নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটা বই ভাল কি খারাপ এই ব্যাপারটা আপনারা কিভাবে নির্ধারণ করেন?
প্রতি বছর বই মেলা এলেই কিছু কিছু বিশেষজ্ঞদের গুরুত্বপূর্ন মতামত আমরা দেখতে পাই অনলাইনে । অনলাইণ বলতে ফেসবুক এবং ব্লগে । তাদের ভাষ্যমত মতে বই মেলায় প্রকাশিত বইয়ের মান ভাল না । বেশির ভাগই ভাল না ! এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে এই তারা বলেন ভাল না, এই ব্যাপারটা তারা আসলে কিভাবে বের করেন?
এই ব্যাপারে আরও কিছু বলছি তার আগে গতকাল মেলাতে গিয়েছিলাম সেখান থেকে কিনে আনা কয়েকটা বইয়ের ছবি দেখাই ! এই বইটা সবার প্রথমে চোখে পড়লো । মুক্তিযুদ্ধের সময় চুয়াডাঙ্গায় কি হয়েছিলো সেইটা নিয়ে লেখা । এখানে চুয়াডাঙ্গা জেলার কিছু মুক্তিযোদ্ধাদের বয়ান লিপি বদ্ধ আছে । মূলত এই কারণেই বইটা কেনা ! দেখা যাক কেমন হয় !
এরপরের বইটা সুডোকু মেলানোর বই । সুডোকু আমার পছন্দের একটা খেলা। বইতে অনেক গুলো সুডোকুর খেলা দেওয়া আছে । আস্তে আস্তে সব মিলিয়ে ফেলবো আশা করি ।
পরের দুইটা বই আমাদের প্রিয় ব্লগার মুনিরা সুলতানা আপুর । এই আপুর বইটা যে স্টলে আছে সেই স্টলে আমার পরিচিত একজন রয়েছে । বই কিনতে গিয়ে তার সাথে দেখা হল । উচিৎ ছিল একটা বই কিনে আনা । পরের দিন আবারও আরেকটা বই কেনার উছিলাতে যাওয়া যেত আরেকবার !
এই বইটা কিনেছি কেবল মাত্র বইয়ের নাম দেখে । এই লেখককে আমি চিনিও না । তার লেখা পড়ি নি । লেখক যদি এই নামটা না দিতেন তাহলে হয়তো এই বইটা কেনা হত না কোন দিন । এখন পড়ে দেখতে হবে কেমন হয় !
এটাই সায়েন্স বইটা খুবই ইন্টারেস্টিং একটা বই । গত বছর এই বইটার আরও একটা পর্ব বের হয়েছিলো । বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া বিজ্ঞানের কিছু মজাদার ঘটনা নিয়ে বইটা লেখা হয়েছে ।
আমাদের সামু ব্লগের সাবেক ব্লগার মাহী ফ্লোরা আপুর বই
গান্ধী আমার সব সময়ের আগ্রহের একটা ক্যারেক্টার । লাগে রাহো মুন্না ভাই মুভি দেখার পর থেকে এই আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছিলো । তারপর তাকে নিয়ে যা বই পেয়েছি পড়ে ফেলার চেষ্টা করেছি ! দেখা যাক এটার ভেতরে কী আছে !
প্রেমিক বইটা কেন কিনলা কে জানে ! ফ্ল্যাপে লেখাটা পছন্দ হল সম্ভবত তাই
কাল কেনা সব থেকে ইন্টারেস্টিং বই । গুপ্ত সংঘ সম্পর্কে কার না আগ্রহ আছে ।
তো যা বলছিলাম । বই মেলা এলেই এই রকম কিছু বিশেষজ্ঞ আমরা দেখতে পাই যারা বাংলা সাহিত্য পতন হয়ে যাচ্ছে এটা নিয়ে তাদের মাথা ব্যাথার শেষ নেই । বইয়ের মান ভাল না, লেখকরা টাকা দিয়ে বই ছাপায়, আরও কত তাদের অভিযোগ !
আমার মাথায় কেবল একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খায় । সেটা হচ্ছে এই যে বইয়ের নাম ভাল না তারা বলছে, তারা আসলে কত গুলো বই পড়েছে ? উপরের প্রশ্নটার উত্তরে যদি বলি, একটা বই ভাল কি খারাপ সেটা বের করার একমাত্র উপায় হচ্ছে বইটা পড়া । কোন বই না পড়েই যদি বইটা ভাল নাকি খারাপ এই ব্যাপারে আপনি মন্তব্য করেন তাহলে সোজা বাংলায় বলতে হয় আপনি উন্নতি শ্রেণীর বলদ । এবং এই বলদের সংখ্যাটা খুব কম নয় !
