নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.oputanvir.com

অপু তানভীর

আমার চোখে ঠোঁটে মুখে তুমি লেগে আছো

অপু তানভীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

শুধুমাত্র চোর এবং কাপুরুষরাই রাতে আক্রমণ করে

০৮ ই মে, ২০২৫ রাত ১১:৩৪



ভারতের সম্প্রতি হামলা নিয়ে পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি সম্প্রতি একটি আবেগঘন বক্তব্য পেশ করেছেন। তিনি বলেছেন "শুধুমাত্র চোর এবং কাপুরুষরাই রাতে আক্রমণ করে। যদিআ তাদের একটুও সাহস থাকত, তাহলে তারা দিনের বেলায় আক্রমণ করত।"

তার কথা মনে হল তাই তো রাতের আধারে কেবল চোর আর কাপুরুষরাই আক্রমন করে। তবে যে কোন বক্তব্য দেওয়ার আগে নিজেদের পেছনটা ভাল করে খেয়াল করে দেখা উচিৎ। মানুষ প্রায়ই নিজেদের ইতিহাস ভুলে যায়। রাতের আধারে আক্রমন কেবল ভারত করে নি, ২৫শে মার্চ রাতে পৃথিবীর ইতিহাসের কাপুরোচিত হামলা করেছিল এই পাকিস্তানই । আজকে তারাই দেখি অন্যদের কাপুরুষ বলতেছে। নিজেদের ইতিহাস কি এদের মনে নেই?
আর অদ্ভুত কিছু মাঙ্গির পুতকে দেখতেছি এই কাপুরুষদের জন্য জান প্রাণ পুড়ে যাচ্ছে। ভারত বিরোধীতা করেন, করবেন, প্রতিটি বাংলাদেশ প্রেমী মানুষের মনে ভারত প্রতি ঘৃণা থাকাটা স্বাভাবিক কিন্তু সেই ঘৃণা প্রকাশ করতে গিয়ে কি পাকিস্তানের কোলে উঠতে হবে? এই দুই শুয়েরের বাচ্চাদের পাছায় ভেতরে বাঁশ ঢুকিয়ে ভারত পাকিস্তান যুদ্ধের মাঝে ফেলে আসা উচিৎ।

আমাদের নিজেদের সমস্যার শেষ নেই আর দুই শুয়োরের বাচ্চারা আছে যুদ্ধের ফ্যান্টাসী নিয়ে।

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মে, ২০২৫ রাত ১১:৫০

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: প্রিয়তে যুক্ত করলাম। সুন্দর লিখেছেন ! দুইটাই শু......

০৮ ই মে, ২০২৫ রাত ১১:৫৬

অপু তানভীর বলেছেন: অদ্ভুত ভাবে, ভাদা আর পাকি প্রেমীতে চার পাশ ভরে গেছে।

২| ০৯ ই মে, ২০২৫ রাত ১২:০৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: পাকিস্তান আর ভারত কোনটাই আমাদের বন্ধু না। তবে পাকিস্তান যা ক্ষতি করেছে, মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত করেছে। অপরদিকে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত ভারত ক্রমাগত আমাদের ক্ষতি করে চলেছে। সেই বাস্তবতায় ভারত আমাদের বড় শত্রু। শত্রুর শত্রু বন্ধু হয়............এটা বহুল চর্চিত একটা আন্তর্জাতিক পররাষ্ট্র নীতির ফিলোসফি।

আমাদের দেশে বাংলাদেশপন্থী মানুষ কম। তবে পাকিস্তানের এখন ক্ষমতা নাই আমাদের ক্ষতি করার। কাজেই ভারত বিরোধীতাই আমাদের দেশের নিরাপত্তা আর সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য প্রায়োরিটি। ভারত যতো দূর্বল হবে, আমাদের লাভ ততো বেশী!!! কাজেই তারা পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ জারী রাখুক, আর মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের রাফায়েলসহ অন্যান্য যুদ্ধবিমান হারাক!!! বলেন, জয় হিন্দ!!!!! =p~

