নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.oputanvir.com

অপু তানভীর

আমার চোখে ঠোঁটে মুখে তুমি লেগে আছো

অপু তানভীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতা আমাদের কাছে স্বাভাবিক !

২৮ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:৫১

আমি যে হোটেলে নিয়মিত খাওয়া দাওয়া করি সেই হোটেলে একটা বেড়াল ছিল । হোটেলের বয় রাকিবেশর পোষা বেড়াল । নাদুস নুদুস দেখতে । গায়ের রং অনেকটা বাঘের মত । খুবই চমৎকার । সারাদিন হোটেলের আশে পাশে ঘুরে বেড়াতো কিংবা হোটেলের এক কোনে বসে থাকতো চুপচাপ । পাশেই খাবার সাজানো কিন্তু কোন দিন সেখানে মুখ দিতো না । সময় মত ক্ষুধা লাগলে সে রাকিবের পায়ের গিয়ে শরীর ঘষতো । আর মিয়াও মিয়াও করতো ।

আমি প্রতিদিন রাতে যখন খেতে যেতাম প্রতিদিন খাওয়া শেষ করে মাছ কিংবা মাংসের কিছু অংশ বেড়ালটাকে খেতে দিতাম ! প্রথম দু একদিন খাবার দেওয়ার পরপরই খেয়াল করে দেখতাম যে রাতে যখনই খেতে যেতাম তখনই সে হাজির হয়ে যেত আমার সামনে । আমি কিছু খেতাম আর খাওয়া থেকে বেড়ালটাকে খেতে দিতাম । আমার পায়ের কাছে এসে বসতো চুপচাপ ! কয়েকদিন আগে থেকে খেয়াল করলাম যে বেড়ালটা আর নেই । যখন পরপর কয়েকদিন দেখলাম না খাওয়ার সময় তখন রাকিবকে জিজ্ঞেস করলাম যে তার বেড়ালটা কোথায় । রাকিব জানালো যে ওপাড়ার কয়েকটা ছেলে বেড়ালটাকে মেরে ফেলেছে ।
বুকের ভেতরে ছ্যাৎ করে উঠলো ! কেমন যে মনে হল ঠিক বোঝাতে পারবো না । রাতে ঠিক মত খাওয়াই হল না আর । বারবার কেবল চোখের সামনে বেড়ালটার ছবি ভেসে উঠলো । পায়ের এসে মিউ মিউ করছে । আমার দিকে তাকিয়ে আছে ! আমার পায়ের কাছে এসে বসেছে !

মানুষ কিভাবে একটা জলজন্ত একটা প্রাণীকে মেরে ফেলতে পারে ! তিন দিন আগে ফেসবুকে একটা ছবি দেখতে পেলাম ! বাংলাদেশেরই একটা গ্রামের গ্রামবাসীরা মিলে একটা চিতা বাঘকে মেরে ঝুলিয়ে রেখেছে এবং উল্লাস করছে !
কি ভয়ংকর একটা দৃশ্য !
পুরো গ্রামের মানুষ একটা প্রাণীকে মেরে ফেলেছে এবং সেটা নিয়ে উল্লাস করছে !
কেবল যে নৃসংশ এই দৃশ্য সেটাই না, এর থেকে কাপুরুষতার ব্যাপার আর কিছু ঘটতেই পারে না !
এদের ছেলেরা যখন এই নৃসংশ দৃশ্য দেখে বড় হবে তাদের কাছ থেকে আপনি কিভাবে স্বাভাবিক আচরণ আশা করতে পারেন?

এই রকমই আমাদের দেশে খুবই স্বাভাবিক একটা ব্যাপার ! এর আগেও অনেকের চোখে পড়ার কথা । বনবেড়াল, মেছোবাঘ চিতাবাঘ আরও কত প্রাণী মানুষ মেরে ফেলেছে !

