নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কদিন পরপরই আমাদের দেশে বয়কটের ঢল নামে । অবশ্য তাতে খুব একটা কাজ হয় না । বাঙালির জোশ বেশি দিন থাকে না । কোন কিছু নিয়েই বাঙালি কখনই একমত হতে পারে না । আর যদিও বা হয় সেটা খুব বেশি সময় ধরে ধরেও রাখতে পারে না ।
বয়কটের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার । কতকিছুই যে বাঙালি বয়কট করে কিন্তু কোন কাজ হয় না । মানে যার বিরুদ্ধে বয়কট করে সেটা দিব্যি টিকে থাকে । বরং দেখা যায় এই বয়কটের নাম করে তার পরিচিতি আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পর্যন্ত এমন কোন কিছুর নাম বলতে পারেন যেটা বাঙালির বয়কটের কারণে ধ্বংস হয়ে গেছে?
কদিন আগেই বিকাশ আর ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ে বয়কটের ডাক এল । কয়েকজনের কথা বার্তা শুনে মনে হল যেন পরদিন সকালেই বিকাশ তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দিবে । ব্রাক বয়কটের ডাক এল । গত শুক্রবার ব্রাকের ভর্তি পরীক্ষা ছিল । আশে পাশে এলাকা পুরো জ্যাম প্যাক হয়ে ছিল । অর্থ্যাৎ ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয় বয়কটের ডাক কেউ কানেই নেয় নি । আড়ং এ যাবৎ কালে কতবার যে বয়কটের শিকার হয়েছে তার কোন ঠিক নেই । দিব্য ব্যবসা করে যাচ্ছে তারা ! বরং দিনকে দিন তাদের ব্যবসা আরো ভুলে ফেঁপে বড় হচ্ছে ।
বয়কট শব্দটার ভাল বাংলা খুজে পেলাম না । তবে বর্জন, একঘরে, অসহযোগ ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করা যায় । তবে বয়কটের বাংলা বয়কটই সব থেকে ভাল শোনায় । বয়কট শব্দটার আসল উৎস কিন্তু ইংরেজি না । এটা একটা আইরিশ শব্দ । এবং এই বয়কট শব্দটার উৎপত্তির গল্পটা চমৎকার ।
উনিশ শতকের শেষের দিকে আয়্যারল্যান্ডে তখন ল্যান্ডওয়্যার চলছে । সেই সময়ে পুরো আয়্যারল্যান্ডই ছিল ইংল্যান্ডের দখলে । গরীব কৃষকদের সব জমির মালিক ছিল ইংল্যান্ডের ল্যান্ড লর্ডরা । লর্ডদের খাজনার বিনিময়ে কৃষকরা চাষ করতো । এমন একজন লর্ড ছিল লর্ড আর্ন (Lord Erne) । সে আয়্যারল্যান্ডে থাকতো না । তার পক্ষ থেকে ল্যান্ড এজেন্ট থাকতো । তারাই সব কাজ কর্ম সামলাতো লর্ডের পক্ষ থেকে ।
১৮৮০ সালের দিকে আয়্যারল্যান্ডে সেবার ফসল খারাপ হল । লর্ড খাজনার পরিমান ১০% কমিয়ে দিলেন তবে কৃষকরা ২৫% কমানোর দাবী জানালো । লর্ড এই দাবী মানলেন না । ল্যান্ডএজেন্ট ১১ জন কৃষককে জমি থেকে উৎখাত করার চেষ্টা করলো । তখন ল্যান্ডওয়্যারের লিগদের নেতা এক অভিনব কাজ করলেন । তিনি এলাকার সকল মানুষকে বলল যে লর্ডের ল্যান্ডএজেন্টকে যেন পুরোপুরি উপেক্ষা করা হয় । তার কোন কাজে কেউ যেন কোন প্রকার সাহায্য না করে ।
তাই হল । সেই ল্যান্ড এজেন্টকে এলাকার সবাই একেবারে উপেক্ষা করলো । তার কোন হুকুম কেউ শুনলো না । তার বাসায় কোন কাজের লোক রইলো না । ফসল পর্যন্ত কাটতে লোক পেল না । তার কাছে এলাকার কেউ কোন পন্য বিক্রি করতো না । এমন কি ডাক পিয়ন তাকে কোন চিঠি দিতো না । একেবারে পুরোপুরি তাকে ত্যাগ করলো সবাই ।
এই ল্যান্ড এজেন্টের নাম কী ছিল জানেন ?
