| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আপনাকে যদি প্রশ্ন করা হয় যে জীবনে এমন কতবার হয়েছে যখন আপনার মনে হয়েছে যে আপনি এখনই মারা যাচ্ছেন? আমি হিসাব করে দেখলাম আমার জীবনেও এমন ঘটনা ঘটেছে। আমি শান্তশিষ্ট জীবন যাপন করতে পছন্দ করি। সব ঝামেলা গ্যাঞ্জাম এড়িয়ে চলি। তাই আমি বিপদে কম পড়ি। তারপরেও এমন কিছু ঘটনা চলে আসে যখন মনে হয় যে আমি বুঝি এবারই মারা যাব। যতদূর মনে পড়ে এমন ঘটনা আমার সাথে তিনবারই ঘটেছে এবং সেটা দশ বছরেরও কম সময়ের ভিতরে। এর আগে এমন কিছু সম্ভবত আমার সাথে ঘটে নি। আমি বড় রকমের দুর্ঘটনায় পড়ি নি। সাইকেলে কয়েকবার এক্সিডেন্ট করেছি এই যা!
প্রথম ঘটনাটা সম্ভবত ২০১৭ সালের ঘটনা। আমি তখন একটা দুরন্ত সাইকেল চালাতাম। আমি ঢাকা শহরে অনেক দিন থাকলেও নিয়মিত সাইকেল চালাতে শুরু করি মূলত ২০১৭ সাল থেকে। এর আগে ২০১৪ সালে একবার চেষ্টা করেছিলাম তবে সেদিনই একটা বাসের সাথে ধাক্কা লেগেছিল। ভয় ধরেছিল মনে। তাই তখন সাইকেল চালানো শুরু করি নি। তবে ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাস থেকে একেবারে নিয়মিত ভাবেই সাইকেল চালানো শুরু করি। যাইহোক সেইদিন মগবাজার থেকে বাংলামোটর মোড় দিয়ে সোজা যাচ্ছি কাঠালবাগানের দিকে। ঐদিকে একটা তিন রাস্তার মোড় রয়েছে। তখন সেখানে বেশ ভাল জ্যাম পড়ত। আর আমি অন্য সাইকেল চালকদের মত কখনই সিগনাল ভেঙে পার হতাম না। তবে সেদিন যে আমার কী হল আমি বলতে পারলাম না। আমি না থেমে সোজা পার হতে গেলাম। তখন দুই দিক থেকেই দুটো ট্রাক আসছে। আমি একেবারে তাদের মাঝে গিয়ে পড়লাম। অবস্থাটা এমন যে আমি যেদিকেই যাই না কেন সোজা ট্রাকের নিচেই পড়ব। তখনই আমার মনে হল যে আমি মারা যাচ্ছি। বুকের ভেতরে একটা ধড়ফড়ানি শুরু হয়ে গেল। ভাগ্য ভাল যে দুটো ট্রাকই একদম আমার সামনে এসে ব্রেক কষল। এদের ভেতরে কেউ যদি সেদিন ব্রেক না কষত, আমি সোজা উপরে চলে যেতাম। তারপর থেকে সাইকেল চালানোর ব্যাপারে আমি আরো সাবধানী হয়ে উঠেছি। সিগনাল ভাঙি না। সব সময় সময় নিয়ে আস্তে ধীরে চলি। এই গেল প্রথম ঘটনা।
দ্বিতীয় ঘটনা ঘটেছিল ২০২১ সালে। এই ঘটনা সম্ভবত আমি আগেও কোন লেখায় উল্লেখ করেছি। আবারও বলি। আপনারা অনেকেই জানেন যে আমি বেশ কয়েকবার বান্দরবানে গিয়েছি। দুর্গম সব পাহাড়ে অনেকবার ঘুরে বেড়িয়েছি। এই ঘটনাটাও ঘটেছিল এমন এক ট্যুরেই। সেবার আমি উঠেছিলাম জ্যোতলংয়ে। এটা আনঅফিশিয়াল ভাবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাহাড়। সেই সময়ে এই পাহাড় খুবই দুর্গম ছিল। এখন অবশ্য নতুন পথ আবিষ্কার হয়েছে। এখন যাওয়াটা তুলনামূলক ভাবে সোজা। তবে আমি যখন গিয়েছিলাম তখন খুবই কঠিন ছিল। আমি ভোর বেলা রওয়ানা দিয়ে দুপুরে