নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ধরেন, আপনার পকেটে ৮০ টাকা রয়েছে। এই টাকা দিয়ে আপনি এখন দুপুরের ভাত খাবেন। এক প্লেট ভাত ১০ টাকা এবং একটা ডিম ৩০ টাকা। এই ৪০ টাকা দুপুরের খাবার এবং এরপরে রাতের জন্য বাকি ৪০ টাকা রেখে দিলেন। কিন্তু যখন হোটেলে ঢুকলেন তখন আপনার চোখ গেল বেশি ঝাল দিয়ে রান্না করা মুরগির মাংসের দিকে চোখে গেল। ব্রয়লার মুরগির মাংসের দাম ৭০ টাকা। এখন আপনি চাইলে আপনার কাছে থাকা পুরো ৮০ টাকা দিয়েই এক প্লেট ভাত আর আপনার পছন্দের মুরগির মাংস দিয়ে খেতে পারেন।মনের ইচ্ছে পূরণ করতে পারেন। কিন্তু তাতে সমস্যা হচ্ছে রাতে আপনি যে কী খাবেন সেটা সেটার কোন নিশ্চয়তা নেই। হয়তো অভুক্ত থাকতে হতে পারে। এখন আপনি কী করবেন?
ধরেন আপনি র্যাশোনাল আচরণই করলেন। আপনি নিজের ইচ্ছেকে জলাঞ্জলি দিয়ে আপনি ৪০ টাকা দিয়ে ডিম দিয়ে ভাত খেলেন এবং বাকিটা রাতের জন্য রেখে দিলেন। কিন্তু হোটেল থেকে বের হয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে আপনি গাড়ি চাপা পড়ে মারা গেলেন। মরার আগে আপনার কেবল একটা কথাই মনে হল যে মুরগির দিয়ে ভাত খেলেই হত। ইচ্ছে টা তো পুরণ হত !
আবার ধরেন আপনি আপনার ইচ্ছে পূরণ করলে মুরগি দিয়েই ভাত খেলেন কিন্তু বাড়ি যাওয়ার পথে মরলেন না। এবং রাতে আপনাকে অভুক্তই থাকতে হল। তখন ক্ষুধা পেতে আপনার মনে হচ্ছিল যে ডিম দিয়ে খেলেই বুঝহি ভাল হত। রাতে এই রকম না খেয়ে থাকতে হত না।
অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের অবস্থাও বুঝি এমনই। আমরা আসলে যাই সিদ্ধান্ত নেই না কেন যদি কপালে আমাদের খারাবী থাকে তাহলে সেটা আসলে কোন ভাবেই দুর করা যায় না। আমরা দুঃসময়ের জন্য জন্য কত প্রস্তুতিই না নিয়ে রাখি কিন্তু দেখা দেখা যায় সে সে সব আয়োজন রেখেই আমরা টুপ করে মরে যাই। আমাদের হাতে আসলে কিছুই থাকে না।
আমার মা সব সময় আমার টাকা পয়সা জমাতে বলে। আমি যখন কিছু টাকা খরচ করি কিংবা কোথাও বেড়াতে যাই, তখন তার মূল কথাই থাকে টাকা পয়সা খরচ না করে জমানো দরকার। কখন যে কোন বিপদে পড়ি তখন আসলে কেউ সাহায্য করতে আসে না। তখন জমানো টাকাই আমাদের সাহায্য করে। তার কথায় আসলে কোন ভুল নেই। সত্যিই তাই, আমাদের জীবনে কখন যে কোন বিপদ আসে তার কোন ঠিক নেই। তখন জমানো অর্থই আমাদেরকে সাহায্য করতে।
কিন্তু আমার বরাবরই মনে হয় যে এই ধরেন আমি মুরগির মাংস খাওয়ার ইচ্ছে করা সত্ত্বেও এবং আমার কাছে টাকা থাকা সত্ত্বেও আমি সেই শখ পূরণ না করে ডিম দিয়েই ভাত খেলামা। এবং বাড়ি যাওয়ার পথে বাসের নিচে চাপা পড়লাম? তখন? শেষ যে আফসোস! সমর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কেবল ভবিষ্যতের চিন্তা করে আমি সেই শখ পূরণ করলাম না। আর সেই ভবিষ্যৎ আসার আগেই, সেই ভবিষ্যতের সুবিধা পাওয়ার আগেই যদি সব কিছু উর্ধ্বে চলে যাই তখন সেই আফসোসের সীমা থাকবে না। আসলে আমরা আমাদের জীবনের অনেক কিছুই নিয়ন্ত্রন করতে পারি না। আমি যাই করি না কেন আমাদের সাথে কী ঘটবে তার অনেক কিছুই অন্যের কার্যকলাপের উপর নির্ভর করে।