ক্যাপটেন চার্লস বয়কট !
এই নাম থেকেই আজকের আমাদের এই বয়কট শব্দের উৎপত্তি !
যাই হোক আমি এই বয়কটের ভেতরে নেই । বিশেষ করে পন্য কেনার ব্যাপারে আমি বয়কটকেই বয়কট করি সব সময় ।
আপনারা যখন কোন জিনিস কেনেন তখন কোন জিনিসটার দিকে বেশি প্রাধান্য দেন?
আমার ক্ষেত্রে জিনিসটার দাম আর জিনিসটার মান । কোন কোন সময়ে কোয়ালিটিটা বেশি প্রাধান্য পায় আবার কোন কোন ক্ষেত্রে জিনিসটার দাম । আর কোন কিছু প্রাধান্য পায় না ।
কত জিনিসের বয়কট ক্যাম্পেইন চলছে । আমি কখনও কোন বয়কটে অংশ গ্রহন করি নি । যেমন ইজরায়েলী পন্য হিসাবে পেপসি কোক বয়কট চলছে । সফট ড্রিংস খুবই পছন্দ করি । আমার ঘরে সব সময় এই জিনিস থাকেই । বলা যায় পানির মত করেই এটা আমি খাই । আগে আমার পছন্দ ছিল মেরিন্ডা । তবে এখন কোক আর সেভেনআপ বেশি পছন্দ । এটার দাম একটু বেশি হলেও সব সময় এই দুটো আসে । মাঝে একবার মোজো খাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম । সিরিয়ালি সেটা সম্পূর্ন আমার খাওয়া হয় নি । এই অখাদ্য কোকের সমতূল্য কোন ভাবেই না ।
এখন আবার চলছে ভারতীয় পন্যের বয়কট ক্যাম্পেইন । ভারতীয় পন্য যে আমি খুব ব্যবহার করি সেটাও না । পরীক্ষার জন্য কলম হিসাবে এক সময়ে সেলো আমার পছন্দের কলম ছিল । এখন অবশ্য এই কলম দিয়ে আর লেখা হয় না খুব একটা । তবে আবার যদি পরীক্ষা দিতে হয় আমার পছন্দ সেলোই থাকবে । আমি সেটাই ব্যবহার করবো । ডেইরি মিল্ক চকলেট আর কিটকেট আমার সব পছন্দ । যদিও এদের অরিজিন কান্ট্রি ইংল্যান্ড তবে আমাদের দেশে যেগুলো আসে সব ইন্ডিয়ায় তৈরি । আমি আমাদের দেশের তৈরি চকলেট খেয়ে দেখেছি । স্বাদে ধারে কাছেও নেই ।
জুতা হিসাবে আজীবন আমি বাটা পরে এসেছি । এখনও তাই পরি। দামি স্যান্ডেল কিনতে গেলে বাটা ছাড়া আমার ভাল লাগে না ।
কেউ যদি বয়কট করতে চায় আমার তাতে কোন আপত্তি নেই । আপনি কোক খাবেন না । ফাইন । আপনি বাটা স্যান্ডেল পরবেন না । আরও ভাল কথা । কিন্তু অন্য কেউ যদি পরে এবং সেটা যদি আপনি বাঁধা দেন তাহলে আমার আপত্তি । এমন রকম কয়েকটা পোস্ট আর ভিডিও দেখলাম যেখানে কিছু রেস্টুরেন্টে গিয়ে রীতিমত হুমকি দেওয়া হচ্ছে যাতে কোকাকোলা না বেঁচে !
