![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাম্প্রতিক শাহবাগ চত্বরের প্রজন্ম আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বহু বহু পোস্ট আসছে। পক্ষে বিপক্ষে কিংবা অনপক্ষে। শুরুতেই আমরা সত্যিকার আন্দোলনকে সমর্থন জানাই শর্তহীনভাবে। যুদ্ধাপরাধীদের সত্যিকার বিচারের দাবীতে লড়াকুদের গণণ বিদারী শ্লোগান পুরো জাতিকে কাপিঁয়ে দেয়। ভয়ার্র্ত যুদ্ধাপরাধী ও তাদের ছাপোনারা সর্বাত্মক ভীতির জায়গায় চলে যায়। দলীয় আম্লীগও যে চেষ্টা করেনি-তা করে শাহবাগমঞ্চ। লেখার জবাব লেখায় না দিয়ে পত্রিকা বন্ধের আল্টিমেটামের পথে যায় আন্দোলনকারীরা, আব্দার করে সম্পাদকের গ্রেফতার-যা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। গ্রেফতার হতে প্রস্তত রয়েছে সম্পাদক, হোচট খায় আন্দোলনকারীরা । একজন ব্লগারের নৃশংস খুনকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রী দৌড়ে যায় তার বাসায়, মীরপুরে। জনতা জানে সাংবাদিক দম্পতি জোড়াখুনেও প্রধানমন্ত্রী নিকটস্থ ইন্দিরা রোডে যাওয়ার তাড়নাবোধ করেননি, অনেকেই এর মধ্যে মতলব খুজঁতে পারেন। সরকারদলীয় শাহবাগীরা রাজীব হত্যাকান্ডের বিচারের দাবী করলে সরকার বিব্রত হবে ভেবে মতলবী শান্তনা হিসাবে রাজীবকে প্রথম শহীদ ঘোষণা করে। নবমুক্তিযোদ্ধা হওয়ার বাসনায় অনেকেই বাসায় খেয়ে, নতুন জামা পড়ে, সঙ্গী নিয়ে কয়েক ঘন্টা শাহবাগে রোমান্টিক বিপ্লবী সময় কাটানোর মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার সুযোগ গ্রহনের প্রত্যাশা করে। অফিস শেষে বাড়ি ফিরে নিত্য ঘ্যান ঘ্যান শুনার চাইতে আমার মতো অনেকেই ফিরতি পথে/সময় শাহবাগে হাজিরা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট অর্জন করতে চায়। অখ্যাত একজন ব্লগারকে দেশসেরা সর্বনাশা নাস্তিক হিসাবে প্রতিভাত করে অতি গুরুত্ব দিয়ে আমাদের প্রযুক্তিবিমুখ হুজুররা মাঠে নামে ইসলাম রক্ষার আন্দোলনে-পরিনাম আমাদের সবার জানা। মুখোমুখি দাড়িয়ে যায় সরকারী সুবিধাপ্রাপ্ত শাহবাগ চত্বর ও বহুধাবিভক্ত ইসলামরক্ষক হুজুরের দল। এ পর্যর্ন্ত বিএনপির অবস্থানকে অনেকেই কটাক্ষ করেছেন। অনেকেই হতাশা প্রকাশ করেছেন যে, দেশের বৃহত্তম দল হিসাবে বিএনপি-র অসম্ভব নীরবতা এমতাবস্থায় কাম্য নয়। তাদের কথায় ও প্রত্যাশার সাথে দ্বিমত করিনা। যদিও বিভিন্ন সময়ে বিএনপির কয়েকজন প্রথম সারির নেতা শাহবাগের আন্দোলনকে জনতার আন্দোলন মনে করে সাধুবাদই জানিয়েছেন। কিন্তু শাহবাগে যখন আম্লীগ, ইমরান সরকারের একপাশে ছাত্রলীগের নেতা, আরেক পাশে নাসিরুদ্দিন বাচচু-তখনই বিএনপি চোখ ছানাবড়া করে ফেলে, সন্দেহ করতে থাকে এই আন্দোলন নিয়ে। কাদের মোল্লার ফাসিঁর দাবীতে আন্দোলন কিভাবে ভিন্নমতের মিডিয়ার গলাচেপে ধরতে পারে, বীরউত্তমকে রাজাকার গণ্য করে তার উপাধী প্রত্যাহারের দাবী জানায়?-এসব দেখে বিএনপি নয়, বহু সাধারণ মানুষ প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলনকে হাইজ্যাক হওয়ার অভিযোগ করে। আন্দোলন হওয়ার কথা বিচারে আতাঁত করার দায়ে সরকারের বিরোদ্ধে, অথচ হচ্ছে কি? অত্যন্ত দৃষ্টিকটুভাবে নাসিরুদ্দিন বাচ্চু ও নাজমুল-সোহাগের কানে কানে আদেশ-নির্দেশ দেওয়া, গোপন আস্তানা থেকে আসা ওহীর তাপে-চাপে রাতে নেওয়া সিদ্ধান্ত সকালে পাল্টে পাঠ করা-আমাদের হতাশ করে। দল হিসাবে বিএনপিকে করে তোলে সচকিত। দেশের ব্যাপক মানুষ বিশ্বাস করতে থাকে, এই আন্দোলনটির মাধ্যমে সরকার তার কলুষিত অতীতকে ঢাকতে চায়, চলমান সমস্যা গুলো আড়াল করতে চায় কিংবা আরো বড় কোনো দুর্বিসন্ধি থাকাও স্বাভাবিক!! সন্দেহ নেই সরকার কিংবা দল হিসাবে আম্লীগ যেকোনো সুবিধা অর্জন চাইতেই পারে, তাই বলে আন্দোলনে ডাক দেওয়া নেতৃত্বদানকারী নেতাদের সরকারী পকেটে যেতে হবে? অনেকেই ধারণা করেন, বিএনপি এই আন্দোলনে আসলে জামাতীরা শেষ হয়ে যেতো এখনই। শেষ হতো কিনা তা আর বলা যাচ্ছেনা, কিন্তু বিএনপি বা দলীয়ভাবে ছাত্রদল সেখানে গেলে, সাগর-রুনি, রাজীব হত্যার বিচারের আল্টিমেটাম দিলে, ইমরানের কানে কানে মন্ত্রণা দিলে, আম্লীগের রাজাকার গুলোর ফাসিঁর দাবী করে টিভিতে মিটিমিটি হাসলে-সরকার সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করতো না-এই নিশ্চয়তা দেওয়া যায়না। শিক্ষকদের নিরীহ মানবন্ধন যে সরকার সহ্য করতে রাজি নয়, তারা শাহবাগে পুলিশি নিরাপত্তায় ছাত্রদলকে আন্দোলন করতে দিবে-এটা ভাবলেও পাপ হবে। বিএনপি-র অবস্থান ও শাহবাগ চত্বর সম্পর্কে যে মূল্যায়ন-তার ভার আমরা সময়ের হাতে ছেড়ে দিলাম। সময় এটার যৌক্তিকতা ও অযৌক্তিকতার মূল্যায়ন করবে। শাহবাগ আন্দোলন সফল হলে, নির্দলীয় ভাবনা জয়ী হলে, মহাঅর্জনটি ইতিহাস হয়ে ভন্ড রাজনীতিবিদদের যুগে যুগে চোখে আঙ্গুল দিয়ে সাবধান করতে পারতো।
শাহবাগের অর্জনঃ
নতুন প্রজন্ম সত্যিকার অর্থেই যুদ্ধাপরাধের বিচায়-এটা দিবালোকের মতোই সত্য। দেশের স্বার্থে আন্তরিক ডাক পেলে আমাদের সন্তানরা ঘরে বসে থাকবেনা-এটা প্রমানিত। এখন কয়েক সপ্তাহ পর বহুমুখী স্বার্থের প্যাচে পড়ে আন্দোলনের দিক পরিবর্তন হলেও নতুন প্রজন্ম তার প্রমান সময় মতো দিয়েছে। জনতা এক সাথে থাকলে, অত্যাচারী শাসকও অসহায় হয়ে পড়ে এবং ইজ্জত বাচাঁতে হলেও সাড়া দিতে বাধ্য হয়-এটাও প্রমানিত। মানুষ জাগলে রাজাকার ও তাদের ছাপোনারা চরমতম অসহায়ত্বের ভিতর নিপতিত হয়-এটাও প্রমানিত। বাই-প্রডাক্ট হিসাবে অর্জিত হয়েছে বাম সংগঠন গুলোর যে ছাত্রনেতৃত্বকে দেশবাসী কাস্তেওয়ালা লিপিস্টিকি কথাশিল্পী হিসাবে জানতো, তারা আগামী দিনে আম্লীগ বা বিএনপিতে যোগ দেওয়ার মতো পূজিঁ অর্জনে সক্ষম হলো বামবেষ্টিত মিডিয়ার বদৌলতে!! সে এক বিরাট অর্জন। শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরের সাফল্য সুদূর প্রসারী, সময় তা প্রমান করতে পারে।
শাহবাগের বর্জনঃ
শাহবাগের একটি মাত্র দাবী ছিলো রাজাকারদের সত্যিকার বিচার এবং চরমতম শাস্তি। সেখান থেকে সরে গিয়ে দিশেহারা সরকার নিয়ন্ত্রিত, বামপরিচালিত আন্দোলনটি এক সময় জামাতের আর্থিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান গুলো বর্জনের ডাক দেয়। কোথাও কোথাও কেবল এটিএম বুর্থ ভাঙ্গার চেষ্টা করে ছাত্রলীগ-যা তাদের স্বকর্মসংস্থান প্রকল্পের সাথে মিল খায়! এখন পর্যন্ত জামাতীদের প্রতিষ্ঠান গুলো চলছে, ইমরানও এটি হয়তো ভুলে গিয়েছে! অর্থাৎ শাহবাগ এখানে ব্যর্থ হয়েছে। শাহবাগ চত্বরের অতিবিপ্লবীরা একটিমাত্র বিরোদ্ধমতকে টার্গেট করে তা বন্ধ করতে এবং তার সম্পাদককে গ্রেফতারের আল্টিমেটাম দেয়। ব্লগারদের অভিধানে ‘‘মিডিয়ার কন্ঠরোধ’’ জাতীয় বিষয় থাকতে পারে-এটা অবিশ্বাস্য, যা ফ্যাসিস্টদের মনে করিয়ে দেয়। অতিরঞ্জিত/মিথ্যা সংবাদ এমনিতেই বর্জিত হয়, সময়ে পত্রিকাই ডাস্টবিনে জায়গা নিতে বাধ্য হয়। কিন্তু মিডিয়ার কন্ঠরোধ ব্লগারদের দাবী হবে কেন, উপরন্তু যখন সকল মিডিয়া এই আন্দোলনকে সর্বাত্মক গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করছে? এই আল্টিমেটামকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে গ্রেফতারবরণ করতে অপেক্ষায় থাকে মাহমুদুর রহমান। অঞ্জন রায়, নাসিরউদ্দিন বাচ্চুদের মতো দলীয় ও মিডিয়ার দালালরা শাহবাগে শ্লোগান দিতে পারলে, অন্যরা কেন এ আন্দোলনের অসংগতির বিরোধীতা করতে পারবে না? মত প্রকাশের স্বাধীনতা যখন ব্লগাররা অস্বীকার করে কেবল ভিন্নমতের কারণে-তখন দলীয়দাস গুলোর কুৎসিত চেহারাই ভেসে উঠে। এই মাত্রার কন্ঠরোধকারী ফ্যাসিস্ট ব্লগাররাই ভিন্নমতালম্বী/রাজীবদের হত্যা করতে পারে, মিডিয়াকেও খুন করতে পারে। অথচ মতপ্রকাশের সুযোগ নিয়ে মিডিয়ার কল্যানেই ব্লগাররা এই আন্দোলনকে গড়ে তোলে, মহিমান্বিত করে। আজ তারা আমার দেশ পত্রিকার মৃত্যু চায়, গ্রেফতার চায় সম্পাদকের-আইনী পথে যেতে চায়না, কার্যালয়ে আগুন দেয়!! লেখার জবাব লেখা দিয়েই দিতে হয়-এটাই সভ্যতা, এটাই গণতান্ত্রিক-এর বাইরে যেকোনো প্রচেষ্টাই সরাসরি ফ্যাসিজম।
শাহবাগের গর্জনঃ
যুদ্ধাপরাদের একমাত্র দাবী থেকে এখন আন্দোলনকারীরা বহুমুখী গর্জনে নেমেছে-যা আন্দোলনটির বহুমুখি ক্ষতিই করেছে। জামাতীদের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা আইনের মাধ্যমেই কেবল সম্ভব, যদি সেগুলো আইনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়ে থাকে। সেসব দেখার দায়িত্ব সরাসরি সরকারের, প্রজন্ম চত্বরের নয়। অতিবিপ্লবীরা সবচেয়ে মারাত্মক যে বার্তাটি জনগণকে দিয়ে দেয়-তা হলো বীরউত্তমকে রাজাকার খেতাব দিয়ে তার সন্মান প্রত্যাহারের দাবী। কাদের সিদ্দিকীর খেতাব ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কথা বলার মতো মানসিক উচ্চতা ও সামাজিক গ্রহনযোগ্যতা যাদের নেই, তাদের মুখে মুক্তিযোদ্ধার এরকম মূল্যায়ন/অপমান শুনে অনেকেই বিব্রত। পাল্টা প্রশ্ন জাগে, চেনা বামন কাদের সিদ্দিকীর পৈতা লাগে কি? পৈতা লাগে তাদের- যাদের মধ্যেই বাস করে আকন্ঠ সুবিধাবাদীতা, অতীত পলায়নপর কাপুরুষতা। চরিত্রহননের এই খেলায় ‘দৈনিক আমার দেশ’ও নাম লেখালে এর দায় অতি উৎসাহীরা এড়াতে পারেন না। হরতাল প্রতিরোধ করা, সম্পদ রক্ষা করা রাষ্ট্রীয় বাহিনীর দায়িত্ব হলেও সরকারী সংগঠন এই প্রতিরোধ সেবায় নিজেদের নিয়োগ করে থাকে। এটা মেনে নিলেও শাহবাগ চত্বর হরতাল প্রতিরোধে সরকারী দলীয় সংগঠনের ন্যায় দায়িত্ব পালন করবে কেন-সেটার মূল্যায়ন সচেতনদের উপর থাকলো।
খালেদা জিয়ার নব্য শুভাকাংখীরাঃ
হঠাৎ করে এক শ্রেনীর ব্লগার গজিয়ে উঠেছে যারা সকাল বিকাল খালেদা জিয়াকে গালাগালি করছে এটা বলে যে, কেন খালেদা জিয়া শাহবাগে গেলোনা। খালেদার কান্ধে জামাতীরা, বিএনপি জামাতের মধ্যে বিলীন, বিএনপি জামাতের বি-টিম, খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা শূণ্য-এ জাতীয় মন্তব্য করে তাকে হেয় করার কাজটি করে যাচ্ছে। সন্দেহ নেই এই কাজে এগিয়ে আছে বাকশালী ব্লগারদের একটি অংশ যারা সরকারের নানাবিধ ব্যর্থতায় নাকে খত দেওয়ার পর্যায়ে অবস্থান করছিলো। ডাক্তার আইজু, াহো-এদের মতো ব্লগাররা শুরুতেই এই আন্দোলনকে নেতিবাচক হিসাবে উপস্থাপন করে পোস্ট দিয়েছেন। শাহবাগ চত্বরের ফুয়েলে মুখোশ লাগিয়ে এখন খালেদা জিয়াকে গালাগালি করছে, বিএনপির রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে তারা যারপরনাই শংকিত। আহা কতটা খালেদা দরদী, কতটা বিএনপি প্রেমী তারা-এটা খালেদা জিয়া বুঝতেছেন না!! অথচ এই এরাই খালেদা জিয়ার চরিত্র নিয়ে কুৎসা রটিয়েছে, গায়ের জোরে যেদিন সরকার অন্যায়ভাবে খালেদা জিয়াকে ঘরছাড়া করেছিলো-সেদিন তারা উৎসব করেছে। চরম নির্যাতিত সন্তানকে দেখে ক্রন্দনরত খালেদা জিয়ার ছবি নিয়ে এই কুলাংগাররা মস্করা করেছে। আজ তারা বিএনপির রাজনৈতিক ভবিষ্যত দেখার জ্যোতিষি সেজেছে। সময় বলে দিবে, জনতাই ঠিক করবে কে ঠিক পথে আছে, কে বিপথে আছে। আগামী নির্বাচনটি নিরপেক্ষ হতে হবে-তাহলেই বুঝা যাবে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক অবস্থানটির মূল্যায়ন। তরুনদের ২কোটি ভোটের লোভ দেখিয়েও অনেকে খালেদা জিয়াকে হুমকি দিচ্ছেন যে, শাহবাগের আম্লীগ প্রযোজিত বামপরিচালিত ইমরান সরকারের খাদেম না হলে আগামী নির্বাচনে বিএনপি তরুনদের ভোট পাবেনা। তাদের কথায় মনে হয়, বিএনপি নিয়ে খালেদা জিয়ার চাইতে তারাই বেশী দরদী ও চিন্তিত!! শাহবাগের মতলবী বাকশালী ব্লগাররা ধরে নিয়েছে দেশের দুইকোটি তরুন কেবল ইমরানের কথায় বাম-ডান-বাম সুরে মার্চপাস্ট করে!!
চলমান রাজনৈতিক হত্যকান্ড, হলুদ সাংবাদিকতা ও বিবেকহীন ব্লগার সমাজঃ
দেলু রাজাকারের ফাসিঁর আদেশ দিয়েছে আদালত,। এটা নিয়ে দ্বিমত থাকলে আন্দোলনকারীদের উচিত ছিলো আদালতে আপীল করা। কিন্তু সারা দেশব্যাপী যে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃস্টি হলো, নিরীহ সংখ্যালুঘুদের গৃহহারা হতে হলো তার দায় জামাত শিবিরকে নিতে হবে, আম্লীগকেও নিতে হবে। অবশ্য একই ভাবে যেকেউ বলতে পারে, আদালত কাদের মোল্লার রায় দিয়েছে যাবজ্জীবন-এটা নিয়ে শাহবাগ চত্বরে সংক্ষুদ্ধ হয়ে তরুন প্রজন্ম আন্দোলন করতে পারলে, অন্যরা কেন একই আদালতের প্রতি সংক্ষুদ্ধ হয়ে আন্দোলন করতে পারবেনা? শাহবাগ আন্দোলনের কারণে মৃত্যু হয়নি, সম্পদের ধ্বংস হয়নি-এর কারন হলো শাহবাগে পুলিশ নিরাপত্তা দিচ্ছে, কিন্তু সারা দেশে যে হত্যাকান্ড গুলো ঘটলো, সংখ্যালুঘুদের বাড়ীতে আগুন জ্বললো-সেখানে পুলিশ মৃতদের জন্য, গৃহহারাদের জন্য নুন্যতম নিরপত্তার কথা ভাবেনি, প্রজন্ম চত্বরের নেতাদের এ বিষয়ে নুন্যতম দায়বোধ আছে বলে মনে হয়না। এই ভাবে পুলিশি রাষ্ট্র বানিয়ে আইনহীন মানুষ খুন করে, ভীত সংখ্যালঘুদের অসহায়ত্বকে কাজে লাগিয়ে হয়তো ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করা যায়, কিন্তু চিরস্থায়ী করা যায়না। কাদের মোল্লার রায়-ই চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে যুদ্ধাপরাধের বিচারের ক্ষেত্রে আম্লীগ ও সরকারের অবস্থান/আন্তরিকতা কতটা কলুষিত!!
