নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত ১৫ বছর ধরে আমরা শক্তিশালী আওয়ামীলীগকে দেখে এসেছি। কী তাদের দাপট ! তাদের যে কোন সভা সমিতি আলোচনায় হাজার হাজার মানুষ এসে হাজির হয় । ছাত্রলীগের যে কোন মিটিং কিংবা মিছিলেও হাজার মানুষ এসে হাজির । কিন্তু গত ১৫ই আগস্ট আমরা কী দেখলাম, সেই হাজার হাজার মানুষদের টিকিটাও দেখা গেল না। এতো সমর্থক সব গেল কই?
আমি আগেই স্বীকার করে নিয়েছি যে এই আওয়ামী সরকারের যে এভাবে পতন হবে সেটা আমি কোন দিন ভাবি নাই। কিন্তু আদতে দেখা গেল যে আওয়ামী শক্তি আসলে ঠুনকো ছাড়া আর কিছুই নয়। দেশের জন সমর্থকের কাছে তারা স্রেফ উড়ে গেছে। এইভাবে আপনারা লেজ গুটায়া পালাইবেন এইটা আমি ভাবি নাই । সত্যি কোন দিন কল্পনাও করি নাই ।
গতমাসের পনের তারিখে ছাত্রলীগ শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলা করল । সেই সময়ে দুইটা ছবি ভাইরাল হয়েছিল খুব । একটাতে দেখা গেছে যে দুইটা মেয়েকে একটা বীরপুরুষ ছাত্রলীগ লাঠি দিয়ে মারতে যাচ্ছে । আরেকটা ছবিতে দেখা গেছে আরেক বীরপুরুষ ছাত্রলীগ একটা মেয়েকে মেরে নাক মুখ দিয়ে রক্ত বের করে দিয়েছে। ছবি দুটো আপনাদের চোখে পড়ার কথা ।
এর আগে আমাদের স্বৈরাচার সরকার কিভাবে হুংকার ছেড়ে বলেছিল যে এই আন্দোলন কারীদের জন্য কেবল ছাত্রলীগই যথেষ্ঠ ! তার পরের দিন আসলে আমরা কী দেখলাম? বলা যায় সেইদিনই আমার ছাত্রলীগের প্রতি যে ধারণা ছিল সেটা ভেঙ্গে গেল। সাধারণ ছাত্ররা প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্রলীগকে কুকুরের মত পিটিয়ে বিদায় করে দিল । তাদের ঘরের সমস্ত জিনিস পত্র বাইরে ফেলে দিল ।
ব্যাপারটা একবার ভাবুন শুধু ! তখনও সরকারের কিছুই হয় নি । সাধারণ মানুষ এসে যুক্ত হয় নি আন্দোলনে । তখন কেবল ছাত্রদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল পুরো আন্দোলনটা । সেই সময়ে সাধারণ ছাত্ররা প্রতিটা ক্যাম্পাসটা ছাত্রলীগকে পিটিয়ে দূর করছে। জাবি দিয়ে এটা শুরু হয়েছিল । আর সেই তথাকথিত শক্তিশালী ছাত্রলীগ নেড়ি কুকুরের মত পালিয়েছিল। ব্যাপারটা অবিশ্বাস্য মনে হয় না? লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় ছাত্রলীগকে কুকুরের মত পিটিয়ে প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে !
তারপর আবু সাইদের মৃত্যুর পরে ব্যাপারটা আর সাধারণ ছাত্রদের মাঝে সীমাবদ্ধ রইলো না । সাধারণ মানুষ এসেও যোগ দিল । এবং অবশ্যই এর ভেতরে বিএনপি জামাতও এসে জুটল । তারা সুযোগ যে নিবে সেটা তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে আওয়ামীলীগের যে এতো এতো সমর্থক, এতো কর্মী এরা সব গেল কই? কেন এরা সামনে এগিয়ে এল না? গত ১৫ বছরে এরা এতো এতো সমর্থক আর কর্মী বানাইছে এরা সব কই এখন? ১৫ আগস্টের আগের দিন লীগের সবার ফেসবুক প্রোফাইলের দিকে তাকিয়ে মনে হচ্ছিল এইদিন একটা ফাটাফাটি হবে। অথচ দেখা গেল ধারে কাছেই যেতে পারল না।
এর একটা কারণ বলি। এই যে ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এতো এতো আওয়ামী সমর্থক দেখা গেছে এরা আসলে কেউ সমর্থক না, এরা সব সুবিধাবাদী, এরা হল চাটুকার। ওরা দেখেছে এদের সাথে থাকলে আমাদের লাভ আছে তাই ছিল। এই সুবিধাবাদী কোন দিন কার জন্য আন্দোলনে নামবে না । গুলি খাবে না। আরও সমস্যা হচ্ছে আওয়ামীলীগ এই সুবিধাবাদীদের খুব বেশি গুরুত্ব দিয়ে ফেলেছে। এদেরকেই নিজেদের দলের শক্তি মনে করেছে। এবং এই শক্তি মনে করে এরা বাকি সবাইকে নিজেদের শত্রু বানিয়ে ফেলেছে।
আপনাদের কাছে কি আরও কারণ জানা আছে যে কেন এতো শক্তিশালী দল মাঠে নামল না? আমি জানতে আগ্রহী!
১৮ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:২২
অপু তানভীর বলেছেন: কথা টা একেবারে মিথ্যে না । তাকে ভাগ্যবতিই বলতে হবে ।
২| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:০১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শেখ হাসিনা বিভিন্ন অঙ্গনের গুন্ডা আর ডাকাতগুলিকে নিজের দলের ছায়ায় নিয়ে এসেছিলেন। এই ডাকাতগুলি বুঝতো টাকা আর ক্ষমতা। হাসিনাকে এরা কেউই ভালোবাসতো না। পুরো সিস্টেমটা ছিল অন্যায়ের উপরে প্রতিষ্ঠিত। তাই যা হওয়ার তা-ই হয়েছে। ছাত্রদের মধ্যে শতকরা কতভাগ ছাত্রলীগ করতো। আমার ধারণা হয়তো ৫% এর বেশী হবে না ( আসলে হয়তো আরও কম হবে)। বাকি ৯৫% ছাত্র যখন জেগে উঠলো তখন ছাত্রলীগ ভেগে গেল।
হাসিনার বন্দুকের কারণেই এবার হাসিনার পতন হয়েছে। ১ হাজার মানুষকে না মারলে আন্দোলন দমন করতে পারতো হয়তো। পৃথিবীর ইতিহাসে এতো অল্প সময়ে ১ হাজার ছাত্র-জনতা হত্যা এবং ১০ হাজার মানুষকে পঙ্গু এবং আহত করার ঘটনা আর কয়টা আছে। আদৌ আছে কি না জানি না। বিপ্লবের জন্য রক্ত লাগে। ছাত্রলীগ আর পুলিশ সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছিল নিজেদের অজান্তেই। এই লাশের কথা সারা বিশ্বের মানুষ জেনে গিয়েছিল। এতো লাশের কারণেই হাসিনার পতন হয়েছে। এতো লাশ দেখার পরেই আর্মিও রাজী হয় নাই আরও লাশ ফেলতে। বাংলাদেশের আর্মি ইউ এন মিশনের কারণে হলেও কোন দিন সাধারণ মানুষের গায়ে গুলি করবে না। আর্মির গুলিতে একটা সাধারণ মানুষ মারা গেলে জাতিসংঘ থেকে ইউএন মিশনে নিষেধাজ্ঞা আসার সম্ভবনা ছিল।
ওবায়দুল কাদের সম্ভবত বলেছিল দেখা মাত্রগুলি করা হবে। এই খবর বিদেশেও চলে গিয়েছিল। জনগণকে দেখা মাত্রগুলি করার আদেশ দেয়াটা চরম বোকামি ছিল। এই আন্দোলনে অ্যামেরিকার প্রচ্ছন্ন সমর্থন ছিল। হাসিনা বুদ্ধিমতী হলে আমেরিকাকে খেপাতো না।
১৮ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:০৩
অপু তানভীর বলেছেন: মানুষের যখন পাপ পূর্ণ হয় তখন সে পদে পদে ভুল করে। এতো আসলে হইতোই না যদি শেখ হাসিনা একটু নমনীয় হয়ে শুরু থেকেই কথা বলত । মানুষজন খেপে গেছে তার মুখের ভাষার কারণে।
৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:০৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: উত্তর আপনেই দিলেন, আমি একটু যোগ করি। ছাত্রলীগের মধ্যে সেই বিপ্লবী জোশ আর নাই। দূর্ণীতির টাকায় গায়ে চর্বি জমিয়েছে। এদের চিন্তা শুধু, কেমনে টাকা কামানো যায় আর কেমনে ধর্ষণ করা যায়। এইজন্য এদের অপর নাম ছিল টেন্ডার লীগ আর ধর্ষণ লীগ। এদের অপকর্মের ইতিহাস বলতে গেলে হাজার পৃষ্ঠার বই লিখতে হবে।
শুধু বলি, কারো মধ্যে যখন নীতি-নৈতিকতার বালাই থাকে না, তখন এরা মানসিকভাবে এমনিতেই দূর্বল থাকে। একটু টোকাতেই তাদের চেতনার দন্ড নেতিয়ে পড়ে!!!!
১৮ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:০৯
অপু তানভীর বলেছেন: ''যখন নীতি-নৈতিকতার বালাই থাকে না, তখন এরা মানসিকভাবে এমনিতেই দূর্বল থাক'' এটাই সব থেকে বড় কথা । কয়েকজন লীগের ফেসবুকে ঐ সময়ে ঘুরে এসেছিলাম । তখন এদের পোস্ট দেখে মনে হচ্ছিল যেন এরা কতই না শক্তিশালী । অথচ বাস্তবে দেখা সব ফুটস !
৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৩:১১
স্বাধীন বাংলার পরাধীনতা বলেছেন: শেখ হাসিনাও তাজউদ্দীন বাদ দিয়ে মোশতাকদের কাছে রাখছে, ফলাফল পাশে কেউ নাই।
১৮ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:১০
অপু তানভীর বলেছেন: চাটুকার রাখলে এমনই হবে !
৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:০৪
ঋষি ভৃগু বলেছেন: আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরের জনমানুষের দল হয়ে উঠতে পারেনি যত দিন এগিয়েছে তারা জন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতদিনের মুজিব প্রেম সব লোক দেখানো ছিল।
১৮ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:১২
অপু তানভীর বলেছেন: এতোদিন মুজিব প্রেম মানুষ দেখিয়েছে বাধ্য হয়ে । ইচ্ছে করে না।
৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:১৬
রানার ব্লগ বলেছেন: লোভ লোভ এবং লোভ !!!
সীমহিন দুর্নীতি !!
দখল !!!
অন্যদেশের তাঁবেদারি !!!
