নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বহুল আলোচিত সুড়ঙ্গ মুভিটা অবশেষে দেখার সৌভাগ্য হল । ওটিটি প্লাটফর্মে আসার পরেই মুভিটা দেখে ফেললাম । বাংলা সিনেমা সিনেপ্লেক্সে দেখতে ইচ্ছে করে না খুব একটা । মনে হয় যেন টাকাটা মাঠে মারা যাবে । সুড়ঙ্গ দেখেও আমার ধারনা সেই একই রকম মনে হয়েছে । ওটিটি প্লাটফর্ম পর্যন্ত এটা ঠিক আছে ।
তবে অনলাইনে এই মুভি নিয়ে যে এতো আলোচনা হচ্ছে, এই এক মুভিই নাকি বাংলা সিনেমার পট পরিবর্তন করে দিবে, সেটা মুভি দেখে আমার ধারে কাছেও মনে হল না । গতানুগতিক বাংলা সিনেমার বাইরের কিছুই মনে হল না । তবে মুভিটা এতো দর্শক প্রিয়তা পাওয়ার কারণ কী? প্রায় দুইমাস ধরে মুভিটা সিনেমা হলে টিকে আছে !
এটার পেছনে অন্যতম প্রধাণ কারণ যদি বলা যায় তাহলে বলতে হবে যে মুভিটা আরফান নিশোর প্রথম মুভি । ছোট পর্দায় আরফান নিশোর ফ্যানের কোন অভাব নেই । এটা আসলে সহজেই অনুমেয় যে তার ফ্যান, ভক্তকুল তার মুভি দেখবে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না । তবে যেভাবে মুভিটার রিভিউ দেওয়া হচ্ছে আমার কাছে তেমন আহামরি মনে হয় নি । আমার কাছে আহমরি মনে হয়নি মানেই এই না যে মুভি খারাপ । জাস্ট আমি মানুষের কথা বার্তা রিভিউ শুনে যেমনটা ভেবেছিলাম মুভিটা সেই আশাটা পূরণ করতে পারে নি ।
প্রশ্ন আসতে পারে যে আমার কাছে একটা ভাল মুভি হতে হলে কী কী গুণ থাকতে হয় ?
আমি মুভির বেলাতে সবার আগে মুভির কাহিনীকে প্রাধণ্য দিই । যদি একটা মুভির কাহিনী ভাল হয় তাহলে সেই মুভিতে কে অভিনয় করলো অভিনয়ের মান কেমন হল সেসবও আমার খুব একটা চিন্তার ব্যাপার থাকে না । মুভির কাহিনী ভাল কিনা আর পরিচালক সেই কাহিনীকে আমাদের সামনে তুলে ধরতে পারলেন কিনা সেটাই হচ্ছে বিবেচ্য ব্যাপার ।
সুড়ঙ্গ মুভিটা খানিকটা রোমান্টিক ও থ্রিলার ঘরোয়ানার মুভি । এই পর্যন্ত যারা পড়েছেন এবং যারা এখনও মুভিটি দেখেন নি তাদের অনুরোধ করবো আর না পড়তে । কারণ এরপরে স্পেলার থাকবে । তবে মুভি যদি দেখার ইচ্ছে না থাকে তাহলে পড়তে পারেন ।
মুভির প্রধান চরিত্র মাসুদ পেশায় ইলেক্টিক মিস্তিরি । সে আবার ফ্রিজও ঠিক করে । প্রথম দেখাতেই ময়নাকে তার ভাল লাগে । ময়না আসে ভাইয়ের বাসায় । সেখান থেকে একটু প্রেম তারপর বিয়ে । ঘট সংসার শুরুর পরে টাকা পয়সার অভাবের কারণে মাসুদ বিদেশ গিয়ে হাজির হয় । মাসে মাসে টাকা পাঠায় । এদিকে একা ময়না মাসুদের বন্ধু জহিরের অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে । তারপর তার সাথেই পালিয়ে যায় সেখান থেকে ।
মাসুদ ফিরে আসে বিদেশ থেকে তারপর বউকে খুজতে থাকে । এক সময়ে দেখাও পেয়ে যায় তবে ময়না তাকে অপমান করে । তার সাথে যেতে মানা করে দেয় । জানায় যে তার টাকা পয়সা নেই ।
