নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রিয় ব্লগারগন, কেমন আছেন? সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে আবারও হাজির হলাম আরেকটি ইন্টারভিউপোস্ট নিয়ে। আমি সত্যি বলতে কি মনের খেয়াল থেকেই ব্লগারদের ইন্টারভিউমূলক পোস্ট করা শুরু করেছিলাম। ভেবেছিলাম দুমদাম করে কয়েকজনের ইন্টারভিউ নিয়ে বন্ধ করে দিব। কিন্তু পরে কাজটার একটা ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পেরে নিজের থেকে একটা আগ্রহবোধ করলাম। ঠিক করলাম যে অন্ততও আরো কয়েকজনের ইন্টারভিউ নিয়ে তারপর না হয় বন্ধ করে দেওয়া যাবে। বছরের প্রথম ইন্টারভিউটা কার হবে সেটা নিয়ে একটু দ্বিধা দ্বন্দ্বে ছিলাম। কিন্তু তারপরেই মনে হল যে হামা ভাইয়ের থেকে চমৎকার আর কেউ হতেই পারে না। ব্লগের যে কয়েক লেজেন্ড রয়েছেন তার ভেতরে হামা ভাই অন্যতম। আমাকে সময় দেওয়ার জন্য তাকে অসংখ্য ধন্যবাদ । আসুন তাহলে আর দেরী না করে ইন্টারভিউ শুরু করা যাক।
অপুঃ কেমন আছেন?
হাসান মাহবুবঃ দারুণ! যদিও সামগ্রিকভাবে সময়টা দেশ এবং পৃথিবী, কোনোকিছুর জন্যেই ভালো না, কিন্তু যতটুকু পারি নিজেকে এবং প্রিয়জনদের ভালো রাখার চেষ্টা করছি। দেখি কতদিন রাখা যায়!
অপুঃ নিজের সম্পর্কে কিছু বলুন। এই প্রশ্নটা সবাইকে করার পরে এই কথাটাও বলি যে অনলাইনে নিজের সম্পর্কে যতটুকু বলা নিরাপদ ততটুকুই বলুন।
হাসান মাহবুবঃ আমি একজন লেখক এবং চাকুরিজীবী। আমার স্ত্রীও একজন ব্লগার। তিনি সমুদ্রকন্যা নামে ব্লগিং করতেন। আমাদের দুই সন্তান। মিতিন এবং রুহিন। কন্যা মিতিনের বয়স ১২, পুত্র রুহিনের বয়স ১০। আমরা দুইজনই চাকুরি করি। নিজের প্যাশন থেকে লেখালেখির পাশাপাশি সম্পাদনা এবং অনুবাদের মাধ্যমে বাড়তি অর্থ উপার্জন করার চেষ্টা করছি। জীবনে খুব বেশি চাহিদা নেই। যা আছে তার চেয়ে অল্প একটুই বেশি চাই সবসময়।
অপুঃ মানুষের চাহিদার শেষ নেই, আর বলছেন আপনার চাহিদা সীমিত? যাই হোক, এমন একটা জিনিসের নাম বলেন যা আপনি বিপুল পরিমানে চান ।
হাসান মাহবুবঃ বিপুল পরিমাণে কিছুই চাই না। আর যদি সেটা পাইও তার পেছনে আমরা সমপরিমাণ কষ্ট থাকতে হবে। তবে আমার যোগ্যতা অনুযায়ী আমি যা পাই নি বলে মনে করি তা হলো খ্যাতি এবং পরিচিতি (ব্লগস্ফিয়ারের বাইরে)। আমি সেটা চাই। লেখালেখির পেছনে যে আত্মনিবেদন এবং আমার লেখালেখির যে মান, তাতে কিছু বাড়তি খ্যাতি পেতেই পারি! আসলে এই সত্যটা আমি জেনে গেছি যে যত বেশি চাহিদা, তত বেশি যন্ত্রণা। তাই চাহিদার রাশ টানতে জানতে হয়। তবে একজন ভিখিরিকে আমি চাহিদার রাশ টানতে বলার অধিকার রাখি না। তার মৌলিক বা যৌগিক কোনো চাহিদাই পূরণ হয় নি। আমি আমার মৌলিক চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বাড়তি কিছু চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি। আমি যা পেয়েছি তার থেকে খানিকটা বেশিই চাইব। একদম কিছু না চাইলে আবার জীবন স্থবির হয়ে যায়।
অপুঃ ঠিক কখন থেকে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে ওঠে? একই ভাবে লেখালেখির অভ্যাস কখন থেকে?