সেই চূড়ায় উঠলাম। কিছু সময় সেখানে অতিবাহিত করে আবারও নামতে শুরু করলাম। আমি সবার আগেই ছিলাম বলা যায়। সময়টা তখন প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেছে। এই পাহাড়ে এমন অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে বাঁশ ধরে ধরে নামতে হয়। এমনই খাড়া। এমনই একটা খাড়া দিয়ে নামছি আর আমার হাত থেকে বাঁশ ছুটে গেল। আমি দৌড়ে নিচে নামতে শুরু করলাম। আমি কিছু ধরতে পারছি না আর নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার তো প্রশ্নই আসে না। একেবারে সোজা খাদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। যদি সেখান থেকে নিচে পড়ি তবে হাজার ফুট নিচেই পড়ব। সেই সময়েও আমার মনে হল আমি মারা যাচ্ছি। আমার আর রক্ষার কোন উপায় নেই। তবে সেইবারও রক্ষা পেলাম। সামনের একটা বাঁশ ঝাড়ের উপর সাথে ধাক্কা খেলাম আর কোন মতে নিজেকে রক্ষা করলাম। হাত পায়ের বেশ কয়েক জায়গায় কেটে কুটে গেল। এই ভয়টা ছিল তীব্র। তারপর পুরো পথটা আমি কিভাবে এসেছি তা আমিই জানি। দুবছর পর আবারও সেই পাহাড়ে উঠেছিলাম। সেই একই জায়গা দিয়ে। তবে সেবার আর কিছু হয় নি।
তৃতীয় ঘটনা ঘটল গতকাল শুক্রবার। যারা ঢাকাতে থাকেন তারা বোধ করি সবাই কালকের ভূমিকম্প টের পেয়েছেন। আমি এর আগে ঢাকায় অনেক ভূমিকম্প টের পেয়েছি। নেপালে যেবার ভয়ানক ভূমিকম্প হল তখন বেশ ভাল ঝাকুনি দিয়েছিল। কিন্তু মোটেই ভয় লাগে নি। একবারের কথা মনে আছে। আমি পড়াতে গিয়েছি। ঠিক সেই সময়ে ভূমিকম্প শুরু হল। আমার ছাত্র আর ছাত্রের মা দরজা খুলে সোজা নিচে নেমে গেল। আমি ওদের বাসার দরজার কাছেই দাঁড়িয়ে মোবাইল টিপতে লাগলাম। পনের মিনিট পরে ওরা এল। এছাড়া আরও অনেকবারই এমন হয়েছে। কাঁপাকাঁপি শুরু হলেই আমি মোবাইল বের করে স্ট্যাটাস দেওয়া শুরু করি। শুক্রবার সকালে যখন প্রথম মৃদু ঝাকুনিটা দিল আমি তখন পিসির সামনে বসা। একটা লেখার প্রুফ দেখছিলাম। প্রথম ঝাকুনিতে আমি বুঝতে পারলাম ভূমিকম্প শুরু হয়েছে। কিন্তু ঠিক তার পরে যে ঝাঁকুনিটা দিল সত্যি বলতে তখনই আমার মনে হল যে এবার বিল্ডিং ভেঙে পড়বে। আমার পিসি বন্ধ হয়ে গেল। আমি যে দৌড়ে ঘর থেকে বের হব সেই বোধটুকু আমার মধ্য থেকে চলে গেল। আমি আমার চেয়ারেই বিমূঢ় হয়ে বসে রইলাম। আমি আশে পাশের মানুষের চিৎকার শুনতে পাচ্ছিলাম। যখন কাঁপুনিটা থামল আমি অনুভব করছিলাম আমার বুকের ভেতরের কাঁপুনি থামে নি। সেটা ঢিপঢিপ করছেই। সেটা থামতে বেশ সময় লাগল। ভূমিকম্প নিয়ে এটাই আমার সব থেকে বড় ভয় পাওয়া। আমি সত্যিই মনে করেছিলাম যে এবার মারা যাব। এবং সত্যি বলতে কি মনের ভেতরে এখনই সেই ভয়টা লুকিয়ে রয়েছে। মনে হচ্ছে যেন আরেকবার যদি ঝাঁকি দেয় তবে কী হবে!!