মাসুদ এবার টাকা পয়সা পয়সা কামানো শুরু করে । তার লক্ষ্য অনেক টাকা আয় করে সে বড় লোক হবে তারপর আবারও ময়নাকে নিয়ে ঘর বাঁধবে। কিন্তু কদিন পরেই বুঝতে পারে যেহারে সে টাকা আয় করছে সে অনেক টাকা আয় করতে পারবে না । তখন একদিন ব্যাংকে গিয়ে দেখে সেখানে অনেক টাকা । তখনই ঠিক করে যে এবার সে এই ব্যাংক থেকে টাকা চুরি করবে । ব্যাংক ম্যানেজারের ড্রাইভারের সাথে ভাব জমায় । তার কাছ থেকে নানান তথ্য জানতে চায়. কোন কোন দিন টাকা আসে সেই খবর নেয় ।
কাজ শুরু করে দেয় । ব্যাংকের কাছেই একটা ঘর ভাড়া নেয় । তারপর সেখান থেকে সুরঙ্গ খোড়া শুরু হয় । এক সময়ে ব্যাংকের ভল্টে গিয়ে উঠে ।
সুড়ঙ্গ খোড়ার মাঝের সময়ে সে আবার যায় ময়নার কাছে । গিয়ে দেখে যে তার মাসুদের বন্ধু জহির অর্থ্যাৎ ময়নার বর্তমান স্বামী তাকে মারধোর করেছে । মাসুদ তাকে তার আসতে বলে কিন্তু সে রাজি হয় না । তখন মাসুদ তাকে বলে সে ব্যাংক ডাকাতি করবে । ময়না লোভে পড়ে । তাকে বলে যে টাকা পেলে পালিয়ে যাবে । মাসুদ যখন টাকায় ভল্টে ঢুকে পড়ে তখন তাকে একটা ভিডিও করে পাঠায় । চারিদিকে টাকা রয়েছে । ময়না তখন চলে আসতে যায় কিন্তু তারপরেই মাসুদের ফোন থাকে বন্ধ । ময়না ভাবে যে মাসুদ তার সাথে বেইমানি করেছে । সে আবার স্বামীর কাছে ফিরে যায় ।
এদিকে পুলিশ খোজ খবর শুরু করে । মাসুদ ভুয়া নামে ব্যাংকে একাউন্ট খুলেছিলো । পুলিশ একটা স্কেচ নিয়ে খোজ খবর করতে থাকে তখন মাসুদের ময়না তার স্বামীকে নিয়ে হাজির হয় থানায় । মাসুদের ব্যাপারে সব খোজ খবর দেয় । মাসুদ তখনও হাওয়া । পুলিশ ময়না আর তার স্বামীকে মাসুদের সহযোগী হিসাবে পুলিশ আটকে রাখে । ঠিক এই সময়ে মাসুদ ময়নার কাছে ফোন দেয় । জানায় যে সে একটু ঝামেলায় পড়েছিলো । সে এখন ময়নার সাথে দেখা করতে চায় । পুলিশ ময়নাকে নিয়ে যায় মাসুদের সথে দেখা করতে । এবং তাকে আটক করে ।
পরে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে মাসুদের টাকা চুরি হয়ে গেছে । মাসুদকে জেলে পাঠানো হয় । জেলে ময়না তার কাছে কয়েকবার আছে । প্রথমে মাসুদ দেখা না করতে চায় নি । পরে দেখা করে । ময়না তাকে জানায় যে তার স্বামী টাকা নিয়ে ভেগেছে । মাসুদ এবার জেলের সুড়ঙ্গ কেটে পালিয়ে যায় । জেল থেকে পালিয়ে সে ময়না নিয়ে তার সেই ব্যাংক ম্যানেজারের বন্ধুকে খুজে বের করে । মূলত এই বন্ধু ও তার মালিক ব্যাংক ম্যানেজার মিলে মাসুদের কাছ থেকে টাকা চুরি করেছে । চোরের কাছ থেকে চুরি ।
মাসুদ আবারও তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে । ময়নাকে নিয়ে চলে যায় দুরে । তবে ময়নাকে সে ক্ষমা করে না । ঘরের মাঝের নিচে একটা ঘরে টাকা রাখার সময় মায়নাকেও সেখানে রেখে উপরে উঠে আসে । তারপর জানায় যে ময়নার স্বামী আসলে পালায় নি । মাসুদই তাকে মেরে ফেলেছে । ময়নাকেও সে টাকার সাথে আগুন ধরিয়ে মেরে ফেলে । গল্প শেষ ।
এই পুরো মুভির গল্প । আমি আগেই বলেছি যে আমার কাছে যে কোন মুভির ভাল লাগার বেলায় সব থেকে জরূরী ব্যাপার হচ্ছে গল্পের কাহিনী । আর রোমান্টিন কিংবা থ্রিলার যদি হয় তাহলে সেই মুভির কাহিনীটাই সব থেকে জরূরী । এই মুভির ব্যাক স্টোরীর ভেতরে আসলেই কি কোন নতুনত্ব আছে?
