নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চলমান জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে ঢাকার অবস্থান রত মানুষগুলোর ভেতরে সব থেকে উন্নত(!) জীবন যাপন করতে শুরু করেছে ঢাকার ছাত্র সমাজ । যারা বাসা থেকে একটা নির্দিষ্ট পরিমান টাকা পায় নিজের হাত খরচ চালানোর জন্য অথবা নিজেরাই টিউশনী কিংবা অন্য কোন কাজ করে নিজেদের খরচ চালায় । এবং এদের প্রায় সবাই থাকে কোন মেস ভাড়া করে ।
আগে সকালে নাস্তার জন্য গড়ে সর্বোচ্চ ২৫ টাকা খরচ হত । আরও একটু বিলাসী খাবার খেলে বিল আসতো ৩৫ টাকা । এখন নাস্তা খেতে গেলে ৫০ টাকার নিচে বিল আসে না কোন ভাবেই । সাথে যদি একটা ডিম খেতে চাই তাহলে তো কথাই নেই । পরোটা থেকে ভাজি সব কিছুইর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে একবার চিন্তা করে দেখেন কেবল সকালের নাস্তা বাবদই চলে যাচ্ছে দের হাজার টাকা । মাসের অন্যান্য খরচ তো বাদই ছিলাম । আগে যেখানে মেস মিল রেট আসতো ২৫ থেকে ৩৫ টাকার ভেতরে । এখন সেটা আসে ৭০ থেকে ৯০ টাকার ভেতরে । একবার চিন্তা করে দেখেন একজন ছাত্র কিংবা ছাত্রী যে কিনা ঢাকাতে পড়তে এসেছে তার কেবল খাওয়ার জন্য চলে যাচ্ছে সাড়ে ৫ থেকে ছয় হাজার টাকা । ঘর ভাড়ার কথা তো বাদ দিলাম । বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার আড্ডায় যাওয়ার কথা তো চিন্তাই করা যায় না ।
আমি অনেক দিন থেকে পুরোপুরিই ভাববে তিন বেলা বাইরে খাওয়া করি । মুল্য বৃদ্ধির প্রত্যেক্ষ প্রভাব এই খাবার হোটেল গুলোতে পড়ে খুব ভাল ভাবে । একেবার সরাসরি এসে হাজির হয় ।
বিকেল বেলা খাওয়া পুরি চপ আর পিয়াজু । এসব আগে পাওয়া যেত ছোট আর বড় সাইজের দুইটা । দাম ছিল দুই/তিন টাকা আর বড়টার দাম ছিল ৫ টাকা । এখন তিন টাকার কোন কিছু নেই । আগে যেটার দাম ছিল তিনটা সেই একই জিনিসের দাম এখন ৫ টাকা আর ৫ টাকার জিনিসের দাম এখন দশটা । আপনাদের মনে হতে পারে যে এই সামান্য দাম বৃদ্ধির ফলে কী যায় আসে । তাহলে হয়তো কোন ধারণাই নেই !