ছোট বেলাতে দেখতাম নিজ গ্রামেই এই রকম দৃশ্য !
তখন আশে পাশে বনজঙ্গল ছিল ! বাঁশের ঝাড় ছিল ! তারই ভেতরে বাস করতো শেয়ালের দল । বর্ষা কালে মাঝে মাঝে তারা বের হত । এলাকার কারো বাড়ি হতে মুরগি ধরে নিয়ে যেত । প্রতি রাতে তাদের ডাক শোনা যেত । এখন আর এসব শোনা যায় না । প্রায়ই তখন দেখা যেত এলাকার ছোট বড়রা মিলে এই রকম শেয়ালের পেছনে লেগেছে । তাদের বাসায় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারছে নয়তো বের হতে বাধ্য করছে পরে সেগুলোকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে । আমার চোখের সমানে একদিন দুইটা ছোট ছোট বাচ্চাকে কী ভয়ংকর ভাবে পিটিয়ে মেরে ফেলা হল !

বছর দুয়েক আগের একটা ঘটনা সম্ভবত । ঢাকার একটা এলাকার একজন কুকুরের সাত ছোট ছোট বাচ্চাকে মাটি চাপা দিয়ে মেরে ফেলেছে । কারণ হিসাবে বলেছে কুকুরের ডাক তার সমস্যা হয় !
কদিন আগেও আমাদের ঢাকা শহরে কুকুর গুলোর প্রতি কর্তৃপক্ষ কী নিষ্ঠুর একটা পদক্ষেপ গ্রহন করলো । কতিপয় ব্লগারদের দেখলাম এই নিধনে তার সম্মতি রয়েছে । রাতে কুকুরের ডাকে তাদের ঘুম আসে না ! এই জন্য এই সব অবলা প্রাণী গুলোকে মেরে ফেলার পক্ষে তাদের সম্মতি রয়েছে !


রাস্তা ঘাটে যখন হাটা চলা করবেন তখন দেখবেন কিছু কিছু মানুষ আছে এমনিতেই কোন কারণ ছাড়াই পাশ দিয়ে হেটে যাওয়া কুকুর কিংবা বেড়ালের গায়ে ঢিল ছুড়ছে কিংবা তাদের আঘাত করছে ! কেন করছে ওরা?
এর উত্তর আমার জানা নেই ।

গ্রামে যখন ঈদের ছুটিতে বাসায় যাই তখন আমার সারাদিনই কাটে কেবল টিভি দেখে ! ডিসকভারি আর ন্যাশনাল জিওগ্রাফি । নাটজিওতে একটা প্রোগ্রাম হয় স্নেক ইন দ্য সিটি নামে ! এই প্রোগ্রামে দেখানো হয় যে এক দম্পতি সাপ ধারার কাজ করে । যদি কারো বাসা বাড়িতে কোন সাপ চলে আসে তাহলে তাদেরকে ফোন করা হয় তাহলে তারা সেখানে গিয়ে সাপটাকে ধরে বনে ছেড়ে দেয় ।
সাপকে মারে না কিন্তু । জীবন্ত ধরে এবং এমন ভাবে ধরার চেষ্টা করে যাতে সাপটার শরীরের আঘাত না লাগে ! সাপের মত একটা ভয়ংকর প্রাণীকেও ওরা মারতে নারাজ। একবার দেখেছিলাম একটা সামান্য বিড়াল ছানাকে রক্ষা করার জন্য রাস্তার পুরো পাইপলাইণ কেটে ফেলেছিল ফায়াব্রিগেড ! কেবল মাত্র সামান্য একটা বিড়াল ছানাকে বাঁচানোর জন্য ! আর আমাদের দেশে মানুষের বাচ্চা ড্রেনে পড়ে মরে থাকলেও কারো কিছু যায় আসে না !

