নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.oputanvir.com

অপু তানভীর

আমার চোখে ঠোঁটে মুখে তুমি লেগে আছো

অপু তানভীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষকে বিশ্বাস করে ঠকে যাওয়ার গল্প

০৪ ঠা জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৩১

কেউ যখন আপনার কাছে সাহায্য চায় আপনি তখন নিজের সাধ্যমত তাকে সাহায্য করেন । এই কাজটা অনেকেই করে থাকেন । মূলত অনেক কারণেই এই সাহায্যের কাজটা করে থাকেন । কিন্তু যখন আপনি জানতে পারলেন যে আপনার কাছে সাহায্য প্রার্থী একটা মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে আপনার কাছে সাহায্য চেয়েছে তখন আপনার কেমন মনে হয়? নিজেকে খানিকটা প্রতারিত মনে হয় না?
আপনার মনে হয় কিনা জানি না তবে আমার হয় ! এই রকম সাহায্য করে ঠকে যাওয়ার অনেক গল্প আছে জীবনে । তার ভেতরে কয়েকটা আজকে লিখি ।

এই গল্পটা অনেক আগের । যদিও এটা ঠিক আমার নিজের ঠকে যাওয়ার গল্প না । আমার মায়ের গল্প । আমি যেহেতু তখন তার কাছেই ছিলাম তাই এটা দিয়েই শুরু করি । তখন আমরা সবে মাত্র যশোর থেকে চুয়াডাঙ্গা এসেছি । একদিন স্কুল থেকে বাসায় এসে দেখি আমাদের বাসার উঠনে একজন অপরিচিত মহিলা বসে মায়ের সাথে কথা বলছে । তাদের থেকে দুরে আমার থেকে খানিকটা ছোট বয়সী এক ফ্রক পরা মেয়ে কি নিয়ে যেন খেলা করছে । আমি ওদিকে গেলাম না আর । ঘরে চলে গেলাম । পরে জানতে পারলাম যে এই মহিলার বাসা ওমুক গ্রামে । গ্রামের নামটা এখন আর মনে নেই । এই মহিলা গেরস্তবাড়ির মেয়ে । আগে অনেক সুখের সুংসার ছিল কিন্তু স্বামী মরে যাওয়ার পরে মহিলা অনেক বিপদে পড়ে গেছে । আয় রোজগার করার লোক নেই । গ্রামে তাদের একটা সম্মান আছে তাই লজ্জায় সে কারো কাছে সাহায্য চাইতে পারে না । তাই মেয়ের স্কুলের কথা বলে এখানে এসেছে সাহায্যের জন্য । মহিলার বিপদের কথা শুনে আমার মা তাকে টাকা পয়সা দিয়েছে । নিজের পরনের শাড়ি দিয়েছে এমন কি মেয়ের খেলার জন্য আমার খেলনা দেখলে কয়েকটা খেলনাও দিয়ে দিয়েছে । নিজের খেলনা হারানোর জন্য একটু মন খারাপ হল বটে তবে সেটা মেনেই নিয়েছিলাম ।

ঘটনা এখানেই শেষ হল না । প্রায় মাস খানেক পরে আমাদের এক পরিচিত মানুষের কাছে জানা গেল সে ঐ মহিলা ফ্রড । সে এমনই গল্প ফেঁদে নতুন যারা আসে তাদের কাছ থেকে টাকা পয়সা নিয়ে যায় । আমার মায়ের চেহারা সেদিন কেমন যেন মলিন হয়ে গেল । এমন না যে অনেক অনেক টাকা পয়সার ব্যাপার । কিন্তু এই একজন যে বিশ্বাস করে, তার কষ্টে সমব্যাথি হয়ে তাকে সাহায্য করলো কিন্তু দেখা গেল সে সব মিথ্যা !

