![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাম্প্রতিক রাজনীতিতে ব্যাপক সহিংসতা ও আমোদ-প্রমোদের ব্যবস্থা করেছে দেশের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দল গুলো। আম্লীগের অধীনে নির্বাচনে গিয়ে নিশ্চিত জয়কে আক্কেল সেলামী হিসাবে বিএনপি ও তার জোট কোনোভাবেই মানতে পারেনা-তাই লাগাতার অবরোধ। অন্যদিকে নিজেদের অধীনে অবাধ ও আন্তঃনিরপেক্ষ(নিজ দলের সকলের প্রতি নিরপেক্ষ) নির্বাচনের মাধ্যমে আম্লীগ ও তার জোট ইতিমধ্যেই অনেকের জয় নিশ্চিত করেছে। বাকী কেবল জানুয়ারীর ৫ তারিখটি। সেদিনই নিশ্চিত বিজয় মিছিল করার দিবাস্বপ্নে বিভোর আম্লীগের স্বপ্নে যেন পেট্রল বোমা ছুঁড়ে মারে সাবেক পতিত স্বৈরাচার আম্লীগের ভাই ও দেশবাসীর বিনোদক হুসেইন মু এরশাদ। দিশেহারা আম্লীগ সর্ষেফুল দেখে-নাটকের পর নাটকের অবতারণায় বৃদ্ধ এরশাদ নিজের অস্ত্রটি নিজের উপর ব্যবহার করার হুমকি দেন-তার বাড়ীর চারপাশে ‘নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক’ সরকারের সুসভ্য আইনশৃংখলা বাহিনীর সরব উপস্থিতি দেখে। মূলত আজকের পোস্টটি দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী ও আম্লীগের সত্যিকার শুভাকাংখীদের জন্যই লেখা বাকীটা আমার সহব্লগারদের বিবেচনার উপর রইলো।
তের বাতিল পনের চালুর সংক্ষিপ্ত ইতিকথাঃ
নাটকীয় ভাবে মামলায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল হয় মহামান্য প্রধান বিচারপতি জনাব খায়রুল হক সাহেবের হাত ধরে। যা আনতে দেশকে বহন করতে হয়েছিলো বহু বহু হরতাল ও সম্পদের মালিকানা। বিষয়টি ধান ভানতে শীবের গীত টাইপ হলেও-সত্য এবং তার দায় আজকের সঙ-বিধানপ্রেমীদের নিতে হবে, নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া উচিত। জ্যেষ্ঠ বিচারককে ডিঙ্গিয়ে জুনিয়রকে আম্লীগ সরকার প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করেন খায়রুল হক সাহেবকে-এখানে যে কেউ নীলনক্সা, দুর্বিসন্ধি খুজঁতে পারেন। আম্লীগ বলতে পারে এর আগেও এরকম সুপারসিড হয়েছে-যা সত্য। এর আগে যারা কুকর্ম করে যে রকম পরিনতি ভোগ করেছে-সেটা আম্লীগকেও তাহলে মাথা পেতে নিতে হবে। সংবিধান সংশোধনের জন্য গঠিত কমিটির সামনে বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি দল, সাধারন মানুষ, সুশীল সমাজ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক শিক্ষক-সবাই নিরপেক্ষ অন্তর্বতী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের কথাই বলেছিলো, এমনকি আম্লীগও বলেছিলো। এ্যামিকাস কিউরিগণও এই মত দেন। কিন্তু কেন চেঞ্জ হলো, এর জবাবে সুজনের বদিউল আলম মজুমদার সাহেবের একটি উক্তি ‘‘এর জন্য কেবল একজন মাত্র ব্যক্তি দায়ী, যিনি আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’’। আমার ব্যক্তিগত বিশ্লেষণ হলো শেখ হাসিনা যিনি নিজে এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করলেন, আদায় করে ছাড়লেন, নিজে আজো পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী আছেন সেরকম সরকারের অধীনে নির্বাচন করেই। তাহলে তিনি কেন এখান থেকে ১৯৮৬ সালের মতো ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেলেন? আমার ধারণা এ বিষয়ে হয়তো কোনো দেশী-বিদেশী শক্তি আম্লীগের বন্ধু সেজে বাংলাদেশকে বিপদে ফেলতে এরকম একটি অবাস্তব ফরমুলা প্রসব করে দেন ভবিষ্যত বাংলাদেশকে বিপদে ফেলার জন্য। ঐ অপশক্তি আম্লীগকে নির্লজ্জের মতো উলঙ্গ হয়ে সমর্থন দানের প্রতিশ্রুতি হয়তো দিয়েছিলেন-যা রক্ষার নজির অনুমিত হচ্ছে।
আম্লীগের মামা বাড়ীর আব্দার, অথচ দাদাদের ঘুম হারামঃ
বাংলাদেশের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আম্লীগের মামা বাড়ীর আব্দার আছে, জনগণ সেটা বিবেচনা করবে-কতটা পূরণ করা যায়-নাযায় তা বিবেচনা করবে। আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রগুলো, বিনিয়োগকারী রাষ্ট্রগুলো কিংবা আমাদের শুভাকাংখী বিভিন্ন দেশের উদ্বেগ উৎকণ্ঠাকে স্বাভাবিকভাবেই নিতে চাই। কিন্তু আমাদের নিকট প্রতিবেশী ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীদের উক্তি, ভারতীয় কুটনীতিকের অতি তৎপরতা, সংবিধানের কথা বলে বিকৃত দলবৎ সংবিধানের অধীনে নির্বাচন করার তাগিদ দেওয়া, নির্বাচনোত্তর গ্রহনযোগ্যতা দেওয়া, নেপালের এক তরফা নির্বাচনের উদাহরণ হাজির করা, এরশাদকে বুঝিয়ে আম্লীগকে জয়ী ও এরশাদকে দ্বিতীয় দলের কান্ডারী বানানো, মৌলবাদী রাজনীতির দোহাই দিয়ে আম্লীগকে জয়ী করা-এভাবে ভারতের প্রতিবেশী দেশের জাতীয় নির্বাচনে জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করে একটি দলকে নির্লজ্জ সমর্থন দেওয়াকে কোনো স্বাধীন দেশের দেশপ্রেমিক নাগরিক বন্ধুত্ব হিসাবে দেখতে পারেনা। দালালদের কাছে এসব তৎপরতাকে সুবিধাজনক মনে হলেও হতে পারে। আজ ভারতের এহেন কালো হস্তক্ষেপকে মেনে নিলে, কাল অন্যরা নতুন দালাল খুজেঁ তাদের মাধ্যমে বাংলাদেশকে নিয়ে খেলবে-যা খুবই বিপদজনক। দেশের নাগরিকরা যদি তাদের শাসককে নির্বাচিত করতে না পারে, মতলবী অন্যদেশ যদি তা ঠিক করার সুযোগ পায় তাহলে আমাদের ভবিষ্যত সিকিমের পথে রওনা হবে। কারণ এখানে লেন্দুপ দর্জি আছে বাইডিফল্ট। জনগণকে ক্ষমতায়ন জরুরী, দালাল লেন্দুপ দর্জিদের ক্ষমতায়ন কখনোই নয়।
