নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.oputanvir.com

অপু তানভীর

আমার চোখে ঠোঁটে মুখে তুমি লেগে আছো

অপু তানভীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্লগার\'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শেরজা তপন

১১ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৫



প্রিয় এবং অপ্রিয় ব্লগারগন, আশা করি ভাল আছেন। প্রতি মাসের মত এই মাসেও হাজির হয়ে গেলাম আরেকটি ব্লগার'স ইন্টারভিউ নিয়ে। আজকে আমাদের সাথে হাজির আছেন সবার পছন্দের এবং কারো কারো অপছন্দের ব্লগার শেরজা তপন ভাই । অপছন্দের শব্দটা বললাম বলে তপন ভাই আশা করি রাগ করবেন না । আমাদের সবাইকেই কেউ না কেউ ঠিকই অপছন্দ করে । কিন্তু একই ভাবে আমাদের অনেকেই পছন্দও করে । যাই হোক কথা বার্তা কম বলে আসল কাজ শুরু করা যাক ।


অপুঃ কেমন আছেন, আগে সেটা বলেন?

শেরজা তপনঃ আমার পাশাপাশি বেড়ে ওঠা সমবয়্সী বন্ধু প্রতিবেশী স্বজন সহ অনেকের তুলনায় ভালই আছি।

অপুঃ আপনার নাম ব্লগের নিক ‘শেরজা তপন’। শেরজা নামের অর্থ কী? তপন না হয় বুঝলাম শেরজা কি আপনার আসল নাম?
শেরজা তপনঃ ব্লগের পুরনো অনেকেই জানেন এই নামের অর্থ! শেরজা তপন অনেকটা হু ম এরশাদ কিংবা সাকা চৌধুরীর মত, মুল নামের আদ্যাক্ষর দিয়ে একটা নাম। আমার মুল নামটা একটু অপ্রচলিত, কোথাও বললে প্রথমে বিকৃতভাবে উচ্চারণ করে। সেজন্যই আমি লেখালেখির শুরু থেকেই এ নাম দিয়ে শুরু করি। এখনো চলছে এভাবে। যারা আমার লেখালেখির সাথে পরিচিত তারা সবাই আমার এই নামটা জানে।

অপুঃ আপনি ব্লগের পুরানোদের একজন । সেই সময়ে প্রথমে ব্লগের সন্ধান কিভাবে বা কোথা থেকে পেয়েছিলেন?
শেরজা তপনঃ সামুর খোঁজ পেয়েছিলাম সম্ভবত প্রথম আলো ব্লগ থেকে।

অপুঃ কী মনে করে নিক খুলেছিলেন এখানে? এই সামু ব্লগ ছাড়া আর অন্য কোন কোন ব্লগে লেখালেখি করেছেন? এছাড়া নেট দুনিয়া ছাড়া বিভিন্ন পত্র পত্রিকাতে লেখালেখির কোন ইতিহাস ছিল কি?
শেরজা তপনঃ সামুর আগে আমি প্রথম আলো ব্লগে লেখালেখি করতাম। প্রথম আলো ব্লগের খোঁজ পেয়েছিলাম ওদের পত্রিকা থেকে। প্রথম আলো ব্লগ ছিল সামু ব্লগারদের দু চোখের শত্রু। ওই ব্লগকে আলু ব্লগ ও ব্লগারদের আলু ব্লগার হিসেবে সন্মোধন করত। ওই ব্লগের মামো( মাহবুব মোর্শেদ-মডু), ত্রিভুজ সহ অসংখ্য ব্লগার এই ব্লগে এসে ভয়ঙ্কর র‍্যাগিং এর স্বীকার হয়ে পালিয়ে গেছে। অনেকে নাম পরিচয় ভাড়িয়ে এসেও টিকতে পারেনি, কেমনে যেন টের পেয়ে যেত সামুর ঘাড় ত্যড়া ব্লগারেরা। তবে ‘মেঘনা পারের ছেলে’ ‘সাদা মনের মানুষে’র মত টিকে গেছে কেউ কেউ। আমি সৌভাগ্যবান যে, প্রথম আলো ব্লগে খুব সরব থাকলেও সামুতে কেউ কখনো আমাকে র‍্যাগ করেনি। আমি ‘নাগরিক ব্লগ’ ‘আমাদের ব্লগ’ সহ অনেকগুলো ব্লগে লিখেছি- সবখানেই বেশ সমাদর পেয়েছি। আমি সবখানেই ছিলাম অনেকটা ছোটবেলার খেলায় ‘দুধভাতের’ মত।
আমি ছাপার জন্য কোনদিন কোন লেখা পাঠাইনি। ২০১৩ সালে একদিন বিখ্যাত প্রয়াত ব্লগার মাহমুদ ভাই ( সামুতে সম্ভবত ‘এফেয়ার্স’ ছদ্মনামে লিখতেন) ফোন করে বললেন, যায়যায়দিনের মৌচাকের ঢিলের বিশেষ সংখ্যায় আপনার একটা লেখা প্রকাশ হয়েছে, দেইখেন। আমি তো অবাক- কেননা আমি কোন লেখা পাঠাইনি।
সত্যিই ‘যায়যায়দিন’ কিনে দেখি ব্লগে প্রকাশিত ‘সাবাকা জো’ নামে আমার একটা লেখা ছেপেছে। সেটা কে পাঠিয়েছিল ওদের তা আমি আজও জানি না।

অপুঃ সামুতে শেরজা তপন ছাড়া আর কোন নিক আছে কি? অথবা মোট কয়টা মাল্টি নিক আপনার?
শেরজা তপনঃ না ব্লগে আমি ১৬ বছর ধরে একটাই নিকে লিখে আসছি। আমার কোন ছদ্ম নাম বা মাল্টি নিক নেই। এসব চিন্তা মাথাতেই আসে না। আমি নিজেকে যথেষ্ঠ আড়ালেই রাখি এরপরে যদি ছদ্ম নামে লিখি তাহলে ব্যাপারটা ‘ভৌতিক’ হয়ে যাবে।

অপুঃ সামু ব্লগ আপনার জীবনের উপরে কী ধরনের প্রভাব ফেলেছে বলে আপনার মনে হয়? আদৌও কি কোণ পরিবর্তন এসেছে?
শেরজা তপনঃ অবশ্যই ফেলেছে। প্রথম আলোর মত ব্লগ এতবড় মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানীর ছায়াতলে থেকে হাওয়া হয়ে গেল। অথচ সাড়ম্বরে সবাইকে ডেকে নিয়ে চা পানি খাইয়ে মিষ্টি মুখ করিয়ে ‘মতি ভাই’ কত গালভরা কথা বলেছিলেন।শেষমেষ সচলায়তন হারিয়ে গেল, কিন্তু টিম টিম করে সামু টিকে আছে। এত ঝড় ঝঞ্ঝা সহ্য করে চড়াই উৎড়াই পেড়িয়ে সামু যে এখনো টিকে আছে এ বড় আশ্চর্যের। এ দেশের মন মানসিকতা নীতি নৈতিকতা ভাল মন্দের পার্থক্যগুলো বড্ড ভয়ঙ্করভাবে সুইং করে! আমরা মোটেই সহজ সরল স্বাভাবিক নই- আমরা ভয়ঙ্কর এক জাতি। এই জাতির সাথে দীর্ঘ সময় ধরে তাল মিলিয়ে চলা বা মানিয়ে চলা প্রায় অসম্ভব!
সামু আমার ব্যক্তি সামাজিক পারিবারিক ও পেশাগত জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। আমার ভাবনার জগতের কিছু ভাগ, আমার অবসরের বড় একটা অংশ সামু দখল করে আছে। আমি জানি লেখালেখি করে গুষ্টি দেশ জাতি কিছুই উদ্ধার করতে পারব না। আমিতো লিখতে লিখতে লিখিয়ে হয়েছি-সামুর মত প্লার্টফর্ম না থাকলে আমার যে চরিত্র তাতে বহু আগেই লেখালেখির জগত থেকে আমি অবসর নিতাম। কিন্তু মনের মধ্যে একটা আক্ষেপ থেকে যেত।
তবে লেখালেখি অনেক কষ্টের- ভাবনার সাথে মেলানো যায় না শব্দের। মানুষ নিজের গল্প বলতে চায়, অন্যের মনের গহীনের খোঁজ নিতে চায়। কিন্তু আমরা এত বেশী ভুল ধরি যে, একজনের স্বভাবিক শিল্প সৃষ্টি সৃজনশীলতা হারিয়ে যায়- ধীরে ধীরে সে পুরোপুরি মেকি হয়ে ওঠে।

অপুঃ যখন ব্লগিং শুরু করেছিলেন সেই সময় এবং এখনকার এই সময়ের ভেতরে কী পার্থক্য লক্ষ্য করছেন?
শেরজা তপনঃ অবশ্যই। পুরনো ব্লগারেরা অনেক বেশী পরিণত হয়েছেন এরা ব্লগার মায়া ছেড়ে যেতে পারেন নি- তারা নিজের না হয় ব্লগের শেষ দিন পর্যন্ত আঁকড়ে ধরে থাকবেন। নতুন ব্লগাররা যারা প্রথম পাতায় খুব সহজেই ঠাই পেয়ে যাচ্ছে+

তাদের মধ্যে মাল্টি নিক বাদে সবাই প্রায় খুব বেশী অপরিণত- সেজন্য পুরনো বিজ্ঞ ঋদ্ধ ব্লগারদের আফসোসের অন্ত নেই।

অপুঃ আপনার কি মনে বর্তমান সামুতে ব্লগিং যারা করছে তারা আগের ব্লগার থেকে গুণে মানে ভাল ? গুণ মান বিচারে তাদের লেখা পোস্টের সঠিকতা, বিচক্ষণতা, মন্তব্য প্রতি মন্তব্যের পারদর্শীতা ইত্যাদি দিয়ে বিচার করতে পারেন।
শেরজা তপনঃ কিছু কিছু লেখা তো অবশ্যই ভাল। ১২/১৪/১৫ বছর আগের আমি এমন অনেক পোস্টের রেফারেন্স দিতে পারব যার মান অতি নিন্ম ছিল ও রুচিহীন। তবুও অনেক হেভিওয়েট ব্লগারদের ভালমন্দ মন্তব্য এসেছে ওখানে। ব্লগে অতিরিক্ত মানহীন কবিতা আসে- নিয়মিত, অপ্রয়োজনীয়। বেশীরভাগ কবিতা থেকে শিক্ষনীয় প্রায় কিছুই থাকে না। একটা বিশ্লেষনধর্মী নিবন্ধ লেখার জন্য যে পরিমান সময় ধৈর্য ও অধ্যাবসয়ের প্রয়োজন, তাঁর কিছুই এই ধরণের (!) কবিতাতে প্রয়োজন নেই। সবসময়য়েই ব্লগারদের দাবী ছিল যে কবিতার জন্য আলাদা একটা ‘বিভাগ’ করার জন্য- যারা চায় তারা সেখানে গিয়ে সারাদিন কাব্যের মাঝে ডুবে থাকবে সমস্যা কি। পাঠকেরা কি গদ্য লেখা কবিতার জন্য পড়ে নাকি কবিতা গদ্য লেখার জন্য পড়ে- এটা কিন্তু একটা প্রশ্ন বটে। কিন্তু কবিরা কখনোই এই দাবী তোলেনি যে কবিতাকে গদ্যের থকে আলাদা করা হোক!