হাসান মাহবুবঃ পড়তে শেখার পর থেকে খবরের কাগজ, কমিকস, রূপকথার বই, এসব পড়তাম। তবে পাঠাভ্যাসে বড় ধরনের পরিবর্তন আসে ক্লাস সিক্সে ওঠার পর। তখন কিছু বন্ধুবান্ধব, প্রতিবেশী এবং আত্মীয়ের কল্যাণে সেবা, হুমায়ূন আহমেদ, জাফর ইকবাল এর বইয়ের সাথে পরিচয় ঘটে। তখন থেকেই মূলত সব পড়া শুরু।
লেখালেখির ক্ষেত্রে আমি লেট ব্লুমার। স্কুলে থাকতে কখনও সেভাবে লিখিই নি। কলেজে ওঠার পর আমার খালাত ভাই শেখ রানা (ব্লগার নস্টালজিক) এর দেখাদেখি গান লিখতে চেষ্টা করি। তিনি তখন বাপ্পা মজুমদারের জন্যে গান লিখতে শুরু করেছেন। তো এরকম বেশ কিছু লিরিক লেখা হয়ে গেল। এরপর গল্পও লিখি কিছু। তখন থেকেই লেখালেখির শুরু। লেখালেখির শুরুতে আমার লক্ষ্য ছিল লিরিসিস্ট হওয়া।
অপুঃ একেবারে প্রথম লেখা গল্পের নামটা কি মনে আছে? যখন প্রথম গল্প লেখেন তখন আপনি কোন ক্লাসে পড়তেন? সেই অনুভূতিটা কেমন ছিল?
হাসান মাহবুবঃ প্রথম লেখা গল্পটার নাম মনে নেই। আমি যে সময়ের কথা বললাম, তার কিছু আগে গল্পটা লেখা হয়েছিল। তখন মনে হয় ক্লাস টেন পার করেছি। একটা রিলিজিয়াস-সাই ফাই জাতীয় গল্প ছিল। অনুভূতি মনে নেই। কনফিউজড ছিলাম সম্ভবত খুব।
অপুঃ ঠিক কবে থেকে মনে হল যে আপনি লেখক হবেন বা বলা যায় আপনার ভেতরে যে একটা লেখক সত্ত্বা এটা কবে আবিস্কার করলেন?
হাসান মাহবুবঃ এটা সম্ভবত ব্লগে জনপ্রিয়তা পাবার পর থেকে।
অপুঃ ব্লগিংয়ের শুরুটা কিভাবে হল? ব্লগের কথা, বিশেষ করে সামহোয়্যারইন ব্লগের কথা কিভাবে জানলেন?
হাসান মাহবুবঃ এখানেও আবার রানা ভাইয়ার প্রসঙ্গ চলে আসছে। তার মাধ্যমেই আমি জানি যে এখন বাংলায় লেখা যায় এবং লেখালেখির জন্যে আলাদা প্লাটফর্মও আছে। তো এটা জেনে ঘাঁটাঘাঁটি করতে করতে সামুতে থিতু হই। সেটা ২০০৮ সাল। সে অবশ্য লিংক দিয়েছিল সচলায়তনের। মজার ব্যাপার হচ্ছে রানা ভাইয়া আমার পরে সামুতে আসে। এক বছর পরে সম্ভবত।
অপুঃ আরেকটা প্রশ্ন যুক্ত করতে চাই যে, যখন প্রথম ব্লগিং শুরু করেছিলেন, তখন মনে হয়েছিল ব্লগে জনপ্রিয়া পাবেন এভাবে?
হাসান মাহবুবঃ-একদমই মনে হয় নি। আমি তো আরো হীনম্মন্যতায় ভুগতাম অন্যদের কমেন্ট পাওয়া দেখে। অন্যদের ব্লগে গিয়ে ছ্যাবলামি করে নিজের পোস্টের লিংক দিয়ে আসতাম। ভাবি নি যে একসময় আমার ব্লগ কমেন্টে কমেন্টে ভরে যাবে।
অপুঃ সেই ২০০৮ সালের কথা যদি ধরি, প্রথম যে ব্লগ লিখতে শুরু করলেন, তখন কেন লিখতে শুরু করেন ব্লগে? সেটা কি শুধুই সাহিত্য চর্চা, নাকি লিরিসিস্ট হওয়া বাসনা নাকি অন্য কোন কারণ ছিল?
