যাপ্ত নয় এখনও পর্যন্ত । এই কারণে একটা নির্দিষ্ট পরিমান নিয়ন্ত্রিত পরিমানের ইজিবাইক রাস্তায় চলতে দেওয়া উচিৎ বলে মনে করি । এছাড়া অন্য সব দিক দিয়ে এই ইজিবাইক ইতিবাচক !
সেদিন ডেইলি স্টারের একটা নিউজে দেখলাম রোড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটি বিদ্যুর চালিত সকল যান বাহনের উপরে রেস্ট্রিকশন উঠিয়ে দিয়ে সেটা সহজ করে দেওয়ার জন্য উদ্দ্যোগ নিয়েছে । অথচ আজকে এই ইজি বাইক অবৈধ করে দেওয়া হল !
৬| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:৩৫
সাসুম বলেছেন: এই কাম করছে আওয়ামী লীগের এক চাটার বাচ্চা। তার নিজের একটা শাউয়া কোম্পানি আছে, নাম দিছে বাঘ অটোমোবাইল, চায়না থেকে সস্থা থার্ড ক্লাস সোলার পেনেল আইনা সেই পেনেল এই লোকাল থ্রি হুইলার এর উপর লাগাইয়া সেটার নাম দিছে ইকো ফ্রেন্ডলি ইকো অটো। মানে, আমাদের দেশে কেলাস ৫ পাস ইলেক্টিরিক মিস্ত্রিরির কাম।
তো ২০১৯ সালে তারে জিগাইলাম- এই অটো চালাইব কখন? কইলো দিনে এবং রাতে। কইলাম, এই অটোর ব্যাটারি এই ১০০ ওয়াটের ১৬% কার্যক্ষমতার সোলার প্যানেল যেখান থেকে দিনের সবচেয়ে সেরা সময়ে মানে দুপুর ১২ টায় মাত্র ১৬ ওয়াট ম্যাক্স ইনপুট পাওয়া যাইব, আর দিনের বাকি সময় আরো কম । এই বিশাল অটো ব্যাটারি ক্য দিনে চার্জ হবে? উত্তর নাই। আসল কাহিনী ১৫ দিন লাগব একটা ব্যাটারি চার্জ হইতে তাও এই অটো একদম খোলা রাস্তায় তেব্র রৈদের উপর চালাইতে হবে নাইলে সোলার ইনপুট আইব না। ব্রান্ড প্রেক্টিশনার গ্রুপে তারে যাইতা ধরছিলাম, এরপর আমারে ব্লক দিছে।
আসল কাহিনী, ঐ বাইঞ্চুত নিজের বাঘ নামক শাউয়া চালানোর জন্য এই অকাম করাইছে হাই কোর্ট রিট করাইয়া। তার ঐ বাল জাস্ট এই অটোর উপর একটা সোলার পেনেল বসাইয়া সেটারে চার্জিং কানেক্ট করে দিছে। বাট, এই রিস্কা দিন শেষে রাইতে আন্ধারে সেই লোকাল ২২০ ভোল্টেজ এর ইলেক্ট্রিক লাইনেই চার্জ দিতে হবে।
শুন, খবর যা দেখিস, সেখানে খুটিয়ে খুটিয়ে পড়বি। হুট করে সিদ্ধান্তে আসা যাবেনা। আসল কাহিনী ভেতরে দেখ হালকা করে লিখা আছে এই বাঘ নামের শাউয়া অটোমোবাইল কোম্পানি মালিক এর জন্য রিট করছে এখন আদালত এই রায় দিছে।
এখন আসা যাক, এই রায়ের ফলে কি হইব? সেই শাউয়া তার ইনভেস্টর দের দেখাইব, দেখ আমরা সরকার আর আদালত রে দিয়া ব্যান করাইছি এখন আমার ইকো ফ্রেন্ডলি অটো সেই চলা চলবে দেশে হাজার লাখ কোটী ডলার সেল হবে।, আমার আরো ইনভেস্টমেন্ট দাও। এই লোক ক দিন পর এনার্জি মিনিস্টার বা পরিবহন মিনিস্টার পদে নিয়োগ ও পাইতে পারে। ( এনাম মেডিকেল এর এনাম আর সুইসাইড কাগুর উদাহরণ )