অপুঃ আপনার কি মনে হয় যে ব্লগ লিখে আরও ভাল করে বললে, সামুতে ব্লগিং করে সমাজের কোন ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব? যদি উত্তর হয় হ্যা সম্ভব তাহলে আপনার এই ১৫ বছরের ব্লগিং জীবনে কী কী পরিবর্তন আপনি পর্যবেক্ষণ করেছেন যা এই সামু ব্লগের কারণে হয়েছে?
শেরজা তপনঃ একসময় সম্ভব ছিল- এখন ব্লগ সেই সুদিন হারিয়েছে। এক কথায় অনলাইন মিডিয়াকেই মানুষ চোখ বন্ধ করে আর বিশ্বাস করতে চায় না। ফেসবুক, ইউটুবের কল্যাণে মানুষ অনলাইন মিডিয়ার প্রতি পুরোপুরি আস্থা ও বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছে। এরপরে বিভিন্ন ফেক মিডিয়া এমন কি আমাদের প্রথম সারির মিডিয়াও মানুষের দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য গুজব অহরহ গুজব ছড়াচ্ছে। ২০০৮ এর নির্বাচনে ইয়াং শিক্ষিত সাহিত্যমনা মানুষদের মধ্যে ব্লগ একটা আলোডন সৃষ্টি করে ছিল। আর রাজাকার বিরোধী আন্দোলন বিশেষ করে শাহাবাগ আন্দোলনে ব্লগের ভুমিকা ছিল অগ্রগণ্য। কিন্তু এটাই বাঙলা ব্লগের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। একদল ভাবল ব্লগারেরা ধর্মোবিদ্বেষী আরেকদল ভাবল ব্লগারেরা যে কোন সরকারীদলের জন্য হুমকিস্বরূপ। বাঙলা ব্লগ বা ব্লগারদের দেশের জন্য দেবার অনেক কিছু ছিল- সরকার এদের মুল্যায়ন করলে, এদের স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ করতে দিলে, অযথা দেশদ্রোহী, ধর্মবিদ্বেষী ট্যাগ না দিলে দেশ গঠনে ব্লগারদের ভুমিকা ছিল অসীম। এখানে ব্লগারদেরও নিজেদের কিছু সমস্যা আছে বা ছিল। সিন্ডিকেট, দলাদলি, পরমত সহিষ্ণুতার অভাব, বিভিন্ন ব্লগে আলাদা গ্রুপিং, ধর্ম নিয়ে অতিমাত্রায় নোংরা ভাষায় উগ্র আক্রমণ, স্বাধীনভাবে লেখার ক্ষমতা পেয়ে যথেচ্ছা ব্যাবহার, সমাজের কিছু সম্মানিত ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের উগ্র ভাষায় আক্রমনের ফলে একবারে সবশ্রেণীর মানুষের কোপানলে পড়েছিল। ব্লগারদের প্রতি তখন কেউ সহানুভূতি দেখায় নি। ভাল ও বুদ্ধিমান ব্লগারেরা তখন সুকৌশলে ব্লগ ছেড়ে কেটে পড়েছিল বা ব্লগিং বন্ধ করে দিয়েছিল। তাদের অনেকেই তাদের জীবন জীবিকা অন্য পেশা নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছেন। অনেকেই ফিরে আসতে গিয়ে ব্লগের কোন ট্রেস পাননি। অনেকে জানেনও না সামু ব্লগ আদৌ টিকে আছে কি নেই। কিছু ব্লগার অন্য মিডিয়াতে ভীষন ব্যস্ত- তাদের শুরুটা এখানেই, তারা কিন্তু এখন মিডিয়া কাঁপাচ্ছে। কিছু ব্লগার ফিরে এসে দেখে কেউ তাদের ভাল মন্দ তেমন করে জিগায় না- গোস্যা করে ফিরে যায়। আমি এখনো বিশ্বাস করি এই ব্লগ অনেক জমজমাট হতে পারে- এখনো এদেশের মিডিয়া জগতে বড় ধরণের ঝাঁকি দেয়ার ক্ষমতা রাখে সামু ব্লগের ব্লগারেরা। কেন ব্লগের এ দশা এ নিয়ে বহুবার কথা হয়েছে , সেটা আপনি আমি ভাল করেই জানি।

অপুঃ ব্লগে গ্রুপিং বা সিন্ডিকেট এই শব্দ গুলো এখন শোনা যাচ্ছে খুব । কিন্তু জানেন এই গ্রুপিং সেই শুরু থেকেই ছিল আছে এবং সামনেও থাকবে! এটাকে আপনি কিভাবে দেখেন?
শেরজা তপনঃ সমমনা কিছু মানুষ পাশাপাশি থাকলে তাদের মধ্যে একধরনের বন্ধুত্ব হতে পারে, সেটা গ্রুপিং এর পর্যায়ে যেতে পারে। কিন্তু সিণ্ডিকেট শব্দের মধ্যেই কেন যেন একটা নোংরামির ব্যাপার আছে। সিন্ডিকেটের বিশেষ কোন উদ্দেশ্য থাকে, বিশেষ কোন উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য মানুষ সিণ্ডিকেট গঠন করে, বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই সেই উদ্দেশ্য সৎ থাকে না।
আমাদের ব্লগে কিন্তু নারী ব্লগারদের মধ্যে একদম ব্লগের শুরু থেকেই অদৃশ্য একটা গ্রুপিং ছিল যা এখনো চলমান। বিষয়টা খারাপ না। কবিদের মধ্যে এক ধরণের গ্রুপিং আছে। আমি সবসময় সবার সাথে তাল মিলিয়ে চলার চেষ্টা করেছি- কিন্তু অনেক চেষ্টার পরেও সবসময় সেটা সম্ভবপর হয় না। । আসলে পাশাপাশি থেকেও আপনার পরিবারের সবার সাথে যেমন একই রকম সম্পর্ক হবে না, তেমন ক্লাসের সমবয়সী সবার সাথেও আপনার বন্ধুত্ব হবে না। ব্লগের ব্যাপারটাও আপনি এমনি ভাবেন। আমি গ্রুপিং ব্যাপারটা ভাল চোখেই দেখি। কিন্তু সিণ্ডিকেটটা পছন্দ নয়।

অপুঃ একজন ভাল ব্লগার হওয়ার জন্য কি ভাল মানুষ হওয়া পূর্ব শর্ত? এই বিষয়ে আপনার মত কী?
শেরজা তপনঃ আমি বিশ্বাস করি ব্লগে সত্যিকারে কিছু ভাল মানুষ আছেন, যাদের সাথে না মিশেও বলে দেয়া যায় যে এরা ভাল মানুষ। তবে ‘তোমার নায়কের সাথে সাক্ষাৎ না হওয়াই উত্তম!’ একথা আমি মনে প্রানে বিশ্বাস করি। আপনি কাউকে পরিপূর্ণ ভালমানুষ হিসেবে পাবেন না কিংবা আপনার কাছে যেটা ভাল মানুষের মানদণ্ড তাঁর সাথে হয়তো অন্য ভাল মানুষ ভাল লেখকের মানসিক দৃষ্টিভঙ্গীর হয়তো মিল নেই। ধরুন; একজন বিবাহবহির্ভুত নারীসঙ্গ ( দু’জন পরিপক্ক মানুষের পরস্পর সম্মতিতে) খুব স্বাভাবিকভাবে নেয়, কিন্তু আর একজনের কাছে মনে হয় এটা গর্হিত অপরাধ; তাঁর দৃষ্টিতে এধরনের মানুষ কখনোই ভাল মানুষ হতে পারে না। আসলে সবার দৃষ্টিতে আমরা কেউ পরিপূর্ণ ভাল মানুষ নই। তবে বেসিক সৎ, ব্যক্তিত্ত্ববান, আত্মমর্যাদাশীল, নিজেকে সবসময় ছোটভাবে, অন্যকে মুল্যায়ন করে, মোটামুটি রুচিশীল, আড্ডাবাজ, জানার বা শেখার অদম্য ইচ্ছা আছে, বিপরিত লিঙ্গকে সম্মান করে, জাত পাত ধর্ম কোন কিছুকে অবমুল্যায়ন করে না, নিজের পরিবারকে ভালবাসে, স্বাবলম্বী; এই ধরণের মানুষকে ভাল ব্লগার হবার জন্য এই গুণ গুলোই যথেষ্ঠ মনে হয়।তবে ভাল মানুষ হবার জন্য আরো অনেক গুণ লাগে।