খারাপ ভাল মিলিয়েই সব দেশের মানুষ । সব স্থানেই খারাপ মানুষ থাকবে এটা স্বাভাবিক । প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ অন্য দেশের মানুষও করে থাকে কিন্তু আমাদের দেশের মত এতো বিশাল পরিমানে সেটা নেই । সত্যিই নেই ।

মানুষের ভাল মন্দ বিচার করার আমার বেশ কিছু মান দণ্ড রয়েছে । এর ভেতরে একটা হচ্ছে এই প্রাণীর প্রতি আচরণ । আমার আসে পাশের মানুষজনের আচরণে যখন দেখি তার ভেতরে প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতা প্রকাশ পেয়েছে কিংবা প্রাণীর প্রতি তাদের কোন সহানুভূতি প্রকাশ পায় না আমি নিজেকে তাদের কাছ থেকে সব সময় দুরে সরিয়ে নিই ধীরে ধীরে ! এরা বাইরের দিকে যত ভাল মানুষের মুখোশই পরে থাকুক না কেন এদের ভেতরে একটা ভয়ংকর চেহারা লুকিয়ে আছে । জীবনের যে কোন পরিস্থিতিতে সেটা বের হয়ে আসতে পারে ! এদের কাছ থেকে সব সময় দুরত্ব বজায় রেখে চলাই উত্তম !


মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:৫৭

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: মানুষ খুবই নির্দয়।

২৮ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:০১

অপু তানভীর বলেছেন: আমরা তুলনা মূলক ভাবে বেশি নির্দয় নির্মম ! উন্নত বিশ্বের দিকে যদি তাকিয়ে দেখে ওরা মানুষের প্রতি প্রাণীর প্রতি সদয় ! সভ্য মানুষ মাত্রই প্রাণীর প্রতি সদয়, যত্নশীল !
আমরা যে কত সভ্য তা আমাদের এই আশে পাশের প্রাণীর প্রতি আচরণ থেকেই বুঝা যায় অনেকটা !

২| ২৮ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:২৯

ইসিয়াক বলেছেন: পারিপার্শ্বিক পরিবেশ এবং সঠিক শিক্ষা ই পারে মানুষকে এমন আচরণ হতে বিরত রাখতে। আমি ও একসময় খেলার ছলে অথবা নিজের মধ্যে সঠিক বোধ তৈরি না হওয়ার কারণে এমন বাজে আচরণের দোষে দুষ্ট ছিলাম। একবার দুটো সাপকে পুড়িয়ে মেরে ফেলেছিলাম শুধু আতঙ্কিত হবার কারণে। যদিও সাপ দুটো আমার পিঠের নিচে পড়েছিল আচমকাই।অমন অবস্থায় ও ওরা আমাকে কামড়ায়নি।আর তখন আমি জেনেছিলাম সাপের শরীর প্রচন্ড ঠান্ডা হয়।ভয়ঙ্কর ঠান্ডা।


যত ক্ষুদ্র ই হোক সকল প্রাণির বেঁচে থাকার অধিকার আছে।

২৮ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:৫৩

অপু তানভীর বলেছেন: সাপের স্বভাবই হচ্ছে হোস্টাইল । সভ্য মানুষেরা তবুও এটা সব সময় চেষ্টা করে যে যদি তাকে না মেরে সরিয়ে দেওয়া যায় ! এমন আচরণই স্বাভাবিক হওয়া দরকার ছিল । কিন্তু এই ব্যাপারটাই আমাদের দেশের কথা ভেবে দেখুন । যদি রাস্তা দিয়ে কোন সাপকে এমনি যেতেও দেখে কেউ তবুও আমাদের দেশের মানুষ লাঠি নিয়ে সেটাকে মারতে যায় । মেরে ফেলে !

নিজের ভেতরে এই যে বোধটা এসেছে দেখবেন বেশির ভাগ মানুষের ভেতরেই এই বোধ নেই । একদম নেই ! তাদের কাছে এটাই স্বাভাবিক একটা ব্যাপার !

জগতে সকল প্রাণীর বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে । সমাজ যত সভ্য হবে, মানুষ যত সভ্য হবে তত এই ব্যাপার মানুষ বুঝতে পারবে !