বন্ধু প্রতিবেশী ভারতকে যা বিবেচনা করতে হবেঃ
সত্যিকার বন্ধু বিপদে পাশে দাড়ায়, হতাশায় ভরসা দেয়, সুখের দিনে গলাগলিতে হাসে। বাংলাদেশ একটি অস্থির সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, দেশটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। মানুষ মরছে, মানুষ পুড়ছে, স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অচল, চারদিকে আগুনের লেলিহান শিখা। এই আগুনে এক ঘটি জল না দিয়ে যদি কেউ আলু পুড়া দিতে আসে-তাকে কি আমরা বন্ধু বলে ভাবতে পারি? এই বিবেচনার ভার আমি ভারতের সাধারণ নাগরিক, সুশীল সমাজ ও প্রকৃত মিডিয়ার কাছে দিতে চাই। উড়ে এসেই দৌড়ে গিয়ে হুসেইন মু এরশাদকে বুঝানো, মৌলবাদের ভয় দেখিয়ে একতরফা নির্বাচনে আনার চেষ্টাকে বুঝতে কমনসেন্সই যথেষ্ঠ। ভারতের সাথে বন্ধুত্ব হবে বাংলাদেশের, কোনো দলের কেন? এখানেই আমাদের হতাশা, ভয় এবং ক্ষোভ। ভারত কর্তৃক বহু অমিমাংসিত বিষয়ে আমাদের শত অনুরোধ-উপরোধ ভারত কখনোই কানে তুলেনা। অথচ বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে এত তৎপরতা কেন? যে ভারত এখন এত তৎপরতা দেখাচ্ছে সেই ভারত আমাদের বর্তমান সরকারের কাছে এত কিছু পেয়েও শেখ হাসিনাকে এক ঘটি পানি দেয়নি মমতাকে অখুশী করে। যে ভারত বাংলাদেশের বাহিনীকে ব্যবহার করে তাদের আসামী গ্রেফতার করে নিয়েছে, সেই ভারত কিভাবে বাংলাদেশের সাধারণ খেটে খাওয়া দরিদ্রের বুকে গুলি চালায়? সর্বোচ্চ দাবী পূরণ করার পরও শেখ হাসিনা ভারতের কাছে কিছুই পাননি,। ভারত কি শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের দেশের জনগণের কাছে ভারতের খেলার পুতুল বানাতে চায়? শেখ হাসিনা যদি ভারতের কাছ থেকে এক কিউসেক পানি না পান-তাহলে আমরা কি অনুমান করতে পারিনা যে, ভারত আমাদের কার জন্য কি করবে? তবুও ভারত আমাদের বন্ধু প্রতিবেশী, মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারত আমাদের যে সহায়তা সাহস শক্তি যুগিয়েছে-তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। সাহায্য করেছে সেটাই বিবেচনা করতে চাই, কেন করেছে-সেটা বিবেচনায় নিচ্ছিনা।
ভারতপ্রেমী দলকানাদের এখন করণীয়ঃ
ভারতের চাওয়া পাওয়াকে বাস্তবায়ন করেছেন শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনা সরকার ভারতের কাছ থেকে কেবল মৌখিক প্রতিশ্রুতি ছাড়া আর কিছু পেয়েছেন বলে জানিনা। উপরন্ত শেখ হাসিনাকে বিব্রত করতে ভারত ফেলানীকে ঝুলিয়ে রেখেছে কাঁটাতারে, ফেলানীর মামলাটি নিয়ে করেছে সর্বোচ্চ তামাশা। বাংলাদেশীদের হৃদয়ের রক্তক্ষরণের জন্য তারা আনন্দে বর্বরোচিত উলঙ্গ অত্যাচার করে সেই অত্যাচারের ভিডিও উপহার দিয়েছে। আমরা এমন প্রতিবেশীকে কিভাবে সুহৃদ শুভাকাংখী ভাবতে পারি? পাক-চীন সীমান্তে গুলির ক্ষেত্রে ভারত যতটা সচেতন, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ততটাই উদ্যত অবিবেচক। আজকে আম্লীগের যে কঠোর অনমনীয়তা দেশকে যে পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে তার পেছনে কারা, কিভাবে কাজ করছে তা দেশবাসী জানে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে যত প্রত্যক্ষ ভারতের হস্তক্ষেপ থাকবে এদেশের মানুষের কাছে আম্লীগের গ্রহনযোগ্যতা তত কমবে। ভারত যদি বাংলাদেশের মৌলবাদী রাজনীতির উত্থান নিয়ে মাথাব্যাথায় ভোগে এবং তার জন্য আম্লীগের কাছে দাওয়াই চায়, তাহলে খোদ দিল্লিতে মৌলবাদীরা নির্বাচনে জয়ী হলে তার দাওয়াই কি তারা আম্লীগের কাছ থেকে নিবে? মৌলবাদী রাজনীতির উত্থানে আমরা সবাই চিন্তিত-এর জন্য সমন্বিত সমাধান কাম্য, কোনো দলকে ভারতের হাতের পুলিশ হয়ে তার সমাধান করতে বলা হলে-তার সমাধানতো হবেই না বরং দলটি মৌলবাদীদের টার্গেটে পড়তে পারে-যা কাম্য নয়। বাংলাদেশের বিদ্যমান সমস্যা বাংলাদেশের মানুষকেই তার সমাধান করতে হবে। আমাদের ঢোল ভারতের বাজানোর প্রয়োজনীয়তা নিশ্চয় আমাদের চেয়ে বেশী নয়।
চলমান সহিংসতা, বিরোধী জোটের দায় ও আম্লীগের শাখের করাত দশাঃ