নিজ দল যে ক্ষতিকারক জীবানু ঢুকে বসে আছে তার প্রতী খেয়াল না নেয়া ।
১৮ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:১৬
অপু তানভীর বলেছেন: সব চাতুকার ! চাতুকার দিয়ে আন্দোলন হয় না।
৭| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৭
ডার্ক ম্যান বলেছেন: আওয়ামী লীগের পতনের বিভিন্ন কারণ আছে। প্রশাসন নির্ভরতা প্রধান কারণ। দলের সাংগঠনিক অবস্থা খুব বাজে হয়ে গিয়েছিল।
গত ১৫ বছরে মধ্যবিত্তের দল থেকে এলিট ক্লাবে পরিণত হয়েছিল।
আমার বিশ্বাস ছিল এই সময়ে সরকার পতন হবে না।
তবে শেখ হাসিনা কেন দেশান্তরী হলেন, সেটা কিছুতেই মাথায় আসছে না। তিনি পদত্যাগ করেছেন এমন কোন কাগজও কেউ দেখাতে পারে নি।
তবে আওয়ামী লীগ আবারও ঘুরে দাঁড়াবে।
১৮ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:১৯
অপু তানভীর বলেছেন: তিনি পালিয়ে গেছেন এটাই সব থেকে বড় কথা ।
এতো শক্তিশালী দল কেমনে পালিয়ে গেল !
৮| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৭
জটিল ভাই বলেছেন:
আমার মনে হয় কোনো এক ব্লগাররে ২ দিন পরপর জেনারেল করায় BAL-এর মাঝে অনেক ইনফরমেসন গ্যাপ তৈরী হইছিলো
১৮ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:২১
অপু তানভীর বলেছেন: তাকে আওয়ামীলীগের প্রেসিডেন্ট বানানো ছাড়া আর কোন উপায় দেখা যাচ্ছে না। তার মত মহানজ্ঞানী তো পৃথিবীতে আর একটাও নেই ।
৯| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:০৭
জ্যাকেল বলেছেন: সত্যি কথা তেতো হয় তারপরেও বলি-
১৯৭৫ সালের ক্যু জনগণ মিষ্টি খেয়ে শেষ করে ফেলেছিল
২০২৪ এও কাছাকাছি ঘটনা।
দেখা যায় আদতে তারা সংখ্যায় নগন্য, আপনার ভাষ্যেই আছে- "কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে আওয়ামীলীগের যে এতো এতো সমর্থক, এতো কর্মী এরা সব গেল কই? কেন এরা সামনে এগিয়ে এল না? গত ১৫ বছরে এরা এতো এতো সমর্থক আর কর্মী বানাইছে এরা সব কই এখন? ১৫ আগস্টের আগের দিন লীগের সবার ফেসবুক প্রোফাইলের দিকে তাকিয়ে মনে হচ্ছিল এইদিন একটা ফাটাফাটি হবে। অথচ দেখা গেল ধারে কাছেই যেতে পারল না। "
বাঙালী মানুষ ভয় পায়। ভয়ে তটস্থ থাকে, প্রতিবাদ করে না। কিন্তু একবার সাওস টা যদি পায় তবে সে গুলি তো বহুত দুর কি বাত স্বয়ং যমদূত এসে পথে বাধা দিলে তাকেই পেয়ে বসে। অতিতে গুন্ডাবাহিনী পেলে পুষে রাখছিল এই আশায় আন্দোলন জমতে দিব না(১৫ বছর ধরে ফল পাইছিলও)। কিন্তু মানুষের সহ্যের একটা সীমা থাকে সেটা সবাই ভুলে গেছিল।
জনতাকে উন্নয়নের মুলা দেখিয়ে আওয়ামীলীগ কি করেছে?
total debt of bangladesh সার্চ করেন গুগুলে
Bangladesh External Debt reached 99.3 USD bn in Mar 2024, compared with 100.6 USD bn in the previous quarter. Bangladesh External Debt: USD mn data is updated quarterly, available from Sep 2011 to Mar 2024. The data reached an all-time high of 100.6 USD bn in Dec 2023 and a record low of 22.1 USD bn in Mar 2012.
১০০ বিলিয়ন ডলারের ঋণ করেছে আওয়ামীলীগ সরকার(বাস্তবে আরো বেশি)
৫০০ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে(এটা অনুমান, আরো বেশি হবে)
ব্যাংক লুট করেছে কেবল ইসলামী ব্যাংক থেকে ৫০ বিলিয়ন (এস আলমের নামে) বাকিগুলো আপনাদের খাতায় জমা নিয়েন
একেক জনের সম্পদ বেড়েছে ১ গুণ থেকে কয়েক হাজার গুণ, কমসে কম ১০০ গুণ।
এই উন্নয়ন আরো কয়েক বছর চলিলে দেশ কবেই যে দেউলিয়া হত তাতে কুনু সন্দেহ নেই।
আসল কথা হইলো-
হাসিনা সরকার র এর উপর নির্ভর ছিল
অস্ত্রধারী গুন্ডা বাহিনীর উপর নির্ভরতা
ভোট কিংবা জনগণের কোন দরকার ছিল, তাই জবাবদিহিতার কোন বালাই ছিল না।
ইসলাম জনগণের প্রাণ, আর ইসলামী দলগুলোর প্রতি বিদ্বেষ যা জনতার কাছে অপছন্দের ছিল
ডট ডট ডট......।
১৮ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:২৬
অপু তানভীর বলেছেন: শেখ হাসিনা আম্রিকাকে নাখোশ করে র এর উপরে একটু বেশিই ভরশা করে ফেলেছিল। তার ফল সে ভোগ করতেছে !
১০| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:৩৫
করুণাধারা বলেছেন: আসলে শক্তিশালী ছিল না। নিজেদেরকে শক্তিশালী দেখাবার জন্য তারা নিজেদের সমস্ত শক্তি ব্যয় করেছে। ভেতরে ভেতরে তারা ফোঁপড়া হয়ে গেছিল। তারপর এক ধাক্কায় ভেঙে গেল।
১৮ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:২৮
অপু তানভীর বলেছেন: সত্যিই তাই ।
১১| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৭:২৮
ক্লোন রাফা বলেছেন: আওয়ামিলীগের পতনের জন্য শেখ হাসিনার একক ক্ষমতায়ন প্রাধানতম কারন। দলের প্রতি কোন দায়িত্বশীল আচরন করে নাই বিগত দশ বছরে।একটি কমিটিও নির্বাচনের মাধ্যমে গঠণ করা হয় নাই । যতটুকু গণতন্ত্র দেখিয়েছে পুরোটাই ছিলে কসমেটিক সার্জারি। নির্বাচন’টা পুরোপুরি তুলে দিয়েছে আমলা আর আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্নতার কারনে বিশাল কর্মি বাহিনী ছিলো অবহেলার স্বিকার। একটা রাষ্ট্রে অভিভাবক শ্রেনীর কিছু মানুষের প্রয়োজন থাকে তারা বিবেকের মত কাজ করে প্রয়োজনের সময়। শেখ হাসিনা সেটা নষ্ট করে দিয়েছেন।
ব্যাবসায়িদের অনৈতিক সুবিধা দিয়ে কব্জায় রাখতে চেয়েছেন। পক্ষান্তরে তারা সেই সুযোগ নিয়ে রাষ্ট্রিয় সম্পদ। লুটপাট করেছে । দুর্নীতি দুর করার জন্য শুধু বানী প্রচারেই সিমাবদ্ধ থেকেছেন। কার্যত কোন কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন নাই। নির্বাচনের সময় টাকা দেখে নমিনেশন দিয়েছেন। গুটিকয়েক চাটুকার আর দুর্নীতিব্জ দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন। ছাত্র নেতৃত্ব তৈরি হোতে দেন নাই। দলের মধ্যে বিন্দুমাত্র গণতন্ত্রের চর্চা নেই ।
ওবায়দুল কাদেরের মত অযোগ্য’ক্ বার বার সাধারন সম্পাদকের পদে রেখেছেন ! এর মত অযোগ্য লোক আওয়ামিলীগের ইতিহাসে সাধারন সম্পাদক হয় নাই।
সর্বোপরি শেখ হাসিনা আমাদের থেকে আমিত্বে চলে গিয়েছেন বিগত পাঁচ বছর! কাজেই সকল উপকরন উনি নিজেই দিয়েছেন যা তার পতন’কে অনিবার্য করেছে ।
আন্তর্জাতিক পটভূমিও ভুমিকা রেখেছে এই পতনে । সেটাই এখন মুল কাতারে চলে এসেছে । এখানে অপেক্ষা করছে অশনি সংকেত আগামি বাংলাদেশের জন্য। হয়’তো আমরা একটা কার্জাই মার্কা শাসনামলের শিকারে পরিনত হোতে যাচ্ছি। বিপদজনক , বিপদজনক এবং বিপদজনক।!