হাসান মাহবুবঃ-আসলে তখন সারাক্ষণ বাসায় বসে থাকতাম। তেমন কিছু করার ছিল না। আর লো স্পিড ইন্টারনেট দিয়ে তো আর ভিডিও দেখা বা মুভি ডাউনলোড সম্ভব ছিল না! সেই সময়ের জন্যে ব্লগিংই ছিল পারফেক্ট! ব্লগে মূলত সময় কাটাতেই এসেছিলাম। বিশাল কোনো বাসনা নিয়ে না।
অপুঃ সেই সময়ের ব্লগিং কেমন ছিল? সেই সময়ে দিনে গড়ে কত সময় কাটত ব্লগে
হাসান মাহবুবঃ সেই সময় ব্লগিংই সব ছিল। আমি যখন ব্লগিংয়ের মজাটা পেয়ে যাই, তখন ব্লগিং করার জন্যে একদম আদর্শ সময় ছিল! তখন বেকার ছিলাম। সারাদিন বাসায় বসে থাকতাম। ঘুম থেকে উঠে খেয়ে দেয়ে কম্পিউটারে বসতাম। ঘুমানোর আগ পর্যন্ত চলতেই থাকত। গড়ে কত সময় কাটত? ৮ থেকে ১২ ঘন্টা হবে! এরপর যখন চাকুরি পাই, তখন অফিসে ব্লগিং করা সম্ভব হতো না। বেশিরভাগ অফিসেই তখন নেট ছিল না। তো বাসায় এসে ব্লগিং করতাম তখন। তখন এত এত পোস্ট আর কমেন্ট আসত যে দিব্যি ব্লগেই সারাদিন কাটিয়ে দেয়া যেত। ব্লগ ছাড়া আমি কোনোকিছুর কথা ভাবতেই পারতাম না। আমার সেই সময়ের হতাশা, ব্যর্থতা এসব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যেই ব্লগে ঢুকে সব ভুলে থাকতাম এবং চাইতাম যে বাকি জীবন এভাবেই কেটে যাবে।
অপুঃ শুরুর দিকে আমার অবস্থাও আপনার মতই ছিল। তবে এখন সেটা কমে এসেছে। সেই সময়ে ব্লগিংয়ে অনেক মজাও হত। এমন কোন একটা মজার স্মৃতি কি আমাদের বলতে পারেন?
হাসান মাহবুবঃ অনেক মজার স্মৃতিই তো আছে! সেইসময় আমার রুটিন ছিল সারারাত এবং দুপুরের কিছু অংশ ব্লগিং করে পেট ভরে ভাত খেয়ে ঘুমিয়ে যাওয়া। ঘুম ভাংত মাঝরাতে। সেইসময় আমার বিদেশী বন্ধুরা অনলাইনে আসত। সবাই মিলে দুর্দান্ত আড্ডা হতো। আমি,শূন্য আরণ্যক আর তনুজা এই তিনজন মিলে একেকদিন একেকজনের পোস্টে গিয়ে আড্ডা দিতাম। খুনসুটি, পচানো সব মিলিয়ে সেই স্মৃতিগুলিই আমার ঐ সময়ের ব্লগিংয়ের হাইলাইটস! তখন আরেকটা জায়গা ছিল ব্লগারদের চ্যাটিংয়ের জন্যে। chapabazi.com, সেটাকে আমরা বলতাম চাপ্পু। তো মজার স্মৃতি বলতে এই স্মৃতিগুলিই মনে পড়ছে। মাঝেমধ্যে ব্লগাররা খুব অদ্ভুত কাজকর্ম করত। যেমন একবার একজন তার মেসের ছবি দিল সরলমনে, যেখানে দেখা গেল রুমমেটরা খুব ঘনিষ্ঠ অবস্থায় পোজ দিয়ে ছবি তুলছে। ওটা নিয়ে ভালোই হাসাহাসি হলো! নাফে এনাম নামে একজন ছিলেন, তিনি হরর গল্প লিখতেন। তার গল্পগুলিতে একটা কমন ডায়লগ ছিল “আতঙ্কে হাত পা হিম হয়ে এল”। সেটাকে আমরা ভেঙিয়ে বলতাম “আতমখে হাত পা…” এরকম টুকরো অনেক মজার স্মৃতি আছে।
অপুঃ এখনকার ব্লগিং কেমন লাগছে? আগের তূলনায় ভয়ানকভাবে ব্লগে সময় দেওয়া কমিয়ে দিয়েছেন। এটার পেছনে সার্বিকগুলো কারণ কী কী?
হাসান মাহবুবঃ এখন ব্লগার কম, কোয়ালিটি পোস্ট কম, ক্যাঁচাল বেশি। ক্যাঁচাল ব্লগের অঙ্গ। এটা সবসময়ই ছিল। কিন্তু কোয়ালিটি কন্টেন্টের তুলনায় এখন ক্যাঁচালের পরিমাণ অনেক বেশি হয়ে গেছে। তো ব্লগে কেন সময় দেই না তার উত্তরের একটা অংশ এখানে। দ্বিতীয় অংশ হলো, এখন অনেক বিকল্প তৈরি হয়েছে অনলাইনে সময় কাটানোর। আর লেখালেখির ক্ষেত্রে এখন আমি আগের চেয়ে অনেক বেশি সিরিয়াস। আমার লেখালেখিও অনলাইন থেকে অফলাইনের দিকে বেশি ঝুঁকে পড়েছে। আগের মতো কিছু লিখেই ব্লগে দেয়ার ছটফটানি আর নেই। ব্যক্তিগত জীবনে ব্যস্ততা বেড়েছে, তবে এটাকে আমি অজুহাত হিসেবে দিব না। অন্য জায়গায় তো ঠিকই সময় দিচ্ছি!
