নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য বল, সুপথে চল, ওরে আমার মন

দৈববানী

সত্য বল, সুপথে চল, ওরে আমার মন।

দৈববানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আকীকা কি? এর উদ্দেশ্য কি? ধর্মীয় বিধান কি?

২৩ শে মে, ২০১২ দুপুর ১২:৫১

যারা আকীকা সম্পর্কে জানেন, তারা অনুগ্রহ করে নিম্মের প্রশ্ন গুলোর জবাব দিলে উপকৃত হবো।



১। আকীকা কি?

২। আকীকার উদ্দেশ্য কি?

৩। বাচ্চা জন্মের কতদিনের মধ্যে আকীকা দিতে হয়?

৪। ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী কিভাবে আকীকা করতে হয়?



বিস্তারিত জানানোর জন্য অনুরোধ করছি।



সবাইকে ধন্যবাদ।



মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মে, ২০১২ দুপুর ১:১১

বাঁশ বাগান বলেছেন: আকীকার অর্থঃ ইসলামের পরিভাষায় সন্তান জন্ম গ্রহণ করার পর আল্লাহর শুকরিয়া ও আনন্দের বহিঃপ্রকাশ হিসাবে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য যে পশু জবাই করা হয়, তাকে আকীকা বলা হয়।

আকীকার হুকুমঃ অধিকাংশ আলেমের মতে সন্তানের আকীকা করা সুন্নাতে মুআক্কাদাহ। রাসূসুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ

“যে ব্যক্তি তার সন্তানের আকীকা করতে চায়, সে যেন উহা পালন করে”। (আহমাদ ও আবু দাউদ)

আকীকা করার সময়ঃ আকীকার জন্য উত্তম সময় হলো সন্তান ভুমিষ্ঠ হওয়ার সপ্তম দিবস। সপ্তম দিনে আকীকা দিতে না পারলে ১৪ম দিনে, তা করতে না পারলে ২১ম দিনে আকীকা প্রদান করবে। সপ্তম দিনে আকীকা করার সাথে সাথে সন্তানের সুন্দর নাম রাখা, মাথার চুল কামানো এবং চুল এর সমপরিমাণ ওজনের রৌপ্য ছাদকাহ করাও মুস্তাহাব। (তিরমিজী) বিনা কারণে আকীকা দেওয়াতে বিলম্ব করা সুন্নাতের বিরোধীতা করার অন্তর্ভুক্ত। দারিদ্র বা অন্য কোন কারণে যদি উল্লেখিত দিন গুলোতে আকীকা করতে অক্ষম হয়, তবে সন্তান ছোট থাকা অবস্থায় যখনই অভাব দূর হবে, তখনই আকীকা করতে হবে। অভাবের কারণে যদি কোন লোক তার শিশু ছেলে-মেয়েদের আকীকা করতে না পারে, তাহলে সন্তান বড় হওয়ার পর যদি তার আর্থিক অবস্থা ভাল হয়, তখন আকীকা করলেও সুন্নাত আদায় হয়ে যাবে এবং পিতা- মাতা ছাওয়াব পাবে, ইনশাআল্লাহ। এমন কি কারও পিতা-মাতা যদি আকীকা না করে, সে ব্যক্তি বড় হয়ে নিজের আকীকা নিজে করলেও সুন্নাত আদায় হয়ে যাবে। আনাছ (রাঃ) হতে বর্ণিত,

“ নবী (সাঃ) নবুওয়াত পাওয়ার পর নিজের আকীকা নিজে করেছেন”। (বায়হাকী) এ হাদীস থেকে প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পর নিজের আকীকা নিজে দেওয়া বৈধ হওয়ার উপর সুস্পষ্ট দলীল পাওয়া যায়।

কোন ধরণের পশু দিয়ে আকীকা করতে হবে? সংখ্যা কয়টি?
আকীকার ক্ষেত্রে সুন্নাত হলো, ছেলে সন্তান হলে দু‘টি দুম্বা বা ছাগল আর মেয়ে সন্তান হলে একটি দুম্বা বা ছাগল দিয়ে আকীকা করা। কেননা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ

“ছেলে সন্তানের পক্ষ থেকে দু‘টি সমবয়সের ছাগল এবং মেয়ে সন্তানের পক্ষ থেকে একটি ছাগল দিয়ে আকীকা দিতে হবে। (আহমাদ ও তিরমিজী)

যে ধরণের ও বয়সের ছাগল বা দুম্বা কুরবানীর ক্ষেত্রে বৈধ, তা দিয়ে আকীকা করতে হবে। অর্থাৎ কুরবানীর পশু যেসমস্ত দোষ-ত্রুটি হতে মুক্ত হওয়া শর্ত, আকীকার ছাগল-খাসী বা দুম্বাও সেসমস্ত দোষ-ত্রুটি হতে মুক্ত হতে হবে। আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে যদি ছেলে সন্তানের পক্ষ থেকে দু‘টি ছাগল দিয়ে আকীকা দিতে না পারে, তবে একটি দিয়ে আকীকা দিলেও চলবে। কেননা রাসূল (সাঃ) হতে ছেলে সন্তানের পক্ষ থেকে একটি করে দুম্বা দিয়ে আকীকা করার কথাও প্রমাণিত আছে। ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত,

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) হাসান এবং হুসাইসের পক্ষ হতে একটি করে দুম্বা আকীকা করেছেন। (আবু দাউদ) তবে সামর্থবান ব্যক্তির পক্ষে একটি ছাগল দিয়ে ছেলে সন্তানের আকীকা করা উচিৎ নয়। মোট কথা, ছেলে সন্তানের আকীকার জন্য দু‘টি ছাগল বা দুম্বা হওয়া জরুরী নয়; বরং মুস্তাহাব।



বিস্তারিত এই লিংকটাতে পাবেন:
Click This Link

২৩ শে মে, ২০১২ দুপুর ২:১৩

দৈববানী বলেছেন: আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

২| ২৩ শে মে, ২০১২ দুপুর ২:২০

অর্ফিয়াস বলেছেন: ভাই বাশবাগান আপনার মন্তব্যটি থেকে অনেক কিছু জানলাম। আল্লাহ আপনার ভালো করুন।

“ছেলে সন্তানের পক্ষ থেকে দু‘টি সমবয়সের ছাগল এবং মেয়ে সন্তানের পক্ষ থেকে একটি ছাগল দিয়ে আকীকা দিতে হবে। (আহমাদ ও তিরমিজী)

- আমাদের দেশে অনেকের গরু কোরবানীর সময় ১ ভাগ দিয়ে দ্যান আকিকা হিসেবে। এটা কি বৈধ হবে?

২৩ শে মে, ২০১২ দুপুর ২:৩৬

দৈববানী বলেছেন: মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

৩| ২৩ শে মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৪

বাঁশ বাগান বলেছেন: অর্ফিয়াস বলেছেন: - আমাদের দেশে অনেকের গরু কোরবানীর সময় ১ ভাগ দিয়ে দ্যান আকিকা হিসেবে। এটা কি বৈধ হবে?

আপনি এ প্রশ্নটির উত্তর কোনো ভাল মুফতির কাছ থেকে জেনে নিবেন।

৪| ২৩ শে মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪১

মুঘল সম্রাট বলেছেন: ভাই বাঁশ বাগান আপনার মন্তব্যে উপকৃত হইলাম।

ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.