৩| ২৮ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:৩৩

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: কুকুর মানুষের চেয়েও ভালো।

২৮ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:৫৩

অপু তানভীর বলেছেন: কুকর মানুষের চেয়ে ভাল কথাটা ভুল । তবে হ্যা কিছু মানুষের চেয়ে কুকুর অবশ্যই ভাল !

৪| ২৮ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:৪৭

সাসুম বলেছেন: আমি তখন খুব ছোট । আমার একটা কুকুর ছিল খেলার সাথী! রাতদিন আমার সাথে থাকত বাচ্চাটা।

একদিন হুজুর এসে আম্মাকে বলেছিল কুকুর নাপাক, কুকুর দেখতে মারতে হয়, তাড়িয়ে দিতে হয়।

আমার আম্মা আমি কান্না করব তাই অনেক অনেক দূরে খালের ঐপাড়ে ফেলে দিয়ে এসেছিল কুকুর ছানা টা।

আমি আমার আম্মাকে এখনো ঐ ঘটনার জন্য ক্ষমা করি নাই।

আর সে হুজুর কে যতদিন ই দেখছি ততদিন ই লিটারাল থুতু মেরেছি। এখন বড় হয়েছি, আমি দেশে গেলে আশে পাশে আসেনা। জানে, আমি দেখলেই জুতাব

আমাদের দেশের মানুষের প্রাণির প্রতি এই যে ঘৃণা এটা আমাদের হিংস্রতার আরো একটা কারন। দেখবি, আমরা প্রচন্ড হিংস্র জাতি কিন্তু!!

২৮ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:০০

অপু তানভীর বলেছেন: কুকুরের প্রতি আমাদের দেশের মানুষের বৈরী আচরণের পেছনে এই একটা কারণ খুব বেশি ! আমাদের মোল্লা সমাজ সবাইকে কুকরুের প্রতি এমন বিষাগার মনভাব তৈরি করে তোলে যে মানুষ কুকুরকে দেখলেই মারতে যেড়ে যায় ! এরা কিভাবে আল্লাহর বান্দা হয় আমি কোন দিন বুঝে উঠতে পারি নি !

তোর মত আমার একই ঘটনা আছে । বাড়িতে সব সময় কুকুর বেড়াল নিয়ে খেতে দেওয়া অভ্যাস একদম শুরু থেকেই । তখন স্কুলে পড়ি । একদিন দুপুরে নামাজ পড়ে আমি বাসায় আসছি । তখন নানীর বাড়ি প্রতিদিন মসজিদের হুজুর খেত। নানীর আমাদের বাড়ির পাশেই । আমি সামনে সামনে হাটছি হুজুর আসছে পেছন পেছন । কয়েকদিন আগেই একটা কুকুরের বাচ্চা দিয়েছে । ছোট বেশ তখনও । আমি বাসায় ঢোকার পথে সেগুলোকে একটু আদর করলাম । ওমনি পেছনে থেকে হুজুর হইহই করে উঠলো । বাসার মানুষজনকে কুকুর যে কত খারাপ নাপাক সেটা বোঝাতে থাকলো । পরের দিন স্কুল থেকে এসে আমি আর কুকুরের বাচ্চা গুলোকে দেখি নি !

অসভ্য, হিংস্রতা আর বর্বরতার একটা জলজ্যান্ত প্রমাণই তো এই প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতা !

৫| ২৮ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:৪৪

রক বেনন বলেছেন: এটা আমাদের জিনেই আছে মনে হয়। রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় দেখেছি অনেক ছোট ছোট বাচ্চারাও পাশ দিয়ে যাওয়া কুকুর বিড়ালের গায়ে ঢিল মেরে মজা পায়। সবথেকে কষ্টদায়ক হলো দুইটি কুকুরকে সংগমরত অবস্থায় দেখে পাথর ছুঁড়ে মারা, বাঁশ/লাঠি দিয়ে মারা। এমন ও দেখেছি পাশ দিয়ে নিরীহ ভাবে কুকুর হেঁটে যাচ্ছে দেখে তার পাছায় একটি লাথি দিয়ে হাসতে হাসতে চলে যাচ্ছে কিছু অমানুষ। বিড়ালের বা কুকুরের বাচ্চার উপর দিয়ে ইচ্ছে করে গাড়ি চালিয়ে দেয়া নিত্যদিনের একটি ব্যাপার। কুকুর বলেন, বিড়াল বলেন, হরিণ বলেন, বাঘ বলেন আর নীলগাই বলেন, আমাদের কাজ হলো প্রথমেই পিটিয়ে মেরে ফেলা।

কোথায় যেন পড়েছিলাম-

আমি কুকুর হয়ে মানুষের পায়ের কাছে বসে থাকি মানুষের ভিতরের কুকুরটিকে দেখব বলে।

২৮ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১১:৫৪

অপু তানভীর বলেছেন: এই বকুকুরের সাথে কথা সব থেকে অমানবিক কাজ বুঝি এটাই । এবং এই কাজ গুলো ছোট বড় সবাই করে কেউ কখনও কাউকে বাঁধাও দেয় না । কী হিংস্র ভয়ংকর আমাদের মানসিকতা !
এবং এই ব্যাপার গুলো ছোট বেলা থেকেই বাচ্চারা শিখছে । বড়রা তাদের বলছেও না যে এটা ঠিক হচ্ছে না, এই কাজটা করো না । বরং বড়ও তাতে হাত লাগাচ্ছে ।

এই ব্যবস্থার কী পরিবর্তন আসবে ?
উপরওয়ালাই জানে !

৬| ২৮ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:৫২

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এখন বুঝেন মানুষ কীভাবে মানুষকেই মেরে ফেলে । আল্লাহ এদের বুক থেকে দয়া মায়া উঠায় নিছেন তাই প্রাণী হত্যার সময় তাদের বুক কেপে উঠে না।

কত শখ করে কুকুর পেলেছিলাম বাড়ীতে থাকাকালীন। চোরের দলে বিষ খাওয়ায়ে মেরে ফেললো। নাম দিছিলাম ভুলু, ভুলু আমাদের সাথে বল খেলতো। টেনিস বল ছুঁড়ে ফেললে সে এনে দিত।

একটা গরুও আদর করে পালছিলাম
ফুলি ডাক দিলেই দৌড়ে আসতো। কী আদর করতাম আমরা। ছেড়ে দিতাম বন্দের মাঝে
একদিন দেখি মরে পড়ে আসে ধানের ফাকা জমিতে :(

২৮ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১১:৫৯

অপু তানভীর বলেছেন: মানুষ আসলে কিভাবে এই কাজ গুলো করে কে জানে !
আমার প্রাক্তন এক প্রেমিকা ছিল । তার মন এমন ছিল যে তার শরীরে মশা বসলেও সেও সেটা মারতো না । উড়িয়ে দিত !

৭| ২৮ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৫:২১

মরুর ধুলি বলেছেন: আমি একটা বিড়াল পেলেছিলাম, “ মিনি” নামে। কুচকুচে কালো সেই মিনি ছিল আমার মেয়ের মতো। সে গাড় অন্ধকার রাতে ৪ তলা ভবন থেকে ফজরের নামাযের সময় আমার সাথে মসজিদের কাছাকাছি আসতো, অফিসে যাওয়ার সময় আমাকে এগিয়ে দিতো।
গর্ভবতী থাকাবস্থায় কয়েকটি কুকুর তাকে আক্রমণ করে মেরে ফেলে। প্রায় ৫ দিন খোজাখুজির পরে এই তথ্য পাই।
বিশ্বাস করেন আমার একটা সন্তান মারা গেলে আমি যেমন কষ্ট পেতাম তেমনই কষ্ট পেয়েছি ওর মৃত্যুতে।
অনেক কেঁদেছি সেদিন।
যেদিন সর্বশেষ ঘর থেকে বের হয় তারপর থেকে মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার আগ পর্যন্ত প্রায় সময় মনে হতো দরজার সামনে এসে ডেকেছে, দরজা খুললে তাকে দেখতাম না। ঘুমের মধ্যে মনে হতে এই চলে এসেছে কিন্তু ঘুম থেকে জেগে তাকে দেখতাম না। সে আমার পরিবারের সকলের ভাষা বুঝতে, সকলের কথার উত্তর দিত।
মহান আল্লাহর কাছে দুয়া করি, তিনি যদি আমাকে ক্ষমা করে জান্নাত দেন সেখানে যেন আমাকে আমার “মিনি” কে উপহার দেন। আমিন।