আমি তখন ঢাকাতে নতুন সাইকেল চালানো শুরু করেছি। বাংলামোটর হয়ে কাঠাল বাগান রাস্তার দিকে যাচ্ছি। এমন সময়ে তিন রাস্তার মোড়ে এসে দেখি দুই দিক থেকে দুইটা লড়ি আসছে। আমার মনে হল যে আমি এই দুই গাড়ির মাঝ দিয়ে পার হয়ে যেতে পারব। তবে আমার হিসাবে একটু ভুল। আমি একেবারে তাদের মাঝে গিয়ে পড়লাম। এখন অবস্থা এমন যে এই দুই গাড়ির একটাও যদি না থামে তাহলে আমার খবর শেষ। কিন্তু কপাল ভাল যে দুই গাড়ি হার্ড ব্রেক করল। আমি মাঝে বেঁচে গেলাম। একটা গাড়িও যদি না থামাতো তাহলে আজকে এই ব্লগ আমার লেখা হত কিনা সন্দেহ। কয়েক মাস পরে একই স্থানের ঘটনা। তারপর থেকে আমি আর ঝুঁকি নিয়ে সাইকেল চালাই না। আমি সিগনালে দাঁড়িয়ে রয়েছি। কিছু সময়ে পরে হঠাৎ পেছন থেকে একটা রিক্সা এসে আমার সাইকেলের চাকার সাথে ধাক্কা দিয়ে দিল। আমি উল্টে পড়লাম। একেবারে রাস্তার উপরে। অথচ এখানে আমার কোন হাত ছিল না। তবুও আমার এই হাল হল। অথচ আগের ঘটনায় আমার সম্পূর্ণ হাত ছিল, সিদ্ধান্ত আমার ছিল তারপরেও আমার আমি রক্ষা পেলাম অন্যের কারণে। আর পরের ঘটনায় আমি বিপদে পড়লাম অন্যের কারণেই।
তাহলে আমাদের কী করা উচিৎ?
Image by Mohamed Hassan from Pixabay
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:৩০
অপু তানভীর বলেছেন: দেখা গেল দুই বাস এক একে অন্যের আগে যাওয়ার জন্য পাড়াপাড়ি শুরু করলো আর আমি তার মাঝে পড়লাম আবার ধরেন মুরগি যেটা খেলা সেটা পচা মুরগি ছিল তখন ডায়েরিয়া হয়ে অক্কা পেলাম! তখন?
২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:৩২
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: কোনও লাভ নাই । এক জীবনে যতটুকু দরকার সেটুকুই যথেষ্ট । সব ফেলে চলে যেতে হবে। সন্তানরা নিজেদের টা নিজেরাই করে নিবে যেমন করে অন্য দেশে। তাদের জন্য রেখে যাওয়ার কোনও দরকার নাই। জীবন উপভোগ করুন ।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:৩৭
অপু তানভীর বলেছেন: আমিও তাই চাই কিন্তু এই মানসিকতা থেকেই বের হওয়া মুস্কিল । ছোট বেলা থেকেই আমাদের এই চিন্তা এমন ভাবে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে যে এই চিন্তা থেকে বের হওয়া কঠিন একটা ব্যাপার।
৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:৪০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এক্ষেত্রে আমার ফিলোসফিটা আমি বলতে পারি।
আমি যা আয় করি, তার প্রায় সবটাই ব্যয় করি। জীবনটাকে পূর্ণভাবে উপভোগ করি। যা ভালো লাগে, তাই করি। তবে ততোটাই জমিয়ে রাখি যাতে করে বিপদে পড়লে অন্ততঃ ডাল-ভাত খেতে পারি। অবশ্য দেশের তুলনায় এখানের জীবন অনিশ্চিত না। বিপদে পড়লে এখানে সরকার সাহায্য করবে, যতোদিন না বিপদমুক্ত হওয়া যায়। সরকারীভাবেই সব মৌলিক চাহিদা পূরণের ব্যবস্থা আছে।
তবে আপনের যেহেতু বিয়ে-শাদী করার পরিকল্পনা নাই, তাই মুরগী দিয়েই ভাত খাওয়া উচিত। যখন টাকা থাকবে না, ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করবেন। শরীর সুস্থ্য থাকবে। অসুখ-বিসুখ কম হবে।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:৪৮
অপু তানভীর বলেছেন: আপনার মত আমারও মনভাব। আমি মোটামুটি একটা এমাউন্ট জমিয়ে রেখেছি যাতে করে একেবার হাত পা গুটিয়ে বছর দেড় দুই খাওয়া দাওয়া করতে পারি। এটা আমি ভাল করে বুঝেছি করোনা কালীন সময়ে। এই টাকার বাইরে আমি আর কোন টাকা আলাদা ভাবে জমিয়ে রাখি না। এই টাকাটাতে আমি একমদই হাত দেই না । ধরে নেই যে এটা আমার কাছে নেই ই।
কিন্তু ধরেন আমি যে বিপদ ভেবে এই টাকাটা জমিয়ে রেখেছি, মানে একেবারে চাকরি বাকরি চলে যাবে, কোন আয় রোজগার হবে না, বসে খেতে হবে, এমন বিপদ কোন দিন এলই না। তখন? এবং একদিন টাকা রেখেই মরেটরে গেলাম । তখন মনে হবে ইস নেপাল, মালেশিয়া আর বালিতে ঘুরে আসা যেত!
৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:৪৯
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: মানুষের মানসিকতা বা চিন্তা সময়ের সাথে সাথে বদল হয়। আমরা যা ভাবি আমার বাবামা তা ভাবতেন না। আর আমি যা ভাবি আমার সন্তান রা তা ভাবে না । সব চেয়ে অবাক লাগে আমার মার জীবন আর আমার জীবন কত তফাৎ । মার যা বিশ্বাস ছিল সেই বিশ্বাস গুলোকে আমার কাছে যুক্তি হীন লাগে , কিছু কিছু ধারনা রীতিমত অন্যায় লাগে । উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় মার ছেলে মেয়ে কে সমান ভাবে না দেখার ভাবনা টিকে । এরকম আরও আছে।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:০২
অপু তানভীর বলেছেন: অবশ্যই পরিবর্তিত হয়। তবে চট করেই বহুদিন থেকে চলে আসা মানসিকতার পরিবর্তন হয় না। আমাদের মত যারা মধ্যবিত্ত পরিবারে বড় হয়েছি তারা এটাই দেখে এসেছি যে বর্তমালে কালে কষ্টে থেকে ভবিষ্যতের জন্য সেভিং করে রাখতে । অনেক সময় দেখা যায় যে সেভিংস করছে সে ভবিষ্যতে এটা ভোগ করে যেতে পারে না।
৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:৫৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কিন্তু ধরেন আমি যে বিপদ ভেবে এই টাকাটা জমিয়ে রেখেছি, মানে একেবারে চাকরি বাকরি চলে যাবে, কোন আয় রোজগার হবে না, বসে খেতে হবে, এমন বিপদ কোন দিন এলই না। তখন? এবং একদিন টাকা রেখেই মরেটরে গেলাম । তখন মনে হবে ইস নেপাল, মালেশিয়া আর বালিতে ঘুরে আসা যেত! এই রিস্কটা নিতেই হবে। টুপ করে মরে যাওয়ার সমাধান উইল করা। আর তা না হলে এই টাকা কাজে লাগবেই। অসুখ-বিসুখ হতে পারে, আয়-রোজগার বন্ধ হতে পারে। হঠাৎ কোন কারনে টাকার দরকার হতে পারে.......ইত্যাদি ইত্যাদি।
কাজেই একটা ব্যাকআপ রাখা জরুরী, অন্ততঃ দেশে। আর নিশ্চিন্তে জীবন-যাপন করতে চাইলে বিলাতে চলে আসেন। ভুলেও আম্রিকার কথা ভাববেন না। আপনের মগজে চর্বি কম থাকার কারনে ডুবে মরতে হবে!!!!
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:০৫
অপু তানভীর বলেছেন: উইল না হয় করে গেলাম। কিন্তু সে টাকা তো আমার । আমি কষ্ট করে কামাই করেছি অথচ দেখেন ভোগ করে যেতে পারলাম না। যাক কী আর করা ! এটাই মেনে নিতে হবে। আমরা ভবিষ্যত জানি না। তাই একটা ব্যাকাপ রাখা ছাড়া আর কো উপায় নেই।
আর না আম্রিকা না বিলেত, আমি ঠিক করে জাপান যাবো। জাপানের কফু গ্রামে গিয়ে বসবাস করব। আগে এন ফাইভ আর এনফোর পরীক্ষায় পাশ করে নিই। তারপর দেখা যাক কপালে কী আছে।
৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:৪৬
জটিল ভাই বলেছেন:
তাহলে আমাদের কি করা উচিৎ?
