| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার একটা বিএমডাব্লিউ আছে। জ্বী, গাড়ি না। ছাতা। মোটোস্পট বিএমডাব্লিউ। এখন এই ছাতা প্রায় জনের হাতেই দেখা যায়। তবে আমি যখন কিনেছিলাম তখন কালে ভাদ্রে দেখা যেত। তবে এখন অনেকের কাছেই এই ছাতা দেখা যায়। ছাতা হিসাবে এটার মান অনেক ভাল। যেমন বড় তেমনি মজবুত। এই ছাতা আমার বেশ পছন্দের ছিল।
আমার একটা অভ্যাস হচ্ছে, পছন্দের ব্যবহারের জিনিস আমি ব্যবহার না করে যত্ন করে রেখে দিই। দরকারি জিনিস হলেই সেই জিনিসের মত আরেকটা জিনিস কিনি তবেও সেটা ব্যবহার না করে যত্ন করে রেখে দিই। আমার পছন্দের একটা কালো প্যান্ট ছিল। এই প্যান্টটা কাপড় যেমন ছিল আরামদায়ক তেমন আমার শরীরের সাথে একেবারে ফিট হত চমৎকার ভাবে। এই এটা আমি কম কম পড়তাম। একদিন দুদিন পরেই আবার ধুয়ে ইস্ত্রি করে রেখেই দিতাম। অন্যান্য প্যান্ট পরতাম। তারপর একদিন পরতে গিয়ে দেখি সেই প্যান্ট আর আমার কোমর দিয়ে উপরে ওঠে না। এই বছরের শুরুতেই আমার কোমর একটু যেন মোটা হয়ে গেছে। যেসব প্যান্ট আমার একেবারে পার্ফেক্ট ফিটিং হত সেই সব প্যান্ট এখন আর পরা যায় না। তাই দারোয়ানকে দিয়ে দিয়েছি। এই রকম আরও কত কাহিনী রয়েছে।
এই ছাতার বেলাতেও ঠিক একই ঘটনা ঘটল। আমার ছাতাটা এতোটাই পছন্দ হল যে আমার এই ছাতাটা আর ব্যবহার করতে ইচ্ছে হল না। আমি ছাতাটা যত্ন করে রেখে দিলাম। তার বদলে আমি আরেকটা ছাতা কিনলাম। আরেকটু কমদামী। তারপর থেকে সেই ছাতাই আমি নিয়মিত ভাবে ব্যবহার করে আসছিলাম। কালে ভাদ্রে আমি এই বিএমডাব্লিউ ছাতাটা ব্যবহার করতাম। ট্যুরেফুরে গেলাম ছাতা নিয়ে যেতাম, অথবা যেদিন সাইকেল নিয়ে না গেলে তখন এই ছাতা নিয়ে বের হতাম। বেশির ভাগ সময়ে ছাতাটা ঘরেই থাকত। বৃষ্টির সময়ে এদিক ওদিক যেতে হলে অন্য ছাতাটা আমি নিয়ে বের হতাম।
এই বছর বর্ষার শুরুতে যেদিন প্রথম আমি বিএমডাব্লিউটা নিয়ে বের হলাম তখনই একটা অবাক হওয়ার ব্যাপার খেয়াল করলাম। আমার ছাতার পর্দায় ভাজের দাগ পড়ে গেছে। অর্থ্যাৎ দীর্ঘদিন ছাতাটা না খোলা আর না ব্যবহারের কারণে ছাতাটা ভাজ অবস্থার দাগ পরেছে। কালো পর্দার মাঝে ধূসর দাগ। মনটা বেশ খারাপই হল। এরপর অবশ্য টুকটাক এই ছাতা নিয়ে বের হতাম। তবে এই বার ঠিক বৃষ্টিতে ছাতাটা আমাকে ব্যবহার করতে হয় নি। সেদিন দুপুরের দিকে বেশ ভাল বৃষ্টি পড়ছিল। এই ছাতাটা নিয়েই বের হলাম। বেশ কিছু সময় ছাতা মাথায় দিয়ে এদিক সেদিক ঘুরে বেড়ালাম। তারপরই ব্যাপারটা খেয়াল করলাম। ছাতা দিয়ে পানি পড়ছে। যে যে স্থানে দাগ পরে গিয়েছিল সেই স্থানের পর্দা বেশ পাতলা হয়ে গেছে। এই কারণে প্রবল বৃষ্টিতে পানি পর্দা ভেদ করে ভেতরে চলে আসছে। তারমানে ছাতাটা আসলেই ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে যাচ্ছে। একটা জিনিস ব্যবহার করে যদি নষ্ট হয়ে যায় তবে পুরোপুরি উপযোগ নিয়ে নেওয়া যায়। কিন্তু যখন ঠিকমত ব্যবহার করলাম না, তার আগেই জিনিসটা নষ্ট হয়ে গেল ।
এটা একটা আফসোসের ব্যাপার।
২২ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১১:৩১
অপু তানভীর বলেছেন: এই ছাতা কিন্তু আসলেই চমৎকার। কোন দিন যদি আপনের সাথে দেখা হয় তবে এই একটা ছাতা আপনেরে উপহার দিমু নে!
