![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কয়েক মাস আগের কথা -
বাসে ফ্রামগেট যাচ্ছিলাম ছোট বোনের সাথে দেখা করতে ।
মিরপুর ১০ নং যেতে না যেতেই বাস ফুল হয়ে গেলো ।
আমি ঠিক মাঝামাঝি একটা সিটে বসে আছি ।
আমার সামনে দুইজন আপু বসেছিলো ।
বেশ কয়েকজন যাত্রী দাঁড়িয়ে আছে । এমন সময় একটা বৃদ্ধা মহিলা উঠলো , দেখেই বঝা যাচ্ছিলো বেশ অসুস্থ । আমি ভাবলাম সামনে দেখে কেউ একজন উঠে তাকে বসতে দিবে । খুব অবাক লাগলো সেদিন । কেউ বসতে দিলো না । পরে আমি ডেকে তাঁকে বসতে দিলাম , জিজ্ঞেস করলাম কোথায় যাবেন ? উনি বললো "পি জি হাসপাতালে যাবো বাবা"
আমি উঠে ঠিক আমার সামনের আপুদের সিট এবং আমার সিটের মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে আছি । ত্তখন বেশ ভীড় হয়ে গেসে বাসে । অনেক মানুষ দাড়িয়ে যাচ্ছে ।
কিছুক্ষণ পরে খেয়াল করলাম আমার বিপরীত পাশ থেকে একজন আমার সামনে থাকা ওই আপুদের সিটের ওপর হাত রেখেছে ।
ভাবলাম অনেক চাপাচাপির মধ্যে হয়তো তার হাত তার দিকে রাকতে প্রবলেম হচ্ছে ।
পরে একটু ভালো করে লক্ষ্য করলাম ছেলেটার হাত একটু একটু করে সিটে বসে থাকা একটা আপুর কাঁধ এবং চুলের মাঝে যাচ্ছে ।
বাস ব্রেক করছিলো বার বার , আমি জানিনা আসলে অজান্তে হাত যাচ্ছিলো কিনা । তারপর আর একটু ভালো করে খেয়াল করতে থাকলাম ।
দেখলাম ছেলেটা ইচ্ছে করেই হাত ছোয়াচ্ছিলো ।
বাসে অনেক ঝাকি হচ্ছিলো, তাই হয়তো আপুটা বুঝতে পারছিলো নাহ । আর আমার কাছে বিষয়টা এমন যে কোনো ভাবে আপুটা বুঝতে পারলেই আমি ফেসে যাবো ।
কারন ছেলেটা আমার উল্টা পাশে ছিলো এবং শুধু হাতটা ভিড়ের মধ্যে ওখানে দিয়ে রেখেছে ।
আমি আর দেরি না করে তার হাত টা ধরলাম । ধরেই কষে একটা চড় । বাস তখন একটা জ্যামে পড়েছিলো । আমি ছেলেটাকে জিজ্ঞেস করলাম কি ব্যাপার, কি হচ্ছে এসব ?
পরে বিষয়টা বললাম সবাইকে ।
আমার পাশে থাকা আর এক ভদ্রলোক বললো আমিও দেখেছি বেশ কিছুক্ষণ এমন হচ্ছে ।
এমন অনেক ঘটানাই আমরা দেখি সবাই কিন্তু প্রতিবাদ করিনা ।
কিন্তু তাতে কি হচ্ছে ? আমাদের মা বোনদের সম্মান হানী হচ্ছে ।
অনেক সময় অনেক মেয়েরাও এসব বোঝে কিন্তু লজ্জায় কিছু বলেনা ।
তাতে কিন্তু এসব মানুষ রুপি জানোয়াররা আরও পেয়ে বসে ।
তাই সমাজের সব মেয়েদের বলছি আপনারা এমন সব বিপদে নিজেরাই প্রদিবাদী হোন । এটা লজ্জার কিছু না ।
প্রয়োজনে আসেপাশের মানুষের সহায়তা নিন ।
ভালো থাকুন।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৫৩
অরিঅন জনি বলেছেন: আসলে ঘাড়ের দিকটাই হাত দিচ্ছিল । বাসের ঝাকুনিতে মে বি আপুটা বুঝতে পারছিলো না । পরে ছেলেটাকে মেরে বাস থেকে নামিয়ে দিয়েছিলাম । আর কিছুক্ষণ পর আমিও ফ্রামগেট নেমে যাবো এমন সময় গেটের সামনে গিয়ে আপুর দিকে তাকালাম সে আমাকে হাত দিয়ে বাই বাই জানিয়েছিলো , বিশ্বাস করুন ওই প্রথম নিজেকে অনন্ত জালিল মনে হয়েছিলো নিজেকে...
২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৫৪
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ভাই, সরকার চাইলে খুব সহজেই এই সমস্যার সমাধান করে ফেলতে পারে। সেটা হলে, বাসটাকে মাঝ খান থেকে (বা যতটুকু করে প্রয়োজন) দুই ভাগ করে ফেলা, এক ভাগে শুধু মহিলারা বসে/দাড়িয়ে যাবে, আরেক ভাগে পুরুষরা।
আমি ইরানে থাকি এবং এখানে সব বাস এইরকম। নারী পুরুষ কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই বাসে যাতায়াত করছে। যত লোক বসে যেতে পারে, তার চেয়ে অনেক বেশী লোক দাডিয়ে যায়। কিন্তু, নারী পুরুষের জায়গা আলাদা থাকাতে কোন সমস্যা হয় না।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:০৪
অরিঅন জনি বলেছেন: একটা দেশের সরকার হলো সেই দেশের মাথা । আমাদের মাথাই ঠিক নেই । আমারা চাইলেই অনেক কিছু করতে পারিনা । আমাদের ভীষণ ব্যর্থতা ।
৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৫০
সোজোন বাদিয়া বলেছেন: সালাম ভাই আপনাকে, আপনার সৎ সাহস এবং দৃষ্টান্ত তৈরীর জন্য। এখানেও বোঝা গেল ওই লম্পটেরা দুর্বল, ওদের সংখ্যাও বেশি নয়; ওরা শুধু ব্যাপক সংখ্যাগুরু মানুষের সাহসের অভাবের সুযোগ নেয়। লেখকের সাথে গলা মেলাই, "রুখে দিন।"
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:০৬
অরিঅন জনি বলেছেন: নিজে প্রতিবাদী হোন । অন্যকে সহায়তা করুন । ভালো থাকুন
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৩৭
আহলান বলেছেন: মাথায় বা চুলে এমন কি ছিলো যে ঐ বালক হাত বুলাইতেছিল ... পরে ঐ আপুরা আপনাকে বাহবা দিয়েছিলো তো নাকি মন খারাপ করেছিলো ?