একই আদালতের রায়ে দুটি পক্ষ, পুলিশের দুরকম আচরণঃ
যুদ্ধাপরাধের ট্রাইব্যুনালের একটি রায়ের বিরোদ্ধে আন্দোলনকারীদের পুলিশ নিরাপত্তাসহ যাবতীয় সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করছে, একই ট্রাইব্যুনালের আরেকটি রায়ের বিরোদ্ধে আন্দোলনকারীদের পুলিশ গুলি করছে-যা আইনের শাসনের চরমতম লংঘন। গুলির বাইরেও বহু পথ আছে এরকম আন্দোলনকে নিয়ন্ত্রণ করার। এত গুলো মৃত্যুর পরও আমাদের হলুদ পত্রিকা/টিভি মিডিয়া গুলোতে চরমতম কুলাংগারীর সাথে মিথ্যাচার চলছে। কঠিনতম অবস্থার মধ্যে দিয়ে চলমান দেশটিতে জনতার ভিন্নমতের কোনো বক্তব্য প্রচার পায়না-যা নৈতিকতা ও গণতন্ত্রের জন্য অশুভ। বিরোধীদলের কর্মসূচী গুলোকে সরাসরি অরাজকতা, তান্ডব, ধ্বংসলীলা হিসাবে দেখাতে চাইছে আমাদের হলুদ মিডিয়া, ভিন্নমতের দ্বিমতের যেকোনো ব্লগারকেই দেশবিরোধী হিসাবে ট্যাগ করছে বাকশালীরা। মিথ্যাচার যদি মিডিয়া গুলোর গণতান্ত্রিক অধিকার! হয়ে থাকে, তাহলে আমার দেশ সেই চর্চাই এখন করছে সকল মিডিয়ার সাথে পাল্লা দিয়ে। নির্বিচার মানুষ হত্যাকান্ডের জন্য যার বিবেক নিন্দা জানায় না, মূল্যবান জীবনের চাইতে সরকারের দালালীতে যে ব্লগারের বিবেক নিমজ্জিত, সংবিধান ও আইনের চাইতে দলীয় আবেগে যে ব্লগারের মানসিকতা জংলীময়-আমি তাকে ঘৃণা করি, তার দেশপ্রেমকে ধিক্কার জানাই। যুক্তির চাইতে অন্ধ অনুকরণে বিবেক বর্জিত উল্লসিত লম্ফমান যে তারুণ্য-তার উপস্থিতি দেশের জন্য সর্বাত্মক দায়মাত্র।
সুবিধাবাদী চেতনা বা আস্ফালন নয়, সরাসরি বাস্তবায়ন করে দেখান মাত্র ২টি দাবীঃ
১. ধর্মীয় সকল রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ;
২. যুদ্ধাপরাধীর উচিত বিচার। (এর সাথে তবে, যদি, কিন্তু, অন্যথায়, সুতরাং, যেহেতু নেই।)
উৎসর্গঃ গণতন্ত্রের জন্য নিখাদ দেশপ্রেমের কারণে’ ৯০-এ স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে জীবন দেওয়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অকুতোভয় সৈনিকদের-যাদের রক্তের সাথে বেইমানী-আমাদের নিত্য রাজনৈতিক তামাশায় পরিনত হয়েছে।
০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:০১
স্বাধীকার বলেছেন:
অনার্য ভাই,
আপনার সাথে একমত। অনেক ক্ষতি হলেও এখনো হয়তো সময় আছে। তবে আপনার মতোই আমিও বলছি বিলাসী আন্দোলনে কিছুই অর্জিত হয়না, হতে পারেনা।
আপনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকবেন।
২| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৩৯
বোকা ইনদুর বলেছেন: কারখানার মালিক যখন শ্রমিকের দাবি আদায়ের পক্ষে মাঠে নামল, তখনই মনে কু ডাক দিয়া উঠল।
০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:০৪
স্বাধীকার বলেছেন:
বোকা ভাই,
ঠিক বলেছেন। শ্রমিকরা মালিকের বিপক্ষে আন্দোলন করছে দাবী আদায়ে। মালিক দাবী পূরনের ব্যবস্থা না করে শ্রমিকদের সাথে আন্দোলনে নামে!! সার্কাসের তামাশাকে ফেল করায় সরকার।
আপনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। শুভ কামনা।
৩| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৩৯
কারাবন্দী বলেছেন: অসাধারণ
০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:০৫
স্বাধীকার বলেছেন:
কারাবন্দী ভাই,
আপনার কাছে কৃতজ্ঞতা। ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।
৪| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৪৩
একজন নিশাচর বলেছেন: অনেক গুছিয়ে বলেছেন কথা গুলো।
সবকিছু ঠিক থাকলে জাতীয় নির্বাচনের আর এক বছরেরও কম সময় আছে। এখন বিরোধীদল যারাই হোক না কেন তারাই বিক্ষোপ সমাবেশ করত যা বিএনপিও করছে। ২ এ ২ এ চার মিলিয়ে অনেকেই এটাকে যুদ্ধাপরাধী বাঁচানোর ধান্দা বলে যারা মনে করছেন। যেটা ঠিক নয়।
আর শাহবাগ নিয়ে কোন মন্তব্য করতে চাই না। প্রথম দিকে এটা নির্দলীয় থাকলেও পরবর্তিতে দলীয় হয়ে গেছে। একটি বারের জন্যও আ'লীগ দোসর নামকরা রাজাকারের কোন নাম এখানে উচ্চারিত হয় নি। প্রথম দিকে এখানে বক্তব্য দেয়া হত স্ক্রিপ্ট না দেখে। পরবর্তিতে দলীয় স্ক্রিপ্ট হাতে ধরিয়ে দেয়া হয়েছে তথাকথিত সময়ের কিছু নেতার হাতে।
ধন্যবাদ।
০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:০৯
স্বাধীকার বলেছেন:
নিশাচর ভাই,
এরকম একটি মহৎ ও স্বতস্ফুর্ত আন্দোলনকে এভাবে গ্রাস করলো যারা, জনতা তাদের বিরোদ্ধে এই শাহবাগেই একদিন শ্লোগান দিবে-এমন ধারণা করছি।
বিগত সময় গুলোতে যে কোনো দল বা নাগরিক সরকারের নুন্যতম সমালোচনা করলেই তাকে যুদ্ধাপরাধের বিচার বানচালকারী হিসাবে সরকার প্রচার চালিয়েছে। এখন শেষ বছরে সরকার সীমাহীন ব্যর্থতা নিয়ে ক্ষমতা ছাড়লে আগামীতে ভোট চাওয়ার সুযোগও তাদের থাকবেনা। এমতাবস্থায় শাহবাগকে কেন্দ্র করে মানুষের চরম আবেগের জায়গা মহান মুক্তিযুদ্ধকে ব্যবহার করে আম্লীগ আগামীতে খেয়া পার হতে চায় তাদের ভাংগা ও ডুবন্ত নৌকা নিয়ে-যা ইতিমধ্যেই মানুষ জেনে গিয়েছে।
কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ। শুভ কামনা থাকলো।
৫| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৪৮
নুসরাতসুলতানা বলেছেন: এদেশটাতে বারে বারে স্বপ্ন ভঙ্গের কারন ঘটছে।তবে শাহবাগের এ জাগরন তারুন্যকে প্রতিবাদ করতে অনুপ্রানিত করবে --ভুল করতে করতেই সঠিকটা শেখে মানুষ।
০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:১৪
স্বাধীকার বলেছেন:
নুসরাত আপু,
আপনার সাথে একমত, ভুল করতে করতেই শেখে মানুষ। কিন্তু বার বার মানুষের স্বপ্নভঙ্গের দায় কাউকে না কাউকে নিতে হবেই। তারুণ্য যদি আজ ব্যর্থ হয়, তাহলে আগামীতে দেশের ক্রান্তিকালেও তারুণ্যকে আনা যাবেনা-যা আমাদের দেশের জন্য সত্যিই দূর্ভাগ্য বয়ে আনতে পারে।
আপনাকে কৃতজ্ঞতা। ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৬| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৪৯
বাংলার হাসান বলেছেন: উৎসর্গঃ গণতন্ত্রের জন্য নিখাদ দেশপ্রেমের কারণে’ ৯০-এ স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে জীবন দেওয়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অকুতোভয় সৈনিকদের-যাদের রক্তের সাথে বেইমানী-আমাদের নিত্য রাজনৈতিক তামাশায় পরিনত হয়েছে।
০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২০
স্বাধীকার বলেছেন:
হাসান ভাই,
৯০-এর আন্দোলনের একজন সৈনিককে আমি চিনি-যার কোমড়ে এখনো একটি গুলি আছে মেরুদন্ডের কাছাকাছি। অপারেশন করার মতো আর্থিক সংগতি তার নেই। সিংগাপুর গেলে হয়তো তিনি অপারেশনটি করাতে পারবেন। এখন ডাক্তাররা তাকে সেটি সেখানেই রাখতে বলেছেন। মাঝে মাঝে তিনি খুব কষ্ট পান, চিৎকার করেন। কিন্তু আজ আমাদের কোনো রাজনৈতিক দল এই সৈনিকের খবর নেয়না। তখন হাই স্কুলে পড়ি, যেদিন এরশাদের পতন হয়-সারা দেশে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়, দেশ যেনো নতুন করে স্বাধীন হয় তখন। হাসিনা-খালেদা এক সাথে, সকল রাজনৈতিক দল একসাথে একই কথা বলছে, রাজপথে রঙ ছিটাচ্ছে-সেকি উচ্ছাস। কিন্তু আজ সবই নষ্ট স্মৃতি। এর জন্য দায়ী আমাদের নষ্ট রাজনীতি। কিন্তু জীবনদানকারী সেই সৈনিকদের জীবনদান কেন বৃথা গেলো-এর দায় থেকে আমরা কেউ মুক্ত নই। তাই তাদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হলো-দেশ যখন একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে।
আপনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকবেন।
৭| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৫৪
বিডি আইডল বলেছেন: পোলাপাইনের নতুন বাল গজাইলে দে হ্যাভ ইচি ফিলিংস...এইরকম একটা শ্রেণীর নতুন বাল গজাইছে
০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২৮
স্বাধীকার বলেছেন:
বিডি আইডল ভাই,
আপনি বস মানুষ, আমাদের শ্রদ্ধার ব্লগার। আপনার মতো করে চাছাছোলা বলতে পারিনা। সব চুলকানিই ক্ষনিক মিঠামিঠা ভালো লাগায় বটে, আখেরে তা জ্বলে, কখনো কখনো সেখান থেকে পূজঁ নির্গতও হয়। এটা প্রজন্মকে বুঝতে হবে, মন চাইলেই সব খানে চুলকিয়ে সুখ নেওয়া ঠিক নয়।
বিবেকহীন, যুক্তিহীন উচ্ছাস আস্ফালন-দেশপ্রেমিক নাগরিকের আচরণ নয়। সর্বোচ্চ দায়িত্বশীলতা কাম্য ক্রান্তিকালে।
আপনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। শুভ কামনা।
৮| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৫৬
আই লাভ ইউ, ম্যান বলেছেন: ১০০ % সহমত
০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৩৪
স্বাধীকার বলেছেন:
ইলু ম্যান,
আপনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকবেন।
৯| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৫৭
স্বাধীকার বলেছেন:
মডারেশনঃ
আমার এই পোস্টটি দুই বার এসেছে। এই পোস্টটি রেখে অন্য পোস্টটি ডিলিট করতে পারছিনা। প্লিজ অন্য পোস্টটি মুছে দিন।
মন্তব্যকারী সহব্লগারবৃন্দঃ একটু পরই আমি আপনাদের মন্তব্য গুলোতে অংশ নিবো। তার আগে ঐ পোস্টটি ডিলিটের চেষ্টায় আছি, যদি আপনাদের সহযোগিতা করার থাকে, তাহলে করুন প্লিজ। মুছে ফেলুন বাটন, ড্রাফট বাটন কাজ করতেছে না।
০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৩৬
স্বাধীকার বলেছেন:
স্বাধীকার
তুমি প্রযুক্তিমুর্খ। এ বারের মতো ক্ষমা করা হলো বিশেষ বিবেচনায়। আর যেন কখনোই পোস্ট দুইবার না আসে।
১০| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:১২
দন্ডিত বলেছেন: (কপি পেস্ট করলাম)
আপ্নের লেখা কোন ফর্মেটে পরতেছে না দেখে অস্বস্থিতে পরলাম। নাইলে গতবাধা উত্তর দিয়া দিতাম।
আমার এনালাইসিস হচ্ছে, সহিংসতা প্রধানত হয়েছে জামাত এবং বিএনপি পকেট গুলোতে। জামাত চাচ্ছিল বেশী লাশ পরুক। কম বয়সী বাচ্চাদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করায় আগ্রহ বেশী দেখা যাচ্ছে।
জামাত শিবির চালিত ফেসবুক পেইজ গুলো থেকে রায়ের আগে থেকেই রেললাইন উপড়ানো, থানা আক্রমণ ইত্যাদির হুমকি দেয়া হচ্ছিল। সরকারী গোয়ান্দা সংস্থা এইখানে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। সরকারের উচিত ছিল রায়ের আগেই ব্যবস্থা নেয়া যাতে সহিংসতা ছড়িয়ে যেতে না পারে।
জামাতের এই লাশের রাজনীতির ফাদে সরকার পা দিয়েছে খুবই গাধার মত। সরকার আগে থেকেই ১৪৪ ধারা জারি, বিজিবি মোতায়েন, সেইসাথে তাদের কে একত্রিত হতে বাধার সৃষ্টি করলে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটত না।
সরকারকে এই ঘটনার দায় অবশ্যই নিতে হবে।
তবে জোটের শরিক হিসেবে জামাতের রাশটা বড়ভাই সুলভ ভাবে টেনে ধরতে পারত বিএনপি। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এই টুকু ত্যাগ স্বীকার করলে জনগন মনে রাখত। কিন্তু এটা খুবই দুঃখজনক আমাদের দুটি দলই জনগনের সার্বিক লাভের চেয়ে নিজেদের সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থ নিয়েই বেশী ব্যস্ত থাকে।
আপ্নের লেখা কোন ফর্মেটে পরতেছে না দেখে অস্বস্থিতে পরলাম। নাইলে গতবাধা উত্তর দিয়া দিতাম।
আমার এনালাইসিস হচ্ছে, সহিংসতা প্রধানত হয়েছে জামাত এবং বিএনপি পকেট গুলোতে। জামাত চাচ্ছিল বেশী লাশ পরুক। কম বয়সী বাচ্চাদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করায় আগ্রহ বেশী দেখা যাচ্ছে।
জামাত শিবির চালিত ফেসবুক পেইজ গুলো থেকে রায়ের আগে থেকেই রেললাইন উপড়ানো, থানা আক্রমণ ইত্যাদির হুমকি দেয়া হচ্ছিল। সরকারী গোয়ান্দা সংস্থা এইখানে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। সরকারের উচিত ছিল রায়ের আগেই ব্যবস্থা নেয়া যাতে সহিংসতা ছড়িয়ে যেতে না পারে।
জামাতের এই লাশের রাজনীতির ফাদে সরকার পা দিয়েছে খুবই গাধার মত। সরকার আগে থেকেই ১৪৪ ধারা জারি, বিজিবি মোতায়েন, সেইসাথে তাদের কে একত্রিত হতে বাধার সৃষ্টি করলে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটত না।
সরকারকে এই ঘটনার দায় অবশ্যই নিতে হবে।
তবে জোটের শরিক হিসেবে জামাতের রাশটা বড়ভাই সুলভ ভাবে টেনে ধরতে পারত বিএনপি। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এই টুকু ত্যাগ স্বীকার করলে জনগন মনে রাখত। কিন্তু এটা খুবই দুঃখজনক আমাদের দুটি দলই জনগনের সার্বিক লাভের চেয়ে নিজেদের সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থ নিয়েই বেশী ব্যস্ত থাকে।
০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৪৭
স্বাধীকার বলেছেন:
দন্ডিত ভাই,
আপনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। কষ্ট করে দুই বার মন্তব্য করলেন দুই পোস্টে। আপনাকে সব সময় স্বাগতম।
জামাতের ফাঁদের সরকার পড়বে কেন? সরকারের শেষ সময়ে কি মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে? আন্দোলন সংগ্রামে আম্লীগের চাইতে কোন দলের অভিজ্ঞতা বেশী? তারপরও আম্লীগ জামাতের আন্দোলন সম্পর্কে নুন্যতম প্রস্তুতি রাখলোনা কেন? এর দায় সরকার এড়াতে পারেনা। অনেক গুলো মৃত্যু, কারণ যাই হোক, পৃথিবীর মানুষ জানে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক একটি নির্বাচিত সরকার আছে, এখানে কোনো জাতিগত বিদ্বেষ বা যুদ্ধাবস্থা নেই। তারপরও এতগুলো মৃত্যুকে কেন দেখতে হলো। মাত্র কয়েকমাস দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এতগুলো লাশের দরকার হলো কেন? আর কোনো বিকল্প কি সরকারের হাতে ছিলোনা? আন্দোলন করলেই গুলি কেন চলবে, আন্দোলনকারীদের দমন করতে আর কোনো উপায় কি পাওয়া গেলোনা? একদলের আন্দোলনকে সরকার নিজে নিরাপত্তা নিবে, আরেক দলের আন্দোলনকে গুলি দিবে-সেটা কেন হবে? সরকারের কাছে প্রজাতন্ত্রের প্রতিটি নাগরিকই ন্যায্যতা সমভাবে প্রাপ্য, যদি সে খুনীও হয়, চোর ডাকাতও হয়।
শেষ কথায় আপনার মতোই বলছি, ‘‘জনগনের সার্বিক লাভের চেয়ে নিজেদের সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থ নিয়েই বেশী ব্যস্ত থাকে আমাদের রাজনৈতিক দল গুলো।’’
ভালো থাকবেন।
১১| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৩৩
সি.এম.তানভীর-উল-ইসলাম বলেছেন: excellent and awesome!! I like ur post man!!
কিন্তু ধর্মীয় সকল রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ পক্ষে আমি নয়। কারন সকলের রাজনীতি করার অধিকার আছে, আপনি বা আমি বাধা দিতে পারি নাহ। বাধা দিলে এটা গণতন্ত্র পর্যায়ে পরবে নাহ। সকল মুসলিম প্রধানদেশে ও পৃথিবীর সকল দেশে ধর্মীয় রাজনীতি আছে এবং থাকবে। আপনি চান আর বা না চান!!!
আপনি কোন দলকে প্রছন্দ করেন বা না করেন এটা সম্পূর্ণ আপনার ব্যপার। কিন্তু কোন নিদিষ্ট দলকে নিষিদ্ধ করা যায় যদি তারা গণহত্যার সাথে যুক্ত থাকে, যেমন, জামাত, আওমালীগ ( আওমালীগ কেন? কারন তাদের সরকার মিছিলে তাজা গুলিবর্ষণের অনুমতি দিছে যা অগ্রহণযোগ্য এবং অমানবিক। ভুলে যাবেন না, মিছিলের সবাই বাংলাদেশি নাগরিক এবং একসাথে এত গুলো মানুষের হত্যার দায় ভার সরকারকে নিতে হবে। )
০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৫৫
স্বাধীকার বলেছেন:
তানভীর ভাই,
আপনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় ধর্মভিত্তিক রাজনীতির জায়গাটির স্পেস খুবই কম। কারণ একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা সকল ধর্মের সকল বর্নের সকল লিংগের মানুষের অবস্থান থাকে বিধায় এখানে সকল ধর্ম তার শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে মাঠে নামলে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে-সেটা একবার অনুমান করে দেখতে পারেন। তবে এটি ঠিক প্রত্যেকেরই তার নিজস্ব মত প্রকাশের সুযোগকে আমি সর্বদা প্রত্যাশা করি। নাগরিক হিসাবে সব মানুষেরই বাচাঁর অধিকার আছে, কেবল ভিন্নমতের কারণে কারো দিকে গুলি চালানো গণতান্ত্রিক সুশাসন কখনোই নয়।
আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা যখন কল্যাণকামী রাষ্ট্রের দিকে ধাবিত হচ্ছে, তখন আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিতে বিভেদের রক্ত ঝরছে-যা আমাদের কাম্য নয়। আন্দোলন প্রতিহত কিংবা ট্যাকেল করার বহু পন্থাই আছে, গুলি এক মাত্র সমাধান কখনোই হতে পারেনা।
ভালো থাকবেন।
১২| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:১৬
দন্ডিত বলেছেন: ৭১ এ দলগত অবস্থানের কারনে জামাত, নেজামী ইসলামী, মুসলিম লীগ সহ চীনপন্থী কম্যুনিস্ট দলগুলোর স্বাধীন বাংলাদেশে রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার থাকে না, থাকতে পারে না। ইভেন ইফ যদি ক্রিমিনাল অফেন্সের সাথে জড়িত নাও থাকে(যেমন চীনপন্থী কমিউনিস্ট দলগুলো)
০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:০১
স্বাধীকার বলেছেন:
দন্ডিত ভাই,
৭১ সালের ভূমিকা নিয়ে দলগত অবস্থানের কারনে যদি রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার দাবী উঠে-তাহলে কেবল জামাত নয়, বিরোধীতাকারী সকল দলকেই নিষিদ্ধ করতে হবে-এটাই যৌক্তিক। কিন্তু জামাত যেভাবে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের সাথে সরাসরি জড়িত থাকার প্রমান রেখেছে অন্যরা তেমনটা রাখতে পারেনি। এজন্য জামাতের ব্যক্তি শাস্তির সাথে সাথে দলগত শাস্তিটাও বেশী হবে।
আপনার উত্থাপিত এই দাবীর ব্যাপারে ব্লগারদের আরো মতামত প্রত্যাশা করছি। আবারো ধণ্যবাদ।
১৩| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:১৭
দন্ডিত বলেছেন: @তানভীরুল ইসলাম গনহত্যার সংজ্ঞা দেন।
০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:০৭
স্বাধীকার বলেছেন:
@তানভীরুল ভাই,
যদিও দন্ডিত ভাই নিজেই গণহত্যা সম্পর্কে উইকির রেফারেন্স দিয়েছেন।
১৪| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২২
দন্ডিত বলেছেন: উইকি থেকেঃ
Genocide is "the deliberate and systematic destruction of, in whole or in part, of an ethnic, racial, religious, or national group",[1] though what constitutes enough of a "part" to qualify as genocide has been subject to much debate by legal scholars.[2] While a precise definition varies among genocide scholars, a legal definition is found in the 1948 United Nations Convention on the Prevention and Punishment of the Crime of Genocide (CPPCG). Article 2 of this convention defines genocide as "any of the following acts committed with intent to destroy, in whole or in part, a national, ethnical, racial or religious group, as such: killing members of the group; causing serious bodily or mental harm to members of the group; deliberately inflicting on the group conditions of life, calculated to bring about its physical destruction in whole or in part; imposing measures intended to prevent births within the group; [and] forcibly transferring children of the group to another group."[3]
থানা ঘেরাও, মন্দির আক্রমণরত, রেললাইন উপ্রানো, ১৮ বছরের নীচের বাচ্চাদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করা মিছিল, পুলিশ পাইলে মাইরা ফালানো, প্রকাশ্য রাস্তায় জবাই করা, অগ্নিসংযোগ, ট্রেন, বিদ্যুতের সাবস্টেশন, ইত্যাদিতে আগুন দেয়া, সংখ্যালঘুদের বাড়ি পুড়ানো, হত্যা, ধর্ষণ ইত্যাদিতে নিয়োজিত লোকজন এর কথা এই সংজ্ঞায় বলা নাই।
আপনি এক কাজ করেন, উইকিতে এইগুলা এড করেন। দেখেন উইকি এডমিনরা আপনের লেখা রাখে কি না।
০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:০৮
স্বাধীকার বলেছেন:
@ তানভীরুল ভাই।
১৫| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২৬
বাংলাদেশী দালাল বলেছেন: খমতায় কেও সারা জীবন থাকবনা। সব রাজাকারের বিচার একসাথে চাইলে হইবনা এই সত্ত মানা ছারা উপায় নাই। তয় পাপে কিন্ত বাপেরেও ছারেনা...। এলা আহেন যেই কয়টারে বান্দন গেসে আগে হিসাব বড়াবড় কইরা লোই।
০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:১১
স্বাধীকার বলেছেন:
বাদা ভাই,
আপনার পর্যবেক্ষণ ও প্রস্তাব খারাপ না। কোনো রকম ক্ষমতা কেন্দ্রিক হিসাবের বাইরে গিয়ে সত্যিকার হিসাব নিতে আমি আপনার সাথে আছি থাকবো।
আপনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
১৬| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৩৫
উপপাদ্য বলেছেন: সুবিধাবাদী চেতনা বা আস্ফালন নয়, সরাসরি বাস্তবায়ন করে দেখান মাত্র ২টি দাবীঃ
১. ধর্মীয় সকল রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ;
২. যুদ্ধাপরাধীর উচিত বিচার। (এর সাথে তবে, যদি, কিন্তু, অন্যথায়, সুতরাং, যেহেতু নেই।
-এই জায়গায় এসে আম-বাম-কুত্তা-ছাগল সবাই চুপ।
আর এখন তো টিকিট কেনার হিড়িক পরছে নাকি শুনলাম।
অসাধারন পোস্ট স্বাধীকার ভাই।
০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:১৬
স্বাধীকার বলেছেন:
উপপাদ্য ভাই,
আপনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। যেখানে গিয়ে সবাই চুপ হয়ে যায়, সেখান থেকেই আমরা আলোচনা শুরু করতে বলি। আম-বাম-ছাম সব উলংগ হয়ে যায় মাত্র দুটো প্রশ্নেই, এখানেই বুঝতে পারা যায় তাদের বিচার করার সত্যিকার ইচ্ছাটা সম্পর্কে। কিন্তু শিক্ষিত দায়িত্বশীলরাও এসব এড়িয়ে গিয়ে স্রেফ দলবাজির কারনে আমাদের বিরোদ্ধে বিষোদগার করে। কখনো তারা তাদের দলীয় ফোরামে এসব নিয়ে প্রশ্ন করেনা।
ভালো থাকবেন। শুভ কামনা।
১৭| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৩৬
হাবিব০৪২০০২ বলেছেন: আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয় ডা.ইমরানের উচিত "আমার দেশ" পত্রিকার বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করা এবং আদালতে প্রমাণ করা টকশোতে দেয়া উনার দাবিই সত্য, উনার দাদা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন. সেই সাথে হলুদ সাংবাদিকতার দায়ে মহামান্য আদালত "আমার দেশ" পত্রিকার বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্হা নিবেন
০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:২৩
স্বাধীকার বলেছেন:
হাবিব ভাই,
আপনার সাথে একমত।
ব্লগারদের মুখে গায়ের জোরে মিডিয়া হত্যা, রাষ্ট্রীয় বাহিনী দিয়ে শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে মিডিয়ার গলাচিপে ধরার বায়না, সরাসরি ফ্যাসিস্টদের পর্যায়ে নিয়ে যায়। ব্লগারদের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার যেখানে মুক্ত মিডিয়া সেখানে ভিন্নমতের কারনে এমন দাবী হাস্যকর স্বার্থপরতা ছাড়া আর কি হতে পারে। রাষ্ট্রের আইন আছে, মিথ্যাচার সম্পর্কে ব্যবস্থা নেওয়ার সাংবিধানিক পথ আছে, সেখানে না গিয়ে সরকারের কাছে মামাবাড়ীর আব্দার দেখে ডাল মে কুচ কালা হ্যায়-মনে হওয়া স্বাভাবিক।
আপনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
১৮| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:০১
দন্ডিত বলেছেন: এর সহজ উত্তর হল মখা আলমগীর একটা অতি নিকৃষ্ট মানের ছাগল। তার এই মুহুর্তে পদত্যাগ করা উচিত। অসংখ্য মানুষের জীবন, কোটি কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট, সবকিছুর মুলে এই বেকুব।
সর্বাধিক সহিংসতা হয়েছে জামাত/বিএনপি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে। আগের জামাতের হরতাল গুলোর চালচিত্র বিশ্লেষণ করে রায় দেয়ার আগেই ১৪৪ ধারা জাড়ি করা উচিত ছিল বগুড়া, সাতকানিয়া, কক্সবাজার, গাইবান্ধা, রাজশাহীর বাগমারা ইত্যাদি জায়গাতে। আর ঐ এলাকার জামাতের নেত্তৃত্ব সম্পূর্ণটাকেই সীমিত সময়ের জন্যে জেলে ঢোকানো উচিত ছিল। মাদ্রাসা গুলোতে নজরদারি করা উচিত ছিল। তাহলে মৃত্যুর সংখ্যা অনেক কমিয়ে আনা যেত।
আরেকটি বিষয় হচ্ছে গাইবান্ধার ঘটনা কিন্তু বৃহস্পতিবার অনেক আগে ঘটেছে। এই ঘটনা সারা দেশের পুলিশকেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিয়েছে। তারা জানত কোনভাবে যদি মবের মাঝখানে পরে তাহলে তাদের জন্যে অপেক্ষা করছে নৃশংস মৃত্যু। আমার পরিচিত একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন বিপদজনক পয়েন্টগুলোতে পুলিশরা গুলির বরাদ্দ না বাড়ালে ডিউটি দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। সাধারানত পুলিশদের বরাদ্দ থাকে খুবই কম রাউন্ড। গাইবান্ধার ঘটনায় পুলিশের গুলি শেষ হয়ে গিয়েছিল।
তাছাড়া ক্রসফায়ার, অপারেশন ক্লীনহার্ট ইত্যাদি এক্সট্রাজুডিশিয়াল কিলিং এর প্রচলন পুলিশ বাহিনীকে সহজেই অধৈর্য করে তোলে।
০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৩০
স্বাধীকার বলেছেন:
দন্ডিত ভাই,
একজন ব্লগার হিসাবে আপনার মাথা এসব প্রিকশন আসলে দীর্ঘদিন প্রশাসনের সচিব থেকেও একজন রাষ্ট্রমন্ত্রীর মাথায় এসব আসেনি-সেটা কিভাবে মানা যায়। এতগুলো মৃত্যুর পর আম্লীগের ভিতর থেকেই এমন দাবী আসা উচিত ছিলো যে, ব্যর্থমন্ত্রীর সরে দাড়ানো সময়ের দাবী। মানুষ অস্ত্রহীন থেকে অস্ত্রের গুলিতে জীবন দিবে, দাতঁ কেলিয়ে আমাদের মন্ত্রীরা এসব মৃত্যকে যায়েজ করার ধান্ধা করবে-সেটা সব পক্ষ মানবে এমন কখনোই নয়। যাদের রক্তরক্ষণ হলো, তাদের পরবর্তী প্রজন্মকেও আম্লীগ হারালো-এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়। অল্পবয়সী বাচ্চারা না বুঝে মানব ঢাল হিসাবে ব্যবহৃত হলেও, মৃত্যুর বিষয়টি বুঝতে তাদের নিশ্চয় সময় লাগেনা, কিংবা এদের প্রতিশোধকামী করে তুলতে জামাতকে সহজ উপায় করে দেওয়া হলো। সরকার যদি এখনো এটা না বুঝতে পারে, তাহলে আগামী দিনে বাংলাদেশে ভাগ্যে যে দুর্ভোগ আসবে, সেটার ভারবহন করা ছোট রাষ্ট্রটির জন্য কঠিন হবে।
আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
১৯| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:১৩
মুফতি বাবা বলেছেন:
-
@দন্ডিত:
গণ হত্যার সংগা দিতে আপনার উইকির সাহায্য নিতে হইলো?? তো উইকির জন্মের আগে কি গণ হত্যা বইলা কোন কিছু ছিল না??
গত ৪ দিনে হত্যা করা হয়েছে ১৫০ জন নারী-পুরুষ-শিশু, শত শত আছে গুরুতর আহত| পাকি গণহত্যার পর আমাদের দেশের ইতিহাসে এর চেয়ে বেশী মানুষ কোন সরকার খুন করেছে কি না??
০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৪৩
স্বাধীকার বলেছেন:
@ দন্ডিত ভাই,
২০| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:১৮
সবুজ মেঘ বলেছেন: একমত।
০৫ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:১৯
স্বাধীকার বলেছেন:
সবুজ মেঘ,
ভাই আপনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকবেন।
২১| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:২০
মুফতি বাবা বলেছেন:
@ দন্ডিত:
পাকিরা ৭১ সালে আমাদের দেশে গণ হত্যাকে জায়েজ করতে আপনার মত আওয়ামী যুক্তি দিত|
ইলিয়াছ আলী, দিদার, চৌধুরী আলম সহ শত শত বিরোধী দলীয় নেতা কর্মি গুম হইছিল কি আগুন লাগাইয়া আর রেল লাইন তুলতে গিয়া???
আওয়ামী লীগের করা কোন হত্যাই আপনার মত দলকানাদের কাছে হত্যা মনে হয় না|
আর আওয়ামীলীগ কি ট্রেনে আগুন, বাসে আগুন, গান পাউডার দিয়া আগুনে পুরিয়ে মানুষ মারে নাই?? সেই সময় কি ৪ দিনে ১৫০ জন মানুষ হত্যা করা হইছিল??