অপুঃ বিশ্বের এতো জায়গা রেখে আপনি কী মনে রাশিয়াতে পড়তে গিয়েছিলেন?
শেরজা তপনঃ প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর বেশী বড় হয়ে যাচ্ছে। এই উত্তরটা অনেক বেশি বড় হয়ে যাবে- আসলে এটা নিয়ে পুরো একটা পোস্ট লেখার ইচ্ছে ছিল।
আমার রাশিয়া যাবার কথা শুনে আমার এক দুলাভাই বলেছিল; দুনিয়ার এত দেশ থাকতে তুমি এই বন জঙ্গলে কেন পড়াশুনা করতে যাচ্ছ?
আমি বলতে গেলে প্রায় লক্ষ্য উদ্দেশ্যহীন বিক্ষিপ্ত চিন্তা ও অস্থির চিত্তের একজন মানুষ। যেটা আমার লেখাতেই প্রকাশ পায়। নব্বুই সালে আমি এখনো যে এলাকায় বাস করি সেখানকার উঠতি বয়সী একঝাঁক তরুণদের সাথে সখ্যতা হয়ে যায়।
আমি তখন অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে আর ওরা ইন্টার পরিক্ষা দিয়ে ছূটি কাটাচ্ছে। পাইকপাড়া, আগারগাঁও, মিরপুর ১ থেকে ৬ নম্বর , রূপনগর থেকে ফার্মগেট হয়ে হাজারিবাগ থেকে পর্যন্ত ছেলেরা এখানে আসত নিয়মিত আড্ডা দিতে। উফ্ সে কি আড্ডা!! (এই আড্ডা নিয়ে বিশাল পরিসরে গল্প লেখা আছে)
সকাল দশটায় শুরু হয়ে রাত এগারোটার পরেও কারো কারো বন্ধ হয়ে যাওয়া গেটের ফাঁক দিয়ে চলত, ‘’দোস্ত যাইগা খোদা হাফেজ, কাইল দেখা হবে’’। এই শুনে; ‘’একখান কথা কইতে ভুইল্যা গেছি...’’ রাত তামাম হয়ে যায় তবু ভুলে যাওয়া কথা শেষ হয় না। ওই আড্ডায় সবার প্রিয় শুকনা পটকা দুর্দান্ত রসবোধের আবুল হাসান যে ছিল আড্ডায় শুধু আবুল্যা যা কিংবা ঘটি আবুল। ইন্টারে ভালো রেজাল্ট সত্বেও নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে বাপের চাপে বুয়েট ও ঢাকা মেডিকেলে পরিক্ষা দিয়ে চান্স না পেয়ে বাসায় গঞ্জনা থেকে বাঁচতে পড়ালেখার উদ্দেশ্যেই যে কোন উপায়ে দেশ থেকে পালানোর প্লান করল। তখন পড়াশুনার জন্য ইউরোপ ঘেঁষা সহজে যাবার অপশন ছিল দুটো; এও হল সাইপ্রাস আর সদ্য সোভিয়েত ভেঙ্গে যাওয়া রাশিয়া, উক্রাইন, উজবেকিস্তান, জর্জিয়া সহ কিছু দেশে।
হাসান যেহেতু বাম ঘেঁষা কিংবা কমিউনিস্ট ভাবধারার যুবক ছিল সেহেতু তাঁর ‘অটো চয়েজ’ ছিল রাশিয়া। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে; বয়স কম দেখে একা একা নতুন অজানা দেশে যেতে ভয় পাচ্ছিল।আড্ডার সবাই ও সায় দিচ্ছে না।
আমি ছিলাম উরাধুরা মানুষ। মনে যা চায় তাই করি; পরিবার থেকে কখনোই কোন কিছুতে বাঁধা দেয় নি। ওরা বকরি হিসেবে কতল করল আমাকে, তপন ভাই, হাসানের সাথে আপনি যান। ও আপনার সাথে সবচেয়ে কমফোর্ট ফিল করে। আর আপনি যাচ্ছেন শুনলে ওর বাপ আর না করবে না।
বন্ধু অন্তঃপ্রান ছিলাম আমি- আগপিছু না ভেবে রাজী হয়ে গেলাম। বড় ভাই জাপানে ছিল তখন; তাঁকে বললাম, সেও টাকা পয়সা দিতে রাজী হল। (মাঝে অনেক গল্প স্কিপ করি)
পাসপোর্ট করলাম। তখন নুর আলীর ‘বোরাক স্টুডেন্ট ভিসায় দেদারসে ছাত্র পাঠাচ্ছে রাশিয়া ও তাঁর পার্শ্ববর্তী দেশে। এজেন্সীর মাধ্যমে ওখানকার একটা ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউটে ভর্তি হয়ে ভিসা টিসা করার পরে – হঠাত একদিন ভীষণ কাঁদো কাঁদো হয়েনহাসান বলল তাদের যেই জমি বিক্রি করে তাঁকে টাকা দেবার কথা ছিল সেটা বিক্রি হয়নি। এই মূহুর্তে সে যেতে পারছে না। ভিসা যেহেতু হয়ে গেছে ফ্লাইটের ডেট ও কনফার্ম করেছে- সেহেতু আপনি চলে যান আমি টাকা যোগাড় হলে দুয়েক সপ্তাহ পরে আসছি। আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম!! হাসানের বাবার সাথে কথা বললাম, বড় ভাই টাকা লোন দিতে চাইল কিন্তু তিনি ইগোজনিত কারনে লোন নিলেন না।
সে এক ঐতিহাসিক বিদায় সম্বর্ধনা ছিল। যাবার আগে দশ –বারোদিন আড্ডায় সে কি উত্তেজনা!!
আমি যখন এরোফ্লোতের সিড়ির শেষ ধাপে দাঁড়িয়ে উল্টো দিকে ঘুরে হাত নাড়তে গেলাম তখন দেখি দুরে পুরো রেলিং জুড়ে ৩০/৩৫ জন সদ্য যুবক ছেলে উদ্ভ্রান্তের মত চিৎকার করছে কেউ কেউ কাঁদছে আর সবেগে হাত নাড়ছে!
আমি রাশিয়া যাবার পরে আমার কয়েকজন বন্ধু মিলে একটা চিঠি লিখেছিল- আমার ধারনা; বন্ধুকে লেখা বন্ধুদের সর্বশ্রেষ্ঠ চিটি ছিল সেটা।
রাশিয়ায় যোগাযোগের ব্যাপক সমস্যার জন্য আমাদের আবুল্যা মানে আবুল হাসান আর পরে যায়নি বা যেতে পারে নি। পরবর্তীতে ম্যানচেস্টারে এম এস করে, সিডিনি ইউনিভার্সিটিতে মাইক্রো ক্রেডিটে ডক্টরেট করে বর্তমানে নিউজিল্যান্ডের ম্যাসি ইউনিভার্সিটিতে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছে। (ওর জীবন দেখে মনে হয়েছে ভবিষ্যতের স্বপ্নে বাবা মাকে তাদের পছন্দের কিছু ছেলে মেয়েদের উপরে চাপিয়ে দেয়া উচিৎ নয়- প্রত্যকেই তার নিজের পথ খুঁজে নেয়)
তাঁর সাথে এখনো আমার বন্ধুত্ব আগের মতই আছে। সে দুর্দান্ত পড়ুয়া ও দারুণ লেখক। লেখালেখিতে আমাকে ভীষন উতসাহিত করে।
তবে সে মাঝে মধ্যে আফসোস করে বলে আমার জীবন নাকি অনেক রঙ্গীন আর ঘটনাবহুল- আর তাঁর জীবনটা একেবারেই সাদামাটা ও ম্যাড়ম্যাড়ে। এখনো নাকি তাঁর ব্যাপক মন খারাপ হয় রাশিয়া যেতে না পারার জন্য।

অপুঃ এই পর্যন্ত কয়জন রাশিয়ান প্রেমিকা হয়েছে আপনার?
শেরজা তপনঃ এখানেই সবাই ভুল ভাবে। রাশিয়ায় আমার বেশ ক’জনা মেয়ে বন্ধু ছিল কিন্তু প্রেমিকা একজনও ছিল না। আমি বেশি বিশদে যাব না, নাহলে আমার লেখার চরিত্রের সাথে আমাকে মেলাতে কষ্ট হবে।
আমি যে ক’টা প্রেম করেছি সবগুলো স্বদেশে। ওদের কারো গল্প কিন্তু করা হয়নি।

অপুঃ যদি পুতিন সাহেব আপনাকে রাশিয়াতে স্থায়ী ভাবে থাকার সুযোগ দেয়, আপনি কি সেটা গ্রহন করবেন?
শেরজা তপনঃ রাশিয়া অবশ্যই আমার খুব পছন্দের জায়গা। আমি গরম দেশ একদম অপছন্দ করি, তবুও বাংলাদেশ ছেড়ে কোথাও যেতে মন চায় না।

অপুঃ ব্লগের মডারেশন সম্পর্কে আপনার একেবারে নিজেস্ব মতামত দিন দেখি ! আরও ভাল করে বললে সামুর মডু প্যানেল তাদের দায়িত্ব পালনে কতটুকু সফল বলে আপনি মনে করেন?
শেরজা তপনঃ জাদিদ ভাই হয়তো গোস্যা করবেন তবুও বলি, আমার কেন যেন মনে হয় উনি ব্লগ থেকে ফেসবুকে একটু বেশী একটিভ ( যদিও এখানে তেমন কোন কাজ নেই সারাক্ষন)। তবে তিনি মডারেটর হিসেবে বেশ দক্ষ। সম্ভবত তাঁর পরিবার জীবন জীবিকা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয় ব্লগ নিয়ে ভাববার তেমন সময় পান না। ব্লগ নিয়ে আরো সিরিয়াসলি ভাবতে হবে। আমি জানিনা এই ব্লগের পেছনে কে বা কাহারা কাজ করেন; তবে কেন যেন মনে হয় সামু ব্লগের বিশ্বব্যাপী বাঙ্গালীদের কাছে যে পরিচিতি, একটু চেষ্টা করলেই অনেক বেশী একটিভ করা যায়।