আগে ৫ টাকা দিয়ে একটা বড় সাইজের সিঙ্গারা পাওয়া যেত । এখন ৫ টাকার সিঙ্গারা আপনি কোথাও খুজে পাবেন না । যদিও পাবেন তা মুখে দিয়ে এক কামড়েই শেষ ।
দুপুরের খাবারের কথা যদি বলি । ভর্তার যে দাম আগে ছিল তা এখন প্রতিটার বেলাতে দ্বিগুন বাদ বেড়েছে । ২০ টাকা থেকে শুরু করে তা হয়েছে ৩৫ টাকা পর্যন্ত । ডিমের দাম ছিল আগে ১৫/২০ টাকা । এখন সেই ডিম ৩০ টাকা । ভাতের প্লেট প্রায় সব হোটেলেই করে দেওয়া হয়েছে ২০ টাকা । এটা কিন্তু একেবারে পাড়ার হোটেলের কথা বলছি । রাস্তার পাশের হোটেলের দিকে তো যাওয়াই যাবে না ।
বেশির ভাগ হোটেলের ভাতের প্লেট ২০ টাকা । আর যে যে হোটেলে এখনও ১০ টাকা রেখেছে সেখানে কমে গেছে ভাত দেওয়ার পরিমান । কমেলে চালের মান । মোটা চালের ভাত সেখানে দেওয়া হয় ।
প্রতিটা মাছের আইটেমের দাম বেড়েছে ১৫/২০ টাকা করে এক লাফে । ককমুরগি আগে ছিল ১০০ টাকা এখন সেটা ১২০ । গরু গুনে গুনে ৭টা ছোট ছোট পিচ দেয় দাম ১৫০ টাকা ।
তবে এখনও পর্যন্ত লাল শাক আর পালন শাকের দাম একই আছে । আগে দুপুরে আমি যখন খেতে যেতাম যখন মাঝে মাঝে দেরী হয়ে যেত । চারটাও বেজে যেত । তখনও দেখা যেত যে এই লাল শাক ঠিকই আছে । এখন যদি দুইটা আড়াইটা বেজে যায় গিয়ে দেখি শাকের পরিমান একেবারে শেষ হয়ে গেছে । এটার কারণ হচ্ছে পুরো তরকারী গুলোর ভেতরে এই শাকের দামই সব থেকে কম । তাই সবাই এই কম দামী জিনিসটাই বেশি করে খাচ্ছে ।
আগে প্রতিমাসে কেবল খাওয়ার জন্য আমার যা খরচ হত এখন তার প্রায় দ্বিগুন খরচ হচ্ছে । কিন্তু আমার আয় কিন্তু দ্বিগুণ হয় নি । প্রতিটা মানুষের বেলাতেই একই ব্যাপার । আয় কিন্তু বাড়ে নি কিন্তু খরচ বেড়েছে । হ্যা আপনি যখন কাজ করা শুরু করবেন তখন আরো আরো বেশি পরিশ্রম করে টাকা বেশি বেশি আয় করবেন কিন্তু একজন ছাত্রের বেলাতে এটা প্রায় অসম্ভব । তাদের মাসিক আয় খুব একটা বাড়ে না । আর এখন আরও একটা ভয়ংকর ব্যাপার হচ্ছে ছাত্রদের প্রধান আয় টিউশনীর পরিমান কমে গেছে । জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির কারণে পরিবার গুলো যে যে আয়কে সংকোচন করেছে তার ভেতরে একটা হচ্ছে ছেলেমেয়েদের জন্য বাসায় স্যার না রেখে তাদের একেবারে কোচিংয়ে দিয়ে দিচ্ছে যাতে কম খরচে সব পড়া হয়ে যায় । সেই হিসাবে ছাত্রদের আয়ের উৎস কমে আসছে ।
ঢাকাতে মানুষজন কিভাবে বেঁচে আছে কে জানে । ঘর ভাড়া দিয়ে খাবার খরচ যাতায়াত খরচ ছেলে মেয়েদের পড়াশোনার খরচ এই গুলো দিয়ে একটা মধ্যবিত্ত পরিবার কিভাবে টিকে আছে সেটা একটা বড় রহস্য । অবশ্য চারিদিকে যে উন্নয়নের জোয়ার চলছে তাতে আসলে সব কিছুই সম্ভব।
ঢাকাতে এখন শ্রেণী বৈষম্য কমে এসেছে অনেক । আগে আমাদের সমাজে তিনটা শ্রেণী ছিল । গরীব মধ্যবিত্ত আর বড়লোক । এখন কেবল গরীব আর বড়লোক । অনেকে অবশ্য নিজেদের এখনও মধ্যবিত্ত ভাবতে পছন্দ করে । তাদের সুবিধার জন্য বলি, আপনি এখন গরীব ।
২২ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৮
অপু তানভীর বলেছেন: হোটেলে খাবার মান ভাল খারাপ সব স্থানেই রয়েছে কিন্তু এই হোটেলই অনেককে নিয়মিট খাওয়া দাওয়া করতে হয় । আমিও তাদের একজন ।
উন্নয়ন যা হচ্ছে আর এমন উন্নয়ন হোক !
২| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৪০
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: উন্নয়নে উন্নয়নে জীবনটা তেনাতেনা
উন্নয়ন হচ্ছে ঠিকই তবে সেটা -
জনগনের না তেনাদের ।
তেনাদের নাম মুখে আনা মানা ।
২২ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৯
অপু তানভীর বলেছেন: এসব উন্নয়ন আর কেবলই উন্নয়ন !
উন্নয়নের ভেতরেই জীবিত আছি ।
৩| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:০৬
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ঢাকাতে মানুষজন কিভাবে বেঁচে আছে কে জানে । ঘর ভাড়া দিয়ে খাবার খরচ যাতায়াত খরচ ছেলে মেয়েদের পড়াশোনার খরচ এই গুলো দিয়ে একটা মধ্যবিত্ত পরিবার কিভাবে টিকে আছে সেটা একটা বড় রহস্য।
রহস্যের কিছু নেই।
মাথাপিছু আয় বেড়েছে, অব্স্যই বেড়েছে। নইলে স্কুলের বেতন ঘর ভাড়া ৪গুন ভাড়া বৃদ্ধির পরও মানুষ ঢাকা ছেড়ে দেয়নি। কেনাকাটা বন্ধ করেনি, বিলাসিতাও বন্ধ করেনি। দামি রেস্টুরেন্ট একটাও খালি পাওয়া যায় না। কুত্তার মাংসের গুজব গন্ধ পাওয়ার পরও মানুষের লাইন ধরে ঢোকা বন্ধ হয়নি।
কিন্তু আমার জন্মের পর থেকে শুনে আসছি দ্রব্যমুল্যে নাভিশ্বাস
২২ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:০৮
অপু তানভীর বলেছেন: ভাইয়া কি ঢাকাতে থাকেন এখন?
নাকি আমেরিকা থেকে উন্নয়নের চোখে দেখছেন এসব?
৪| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:১৪
জুল ভার্ন বলেছেন: কেউ যখন জিজ্ঞেস করেন, কেমন আছেন?
আমি তখন বলি, "আল্লাহ খুব ভালো রেখেছেন। আলহামদুলিল্লাহ"।
তবে 'খুব ভালো' একথা টুকু আমরা খুব কম মানুষই বলি। খুব ভালো আছি- বললে বেশির ভাগ মানুষ এমন ভাবে তাকাবে, ধরেই নিবে তোমার অঢেল আর্থিক ইনকাম হচ্ছে। ব্যাপারটা এমন 'খুব ভালো' থাকাটা বেশি টাকা ইনকাম সম্পর্কিত।
কিন্তু বাস্তবিক অর্থে ব্যাপারটা কি আসলেই তাই? সত্যি বলতে- এতো এতো উন্নয়নের ডামাডোলে এর উত্তর দেওয়াও ঝুঁকি পূর্ণ!
২২ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:১৮
অপু তানভীর বলেছেন: ভাল আছি বলতে হয় তাই বলে মানুষ । কিন্তু এই সময়ে যে খেয়ে পড়ে কয়টা মানুষ যে ভাল আছে তা গবেষণার ব্যাপার ।
৫| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:৩৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পোস্টের লাস্ট কথাটা হলো চরম বাস্তবতা।
২৩ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:১২
অপু তানভীর বলেছেন: আমরা আসলে লজ্জায় বলতে পারি না যে আমি গরীব । তাই আমরা বলি আমরা মধ্যবিত্ত ।
৬| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৬
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: একটা গান আছে না যেখানে বলা আছে
" বাজারে দাম , ছুটছে ঘাম
তাই কেঁদে কেঁদে দর করি ""
আমার অবস্থাও তাই ভাই !! বলে বোঝানো যাবে না দিন কোন দিক দিয়ে আসে আর কোন দিক দিয়ে যায় !!