০৫ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৪৪
স্বাধীকার বলেছেন:
@ দন্ডিত ভাই।
----------------------------------------------------------------------------
মুফতি বাবা ও দন্ডিত ভাইয়ের আলোচনা আমরা উপভোগ করছি, চলতে থাকুক। এজন্যই তো ব্লগ। দুজনকেই দায়িত্বশীল হিসাবে বিবেচনা করছি।
২২| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:২৪
দন্ডিত বলেছেন: @মুফতি বাবা এইটাকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বলতে পারেন। অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ বলতে পারেন। কিন্তু গনহত্যা বলতে পারেন না। যেমন ধরেন বগুড়ায় থানা বাঁচাতে গুলি করা হয়েছিল যেখানে অনেক গুলো মানুষ মারা গেল। যদি গুলি না করা হত, থানার লোকদের অবস্থা গাইবান্ধা কিংবা ঝিনাইদহ কিংবা চট্টগ্রামের মত হত। যদি জামাত শিবির হবার কারনে লোকজনের ঘরে ঘরে গিয়ে গুলি করা হত তাহলে গনহত্যা বলার বেসিস তৈরী হত। যদি শান্তিপূর্ণ মিছিল এ গুলি হত তাহলেও একটা কথা ছিল। কিন্তু গত কয়েকদিনে যে স্কেলে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড হয়েছে তাতে অনেক যায়গায় অপ্রয়োজনীয় গুলির কথা মেনে নিয়েও এটাকে কোনভাবেই গনহত্যা বলা যায় না। নিরস্র অপ্রস্তুত মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে না। অপরপক্ষও প্রতিশোধ নিচ্ছে। পুলিশের হাতে বন্দুক আছে তাই লাশ ঐদিকে পরছে কম। কিন্তু সামগ্রিক ক্ষতি বিবেচনা করলে একে গনহত্যা বলা যায় না।
০৫ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৫৫
স্বাধীকার বলেছেন:
@ মুফতি ভাই।
২৩| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৩০
দন্ডিত বলেছেন: @মুফতি বাবা আমার সাথে কথা বলা বাদ দেন। আমি আওয়ামী সাপোর্টারও না। তাদের কুকর্মের দায় আমি নিব না। আমি একবারও সরকারের সাফাই গাইতেছি না। এই অবস্থায় আসার জন্যে সরকারের দায় পনের আনা। আমি জাস্ট বলতেছি এইটারে গনহত্যা বললে, ক্রসফায়ার, অপারেশন ক্লীনহার্ট, সেনা কাস্টডিতে তথাকথিত হৃদরোগে মরা ৭০ জন বিডিয়ার জাওয়ান, এই সবই গনহত্যার কাতারে পরে যায়। এইগুলারে স্টেট স্পন্সর্ড টেরোরিজম বলা চলে। দুর্বল রাষ্ট্রে এগুলা চালু আছে। গনহত্যা কোনভাবেই না। যদি এগুলা থিকা মুক্তি চান তাইলে সমস্যার আরো গভীরে যাইতে হবে। কারন আমাদের দুই দলই একই মুদ্রার এইপিঠ ঐপিঠ। এরা এইসব ব্যাপার কখনই সলভ করবে না। নিজেদের লাভের জন্যে জিইয়ে রাখবে।
০৫ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৫৭
স্বাধীকার বলেছেন:
@ মুফতি ভাই।
----------------------------------------------------------------------------
আপনাদের আলোচনায় আমরা নজর রাখছি, উপভোগ করছি। আপনারা দায়িত্বশীল ব্লগার দুজনেই।
২৪| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৫৫
ভুল উচ্ছাস বলেছেন: ভাইয়া আপাতত প্লাস দিচ্ছি ভালো করে না পড়ে মন্তব্য করার মানেই হয় না। আর আমার নিজেরো কিছু প্রশ্ন আছে, কথা আছে সেটা বলারো উপযুক্ত জায়গা হচ্ছে এই পোস্ট। কাল আসছি আবারো।
০৫ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:৫৩
স্বাধীকার বলেছেন:
উচ্ছাস,
অবশ্যই পুরো পোস্ট পড়ে মন্তব্য দিবেন। অবশ্যই বহু বিষয় নিয়ে আমাদের আলোচনার সুযোগ আছে এবং আমাদের সে পরিমান ধৈয্য ও সহনশীলতাও নিশ্চয় আছে।
আমি অপেক্ষায় থাকলাম উচ্ছাসের সাথে বিস্তারিত আলোচনার জন্য। সে পর্যন্ত শুভ কামনা থাকলো।
২৫| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:১১
মুফতি বাবা বলেছেন:
-
যা বুজলাম সেইটা হইলো আওয়ামীলীগ গদি টিকাইয়া রাখতে ৪ দিনে ১৫০ জন নারী-পুরুষ-শিশু হত্যাও জায়েজ আছে|
নারী ও শিশুরা গেছিল থানায় আগুন দিতে? !!!
আর পুলিশ গত ৪ বছর যেই ভাবে বিরোধী দলীয় নেতা কর্মীদের ধরে ধরে রাস্তার চিপায় নিয়া পায়ে গুলি করছে, আর ইলিয়াছ আলীর এলাকায় গুলি কইরা ৪ জন মারছে, মির্জা আব্বাসের বাসায় ঢুইকা ছাত্রলীগের গুন্ডা দিয়া নারী নির্যাতন করছে তারপর দেশের মানুষ থানাকে মনে করে আওয়ামী লীগের দলীয় অফিস বা টর্চার চেম্বার!! সুতরাং পুলিশের পোষাক গায়ে দেওয়া গোপাল গন্জী আর কিশোর গন্জী ক্যাডাররা জনতার আক্রোশে পড়লে অবাক হওয়ার কিছু নাই|
০৫ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:০৪
স্বাধীকার বলেছেন:
মুফতি ভাই,
না, কারো রাজনীতি বা গদি রক্ষার জন্য কারো জীবন প্রদীপ নিভিয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। সারা বিশ্বে যখন মানুষ কল্যাণকামী রাষ্ট্রের জন্য সংগ্রাম করছে, ব্যক্তি নিরাপত্তাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে-তখন স্বাধীন দেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচিত সরকার গুলি করে কাউকে মারতে পারেনা। এই মৃত্যু কখনোই সরকারের পক্ষে যেতে পারেনা। অতি আবেগের জায়গা থেকে অনেকেই দেশবিরোধীদের নির্বিচার হত্যাকান্ড প্রত্যাশা করে মন্তব্য করলেও, রাষ্ট্র একটি আইনী ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে পরিচালিত হয়-যেখানে এ ধরণের নির্বিচার হত্যাকান্ডের জন্য সরকারকে জবাব দিতে হবে, তা আজ হোক বা কাল।
হত্যাকান্ডটাই বড় বিষয়, গুলিতে বা লাঠিতে মড়লো কিনা সেটা বিষয় নয়। সরকার যত তাড়াতাড়ি এই সর্বনাশা আত্মঘাতি পথ থেকে সরে এসে বিকল্পপথে অগ্রসর হবে ততই মঙ্গল। ইতিমধ্যেই সরকার চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এসব মৃত্যুর দায় সরকার এখন এড়ানোর সুযোগ হলুদ মিডিয়ার কারণে নিতে পারলেও, কোনো এক সময় এর জন্য মূল্য দিতে হবে। সেটা হতে পারে আগামী নির্বাচন।
ভালো থাকবেন। শুভ কামনা।
২৬| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:২৩
অনার্য পথিক বলেছেন: গণতহত্যা আর নির্বিচারে হত্যার মধ্যে পার্থক্য থাকলেও দুটোতেই মানুষের মৃত্যু ঘটে। মনে হয়, এই তর্ক বেশিক্ষণ চালানো যাবে না। এটা মৌলিক বিষয় নয়। হত্যা হচ্ছে এটাই মৌলিক।
কিন্তু এই হত্যার দায় কার মাথায় চাপাবেন? বিএনপির উপরে না সরকার তথা আওয়ামী লীগের উপর। দলবাজরা যার তার দলকে হেফাজত করার চেস্টা করবেন। এর বাইরে থেকে বলতে হলে বলতে হবে, কারা এসব করার জন্য প্রভোক করেছে।
আমাদের বিচারব্যবস্থায় যদি ত্রুটি না থাকতো তাহলে এসবের সুযোগ কম হতো। কিন্তু আপনি যখন বলবেন বিচার করছেন আর প্রক্রিয়াটা হবে প্রতিশোধের - তখন যে কোনো অপরাধী এই সুযোগ নেবে সে ন্যায্য বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে।
আমার শুরুতেই একটি কথা কানে বাজছিল 'ফাসি চাই ফাসি চাই' শব্দটি। প্রথমত আমি রায় এবং রায়ের জন্য সময়সীমা বেধে দিতে পারি না। আমি আমার সমস্ত শক্তি দিয়ে বিচার দাবী করতে পারি। এবং সেটা ন্যায্য বিচার। সেটি আমরা করিনি।
উল্লেখ্য, যদি, কিন্তু তবে ইত্যাদি এখন খুব ক্লিশে হয়ে গেছে। আপনি যেহেতু মুক্তচিন্তার ব্লগার তাহলে আপনাকে ধরে নিতে হবে যদির জায়গায় যদি বলতে হবে আর কিন্তুর জায়গায় কিন্তু বলতে হবে। এসব বাদ দেবার কথা বলাও এক ধরনের সিদ্ধান্তমূলক ভাবনা।
০৫ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:১২
স্বাধীকার বলেছেন:
দন্ডিত ভাই;
মুফতি ভাই,
---------------------------------------------------------------------------
হত্যা হচ্ছে এটাই মৌলিক-এটিই আসল কথা।
২৭| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৩৪
দন্ডিত বলেছেন: @মুফতি বাবা, দেইখা তো মনে হচ্ছে দলকানা আমি না, আপনি।
আমি কখন জায়েজ করলাম?
এইখানে কি ইলিয়াস আলী নিয়া কথা হইতেছিল? এইভাবে কথা বললে তো কোনদিন কথা শেষ হবে না। আমি বলব ২১ শে আগস্ট আপনি বলবেন ইলিয়াস , আমি বলব আহসানুল্লাহ মাস্টার আপনি বলবেন আরেকটা, আমি বলব সাবেক অর্থমন্ত্রীর কথা আপনি বলবেন আরেকটা।
খেয়াল করেন যাদের কথা আপনি বারবার বলতেছেন সবাই রাজনৈতিক দলের সদস্য। আপনাকে একটা প্রশ্ন করি, রাজনৈতিক পরিচয় না থাকলে কি একটা লাশের দাম কমে যায়?
ক্রসফায়ার করে অনেক নিরীহ মানুষকেও মারা হয়েছে। আমাদের ক্যাডেট কলেজের এডজুটেন্ট অপারেশন ক্লীন হার্টের সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি নিজে স্বীকার করেছেন দুই জন নিরপরাধ মানুষকে ভুলক্রমে হত্যার কথা। এরকম ভুল যদি আরো ৫০ জন করে?
রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসে এই দেশে প্রতি বছরে শত শত মানুষ মারা যায়। একটাই পার্থক্য অধিকাংশ মানুষের রাজনৈতিক পরিচয় নেই দেখে আপনাদের মত দলকানারা কান্নাকাটি করেন না। যে সাধারন মানুষগুলো আজ পুলিশের গুলিতে মারা গেছে তাদের যদি রাতের আধারে রেব ক্রসফায়ার করে বলত এরা পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির মেম্বার আপনারা টা বিশ্বাস করতেন। আপনাদের কিছু যেতো আসত না। অপারেশন ক্লীন হার্টের সময় মিনমিন করে এর বিরুদ্ধে বলতে গেলে আমার এক বিএনপি সাপোর্টার মামা বলেছিল সন্ত্রাসী মরছে ভালোই হইছে। আজকে পুলিশ যাদের মারছে তাদেরকে সন্ত্রাসী বইলাই মারতেছে। খুব খিয়াল কৈরা। বিডিয়ার জাওয়ানরা যখন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মরে তখনও কিছু শোনা যায় না।
বাংলাদেশের রাজনীতি কখনই মানুষের জীবনের কোন মূল্য দেয় নাই যদি না লাশটা নিয়ে কোন রাজনীতি করা যায়।
এই জঘন্য রাজনীতি করে যারা তাদের তাও মাফ করা যায়, কিন্তু যারা এই নোংরামি মানবতার নামে জায়েজ করার চেষ্টা করে তাদের জন্যে ঘৃণা। বিম্পি বা আম্লিগ দেশের মানুষের জন্যে চ্যাটের বালটাও করে না। তারা খালি হিসাব করে কিভাবে ক্ষমতায় যাইতে হবে। কয়টা লাশ হইলে তত্বাবধায়ক সরকারের বার্গিন চিপ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। ২০০১ সালে সংখ্যালঘু অত্যাচারের সময় এই মানবতা ঘুমায়। ক্রসফায়ার করে নিরীহ মানুষ হত্যার সময় এই মানবতা ঘুমায়। সেনাবাহিনী দিয়ে পাহাড়ে লোকজনকে হত্যা ধর্ষণ করার সময় এই মানবতা ঘুমায়। এই মানবতা চাগাড় দিয়ে ওঠে শুধু জোটের শরিক দলের লাশে। থুথু দেই এই আমি এই সিলেক্টিভ মানবতার মুখে।
অন্য দলের মুখে শুধুমাত্র কাদা মাখার জন্যে মানবিক হওনের বেইল নাই। যদি সত্যি মানবতা দেখাতে ইচ্ছে করে তাহলে সকল এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং এর বিরুদ্ধে দাড়ান। পাহাড়ের মানুষের মানবিক বিপর্যয়ের বিপক্ষে দাড়ান। সেই সাথে জামাতকে প্লীজ বলেন এইরকম ভ্যাণ্ডালিজমের রাজনীতি না করতে। সরকারকে শুধু গুলি বন্ধ করতে বললে এটি চরম একচোখা হয়ে যায়। আর সরকারকে গুলি বন্ধ তখনই করানো যাবে যদি আপ্নারা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মৌলিক বিষয়গুলো বুঝতে পারেন, আর সেগুলো নিয়ে সোচ্চার হন। সেই সাথে সুড়সুড়ি মার্কা রাজনীতিও পরিহার করুন। আওয়ামী লীগ খুব খারাপ দল। কিন্তু তার মানে এই না বি এন পি কে পাল্লা দিয়ে খারাপ হতে হবে। একজন খারাপ বলে আরেকজন কি ভালো হতে পারে না?
০৫ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:৪২
স্বাধীকার বলেছেন:
দন্ডিত ভাই,
আপনাদের আলোচনায় আমরা মনযোগ দিয়েছি। চালিয়ে যান।
২৮| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৪১
দন্ডিত বলেছেন: @অনার্য পথিক মন্তব্যটি সম্ভবত আমার দিকে করা, আমি হত্যাকাণ্ডের দায় কার এই নিয়ে একটি সুনির্বদিষ্ট বক্তব্য উপরে দিয়েছি।
আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি যদি প্রসিকিউশান শক্ত হয়, আর জামাতের বিচার প্রক্রীয়া বানচালের ষড়যন্ত্র(লবিং, সাক্ষী কেনা বেচা, ভয় ভীতি ইত্যাদি) সরকার দায়িত্বের সাথে মোকাবেলা করে তাহলে এদের সবার খুব সহজেই সর্বোচ্চ শাস্তি হবে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে সরকারের গলাবাজীর উতসাহ যত বেশী, বিচারের টেকনিক্যাল ব্যাপারে তত উতসাহ নেই। বাজেট এলোকেশনও কম। সাক্ষী প্রটেকশনের ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। তদন্ত চলছে দায়সারা ভাবে। এই ব্যাপারগুলি এড্রেস করা উচিত ছিল শাহবাগ থেকে। আমি আশা করেছিলাম আমরা এটা দাবীর মাঝে ঢুকাতে পারব। কিন্তু শেষের দিকে বায়বীয় দাবীর ভীড়ে বাস্তব দাবীগুলো হারিয়ে গেছে।
০৫ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:৪৩
স্বাধীকার বলেছেন:
শেষের দিকে বায়বীয় দাবীর ভীড়ে বাস্তব দাবীগুলো হারিয়ে গেছে-জলন্ত সত্য।
২৯| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:১৬
আমি-টর্নেডো বলেছেন: ব্রো আমার কমেন্ট কই গেলো?জাতিয়তাবাদি ২/৩ জনরে রেসপেক্ট করি আপনি তাদের একজন।কমেন্ট নাই কেন?
০৫ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:৪৫
স্বাধীকার বলেছেন:
টর্নেডো ভাই,
আপনার কমেন্ট কি আমি মুছতে পারি? আমি যত কঠিন মন্তব্যই হোক মুছতে চাইনা। এই পোস্টের ৯ নং মন্তব্যটি দেখুন প্লিজ।
আসল সমস্যাটি হচ্ছে এই পোস্টটি দুই বার এসেছিলো আমার মুর্খতা বা যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে-সেজন্য একটি পোস্ট মুছতে মডারেশনকে অনুরোধ করি। মডারেশন সাড়া না দেওয়ায় নিজেই ঐ পোস্টটিকে সরানোর জন্য চেষ্টা করি কিন্তু ব্যর্থ হই। কিন্তু সহব্লগার হিসাবে যেকোনো ব্লগারের মন্তব্যই আমার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ-তাই আমি সেগুলো কপি করে রেখেছি। সেই পোস্টে আপনাদেরকে আমি অনুরোধ করেছিলাম ঐ মন্তব্য গুলো যদি কপিপেস্ট করে এ পোস্টে দেন-তাহলে কৃতজ্ঞ থাকবো। দন্ডিত ভাইয়ের নজরে আসায় তিনি তা করেছেন। কিন্তু আপনি সেই পোস্টে গিয়ে আমার মন্তব্যটি দেখার আগেই পোস্টটি গায়েব হয়ে যায়। আমি সরি।
আমি আপনার মন্তব্যটি এই পোস্টে কপি পেস্ট করতেছি। প্লিজ ভুল বুঝবেন না।
শুভ কামনা। ভালো থাকবেন।
৩০| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:১৬
আমি-টর্নেডো বলেছেন: ব্রো আমার কমেন্ট কই গেলো?জাতিয়তাবাদি ২/৩ জনরে রেসপেক্ট করি আপনি তাদের একজন।কমেন্ট নাই কেন?
০৫ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:০১
স্বাধীকার বলেছেন:
বি কোল ব্রো।
সরি ফর লেইট।
৩১| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:১৯
আমি-টর্নেডো বলেছেন: ফাক ৩ বার কমেন্ট করলাম।আপনারে লাইক করে বলে।যাক আর কিছু বলার নাই।
০৫ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:১০
স্বাধীকার বলেছেন:
টনের্ডো ভাই,
সকালে অফিস করতে হবে। জবাব নিশ্চয় এরই মধ্যে দিবো। শুভ কামনা।
৩২| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:৪৬
স্বাধীকার বলেছেন:
১. ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:০৬
সবখানে সবাই আছে বলেছেন:
আগুন দিসে জামাত শিবির হিন্দুদের বাড়িতে আর এই দায় নিতে হবে শাহবাগ চত্তরের। এই থিওরি কৈ থেকে পাইলেন ভাই। আর শাহবাগ এর লোকজন জামাত শিবিরের মত ভাংচুরের সাহস পায় নাই এর কারন ছিল পুলিশ প্রহরা। হা হা হা হা হা হা হা।
যাই হোক পোস্ট এর অধিকাংশ কথা সাথে সহমত।
০৫ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:২৬
স্বাধীকার বলেছেন:
সবখানে সবাই ভাই,
সংখ্যালঘুদের বাড়ীতে আগুন দেওয়ার দায় শাহবাগ চত্বরের উপর দেওয়া হয়নি, যা আপনি মিসকোট করেছেন। শাহবাগের আন্দোলনকারীদের ভাঙচুরের সাহসের কথা বলা হয়নি-সেটাও মিসকোট করেছেন, বলা হয়েছে এদের পুলিশ প্রহরায় নিরাপত্তাসহ সবাত্মক সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে। কেউ আন্দোলনে নিরাপত্তা লাভ করে, কেউ গুলি খায়-এটা সরকারের চরমতম দ্বিমুখিতা ছাড়া আর কি হতে পারে।
অধিকাংশের সাথে সহমত থাকায় আপনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। শুভ কামনা রইলো।
৩৩| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:৪৭
স্বাধীকার বলেছেন:
২. ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:১০
আমি-টর্নেডো বলেছেন:
পুরাই দলীয় এজেন্ডার পোস্ট।পোস্টের কোথাও দেশের প্রতি ভালোবাসার ছিটেফুটাও দেখলাম না।
শাহবাগ চত্বরের অতিবিপ্লবীরা একটিমাত্র বিরোদ্ধমতকে টার্গেট করে তা বন্ধ করতে এবং তার সম্পাদককে গ্রেফতারের আল্টিমেটাম দেয়।
তার মানে আপনি আমার দেশেকে সাপোর্ট করছেন?
০৫ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:০৮
স্বাধীকার বলেছেন:
টর্নেডো ভাই,
দেশের প্রতি ভালবাসা বলতে বায়বীয় কিছু আছে সেটা জানিনা, দেশের মানুষের প্রতি ভালবাসাটাই দেশের প্রতি ভালবাসা হিসাবে প্রথম বিবেচিত হওয়া উচিত। দেশে মানুষ না থাকলে কারা কোথায় দেশপ্রেম দেখানোর সুযোগ পাবে, কারা তা মূল্যায়ন করবে? যা কিছু উন্নয়ন পরিকল্পনা, স্বপ্ন, প্রত্যাশা, আবেগ, অনুভূতি, হতাশা-সবই তো মানুষ কেন্দ্রিক। যেখানে মানুষের দু পয়সার মূল্য নেই, সেখানে বায়বীয় দেশপ্রেম কোথায় কিভাবে ঢালবো, কাদের জন্য ঢালবো? নাকি মানুষের পরিবর্তে হিংস্র জানোয়ারদের ভালবাসাকেই আপনি দেশপ্রেম হিসাবে দেখতে চান?
তাছাড়া কথায় কথায় দেশপ্রেম, চেতনা-এসবে ঐ প্রবাদবাক্যটি মনে পড়ে, ‘‘ অতি ভক্তি.................লক্ষণ’’
নির্বিচারী মিথ্যাচার যদি আমাদের মিডিয়া গুলোর গণতান্ত্রিক অধিকার হিসাবে স্বীকৃত হয়, তাহলে আমার দেশ কেন এই সুযোগ পাবেনা? দেশের সব মিডিয়া মিথ্যাচার করছে-এটা দিবালোকের মতোই সত্য। কিন্তু কেবল আমার দেশ বন্ধ করার দাবী শাহবাগীরা করবে কেন? তাদের সমালোচনা করছে বলে, অতিরঞ্জিত সংবাদ দিয়েছে বলে? তাহলে শাহবাগী অতি বিপ্লবীদের উচিত ছিলো ইনকিলাব বন্ধ করা ও তার সম্পাদককে গ্রেফতার জানানোর-কারণ ইনকিলাবই প্রথম আস্তিক নাস্তিক বিষয়টি এনেছে। আজ কেবল ভিন্নমতের কারণে যদি আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ করার বায়না করা যায়, সরকারী ক্ষমতার অপব্যবহার করে যদি সম্পাদককে গায়ের জোরে গ্রেফতার করা যায়, তাহলে আগামী দিনে অন্তত বাকী সব গুলো মিডিয়ার কন্ঠরোধ করা অত্যন্ত সহজ হবে-যা কখনোই কাম্য নয়। অন্তত ব্লগাররা কখনোই কোনো মিডিয়ার কন্ঠরোধকে সমর্থন জানাতে পারেনা। আমি বিগত ৩ বছরে একদিনও জনকন্ঠ পত্রিকা পড়িনি, কারণ আমি সেই পত্রিকার কোনো সংবাদ বিশ্বাস করিনা। কিন্তু আমি কখনোই চাইনা পত্রিকা বন্ধ হোক ক্ষমতার অপব্যবহারে। নিজ চরিত্রের কারণেই এক সময়ের জনপ্রিয় পত্রিকা জনকন্ঠ আজ টয়লেটে বাংলাটিসুর কাজ করছে-যা তাদের উপযুক্ত প্রাপ্যই ছিলো। অন্যদিকে আমার দেশ পত্রিকাটির অনলাইন হিট দালাল মিডিয়া গুলোকে পেছনে নিয়ে গিয়েছে এবং ১২ টাকা মূল্যেও বিক্রি হচ্ছে-যা অনেকের হিংসাকে বাড়িয়ে দেয় হো হো করে। এরই ধারাবাহিকতায় এটির মৃত্যুর দাবী শাহবাগীদের আল্টিমেটামে ঠাই পেয়েছিলো। পচাঁ আলুর মতো পত্রিকার মিথ্যাচার নিয়ে কোনোদিনও আপনারা কথা বলেন নি। টিভি চ্যানেল গুলোর মালিকানা আর নির্বিচারী দালালীতে জনগণের কথা আসছেনা বিধায় ভিন্নমতের মিডিয়া হিসাবে অবশ্যই আমার দেশ থাকবে। এখানের সংবাদ বিশ্বাস অবিশ্বাসের অধিকার তো আপনার আমার আছেই। তাই বলে পত্রিকার গলাটিপে দিবেন? এটা কিন্তু সেই বাকশালী সিস্টেমকেই মনে করিয়ে দেয়-যেখানে আমরা আর ফিরতে চাইনা, এমনকি আম্লীগও ফিরতে চায়না।
আপনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। প্রবাসীরা সব সময়ই উপলব্ধি করতে পারে দেশপ্রেম কি জিনিস-এটা সব সময় সত্য। কিন্তু মানুষ ব্যতিত কোনো দেশপ্রেম কেবল কথার কথা মাত্র। ভালো থাকবেন। শুভ কামনা।
৩৪| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:১৫
মুহম্মদ ফজলুল করিম বলেছেন: আমার একটা জিনিস মনের মধ্যে খুব খোঁচায় সেটা হল>>
সরকার কেন কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন দিয়েছিলো। জনগণ কে রাস্তায় বের করতে??
তারপর , ওই আন্দোলনকে পুঁজি করে ক্ষমতায় যাবার।
বি এন পির আজকের হরতাল কেন প্রতিহত করার ঘোষণা আসে নাই? ইকুয়েশন বড়ই জটিল
০৫ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৪৬
স্বাধীকার বলেছেন:
এম এফ করিম,
ভাই আপনার মতোই আমরাও শুরুতে শাহবাগ আন্দোলনকে নিঃশর্ত সমর্থন দিয়েছি। আস্তে আস্তে সব পরিস্কার হয়ে আসছে, আগামীতে ভন্ডদের উলংগ অবস্থান আরো দেখতে পারবেন হয়তো।
আম্লীগ যেকোনো মূল্যে ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করতে চায়, এর জন্য তারা পারেনা এমন কর্ম নেই। ইকুয়েশন বড়ই জটিল, তবে সরকার জনগণকে হাইকোর্ট দেখালে, জনগণ নির্বাচনে আম্লীগকে সুপ্রিমকোর্ট দেখিয়ে দিবে।
আপনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকবেন।
৩৫| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:২২
গেদু চাচা বলেছেন: অসাধারণ স্বাধীকার ভাই।
দিন শেষে শাহবাগ হল ২য় জনতার মঞ্চ।
আর এই শাহবাগ কে পুঁজি করে সরকার বিরোধীদের উপর ওপেন গুলি করার নীতি হালাল করে নিয়েছে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, জামাত নিষিদ্ধ এসব কিছুইনা। সরকারের মূল এজেন্ডা হল নিজেদের অধীনে নির্বাচন করে আবারো ক্ষমতায় যাওয়া। এই পথে সরকারের একমাত্র বাধা কেয়ারটেকার সরকারের দাবিতে বিএনপির আপকামিং আন্দোলন। আর সেই আন্দোলন দমাতে সরকার শাহবাগের নাটক সাজিয়ে প্রতিবাদি মিছিলের উপর গুলি করার কৌশল ও নীতি হালাল করে নিয়েছে।
০৫ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৫৩
স্বাধীকার বলেছেন:
গেদু চাচা,
আপনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
আপনার সাথে দ্বিমতের সুযোগ নেই। দিন শেষে শাহবাগ হবে জনতার মঞ্চ। মঞ্চের সাথে আম্লীগের সম্পর্ক ঐতিহাসিক, ক্ষমতার জন্য এরা আইন কানুন, কোড অব কন্ডাক্ট কিছুই পরোয়া করেনা, রাষ্ট্রের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে নির্বাচিত সরকারের প্রতি বিদ্রোহ করে ক্ষমতাসীন হওয়ার রেকর্ড করেছে। সেরকমই আরেকটি মঞ্চ করে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত টেনে নেওয়ার ধান্ধায় গৃহপালিতদের দিয়ে আন্দোলন করাচ্ছে-লক্ষ্য কেবল ক্ষমতা।
কিন্তু এদেশের মানুষ সঠিক সিদ্ধান্ত নিবে, অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমেই সরকার পরিবর্তন হতে হবে-এর বাইরে কোনো ধারাবাহিক বা প্যাকেজ নাটকের জায়গা হবেনা। বহু নাটক আমরা দেখেছি, আর না।
ভালো থাকবেন। শুভ কামনা।
৩৬| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:২৫
অপু ওপি বলেছেন: Thanks
০৫ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৫৫
স্বাধীকার বলেছেন:
অপু ভাই,
আপনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকবেন।
৩৭| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:২৭
স্পাইসিস্পাই001 বলেছেন: সুন্দর বিশ্লষন.......
