নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গাহি সাম্যের গান- মানুষের চেয়ে কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান, নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি, সব দেশে, সব কালে, ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।
আমরা জীবনে কতটা সুযোগ পাই । কতটুকুই বা আমাদের সামর্থ্য আছে । সত্যি বলতে আমরা কত দিন বাচবো বা কত দিনের জীবন এটা নিয়ে কখন ই ভাবি না । আমাদের সবার জীবনের আলাদা ভাবে একটা উদ্দেশ্য আছে । সবাই সেই উদ্দেশ্য খুজে পায় না । কেউ কেউ হয়ত শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যায় । এক জীবনে কেউ হিরো হতে পারে না । আবার সবাই তার নিজ নিজ জায়গায় হিরো । হয়ত সুযোগ আসবে এক বার সেই সুযোগটাই কাজে লাগাতে হবে । খুব সাধারন থেকে হিরো হবার সুযোগ সবার হয় না । তবে লড়াই করে যেতে হয় । ঠিক তেমন এক কাহিনী নিয়ে তৈরি হয়েছে “টাইগার্সঃ ক্যান এ সেলস ম্যান বি এ হিরো” ।
কাহিনীসুত্র
আয়ান যে পাকিস্তানে বসবাস রত একজন সেলসম্যান । যে এক লোকাল ফার্মাসিটিউক্যাল কোম্পানিতে কাজ করে থাকে । খুব কম পরিসরে তার জীবন যাত্রা চলে যায় । জীবনের কাছে বেশি কিছু চাওয়া পাওয়া নেই । বিবাহিত জীবনে সে স্ত্রী আর পরিবার নিয়ে সুখেই আছে । তার একমাত্র সন্তান বাবা মা আর প্রতিবেশীদের নিয়ে চলে যায় কোন রকম জীবন । টানাপোড়নের সংসার ।
এর মধ্যে পাকিস্তানের এক বড় কোম্পানি তাদের প্রোডাক্ত সেল করার জন্য নতুন সেলসম্যান নিয়োগ দিচ্ছে । যারা বেবি ফুড মানে শিশুদের জন্য দুধ তৈরি করে থাকে । সেখানেই ইন্টারভিউ দেয়ার জন্য আয়ান পৌছে যায় । তবে তার শিক্ষাগত যোগ্যতা সেখানে বাধা হয়ে দাঁড়ায় । যদিও নিয়োগ কর্তা বেলাল কে সে ইম্পেস করতে সক্ষম হয় তার অভিজ্ঞতা দিয়ে ।
সেই কোম্পানিতে তার চাকরি হয়ে যায় । সবাই খুশি । পরিবার প্রতিবেশী সবাই । এবার শুরু হয় নতুন চ্যালেঞ্জ । বিভিন্ন ভাবে ডাক্তারদের কাছাকাছি যাওয়া । তাদের খুশি করা এবং তাদের বেবি ফুড সাজেস্ট করা । তাদের সেলস বাড়ানো । তারা ক্যারিশম্যাটিক আচরন সবাইকে আপন করে নেয় । বেলাল ও খুশি হয়ে আয়ান কে তাদের সেলস এর বড় বড় দায়িত্ব গুলো দিতে থাকে ।
আয়ান জানত না তার জন্য কি অপেক্ষা করছে । তার পরিচিত এবং খুব কাছের এক ফ্রেন্ড ডাঃ ফাইয়াজ, সে যখন শহর থেকে ফিরে আসে তখন আয়ানের জন্য তার ভিতর এক ধরনের ক্ষোভ বের হয় । আয়ান নিজেও বুঝতে পারে না আসলে কি ঘটছে তার সাথে । আয়ান তখন জানত না যে আসলে সে যা বিক্রি করছে সেটা আসলে শিশুদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে । তখন ডাঃ ফাইয়াজ তাকে সব কিছু খুলে বলে ।
আয়ান অনুশোচনায় ভুগতে থাকে । এরপর শুরু করে এক অভিনব লড়াই । তবে শেষ পর্যন্ত আয়ান কি পরেছিল এ লড়াইয়ে জিতত্তে ? নাকি সবার মত হার মেনে অন্ধকারে হারিয়ে গিয়েছে ?