ঘটনা হইল, এই অটো যে এলাকায় চালায় সে এলাকা গুলা কন্ট্রোল করে এলাকার আম্লীগ, যুযব্লীগ আর শ্রমিক লীগ সহ ছাত্রলীগ পোলাপাইন। তাদের কোন সমস্যা হবেনা। তারা তাদের মত লাইন আর রুট ঠিক মত চান্দাবাজি করে চালাবে। কাহিনী হবে সেই লাইনের পাশে দাড়ায়া এখন পুলিশ ও ২ পয়সা কামাইবে। কারন সরকার কইছে অবৈধ। যেই গেরেজে চার্জ দেয় সেই গেরেজ ওয়ালা ও বিল বাড়াবে কারন পুলিশ এখন রেগুলার রেইড দিবে। মোট কথা আগে যেখানে ৫ টাকায় যাইতি এখন সেখানে ১০ টাকায় যাইবি/
ও হ্যা, সেই বাঘ শাউয়া একটাও বেচা হইব না, এই বংগ দেশের মানুষ জাতে মাতাল তালে একদম পাক্কক্কক্কক্কা ঠিক। সারা দিন সোলার মাথার উপর নিয়া যদি ১০% ব্যাটারি চার্জ করতে না পারে বেশি দাম দিয়া কোন দুঃখে কিনবে? বাট এই কুম্পানির মালিকের একদম পোয়া বাড়ো! মিলিয়ন ডলার ইনভেস্টমেন্ট আইতাছে।
একদলা থু যারা এই কামে সাপোর্ট দিছে, বিল পাশ করাইছে এই ঘোত ঘোত করা শুয়োর রে আরো বেশি ধান্দা করার উপায় করে দিছে।
প্রতিবাদ করা উচিত খবরের পই পই করে ভেতরের নিউজ বাইর কইরা। বাহির থেকে খালি চেরি পিকিং করলে হবেনা।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০১
অপু তানভীর বলেছেন: বন্ধ হবে না সেটা তো পোস্টেই কইছি । এখন চালকদের বাড়তি আরও কিছু টাকা গুনা লাগবে যাতে এই গুলা পথে চলতে পারে । কিন্তু কথা হচ্ছে এই এতো গুলো মানুষের একটা আয় আগে যেটা বৈধ ছিল এখন সেটা দেশীয় আইনে অবৈধ হয়ে গেল ! কোন রকম চিন্তা ভাবনা ছাড়াই এমন একটা জিনিস প্রতিষ্ঠা হয়ে গেল ।
আর প্রতিবাদ কি এখন এখানে করে কিছু হয়? হবে ! এটা কোন ভাবেই প্রতিবাদ না ।
৭| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:১৪
সাসুম বলেছেন: কমেন্টের সেকেন্ড পার্টঃ
পত্রিকার নিউজ টা আরো একটু ভাল করে খেয়াল করলে দেখবি, সেখানে আরো একটা জিনিষ লিখা আছে। অবৈধ থ্রি হুইলার তুলে দেয়ার জন্য তবে এসিড ব্যাটারি চালিত। এদিকে অন্য ব্যাটারি চালিত গুলা আবার অবৈধ না। খেলা আছে এই লাইনে।
এইবার এইখানে রাজনীতি টা খেয়াল কর। বাজারে দুই ধরনের ব্যাটারি আছে। এজি এম ব্যাটারি ( এগুলা নরমাল ব্যাটারি আমরা যেগুলা চিনি, পি এইচ নিউট্রাল পানি ( মানে আমরা যেগুলারে ব্যাটারির এসিড বলি ) দিতে হয় এবং লেড ভিত্তিক ইলেক্ট্রন ডিসচার্জ সিস্টেমে কাজ করে। এই ব্যাটারি গুলার দাম কম এবং এগুলা পরিবেশ এর উপর বিরুপ প্রভাব ফেলে ( কারন এগুলা ডাম্প করা হয় ইজিলি কারন রি সাইকেল করতে ঝামেলা)
তো ঘটনা হল, এই এজি এম ব্যাটারি কে বানায়? কারা বানায়। দেশে এজি এম ব্যাটারি মানে এসিড রিলেটেড ব্যাটারি বানায় রহিম আফ্রোজ এর লুকাস আর গাজিপুর শ্রীপুর এর কিছু চায়নিজ ইনভেস্টমেন্ট করা ফ্যাক্টরি, দ্দেশের ১০০% ব্যাটারির চাহিদা তারা মেটায়। ইভেন লুকাস ( রহিম আফ্রোজ এর ) আগে ইন্ডিয়াতে হিউজ রপ্তানি হত, পরে ইন্ডীয়া এই রপ্তানি অফ করার জন্য লিটারার আইন করছে, এন্টি ডাম্পিং ল , সেটা আরেক দিনের আলাপ ( আমার সাপ্লাই চেইন এম এস এর থিসিস ছিল রহিম আফ্রোজ এর লুকাস ব্যাটারির ইন্ডিয়ার রপ্তানি কাহিনী )