একজনকে দেখে ভাল লাগে । বিয়ে করে । টাকা পয়সার অভাব । টাকা কামাতে জামাই বিদেশ যায় । এদিকে বই নতুন কারো সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে । অতি সাধারণ একটা ব্যাকগ্রাউন্ড স্টোরী । এ গল্প আমাদের পরিচিত । মুভি দেখার সময়ই যখন মাসুদ ব্যাংক থেকে চুরি করার কথা ভাবে তখনই আমার মনে সম্ভবনা উকি দিয়েছিলো মাসুদের কাছ থেকে কেউ টাকা চুরি করবে। এই চুরি করবে কে ? প্রথম চয়েজ ছিল ময়না । এবং ময়না না হলে ব্যাংকের কেউ ।
সেই কৌতুকটার কথা মনে আছে আপনার । একদল ডাকাত ব্যাংক ডাকাতি করলো ৫ কোটি । পরদিন ম্যানেজার সংবাদ সম্মেলন করে বলল টাকা চুরি হয়েছে ২০ কোটি । আমারও ঠিক এই কথাই মনে হচ্ছিলো । অবশ্য দেখেন ময়না আর ব্যাংকের কেউ ছাড়া অন্য আর কোন অপশনই নেই ।
আর থ্রিলার গল্পের শেষটা যদি আগে থেকে এভাবে গেস করে ফেলা যায় তার মানে গল্প মোটেই ভাল হয় নি । আমার বেলাতেও অনুভূতিটা ঠিক এই রকমই । এছাড়া গল্পের আরো কয়েকটা ব্যাপার চোখে পড়েছে সেসব না বলে পারছি না । আমি মোটেই কাহিনীর খুটি নাটি নিয়ে আলোচনা করছি না । কিংবা ধরে ধরা ভুলও ধরছি না । কিন্তু যে গোজামিল গুলো এড়িয়ে যেতে পারছি না সেই কয়েকটা ব্যাপার নিয়ে কথা না বললেই নয়।
মাসুদ বিদেশ গেল অথচ ব্যাংকে যে টাকা থাকে এটা তার জানা নাই । যেই সে ব্যাংকে ঢুকলো আর তখনই বুঝতে পারলো যে ব্যাংকে এতো টাকা থাকে ! বুঝলাম যে মাসুদ ভুয়া পরিচয় দিয়ে ব্যাংকে একাউন্ট খুলেছে কিন্তু ছবিও কি ভুয়া ছিল ? মানে যখন একাউন্ট খুলে তখন ছবি তো থাকতে হবে নাকি ! ব্যাংকের কাছে তো মাসুদের ছবি থাকা উচিৎ ছিল । তাহলে পুলিশ স্কেচ কেন করবে? মানে স্কেচ কখন করার দরকার যখন কোন ছবি থাকে না ।
মাসুদ যে এতো বড় সুড়ঙ্গ খুড়লো এটা মাসুদের মত অশিক্ষিত একজনের পক্ষে ম্যাপ দেখে খোড়া সম্ভব? একেবারে সঠিক ভাবে ভল্টের উপরেই উঠে পড়লো ! এতো সোজা ! আপনারা যদি অন্য ব্যাংক ডাকাতির মুভি গুলো দেখেন তাহলে দেখবেন সেখানে কত রকম হিসাব নিকাশ করে। কত কিছু প্লান করে তারপর । মুভিতে সে সবের ধারে কাছ দিয়েও যাওয়া হয় নি ।
এতো এতো মাটি কাটা হল অথচ মাসুদের ঘর কিংবা ঘরের আসে পাশে এর কোন চিহ্ন নেই । পরিচালক সাহেব সম্ভবত কোন দিন মাটিকাটার স্থানে যায় নি । গেলে বুঝতো সেখানকার অবস্থা কেমন থাকে ।
মাসুদ টাকার ভল্টে চলে যায় । ভাল কথা । তারপর মাত্র ৫০ হাজার টাকা নিয়ে বের হয় ? যেখানে এতো গুলো বাল্ডিল রয়েছে । ৩৪ কোটি টাকা । সব গুলো এক হাজার টাকার বান্ডিলও যদি হয় তাহলে এক কোটিতে ১০০ অন্তত বান্ডিল হবে । সময় ছিল ওর হাতে বৃহস্পতিবার রাত, শুক্রবার শনিবার । এই সময়ের ভেতরেই টাকা বের করতে হবে । এখন সুড়ঙ্গ খুড়ে প্রথম রাতে মাত্র ৫০ হাজার একটা বাল্ডেল নিয়ে সে বের হয়ে গেল ?