০৯ ই মে, ২০২৫ রাত ১২:১৯

অপু তানভীর বলেছেন: যুদ্ধ খুবই খারাপ জিনিস। যদি সত্যি ভারত পাকিস্তান ভয়াভয় যুদ্ধ বেধে যায় বাংলাদেশের উপরে এর আঁচ পড়বে সব থেকে বেশি। আমাদের মত মানুষদের যুদ্ধের ফ্যান্টাসি করা মানায় না। কোন ভাবেই না। অন্ততই এই অস্থির সময়ে তো নয়ই।

৩| ০৯ ই মে, ২০২৫ রাত ১২:৩৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনারে সব সময়েই বলি, যখন চিন্তা করবেন.........আবেগতাড়িত না হয়ে বিষয়বস্তুর গভীরে যাবেন। ;)

প্রথম কথা হইলো, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে অল-আউট যুদ্ধ লাগবে না। কোন পক্ষই সেই পথে হাটার হিম্মত দেখাবে না।

দ্বিতীয় কথা হইলো, এই দুই দেশের সীমিত আকারের যুদ্ধে বাংলাদেশের তেমন কোন ক্ষতি নাই। যেটুকু আছে, সেইটা বৃহত্তর স্বার্থে ইগনোর করা যায়।

আপনে বরং একটা বিশ্লেষণমূলক পোষ্ট দেন.........বাংলাদেশের কি কি ক্ষতি হইতে পারে। আপনের বিশ্লেষণ দেখে আরো বিস্তারিত আলোচনা করা যাবে!!! আমাদের মত মানুষদের যুদ্ধের ফ্যান্টাসি করা মানায় না। যুদ্ধ তো আমরা করছি না, তারা শখ করে করছে, করুক না; আপনে বাধা দেন কেন? :P

১০ ই মে, ২০২৫ রাত ১১:০৯

অপু তানভীর বলেছেন: আপনার ধারণা সঠিক হয়েছে। যুদ্ধ না শুরু হয়েই থেমে গেছে। তবে আমার সমস্যা আসলে পাকিস্তানের কোলে উঠে বাঙালির নাচন। এটা আমার মোটেই পছন্দ নয়।

৪| ০৯ ই মে, ২০২৫ সকাল ৭:৩৪

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: @ভুয়া মফিজ , ভাই আপনার সাথে একমত হতে পারছি না এই মুহুর্তে। ইন্ডিয়া কিন্তু সুযোগ খুজতেসে বাংলাদেশ আক্রমন করার । তাদের মিডিয়ার খবরগুলো দেখছেন তো? ক্রমাগত উস্কানি দিচ্ছে। এই মুহুর্তে বাংলাদেশের কোন প্রকার উস্কানিমুলক আচরন একেবারেই কাম্য নয়। ্সরকারের উচিত ইউটিউবারদের থামিয়ে দেয়া। ইন্ডিয়া পাকিস্তান যুদ্ধ ঐ দুই দেশের যুদ্ধ । এখানে বাংলাদেশের কোন অবস্থান নাই। বাংলাদেশের জনগনের শত্রু কেবল আওয়ামিলীগ। তারা এই দেশের জনগনের উপড় গনহত্যা চালিয়ে গনঅভ্যূ্ত্থানের মুখে পালিয়ে গেছে। তাই এদের কার্যক্রম নিশিদ্ধের বিষয়ে ফোকাস করা দরকার।

৫| ০৯ ই মে, ২০২৫ সকাল ৮:২১

কামাল১৮ বলেছেন: পাকিস্তান সকাল হতেই আক্রমন শুরু করেছে।বিকাল পর্যন্ত হয়তো দিল্লী পৌছে যাবে।কামরাও কলকাতা গিয়ে নাস্তা করবো,ইনশাল্লা।

১০ ই মে, ২০২৫ রাত ১১:১০

অপু তানভীর বলেছেন: আপনি দয়া করে নিজের মুখটা মোদীর গোয়ার পিছন থেকে তুলে তারপর মন্তব্য করেন।

৬| ০৯ ই মে, ২০২৫ সকাল ১০:২৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: পাকিস্তানিরা নির্বোধ ও মুনাফিক জন্মগত ভাবেই। এই দেশে এদের দোসররা ওদের থেকে আরো একধাপ এগিয়ে।