অপুঃ আমাদের পুরানো ব্লগাদেরদের প্রায় সবাই ব্লগ ছেড়েছেন । কিন্তু এদের অনেকেই কিন্তু লেখালেখি ছাড়েন নি । নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল বা নিজেস্ব ব্লগে কিন্তু ঠিকই লেখালেখি চালিয়ে যাচ্ছেন । সামু ছেড়ে চলে যাওয়ার পেছনে তাদের কারণ কী বলে আপনার মনে হয়?
শেরজা তপনঃ এই কারনটা আগেই বলেছি। যাদের আগ্রহ ইচ্ছা আছে তারা ফিরে আসবেন। তবে ২০১৪-২০১৯ সাল পর্যন্ত অনেকবার ব্লগ বন্ধ থাকায়, বিভিন্ন নেটোয়ার্ক থেকে এখনো ব্লগে ঢুকতে না পারায় অনেকে ভেবেই নিয়েছে সামু ব্লগ চিরতরে বন্ধ হয়ে গেছে। কোন মিডিয়াতে সামু ব্লগ নিয়ে তেমন কিছু লেখাও হয় না, এমনকি সামু নিজেও প্রচার প্রচারনায় একেবারেই উৎসাহী নয়। অনেকে হাল ছাড়েনি, লেগেছিল দেখে ব্লগে টিকে আছে। কেউ কেউ ভিপিএন দিয়ে ব্লগ চালিয়েছে। ব্লগিং করা অনেক ঝক্কি ঝামেলার, এখনো কিছু বিষয় সেই আদ্যি আমলের রয়ে গেছে-আপডেটেড হয়নি।
তারপরের ব্লগ এক অন্যরকম মজার যায়গা। একবার যে মজেছে, সে আর ছেড়ে যেতে পারে না- ঘুরে ফিরে আসেই। হাজার খানেক মানুষ প্রায় সবসময় চোখ রাখে কিন্তু এখনো ব্লগে।

অপুঃ আপনাকে যদি মডুর দায়িত্ব দেওয়া হয় তাহলে কোন একজন ব্লগারকে আপনি ব্লগ ছাড়া করবেন? (একজনকে ব্যান করতেই হবে এমন শর্তে আপনাকে মডুর ক্ষমতা দেওয়া হবে)
শেরজা তপনঃ যার কথা বলব তাঁর চিরশত্রু হয়ে যাব আমি। আমি এই টাইপের মানুষই না, এমনি ব্লগে ব্লগার খড়া চলছে তারপরে কেন আমি নতুন করে কাউকে ব্লগ ছাড়া করব?

অপুঃ আপনার কি মনে হয় এই সামু ব্লগকে আগের অবস্থানে নিয়ে যাওয়া সম্ভব? যদি সম্ভব হয় তাহলে আপনার মতে কী কী করতে হবে?
শেরজা তপনঃ এই নিয়ে ব্লগে আমি আপনি সহ অনেকেই বহুবার আলোচনা করেছি। এখানেও আগের কিছু প্রশ্নোত্তরে কিছু কথা বললাম। ব্লগ আপডেট করতে হবে, ব্লগে প্রবেশ,লেখালেখি আরো সহজতর করতে হবে, প্রচার প্রচারণা চালাতে হবে, কিছু আয় রোজগারের ব্যাবস্থা করতে হবে। ব্লগারেরাই পারে ব্লগকে টিকিয়ে রাখতে। অনলাইন মিডিয়ায় এইটাই একমাত্র মাধ্যম যেখানে ইউজারেরা ইচ্ছে করলে মিডিয়াকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে।

অপুঃ ইদানীং সামুতে কম কম সময় দিচ্ছেন? কারণ কী বলেন দেখি?
শেরজা তপনঃ আমার ডেস্কস্টপ কম্পিউটার ছাড়া লেখালেখি করতে ভাল লাগে না। কখনো সময় হয় না, কখনো সময় থাকলে ইচ্ছে হয় না। মাঝে মধ্যে ব্যাবসা ও পরিবারে একটু বাড়তি সময় দিতে হয়। চোখের কিছু সমস্যা, বিশ্রী গরম ও দেশের সার্বিক অবস্থায় মেজাজ খিচড়ে থাকে সারাক্ষন- এজন্যই মনে হয় ব্লগে আসা হয় কম।

অপুঃ সামুকে ঠিক কতটা ভালবাসেন? জীবনের অন্যান্য ভালোবাসার জিনিসের সাথে একটা তুলনা দেন ! যে জিনিস বা যাকে সব থেকে বেশি ভালোবাসেন (ধরেন আপনার সন্তানকে) সেটাকে ১০০% ধরে সামুর প্রতি ভালোবাসার একটা শতকরা নম্বর বলেন।
শেরজা তপনঃ আমার ছেলের জন্মের পরে আমি সামু ব্লগে লেখালেখি শুরু করি। তাঁর জন্ম আগষ্ট ২০০৮ সালে, আমি সামুতে লেখালেখি শুরু করি ডিসেম্বর ২০০৮ সালে। সামু আছে একরকম না থাকলে হয়তো এই সময়টা আমি অন্যভাবে কাটাতাম, অন্যখানে দিতাম, অন্যকিছু করতাম। তবে লেখালেখি তেমন হত না সেটা নিশ্চিত। ধরুন আমার যদি সন্তান না হত?
আমার ছোট ভাই আমার পরের বছর বিয়ে করে, এখনো সে নিঃসন্তান। তারা একটা মেয়েকে দত্তক নিয়েছে। কদিন আগে কেউ একজন বলল,মেয়েটা নাকি উদাস হয়ে একদিকে তাকিয়ে থাকলে চোখটা ট্যারা মনে হয়! আমার ভাই আর তাঁর বউ সেই মেয়েকে নিয়ে পাগলের মত এখন এক বিশেষজ্ঞ ডাক্তার থেকে আরেক ডাক্তারের কাছে দৌড়াচ্ছে ( এর পেছনে একটা বিশেষ কারন আছে)। মানুষ কখনো গর্ভের সন্তান থেকে দত্তককে বেশী ভালবাসে।
সামুকে আমি শতভাগই ভালবাসি এখন। তবে সামু না থাকলে এর অভাবটাই তো উপলব্ধি করতাম না, তখন ভালবাসা যাচাই করার কোন ব্যাপারই থাকত না।
যে বধির সে জানেই না শব্দ কি জিনিস। সেজন্য সেটা নিয়ে তাঁর কোন আফসোস নেই। আফসোস আমাদের যারা যারা শব্দ শুনি তারা ভাবি; ও ভীষন হতভাগা!

অপুঃ সামুতে আপনার পছন্দের এবং অপছন্দের ব্লগারের নাম বলুন দেখি ! বেশি না একজন দুজনের নাম বললেই চলবে!
শেরজা তপনঃ এটা আরেকটা কঠিনতম প্রশ্ন। কিছু ব্লগার আছে যারা আমার পছন্দ অপছন্দের কোন তালিকাতেই পড়ে না। আমি সেইসব ব্লগারদের অপছন্দ করি; যারা নিয়মিত পোষ্ট দেয় কিন্তু কারো লেখা পড়ে না ও মন্তব্য করে না এমনকি অনেকে নিজের পোস্টের মন্তব্যের উত্তরও ঠিকমত দেয় না। মিথস্ক্রিয়া না হলে ব্লগ জমে না।
ব্লগার সোনাগাজী ও অর্ক, সাসুম একাধারে আমি পছন্দ অপছন্দ দুটোই করি। এদের সবাইকে ব্লগে প্রয়োজন আছে।

অপুঃ অনেক গুলো প্রশ্ন হয়ে গেল । আপাতত আজকে এখানেই শেষ করছি – তবে শেষ কেওটা প্রশ্ন; এই যে আন্দোলন হল, এটা আপনি কোন চোখে দেখেন?
শেরজা তপনঃ সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান নিয়ে আমার মতামত আমি ব্লগে বেশ সরব ভাবে জানিয়েছি। ব্লগের সবাই জানে আমি যুবাদের পক্ষে। মানুষের বয়স বাড়ার সাথে সাথে সে অভিজ্ঞ ও বিজ্ঞ হয় নিশ্চিত কিন্ত সেই সাথে ধীরে ধীরে আত্মকেন্দ্রিক, ভিতু আর স্বার্থপর হতে থাকে।
তরুণেরা ভুল করবে- সেই ভুল থকেই শিখবে। আমি বিভিন্ন পোস্টে আমার অবস্থান পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করেছি। ধারনা করি এই নিয়ে কোন ভুল বুঝাবুঝির অবকাশ নেই। যদিও জাতীয়তাবাদ ও গণতন্ত্রের ব্যাখ্যাটাই আমার কাছে মনে হয় ধোঁকাবাজি। ব্যক্তিগত, দলগত এবং জিও পলিটিক্সে স্বার্থসিদ্ধির জন্য এর থেকে চমৎকার তন্ত্র আর মানুষ উদ্ভাবন করতে পারেনি। আমি সৌভাগ্য কিংবা দুর্ভাগ্যক্রমে বাংলাদেশে একটা মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছি বলে এই সব কিছুর জন্য যখন তখন জান কোরবান করার কোন মানে হয় না। জীবনতো একটাই- এর থেকে আর মূল্যবান কি-ই বা আছে! পৃথিবীর যে কোন ভাষাভাষি জাতি ও ধর্মের যে কোন অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করলে সেটাকেই আমি এমন আপন মনে করতাম। সেজন্যই মাঝে মধ্যে দেশ জাতি ধর্ম ভাষা এইসব নিয়ে আন্দোলন ও জীবন বলিদান অনেক সময়ই আমার কাছে তুচ্ছ কারণে নিক্ষেপিত বর্জ্য মনে হয়। তারপরও জীবন চলছে তার নিজস্ব গতিতে- ভাল না লাগলেও অনেক সময় মেনে নিতে হয়, কখনো নিজের ভালোলাগা বা স্বার্থের প্রয়োজনেই দেশ জাতি ভাষা ও ধর্মকে আকড়ে পড়ে থাকি। ধন্যবাদ

অপুঃ ইন্টারভিউয়ে সময় দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ । পাঠকরা কিছু প্রশ্ন করবেন আশা করি । সুময় সুযোগ মত সেগুলোর উত্তর দিবেন !
শেরজা তপনঃ হ্যা কিছুটা সময় থাকবো ব্লগে । পরে এসেও উত্তর দেওয়া যাবে ।

আজকের ইন্টারভিউ তাহলে এখানেই শেষ হল । প্রিয় ব্লগারগন, শেরজা তপন ভাইয়ের কাছে আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন করার থাকে তাহলে করতে পারেন । সময় সুযোগ মত তিনি আশা করি উত্তর দিবেন ।


আগের পর্বগুলো
জুল ভার্ন
সাড়ে চুয়াত্তর
কাল্পনিক_ভালোবাসা
ভুয়া মফিজ
শায়মা

মন্তব্য ৬২ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৬২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৬

শায়মা বলেছেন: নারী ব্লগারদের অদৃশ্য গ্রুপিং!!!