২৯ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১২:০০

অপু তানভীর বলেছেন: আপনার দোয়া উপরওয়ালা কবুল করুক, এই কামনা করি !

৮| ২৮ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৬

জুন বলেছেন: পশু পাখির প্রতি নির্দয় ব্যবহার নীয়ে গতকালই একজনের সাথে কথা বলছিলাম । আমরা কেন এমন হিংস্র বুঝতে পারি না। নীলগাই , সম্বর হরিন শুধু মাত্র দেখার জন্য দাবড়ে মেরে ফেলি এত কৌতুহল আমাদের। রাস্তার পাশে গাছের মধ্যে শালিকের বাসা ভাংছে দুটো ছেলে , মা শালিকটা আর্তনাদ করছে । নেমে জিজ্ঞেস করলাম কেন করছো ? বল্লো মজা করার জন্য । কি নিষ্ঠুর জাতি আমরা। আপনার লেখা বেড়ালটার জন্য অনেক কষ্ট লাগছে অপু।

২৯ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১২:০১

অপু তানভীর বলেছেন: এবং এই ব্যাপারটা আমি শহর থেকে গ্রামের ভেতরেই বেশি দেখেছি । ওদের কাছে এই ব্যাপারটা কতই স্বাভাবিক একটা ব্যাপার । এটা যে একটা ভয়ংকর হিংস্র কাজ এটা যেন ওরা বুঝেই না !
আমার বেড়াল না তবুও ওটার জন্য আমার কদিন মন বিষণ্ণ ছিল খুব !

৯| ২৮ শে মার্চ, ২০২২ রাত ৮:৩২

ছদকার ছাগল বলেছেন: হাদিসে আছে সমস্ত সৃষ্টি আল্লাহর পরিবার ভুক্ত, একজন তাহাজ্জুদ গুজার মহিলা একটি বিড়ালকে বেঁধে রেখে না খেতে দিয়ে মেরে ফেলার কারণে জাহান্নামি হয়েছিল, আবার একজন বেশ্য একটা কুকুরকে পানি পান করিয়ে মুক্তি পেয়েছিল।

২৯ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১২:০৪

অপু তানভীর বলেছেন: এমনটাই ধর্মে থাকবে । কথায় তো আছেই জীবে প্রেম করে যেই জন সেই জন সেবিছে ঈশ্বর । সকল সৃষ্টির প্রতি নমনীয় হওয়াটাই ধর্মের আসল শিক্ষা । অথচ এই ধর্মের মানুষই অন্য সৃষ্টির প্রতি কতই না হিংস্র আচরণ করে চলেছে !

১০| ২৮ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১০:১৯

গরল বলেছেন: ছোটবেলা থেকেই আমরা নিষ্ঠুরতা শিখে আসছি এবং কেউ এটা বাচ্ছাদের শেখায় না যে এটা নিষ্ঠুর কাজ। আমি অনেক আগে এসব মানষিকতা নিয়ে একটা পোষ্ট দিয়েছিলাম।

পাখির বাসায় বা পশু-পাখিকে ঢিল ছোড়া আর চলন্ত ট্রেনে ঢিল ছোড়ার মধ্যে মানসিক ব্যাবধান কতটুকু

২৯ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১২:০৫

অপু তানভীর বলেছেন: এরা সব মানসিক ভাবে বিকারগ্রস্থ এবং হিংস্র । এদের আসলে সহজ কথায় বোঝানো সম্ভব না । কঠিন শাস্তির আওয়াতায় আনা গেলেই কেবল এদের শায়েস্তা করা যাবে !