নির্বাচন নিয়ে আম্লীগের মামাবাড়ীর আব্দার পূরণে বিরোধীদল সাড়া দেয়নি। বিরোধী দলের মনে পড়েছে কেএম হাসানের অধীনে যদি নির্বাচন করা না যায়, তাহলে স্বয়ং আম্লীগ প্রধানের অধীনে নির্বাচন তারা কোন বিবেচনায় মানতে পারে? কার্যত এরকম একটি পরিস্থিতি তৈরী করা হয়তো সরকারের লক্ষ্য ছিলো যে, যাতে প্রধান বিরোধীদল কোনোভাবেই নির্বাচনে না আসে। জয়ের ধারাবাহিকতা, জনমত সবই যখন বিএনপি জোটের পক্ষে-তখন একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কোনোভাবেই আ্ম্লীগের কাছে কাম্য হতে পারেনা। ফলে তারা সে পথেই হেটেঁছে। কখনো কখনো বিএনপি-র মাজায় জোর নেই বলে বিএনপিকে রাস্তায় আমন্ত্রণ জানায় শাসক দল। যার কিছুটা প্রত্যক্ষ করছি এখন-এই সহিংসতা কোনো গণতন্ত্রে চলতে পারেনা, এমন আগুনকে সমর্থন করা যায়না-যে আগুন মানুষের জীবন ও সম্পদকে পুড়িয়ে দেয়। কারা করছে সেটা ধরাও শাসকের দায়িত্ব, জনতার সামনে প্রমানের দায়িত্বও শাসকের। বিশ্বাসযোগ্য উপস্থাপনার মাধ্যমে জনগনের জানার অধিকার আছে কারা করছে-এসব? কেউ কেউ বলেন পরিকল্পিতভাবে এসব করা হচ্ছে পশ্চিমা বিশ্বকে দেখানো যে, মৌলবাদীরা এসব করছে, যাতে বর্তমান শাসকদল পশ্চিমাদের কাছ থেকে সুবিধা পায়। বাংলাদেশের যে ধর্মান্ধরা বিভিন্ন গোত্রে বিভক্ত হয়ে নিজেরা নিজেদের অমুসলিম ঘোষণা করছিল, নিজেদের শক্তিহীন করতো-তাদের সবাইকে বুঝে নাবুঝে বর্তমান শাসকদল এক কাতারে এনে তাদের শক্তি বাড়িয়ে দিয়েছে-এটা নিশ্চয় পশ্চিমা বিশ্ব বুঝতে পারে। মৌলবাদীদের তান্ডব চললে ক্ষমতাসীন সরকার যে ব্যর্থ প্রমানিত হয়-সেটা মনে রাখা দরকার। সহিংসতা মৌলবাদীরা করুক বা গণতন্ত্রকামীরা করুক-তা কোনো বিবেচনাতেই কাম্য নয়। আরো কাম্য নয় বিরোধীমতকে মাটিচাপা দেওয়া, আন্ডারগ্রাউন্ডে পাঠানো। দলীয় অফিসে ভোররাতে মই বেয়ে গ্রিল কেটে যে করিৎকর্মরারা অসুস্থ্য নেতাকে গ্রেফতার করতে পারে, তারা সহিংসতা ছড়ানোদের গ্রেফতার করতে না পারলে আমাদের এই সন্দেহকেই প্রতিষ্ঠিত করে যে, এর পেছনে বড় কোনো মতলব থাকলেও থাকতে পারে। এক্ষেত্রে জনগণকে দলনিরপেক্ষ হয়ে ভাবতে হবে, এর পরিনাম বাংলাদেশ রাষ্ট্রটিকে পিছিয়ে দিবে, বিপন্ন হবে আমাদের সকল স্বাধীনতা। চালাকীর খেলায় পুরানা খেলোয়ার আম্লীগ গোপনে দলভাঙ্গার নানান প্রলোভন বিলি করেছেন হয়তো, এতিম কয়েকটি দলকে লোভ দেখানো, তরিকতের মতো ভান্ডারী মৌলবাদীদের দুধকলা দিয়ে কোলে নেওয়া-এসব চালাতে থাকে শাসক দল। আম্লীগের ধারণা ছিলো এসব করে বিএনপিকে যে কোনো মূল্যে একা বানিয়ে নির্বাচন থেকে বিতাড়ন করা। তফশিল ঘোষণাও হয়ে গেলো। কিন্তু হায়! কাউকেই ক্রয় করা সম্ভব হলোনা, ১৮জোট থেকেও লোভ দেখিয়ে কাউকে আনা গেলোনা, কোনো ছোটদলও অংশ নিলোনা । আগের সরকার থেকেও আরো ছোট হয়ে পড়ে আম্লীগের জোট, কিন্তু ব্যাপক মন্ত্রীতে ভরে যায় জাতীয় পার্টি, জনগণ অবাক! এক সময় জাতীয় পাটিও নির্বাচন থেকে সরে যায়। স্বপ্নাতুর আম্লীগ যেন আকাশ থেকে পড়ে যায়, এক হাতে কোর্ট ফাইল অন্য হাতে তেলের শিশি নিয়ে কাছে ডাকে আম্লীগ। কিন্তু এরশাদ বেঁকে বসে-দরকষাকষির না মেলাতে। বাধ্য হয়ে সরকার এরশাদকে একই সাথে নানান লোভ ও ভয় দেখাতে থাকে । আম্লীগের চিপায় ও চাপায় পড়ে উপরন্ত এরশাদের রাজনীতি ও পাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়-কাজী জাফররা আলাদা হয়ে যায়। এখানে আম্লীগ একটি অনৈতিক কাজ করেছে বলে মনে করি-যাতে পাঠক বুঝতে পারেন কেন এরশাদকে আত্মহত্যার হুমকি দিতে হয়? আপনি যদি কোনো পতিতার সাথেও কন্ট্রাক্টে যান-তাহলে আপনাকে আপনার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতেই হবে আপনি যদি সভ্য হন। নাকি আপনি দাবী করবেন, ‘‘পতিতার সঙ্গ নিয়েছি, কথা রাখবো মূল্য দিবো কেন? ওতো পতিতা, ওর চরিত্র নেই’’। কিন্তু সভ্যতা বলবে আপনি পতিতার চেয়েও খারাপ। এখানে আমি এরশাদকে পতিত হিসাবে বিবেচনা করলেও, তার সাথে কোনো চুক্তি থাকলে সেটা রক্ষা করাটাই সভ্যতা-যা আম্লীগ ভয় দেখিয়ে কিংবা লোভ দেখিয়ে দায় সারতে চায়। এরশাদকে এখন নির্বাচনে আনতে যারপরনাই তৎপর-সুযোগ বুঝে দলীয় নেতাকর্মীদের মনোভাবকে মূল্য দিয়ে এরশাদ এখন যে অবস্থান নিয়েছে তাতে আম্লীগের উলংগপনা প্রকাশিত হলেও জাতীয় পার্টির আয়ু বাড়বে-এটা প্রয়োজন গণতন্ত্রের স্বার্থে। যেকোনো বিবেচনায় আম্লীগ এখন কার্যত চরম কাঁদার মধ্যে আছে।
সামনে কেবল একটি পথ, আম্লীগকে সেই পথটিই নিতে হবেঃ
ভুলপথে হাঁটা আম্লীগ এভাবে জনবিচ্ছিন্ন ও বন্ধুহীন হয়ে যাবে-তা আম্লীগ তো নয়ই-আমরাও কল্পনা করিনি। এখন আম্লীগ যদি নির্বাচন করে তাহলে সেটা গ্রহনযোগ্যতো হবেই না বরং তা দেশবাসী ও বিশ্ববাসির কাছে আম্লীগকে অগ্রহনযোগ্য করে দিবে। দ্রুতই হয়তো আবারো নির্বাচন করতে হবে-তখন অবশ্যই মাঠ আম্লীগের পক্ষে তো থাকবেই না বরং জনতার রোষ বাড়তে পারে, ভোটও কমবে। আর যদি আম্লীগকে বিরোধী জোট শেষ পর্যন্ত আন্দোলনের মাধ্যমে বাধ্য করে কিংবা বিদেশীদের চাপে পড়ে শাসকদেরকে ইলেকশন করতে বাধ্য হতে হয়, তাহলেও আম্লীগের নৈতিক পরাজয় হবে নির্বাচনের আগেই। উভয় সংকটে আম্লীগ এখন কেবল আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনের ভিতর