২|
২২ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১১:৪৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: যাক........বই আর ছাতা জমলো। আরো কিছু জমুক, তারপরে সাক্ষাতে একসাথে সব নিমু। ![]()
২৬ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:০৪
অপু তানভীর বলেছেন: জমা রইলো। তখন কইতে পারুম যে ব্লগার ভুয়া মফিজকে আমি একটা বিএমডাব্লিউ উপহার দিয়েছি। ![]()
৩|
২৫ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ২:৪৬
শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার এই জামা-জুতো, নিত্য ব্যবহার্য জিনিসের প্রতি মায়ার অনুভূতিটা আমার বরাবরই খুব কৌতূহলের বিষয় মনে হয়। আপনার জীবন-যাপনের মধ্যে যে বেশ একটা কবিত্ব আছে, এই ঘটনাগুলোর ভিতরে সেটা প্রকাশ পায়।
আগে উল্লেখ করেছিলাম কি না মনে নেই, জার্মান কবি রাইনার মারিয়া রিলকের নাকি এমন অনুভূতির তীব্রতা ছিল। কোথাও বেড়াতে গেলে, সেই হোটেল বা বাড়ির আসবাব, আয়না, চিরুনি, সবকিছুর প্রতিই নাকি তাঁর মায়া পড়ে যেত।
আপনার ছাতার ছবিটা দেখে কিন্তু মনে হচ্ছে, এটা এখনও বেশ ভালো আছে। আশা করি, আরও অনেকদিন ব্যবহার করতে পারবেন।
২৬ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:০৬
অপু তানভীর বলেছেন: এই ব্যাপারটা আমার নিজের ভেতরে আছে সেই ছোট বেলা থেকে। পছন্দের জিনিসগুলো আমি যত্ন করতে পছন্দ করি এমন কি সেটা ব্যবহারের জিনিস হলেও।
পোস্টের ছাতার ছবিটা একেবারে হুবাহু আমার ছাতার মত তবে ছবিটা আমার ছাতার নয়। দাড়ান আপনার জন্য আমি ছাতার ছবি তুলে ছবিটা বদলে দিবো নে এক সময়ে।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১১:২১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ছাতাটা আমার খুবই পছন্দ হইছে। এইটা আমার গাড়িতে রাখলে লোকজনকে দেখায়ে বলতে পারতাম যে, কোম্পনীর তরফ থেকে উপহার পাইছি।

ব্যবহার না করলে যে সমস্যা হয়, সেইটা গতপরশু খুব ভালো বুঝছি। বহুদিন পরে ওয়াইপারের পানি স্প্রে করতে গিয়ে দেখি যে, গাড়ির ওয়াশার জেট কাজ করছে না। মেকানিককে দেখালাম, সে বললো বহুদিন ব্যবহার না করার ফলে ট্যাঙ্কে স্লাজ জমে চ্যানেল ক্লগড হয়ে গিয়েছে। বেশ কিছু টাকা হুদাই গচ্চা দেওয়া লাগলো।