অপুঃ আপনার মত অন্য সবাই এখন ব্লগে সময় কম দেয় (অল্প কিছু ব্যতিক্রম বাদে)। এই পেছনের কারণ কী মতে?
হাসান মাহবুবঃ কারণগুলি উপরে বলা আছে। আরেকটু বিস্তৃত করে বলি। ব্লগ ২০০৮ সালে যেমন ছিল, তার থেকে খুব বেশি পরিবর্তিত হয় নি। সামুর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল তখন বাংলাদেশের অন্যান্য ব্লগ। আর এখন তাকে লড়তে হচ্ছে বৈশ্বিক দানব কোম্পানিগুলির সাথে। ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, রেডিট, কোরা! এই কোম্পানিগুলি সবসময় নতুন কিছু দেয়ার চেষ্টা করছে। প্রযুক্তি খুব দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। এর সাথে তাল মেলানো সামুর পক্ষে সম্ভব না। তবে যদি রাজনৈতিক কারণে সামুকে দমিয়ে রাখা না হতো, যদি বিজ্ঞাপনের সুবাদে আয়-উপার্জন হতো কিছু, তাহলে হয়তো ব্লগকে নিয়ে আরো কাজ করার সুযোগ ছিল কর্তৃপক্ষের। আগের মতো না হলেও মানুষ সেখানে বেশি আসত এবং ভালো মানের লেখা দিতে চেষ্টা করত। এখন যে অবস্থা, তাতে ব্লগ যতদিন আছে সেটা পুরোটাই বোনাস! ধরেই নিতে হবে যে শেষ সময় চলে এসেছে।
অপুঃ সম্পূরক আরেকটা প্রশ্ন, ব্লগটা আর আগের মত নেই কেন বলে আপনার মনে হয়?
হাসান মাহবুবঃ ২০১৩ এর পট-পরিবর্তন থেকেই মূলত ব্লগের পিছিয়ে পড়ার শুরু। আবার এই সময়েই থ্রিজি, স্মার্টফোনের বদৌলতে মানুষ নতুন দুনিয়া দেখতে শুরু করে। পৃথিবী যত এগিয়েছে, সামু তত পিছিয়েছে। এখন আর মনে হয় না কোটি টাকা বিনিয়োগেও ব্লগকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
অপুঃ সামহোয়্যারইন ব্লগে ব্লগিং আপনার লেখক হওয়ার পেছনে কোন ভূমিকা রেখেছে কি??
হাসান মাহবুবঃ ১০০%! আমার সেইসময় নিজের প্রতি বিশ্বাস খুবই কম ছিল। পাঠকদের বিপুল সাড়া না পেলে হয়তো আমি লেখালেখিকে সিরিয়াসলি নেয়ার কথা ভাবতামই না!
অপুঃ আপনার প্রকাশিত মোট বইয়ের সংখ্যা কত? যদি সম্ভব হয় সেগুলো একটা লিস্ট কি দেওয়া যাবে? ব্লগারটা জানতে পারল সব এখান থেকেই।
হাসান মাহবুবঃ প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত (২০১২) গল্পের বই
আনন্দভ্রম (২০১৬) গল্পের বই
নরকের রাজপুত্র (২০১৭) গল্পের বই
মন্মথের মেলানকোলিয়া (২০১৮) উপন্যাস।
ছহি রকেট সায়েন্স শিক্ষা (২০১৯) উপন্যাস।
জবাইঘর (২০২০) গল্পগ্রন্থ।
বেড়ালতমা (২০২১) উপন্যাস।
এসিড বৃক্ষের গান (২০২২) উপন্যাস।
মায়াফুলের বন (২০২৩) গল্পগ্রন্থ।
মেলোডি তোমার নাম (২০২৪) ভালোবাসার গল্প সংকলন।
প্রিজনার্স অফ জিওগ্রাফি (২০২৪)- ভূ-রাজনীতি বিষয়ক অনুবাদ গ্রন্থ।
সামনে আসছে উপন্যাস বাংলাদেশী ড্রিম।
অপুঃ এবার আসি অন্য ব্যাপারে, জীবনে কয়টা প্রেম করেছেন? যদিও জানি আপনার ভালবাসার বিয়ে তবুও যদি ঘটনা খুলে বলতেন
হাসান মাহবুবঃ আসলে প্রেম তো কোনো খেলার পদক না, যে এটা গর্ব করে বলতে হবে যে অতগুলি আছে আমার! হ্যাঁ, একাধিক প্রেম হয়েছে (সংখ্যাটা থাকুক)। যাদের সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছিলাম তাদের সবার প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা আছে এবং তাদের মঙ্গল কামনা করি।
অপুঃ ব্লগে কয় জনের উপরে ক্রাশ খেয়েছেন? অথবা কারো লেখার প্রেমে কি পড়েছেন?