হা হা পৃথিবীতে নারীরা প্রায় সবখানেই ঝগড়া করে বলে মানুষ মনে করে কিন্তু এই ব্লগে উহা প্রায় নেই বললেই চলে। তবে তাই বলে ভেবোনা উপরে উপরে নেই বলে মনে মনে নেই। কাহাদের সাথে এই মনে মনে বিবাদ উপরেও চলে এসেছিলো আমি বলতে পারবো তবে তারপরেও আসলেও এইখানে নারীরা নারীদের দলে।

১১ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:০৯

অপু তানভীর বলেছেন: এডা কিন্তুক একেবারে মিথা কথা না ।

অদৃশ্য গ্রুপিং ! নারী ঐক্যও বলা যেতে পারে।

২| ১১ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:০৮

শেরজা তপন বলেছেন: @ শায়মা আপু, ব্লগের সব হাড়ের খবর আপনার কাছে আছে এ আমি বিলক্ষণ জানি :)। তা তেমন দু'চারটা গোপন তথ্য আভাস ইঙ্গিতে ছাড়ুন- না হলে অনেক কিছু ভুলভাল জেনেই অন্তিম যাত্রায় যেতে হবে!!

৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:২৪

শায়মা বলেছেন: হাড়ির খবর হবে কেনো???

তোমরা যাহারা আমাকে চেনো ব্লগকে চেনো সবই তো জানার কথা।


তার পরেও সবার উপরে সকল সত্য নারীরা ভালো গ্রুপিং এ না থাকলেও একই গ্রুপ। :) না থাকলেও কেনো বললাম এইখানে কারো সাথে কারো যোগাযোগ নেই একমাত্র ছবি আপুনি আর মনিরা আপু ছাড়া।

করুণাধারা আপুনি
মিররমনি
জুন আপু তাহারা আবার যোগাযোগের ক্ষেত্রে একশো হাত দূরে থাকেন।

দূরের বাদ্য বেজায় ভালো মাঝখানে তার বেষম ফাঁক!



ছবি আপু তো ভালামানুষ দুধভাত আর মনিরা আপু মহা বিচক্ষন মানুষ আর আমি তো সবাল চাইতে বালা মানু তাই নো প্রবলেমো!!! :P

৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৪২

শেরজা তপন বলেছেন: *ওটা হাড়ির জায়গা হাড় হয়ে গেছে!!
এটার বলার অপেক্ষা রাখে না যে আপনি 'সবাল চাইতে বালা' :)
আমার এটা বিশ্বাস হয় না যে ব্লগের এই দুইজন মাত্র মানুষকে আপনি ব্যক্তিগতভাবে চেনেন।
একটু কাশি দিয়ে নতুন করে গুনে বলেন?
মনিরা আপু মনে হয় রাজনীতি নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত তাকে ইদানিং ব্লগে খুব বেশি দেখা যাচ্ছে না :)
ছবি আপুর ব্যাপারে ঠিক বলেছেন বেশ একটা ঘোরের জগতে থাকেন উনি।

৫| ১১ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৫০

আমি সাজিদ বলেছেন: শেরজা তপন ভাইকে পড়লাম। ধন্যবাদ অপু ভাই

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:২৬

অপু তানভীর বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ পড়ার জন্য ।

৬| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:০৪

কামাল১৮ বলেছেন: উত্তর গুলো মার্জিত যুক্তিপূর্ণ মনে হয়েছে।অনেক তথ্য জানলাম শেরজা সম্পর্কে।অনেকগুলো উক্তি মনে রাখার মতো।যেমন,”ভাবনার সাথে মেলানো যায় না শব্দের।”
তার চিন্তা ভাবনা লিবারেল।উগ্র ধার্মিক না আবার উগ্র জাতিয়তাবাদী না।মানবিক সম্পর্কের বিয়য়ে সে আধুনিক।শিক্ষনিয় সাক্ষাৎকার।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:২৭

অপু তানভীর বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ

৭| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:২৬

শায়মা বলেছেন: ওহ চিনি তো প্রায় সবাইকে তবে আপুদের সাথে ইদানিং যোগাযোগ কম শুধুমাত্র এই দুই আপু ছাড়া। আরেকজনের সাথে আমার অনেক ইনবক্সে হা হা হি হি হয় সেটা নীলুমনি মানে নীল দর্পন আপাজান! :)

৮| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৪৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: এইখানে নারীরা নারীদের দলে!
যদিও এসব মাপাহাসিঁ চাপাকান্না ইন্টারভিউ পড়ে মজা নাই, তবুও গুছানো উত্তর দিয়েছেন সেটুকু ভালোলাগা।
গ্রেট অপু তানভীর!

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:২৮

অপু তানভীর বলেছেন: এবার আপনার পালা । রেডি হৌউন জলদি ।

৯| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৫৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: @শায়মা আমার অপদার্থতাকে মাহত্ম ভেবেছো ।
@ শেরজা তপন - আমি সবকিছু থেকে ব্রেক নিয়েছি। বেশ লম্বা সময় পর শুধু নেটফ্লিক্স ফানাফানা করছি।

১০| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:২১

জুল ভার্ন বলেছেন: শখের সাংবাদিক অপু তানভীর সাক্ষাৎকার গ্রহণে দিনে দিনে অভিজ্ঞতার প্রমাণ দিচ্ছে- যার জন্য প্রশ্নে যেমন বুদ্ধিদীপ্ততা তেমনি সাক্ষাৎ দাতা শেরজা তপন ভাইও অত্যন্ত বুদ্ধিবৃত্তিক জ্ঞানগর্ভ উত্তর দিয়েছে পাঠকদের প্রত্যাশা পূরণ করেছেন। দুজনকেই ধন্যবাদ।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:২৯

অপু তানভীর বলেছেন: আরে শখের সাংবাদিক আর কোথায় পেলেন । তবে ভাবছি একে একা সবার ইন্টারভিউ নেওয়া গেলে একটা কাজের কাজ হবে । ব্লগারদের সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যাবে ।

১১| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৩১

নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: বাহ, চমৎকার ইন্টারভিউ ছিলো...
তপন দার অনেককিছুই জানলাম...
প্রশ্ন এবং উত্তর চমৎকার ছিলো...
দুইজনকেই ধন্যবাদ...

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৩০

অপু তানভীর বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

১২| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৫৫

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: খুব সুন্দর ইন্টারভিউ। আমিও প্রথম আলো ব্লগের ব্লগার । তবে তিনটা ফোরাম ছিল, আড্ডার আসর, প্রজন্ম ফোরাম, রঙমহল ফোরাম। সেখানে বেশ মজা হতো। আড্ডা হতো, সেখান থেকে সামু ব্লগের খোঁজ পেয়েছিলাম। প্রথম আলো ব্লগের অনেক ব্লগার এখনো যোগাযোগ আছে ফেসবুকের মাধ্যমে।

ধন্যবাদ অপু ভাইয়া

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৩৬

অপু তানভীর বলেছেন: আমিও এক সময়ে প্রথম ব্লগে লিখতাম । তবে আড্ডা ঠিক দেওয়া হয় নি। আমার অবশ্য এই ব্লগের মানুষ ছাড়া অন্য কারো সাথে যোগাযোগ হয় নি ।

আপনাকেও ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

১৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৫

স্প্যানকড বলেছেন:

ভীষণ ভালো লাগলো শেরজা ভাই। একটা প্রশ্ন ছিলো, কবিদের গ্রুপিং এটা কী ভালো, না মন্দ?
ভালো থাকবেন।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৩৭

অপু তানভীর বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ স্প্যানকড ভাই।

১৪| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৬

শেরজা তপন বলেছেন: @ স্প্যানকড ধন্যবাদ। আমি আপনার নাম সবসময় 'স্প্যানডক' ভাবি :) আজই প্রথম পুরো নামটা খেয়াল করলাম।
সৃষ্টিশীল কাজের জন্য যে কোন গ্রুপিং ভাল হতে পারে। তবে গ্রুপিং করে রুচিহীন মানহীন কোনকিছুকে প্রশ্রয় দেয়া ঠিক নয়।

১৫| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪১

শেরজা তপন বলেছেন: @ মনিরা সুলতানা বলেছেন,
যদিও এসব মাপাহাসিঁ চাপাকান্না ইন্টারভিউ পড়ে মজা নাই, তবুও গুছানো উত্তর দিয়েছেন সেটুকু ভালোলাগা।
আপু এখানে মাপাহাসি আছে কিন্তু চাপাকান্নাটা কোথায় আমি খুঁজে পাচ্ছিনা :) আপনি আমার সন্মন্ধে এত কিছু জানেন ও ব্লগে এত কথা বলেছি যে, কারো কিছু তেমন জানার বাকি নেই।
@ শেরজা তপন - আমি সবকিছু থেকে ব্রেক নিয়েছি। বেশ লম্বা সময় পর শুধু নেটফ্লিক্স ফানাফানা করছি।
করেন; আমার মত চোখখানা যাবে। শুধু যুদ্ধের ছবি দেখবেন, সামনে লড়াইয়ে নামতে হবে।

১৬| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৩

শেরজা তপন বলেছেন: কামাল ভাই, চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। এতবড় ইন্টার্ভিউ পড়া বেশ ধৈর্যের ব্যাপার। আপনি পড়বেন সেটা ভাবিনি।

আমি সাজিদ- আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ও আন্তরিক শুভকামনা।

১৭| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৩

জুন বলেছেন: এই ইন্টারভিউতে যোগদান না করে পারলাম না। বিশেষ করে শেরজা নামের ব্যাপারে শেরজা যা ব্যাখ্যা দিয়েছে হুমো আর সাকা ;)
আসলে আমার মনে হয় শেরজার নাম শেখ রহিমউদ্দিন জামালী =p~ =p~
তবে যাই বলি না ক্যানো ইন্টারভিউ চমৎকার হইছে অপু ++++++

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪৫

অপু তানভীর বলেছেন: শেখ রহিমউদ্দিন জামালী- এই নামটা সেই হইছে । এই নামেই তাকে ডাকতে হবে ।