৮০ টাকা হতে কিছু দিয়ে বিষ কিনে বাকিটা দিয়ে উত্তমভাবে খাওয়া। আর খাওয়া শেষে বিষটা খেয়ে নেওয়া। হিসাব বরাবর!
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৩০
অপু তানভীর বলেছেন: এটাও একটা সহজ সমাধান । তবে আমাদের জন্য তো আবার এই কাজ করা মহাপাপ ।
৭| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১:১৩
কাছের-মানুষ বলেছেন: আমার মনে হয় ৮০ টাকায় এক বেলা পেট ভরে খাওয়ার চেয়ে জিবলাকে কন্ট্রোলে আনা প্রয়োজন। আসলে, রাস্তা এক্সিডেন্টে মরার সময় কখনো সেই না খাওয়ার বেদনার কথা মনে করার কথা নয়; তখন মৃত্যু যন্ত্রণায় অনেক কিছু মাথায় আসবে! আমার ফিলোসফি হলো, খরচ বাড়লে আয় বাড়ানোর চেষ্টা করা, যাতে ৮০ টাকায় মুরগী খাওয়ার পরও পকেট ফাঁকা না হয়! একটা বয়সের পর জীবন অনেক নিষ্ঠুর হয়ে উঠে, মানুষকে কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখী হতে হয়। মিনিমাম আয়ের ২০% সঞ্চয় করে, বাকিটা দিয়ে আরাম আয়েশ করা উচিত, অন্তত বাংলাদেশে! অনেক অর্থনৈতিকবিদ বলেন মাস শেষে বেতন পেলে আগে টাকা জমিয়ে যা থাকে তা দিয়ে খরচ করা উচিৎ, আসলে আর্লি বিয়ে করা ভাল, এতে সব কিছু তাড়াতাড়ি গুছিয়ে নেয়া যায়, মালপানি থাকলে ছাত্র অবস্থায়-ই! আমি অর্নাস করার সময় বাসায় জানাই বিয়ে করব, তখন সরকারী স্কলারশীপ এ যা পেতাম ২-৩টা বেকার বউ লালন পালনের সামর্থ ছিল, আসলে বেকার বউ লালন পালন অত্যন্ত ব্যায়-বহুল! "টাকা দিয়ে কি হয়, দুই দিনের দুনিয়া", "অর্থ অনর্থের মূল", "টাকা পয়সাই কি সব?"—এই ধরনের মারফতি বাণী আমার বিশ্বাস, মালদার পার্টির মুখ থেকেই বেরিয়েছে, পরে দরিদ্রদের মাঝে জনপ্রিয় হয়েছে!
আমি উন্নত দেশে দেখেছি, তাদের সঞ্চয়ের দরকার পড়ে না কারন তাদের বাচ্চা হলে তার পড়াশোনার দায়িত্ব সরকারের, অসুখ হলে ইন্সুরেন্স আছে, বুড়ো হলে, শেষ বয়সে সরকার দেখাশোনা করে এবং মালপানি দেয়। আমাদের দেশের অনেক বড় কর্মকর্তাও হঠাৎ চাকরি গেলে পথে বসে যায়, শেষ বয়সে হাত পাততে হয়, কর্মহীন হলে সবার অবহেলার পাত্র হয়ে যায়! যারা মালপানি জমিয়ে রাখে, তারা মরে গেলেতো গেলোই, কিন্তু বেচে থাকলে এই ধরনের পরিস্থিতিতে হয়তো যেতে হয় না!
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৩৯
অপু তানভীর বলেছেন: আমি আসলে সামনের ভবিষ্যতের জন্য নিশ্চয়তার পক্ষেই। সেই হিসাবে নিজের বর্তমান ইচ্ছেকে নিয়ন্ত্রন করে সামনের দিনের জন্য সেভিংসের পক্ষেই। কিন্তু খেয়াল করে দেখেন আমাদের মাঝে এমন কত শত লক্ষ মানুষ আছে যারা বর্তমানে কষ্ট করে, সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও মুরগি না খেয়ে ডিম খায় ভবিষ্যতে ভাল থাকবে বলে অথচ সেই ভবিষ্যত তাদের আর আসে না। তাহলে তাদের এই যে স্যাকরিফাইস, এটা একেবারে বৃথা চলে গেল না?