কথা হলো এই মধ্যবিত্ত জীবনে মানুষের চক্ষুলজ্জা ও শহুরে জীবনের কাছে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে আছে তাই চাইলেও হাসান বৈশাখীর কথামত সব হয় না !! উনি যা ভাবছেন তা কেতাবি ভাবনা , মাথাপিছু আয় এখন পর্যন্ত অর্থনীতির সবচেয়ে বিরাট মাপের ধাপ্পা বাদে আর কিছুই না !
২৩ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:১৫
অপু তানভীর বলেছেন: উনি কেতাবী ভাবনা উনি ভাবনার সামনে একটাঔন্নয়নের টনিক লাগানো রয়েছে । সে যাই ভাববে যাই দেখবে তার সামনে চলে আসবে অভূতপূর্ণ উন্নয়ন ।
সব চেয়ে মজার ব্যাপর হচ্ছে উনারা দেশের বাইরে বসেই দেশের মানুষের ঘরের খবর ষেই মানুষের থেকেও বেশি ভাল জানে ।
৭| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- সম্ভবতো সামনে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে।
২৩ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:১৬
অপু তানভীর বলেছেন: আরও হবে । দেশে যত উন্নয়ন তবে তত অবস্থা যাবে খারাপের দিকে ।
৮| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:০৪
দারাশিকো বলেছেন: দেশের অবস্থা বেশ খারাপ। আজকে সকালে সাতটার সময় দেখলাম দুই জায়গায় নারী আর পুরুষের বিশাল লাইন। প্রতিটায় অন্তত শ খানেক মানুষ। প্রথমে বুঝতে পারি নাই, দ্বিতীয় লাইনের একজনকে জিজ্ঞেস করে জানলাম - টিসিবির ট্রাক আসার কথা আছে। তবে কখন আসবে জানা নাই।
আপনার জন্য আন্তরিক পরামর্শ: বাহিরে খাওয়া কমান বা বন্ধ করেন। বেশিরভাগ মানুষই ছাত্রাবস্থা থেকে শুরু করে কর্মজীবনের প্রথম কয়েক বছর বাইরে খেয়ে যা অসুস্থ্য হয় সারাজীবন তার জন্য ভুগতে হয়।
২৩ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:১৯
অপু তানভীর বলেছেন: আমাদের এলাকাতে প্রতিদিন এই ট্রাক আসে । ট্রাকের মালামাল শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেখানে মানুষ থাকে সব সময় । এবং এরা কিন্তু কেবল নিন্মবৃত্তের মানুষেরা নয় ! এটা যে কী ভয়ংকর একটা নির্দেসন আমাদের উন্নয়নের চমশা পরা মানুষ সেসব দেখতে পারেন না ।
আমার আসলে নিজে রান্না করে খেতে আর ভাল লাগে না । করোনার সময় নিজের রান্না নিজেই করেছি । এটা বিরক্তিকর লাগে এখন খুব । তবে আশার কথা হচ্ছে সামনের বছর ঢাকা ছেড়ে বাড়িতে চলে যাওয়ার কথা ভাবছি । তখন হয়তো এই ঝামেলা শেষ হবে ।
৯| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:০৭
দারাশিকো বলেছেন: অপ্রাসঙ্গিক হতে পারে, তারপরও বলি, আমাদের বর্তমান অবস্থার জন্য দায়ী হলো বিগত এক দশকের তীব্র উন্নয়ন কর্মকান্ড - এমন একটা এনালাইসিস জিয়া হাসানের সাবস্ট্যাকে পাবেন। পড়ে দেখতে পারেন। যুক্তিগুলো খুবই চমৎকার।
২৩ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:২১
অপু তানভীর বলেছেন: ওকে খুজে পড়ে দেখবো আশা করি ।
আপনার শেষ মেইলের জবাব দেওয়া হয় নি । আসলে শেষ মেইলের জবাব দিতে পারি নি । আমার হোস্টিং সার্ভার মেইণটেনেন্সের কাজ চলছিল । সেটা শেষ হওয়ার পরে মেইন যাচ্ছে না । তবে মেইল আসছে ।
১০| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:২০
করুণাধারা বলেছেন: রাস্তায় চলতে খালিই তো উন্নয়ন দেখি, দেখলে কেমন ফাঁপড় লাগে...