১১| ২৯ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১:২৪

তানীম আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: খারাপ লাগে নিষ্ঠুরভাবে মারার পর রাস্তায় ফেলে রাখা। মহাসড়কে এক্সিডেন্ট হলে ঘন্টার পর ঘন্টা যথাযথ কতৃপক্ষের উদাসীনতায় মৃত প্রানীদের রাস্তায় ফেলে রাখা।

তবে কুরবানী উন্মুক্ত ভাবে করে তার মাংশও খাওয়া যায় !!

২৯ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১:৪৩

অপু তানভীর বলেছেন: মৃত মানুষেরই খোজ খবর রাখা হয় না, আর মৃত প্রাণী ! এদের প্রতি কারো কোন দায়িত্ব নেই ।

কুরবানী কিন্তু একেবারে অন্য একটা ব্যাপার !

১২| ২৯ শে মার্চ, ২০২২ ভোর ৬:৪৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: বর্তমানে মানুষ মানুষের প্রতি সদয় নয়। আর পশুর প্রতি কী দয়া দেখাবে

২৯ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ১১:৫৫

অপু তানভীর বলেছেন: এটা খুবই ভয়ংকর একটা ব্যাপার ! একটা ভয়ংকর দিনের দিকে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি !

১৩| ২৯ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ৮:৫৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: প্রানী দেখলেই আমাদের হাত নিসপিস করতে থাকে কখন মারবো, এটা পরিবর্তন হওয়া দরকার।

২৯ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ১১:৫৬

অপু তানভীর বলেছেন: এই মনভাব পরিবর্তন হওয়ার দরকার । প্রয়োজনে যা কিছু দরকার সব কিছু করা দরকার এই মনভাব পরিবর্তনের জন্য !

১৪| ২৯ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:৪০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: যে কোনও পজিটিভ পরিবর্তনের জন্য সমাজের যেই পর্যায় থেকে অনুপ্রেরণা কিংবা তাগিদ দরকার, সেটা আমাদের দেশে ঘটে না। একতরফা সাধারন জনগনকে দুষে খুব একটা লাভ নাই। তারা এসবকে অপরাধই মনে করে না। এই বোধকে যারা জাগ্রত করবে, তাদের নিজেদেরই এই বোধ নাই। তাহলে পরিবর্তন আসবে কিভাবে?

২৯ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:০২

অপু তানভীর বলেছেন: আমি এটাই আসলে বুঝতে পারি না যে প্রাণীর প্রতি এই নিষ্ঠুরতাকে আসলে আমরা কোন অপরাধ হিসাবে দেখছিই না ।
এই মূল্যবোধটা কেন তৈরি হয় নি । সব চেয়ে বড় প্রশ্ন তাহলে আমার কাছে কেন এটা অন্যায় মনে হয় ! সবার মত আমিও কেন এটাকে স্বাভাবিক হিসাবে ধরতে পারছি না !

১৫| ২৯ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:১৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: যে কোনও সমস্যা বোঝার জন্য আপনাকে সমস্যার গভীরে যেতে হবে। আমরা যে শ্যালো চিন্তা-ভাবনা থেকে একটা মন্তব্য করে বসি, এটাও সেই গভীরে না যাওয়ার ফল। এখন আপনার মতো ব্যতিক্রম দু'চারজন এটাতে প্রতিক্রিয়া দেখালে তো লাভ নাই। আপনি-আমি এই ইস্যুতে সংখ্যালঘু। এর জন্য দরকার প্রকৃত শিক্ষা, মানবিকতা আর মুল্যবোধ। যা প্রধানতঃ আসে পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আর সমাজের গন্যমান্যদের তৈরী করা উদাহরন থেকে। সঠিক আইন-কানুন আর তার প্রয়োগও খুবই গুরুত্বপূর্ন। আমাদের সমাজে এসব আপনি কতোটা দেখেন?