ছবি সুত্র
২২ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১০
অপু তানভীর বলেছেন: জীবনে এমন ভাবে আমি কোন কাঁপন অনুভব করি নি। এমন ভাবে যে বিল্ডিং কাঁপবে সেটা আমি কোন দিন কল্পনাও করি নি।
২|
২২ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৫৭
কাছের-মানুষ বলেছেন: এবারের ভূমিকম্প নিয়ে অনেকেই দেখি তাদের ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা লেখছে।
বাংলাদেশে ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হলে সেটার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কি হবে সেটা কল্পনা করতেও ভয় হয়!
যাইহোক, আপনার ওয়েবসাইটে ঢু মারলাম, সুন্দর বানিয়েছেন। এটাকি কোন পাবলিক সাইট ব্যাবহার করে ডোমেইন নিয়েছেন, নাকি পুরো সাইটটাই বানিয়ে হোষ্টিং করেছেন কোথাও?
২২ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৩
অপু তানভীর বলেছেন: ৮ মাত্রা তো অনেক পড়ে যে সাড়ে পাঁচ হয়েছিল সেটা যদি আরো সেকেন্ড ৩০ ধরে হত তাহলেই দেখতেন কী ঢাকা শহরের!
সাইটটা পুরোটাই হোস্টিং নিয়ে করা। ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে পুরো সাইট আমি নিজেই তৈরি করেছি।
৩|
২২ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৫৮
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
ক্লাস ৩-৪ পড়ি হয়তো ..... কোন এক করনে মাঝরাতে রাতে হঠাৎ প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে পড়ি; হাসপাতালে হাতে স্যালাইন দেওয়ার পর রক্ত উঠে যায় অনেক টিউবে কিন্তু আমার কোন রকমের ব্যাথার অনুভূতি ই নাই। আব্বু এমনি অনেক রাগী মানুষ নার্স কে প্রচন্ড বকাবকি করলেন। আমার মধ্যে বড্ড অবসাদ, ক্লান্তি, চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছি। আব্বু একটু পরপর আমাকে নাড়িয়ে বলছিল "বাবা এখন কেমন লাগছে".... আসলে আব্বু বুঝতে চাইছিল আমি বেঁচে আছি কিনা....
২২ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৫
অপু তানভীর বলেছেন: জীবনে সবাই কখনো বা কখনো এমন অভিজ্ঞ্যার সম্মুখীন হয়!