এখন পয়েন্ট হচ্ছে, বইমেলায় প্রকাশিত বেশির ভাগ বইয়ের মান ভাল না, আপনি যদি এই কথা বলেন তাহলে আপনাকে বই মেলায় প্রকাশিত বেশির ভাগ বই পড়তে হবে । অন্তত বেশির ভাগ লেখকদের লেখা আপনাকে পড়তে হবে । এখন আপনি কি পড়েছেন ? যদি আপনি না পড়ে থাকেন তাহলে আপনি কিভাবে এই মতটা দিলেন যে বইমেলার বেশির ভাগ বই ভাল না ?
আমি এই ব্যাপারে জানতে আগ্রহী! বই না পড়েই বই সম্পর্কে মতামত কিভাবে দেন ? কোন বিশেষ ফর্মূলা আছে নাকি আপনারা জ্বীন পালেন ? সেই জ্বীন আপনাদের কে জানিয়ে গেছে?
প্রতিবছর মেলাতে গড় চার হাজারের উপরে বই বের হয় । সংখ্যাটা চার হাজার ! এর ভেতরে আপনার পড়া বই কয়টি ? আচ্ছা বই পড়া বাদই দিলাম । বই সম্পর্কে আলোচনা, বই রিভিউ পড়েছেন কত গুলো? এই পরিমানটা কত?
চার হাজার সংখ্যাটার সাথে তার অনুপাত কত?
গতবছর আমি বই পড়েছি ৩৮টা । তার ভেতরে কিছু বই আমার ভাল লাগে নি । পড়ে মনে হয়েছে সময় নষ্ট হল । কিছু বই পড়ে চমৎকার লেগেছে । এখন এই ৩৮টা বই পড়ে আমি যদি বলি বইমেলার প্রকাশিত সব ভাল কিংবা সব বই খারাপ নীচু মানের তাহলে কি বলদামী হবে না?
আমি তো ৩৮টা বই পড়েছি, এমন বলদও আছে যারা পুরো জীবনে একটা বই পর্যন্ত পড়ে নি অথচ বইমেলার বইয়ের মান খারাপ সেটা মতামত দিয়ে বসে আছে !
একটা বই ভাল কী খারাপ ষেটা সম্পর্কে বলতে গেলে আপনাকে বইটা পড়তে হবে । ঠিক একই ভাবে বাংলা সাহিত্যে বর্তমান অবস্থা বুঝতে হলে আপনাকে বই পড়তে হবে । বেশির ভাগ লেখকদের বই পড়তে হবে । তারপর আপনি এই ব্যাপারে কোন মন্তব্য করার মত যোগ্যতা অর্জন করবেন ।
আমি অবশ্যই বলছি না সাহিত্যের মান খুব ভাল আবার আমি এও বলছি না যে বর্তমান সাহিত্যের মান খুব খারাপ । কারণ যে জিনিস সম্পর্কে আমার ধারণাই পুরোপুরি হয় নি সেইটা সম্পর্কে আমি মন্তব্য কিভাবে করবো ?
বলদামী করবেন না । বই পড়ুন তারপর বই সম্পর্কে মতামত দিন !
বই পড়ুন এবং মেলায় গিয়া ব্লগারদের বই কিনুন !
০২ রা মার্চ, ২০২২ রাত ১১:২০
অপু তানভীর বলেছেন: সুডোকু খেলে আমি অনেক সময় পার করি । এখন তো মোবাইলেই এই খেলা অনেক সহজে পাওয়া যায় । আগে পাওয়া যেত না । পত্রিকা প্রতিদিন দিতো । সেটা সমাধান করতাম !
২| ০২ রা মার্চ, ২০২২ বিকাল ৫:৫২
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: একটা বই ভালো কি খারাপ তা তো অনেক কিছুই নির্ভর করে।
আমি যখন একটা বই পড়ি, তখন আমি প্রথমে হিসাব করি যে আসলে আমি কি জন্য বইটি পড়ছি। যদি জ্ঞান অর্জনের জন্য বই পড়ি, তাহলে যদি বই শেষে আসলেই তেমন কোন জ্ঞান অর্জন না হয়, বইটি খারাপ মনে হবে। আর জ্ঞান অর্জন না হলে........