হয়তো বয়কট অন্য দেশের ক্ষেত্রে কাজে দিতে পারে তবে বাঙালীর করা বয়কট কোন কাজে দেয় না । এই ভেতরেই দেখন সেই জোশ কমে এসেছে।
আপনি কোন কোন জিনিস বয়কট করলেন জীবনে?
ছবি সুত্র লিংক
১৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৬
অপু তানভীর বলেছেন: আমাদের সব বয়কটের গল্পই আসলে এমন ! ফেসবুকে কিংবা ব্লগে লিখতে তো আর কষ্ট নাই ! লিখে দিলাম নিজেকে দেশ প্রেমিক প্রমান করে দিলাম ! বাস্তবে গড়ের মাঠ !
২| ১৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৩
আরইউ বলেছেন:
বয়কট সাহেবের কথা জানা ছিলনা, অপু!
শেষে যা বলেছেন সেটা আমারও কথা। আপনার যা খুশি বয়কট করুন আমি কিছু বলবোনা। আমাকে অনুরোধ করতে পারেন আপনার সাথে যোগ দেয়ার জন্য কিন্তু অনুরোধ রাখবো কিনা সেটা আমার বিবেচনা। সেখানে কোন জোর জবরদস্তি চলবেনা।
১৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৯
অপু তানভীর বলেছেন: আসলেই সেই ল্যান্ডওয়্যারের আগে বয়কট বলে কোন শব্দই ছিল না ইংরেজিতে । এই নাম থেকেই শব্দটা এসে হাজির হয়েছে !
আমার কথাই এই । জবরদস্তি চলবে না !
৩| ১৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৯
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: মোটামুটি জ্ঞাণ হবার পর থেকেই দেশীয় পণ্য কেনার চেষ্টা করছি। প্রবাসেও বাংলাদেশী বেশ কিছু ব্র্যান্ডের পণ্য কেনা হয়। পাকিস্তান বা ভারত কোনটাই আমার প্রিয় দেশের তালিকায় নেই। আগে প্রচুর ভারতীয় সিনেমা দেখা হলেও এখন আর হয় না বললেই চলে। ধন্যবাদ।
১৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৪৪
অপু তানভীর বলেছেন: জিনিস পত্র কেনার ক্ষেত্রে আমি দেশ বিবেচনা করি না খুব একটা । দামে এবং মানে যেটা আমার কাছে ভাল লাগে সেটাই সব সময় ব্যবহার করি ।
সিনেমা দেখার ক্ষেত্রে আমার কোন বাছবিছা নেই । ইন্ডিয়ান পাকিস্তান আমেরিকান ইরোপিয়ান সব চলে ! তবে ইদানীং কোরিয়ান আর সাউথ ইন্ডিয়ান মুভি গুলো বেশ দেখা হচ্ছে /
৪| ১৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১:০৬
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বয়কট সাহেবের কথা আপনার নিকট থেকেই জানলাম।
১৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১:২১
অপু তানভীর বলেছেন: বয়কট সাহেব থেকেই এই শব্দের উৎপত্তি !