৪|
২৩ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:১০
মলাসইলমুইনা বলেছেন: অপু তানভীর,
খাগড়া ছড়ির এক পাহাড়ের রাতে আর্মি ক্যাম্পের এক আধা বাংকারে আমরা ১৯৯০ সালের টর্ণেডোটার মুখে পড়েছিলাম । শেষ রাতের দিকে দেখি ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর মঞ্জুর, ঢাকা ইউনিভার্সিটি প্রক্টর (আমাদের টিম লিডার) তারা দুজন পাশের কমান্ডারের ব্যাংকার ছেড়ে আমাদের বাংকারে এসেছেন । কারণ ওই বাংকরে টিনের চাল উড়ে গেছে । ঘুমকে আলবিদা করে তাদের হস্পিটালিটির জন্য আমাদের চৌকিগুলো ছেড়ে দিয়ে আমরা উঠে বসলাম । তাদের শুভ আগমনের কারণেই কিনা ভোরের দিকে আমাদের বাংলারের টিনের চালটাও উড়ে গেলো ! বাইরে ভয়াবহ বাতাস । শো শো শব্দ । তখনও জানি না কিন্তু সেই সময় পতেঙ্গার টর্নেডোর তান্ডবে সামুদ্রিক জাহাজ উঠে গিয়েছে পতেঙ্গা বিচের রাস্তায় বিএনএস ঈসাখানের কাছে । একটা জাহাজ যেয়ে কর্ণফুলু সেতুতেও আছড়ে পড়েছে । কয়েকশো মানুষ মনে হয় মারা গিয়েছিলো ওই টর্নেডো তে । ওটাই জীবন মৃত্যুর কাছাকাছি সবচেয়ে বড় তান্ডবের কাছাকাছি যাওয়া আমার । কিন্তু সকালে আর্মি ক্যাম্পের কম্বল জড়িয়ে পাহাড়ের প্রান্তে দাঁড়িয়ে আমি রিমঝিম বৃষ্টিতে ভিজে আমি পাহাড়ে বৃষ্টি পড়া দেখলাম অনেক্ষন। আকাশ থেকে ঝরে পড়া বৃষ্টি বাতাসে আমার সামনে দিয়ে ভেসে ভেসে অনেক নিচে পাহাড়ের ঘন সবুজে যেয়ে পড়ছে সেটা যে কি অপূর্ব দেখতে ! তাই সেই মরণঘাতি টর্ণেডোটাও আর তেমন মরণঘাতি মনে হয় নি বরং ওটাই হয়ে আছে আমার সচেয়ে সুন্দর বৃষ্টি দেখার একটা অভিজ্ঞতা। আপনার ভূমিকম্পের মতো কঠিন অভিজ্ঞতার সামনে আমার পড়তে হয় নি আসলে কখনোই।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৩২
অপু তানভীর বলেছেন: আপনার সেই সময়ের অভিজ্ঞতার কথা আমি কল্পনা করার চেষ্টা করছি। এমন কয়েকবার হয়েছে যে পাহাড়ে যখন ছিলাম তখন তীব্র বৃষ্টির ভেতরে পড়েছি তবে ঝড়ের ভেতরে পড়ি নি। তাই পুরোপুরি ভাবে আপনার অবস্থা কল্পনা করা আমার পক্ষে কোন ভাবেই সম্ভব না। আসলে একজন মানুষ যে অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে যায় অন্যজন কখনই সেটা পুরোপুরি উপলব্ধি করতে পারে না যতসময় না ঠিক একই জিনিস তার সাথে ঘটছে।
৫|
২৩ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৪৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এমন কতবার হয়েছে যখন মনে হয়েছে আপনি মারা যাচ্ছেন? আমার জীবনে নিশ্চিতভাবে দুইবার, আর একটু উনিশ-বিশ হলেই মারা পড়তাম, আগে-পরে এমন উপলব্ধি হয়েছে বেশ কয়েকবার।
দেশে একবার ভুমিকম্পের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হয়েছিল। তখন মাত্রই বিয়ে করে সংসার শুরু করেছি। চারতলায় বাসা ছিল। ডাইনিং স্পেসে দাড়িয়ে দুলতে দুলতে ভাবছিলাম, হে আল্লাহ..........মাত্রই বিয়া করলাম। এখনই পরপারে পাঠায়ে দেওয়া তোমার কেমন বিচার!!!!! ![]()
২৪ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৩৪
অপু তানভীর বলেছেন: আসলে আপনাকে আসন্ন বিপদের সংকেত দিয়েছিল। বিয়ের পর যে আপনার উপরে যে বিপদ নেমে আসছে সেটাই একটা সামান্য সংকেত! ![]()
একদিন বিস্তারিত লিখে ফেলেন সেই অভিজ্ঞতাগুলো নিয়ে। সেই সময়ে আপনার মনভাব কেমন হয়েছিল সেটা জানার অপেক্ষায় রইলাম!