১০ ই মে, ২০২৫ রাত ১১:১১

অপু তানভীর বলেছেন: দুইদেশের কোন দেশই কম যায় না এই দিক দিয়ে।

৭| ০৯ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:৩০

নতুন বলেছেন: আপনার ব্লগের প্রথম লাইগুলা পাইড়া আমর মনেও পরের লাইনের কথা গুলি মনে পরছিলো। পরে দেখি আপনি লিখা দিছেন।

হালারপুতদের বাবা, চাচা, দাদারাই তো ২৫ শে মার্চে রাতে মানুষ মারছে। এখন সবাই সাধূ। আর কিছু বাংলাদেশীরা দেখতেছি খুব খুশি পাকিরা ভারত আক্রমন করছে বলে। পাকিবীজ কতোটা আছে সোসাল মিডিয়ার পোস্টে বোঝা যায়।

৯০% যুদ্ধ হচ্ছে মিডিয়াতে। ১০ % বাস্তবে।

ভারতের টিভির নিউজ ডাইরেক্টরদের কথায় ভারত বাংলাদেশ আক্রমন করে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় বসাবেনা। আমাদের উচিত হবে বাংলাদেশের জঙ্গি বাড়ছে সেই ন্যারেটিভ যাতে আফসোসলীগ, আর ভারতের কাছে না যায় সেটার জন্য সরকারের উচিত বেশি সচেতন হওয়া।

বিএনপির উচিত এনসিপির সাথে জোট করে নিবার্চনে যাওয়া । এবং নিবাচনের পরে ড: ইউনুসকে প্রেসিডেন্ট হতে প্রস্তাব করা।

১০ ই মে, ২০২৫ রাত ১১:১২

অপু তানভীর বলেছেন: এইবার গোদী মিডিয়া যে খেল দেখালো!!
একটা ব্যাপার হয়তো আপনি খেয়াল করে দেখবেন আওয়ামীলীগে প্রায় সবাই এটাই আশা করে আছে। কেবল গোদী মিডিয়া না। আওয়ামীলীগের সবাই আশা করে আছে যে ইন্ডিয়া বাংলাদেশ আক্রমন করে ইউসুফ সরকারের পতন ঘটিয়ে শেখ হাসিনাকে চেয়ারে বসাবে।

৮| ০৯ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:৪২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: @মেঠোপথঃ আপনেদের সমস্যা হলো, আপনেরা বাস্তবতার থেকে অনেক দূরে বুকিশ কথাবার্তা বলেন। ইউটিউবারদের কথার কারনে ভারত বাংলাদেশ আক্রমন করবে? হলি কাউ!!!! তাদের যদি করতেই হয়, আরো অনেক পোক্ত কারন তাদের সামনে আনার সুযোগ আছে। আর বাস্তবে কি কোন সরকার এখন সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করতে পারে? খোদ ভারতেই মোদির সমালোচনা করে এখনও ভিডিও বের হচ্ছে, তারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে? একটা বন্ধ করলে রাতারাতি আরেকটা গজায়।

ভারতের গোদি মিডিয়ার কাজই হলো, মিথ্যা তথ্য আর উস্কানীমূলক কথাবার্তা বলা। হাসিনা পালানোর পর থেকেই এটা তারা করে যাচ্ছে। এখনও ব্যতিক্রম না। কোন মিডিয়ার উস্কানীতেই একটা দেশ আরেকটা দেশ আক্রমণ করে না। সেটার জন্য আরো অনেক উপাদান লাগে।

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ অবশ্যই ওই দুই দেশের ব্যাপার। এখন কেউ যদি কোন এক পক্ষ নিয়া সোশ্যাল মিডিয়াতে কোন পোষ্ট বা মন্তব্য দেয়, ঠেকাবেন কিভাবে? ম্যাকানিজমটা কি? সরকারের কি করা উচিত বলে আপনের মনে হয়?

আরেকটা কথা, গত কয়েকদিনে আমি দেশ-বিদেশের বাঘা বাঘা সব সামরিক বিশেষজ্ঞদের আলোচনা শুনছি। তাদের সবাই একটা কথাই বলেছে, দুই পক্ষের কারোরই অল-আউট যুদ্ধ শুরু করার সক্ষমতা নাই। কিছুদিন ঠুসঠাস করে বন্ধ হয়ে যাবে এমনিতেই। কাজেই টেনশানের কোন কারন দেখি না। তবে আপনে করতে চাইলে করতে পারেন......কোন সমস্যা নাই। আপনের চয়েস!!!! :)

৯| ০৯ ই মে, ২০২৫ রাত ১০:০৩

কাঁউটাল বলেছেন: অপু ভাই এর মত ইন্টেলিজেন্ট মানুষের কাছে এইরকম লেখা আশা করি নাই। ১৯৭১ এর পর থেকে ভারত প্রভাবিত কালচারাল এসটাবলিশমেন্ট যেই ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্কেলের মগজ ধোলাই প্রোগ্রাম বাংলাদেশে চালিয়ে আসছে, অপু ভাই তার অর্ধেক প্রভাব কাটিয়ে উঠতে পারলেও, বাকি অর্ধেক এখনও কাটাতে পারেন নাই।

শেখ মুজিবুর রহমানের অবস্থানও যদি বিশ্লেষন করেন (৭৪ সালে ভুট্টোকে ডেকে এনে লালগালিচা সংবর্ধনা, কিংবা অসমাপ্ত আত্মজীবনিতে ভারতীয় রাজনীতিকদের আচরণ ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সম্পর্কে একধরনের সতর্ক ও বাস্তববাদী মনোভাব প্রকাশ) পাকিস্তানকে এই অর্ধশতাব্দি পর অহেতুক গালাগালির কোন কারন আছে বলে আমার মনে হয় না।

১৯৭১ সালের পাকিস্তান আর আজকের পাকিস্তান অনেক আলাদা। ৭১ এর পাকিস্তান ছিল জিন্নাহর পাকিস্তান। ইয়াহিয়া ছিল একটা মদ্যপ। জিন্নাহ ছিল একটা ফ্রিম্যাসন। একই ভাবে ৭১ এর ভারত ছিল ইন্দিরা গান্ধির ভারত।

আজকের পাকিস্তান সোভিয়েত আফগান যুদ্ধ এবং আমেরিকার ওয়ার অন টেররের কঠিন পরীক্ষা পার হয়ে অন্য একটা যায়গায় দাড়িয়ে আছে। আজকের ভারত ইন্দিরার ভারত নয়। নরেন্দ্র মোদি গং এর উগ্র হিন্দুত্ববাদি ভারত। অর্ধশত বছরে হিমালয়ের নদীগুলোতে অনেক জল গড়িয়ে গেছে।

গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ ভারতীয় "র" এর গোপন কসাইখানায় পরিনত হয়েছিল। বিজেপির নেতারা বাংলাদেশিদের উইপোকার সাথে এরা তুলনা করত। বাংলাদেশ সরকারের সমস্ত ক্রিটিক্যাল পলিসি মেকিংএ সরাসরি ভারতের স্বার্থ রক্ষা করা হত। এখনও বাংলাদেশের ৯০% মিডিয়া ভারতের দালাল দিয়ে ভর্তি। সচিবালয়ে ভারতের দালালরা এখনও শক্তিশালী। সারা জীবন শুধু গল্প লিখে যাবেন, এইগুলি চোখ মেলে দেখবেন না?

ভারতীয়রা চায়, আমরা পাকিস্তানের মত একটা "Fake Enemy", অর্ধ শতাব্দি আগে আমরা যাদের থেকে আলাদা হয়ে গেছি, তাদের নিয়ে মশগুল থাকি। ভারত বিরোধিতা করলেও একই সাথে পাকিস্তানকে গালি দেওয়া "শাক সবজী" টাইপের বাংলাদেশি হয়ে থাকি। যাতে সময়মত ভবিষ্যতে কোন একদিন "দন্ত নখ হীন" বাংলাদেশকে সহজে গিলে ফেলা যায়।

আমরা বুঝি, বাংলাদেশের কালচারাল এসটাবলিসমেন্ট ভারতীয় প্রভাব ভয়াবহ রকমের বেশি। তার পরেও সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাইলে শত্রু মিত্র চেনার বিষয় আছে। সান চু এর একটা প্রবাদ আছে "If you do not know your enemy and do not know yourself, you have to regret over hundred battles"


১০ ই মে, ২০২৫ রাত ১১:২২

অপু তানভীর বলেছেন: আপনার বক্তব্য আপনি বুঝতে পারছি। এই কথা কোন ভাবেই অস্বীকার করার উপায় নেই যে বর্তমানে বাংলাদেশের এক নম্বর শত্রু হচ্ছে ভারত। আমাদের যা ক্ষতি তার প্রায় সব টুকুই ভারতের দ্বারাই সম্ভব। এই রিয়েল এনিমি আওয়ামীলীগ ছাড়া আর সবাই জানে, চেনে ভাল করেই। সেই সাথে এটাও জানে যে পাকিস্তানের আদতে আসলে সেই ক্ষমতা নেই আমাদের কিছু ক্ষতি করার। তারা সরাসরি শত্রুও আমাদের নেই আর। কিন্তু পাকিস্তানকে আপনি যতখানি সরল ভাবছেন তারা আসলে এতো খানি সরলও নয়। এই যে আমাদের সাথে পাকিস্তানের প্রেম মহব্বত এটার ভেতরে কিন্তু কিছু কিন্তু রয়েছে। এটা কোন ভাবেই নিঃস্বার্থ নয়।

বাংলাদেশের কালচারাল এসটাবলিসমেন্ট ভারতীয় প্রভাব ভয়াবহ রকমের বেশি। এই কথা অস্বীকার করার উপায় নেই। এর থেকে বের হতে কিছুটা সময় অবশ্য লাগবে।

তবে ''পাকিস্তানকে এই অর্ধশতাব্দি পর অহেতুক গালাগালির কোন কারন আছে বলে আমার মনে হয় না'' এই কথার সাথে কিছুটা দ্বিমত। সেদিন থেকে পাকিস্তান সরাসরি নিজেদের অতীতের জন্য ক্ষমা চাইবে বিশ্বাস করেন সেদিন থেকে পাকিস্তানের প্রতি আমার আর কোন রকম বিদ্বেষ থাকবে না। দেখা যাক এমন দিন আসে কিনা।

১০| ১১ ই মে, ২০২৫ রাত ১২:৩২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কিন্তু পাকিস্তানকে আপনি যতখানি সরল ভাবছেন তারা আসলে এতো খানি সরলও নয়। এই যে আমাদের সাথে পাকিস্তানের প্রেম মহব্বত এটার ভেতরে কিন্তু কিছু কিন্তু রয়েছে। এটা কোন ভাবেই নিঃস্বার্থ নয়। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নিঃস্বার্থ বলে কিছু নাই। কথা হলো, সেই স্বার্থ হাসিলের জন্য একটা দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে কতোটা নোংরা আর নির্লজ্জভাবে হস্তক্ষেপ করা হয়!!!

পাকিস্তানকে এই অর্ধশতাব্দি পর অহেতুক গালাগালির কোন কারন আছে বলে আমার মনে হয় না এই কথাটা সর্বাংশে সত্যি। আপনে দয়া করে আন্তর্জাতিক রাজনীতি নিয়া খানিকটা পড়ালেখা করেন। আপনারে কয়েকটা উদাহরন দেই.......আমেরিকা-ভিয়েতনাম, আমেরিকা-জাপান, আমেরিকা-জার্মানী.........এই তিনটা নিয়াই পড়েন। এইগুলিতে যুদ্ধাপরাধ আমাদের দেশের চাইতে বেশী হইছিল। কিন্তু এখনকার বাস্তবতা কি? এরা ওইসব নিয়া পড়ে না থেকে উন্নতি করছে। আমাদের চেয়ে হাজারগুন বেশীই করছে।

সেদিন থেকে পাকিস্তান সরাসরি নিজেদের অতীতের জন্য ক্ষমা চাইবে বিশ্বাস করেন সেদিন থেকে পাকিস্তানের প্রতি আমার আর কোন রকম বিদ্বেষ থাকবে না। পাকিস্তান তিনবার (বরং বলা যায় চারবার) রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষমা চায়। একবার তাদের পররাষ্ট্র এবং প্রতিরক্ষা পররাষ্ট্রমন্ত্রী, দুইবার ভুট্টো আর একবার পারভেজ মোশাররফ। এই ভিডিওটা দেখেন.........পুরাটা দেখতে না চাইলে ২:২৬মি থেকে দেখেন।https://www.youtube.com/watch?v=1WtJKupFNCc

আওয়ামী আর ভারতীয় মিডিয়া আমাদেরকে এইসব এতোদিন জানতে দেয় নাই। কি বুঝলেন?

১১ ই মে, ২০২৫ রাত ১০:৩৮

অপু তানভীর বলেছেন: আমার স্কুল কলেজে পড়ার সময়ে কিন্তু এই ব্যাপারে এতো তীব্র ছিল না। আওয়ামি সরকার খুব সচেতন ভাবেই এই ঘৃণা ছড়িয়েছে এই বছরগুলোতে। এর থেকে আসলে চাইলেই চট করে বের হওয়া যাবে না। তবে প্রোসেস শুরু হয়েছে। আশা করা যায় এটা কমে আসবে।

আর পিনাকির ঐ বই আমার পড়া। এই ব্যাপারে আমার জানা।

১১| ১১ ই মে, ২০২৫ রাত ১২:৩৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ঠিকমতো আসে নাই, আবার দিলাম..........view this link

১১ ই মে, ২০২৫ রাত ১০:৪০

অপু তানভীর বলেছেন: লিংক কপি করেই কাজ হয়েছে।

১২| ১১ ই মে, ২০২৫ ভোর ৬:৩০

কাঁউটাল বলেছেন: আসলে অপু ভাই, বাংলাদেশে প্রো-ভারত কালচারাল এসটাবলিশমেন্ট আমাকে আপনাকে দিয়ে পাকিস্তানকে গালি দেওয়াতে চায়। এইটা তাদের একটা সাইকোলজিক্যাল ওয়েপন। আপনি যখনই ভারতের আগ্রাসন নিয়ে কথা বলতে যাবেন, তখনই আপনাকে পাকি দালাল, পাকি জারজ ইত্যাদি গালি দিয়ে থামিয়ে দেওয়া হবে। তখন আপনি আর ভারতের আগ্রাসন নিয়ে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করবেন না।

শত্রুকে চেনা মানে শুধু নামে চিনলেই হবে না, কামেও চিনতে হবে। আপনি আমি সতর্ক হলে শত্রুর তালে নাচব না।

পাকিস্তান একাধিকবার এপোলোজি করার পরও কিছু লোক আপনাকে আমাকে সেইটা জানতে দিতে চায় না। এই লোকগুলো কারা? খোঁজ নিয়ে দেখেন, দেখবেন তারা সবাই ভারতীয় কালচারাল এসটাবলিশমেন্টের লোক।

১১ ই মে, ২০২৫ রাত ১০:৪৫

অপু তানভীর বলেছেন: আসলে অপু ভাই, বাংলাদেশে প্রো-ভারত কালচারাল এসটাবলিশমেন্ট আমাকে আপনাকে দিয়ে পাকিস্তানকে গালি দেওয়াতে চায়।
তবে এই কালচারাল এসটাবলিশমেন্টে কিন্তু ফাটল ধরেছে। মাত্র এক বছর আগেই যদি খেয়াল করে দেখেন কারো নামে পেছনে কেবল কোন মতে শিবির যোগ করে দিলেই কিন্তু সব কেল্লা ফতে হয়ে যেত। সব কিছু ঠান্ডা হয়ে যেত। তবে গত জুলাইয়ের পর থেকে কিন্ত আর এই থিউরিতে কাজ করছে না। সামনে আরও যত যাবে এই ফটল আরও বড় হবে। তখন চাইলেও আর কাজ হবে না।

আর এখন কেবল মাত্র আওয়ামী দালাল বাদ দিয়ে বাকি সবাই পাকিস্তান থেকে ভারতকে বড় শত্রু মনে করে। মনে প্রাণে বিশ্বাস করে। এই কাজ কিন্তু হয়ে গেছে। এখন আর পাকিস্তানের নাম শুনলেই আর আগের মত লাফায়ে ওঠে না।
২০ বছর ধরে এই আওয়ামীলীগ করে আসছে এটা পুরোপুরি সরে যেতে একটু সময় তো লাগবেই। এই সময় দিতে হবে।

১৩| ১৩ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:৩০

কাঁউটাল বলেছেন: অপু ভাই, এইটা দেখেন:

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.