হাসান মাহবুবঃ ব্লগে হালকা পাতলা ক্রাশ খেয়েছিলাম দুই-একজনের ওপর। লেখা অনেকেরই ভালো লেগেছে। তবে প্রিয় লেখকদের বেশিরভাগই ছিল পুরুষ।
অপুঃ ব্লগের সেই ক্রাশ কন্যাদের কারো নাম কি বলা যাবে? যদি সমস্যা না থাকে আর কি ! আর যদি না বলতে চান তাহলে কার কার লেখা ভাল লাগতো, তাদের তার বলতে পারেন। আপনার যাদের লেখা পছন্দ হবে নিঃসন্দেহে তারা ভাল মানের লেখক/ব্লগার হবেন।
হাসান মাহবুবঃ তনুজার নাম বলা যায়। ওটা অবশ্য খুব সাময়িক। তনুজা আমার খুব ভালো বন্ধু এখন। নম্রতার কথাও বলতে পারি। অন্য যাদের ওপর ক্রাশ খেয়েছিলাম তাদের সাথে এক ধরণের সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছিল বলে সে নামগুলি বলছি না।
অপুঃ আচ্ছা, ব্লগে যদি আপনাকে ধরে জোর করে মডু বানিয়ে দেওয়া হয় কোন ব্লগারকে সবার আগে ব্যান করবেন?
হাসান মাহবুবঃ কাউকেই করব না।
অপুঃ একেবারেই কাউকে না? ব্লগিং জীবন কোন ব্লগারের প্রতি কি তীব্র বিরক্তি আসে নি কোন দিন? মনে হয় নি এই বেটাকে ঘার ধরে ব্লগ থেকে বের করে দেওয়া উচিৎ?
হাসান মাহবুবঃ অপছন্দের ব্লগার তো অনেক। আগেও ছিল, এখনও আছে। আগেকার সময়ে ব্লগার বেশি ছিল, অপছন্দের পরিমাণও বেশি ছিল। এই সময়ের ব্লগারদের মধ্যে গেছো দাদাকে খুব বিরক্তিকর লাগে। মানহীন নকল রম্য আর বিদ্বেষমূলক পোস্ট দিয়েও তার টিকে থাকাটা বিস্ময়কর। জটিল ভাইকে খুবই বিরক্তিকর লাগে। খোঁচাখুঁচি ছাড়া তার কোনো কাজ নেই। চাঁদগাজীকে বারবার ব্যান করে তাকে আবারও ফিরতে দেয়াটাও হাস্যকর। এই ব্যানের তো তাহলে কোনো অর্থ নেই। এমন না যে সে পরিশুদ্ধ হয়ে ফিরে আসছে। সে আগের মতই আছে। ঢাবিয়ান না কি একটা পোস্ট দিয়েছিলেন প্রতিপক্ষ ব্লগারদের তালিকা করে, হুমকিমূলক। আমি সেই পোস্টটা দেখি নি। সেরকম কিছু করে থাকলে তাকেও ব্যান করা উচিত ছিল।
অপুঃ গেছো আর সোনামিয়ার ব্যাপারে আপনার মত আমারও একই মনভাব। ঢাবিয়ানের সেই পোস্ট আমি দেখেছিলাম। ঠিক হুমকি মূলক ছিলনা সেটা। ব্লগে কারা কারা আওয়ামী সমর্থক সেটার একটা তালিকা। যাক সে কথা, অন্য কথায় আসি। সামু ব্লগের ব্লগটিম এবং মডারেশনের ব্যাপারে আপনার মত কী? এখানে আরও কয়েকটা সম্পূরক প্রশ্ন করে রাখি, আপনার কি মনে হয় বর্তমানে সামুর যে পড়তি অবস্থা এর পেছনে মডারেশনের একটা ভূমিকা আছে? সামুর মডারেশন প্যানেল কি সকল ব্লগারদের প্রতি সমান আচরণ করে বা এমন করা কি তাদের পক্ষে সম্ভব? আপনার মতে সামুর মডারেশনের ঠিক ক্ষেত্রটা পরিবর্তন আনা দরকার?