৬|
২৩ শে নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৬:২৭
সুলাইমান হোসেন বলেছেন: @নাইমুল ইসলাম ভাই,এত সুন্দর একটি নাম উল্টিয়ে কেন লিখেছেন।আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা;
২৪ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৩৫
অপু তানভীর বলেছেন: নিক তো যেমন ইচ্ছে লেখাই যায়। এতে কোন সমস্যা নেই।
৭|
২৩ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২৫
কামাল১৮ বলেছেন: ৭১ রে একাধিক বার হয়েছে।একবার আমরা আটজন ছিলাম সাত জনই মারাগেছে।শুধু আমি বেছে ছিলাম।সেই সাত জনের একজন ছিলো অধ্যাপক হুমায়ুন কবিরের ভাই তারেক।কুসমিত ইস্পাত হুমায়ুন কবিরের কাব্যগ্রন্থ।একটি কবিতা তারেককে নিয়ে লেখা।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৩৫
অপু তানভীর বলেছেন: তাই নাকি!
৮|
২৩ শে নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১১
শ্রাবণধারা বলেছেন: এই ভুমিকম্প সবাইকে কাপিয়ে দিয়েছে। আপনার মতো অনেকেরই এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে, শুনলাম।
২০১১ সালে ঢাকায় একবার সন্ধ্যার দিকে খুব জোরে ভুমিকম্প হয়েছিল। আপনার মনে আছে কি? আমি যদি ভুল না করি, সেটার মাত্রা বোধহয় ৭ এর কাছাকাছি ছিল। সেবার আমরা খুব ভয় পেয়েছিলাম। এবার মনে হলো ভয়টা আরও বেশি অনুভূত হয়েছে।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৩৮
অপু তানভীর বলেছেন: এটার মাত্রা ছিল কিন্তু মাত্র সাড়ে ৫ কিন্তু এটার উৎপত্তি স্থল ছিল ঢাকার একেবারেই কাছে। এই জন্য এতো তীব্র ভাবে অনুভূত হয়েছে। ঢাকার এতো কাছে এতো বড় আর কোন দিন হয় নি। ২০১১ সালের ওটার উৎপত্তি স্থল কি ঢাকার কাছে ছিল? আমার এটা স্পষ্ট মনে নেই।
৯|
২৩ শে নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৩
মো কবির আল মামুন বলেছেন: বেশ কয়েক বার হয়েছে।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৩৮
অপু তানভীর বলেছেন: সেই অভিজ্ঞতা লিখে ফেলুন।
১০|
২৩ শে নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৪
নতুন বলেছেন: দুইবারের কথা মনে পড়ছে।
প্রথম বার আপনার মতন রাস্তায় বাইকে। ১৯৯৫ এ কয়েকদিন আগে কম্পিটার কিনে দিয়েছেন মা। কি সেই কম্পিউটারের জন্য কিছু একটা আনতে এক বন্ধুর বাসা থেকে ফেরার সময় শীতের রাতে উলের গ্লাফভস পড়ে মটর ছাইকেল চালাচ্ছি।
তখন একটা গাড়ী কে অভার টেক করছি আর অপর পাশ থেকেও ট্রাক আছছিলো। আমি তো শুধুই স্পিড বাড়িয়ে ওভার টেক করে ফেলবো।
কিন্তু যখন আমরা মাঝা মাঝি তখণ এক্সেলারেটার বাড়াতে গিয়ে উলের গ্লোভসে কুয়াশা থেকে শিশিরের মতন জমে হাতল পিচ্ছলে যাচ্ছিলো। তখন হঠাত মনে হয়েছিলো আমি পার হতে পারবো না এবং ট্রাকের সামনা পড়ে যাবো।
পরের সেকেন্ডেই আমরা পার হয়ে গিয়েছিলাম, কিন্তু ঐ একটা মুহুর্তের জন্য মনে হয়েছিলো আমি যেতে পারবো না এবং সামনের ট্রাকের সামনে আঘাত করবো। ![]()
২৪ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫০
অপু তানভীর বলেছেন: এই মুহুর্তগুলো খুব অল্প সময়ের জন্য হয়। কিন্তু সেই অনুভূতিগুলো যে কতটা তীব্র হয় সেটা বলে বোঝানোর মত নয়, তাই না?