দু'টা উদাহরন দেই। দেশে পরিযায়ী পাখীদের ধরা একটা অপরাধ। এটা আছে কাগজে-কলমে। শীতকালে খোদ রাজধানীতে প্রকাশ্য দিবালোকে এই পাখী বিক্রি হয়, ক্রেতারও অভাব নাই। নীতি-নির্ধারকরা কি করে? এরাও সেই পাখী খায়। আমার কাছে প্রমান আছে। আপনিও জানেন।

কিছুদিন আগে এখানে এক ফুটবলার কার্ট জৌমা তার পোষা বিড়ালকে লাথি মেরেছিল। সেই ভিডিও ফাস হওয়ার পর সেটা তাকে বিরাট বিপদে ফেলেছে। তার ইংল্যান্ডে ফুটবল ক্যারিয়ারই এখন হুমকির মুখে। কারন, সামাজিক প্রতিরোধ। ফলে সরকারও এটাকে খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। আমাদের দেশে এই ঘটনা ঘটলে সাধারন জনগন বাদ, সরকার থেকে কি প্রতিক্রিয়া হতো বলে মনে করেন? মন্ত্রীরা হাস্যকর সব কথা বলতো।

তাছাড়া যেই সমাজে মানুষেরই খুব একটা দাম নাই, সেখানে পশু-পাখীতো বহু দুরের কথা। মানুষের বিবেককে জাগ্রত করতে পারে সমাজের যারা বিবেক বলে পরিচিত। তাদের কি অবস্থা? কতোটা বিবেকবান তারা? জাতির এই বিবেক জাগ্রত করা একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া, যেটা আমাদের সমাজে এখনও তেমনভাবে শুরুই হয় নাই। কাজেই যারা বাই ডিফল্ট কিছুটা বিবেকের অধিকারী, তাদের হায়-হুতাশ করা ছাড়া আপাততঃ কোন গতি নাই।

একজন মানুষ চোর-ডাকাত-খুনী হওয়ার পিছনে যেমন সমাজ-রাষ্ট্রের দায় আছে, তেমনি বিবেকহীন হওয়ার পিছনেও।

জানি না, কতোটুকু ব্যাখ্যা করতে পারলাম। মূল কথা হলো, সমস্যার গভীরে যাওয়া। নয়তো সমস্যা সমস্যার জায়গাতেই থাকে, আমরা কেউ কেউ হয়তো সাময়িক মলম লাগাতে পারি মাত্র!!! :(

৩০ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১২:৪৫

অপু তানভীর বলেছেন: বুঝতে পেরেছি খুব ভাল ভাবেই ।

দেশে আইন আছে যে হাঁস মুরগিদের কে পা ঝুলিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে না । ধরতে হবে ডানা দিয়ে ! নয়তো তিন মাসের জেল । অথচ এইটা কেউ শোনেও না । আমি একবার এক মুরগিওয়ালাকে বললাম কথাটা এমন ভাবে আমার দিকে তাকালো যে এর থেকে হাস্যকর কথে সে শোনেই নি জীবনে !!

আমরা আসলেই সংখ্যালঘু এই ব্যাপারে .....

১৬| ৩০ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:০৪

শামছুল ইসলাম বলেছেন: জীবে দয়া করে যে জন,
সে জন সেবিছে ঈশ্বর।

পশু পাখির প্রতি নির্মমতা এই দেশে প্রকট।
এই মনোবৃত্তি থেকে বেরিয়ে আসা উচিত।

৩০ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:১৫

অপু তানভীর বলেছেন: এটা হতে বেরিয়া আসার সহসা কোন অবস্থা আসলে আমি দেখতে পাচ্ছি না । আদৌও এটা কোন দিন হবে কিনা সেটা সন্দেহ আছে !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.