নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঝালমুড়িওয়ালা

অরিঅন জনি

অরিঅন জনি › বিস্তারিত পোস্টঃ

কে নিবে শিক্ষিত বেকারদের দায়ভার !!

৩০ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:২৮

I love to talk with stranger..
আমার ছোট বেলা থেকেই একটা অভ্যাস হলো পরিচিত মানুষের থেকেও অপরিচিত অজানা মানুষের সাথে কথা বলতে বা তাদের সম্পর্কে খুটিনাটি জানতে চেস্টা করা ।

এই ব্যাপারটা আমাকে নতুন কিছু শেখাতে খুব সাহায্য করে ।
and I love to know new thing..

সেদিন কথা বলছিলাম ডাবওলার সাথে -
আমার এলাকার প্রায় সব ডাবওলা আমাকে চিনে
কারন আমি ডাব ভালোবাসি ।
সরি গার্লস
আই লাভ ডাব ।

ডাব কোথা থেকে আনে-
কিভাবে আনে- খরচ কেমন আনতে-
দিনে কতগুলা বিক্রি হয়-
ইত্যাদি ইত্যাদি

-কথা শুনতে শুনতে শেষে যখনই প্রফিট এর পরিমান জানলাম তখন আমার মাথায় মনে হল আমারিকান যুদ্ধ বিমান লাগাতার বোমা নিক্ষেপণ করছিল !!

বিশ্বাস করেন গার্ল ফ্রেন্ড চলে গেলেও এতো কষ্ট আমি পেতাম না ।

লাভের পরিমান মাসে ৫০ থেকে ৬০ হাজার । বলে কি !!

সেদিন খুব পানিফুসকা খেতে ইচ্ছে করছিল কিন্তু কতিপয় কিছু খাদক টাইপের মেয়েরা যেভাবে দোকানদারকে পেচিয়ে রেখেছিল ।
আমার মাসুম চেহারা খানাও মামা দেখতে পারেনাই ।

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে হেরে আসা সৈনিক গুলি খেলে যেভাবে খুড়াতে খুরাতে ক্লান্ত হয়ে ফিরে আসতো তার প্রিয়তমার কাছে আমিও সেদিন ফিরে আসছিলাম অন্য এক
স্ট্রিট ফুডের দোকানদারের কাছে ।

মুরগি ভাজী খেতে ইচ্ছে করছিল না তাই একটা নুডুলস অর্ডার করতে করতে জিজ্ঞাসা করলাম

ভাই আপনি মুরগি কোথা থেকে আনেন-
একটা মুরগি থেকে কত পিস চিকেন ফ্রাই বানান-
যে ভ্যানে সে এগুলা মেক করে ওটার দাম-
গ্যাসের সিলিন্ডার কতদিন চলে-
চাঁদা কি পরিমান দিতে হয় ফুটপাতে বসলে-
ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি-

এবার আমি নিজেই প্রফিটের হিসাব কষে ফেললাম -
অংকে মাই কাঁচা হলেও টাকা পয়সা বেশ ভালই গুনতে পারি । ( তালি হপ্পে )

বাপরে বাপ-
তার মুখে শুনতেই আরো অবাক -

আমার হিসাবেরও প্রায় ৫০% বেশি লাভ করে ।

লাভের পরিমান না বলি

এভাবে আমি প্রায় সব রকম মানুষের সাথেই কথা বলি -
তাদের জানতে চেষ্টা করি এলাকার চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সব রকম মামাদের কাছে আমার বেশ পরিচিতি ।

আমি যে হোটেলে নাস্তা খায় সেখানের পোলাপানের কাছেও আমার বেশ পরিচিতি ।

আমি গেলেই তারা বুঝে যায় আমি কোন টাইমে কি খাবো !!
দুই দিন পরে গেলেই বলে কাল কই ছিলেন মামা ।

এটা আমাকে চরম এক সুখের অনুভূতি দেয় ।
তাদের সাথে আমি সেলফিও তুলি ।

তাদের ছবি ইডিট করে দেয় ।
সে এক অদ্ভুত অনুভূতি ।।

একজন তো প্রায় আড়াই লাখ টাকা জমাইছে ,
কাল বলল আর আড়াই লাখ হতে ১ বছর লাগবে ,

তারপর সে বিবাহ করিবে ।
আমি দুস্টমি করে বললাম মেয়ে দেখা আছে নাকি দেখবো :P

সে নতুন ফোন কিনবে - কি ফোন ভাল সেটা আমার কাছে জিগায় ।

এই সম্পর্কগুলো অনেক আবাগের ।

মাঝে মাঝে কাছের মানুষগুলাকেও এরা হার মানিয়ে দেয় ।
এক্সপেক্টেসন ইরর ডিয়ার কাছের মানুষ ।

এরা এতই কাছের যে-
বড় লেগপিস টা বা বড় সাইজের ডাব টা লুকিয়ে রাখে আমার জন্যে।
আমি গেলেই এক গাল হেসে বলে মামা বড় সাইজ আছে- , এই দেখেন বলেই এক গাল দাঁতের পাটি বের করে দেয় ।

এই হাসি গুলার জন্যে আমি ১০০০ বছর জেল খাটতে পারি বিনা দোষে কারন আমি জানি এই হাসির মধ্যে কোন মিথ্যাচার নেই ।