আলোচনা
এই মুভিটি আসলে আমি যখন দেখা শুরু করি একটু বিরক্ত ধরে গিয়েছে । খুব স্লো একটা মুভি । তবে আপনি মুভি ছেড়ে উঠতে পারবেন না । আপনাকে মুভি দেখতেই হবে । মুভিটি আসলে সামাজিক সচেতনামুলক একটা মুভি ।
অন্যদিক থেকে বলা যায় এই মুভিতে সাধারন একজন মানুষের লড়াই তুলে ধরা হয়েছে । যে মানুষটি অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করে এগিয়ে গিয়েছে । সব সময় এগিয়ে গিয়েছে সব বাধা পেরিয়ে লক্ষ্যের দিকে । কোন বাধাকে আগ্রাহ্য না করে সব কিছু ছেড়ে দিয়ে শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছে ।
একজন মানুষ চাইলেই চেঞ্জ নিয়ে আসতে পারে । চাইলে সে হতে পারে নিজের জীবনে হিরো । আপনি আপনার ন্যায়ের জায়গা না ছেড়ে আপনার জায়গায় অটল থাকুন । জয় আপনার হবে । আপনি ন্যায়ের সাথে থাকুন তবেই আপনি পারবেন ।
মুভিতে দেখানো হয়েছে যারা গ্রামে থাকেন বা পড়াশুনা না জানা মায়েরা না বুঝেই শিশুদের গুড়ো দুধ খাওয়াচ্ছেন । কিন্তু গুড়ো দুধ খাওয়ানোর কিছু নিয়ম আছে যা না মেনেই তারা সেটা খাওয়াচ্ছেন । আবার বুকের দুধ শিশুদের বন্ধ করে দিয়েছেন খাওয়ানো । তারা মনে করেছেন এটাই তাদের শিশুদের জন্য ভালো । কিন্তু মায়ের দুধের বিকল্প কিছুই নেই । বরং এতে ক্ষতি অনেক বেশি হয় । এছাড়া মায়ের দুধ শিশুর ইমিউনিটি ক্ষমতা বাড়ায়, যা গুড়ো দুধ কখনোই করতে পারে না ।
এছাড়া বড় বড় এসব কোম্পানির যে স্যোশাল রিসপনসেবেলিটি রয়েছে সেটা তারা ভাল ভাবে পালন করছে না । তারা তাদের দায়িত্ব কে অবহেলা করে নিজেদের লাভের কথাই বেশি ভেবেছে । টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছে সব কিছু । মানি পাওয়ার দিয়ে সব কিছুকে নিজেদের করে নিয়েছে । তারপর কি হবে ?
মুভিটি একজন সেলসম্যানের জীবন থেকে নেয়া । আয়ানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইমরান হাশমি । যারা অভিনয় গুনে আমি সব সময় মুগ্ধ হই । সিরিয়াস মুভি হোক বা কমেডি সব জায়গাতেই তাকে কেমন করে জানি মানিয়ে নেয় । বিলাল এর চরিত্রে ছিলেন আদিল হুসেইন, জয়নব এর চরিত্রে গিতাঞ্জলী থাপা, আয়ানের মায়ের চরিত্রে সুপ্রিয়া পাঠক এছাড়া হলিউডের অনেক নামিদামি অভিনয় শিল্পী ।
মুভিটি তৈরিতে সময় লেগেছে প্রায় ১২ বছরের উপর । আসলে যখন মুভিটি বানানোর কথা শুরু হয় ডেনিস টানকোভিচ যার “নো ম্যান্স ল্যান্ড” মুভিটি অস্কার পায় । তিনি এই মুভিটি তৈরি করার জন্য কাজ শুরু করেন । তখন যারা প্রডিউস করার কথা বলেছিলেন তারা সরে যান । পরে অনুরাগ ক্যাশপ, প্রশিটা ও খিশটাজ চৌধুরী, গুনিত সহ অনেকে মিলে এই ছবিটি প্রডিউস করার সিদ্ধান্ত নেন । প্রায় ১২ বছর পর ছবিটির কাজ শেষ হয় এবং ২০১৪ তে মুভিটি রিলিজ হয় টরেন্টোতে । ২০১৮ সালে ডিজিটাল প্রিমিয়ারে মুভিটি মুক্তি দেয়া হয় ।
যারা জীবনে মনে করেন কিছুই করতে পারছেন না তারা মুভিটি দেখতে পারেন । এছাড়া লড়াই করা ছাড়তে নেই । জীবনের শেষ দিনটি পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়া উচিত । যতক্ষন না সব কিছু শেষ হচ্ছে শেষ পর্যন্ত নিজের লড়াই নিজেকেই চালিয়ে যেতে হবে ।
মুভিটি দেখবেন আশা করি ভাল লাগবে ।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৩
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
দেখি ফালান । খুব ছোট মুভি ।
২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৫
ডার্ক ম্যান বলেছেন: হলিউড অভিনেতা রাসেল ক্রো ইনসাইডার নামক একই ক্যাটাগরির একটি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। তবে পার্থক্য সেখানে তিনি একটা টোব্যাকো কোম্পানির সেলসম্যান ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি কোম্পানির বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যান
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৪
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
দেখা হয়নি মুভিটা । তবে দেখার লিস্টে রাখলাম ।
আর এই মুভিটি একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি ।
৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৫
নীলপরি বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন রিভিউ । দেখার চেষ্টা করবো ।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৭