আরেকবার ব্যাপার ভাবেন । ব্যাংক ম্যানেজার আর তার ড্রাইভার মাসুদের চোখ কে ফাঁকি দিয়ে এতো গুলো টাকা বের করে নিয়ে গেল ?
ব্যাংকের সামনে দিয়ে মানে ভল্টের দরজা দিয়ে নিতে দেখা যায়। মাত্র বড় ব্যাগ মাথায় আর দুটো ছোট ব্যাগ । আর ম্যানেজারের হাতে দুইটা ব্রিফকেস! ৩৪ কোটি টাকা এই ব্যাগে এটে গেল !
ব্যাংকের সামনে দিয়ে যখন নিয়ে গেল যখন তখন কেউ দেখবে না ?
মাসুদ যখন ঢোকে তখন টাকা সব ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে। কিন্তু ম্যানেজার যখন ঢোকে তখন আবারও বাল্ডিল সব আগের মত গোছানো হয়ে যায় !
আরেকটা বড় গোলামিল দেখেন। মাসুদ যখন ভল্টে ঢুকে তখন ময়নার স্বামীকে ধরে লোকজন মাইর দিচ্ছিলো । সময়টা ছিল দিনের বেলা । ফকফকা আলো । যদিও যখন মাসুদ ভেতরে ঢোকে তখন সন্ধ্যার মত সময় দেখানো হয় । তাহলে আলো কিভাবে এল । ধরে নিলাম পরদিনই মাসুদ ময়নাকে ফোন দিয়েছিলো ভল্ট থেকে । তাহলে তো সময় কমে গেল আরো । শুক্রবার । তখন তো মাসুদের ভেতরে আরো তাড়াহুড়া থাকবে টাকা গুলো বের করার । অথচ তার বন্ধু আর ব্যাংক ম্যানেজার একদম এক লাফেই সব বের করে নিল ।
যখন জেলে গেল তখন আবার সড়ঙ্গ খুড়েই পালিয়ে গেল ! বলি, আগের বার না হয় নিজের বাসা ছিল বলে কেউ দেখে নি । মাটি কেউ খেয়াল করে নি । এইবারও তাই হবে ? জেলের ভেতরে মাটি খুড়ে বের হয়ে গেল !