ধন্যবাদ॥
১৮ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:২৯
অপু তানভীর বলেছেন: একটা ব্যাপার খেয়াল করে দেখলে দেখবেন যে শেখ মুজিবও ঠিক একই রকম ছিলেন । সকল ক্ষমতা সে নিজের কুক্ষিগত করে রেখেছিলেন । শেখ হাসিনাও তাই ।
তিনি যোগ্যদের বাদ দিয়ে চাতুকারদের পাশে রেখেছিলেন।
এসব তার কর্মফল !
১২| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:১৫
ক্লোন রাফা বলেছেন: না বঙ্গবন্ধু’র ব্যাপারে আপনার মুল্যায়ন সঠিক বলে মনে করছিনা। সদ্য স্বাধীন দেশে অর্থনৈতিক অবস্থা যখন শুন্য । চারিদিকে শুধু ধ্বংসস্তুপ সেই অবস্থায় অনেক কিছুর সাথে তাকে আপোষ করতে হয়েছে কঠিন বাস্তবতায়। পুরো পাকিস্তানি প্রশাসনিক ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে হয়েছিলো। ভুল অবশ্যই কিছু ছিলো । তবে তিনি সাময়িক কিছুটা সময় চেয়েছিলেন দেশ গড়ার জন্য । সেটাকে পুজি করেই সমাজতন্ত্রের তথাকথিত বিপ্লবীরা সমগ্র জাতিকে ভুল স্বপ্নের পথে বিভ্রান্ত করতে পেরেছিলো! প্রকাশ্যে গণবাহিনী গঠণ করে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছিলো । আর এর পেছনে সরাসরি সামরিক বাহিনির হাতও ছিলো।।
২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৭
অপু তানভীর বলেছেন: আমি আপনার সাথে তর্কে যাব না । তবে আপোষ করা এক জিনিস আর অন্যায় দেখেও তাকে প্রশ্রয় দেওয়া আরেক জিনিস । দুটো ব্যাপার কোন ভাবেই এক নয়। একাত্তর পর্যন্ত শেখ মুজিবের ভুমিকার জন্য আমি তাকে সম্মান করি । এবং এই সম্মান কোন লোক দেখানো নয় । কিন্তু স্বাধীন দেশে তার ভূমিকা নিয়ে তার প্রতি আমার কোন সম্মান নেই।
উনি নিজে দূর্নীতিবাজ ছিলেন না কিন্তু তার আশে পাশে ভর্তি ছিল দুর্নীতিবাজ খুনী দিয়ে । আর এই ব্যাপারটা তার অজানাও ছিল না । তিনি কোন পদক্ষেত তো গ্রহন করেনই নি বরং প্রশ্রয় দিয়ে গেছেন । অথচ পুরো রাষ্ট্র ক্ষমতা তার হাতে ।
১৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ২:৫৬
বিদ্রোহী পুরুষ বলেছেন: পতনের আসল কারন হচ্ছে সে আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী কোনদিনই ছিলনা। সে ছিলো ভারতের আগ্রাসী চরমপন্থী হিন্দুত্ববাদী শক্তির একজন এজেন্ট ও পা চাটা অনুগত দাস।
যে দেশটাকে বাপের সম্পত্তি বলে বিকিয়ে দিয়েছে, উন্নয়নের নামে বিদেশে টাকা পাচার করেছে, গনতন্ত্রের প্রতিষ্ঠার নামে গনতন্ত্র ধ্বংস করেছে।
২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৭
অপু তানভীর বলেছেন: তিনি ক্ষমতায় থাকার জন্য নিজের দেশের জনগনের উপর থেকে ভারতের উপরে বেশি ভরশা করেছেন । তার ফল তিনি পেয়েছেন ।
১৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:০৮
অস্বাধীন মানুষ বলেছেন: যাক সর্বপুরি একটাই কথা সে অনেক ভাগ্যবান যে অন্যান্য দেশের গনবিপ্লবের মতো তাকে।
জীবন দিতে হয় নাই। পালিয়ে বেঁচে গেছেন। আল্লাহু তাকে বাঁচিয়ে দিছেন।
২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:২২
অপু তানভীর বলেছেন: এটা অস্বীকার করার উপায় নেই তিনি ভাগ্যবতী!
১৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫১
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: রাজনীতিতে জনসম্পৃক্ততা থাকতে হয়। আওয়ামীলীগের বেশিরভাগ নেতাদের তা ছিলনা। রাজনৈতিক ও কর্মীবান্ধব ব্যক্তিত্য বাদ দিয়ে ব্যবসায়ী, সেলিব্রেটি, সোশাল ইনফ্লুয়েন্সারদের মনোনয়ন দেয়া এবং সৈয়দ আশরাফ এর মতে ত্যাগী ও দূরদর্শী নেতাদের পরিবর্তে কাদের এর মতো চাপাবাজ ও তেলবাজদের দলে প্রাধান্য ইত্যাদি কারনে দলের কর্মীবান্ধব নেতাদের অভিমানের ফলে তৃনমূলের সাথে সংযোগ ছিলনা। শক্তিশালী বিরোধী দল না থাকায় ভোটাধিকারের হস্তক্ষেপ করার জনগণ বিরোধী দল হয়ে গেছিল।
পরিশেষে, আন্দোলনের শুরুতে আন্দোলনকারীরাও ভাবতে পারেনি আওয়ামীলীগের পতন হবে। তারা পরিক্ষামূলকভাবে আন্দোলন শুরু করেছিল। আবু সাঈদের মৃত্যূতে আন্দোলন গতি পায়। প্রথম কারফিউ চলাকালে গণহারে গ্রেপ্তার সবচেয়ে মারাত্মক সিদ্ধান্ত ছিল বলে মনে হয়।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮
অপু তানভীর বলেছেন: এটাই সত্যি। জনগনের সাথে একটা সংযোগ থাকতে হয় । রাজনৈতিকদের সাথে জনসম্পৃক্ততা থাকতে হয়। বেশির ভাগ তো দুরে থাকুক কোন নেতারই জনগনের সাথে কোন সংযোগ ছিল না । যাদের সাথে ছিল তারা কেবল চাটুকার !
আমিও কিন্তু ভাবতে পারি নি যে এইবারই পতন হবে ।
পতনের আগে একের পর এক ভুল সিদ্ধান্তই হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে ।
১৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৫২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ভারতীয়দের চাকরি দিয়ে ভারতে থাকার টিকেট পেয়েছেন। ভারত এদেশে নব্য উপনিবেশবাদ প্রতিষ্ঠা করেছে। আর কিছু তাবেদার বানাতে তিনি সক্ষম হয়েছেন।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৩৮
অপু তানভীর বলেছেন: তিনি ভারতের উপরে এতো নির্ভর না করে দেশের মানুষের উপরে নির্ভর করলে এমন হত না
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩
জুল ভার্ন বলেছেন: ইতিহাসের আলোকে স্বৈর শাসকের বিরুদ্ধে গণ বিপ্লবে যেমনটা হওয়া হওয়া উচিত তার থেকে শেখ হাসিনাকে ভাগ্যবতীই বলতে হবে।