১১|
২৩ শে নভেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১১
জুন বলেছেন: ছোট্ট নৌকায় বিরুলিয়ার বিল পাড়ি দিতে গিয়ে ঝড়ের মধ্যে পরে মনে হয়েছিল অদ্যই শেষ দিবস অপু ![]()
২৪ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫১
অপু তানভীর বলেছেন: সাঁতার পারেন না?
১২|
২৪ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ২:৩২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
লেখাটি পড়তে গিয়ে যে অনুভূতি সবচেয়ে তীব্রভাবে এসে ধাক্কা দেয়, তা হলো জীবনের ভঙ্গুরতা আর মানুষের
ভিতরের নিঃশব্দ ভয়। আপনি খুব সাধারণ, নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে তিনটি মুহূর্তের কথা বলেছেন; কিন্তু প্রতিটি ঘটনাই
যেন আমাদেরকে থমকে দাঁড় করায়।
সাইকেলের ট্রাক বৃত্তান্তের সময় মনে হয়, জীবনের শেষ সীমারেখা আসলে কতটা সূক্ষ্ম! একটা ভুল সিদ্ধান্ত, এক
সেকেন্ডের দেরি এবং বাঁচা-মরার হিসাব মুহূর্তেই বদলে যায়। পাহাড়ের অভিজ্ঞতাটা তো আরও দমবন্ধ করা
একটা বাঁশের হাতছাড়া হয়ে যাওয়া, নিয়ন্ত্রণহীন ছুটে যাওয়া, নিচে অসীম খাদ এগুলো কেবল শব্দ নয়; আমাদের
চোখের সামনে দৃশ্যটা যেন ফুটে ওঠে।
আর ভূমিকম্পের জায়গায় এসে লেখা আরও মানবিক হয়। বড় দুর্ঘটনা নয়, বরং নিজের ঘরের ভেতর, পরিচিত
দেয়ালের মাঝে হঠাৎ মৃত্যুবোধ ,এটা যেন মানুষকে খুব অসহায় করে ফেলে। আপনি যেভাবে বিমূঢ় হয়ে চেয়ারে
বসে থাকার কথা বলেছেন, তা সত্যিই গভীরভাবে নাড়া দেয়।
সব মিলিয়ে, আপনার লেখাটি শুধু তিনটি ঘটনা নয়; বরং মানুষ হিসেবে আমাদের সীমাবদ্ধতা, ভয়, আর বেঁচে
থাকার সৌভাগ্য ,এই তিনটিকেই খুব নিভৃত অথচ নির্মোহভাবে তুলে ধরে। আমাদের মনে শেষ পর্যন্ত একটা
উপলব্ধিই গেঁথে থাকে, আমরা কতটুকু দুর্বল, তবুও কী আশ্চর্যভাবে বেঁচে থাকি!