৫| ১৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১:৩২
নূর আলম হিরণ বলেছেন: সম্ভব হলে সবসময় দেশী পন্য কেনার চেষ্টা করি।
১৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:২১
অপু তানভীর বলেছেন: দেশী পন্যই যে কিনতে হবে এই ভাবনা আমার নেই । তবে অবশ্যই যে দেশে মানুষ থাকে সেই দেশের পন্যই মানুষ বেশি ব্যবহার করে । তবে গুনে আর দামে যেটা ভাল আমি সেটাই কিনি সব সময়।
৬| ১৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১:৪৯
ডার্ক ম্যান বলেছেন: পিনাকী একসময় "র" এর তৃতীয় শ্রেণির এজেন্ট ছিলো। এখনো আছে কিনা জানি। ইন্ডিয়ান পণ্য বয়কটের ডাক তিনি দিয়েছিলেন।সে সেফ প্যাসেজ নিয়ে বাংলাদেশ ছেড়ে এখন অনেক বড় তালেবর হইয়া গেছে।
আমার পরিচিত এক শিবির ব্যবসায়ী আছে। যে প্রাণের পণ্য ব্যবহার করে না কাদিয়ানী বলে। তার বোনরে জিজ্ঞেসা করেছিলাম তোমরা প্রাণের পণ্য ইউজ করো না কিন্তু বিক্রি করো কেন? সে বললো ব্যবসাতে সব পণ্য জায়েজ।
আপনার কল্যাণে বয়কট সাহেবের কথা জানলাম।
কিছুদিন পর বয়কট বিষয়টা হরতালের মতো চুপসে যাবে।
১৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:২৫
অপু তানভীর বলেছেন: পিনাকী এখন জামাতীদের পীর বলা চলে !
পিওর জামাতি ছাগল ছাড়া পিনাকিকে কেউ ফলো করে না !
বলা যায় ঐ ব্যবসায়ী মতই সবার অবস্থা । কদিন কেন বলছেন এখন বয়কট যা আছে এই অনলাইনে । বাস্তবে এর ধারে কাছেও নেই ।
৭| ১৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১:৫২
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: বয়কট সাহেবের কাহিনী জানা ছিল না, জানলাম এবং ভালো লাগল।
আমার কথাও এটা, আমি দাম দিয়ে টাকা খরচ করে জিনিস কিনব, যেটা ভালো, আমার পছন্দ, আমি তাই কিনব। ইদানীং আমি আমি কিছু কিছু মুদি দোকানে গিয়ে খুবই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছি। বললাম, কোক আছে? আমাকে এক গাদা ডায়ালগ শুনিয়ে মোজো নিতে বলল। বললাম, রূপচাদা তেল আছে? বিশাল বক্তব্য শেষে বসুন্ধরা নিতে বলল।
আমি এদের সাথে কথা গ্যাজাইতে যাই না। জাস্ট সরে আসি। সে দোকানের দিকে আর পা বাড়াই না। এমনিতেও কেনাকাটা আমি সুপার শপ থেকে করি বেশিরভাগ সময়। টুকটাক কেনাকাটায় মুদি দোকানে গিয়ে, বয়কটের আলাপ শুনতে ভালো লাগে না।
এরা একটা সাধারণ ব্যাপার বুঝে না, বিকাশ বন্ধ হলে কি শুধু ব্রাকের ক্ষতি হবে? বিকাশের সাথে জড়িত লাখ লাখ এজেন্ট, দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হবে না? কোক বন্ধ হলে কি আমাদের দেশে, আমেরিকা ইজরায়েলরে সাপোর্ট দেয়া বন্ধ কইরা দিবে? কোকের উৎপাদন ও বিপণনে যে হাজার হাজার মানুষ জড়িত তারা কর্মহীন হবে না?
চায়না বাইরের পণ্য ছাড়া চলতে পারে, কারণ ওদের ঐ মানের পণ্য আছে। আমি চাইনিজদের সাথে দুই বছর কাজ করে দেখেছি, এরা কী পরিমাণ সৎ আর প্রোফেশনাল কাজের ব্যাপারে। আমরা কি আদৌ বাইরের সাহায্য ছাড়া চলার মতন অবস্থায় আছি? যেসব বয়কট করছি, তার সমমানের কি পণ্য দেশে আছে?