এরপরের গল্পটা আমার ঢাকায় আসার পরে । তখন টিউশনীতে ঢুকেছি। কাটাবন নেমে পরিবাগ পর্যন্ত এই রাস্তাটুকু আমি হেটে পার হতাম । এই হাটা পথে একদিন সন্ধ্যা বেলা হঠাৎ একজন মহিলা আমাকে খুব করুন স্বরে ডাক দিল । তখন ঢাকাতে নতুন । এসব কিছুই বুঝি না । আমি দাড়িয়ে পড়লাম । সাথে সাথে দেখলাম বোরখা পরা দুজন মহিলা আমার দিকে এগিয়ে এল । নিচে দেখলাম এক ছোট বাচ্চা আছে । তাদের পেছনে রয়েছে এক বৃদ্ধ । মহিলা আমার কাছে এসে বলল যে তাদের বাসা নারায়নগঞ্জ । ঢাকায় এসেছিল ডাক্তার দেখাতে । এসে তাদের টাকার ব্যাগ হারিয়ে গেছে । এখন তারা কোন ভাবেই বাসায় যেতে পারছে না । যদি আমি তাদের কিছু সাহায্য করি । এমন ভাবে বলল আমার সত্যিই মনে হল । আমি পকেট থেকে টাকা দিয়ে সাহায্য করলাম তাদের । পুরো রাস্তায় আমার মনটা বেশ ভাল হয়ে রইলো ।
এই ঘটনার প্রায় মাস খানেক পরে গিয়েছি মহাখালি একটা কাজে । সন্ধ্যার সময় ফেরার সময়ও ঠিক একই ভাবে দুই বোরখা পরা মহিলা আমাকে ডেকে একই ভাবে একই গল্প শোনালো । নারায়নগঞ্জে বাড়ি, হাসপাতাল টাকার ব্যাগ হারানো । কিছু সময় আমি কেবল অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো । নিজেকে প্রতারিত মনে হল । খুব ইচ্ছে হল জোচ্চোর গুলো খুব কথা শোনাই, কিন্তু এমন একটা ঘৃণা জন্মালো যে কোন কথা না বলে সোজা সেখান থেকে হাটা দিলাম । পেছন থেকে তখনও করুণ স্বরে সেই মহিলা আমাকে ডেকেই চলেছে ।

ভার্সিটিতে বেশ কিছু সময় পার হয়েছে । যাওয়া আসা করি বাসে । একদিন সিটি কলেজের কাছে বাসে উঠলো শার্ট প্যান্ট পরা এক লোক। তারপর সাহা্য্য চাওয়া শুরু করলো । তার হাতে একটা মেডিক্যাল রিপোর্ট । তার মায়ের অপারেশ হবে । ৩০ হাজার টাকা লাগবে । এই লোকটা কে আলাদা ভাবে খেয়াল করার কারণ হল তার কথা বলার স্বরে কুষ্টিয়ার টান রয়েছে । যারা কুষ্টিয়ার আঞ্চলিক স্বর চেনেন তারা জানবেন যে কেমন একটা আলাদা টান দিয়ে কথা বলে তারা । অনেকেই সাহা্য করলো । এরপর প্রায়ই দেখতাম ঐ সিটি কলেজের কাছেই সে উঠতো । প্রায় মাস দুয়েক তাকে দেখেছিলাম । তারপর বন্ধ হয়ে গেল । এই ঘটনার প্রায় বছর দুয়েক পরে তার সাথে আবারও আমার দেখা হল । এবার দেখা হল মিরপুর কালসি রুটে । লোকটাকে হয়তো আমি চিনতামও না । চিনতে পারলাম তার অদ্ভুত সেই কুষ্টিয়ার টানের কারণে । সেই একই গল্প । মায়ের অপারেশন, টাকা লাগবে ! অবশ্য ততদিনে ঢাকা শহরের ভাব সাব খুব করে বুঝে গিয়েছি ।

