নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অর্নি

অর্নি › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাঙালির ভাষা লজ্জা !!!

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:২৭

পৃথিবীতে হয়ত বাঙালি একমাত্র জাতি যার একটা সিংহ ভাগ মানুষ অন্য জাতির কাছে নিজের পরিচয় দিতে লজ্জা পায়। অন্য ভাষা ভাষীদের সামনে নিজের ভাষায় কথা বলতে লজ্জা পায়। দুই লাইনের মাঝে এক লাইন ভুল হলেও English বলতেই বেশি আগ্রহী। অনেক বাঙালির ব্যাবহারে মনে হয় English এ দুই লাইন কথা বলতে পারলেই তাদের status high হয়ে যায়, মান ইজ্জত বাড়ে।



ছোট বেলা থেকেই USA তে বড় হয়েছি। এখানে অনেক বাঙালিকেই চিনি।অনেক সময় দেখি এক বাঙালি আরেক বাঙালি দেখলে pretend করে যে তাকে দেখেনি আর দেখলেও সে নিজে বাঙালি না আর বাংলায় তো ভুলেও কথা বলে না। অনেক কেই দেখি ওরা কিভাবে নিজের ছেলে মেয়েদের নিজের দেশ ও নিজের ভাষা থেকে দুরে রাখেন। তাদের জন্য বেপারটা এমন যে কোথাও গিয়ে যদি গলা উঁচু করে বলতেই না পারলাম " আর বলবেন না ভাই/ভাবি আমার ছেলে/মেয়ে তো বাংলা বলতেই পারে না শুধু English জানে" তাহলে দেশের বাইরে থেকে লাভ কি হলো? status টা তো high হল না। ওনাদের দেশপ্রেম কিছু special day যেমন পহেলা বৈশাখ, পহেলা ফাল্গুন, ১৬'ই ডিসেম্বর এ শেজেগুজে party করা আর ছবি তুলে FB update দেওয়াতেই শেষ হয়ে যায়।



বেশ কিছুদিন আগে এমনি এক ঘটনার কথা শুনে হাসব না কাঁদব বুঝতে পারছিলাম না।

এক ষোলো বৎসর বয়সী মেয়ে England গেলো। মাত্র দুই বছর থেকে আঠেরো বৎসর বয়সে দেশে এসে বেচারি নাকি আর বাংলা বলতে পারে না। এমন কি একটু জলদি বাংলা বল্লে সে বুঝতেও পারে না। ধিরে স্থিরে বল্লে একটা দুইটা শব্দ বুঝে। আর এই নিয়ে মেয়ের বাবা মায়ের আহ্লাদের শেষ নেই। আমি অবাক হলাম এই চিন্তা করে যে মেয়ে বাংলা ভুলে গেল তাহলে বাবা মা কেন ভুলে গেলেন না? England এ তো ওনারাও ছিলেন দুই বছর। *** হায়রে বাঙালি ***



"English" যে ভাষাকে অনেক সময় German language এর bastard বলা হয়, যে ভাষায় কথা বলার জন্য কোনো আন্দোলন কেউ করেনি, যে ভাষায় কথা বলার স্বাধীনতা আদায় করতে গিয়ে কেউ জীবন দেয়নি সেই ভাষায় কথা বলে আমরা নিজেদের অনেক শিক্ষত আর smart মনে করি। আর আমাদের মাতৃভাষা যার জন্য লাখো শহিদ জীবন দিল সেই ভাষায় কথা বলতে লজ্জা পাই। এই জাতির ভবিষ্যৎ কি?



কোনদিন দেখিনি কোনো Spanish আরেক Spanish কে দেখে English এ কথা বলতে অথবা কখনো নিজের সম্মান বাড়াতে এই বলতে যে তার বাচ্চা Spanish ভাষা জানে না। ওরা বরং নিজের দেশের কাউকে পেলে English ভুলে যায় অথচ ওদের কোনো ৫২'র ভাষা আন্দোলন ছিল না।

মাতৃভাষা Spanish, German, Japanese চাই বলে কেউ চিৎকার/আন্দোলন করেছে বলে আমিতো কোথাও পড়িনি। কিন্তু এই Spanish, Japanese, German এবং এমন আরো অনেক জাতিকে দেখে আমাদের অনেক কিছু শিখার আছে। ওরা নিজের পরিচয় গোপন করে না। ওরা নিজের ভাষায় কথা বলতে লজ্জা পায় না। আমাদের মতো অন্যের ধনে পোদ্দারি করে না।



আসুন নিজের দেশ ও ভাষাকে সম্মান করি। নিজেকে সম্মান করি। অন্য ভাষা নিয়ে বড়াই করার আগে নিজের ভাষাটা শুদ্ধ ভাবে বলতে, পরতে ও লিখতে শিখি।



আর যারা নিজের দেশ ও ভাষা নিয়ে গর্ব করেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।



** বাংলা ভাল বলতে জানলেও লিখায় আমার ভাল দক্ষতা নেই :(। এখনো শিখছি। বানান ভুল থাকতে পারে।**

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৩৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


অনেক সুন্দর এবং শক্তিশালী একটি লেখা। পূর্ণ একাত্মতা প্রকাশ করছি।


আরও লিখুন বাঙালির লজ্জা সম্পর্কে। বাঙালি খুব লাজুক এবং আত্মপ্রবঞ্চক জাতি তো.......


