নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গতকাল রাতেই কয়েকজনের ফেসবুকের পোস্ট দেখে মনে হল যে হাসিনা সরকার পতনে তারা আশা করেছিলেন যে পতনের পরেই দেশে একেবারে ঠিক হয়ে যাবে। তারা হতাশ হয়েছেন এই ঠিক হয়ে না যাওয়াতে। সত্যি বলতে কী, আপনারা কী আশা করে আছেন আমি জানি না তবে আমাদের সাধারণ মানুষের জীবনে খুব একটা পরিবর্তন আসবে না । দেশের অবস্থাও যে খুব একটা পরিবর্তন আসবে সেটাও না । নতুন একটা সরকার আসবে তারপর প্রায় আগের মতই সব কিছু চলবে। আগের মতই দুর্নীতি হবে । আগের মতই সব কিছুই চলবে ।
তবে কিছু পরিবর্তন কিন্তু ঠিকই আসবে। এই যেমন একটা সময়ে আমি নিজে এটা বিশ্বাস করেছিলাম যে আওয়ামী জুলুম থেকে আমাদের দেশের কোন মুক্তি নেই। সত্যিই আমার মনে এটাই মনে হয়েছিল । কিন্তু আমার সেই বিশ্বাস ভুল প্রমাণিত হয়েছে। একটা দেশে তার জনগনের থেকে বড় শক্তিশালী আর কেউ নেই। এই কথাটা আমি এতোদিন বইতেই পড়েছি গত কিছুদিন সেটা নিজের চোখে দেখলাম। এই অনুভূতি অবিশ্বাস্য ছিল । এরপরে যারা ক্ষমতায় আসবে তারাও এই ব্যাপারটা মনে রাখবে। জুলুমের দিন শেষ হবেই।
নতুন যারা ক্ষমতায় আসবে তারাও নিজেদের ক্ষমতার অপ্যব্যবহার করবে। তারা করবে। বাঙালি রাতারাতি সভ্য আর সৎ হয়ে যাবে এটা আমি বিশ্বাস করি না। তবে তাদের এই ব্যাপারটা অবশ্যই মনে রাখা উচিত যে আপনি ঠিক সেই পরিমান জুলুম মানুষের উপরে করবেন যতখানি আপনি নিজে সহ্য করার ক্ষমতা রাখেন । কারণ ক্ষমতা যখন চলে যাবে তখন জুলুমের শিকার মানুষ বন্য হয়ে উঠে।
পুলিশ সদস্যদের বুঝি এরপর থেকে টনক নড়বে । আপনারা দেখেছেন তো আপনাদেরকে রাজনৈতিক নেতা কর্মীরা কিভাবে ব্যবহার করেছে। এবং আপনারাও নিজেরা তাদের সাথে তাল মিলিয়ে সাধারণ মানুষের উপরে জুলুম করেছেন। এখন আপনাদের কী অবস্থা দেখেছেন ? আপনাদের বিপদে ফেলে নেতা কিন্তু পালিয়েছে । আপনারা পালাতে পারেন নি । আপনারা মৃত্যুর মুখে পড়ে আছেন অসহায় ভাবে । আপনারা বলবেন দায়িত্ব পালন করেছেন - না আপনারা কোন দায়িত্ব পালন করেন নি । আপনারা আপনারই দেশের মানুষের উপরে, নিরস্ত্র মানুষের গুলি চালিয়েছেন নির্বিচারে। দিনের পর দিন তাদের এরপর যে সরকারই আসুক, তাদের হাতের পুতুল হবে না । যদি শেখ হাসিনা সরকার পতন থেকেও আপনাদের শিক্ষা না হয়, যদি আবারও আপনারা সরকারের হাতের পুতুল হয়ে জনগনের বিরুদ্ধে যান তাহলে যখন সরকার পতন হবে, সেটা যেভাবেই হোক গনতান্ত্রিক বা আন্দোলনের ফলেই হোক না কেন, হবে নিশ্চিত, তখন আপনাদের অবস্থাও ঠিক একই রকম হবে।
এখন দেশের অবস্থা অশান্ত । আরও কিছু দিন অশান্ত থাকবে। সামনে জানি না কোন দিকে যাবে। অবস্থা হয়তো খারাপ হবে আবার হয়তো ভাল হবে । তবে আমার মনে এই শেখ হাসিনার পতন নিয়ে কোন আফসোস থাকবে না । সত্যিই থাকবে না। এমন কি কদিন পরে যখন নির্বাচন হবে, তখন যদি আওয়ামীলীগ জিতে আবার শেখ হাসিনা ক্ষমতায়াসে তবুও আমার মনে কোন আফসোস থাকবে না । দেশের জনগনের ভোটে সেই সরকার গঠন করে তাতে আমার কোন আফসোস থাকবে না ।
আমার মনে এই নিয়ে আনন্দ থাকবে যে এক দাম্ভিক উগ্র সরকার প্রধানকে টেনে ক্ষমতা থেকে নামিয়েছে । যে কিনা নিজেকে বিকল্পহীন অদ্বিতীয়া মনে করত যে কিনা নিজেকে অপরাজেয় মনে করত সেই মানুষটাকে চরম অপমান করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে। এর থেকে আনন্দের আর কিছু নেই।
০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:৪০
অপু তানভীর বলেছেন: আমি গতকাল সকাল বারোটা পর্যন্তও বিশ্বাস করেছিলাম যে সরকার কোনমতে টিকে যাবে । আমার সেই ধারনা একেবারে ভুল প্রমাণিত হয়েছে ।
২| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৩
Sujon Mahmud বলেছেন: স্বাধীন হইয়াও হইলো না, এক শকুনের বিদায় আরে শকুন উদায়
০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:৫০
অপু তানভীর বলেছেন: আমাদের দেশে পরিবর্তন এতো জলদি আসবে না। তবে পরিবর্তন শুরু হয়েছে । দেখা যাক কোন দিকে যায় এটা !
৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২
রানার ব্লগ বলেছেন: আমার মনে হয় না পুলিশের টনক নড়বে। আগামীতে যারা আসবে তারা তাদের মতো করে পুলিশ কে ফুলিশ বানিয়ে রাখবে। লোভ ভয়ানক জিনিস আর তা যদি হয় যথাইচ্ছা তা করার লাইসেন্স এর মতো লোভ।
ব্যাক্তিগত ভাবে আমার পরিবারে আলীগ বিএনপি আর জামাত সমার্থক আছে। নাস্তার টেবিলে সবার মন খারাপ। কারন জিজ্ঞাসা করতে সবার একই উত্তর হাসিনা এইভাবে যাবে এটা আশা করি নাই। আমি হেসে বললাম কেনো? তার কি পংখীরাজে চড়ে ফুলের মালা গলায় দিয়ে যাবার কথা? সবার উত্তর না, তবে তাকে অন্তত কিছু বলার সুজুগ দেয়া উচিৎ ছিলো। আমি বলেছিলাম বলে নাই তাই এই অবস্থা বললে ইট ও থাকতো না।
তবে এই বিজয় যেন টিকে থাকে আবার যেন নামতে না হয়, আবার যেনো কোন মানুষ হত্যা না হয়। শুকুনের ছানা পোনারা পাখা মেলে দিয়েছে।
০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:০৫
অপু তানভীর বলেছেন: টনক যদি না নড়ে তাহলে আর কী করা বলেন পরের সরকারের পতনের পরপর তাদের নিজেদের অবস্থাও এমনই হবে। এই কারণে পুলিশের উপরে এই হামলায় জনসাধারণের কোন সহানুভূতি নেই ।
আমি নিজেও ভাবি নি শেখ হাসিনা এভাবে পালাবে । এরশাদকে নিয়ে এতো হাসাহাসি করি, দেখেন সেও কিন্তু পদত্যাগ করে পালায় নাই দেশ ছেড়ে !
৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৩:১০
প্রামানিক বলেছেন: পুলিশদের পক্ষপাতিত্ব বাড়াবাড়ি নিয়ম ছাড়া ধরপাকড় সরকারকে বেশি বেকায়দায় ফেলে।
০৮ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৫৪
অপু তানভীর বলেছেন: সব সরকারের আমলেই পুলিশ দলীয় বাহিনী হয়েই কাজ করে কিন্তু শেখ হাসিনার সব লাইন ক্রস করে নিয়ে গেছেন !
৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:০৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার ধারণা ছিল শেখ হাসিনা আর্মিকে বাধ্য করবে আরও বল প্রয়োগ করতে। কারণ বর্তমানে সকল সিনিয়র আর্মি অফিসার হাসিনার পছন্দের তালিকায় আছে। তারা হাসিনাকে সাহায্য করবে। অথবা আমি ভেবেছিলাম এই আন্দোলন আরও অনেক দিন দীর্ঘায়িত হবে। থেমে থেমে আন্দোলন চলবে অনেক মাস বা বছর। আরও অনেক সহিংসতার পড়ে এবং আরও অনেক লাশ পড়ার পরে হয়তো হাসিনার পতন হবে। কিন্তু ২ দিনের মধ্যে হাসিনা ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হবে এটা মাথায় ছিল না। তাই এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না যে হাসিনা ক্ষমতায় নেই।
আমাদের দেশের পুলিশ বাহিনীকে ঢেলে সাজাতে হবে সম্পূর্ণ নতুন করে। এটা একমাত্র আর্মির পক্ষে সম্ভব। দুর্নীতিকে কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। ছাত্র রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করতে হবে। এই দুইটা কাজ হয়তো পরবর্তী কোন শাসক দল করতে চাবে না। কিন্তু এমন হতে পারে হয়তো সাধারণ ছাত্রদেরই এই দাবি আদায়ের জন্য আবার রাস্তায় নামতে হতে পারে। ছাত্ররা যে চাইলে যে কোন ন্যায্য দাবি আদায় করার শক্তি রাখে সেটা প্রমাণিত হয়েছে।