দিয়ে নিজের অবস্থানকে ধরে রাখতে পারবে, জনগণের কাছে যেতে পারবে, ভোট চাইতে পারবে। অনেকেই বলেছেন হরতাল অবরোধে বিরোধীদলের ভোট কমছে, তাদের সাথে দ্বিমত করে বলতে চাই-সেটাই যদি সত্য হয় তাহলে ১৭৩দিন হরতাল করে কিভাবে আম্লীগ ক্ষমতায় এলো? লগি বৈঠার রক্ত দেখেও আম্লীগকে কিভাবে মানুষ ভোট দিলো? কারণ তৎকালীন শাসকের ব্যর্থতা। তাই আজকের আন্দোলন বরং শাসকের প্রতি মানুষের ঘৃণাকেই দ্বিগুন করবে। শাসকের একতরফা অগণতান্ত্রিক নির্বাচনী মতলবের প্রতি জনগণ সজাগ আছে, সুযোগ থাকলে ভোটের মাধ্যমে তার প্রমান আমরা দেখবো। গণতন্ত্রের স্বার্থে, দলীয় নেতাকর্মী শুভাকাংখীদের স্বার্থে, দেশের জনগণের স্বার্থে, উন্নয়নের স্বার্থে আম্লীগকে সকল দলের অংশগ্রহনের মাধ্যমে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। ড. আকবর আলী খান, সুলতানা কামাল, শাহদীন মালিক, ড. কামাল কিংবা বদিউল আলম সাহেবরা বিএনপি করেন না-তাদের মতো সন্মানিত মানুষদের কথা, সাধারণ মানুষদের দাবী, শিক্ষক-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবী-সাংবাদিক-সবার কথা বিবেচনায় নিন-একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন চাওয়ার ও পাওয়ার অধিকার এদেশের মানুষের আছে-সেটাকে মূল্য দিন। খেলায় আম্লীগ একটি পক্ষ, আবার রেফারীও থাকবে-সেই খেলায় জিততে পারে এমন খেলোয়ার পৃথিবীতে নেই। তাই নিজেদের অধীনে নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন-নিজেদের গ্রহনযোগ্যতাকে যাচাই করুন, গণতন্ত্রকে তার পথে হাটঁতে দিন। আম্লীগ একটি ঐতিহ্যবাহী দল-গণতন্ত্রের স্বার্থে এই দলটিকে এদেশের মানুষের জন্য কাজ করতে হবে, স্রেফ দলীয় পতিতদের জেতানোর জন্য তামাশার নির্বাচনের দায় আম্লীগ নিবেনা-এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
উৎসর্গঃ সাম্প্রতিক সহিংসতা ও গণতন্ত্রের গুলিতে নিহত নিরপরাধ মানুষ গুলোকে।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:২৮
স্বাধীকার বলেছেন: হাসান ভাই,
কেমন আছেন?
আপনাকে বিশেষ ধন্যবাদ-এজন্য যে, প্রথম মন্তব্যটি আপনার। অতীতেও আপনার সাথে আমার বহু বিষয়ে দ্বিমত হয়েছে, হয়তো হবেও। কিন্তু আমরা কখনোই কাউকে ছোট করতে চাইনি, অসন্মানজনকভাবে মূল্যায়ন করিনি। এজন্য আপনার সাথে যেকোনো বিষয়ে আমি আলোচনার সুযোগ পাই, মতমতটাও ঝালাই করতে পারি।
হ্যাঁ আপনার বক্তব্যের সাথে অনেকটাই একমত হয়ে বলছি উভয় দলকে ছাড় দিতে হবে। হয়তো খেয়াল করেছেন বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবী থেকে অনেকটা সরে গিয়েছে, তারপর বারবার আলোচনার কথা বলেছে চিঠি দিয়েছে-যদিও জবাব পায়নি। দেখুন হাসান ভাই আপনি যদি মনে করেন নির্বাচন কোনো শত্রুতা নয়, এখানে প্রতিদ্বন্ধ্বিতা থাকবে-সবাই সবাই কৌশল ও ইস্তেহার নিয়ে জনগণের কাছে যাবে-তাহলে আপনাকে এটাও স্বীকার করতেই হবে যে, একজন একই সাথে খেলোয়ার ও রেফারী থাকতে পারেনা, সেক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্ধ্বি পক্ষ কোনো ভাবেই জয়লাভ করতে পারবেনা। সবার জন্য সমান ক্ষেত্র প্রস্তুত থাকবে-তাহলেই কেবল নির্বাচন সবার জন্যই প্রতিযোগিতামূলক হবে। ক্ষমতাসীন আম্লীগ ইতিমধ্যেই সর্বক্ষেত্রে যে দলীয়করণ করেছে, উপরন্ত জেলা পরিষদে এখনো তাদের প্রবীণ নেতারা বিদ্যমান আছেন চেয়ারম্যান হিসাবে-তাহলে কোথায় থাকলো সমান ক্ষেত্র। নির্বাচনকালীন সরকার নিরপেক্ষ না হলে কোনো ভাবেই একটি অবাধ নির্বাচন সম্ভব নয়।
আপনার মতোই আমিও প্রত্যাশা করছি দেশের মানুষ, অর্থনীতি ও গণতন্ত্রের স্বার্থে একটি সমঝোতা হোক,তারপর নির্বাচন হোক। জয় পরাজয়ের ভার জনগণের উপর থাকুক-এটাই গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করবে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হলে কোনো শক্তি নেই, যে বা যারা বিএনপিকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে রাখতে পারে। খালেদা জিয়া বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে এসেছেন, তিনি বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচিত মহিলা প্রধানমন্ত্রী, যিনি তার জীবদ্দশায় কোনো নির্বাচনে পরাজিত হননি-প্রতিবার পাচঁটি করে আসনে নির্বাচিত হয়েছেন-তিনি নির্বাচনে বিশ্বাসী এটা তিনি প্রমান করেছেন সেই ১৯৮৬ সালে। নির্বাচন ভিন্ন ক্ষমতা পরিবর্তনে আর কোনো পথে বিএনপি বিশ্বাস করেনা।
একটি গ্রহনযোগ্য নির্বাচনের প্রত্যাশায় রইলাম। ভাল থাকবেন।
২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৫
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: জ্বী, আমেরিকা কি করতে হবে, রাশিয়াকে কি করতে হবে, ভারতকে কি করতে হবে, সবই বলেছেন; আপনি কি করবেন তা বলেননি।
হাসিনার যা করার তা করছে, আপনার উপদেশ বুঝার জন্য উপদেশসমুহকে এডভাইজারদের কাছে পাঠায়েছে!