বানানের চিন্তা এখনই করবেন না। এসব শুদ্ধ হবে এক সময়।
মননশীলতায় গলদ থাকলে সেটি শুদ্ধ হবার নয়।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:০০

অর্নি বলেছেন: আপনার মুল্যবান মন্ত্যব্যর জন্য অনেক ধন্যবাদ।

আসলে নিজে বাঙালি হয়ে বাঙালির লজ্জা নিয়ে কিছু বলা বা লিখা একটু কঠিন কিন্তু এই কথাগুলু আর না বলে পারছিলাম না তাই ছোট মুখে বড় কথা বলেই ফেললাম।

২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫৭

সেজুতি_শিপু বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর লেখার জন্য ।
..... বিপরীতে এরকম বোধ জাগ্রত আছে বলেই- আমরা আশাবাদী হই । বাংলাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখি ।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫০

অর্নি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যর জন্য।

বাংলাকে নিয়ে আমিও অনেক স্বপ্ন দেখি এবং আমার বিশ্বাস সব বাঙালির বোধ একদিন জাগ্রত হবে। অন্যের ভাষা নিয়ে তোলপাড় না করে নিজের ভাষা নিয়ে গর্ব করবে।

৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫২

মুদ্‌দাকির বলেছেন:
সবই উল্টা আমাদের :( :(

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:১১

অর্নি বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমার ব্লগটি পরে আপনার মূল্যবান মন্তব্যটি করার জন্য।

৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৭

এস,এম,মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর লেখার জন্য, পূর্ণ একাত্মতা প্রকাশ করছি।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৯

অর্নি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যর জন্য এবং একাত্মতা প্রকাশ করার জন্য।

৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৫

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: প্রবাসে কিছু বাঙালীর (!) সাথে একইরকম তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে । বিষয়টা হতাশাজনক ও দুক্ষজনক । তবে শুধু ইংরেজি নয় , বিদেশী বেশ অনেক শব্দ আমাদের ভাষায় একরকম অপরিহার্য হয়ে গেছে , সেটাও কিন্তু অস্বীকার করা যায় না !

পোস্টে ভালোলাগা রইলো , শুভেচ্ছা :)

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪২

অর্নি বলেছেন: "প্রবাসে কিছু বাঙালীর (!) সাথে একইরকম তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে । বিষয়টা হতাশাজনক ও দুক্ষজনক ।" - এসব অভিজ্ঞতা থেকেই এই ব্লগের জন্ম।

ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১৫

নপদার্থ বলেছেন: লেখাটা ভাল লেগেছে....

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৫

অর্নি বলেছেন: ধন্যবাদ নপদার্থ আপনার মন্তব্যের জন্য।

৭| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২৫

সরদার হারুন বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ বাঙালীর একটি পুরাতন স্বভাবকে নতুন করে উপবস্থাপন করার জন্য ।

৫০/৬০ এর দশকের কথা বলি তখন বিবাহে গেট সাঁজাতো বর পক্ষকে
বিবাহের আসরে প্রবেশ করতে হলে টাকা দিতে হবে এ জন্যে ।
গেটে অনেক তর্কবিতর্ক হতো। সে খানে অবশ্যই ইংরেজী বলতে হতো।
কেহ বাংলা বললে তা গৃহিত হতোনা।

যার ফলে যারা ইংরেজী ভাল বলতে পারতো তাদের উভয় পক্ষের লোকই অতি
সম্মানের সহিত নিয়ে আসতো।

এখন ভেবে দেখুন আমাদের শেষ দৃশ্য আপনি দেখছেন।










০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৮

অর্নি বলেছেন: ধন্যবাদ সরদার হারুন ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য এবং নতুন এই তথ্যটি সেয়ার করার জন্য।

৮| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৫৫

চা-ওয়ালা বলেছেন: ব্যাপারটা শুধু প্রবাসে নয়ই , দেশে এর প্রভাব আরো ভয়াবহ।।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩

অর্নি বলেছেন: দেশে আসলে অনেকদিন যাওয়া হয়নি তাই পুরুপুরি জানিনা কি হচ্ছে ওখানে তবে নাটক আর বিভিন্ন প্রতিবেদনে যা দেখি তাতে মনে হয় আসলেই খুব খারাপ অবস্থা দেশের মানুষের কাজ কর্ম, চিন্তা ভাবনার। বুঝিনা মানুষ নিজের ভাষায় কথা বলতে এত দ্বিধাগ্রস্ত কেন হয়।

ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য চা-ওয়ালা ভাই।

৯| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৫

ভরকেন্দ্র বলেছেন: হতাশাজনক, সত্য বলার যোগ্যতা কি সবার হয়....। ভালো লাগলো...। চালিয়ে যান.।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৮

অর্নি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

১০| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৫

কলমের কালি শেষ বলেছেন: যে দেশের পেট থেকে বের হয়ে সে দেশের পরিচয় দিতে যে লজ্জা পায় তার মানে সে নিজেকে জারজ সন্তানভাবে । ঠিক তাইতো । সেই তার জন্মতে বিশ্বাস করতে কার্পূন্যবোধ করে । এই সব সন্তাদের আসলে বাংলাদেশে দরকার নেই ।

ওই যে বললেন না ইংলিশকে জার্মান ভাষার বাস্টার্ড বলা হয় এরাও বাংলাদেশের বাস্টার্ড ।

ভালো লিখেছেন । পড়ে ভাল লাগলো । :)

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:১৬

অর্নি বলেছেন: ঠিকি বলেছেন যারা বাংলাদেশি পরিচয় দিতে লজ্জা পায় আর বাংলায় কথা বলতে অপছন্দ করে তাদের মত ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো টাইপের কুলাংগার বাংলাদেশের কোনো দরকার
নেই।

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

১১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:১৩

সায়েদা সোহেলী বলেছেন: এখন তো এখানকার অবস্থা অনেক উন্নতি হয়েছে , সবাই কম বেসি বাংলা বলে ।এখানে জন্মালেও বাংলা বোঝে বলে । নব্বইয়ের দশকে বাংলা দেশ থেকে আসা বাঙ্গালী ছেলেমেয়েরাও বাংলা বলতে পারতো না !! আর সব থেকে মজার বিষয় ছিলো পুরো দস্তুর খাটি বাংগালী প্যারেন্টস রা সেই কথা সগৌরবে বলে বেরাতেন! !!


আজব এক জাতি আমরা !! আমি একজনকে মজা করে বলেই ফেলেছিলাম , আপনারা নিশ্চয়ই ভাত ডাল খান না? ? লেনটিল রাইস খান? ? :P

১২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:১০

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: নিজের ভাষাকে সন্মান করতে হবে সবার আগে, দেয়ালে পিঠ ঠেকা অব্দি নিজের ভাষা চালিয়ে যেতে হবে।

আমি প্রায় দেখি স্প্যানিশরা দোকানে ঢুকেই একটা হুংকারের সাথে প্রশ্ন করে- আবলা স্পাইওল? মানে আপনি কি স্পানিশ ভাষা জানেন? যদি না বলা হয় তাদের মুখ ভঙ্গী দেখে মনে হয় এটা আমার অপরাধ কেন জানিনা।

ভাষার প্রতি কতটা সন্মান বোধ থাকতে পারে তার উপমা হিসেবে সবার আগে চিন আসে।এরা নিজের ভাষার প্রতি এতটা দুর্বল আর আপোষহীন যা অন্য কোন জাতিকে দেখা যায়না।দেশে থাকতে আমি একটা চার্জার গাড়ি কিনেছিলাম,যার বাজার মুল্য তখন ছিলো ২৫ হাজার টাকা। তারা জানতো এটা তারা এক্সপোর্ট করবে,আর এটা ড্রাইভ করবে অন্য কোন ভাষা ভাষীর ৩/৪ বছরের বয়সের কোন শিশু।তবুও তারা গাড়িটির অন অফ স্ল্যুইসের যায়গায় ইংরেজিতে লেখেনি,তাদের ভাষায় তারা উপরে অফ আর নিচে অন লিখেছে।যা আমাকে অবাক করলো।

চিনের একটা নামি দামি শহরে একটা তারকা মানের আবাসিক হোটেলে কিছু নিত্য ব্যবহারের জিনিস চাইতে গিয়ে নিজেকে রীতিমত বদির স্কুলের ছাত্র মনে হলো,ইশারায় ইঙ্গীতে শুয়ে বসে কাত হয়ে তাকে আমার বুঝাতে হলো এই জিনিসটা আমার লাগবে।

গত কিছু দিন আগে আমাদের দেশে জাপানের প্রধান মন্ত্রী আসলো।এত গুলো সময়ের মধ্যে তার মুখ থেকে একটা ইংরেজি শব্দ সাংবাদিকরা নমুনা হিসেবে কাস্ট করতে পারেনি।
অথচ বিশ্ব বাজারে তাদের পন্য ব্যতিত ভাবাই যায়না, জাপানের টয়টা গাড়ি না হলে মনে হয় পৃথিবী থমকে দাড়াতো।