উপপাদ্য বলেছেন: সুবিধাবাদী চেতনা বা আস্ফালন নয়, সরাসরি বাস্তবায়ন করে দেখান মাত্র ২টি দাবীঃ
১. ধর্মীয় সকল রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ;
২. যুদ্ধাপরাধীর উচিত বিচার। (এর সাথে তবে, যদি, কিন্তু, অন্যথায়, সুতরাং, যেহেতু নেই।
স হ ম ত
০৫ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:০৪
স্বাধীকার বলেছেন:
স্পাইসিস্পাই,
ভাই আপনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। যুদ্ধাপরাধের বিচার চাই, এর সাথে তবে যদি কিন্তু যেহেতু সুতরাং সেহেতু-এ গুলো যোগ করলে আমাদের আম্লীগের ব্লগাররা কষ্ট পায়, তারা এসবে মধ্যে ষড়যন্ত্র খুজেঁ পায়। তাই শর্তহীন হিসাবে বিচার প্রত্যাশা করছি-যা এক ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসাবে রইলো। আমরা দেখবো আম্লীগের এতদিনের যে দাবী বা অভিযোগ তা তারা সঠিক বিচারের মাধ্যমে প্রমান করবেন। অন্যথায় তারা সুবিধাবাদী মতলবী হিসাবে এই ব্লগে উলংগ হবেন সকল ব্লগারের সামনে।
দাবী মাত্র দুটো--------------
১. ধর্মীয় সকল রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ;
২. যুদ্ধাপরাধীর উচিত বিচার। (এর সাথে তবে, যদি, কিন্তু, অন্যথায়, সুতরাং, যেহেতু নেই।)-----------------------------------------এখান থেকে আম্লীগ পিছলাতে চাইলে, তাদের কুৎসিত ধুর্তপনাকে বাংলার মানুষ দেখবে। জাস্ট ওয়েট করতেছি।
ভালো থাকবেন, শুভ কামনা।
৩৮| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:০২
মুহম্মদ ফজলুল করিম বলেছেন: স্বাধীকার বলেছেনঃ
সরকার জনগণকে হাইকোর্ট দেখালে, জনগণ নির্বাচনে আম্লীগকে সুপ্রিমকোর্ট দেখিয়ে দিবে।
০৫ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯
স্বাধীকার বলেছেন:
এম এফ করিম ভাই,
জনতার শক্তিই বেশী-এটা সময়ে জনগণ প্রমান করে দিবে।
সরকারের কর্মকান্ড দেখলে না হেসে উপায় কি বলুন?
আপনাকে আবারো ধণ্যবাদ, ভালো থাকবেন।
৩৯| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:১৩
হাবিব০৪২০০২ বলেছেন: আগের কমেন্টের সাথে আর একটু যোগ করি-
আদালতে উভয় পক্ষ তাদের নিজ নিজ প্রমাণ পেশ করলেই আমরা আমজনতা জানতে পারবো কে সঠিক আর কে ঠকবাজ, যদি ডা. ইমরান মামলা না করে চুপ মাইরা থাকে তাহলেই বুঝা যাবে ঘাপলা আছে ঠিক যেমনটি করতেছেন ম.খা., উকিল নোটিশের জবাব কাদের সিদ্দিকী দেওয়ার পরেই উনি চুপ মারছেন, মানহানি মামলা আর আদালতে গড়াচ্ছে না অথচ পত্রিকা মারফত যতটুকু জেনেছি ম.খা. সাহেবের ব্যাংকের অনুমোদন আটকে আছে জামানতের টাকা জমা না দেওয়ায়। অথচ মানহানি মামলার কয়েক কোটি টাকা হাতে পেলে উনার সুবিধাই হত
০৫ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:২৫
স্বাধীকার বলেছেন:
হাবিব ভাই,
জীবনভর একজন নিখাদ সুবিধাবাদী আম্লা হিসাবে গণতান্ত্রিক সরকারের বিরোদ্ধে আইন ভেঙ্গে জনতার মঞ্চে গিয়ে উঠে এই খাদেম। মহান মুক্তিযুদ্ধে উনি পাক-হানাদার সরকারের বিরোদ্ধে বিদ্রোহ করতে না পারার গ্লানি থেকে আম্লীগকে ক্ষমতায় বসানোর পাক্কা ষড়যন্ত্র করে আম্লীগের প্রিয়পাত্র হন। যাহা ইনার চরিত্র, তাহাই আম্লীগের জাতিয় চরিত্র-খাপে খাপ মিলে যায়।
মানহানির মামলা তিনিই করতে পারেন, যার মান আছে বলে জানি। কিন্তু তিনি এধরণের কোনো কিছু ধারণ করে বলে জানিনা, তার কর্মকান্ড মান হিসাবে বিবেচিত হয়না। সদ্যই তিনি সাগর-রুনির চরিত্র নিয়ে অত্যন্ত অরুচিকর মন্তব্য দিলে, সঙ্গে সঙ্গে আম্লীগের সাংবাদিক ও এমপি প্রার্থী ইকবাল সোবহান চৌধুরী তাকে তার মন্তব্য প্রত্যাহার করতে বাধ্য করেন। এই হলো তার মান-যা যাওয়ার বা আসার কোনো ব্যাপার নেই।
আপনাকে আবারো ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৪০| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:২০
তোমোদাচি বলেছেন: আপনার পোষ্টের অধিকংশ অংশের সাথে সহমত পোষণ করে গেলাম!
কিন্তু আপনি শেষে যে দুটি দাবি বাস্তবায়নের কথা বলেছেন,
আমার মতে ২ নং ১ নং এ আসা উচিৎ।
আর ১ নং এর ব্যাপারে আগে আরো অনেক বেশী চিন্তা করতে হবে; এটি এতটা সহজ কাজ নয়।
বরং ১ নং এর জন্য ২ নং টা গৌন হয়ে যাবে।
ভাল থাকবেন!!
০৫ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৯
স্বাধীকার বলেছেন:
তোমোদাচি ভাই,
আপনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। অসুবিধা নেই আপনার সাথে আমি দ্বিমত করছিনা। বিষয় দুটি আমি সেভাবে চিন্তা করিনি। আমি ২ দুটো চ্যালেঞ্জ দিয়ে সরকারের আসল কলুষিত মতলবী ভাবনাকে জনগণের সামনে তুলে ধরতে চেয়েছি। মাঠে গরম গরম বক্তৃতা দেওয়া যতটা সহজ, চেতনা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করা ততটাই কঠিন।
আমি জানি আম্লীগ এ ২টি দাবী কোনোদিনই পূরণ করার সৎ ইচ্ছা রাখেনা, করবে না।-তা সাধারণদের সামনে আমি দেখাতে চেয়েছি মাত্র দুটো দাবীই সরকার পূরণ করবেনা। কিন্তু নিজেদের রাজনৈতিক সুবিধা যেখানে হবে, সেখানে সর্বস্ব বিনিয়োগে আম্লীগের ক্লান্তি নেই।
আপনাকে ধন্যবাদ। শুভ কামনা থাকলো।
৪১| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৫
স্পেলবাইন্ডার বলেছেন: গত এক সপ্তাহে শতাধিক মানুষের প্রাণহানির জন্য আওয়ামীলীগ সরকারে সরাসরি দায়ী। কারণ সরকার যেটা করতে পারত-
১. নির্বাচনী ওয়াদা হিসেবে ক্ষমতায় এসেই প্রথমে জামাত বাদে সমস্ত রাজনৈতিক দল ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মতামত নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল ও তার আইনকানুন তৈরি। এতে কেউ অংশ না নিলে আওয়ামীলীগ সরকারকে দোষারোপ করা যেত না।
২. আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে যথেষ্ট সংখ্যক আদালত এবং তদন্ত কমিটি তৈরি।
৩. চিহ্নিত শীর্ষ সমস্ত যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা তৈরি করে সবাইকে একসাথে গ্রেফতার করা।
৪. তদন্ত আরও নিখুঁত ও নিরপেক্ষভাবে করা।
৫. তদন্ত ও বিচারকার্য শেষে একদিনে সমস্ত রায় দেয়া। এবং রায় দেয়ার আগের দিন থেকে সারাদেশে মিছিল, মিটিং নিষিদ্ধ করা ও সকল বাহিনীর সমন্বয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা তৈরি করা।
এতে যেমন এত অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যৃ এড়ানো যেত, তেমনি দেশে আজকের এই অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হত না।
কিন্তু আওয়ামীলীগ সরকার সেটা চায়নি। কারণ মানুষের জীবনের কোন মূল্য আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের কাছে নেই।
০৫ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৭
স্বাধীকার বলেছেন:
স্পেলবাইন্ডার ভাই,
আপনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। আপনার এই মন্তব্যটি সরকার তথা আম্লীগ বিবেচনায় নিলে আমরা সবাই উপকৃত হতাম। আজকের যে নির্বিচারী জীবননাশ-সেটা থেকে আমরা রক্ষা পেতাম। সরকার তার ইমেজ সংকটে পড়তোনা।
আমরা বার বার নিরপেক্ষ বিচারের কথা বলেছি, অথচ সরকার এবং আম্লীগ আমাদের এই কথাকে পরামর্শকে রাজাকার বাচাঁনোর মতলব হিসাবে বিবেচনা করে আমাদের অপমান অপদস্ত করেছে। কিন্তু আমরা ঠিকই কাদের মোল্লার রায়ের পর দেখলাম আম্লীগ কি পরিমান সুবিধালোভী আতাঁতে অংশ নিতে পারে। এভাবে মতলবী মানসিকতা নিয়ে রাজাকারদের বিচার করার ধোয়া তুলে দেশবাসীকে পথে নামিয়ে মসকরা না করলেও পারতো আম্লীগ।
সাম্প্রতিক মৃত্যু/হত্যাকান্ড গুলোর দায় থেকে সরকার কোনোভাবে মুক্ত হতে পারেনা। ইতিহাসের কাঠগড়ায় এবং আদালতের কাঠগড়ায় একদিন তাদের দাড়াতেই হবে।
ভালো থাকবেন। আপনার জন্য শুভ কামনা।
৪২| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:২৩
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: ভাল লিখেছেন
যুদ্ধক্ষেত্রে মাঝামাঝি থাকার কোন অবস্থা বা উপায় নাই!
কিন্তু কেউ যদি চিপা গলি দিয়া নিরপেক্ষ থাকার কথা বলে পার পেতে চায় তাদের কে -(.।)
শাহাবাগের শুরুতেই একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম।
Click This Link
০৫ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১১
স্বাধীকার বলেছেন:
হাসান ভাই,
আপনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। এটা ঠিক যু্দ্ধে মাঠে মাঝামাঝি কোনো অবস্থান বা উপায় নেই। কিন্তু আজ আমরা কার বিরোদ্ধে যুদ্ধে নেমেছি-সেটা কি ঠিক করতে পেরেছি, আমরা কি যুদ্ধের অস্ত্র গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছি। শত্রু যখন শত শত কোটি টাকার মালিক, বিশ্বব্যাপী লবিস্ট নিয়োগ তাদের কাছে দুধভাত, তখন আমাদের দরকার ছিলো সর্বাত্মক ঐক্য। আজ আমাদের রাজনীতি এমন স্তরে অবস্থান করছে, যেখানে কেউ কারো মুখ দেখে না, নুন্যতম শ্রদ্ধা কারো মধ্যে কাজ করেনা-সেখানে আমরা বিভ্রান্তিতে পড়বো-এটা সহজেই অনুমান করা যায়। কয়েকজন যুদ্ধাপরাধীর বিচার করতেও আমরা এক হতে পারলাম না, তাহলে বন্দী ৯ হাজারের বিচার কিভাবে প্রশ্নহীন করতে পারতাম। এরকম একটি বিচারে দরকার ছিলো সর্বাত্মক সর্বত্র সহযোগিতা, নুন্যতম বোঝাপড়া-যা আমরা করতে পারিনি। কেউ এই বিচারের ভুল ক্রুটি নিয়ে কথা বললেই তাকে আমরা থামিয়ে দিয়েছি রাজাকার উপাধি দিয়ে। কিন্তু কাদের মোল্লার রায় আমাদের সামনে জীবন্ত মসকরা হয়ে থাকলো-যেখান থেকে আম্লীগ নিজেকে চূড়ান্ত কলুষিত করলো।
জাতির জীবনে কখনো কখনো এমন সব নিরপেক্ষ মানুষের দরকার পড়ে-যাদের উপর ভরসা করে বিবাদমান শক্তি গুলো সঠিক সিদ্ধান্তে পৌছে। যেমন ছিলেন ফয়েজ আহম্মেদ-হাসিনা-খালেদাকে নিজে বাসায় বসিয়ে ছিলেন, তাতেই ৯ বছরের স্বৈরাচার কপোকাত হয়ে যায়। সংকট যত গভীরই হোক সত্যিকার আন্তরিকতা থাকলে তা সমাধানযোগ্য হয়, কিন্তু সেখান থেকে বহুপাক্ষিক সুবিধালাভের মতলব থাকলে নিজেদের সর্বনাশ ছাড়া আর কিছু অর্জন করা সম্ভব হয়না। বিরোধী পক্ষ তাতে শতভাগ লাভবান হয়।
জিয়াকে পাকিস্তানী চর হিসাবে গণ্য করলে বিএনপি কিভাবে জিয়ার মতো চরের বিচার চাইতে পারে? দায়িত্বশীলদের উচিত ছিলো বীরউত্তমকে চর বলার সাথে সাথে সাবধান করা, ধিক্কার জানানো। কিন্তু আমরা পাল্লা দিয়ে চরিত্র হননে নেমে পড়ি, যাকে তাকে রাজাকার বানাতে থাকি, যা কেবল রাজাকারদের দলই ভারী করে। এসব ভুলের পথ ধরে আজ আমাদের এমন অবস্থা।
আপনি আমি জামাত শিবিরের ফাসিঁ চাইতে পারি, সকাল বিকাল জবাই করার কথা বলতে পারি। কিন্তু রাষ্ট্রব্যবস্থায় এরকম আবেগী দাবী চলেনা, রাষ্ট্রকে চলতে হয় সংবিধান আইন কানুনের ভিত্তিতে কারণ রাষ্ট্র চিরস্থায়ী ব্যবস্থা। তাই কোনো মন্ত্রী তার শপথের কথা ভুলে রাগ-বিরাগের বশবর্তী হয়েও এমন কোনো মন্তব্য বা কাজ করতে পারেনা-যাতে মনে হতে পারে তিনি তার ক্ষমতা ব্যবহার করছেন আইন বর্হিভূত ভাবে স্রেফ নিজ জেদের বশে। এরকম বার্তা বর্তমান সরকারের একাধিক ব্যক্তি নিত্য নিয়েছে দেশবাসীকে, দেশবাসীর সাথে আজ বিশ্ববাসীও এই বিচার নিয়ে সন্দেহ করার সুযোগ পেয়েছে। আন্দোলন সংগ্রাম মিছিল মিটিং আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ, সংক্ষুদ্ধ হয়ে শাহবাগে প্রতিবাদ জানাতে পারলে, অপর পক্ষও সংক্ষুদ্ধ হওয়ার অধিকার রাখে এবং সেখানে প্রতিবাদ হলেও নির্বিচারী গুলি করা আজকের বিশ্বে কখনোই গ্রহনযোগ্যতা পাবেনা। তাই বর্তমান হত্যাকান্ডের দায় থেকে সরকার মিডিয়ার দ্বারা আপাত মুক্তি পেলেও, আখেরে তার মূল্য দিতে হবে-সেটা আগামী নির্বাচনেই।
যেদেশের মানুষ চাঁদে সাইদীর অবস্থানকে বিশ্বাস করে দশটাকা দিয়ে সেই ছবি মোবাইলে নিয়ে ঘুরে ঘুরে মানুষকে দেখিয়ে বিশ্সাস করাতে ঝগড়া করে-সেদেশের এই শ্রেনীকে গুলি করে হত্যা করা গেলেও পথে আনা যাবেনা। তাদের সংখ্যাও কখনো কমবেনা। কারন ভিখারী মরে যায়, ভিক্ষাবৃত্তি কখনোই মরেনা। অন্ধজনকে পথে আনতে হবে ভিন্নভাবে ভিন্ন কায়দায়, ঘৃণা দিয়ে নয়। এই ক্ষেত্রে আপনাকে ভাবতে অনুরোধ করলাম।
অনেক বললাম। ভালো থাকবেন। শুভ কামনা।
৪৩| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৩২
আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
পুরো পোষ্টটি পড়লাম। সবগুলো মন্তব্যও পড়লাম। উপভোগ করলাম।
আমি মনে করি - গেদু চাচাই আসল কথাটি বলে দিয়েছে। যেটি ছিলো এরকমঃ
আর এই শাহবাগ কে পুঁজি করে সরকার বিরোধীদের উপর ওপেন গুলি করার নীতি হালাল করে নিয়েছে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, জামাত নিষিদ্ধ এসব কিছুইনা। সরকারের মূল এজেন্ডা হল নিজেদের অধীনে নির্বাচন করে আবারো ক্ষমতায় যাওয়া। এই পথে সরকারের একমাত্র বাধা কেয়ারটেকার সরকারের দাবিতে বিএনপির আপকামিং আন্দোলন। আর সেই আন্দোলন দমাতে সরকার শাহবাগের নাটক সাজিয়ে প্রতিবাদি মিছিলের উপর গুলি করার কৌশল ও নীতি হালাল করে নিয়েছে।
আওয়ামী লীগ জানে যে আগামী নির্বাচন ফ্রী-ফেয়ার এন্ড ইমপারশিয়াল হলে তাদের ভরাডুবি হবে।
কারণ -
শেয়ার কেলেঙ্কারী (লক্ষ লক্ষ বিনিয়োগকারী আগামী নির্বাচনে কোনদিনও আওয়ামী বাক্সে ভোট দেবে না। আওয়ামী সমর্থক হলেও না)
পদ্মা সেতু (বিশ্ব ব্যাংক হচ্ছে বিশ্ব এলিটদের সংগঠন। এদের বিরাগভাজন হয়ে কেউ ক্ষমতায় ঠিকতে বা যেতে পারে না। যদি কেউ যায়, তাকেও তাদের আজ্ঞাবহ হতে হয়, ক্রমে ক্রমে হলেও।
হলমার্ক কেলেঙ্কারী,
ড. ইউনুছ ও গ্রামীন ব্যাংকের সাথে অপ্রীতিকর ঘটনা (গ্রামীন ব্যাংকের কর্মী ও সদস্য মিলে কত ভোট? কত লক্ষ? তার একটি ভোটও কী আওয়ামী লীগ পাবে?)
গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক সুবিধাদি প্রদানে ব্যর্থতা।
ভারত থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুবিধে আদায়ে ব্যর্থতা।
এরকম আরো রয়েছে, যা' এ মূহুর্তে মনে আসছে না।
আপনার এই উপভোগ্য পোষ্টটিতে +++।
ধন্যবাদ।
০৫ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩
স্বাধীকার বলেছেন:
মুন্না ভাই,
আপনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। আমিও আপনার মতোই গেদুচাচার সাথে একমত।
বহুমাত্রিক অপকর্মকে ঢাকতে সরকার আজ বহুমুখী নাটকের আয়োজন করছে। যেমন শাহবাগে ধারাবাহিক নাটক, সাগর-রুনির খুন নিয়ে প্যাকেজ নাটক, পদ্মাসেতু নিয়ে বিনোদিনী ম্যাগাজিন তামাশা করছে সরকার। তাতে অবশ্য তাদের অপকর্মের দুর্গন্ধ যাবেনা, সেখান পূজ পড়ার গন্ধ বেরুচেছ।
ভালো থাকবেন, আপনার জন্য শুভ কামনা।
৪৪| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৯
আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
গত ৫ই ফেব্রুয়ারী নিচের পোষ্টে আমার একটি মন্তব্য ছিলো, যে-মন্তব্যের দু'টি প্যারা এখানে প্রাসঙ্গিক বিধায় কপিপেষ্ট করলাম।
Click This Link
ঐ পোষ্টে দেয়া আমার মন্তব্য থেকে নেয়া আংশিক কপিপেষ্টঃ
" ..................... সত্যিকারের যুদ্ধাপরাধের বিচার হতে হলে জাতীয় ঐকমত্য থাকতে হবে। বাস্তবে দেখা যায় - অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল এ ব্যাপারে বিপরীত মেরুতে। এবং আওয়ামী লীগও অতীতে জামাতের সাথে সখ্যতা ছিল। আর বর্তমানে ঘৃণিত স্বৈরাচার এরশাদের সাথে। মানুষকে ধোঁকা দেয়ার জন্যই "রাজনৈতিক কৌশল" এর অজুহাত দেখানো হয়।
সাধারণ মানুষ কবে বুদ্ধিমান হবে? এবং রাজনীতির খেলা বুঝবে? তাদের "নিজেদের আবেগকে" মিডিয়া ও নেপথ্যে-ঘাপটি-মেরে-থাকা আন্তর্জাতিক এলিটকে ব্যবহার করতে দেবে? ............................... )
ধন্যবাদ।
০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:০৭
স্বাধীকার বলেছেন:
মুন্না ভাই,
আবারো আপনাকে স্বাগতম ও কৃতজ্ঞতা জানালাম।
শেষ করছি আপনার মন্তব্য দিয়েই---------------
‘‘" ..................... সত্যিকারের যুদ্ধাপরাধের বিচার হতে হলে জাতীয় ঐকমত্য থাকতে হবে। বাস্তবে দেখা যায় - অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল এ ব্যাপারে বিপরীত মেরুতে। এবং আওয়ামী লীগও অতীতে জামাতের সাথে সখ্যতা ছিল। আর বর্তমানে ঘৃণিত স্বৈরাচার এরশাদের সাথে। মানুষকে ধোঁকা দেয়ার জন্যই "রাজনৈতিক কৌশল" এর অজুহাত দেখানো হয়।’’
শুভ কামনা।
৪৫| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৫
মাথা খারপ মানুষ বলেছেন: পোষ্টটা শেয়ার দিলাম
০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:১৪
স্বাধীকার বলেছেন:
মা খা মানুষ,
কে বলেছে আপনার মাথা খারাপ, কখনোই নয়। শেয়ার দেয়ার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
ভালো থাকবেন।
৪৬| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১০
রবি_জল বলেছেন: সমু কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি পোস্টি স্টিকি করার জন্য।
শাহবাগ নিয়ে একটি নিরপেক্ষ লেখা এটি।
পোস্ট স্টিকি হোক ।
পোস্ট স্টিকি হোক।
০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৪১
স্বাধীকার বলেছেন:
রবি ভাই,
আপনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। পোস্টটি নির্বাচিত পাতায় গিয়েছে তাতেই কৃতজ্ঞ থাকলাম সামুর কাছে। সহব্লগারদের মূল্যায়ন আর মন্তব্যের চাইতে বড় কোনো সন্মান বা স্বীকৃতি নেই। আপনার মন্তব্যেই আমি সেই স্বীকৃতি পেয়েছি।
ভালো থাকবেন। শুভ কামনা রইলো।
৪৭| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৮
শিপন মোল্লা বলেছেন: নাটক সিনেমা করে মনোরঞ্জন দেওয়া যায় আন্দলন না। তার প্রমান আজকের শাহবাগ।
যে আন্দোলন দেশের অতি সাধারন থেকে অতি সাধারন মানুষের মনে আন্দোলিত করতে পারেনা ও দেশের গ্রাম থেকে অতি অজপাড়া গায় কোন ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া ঘটাতে পারেনা। শুধু একটি বিশেষ গুষ্টির মাঝে সীমাবদ্ধ থাকে তাকে অন্য সবাই আন্দোলন বলে চিৎকার করলেও আমি কখনোই মানবোনা এটা আন্দোলন।
+++
০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৪৭
স্বাধীকার বলেছেন:
আবুশিথি ভাই,
আপনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
আন্দোলন কখনো সরকারী নিরাপত্তায়, সরকারী নিদের্শে সরকারের বিরোদ্ধে হতে পারে-এটাই আমার জানা ছিলোনা। বঙ্গদেশে শাহবাগ চত্বরের বিলাসী আন্দোলন দেখে যারপরনাই হতাশায় আছি। মাত্র ২টি দাবী জানাই সরকারের কাছে-পারলে পূরণ করুক। কিন্তু সেখানে গিয়ে হোচঁট খায় আমাদের মতলবী সরকার। যার বিরোদ্ধে আন্দোলন, সেই মঞ্চে এসে অভিনয় করে!! কোথায় রাখবো এই সার্কাসের সঙকে!!
আন্দোলন সম্পর্কে আম্লীগই ভালো জানে বিধায়, তারা এটাকে গ্রাস করেছে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাওয়ার জন্য-আরেকটি জনতার মঞ্চ হলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবেনা।
ভালো থাকবেন, শুভ কামনা।
৪৮| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:০২
জুল ভার্ন বলেছেন: চমতকার বিশ্লেষণী পোস্ট-মূল বক্তব্যের সাথে আমার দ্বিমতের কোনো অবকাশ নেই। যারা ইদানীং খালেদা জিয়ার/ বিএনপি'র জন্য "গায়ে পরে ওয়েলউশার" সেজে জ্ঞান বিষর্জন দিচ্ছেন-তারা মূলত "ডাবল এজেন্ট"!