জনান্তিকে বলে রাখি আমি কিন্তু জীবনে অনেকবার অনেকটাই মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছি । বাল্যকালেরটা
এই ব্লগে বাল্যকালের স্মৃতি কথায় লিখেছি । বাকিগুলো গুলি ঘটেছে তার পরে , শেষ ঘটেছে বিগত কভিড-১৯
কালে । সেসময় ১৩ দিন হাসপাতালে নিবীর পরিচর্যা কেবিনে থেকে ডাক্তার নার্সদেরদের আন্তরিক সেবা আর
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লার অসীম রহমতে সম্পুর্ণ সুস্থ হয়ে ফিরেছি ,যে সময় ডাক্তারগন আমার বেচে
থাকার সম্ভাবনার আশা সম্পুর্ণ ছেড়ে দিয়েছিলেন । রানী এলিজাবেথ হসপিটালের কেবিনে শুয়ে শুয়ে জানালার
গ্লাসের ছোট্ট ফাক দিয়ে দেখেছি করোনা ইউনিটের করিডর দিয়ে প্রতিদিন কয়টি করে কফিনে ঢাকা মানুষ নিয়ে যেতে।
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহর প্রতি অসীম শুকরিয়া তিনি আমাকে সুস্থ দেহে পরিবার পরিজনের মধ্যে ফিরিয়ে
এনেছিলেন , আমারর স্ত্রীও সে সময় করুনা ক্রান্ত হয়ে পাশের কেবিনেই ছিল । আল্লাহর রহমতে আমরা একসাথে
সুস্থ দেহে ঘরে ফিরি , তবে ঘরে ফিরে দেখি আমার ডাক্তার ছেলে মেয়ে ঘরে করুনাক্রানত। তারা তাদের
করুনাক্রান্তের কথা আমাদের কাছ থেকে গোপন রেছেছিন, আমরা যেন ভারাক্রান্ত হয়ে মবনসিকভাবে আরো
দুর্বল হয়ে না পরি । মেয়ে ডাক্তার হওয়ায় করুনায় কিভাবে প্রাথমিক ধাক্কা সামলানো যায় সেকল প্রয়োগ করে
ঘরে থেকেই সুস্থ থাকতে পেরেছিল । যাহোক, আপনার পোস্টপাঠে নস্টালীয়ায় পড়ে গিয়ে নীজের অনেক কথাই
বলে ফেলেছি প্রসঙ্গক্রমে ।
ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন এ শুভকামনাই রইল
২৪ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৬
অপু তানভীর বলেছেন: আপনার মন্তব্য আমাকে সব সময়ই আনন্দ দেয়। বিশেষ করে পোস্টের নিগুঢ় বিশ্লেষণ আপনার মন্তব্য থেকে পাওয়া যায়। একেবারে ঠিক বিশ্লেষণ করে থাকেন। এই জন্য আবারও ধন্যবাদ। কোন সময়ে পোস্টের থেকে আপনার মন্তব্যের ওজন বেশি হয়ে থাকে।
আপনার অভিজ্ঞতা সম্ভবত আরো ভয়ানক ছিল। ধীরে ধীরে এটা মনে হওয়া যে আপনি মারা যাচ্ছে। আমাদেরগুলো তো ছিল মাত্র অল্প সময়ের জন্য। যাই হোক সুস্থ হয়ে ফেরৎ এসেছেন এটাই সব থেকে বড় কথা।
সব সময় ভাল থাকুন এবং সুস্থ থাকুন, এটাই কামনা করি।
১৩|
২৪ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এই ভুমিকম্প মারাত্মক হয়েছে। খুব ভয় পেয়েছিলাম। চারিদিকে তাকিয়ে বিল্ডিঙ দেখেছি আর আল্লাহকে ডেকেছি।
মাস দুয়েক আগে ইঞ্জিন রিক্সায় উঠি আমি আর তাসীনের বাপ। উদ্দেশ্য ফকিরাপুলের চশমার দোকান। মেট্রোরেলের নিচে গিয়েই স্পিড রিক্সা মাঝখানে ভেঙ্গে যায়, আমি আর তাসীনের বাপ ছিটকে পড়ি, আমি বিশ হাত দূরে গিয়ে পড়ি কীভাবে সেটা আর মনে নাই। আর তাসীনের বাপ মাঝ রাস্তায় রিক্সার কাছেই হুমড়ি খেয়ে পড়ে। আল্লাহ এ যাত্রা বাঁচিয়েছিলেন। যদি পিছন থেকে স্পিডে বাস অথবা অন্য যানবাহন আসতো-চিন্তা করলেই গলা শুকিয়ে যায়।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৯
অপু তানভীর বলেছেন: এই ভূমিকম্পে সবাই ভয় পেয়েছে। এমনটা সম্ভবত এটাই প্রথম ছিল এইজন্যই!