একজন পাকিস্তানীর সামনে যদি আপনি পড়ে যান সে দেখে বুঝে যাবে আপনি হয়তো ইন্ডিয়ান নয়তো বাংলাদেশি,ইন্ডায়ান হলেতো সমস্যা নেই কিন্তু বাংলাী হয়েও আপনি উর্দু বা হিন্দি জানেননা এটার জন্য আপনাকে পুলিশেও দিতে পারে, হ্যাঁ তারা মারতেও পারে, মেরেছেও বায়ান্নতে, আমরা ভাষার জন্য অসহায় অবস্থায় জান দিয়েছি, কিন্তু পৃথিবীর মধ্যে তারাই একমাত্র জাতি যারা ভাষার জন্য মানুষ মেরে ফেলেছে।এখানে ভাষা প্রেমিক কারা তা মেন প্রশ্ন জাগে।

এই প্রশ্নটা আরো বেশি জোড়ালো হলো বাঙালীর ইংরেজি ভাষা জানা না জানা নিয়ে গর্ব আর খর্ব ভাব দেখে।

কানাডার মন্ট্রিয়ালে একটা ঠিকানা জানতে গিয়ে এক বাঙ্গালী কর্তৃক নাজেহাল পর বোকা বনে গেলাম-
ভাই এই জায়গাটা কোথায় একটু বলতে পারেন, লোকটি আমার আগাগোড়া এক মুহুর্তে দেখে নিয়ে খুব গম্ভীর কন্ঠে ইংরেজিতে জানতে চাইলো আমি কোথায় থাকি।আমি বিনয়ের সাথে জবাব দিয়ে আবারো বললাম ঠিকানাটা কোথায়,তিনি আমাকে তার সাথে হাটতে বললেন কারণ তিনি নাকি সেইদিকেই যাবেন।ওনার ব্যস্ততার দরুন ওনার হাটার স্পিড চোখে পড়ার মত ছিলো,বাধ্য হয়ে আমাকেও তার সাথে তাল মিলিয়ে হাটা লাগলো,পুরো পথটা উনি আমার সাথে ইংরেজিতেই কথা বললো,আমি যথারীতি বাংলাতেই উত্তর দিয়ে যাচ্ছি।যেখানে প্রথম ওনাকে আমি ঠিকানা জানতে চেয়েছি সেখান থেকেই জায়গাটা দেখা যাচ্ছিলো।কিন্তু উনি আমাকে সেটা বলেননি,ঠিক যায়গা মত এসে আমাকে বললো এই বিল্ডিংটাই সেটা।এর মধ্যে উনি আমাকে নানা উপদেশ দিয়ে গেলেন এবং ইংরেজির যথাযত গুরুত্ব তুলে ধরলেন,আমি মোটামুটি ৭ মিনিটের একটা ইংরেজি গ্রামার ক্লাস করে তার উদ্দেশ্য একটা কৃতজ্ঞতার হাসি দিয়ে নিজেকে উদ্দার করলাম।

আমি যেই যায়গাটায় থাকি তার পাশেই একটা স্টারবাক্স আছে,যেখানে আমাকে প্রতিদিন যেতে হয় কফি খেতে।সেখানে আমি রীতিমত বাংলা ভাষা প্রচলন শুরু করে দিয়েছি।সেখানে কাজ করে এমন কয়েকজন স্পানিশ মেয়ে আছে তারা আমাকে দেখলেই এখন বলতে পারে- একটা ছোট কফি চাই? আমি এক গাল হাসি দিয়ে বলি হুম,বিষয়টা আমার জন্য অনেক গর্বের।আমার ভালো লাগে তাদের বাংলা বলার চেষ্টা টুকু দেখে।
আমার অনেক গুলো কাষ্টমার আছে, তারা আমাকে দেখেই বাংলায় জানতে চায় -কেমন আছেন।আমি বাংলা জবাব দেই।ওদের আমি এক দুই তিন চার এসব শিখিয়েছি।ওরাও এগুলো বলতে পেরে আনন্দিত।আমারও ভালো লাগে।

সবার নিজ ভাষার প্রতি একটা মায়া থাকা উচিৎ,শ্রদ্ধা থাকা উচিৎ।আমি জানি এবং স্বীকার করি বিশ্ব বিচরণে মায়ের ভাষার বাইরে অন্য ভাষা শেখা জানার প্রয়োজনীয়তা আছে তবে কখনো তা নিজের ভাষাকে অবহেলা করে নয়।

অনেক কথাই বলে ফেল্লাম :)


আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ



১৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:২২

জাফরুল মবীন বলেছেন: সোনার বাংলার সোনার মেয়ের বলিষ্ঠ ভাবনা ও উচ্চারণ।

ধন্যবাদ অর্নিকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.