আমি আসলে এটাই বলতে চেয়েছি।
বাইরের উন্নতি বিশ্বের কথা আালদা । তারা যা আয় করে তার বেশির ভাগটাই তারা খরচ করে ফেলে। তারা জানে যে ভবিষ্যতে বুড়ো কালে তাদের দেখকা শোনার জন্য সরকার রয়েছে। আমাদের তো আর সেই সুযোগ নেই।
৮| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ২:৪৮
জনারণ্যে একজন বলেছেন: কোনো লাভ নাই @ অপু। ট্যাকা মাটি, মাটি ট্যাকা - মিল মহব্বত বড়ো কথা।
মাগার, আমি ভাবতেছি ট্যাকা জমাইয়া একখান জ্বিন গবেষণা কেন্দ্র খুলমু। কাইন্ড অফ জ্বিন-রিসার্চ-ল্যাব আর কি। এই ধরণের ল্যাব হইবো দুনিয়ায় প্রথম, ফান্ডিংয়ের অভাব হইবো বইলা মনে হয়না।
এরপর মনে করেন জ্বিন-লব্ধ জ্ঞান থিকা বিজ্ঞানের নয়া/পুরান - সব ধরণের শাখা-প্রশাখায় আবার নতুন কইরা গমন শুরু করমু।
কওন যায় না, জ্বিনরে ঠিক-থাকে মতো কামে লাগাইতে পারলে নোবেলও পাইয়া যাইতে পারি।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৩৯
অপু তানভীর বলেছেন: এক দিন দিয়ে হিসাব করলে, আসলেই কোন লাভ নেই।
৯| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৬:০৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
অনেক জটিল সমস্যা তো।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৪০
অপু তানভীর বলেছেন: একটু সমস্যা তো বটেই।
১০| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৫২
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আপনার একটা ফেবু মেসেজ দেখেছি কিন্তু এখন আর খুঁজে পাই না। বেশী মেসেজ আসার কারনে হয়ত। যাই হোক, আমার যোগাযোগ হচ্ছে Email: [email protected] Mobile/WhatsApp/Imo: 01911380728
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৪১
অপু তানভীর বলেছেন: আপনাকে একটা মেইল করেছি। মেইলের শেষে ১২৪@জিমেইল ডট কম রয়েছে।
১১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৫৫
নতুন বলেছেন: কিছু মানুষ জীবনেকে একটা রেসের মতন ভাবে। রেস শেষ হইলেই সে জীবনের সব আশা ইচ্ছা পুরন করবে। তাই তারা সব কিছুই জমিয়ে রাখে। তারা শেষ জীবনে কোটি টাকা ব্যাংকের একাউন্টে রেখে মারা যায়।
আমার কাছে জীবনটা গানের মতন। শুরু থেকে শেষ পযন্তই প্রতিটা লাইন, তাল ছন্দ উপভোগ করা সম্ভব।
সময় গেলে সেটা ফিরে আসে।
আমি অপচয় করিনা কিন্তু ইচ্ছা পুরুনে খরচ করি। তাতে হয় তো শেষ জীবনে আমার ব্যাংখে ৫০ লক্ষ টাকা কম থাকবে। কিন্তু আমার জীবনে অপূর্নতার লিস্ট খুবই ছোট থাকবে।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৪৩
অপু তানভীর বলেছেন: অনেকেই আছে ... বরং আমি বলব আমাদের দেশের বেশির ভাগ মধ্যবিত্ত মানুষের এই মনভাব যে বর্তমানে কম খরচ করে সামনের দিনের জন্য রেখে দিব। তারা তাদের মনের শখ পুরণ করে না, কোথায় ঘুরতে যায় না অথচ দেখা যায় তাদের অনেকেই ভবিষ্যতে সেই অর্থ ভোগই করতে পারে না। জীবনটা কেবল অপূর্নই রয়ে যায়।
১২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৫৭
নতুন বলেছেন: অফটপিক। আপনার ইমেইলের জবাব দিছি এতো দিন পরে। কাজের চাপে সময় পাইনাই এই কয় দিন।
আজ ছটি বাতিল করে অফিসে আসছি, বস সিকলিভ নিসে ঠান্ডা কাশিতে বিছানায় পইড়া গেছে
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৪৫
অপু তানভীর বলেছেন: কোন সমস্যা নেই । ধীরে সুস্থে দিলেই চলবে। আমি আরো কিছু প্রশ্ন যোগ করেছি। সময় নিয়ে দেখবেন প্লিজ।
১৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:২১
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: ইনকাম এর ২০% সেভিংস করার চেষ্টা করুন, তাহলে ব্রয়লার মুরগির জন্য আফসোস করতে হবে না, মন চাইলে আয়েশ করে কাচ্চি বিরিয়ানী খেতে পারা যাবে।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৪৬
অপু তানভীর বলেছেন: আমার পোস্ট আসলে সেভিংস নিয়ে নয়।
১৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:২১
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বসবাসের বাড়ী হয়েছে, মেয়েদের বিয়ে হয়েছে, অবসরে পেনশন পাওয়ার কথা। সেজন্য আমি এখন ইচ্ছা পূরণের চেষ্টা করছি।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৪৭
অপু তানভীর বলেছেন: আপনিও আসলে প্রথম বয়সে তাহলে মুরগি না খেয়ে কেবল ডিম খেয়েছেন। এখন মুরগি খেলে আসলে আগের মত আর মজা লাগবে না।
১৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:৩৯
করুণাধারা বলেছেন: আসলেই কোনো লাভ নেই! দশ বিশ হাজার কোটি টাকা জমিয়ে রাখা মানুষওতো দেখি চোরের মতো লুকিয়ে থাকে। কী হলো এত টাকা জমিয়ে!!