আরো মনযোগ দিয়ে দেখলে হয়তো আরো ভুল ত্রুটি বের করা সম্ভব ছিল ।
অনেকের কাছেই এটাকে মাস্টারপিচ মনে হয়েছে । কেন হয়েছে সেটা আমি জানি না । অবশ্য আমি কোন মুভি বিশেষজ্ঞও না । একটা মুভি ভাল লাগা খারাপ লাগার আমার নিজেস্ব কারণ আছে । সেটার বিচারেই আমি মুভি বিচার করি ।
আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলি যে বাংলা মুভি নিয়ে বেশি হাইপ তৈরি হয় তার বেশির ভাগই অতি সাধারণ মানের । এসব মুভি দেখার আগে এক্সপেক্টেশন একেবারে শূন্যের কাছে নিয়ে যাওয়া উচিৎ । তাহলেই হয়তো মুভিটা ভাল লাগবে । কারণ বাংলা মুভি কখনই এক্সপেক্টশন পূরণ করতে পারে না ।
মুভিটা সম্ভবত এখনও হলে চলছে । তবে চরকি সাবস্ক্রিপশন থাকলে সেখান থেকে দেখে নিতে পারেন ।
ছবি সুত্র
৩১ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৯
অপু তানভীর বলেছেন: ব্যক্তিগত ভাবে আমার মনে হয় যে আমাদের দৌড় আসলে টেলিফিল্ম বার ওয়েব ফিল্ম ওয়েব সিরিজ পর্যন্তই ।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মুভির সাথে তুলনা করলে আমাদের মুভি গুলো একেবারে তলানীতে থাকবে ।
২| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৪:০৩
শেরজা তপন বলেছেন: পারফেক্ট রিভিউ। তবে ওয়েব সিরিজগুলো ভালো হচ্ছে
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:১২
অপু তানভীর বলেছেন: হ্যা কিছু কিছু ওয়েব সিরিজ গুলো বেশ ভাল হচ্ছে । বাংলাদেশ এক সময় খুব চমৎকার নাটক বানাতো । কিন্তু এখন আর ভাল নাটক পাওয়াই যায় না । তবে ওয়েব সিরিজের হাত ধরে নাটকের ধারাটা ফিরে আসছে ।
কিন্তু আমাদের দেশে ভাল মুভি কখনই হত না । হাতে গোনা কয়েকটা ভাল মুভি তৈরি হয়েছে । আপনি যদি আগের মুভির কথা বলেন সেই বেলাতেও দেখবেন সেগুলো ছিল মূলত ইন্ডিয়ান মুভির নকল । এখনও কালে ভাদ্রে একটা দুটো মুভি তৈরি হয় ।
৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:১৯
করুণাধারা বলেছেন: রিভিউ পড়া হলো... সুড়ঙ্গ না দেখলেও হবে!
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:১৬
অপু তানভীর বলেছেন: যদি আরফান নিশো ফ্যান না হয়ে থাকেন তাহলে পোস্ট পড়লে এরপরে আর দেখার কোন মানে নেই ।
৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:২৩
নতুন বলেছেন: যখন জেলে গেল তখন আবার সড়ঙ্গ খুড়েই পালিয়ে গেল ! বলি, আগের বার না হয় নিজের বাসা ছিল বলে কেউ দেখে নি । মাটি কেউ খেয়াল করে নি । এইবারও তাই হবে ? জেলের ভেতরে মাটি খুড়ে বের হয়ে গেল !
আরো মনযোগ দিয়ে দেখলে হয়তো আরো ভুল ত্রুটি বের করা সম্ভব ছিল ।
এতো কিছু হিসেব করে ছবির সুটিং করেনাই। এতোটা এটেনসনটু ডিটেইল সব পরিচালকের মাঝে থাকেনা।
কিন্তু সব মিলিয়ে ভালোই হয়েছে। নিশোর অভিনয় বেশ ভালো হয়েছে। সেলিমের অভিনয়ও প্রয়তমার চেয়ে এখানেই ভালো মনে হয়েছে আমার কাছে।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:২৩
অপু তানভীর বলেছেন: অভিনয় নিয়ে আমার কোন কথা নেই । আমার কাছে মুভির কাহিনীই মুল ব্যাপার সব সময় ।
থ্রিলার মুভিতে এই ব্যাপার গুলো আরো বাস্তব করে তুলতে হয় । যদি এটা রোমান্টিক মুভি হত তাহলে এটা নিয়ে কোন কথা থাকতো না । থ্রিলার বলেই আছে ।
আমি খারাপ মুভি বলছি না । আমার কাছে এটা অতি সাধারণ মানের একটা মুভিই মনে হয়েছে । এর বাইরে আর কিছু না ।
৫| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৪৪
কাছের-মানুষ বলেছেন: চরকিতে মাত্র দেখা শুরু করলাম, এক স্কিনে দেখছি আর এক স্কিনে এই কমেন্ট লেখছি! আপনার রিভিও টাইটেল পড়ে মনে হল দেখি!
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৪৮
অপু তানভীর বলেছেন: আমিও দেখেছি চরকিতেই ।
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:২৮
অধীতি বলেছেন: ছবি না দেখে মন্তব্য করা ঠিক না। তাই কিছু বলতে পারছিনা। তবে গোবরে যে পদ্মফুল ফোঁটা শুরু করেছে সেটাই বরং আশাব্যঞ্জক।