যখন সেলফ ডেভলপমেন্ট বই পড়ি, তখন হিসাবটা থাকে যে আসলেই এই জিনিষ গুলি আমার সাথে যায় কিনা বা আমি এগুলি এপ্লাই করতো পারবো কি না।
যখন উপন্যাস পড়ি, তখন কাহিনীটি কতটুকু উপভোগ করতে পারলাম সেটা একটা বিষয়।
ধর্মীয় বই পড়তে গেলে আমি রেফরেন্স নির্ভর বই পড়তে ভালোবাসি। তাতে করে অথেন্টিসিটি নিয়ে কম মাথা ঘামাতে হয়।
এসব মিলাতে গেলে আসলে ভালো-মন্দ বই জনে জনে নির্ভর করবে। কেউ নির্মেলেন্দু গুনের লেখা পড়ে ঠাস করে পড়ে যাবে; কেউ কেউ (আমার মত) জীবনে একটা দুইটা পড়ে আর ছুঁয়েও দেখবে না।
০২ রা মার্চ, ২০২২ রাত ১১:২১
অপু তানভীর বলেছেন: সব থেকে বড় পয়েন্টটা হচ্ছে ভাল বই কী খারাপ বই সেটা বলতে গেলে আগে বইটা পড়তে তো হবে !
কিন্তু একটা ব্যাপার খেয়াল করে দেখবেন যারা এই লেখার মান করি, বইয়ের মান নিয়ে বড় বড় কথা বলে তাদের বেশির ভাগই বই পড়ে না । বই না পড়ে তারা কিভাবে বই সম্পর্কে মতামত দিয়ে ফেলে !
৩| ০২ রা মার্চ, ২০২২ রাত ৯:২০
জুল ভার্ন বলেছেন: একাধিক বার বইমেলায় যাওয়ার মূল কারণ মুক্তিযুদ্ধের উপর প্রকাশিত বইগুলো সংগ্রহ করা।
০২ রা মার্চ, ২০২২ রাত ১১:২২
অপু তানভীর বলেছেন: একদিন আপনার বাসায় গিয়ে দেখে আসতে হবে আপনার কালেকশন !
৪| ০২ রা মার্চ, ২০২২ রাত ১১:৩০
তানীম আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: সুনিদ্দিষ্ট লেখকদের ভক্ত সম্প্রদয় এই কাজ অনেক অনেক আগে থেকেই করে আসছে । বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে যখন নিয়মিত যেতাম , সেখানে হূমায়ন আহমেদ , সেবা প্রকাশনী , হেলাল হাফিজ , শীর্ষেন্দু ,সমরেশ পড়তে স্পষ্টভাবে মানা করা হতো । সেবা প্রকাশনীর অনুবাদ মানহীন বলা হতো । আমার কাছে শওকত ওসমানের ক্রীতদাসের হাসি ভালো লাগতো ,কপালকুন্ডলা ভালো লাগতো আবার হূমায়ন আহমেদের হোটেল গ্রেভারইনও ভালো লাগতো । বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র এমন কেন করত বুঝি নাই এখনো । হয়তো এমন কোনো ভাবে মাথায় ঢুকিয়ে দেয়া আছে এসময়ের লেখক আধুনিক লেখক নতুন লেখক এরা ভালো লেখেনা বই প্রকাশের অযোগ্য।
আমি আমার সামর্থ্যের মধ্যে থেকে পড়ি , সবাইকে সবকিছু পড়তে বলি ।
০৩ রা মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:২৭
অপু তানভীর বলেছেন: এই যে মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া এই ব্যাপারটা আমাদের সমাজের সাথে যুগযুগ ধরেই চলে আসছে । কেবল মাত্র নির্দিষ্ট শ্রেণীর পাঠকগোষ্ঠীই নয় সমাজের সর্ব স্তরের মাঝেই এই প্রবণতা টা আছে । সমাজের সব শ্রেণীই কেবল নিজেরটা বাদ দিয়ে অন্য সবারটা খারাপ মনে করে । নিজে যেটা বিশ্বাস করে সেটা বাদ আর সব চিন্তা চেতনা ভাবনাকে ভুল মনে করে !
৫| ০৩ রা মার্চ, ২০২২ রাত ১২:৩৬
তানীম আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: ভাইয়া আপনি কি এই পোষ্ট ৩১ নং মন্তব্যের মতো উদাহরণকে বলদামি আবলামি বলতে চাইছেন ।
জানার আগ্রহ ছিলো ।
০৩ রা মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:৩০
অপু তানভীর বলেছেন: এই পোস্ট কেবল একজনের উদ্দেশ্য নয় । আমাদের সমাজে লেখক শ্রেণীদের নিয়ে, বিশেষ করে নবীন লেখকদের নিয়ে অন্য শ্রেণীর মানুষের বিশেষ চুলকানী রয়েছে । সমাচলনা অবশ্যই মেনে নেওয়া যায় । কিন্তু একটা মানুষ যেখানে কোন বই না পড়েই যখন একজন লেখক এবং তার লেখা নিয়ে মন্তব্য করে তখন তাকে রাম বলদ ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না । এই রকম কাজ করা প্রতিটি ইন্ডিভিজুয়্যালই এই বলদ শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত ১
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:০৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: সুডোকু আমারও পছন্দের খেলা।