যাই হোক, এখন এই ব্যাটারি বাজার ধরতে হবে। বিশাল বিলিয়ন ডলার এর মার্কেট। চায়না থেকে সস্তা ব্যাটারি পাওয়া গেল। এগুলা এসিড বেইজড না, মানে লিথিয়াম আয়ন বেইজড। এই ব্যাটারির সুবিধা হল এগুলার চার্জ একদম লাস্ট স্টেজ মানে ৮৫% পর্যন্ত ইউজ করা যায় অন্য দিকে এসিড ব্যাটারি মাত্র ৫০% ইউজ করলেই আবার চার্জ দেয়া লাগে। এই লিথিয়াম ব্যাটারি আবার দেশে তৈরি হয়না। সো, এই এসিড ব্যাটারির মার্কেট খাওয়ার জন্য, ইম্পোর্ট করে লিথিয়াম ব্যাটারি চালানোর জন্য, দেশের লাখ লাখ এসিড ব্যাটারি ভিত্তিক ইন্ড্রাস্ট্রি বন্ধ করার জন্য ইম্পোর্টার রা আর ঐ বাঘ শাউয়ার মালিক মিলে এই অকাম করছে। এদিকে লিথিয়াম আয়ন ভিত্তিক ব্যাটারির দাম ৪/৫ গুণ নরমাল ব্যাটারির সো বাজার ও বিশাল।
এখন কি অইব? দেখবি কদিন পর, বাসের সাম্নে যেমন এখন লেখা আছে, গ্যাস বা ডিজেল চালিত, তেমনি অটোর সামনে ও লিখা থাকবে লিথিয়াম বা এসিড চালিত। সেই লিখার উপর নির্ভর করবে চান্দা, গাড়ির ডেইলি ভাড়া, লোকাল আসা যাওয়ার ভাড়া, পুলিশের ভাড়া, গেরেজের চার্জ দেয়ার বিল আরো অনেক অনেক কিছু।
মানে, এই দেশে তুই যাই ঘটনা দেখবি, সেই ঘটনার পিছে কোন না কোন বাইঞ্চুত গিরী থাকবেই থাকবে। সেটা খুইজা বাইর করতে পারলেই আসল কাহিনী বের করতে পারবি
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০৫
অপু তানভীর বলেছেন: খাইছে আমারে ! ঘরের পেছনে এতো বড় ঘর লুকিয়ে আছে !
মানে নিজেদের আখের গোছানোর জন্য কী চমৎভাবর ভাবে পুরো সিস্টেমকে ব্যবহার করা এবং সিস্টেম হাসি মুখে সেটা মেনেও নেওয়া !
৮| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:১৬
সোহানী বলেছেন: ঠিক একই প্রশ্ন আমারো। কোন সিদ্ধান্ত নেবার আগে তার বিকল্প ব্যবস্থা করা, এর এফেক্ট চিন্তা করা সহ অনেক কাজ দরকার। ইচ্ছে হলো আর ধুম করে আইন করে দিলাম........। এটা তো কোন সভ্য কাজ হতে পারে না।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০৭
অপু তানভীর বলেছেন: বিকল্প ব্যবস্থা তো অবশ্যই তৈরির দরকার ছিল । কারণ যে যে এলাকাতে ইজিবাইক চলে সে সব এলাকাতে বিকল্প যান একদম নেই এখন । এক দিনের ভেতরে সেখানে কিভাবে চলে আসবে এতো এতো রিক্সা ? মানুষ চলাচল করবে কিভাবে?
৯| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:২৭
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আহারে গরিব মরে আর মরে। কে দেখবে কে বলবে
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০৭
অপু তানভীর বলেছেন: এটা তো চিরন্তন ভাবেই হয়ে আসছে !
১০| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৫
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
ইজি বাইক কি পরিবেশ-বান্ধব যান না?