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
ধন্যবাদ পড়ার জন্য এবং মন্তব্যের জন্য ।
৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বেশ ভালো রিভিউ লিখেছেন । সত্যি কথা কি হলে গিয়ে মুভি দেখার সময় হয়ে ওঠে না । তবে এরকম রিভিউ পড়তে বেশ ভালো লাগে। আলোচনায় মায়েদের ব্রেস্ট ফিডিং পর্বটি পড়ে বেশ মজা পেলাম। আজকের দিনে শহরের শিক্ষিতদের কাছে বিষয়টি এমন একটি জায়গায় চলে গেছে যে মুভির মাধ্যমে সচেতনার বার্তা দেয়া হচ্ছে, আরকি।
শুভকামনা জানবেন।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৮
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
তাছাড়া কর্পোরেট বেনিয়ারা যে লাভের জন্য সামাজিক দায় ভুলতে বসেছে সেটাও দেখানো হয়েছে ।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।
ভাল থাকবেন ।
৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৪
হাবিব বলেছেন: আপনি কি অনেক মুভি দেখেন?
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৯
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
জ্বী মুভি দেখা আর বই পড়া দুটোই আমার প্রিয় কাজের মধ্যে পরে ।
ভাল থাকবেন স্যার
৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪১
ক্লে ডল বলেছেন: এত সুন্দর করে লিখেছেন! রিভিউ পড়ে দেখতে ইচ্ছা হচ্ছে।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১০
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
ধন্যবাদ ।
দেখে ফেলুন । আশা রাখি সময়টা মন্দ যাবে না ।
৭| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৪
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: রিভিউ ভাল হয়েছে।+
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২১
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই । প্লাসের জন্য অনেক অনেক ভালবাস ।
ভাল থাকবেন ।
৮| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৯
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: স্লো হলেও টাইম পাসের জন্য ছবিটা ভাল...
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২৭
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
তবে আমি মুভিটার মেসেজ গুলো নিয়েছি ।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
৯| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ২:১২
ল বলেছেন: বাহ-- বেশ ভালো রিভিউ লিখেছেন
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৮
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই ।
আপনার নিকটা সুন্দর ।
১০| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:৫৫
ওমেরা বলেছেন: মুভি দেখার সময় নেই আপনার রিভিউ আমার জন্য যথেষ্ট । রিভিউ খুব ভাল হয়েছে তার জন্য ধন্যবাদ।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪১
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
যাক এখন মনে হচ্ছে কিছুটা হলেও লিখতে পারছি ।
আরো সাধনা করতে হবে ।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
১১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার রিভিউ লিখেছেন।
মুভিটা দেখিনি। দেখব।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪২
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই ।
বেশি বড় মুভি নয় তবে অনেক মেসেজ রয়েছে ।
১২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: মনে হচ্ছে বেশ ভালো মুভি !
রিভিউ ভাল্লাগসে ।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৩
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
হ্যা আপু । ইমরানের করা অন্যতম সেরা কাজ আমার কাছে ।
আপনি দেখতে পারেন ।
১৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩৫
সুমন কর বলেছেন: চমৎকার লিখেছ। +।
পিসি'তে আছে, আজ রাতেই দেখে নেব।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪০
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
দাদা দেখি আমার মতো । পিসি তে অনেক মুভি আছে । কিন্তু দেখতে বসতে পারি না ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৫
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: দেহার চেষ্টু করবু