ট্রাকের গায়ে লেখা থাকে-১০০ হাত দূরে থাকুন-আমি তথাকথিত লোকদের থেকে জোযন জোযন দূরে থাকতে অনূরোধ করবো।
শুভ কামনা। +
০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:০১
স্বাধীকার বলেছেন:
জুল ভার্ন ভাই,
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। শ্রদ্ধেয় প্রিয় ব্লগারকে পেয়ে সন্মানিত বোধ করছি। আপনার মন্তব্যের জবাব লেখা আমার জন্য দৃষ্টতা। তাই আপনার কথাই আমি সহব্লগারদের সামনে আনলাম।
‘‘যারা ইদানীং খালেদা জিয়ার/ বিএনপি'র জন্য "গায়ে পরে ওয়েলউশার" সেজে জ্ঞান বিষর্জন দিচ্ছেন-তারা মূলত "ডাবল এজেন্ট"! ট্রাকের গায়ে লেখা থাকে-১০০ হাত দূরে থাকুন-আমি তথাকথিত লোকদের থেকে যোজন যোজন দূরে থাকতে অনূরোধ করবো।’’
ভালো থাকবেন। সব সময় শুভ কামনা।
৪৯| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:০৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: শাহবাগ এখানে ব্যর্থ হয়েছে। শাহবাগ চত্বরের অতিবিপ্লবীরা একটিমাত্র বিরোদ্ধমতকে টার্গেট করে তা বন্ধ করতে এবং তার সম্পাদককে গ্রেফতারের আল্টিমেটাম দেয়। ব্লগারদের অভিধানে ‘‘মিডিয়ার কন্ঠরোধ’’ জাতীয় বিষয় থাকতে পারে-এটা অবিশ্বাস্য, যা ফ্যাসিস্টদের মনে করিয়ে দেয়। অতিরঞ্জিত/মিথ্যা সংবাদ এমনিতেই বর্জিত হয়, সময়ে পত্রিকাই ডাস্টবিনে জায়গা নিতে বাধ্য হয়। কিন্তু মিডিয়ার কন্ঠরোধ ব্লগারদের দাবী হবে কেন, উপরন্তু যখন সকল মিডিয়া এই আন্দোলনকে সর্বাত্মক গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করছে? এই আল্টিমেটামকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে গ্রেফতারবরণ করতে অপেক্ষায় থাকে মাহমুদুর রহমান। অঞ্জন রায়, নাসিরউদ্দিন বাচ্চুদের মতো দলীয় ও মিডিয়ার দালালরা শাহবাগে শ্লোগান দিতে পারলে, অন্যরা কেন এ আন্দোলনের অসংগতির বিরোধীতা করতে পারবে না? মত প্রকাশের স্বাধীনতা যখন ব্লগাররা অস্বীকার করে কেবল ভিন্নমতের কারণে-তখন দলীয়দাস গুলোর কুৎসিত চেহারাই ভেসে উঠে। এই মাত্রার কন্ঠরোধকারী ফ্যাসিস্ট ব্লগাররাই ভিন্নমতালম্বী/রাজীবদের হত্যা করতে পারে, মিডিয়াকেও খুন করতে পারে। অথচ মতপ্রকাশের সুযোগ নিয়ে মিডিয়ার কল্যানেই ব্লগাররা এই আন্দোলনকে গড়ে তোলে, মহিমান্বিত করে। আজ তারা আমার দেশ পত্রিকার মৃত্যু চায়, গ্রেফতার চায় সম্পাদকের-আইনী পথে যেতে চায়না, কার্যালয়ে আগুন দেয়!! লেখার জবাব লেখা দিয়েই দিতে হয়-এটাই সভ্যতা, এটাই গণতান্ত্রিক-এর বাইরে যেকোনো প্রচেষ্টাই সরাসরি ফ্যাসিজম। ++
চে গুয়েভারা টিশার্ট পড়লেই বিপ্লবী হওয়া যায় না-------
০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৫৭
স্বাধীকার বলেছেন:
বিদ্রোহী ভৃগু ভাই,
আপনাকে ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। আপনার সাথে আমিও বলছি- চে গুয়েভারার ছবিওয়ালা গেঞ্জি বা ক্যাপ পড়লেই বিপ্লবী হওয়া যায়না।
ভালো থাকবেন, শুভ কামনা।
৫০| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:০৭
যোগী বলেছেন: শাহবাগ কে যে ব্যর্থ বলবে, বুঝতে হবে সে রাজাকারের সন্তান
তার ঠাই এই বাংলায় হবে না, পাকিস্থান গিয়া মর ছাগুর বাচ্চা।
০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:১০
স্বাধীকার বলেছেন:
যোগী ভাই,
শাহবাগ কেন ব্যর্থ হবে? শাহবাগ সফল, কিন্তু এই সফলতা জনতার হাত থেকে ছিনতাই করেছে ধর্ষক মানিকদের উত্তরসূরীরা। এখানে আক্ষেপ থাকাটাই যৌক্তিক।
কথায় কথায় যাকে তাকে ট্যাগ করার আগে নিজের অবস্থান পরিস্কার করতে হয়, আপনি এদেশের নাগরিক কিনা সেটাই এখনো নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছেনা। আমু ব্লগের কিংবা ভারতের হয়ে বহু এজেন্ট সামুব্লগকে কলুষিত করতে, উত্তেজনা সৃষ্টি করতে, ব্লগটিকে হুমকিতে ফেলতে আপনার প্রচেষ্টা যে নেই-সেটা নিশ্চিত করুন। আপনার পোস্ট এবং মন্তব্য গুলো এদেশের কারো হওয়ার সুযোগ কম। আপনার বিদ্বেষই বলে দেয় আপনি ওপাড়ের হতে পারেন। বাংলাদেশীদের মধ্যে রাজাকার খুজাঁর আগে আমরা শিবসেনা, আরএসএস, হিন্দুপরিষদ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চাই। তাদের কার্যক্রম আপনি চালাচ্ছেন না-সেটা আগে প্রমান করার দায় থাকলো।
ভালো থাকবেন। শুভ কামনা।
৫১| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:২৬
আসফি আজাদ বলেছেন: দন্ডিত বলেছেন: ...কিন্তু সমস্যা হচ্ছে সরকারের গলাবাজীর উতসাহ যত বেশী, বিচারের টেকনিক্যাল ব্যাপারে তত উতসাহ নেই। বাজেট এলোকেশনও কম। সাক্ষী প্রটেকশনের ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। তদন্ত চলছে দায়সারা ভাবে। এই ব্যাপারগুলি এড্রেস করা উচিত ছিল শাহবাগ থেকে।
তাইলে তো কামই হইছিল। কিন্তু তারা যে সেই কাজে যায় নাই, তা এখন অতি পরিষ্কার।
০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:২৭
স্বাধীকার বলেছেন:
আসফি আজাদ ভাই,
আম্লীগ আন্তরিকভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে এই বিচারকে বিবেচনা করলে এমন করে কাদের মোল্লার যাবৎজীবন হতোনা। যুদ্ধাপরাধের বিচারের ইস্যুটি আমাদের কাছে আবেগের বিষয় হলে, আম্লীগের কাছে রাজনীতির মূল্যবান পূজিঁ। এই পূজিঁর খরচ আম্লীগ চায়না, আগামী নির্বাচনে এই পূজিঁ বিনিয়োগ করে আবারো ক্ষমতার স্বপ্নে বিভোর।
সত্যিকার বিচার যুদ্ধাপরাধীরা বাদে সবার প্রত্যাশা, এই জঞ্জাল সাফ করা জরুরী। কিন্তু আম্লীগ এটা পরিষ্কার করলে তাদের উলংগ চেহারাটা জনগণের সামনে পরিষ্কার ভাবে উন্মোচিত হবে। তাই তারা এই বিচারকে ব্যর্থতা ঢাকার অস্ত্রে পরিনত করেছে।
আপনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকবেন।
৫২| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:২৬
জাতির নানা বলেছেন:
স্যালুট ম্যান ++++++++++++++++++
০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৩২
স্বাধীকার বলেছেন:
জাতির নানা-
আপনাকে কদমবুচি। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইলো।
ভালো থাকবেন, শুভ কামনা।
৫৩| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৩৮
ওই চোরা বলেছেন: যোগীর মতন কিছু জারজের জন্যই আজ দেশের এই অবস্থা। আন্ধা চোখে খালি বাল দেখে খালি। সঠিক কথায় তাদের মাথার খুলিতে ধাক্কা খেয়ে দুরে হারিয়ে যায়, ঘিলুতে আর প্রবেশ করেনা। কথায় কথায় ছাগু পাকি পাকি এদের জারজরুপ ফুটে উঠে।
০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:১৫
স্বাধীকার বলেছেন:
চোরা ভাই,
এই পোস্টের সব গুলো মন্তব্য থেকে একটি মন্তব্যই জঘন্য মানসিকতা থেকে এসেছে, সেটা এখানের সকল ব্লগারই দেখছেন। এদের মানসিকতা, নৈতিকতা, পারিবারিক শিক্ষা, রাজনৈতিক দীক্ষা-সবই আন্দাজ করা যাবে একটি মন্তব্য থেকে।
মানুষ তার প্রিয় নাম গুলোই বেশী নেয়, তিনিও তার মুখোশের আড়ালে সব সময় এমন প্রিয় নাম নিয়ে থাকেন। অন্যের চরিত্রহনন তার নিত্য কাজ। কেউ কেউ ভাবতে পারে এতে তিনি আম্লীগের উপকার করছেন, কিন্তু তিনি আম্লীগের প্রতি, তার সমর্থকদের প্রতি নিরন্তর ঘৃণার বীজ বপন করছেন নিজের অজান্তেই। প্রকৃত আম্লীগারদের দায়িত্ব হবে, যে পতাকা বইতে পারে তাকে পতাকা দেওয়া, যে ময়লার বালতি বহনের যোগ্য তাকে সেই কাজেই ব্যস্ত রাখা।
আমার আর কিছু বলার নেই। আপনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। আপনার জন্য শুভ কামনা।
৫৪| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৪২
দন্ডিত বলেছেন: @বিদ্রোহী ভৃগু
আমার যতদিন শাহবাগে উপস্থিত ছিলাম, দাবীটা উঠেছিল বর্জনের, নিষিদ্ধের নয়। এমনকি যে বিশাল পোস্টার শোভা পেত সেখানেও লেখা ছিল এইসব জামাটি প্রতিষ্ঠান বর্জন করুন।
পণ্য বর্জনের ডাক আমাদের দেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসের একটি অংশ। এই ডাক কোন ভাবেই ফ্যাসিবাদ নয়।
এরকম বর্জনের ডাক তো অনেক সময় দেয়া হয়। যেমন সচলায়তন ব্লগে বেশ কয়েকবার ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক এসেছিল। ডেনিশ পণ্য বর্জনের ডাক এসেছিল। সবকিছুই ফ্যাসিবাদ?
আপনার কাছ থেকে ফ্যাসিবাদের সংজ্ঞা শিখতে হবে দেখা যাচ্ছে। ব্যাপারনা ইদানীং অনেকে শব্ধেরই রিডেফিনিশন শিখতে হচ্ছে। যেমন গণহত্যা, ফ্যাসিবাদ ইত্যাদি।
মাহমুদুর রহমানের গ্রেপ্তারের দাবী কখন উঠেছিল এটি একটু মনে করার চেষ্টা করুন। আমার দেশের সেই বিখ্যাত লেখা থেকে কোট করছিঃ
রাজীবের পাশাপাশি আরও যেসব ব্লগার শাহবাগের আন্দোলনের নেতৃত্বে রয়েছে, তাদের মধ্যে একটা বড় অংশ দীর্ঘদিন ধরে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় ইসলামবিদ্বেষী লেখালেখি চালিয়ে আসছে। এদের মধ্যে অন্যতম হলো ডা. ইমরান এইচ সরকার, অমি রহমান পিয়াল, আরিফ জেবতিক, নিজেকে নাস্তিক দাবিকারী আসিফ মহিউদ্দিন, কট্টর আওয়ামীপন্থী ব্লগার ইব্রাহিম খলিল (সবাক) প্রমুখ।
এই লিস্টে অমি রহমান পিয়াল, আরিফ জেবতিক, ইমরান এইচ সরকার এরা তো নাস্তিক নয়। তাহলে কেন এদের নাম নাস্তিকদের তালিকায় ঢুকিয়ে বিতররকিত করার হীন প্রচেষ্টা করা হল?
উদ্দেশ্য প্রণোদিত মিথ্যাচারের শাস্তির দাবী ফ্যাসিবাদ হল কবে থেকে?
মাহমুদুর রহমান প্রথম ফ্যাসিবাদের হুজুগ তুলেছিলেন। তবে এই আইডিয়া তার মাথায় এসেছে কোথা থেকে সেটা বোঝার জন্যে আমাদের একটু পাকিস্থানী ডিফেন্স ফোরামের দিকে নজর দিতে হবে।
Unmasking Jamaat’s chief international propagandist
কিছু মনে করবেন না, বাংলাদেশের দুই রাজনৈতিক উপজাতি গত বাধা কথা বলায় সিদ্ধহস্ত।
খালি খালি বাকশালের টিন আর কতদিন পেটাবেন।
শেখ মুজিব বাকশালের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ৭৫ সালে এসে। তার আগেই কিন্তু মুজিব সরকার ব্যর্থ সরকারের পরিণত হয়েছিল। মুজিব সরকারের এই ব্যর্থটার দায় বাকশালের ঘারে কমই বর্থায়। কিন্তু এই বস্তুনিষ্ঠ সত্যটই বলতে চাননা কারণ সত্যটি চটকদার পলিটিক্যাল স্ট্যান্ড নয়।
প্রতিদিন অন্তত ১০০ বার আপনাদের দুই উপজাতি আমাকে মনে করইয়ে দেয় আমরা কতটা রাজনৈতিক ভাবে দেউলিয়া।
০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:২৩
স্বাধীকার বলেছেন:
@বিদ্রোহী ভৃগু ভাই-----দৃষ্টি আর্কষণ করছি।
------------------------------------------------------------------
দন্ডিত ভাই, আপনার আলোচনাকে সব সময় স্বাগতম। এজন্যই ব্লগকে এত ভালবাসি, এত গুরুত্ব দিই। ব্লগারদের এতটা সন্মান করি। চালিয়ে যান-আমরা উপভোগ করছি আপনাদের আলোচনা, সাথেই আছি।
৫৫| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৫৮
দন্ডিত বলেছেন: একটু এড করি ,
মাহুমুদুর রহমান শাহবাগের বিরুদ্ধে যে ক্যাম্পেইন চালাইছে এবং চালাচ্ছে তার মাস্টার মাইন্ড সে না। সে মুহাম্মদ মুনশির কথাবার্তা ভার্বাটিম চালাইতেছে। এইসবের ঘিলু তার আছে বইলাও মনে হয় না।
০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৩৩
স্বাধীকার বলেছেন:
দন্ডিত ভাই, নো প্রব্লেম, এড করুন। কিন্তু মুহাম্মদ মুনশি-টা কে? সত্যিই এখানে আমি ভীমরি খেলাম, যদি একটু খোলাসা করেন, তাহলে আপনাদের আলোচনাটিকে ধারণ করতে সহজ হবে, প্লিজ।
৫৬| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:১১
েরদওয়ান রহমান বলেছেন: ওই চোরা বলেছেন: যোগীর মতন কিছু জারজের জন্যই আজ দেশের এই অবস্থা। আন্ধা চোখে খালি বাল দেখে খালি। সঠিক কথায় তাদের মাথার খুলিতে ধাক্কা খেয়ে দুরে হারিয়ে যায়, ঘিলুতে আর প্রবেশ করেনা। কথায় কথায় ছাগু পাকি পাকি এদের জারজরুপ ফুটে উঠে।
০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৪২
স্বাধীকার বলেছেন:
রেদওয়ান ভাই,
সহব্লগার হিসাবে আপনাদের চোখেই ঐ মন্তব্যটি কতটা বাজে নোংরা হিসাবে প্রতিভাত হলো। আর আমার পোস্টে ঐ মন্তব্যটি রেখেছি কেবল সহব্লগারদের দেখানোর জন্য যে, এরা কতটা জঘন্য মানসিকতা নিয়ে ব্লগিং করে, দেশকে ব্লগকে অস্থির করার এজেন্ট হিসাবে কিভাবে নির্বিচারী ট্যাগিং আর মিথ্যাচার করতে পারে। সচেতন ব্লগারদের কাছেই এর মূল্যায়নের ভার দিলাম।
ভালো থাকবেন। আপনাকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।
৫৭| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:০৭
সি.এম.তানভীর-উল-ইসলাম বলেছেন: দন্ডিত @@ গণহত্যা মানে একসাথে অনেক মানুষকে হত্যা করা এটা আপনিও জানেন এবং সবাই কমবেশি জানেন। (সবকিছু বিস্তারিত সংজ্ঞা দিয়ে হয়না আর আমারও এত সংজ্ঞা মনে থাকে নাহ পরতেও ভালো লাগে না)
এখন কে বা কারা থানা ঘেরাও, মন্দির আক্রমণরত, রেললাইন উপ্রানো, ১৮ বছরের নীচের বাচ্চাদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করা মিছিল, পুলিশ পাইলে মাইরা ফালানো, প্রকাশ্য রাস্তায় জবাই করা, অগ্নিসংযোগ, ট্রেন, বিদ্যুতের সাবস্টেশন, ইত্যাদিতে আগুন দেয়া, সংখ্যালঘুদের বাড়ি পুড়ানো, হত্যা, ধর্ষণ ইত্যাদি কাজ করলো সেটা বিচার করার জন্য আমাদের স্বাধীন বিচার বিভাগ আছে (যদিও এখনও বিচার বিভাগ পুরাপুরি স্বাধীন নাহ)
পুলিশের কাজ অন্যায় কারী কে আইনের আওতায় আনা। তাদের কাজ গুলি মেরে হত্যা করা না সে যেই হোক। যদি তারা করে তবে সরকার এর নির্দেশে করে। এটা কোন সভ্য দেশের আইন হতে পারে না। একে বলে গনত্রন্ত্র হত্যা, গনত্রন্ত্র ধর্ষণ।
আপনি এত কিছুর উদাহরণ দিলেন ভালো কিন্তু প্রমান করেন, যান বিচার বিভাগে বলেন আমি সাক্ষী, আমি দেখছি কারা এই কাজ করছে, আমি প্রমান দিবো। শুধু আমার প্রিয় লেখক জাফর ইকবালের মত যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি চাই, গাল ভরা স্লোগান দিলাম কিন্তু সাইদির বিপক্ষে সাক্ষী দিতে গেলাম না, বলতে পারলাম না শালা একটা রাজাকার!!! মানুষ এত বোকা নাহ, তারা জানে ও তারা বুঝে, শুধুমাত্র কয়েকটা চ্যানেল ও সংবাদপত্র দিয়ে তাদের বোকা বানানো যাবে নাহ। আপনি যেই হন, আওয়ামীলীগ বা জামাত বা বি এন পি দলের কর্মী বা সমর্থক।
মাঝে মাঝে আমরা অনেক কিছু বলি কিন্তু কাজের বেলায় কিছু নাহ!! প্রতিটি বিবেকবান মানুষ চায়, যেই অন্যায় করুক তার যেন শাস্তি হোক। তাই বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা রাখেন, আপনার বা কারো অধিকার নাই বিচার ছাড়া কাউকে হত্যা করা বা শাস্তি দেওয়া।
অন্যের অধিকারকে সম্মান দিলে নিজের অধিকার পাবেন, নিজের অধিকার সম্পর্কে আস্থা পাবেন। কারো পিঠে দেয়াল টেকে গেলে সে পাল্টা আক্রমণ করবেই সে আপনার আমার মত ভালো বা খারাপ হোক।
যদি দেশের ভালো চান তাহলে সকলকে সাথে নিয়ে কাজ করুন, অন্যায় কে না এবং ন্যায় কে হ্যা বলেন। দেশের জন্য দল, দলের জন্য দেশ নাহ। ভালো ও খারাপের সাথে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। খারাপ কে জুতা দান করে, ভালো কে গ্রহন করবো তা হবে নাহ। দিনের পরই রাত আসবে। খারাপ না থাকলে আপনাকে কেও ভালো বলবে নাহ।
লেখক @@ ভালো থাকবেন
০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৪৮
স্বাধীকার বলেছেন: @ দন্ডিত ভাই------আপনার দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
-----------------------------------------------------------------------------
তানভীর আপনাকে আবারো ধন্যবাদ। আপনাদের আলোচনা আমরা উপভোগ করছি, চালিয়ে যান দায়িত্বশীলতার সাথে, সাথে আছি।
৫৮| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৩১
দাসত্ব বলেছেন: দুঃখিত ভাই , ব্লগে অনেক কম আসি। একারনে দেরিতে আসলাম। আপনি যা লিখসেন - আজকের এই পরিস্থিতির জন্য সবচেয়ে দায়ী জন্ডিস রোগীরা।
এরাই আসল অপরাধী।
আর বাকী যারা বিএনপি আর খালেদা জিয়ার নব্য শুভাকাংখী দেখতেসেন এরা সবাই ছুপা আওয়ামী ।
এদেরকে আমি বলি কবি।
আওয়ামী লীগ এত পচা পচসে যে এরা এখন শরমে বলে আমি নিরপেক্ষ।
আহা , বিএনপি যদি এটা করতো তবেই না বিএনপিকে ভোট দিতাম - এইটা ওদের কমন বুলি।
কারন ওরা ভোটের ম্যাথমেটিকসের কষতেসে।
এটা এখন এমন একটা সময় যে নৌকার জন্য ভোট চাইতে গেলে মানুষ বলবে - আয় , দিতাসি ভোট।
নৌকায় যেহেতু ভোট বাড়ানোর সুযোগ নাই , সেহেতু ধানের শীষের ভোট কমাও।
আশেপাশের মানুষের কাছে নিজেকে নিরপেক্ষ ভেক ধরে বিএনপির শুভাকাংখি সাজো , আর বলো - ইস , এবারো বিএনপিকে ভোট দিতে চেয়েও দিতে পারবো না , শুধু এই কারনে।
এইভাবে ওরা অনেক ভোটারের সাইকোলজী ম্যানুইভার করে যারা মোটামুটি কনফার্ম সীল দিবে ধানের শীষে।
নেট হিসাব - নৌকার ভোট যেহেতু বাড়ানোর সুযোগ নাই , ধানের শীষের ভোট কমাও।
এই সব কবি গুলাকে ফেসবুকে দৌড়ানির উপর রাখসি।
০৬ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:০৫
স্বাধীকার বলেছেন:
দাসত্ব ভাই,
আপনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। দেরি কোনো ব্যাপার নয়, আপনার উপস্থিতিটাই গুরুত্বপূর্ণ, মন্তব্যটিই আমার কাছে মূল্যবান। আপনার মন্তব্যের জবাব দেওয়া আমার জন্য বেমানান। সে সাহসও আমি রাখিনা।
আপনার অবজারভেশনকে বিবেচনায় নিয়ে কেবল এটুকু বলতে পারি, আগামীর সময় গুলোতে আমাদের অনেক দিক থেকে সচেতন থাকতে হবে। ভাঙ্গা নৌকা নিয়ে জনতার কাছে ওরা যেতে না পারলেও, জনতা যেন আমাদের কাছে না আসতে পারে, সে চেষ্টায় তারা মরিয়া। নানান ধরনের মায়াকান্নায় মুখোশের আড়ালে তাদের কুকীর্তি গুলোকে নিপীড়িত মানুষের মন থেকে মুছতে চায়। জিয়া পরিবারের চরিত্রহনন তাদের দৈনিক রুটিন কাজ হয়ে দাড়িয়েছে।
বেশ্যাদের নৈতিকতা আছে, তাদেরও চরিত্র আছে, যেখানে সেখানে যার তার সাথে যখন তখন তারা উলংগ হয়না, কিন্তু বাংলাদেশের মিডিয়া গুলোর সেটুকু লজ্জাও নেই। এরা সুবিধার জন্য স্ত্রী কন্যাকেও ত্যাগ করতে পারে, অন্যের কাছে পাঠাতে পারে। এই চরিত্রহীন মিডিয়া নির্বিচারী মিথ্যাচারের মাধ্যমে দেশকে চরম অবস্থার দিকে নিয়ে যেতে চাচ্ছে-সাবেক রাম-বাম আদর্শহীন ভন্ডগুলো জড়ো হয়েছে পূজিঁবাদের দানব মিডিয়ার ছায়ায়। এরা কালোকে দেখাচ্ছে সাদা হিসাবে, সাদাকে করছে রঙীন- নিমিষেই। বাংলাদেশের গণতন্ত্র বিপন্নতার সন্মুখীন যতটুকু হয়েছে তার দায় থেকে আমাদের দালাল মিডিয়া কখনোই পার পাবেনা।
খালেদা জিয়ার নওভক্তকূলের অভিনয় সময়োচিত উলংগ হবে-যদিও এদের নুন্যতম লজ্জা নেই। এদের সর্বাত্মক মতলব আমাদের কাছে দিবালোকের মতোই প্রকাশিত, দুর্গন্ধময়।
আপনার মন্তব্যের সাথে সহমত। ভালো থাকবেন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।
৫৯| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:৫৭
অশান্ত পৃথিবী বলেছেন: Valo post.
০৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:০০
স্বাধীকার বলেছেন:
অশান্ত ভাই,
আপনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
ভালো থাকবেন। শুভ কামনা।
৬০| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৩২
ইউসুফ আলী রিংকূ বলেছেন: পোস্ট প্রিয়তে
শাহবাগ ৩-৪ দিন পরেই বাল এর দখলে চোলে গেছে
০৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:০৫
স্বাধীকার বলেছেন:
রিংকু ভাই,
আপনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
সর্বস্ব দিয়ে দেউলিয়া আম্লীগ যেকোনো মূল্যেই শাহবাগ আন্দোলনকে নিজেদের অসহায়ত্ব ও ব্যর্থতা ঢাকতে তৎপর। অথচ শাহবাগ আন্দোলনটি ছিলো স্বতস্ফুর্ত নির্দলীয়। আম্লীগ যেখানে মুখ দিবে-সেটার বিনাশ অবধারিত।
ভালো থকাবেন,শুভ কামনা।
৬১| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:১৭
ওবায়দুল হক মাহমুদ বলেছেন: প্রিয়তে
০৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:১৯
স্বাধীকার বলেছেন:
মাহমুদ ভাই,
আপনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
আপনার মূল্যায়নকে স্বাগতম।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
৬২| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৬
বৃষ্টি ভেজা সকাল ১১ বলেছেন: স্যালুট এবং +++++++++++
০৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:২২
স্বাধীকার বলেছেন:
সকাল ভাই,
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইলো।
ভালো থাকবেন, শুভ কামনা।
৬৩| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:১৮
শ।মসীর বলেছেন: ভাল লাগল বিশ্লেষন, কথা আছে অনেক সময় নাই লেখার
০৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৫০
স্বাধীকার বলেছেন: শ।মসীর ভাই,
আপনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইলো।
আমরা যখন সর্বোচ্চ বিভ্রান্তিতে আছি, সরকার যখন ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে উৎসব করছে, সাধারণ মানুষ যারপরনাই আতংকে আছে, ক্ষনে ক্ষনে বিস্তার করছে অবিশ্বাসের ডালপালা-তখন আপনাদের মতো দায়িত্বশীল ব্লগারদের কথা বলা একান্ত দায়িত্ব। আমরা যাদের দায়িত্বশীলতা সব সময় আশা করি-তারা এখন কথা না বললে আমাদের যাওয়ার জায়গা ছোট হয়ে আসে। এখন কথা বলুন, লিখুন, সাধারণকে স্বাভাবিক অবস্থাটি দেখান প্লিজ।
এখন কথা আপনাদের বলতেই হবে, প্লিজ এখন দায়িত্ব নিতে হবে।
ভালো থাকবেন ভাই। শুভ কামনা আপনার জন্য।
৬৪| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫
রাসেল মেটামোরফোজ বলেছেন: আপনার পোস্টে মন্তব্য করার জন্য লগঅন করেছি। এক কথায় অসাধারণ লিখেছেন!++++++
০৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৫৫
স্বাধীকার বলেছেন:
রাসেল ভাই,
আপনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। আমার পোস্টের জন্যই লগঅন করা-আমার জন্য সন্মানের বলে মনে করছি। অনেক দিন পর আপনার সাথে কথা হলো। কেমন আছেন?