ইঞ্জিন রিক্সার মত ভয়ানক রিক্সায় আপনারা কেন উঠেন আমি বুঝি না। এই রিক্সায় ওঠা মানেই নিজের বিপদ নিজে ডেকে আনা। সব সময় চেষ্টা করবেন পায়ে টানা রিক্সায় চড়ার জন্য। একটু টাকা দিতে হলেও। কাছের দুরুত্ব হলে হেটে যাবে তবুও এই ব্যাটারি রিক্সায় উঠবেন না। দুরুত্ব বেশি সিএনজি উবার নিবেন। মনে রাখবেন ইঞ্জিন রিক্সায় ওঠা মানে নিজের বিপদ নিজে ডেকে আনা!
১৪|
২৮ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:১৩
.। বলেছেন: আমারো খুব ভয় লাগছিল। যদিও আজ না হয় কাল মরতে হবেই,তবু এমন অপ মৃত্যু কোনো ভাবেই কারোই কাম্য নয়।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৩
অপু তানভীর বলেছেন: ধর্মে যদি বিশ্বাস করে থাকে তাহলে বলব যে সব মৃত্যুই তো পূর্ব নির্ধারিত। আর ধর্মে অবিশ্বাস করলেও মৃত্যু অনিশ্চিত। কখন কার মৃত্যু হবে সেটা কেউ বলতে পারে না।
১৫|
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২২
আরোগ্য বলেছেন: সেদিন ভূমিকম্পটা ভীতিকর ছিল, ঘুম থেকে জেগেই দেখি বিল্ডিং কাপছে কিন্তু মৃত্যু ভয় করেনি। মরে যাবো ভেবেছিলাম ২০২০ এ যখন চারপাশে লকডাউন আর আমি ভীষণ অসুস্থ ছিলাম।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৩২
অপু তানভীর বলেছেন: করোনার সময় অবশ্য আমার ভয় লাগে নি। কেন জানি মনে হত যে করোনাতে মরবো না। আব্বার করোনা হল, ঢাকার হাসপাতালে প্রায় এগারো দিন ছিলাম, কত করোনা রোগী ছিল, প্রতিদিনই কেউ না কেউ মারা যাচ্ছিল। আমি সিড়ি দিয়ে উঠা নামার সময় দেখতাম লাশ স্ট্রেচারের উপরে রয়েছে। ভয় ছিল আব্বার না কিছু হয়ে যায় তবে করোনাতে যে আমার কিছু হবে না সেটা নিশ্চিত ছিলাম। আব্বাকে বাসায় পাঠিয়ে আমার নিজেরও করোনা হল। সাত দিন ঘরেই ছিলাম।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৫৭
শায়মা বলেছেন: মারা যাবো কি যাবোনা সেটা বুঝিনি তবে বিল্ডিং যে আজ টিকতেই পারবেনা সেটা মনে হয়েছিলো। যেন কোনো সিনেমার দৃশ্য। চোখের সামনে সিনেমার মত পুরো বাড়ি কাঁপছে। যেটা কখনই বাস্তব কিছু হতেই পারে না .....