এই গল্পটা করোনার সময়ের । তখন কঠিন লকডাউন চলছে । বাইরে বের হওয়ার উপায় নেই । কেবল বাজারের সময় বাইরে বের হই কিছু জিনিসপত্র কিনতে । একদিন বাজার করে ফিরছি । বাইরে তখন কোন লোকজন নেই । বাড়ির গেটের কাছে চলে এসেছি এমন সময় মনে হল পেছন থেকে কেউ যেন আমাকেই ডাকছে । এমনটা খুব একটা হয় না । ঢাকা শহরে আমাকে পেছন থেকে ডাকার মানুষ নেই বললেই চলে । তবুও পেছন ফিরে তাকালাম । দেখতে পেলাম একটা রিক্সাওয়ালা দ্রুত আমার দিকে এগিয়ে আসছে । আমার সামনে থামলো । তারপর অনেকটা কান্নার মত করেই সে বলল যে তার মায়ের জন্য ঔষধ কিনতে হবে । ১২০০ টাকার মত লাগবে সে এই করোনার ভেতরে রিক্সা চালাতে পারছে না । টাকা আয় করতে পারছে না । তবুও সে সাতশ টাকার মত ম্যানেজ করেছে । বাকি টা যেন আমি তাকে দেই । উপরের গল্পেই বলেছি যে ঢাকা শহরে অনেক দিন থাকার কারণে এই সব আমার এখন আর মোটেই বিশ্বাস হয় না । কিন্তু এইবার কেন জানি বিশ্বাস হল । পকেট থেকে আমি একটা ১০০ টাকার নোট বের দিলাম । কিন্তু সে কোন ভাবেই নিবে না । তাকে বাকি টাকাই দিতে হবে । এমন ভাবে কান্না শুরু করলো আমি নিজের ভেতরেই অপ্রস্তুত হয়ে গেলাম । মায়ের জন্য ছেলেটা এভাবে কান্না করছে আর করোনার সময় তখন হাহাকার চলছে । আয় রোজগার নেই কারো ! বাকিটা দিয়ে দিলাম ! ঐদিন রাতে প্রেমিকাকে কথা বলতেই আমাকে খুব বকলো। আমি যে কত বড়বোকা সেটার একটা লম্বা ফিরিস্তি দিল ।
যাই হোক আমি যে আসলেই বোকা সেটার প্রমান পেলাম মাস তিনেক আগে । সেই একই ভাবে সেই রিক্সাওয়ালা আবারও একই ভাবে একই গল্প । মায়ের চিকিৎসা টাকা লাগবে সে জোগার করতে পারি নি। এবার মেজাজ এমন খারাপ হল । ধরা চড় লাগানোর কথা বললাম । রিক্সাওয়ালা প্রথমে কিছু বুঝতে না পারলেও পরে যখন তাকে বললাম আমার কাছে সে একই ভাবে টাকা চেয়েছিলো তখন দেখলাম তার মুখের ভাব একটু বদলে গেল । আবারও বলার চেষ্টা করলো যে তার মায়ের নতুন করে টাকা লাগবে ! বেটাকে একটা চড় মারার ইচ্ছেটা দমন করলাম কষ্ট করে । তারপর বললাম আবার যদি এখানে এভাবে টাকা চাইতে দেখি বাশ দিয়ে পেটাবো । দেখলাম দ্রুত রিক্সা ঘুরে চলে গেল সে । তাকে আর দেখি নি এলাকাতে !

এই রকম আরও অনেক গল্প আছে । বিশেষ সবই ঢাকাতে যখন প্রথম আসি তখন । ঢাকার আবহাওয়া মোটেই বুঝতে পারি না তখন তাই যে যা বলে সব বিশ্বাস করে নিই । এখন অবশ্য সেই ভাবটা আর নেই । রাস্তায় মানুষের এই ধরনের কথা বার্তা শুনলেই আমি নির্বাক হয়ে তাকিয়ে থাকি কিছু সময় । তারপরেই আমার মনে আসে বেটা বাটপার ! একে টাকা দেওয়ার কোন মানে নেই ।

এমন না যে আমি ঐ সমস্ত মানুষদের অনেক টাকা পয়সা দিয়ে একেবারে উল্টে ফেলেছি । সব সময় নিজের কাছে থাকা অতিরিক্তটাই তাদের দিয়েছি । মানে অর্থটা চলে গেলেও আমার কিছুই যায় আসে নি । কিন্তু এই যে তাদের গল্পে বিশ্বাস করে তাদের ব্যাথায় সমব্যাথি হয়ে তাদের সাহায্য করেছিলাম আর যখন জানতে পারি যে সেটা আসলে মিথ্যা ছিল নিকেজে বড় প্রতারিত মনে হল । মনের ভেতরে একটা গুমট ভাব এসে জমা হত । এই তিক্ত অনুভূতির ভাষায় বর্ণনা করার উপায় নেই ।

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৪৪

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আপনি ঠকে যান নি বরং যারা প্রতারণা করেছে তারাই ঠকেছে। ধন্যবাদ।

০৪ ঠা জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:৪৯

অপু তানভীর বলেছেন: একবার ভাবুন একজনের দুঃখের কথা শুনে আমি কষ্ট পেলাম এবং পরে বুঝতে পারলাম যে সেই দুঃখের কথা গুলো আসলে মিথ্যা ছিল । তখনকার অনুভূতি কেমন হবে ! টাকা পয়সা চলে যাওয়া নিয়ে কোন কষ্ট নেই । কিন্তু এই অনুভূতির সাথে প্রতারণা ! এটা বড় পীড়াদায়ক !

২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৫৮

দ্বীপ ১৭৯২ বলেছেন: অনবদ্য

০৪ ঠা জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:৫০

অপু তানভীর বলেছেন: অনবদ্য আর কই !
দুঃখ আর প্রতারিত হওয়ার গল্প ;



৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৪৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
এভাবে ভন্ডামির জন্য ভাল মানুষ যারা প্রকৃত দরিদ্র তারা সাহায্য পায়না।

০৪ ঠা জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:৫০

অপু তানভীর বলেছেন: হয়তো তাই ...

৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:৪৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
মানুষকে বিশ্বাস করে ঠকে যাবার গল্প সকলের ঝুলিতেই আছে ভাইজান।
তবুও মানুষকে বিশ্বাস করতেই হবে। কারণ আমরা মানুষ।

০৪ ঠা জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:৫২

অপু তানভীর বলেছেন: এটা আমি জানি । সবারই কোন না কোন সময়ে এভাবে প্রতারিত হয়েছে ।

দিনে দিনে আমি এই বিশ্বাস করা থেকে দুরে চলে গিয়েছি । আগে যেমন মানুষ প্রথমেই বিশ্বাস করতাম এখন প্রথমে অবিশ্বাস করি । পরে হয়তো সে বিশ্বাস অর্জন করে !

৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৪৩

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এমন ঠকেছি তো অনেকবার।

০৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১২:১৫

অপু তানভীর বলেছেন: সরল মনে বিশ্বাস করলে ঠকে হবেই কোন না কোন সময়ে !

৬| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৫২

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: কাউকে বিশ্বাস করে ঠকা আপাতদৃষ্টিতে লোকসান বুঝালেও প্রকৃত অর্থে সেটা লাভের । তবে আমাদের সর্তক থাকা উচিত ।

০৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১২:১৬

অপু তানভীর বলেছেন: বিশ্বাস করলে ঠকে যাওয়াটা মানসিক কষ্টের কারণ একটা । ব্যাপারটা ঠিক সম্পদ হারানো নয়, মনের কষ্ট !
সতর্ক তো হতেই হবে সবাইকে !

৭| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২২ রাত ৯:০৭

লেখার খাতা বলেছেন: এইদের জন্যে সত্যিকার যারা বিপদে পরে তাদের অন্যরা অবিশ্বাস করে।

০৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১২:২৫

অপু তানভীর বলেছেন: এটা সত্যি কথা । আমার মাঝেই মানুষকে সাহায্য করার প্রবনতা দিনকে দিন কমে গেছে এই কারণে !

৮| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২২ রাত ৯:৪৩

জুল ভার্ন বলেছেন: নিজে প্রতারিত হওয়ার গল্প করতে নাই এবং হেরে যাওয়ার গল্প সবাইকে শুনাতে নেই।

০৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১২:২৬

অপু তানভীর বলেছেন: তা অবশ্য ঠিকই বলেছেন ! তবুও কিছু কিছু গল্প বের হয়ে যায় !

৯| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২২ রাত ১১:৫১

ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: এমন করে যখন কাছের মানুষরাও টাকা নিয়েছে আমার টাকার জন্য তখন কস্ট হয়নি। প্রতারণার জন্য খারাপ লেগেছে। ফলাফল দাড়িয়েছে এখন কেউ সত্য বললেও ভেতরে কোন অনুভুতির জন্ম হয়না। ঠকে গেলে ইদানিং ভয়ংকর রাগ হয় নিজের প্রতি। ভালো থাকবেন।

০৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১২:২৭

অপু তানভীর বলেছেন: আমার মনভাবও ঠিক আপনার মতই । এখন কেউ সত্যিই যখন কারো সাহায্যের দরকার তখন তাকে সাহায্য করতে গেলে মনে আসে যে ব্যাটা কি সত্য বলছে !

১০| ০৫ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৮:৩০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আমিও এভাবে ঠকেছি অনেকবার। এখন মানুষের ওপর থেকে বিশ্বাস উঠে গেছে।

০৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১২:২৮

অপু তানভীর বলেছেন: এই রকম ঠকে যাওয়ার অভিজ্ঞতা বোধকরি অনেকেরই আছে । এখনও আমার বিশ্বাস ঠিক উঠে যায় নি তবে কমে গেছে তো অবশ্যই !

১১| ০৫ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৫২

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আমিও আগে একটু আধটু সাহায্য করতাম কিন্তু গত ৩ বছর ধরে টোটালি ভিক্ষাদেওয়া বন্ধ করে দিয়েছি; কারণ এরা প্রফেশনার ভিখারী।

০৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১২:৩৬

অপু তানভীর বলেছেন: আমার গল্প গুলো ঠিক ফকিরদের ভিক্ষা দেওয়ার মত না । ঢাকার ভিক্ষুকরা তো প্রোফেশনালই । এটা তো বলার অপেক্ষা রাখে না !