ভালো থাকবেন, আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।
৬৫| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২২
দন্ডিত বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু ভাই এর দিকে করা মন্তব্যটিতে একটি লিঙ্ক দেয়া আছে "আনমাস্কিকং জামাত'স চিফ ইন্টারন্যাশনাল প্রোপাগান্ডিস্ট।" লেখাটা মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। জামাটি ষড়যন্ত্র দ্বিমুখী। তারা বিএনপিকে মধ্য ঠেকে অতি ডানে ঠেলার সব প্রচেষ্টাই করছে।
০৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৪৫
স্বাধীকার বলেছেন:
দন্ডিত ভাই,
হ্যা জামাত তো চাইবেই বিএনপি অতি ডানপন্থী দল হয়ে যাক। কিন্তু বিএনপি কখনোই অতি ডানপন্থী দল হবেনা। কারণ এখনো বিএনপিতে সবচেয়ে বেশী মুক্তিযোদ্ধা আছে, আছে মৌলবাদী রাজনীতিবিরোধী ছাত্রদল।
আগামীতে ছাত্রদলের শুরুর দিকের নেতৃত্ব যখন মূলদলের ডিসিশন ম্যাকিং পর্যায়ে আসবে-তখন বিএনপির রাজনীতি আরো পরিচ্ছন্ন এবং মানবিক ও আধুনিক হবে বলে আমার বিশ্বাস। জামাতী ষড়যন্ত্রের বিরোদ্ধে আমরা সচেতন আছি-আধুনিক বাংলাদেশ আমাদের লক্ষ্য, স্বনির্ভর বাংলাদেশ আমাদের লক্ষ্য। এই উপমহাদেশে ধর্মীয় রাজনীতি কখনো কখনো ক্ষমতায় আসার সুযোগ পেয়েছে আমাদের প্রধান দল গুলোর সীমাহীন দুর্নীতি আর লুটপাটের কারনে। এই অঞ্চলের মানুষ ধার্মিক বটে, কিন্তু সেই ধর্ম দিয়ে ক্ষমতার চর্চা পছন্দ করেনা। তাই শিবসেনা বা জামাতের মতো দলগুলোর নীরব/সরব সমর্থন থাকলেও, ক্ষমতায় সাধারণ মানুষ এদের চায়না, এটাও চায়না যে, এরা ক্ষমতার চর্চায় ধর্মকে কলুষিত করুক, বা বাধ্যতামূলক ধর্মচর্চা করুক-যা ইসলামের শিক্ষা নয়।
৬৬| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯
দন্ডিত বলেছেন: @তানভীরুল ইসলাম,
দেখেন আমি পুলিশের অপ্রয়োজনীয় গুলির পক্ষে কিছু বলি নাই। মুফতি বাবা এর মন্তব্যের উত্তরে আমার বক্তব্যটি দেখে নেন।
আমি শুধু বলছি মানবতার নামে এর বিরোধিতা করলে আমার এইটা সিলেক্টিভ মানবতা মনে হয়। আপনি সরকার তথা মখা ছাগলের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার কথা বলতে পারেন।
আমাদের সরকারগুলি মানবতার কেয়ার না করার ব্যাপারে চ্যাম্পিয়ন। এগুলা নতুন কিছু না। পারলে মৌলিক পরিবর্তনের দাবী তুলেন নাইলে মানবতার কথা তুইলেন না।
আর জাফর ইকবালের ব্যাপারটা নিয়ে উনি নিজে ব্যাখ্যা দিছেন। সেটা কি আপনি পড়ছেন? অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেকে এইটা পড়েও তর্কেইর সময় এই ডিভাইসটা ব্যবহার করেন। জাস্ট টু কনভিনিয়েন্ট। ব্যাখ্যাটা না পড়লে আমি পড়ের মন্তব্যে উল্লেখ করব।
০৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৪৫
স্বাধীকার বলেছেন:
@তানভীরুল ভাই-------দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
-------------------------------------------------------------------------
দন্ডিত ভাইঃ
জাফর ইকবাল স্যারের ব্যাখ্যাটি শেয়ার করুন প্লিজ। আমি নিজেও এটা সম্পর্কে জানিনা। জানানোর ব্যবস্থা করুন।
৬৭| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৩
শ।মসীর বলেছেন: দেখে যাওয়াই ভাল মনে করছি , দায়িত্ব নিয়ে কি হবে জানিনা তবে সেদিন সামান্য দ্বিমত করায় আমার সাথে যা করা হয়েছে আমি আসলে ভীত। ব্লগার রা অনেকে কমন হলে আমি ফেবুতে এ্যাড করি যে কাউকেই। একজন কারন জানিনা আমার এলবামের ছবি গুলার নিচে নানা রকম আজে বাজে কথা লিখ গেল। আমি বুঝলামই না কি কারন। আমি সব মেনে নিতে পারি কিন্তু আমার ফ্যামিলির সাথে বাজে আচরন মানতে পারবনা । নিজের পরিচয়ে কেউ সেটা করলে খুন করার চিন্তা মাথায় আসত !!!
আমি আমার বিশ্বাস নিয়ে আছি, দেখছি আর অপেক্ষায় আছি, ওপর ওয়ালা কাউকেই ছাড়েনা ।সব কিছুই গন হারে আমি বিশ্বাস করিনা। শাহবাগ যখন থাবা কে রক্ষায় ব্যস্ত তখন ফেবুতে প্রতিবাদ করায় হয়ত অমনটা হয়েছিল।
০৭ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭
স্বাধীকার বলেছেন: শ।মসীর ভাই,
যারা দ্বিমতকে স্বাগত জানাতে পারেনা, ভিন্নমতকে যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করেনা-তারা কখনোই গণতান্ত্রিক শক্তির ধারক বা বাহক হতে পারেনা। ব্লগে এখন এমন কিছু নিক জন্ম নিয়েছে-যারা ব্লগিং করার জন্য নিক গুলোর জন্ম দেয়নি-দিয়েছে সামুর ব্লগকে কলূষিত করতে, অপমান করতে, মানহীন করতে। অন্তরে স্বৈরাচারী পশুপ্রবৃত্তি নিয়ে মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও ঐ শ্রেনীটি কখনোই গনতন্ত্রের যোগ্য নয়। তাই তারা কখনো বাকশাল কায়েম করে, কখনো সমাজতন্ত্রের ধব্জ্জা ধরে। যারা এমন আচরণ করেছে-তারা একটি কখনোই একা এমন কাজ করার সাহস পেতোনা, তারা সিন্ডিকেটিং করেই টার্গেট করে এমন করছে। পায়ের তলায় মাটি না থাকলে ডুবন্তরা আরেকজনকে টেনে ধরে ডুবাতে চায়। এদের জাস্ট ইগনোর করুন। এরা কোনোদিনই সামনের কাতারে এসে দাড়ানোর ক্ষমতা রাখেনা, আসার মতো অবস্থান তারা রাখেনি। এরা অন্ধকারে কালো বিড়াল, সুযোগ পেলে বস্তাসহ গায়েবের ধান্ধায় দেশপ্রেমিক সাজে। ভিন্নমতকে সর্বদাই খুন করতে চায়। এরা সভ্যতা সংস্কৃতি মূল্যবোধ-এসবের যোগ্য নয়, ব্লগের যোগ্যতো নয়ই। এদের থেকে দূরে থাকলেই ভালো জাস্ট এড়িয়ে যান। সত্যটা আমরা বলবোই, আমার বিশ্বাসকে আমি প্রমান করতে চাইবো-তারা যুক্তিতে পারলে আমাকে বুঝাবে, না পারলে বা অন্যকোনো প্রক্রিয়ায় আক্রমন করার চেষ্টা করলেও চটাকানার উপরে রাখবেন।
অসভ্যদের এড়িয়ে সত্যটা বলতে আপনাদের এখনি দাড়ানোর সময়। দেশ একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে, সরকার তথা আম্লীগের কান্ধে ভর করেছে ইবলিশ নিজে, গণতন্ত্র বিপন্ন হওয়ার পথে, নির্বিচারে গুলিতে মরছে মানুষ-এমতাবস্থায় কথা বলতে হবে, আপনাদের লেখতে হবে, ভয়ার্ত মানুষকে বাচাঁর জন্য শেষ পর্যন্ত লড়াই চালানোর সাহস যোগাতে হবে। দায়িত্বশীল ব্লগার হিসাবে ব্যক্তিগত ভালো অবস্থানের কারণে আপনাদের গ্রহণযোগ্যতার কারণেই, এই দায়িত্ব আপনাদের উপর বর্তায়।
লিখবেন প্লিজ। আপনার লেখা কোনো স্বৈরাচারীর দোসরের জন্য নয়-দেশের জন্য, এদেশের সাধারণ মানুষের জন্য। আপনাকে আবারো ধন্যবাদ, শুভ কামনা রইলো।
৬৮| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:১৩
কবি ও কাব্য বলেছেন: আপনার প্রতিটা কথার সাথে একমত । আপনার কথাগুলোর মতোই একই কথা শাহবাগের মহাসমাবেশ হওয়ার পর থেকে সবাইকে বলে যাচ্ছি যে এই আন্দোলনটাকে কারো হাতের পুতুল বানাবেন না। অথচ দুর্ভাগ্যজনক ভাবে আমাকে সবাই জামাতি , ছাগু, রাজাকার কত কিছু ভাবতে লাগলো তার হিসাব নেই। অনেকে ফেইসবুকের ফ্রেন্ডলিস্ট থেকে আমাকে বাদও দিয়েছেন । কেউ উচিত কথা শুনতে চায়না, মানতে চায় না। কেউ উচিত কথা বললে তাকে রাজাকার বলে কতকিছু উপহাস করা হয়। রাজনৈতিক মতভেদ যে মানুষকে কত নোংরা ও নিচু মনের মানুষ হিসেবে তৈরি করে শাহবাগের আন্দোলন না আসলে দেখতে ও জানতেও পারতাম না ভাই। আমি সিউর আপনার এই পোস্ট এর পর আপনার কাছের অনেক মহান দেশপ্রেমিক ব্লগারগন আপনাকে ছাগু ভাবতে শুরু করেছে ।
আবারো ধন্যবাদ ।
০৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৫৯
স্বাধীকার বলেছেন:
কবি ও কাব্য ভাই,
কাদের মোল্লার যাবতজীবন শাস্তির পর পর যারা শাহবাগে আসেন, তারা হৃদয় দিয়েই মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করেন। তাদের প্রথম প্রতিবাদটি ছিলো স্বতস্ফুর্ত এবং মহৎ-সেখানে রাজাকার বাদে আর কোনো বিষয় ছিলোনা। আমরা একেবারে শুরুতেই শরৎ দার পোস্টে সেই আন্দোলনকে নিঃশর্ত সমর্থন দিয়েছি। কিন্তু এক সপ্তাহ পর আন্দোলনটির কেবলা পরিবর্তন হয়ে গেলো, বহুমাত্রিক ভাবনা এসে আন্দোলনটিকে বিভ্রান্ত এবং গতিহীন করতে থাকলো। সরকারের ও আদালতের রায়ের বিরোদ্ধে সংক্ষুদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ চলার কথা, যেখানে আন্দোলনকারীদের প্রতিপক্ষ সরকার-সেখানে আম্লীগ এসে সমর্থন জানায়, সোহাগ, বাচ্চু, অঞ্জন রায়দের মতো চিহ্নিতরা এখানে এসে পরামর্শ দেয়, সরকারী প্রটেকশন ও সরকারের সাথে দুতিয়ালী করে-এসব দেখে সবাই ধারণা করতে বাধ্য হয় যে, আন্দোলনটি আম্লীগ হাইজ্যাক করেছে। আর আম্লীগ যেখানে মুখ দিবে-সেখানে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হবেই। তাই আজ শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলনটি এভাবে দ্রুত আমাদের হতাশ করে দিলো। উপরন্ত আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ করতে গিয়ে নিজেরা সরকারের এজেন্ট হিসাবে, স্বৈরাচারী মনোভাবাপন্ন হিসাবে প্রতিভাত হলো। কারণ ব্লগারদের প্রধান অস্ত্রই হরো মিডিয়া, ব্লগাররা কিভাবে পত্রিকার মৃত্যু চায়, সমস্যা হলে আইনী পথ তো ছিলোই। কিন্ত তারা একটি ভিন্নমতকে টার্গেট করে তাদের অফিসে হামলা, আগুন দেওয়ার মতো বিষয় গুলো ছাত্রলীগকে দিয়ে করানোর প্রয়াস চালায় বলে জনশ্রুতি আছে।
হয়তো দেখেছেন পোস্টে শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরের অর্জন সম্পর্কে বলা হয়েছে এবং আমি একটি ভবিষ্যতবানী করেছি যে, এই আন্দোলনের ফলাফল হবে সুদূর প্রসারী।
ভিন্নমতের কাউকে যুক্তিতে বুঝাতে সক্ষম না হলে, কিংবা ভরা মজলিসে উলংগ হওয়ার ভয় যাদের সব সময় থাকে-তারাই আগ বাড়িয়ে এ ধরনের ট্যাগিং করে। লাল সালুতে গ্রামের সচেতন যুবক আক্কাস স্কুল প্রতিষ্ঠার পক্ষে গ্রামবাসীকে বুঝাতে সক্ষম হলে, বিপক্ষে অবস্থানকারী আধুনিক শিক্ষাবিরোধী ভন্ড মজিদ আক্কাসকে থামানোর জন্য প্রসঙ্গ ছাড়াই ধমকের সুরে জিজ্ঞাসা করে ‘ঐ মিয়া তোমার দাড়ি কই? সেরকমই প্রসঙ্গ ছাড়া যুক্তিহীন অথর্বরা যাকে তাকে ছাগুট্যাগিং করে, কোনো আলোচনা সমালোচনা পর্যবেক্ষন ছাড়াই। ঠিক যেমন ভন্ড মজিদের মতোই এদের চরিত্র। এরা সব সময়ই আত্মশক্তিহীন, জাস্ট এদের ইগনোর করুন। যে তারুন্য যুক্তিহীন, দায়িত্বহীন, তরল উচ্ছাসে অর্থহীন আস্ফালন করে, সমাজের অভিজ্ঞদের চেয়েও নিজেকে জরুরী মনে করে, সাময়িক চুলকানিতে মজাপুকুরে সাতাঁরে নামে, যথাসময়ে যথাস্থানে সত্য কথাটি বলতে পারেনা-সেই তারুন্যকে আমি কখনোই সম্পদ মনে করিনা। আর দশজন মুর্খের মতোই তারা সমাজের দায়, পরিবারের দায়। কখনো কখনো দায়িত্বহীন আবেগী তারুন্য মুর্খদের চেয়েও বেশী ক্ষতির কারন হয়ে থাকে। কে আপনাকে ট্যাগ দিলো, কে ফেইসবুক বন্ধুর তালিকা থেকে বাদ দিলো-সেটা মাথায় আনবেন না। এটা ভাবুন যে, যাদের আপনি বন্ধু মনে করেছিলেন, তারা অল্পতেই চলে গিয়েছে, আপনিও অল্পতেই তাদের চিনতে পারলেন, বেচেঁ গেলেন। তা না হলে হয়তো এই অযোগ্য আবেগী গা-ভাসানো তথাকথিত বন্ধুরা একদিন আপনার বেডরুম পর্যন্ত যাওয়ার অধিকার আদায় করে নিতো-যদিও তাদের মানসিক যোগ্যতা, ব্যক্তিত্ব, দৃষ্টিভঙ্গি-এখন আপনার কাছে চরমভাবে অর্থহীন, মর্যাদাহীন।
কীবোর্ডে যেভাবে ঝড় তোলা যায়, গেইম খেলে যেভাবে ভিলেন মারা যায়-বাস্তবে ততটাই কঠিন। সেদিন দেখলাম রাতের বেলায় হঠাৎ গুজব রটেছিলো যে জাশিরা শাহবাগে আসছে-তাতেই পুলিশ পাহারা থাকাবস্থাতেই পালাতে বা সাবধান হতে গিয়ে ৩জন আহত-এই হলো আমাদের সাহসী প্রজন্ম, চেতনাচাষী। এরাই এ যুগের সাইবার মুক্তিযোদ্ধা-নিজেদেরকে নিজেরাই মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে ঘোষণা দিয়ে আত্মপ্রসাদ লাভ করছে। অথচ এরা কল্পনাও করতে পারবেনা সত্যিকার মুক্তিযুদ্ধে আমাদের পূর্বপুরুষের কতটা রক্তক্ষরণ হয়েছিলো। এরা মহান মুক্তিযুদ্ধকে বড় করতে গিয়ে প্রকারন্তরে মর্যাদাহীন কমগুরুত্বপূর্ণ করে তুলছে নিজেদের অজান্তেই। ব্যাপারটা এরকম যে, ম্যাজিস্ট্রেটের উপকার পেয়ে খুশী হয়ে দরিদ্র ভিখারী দোয়া করে বলছে ‘আল্লাহ তুমি এই ব্যাডাকে দারোগা বানায়া দেও।’ ভিখারীর জ্ঞানের বহর ছিলো সর্বোচ্চ দারোগা পর্যন্ত, তাই তিনি ম্যাজিস্ট্রেটকে দারোগা হওয়ার দোয়া করেছেন-যদিও তার চাওয়ার মধ্যে কোনো অসততা ছিলোনা।
কাব্যভাই, মন খারাপ করবেন না, যতদিন নিজের বিবেকের কাছে, নিজের সৎ শিক্ষার কাছে নিজে পরিস্কার থাকবেন, ততদিন কে কি বললো, কে কি সাটিফিকেট দান করলো-তাতে আপনার কি আসে যায়না। নিজের ঘাড়ের একটি বিষ ফোড়াঁ হাজার মৃত্যুর চেয়েও বেশী বেদনাময়-তাই ইগনোর দ্যাম প্লিজ।
আপনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকবেন। শুভ কামনা।
৬৯| ০৮ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:০৯
আলতামাশ বলেছেন: প্রিয়েতে নিলাম
০৮ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৬
স্বাধীকার বলেছেন:
আলতামাশ ভাই,
আপনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইলো।
ভালো থাকবেন। শুভ কামনা।
৭০| ০৮ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৪
জুল ভার্ন বলেছেন: শাহাবাগ তথা নতুন প্রজন্মের তরুনদের আন্দোলন নিয়ে আমার উচ্ছাশের কমতিছিলনা-বরং একটু বাড়াবাড়ি রকমেরই সমর্থন এবং খুব বেশে সুন্দরের প্রত্যাশা ছিল বলেই শাহাবাগা আন্দোলনের পক্ষে বেশ কিছু মন্তব্য করেছিলাম। আস্তে আস্তে আমার মোহ ভংগ হয়েছে। শাহাবাগীরা শুরু করেছিল "যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির" আন্দোলন-তারপর যুক্ত হলো জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে আন্দোলন। তখন পর্যন্ত বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর নিঃশর্ত সমর্থন ছিল। কয়েকদিন পরে যুক্ত হলো-"সকল ধর্মী রাজনৈতিক দলের রাজনীতি বন্ধের দাবী। কিন্তু এখন সুকৌশলে ঐ আন্দোলনের নেতৃত্ব যেমন ছিনতাই হয়েছে-তেমনি ঐ আন্দোলনের এখন মূখ্য বিষয় হচ্ছে ইনিয়ে বিনিয়ে, ছলে বলে- কলে কৌশলে বাংলাদেশ জাতিয়তাবাদি দল ও দলের নেতৃর বিরুদ্ধে বিষোদগার! ওদের এখন মূল টার্গেট বিএনপি।
হরতাল দেয় জামাত-শিবির কিন্তু মিডিয়া, শাহাবাগীরা এবং আওয়ামী লেজুর দলগুলো প্রচারণা চালায়-"বিএনপি-জামায়াতের হরতাল"! শাহাবাগের নূণ্যতম সমালোচনাও এখন নিষিদ্ধ। সমালোচনা করলেই-তুই ছাগু! যেখানে সত্য পরিত্যায্য সেখানে সবকিছুতেই অন্ধ সমর্থন দেয়া সবার পক্ষে সম্ভব নয়।
০৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৪৮
স্বাধীকার বলেছেন: জুল ভার্ন ভাই,
আপনাকে আবারো ধন্যবাদ। আপনার মতো ব্লগারের মন্তব্যের জবাব দেওয়ার মতো তেমন কিছুই থাকেনা-সহমত জানানো ব্যতিত। দৃষ্টতাও রাখিনা বাড়তি কিছু বলার। আপনার সাথে আমিও একমত হয়ে শুরুতেই নিঃশর্ত সমর্থন দিয়েছিলাম শাহবাগ চত্বরকে।
১ম সপ্তাহটির আন্দোলন ছিলো পবিত্র এবং সত্যিকার দেশপ্রেমিক প্রজন্মের হৃদয়ের সত্যিকার তাড়নাপ্রসূত। তাই সেখানে মানুষের কমতি ছিলোনা, ছিলোনা দেশবিরোধীদের কোনো গলাবাজিও। কিন্তু সপ্তাহান্তে আন্দোলন তার বহুমুখী ডালপালা বিস্তার করায়, বহুপাক্ষিক স্বার্থ আর ক্ষমতাসীনদের গোপন মিশন বাস্তবায়ন একই সাথে চালাতে গিয়ে চরমভাবে হতাশ করে আমাদের।
এখনতো সরাসরি আম্লীগের কোলে উঠে শাহবাগ চত্বর সরকারের দুধকলা খাচ্ছে। তাই তারা কখনোই বাংলাদেশের মানুষের কথা আর শাহবাগ থেকে বলতে পারবেনা। যখনই বলার চেষ্টা করবে, তখনই সরকার তার আসল হায়নাচেহারাটি উন্মোচিত করে ১৪৪ধারা জারি করে ইমরানদের পিপারস্প্রে দিয়ে গোসল করাবে-এর নাম আম্লীগ।
বর্তমান শাহবাগ চত্বরের অন্যতম লক্ষ্য হলো আম্লীগ তথা ১৪দলের কুর্কীতিকে আগামী ইলেকশন পর্যন্ত ছাইচাপা দিয়ে রাখা। কিন্তু ছাই দিয়ে আগুন ঢাকা দেওয়া যায়না। মিথ্যা চেতনার বড়ি খাওয়া তরুনপ্রজন্মের ডায়রিয়া হতে আর বেশীদেরী নেই-আম্লীগ ও কুলাংগার মিডিয়া প্রজন্ম চত্ত্বরকে দেশের সব তরুনদের চত্ত্বর হিসাবে দেখাচ্ছে। কিন্তু শাহবাগের তরুনদের কথায় দেশের ২কোটি তরুন সকাল বিকাল বাম-ডান-বাম মার্চপাস্ট করেনা-এটা সময়ে দেখা যাবে। নিশ্চয় আগামীতে ফেয়ার নির্বাচন দিতে হবে, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে যে নির্বাচন হবে, সেখানেই আমাদের তরুনরা অভিনয়কারী মিথ্যাচারী বাকশালী শাসকগোষ্ঠিকে তাদের জামাতের সাথে গোপন আতাঁতের জবাব দিয়ে দিবে।
আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। ভাল থাকবেন প্রিয় জুল ভার্ন ভাই।
৭১| ০৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:১৩
রাজীব বলেছেন: ইমরান সরকার নিজেকে ব্লগার বলে পরিচয় দেন কিন্তু গত ১ মাসে শাহবাগ নিয়েতো একটি ব্লগও লিখলেন না।
আমার সাধারন ব্লগাররা আমাদের কোন মতামত কি ব্লগের মাধ্যমে তার কাছে পৌছাতে পারি?