আপনার মেইল আইডিটা দিয়েন তো । একটা ইন্টারভিউ আপনারও নেওয়ার ইচ্ছে।

১৮| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৯

জুন বলেছেন: @শায়মা কোথায় জানি লিখছো আমি দ্যাশে নাই :( আমি দ্যাশেই আছি, শেরজার মত নিজের দেশ ছাড়া আমার কোথাও ভালো লাগে না :) যাই তবে চলে আসি আর সেটেল করার কথা দু:স্বপ্নেও ভাবি না। তবে গত ১০ দিন বৈদেশে থেকে পরশুদিন দেশে আসছি দুপুরে এইটা ঠিক :P আর দেশে না থাকলেও ব্লগে আমি প্রায় সময়ই লগ থাকি তবে অফ্লাইনে #:-S
বিদেশে যেইখানেই থাকি নেট ছাড়া তো আর বাদাবনে বসে থাকি না /:)

এই সব নিয়ে ঝগ্রা করা যাবে না শায়মা, কারণ আমরা এক গ্রুপের B-)
=p~

১৯| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: ভাল লাগল ব্লগের অন্যতম গুনী ব্লগার শেরজা তপন সম্পর্কে পড়ে। যায় যায় দিনে প্রকাশিত লেখাটা পড়তে চাই । আমার মনে হয় ব্লগার শেরজা তপন পত্র পত্রিকায় লিখলে বিপুল জনপ্রিয়তা পাবেন।

২০| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৭

শেরজা তপন বলেছেন: জুন আপু বলেছেন; আসলে আমার মনে হয় শেরজার নাম শেখ রহিমউদ্দিন জামালী
খারাপ কন নাই :) পরথম শেখ খানা ঠিক আছে।
আপনারে একখানা সত্য গল্প বলি;
হাসিনা পালানোর দিন পনের বাদে আমার গিন্নী ছেলেকে কোচিং থেকে আসার সময় এক রিক্সায় চড়েছে। রিকসাওলাকে যা-ই জিজ্ঞেস করে যেই ভাড়াই বলে না কেন সে কথা বলে না মাথা দোলায়। ছেলের মা রিক্সায় চড়ে সে কথা জানেনা না সমস্যা কি সেজন্য আর দু'চারখানা প্রশ্ন করল। হঠাৎ রিকশাওয়ালা মুখ ফসকে কথা বলে ফেলল। ছেলের মা, তৎক্ষণাৎ জিগাইল; এই তোমার বাড়ি কি গোপালগঞ্জ? রিকশাওয়ালা কাঁচুমাচু হয়ে বলল, আপা ক্যামনে বুঝলেন?
-আমার শ্বশুর বাড়ি গোপালগঞ্জ, সেইজন্যই বুঝলাম।
রিকশাওয়ালা কাঁদো কাঁদো সুরে বলল, কি যে বিপদে আছি আপা- কথা কইলেই ধইর‍্যা ফেলায় মানসে আমি গোপালগঞ্জ থিয়্যা আইছি। এর পরেই গাইলোনো শুরু করে। এতো গালি খাতি ক্যামন লাগে কন দেহি?
বাসার সামনে আসার পরে সে আর ভাড়া নেবে না। বলে' আপনে আমাগেরে দ্যাশের বউ- ভাড়া নিতি পারব না।'
যে বিপদে আছি দোয়া কইরেন, এহন থিয়্যা আমার দ্যাশের বাড়ি কব খুলনোতে।

আমিও শেখ পদবী নিয়ে তেমন বিপদে আছি আপু।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫১

অপু তানভীর বলেছেন: আমার পদবী কিন্তু শেখ । ;)

২১| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:১১

মিরোরডডল বলেছেন:





শেরজা, আমার প্রিয় ব্লগারদের একজন।
ভালো লেখক, ভদ্র আবার একইসাথে মজার মানুষ, ভালো প্রেমিক এবং ভালো বাবা, বিনয়ী, বিচক্ষণ, সুদর্শন, আড্ডাবাজ।
বলা যায় সম্পূর্ণ প্যাকেজ :)

এই প্যাকেজ নিয়ে পোষ্ট করার জন্য তানভীকে থ্যাংকস।


১৪ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৭

অপু তানভীর বলেছেন: আপনি তো আর আআমকে দিলেন না ইন্টারভিউ ! তাইলে কত ভাল হইতো ।

২২| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:১৭

শেরজা তপন বলেছেন: সুপ্রিয় ব্লগার ঢাবিয়ান অনেক ধন্যবাদ আপনাকেও।
যায়যায়দিনের সেই লেখার ব্লগের লিঙ্ক দিচ্ছি;
সাবাকা 'জো'
আরে না কত কুতুব আছে দেশে। আমি ব্লগ নিয়েই থাকতে চাই। তবে বই প্রকাশ ভিন্ন কথা।

২৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:২১

শায়মা বলেছেন: জুন আপুনি ঝগ্রা করে আমার সাথে কেউ পারবে????

বিশেষ করে আপুরা????


অতীতে কত কত বিশ্ব ঝগড়াটেদেরকে উড়িয়ে দিয়ে এই কনফিডেন্সে এসেছি তুমি বুঝি তাহা জানোনা??


তবে হ্যাঁ আমরা আপুরা ঝগড়া করবো না। তবে ভাইয়ুদের সাথে করতে পারি। :)

২৪| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:২২

শেরজা তপন বলেছেন: লেখক ব্লগার চিন্তক রাজনীতিবিদ বহুগুণে গুণান্বিত প্রিয় হুমায়ুন ভাই এর লেখার আমি একজন ভক্ত। আপনার মন্তব্য সবসময়ই আমাকে দারুণ অনুপ্রাণিত করে। ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন নিরন্তর।

ইন্টারভিউ পড়ে মন্তব্যের জন্য আন্ত্রিক ধন্যবাদ ব্লগার নয়ন বড়ুয়াকে

২৫| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:২৪

মিরোরডডল বলেছেন:





খুব বেশি সময় হয়নি শেরজার সাথে পরিচয়, কিন্তু শেরজা বহু বছর ধরে ব্লগিং করে।

শেরজার কাছে প্রশ্ন,

"এই মন্তব্যের উত্তর এক কথায় দেয়া যাবে না, সময় নিয়ে পরে আসি" এই ধরণের কথা বলে মন্তব্য স্কিপ করার একটা
অভিনব কৌশল দেখেছি শেরজার মাঝে।

এই স্কিল কি ব্লগিংয়ের শুরু থেকেই ছিলো, না সম্প্রতি হয়েছে??? :)


২৬| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:২৭

শেরজা তপন বলেছেন: মিরোরডডল বলেছেন
শেরজা, আমার প্রিয় ব্লগারদের একজন।

আপনিও আমার প্রিয় মানুষ ও প্রিয় ব্লগার ও দুর্দান্ত সমালোচনাকারী।
কারো মধ্যে ঝামেলা মেটাতে আপনার জুড়ি নেই। চমৎকার মধ্যস্ততা করতে পারলেও কাউকে ছাড় দেন না।
আপনি দারুণ একজন রন্ধনশিল্পী, বন্ধুবৎসলঈও ব্লগের সবচেয়ে উদার দৃষ্টিভঙ্গির রমণীদের একজন।
* :) শুধু চোখ দেখেতো আর সৌন্দর্য মাপা যায় না, তবুও নিজস্ব স্বকীয়তা ও সৌন্দর্যে আপনি অনন্যা।

২৭| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:২৯

জটিল ভাই বলেছেন:
এই প্রথম কোনো ইন্টারভিউ ছিদ্রান্বেষী হয়ে পড়লাম। কিন্তু না, গুড়ে বালি। ইন্টারভিউদাতা এবং গ্রহীতা আমায় নিরাশ করলেন। কোনো ছিদ্র পেলাম না, তবে প্রিয় শেরজা ভাই সম্পর্কে অনেক অজানা বিষয় জানতে পারলাম যা হয়তো কখনোই ভাইয়ের পোস্ট পড়ে জানতে পারতাম না ♥♥♥

কিন্তু ব্লগের প্রতি ভালবাসার চাইতে ভাইয়ের জীবনের ভালবাসা সম্পর্কে জানাটা আমার কাছে বেশি গুরুত্ব বহন করে। ইয়ে করে বিয়ে না বিয়ে করে ইয়ে? এই বিষয়ে ভাই যদি নিজের জীবনের আলোকে কিছু বলতেন...... :P

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:০০

অপু তানভীর বলেছেন: যাক ছিদ্রান্বেষী ভাবে পড়েছেন দেখে ভাল লাগল ।
ব্লগের প্রতি ভালবাসা আসলে খুব বেশি জরূরী না। জীবনের প্রতি গুরুত্ব, ভালোবাসা সব থেকে বেশি গুরুত্ব বহন করে।

২৮| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৩৫

শেরজা তপন বলেছেন: শেরজার কাছে প্রশ্ন
"এই মন্তব্যের উত্তর এক কথায় দেয়া যাবে না, সময় নিয়ে পরে আসি" এই ধরণের কথা বলে মন্তব্য স্কিপ করার একটা
অভিনব কৌশল দেখেছি শেরজার মাঝে।
এই স্কিল কি ব্লগিংয়ের শুরু থেকেই ছিলো, না সম্প্রতি হয়েছে???