১২| ০৫ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:১৭

কাছের-মানুষ বলেছেন: কিছু অসৎলোকের জন্য যাদের সত্যিকার সাহায্য দরকার তারা বঞ্চিত হয়। ব্যাপারগুলো দুঃখজনক।

০৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১২:৩৯

অপু তানভীর বলেছেন: ব্যাপার গুলো আসলেই দুঃখ জনক । কারণ এর ফলে আসল সাহায্য প্রার্থী মানুষ গুলো বঞ্চিত হচ্ছে । কারণ যে একবার জানতে পারবে যে সামনের মানুষটার শোনানো কষ্টের গল্প টা মিথ্যা, প্রতারনা করে সে সাহায্য নিয়ে সে আর পরের বার সাহায্য করতে ইতস্তর করবে !

১৩| ০৫ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৪৭

নীল আকাশ বলেছেন: এইসব নিজের কাছে ধরা পড়লে মানুষের উপর বিশ্বাস নেমে যায়।

০৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১২:৪১

অপু তানভীর বলেছেন: সবারই এমন হয় । প্রথমে সবাই মানুষকে বিশ্বাস করতে চায় কিন্তু যখন বারবার ঠকে যায় তখন বিশ্বাস করার পরিমানটা কমে যায় !

১৪| ০৫ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৫৮

কোনেরোসা বলেছেন: কিছু অসৎলোকের জন্য যাদের সত্যিকার সাহায্য দরকার তারা বঞ্চিত হয়।

০৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১২:৫১

অপু তানভীর বলেছেন: সত্য কথা

১৫| ০৫ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:২৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
মানুষকে বিশ্বাস করে ঠকে যাবার গল্প সকলের ঝুলিতেই আছে ভাইজান।
তবুও মানুষকে বিশ্বাস করতেই হবে। কারণ আমরা মানুষ।

সহমত !

০৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১২:৫১

অপু তানভীর বলেছেন: আমরা মানুষ বলেই হয়তো প্রতারিত হওয়ার পরেও বারবার মানুষকে বিশ্বাস করি !

১৬| ০৫ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৪০

হাসান রাজু বলেছেন: গত, ১৫/১৬ বছর ধরে ভিক্ষা দিই না। ছোট বাচ্চাদের তো কোন ভাবেই না। শুধু একবার এক বয়স্ক লোককে ভিক্ষা না দিতে পেরে খারাপ লেগেছিল। রিকশায় ছিলাম, লোকটি দূর থেকে ইশারায় ভিক্ষা/সাহায্য চেয়েছিল। আমি ইশারায় না করতেই কাঁচুমাচু খেয়ে সরে গিয়েছিল।

ভিক্ষা দেইনা ! কারন, এতে ভিক্ষুকরা উৎসাহ পায়। ছোট বাচ্চাদের, বড়রা এই কাজে লাগায়। আমার ১/২ টাকা ভিক্ষা এদের আরো বাচ্চা ভিক্ষুক জোটাতে উৎসাহ দিবে।

দান করার আরও সহজ এবং কার্যকর হাজারটা রাস্তা আছে। সারা বছরের ভিক্ষা বা দান এক্ত্র করে নিজের পরিচিত জানাশুনা কাউকে দেয়া যেতে পারে। গ্রুপ করে দিলে তো একজনের জীবিকার উৎস তৈরি করা সম্ভব। বা আরও বেশি কিছু।

০৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১২:৫৪

অপু তানভীর বলেছেন: ভিক্ষা আমিও খুব একটা দেই না । আর ঢাকাতে সব ভিক্ষুকই হচ্ছে প্রফেশনাল ।
আমার এই অভিজ্ঞতা গুলোর বেলাতে কিন্তু কেউ ঠিক ভিক্ষুক ছিল না । সবাই স্বাভাবিক মানুষ ছিল । তাই সাহায্য করেছিলাম !

মানুষকে সাহায্য করার আরও অনেক উপায় আছে । একটা সহজ উপায় যা আমি প্রায়ই ফলো করি তা হচ্ছে ক্ষুধার্ত মানুষকে খাওয়ানো ! এভাবে সাধারণত আমার এখন সাহায্য করি !

১৭| ০৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১২:৩৬

জ্যাকেল বলেছেন: হাসান রাজুর কথা ঠিক আছে। তবে আমার কথা হইতেছে এই যে সরকার এরা গদিতে বসে শত কোটি টাকা উড়াইতে পারে একটা অনুষ্টান আয়োজন করতে অথচ ভিক্কার ব্যাপারটা কেন পারে না?

০৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১২:৫৮

অপু তানভীর বলেছেন: সরকার চাইলে অনেক কিছু করতে পারে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.