এই রাস্তায় দেখা যায় ট্রাক ঘিরে মানুষের দীর্ঘ লাইন। কখনো চার-পাঁচ ঘন্টা দাঁড়ানোর পর খালি হাতে ফিরে যাওয়া মানুষের বিষন্ন মুখ মাঝে মাঝে পত্রিকায় আসে কেউ কেউ অজ্ঞান হয়ে গেছে।
শুনেছি টাউন হল মার্কেটে দু/তিনজন মাছ ওয়ালা আছে যাদের তাজা মাছ বিক্রেতা হিসেবে সুনাম আছে। ভালো মাছ আসলে তারা ক্রেতাকে ফোন দেন, ক্রেতা গাড়ি পাঠিয়ে মাছ নিয়ে যান, ১০-১৫ হাজার টাকায় কিনে। দেড়কোটি জনসংখ্যার মধ্যে এদের সংখ্যা বড় জোর ১০ লক্ষ। এরাই হচ্ছে উন্নয়নের বেনেফিশিয়ারি। মাংসের কেজি ৫০০০ টাকা হলেও এদের বাজার করা কমবে না। আমাদের কিছু কিছু ব্লগারের চোখে শুধু এরাই পড়েন।
২৩ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:২৫
অপু তানভীর বলেছেন: উন্নয়নের টিনের চশমা পরা মানুষের চোখে কেবল এই বেনেফিশিয়ারিদের উদাহরনই চোখে পড়ে । তারা সুলতান ডাইনের ১০০০ জনের বিরিয়ানী খাওয়া দেখে ভাবে দেশের ১৬ কোটিই বুঝি প্রতিদিন বিরিয়ানী খাচ্ছে । অবশ্য এদের দোষ দিতেও পারি না । এদের চেতণা এতোই বুলেটপ্রুফ যে অন্য কিছু এদের চোখেই পড়বে না । দেখেও এরা চোখ বন্ধ করে রাখবে ।
১১| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:০২
আহমেদ জী এস বলেছেন: অপু তানভীর,
তথ্যগত ভুল আছে!
শুরুতেই তথ্য বিভ্রাট! লিখেছেন -"চলমান জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে ঢাকার অবস্থান রত মানুষগুলোর ভেতরে সব থেকে উন্নত(!) জীবন যাপন করতে শুরু করেছে ঢাকার ছাত্র সমাজ ।"
এটা তথ্যগত ভুল । হওয়া উচিৎ ছিলো এমনটা ----"চলমান জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে ঢাকার অবস্থান রত মানুষগুলোর ভেতরে সব থেকে উন্নত(!) জীবন যাপন করতে শুরু করেছে ঢাকার ছাত্রলীগের ছাত্র সমাজ ।"
বাকীরা আমার আপনার মতো, ২ টাকার জিনিষ ৫ টাকা হলেই ভিরমী খাই বা উপোষ করে থাকি।
২৩ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:২৬
অপু তানভীর বলেছেন: তা অবশ্য ঠিকই বলেছেন । তাদের জীবন যাপনের চিত্র তো মাঝে মাঝেই পত্রিকায় চলে আসে ।
আমি আপনি আছি বিপদে ।
১২| ২৩ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:০৩
ঢাবিয়ান বলেছেন: ১৯৪৭ এর দেশবিভাগের বিরুদ্ধে কথা বললে অনেকেই ক্ষিপ্ত হন। কিন্ত কি পেয়েছি আমরা দেশ বিভাগ হয়ে? পাশের দেশ ভারতে সব কিছুর দাম আমাদের দেশের চাইতে অনেক অনেক কম। অনেকেই শুনলে তেড়ে আসবেন হয়ত কিন্ত তিক্ত সত্য হচ্ছে পাকিস্তানেও জীবনযাত্রার মান আমাদের দেশের চাইতে অনেকগুনে ভাল। অথচ এমন হবার কথা কি ছিল? দেশ স্বাংবাধীন হয়ে এর মালিক আগে ছিল দুই পরিবার এখন একছত্র মালিক হয়ে দাড়িয়েছে এক পরিবার। দেশের সমস্ত সম্পদের মালিক এই পরিবার ও তাদের সাংপাঙ্গরা।