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৫৬
স্বাধীকার বলেছেন:
পাঠক ভাই,
সরকার যদি ভারতের হাতের পুতুল হতে চায়, তাহলে জনগণ হিসাবে একটা দায়িত্বতো আমাদের থাকেই। সময় হলে আমরাও বুঝিয়ে দিবো কার কথা শুনতে হবে আম্লীগকে-ভারতের নাকি বাংলাদেশীদের।
আর যদি ভারতের এই অনৈতিক হস্তক্ষেপকে মেনে সেই পথে হাটাঁর জন্য সরকারকে পথ দেখান তাহলে আপনার অবস্থান বাইডিফল্টদের তালিকায় থাকবে। হাসিনা যা করার যদি তা করে থাকে, আমাদেরটা আমাদের করতেই হবে-সময় হলে সেটা দেখবেন।
ভাল থাকবেন, শুভ কামনা।
৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৬
HHH বলেছেন: ভাই, আপনার পোষ্টের একটি অংশের আমি তেব্র দ্বিমত পোষন করি।
অংশটি হল, ভারতীয় দলকানাদের এখন করনীয়,। ভারতীয় দল কানাদের এখন একটা কাজই করার আছে সেটা হচ্ছে, ভারতীয় এম্বেসীতে যেয়ে ভিসা এপ্লাই করে ফ্লাইট বাস এইসব বুকিং দেওয়া।
আম্লীগের বাংলাদেশে যে অবস্থা তাতে হাচিনা নামলে নিরপেক্ষ নির্বাচনে এরা ২২ ছিট পেতে পারে সর্বোচ্চ, আর গত পাঁচ বছরের পাপের হিসাব দিতে দিতে তাদের জীবন শেষ হয়ে যাবে, এই ভয়েই নামছে না বরং লির্লজ্জের মত ফিরে গেছে ভারতের কোলে। একবার এরশাদের পায়ে ধরছে একবার মনমোহনের পা ধরছে, কিন্তু ভোট তো দিবে বাংলাদেশের মানুষ।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:৫১
স্বাধীকার বলেছেন:
৩ এইচ ভাই,
আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার তেব্র প্রতিবাদের সাথে আমি একাত্মবোধ করতে বাধ্য হচ্ছি, এটা ভেবে যে, নির্বাচনে ফলাফল যাই হোক যে পথে আম্লীগ হাটতে তার দায় তাদের রাজনীতিকে ক্ষতি করবেই। ভারতের কাছে আম্লীগ এই পাচঁ বছরে যা পেয়েছে তা হলো অশ্বডিম্ব। সত্যিটা হলো ভারতের যেকোনো হস্তক্ষেপ আমাদের নির্বাচনে আম্লীগের ভোট কমাবে।
দলকানাদের বহুজনকেই হয়তো বিনা পাসপোর্টে বর্ডার পার হয়ে ভারতের মন্দিরের বারান্দায় জায়গা নিতে হবে। কিন্তু বিধি সেখানেও বাম হবেন বলে মনে হচ্ছে কারণ সেখানে বজরংরা ক্ষমতাসীন হতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশে ভারত অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির আব্দার করে। কিন্তু খোদ ভারতের মাটিতে মৌলবাদীরা যেভাবে জয়লাভ করতেছে, তাতে ভারতের মুখে এসব শব্দ শুনলে আমাদের শরম করে, কিন্ত দলকানারা পুলকিত হয়।
ভাল থাকবেন, শুভ কামনা।
৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০০
হেদায়েত বলেছেন: সবাই এই কথা ভুলে যায় যে, ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয় । আওয়ামী লীগও এর ব্যতিক্রম নয় । বিএনপির যেমন ক্ষমতা চলে গিয়েছিল আওয়ামী লীগেরও তেমনি যাবে । বাড়াবাড়ির পরিণাম কখনও ভালো হয় না ।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:২৭
স্বাধীকার বলেছেন:
হেদায়েত ভাই,
আপনাকে ধন্যবাদ।
ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়-এই সত্যটি সবাই জানলেও এর মোহ ছাড়তে পারেনা। ক্ষমতাকে ব্যবহার করে আবারো ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার ধান্ধা ও অপশাসনের আতংকে আম্লীগ আজ রীতি নীতি আদর্শ দেশপ্রেম সব জলাঞ্জলী দিয়েও ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করছে। তাহলে আর নির্বাচনের দরকার কি? সংসদে একটি বিল নিয়ে এসে পাশ করিয়ে আজীবন ক্ষমতায় থাকার ধারা সংযুক্তকরলেই পারে। কেন নির্বাচনী তামাশা করতে চায় দরিদ্র রাষ্ট্রের এত এত অর্থ ব্যয় করে।
সত্যটা হলো আজ কিংবা আগামীতে একদিন না একদিন আম্লীগকে ক্ষমতার বাইরে যেতেই হতে পারে-এটাই গণতন্ত্রের নিয়ম। কিন্তু মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে মানসকন্যা সেজে এক তরফা নির্বাচনী তামাশায় জাতিকে আজ ক্রান্তিকালে নিপতিত করছে। এদেশের সাধারণ মানুষের কোনো চাওয়া পাওয়াকে বিগত সময়ে মূল্যায়ন না করলেও, সময়ের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার অধিকারকেও হরণ করতে চায়-একটি গণতান্ত্রিক দলের কাছে এটা কাম্য নয়। যত তাড়াতাড়ি আম্লীগ জনগণের পালস বুঝবে ততই আমাদের জন্য মঙ্গল।
শুভ কামনা। ভাল থাকবেন।
৫| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৫
শেরউডের রবিনহুড বলেছেন: স্বাধীকার ভাই, পোষ্ট টা যেমন দুর্দান্ত লিখেছেন, কমেন্টের উত্তর গুলাও সেই রকম দিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৮
স্বাধীকার বলেছেন:
রবিনহুড ভাই,
আপনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
আমার ব্লগে আপনাকে সব সময় সুস্বাগতম। দেশ না বাচঁলে আমাদের রাজনীতি অর্থনীতি মান সন্মান কিছুই থাকেনা। দেশপ্রেমিক নাগরিকদের স্বৈরাচারী আব্দারী কুটরাজনীতির বিরোদ্ধে দাড়াতেই হচ্ছে।
আপনার জন্য শুভ কামনা।
৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৪
নবীউল করিম বলেছেন: আপনি কে ভাই? আমি তো আপনার ফ্যান হয়ে যাচ্ছি! দুর্দান্ত লেখেছেন সাথে বোনাস সর্ট অফ গুড লেন্থ ১০০ মেইল গতিতে বাউন্সার উত্তর! ব্রাভ ব্রাভ............।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৯
স্বাধীকার বলেছেন:
নবীউল ভাই,
আপনার কাছে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানবেন।
আমি অতি সাধারণ একজন মুর্খ ব্লগার-যে তিন বছর এই ব্লগে পার করেছে। লেখার যোগ্যতা আমার নেই, কেবল পড়তেই আসি। যাদের লেখায়/জবাবে যুক্তি থাকে-তাদের লেখায় মন্তব্য করি। নিশ্চয় আমি আপনার ব্লগে যাবো। একজন সহব্লগারের একটি বাস্তব মন্তব্য আমার কাছে স্টিকি পোস্টের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ।
দেশের সংকটময় মুহুর্তে, জনতার অসহায়ত্বের সময়ে যে শিক্ষিত শ্রেণী এটা নিয়ে কথা বলেনা, সংকট থেকে বের হওয়ার পথ খুঁজেনা, মানুষকে ভরসা দেয়না, বঞ্চিতকে সাহস যোগায় না, অন্যায়কে অন্যায় বলেনা, সত্যকে লুকিয়ে কথা বলে, নিছক দলপ্রীতির কারণে যে সমাজের সক্ষম মানুষরা কেবল ঘৃণা ছড়িয়ে প্রকৃত অপরাধকে ভুলে থাকতে চায়-সেই সচেতন শিক্ষিত সমাজের, দায়িত্ববান লেখক সমাজের কন্ঠরোধ চাই চিরদিনের জন্য। দেশের প্রয়োজনে যে কন্ঠ আওয়াজ তোলেনা, সেই কন্ঠের ‘ভালবাসি’কেও আমি লাথি মারার ইচ্ছা রাখি।
ভাল থাকবেন। আপনার জন্য শুভ কামনা।
৭| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪
মদন বলেছেন: জটিলসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসস
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১১
স্বাধীকার বলেছেন:
মদন ভাই,
কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।
আপনার পোস্টে মন্তব্য দিয়েছি-ওটাতে জবাব দিবেন কিন্তু!!
ভালো থাকবেন।
৮| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২২
মোহাম্মদ মজিবর রহমান বলেছেন: জনগনের বুকে গুলি চালিয়ে কোন গনতন্ত্র রক্ষা করতে চাইছে গনতন্ত্রের মানস কন্যা?
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩
স্বাধীকার বলেছেন:
মজিবর ভাই,
যুগে যুগে সকল অত্যাচারী শাসক এমনই করে সংবিধান ও গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে গণতন্ত্রকেই পদানত করার প্রয়াস চালিয়েছে। বর্তমান শেখ হাসিনা সরকার সেভাবেই সেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে চায় যে গণতন্ত্র শাসককে তার জনতার বুকে গুলি চালাতে গণতান্ত্রিক অধিকার দিবে।
সংবিধানের দোহাই দিয়ে জনতাকে পদানত করা ও তাদের মৌলিক অধিকারকে পদপিষ্ট করলে যে সংবিধানটি সঙ-এ পরিনত হয়-তা মনে এরা ক্ষমতার মোহে ভুলে গিয়েছে।
মানুষ এদের চিনে রাখুক, এই আম্লীগ একদিন-
১৯৯৬ সালে গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে সংবিধানকে পদাঘাত করে ‘গণতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠার জন্য ১৭৩ দিন হরতাল করেছিলো, সংবিধান পাল্টিয়ে ছিলো দেশকে জিম্মি করে-
২০১১ সালে এরাই আবার গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে সংবিধানকে পদাঘাত ও সার্জারীর মাধ্যমে দেশকে চরম অনিশ্চয়তায় নিয়ে গিয়েছে ‘গণতন্ত্র’ রক্ষার নামে।
---------------কি নির্দয় মসকরা এরা বার বার এদেশের মানুষের সাথে করছে। গণতন্ত্রের মানসকন্যার কি গণতান্ত্রিক অধিকার আছে যে, রাস্তায় দাড়ালেই জনতার প্রতিবাদের বুকে চালাতে পারে নির্বিচার গুলি!! ইতিহাস এর জবাব দিবে, আমরা কেবল চেয়ে আছি এদেশের মানুষের দিকে-তাদের জবাবের অপেক্ষায়। এর জন্য অবশ্যই দরকার একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন যেখানে মানুষ শাসককে মূল্যায়ন করবে।
৯| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ........................কিন্তু হায়! কেউ এলোনা, যারা ছিলো তারাও গেলো, এখন সকাল বিকাল তেল ও ভয় দিয়েও এরশাদ চাচাকে (আম্লীগের ভাই) নির্বাচনে আনতে পারছেনা। সর্বদলীয় খোয়াড় মন্ত্রীসভায় এরশাদকে মন্ত্রীত্ব দিয়ে ভাসিয়ে দিয়েও কাজ হলোনা।.............................................
হায় ! অতি অহমিকা! অতি মিথ্যা আর অতি পরনির্ভরশীলতায় এমনইতো হয় নাকি!!!!!!!!!
দেশটাক মুক্তি পাক গণতন্ত্রের পথে-আত্মমর্যাদা লয়ে।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫১
স্বাধীকার বলেছেন:
বিদ্রোহী ভাই,
কেমন আছেন? সালাম নিবেন।
অতি অহমিকা, প্রতিহিংসা, সীমাহীন লোভ, প্রভূদের মিথ্যা আশ্বাস, ছলচাতুরী, নেতৃত্ব কেনা-বেচা, মামলা হামলার ভয়-কিছুই আম্লীগকে রক্ষা করছেনা। জনবিচ্ছিন্ন, রাজনীতিবিচ্ছিন্ন আম্লীগ আজ গন্ধগোকুল তেল নিয়ে ৯২ বছরের বৃদ্ধ স্বৈরাচারকে নিজেদের জন্য খাড়া করানোর চেষ্টায়রত!! কি দৃশ্য আজ জনতা দেখছে, চেতনাধারী সুশীলরা মৌলবাদী ভান্ডারী বশরকে দিয়েই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে চাইছে ফকিন্নি ভারতের নির্লজ্জ হস্তক্ষেপের মাধ্যমে।
এদেশের মানুষ নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়-তারাই ঠিক করবে কারা তাদের সেবক হবেন। কোনো বহিঃপ্রভূর পদলেহনে আমরা দাসখত দিইনি।
ভালো থাকবেন, শুভ কামনা।
১০| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৯
nurul amin বলেছেন: আজব দেশে বাস করছি। ক্ষমতা হস্তান্তর না করার কারনে পাকিস্তান ভাঙল আবার তারাই এসে সকল ক্ষমতা নিজের করে নিল। যারা তত্বাবধায়কের জন্য এত আন্দোলন করল এরাই এটা বাতিল করল। আফসোস...