যেসবের সম মানের বা ভালো প্রোডাক্ট আছে, সেসব মানুষ এমনিই গ্রহণ করছে। যেমন, আমি সবসময় দেশি পেঁয়াজ, টমেটো কিনি, ইন্ডিয়ানটা কিনি না। ভালো লাগে না। বাজারে ইন্ডিয়ান মাছ বেশ সস্তা, সেসব আমি কিনি না, দেশি মাছ কিনি, কারণ সেসব ভালো ও মানের দিক থেকে এগিয়ে।
এসব বয়কট অটো হয়ে যাবে, দেশে মান সম্মত অলটারনেটিভ প্রোডাক্ট তৈরি হলে।
২০ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:১৬
অপু তানভীর বলেছেন: আমি যেই দোকান থেকে জিনিস পত্র কিনি সে এই রকম না করলেও বলে যে কোন ভারতীয় তার বিকল্প কোনটা ভাল হবে । আমি অবশ্য তাতে কান দেই না । আমার সব সময়ের জন্য যেটা পছন্দ সেটাই স্বাধারণত কিনি । তবে হ্যা দুটো প্রোডাক্টেও গুন মান স্বাদ যদি একই রকম হয় এবং দামও কাছাকাছি হয় সেই ক্ষেত্রে আমার নিজ দেশের জিনিস কিনতে কোন আপত্তি নেই । কিন্তু মানের দিক থেকে তলানীতে, কেবল নিজের দেশের পন্য বলেই সেটা কেনার পক্ষে আমি কোন ভাবেই নই !
এটাই তো কথা ! নিজেদের দেশে যদি মান সম্মত জিনিস তৈরি হয় তাহলে মানুষ কেন বিদেশী জিনিস কিনবে ! ভাল পন্য তৈরির নাম নেই এরা আছে বাইরের জিনিস বয়কটের নামে !
৮| ১৯ শে মার্চ, ২০২৪ ভোর ৪:৫১
আলামিন১০৪ বলেছেন: বাঙ্গালের বিশ্বাসঘাতকতার ইতিহাস বেশ পুরনো, এরা স্বার্থের জন্য নিজের পিতাকেও খুন করতে দ্বিধাবোধ করে না, বয়কট তো দূর অস্ত।
২০ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:১৭
অপু তানভীর বলেছেন: দেশ প্রেমের নামে অখাদ্য গেলার কোন মানে নেই ।
৯| ১৯ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৭:০০
শ্রাবণধারা বলেছেন: নতুন একটা জিনিস জানলাম। আমি তো ভেবেছিলাম বয়কট একটা বাংলা শব্দ!!!
২০ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:১৭
অপু তানভীর বলেছেন: বয়কট সাহেব থেকে এসেছে বয়কট শব্দ ! বেচারা যদি এখন বেঁচে থাকতো তাহলে কী ভাবতো একবার ভাবেন !
১০| ১৯ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:৫০
আরিফ রুবেল বলেছেন: বয়কট মূলত রাজনৈতিক টুল। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে পুরোপুরি বয়কট আসলে কতটা কার্যকর এটা প্রশ্নসাপেক্ষ। কিন্তু কেউ যদি দলবদ্ধভাবে মনে করে কোন নির্দিষ্ট ব্রান্ডের পণ্য আমি ব্যবহার করব না তাহলে ধাক্কা দেয়া সম্ভব। তবে এটা অবশ্যই পলিটিক্যালি মোটিভেটেড হতে হবে। ব্যাপারটা এমন না যে বললাম বয়কট আর সবাই বয়কট করা শুরু করল। এটা সময়সাপেক্ষ এবং রাজনৈতিক নেতৃত্ব ছাড়া শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়া ক্যাম্পেইন দিয়ে কোন বয়কট আন্দোলন সফল করা সম্ভব না। আর যেকোন বয়কট আন্দোলন দীর্ঘমেয়াদে গিয়ে মুখ থুবরে পড়বে ওই রাজনৈতিক মোটিভেশনের অভাবে।
২০ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:১৯
অপু তানভীর বলেছেন: এটা অবশ্য ঠিক বলেছেন । দীর্ঘমেয়াদে রাজনৈতিক মোটিভেশন না থাকলে বয়কট মুখ থুবরে পড়বে !