যেখানে কাছের মানুষগুলার হাসি বড্ড বেমানান লাগে মাঝে মাঝে ।

যাই হোক কিছুটা আবাগের কথা লিখে ফেললাম ,
আসল ব্যাপারটা হাইড হয়ে যাচ্ছিল ।

আমরা যারা পড়াশুনা করি বা করেছি ।

অনার্স মাস্টার্স শেষ করে যারা চাকুরী খুজে মরি তাদের জজন্যে খুব খারাপ লাগে ।

খারাপ লাগে এই জন্যে যে একজন চায়ের দোকানদার বা ডাবওয়ালা সেখানে ফেইল করে ৫০/৬০ হাজার চোখ বুজে কামাই আর আমাদের মত গরু গাধা লেখাপড়া করে ১৫/২০ হাজার টাকার কামলা খাটতে হয় ।

আমি সব রকম পেশাকে সম্মান করি । সম্মান করি বলেই চায়ের দোকানদার আমাকে পেলে তার পরিবারের গল্প বলে , সম্মান করি বলেই রেস্টুরেন্টের ছেলেটা আমি কাছে মোবাইল কেনার টিপস চাই।

সবাই সরকারী চাকুরী পাবে না আবার সবাই ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হবেনা এটাই স্বাভাবিক ।
কিন্তু তাই বলে আমাদের পড়াশুনার মান এতটাও খারাপ না যে "এম বি এ" করা ছেলে গুলাকে কোম্পানী গুলা ১২৫০০ টাকার জব অফার করবে । তাও ১২ ঘন্টার উপরে ডিউটি ।

এই বিষয়টা সরকারী ভাবে দেখার জন্যে তীব্র দাবী জানাচ্ছি ।
এভাবে চলতে থাকলে একদিন এই দেশেই জন্ম হবে বড় বড় জঙ্গী ।

অভাবে স্বভাব নষ্ট না হওয়ার চান্স খুবই ক্ষীণ ।

সরকারী চাকরির যেমন সূযোগ সুবিধা আছে -
তেমনি প্রাইভেট চাকরিতে অন্তত তার ৮০% দেখতে চাই ।
এভাবে শিক্ষিত মানুষকে গরু গাধার মত খাটানোর তীব্র নিন্দা জানাই ।

আমি জানি এটা নিয়ে কোন মিছিল মিটিং বা হরতাল হবে না ।
এদেশে হরতাল হয় ভাস্কর্য সারানো নিয়ে ।।
এদেশে হরতাল হয় আম গাছে মৌমাছি বাসা বাঁধলে ।
লজ্জা ।
বড়ই লজ্জা :(

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৬

ধুতরার ফুল বলেছেন: কে নিবে শিক্ষিত বেকারদের দায়ভার !! কারই নেওয়ার দরকার ছিল না। সমস্যা হচ্ছে কেউই উদ্যোক্তা হতে চায় না। কারন সে পথে বহুত ঝুট ঝামেলা। ৫ টাকার কাজ শুরু করতে গেলে পদে পদে যে ভিক্ষুক রা দাড়িয়ে থাকে তাদের দিতে হয় ১৫ টাকা।
এই কইয়েক দল ভিক্ষুকের কারনে বেকারদের ভার সকল মানুযের উপর পরেছে। বোঝা টান্তে হচ্ছে সবাই কে।

২| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


বেকার দায়িত্ব আপনি ও আমি নেবো; আমাদের লোকজনের বেকার থাকতে হচ্ছে অসম অর্থনীতির কারণে।

৩| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৩

জাহিদ হাসান বলেছেন: শিক্ষিত মানুষ নিজেরাই যদি নিজেদের দায় নেয় তাহলে ব্যাপারটা চুকে যায়।।

৪| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২১

প্রাইমারি স্কুল বলেছেন: আমার তো বেকার থাকতে ভাল লাগে ............। তবে কাজ দিলে করতে পারি?!?

৫| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৮

লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: আগডুম বাগডুম ভার্সিটিগুলি বন্ধ করতে হবে। এইচএসসি লেভেলের নলেজওয়ালা গ্রাজুয়েটের কোন দরকার নেই। আর কোম্পানি যখন কর্মী সংকটে পড়বে তখন ঠিকই কর্মপরিবেশ ও বেতনভাতা উন্নয়নে মনোযোগ দিবে।

৬| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সমস্যা অন্যখানে। বেকার সমস্যা হতো না যদি শিক্ষাব্যবস্থা পরিবর্তন করা হতো। জেনারেল লাইনের স্কুল কলেজ বাদ দিয়ে কারিগরী শিক্ষা বেশী জোর দিলে অনেক দক্ষ জনশক্তি বের হত। ডিপ্লোমা দিয়ে ইন্ডিয়ান/পাকিরা মধ্যপ্রাচ্যে সেফটি অফিসার, ইঞ্জিনিয়ার, সার্ভেয়ার এর চাকুরি করে ৬/৭ হাজার রিয়াল(১লাখ ২০ হাজার) তুলে নেয়। কেউ কেউ হয়ে যায় প্রজেক্ট ম্যানেজার! আর তখনো আমাদের দেশে শেখানো হয় হৈমন্তীর চরিত্র...
আর একটা বিষয় আছে সেটা বললে এখানে আবার ক্যাচাল শুরু হবে...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.