নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গাহি সাম্যের গান- মানুষের চেয়ে কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান, নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি, সব দেশে, সব কালে, ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।
অপু আর নবনীতা রেস্টুরেন্ট এ বসে খাচ্ছে । তবে নবনীতার চোখে বিরক্তি । কারণ সামনে থাকা মানুষ টা মনে হচ্ছে এলিয়েন টাইপ এর । সে খাচ্ছে চামচ দিয়ে আর অপু খাচ্ছে হাত দিয়ে । যদিও ট্রিট টা নবনীতা ই দিচ্ছে কিন্তু একটা মানুষ এভাবে স্থান, কাল, পাত্র এসব এর কেয়ার না করে কিভাবে চলতে পারে তার জলজান্ত উদাহরণ হচ্ছে অপু । এমন ভাবে খাচ্ছে যেন নির্জন কোন দ্বীপ থেকে ৬ মাস পর উদ্ধার করা হয়েছে তাকে । একে বারে কব্জি ডুবিয়ে যাকে বলে । তারা খাচ্ছে কাশ্মীরি পোলাও আর খাসির রেজালা ।
: কি ব্যাপার খাচ্ছো না কেন? বেশি গরম?
: না । কিন্তু তুমি এভাবে খাচ্ছো কেন?
: আর চামচ দিয়ে খেলে কি স্বাদ পাওয়া যায় নাকি । হান্ড ইজ দ্যা বেস্ট ।
: তাই বলে এখানে!!
: এখানে মানে । সব খানে ই তো ।
: তাই বলে কব্জি ডুবিয়ে খাবে ।
: একে বারে ভুল কথা । আমি আঙুল ডুবিয়ে খাচ্ছি । আচ্ছা দুই গ্লাস বোরহানি দিতে বলো ।
: আমি বোরহানি খাই না ।
: তোমার জন্য কে বলেছে আমি খাবো ।
যদিও অপু নবনীতা কে রাগানোর জন্য ই এসব করছে । তবে এটা তার স্বভাবের ও একটা অংশ । তাছাড়া হাত দিয়ে খেয়েই সে তৃপ্তি পায় । আপাতত তার কাশ্মীরি পোলাও এর দ্বিতীয় রাউন্ড প্রায় শেষ । নবনীতার দৃষ্টি এখনো তার উপর নিবব্ধ । যেন বিস্ময় কাটছেই না ।
: তুমি কি পাগল ।
: তাহলে তো আমাকে পাবনা থেকে আনতে হতো । আমি তো বাসা থেকে এসেছি ।
: উফফ । ঘুরিয়ে কথা বলবা না ।
: কথা কি গোল যে ঘুরাবো ।
: সোজা কথায় উত্তর দাও ।
: আমার মুখ কি বাকা?
: বেশি কথা বল কেন । চুপচাপ উত্তর দাও ।
: (চুপ)
: কি হলো কথা বলো
: তুমি তো বললে চুপচাপ উত্তর দাও । মুখ বন্ধ রেখে উত্তর দিবো কিভাবে ।
কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে রইল নবনীতা । অপু খেয়েই চলেছে । সেখানে বিরতি দেবার মত সে নয় । কাশ্মীরি পোলাও আর রেজালা শেষ করে ফিরনী ধরেছে । মাঝে মাঝে নবনীতাকে দেখছে ।
: আচ্ছা ছোট বেলায় তোমার মাথায় কেউ বাড়ি দিয়েছিল?
: না তো । কেন?
: না, মনে হচ্ছে তুমি অন্য গ্রহের মানুষ ।
: তুমি সেটা আজ জানলে । এত দিনেও বুঝতে পারনি ।
: ফাইজালামি করো আমার সাথে ।
: তুমি কি আমার বেয়াইন যে ফাইজলামি করব ।
এদিকে খাওয়া শেষে ইয়া এক ঢেকুর তুলল অপু । নবনীতার মুখের দিকে তাকিয়ে দেখলো তার মুখটা ইয়াক, ছিঃ টাইপের হয়ে গেছে । অপু এতে পাত্তা না দিয়ে বলল এবার বাস ভাড়া দাও তো । নবনীতা অবাক হয়ে বলল কেন? অপু বলল তুমি আসতে বলেছো তাই এসেছি । নিজের পকেট এর টাকা খরচ করার জন্য নাকি । নবনীতা অপুকে একশ টাকার একটা নোট দিলো । তখন অপু বলল আচ্ছা শোনো এই নাও বিশ টাকা রিক্স ভাড়া । যাও বাসায় যাও ।
বাসায় এসে মেসেঞ্জার খুলতেই অপুর মেসেজ সে আজ আসতে পারবে না । নবনীতা স্থির হয়ে বসে পরল ।
২২ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:০৯
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন: আসলে আমি এখন ও এটা শেষ করিনি
২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১০
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: পড়লাম
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৮
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
ধন্যবাদ
৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১১
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: সত্যি কি ওভাবেই খান
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৮
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
আমি খেতে প্রচন্ড ভালবাসি ।
সময় পেলে আর হাতে টাকা থাকলে খেতে বের হয়ে যাই ।
৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩০
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আমিও প্রচুর খাই...
খাদ্যরসিক বলতে পারেন
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০০
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
তাহলে আসেন একদিন খাওয়া দাওয়া হোক ।
জম্পেশ আড্ডাও হবে ।
৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৫
নীল আকাশ বলেছেন: লাস্ট লাইনটা বুঝলাম না। এটা কি হরর গল্প? নবনিতা কি ঘোস্টের সাথে খেলে নাকি? যদি না হয় তাহলে ঘটনা কি? একটু ব্যাখ্যা করে বলে দিলে ভালো হতো।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০১
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
আসলে ওটাই অপু ছিল । কিন্তু তার পরিচয় গোপন রেখেছি ।
এটার পরের পর্ব লিখে বসে আছি । মিলছে না । তাই দিচ্ছি না ।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে জুলাই, ২০১৭ ভোর ৫:৫৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
স্যরি, আমি তেমন কিছু খুঁজে পাইনি; সিরিজ হলেও, পোস্টে কিছু একটা থাকতে হবে, যেটা পড়ে পাঠক মনে করবে যে, পাঠক কিছু পড়েছেন। আপনি পড়ে দেখবেন, পাঠক হিসেবে নিজের কাছে কেমন লাগে! স্যরি