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৪৮
অপু তানভীর বলেছেন: তাহলে বোঝেন অবস্থাটা । আমাদের সবার অবস্থাই কিন্তু এমনই ।
অট: আপনাকে যে আমি আপনার একটা মেইল এড্রেস দিতে বলেছিলাম, সেটা কি মনে নেই?
১৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:১৮
সামিয়া বলেছেন: টাকা জমিয়ে কোন লাভ নেই, জীবনে প্ল্যান করে কোন কিছু করাটাই অবান্তর আমার কাছে। আবার এটাও সত্যি যে যারা জীবনে সাকসেসফুল হয় তারা প্ল্যান করে করে বিভিন্ন ভাবে টাকা জমিয়ে নানান কিছু করেই সাকসেস হয়।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৪৯
অপু তানভীর বলেছেন: আমার কাছেও সেটাই মনে হয় কিন্তু একই সাথে ভবিষ্যতের চিন্তায় অস্থিরও থাকতে হয় । আমাদের মধ্যবিত্ত জীবন বুঝি এমনই দোটানার ভেতরেই কেটে যাবে....
১৭| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৫
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: অনেকেই আছে ... বরং আমি বলব আমাদের দেশের বেশির ভাগ মধ্যবিত্ত মানুষের এই মনভাব যে বর্তমানে কম খরচ করে সামনের দিনের জন্য রেখে দিব। তারা তাদের মনের শখ পুরণ করে না, কোথায় ঘুরতে যায় না অথচ দেখা যায় তাদের অনেকেই ভবিষ্যতে সেই অর্থ ভোগই করতে পারে না। জীবনটা কেবল অপূর্নই রয়ে যায়।
আমাদের দেশে চাকুরি থেকে অবসর বা শেষ বয়সের জন্য সরকারী কোন ব্যবস্থা নাই। থাকলে অবশ্যই সবাই শেষ জীবনের জন্য সম্পদ আহরনে জীবন শেষ করে দিতো না।
অনেক গেস্ট আমি পেয়েছি যারা প্রতিবছর দেশের বাইরে ঘুরতে যায় তাদের সন্চয়ের বড় অংশই তারা খরচা করে ভ্রমনের পেছনে।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৪৮
অপু তানভীর বলেছেন: উন্নত দেশের নিয়ম তাই এমন । আমার এক বন্ধু সম্প্রতি ফিনল্যান্ডে গিয়েছে। ওর সাথে প্রায়ই কথা হয়। ওর ভাষ্য মতে ওখানকার যারা বাসিন্দা এরা সেভিংসের ধার ধারে না। যা আয় করে তার প্রায় সব টাই খরচ করে ফেলে। ঘুরতে যায় নিয়মিত। রোগশোক হলে সরকার দেখে বুড়ো হলে সরকার দেখে। সেভিংসের দরকারই বা কী!!
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:২৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার উচিত হবে ব্রয়লার মুরগী দিয়ে ৮০ টাকার ভাত খাওয়া আর বাসে চড়ে বাসায় যাওয়া। সেই ক্ষেত্রে বাসের নীচে পড়ে মরার কোন সম্ভবনা থাকবে না। শহরের মধ্যে বাস দুর্ঘটনায় যাত্রীদের তেমন কিছু হয় না।