নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে জানতে চাই,ছুটে চলেছি অজানার পথে,এ চলার শেষ নেই ।এক দিন ইকারাসের মত সূর্যের দিকে এগিয়ে যাব,ঝরা পাতার দিন শেষ হবে ,আর আমি নিঃশেষ হয়ে যাব ।

অপু দ্যা গ্রেট

গাহি সাম্যের গান- মানুষের চেয়ে কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান, নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি, সব দেশে, সব কালে, ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।

অপু দ্যা গ্রেট › বিস্তারিত পোস্টঃ

শুভ জন্ম দিন শেখ কামাল

০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:৩৩

কৈশর থেকে একটা কথা শুনে আসছি মুজিবের
ছেলেরা ব্যাংক ডাকাত ও ডালিমের বৌ
অপহরনকারী। কেন জানি শৈশবের সেই মনে সংশয়
ছিল এই দুইটা বিষয় নিয়ে। কারন, যে মানুষটা এই
দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য তার জীবন-
যৌবন ত্যাগ করেছেন, সেই মানুষটার সন্তানেরা
এই ধরনের গর্হিত কাজ করতে পারেনা।
গত চারটা বছর বিদেশে আছি। আর এটাই আমাকে
এক স্বপ্ন দরজা খুলে দিয়েছে।আর দশজনের মতো
কর্মব্যাস্ত সময় কাটালেও, কাজের ফাঁকে রয়েছে
অপুরন্ত সময়। আর সে কারনে নেটে ঘাটতে ঘাটতে
পেয়ে যাই, সত্যা-সত্য ঘটনা। অনেকেরই জানা,
তবুও সবাইর জন্য আমার জানাটা জানাচ্ছি-
মিথ্যাচার / অপপ্রচার-১ ‘শেখ কামাল ব্যাংক
ডাকাত’
আপনারা সবাই জানেন শেখ কামাল ছিলেন
একজন সংস্কৃতমান মানুষ। গান, নাটক, খেলা-ধুলা
সবই ছিল তার নেশা। তার প্রতিষ্ঠিত ‘আবাহনি
ক্রীড়াচক্র’ বাংলাদেশের খেলার জগতে এক
অনন্য উজ্বল নাম।
যাহোক মূল বিষয়ে আসি যে রাতে ব্যাংক
ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে, সে রাতে কতিপয়
দুষ্কৃতকারীর ব্যাংক লুটের ষড়যন্ত্রের খবরটি
কামাল আগেই জানতে পেরেছিলেন তাঁর সদ্য
গঠিত আবাহনী ক্রীড়াচক্রের ফকিরেরপুলে
অবস্থানকারী দুজন খেলোয়াড়ের মাধ্যমে।
দুষ্কৃতকারীদের ধরার জন্য তিনি মতিঝিল
এলাকায় জিপে করে ছুটে যান তরুণ সাহসীদের
(তার কয়েকজন বন্ধুদের) নিয়ে আবাহনী মাঠের
রাতের আলোচনা বৈঠক থেকে। তাঁর মাধ্যমে খবর
পেয়েই ঢাকার পুলিশ সুপার বীরবিক্রম মাহবুবের
পুলিশ বাহিনী সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করে, দুজনকে
পায়ে গুলিবিদ্ধ করে। আর শেখ কামাল
দুষ্কৃতকারীদের ধরার জন্য জিপ থেকে লাফ দিলে,
রাস্তায় পড়ে যান। এই ঘটনার মূল সত্য কাহিনি
পরের দিন ‘দৈনিক মর্নিং নিউজ’ এ প্রকাশিত হয়।
কিন্তু বঙ্গবন্ধু, আ:লীগ ও স্বাধীনতা
বিরোধীদের কুৎসার নিচে চাপা পড়ে গিয়েছিল
সত্য ঘটনা।
আমার এই কথার স্বপক্ষে আমি চার জন স্বাক্ষী
রাখলাম। কারো যদি আমার কথায় সন্দেহ হয়,
দয়াকরে এই চার জনকে জিজ্ঞাসা করলে আমার
কথার সত্যতা পাওয়া যাবে। চারজন হলেন-
১) তৎকালীন পুলিশ সুপার মাহাবুব আলম
(বীরবিক্রম)। যাকে এক নামে সবাই এসপি মাহবুব
নামে চিনে। যার নেতৃত্বে সেদিন পুলিশ
দুষ্কৃতকারীদের ধরতে এসেছিল।
২) সেই সময়কার ‘দৈনিক মর্নিং নিউজ’ এর
সম্পাদক প্রবীন সাংবাদিক এ.বি.এম মুসা। যিনি
ঘটনার পরদিন পত্রিকায় সত্য ঘটনাটি তুলে
ধরেছিলন।
৩) বর্তমানে বিএনপির নেতা ইকবাল হাছান টুকু।
যে জিপটিতে কামালরা দুষ্কৃতকারীদের ধরতে
গিয়েছিলেন সেটা ছিল টুকুর এবং সেদিন জিপটি
টুকুই ড্রাইভ করেছিলেন।
তৃতিয় স্বাক্ষী নিয়ে একটা কথা: গত কিছু আগে
খালেদা জিয়া ঢাকার এক জনসভায় ভাষনে
আ:লীগকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন ‘’ব্যাংক
ডাকাতিতো তাদের রক্তে মিশে আছে।“ ম্যাডাম
আর কত মিথ্যা বলবেন? নিজের গায়ে দূর্গন্ধ
রেখে অন্যের বগলে গন্ধ খোজার দরকার কি?
একটু নিজের দলে খোজ নেন সত্যটা আপনার
চোখের সামনে প্রতিনিয়ত।
৪) জাপা'র প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ
রশিদ। যিনি কামালদের সিনিয়র হলেও,
কামালদের সাথে প্রায় বন্ধুর মতো চলাফেরা
করতেন এবং সেদিন তিনিও ঐ জিপে ছিলেন।