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৮
স্বাধীকার বলেছেন:
আমিন ভাই,
আপনাকে ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আপনার সাথে আমিও একমত, আজব দেশে পরিনত হয়েছে বাংলাদেশ-এর দায় বর্তমান ক্ষমতালোভী শাসকদের। দেশের পবিত্র সংবিধানকে এরা দলীয় লীগি সংবিধান বানিয়েছে। দেশের মানুষের চাওয়া পাওয়া আশা আকাংখার সাথে এরা সংবিধানকে না মিলিয়ে ব্রুটমেজরিটির অহমিকায় এমন কুকর্মই করেছে-যার জন্য জ্বলছে আজ সারা বাংলাদেশ, পুড়ছে সাধারণ মানুষ-যাদের নুন্যতম দোষ নেই।
এদেশের মানুষের অধিকার আছে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে শাসক নির্বাচন করার-সেটাকে এরা থোরাই কেয়ার করে নিজেদের অধীনেই নির্বাচন করার ধান্ধায় আছে। সাথে জুটেছে বিগত পাচঁ বছরে লুটেপুটে নেওয়া আমাদের বন্ধু প্রতিবেশী বজরংগী ভারত। দেশের একটি বৃহৎ দল যারা বিরোধীদলে থাকলে চিৎকার করে ফেনা তুলে গণতন্ত্রের দাবীতে, ক্ষমতায় গিয়ে এরা কায়েম করে স্বৈরাচারী একদলীয় শাসন ব্যবস্থা-এটা সুদূর অতীতেও এদেশের মানুষ দেখেছে। দলীয় মিডিয়া গুলোর মাধ্যমে নিরন্তর মিথ্যাচার আর অহমিকা প্রচার করে জনগণকে ভয় দেখাতে চাইছে।
কোনো ষড়যন্ত্র, মতলবের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবেনা। দরকার একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন, জনগণই ঠিক করবে তাদের সরকার কারা চালাবে।
ভালো থাকবেন, শুভ কামনা।
১১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৩
একজন ঘূণপোকা বলেছেন: ভাল লিখেছেন
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১১
স্বাধীকার বলেছেন:
ঘূণপোকা,
আপনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
আশা করছি পাশে থাকবেন।
আপনার জন্য শুভ কামনা।
১২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৬
বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: আজকের পরিস্থিতির প্রেক্ষাপট রচিত হয়েছে অনেক আগেই যখন বস্তা বস্তা রুপির প্রভাবে নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারিত হয়েছিল। যখন আ.লীগ ২১ সালের পরিকল্পনা করেছিল বস্তুত পক্ষে তখনই যে কোন উপায়ে ক্ষমতায় থাকার নকশা তৈরী হয়েছিল।
বিএনপি বা বিরোধী দলও এ বিষয়ে সচেতন ছিল বলেই "দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও" স্লোগানে নির্বাচনে এসেছিল। সে সময় এই স্লোগান মানুষ না বুঝলেও এখন ঠিকই টের পাচ্ছে। তাইতো চীনকে বলতে শোনা যায় "আমরা বাংলাদেশকে স্বাধীন দেখতে চায়"। সত্যিকার অর্থে সুজাতা সিংদের নির্দেশেই চলছে সরকার। আর আমরা নিজ দেশে পরবাসীর মত।
ভারতপ্রেমীদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই শক্তের ভক্তি করতে গিয়ে নিজেকে শৃঙ্খলিত করবেন না, দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে, "আমরা ভারত দ্বারা পরিবেষ্ঠীত নই, ভারত আমাদের দ্বারা বিভক্ত" এভাবে ভাবতে শিখুন।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৮
স্বাধীকার বলেছেন:
ভাই সালাম নিবেন। কেমন আছেন? জানি এখন কোনো দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী ভাল থাকতে পারেনা, যখন তার দেশটি নব্য সাম্রাজ্যবাদী নিষ্ঠুর প্রতিবেশীর নির্লজ্জ হস্তক্ষেপের কবলে।
আপনার সাথে আমিও একমত হয়ে বলতে চাই, আজকে আম্লীগের দেশপ্রেমিক নেতাকর্মী সমর্থকদের ভাবতে হবে তারা ভারতীয় আধিপত্যের কবলে পড়লে আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের কোনো বাস্তব অর্থ থাকেনা। কেন ভারত আম্লীগকে দিয়ে এদেশে একটি তাবেদার সরকার দাড় করানোর জন্য মরিয়া হয়ে গিয়েছে। নুন্যতম সভ্যতা ভব্যতা শিষ্টাচার না দেখিয়ে, এদেশের মানুষের মতামতকে পায়ে পিষ্ট করতে চাচ্ছে। যে মৌলবাদের দোহাই দিয়ে ভারত আম্লীগকে সর্বনাশের পথে নিতে চাচ্ছে সেই মৌলবাদীরা তো আজ ভারতে নির্বাচনে জয়ী হচ্ছে। ভারতে উচিত নিজ দেশের দিকে তাকানো। অসাম্প্রদায়িক মডারেট মুসলিম বিপুল জনসংখ্যার ব্যাপক সম্ভাবনাময় বাংলাদেশকে তারা কেন আফগান বানাতে চায়।
এদেশের নির্বাচন হবে দেশের মানুষের চাওয়া পাওয়া আশা আকাংখা অনুযায়ী-ভারত কেন এখানে জনমতকে গুরুত্ব না দিয়ে একটি দলকে তাবেদার হিসাবে পেতে চায়-এটা বাংলাদেশী হিসাবে আমাকে আতংকিত করে। বিগত পাচঁ বছরে ভারত আমাদের কাছ থেকে যা পেয়েছে তার দশভাগও শেখ হাসিনাকে দেয়নি, জনগণের সামনে তারা হাসিনাকে খেলো হিসাবে প্রমানিত করেছে। এখন আম্লীগকে লোভ দেখাচ্ছে ক্ষমতায় নিয়ে যাওয়ার, অত্যন্ত আপত্তিকর আব্দার করছে এরশাদের কাছে। আমরা বাংলাদেশীরা পাকিস্তানীদের কাছে থেকে মুক্ত হয়েছি দিল্লীর গোলামী করার জন্য নয়-এটা ভারতকে বুঝতে হবে।
আপনার জন্য শুভকামনা। ভাল থাকবেন।
১৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫১