১১| ১৯ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৩৭
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: হুজগে হোক আর যেভাবেই হোক এই বয়কট দেশের অর্থনীতির জন্য ভালো হবে, মানুষ যতবেশি দেশের পণ্য কিনবে ততই দেশের জন্য মঙ্গল জনক। ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে পিনাকী ও তার সঙ্গ পাঙ্গরা এক অর্থে সরকারের উপকারই করছে। ভারতের পণ্য কিনলে কাফের, চাইনিজ পন্য কিনলে নাস্তিক আর পশ্চিমা বিশ্বের পণ্য কিনলে মুরতাদ এই ধরণের একটা ফতওয়া বা গুজব ছড়িয়ে দিতে পারলে খারাপ হবে না, তাতে দেশের বিপুল পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে।
বিদেশী কোম্পানীর আগ্রাসণে দেশীয় ছোট ছোট কোম্পনীগুলোর টিকে থাকা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে।
আম পাবলিকের সস্তা সেন্টিমেন্টকে কাজে লাগিয়ে যদি দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখা যায় তাহলে মন্দ হবে না।
২০ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:২০
অপু তানভীর বলেছেন: ছড়িয়ে পড়লেও কোন লাভ হবে না । যারা ঐ সমস্ত পন্য কিনতো তারা কিনবেই ।
আড়ংয়ের কথাই চিন্তা করেন । এমন সব মানুষ আড়ং পন্য বয়কটের ডাক দিয়েছে যারা আড়ং থেকে কোন কোন পন্যই কেনে নি । যারা কেনে তাদের এসব নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা নেই ।
১২| ১৯ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪
শেরজা তপন বলেছেন: পুরা দুনিয়াডারে একদিন বয়কট করার ধান্ধায় আছি
২০ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:২১
অপু তানভীর বলেছেন: এডা করতে পারলে ভালা হইতো খুউব !
১৩| ১৯ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:০৮
নাহল তরকারি বলেছেন: বাঙ্গালীরা কত কিছু করে!!
২০ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:২১
অপু তানভীর বলেছেন: সত্য
১৪| ১৯ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:২০
কামাল১৮ বলেছেন: বয়কট করে আরো প্রচার বাড়ে।
২০ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:২১
অপু তানভীর বলেছেন: হ্যা । বয়কটে বিক্রিও বাড়ে !
১৫| ১৯ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:৪০
রানার ব্লগ বলেছেন: যে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে বয়কট ডাক এসেছে সব গুলা ফুলে ফেঁপে উঠেছে ।
২০ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:২২
অপু তানভীর বলেছেন: আড়ং তার জ্বলজ্যান্ত প্রমান !
১৬| ২০ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:২৬
আরইউ বলেছেন:
চমৎকার কিছু মন্তব্য পড়লাম পোস্টে! আরিফের মন্তব্যে ৫ আউট অফ ৫।
২০ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৫৫
অপু তানভীর বলেছেন: এই পোস্টে বেশ কয়েক জন চমৎকার মন্তব্য করেছে ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ফেসবুকে আমার একজন বন্ধু আছেন যিনি আবার বয়কট ইন্ডিয়ার ব্যাপক সমর্থক
গতকাল তিনি একখানা পোষ্ট দিয়েছেন এই বলে যে এই মুহূর্তে যারা চেন্নাই অথবা ভারতের কোন জায়গায় আছে তারা যদি সাড়া দেয় তাহলে তাদের মাধ্যমে তিনি ভারত থেকে কিছু ঔষধ আনাবেন ।
আমি তাকে মন্তব্য লিখলাম বাংলাদেশে কি ঔষুধের আকাল পড়েছে যে ইন্ডিয়া থেকে আনতে হবে ?
তিনি বললেন ইন্ডিয়াতে ভালো ওষুধ পাওয়া যায়।
এই হইল সুবিধাবাদীদের বয়কট ইন্ডিয়ার নমুনা।
তারা নিজেরা ইন্ডিয়া থেকে আনবেন ।
কিন্তু প্রচার করবেন বয়কট ইন্ডিয়া।