.


মিথ্যাচার / অপপ্রচার-২ ‘শেখ কামাল, ডালিমের
বৌ অপহরনকারী’ মিথ্যাবাধীরা বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে ডালিমের সম্পৃক্ততা বুঝানোর জন্য, এই মিথ্যটাও অহরহ বকে যায়। কিন্তু, ডালিম নিজেই তার লেখা বইত এই বিষয়ে স্পস্ট করে গেছে, সেদিন কি ঘটনা ঘটেছিল। ইচ্ছে করলে ডালিমের লেখা "যা দেখেছি যা বুঝেছি যা করেছি " বইটি পড়ে নিতে পারেন। তারপরও যাদের অল্প পড়ার অভ্যাস তাদের জন্য ডালিমের লেখা হতে সংক্ষিপ্ত আকারে বলছি - ঘটনার দিন ঢাকা ল্যাডিস ক্লাবে ডালিমের খালাত বোন তাহমিনার বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল কর্নেল রেজার সাথে। সেই অনুষ্ঠানে সামরিক-বেসামরিক অনেক লোক উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন ততকালীন ঢাকা জেলা আ:লীগের নেতা ও রেডক্রস এর সভাপতি গাজী গোলাম মোস্তফার পরিবার। ডালিমের কানাডা ফেরত শ্যালক বাপ্পি'র চুল টানা নিয়ে গাজীর ছেলেদের সাথে কথা কাটাকটি ও হাতাহাতি হয় । বিষয়টা নিয়ে গাজী সশস্ত্র লোকজন নিয়ে ক্লাবে এসে ডালিম, ডালিমের বৌ নিন্মি ও তাদের পরিবারের আরো কয়েকজনকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। বিষয়টা শেষ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর হাতেই নিস্পত্তি হয়। কিন্তু মিথ্যাবাদী শয়তানেরা যুগ যুগ ধরেই এই অপবাধ দিয়ে এসেছে শেখ কামালের বিরুদ্ধে।
কৃতজ্ঞতায় : কাজী নজরুল

.

আজ শেখ কামালের ৬৬ তম জন্মদিন । জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা ।
কিন্তু এত এত স্ট্যাটাসের মাঝে শেখ কামালের জন্মদিন মনে হয় সবাই ভুলে বসে আছে ।
আবার ও জন্মদিনের শুভেচ্ছা রইল ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.