মোহাম্মদ মজিবর রহমান বলেছেন: সুজনের বদিউল আলম মজুমদার সাহেব সংবিধান সংশোধনী কমিটির বিভিন্ন সদস্যদের বক্তক্য উদ্ধৃত করে বলেন, “তোফায়েল আহমেদ বলেছিলেন, এটা সেটল ইস্যু, এটা পরিবর্তন করার দরকার নেই। আমির হোসেন আমু বলেছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার যেভাবে আছে সেভাবেই রাখা উচিত। ব্যানিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছিলেন, সংবিধানে তিন মাস নির্দিষ্ট করে দেয়া যেতে পারে। অ্যাডভোকেট আমীর খসরু বলেছিলেন, এমন কিছু করা ঠিক হবে না যা বিতর্ক সৃষ্টি করে। রাশেদ খান মেনন বলেছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক পরিবর্তনের দরকার নেই। বর্তমান স্পিকার শিরীনি শারমিন বলেছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সংশোধনের দরকার নেই। কমিটির কো-চেয়ারম্যান প্রস্তাব করে বলেছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করার দরকার নেই।”
তিনি বলেন, “কিন্তু ২৭ এপ্রিল, ২০১১ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংবিধান সংশোধন কমিটি দেখা করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী বলেন,“ জনগণ আর অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা দেখতে চায় না।”১০ মে কমিটি আবার বলে, শর্ত সাপেক্ষে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে। ২৯ মে সংবিধান সংশোধনী কমিটি সর্বম্মতিক্রমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা রাখার পক্ষে সুপারিশ করে। ৩০ মে, কমিটি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলে সবকিছু উল্টে যায়, সবকিছু বদলে যায়। ২০ জুন কমিটি নতুন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের সুপারিশ করে। ২৫ জুন,২০১১ তা কেবিনেটে ও ৩০ জুন সংশোধনীতে তোলা হয়।”
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “ এটা আমার বক্তব্য নয়। এটা সংকটের ধারাবাহিক সৃষ্টির প্রক্রিয়া। এটা স্পষ্ট সংকট এক ব্যক্তির মনগড়া সিদ্ধান্তে হয়েছে। তাই এই সংশোধনী অবৈধ।”
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩
স্বাধীকার বলেছেন:
মজিবর ভাই,
আপনাকে আবারো ধন্যবাদ।
সুজনের বদিউল আলম মজুমদার সাহেবের সাথে শতভাগ একমত। কেবল একজন মাত্র ব্যক্তির কারণে দেশের ষোলকোটি মানুষের জীবনে যে দুর্যোগ-তার দায় ইতিহাস মূল্যায়ন করবে।
একজন ব্যক্তির ইচ্ছা অনিচ্ছায় একটি জাতি রাষ্ট্রকে এভাবে ভুগতে হয়-এই আধুনিক বিশ্বের রাষ্ট্র ব্যবস্থায় তা অবিশ্বাস্য। জীবন ও সম্পদ হানি, মানুষের মৌলিক মানবাধিকার সব কিছু এখানে মূল্যহীন একজনের জেদ কিংবা লোভকে মূল্য দিতে।
নিরপেক্ষ নির্বাচন আমাদের অধিকার, আমরা কারো কাছে তা ভিক্ষা চাইনা। এই দাবীকে পদানত করার চেষ্টা কখনোই সফল হবেনা। আজ কিংবা আগামী কাল আম্লীগকে এর দায় নিয়ে জাতির সামনে ক্ষমা চাইতে হবে-গণতান্ত্রিক রাজনীতি করতে চাইলে। আর একদলীয় সাবেকী বাকশালের পথে হাটঁলে মানুষ তা গ্রহন করবেনা, বরং আম্লীগের রাজনীতির আয়ু্ই কেবল কমবে।
এখনো সময় আছে জেদ কিংবা লোভকে সংবরণ করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তরের ভিতর দিয়েই রাজনীতিতে টিকে থাকতে হবে। সরকারের কাছে আমাদের দাবী নিরপেক্ষ নির্বাচনের-জনতা নির্ধারণ করবে তার শাসক কে বা কারা হবেন।
ভালো থাকবেন, শুভ কামনা।
১৪| ১৪ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:২৯
বিজন রয় বলেছেন: ব্লগে ফিরে আসুন, নতুন পোস্ট দিন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১১
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বর্তমান বাস্তবতায় আলোচনা ও নিগোসিয়েশনের মাধ্যমে একটি সুষ্ঠ গ্রহনযোগ্য নির্বাচন করা সম্ভব ছিল, এখনো সম্ভব।
বিএনপির দাবি মত তত্তাবধায়ক বর্তমান বাস্তবতায় অসম্ভব।
উভয় দলকে কিছু ছাড় দিতে হবেই।
সরকারি দলের প্রস্তাবে অন্তরবর্তিকালিন সরকারে থাকতো উভয় দলের মনোনিত সমান সংখক মন্ত্রী।
নিগোসিয়েশনের মাধ্যমে হাসিনা সরে যেতেন অবস্যই।
অন্তরবর্তিকালিন সরকারের প্রধান হতেন রাষ্ট্রপতি বা স্পিকার বা অন্য একজন।
এই অফার মজিনার বাসভবনে ডিপুটি সেক্রেটারি অব স্টেট নিশা দেশাই এর উপস্থিতিতে দেয়া হয়েছিল। বৈঠকে উপস্থিত ছিল আম্লিগ ও বিম্পি-জামাতের ১০ জন নেতা।
জামাতের হাইকমান্ডের চাপে বিএনপি এই অতিগুরুত্বপুর্ন অফারও প্রত্যাক্ষান করে।
কারন নর্মাল শান্তিপুর্ন নির্বাচনে গেলে জামাতের রাজনৈতিক মৃত্যু হবে। সুধু এই কারনেই জামাত বিএনপিকে আলোচনা থেকে সরিয়ে রেখেছে।
প্রবল সহিংসতা চালিয়ে সবকিছু ধ্বংশ বিধ্বস্ত করে আওয়ামীলিগকে কোনঠাসা না করা পর্যন্ত জামাত বিম্পিকে সমঝোতা বা নির্বাচনে যেতে দিবে না।
সবকিছু ধ্বংশ করে বিজয়ী হয়ে ফিরে আসার জন্য জামাত প্রয়জনে ৩ বছর অপেক্ষা করবে!
এখন ফ্যাসিস্ট শক্তি সাধারন নাগরিকের উপর সর্বাত্ত্বক যুদ্ধ ঘোষনা করেছে,
তাই নাগরিকদের নিরাপত্তায় সরকারকে সর্বশক্তি নিয়জিত করে নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে হবে।