২৩ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:২৯
অপু তানভীর বলেছেন: আমরা এখন এতো উন্নত জীবন যাপন করছি। বোধ করি কয়েক বছর পরেই আমরা সেরা উন্নয়নমূলক জাতীতে উপনিত হব ।
১৩| ২৩ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:০২
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমার সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ হয় না বললেই চলে। ১১ টার নাস্তা আর বিকালে নাস্তা করা হয় না। পরিবারের জন্য ফল কেনা হয় খুবই কম। আর মাঝে মাঝে গ্রিল, চাপ, শর্মা, বিরিয়ানি যেটা আগে কিনতাম, সেটার বিরতিও আগের চাইতে বেশী করতে হয়েছে। তবে হ্যাঁ, বেতনের উন্নতি হলে আবার স্বাভাবিক গতি ফেরত আসবে এই কামনায় দিনাতিপাত করছি..
২৩ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৩১
অপু তানভীর বলেছেন: আমাদের সবার অবস্থাই এই রকম ।
এসবই উন্নয়নের ফল । সামনে আরো হবে আশা রাখছি।
আমার অবশ্য চিন্তা কম । আমি একা মানুষ ।
১৪| ২৫ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৪৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: বর্তমান পরিস্থিতির একটি বাস্তব চিত্র।
যারা তথাকথিত 'উন্নয়ন' এর মালপানির ভাগ বাটোয়ারা পায়, তাদের পক্ষে কোনদিনই এ অসহনীয় পরিস্থিতি উপলব্ধি করা সম্ভব হবে না। তারা শুধু 'সুলতান'স ডাইন' এর ভিড় দেখেই আত্মতুষ্টি লাভ করবে।
২৫ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৫৮
অপু তানভীর বলেছেন: এটাই হচ্ছে আসল কথা । যাদের পকেটে উন্নয়নের ভাগ বাটোয়ারা যাচ্ছে যারা অবৈধ আয়ে পকেট ভরতে এরা ছাড়া আর কেউ এখন দেশে ভাল নেই । কী কঠিন অবস্থায় মানুষ বেঁচে আছে তা কেবল সেই মানুষ গুলোই জানে । অথচ বৈ পুস্তবে আমাদের দেশের মানুষের মত সুখে আর কেউ নেই ।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৩১
জগতারন বলেছেন:
পড়তে পড়তে মনটা খাবার হয়ে গেল।
আমি যতবারই ঢাকায় রাস্তার পাশে বা মহল্লার হোটেলে গিয়েছিলাম,
কিছু খাবো মনে করে।
সেখানে বিভিন্ন খাবারের প্রকার দেখে আর আমার খাওয়ার ইচ্ছে হয় নি।
কোন হোটেলেই খাবারের মান ভালো মনে হয় নি অথবা ঐ খাবারের যায়গা অপরিছন্ন।
আমি যে দেশে থাকি সেখানে প্রত্যেকটা খাবারের জায়গায় যেন একটা প্রতিযোগিতা বিদ্যমান থাকে একে অপরের থেকে মানসম্পন্ন খাবারের পরিবেশন এবং পারিপার্শ্বিক পরিবেশ সুউন্নত রাখার।
আমাদের দেশের সকল কিছুর মান উন্নত হোক কামনা করি।