সময়ের সাথে সাথে মানুষ পাল্টায়। পাল্টে যায় কিংবা পাল্টাতে বাধ্য হয়। এসব বলে কাউকে 'এভয়েড' করতে চাই না আমি। মূলত ব্যস্ততার কারণে একটা অজুহাত দাড় করাতে হয়। অনেক সময় ফিরে আসার ইচ্ছে থাকে কিন্তু সময় করে হয় ফেরা হয়না কিংবা ফিরে এসে দেখি- আমার কথা ওখানে অপ্রয়োজনীয় হয়ে গেছে তাই আর মন্তব্য করা হয় না।
দু চার কথায় মন্তব্য করতে বা উত্তর দিতে আমার ভীষণ বিরক্ত লাগে। কিন্তু নাগরিক জীবনের ব্যস্ততা দিনের পর দিন আমাদের গিলে খাচ্ছে।
এই আমার ছেলে আজকেই বলল, 'বাবাকে বহুদিন বাদে কম্পিউটারের সামনে বসতে দেখলাম!' সব ব্যস্ততা ও বাঁধা টপকে আজকে গ্যাঁট হয়ে বসেছি আপনাদের সাথে কথা বলার জন্য।

২৯| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৪৪

শেরজা তপন বলেছেন: জটিল ভাই বলেছেন
কিন্তু ব্লগের প্রতি ভালবাসার চাইতে ভাইয়ের জীবনের ভালবাসা সম্পর্কে জানাটা আমার কাছে বেশি গুরুত্ব বহন করে। ইয়ে করে বিয়ে না বিয়ে করে ইয়ে? এই বিষয়ে ভাই যদি নিজের জীবনের আলোকে কিছু বলতেন......
আমার জীবনের চরম ট্রাজেডি যে আমি প্রেম করে বিয়ে করতে পারিনি। যখন যেই প্রেমে পড়েছি তাদের থেকে আমি ধনে মানে ইজ্জতে লোয়ার কাস্টে ছিলাম!! :( একটা সময় আমার ধারনা আমার বাবা-মা পুত্র দায়গ্রস্থ হয়ে পড়েছিল। ছোট ভায়েরা 'হত্যে দিয়ে পড়ে আছে' আমাকে বিয়ে না করালে তাদের লাইন ক্লিয়ার হচ্ছে না। বাবা- মা ভীষণ পেরেশানিতে ছিল। আরও দুর্ভাগ্যের কথা শুনবেন? আমাদের তিন ভায়ের বউ একই সাথে মাস্টার্স করেছে।
আমার এক প্রাক্তন নিয়ে জন্মদিনে একটা কাহিনী লিখেছিলাম। সেই লেখা থেকেই শায়মা আপু আমাকে চিনেন। না পড়া থাকলে সেটা পড়বেন;
আমার জন্মদিনে!(একটি করুন রস কাহিনী)
বুড়া বয়সের জন্য বাকি কাহিনী রস করে বলার জন্য জমিয়ে রেখেছি :)

৩০| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:১০

মিরোরডডল বলেছেন:





এ দেশের মন মানসিকতা নীতি নৈতিকতা ভাল মন্দের পার্থক্যগুলো বড্ড ভয়ঙ্করভাবে সুইং করে! আমরা মোটেই সহজ সরল স্বাভাবিক নই- আমরা ভয়ঙ্কর এক জাতি। এই জাতির সাথে দীর্ঘ সময় ধরে তাল মিলিয়ে চলা বা মানিয়ে চলা প্রায় অসম্ভব!

Very well said.

তবে লেখালেখি অনেক কষ্টের- ভাবনার সাথে মেলানো যায় না শব্দের। মানুষ নিজের গল্প বলতে চায়, অন্যের মনের গহীনের খোঁজ নিতে চায়। কিন্তু আমরা এত বেশী ভুল ধরি যে, একজনের স্বভাবিক শিল্প সৃষ্টি সৃজনশীলতা হারিয়ে যায়- ধীরে ধীরে সে পুরোপুরি মেকি হয়ে ওঠে।

সহমত।
আমরা খুব বেশি জাজমেন্টাল, তাও আবার নেতিবাচকভাবে।
আমাদের এটা থেকে বের হয়ে আসা উচিত।

আমাদের ব্লগে কিন্তু নারী ব্লগারদের মধ্যে একদম ব্লগের শুরু থেকেই অদৃশ্য একটা গ্রুপিং ছিল যা এখনো চলমান।

গ্রুপিং আছে কিনা জানিনা, কিন্তু কিছু পুরুষ ব্লগারের মাঝে সারাক্ষণ যে কাদা ছোড়াছুড়ি দেখা যায়, সেটা মেয়েদের মাঝে সেইভাবে দেখিনি।

বন্ধুকে লেখা বন্ধুদের সর্বশ্রেষ্ঠ চিটি ছিল সেটা।

যদি আগে না লিখে থাকে, তাহলে এটা নিয়ে লেখা চাই।

রাশিয়ায় আমার বেশ ক’জনা মেয়ে বন্ধু ছিল কিন্তু প্রেমিকা একজনও ছিল না।

শেরজাও বললো, আর পাবলিকও সেটা বিশ্বাস করলো :)

আমি যে ক’টা প্রেম করেছি সবগুলো স্বদেশে।

ওনারা সংখ্যায় কয়জন? :)



৩১| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:১৩

করুণাধারা বলেছেন: ইন্টারভিউ ঠিক আছে, কিন্তু অন্য ইন্টারভিউতে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রশ্ন আরো বেশি করা হয়। এবার কম।

আমি ভেবেছিলাম আসল নাম শেরশাহ জাহাঙ্গীর তপন। এমন বাদশাহী নাম ব্যবহার করতে সংকোচ বোধ করায় হয়তো নামকে সঙ্কুচিত করে শেরজা তপন হয়েছে!

চমৎকার ইন্টারভিউ এর জন্য ইন্টারভিউ গ্রহণকারী, এবং দানকারী, দুজনকেই ধন্যবাদ।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:০৩

অপু তানভীর বলেছেন: আপনার দেওয়া নামটাও তো বেশ চমৎকার হইছে। শেরশাহ জাহাঙ্গীর তপন ।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৩২| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:২৩

শেরজা তপন বলেছেন: মিরোরডডল বলেছেন:
বন্ধুকে লেখা বন্ধুদের সর্বশ্রেষ্ঠ চিটি ছিল সেটা।
যদি আগে না লিখে থাকে, তাহলে এটা নিয়ে লেখা চাই।

না সে চিঠি নিয়ে কোন লেখা হয়নি। কত কিছু নিয়েই না এখনো লেখা বাকি রয়ে গেছে!!
রাশিয়ায় আমার বেশ ক’জনা মেয়ে বন্ধু ছিল কিন্তু প্রেমিকা একজনও ছিল না।
শেরজাও বললো, আর পাবলিকও সেটা বিশ্বাস করলো

যান আপনার ও মনিরা আপুর খাতিরে দুই তিনজন রাখলাম। এর বেশী বাড়াইয়েন না কিন্তু :)
আমি যে ক’টা প্রেম করেছি সবগুলো স্বদেশে।
ওনারা সংখ্যায় কয়জন?

এইটা একান্ত গুপুন বিষয় , বলা যাবে না। এরপরে আমারে 'বাবনিক' বানাইবেন।

৩৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৫৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: পড়লাম। সবাই যেইভাবে তৈলাক্ত মন্তব্য করছে, তাতে করে যে কেউ ভাববে শেরজা একজন ফেরেশতা না হলেও কাছাকাছি। আর কয়েক পা আগাইলেই ফেরেশতায় পরিনত হইবে। কেউ কেউ তো দেখলাম কয়েক কাঠি সরেস!!!!! =p~

আলোচ্য ব্যক্তি আমার অন্যতম পছন্দের ব্লগার, কথা সত্য। তবে............

শেত এর সবচেয়ে বিরক্তিকর দিকটার উপরে খানিকটা আলোকপাত করি। ইনি সবদিকে তাল রাখতে গিয়ে বেতাল করে ফেলেছেন। আমাদের বোঝা উচিত, ''দুনিয়াতে সবাইকে খুশী রাখা যায় না''। এই যে ''ধরি মাছ, না ছুই পানি'' টাইপের আচরণ, এটা করতে গিয়ে কি শেষরক্ষা হয়েছে? চরম ব্যক্তি আক্রমনের শিকার হয়েছেন উনি। তাই সকল সময়ে সাদাকে সাদা, আর কালোকে কালো বলার মানসিকতা থাকা উচিত আমাদের সবার। আর প্রশংসা সবাই পছন্দ করে, কিন্তু তাই বলে সব প্রশংসা হজম করতে চাইলে বদহজম হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

আর বেশী কিছু বলতে চাই না। তাইলে মিড মনে মনে বলবে, ভুমের স্বভাব খারাপ। ঠোটকাটা স্বভাব ভালো, কিন্তু ঠোট একেবারেই না থাকলে ভালো দেখায় না!!!!! :P

আসার ইচ্ছা ছিল না। ব্লগে আসতে বিরক্ত লাগে। তারপরেও ভাবলাম, যেহেতু পছন্দের ব্লগার। দুই/চাইরটা কথা না বললে কেমনে কি? তাই উপস্থিতি জানান দিয়া গেলাম।

অফটপিক...........@ অপুঃ অনতিবিলম্বে মিডের ইন্টারভিউ দেখতে চাই। এমন ধরা ধরমু, আর ছাড়ুম না!!! :-B

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:০৬

অপু তানভীর বলেছেন: একটু তৈলাক্ত মন্তব্য তো সবাই করে। এটা নিয়ে আর আলাদা ভাবে তো বলার কিছু নেই।

আপনাকে দেখে আবার ভাল লাগছে। আমি তো ভাবলাম আপনি আর বুঝি এই মুখি হবেনই না। আর মিরোর পণ করেছেন যে উনি ইন্টারভিউ দিবেন না।

৩৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪৩

জুন বলেছেন: @ শায়মা তুমি যে ছুটির সাথে আল্টি মাল্টি বাল্টি সব দিয়া ব্যাপক ঝগ্রা করছিলা তা আমার একটু একটু মনে আছে ;)
কিন্ত ছবি আকা নিয়া কার সাথে জানি বিশাল বাহিনী নিয়া পানিপথের প্রান্তরে আমরণ যুদ্ধ করছিলা তার নাম মনে করতে পারতাছি না :P
মনে হয় আমি ডিমেনশিয়া আক্রান্ত :((

৩৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪৬

জুন বলেছেন: @ শায়মা তুমি যে এত্ত ঝগ্রাইট্টা তাও তোমাকে খ্রাপ বলা যাবে না, কারণ তোমাকে লাইক করি। আর সবচেয়ে বড় কথা আমাদের গ্রুপিং ভানংগা যাবে না ;) =p~ =p~

৩৬| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৮

মিরোরডডল বলেছেন:




ভুয়া মফিজ বলেছেন: সবাই যেইভাবে তৈলাক্ত মন্তব্য করছে, তাতে করে যে কেউ ভাববে শেরজা একজন ফেরেশতা না হলেও কাছাকাছি। আর কয়েক পা আগাইলেই ফেরেশতায় পরিনত হইবে। কেউ কেউ তো দেখলাম কয়েক কাঠি সরেস!!!!!