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৫০
অপু তানভীর বলেছেন: অন্য যে কোন যান থেকে ইজিবাইক বেশি পরিবেশ বান্ধব ! পুরো বিশ্ব এখন ধীরে ধীরে বিদ্যুৎ কারের দিকে ধাবিত হচ্ছে পরিবেশের কথা চিন্তা করে ।
১১| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৭
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: এদেশে উল্টা-পাল্টা নির্দেহাশ দেওয়া হাই কোর্ট থাকার দরকার নেই।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৫১
অপু তানভীর বলেছেন: এমন মন্তব্যের জন্য আপনার নামে কেইস হয়ে যেতে পারে !
১২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৮:২০
নীল আকাশ বলেছেন: ব্লগারব সাসুম কে ধন্যবাদ। আমি যা লিখতে এসেছিলাম তার চেয়েও উনি ব্যাপকভাবে লিখে দিয়েছেন। এউসব ভানুমতির খেলার গোমর ফাঁস হয়ে যায় কিছুদিন পরেই।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৫২
অপু তানভীর বলেছেন: এখানে স্পষ্ট যে কেবল গুটি কিছু ব্যক্তি বিশেষের স্বার্থ রক্ষার জন্য এমন একটা কাজ করা হচ্ছে । ভাবা হচ্ছ না এতো গুলো মানুষের কথা ।
১৩| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:২২
জুল ভার্ন বলেছেন: মজার ব্যাপার হচ্ছে- ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা আমদানী এবং বিক্রয় নিষিদ্ধ নয়, কিন্তু চালানো নিষিদ্ধ করে বাংগালরে চিরাচরিত ভাবে হাইকোর্ট দেখিয়েছে!
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:২১
অপু তানভীর বলেছেন: সাথে সাথে এতো গুলো মানুষের আয়কে অবৈধ ঘোষনা করা দেওয়া হল ! একখন এদের কী হবে সেটা নিয়ে কেউ চিন্তা করছে না ।
১৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৫৬
রানার ব্লগ বলেছেন: চোর কে চুরি করার অনুমতি দিয়ে কোতোয়াল কে বলা হচ্ছে ধরতে , এই রায় এটাই বলে ।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:২১
অপু তানভীর বলেছেন: সামনে কি হবে কে জানে ? এই মানুষ গুলোর কথা কেউ ভাবছে না ।
১৫| ২১ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ১২:৪৯
সাসুম বলেছেন: বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলারের যুগে বাংলাদেশ, অনুমতি পেলো ‘বাঘ’
দেখঃ বলেছিলাম না এই বাপ্পি হমুন্দির নাতির কাম??
দেখ বাঘ এর রেজিস্ট্রেশান বাগাইয়া নিছে এখন, এইবার দেশে যে লাখ লাখ গাড়ি বাতিল বলে সরকার ঘোষণা দিছে সেগুলা সে কিনে নিবে সস্তায় এরপর তার সাইনবোর্ড লাগাইয়া আবার রাস্তায় নামাবে , এরপর সেগুলা আবার চড়া দামে বেচবে।
বিম্পির সময় হলুদ টেক্সি থেকে সবুজ সিঞ্জি বানাইতে ২ লাখ টেকার সিঞ্জি যেম্নে ১৬ লাখ টেকা হইছে, এইবার ১ লাখ টেকার থ্রি হুইলার ১০ লাখে যাওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
এই দেশে পার্টি জাতি এসব ফ্যাক্ট না, ফ্যাক্ট হইলো পুটকি ম্রা,
এই কারনে যখন দলীয় খাঙ্কের পুতেরা আইসা তাগো দলের সুনাম করে তখন মন চায় পুটকি বরাবর লাথি মারি শুয়োর গুলার ।
পুরা একটা দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা মেরে দেয়ার কারবার শেষ করে ফেলেছে এই বাইঞ্চুত
২১ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:০০
অপু তানভীর বলেছেন: এমনটাই তো হওয়ার কথা ছিল ! কি চমৎকার ভাবে পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়ে গেল !