হাসান মাহবুবঃ সামুর মডারেশন সবসময়ই দুর্বল জায়গা। এই পজিশনে সবসময় যোগ্যতাসম্পন্ন মানুষ ছিলেন বলে আমি জানি। তবে মডারেশনকে সম্ভবত তারা প্রথম প্রায়োরিটি হিসেবে নেন নি। আমি যদ্দুর জানি সামহয়্যারইন ব্লগ সংশ্লিষ্ট কোম্পানির আয়ের মূল উৎস না। এখানকার মডারেটর হওয়াটাও কোনো ফুলটাইম জব না। সেই কারণে সেই প্রফেশনালিটি দেখা যায় না। সামুর পড়তি অবস্থার ক্ষেত্রে মডারেশনের ভূমিকা অবশ্যই আছে। সামু ভেঙেই তো আমার ব্লগ, সচলাতয়ন এবং চতুর্মাত্রিক হয়েছে এবং সেটা সেই মডারেশনের কারণেই। কিন্তু মডারেশন যতই ভালো হোক, সামুর পতন ঠেকানো যেত না। অন্য ব্লগগুলি কি আলাদা হয়ে টিকতে পেরেছে? পারে নি। ২০১৩ এর পর যে রাজনৈতিক আর প্রযুক্তিগত বদলের মাতাল হাওয়া বইতে শুরু করেছে, তা নেয়ার সাধ্য সামুর ছিল না এটাই বাস্তবতা।
অপুঃ আপনার লিটিল হামা নামে একটা মাল্টির কথা জানি। এটা ছাড়া আর মাল্টি নিক আছে? মাল্টি নিক দিয়ে কখনও কার পেছনে লেগেছেন কি?
হাসান মাহবুবঃ অনেক মাল্টি আছে। নিজের আছে, শেয়ারিং আছে। পেছনে লেগেছি, গালাগালি করেছি, ব্যক্তি আক্রমণ করেছি। আবার কিছু ছিল স্রেফ মজার জন্যে। কিছু ছিল অন্য ধরণের লেখালেখির জন্যে। তবে একজনকে এক মুখে ভালো বলে আরেক মুখে গালি দেই নি।
অপুঃ আরে সর্বনাশ গালিগালাসও করেছেন! এটা তো জানা ছিল না। এমন কয়েকটা নিকের নাম কি বলা যাবে? না বলতে চাইলেও সমস্যা নেই কোন।
হাসান মাহবুবঃ গালাগালি তো আগে আমি নিজ নিক থেকেই করতাম। তাই এতে আকাশ থেকে পড়ার কিছু নেই। গালাগালি করা অন্য নিকের নাম বলব না। তবে নির্দোষ কিছু নিকের নাম বলা যায়। এই ছিল একটা নিক- (নিক লিংক) এই নিকের নাম ছিল “সামহোয়্যারইন ব্লগের অনেক নাম সুনেছি।বন্ধুরা বলে এটা নাকি খুব চমৎকার একটা ওয়েবসাইট। তাই আমি এখানে রেজিস্ট্রি করতে চাই।a আচ্ছা,এখাে নাকি প্রথম পাতায় াসতে ানেক সময় লাগে? এটা কি সত্যই? আমার কিন্তু আের তর সইছেনা। আপনারা সবাই ভালো থাকুন। দয়া করে আমার প্ড়টঃম এই ল”
আমি দেখতে চেয়েছিলাম একটা নিকের নাম কত বড় হওয়া সম্ভব! পরে নিকটা ছোট করে দিয়েছিল ব্লগ থেকে। আমি বোঝাতে চেয়েছিলাম যে আমি ব্লগ লিখতে গিয়ে ভুল করে সেটা নিক হিসেবে দিয়ে ফেলেছি!
এরকম আরেকটা নির্দোষ নিক- খেপচুরিয়াস
কবিতা লেখার জন্যে একটা- সমুদ্রপুত্র
অপুঃ এমন কোন ব্লগার কি আছে যাকে আপনি আপনার নিকের পাসওয়ার্ড দিয়ে দিবেন? এমন বিশ্বাসী কেউ আছে?
হাসান মাহবুবঃ আমার আপনজনদের মধ্যেই তো ব্লগাররা আছে। তাদের দিতে পারি। তবে এই সময়ের একটিভ ব্লগারদের মধ্যে তেমন কেউ নেই।
অপুঃ সমাজ পরিবর্তনে সামু ব্লগারের এখন কি কোন ভূমিকা আছে? থাকলে কেমন?