০৯ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:০৫
স্বাধীকার বলেছেন:
রাজীব ভাই,
আপনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
আমি ঠিক জানিনা ইমরান সরকার কেমন এবং কোন মাত্রার ব্লগার। তার কোনো লেখা আমার চোখে কোনোদিন পড়েনি। তার কোনো মন্তব্যও আমি কোনোদিন দেখিনি। হতে পারে এটা আমার ব্যর্থতা। তার মতো মহান ব্লগারের ধারে কাছে আমি যেতে পারিনি বলে। যতটুকু জানি ব্লগার এন্ড অনলাইন এক্টিভিস্ট হিসাবে যারা আছেন-তারা প্রধানত সামু ব্লগের ব্লগার। তাদের আজকের যে পরিচিতি এবং গ্রহনযোগ্যতা সেটা সামু ব্লগ থেকেই তারা অর্জন করেছেন। কিন্তু ইদানিং সেই বিখ্যাত ব্লগাররা সামুরই সমালোচনা করছেন। হতে পারে সেটা তাদের ব্যক্তিগত উপলব্ধি কিংবা স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোনো বিষয়ের কারনে তারা আজ সামুর সমালোচনা করছেন। তবে শাহবাগচত্বরের গণজাগরনের ক্ষেত্রে সর্বাধিক গুরুত্ব পাওয়ার দাবীদার হলো সামহ্যোয়ার ব্লগ।
আমার ধারনা শাহবাগ চত্বরের আজকের নেতারা সামু ব্লগে আসার হয়তো সময় পাননা। কিংবা তারা এতটাই উচ্চপদে আসীন আছেন এখন যে, ব্লগ পড়ার ইচ্ছা তাদের নেই। কিংবা ব্লগ পড়লেও অন্যদের মতামতের চাইতে ক্ষমতাসীনদের উপদেশ নিষেধকে বেশী গুরুত্ব দিতে হচ্ছে তাদের বা সেটাই তাদের আসল উদ্দেশ্যও।
সময় আমাদের সত্যিকার পথটি সম্পর্কে জানাবে, একদিন ব্লগারদের অবস্থানও জনতা জানবে। আজকের আন্দোলন সম্পর্কে, আন্দোলনের ইতিকথা কিংবা পেছনের কথা বা আগামীর উদ্দেশ্য কি ছিল-সবই পরিস্কার হবে। তবে শাহবাগ চত্ত্বরের যে গণজাগরণ-তার সত্যিকার শক্তিটি অনেকখানি নষ্ট হয়েছে নষ্টদের খায়েশপূরণ ও সুবিধাবাদী রাজনীতির কারণে। আগামী দিনে শাহবাগ চত্ত্বরের আন্দোলন বিএনপি বিরোধী আওয়ামী নির্বাচনী প্রচারণার মঞ্চ হিসাবে প্রতিভাত হলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবেনা।
ভালো থাকবেন। শুভ কামনা রইলো।
৭২| ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:০২
দন্ডিত বলেছেন: জাফর ইকবাল স্যারের ব্যাখ্যাটা আসলে খুবই সহজ।
তদন্তকারী কর্মকর্তা তার এবং তার পরিবারের কাছে যা যা জানতেন টা লিখে নিয়েছিলেন। তাকে বলা হয়েছিল তাকে সাক্ষী হিসেবে ডাকা হবে। টেস্টিফাই করতে তিনি তৈরী ছিলেন। সমস্যা ছিল, ওনারা ঐ এলাকার লোক না হওয়াতে তারা আদালতে ক্রস একজামিন সার্ভাইভ করার মত ডেফিনিটিভ কিছু জানতেন না। প্রসিকিউশান যখন সাক্ষী হিসেবে তাকে অন্তর্ভুক্ত করে তখন সম্ভবত আরো কিছু সাক্ষীর খোজ জানা ছিল তাদের যাদের মাধ্যমে জাফর ইকবাল স্যারের বক্তব্য নিশ্চিদ্র করা যাবে। কিন্তু সেই সাক্ষীরা কোন কারনে আনেভেইলেবল হয়ে যায়(হয়ত টাকা পয়সার ব্যাপার আছে, সাক্ষী কেনাবেচায় জামাত ভালোই আত্ননিয়োগ করেছে, সেই সাথে ভয়ভীতির ব্যাপারও ছিল) অথবা ঐসব সাক্ষীর সাবস্টেন্সও ভাল ছিল না। যাই হোক প্রসিকিউশান সম্ভবত এইসব বাস্তব বাধার কারনে এই অভিযোগে কনসান্ট্রেট করেন নাই।(এই অভিযোগটা কিন্তু রায়ে অপ্রমাণিত থেকে গেছে)।
জাফর স্যার শুধু যানেন তাকে আর টেস্টিফাই করার জন্যে ডাকা হয় নাই।
০৯ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:০৯
স্বাধীকার বলেছেন:
দন্ডিত ভাই,
ধন্যবাদ আপনাকে। আমি স্যারের এই ব্যাখ্যাটি জানতাম না। আপনার সৌজন্যে জানা হলো। স্যারের দিক থেকে দেখলে ঠিকই আছে, আর তিনি সেখানে সাক্ষী হলে প্রতিপক্ষেরই সুবিধা হতো। কারণ স্যারের সাক্ষ্যকে প্রতিষ্ঠিত করার মতো সহসাক্ষ্য যেমন নেই, তেমনি বহুবছর আগে সেখান থেকে চলে আসায় সেখানের বহুবিষয় সম্পর্কে স্যার এখন আর তেমন অবগতও নন-যা তার সাক্ষ্যকে দুর্বল করেই দিতো। আমার দৃষ্টিতে স্যার আদালতকেই সহযোগিতা করেছেন নিজে সাক্ষী না দিয়ে। সত্যিটা হলো সবাই এই ব্যাখ্যাটি সমানভাবে বিবেচনা করবেন না, কেউ কেউ এটাকে স্যারের সুবিধাবাদীতা ও হিপোক্রেসী হিসাবে দেখতে পারে, সে সুযোগও আছে বটে।
যেকোনো পোস্টে যেকোনো বিষয় নিয়ে বুদ্ধিদীপ্ত ও যৌক্তিক আলোচনার জন্য আপনি সব সময় আমন্ত্রিত। মত ও পথ ভিন্ন হলেও আমি সব সময় যুক্তিকে প্রাধান্য দিবো-যদি আমি যুক্তিতে হেরেও যাই। আপনার জন্য শুভ কামনা, ভালো থাকবেন।
৭৩| ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:১৯
রাসেল ভাই বলেছেন: এই পোষ্টে আমি কমেন্ট করি নাই । কালকে পড়েছিলাম পোষ্ট আমি মনে করেছি কমেন্ট করছিলাম এখন দেখি আমার কোন কমেন্ট নাই । আমার কোন ক্ষমা নাই ।
শাহবাগ নিয়ে কিছু বলার নাই সেটা দিনের আলোর মত পরিস্কার । শুধু তাদের কে অনুরোধ করতে পারি যেন স্কুলের বাচ্ছাদের এখান থেকে মুক্তি দেয় ।
যুদ্ধাপরাধ এর বিচার করবে সরকার তাদের নির্বাচনি ওয়াদা অনুযায়ি কিন্তু চার বছর শেষেও তেমন কোন উল্লেখ যোগ্য অগ্রগতি নেই ( সরকারের মেয়াদ হিসাবে ) । কিন্তু চার বছর ধরে যুদ্ধাপরাধের বিচার চাইয়ের চামে গোল্লায় গেছে দেশ । আরে বাবা বিচার করবি তোরা আবার বিচার চাই স্লোগান ও দেস তোরা, তাইলে কি জামাতের কাছে যুদ্ধাপরাধির বিচার চাস ? এ এক আজব দেশের গজব কাহিনি ।
ব্লগে ইদানিং দুই লাইনের পোষ্ট ওয়ালা বেড়ে গেছে । কিছু পোষ্টে খালেদা জিয়াকে গালাগালি আর কিছু পোষ্টে বিএনপি গেলো গেলো বলে নাঁকি কাঁন্না । গালাগালিটা ঠিক আছে এটা তাদের জাতের সাথে যাই কিন্তু নাকি কাঁন্না কেন ? বিএনপি ডুবলে তো তাদের খুশি হওয়ার কথা । নাকিঁ কান্না সন্দেহ জনক ।
ব্লগে সব চাইতে মজার বিষয় ব্লগে শুধু জাতিয়বাদিরাই ওপেন আর আওয়ামীলিগ আর জামাত হইল ছুপা ।
১০ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৬
স্বাধীকার বলেছেন:
রাসেল ভাই,
আপনার পর্যবেক্ষন যথাযথ। আপনাকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ। মন্তব্য দেরি করে হলেও অনেক যুক্তিপূর্ণ এবং ন্যায্য।
রাগ বা বিরাগের বশবর্তী না হয়ে সাংবিধানিকভাবে দায়িত্বপালনের শপথ নিয়ে আমাদের মন্ত্ররীরা শাহবাগে গিয়ে ফাসিঁ চাই, ফাঁসি চাই, জবাই কর, জবাই কর-টাইপের শ্লোগান দিয়েছে। শাহবাগের তরুন প্রজন্ম হাজার বার এই শ্লোগান দিতে পারলেও একজন রাষ্ট্রীয় দায়িত্বশীল মন্ত্রী এমন বলতে পারেন না-যা তার শপথ ভঙ্গের সামিল। প্রশ্ন হলো আপনার মতোই, এই মন্ত্রীরা কার কাছে বিচার চায়, কার কাছে ফাসিঁ চায়-জামাতের কাছে নাকি অন্যকোনো শক্তির কাছে? আইন আদালত, প্রসিকিউশন, সরকারী বাজেট, সাক্ষী-মন্ত্রীদের দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত, অথচ এরা শাহবাগে এসে এমন উলংগপনা করলো। রাষ্ট্রের দায়িত্বে যারা আছেন, তাদের সাথে শাহবাগ চত্বরের তরুনদের পার্থক্য আছে-এটা তারা ভুলে গিয়েছে। আইনের বাধ্যবাধকতা না থাকলে বিচারের দরকার কি ছিলো, সোজা ধরে এনে শাহবাগে ছেড়ে দিলেই রাজাকার গুলার ভবলীলা সাঙ্গ হয়ে যায়, যা অতি সহজ। কিন্তু রাষ্ট্রব্যবস্থা তা করতে পারেনা, তাই আইনের পথে হাটতে হচ্ছে। আম্লীগের ভন্ডামীপনা মানুষ জানে। শাহবাগের আন্দোলন হওয়ার কথা সরকারের বিরোদ্ধে-আর এখন শ্লোগান উঠছে আমার দেশ পত্রিকার বিরোদ্ধে, কাদের সিদ্দিকীর বিরোদ্ধে, আসিফ নজরুলের বিরোদ্ধে। এসব কারণে শাহবাগ ব্যর্থ হলো-এখন কেবল সরকারী কোরামিনে চলছে। বাধ্যতামূলক ভাবে স্কুলের বাচ্চাদের এখানে পাঠানোর নিদের্শ আসছে-যে আলামতটি খবুই উদ্বেগের। জাস্ট আরেকটি জনতার মঞ্চ আগামী ইলেকশন পর্যন্ত শাহবাগীদের দিয়ে চালু রাখা সরকারের একটি মতলবমাত্র। ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করেনা, কাদের মোল্লার রায়, এর আগে আযাজের রায়-এ দুটোতেই আম্লীগের সাথে জামাতের গোপন আতাতঁটি বেরিয়ে আসে। শাহবাগ আন্দোলন চূড়ান্তভাবে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালকে শতভাগ বির্তকিত করার সকল আয়োজন শেষ করেছে। যেকোনো রায়ে ক্ষমতাসীনদের প্রভাব পরিলক্ষিত হলেও যুদ্ধাপরাধের মামলাটি জনগণের কাছে অন্যরকম আবেগের বিষয় ছিলো। সেখানে সরকার উলংগ হয়েছে।
রাসেল ভাই, হয়তো খেয়াল করেছেন দুই লাইনের পোস্ট আসছে প্রচুর-হঠাৎ গজিয়ে উঠা বহু নিক থেকে। এক ধরণের নিক থেকে যুদ্ধাপরাধের বিচার বানচাল ও বিতর্কিত করার মতো পোস্ট আসছে-যেগুলোকে আমরা ছুপাজামাতি ব্লগার মনে করি। আরেক ধরনের নিক থেকে যুদ্ধাপরাধ বাদ দিয়ে জিয়া, খালেদা তথা বিএনপির বিরোদ্ধে মাঠে নেমেছে-এই শয়তানরা বাকশালী ছুপা। আম্লীগের ব্লগার হলে তাদের পরিচয় দিতে লজ্জা পাওয়ার কথা নয়। ওরা বাকশালী। ওরা জানে তাদের জনপ্রিয়তা শূন্যের কোঠায়, ভোটপ্রাপ্তির সম্ভাবনা নেই-তাই তারা মনে করছে বিএনপির ভোট কমানোটাই তাদের জন্য ভালো। শাহবাগ মঞ্চকে দিয়েও আগামী নির্বাচনে বিএনপির ভোট কমানোর ধান্ধা থাকতে পারে- সেক্টর কমান্ডার ফোরামের মতো বিগত নির্বাচনে আওয়ামী হাতিয়ার হিসাবে যেমন ব্যবহৃত হয়েছিলো। গত চার বছরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বা স্বাধীন দেশের নাগরিকদের অধিকারের জন্য ১টি বাক্যও ব্যয় করেনি সেক্টর কমান্ডার ফোরাম, ধারণা করছি হয়তো এখন মাঠে নামবে সামনেই নির্বাচন।
জাতীয়তাবাদীরা দেশপ্রেমিক, তারা তাদের পরিচয় দিতে গর্ববোধ করে, ভুল হলে স্বীকার করে, অন্যায়কে অন্যায় হিসাবে দেখে, দেশের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে কথা বলে। আদর্শকে ধারণ করে, বলতে সাহস করে, ছুপাগিরি করেনা। ছুপাগিরিতে এখন ব্লগে শীর্ষে অবস্থান করছে বাকশালী ছুপারা ও জাশি ছুপারা। তাদের মধ্যে অলিখিত গোপন আতাঁত চলছে।
ভালো থাকবেন। আপনার জন্য শুভ কামনা।
৭৪| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৩২
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: প্রিয় স্বাধীকার ভাই, স্কাইপির স্ক্যান্ডালের আগে এই ICT নিয়ে আমি তেমন কিছু বলিনি। সাঈদী, কাদের মোল্লা এদের স্বাক্ষী জেরায় অনেক অসঙ্গতি সত্ত্বেও এর উপর স্রেফ পত্রিকা ও ব্লগ পড়ে গেছি। কিন্তু স্কাইপিতে যে ধরণের বিষয়াদি প্রকাশিত হইছে তাতে ICTকে নিরপেক্ষ, সুষ্ঠ ও ন্যায্য বিচার বলা চলে না। স্বাক্ষ্য, যুক্তি শেষের আগেই কিভাবে রায় লেখার জন্য আইনমন্ত্রীদ্বয় নাসিমকে ব্যাক্তিগত ভাবে গিয়ে আলাপ করে? এখানে তিনটি বিষয় লক্ষণীয়। বিচারপতি নিজামুল হক বলেন;
১) গভার্মেন্ট একটা রায়ের জন্য পাগল হইয়া গেছে,
২) নিজামুল হককে বলা হয়েছে একটা রায় দিলে উনাকে আপিল বিভাগে জোষ্ঠ বিচারক বানানো হবে,
৩) আপনাকে বসতে বললে দাড়িয়ে থাকবেন আর দাড়াতে বললে উঠবেন না, তাহলে মানুষ মনে করবে আপনার আমার মধ্যে কোন পূর্ব বোঝাপড়া নাই।
অথচ এই বিচার শুরুর প্রাক্কালে শেখ হাসিনা মার্কিন সহকারী মন্ত্রী Stephen Rappকে মৌখিক ভাবে আশ্বাস দেন;
Bangladeshi Prime Minister Sheikh Hasina says her country’s first ever war crimes trial relating to the 1971 war of independence will be fair, impartial and conform to international standards—this according to the Bangladeshi newspaper The Daily Star. According to the paper, the Prime Minister made the comments to US ambassador-at-large for war crimes Stephen Rapp on Tuesday in Dhaka, following his pointed criticism of the judicial process.
Click This Link
হাসিনার মার্কিন মন্ত্রীকে বলা কথা আর স্কাইপিতে প্রকাশ পাওয়া ICTর অবস্থান পরস্পর বিরোধী। কাজেই জামাতের আপত্তি ও এই ICTর বিরুদ্ধে আন্দোলনকে কিভাবে দোষ দেই? কিভাবে বিএনপিকে বলি যে জামাতকে জোট থেকে তাড়িয়ে দেও? শুরুতেই জামাতের অনেকেই বলে ছিল পুরোপুরি রোম সনদে বিচারের জন্য। যেখানে বিদেশী বিচারক, বিদেশী উকিল এবং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক থাকবে। পরে শাহবাগ থেকে দাবী উঠে যে যাদেরই এই ICTর বিচারের জন্য ধরা ও আটক করা হয়েছে তাদের সবার ফাসী চাই। সেটা যথাযথ স্বাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে হৌক বা না হৌক। এটাকেই দৈনিক আমার দেশ বলছে "ফ্যাসিবাদের উত্থান"! এখন শাহবাগীরা ও আলীগ আমার দেশের উপর মহাক্ষ্যাপা। আর বিএনপিকে দূষতে থাকলে খালেদা জিয়া বলেন;
খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমরা বার বার পরিষ্কারভাবে বলেছি, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিচার আমরা চাই। সেই বিচার হতে হবে স্বচ্ছ এবং দেশি ও আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে। আমরা বিচারের নামে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের পক্ষপাতী নই।
Click This Link
তারপরেও গোয়েবেলসকে হার মানিয়ে আওয়ামী-বাকশালী ও তাদের সমমনা সুশীল গং বলেই বেরাচ্ছে যে খালেদা জিয়া ৭১এর অপরাধের বিচার চান না। এটা সরল অর্থেই আওয়ামী-বাকশালীদের অসভ্য-বর্বরতা। তাই খালেদা জিয়া কঠোর আন্দোলনের যে ডাক দিছেন তা সঠিক।
৩১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২৭
স্বাধীকার বলেছেন:
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ,
আপনার কাছে কৃতজ্ঞতা, ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্যে দেওয়া লিংক গুলো পোস্টকে সমৃদ্ধ করেছে বলে মনে করি।
-----
১) গভার্মেন্ট একটা রায়ের জন্য পাগল হইয়া গেছে,
২) নিজামুল হককে বলা হয়েছে একটা রায় দিলে উনাকে আপিল বিভাগে জোষ্ঠ বিচারক বানানো হবে,
৩) আপনাকে বসতে বললে দাড়িয়ে থাকবেন আর দাড়াতে বললে উঠবেন না, তাহলে মানুষ মনে করবে আপনার আমার মধ্যে কোন পূর্ব বোঝাপড়া নাই।----------------এই তিনটি পয়েন্ট বিবেচনা করলে যেকোনো সুস্থ্য মানুষ বুঝতে পারে বিচারের ক্ষেত্রে আম্লীগের অবস্থান যতটা না দেশপ্রেমের উদ্বুদ্ধ হয়ে, তার চেয়ে বেশী রাজনীতির কারনে। তাই যেকোনো বিবেচনাতেই এই বিচার প্রশ্নবিদ্ধই থেকে যাবে। গায়ের জোরে বিচার করা গেলেও, রায় দিয়ে শাস্তি দেওয়া গেলেও ঐতিহাসিক মূল্যায়ন আম্লীগের পক্ষে যাবেনা কখনোই। যুদ্ধাপরাধের বিচার বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের আন্তরিক চাওয়া হলেও, আম্লীগের কাছে তা স্রেফ ভোটের রাজনীতিই কেবল।
ভালো থাকবেন, শুভ কামনা। দেরীতে জবাব দেওয়ায় সরি।
৭৫| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪০
স্বপ্নতরী (রাজু) বলেছেন: [email protected]" target="_blank" >http://[email protected]
আফনের ইমেইল ঠিকানা দেখে মজা নিলাম (ফ্রি)
:-< :-<
:!>
:-&
৩১ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:২৫
স্বাধীকার বলেছেন:
রাজু ভাই,
আমার ইমেইল দেখে ফ্রি মজা নেওয়ার জরিমান হিসাবে আপনার মন্তব্য দেখে সুদাসলে মজা নিলাম-ঠেকাতে পারবেন না.........
৭৬| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৫৩
মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: পড়লাম । ১০০% সহমত । আমি প্রথমে শাহবাগকে সমর্থন করেছি আর এর পক্ষেও লিখেছি । কিন্তু পরে যখন দেখলাম আন্দোলন ছিনতাই হয়ে গেছে তখন চুপ মেরে গেছি । আপনাকে ধন্যবাদ এত সুন্দর বিশ্লেষন করার জন্য ।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৫
স্বাধীকার বলেছেন:
মিলন ভাই,
আপনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
প্রথমে শাহবাগ চত্ত্বরে যারা গিয়েছিলো-তারা সত্যিকার অর্থেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায়, তারা সত্যিকার অর্থেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারন করে বলে বিশ্বাস করি।
কিন্তু সপ্তাহ খানেকের মধ্যে এখানে এসে যোগ দেয় বিভিন্ন সুবিধা ও হিসাব নিকাশ করার সুবিধাবাদী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ত্ব, সুবিধাবাদী বুদ্ধিজীবী, সুবিধাবাদী সংস্কৃতিককর্মী। ফলে আন্দোলনটি তার টার্গেট থেকে সরে যেতে থাকে।
আর সাধারণ কিছু তরুন-তরুনী যোগ দেয় মিডিয়ার অতিমাত্রায় প্রচারনায় নিজেদের আলোকিত করতে, মূলত এদের কোনো কালেই কোনো কমিটমেন্ট ছিলোনা।
তবুও শাহবাগের চেতনা আমাদের ভন্ড রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের চরমভাবে কপালে ভাজঁ ফেলাতে বাধ্য করেছিলো-সেটার রেশ আগামী অন্তত অর্ধযুগ থাকবে বলে বিশ্বাস করি।
তবে এখন যা শাহবাগে চলছে, তা কেবল নিজেদের রক্ষার জন্য, সেখান থেকে নিরাপদে স্কেইপ করার জন্য-আম্লীগের খপ্পর থেকে নিরাপদ দূরত্বে যাওয়ার জন্য-আর কোনো অর্জন তাদের দ্বারা সম্ভব করতে দিবেনা সরকার।
ভালো থাকবেন। শুভ কামনা। দেরীতে জবাব দেওয়ার জন্য সরি।
৭৭| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:০৭
ফাহীম দেওয়ান বলেছেন: স্বাধীকার ভাই কেমন আছেন ??
পোষ্ট আর কমেন্ট গুলো পড়ে নিজের কিছু প্রশ্ন নতুন করে আর নাইবা করলাম। তবে পোষ্টটা অবশ্যই আপনার চোখে বিএনপির অবস্থান। কিন্তু বিএনপির রাজনীতিতে জামাত যে ধীরে ধীরে একটা কম্পালসারি ফ্যাক্টর হয়ে যাচ্ছে সেটাকে আপনি কিভাবে দেখছেন।
আর ---------------
সুবিধাবাদী চেতনা বা আস্ফালন নয়, সরাসরি বাস্তবায়ন করে দেখান মাত্র ২টি দাবী
১. ধর্মীয় সকল রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ;
২. যুদ্ধাপরাধীর উচিত বিচার। (এর সাথে তবে, যদি, কিন্তু, অন্যথায়, সুতরাং, যেহেতু নেই।)
---------------------------------
ব্যাস এটুকুই।
১। নং বাস্তবায়নে এখন সরকার যে মাইনকা চিপায়, সেই চিপা থেকে সরকারকে তথা দেশকে উদ্ধার করতে পারে কেবল বিএনপি। আমার মনে হওঁয় বাকীটুকু এমনিতেই হয়ে যাবে, সব কয়টা যুদ্ধাপরাধীর , ত্বত্তাবধায়ক / নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৯
স্বাধীকার বলেছেন:
ফাহীম ভাই,
আপনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। ভালো আছি ভাই । আপনি কেমন আছেন?
