নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এইবারের বই মেলায় আপা নেই। ভাবতে পারেন ব্যাপারটা? তবে আপা না থাকলেও আপার ছবি নিয়ে মেলায় একটা হাইপ তৈরি হয়েছে। এবার মনে হয় অন্য যে কোন বারের থেকেও মানুষ মেলায় গিয়ে হাজির হবে।
প্রতিবছর বইমেলা যাওয়া হয় বেশ কয়েকবার । তবে একেবারে প্রথমদিন যাওয়া হয় নি কোন বারই। এইবারই গিয়ে হাজির হলাম একেবারে প্রথম দিন। জুরাইনে আমার এক মামাতো বোন থাকে। গত শনিবার তার বাসায় দাওয়াত ছিল। সেখান থেকে ফেরার পথে মনে হল একবার ঢু মেরেই যাই বই মেলা থেকে।
মেলায় ঢুকতে গিয়েই একটা ব্যাপার চোখ পড়ল। প্রতি বছর মেলায় বেশ ভাল কড়াকড়ি নিরাপত্তা নেওয়া হয়। প্রতিটা প্রবেশ পথেই নির্দিষ্ট মেটাল ডিটেকটরের ভেতর দিয়ে যেতে হয়। এবং একই সাথে পুলিশ চেকিং হয়। মেলার নিরাপত্তার জন্য এই কাজটা করা জরুরী। কোন প্রকার ম্যাচ কিংবা দাহ্য পদার্থ কিংবা তীক্ষ্ম ধারওয়ালা কোন কিছু নিয়ে মেলায় প্রবেশ করতে দেওয়া হত না। কিন্তু এইবার এসবের কোন বালাই দেখলাম না। আমি একটা গেট দিয়ে বাংলাএকাডেমির গেট দিয়ে দিয়ে ঢুকেছি আর টিএসসির দিক দিয়ে বের হয়েছি। এই দুই গেটে কোন প্রকার কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয় নি। যে পুলিশগুলো ছিল তাদের কারো গেটের দিকে কোন খেয়াল নেই। কাউকে চেকিং করা হচ্ছে না। তারা কেবল ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে রয়েছে। এখন আমি জানি না যে একেবারে প্রথম দিন বলেই কি ব্যাপারটা এমন ছিল? এখনও ঠিক মত সব কিছু ঘুছিয়ে উঠতে পারে নি। তাই নিশ্চিত করে এই অভিযোগ আমি করতে পারছি না । তবে আমার একজন পরিচিত এবার মেলাতে স্টলে কাজ নিয়েছে। তাকে জিজ্ঞেস করে জানলাম যে আজও কোন চেকিং তারা ফেস করে নি। এই ব্যাপারটা আমার কাছে মোটেই ভাল লাগল না। মেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থার দিকে কর্তৃপক্ষের একটা নজর দেওয়া উচিৎ। বিশেষ করে দেশের এই অস্থির সময়ে এটা করা জরূরী। কোন নিষিদ্ধঘোষিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী একটা কিছু করে ফেলতে পারে।
অনেক গুলো স্টলই দেখলাম তখনও সাজিয়ে ঘুছিয়ে উঠতে পারে নি। তবে বেশির ভাগ স্টলই তাদের কাজ শেষ করেছে। সাধারণ স্টল গুলোতে ভীড় নেই বললেই চলে । তবে প্যাভিলিয়ন গুলোতে বেশ ভীড় ছিল । বলা যায় প্রতিটা প্যাভিলিয়নেই মানুষ ছিল অনেক। এছাড়া ঘুরতে আসা মানুষের সংখ্যাও কম ছিল না। সেই সাথে বেশ কয়েকটা টিভি চ্যানেলের লোকজনও চোখে পড়ল। এছাড়া এইবারের বই মেলায় ভেতরে আগের মত বেহুদা উন্নয়নের পোস্টার চোখে পড়ল না । তবে জুলাই আন্দোলনের বেশ কিছু ছবি চোখে পড়ল। আমি অবশ্য সেই ভাইরাল ডাস্টবিনটি দেখতে পাই নি। সামনের দিন গিয়ে একটা ছবি তুলতে হবে।
যাই হোক, সামনে দেখি আবার কোন দিন মেলাতে যাওয়া যায়। এবার কোন কোণ ব্লগারদের বই বের হচ্ছে কোনো খোজ পাচ্ছি না। আগে একটা সময়ে ব্লগাররা নিজেদের বই নিয়ে একটা পোস্ট দিতেন। আজকে দেখলাম ব্লগ কর্তৃপক্ষ থেকে একটা পোস্ট এসেছে । সকল ব্লগারদের কাছে অনুরোধ থাকবে যে নিজেদের বইয়ের নাম, স্টলের নাম আর স্টল নম্বর ঐ পোস্টে যুক্ত করে দিন। তাহলে ব্লগাররা আপনাদের বই সহজেই খুজে পাবে।
বই পড়ুন। বই কিনুন আর প্রিয়জনকে বই উপহার দিন। প্রিয়জন না থাকলে আমাকে বই উপহার দিতে পারেন।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২০
অপু তানভীর বলেছেন: এবার বইমেলার রেকর্ড সংখ্যক মানুষ যাবে শুধু মাত্র ঐ স্থানে ফেলফি তুলতেই।
২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২২
শায়মা বলেছেন: চেকিং ছাড়া বইমেলায় তো অনিরাপত্তার ব্যপার থাকবে!
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৬
অপু তানভীর বলেছেন: এটা আসলেই ভয়ংকর একটা ব্যাপার । আমি প্রথমে ভেবেছিল যে, প্রথম দিন তাই বুঝি এমন হচ্ছে। কিন্তু আজকেও একই ব্যাপার শুনলাম । ব্যাপারটা ভাল ঠেকল না।
৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৯
পারস্যের রাজপুত্র বলেছেন: এ আই দিয়ে লেখা আমার এই গল্পে আপনার মন্তব্য পেলে খুবই খুশি হব:
গল্প: জুলাই বিপ্লব, অলটারনেটিভ রিয়েলিটি
৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:২৪
জুল ভার্ন বলেছেন: ইচ্চে থাকা সত্বেও আমি ১০ তারিখ এর আগে যেতে পারবো না।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৮
বাকপ্রবাস বলেছেন: আপাকে দেখার জন্য অনেকেই যাচ্ছে, সেলফি তুলছে, আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে