![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাঙালী আর ক্ষমতা একটা ডেডলি কম্বিনেশন। এই দুই জিনিস যখন এক সাথে হয় তখন ভয়ংকর কিছু বের হয়ে আসে। সব থেকে ভালো বাঙালীর হাতে যদি ক্ষমতা চলে আসে সে ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে। বিশেষ করে হঠাৎ করেই যদি কেউ অনেক ক্ষমতা পেয়ে যায় তাহলে একেবার অবসম্ভাবি ভাবে ধরে নেওয়া যায় যে সে তার সেই ক্ষমতার অপব্যবহার করবেই করবে, তা সে যতই ভাল মানুষই হোক না কেন। দিনের পর দিন এমনটাই হয়ে আসছে। এর ব্যতীক্রম খুব কমই দেখা যায়। বাঙালী ক্ষমতা আর সুযোগ পেয়ে সেটার ফায়দা নেয় না এমন হয় না বইলেই চলে।
কয়েকদিন আগের কথাই চিন্তা করেন। হঠাৎ করে একজন প্রবল ক্ষমতা পেয়ে গেছে। তার বাবা সারা জীবন সাধারণ স্কুল শিক্ষক হিসাবে ছিলেন। ভালো মানুষ হিসাবেই এলাকাতেই পরিচিত। যেই না ছেলে উপদেষ্টা হয়েছে সেই তিনি ঠিকাদারী লাইসেন্স করে ফেললেন। যদিও সেই ক্ষমতাধর মানুষটি বলতেছেন যে অন্যের প্রয়োচনায় তার বাবা এই কাজ করেছে। আই মিন, সে কি দুদু খায় যে অন্যের প্রয়োচনায় এই কাজ করবে? এই যে ক্ষমতায় এসেছে ছেলের হাতে এখন এই ক্ষমতা ব্যবহার করে ঠিকাদারি কাজ নেওয়া যাবে, টাকা আয় হবে -এই লোভ, এটা কেউ সামলাতে পারে না। আমি এতো কথা বলছি, আমার হাতে যদি ক্ষমতা আসতো আমিও হয়তো এই একই কাজ করতাম। আমার পরিচিত একজন সরকারি চাকরি পেয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তাকে আমি চিনি। কোন দিন সে কারো কোন টাকা পয়সা মেরে খেয়েছে আমি শুনি নি কিংবা তার ভেতরে খারাপ কিছু আছে এটাও আমি কোন দিন শুনি নি। কিন্তু এই সরকারি চাকরিতে ঢোকার পরে ঘুষ খেয়ে একেবারে পেট ফুলিয়ে ফেলেছে। একেবারে আমার চোখের সামনে এই পরিবর্তনটা দেখছি। এটা নিয়ে সে বিন্দু মাত্র লজ্জিতও নয়। এছাড়া ছাত্র আন্দোলনের সাথে যুক্ত অনেকেই সেই একই কাজ শুরু করেছে। এই কমাসেই এদের নামে কত অভিযোগ এসেছে তার ঠিক নেই। অথচ এরাই কিন্তু আন্দোলনে সামনে ছিল। স্বৈরাচার মুক্ত করতে এদের ভূমিকা ছিল।
বাঙালীর পরিবর্তন আসলে সম্ভব না। প্রত্যেক বাঙালী সব সময় সুযোগের অপেক্ষাতে থাকে। আপনার আশে পাশে যারা সৎ মানুষ আছে, প্রায় শতভাগ নিশ্চিত থাকতে পারেন যে এরা সৎ কারণে এদের অসৎ হওয়ার কোন সুযোগ নেই। সুযোগের অভাবে এরা সৎ। সুযোগ যদি আসতো এদের ভেতরে প্রায় সবাই অসৎ হয়ে যেত। অনেকের মাঝে একটা ধারণা আছে যে গরীব মানুষেরা বুঝি সৎ। এই গরীবগুলো সব বেশি অসৎ আর ভয়ংকর। এদের কাছে যদি ক্ষমতা দেওয়া হয় এরা যে কী করবে তার কোন ঠিক নেই।
আমার এই লেখা পড়ে হয়তো ভাবছেন বেটার সাহস তো কম না, আমাকে অসৎ বলতেছে। আমার উপর রাগ হতে পারে। রাগ হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে আপনি নিজেও হয়তো ব্যাপার জানেন না। একটা ছোট পরীক্ষা করি। এই ঢাকা শহরে আপনি যখন চলচাল করেন, আগে যাওয়ার জন্য নিয়ম ভেঙ্গে গিয়েছেন উল্টা পথ দিয়ে গিয়েছেন? ডাক্তার কিংবা কোন সরকারী/বেসরকারী কাজে সিরিয়াল ভেঙ্গে আগে নিজের কাজটা করানোর জন্য কাউকে ধরেছেন? ভাবছেন, এই সামান্য কাজে যদি আমি করিই তাতেই কি আমি অসৎ হয়ে গেলাম? জ্বী, হয়ে গেলেন। আপনার কাছে সুযোগ আছে বলে আপনি নিয়ম ভেঙ্গে আগে নিজের কাজ করাচ্ছেন। যখন অফুরন্ত সুযোগ আসবে তখন কী করবের সেটার তো হিসাব নেই। এই সামান্য সুবিধার লোভ আপনি সামলাতে পারছেন না তখন সেই বড় সুবিধার লোভ কিভাবে সামলাবেন বলেন? আপনি এতোদিন সৎ থেকেছেন কারণ আপনার কাছে আসলে কোন সুযোগ আসে নি, এই জন্য আপনি সৎ। আপনি মানেন কিংবা না মানতে চান তাতে আসলে কিছুই যায় না। এটাই সত্য।
আমাদের বাড়ির পাশে একজন সৎ মানুষ হিসাবে পরিচিত মানুষ আছে। গ্রামের সবাই তাকে ভাল করে চেনে। কয়েক বছর আগে একদিন সে আমাকে ফোন দিয়ে বলল, তার ছোট ছেলে কলেজিয়েট স্কুলে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে চান্স পায় নি। আমি যেন একটু ব্যবস্থা করি। আমার কাছে ফোন দেওয়ার কারণ হচ্ছে আমার কাছের একজন বন্ধু এই স্কুলের স্যার।
তবে এটা সত্য যে এই দেশের অতি অল্প কিছু মানুষ সত্যি আছে যারা সুযোগ থাকা সত্ত্বেও একটা টাকার দুর্নীতি করে নাই কোন দিন। এমন কিছু মানুষ আছে। তবে এমন মানুষের সাথে আমার এই জীবনে এখনও পরিচয় হয় নি। এবার আপনি নিজের কাছেই প্রশ্ন করে দেখেন যে আপনি কোন দিন কোন অবৈধ সুযোগ নিয়েছেন কিনা? যদি সত্যিই কোন দিন আপনি কোন অবৈধ সুবিধা না নিয়ে থাকেন, যদি কোন দিন নিয়ম ভেঙ্গে নিজের কাজের জন্য কাউকে না ধরে থাকেন, আগে যাওয়ার জন্য কখনও ট্রাফিক নিয়ম না ভেঙ্গে থাকেন তাহলে আপনি নিজেকে একজন সৎ ভাল মানুষ হিসাবে দাবী করতে পারেন। না এখানে বলতে হবে না। আপনি নিজে কে বলুন। তাহলেই হবে।
পিক সোর্স : Pic
১৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ১১:২৫
অপু তানভীর বলেছেন: সব জাতিগোষ্ঠীর ভেতরে এমন ভাবটা আছে আমি স্বীকার করছি তবে বাঙালীর ভেতরে এটা প্রবলমাত্রায় আছে। আমার মনে হয় না পৃথিবীর আর কোন জাতীর ভেতরে এতো বেশি পরিমানে অসৎ লোক আছে।
আমি অবশ্য লেখায় বলেছি যে এমন মানুষের সাথে আমার একদম দেখা হয় নি তবে এখন মনে পড়ল যে আমার কাছের একজন বন্ধুও এমন রয়েছে। দুর্নীতি করতে হবে বলেই সে কোন দিন কোন অফিসে যোগ করে নি । নিজে একজন সফল ফ্রিলাঞ্চার হয়ে আছে । কম্প্রমাইজ করলে আজকে নিশ্চিত বিসিএস ক্যাডার হত। আপনিও সেই দলে জেনে ভাল লাগল। সত্যিই ভাল লাগলো। আপনার সাথে এইবার দেখা করতেই হবে দেখছি।
২| ১৮ ই জুন, ২০২৫ রাত ৮:৩২
শায়মা বলেছেন: হায় হায় এই পোস্ট পড়ে সবাই তো চিন্তায় পড়ে যাবে.......
বলুক না বলুক নিজেরাই ভাবতে বসবে...... আমরা কি সৎ!!!!
১৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ১১:২৬
অপু তানভীর বলেছেন: ভাবো ভাবো ! বসে বসে ভাবো!
৩| ১৮ ই জুন, ২০২৫ রাত ৮:৩৮
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: সুযোগের অভাবে আমরা সবাই সৎ। সুযোগ থাকা সত্বেও যে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে সে'ই হচ্ছে প্রকৃত মানব। ক্ষমতাবান হওয়া সত্বেও যে ক্ষমা করে সে'ই তো প্রকৃত ক্ষমাকারী, যার ক্ষমতাই নেই 'ক্ষমা' তার জন্য ইরিলিভেন্ট; ঠিক তেমনই যার কোন সুযোগ'ই নেই সৎ থাকার বিষয়টিও তার জন্য ইরিলিভেন্ট, আমি খুবই সৎ এই কথা সে গর্ব করতে পারে না।
আমাদের সমাজ অনেক ভালো মানুষকেও অসৎ হতে উৎসাহীত করে, অনেক সৎ মানুষ সমাজের চাপে অসৎ হয়।
আপনি নিজে যদি আজ উপদেষ্টা হতেন আর কোটিপতি না হতেন, তাহলে আপনার আসেপাশের মানুষজনই আপানে ধিক্বার দিতো যে- আপনি কত বোকা, আপনাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না.. ইত্যাদি।
১৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ১১:২৮
অপু তানভীর বলেছেন: এবং এই চাপটা কিন্তু পরিবারের ভেতর থেকেই আসে। পরিবারের মানুষই তাকে বাড়তি টাকা আয় করতে বলে। নয়তো কত রকম কথা যে শোনাবে তার ঠিক নেই। চোর হওয়াটা আমাদের কাছে স্বাভাবিক ব্যাপার সৎ হওয়াটা বরং আমাদের কাছে অস্বাভাবিক।
৪| ১৮ ই জুন, ২০২৫ রাত ৯:২৪
কামাল১৮ বলেছেন: গনতন্ত্র এবং জবাবদিহিতা পারে এই সমস্যা দুর করতে।শতভাগ দুর না হলেও সহনীয় হবে।
১৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ১১:২৯
অপু তানভীর বলেছেন: আমাদের এই উপমহাদেশে এটা সহজ ব্যাপার নয়।
৫| ১৮ ই জুন, ২০২৫ রাত ১০:৫০
সামিয়া বলেছেন: আমি ক্ষমতা পেলে সৎ থাকতাম তবে আমি এত সৎ যে ক্ষমতা পেতেই চাই না।
১৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ১১:৩২
অপু তানভীর বলেছেন: আপনাকে অভিনন্দন! জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সৎ থাকবেন এটাই আশা করি।
আমাদের সবারই কিন্তু এই ব্যাপারটাই মনে হয়। ক্ষমতা পেলে আমি সৎ থাকবো। তবে ক্ষমতা এলে সৎ থাকাটা খুবই কঠিন একটা ব্যাপার।
৬| ১৮ ই জুন, ২০২৫ রাত ১১:৫৮
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: যাদের বহু বছর ভালো মানুষ হিসেবে জানি, তাদের হঠাৎ পরিবর্তন আসলেই অবাক করে। হুমায়ূন আজাদের মনে হয় একটা উক্তি আছে- ক্ষমতা হচ্ছে নেমে যাওয়ার সিঁড়ি। আমার মনে হয় কথাটা বাঙালির ক্ষেত্রে শতভাগ সত্যি।
১৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ১১:৩৯
অপু তানভীর বলেছেন: একটা সাধরন মানুষকে যখন ক্ষমতা দেওয়া হয় তখন তার মাথা খারাপ হয়ে যায়। আর বাঙালি ক্ষমতা পাওয়ার সাথে সাথে এই চিন্তা করে যে এই ক্ষমতা ববহার করে কিভাবে ধান্দা করে নিজের পকেট ভরা যায়। এমনটা হয় মোটামুটি প্রায় শতভাব বাঙালির বেলাতেই।
৭| ১৯ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১:১২
রবিন.হুড বলেছেন: আসুন আমরা নিজেকে পাল্টাই এবং পরিবেশ পাল্টাই। নিজে ভালো কাজ করি এবং অপরকে ভালো কাজে উৎসাহিত করি।
নষ্ট সমাজে কষ্ট করে বেঁচে আছি বেশ, স্বপ্ন দেখি একদিন মোরা গড়বো সোনার বাংলাদেশ।
১৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ১১:৪৩
অপু তানভীর বলেছেন: এই আহবানে খুব একটা কাজ হবে বলে মনে হয় না। বাঙালি এতো সহজে ঠিক হবে বলে মনে হয় না।
৮| ২০ শে জুন, ২০২৫ রাত ১২:২৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ক্ষমতা পাইলে বাঙালী সৎ থাকতে পারে না কেন এমনটা.........আমার মতো ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করি সংক্ষেপে।
এর মূল কারন আমাদের শিক্ষার মান, আর্থ-সামাজিক আর রাজনৈতিক কারন। ক্ষমতার সাথে অর্থের সংযোগ আছে। আপনি যদি ক্ষমতাবান হন, আর অসৎ হন, তাহলে বাংলাদেশে আপনি ধনী হবেন। বাংলাদেশ একটা দরিদ্র দেশ। প্রকৃতিগতভাবেই মানুষ ভালো টাকা বানাতে চায়, কিন্তু সৎ থেকে আপনি টাকা বানাতে পারবেন না। একটা ভালো চাকুরী যোগাড় করতে পারবেন না। অথচ অসৎ হলে সব সম্ভব। মানুষের সামনে উদাহরন যেসব আছে, সব এমন। অসৎ ব্যবসায়ী, অসৎ আমলা আর অসৎ রাজনীতিবিদ। সৎ হয়ে কোনমতে জীবন-ধারন করা সম্ভব। কাজেই দ্রুত টাকা বানানোর জন্য মানুষ অসৎ হয়। আরেকটা বিষয় হলো, টাকা থাকলেই আমাদের সমাজে প্রভাব-প্রতিপত্তিও থাকে। পানিশমেন্টও নাই, থাকলেও টাকা দিয়ে সব ম্যানেজ হয়ে যায়। কাজেই অসৎ হওয়ার জন্য মানুষের মধ্যে কোন গিল্টি ফিলিংসও কাজ করে না।
ধনী দেশগুলোতে আপনি এই পরিস্থিতি দেখবেন খুবই কম। স্বাভাবিকভাবে নাই বললেই চলে। আমাদের দেশে যদি সোশ্যাল সিকিউরিটি থাকতো, তাহলে পরিস্থিতি অন্য রকম হতো।
আমার বিষয়ে বলি..........আমার নানাবাড়ি/দাদাবাড়ি যদি কনসিডার করি, সচিব পর্যায়ের আত্মীয় যেমন আছে, শীর্ষ পর্যায়ের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বও আছে। আমি এইচএসসি পাশ করার পর আমাকে বলা হলো, বিসিএসে শুধু রিটেন পাশ করলেই হবে। ভাইবা সামলানো হবে। আমি ছাত্র একেবারে খারাপ না, বিসিএসে রিটেন পাশ করা আমার জন্য খুব বেশী কঠিন কিছু না। তারপরেও বিসিএস দেই নাই। কারন আমি জানি, সরকারী হালাল টাকায় আমার চলবে না। সেখানে ঢুকলে আজ অথবা কাল আমি হয়তো ঘুষ খাওয়া শুরু করবো। এদিকে পারিবারিক টাকার উপরেও আমি নির্ভর করতে চাই না। আমি চাইতাম, যা করবো, নিজে করবো। তাই প্রাইভেট জবে ঢুকলাম। দেশের হিসাবে খুবই ভালো কামাই করতাম। তবে দেখলাম, বিলাসী জীবন-ধারনের জন্য সেই টাকা যথেষ্ট হলেও আমার যেই বেড়ানোর শখ, সেটা সেই টাকায় খুব বেশী পূরণ করা যায় না। শেষে বউয়ের চাপে আর অন্য বেশ কিছু কারনে বিলাতবাসী হইলাম!!!!
এখানে আমি আমার সব শখ পূরণ করতে পারি............তাও হালাল টাকায়। জীবনে আর কি চাই?
আমার নানাবাড়ি, দাদাবাড়ি; আমার বউয়ের নানাবাড়ি, দাদাবাড়ি মিলিয়ে একটা বিশাল আত্মীয়-স্বজন আছে আমার। দেশে আমার পক্ষে অনেক কিছুই করা সম্ভব ছিল। তবুও বিদেশে সেটল হওয়ার এটাই সংক্ষিপ্ত কারন। আপনারে কানে কানে বলি, ''আমার ব্যাঙ্কে যথেষ্ট পরিমানে টাকা নাই'' এই অবস্থা আমি মোটেই সহ্য করতে পারি না। আমি সাধুর জীবন যাপন করতে চাই না, কাজেই বড় বড় কথা বলে লাভ নাই। টাকা আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ!!!!!
২০ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১০:৩৪
অপু তানভীর বলেছেন: খুব ব্যতিক্রম ছাড়া হালাল টাকায় আসলেই পরিবার নিয়ে ভাল থাকা এবং বিলাসী জীবন যাপন করা আমাদের দেশে সম্ভব না। মানে শুধু চাকরি করে এটা একেবারেই অসম্ভব। একজন হলে অবশ্য থাকা যায়। কিন্তু যদি পরিবার নিয়ে থাকতে হয় তাহলে এটা প্রায় অসম্ভব একটা ব্যাপার। সেই ক্ষেত্রে বিশেষ হল সব থেকে উত্তম পন্থা ! আপনার সিদ্ধান্ত একেবারে ঠিক আছে।
আমার কোন দিন দেশের বাইরে গিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে নি। মনের ভেতরে একটু ইচ্ছেও হয় নি কোন দিন। কিন্তু এখন এই বয়সে এসে কেন জানি মনে হয় বাইরে গেলেই বুঝি ভাল। আমার বাবার দিককার সব কাজিনরা দেশেই বাইরে থাকে। একটু চেষ্টা করলেই হয়তো চলে যাওয়া যেত। কিন্তু কোন দিন ইচ্ছেই করে নি। কিন্তু এখন কেন জানি মনে হয় ভুলই করেছি জীবনে। এখন এমন অবস্থা যে যাওয়াটা বেশ টাফ !
আমার প্রয়োজন অবস্য সীমিত। এই ধরেন মাসে যদি আমি চার পাঁচটা বই কিনতে পারি, দুই মাসে একবার বান্দরবানে ঘুরতে পারি আর তিন বেলা যদি ভরপেট খেতে পারি, এতেই আমি খুশি আর কিচ্ছু দরকার নেই আমার।
৯| ২১ শে জুন, ২০২৫ সকাল ৯:৪৯
শায়মা বলেছেন: ক্ষমতা আসলে নানারকম...... কত রকম ও কি কি সময় পেলে বলবো ...... অনেক ক্ষমতাতেই সৎ থাকা সম্ভব। তবে শুধু পলিটিকাল বা সরকারী কর্মচারী ক্ষমতা পেলে সৎ থাকা কষ্টকর হয়ে পড়ে তাদের কাছে.... এটা বললে অন্য বিষয়.....
২১ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১০:২৭
অপু তানভীর বলেছেন: সৎ থাকতে চাইলে সৎ থাকা যায়! কষ্টকর, পরিস্থিতির স্বীকার এসব আসলে অযুহাত ছাড়া আর কিছুই না।
সুযোগ থাকলে বাঙালি সৎ থাকে না । এটাই আসলে বাস্তব কথা। ব্যতিক্রম আছে তবে উদাহরন হতে পারে না।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই জুন, ২০২৫ রাত ৮:০৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনের শিরোনাম ঠিক আছে। এইটা বেশীরভাগ মানুষের জন্য প্রযোজ্য। তবে এইটা শুধু বাঙ্গালীর দোষ না। বিশ্বের কমবেশী সবার মধ্যেই আছে। বাঙ্গালীর মধ্যে এইটা কেন বেশী, সেটা আমি ব্যাখ্যা করতে পারি, তবে বিশাল ব্যাখ্যা হবে। অফিসে থাকায় এই মূহুর্তে সম্ভব না। অবশ্য বাসায় গেলেও সম্ভব না। সেটাও ব্যাখ্যা করা যায়!!!!

সবকিছুর মতো এইটারও ব্যতিক্রম আছে, যেইটা আপনে শেষের প্যারায় কইছেন। আমি নিজেই সেইরকম। আমার কথা কইলে মনে হবে নিজের ঢোল নিজেই পিটাইতেছি...........তাই কইলাম না। শুধু কই, বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষমতাবান হইতে যা যা দরকার হয়, তার সব পটেনশিয়ালিটিই আমার মধ্যে ছিল, কিন্তু তা না কইরা আজকে বিদেশে থিতু হইছি। সেটাও ওই একই কারনে, অর্থাৎ সুযোগ নিবো না বইলা।