হাসান মাহবুবঃ অনেকের ব্যক্তিগত ধ্যানধারণায় পরিবর্তন এসেছে। সে হয়তো নতুনভাবে চিন্তা করার অবকাশ পেয়েছে। ব্লগের উত্তাল সময়ে ব্লগের লেখার কারণে নিজের প্রাচীন ধ্যান ধারণায় ধাক্কা খেতে দেখেছি অনেককেই। তবে এই মুহূর্তে সামুব্লগের দেয়ার তেমন কিছুই নেই।
অপুঃ দেশের পরিস্থিতি এখনও অশান্ত। আগস্ট মাসের আগে আপনার কি মনে হয়েছে আওয়ামীলীগ সরকারের এভাবে পতন হবে? আমি অবশ্য কোনদিন ভাবি নি আওয়ামীলীগ এভাবে পালাবে।
হাসান মাহবুবঃ আমার বিশ্বাস ছিল পতন হবে। একটা দেশের সব মানুষ তাদের বিরুদ্ধে। ইতিহাসে এমন অবস্থাতেই পট পরিবর্তন ঘটে থাকে। খুব অল্প কিছু উদাহরণ আছে, যেখানে পুরো দেশে এমন ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন হবার পরেও সরকারের পতন ঘটে নি। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এমন সময়ে পালাবদল ঘটে।
অপুঃ আগস্ট বিপ্লব নিয়ে আপনার মনভাব কেমন? এই বিপ্লবের ফলে দেশের অবস্থা কী ভাল দিকে যেতে পারে বলে মনে হয়?
হাসান মাহবুবঃ ভালো হবার তো কোনো লক্ষণ দেখছি না। আওয়ামী লীগ অপেক্ষায় আছে প্রতিশোধ নেয়ার। বিএনপি অপেক্ষায় আছে কখন ক্ষমতায় যাবে! তবে তাদের আচরণ বেশ ম্যাচিউর আগের চেয়ে। জামাত তার সফট পাওয়ার খাটিয়ে কর্তৃত্ব নেবার চেষ্টা করছে সব জায়গায়। বৈষম্যবিরোধীর সমন্বয়েকেরা একেকদিন একেক রকম সার্কাস দেখাচ্ছে এবং তারা প্রচণ্ড জামাতঘেঁষা। কীভাবে আশাবাদী হব?
অপুঃ দেখা যাক সামনের দিক গুলোতে আমাদের দেশের কপালে কী আছে। এখনই হয়তো আশাবাদী হওয়ার জন্য যথেষ্ঠ সময় আসে নি। আমাকে এই সময়টুকু দেওয়ার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আজকের ইন্টারভিউ আপাতত এখানেই শেষ করছি আমি তবে ব্লগের পাঠকরা আপনাকে কিছু প্রশ্ন করতে পারে। আশা করি সময় করে সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিবেন। শেষ করার আগে ব্লগাদের উদ্দেশ্য কিছু বলতে চান?
হাসান মাহবুবঃ সবাই ভালো থাকুন। নিজের যত্ন নিন, আশেপাশের মানুষকে ভালো রাখুন।
প্রিয় ব্লগারগন আজকের ইন্টারভিউ আমরা এখানেই শেষ করছি। তবে আপনাদের মনে যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে পোস্টের মন্তব্যের অংশ লিখে যেতে পারেন। ব্লগার হামা ভাই আশা করি সময় সুযোগ মত সেই সব প্রশ্নের জবাব দিবেন।
সবার ভাল থাকুন।
আগের পর্বগুলো
মনিরা সুলতানা
শেরজা তপন
জুল ভার্ন
সাড়ে চুয়াত্তর
কাল্পনিক_ভালোবাসা
ভুয়া মফিজ
শায়মা
২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:২৯
ঢাবিয়ান বলেছেন: আমি খুবই ভুল করেছি আমার দুটা পোস্ট মুছে দিয়ে। একটা হচ্ছে আওয়ামিলী ব্লগারদের নিয়ে করা একটা রম্য পোস্ট। যারা সেই পোস্ট পড়েছে তারা খুব ভাল করেই জানে যে , সেটা ছিল নেহাতই একটা ফান পোস্ট। মুলত ব্লগার সোনাগাজী ও কালবৈশাখিকে নিয়েই লেখা ছিল সেই পোস্ট। বিশেষ করে কালবৈশাখিকে নিয়ে আমার একটা সন্দেহ ছিল যে তিনি রিভার্স নিক। তার বিনোদন্মুলক কমেন্ট দেখে মনে হত যে , তিনি ইচ্ছে করে লীগকে পচানোর জন্য এমন কমেন্ট করে। সেই সন্দেহ প্রকাশ করেই পোস্টটা দেয়া হয়। সেইসাথে সোনাগাজী , কামাল এবং ব্লগের জামাত শিবির ট্যগিং বিশেষজ্ঞকে নিয়েও কয়েকটা লাইন ছিল । ইনাদের নিয়ে পোস্ট /কমেন্ট খুবই স্বাভাবিক বিষয় এই ব্লগে। তবে পোস্টটা ক্যাচালে পরিনত হওযায় , মুছে দেই পরে। এই ব্লগে কারা আওয়ামি ব্লগার সেটা জানার জন্য রকেট সাইন্টিস্ট হবার দরকার নাই। আর এ ধরনের রম্য পোস্ট নিয়ে মনে হয় না কারো আপত্তি করারও কিছু আছে।
