নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে জানতে চাই,ছুটে চলেছি অজানার পথে,এ চলার শেষ নেই ।এক দিন ইকারাসের মত সূর্যের দিকে এগিয়ে যাব,ঝরা পাতার দিন শেষ হবে ,আর আমি নিঃশেষ হয়ে যাব ।

অপু দ্যা গ্রেট

গাহি সাম্যের গান- মানুষের চেয়ে কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান, নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি, সব দেশে, সব কালে, ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।

অপু দ্যা গ্রেট › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোট বোন (বুন্টিস)

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:০০

(১ম পর্ব)

.

ছোট বালতি করে পানি এনে ঝপাত করে ঢেলে দেয় নাবিলা । ধরমর করে উঠে অপু ।
= এই এটা কি করলি । তোর জন্য কি শান্তিতে ঘুমাতে পারবো না ।
= ভাইয়া আজ তোর মিটিং। আর তুই ঘুমাচ্ছি । যা রেডি হ ।
= তুই আমার রুম থেকে বের হ । যা ভাগ ।
= তুই উঠ । নাস্তা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে ।
= তুই যা ।
নাবিলা বের হয়ে যায় । অপু আবার ঘুমিয়ে পরে । আজ ব্যবসার একটা মিটিং আছে । শুয়ে ঘুম আসে না । কিন্তু কি আর করবে ।
দু ভাই বোনের সংসার । নাবিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষের ছাত্রী । আর অপু মাস্টার্স করে চাকরি নেয়ে আর ছাড়ে । বাবা মা দুজনে মারা গেছে যখন নাবিলা ইন্টার পরীক্ষা দেয় তখন । তারপর থেকে অপু আর নাবিলা ।
এ সব ভাবতে ভাবতে অপু উঠে পরে । অপুর সবচেয়ে দূর্বল পয়েণ্ট হল ওর বোন । অপু ওর জন্য সব করতে পারে । গোসল করে রেডি হয় অফিসের জন্য । ব্যবসাটা তার বাবার শুরু করা । বাবার অপূর্ন ইচ্ছা গুলো পূর্ন করছে সে । এখন তার একটাই লক্ষ্য তার বোন কে ভাল পাত্রস্থ করা ।
নাস্তার টেবিলে ---
= বুন্টিস ।
= ভাইয়া তোকে না বলেছি এই নামে আমাকে ঢাকবি না ।
= আমার তো এই নামেই ঢাকতে ভাল লাগে ।
= লাগলেও বলবি না । আচ্ছা শোন । একটা কথা বলার ছিল ।
= হমম । বল ।
= সেদিন রহমান আঙ্কেল এসেছিল ।
= হমম । তো ।
= আমি ভাবছিল ………
= কি ভাবছিলি ??
= আসলে দিয়া আপুকে তোর কেমন লাগে ??
= কেন ??
= না । তুই আর কত দিন একা থাকবি । তাই যদি তুই রাজি থাকিস তবে আঙ্কেলের সাথে কথা বলে তোর আর দিয়া আপুর বিয়েটা দিতাম ।
অপু নাস্তার টেবিল থেকে উঠে যায় । কোন কথা না বলে অফিসে চলে যায় । নাবিলা ওর ভাইয়ের এসবে অভ্যস্থ হয়ে গেছে । তাই কিছু মনে না করে সব গুছিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চলে যায় । নাবিলার শুধু একটাই ভাবনা তার ভাইটা কত দিন একা থাকবে । ভাইয়ার মনের দরজাটা কবে খুলবে । আদৌ কি খুলবে কিনা ।

.

কোম্পানির বস হিসেবে অপুর জুড়ি মেলা ভার । সে তাদের কোম্পানিকে এত সুন্দর করে গুছিয়ে রেখেছে যে ,তার প্রসংশায় মুখর সবাই ।তার ব্যবহার এ সবাই মুগ্ধ সবাই ।
আজ অফিসে কাজ একটু বেশি । তারপর আবার মিটিং । আসলে মিটিংটা হল অপুর নতুন কোম্পানিতে নতুন লোক নেয়া হবে । তাদের লিষ্ট করা । সব কিছু গুছিয়ে । বিকেলে লিষ্ট দেখতে বসল অপু আর এইচআরডি মাসুম , ম্যানেজার রিয়াদ , কোওরডিনেটর সবুজ আর সুপারভাইজার নিশান । তারা লিষ্ট থেকে এক এক করে সাইড করে বেছে বেছে কোয়ালিফাইড সিভি আলাদা করছে । কাজ শেষ করে অপু উঠে দাড়ায় । এবং সবাইকে বলে দেয় কলে করে জানিয়ে দিতে যে আগামী দুই দিন ইন্টারভিউ হবে ।

.

অপু এবং সবাই ইন্টারভিউ বোর্ড এ বসে আছে এক এক করে ইন্টারভিউ হচ্ছে । হঠাত করে ----
= মে আই কাম ইন স্যার ??
= ইয়েস । কাম ইন ।
= ইন্ট্রোডিইউস ইউর সেলফ ।
= আই এম তানিয়া রহমান তনু ।
চেয়ার ঘুরিয়ে অপু তাকায় । এতখন সে অন্যদিকে ঘুরে ছিল । তনুও অপু কে দেখে অবাক হয় । সে জানত না যে কোম্পানিটা অপুর । এটা অপু নতুন শুরু করেছে সে জানত না ।
= ইউ মে গো নাউ । উই উইল কল ইউ ।
তনু বেড়িয়ে যায় । তবে সে নিশ্চত যে তার জবটা হবে না । কারন অপু । সে যা করেছে সে প্রেক্ষিতে অপুর প্রতিশোধ নেয়াটা কিছুই না ।

.

কয়েক দিন পর তনু এপয়েন্টমেন্ট লেটার পায় । এবং অবাক হয় । যে সে চাকরিটা পেয়েছে ভাবতে পারেনি । সে অপু কে ফোন দেয় । প্রায় তিন বছর পর । কিন্তু ফোন ধরে নাবিলা ।t
= হ্যালো ।
= হ্যালো । কে বলছেন ?
= আপনি কি অপুর ওয়াইফ ?
= না । আমি নাবিলা । অপু আমার ভাই ।
= সরি । আসলে বুঝতে পারিনি তুমি । আমি তনু ।
= আপু কেমন আছেন ?
= ভাল । তুমি কেমন আছো ?
= ভাল । আজ এত দিন পর । কি মনে করে ।
= ধন্যবাদ দেয়ার জন্য ।
= কেন ?
= আমাকে চাকরিটা দেয়ার জন্য ।
= আচ্ছা । আর কিছু ।
= এভাবে বলছ কেন । আমি কি খুব বেশি অপরাধ করে ফেলেছি ।
= সেটা নিজেই ভেবে দেখুন আপু । আমার ভাইটা তিলে তিলে নিজেকে শেষ করে দিচ্ছে । আজ পর্যন্ত বিয়ে করাতে পারিনি । তার মনের দরজা বন্ধ হয়ে গেছে ।
= সেজন্য কি আমি দায়ী ??
= সেটাও ভেবে দেখুন । আর হ্যা , ভাইয়া অনেক ভাল আছে ।
ফোন রেখে দেয় নাবিলা । তার চোখে অশ্রু টলমল করে । সে এভাবে বলতে চায়নি কিন্তু অপুর দিকে তাকিয়ে সে এটা করেছে ।
- ভাইয়া ,তোর ফোন এসেছিল ।
- তা বুন্টিস , কার ফোন ?
- দেখ আমি এমনিতেই রেগে আছি ?
- বুন্টিস আপনি কেন রেগে আছেন ?
- তনু আপু ফোন করেছিল ?
- জানি ।
- কিভাবে ?
- জানতে হবে না । তবে আমার বুন্টিস যে বড় হয়ে গেছে বুঝে গেছি । এবার তোর গতি করতে হয় বুন্টিস ।
- ভাইয়া ,মার খাবি । তোকে ছেড়ে আমি কোথাও যাব না ।
- একদিন সবাইকেই যেতে হবে বুন্টিস ।
চুপ করে নাবিলা চলে যায় । সে জানে তার ভাইয়া তাকে কতটা ভালবাসে । তারও কষ্ট হবে । কিন্তু নাবিলা জানে অপু যেটা বলেছে সে সেটা করবে ।
(চলবে)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৬

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ভালোই.... আপনার সুইট রিভেঞ্জ গল্পের সাথে মেলে....
বোনগুলো আসলেই দুষ্টু :D

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১১

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:





ওর সাথে আমার লেগেই থাকে ।

এখন তো সময় পাই না ।

ব্যস্ততা আর বাস্তবতা দুটোই ধরে ফেলেছে আমাকে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.