এই মুহূর্তে আরেকটা রাজনৈতিক সরকার আসলে সেই দলের নেতা এবং চামচারা আবার গুণ্ডামি আর দুর্নীতি শুরু করবে। তবে তারা বেশী বাড়াবাড়ি করলে আর্মি আবার ক্ষমতা নিয়ে নিবে। আর্মি ক্ষমতা নেয়ার পদ্ধতি বুঝে গেছে। পাকিস্তানের মত আর্মির সমর্থন ছাড়া কোন দল দেশ চালাতে পারবে না ভবিষ্যতে। ভালো বা মন্দ যা-ই বলেন না কেন বাংলাদেশে এর চেয়ে ভালো অবস্থা নিকট ভবিষ্যতে আসবে না। আরেকটা জিনিস হবে পরবর্তী যে কোন সরকার ছাত্র সমাজকে সমীহ করে চলবে। এদের নিয়ে খেলতে গিয়ে হাসিনা ধরা খেয়েছে। হাসিনা ছাত্রদের সম্পর্কে ভেবেছিল যে 'হাতি ঘোড়া গেল তল ভেড়া বলে কত জল'। যাদেরকে ভেড়া মনে করেছিল তারা যে আসলে নেকড়ের পাল সেটা ওবায়দুল কাদের, সাদ্দাম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ডিবি হারুন, বিপ্লব, নানকরা বুঝতে পারেনি। কিন্তু আর্মি বুঝতে পেড়েছিল এবং ছাত্রদের সৎ উদ্দেশ্যকে তারা গুরুত্ব দিয়েছিল। ভবিষ্যতে ছাত্র সমাজ কাজ করবে জনগণের গার্ড হিসাবে। রাজনৈতিক নেতারা বারবারি করলেই তারা নেতাদের শায়েস্তার ব্যবস্থা করবে। যেমনটা তারা এবার করেছে। এদেরকে আন্ডারএসটিমেট করার আর কোন সুযোগ নাই। এদেরকে জামাত, শিবির, রাজাকার ট্যাগ দিয়ে কেউ বাঁচতে পারবে না। ঐ দিন শেষ।
আওয়ামীলীগ রাজনীতির ক্ষেত্রে আগামী অন্তত ২০ বছর কোন কিছু করতে পারবে না। মানুষের মনে যে ঘৃণা জন্মেছে সেটা দূর হতে অনেক সময় লাগবে। তবে অন্য দল আওয়ামীলীগের মত কুকর্ম শুরু করলে আওয়ামীলীগের ফিরে আসতে সুবিধা হবে। ভালো দল হিসাবে গড়ে তোলার মত নেতা আওয়ামীলীগে একজনও নেই। এই সব কাউয়া, মাউয়া, সাদ্দাম দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে আওয়ামীলীগ যেতে পারবে না।
০৮ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:০২
অপু তানভীর বলেছেন: আমারও তাই ধারণ ছিল। এবং এই ধারণা কিন্তু মিথ্যা না । শেখ হাসিনা যে কোন কিছুর বিনিময়েই ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলাম। তিনি এমন সময়ের জন্য সব নিজের পছন্দের মানুষকেই বসিয়েছেন নানান দরকারি চেয়ারে । শেষ মুহুর্তে দেখেন আর্মি গুলি চালাতে মানা করেছে এবং এটাই শেখ হাসিনার পতন ডেকে নিয়ে এসেছে । যদি আর্মি হাসিনার পক্ষে থাকতো তাহলে হয়তো সে টিকে গেলেও যেতে পারতো ! আগস্ট রাতে সব বিজিবি ক্যাম্পে থেকে জোয়ানদের জরুরী ভিত্তিতে ঢাকাতে নিয়ে আসা হয়েছিল । অধিকাংশ পুলিশ ছিল ঢাকাতে ।
আমি অবশ্য খুব বেশি আশাবাদী না । এই ভোটে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে কোন সন্দেহ নেই । তিন মাস ছয়মাস কিংবা এক বছর পরে যে ভোটটা হবে । খুব সম্ভবত বিএনপি একাই যাবে ক্ষমতায় । জামাতকে সাথে নিবে না । সেই হিসাবে জামাত হতে পারে বিরোধীদলের নেতা । দেখবেন তার পরের নির্বাচনে আওয়ামী জামাতের সাথে মিলে বিএনপির বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে ।
তবে শেখ হাসিনা যদি পালিয়ে না যেতেন তাহলে আওয়ামীলীগের অবস্থা এতোটা খারাপ হত না ।
দেখা যাক কী হয় ! সময় ই বলে দিবে সব !
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৬
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমি গতকাল ভেবেছিলাম, রাজনৈতিক পোস্ট আর প্রসব করব না। কারণ, আমি বলেছিলাম, শেখ হাসিনার পতন সম্ভব নয়। আমি বলেছিলাম, টিকটক, ইউটিউবার প্রজন্ম দিয়ে দেশের কোন পরিবর্তন হবে না...