এবার আসি আমার দ্বীতিয় পোস্ট নিয়ে। খুব সম্ভবত সেই পোস্ট নিয়েই আমার বিরুদ্ধে কল্পিত অভিযোগ তুলেছে আওয়ামি ব্লগাররা। তবে পোস্টটা আমার লেখা নয়। সেটা ছিল ফেসবুকে জনপ্রিয় এক্টিভিস্ট ফারজানা মাহবুবার পোস্ট। আমি পোস্টের নীচে কার্টেসিতে তার নাম উল্লেখও করেছিলাম। ফারজানা মাহবুবা খুব সম্ভবত সামুর পুরাতন ব্লগার। সে সামহোয়্যর ইন ব্লগের পুরাতন ব্লগার যাদের অনেককে শাহবাগী বলা হয় , তাদের একটা তালিকা করে এবং তাদের কর্মকান্ড তুলে ধরে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিল। ব্লগ সম্পর্কিত হওয়ায় আমি সেই পোস্ট এখানে শেয়ার দেই। এই পোস্টটা নিয়েই খুব সম্ভবত এই ব্লগার তালিকার অভিযোগ তোলা হয়েছে।
৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৩:৩৫
মিরোরডডল বলেছেন:
হাসানের লেখা গানের লিংক আছে? শেয়ার করবে প্লিজ।
দুই প্রিয় ব্লগার হাসান আর নস্টালজিক যে কাজিন, জানা ছিলো না।
মেলোডি তোমার নাম (২০২৪) ভালোবাসার গল্প সংকলন।
হাসানের লেখা এ বইটা পড়েছি।
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সব গল্পই ভালো লেগেছে।
৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৩:৫৫
মিরোরডডল বলেছেন:
ঢাবিয়ান না কি একটা পোস্ট দিয়েছিলেন প্রতিপক্ষ ব্লগারদের তালিকা করে, হুমকিমূলক।
সরকার পতনের পরপরই সহব্লগার আওয়ামী সাপোর্টাদের লিস্ট দিয়ে পোষ্ট দেয়া, এটা দেখে আমিও বিস্মিত হয়েছি। ফান করেও এ ধরণের পোষ্ট দেয়া ঠিক না। সবাই ভিন্নমতের প্রতি সহনশীল হবে, এটা প্রত্যাশা করতে পারি।
তবে হুমকিমূলক, হত্যার পরিকল্পনা, হত্যা করবে বলে লিস্ট বানাচ্ছে, এসব যারা বলেছে এটাও সঠিক না।
পোষ্টে এরকম কিছুই ছিলো না, এ ধরণের কোন ইনটেনশন পোষ্টে দেখা যায়নি। এগুলো অমূলক কথাবার্তা।
৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৪:২৩
মিরোরডডল বলেছেন:
হাসান মাহবুবঃ ভালো হবার তো কোনো লক্ষণ দেখছি না। আওয়ামী লীগ অপেক্ষায় আছে প্রতিশোধ নেয়ার। বিএনপি অপেক্ষায় আছে কখন ক্ষমতায় যাবে! তবে তাদের আচরণ বেশ ম্যাচিউর আগের চেয়ে। জামাত তার সফট পাওয়ার খাটিয়ে কর্তৃত্ব নেবার চেষ্টা করছে সব জায়গায়। বৈষম্যবিরোধীর সমন্বয়েকেরা একেকদিন একেক রকম সার্কাস দেখাচ্ছে এবং তারা প্রচণ্ড জামাতঘেঁষা। কীভাবে আশাবাদী হব?
এই প্যারার সাথে সহমত।
কিন্তু আগের চেয়ে আচরণ বেশ ম্যাচিউর, এটা যে ভং ধরেনি আবারও ক্ষমতায় আসার জন্য who knows!!!
সমন্বয়কদের দু একজনের কথা ভালো লেগেছে কিন্তু তাদের কথা আর কাজের মাঝে এখনো মিল পাইনি।
হাসান এবং তানভি, দুজনকেই থ্যাংকস।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৩৩
শায়মা বলেছেন: হামা ভাইয়ু!!!! নতুন বছরের প্রথম ইন্টারভিউ এর জন্য হ্যাপী নিউ ইয়ার শুভেচ্ছা!