এটা সত্যিই আমার পোস্টটি বিএনপির অবস্থানকে ব্যাখ্যা করে দেওয়া-যেখানে বিএনপিকে আপাতত ভবিষ্যতের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আমি মনে করেছি শাহবাগের বিষয়ে বিএনপি অবস্থান ইতিহাস মূল্যায়ন করুক, তাই আজই বিএনপিকে এই মুহুর্তে অপরাধী ভাবছি না। বহুমুখী সুবিধা অসুবিধা থেকে বিভিন্ন শক্তির অবস্থান শাহবাগ চত্বরের অবস্থানকে দুর্বল করেছে-যার জন্য আন্দোলনটিকে সার্বজনিন করা গেলোনা, বিএনপিকেও দোষ দেওয়া যাচ্ছেনা।।
আর আমার দুটো প্রশ্নের বিষয়ে আমি যদি কিন্তু অথবা যেহেতু সেহেতু যোগ করিনি-যেখানে আমার অবস্থান অত্যন্ত ষ্পষ্ট। যুদ্ধাপরাধের বিচার আমাদের দাবী-সেখানে আমার অবস্থান একই আছে। আর ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার মতো কোনো রাজনৈতিক শক্তি বা নেতৃত্ব এখন বাংলাদেশে নেই। সুবিধাবাদী রাজনীতিতে এটা একেবারেই অসম্ভব বিষয়। আমি চ্যালেঞ্জ জানিয়েছি এ কারণে যে, শাহবাগ হতে এই দাবী করা হয়েছে-যা আন্দোলনটির ক্ষতির কারণ হয়েছে। এত গুলো উইন্ডো ওপেন করার এটি একটি কুফলমাত্র।
বিএনপির রাজনীতিতে জামাতের অবস্থান এবং সেটার মূল্যায়ন নিয়ে আমার একটি লেখা ড্রাফটে আছে, আমি পোস্ট দিয়ে আপনাকে গিয়ে আমন্ত্রণ জানিয়ে আসবো। আপনার মন্তব্য চাইবো। তবে এতটুকু আপাতত বলতে পারি যে, বিএনপি যদি জামাতের আদর্শই ধারন করতো, তাহলে জিয়াকে নিশ্চয় স্বনির্ভর বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতে আরেকটি দল করতে হতোনা, সেই সময়ে বিদ্যমান জামাতের মাধ্যমেই তা করতে পারতো। রাজনীতিতে জামাতের মতো দল গুলোর ধর্মের ব্যবহারকে জিয়া কখনোই সমর্থন করতেন না, তার বিভিন্ন লেখায়, মন্তব্যে, বক্তব্যে এটা পাওয়া। তাছাড়া বিএনপি জামাতের সঙ্গ ছাড়াই স্বাধীন বাংলাদেশের সবচেয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন-৯১তেই জয়ী হয়েছে। বিএনপি কেন জামাতের পলিসিতে চলবে, যখন হাজার লক্ষ কর্মী সমর্থক বিএনপির রাজনীতিতে এমনিতেই আছে। এটা নিশ্চয় লক্ষ্য করেছেন আম্লীগ লীগ বা বিএনপিকে নেতাকর্মী খুঁজতে হয়না, যা করতে হয় জামাত কিংবা বাম সংগঠন গুলোকে। জামাতের সাথে আজ যে বিএনপির সখ্য বা রাজনৈতিক অবস্থান সেটার জন্য বিএনপি, আম্লীগ, সাবেক ফখর-মইন সরকার সরাসরি দায়ী। আম্লীগ যদি বিএনপিকে একটু ছাড় দিয়ে ছাইদিয়ে জামাতকে ধরতো, তাহলে বিএনপি নিশ্চয় আগ বাড়িয়ে জামাত বাচাঁতে গিয়ে জেল খাটতে চাইতোনা। কিন্তু সরকার একই সাথে বিএনপিকে ধ্বংস করতে, খালেদা জিয়াকে উচ্ছেদ করতে চেয়েছে বা চাচ্ছে, সেখানে বিএনপিকে প্রশাসনের যাবতীয় শক্তির বিরোদ্ধে টিকে থাকতে, আগামীর রাজনীতিকে টিকিয়ে রাখতে জামাতের মতো রাজনৈতিক শক্তিতে জোটে রাখতে হচ্ছে।
প্রশাসনিক, বিচার ব্যবস্থা কিংবা সামরিক শক্তিসহ আম্লীগের মতো দলীয় সমর্থন থাকার পরও সরকার শাহবাগ চত্ত্বরের শক্তিকে প্রত্যাশা করতে পারলে, নিজেদের নেতাকর্মীর গুম হওয়া, জেলজুলুম থেকে রক্ষা করা, আগামীতে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রত্যাশায় জামাতের মতো রাজনৈতিক শক্তির সাথে জোট করলে রাজনৈতিক বিবেচনায় সেটাকে তেমন অপরাধ হিসাবে নেওয়ার সুযোগ কমই থাকে। যখন দিলীপ বড়ুয়া, ইনু, মেনুদের মতো নেতারা খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে উচ্ছেদ করার বায়না ধরে, তখন জামাতকে জোটের স্বার্থে গুরুত্ব দিতে অসুবিধা দেখিনা। অবশ্যই চেতনা অন্তর্গত বিষয়-যা আমার আদর্শকে সব সময় সঠিক পথে নিবে বলে বিশ্বাস করি-সেখানে আমার সন্তানের ভিন্ন আদর্শ নিয়ে প্রবেশের সুযোগ নেই, জামাত তো বহুদূরের ব্যাপার।
ঠিক এই মুহুর্তে আম্লীগ যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবীটি মেনে বিএনপিকে কেবল যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিষয়ে কোনো মন্তব্য বা জামাতের সাথে কোনো কর্মসূচী না দিতে দাবী জানায়-তাহলে সারা দেশের মানুষ এটাকে স্বাগত জানাবে। এমনকি বিএনপি যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিষয়ে সরকারকে সহযোগিতা করতে বাধ্য হতো জনতার চাপে পড়ে। কিন্তু সরকার সত্যিকার অর্থেই বিএনপির সহযোগিতার চাইতে আগামীতে ক্ষমতায় থাকার বিষয়ে বেশী উগ্র-তাই তারা এতগুলো মৃত্যুর পরও ডান্ডবেরি পড়িয়ে নেতৃত্বকে কোর্টে উঠায়। ডান্ডবেরি দেখার পর খালেদা জিয়া বা বিএনপির নেতৃত্ব কিভাবে সেটা সহ্য করতে পারে? আমাদের দিন বদলের স্বপ্নতো ডান্ডবেরি দেখার মতো ছিলোনা। তাই ক্ষমতার পরিবর্তনই এখন উভয় শক্তির কাছে একমাত্র লক্ষ্য-এমতাবস্থায় যুদ্ধাপরাধ কিংবা হল মার্ক যাই বলুন-সেসব তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। যতটা রাজনৈতিক প্রয়োজন, ততটুকুই আমাদের দল দুটো করে যাচ্ছে, এখানে চেতনা বা আদর্শ তেমন কাজ করছেনা।
ঠিক এই মুহুর্তে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে দিয়ে যুদ্ধাপরাধের বিচারে সরকার এগিয়ে যাক, দেশের মানুষই বিএনপিকে বাধ্য করবে এই বিচারের সাথে বিএনপিকে থাকতে।
ভালো থাকবেন। শুভ কামনা।
৭৮| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:২২
স্বাধীকার বলেছেন: @ বাংলাদেশ জিন্দাবাদ
@ স্বপ্নতরী (রাজু)
@ মিজানুর রহমান মিলন
@ ফাহীম দেওয়ান--------------------------ভাই আপনাদের মন্তব্য গুলোর জবাব দিতে দেরীহওয়ায়। মন্তব্যের জবাবের প্রেক্ষিতে যে বাটনটি মাধ্যমে জবাব দেওয়া হয়, সেটা কাজ করছেনা। আমি আপনাদের মন্তব্য গুলোর জবাব মন্তব্যের সাথে দিতে পারছিনা। তবে আমি আপনাদের মন্তব্য গুলোর জবাব মন্তব্যের রেফারেন্সসহ জবাব দিবো মন্তব্য হিসাবে। এছাড়া আর কোনো উপায় দেখছিনা। যদি কোনো উপায় থাকে, তাহলে সাহায্য করুন। আমি শিঘ্রই মন্তব্যের জবাব দিচ্ছি প্লিজ। স্টিকি পোস্টের চাইতেও সহব্লগারদের মন্তব্য আমার কাছে বেশী গুরুত্বপূর্ণ এবং মূল্যবান।
আপাত যান্ত্রিক ত্রুটি বা আমার নিজের মুর্খতার জন্য সরি আছি।
৭৯| ৩০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:২৯
ফাহীম দেওয়ান বলেছেন: সরি বলার কিছু নেই স্বাধীকার ভাই, কমেন্ট আকারে দিলেও আমি বুঝে নিবো। যেভাবে আপনার সুবিধা হয়। আসলে আমার সাম্প্রতিক মন্তব্যের লিষ্টে যেগুলো দেখা যায় সেগুলো সুযোগ পেলে একবার ঢু মারার চেষ্টা করি। সেভাবেই দেখে নিবো আপনার কথা গুলো।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১০
স্বাধীকার বলেছেন:
ফাহীম ভাই,
আমার সমস্যার সমাধান হয়েছে বিধায় আপনার মন্তব্যের সাথেই জবাব দিতে পারছি। আপনাকে আবারো ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন।
৮০| ৩০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৫৫
চিকন আলি বলেছেন: রাজীব মারা যাবার পরদিন খুব সম্ভবত টাইম অব ইন্ডিয়াতে নিউজ আসে "এন্টি ইসলামিষ্ট ব্লগার কিল্ড" । এর কিছুদিনপর সর্ব প্রথম ইনকিলাবে রাজীবের সেই কুখ্যাত লেখাটা ছাপা হয়। এর পর আমাডেশ পরে ন্যা দিগন্ত ছাপে।
কথা হইলো, সবার আগে টাইমস অব ইনডিয়া (খুব সম্ববত) রাজীবকে এন্টি ইসলামিষ্ট ব্লগার বলে রিপোর্ট করে, এটা নিয়ে পরে ইনকিলাব বিস্টারিত রিপোর্ট করে। তাইলে আমারদেশের উপর এতো চেতা কেন........?? আমার দেশের দোষটা কই......???
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:১০
স্বাধীকার বলেছেন: চিকন আলী ভাই,
আপনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
আমরা অবিশ্বাস্যভাবে লক্ষ্য করছি একটি শক্তি আমার দেশ বন্ধ করতে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে। ওদের কাছে মাহমুদুর রহমান মহা অপরাধী, কেন সে ভিন্নমত পোষন করে বাকশালের সাথে এটাই তাদের ক্ষোভ। যেকোনো প্রকারে আমার দেশকে হত্যা করাই তাদের এখনকার প্রধান এজেন্ডা। বহু চেষ্টা করেও মাহমুদুর রহমানের কোনো দুর্নীতির প্রমান খুজেঁ পায়নি বিগত চার বছরে। এখন বাকশালীরা তার লেখার জবাব লেখা দিয়ে না দিয়ে শক্তি দিয়ে দিতে চাচ্ছে-যা বাকশালের আদর্শের সাথে মিলে যায়।
কিন্তু বাংলাদেশের সকল পত্রিকার দালালীর বিপরীতে আমার দেশের যে পাঠক-যা যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন বেশী। হার্ডকপি কিংবা অনলাইন সব খানেই আমার দেশ সেরা। বারো টাকা দাম দিয়েও যে পত্রিকা এদেশের মানুষ খুজেঁ পড়ে-তার নাম দৈনিক আমার দেশ।
টাইমসঅবইন্ডিয়া ইন্ডিয়ার জনকন্ঠ হিসাবে তার অবস্থান জানান দিচ্ছে। ভারত ভাগ্যবান, বাইডিফল্ট বাংলাদেশে দালাল মিডিয়া পায়, কিন্তু বাংলাদেশের হয়ে দালালী করার মতো কোনো পত্রিকা ভারতের মাটিতে কোনোদিনই জন্মাবে না।
ভালো থাকবেন, শুভ কামনা।
৮১| ৩০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৫৮
চিকন আলি বলেছেন: আরেকটা কথা, ধর্মীয় সকল রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ; এর পক্ষে আপনার যুক্তি কি.....?? ঠিক কি কারনে আপনি মনে করলেন যে ধর্মীয় সকল রাজনীতি নিষিদ্ধকরতে হবে..।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:২২
স্বাধীকার বলেছেন:
চিকন আলী ভাই,
খেয়াল করে দেখুন আমি সরকারকে দাবী মাধ্যমে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছি। আমি জানি আম্লীগ বামরা জীবনভর ধর্মীয়রাজনীতির বিরোদ্ধে ধোয়া তুলেছে, অসাম্প্রাদায়িক হিসাবে নিজেদের উপস্থাপনের চেষ্টা করেছে। এমনকি শাহবাগ চত্বর থেকেও ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধে দাবী করা হয়েছে। এই স্ট্যান্ডবাজিকে আমিকখনোই বিশ্বাসকরিনা। কারণ তারা কোনো দিনই ধর্মীয়রাজনীতিকে নিষিদ্ধ করবে না বা করতে পারবেনা। এসব রামবামদের আস্ফালন কেবল মাঠে। এই সত্যটি বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরে মতলববাজ আম্লীগ ও বামদের সুবিধাবাদী চরিত্র দেখাতে চেয়েছি। এই মুহুর্তে বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক শক্তি নেই যারা ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ করার মতো অবস্থায় আছে। ধর্মীয় রাজনীতি তখনই নিষিদ্ধ হতে পারে, যখন জাতির সকল নাগরিক সুশিক্ষায় শিক্ষিত হবে।
তবে আমার ব্যক্তিগত মতামত হিসাবে যদি জানতে চান তাহলে বলতে পারি-ধমীয় বিষয় গুলো আত্মিক এবং বিশ্বাসের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ায়-সেখানে আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থা ধর্মকে শাসনতন্ত্রে, বিচার ব্যবস্থায় প্রয়োগ করা কোথাও কোথাও অসম্ভব। তাছাড়া রাষ্ট্র কোনো ব্যক্তি নয় যে তার ধর্মীয় চেতনা থাকতে হবে। রাষ্ট্র সকল নাগরিকের অধিকার স্বীকার করলে, সকল নাগরিকদের ধর্মীয় অধিকারটিকেও স্বীকার করতে বাধ্য হবে। রাষ্ট্রে যেহেতু সকল ধর্মের অবস্থান থাকবে, তাই বিশেষ কোনো ধর্মকে সেখানে মুলমন্ত্র হিসাবে চালানোটা অন্য ধর্মগুলোকে স্রেফ অস্বীকার করার নামান্তরই হবে। যদি সংখ্যাগুরুদের ধর্মকেই রাষ্ট্রের ধর্ম হিসাবে দাবী করা যায়,তাহলে আগামীতে ইসলাম বিশ্বে সংকোচিত হওয়ার ঝুকিঁ থাকবে। কারণ অন্য ধর্মপ্রধান রাষ্ট্রগুলোতেও ইসলাম উপেক্ষিত হবে, কোথাও কোথাও বিতাড়িত হওয়ার অবস্থায় চলে যাবে। ইসলাম বরং বিশ্বাসের জায়গা থেকে সারা বিশ্বের প্রতিটি স্থানে অবস্থান করুক, মানবতার কথা বলুক, ন্যায় বিচারের কথা বলুক, শান্তির বানী র্চচা করুক-সেটাতেই অপর ধর্ম গুলোর কাছে ইসলাম শ্রেষ্ঠত্ব পেতে পারে। কিন্তু চাপিয়ে দেওয়া যেকোনো মতবাদ সময়ে হারিয়ে যেতে পারে-এখানে প্রকৃত ধার্মিকদের ভাবনার সুযোগ থাকছে।
ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ করার চ্যালেঞ্জ আমি জানিয়েছি, সেখানে আম্লীগের কাউকে নিতে পারেন কিনা-সেটা দেখুন এবং ঐ ভন্ডদের মতলবের বিষয়টি জনগণকে দেখিয়ে দিন।
আপনাকে আবারো ধন্যবাদ।
৮২| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৩২
ধ্রুব মহাকাল বলেছেন: ভাই কিছু মনে লইয়েন না ...আপনের শিরোনামে কিঞ্চিত ভুল হয়েছে বোধকরি !!শব্দটা শুভাকাংখী হবেনা হবে শুভাখানকি কারণ এঁরা আম্বার চাদলে জড়ানো চুশীল !
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৪৪
স্বাধীকার বলেছেন:
ধ্রুব ভাই,
হতেও পারে, ভুল মানুষের হয়। কিন্তু আম্লীগের কোনো ভুল হয়না। তাই আমি কিছু মনে করিনি। শুভাকাংখী শব্দটির ব্যবহারের বেলায় আগামীতে আমি আরো সচেতন থাকবো।
আপনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকবেন।
৮৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৯
মদন বলেছেন: প্রিয়তে..
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:২১
স্বাধীকার বলেছেন:
মদন ভাই,
আপনাকে ধন্যবাদ। প্রিয়তে নেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা।
দেরিতে জবাব দেওয়ার জন্য আন্তরিক সরি আছি।
ভালো থাকবেন।
৮৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৩৪
ফাহীম দেওয়ান বলেছেন: আসলেই এই কথাটাই এখন সবচেয়ে বড় কথা যে বড় দুইটা দলের কাছে এখন জামাতকে নিষিদ্ধ করা বা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কোন টাই বড় নয়, কোন মতে ক্ষমতায় যাওয়া বা টিকে থাকা টাই তাদের মুল টার্গেট।
কিন্তু আমি মনে করি দুদলেরই মনে রাখা উচিৎ গত কয়েক বছর ধরে দুই দলের এসব কামড়া কামড়ি জামাতকেই লাভবান করেছে। আপনি অস্বীকার করতে পারবেন না যে, জামাত কে প্রটেক্ট করতে করতে অনেক বিএনপি সমর্থকই জামাতকে এখন পুরোপুরি নিস্পাপ ভাবতে শুরু করেছে, বা সেভাবেই রিপ্রেজেন্ট করে, যা কিনা বিএনপির সমর্থক যারা অপেক্ষাকৃত বয়ষে ছোট তাদের মনে জামাতের পক্ষে একটা নরম জায়গা তৈরী করছে। আর এভাবেই তাদের একটা অংশ জামাত-শিবিরের রাজনীতিতে জড়িয়ে গেছে। আমি সাক্ষী, আপনি শিবিরের কর্মকান্ড সম্পর্কে যা জানেন (আপনার লেখা থেকেই পড়েছি) সেসব কথাও তারা বিশ্বাস করতে চায়না।
আর সরকার যখন থেকেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছে, বিএনপি কিন্তু শূরু থেকেই একটা ইমব্যালান্সড অবস্থায় থেকেছে। তাদের অবস্থান ক্লিয়ার করতে পারেনি। আওয়ামীলিগ কিন্তু খেলতে পেরেছে বিএনপির এই অবস্থান নিয়ে। আর বিএনপি তাদের রাজনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়েছে ব্যাক্তি কেন্দ্রিক, জনগন কেন্দ্রিক নয়।
আর আওয়ামীলিগের সবচেয়ে বড় ব্যার্থতা ছিলো অন্তত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারটা বাধাহীন ভাবে করার জন্য বিএনপিকে এক টেবিলে না বসানো। জামাতকে সরাতে পারলে আওয়ামীলিগ লাভবান হবে বলেই সরকার রাজনৈতিক বিবেচনায় এই বিচার করছে বলে যারা গত ৪ বছর ধরে চেচাচ্ছে, তারা অবশ্যই বিএনপির ভালোর জন্য নয় বরং জামাতকে জনসমর্থনের তলানি থেকে টেনে তোলারই চেষ্টা করছে প্রানান্তর। কারন তারা ভাবিয়েছে যে জামাত ছাড়া বিএনপি অচল/ পারবেনা নির্বাচনে। তারা কিন্তু পেরেছে। আজ জামাতের এতো শক্তি কোথা থেকে এলো !!! আপনি কি মনে করেন না যে এদের মধ্যে বিএনপির সেই মগজ ধোলাই করা পোলাপান গুলাও আছে।
আর জামাতকে বিচারের হাতে ছেড়ে দিয়ে ইস্যুকেন্দ্রিক আন্দোলন সাজালে বিএনপি আজ অনেক ভালো অবস্থানে থাকতো। আওয়ামীলিগ জামাতকে শায়েস্তা করতে চরম একশনে যেতে পারতো। ফাকে দিয়ে "যুদ্ধাপরাধী বিচারের বাঞ্চাল তত্বের" পরিসমাপ্তি ঘটতো, যা কিনা আজ উন্মুক্ত সত্য বলেই ধারনা হচ্ছে (অবশ্যই এর পিছনে, দলের ভিতরেই খেলা চলছে বলেই মনে হয়)।
কিন্তু ১৮ দলের জোটের অভিভাবক হয়েও জামাতের সাইদীর রায়ের পর থেকে যে তান্ডব লিলা দেখাচ্ছে তাতে ঘি ঢেলে বিএনপি নেত্রী যদি নিজের দলের অস্তিত্ত বাঁচানোর আন্দোলন দাঁড়া করাতে চান তাহলে ওই প্রশ্নটাই বার বার সামনে এসে যায় যে, বিএনপির আজকের অস্তিত্ব সঙ্কট এর জন্য দায়ী কে আওয়ামীলিগ নাকি জামাত ?
বর্তমান রাজনৈতিক অবিশ্বাসের প্রেক্ষাপটে আমি ব্যাক্তি গতভাবে ত্বত্তাবধায়ক বা কোন নিরপেক্ষ্য সকাররের অধীনেই নির্বাচনের পক্ষে। তত্ববধায়ক ইস্যুতে আমি মনে করছিনা এত আগে থেকেই আন্দোলনে নামা বিএনপির জন্য ভালো হয়েছে, কারন এই ইস্যুটি ক্রমশ ফিকে হয়ে আসছে।
এতোক্ষনের কথা গুলো শূনে আপনি হয়তো ভাবতে পারেন আমি শুধু বিএনপির উপর ঝাল তুলছি ? ব্যাপারটা তা নয়, একটা দেশের শক্তিশালি গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় শক্তিশালী বিরোধী দল দরকার সবার আগে। আমার মনে হয় গত ৪ বছরে আওয়ামীলিগের স্বৈরাচারী রুপ ধারন করার মুল কারন বিরোধী দল হিসেবে বিএনপির চরম ব্যার্থতা আর দ্বায়িত্বহীনতা। কারন আওয়ামীলিগের গত ৪ বছরের শাসনামলে এতো ইস্যু ছিলো যে, যেগুলোর কোনটাতেই বিরোধীদলের দ্বায়িত্ব পালনে বিএনপিও চরম ভাবে ব্যার্থ। আর আওয়ামীলিগের ব্যার্থতার খতিয়ান কি বলবো !!! আপনার কাছে সেটা নতুন করে বলার আর কিছু নেই।
সবশেষে আমি বলবো, এখনি মোক্ষম সময়, দুই দলই আর সব দলকেই আপাতত সিলেবাসের বাহিরে রাখেন। একসাথে বসেন।
আপনাদের ভাগ বাটোয়ারা নিজেরাই বুইঝেন, কিন্তু তা পরে, আগে দেশটাকে আবর্জনা মুক্ত করেন। ওই ৭১ এর পিশাচদের হাতে দেশটাকে আর ক্ষত বিক্ষত হবার সুযোগ দিয়েন না।
জয় বাংলা। জয় বংগবন্ধু।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৫৭
স্বাধীকার বলেছেন:
ফাহীম ভাই,
..................সবশেষে আমি বলবো, এখনি মোক্ষম সময়, দুই দলই আর সব দলকেই আপাতত সিলেবাসের বাহিরে রাখেন। একসাথে বসেন।
আপনাদের ভাগ বাটোয়ারা নিজেরাই বুইঝেন, কিন্তু তা পরে, আগে দেশটাকে আবর্জনা মুক্ত করেন। ওই ৭১ এর পিশাচদের হাতে দেশটাকে আর ক্ষত বিক্ষত হবার সুযোগ দিয়েন না। ..............................এই অংশের সাথে আমি একমত পোষণ করবো। কিন্তু আপনি ইতিমধ্যেই খেয়াল করেছেন বিএনপি-র শীর্ষ নেতৃত্ব বিনা কারণেই মিথ্যা মামলায় জেলে আছে, তাদের জামিন পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছেনা-এমতাবস্থায় কিভাবে একসাথে বসা যাবে-সেটা নিয়ে আমি চিন্তিত। সরকার কঠিন পথে অগ্রসর হচ্ছে, হয়তো এমন অবস্থানে যেতে চায়, যেখানে গেলে জামাত নয়, বিএনপিকেই সরকার ধ্বংস করতে চায়-সেটি যদি বিশ্বাসযোগ্যতা পায়, তাহলে সুবিধা হবে স্বাধীনতা বিরোধীদের। ক্ষতিগ্রস্ত হবে আম্লীগ বিএনপি উভয় দলই।
দেরীতে উত্তর দেওয়ার জন্য সরি ভাই। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে অনেক গুলো উপাদান যোগ হয়েছে-যা রাজনীতিতে প্রভাব ফেলবে, নিশ্চয়বুঝতে পারছেন আমি কি বলতে চাচ্ছি। সরকার এখনো যদি তার কঠোর অবস্থান থেকে সরে না আসে, নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা যদি না করে-তাহলে সরকার তার অগ্রাধিকার প্রাপ্ত বিগত নির্বাচনে দেওয়া ওয়াদা হিসাবে যুদ্ধাপরাধের বিচারটি করতে পারবেনা। অন্যত্র শক্তি ব্যয় হলে, বিচারের ক্ষেত্রে কম শক্তিই থাকবে। দেশের প্রধান বিরোধী দলকে আস্থায় না নিয়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার করে রায় দিলেও বিশ্বব্যাপী তা কখনোই গ্রহনযোগ্য করাতে পারবেনা।
এই মুহুর্তে আমার ভাবনাটি আপনার সাথে শেয়ার করছি-----
সরকার নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য একটি সরকার ব্যবস্থা অন্তবর্তী সময়ের জন্য করুক এবং দল দুটো এমন একটি চুক্তিতে আসুক যেখানে নিরপেক্ষ নির্বাচন উত্তর যে দলই ক্ষমতায় আসুক, তাদের যুদ্ধাপরাধের বিচার চালিয়ে যেতে হবে এবং এই বিচারের ক্ষেত্রে সর্বাত্মক সহযোগিতা সংসদের প্রতিটি দলকে করতে বাধ্য করতে হবে।
আবারো শুভ কামনা ভালো থাকবেন। নতুন বাংলাবর্ষের শুভেচ্ছা থাকলো।
৮৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৩৫
চিকন আলি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্ত্ব্যের জন্য।
অন্য সকল ধর্ম আর ইসলামের মধ্যে অনেকগুলো পার্থ্যকের একটা হলো ;"ইসালম শুধু ধর্ম নয় এটা একটা পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্হা।" আর এই বিষয়টা আমরা সঠিক ভাবে বুঝতে পারি না বলেই ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবী করছি।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:১৪
স্বাধীকার বলেছেন:
চিকন আলী ভাই,
আপনাকে আবারো ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
ইসলামসহ সকল ধর্মের মধ্যে ইসলামই সর্বশেষ বিধায়, এই ধর্মটিই যেকোনো ধর্মের চেয়ে বেশী আধুনিক হবে-সেটিই বাস্তব এবং যৌক্তিক। পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান হলেও, অতি পান্ডিত্যের দরুন এখানে এতটাই বিভক্তি ও বহুমাত্রিক বহুমুখী ব্যাখ্যা আছে যে, কোনো মানুষই তার জীবন ব্যবস্থায় ইসলাম প্রয়োগ করেও, সকল ইসলামপন্থীর চোখে সঠিক বিবেচিত হতে পারবেন না। কারো চোখে মুরতাদ, কারো চোখে সহি, কারো চোখে ভ্রান্ত, কারো চোখে.......ইত্যাদি ইত্যাদি ব্যাখ্যায় জর্জরিত হতে পারেন। তাই ধর্মটিকে আত্মিক দিক থেকে বিবেচনা ও চর্চা করলেই বরং শান্তির শ্লোগানটি বেশী যৌক্তিক হবে। আশা করছি বুঝতে পারছেন আমি কি বলতে চেয়েছি।
ভালো থাকবেন ভাই। শুভ কামনা।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:১৯
স্বাধীকার বলেছেন:
চিকন আলী ভাই,
আপনাকেও নতুন বাংলাবর্ষের শুভেচ্ছা থাকলো।
৮৬| ২৫ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪১
হায়দার সুমন বলেছেন: আসতে দেরী হল, তাই মন্তব্য করলাম না। সরাসরি প্রিয়তে......।
১০ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৫৪
স্বাধীকার বলেছেন:
সুমন ভাই,
আপনার কাছে কৃতজ্ঞতা।
ঈদ মোবারক।
অনেক দিন আমি ব্লগে অনুপস্থিত আছি, তাই জবাব দিতে দেরী হলো। ক্ষমা করে দিবেন প্লিজ। শিঘ্রই আবারো ছাইপাশ নিয়ে হাজির হবো আপনাদের দরজায়, নিশ্চয় থাকবেন আশা করছি।
শুভ কামনা।
৮৭| ৩০ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩১
জগ বলেছেন: হনু জাগরন মন্চ
১০ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:১০
স্বাধীকার বলেছেন:
জগ ভাই,
দেরীতে জবাব দেওয়ার জন্য ক্ষমা চাই। অনেক দিন আমি ব্লগ থেকে বিতাড়িত আছি। শিঘ্রই আবার আসতেছি ছাইপাশ নিয়ে-আশা করছি সাথেই থাকবেন।
যে প্রক্রিয়ায় শাহবাগমঞ্চ সরকার পুলিশ দিয়ে সরিয়ে দিয়েছে, একই কাছ অন্যকোনো দল করলে দেশে পাকিস্তান কায়েম হচ্ছে বলে আমাদের হনুরা, বাচ্চু, অঞ্জন, ইমরান, অমিরা বিলাপে বসতো, শহীদ মিনারে গিয়ে জুতা না খুলেই কানতে বসতো!!!!
নটিদের ছলনার অভাব হয়না, বাকশালীরা এ বিষয়ে দেশসেরা।
শুভ কামনা।
৮৮| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৩
মো. আবুল হোসেন, শিবচর, মাদারিপুর বলেছেন:
স্বাধীকার ভাই, প্রথমেই ক্ষমা চাচ্ছি আমার এ মন্তব্যটি আপনার এ পোস্ট সংক্রান্ত নয় বলে।
অনুগ্রহ করে আমার এ পোস্টটি পড়ার বিনীত অনুরোধ করছি। সাথে ১৭ নং মন্তব্যটির প্রতিও দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
আবারও ক্ষমা চাচ্ছি লিঙ্ক দিয়ে আপনাকে অনুরোধ করায়। এ ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না।
৮৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:২১
সিফাতুল্লাহ বলেছেন: ধর্মীয় সকল রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ
এখানেই সমস্যা! দেশের একটা বড় অংশের শাহাবাগ আন্দোলন থেকে বেড় হয়ে আসার অন্যতম কারণ এই লেজটা। আমি নিজে তার অংশ।
আমি একজন নতুন প্রজন্মের ইসলামিস্ট। আমি যুদ্ধাপরাধীদের ঘৃণা করি।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৩১
অনার্য পথিক বলেছেন: খুব কঠিন অবজারবেশন। এখনো সময় আছে এটিকে সঠিক পথে টেনে আনার। অথবা যারা নিরেট ন্যায় বিচারপ্রার্থী তাদেরকে এককাতারে দাড় করানো।
তবে কোনো বিলাসী আন্দোলনে আমি বিশ্বাসী নই।