১৬| ২১ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:১০
সাসুম বলেছেন: এই বাপ্পী এই পরিকল্পনা শুরু করেছে সেই ২০১৮ থেকে, ২০১৯ সালে তারে কনফ্রন্ট করেছিলাম আমি, সে আমারে তখন গালাগালি করে ব্যান করেছিল।
আমি অনেক দিন তার বিরোধিতা করেছিলাম, পরে দেখলাম আওয়ামী লীগের হাই কমান্ড এর লগে উঠাবসা, কবে আর তুলে নিয়ে যায়। হালকা পাতলা থ্রেট যে পাইনাই, এমন না। তবে, একদিন ব্রান্ড প্রেক্টিশনার গ্রুপে ধরেছিলাম একদম ডেটা আর সায়েন্স নিয়ে গিয়ে। তার পুরা প্রজেক্ট টা ভাওতাবাজি আর টাকা মেরে খাওয়ার জন্য, পরে আমারে ব্লক দেয়।
একদম ক্লিয়ারলি টাকা মেরে খেয়ে মনোপলির জন্য সে এই কাজ করছে, মুক্ত বাজার ইকোনমিতে আর কেউ বাজারে এখন ইলেক্ট্রিক থ্রি হুইলার নামাতে পারবেনা, চিন্তা করতে পারছস মাদারচোদ এর ধান্দা টা?? এমন না, তার সোলার পাওয়ারে গাড়ী চলবে, এই সোলার পাওয়ারে সারাদিন চার্জ হয়েও গাড়ি চলবে ১০ মিনিট, আসল চার্জ কারেন্টেই দিতে হবে।
তার আসল ধান্দা গাড়ির রেজিস্ট্রেশন এর জন্য টেকা কামানো, নিজের বাল নামের চায়না মাল বেচা, ইম্পোর্ট করে লিথিয়াম বেটারি বেচা আর ধান্দা করা।
এই দেশের আওয়ামী লীগের উপর আমার ঘেন্না এমনি এমনি জন্মায় নাই।
২১ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:৪৫
অপু তানভীর বলেছেন: এই কথা তো মোটেও বলা অপেক্ষা রাখে না যে টাকা কামনার ধান্দা থেকে এই কাজ করা হয়েছে অথচ পরিবেশ বান্ধব বলে পরিবেশের উপকার দেশের উন্নয়ন সব বলে কত মুখে ফেলা সৃষ্টি করা হচ্ছে । এবং এটার সাথে কর্তৃপক্ষের কী চমৎকার মেল বন্ধন ! কোথায় এটাকে তারা বাঁধা দিবে, সেটা না করে সেটার সাথে সংযুক্ত হয়ে এই ফাপড়বাজিটাকে বৈধ রূপ দেওয়া হল !
এবং এই সবই হচ্ছে উন্নয়ন !!
১৭| ২১ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:২৪
বংগল কক বলেছেন: এই বাপ্পি নামের বাল-ছাল তাইলে নাটের গুরু?এই বাপ্পি নামের বাল-ছাল তাইলে নাটের গুরু?
২১ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:৪৬
অপু তানভীর বলেছেন: তাই ই তো মনে হচ্ছে
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৩৭
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: যদিও আদালতের রায়কে সম্মান করতে হবে এবং মানতে হবে , তারপরও কিছু প্রশ্ন মনে আসে -
১। এগুলি আমাদের দেশে তৈরী নয় এটা নিশ্চিত, যদি আমাদের দেশে তৈরী না হয়ে থাকে তাহলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া এগুলি দেশে আসল কিভাবে এবং এত বছর চলল কিভাবে ?
২। আর যদি আমাদের দেশে তৈরী হয়ে থাকে তাহলে এগুলি তৈরীর আগে কি অনুমতি পেয়েছিল যথাযথ কর্তৃপক্ষের ?
৩। এতগুলি মানুষের রুটি-রুজির (কাজের ) সুযোগ বন্ধ হয়ে যাবে, তাদের জন্য বিকল্প কাজের কিছু হবে কি এই করোনা কালীন দূর্যোগের মাঝে?
৪। এগুলি বেশীরভাগই চালায় এবং মালিক নিম্ন মধ্যবিত্ত / গরীব মানুষ । যারা হয়ত এই পুজির ব্যবস্থা করেছে নিজের জীবনের পুরা সঞ্চয় দিয়ে বা জায়গা জমি বিক্রয় করে বা এনজিও থেকে লোন নিয়ে ।এখন তারা কিভাবে এই পুজি পুনরুদ্ধার করবে?
৫। এদের বিকল্প যানবাহন কি এবং হঠাত করে এগুলো বন্ধ হয়ে গেলে মানুষ কিভাবে যাতায়াত করবে?
আমরা আশা করি , আদালত - সরকার মানবিক দৃষ্টিতে এর সুফল-কুফল বিবেচনা করে রায় পূর্ণবিবেচনা করবে।
আমরা ,