হিংসুক একটা :)

এমন ধরা ধরমু, আর ছাড়ুম না!!!

ছাড়বে না?
I see, you wanna hold forever!!!

তো, ভূমি জানে এটা?
:P


৩৭| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৩০

শায়মা বলেছেন: হা হা জুন আপুনি!!!! তুমি আবার এইসব সবচাইতে ভালো মনে রাখো জানি! ঝগড়া করোনা করোনা বললেও ঝগড়া ইজ ইওর ফেভারিট সাবজেক্ট ফ্রম অন্তরাল!!! মানে লগ ইন করোনা বাট অফলাইনে সবই খবর রাখো!!! হা হা হা

ছুটি আবার কুটি???
তুমি আমায় ডেকেছিলে ছুটির নিমন্ত্রনে আপুনি!!!!!!!!!!!!!!!! না না তিনি আমার অনেক প্রিয় ছিলো!!!!!!!!!!!! তার সাথে জীবনেও ঝগড়া করিনি। তবে আমার মত ভালামানুষের সাথে লাগতে আসে যেই বেয়াদপ তারে আমিও বুঝাই দেই আমি আরও কত বড় বেয়াদপ চাইলেই হতে পারি। যেই বেয়াদপকে ভুল করে ছুটি বলছো সেই বেয়াদপটা কেঠা আমি ঠিকই মনে করতে পেরেছি। :) তবে তিনি আবার মহা ভদ্রলোক আসলে কুটনিন তাই ঝগড়ায় হেরে যাবার ভয়ে লাগতেই আসেনা। :P


আর উব্রিমনির তো নিজেরই ডিমেনশিয়া সে কোনটা নিজে এঁকেছে আর কোনটা নেটে হাজার মানুষ এঁকেছে। নিজেও দেখে দেখে সেইম ছবি এঁকেও মনে করতে পারে না। হা হা হা যাইহোক নিজেকে সে অনেক অনেক বড় ঝগড়াটে ভেবেছিলো কিন্তু শেষে কি দেখলে তোমলা তব্বাই!!!!!!!!!!!!!!!! :P


আমারে খারাপ বলে মরবা নাকি!!!!!!!!!!!!! যদিও লুকাই লুকাই ঝগড়া পসন্দ করো জানি কিন্তু সামনে সামনে তো তুমি আমার চাইতেও বালা মানু!!!!!!!!! হা হা হা আর পূর্ব অভিজ্ঞতা বলে আগেই হার স্বীকার করিয়া লও ....... :)

৩৮| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:১২

শেরজা তপন বলেছেন: করুণাধারা আপু বলেছেন;
আমি ভেবেছিলাম আসল নাম শেরশাহ জাহাঙ্গীর তপন। এমন বাদশাহী নাম ব্যবহার করতে সংকোচ বোধ করায় হয়তো নামকে সঙ্কুচিত করে শেরজা তপন হয়েছে!

আপনি কি ভালবেসে আদর করে এমন নামে সম্বোধন করলেন নাকি ইজ্জতের ফালুদা করার জন্যে বললেন সেটা ভেবে পাচ্ছিনা। B:-)

৩৯| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:২১

শেরজা তপন বলেছেন: ভুয়া মফিজ বলেছেন: পড়লাম। সবাই যেইভাবে তৈলাক্ত মন্তব্য করছে, তাতে করে যে কেউ ভাববে শেরজা একজন ফেরেশতা না হলেও কাছাকাছি। আর কয়েক পা আগাইলেই ফেরেশতায় পরিনত হইবে। কেউ কেউ তো দেখলাম কয়েক কাঠি সরেস!!!!!
-আহারে আরেকটু হইলেই ফেরেশতা হয়ে গেছিলাম আপনি হুদাই ফের মাটির মানুষ বানায় ফেললেন।

আমি যতদিন তাল মিলিয়ে চলেছি ততদিন ভাল ছিলাম সুখে শান্তিতে দিন অতিবাহিত করতাম। প্রতিবাদী হইতে গিয়াই কট খাইছি। কত সুন্দর রাশিয়ান প্রেম পিরিতি নিয়া উপন্যাস- গল্প লিখতাম। মাঝে ছাগলে কামড়াইল; শুরু করলাম বিজ্ঞান, দর্শন রাজনীতি নিয়ে লেখা এর সাথে ব্লগে ক্যাচাল নিয়ে প্রতিবাদী হইলাম ও কিছু স্যাটায়ার লেখা দিলাম; হইলাম কয়েকজনের চক্ষুশূল। এর পেছনে আপনার দায় ও কম নয়। বাস্তবিক জীবনে আমি ঘড়েল প্যাঁচালো ক্যাচাইল্যা মানুষ মনে হয় তাই নিজেকে একটু দেবদূত সাজানোর প্রচেষ্টায় ছিল। ব্লগে আসলেি নিজের মদ্যে একটা পূত ও পবিত্র ভাব চলে আসত। আমার ভালো আপনাদের সহ্য হইল না; প্রতিবাদী বানাইয়্যা এখন একগাদা শত্রুর সাথে বসবাস করাচ্ছেন।

৪০| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৪০

মেহবুবা বলেছেন: সাক্ষাৎ কারে বলা কথাগুলো সত্যি? আমি ভেবেছিলাম মজা করে বানানো।
রাশিয়া যাবার প্রেক্ষাপট এবং আয়োজন গল্পের মত। বন্ধু হাসানের এবং শেরজা তপনের জীবনের এসব ঘটনা জেনে আবারো মনে হচ্ছে সব আল্লাহ্ ঠিক করেন!

ভালো হয়েছে রাশিয়া গিয়ে, তা না হলে রাশিয়ান বৃদ্ধার রবীন্দ্রনাথ প্রীতি জানা হোত না।

শেরজা তপনকে আমার মার্জিত, পরিশীলিত এব রুচিশীল একজন ব্লগার মনে হয়।
স্বার্থপর যে নয় সেটা ছাত্র জীবনকে কিছুটা জানতে পেরে বুঝতে পারছি।


আহা USSR, আহা উদয়ন পত্রিকার চকচকে পাতা!

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:০৭

অপু তানভীর বলেছেন: ইহা কোন মজা নয় । শতভাগ সত্য ইন্টারভিউ !

৪১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৫১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: @শেতঃ এর পেছনে আপনার দায় ও কম নয়। বাস্তবিক জীবনে আমি ঘড়েল প্যাঁচালো ক্যাচাইল্যা মানুষ মনে হয় তাই নিজেকে একটু দেবদূত সাজানোর প্রচেষ্টায় ছিল। ব্লগে আসলেি নিজের মদ্যে একটা পূত ও পবিত্র ভাব চলে আসত। আমার ভালো আপনাদের সহ্য হইল না; প্রতিবাদী বানাইয়্যা এখন একগাদা শত্রুর সাথে বসবাস করাচ্ছেন। এইসব কি বলেন!!! আমি আপনেরে প্রতিবাদী হইতে ইন্ধণ যোগাইছি!!! B:-)

আমার মতোন একজন নিরীহ, ভেজিটেবল মানুষরে এই বদনাম দিতে আপনের বিবেকে বাধালো না? X(

@মিডঃ ছাড়বে না? I see, you wanna hold forever!!! তো, ভূমি জানে এটা? ঘরের সব কথা পরকে জানানোর দরকার কি? :P
(বিষয়টা আরেকটু ইল্যুমিনেট করি..........ঘর বলতে ''সামু''; পর বলতে ''ভুমি'', যে কিনা এই ঘরের সদস্য না!!!)

৪২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:০১

শেরজা তপন বলেছেন: ভুয়া মফিজ বলেছেন:
আমার মতোন একজন নিরীহ, ভেজিটেবল মানুষরে এই বদনাম দিতে আপনের বিবেকে বাধালো না?

~আমার হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাবার অবস্থা! এই জীবনে যে আর কত এমন মজার কথা শুনতে হবে আল্লা মালুম।

৪৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:০৫

শেরজা তপন বলেছেন: মেহবুবা আপু- আহা কত সুদীর্ঘ সময় ধরে আমরা এক সাথে ব্লগিং করে চলছি। ব্লগে কোন ব্যক্তিগত সম্পর্কবিহীন পাশাপাশি থেকে কত আপন মনে হয়। সেই সময়ে রাশিয়ায় না গেলে জীবনের বিশাল একটা অধ্যায় মিস করতাম সেটা নিশ্চিত। তবে না গেলে হয়তো আফসোস ও থাকত না। টক ঝাল তিতে মেশানো এক অতুলনীয় স্মৃতি আমাকে এখনো মোহাবিষ্ট করে রেখেছে।
ভাল থাকুন আপনি।

৪৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:২৬

আজব লিংকন বলেছেন: আমার পছন্দের একজন মানুষ তপন দা। সুন্দর ইন্টারভিঊ হয়েছে।
ভালবাস ও শুভকামনা রইল।।

১৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৪১

অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ

৪৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৫৬

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আমি নামটা পড়তাম,
শেরপা মানে নেপালী আরকি
মনে মনে ভাবতাম , হয়তো লন্বা চৌকা টুপিও পড়েন ।

......................................................................................
আজই বোধহয় ভুলটা ভাঙ্গল ।
রাশিয়া গিয়ে রাশান মেয়েদের পাল্লায় পড়ে নাই কিছুতেই বিশ্বাস করা যায় না ।
একবার আমি রাশান কালচার সেন্টারে এক মেয়ে দেখে হতভম্ব হয়ে কতক্ষন ষ্ট্যাচু ছিলাম
জানি না, তবে আজও যে ভুলিনি তা দেখতে পাচ্ছেন ।
ইন্টারভিউয়ে অত্যন্ত সুন্দর সাবলীল, ধন্যবাদ অপু তানভীরকে ।

২৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৪৪

অপু তানভীর বলেছেন: আমার ধারণাও আপনার মতই ছিল । আমিও শেরজা নামটা তেমন কিছুই ভেবেছিলাম । তবে আসল রহস্যের উন্মোচন হল এবার ।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.